ফখরুদ্দীন সরকারকে অভিনন্দন

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: বুধ, ২১/০১/২০০৯ - ৯:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফখরুদ্দীন সরকার ২০০৬ সালের এক এগারোর পটপরিবর্তনের মাস দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় অভিযানের সূত্রপাত ঘটলে ব্যাপক জনসমর্থন অনায়াসে চলে আসতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষমতার এ সনদটি সবসমই পিচ্ছিল আর কণ্টকাকীর্ণ। রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না থাকায় একটি সুশীল সমাজভিত্তিক সিলেক্টেড সরকারের পক্ষে ব্যবসায়ী সমাজের দুষ্ট চক্রটিকে বাগে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশ্ব অর্থনীতির দৈন্যের অভিজাত দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতিকে বেসামাল করে ফেললে ফখরুদ্দীন সরকারের পারদ নামতে থাকে। এরি মাঝে কৃষি উপদেষ্টা সি এস করিম বোরোর বাম্পার ফলনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামেন। খাদ্য নিরাপত্তার ইস্যুটিকে সামনে নিয়ে আসেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ব্যবসায়ী সমাজের অপেক্ষাকৃত সচেতন অংশকে নিয়ে মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতি সামলাতে থাকেন। এক্ষেত্রে বিডিআর এর ন্যায্যমূল্যের দোকান এবং মোবাইল দোকানের চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজণীয় দ্রব্য বিক্রির চেষ্টায় পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে।
এগারোজন উপদেষ্টার পক্ষে এতগুলো মন্ত্রণালয় সামলে পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের গ্রামীণ গোস্বার সঙ্গে সংলাপে গিয়ে নানারকম মানভন্দুল প্রতিক্রিয়ায় তাদের পরিশ্রান্ত মনে হয়েছে অনেক সময়।
এদিকে মিডিয়ায় ফখরুদ্দীন সরকার কিংবা সেনাবাহিনীর ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার দূরভিসন্ধি (যটি আদতে কিছু থেকে থাকতো) তা নিয়ে মধ্যরাতের টকশো বা কথার দোকানগুলোতে অনবরত স্পেকুলেশন চলতে থাকে। বাংলাদেশের মিডিয়া মুক্তিযুদ্ধ, নব্বই এর গণঅভ্যুত্থান এবং তিন গণতান্ত্রিক সরকারের সময় ঋজু ভূমিকায় কখনো চতুর্থ রাষ্ট্র কখনো ছায়াসংসদের দায়িত্ব পালন করেছে। জয়তু বাংলাদেশ মিডিয়া। কিন্তু স্পেকুলেশন বা অনুমান নির্ভর নাগরিক ও মফস্বল সাংবাদিকতা, পেশাদায়িত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বলাই বাহুল্য। এখনো সংশ্লিষ্ট সূত্র, গোপন সূত্র, গুঞ্জন, গুজব এইসব হলুদ সংবাদ শব্দবন্ধ সাধারণ পাঠক শ্রোতা দর্শকদের সংশয়াপন্ন এবং কনফিউজ করে। তার পরেও আগের প্রজন্মের সচেতন সংবাদ কর্মী আর নতুন প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল সংবাদ কর্মীদের আন্তরিকতায় বাংলাদেশ এগিয়ে যায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে।
প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ (সাবেক লিখছি না কারণ সবাই জানেন তিনি এখন সাবেক) সবসময় জ্ঞাননির্ভর সমাজের কথা বলেছেন, সততা এবং মূল্যবোধের কথা বলেছেন। সেই দর্শন সাবেক হবেনা কখনোই আমরা প্রত্যাশা করি।
ফখরুদ্দীন সরকারের অভ্যন্তরে কখনো কখনো অতি উৎসাহী দু একজন উপদেষ্টা ব্যক্তিগত অতীত আক্রোশের কারণে মাইনাস টু জাতীয় হাস্যকর ফর্মূলার জন্ম দেন। কখনো শেখ হাসিনাকে দেশে ঢুকতে না দিয়ে, কখনো বা খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করে দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়া হয়। ফখরুদ্দীন সরকার উপদেষ্টা পরিষদে শুদ্ধি অভিযানের মাঝ দিয়ে সেই থিয়েটার মাইনাস টু জাতীয় কমেডির অবসান ঘটায়।
তবে প্রশ্ন উঠতে থাকে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের জেলে পাঠিয়ে কারাগারগুলোকে শ্বাপদসংকুল করে, জাতিকে আশা দেখিয়ে আবার তাদের কারাগারের সাপের ঝাঁপি থেকে, কেন জনপদে বের করা হলো, কেউ কেউ নির্বাচনে অংশ নিলো, জিতেও গেলো।
ফখরুদ্দীন সরকার বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করার সাহসী কাজটির সূত্রপাত ঘটালেও এত অল্পসময়ে আইনি ব্যবস্থার অচলায়তনকে সচলায়তনে পরিণত করা প্রায় অসম্ভব, সেটা সম্ভবত সূর্যালোকের মত স্পষ্ট।
ফখরুদ্দীন সরকার নির্বচন কমিশনকে সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার যে চেষ্টা করেছে, নির্বাচন কমিশন তার সর্বোচ্চ সদব্যবহার করে জাতিকে অন্তত জাতীয় পরিচয়পত্র ও নির্বাচন উপহার দিয়েছে। সেনাবাহিনীও এই কৃতিত্বের অংশীদার হয়েছে। ভোটার আইডি কার্ড প্রদান ও নির্বাচনী দায়িত্বে তারা তাদের পেশাদারিত্বের পরিচয় রেখেছে।
ফখরুদ্দীন সরকার পুলিশ প্রশাসনসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াতে দেশের মানুষ মোটামুটি আগের চেয়ে শান্তিতে ছিল। তবে মগের মুল্লুকে শান্তির বাণী শোনানো কতটা কষ্টকর তা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন সম্ভবত টের পেয়েছেন।
ফখরুদ্দীন সরকারের সময় ব্যবসা বাণিজ্যের বিকাশ বিঘ্নিত হয়েছে। সম্ভবত ঋণখেলাপি নির্ভর উদ্যোক্তারা কালো টাকা বের করতে ভয় পেয়েছে। মিডিয়া মার্কেটিং মিটিংগুলোতে কতিপয় ব্যবসায়ীর মাঝে এই সংশয় দেখার সুযোগ হয়েছে। আশা করা যায় এই সংশয় কেটে যাবে।
অপেক্ষাকৃত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ফখরুদ্দীন সরকারের এক এগারোর শুদ্ধি যাত্রার চূড়ান্ত গন্তব্য ছিল। নির্বাচনে ডিজিটাল কারচুপির অভিযোগ যথারীতি উঠলেও প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনা এক গোলকরে পরিশোধ করে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দুই দুই গোলে ড্র করেছেন মহাজোটের মহা বিজয়ের নাম দিয়ে।
ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধাক সরকারের প্রয়োজন হবে কিনা জানিনা, তবে নির্বাচন কমিশন যদি সার্বভৌম থাকে এবং মহাজোট সরকার যদি জনগণের সরকার হয়ে উঠতে না পারে তাহলে সামনের বার খালেদা জিয়া আবার এক গোলে এগিয়ে যাবেন। শেখ হাসিনাকে আবার সেই গোল পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ জনগণ ৯৬ সালে বললো, আপনি পারলেন না ম্যাডাম আমাদের সরকার হতে। ২০০১ আপাকে শুনতে হলো একই কথা। এবার ম্যাডাম দ্বিতীয়বার শুনলেন সেই পুরনো কথা। অর্থাৎ পাঁচ বছর পর পর না ভোট পেতে থাকেন। পরিবর্তনের কাণ্ডারি বাংলাদেশের জনগণ। তাদের সন্তুষ্ট করতে না পারলে তারা যেহেতু রাজস্ব দেন অথচ রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে বঞ্চিত তাই তীব্র অভিমানে গণভোটের মতো একজনকে হ্যা আর একজনকে না বলেন ব্যালটের তীব্র ভাষায়।
অন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে ফখরুদ্দীন সরকারের পার্থক্য দুর্নীতি বাজদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে প্রতীকি শুদ্ধি অভিযান। আর সেনা প্রধান মইন উ আহমেদের সমর্থন যে সেনা শাসক হয়ে উঠার উদ্দেশ্যে নয়, ব্যর্থ রাষ্ট্রটিকে আবার রেল লাইনে তুলে দেবার প্রত্যয়ে, দুর্বৃত্তদের উঠিয়ে দেওয়া সেতুকে সেনাবাহিনীর বেইলি ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচলের উপযুক্ত করার জন্য, সেটা আজ প্রমাণিত। ফলে ফখরুদ্দীন সরকারের অভিনন্দনের অংশীদার মইন উ আহমেদ ও তার সহযোগিরা। তীব্র রাজনৈতিক মেরুকরণে বিভাজিত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে ফখরুদ্দীন সরকার, নাগরিক সমাজ ও জনগনের আকুতি শেখ হাসিনাকে মহাজোটের প্রধানমন্ত্রী না হয়ে জনগণের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে উদ্দীপ্ত করেছে। উন্নয়ন ও ঐক্যমুখী রাজনীতির সূচনা ঘটবে তার হাতে এরকম কিছু শুভ ইঙ্গিত চোখে পড়েছে।
খালেদা জিয়া এবার বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে ছায়া প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন এদেশের দারিদ্র্যে বিশীর্ণ জনমানুষের ভাত-কাপড়-আশ্রয়-চিকিৎসা-শিক্ষার মত ন্যূনতম চাহিদা মেটাতে এরকম শুভ ইঙ্গিতের অপেক্ষায় রয়েছে ক্ষমতা কাঠামোর বাইরে প্রান্তিক মানুষ। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাতাবরণে যে শান্তির সুবাতাস বইছে সেখানে অরাজনৈতিক অথচ রাজনীতি সচেতন ফখরুদ্দীন সরকারের প্রানান্ত প্রচেষ্টা নিশ্চয়ই ইতিহাস সুচিহ্নিত করবে। অতীতের ত্যাগী ও দেশপ্রেমিক সুরাজনীতিতে ফিরে আসার মতো জাতীয় মনোজগত তৈরিতে একধরনের দার্শনিক উপদেষ্টা পরিষদ পেয়েছিলাম আমরা, সে কথাটা অকুণ্ঠভাবে স্বীকার করাটাও এবার শিখতে চাই।


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সমস্যা ছিল ২টিঃ

১) খুব বাজে কিছু লোককে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেওয়া এবং তাদের নিজের ইচ্ছামত এজেন্ডা পুশ করতে দেওয়া।

২) নেতৃত্বের অবস্থানে না এসে, সামনে এসে ধোঁয়া না সরিয়ে, স্রেফ অন্তঃপুরবাসী ২ বছর কাটানো। এই যে কু-এজেন্ডাগুলোর কথা আমরা সবাই বলছি, সে-খবর তো তিনিও জানতেন। মৌন সম্মতি কেন দিলেন?

সবজান্তা এর ছবি

অতীতের ত্যাগী ও দেশপ্রেমিক সুরাজনীতিতে ফিরে আসার মতো জাতীয় মনোজগত তৈরিতে একধরনের দার্শনিক উপদেষ্টা পরিষদ পেয়েছিলাম আমরা, সে কথাটা অকুণ্ঠভাবে স্বীকার করাটাও এবার শিখতে চাই।

ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন কিংবা প্রাক্তন আই জি আনোয়ারুল ইকবাল সম্পর্কেও কি আপনার একই মত ?


অলমিতি বিস্তারেণ

অপ্রিয় এর ছবি

ভাইজান:

১. একটা দেশের সংবিধানকে অবজ্ঞা করে শাসনভার রাতের অন্ধকারে কিছু সিলেক্টড ব্যক্তির তুলে দেওয়া বেআইনি - যত সুফলই তার থাক না কেন। কারা, কিসের ভিত্তিতে ঐ ফেরেশতাদের বাছাই করেছিল? যে কোন সভ্য দেশ হলে ইমপিচমেন্টের মুখোমুখী হতে হতো। এটা নপুংশকদের দেশ, এ নিয়ে আত্মপ্রসাদ লাভ না করে লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করাই উত্তম।

২. দেশকে ডি-পলিটিসাইজ করাই ওই ফেরেশতাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ এবং ইউ এন পিস কিপিং মিশন প্রত্যাহারের থ্রেট না খেলে বুঝতেন কত চালে কত ধান।

৩. দুর্নীতি দমনের নেতা এপয়েন্টমেন্ট পেয়ে চেয়ারে বসার আগেই ১০ দিনের জন্য পাকিস্তান ভ্রমনে গেলেন, সেটা নাকি তার ব্যক্তিগত সফর, কিন্তু তিনি ফিরে আসার পর দেখা গেল তাঁরা জামাতের কোন দুর্নীতি খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনি কি তাঁর ধর্মিয় পুস্তক হাতে নিয়ে বলতে পারবেন যে ঐ সফর নিতান্তই ব্যক্তিগত ছিল?

৪. ফকরুদ্দিন সাহেবকে ইমপিচ করে বের করা উচিত মইন সাহেবের নির্দেশ মত কাজ করার আগে ১ম তত্বাবধায়ক সরকার গঠন তিনি কার নির্দেশে করেছিলেন এবং ক্যানো করেছিলেন।

তালিকা বেশি বাড়াতে চাই না, শুধু চাই দেশে ধীরে হলেও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক, বন্দুকের শাসন নয়, একদিন না একদিন তা ব্যাকফায়ার করবেই। আসুন আমরা আমাদের লজ্জা ঢাকি, অনিয়ম আর অবিচারগুলো নিয়ে আত্মপ্রসাদ লাভ করা বন্ধ করি -ভবিষ্যত জেনারেশন এগুলো নিয়ে হাঁসাহাঁসি করবে।

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

তানবীরা এর ছবি

আসলে আমরা যা দেখতে ভালোবাসি তাই হয়তো দেখি। আবেগের চেয়ে বেশী আজ যুক্তির প্রয়োজন। ঠগ বাছতে আজ দেশ উজার হয়তো কিন্তু যেভাবে গদী ছাড়ার আগে ফখরু চাচা সবার সাথে তার বিবাদ মিটানোর জন্য পাইকারী জামিনের ব্যবস্থা আর আপোষের ব্যবস্থা করলেন তাতে তার আসল উদ্দেশ্য নিয়েই আজ সন্দেহ লাগে। গনহারে সবার সাথে হাত মিলিয়ে কি প্রমান করে দিয়ে যেতে চাইলেন?

সবমিলিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাতাবরণে যে শান্তির সুবাতাস বইছে সেখানে অরাজনৈতিক অথচ রাজনীতি সচেতন ফখরুদ্দীন সরকারের প্রানান্ত প্রচেষ্টা নিশ্চয়ই ইতিহাস সুচিহ্নিত করবে।

খালেদার পায়ের নীচে আপাতত মাটি নাই, তাই টিনি টুপটাপ। মাটি আসা মাত্র আবার ঝাপিয়ে পড়বেন। সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর যেভাবে সুযোগ পাওয়া মাত্র ছাত্রলীগ ঝাপিয়ে পড়েছে তাতে কি খুব শান্তির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মাসকাওয়াথ ভাই,
আপনার নির্বাচনী অভিজ্ঞতা শুনতে চাই।
১) ভিন্নধারার মেনিফেস্টো নিয়ে নির্বাচন করতে গিয়ে জনগণের সাথে কী কী অভিজ্ঞতা হলো?
২) আপনার কি মনে হয় বিকল্পধারা না হয়ে আ-লীগ, বি এন পি থেকে টিকিট নিলে আপনার ভোট আরও বাড়তো? এক্ষেত্রে ভোটাররা দল কিংবা ব্যক্তিকে কীভাবে মূল্যায়ন করে? আপনার কী মনে হয়?
৩) নির্বাচন করে সফল হতে 'টাকা' কেমন ফ্যাক্টর?
৪) ধানের শীষ/নৌকা প্রতীকের যে শক্তি, সেটা ভাঙা কি আসলেই সম্ভব নয়?
৫) আগামীতে আপনার মতো শিক্ষিত-সচেতন তরুণ কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে তার জন্য আপনার কী কী বলার থাকবে?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।