মিডিয়ার ম্যাকিয়াভেলি বনাম ব্লগের সক্রেটিস

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: বুধ, ২৬/০৫/২০১০ - ৬:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত কয়েকদিন ধরে ব্লগের পাতায় চোখ রেখে ভবিষ্যতের মিডিয়া কেমন হবে তা খানিকটা বুঝতে চেষ্টা করলাম।পাশাপাশি সনাতন মিডিয়ার দিকেও চোখ রাখতে গিয়ে মনে হচ্ছে সনাতন মিডিয়া ব্লগের শক্তিটাকে আর ফেলে দিতে পারছে না।অভ্র বনাম বিজয় বিতর্কে সনাতন মিডিয়ার বার্তা সম্পাদকদের ব্লগের পাতায় চোখ রাখতে হয়েছে।মুসা বনাম সজল বিতর্কের কথা উদ্ধৃত হয়েছে সনাতন মিডিয়ায়।

একবিংশে নোবেল পুরস্কার যেখানে বিতর্কের উর্ধে নয় সেখানে তরুণ প্রজন্ম বিনা সংশয়ে আর কোন অর্জন নিয়ে আইসিসি ট্রফি বা নোবেল আনন্দে মাতবেনা।চুন খেয়ে এতবার মুখ পুড়েছে, এখন দই দেখলে ইচ্ছাও জাগে আবার ভয় হয়।কাজেই সনাতন মিডিয়া রেডিও বাংলাদেশ বা বাংলাদেশ টেলিভিশনের মত (ব্র্যান্ডিং ছাড়া আর কোন তফাত নেই সুসংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে) স্টেরিও টাইপের দিকে গেলেও ব্লগ খবরটাকে পাকা জহুরীর মত কষ্টিপাথরে যাচাই করে নেবে।অভ্রের প্রতি বিজয়ের অথবা মুসার প্রতি সজল মুন্তাসিরের ব্যক্তিগত ঈর্ষা ব্লগের দেখার বিষয় নয়।ব্লগ সত্যের অনুসন্ধান করে, আসল সত্যিটা জানতে চায়। তারপর সত্য নিয়ে গর্বিত হতে চায়।

সুনামির পর সিএনএন বিবিসি যখন সব ভালো ফুটেজ পেল পর্যটক অসাংবাদিকদের কাছ থেকে, তখনি তারা বুঝতে পারে মিডিয়ার ভবিষ্যত।আর ইউটিউবের হিটস দেখে বড় বড় টিভি স্টেশনের সম্পাদকেরা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ চাকরি খুঁজছেন।

আমি নিশ্চিত ঢাকার সাহিত্য সম্পাদকেরা একুশে বইমেলার সময় ব্লগারদের বই প্রকাশনার শক্তি দেখে এক একজন হিরক রাজার মত আতংকগ্রস্ত হয়েছেন।বিউটি বোর্ডিং কিংবা রেক্সের আড্ডাটা এভাবে শহিদ কাদরি বা আবুল হাসানের প্রেতাত্মা হয়ে ফিরে আসে কিভাবে।হাসান হাফিজুর রহমান বা সিকান্দার আবু জাফরদের সম্পাদকীয় যুগের অবসান হলে আবুল হাসানের কাছে পরাজিত নির্মাণ কবিদল তাদের বামন সাম্রাজ্য গড়তে অনাগত কবিতার ভ্রূণ হত্যা করে, কবিতার যুগ নির্ধারণের ঠিকাদারি নেয়।ডক্টর ফস্টাসের মত নার্সিসিজম তাড়িত হয়ে ঘোষণা করে কবিতার মৃত্যু হয়েছে।

সেই কবিতার আত্মা ব্লগ তোলপাড় করছে, ওয়ালিউল্লার গদ্য, মুজতবার রসবোধ, ঠোঁট কাটা মন্তব্য,একেবারেই ভবিষ্যতগামী লেখার উদ্ভাস অতর্কে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সাহিত্যের সমুদয় মনোপলি।

মিডিয়া তার পারফরমার আর দর্শকের মাঝে যে রবিনসন ক্রুসো-ফ্রাইডে সম্পর্ক দেখতে চেয়েছিল অনলাইন মিডিয়া এসে তা হাস্যকর প্রমাণ করল, একজন অখ্যাত মাঝবয়েসি মহিলা মঞ্চে এলে সনাতন মিডিয়া জবুথবু মহিলাকে নিয়ে ঠাট্টা শুরু করতেই সে গান শুরু করে। সেই অনুপম অপেরার সুর ইউটিউব হয়ে অযুত হিটস পেলে সেলিব্রেটির ডেফিনিশন বদলে যায়।রুপার্ট মারডাক সাহেবরা টের পাচ্ছেন,সম্ভবত মিডিয়ার রেডকার্পেট রাজতন্ত্রের অবসান ঘটতে চলেছে।

ভূমিসংলগ্ন গণতন্ত্রের প্রত্যাশা হয়ত আরও কিছুদিন অধরা থাকবে, কিন্তু নেটিজেনদের জন্য সভ্যতার এই আন্তর্জাল বাস্তবতা একটা নান্দনিক সরাইখানার মত, পশ্চিমা গেম থিউরি বনাম পুবের জঙ্গিবাদ,মিডিয়া বাস্তবতা বনাম সত্য বাস্তবতা, বর্ণ অথবা ধর্মবাদের বোঝা কাঁধে সভ্যতার পেছন দিকে হাঁটার যে প্রবণতা, সেখান থেকে প্যারোলে মাঝে মধ্যে সেই সরাইখানায় ঢুকে অক্সিজেন নিয়ে আসা, ম্যাকিয়াভেলির ইড ইগো সুপার ইগোর রাজপ্রাসাদ থেকে পালিয়ে সক্রেটিসকে খুঁজে বেড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে।


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ঠিক। একদিন ব্লগিং ও পুরনো হবে, আসবে অন্য কোন মিডিয়া, আরো বেশী লোকসম্পৃক্ত।
যারা এই পরিবর্তন মানবেন তারা সময়ের সাথে এগুবেন, যারা মানতে চাইবেননা তারা জরাজীর্ণ হয়ে বিস্মৃত হবেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তুলিরেখা এর ছবি

খুবই আশার কথা। আসলে পরিবর্তন আসতেই থাকবে, আসতেই থাকবে।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্রচলিত মাধ্যম আসলে ইন্টারনেটের শক্তি বুঝতে পারছে অতি সম্প্রতি। ইন্টারনেট প্রতুল উন্নত বিশ্বে এই ধাক্কা ইতিমধ্যেই প্রচলিত মিডিয়াকে প্রায় ধরাশায়ী করতে বসেছে। বাংলাদেশে হয়ত আরো কিছু সময় লাগবে। তবে পরিবর্তন আসবেই, আসতে বাধ্য।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌পরিবর্তন আর অভিযোজনের এই সূত্রটা যারা ধরতে পারবে না, তারা হয়ে থাকবে চিরকূপমণ্ডুক!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নৈষাদ এর ছবি

চলুক... অপ্রতিরোধ্য বাস্তবতা...

হিমু এর ছবি

আমি অতি সম্প্রতি একটি অপমানকর পরিস্থিতিতে পড়েছি। অভ্র-বিজয় বিতর্ক নিয়ে সাপ্তাহিক "সাপ্তাহিক" একটি লেখা চেয়ে নিয়ে সেটি প্রকাশ করেনি। নিজের লেখার মান নিয়ে আমি অতি উঁচু ধারণা পোষণ করি না, কিন্তু সেটি যে আবদুন নূর তুষার কিংবা মোস্তফা জব্বারের লেখার চেয়ে কোনো অংশে ন্যূন হয়নি, এইটুকু আস্থা নিজের ওপর আমার আছে। অনুরুদ্ধ হয়ে লেখার পর প্রত্যাখ্যাত হয়ে আমি লেখাটি আমার নিজের ব্লগে প্রকাশ করেছি

কোন কাগজ কী ছাপে আর কী চাপে, সেটা দেখলেই তাদের চরিত্র বোঝা যায়। গোলাম মর্তুজার সাপ্তাহিক "সাপ্তাহিক" এর চরিত্র আমি বুঝে গিয়েছি। লেখাটির মান সম্পর্কে বিচারের ভার পাঠকের হাতেই দিলাম।

ভবিষ্যতে কাগজগুলো যদি তুষার-জব্বারদের কণ্ঠস্বরই ধারণ করতে চায়, তাহলে পাঠক হিসেবেও তুষার-জব্বারদেরই পাবে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

হিমু এটা কোন অপমানজনক ঘটনা নয়, অন্তত আপনার জন্য তো নয়ই। মর্তুজা সাহেবের হাতে আপনার লেখাটা পড়ার পরেও উনি কেন ছাপলেন না বুঝলাম না। উনাকে নিরাপোষ বলেই জানি। সম্পাদকের পদটা লোভনীয়, অথচ সাংবাদিকতার মৃত্যুর সমার্থক। তবে অফলাইন মিডিয়ার দিকে তাকানোর সময় কোথায় আপনাদের, পেলোপনেশীয় যুদ্ধের যোদ্ধা থুসিডাইসিস অবসরে যুদ্ধের ইতিহাস লিখতেন,অনলাইন বনাম সনাতন মিডিয়া যুদ্ধের অবসরে ইতিহাসটা আপনারা অনলাইন ক্ষত্রিয়রাই লিখবেন আশা করছি, অভ্র বনাম বিজয় বিতর্কে অনলাইন যোদ্ধারা যে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে, এরপর নিউইয়র্ক টাইমস বা ঢাকার আলোগুলো নিভে যেতে থাকলে অনলাইনেই তার অবিচুয়ারি লিখতে হবে হয়ত আপনাকেই। মিডিয়ার আগামীটা আপনাদের হাতে। কেউ যদি বুঝতে না চায়, লেট দেয়ার বি লাইট।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একই অপমানে আমিও ব্যথিত। তুষারের সমালোচনা করে আমার লেখাটার একটি পরিবর্তীত ভার্সন প্রিন্ট মাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। সাপ্তাহিকের অনলাইন ভার্সন থেকে সরাতে অনুরোধ করেছি।

"সাপ্তাহিক" কে ধিক্কার জানাই।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ছাপাটা সম্পাদকীয় দায়বদ্ধতার অংশ, তেমনি ভালো লেখা ছাপার আগ্রহটা সংবাদপত্রেরই দেখানোর কথা। থানার দারোগা , সচিবালয়ের কেরানীর মত আচরণ সাংবাদিকদের কাছে কেউ আশা করেনা। তবে পুরোটাই নষ্টদের অধিকারে চলে যায়নি। হিমুর বা মুর্শেদের লেখা যারা ছাপতে চায়, তাদের হয়ত স্টোরি রিলিজের অথরিটি এখনো হাতে আসেনি। আপনাদের কন্ট্রাভাওচারেরা আধ্মরাদের অচলায়তনে সময়ের অপেক্ষায় উন্মুখ। আশা করছি তারা আপনাদের মেইল করবেন শীঘ্রই। আমি নিশ্চিত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ব্যাপার না। সনাতন মিডিয়া থাকুক মোস্তফা জব্বার আর তুষারের মতো সর্বরোগবিশেষজ্ঞ জরিবুটি ফেরি করনেওয়ালাদের কুক্ষিতলে। আমরা ম্যাঙ্গো-পিপোল বরং অনলাইনকে আঁকড়ে ধরেই এগিয়ে যাই। সময়েই প্রমাণ হোক, কোন মিডিয়া টিকে থাকে ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

কে সর্বরোগবিশেষজ্ঞ আর কে ম্যাঙ্গো-পিপোল সময় তার সিদ্ধান্ত দেবে ক্রিকেট আম্পায়ারের মত আঙ্গুল উঁচিয়ে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

এনকিদু এর ছবি

বেশ ভাল লাগল । সনাতন গনমাধ্যমের তুলনায় আন্তর্জাল অনেকটাই 'of the people, by the people' সংজ্ঞার খুব কাছাকাছি । আন্তর্জাল প্রধান গনমাধ্যম হয়ে ওঠার দিকে যত এগোবে, গনমাধ্যমও ততই 'মানুষের জন্য' হয়ে উঠবে ।

সুনামির পর সিএনএন বিবিসি যখন সব ভালো ফুটেজ পেল পর্যটক অসাংবাদিকদের কাছ থেকে, তখনি তারা বুঝতে পারে মিডিয়ার ভবিষ্যত।আর ইউটিউবের হিটস দেখে বড় বড় টিভি স্টেশনের সম্পাদকেরা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ চাকরি খুঁজছেন।

ইউটিউবের মালিক গুগল নিজেই এখন গুগল টিভি নামের নতুন প্রকল্পে হাত দিয়েছে । অপ্রচলিত গনমাধ্যম কতখানি শক্তিশালী হয়ে উঠলে পাক্কা ব্যবসায়ী (গালি অর্থে বলছিনা মোটেও) পর্যন্ত তাতে বিনিয়োগ করে তা অনুধাবন করতে নভোযান-বিজ্ঞানী হওয়া লাগেনা ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

জনমানুষের অডিও ভিস্যুয়াল ব্লগিং এর সুযোগটাই গুগল টিভির শক্তির জায়গা , বিবিসি সিএনএন, আল জাযিরার ডিঙ্গি নৌকাগুলোকে এবার ইউটিউবের জাহাজে বেঁধে বাঁচতে হবে। সেখানে ঢাকার টিভিগুলো কী করবে বলা কঠিন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

রণদীপম বসু এর ছবি

কলা খেতে গিয়ে যে প্রিন্ট মিডিয়াগুলো এখনো ঠাকুর ঘরের দোহাই দেয়, তা দেখতে বা শুনতে একটা বিনোদনের মজা পাওয়া যায় বৈকি !

লেখাটা ভালো হয়েছে মাসকাওয়াথ ভাই।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এই বিনোদন কম কী রণদা, আগের মত সার্কাস, যাত্রা, পুতুল নাচ, ভাঁড়নাট্যম তো আর ভূমিসঞ্জাত নয়, তাই মিডিয়াতেই সেসব দেখতে হবে। চলুন দেখতে থাকি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

পলাশ রঞ্জন সান্যাল [অতিথি] এর ছবি

হাসান মোরশেদ ভাইয়ের সাথে একমত। নতুন আসবে পুরনো চলে যাবে। এই সত্য যে মানতে পারবে সে টিকবে।
কথাটা বলা উচিত হচ্ছে কিনা জানি না। তবে বিজয়ের দিন শেষের পথে। এখন কাগু অনেক কিছুই করবেন। দীপ নিভে যাওয়ার আগে একটু বেশি জ্বলে এই আরকি। মিডিয়ারও দিন আসছে।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

শরতশিশির এর ছবি

সেই, নতুন কিছু প্রতিনিয়ত আসে বলেই না মিডিয়া এত বেশী এক্সাইটিং মাধ্যম এখন। মানুষ আজকাল অনেক সহজেই নিজেকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারছে নিত্যনতুন টেকনোলজির কল্যাণে। সাল্মান খান একাই ইউট্যুব-কে কাজে লাগিয়ে কীভাবে অ্যামেরিকান স্কুল-কলেজের হোমওয়ার্কের কাজ সহজ করে দিচ্ছে, তা না দেখলে বুঝা যাবে না।

তবে, দেশে যদি নেট স্পিড না বাড়ে, আর টেকনোলজি যদি আমজনতার সাধ্যের বাইরে থাকে, তাইলে আমাদের দেশের মানুষের কাছে এর সুফল পৌঁছুতে লেগে যাবে বহুদিন।

অফটপিকঃ আপনি তো নিজেই এতকাল ধরে আছেন মিডিয়াতে, মাসকাওয়াথ ভাই। নিদেনপক্ষে কীভাবে আপনি রেডিও বাংলাদেশে ''ওয়ার্ল্ড মিউজিক'' প্রোডিউস করতেন, সেটা একবার লিখুন। আমি সেই গল্প শুনতে আগ্রহী (আর সাজিয়া-ও লিঙ্ক পেয়ে যাবে)। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

নিশ্চয়ই লিখবো। অনেকগুলো মিডিয়া হাউসের গল্প জমে আছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

Faham এর ছবি

আমি অভ্র- বিজয় বিতর্কের একজন নিয়মিত পাঠক এবং কোনোটাই ব্যবহার করতে পারি না | গুগল ট্রান্স লিটারেশন ছাড়া আমার গতি নেই, যেহেতু খুব টেক ফ্রেন্ডলি নই | আমি যতদুর বুঝেছি, ব্যাপারটি ঠিক নৈতিকতার না, আইনের | এ ব্যাপারে আমার কোনো সন্দেহ নেই যে মামলায় বিজয় হেরে যাবে (নেট থেকে যা মনে হয়েছে, এবং পেটেন্ট ল সম্বন্ধে মোটামুটি জ্ঞান থাকার কারণে) | কিন্তু অভ্র সফটওয়ারে এ বিজয়ের সাথে এতটা সাদৃশ্যপূর্ণ লে আউটের প্রয়োজনটা কী বুঝতে পারছি না ? মানুষতো অভ্র ব্যবহার করে ফোনেটিকের কারণে, সেখানে বিজয়ের মত কঠিন একটা লে আউট সংযোজন করার কারনটা কী ? তাছাড়া জব্বার যতই বাজে মানুষ হোক না কেন, তার ব্যবসায়িক স্বার্থ ক্ষুন্ন হলে আইনের দারস্থ সে হতেই পারে | এটা তো ঠিক যে ইউনিবিজয় লেখা হয়েছে মূলত বিজয় ইউজার দের টার্গেট করেই | যদি ফোনেটিকের মাধ্যমেই ভাষার মুক্তি হয় (আমি নিজেও এ ব্যাপারে পুরোপুরি একমত), তাহলে সেখানে বিজয় বর্জন করাটাই কি উচিত ছিল না ?

কেউ ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললে উপকৃত হতাম | অভ্রের প্রতি হৃদয়ের টান আছে কিন্তু কোনো পক্ষের নই, যেহেতু ব্যবহার করতে পারি না | আবারও বলছি, এই বিষয়ে আমি নেহাতই লেম্যান

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অনেকদিন পরে মাসকাওয়াথ ভাইয়ের লেখনীর ঘ্রাণ পেলাম এ লেখায়... দূর্দান্ত এবং অসাধারণ! ইদানিং নিয়মিত লিখছেন দেখে ভালো লাগছে খুব।

মাসকাওয়াথ ভাই কি জানেন - এ বিষন্ন শহরে এখনো কিছু মানুষ মৃত্যুর শহর এবং তীর্যক রচনা পাঠের স্মৃতিচারণ করে আড্ডায়, ফোনে। সে আলাপে প্রায়ই দীর্ঘশ্বাস নিয়ে উচ্চারিত হয়, 'অমন তো আর লেখেন না তিনি'।

তাই এ লেখার লিংক মেইলে ছড়িয়েছে বেশ...

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

শিমুল ৯৮-৯৯ সালে ভোরের কাগজের সে সময়ের অবসরের সম্পাদক হূমায়ুন রেজা আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিল। তারপর প্রথম আলোর সে সময়ের ছুটির দিনের সম্পাদক মুনির রানা তির্যক রচনা লিখিয়েছিল। ওরকম বন্ধু আর পাইনি। সিভিল সার্ভিসের অন্যান্য যন্ত্রণা থাকলেও লেখা লেখির কিছু সময় দিয়েছিল। তারপর সাংবাদিকতার ব্যস্ততায় লেখালেখির জন্য ভাবনার সময় পাইনি। প্রায় দশ বছর পর তুমি, রুমন বেশ ঘোড়েল সম্পাদকের মত বিষণ্নতার শহর উস্কালে। এবার যদি একই রকম মজা পাও তবেই লিখব। অযথা তারুণ্যের জম্পেশ আড্ডাটাকে বোর করতে চাইনা। তোমার লেখা কই! হিমু, রুমন কেউ তো লিখছে না। গ্যালারীতে বসে খুব মজা লও মনে হয়।ভালো থেকো।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বিষন্নতার শহর আর তীর্যক রচনা লিখে চিন্তার যে ভুত চাপিয়ে দিয়ে গেছেন, সেটা সরেনি দশ বছরে। তাই আপনি নিয়মিত লিখলে আওয়াজ তো দেবোই। হোকনা গ্যালারী কিংবা মাঠ হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।