ইদানিং আমার দিনের রুটিন উলটা হয়ে গেছে। সারা রাত জেগে থিসিস লেখার চেষ্টা করি, আর সারাদিন ঘুমাই। আজকে সকাল 11টায় আমার সুপারভাইজারের সাথে চ্যাট করার কথা ছিল (উনি এখন ছুটিতে আমেরিকায় আছেন)। 11টা আজকাল আমার কাছে প্রায় মধ্যরাতের মত। আমার 3টা বন্ধু এবং আম্মাকে বলে রেখেছিলাম যেন আমাকে ফোন করে ঘুম ভাঙায় (অ্যালার্ম ঘড়ি + মোবাইলের অ্যালার্মে কাজ হয় না অনেক আগে থেকেই)।একজন ফোন করতে না করতেই দেখি আরেকজন দরজায় ধাক্কা দেয়া শুরু করেছে (good to have reliable fri
আমার দুই দোস্ত সাদিক আর সুমন (এস এম মা মু) এর অজানা পাঁচ (না ঠিক ওদেরটা অজানা ছিল না, মানে ওদের এই উদ্যোগটার কথা বলছি) আর সাথে আরো অনেকের লেখা পড়ে নিজেরও লিখতে ইচ্ছা করল। সবাই দেখি প্রায় সাদিকের টেমপ্লেট ব্যবহার করেছে। মানে, ও যে যে পয়েন্টে লিখেছে, সেগুলোর সাথে সামঞ্জস্য আছে। পড়ালেখা, খাওয়া, থ্রিল রাইডস। দেখা যাক আমার কি হয়। ঠিক সেরকম অর্থে 'অজানা' তথ্য হয়তো হবে না, শুধু নিজের সম্পর্কে কিছু।
1. আমি বন্ধুপ্রিয় মানুষ। বন্ধু ছাড়া জীবন অচল। আশে
অনেক দিন ধরে কোন পোস্ট করা হয় না। সময় পাই না। কাজ-অকাজ নিয়ে ব্যস্ত খুব। জাত লেখক না বলে হুটহাট করে কিছু লিখেও ফেলতে পারি না। মাঝখানে ব্লগের হালচাল দেখে লেখার ইচ্ছাও হয়নি তেমন। তারপরেও অভ্যাসবশত ব্লগে ঢুঁ মেরে গেছি। আজকে হঠাৎ পুরোনো কিছু পোস্ট পড়ছিলাম। অপু আর আমি আর প্রিয় গান, প্রিয় গায়কের ভীড়ে কিছুক্ষণের জন্য চলে গেলাম একটা ভিন্ন সময়ে। খুব প্রিয় একটা গানের কথা মনে পড়ে গেল। 1995 এ অ্যালানিস মরিসেটের Jagged Little Pill অ্যালবামটা বের হবার পর থেকে
1998 টা খারাপ হতে হতেও কেমন যেন ভাল'র দিকে মোড় নিল। সেবার জন্মদিনেও খুব সুন্দর একটা কার্ড পেলাম অপুর থেকে। বন্ধুত্ব নিয়ে একটা গানের কিছু লাইন কাগজে ছোট ছোট করে প্রিন্ট করে কার্ডে সেঁটে দিয়েছিল। কথাগুলো এখন ঠিক মনে পড়ছে না - যদিও এককালে ওর প্রায় সব কার্ডের কথা মুখস্থ ছিল। কে বলেছে কার্ড হচ্ছে একটা waste of money? নানা মন খারাপের বা একা থাকার সময় এই কার্ডগুলো আমার মন ভাল করে দিয়েছে। কার্ডগুলো ছিল যেন মন খারাপ রোগের super fast action ওষুধ। আজকে হঠা
কবিতার ফ্লাডিং দেখে আমার পুরনো একটা ছড়ার কথা মনে পড়ে গেল। 1996-97 এর দিকে ভিকারুনি্নসা নুন কলেজে (VNC) পড়ার সময় কলেজের বার্ষিকীর জন্য লেখা। ছাপার অক্ষরে আমার প্রথম ছড়া। তবে দুঃখের ব্যাপার - নামের বানান উঠেছিল 'মাকিদ'। কপাল! মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেবার বাষির্কীতে আরো অনেক কবিতা বের হয়েছিল যাদের প্রায় সবগুলোই মেগা সিরিয়াস টাইপের, মাঝখানে শুধু আমারটাই ছিল জীবনের গূঢ় অর্থ বা ভালবাসার দুঃখ বা স্বদেশপ্রেম বাদে অন্যকিছু নিয়ে - খাঁটি ফাইজলামী টাইপ। সেসময়
অনেকদিন ফাঁকি মেরেছি দেখে অনেক কাজ জমে গেছে। একটা রিপোর্টে আটকে আছি এখন ভোর 4:30টায়। একটানা ঝিম মেরে রিপোর্টটা নিয়ে বসে থাকার ফাঁকে তাই গান শোনা হচ্ছে খুব। আমার গান শোনার রেঞ্জ লিমিটেড। বাংলা ব্যান্ড বা অলটারনেটিভ রকের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। ইংলিশ রকের অনেক ক্লাসিকের সাথে আমার পরিচয় খুব কম। তেমনি একটা ব্যান্ড Pink Floyd যাদের We don't need no education ছাড়া আমার প্রায় কিছুই শোনা হয়নি। সম্প্রতি Rockstar Supernova অনুষ্ঠানটা দেখতে গিয়ে একজন কন্টেস্ট
আমাদের ল্যাবে একটা ছেলে আছে, নাম শন। ল্যাবের প্রায় 20-25 জন গ্র্যাড স্টুডেন্টের মধ্যে একমাত্র সিঙ্গাপোরিয়ান। নিজের দেশেই সংখ্যালঘু। খুব মজার পাগলাটে একটা ছেলে, ল্যাবের যে কোন কাউকে সাহায্যের হাত বাড়াতে সদা প্রস্তুত। ক'দিন আগে একদিন আমি নিজের কিউবিকালে বসে গান শুনছিলাম। হঠাৎ শন এসে বলল,'তোমাকে একটা গানের লিংক দেই, শুনে দেখ। আমার মনে হয় তোমার গানটা ভাল লাগবে'। আমি শুনে দেখলাম। এবং ভাল লাগল। খুব। Death cab for cutie ব্যান্ডের I will follow you into
বদ্দা আর পিয়াল ভাইকে দেখে একটা গানের পোস্ট দেবার খায়েশ হল। অন্য একটা গান দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই এই গানটা বেজে উঠল। Green Day এর বিরাট ফ্যান নয়, তবে ওদের কিছু গান খুব ভাল লাগে। 2004 এ বের হওয়া ওদের American Idiot অ্যালবামের Boulevard of Broken Dreams গানটা সেরকম একটি। গানটার ভিডিও দেখা যাবে [লিংক=যঃঃঢ়://িি.িুড়ঁঃঁনব.পড়স/ধিঃপয?া=সী3াঢ়ুঢ6ঐম4]এখানে[/লিংক]। কথাগুলো নিচে দিলাম। বদ্দা আর পিয়াল ভাইয়ের গানগুলোর মত ক্লাসিক না হলেও বেশ একটা গান!
এইচ এস সি দিলাম 1997-এ। এরপরে অনেকদিন বেশ ফ্রি একটা সময় কেটেছে। বুয়েট ভর্তি কোচিং এ ক্লাসে গিয়েও ফাঁকি দিয়ে মাঝখানের কিছুদিন কাটল। বুয়েটের ক্লাস শুরু হল সেই 1998 এর ডিসেম্বরে। এর মধ্যে ঘটে গেল অনেক কিছু।সেসময় আমার দিন কিভাবে কাটত, আজ এতদিন পরে সেটা ভেবে বেশ অবাক লাগছে। বেশ লম্বা ছুটির মধ্যে ভর্তির জন্য পড়াশোনা আর তারই ফাঁকফোকড়ে পাড়ার পিচ্চিদের পড়ানো। সাথে গল্পের বই তো আছেই। পড়া বাদে বাকি সব নিয়ে বেশ মজার একটা সময়ের মজার কিছু অভিজ্ঞতা। কলেজের বন্
কলেজে থাকতে আমরা কিছু বন্ধু সবসময় একসাথে থাকতাম। তাদেরই একজন আমার জিগরি দোস্ত তানজিমা। ওদের বাসা সেসময় ছিল আমাদের হ্যাং আউটের মত। কারো বাসায় আড্ডা মানেই ওদের বাড়ি। দ্্বিতীয় বর্ষে ওদের বাসাতেই একটা ইন্টারেস্টিং ঘটনা ঘটল। ঘটনাটা হয়ত খুব ইউনিক না, তবে এটা না ঘটলে হয়ত আরো অনেক কিছুই অন্যভাবে ঘটত। জীবনে যা হয় আর কি - একেকটা ছোট্ট ঘটনা বড় কোন ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
1996 সালের অগাস্টের 1ম দিনে গেলাম তানজিমাদের বাড়ি।ওর জন্মদিন বলে মহা ফুর্তিফুর্তি