নিজামি-মুজাহিদ-সাইদি ত্রি্ভুজের বিচার চাই

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: বুধ, ৩০/০৬/২০১০ - ১০:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই ত্রিভুজ আমাদের মানবিক অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন। মহানবী আমাদের চিন্তার মহানায়ক। তার মানব শক্তির এক দশমাংশ পেলেই গান্ধি, কায়েদে আজম বা বংগবন্ধু হওয়া যায়। যারা সারাজীবন মানুষের কথা ভাবতে ভাবতে দেশদ্রোহীদের হাতে প্রাণ দিলেন।তারা এখন সাত আকাশের উচ্চতম তারা হয়ে আমাদের পাহারা দিচ্ছেন। ভারত, পাকিস্তান বা বাংলাদেশে বা দক্ষিণ এশিয়ায়, পূবে পশ্চিমে বা মধ্যপ্রাচ্যে কেউ কখন তাদের জাতির জনককে মহানবীর সংগে প্রতি তুলনার আইনী এই ভুলের সাহস করেননি।

নিজামি-মুজাহিদ-সাইদি ত্রিভুজ তাদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে সৃষ্টিকর্তার সাহায্য চাইতে পারতেন। ইসলামের বা সত্যের শক্তিতে আস্থা না রেখে আওয়ামী লীগের নেতারা যেমন বংগবন্ধুর আগরতলা মামলার সংগে নিজের টেন্ডারবাজির মামলার তুলনা টানেন বা বিএনপি নেতাদের কবর খোঁড়ার সংগে শ্রমিক জিয়ার খাল কাটার গর্ব খোঁজেন, ঠিক সেইভাবে নিজামি-মুজাহিদ-সাইদি নিজেদের ব্যক্তিগত অপকর্মজনিত পরিস্থিতিকে আমাদের ভালবাসার তরুণ নায়ক মহানবী শান্তিব্রতকালীন কুরাইশের পাথরে রক্তাক্ত ব্রেভহার্টের প্রতিতুলনায় কয়েকজন অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী।

আমাদের মানবিক বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এরা আরেকবার করেছিল একাত্তুরে। রাজাকার আলবদর আলশামস এরা মহানবী্র শান্তির ধর্ম প্রচারে শান্তির দূত হিসেবে ঘুরতেন। এরা সি আই এ, মোসাদ, র, আইএস আই বা যে কোন এলিট ফোর্সের চেয়ে বেশী মেধাবী ছিলেন।৭১এ এই পবিত্র নামগুলোকে তারা জুড়ে দিলো খুনী, ধর্ষক দেশদ্রোহীর সমার্থক অভিধানে।

আপা এবং ম্যাডাম আপনারা দুজনেই যে যার মত করে ধার্মিক। মায়েদের সামনে নতুন করে ধর্মকথা বলতে যাওয়া মাসির বাড়ির গল্পের মত।

আমার ছেলে মসজিদে শুক্রবারে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে নিজামি-মুজাহিদ-সাইদি আপনাদের সহযোদ্ধাদের সুমিষ্ট বয়ানে ইবনে সিনা, আল ফারাবি, আল রাজী বা ইসলামের শক্তির বা শান্তির কোন প্রতীকের কথা বলতে না শুনে হতাশ হয়েছে।অবাক হয়েছে আরবের মুসলমানদের জিহাদী আক্রোশের বয়ান সে আমাকে অভিনয় করে দেখিয়েছে, এই অভিনয় মনের মধ্যে ছবি তুলে নিয়ে আসার মত।

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আপনারা বংগবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা খুনী, ধর্ষক বা দেশদ্রোহীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ভাবছেন। সে বিচার আদালত করবে। আমরা আমজনতা।ক্ষমার ৪০বছরের মধ্যে অনুতাপের কোন রেখা দেখলাম না, নাতসীরাও হাসতে পারেনা টিভি ক্যমেরার সামনে, আপনারা সশব্দে হাসেন, ফতোয়া দেন।মহানবীর সংগে নিজেদের তুলনা করলেন, (সৃষ্টিকর্তা একথা উচ্চারণের গুনাহ মাফ করুন),আমার ছেলেকে মসজিদে ইসলামের দর্শনে উতসাহিত করে ইবনে সিনাকে বাতিঘর না করে যুদ্ধবাজ অস্ত্রব্যবসায়ীদের জিহাদজুস প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন করলেন আপনাদের অনুজপ্রতিমেরা।

মুসলমান যখন মসজিদে,একাকী বা জনারণ্যে একা স্রষ্টার কাছে আশ্রয় খোঁজে প্রার্থনায়, সে ইসলামের জামাতে শরিক হয়। এটা তার ধর্মীয় ও মানবিক অধিকার, সেটা হয়ে গেলো তাদের দলগত সম্পদ।দলের নাম!ড মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বা পাশের গ্রামের সৎ সার্কেল অফিসার শুকচাদ আলী মন্ডল, মাথার ওপরে আয়াতুল কুরসি পড়ে বলতেন সুনাগরিক হও, সেই শুদ্ধ অসাম্প্রদায়িক মুসলমানের শান্ত, সৌম্য সফেদ দাড়ি শ্রদ্ধেয় চেহারার মেক আপ রাজনৈতিক জামাতিরা নিয়ে আমদের জিহাদ বিভাজনের বিজ্ঞাপন শোনালো আর মহানবীর শান্তির ধর্মটিকে সন্ত্রাসবাদের সমার্থক করে তুলতে মরিয়া হল। আমরা আম মুসলমান পশ্চিমের বিমানবন্দরে দিগম্বর হয়ে জিহাদ ব্যবসায়ীদের বিজ্ঞাপনের মডেল হলাম।নিজেকে মুসলিম জামাতের অন্তর্ভূক্ত করতে শংকিত হই, মুসলিম আত্মপরিচয়ের অহঙ্কার এখন ইসলামোফোবিয়ার খ্রীস্টিয় অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিজ্ঞাপনের কাছে ম্লান হয়ে যেতে দেখি।

মহানবী যে কোন বিভাজনকে ঘৃণা করতেন। ভিন্নমতের মানুষের সঙ্গে সংলাপ বা বাহাজ বা বিতর্কের পথ দেখিয়ে গেছেন। ইসলামকে রাজনীতিতে ব্যবহার করে তারা বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে সক্রিয়।আরব জাহান যখন উদার গণতন্ত্রে পা রাখছে সাবধানতার সঙ্গে, মুসলিম জাহানের কতিপয় ধর্ম ব্যবসায়ী ভয় পায়, পশ্চিমা শিক্ষায় গিয়ে এক একজন আল ফারাবি, আল রাজি কিংবা ইবনে সিনার মত জলে উঠতে পারে মুসলমান ছাত্রেরা, তখন তারা মাহাথির,সালাম, ইউনুস বা পাশের বাড়ীর সৎ মানুষটির কাছে গিয়ে সত্য এবং মানবধর্মের প্রতীক খুঁজবে।তখন আর জাকির নায়েকদের মত কাগুদের বয়ান শুনে খালাম্মারা কাঁদবেন না বরং সৎ মানুষটিকে বাড়িবানানোর বা হজ্জে যাবার আবদার করে বিব্রত করতেন না।

জার্মানীতে যেসব আন্তর্জাতিক আইন মেনে নাতসীদের বিচার হয়েছে সেসব মেনেই বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। এ বিচার কেউ ঠেকাতে পারবেনা একবিংশের মানবাধিকার সচেতন পৃথিবীতে।তিরিশ লাখ মানুষ হত্যার বিচার হবে না তাই কী হয়।

কিন্তু নিজামি-মুজাহিদ-সাইদি আমাদের শেষ পয়গম্বর, মুসলিম ও অমুসলিম বন্ধুতের শেষ শান্তিদূত মুহম্মদ(স) এর সঙ্গে নিজেদের তুলনা করেছে, সৃষ্টিকর্তা যাকে নিজের সৃষ্টির উতকর্ষরূপ বলে অভিজ্ঞান দিলেন, তার সংগে রাজনৈতিক নেতা বা জিহাদ ব্যবসায়ীরা যখন নিজের তুলনা করে তখন আমমুসলমান হিসেবে পরওয়ার দিগারের কাছে এর বিচার চেয়েছি, রাষ্ট্রের আদালত তাদের মহানবীর অবমাননা মামলায় জামিন দিয়েছে, অথচ কার্টুনিস্ট আরিফ কিশোর অপরাধের এত বড় শাস্তি পেলো রাষ্ট্রের কাছে।তাই আমজনতা হিসেবে আল্লাহর আদালতে এই নিজামি-মুজাহিদ-সাইদির মহানবীকে অবমাননার বিচার চাইছি, আল্লাহ তাদের অপর আলো এবং শান্তি বর্ষণ করুন। আমিন।


মন্তব্য

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক ল্যাপটপে পাক সামান্য ঠাঁই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমার ধারনা যদি ভুল না হয়,

মহানবী আমাদের চিন্তার মহানায়ক। তার মানব শক্তির এক দশমাংশ পেলেই গান্ধি, কায়েদে আজম বা বংগবন্ধু হওয়া যায়।

এই লাইনটি নিয়ে ত্যানা প্যাঁচানো হতে পারে, হয়তো ইতিমধ্যেই মডারেটরদের বেনামী আপত্তিকর মন্তব্য মুছতে হয়েছে।

ধর্মানুভূতি লাফিয়ে উঠার আগে আবার খেয়াল করা যেতে পারে- মাসকাওয়াথ আহসান মহানবীর 'মানব শক্তির' উল্লেখ করেছেন, প্রেরিত পুরুষ হিসেবে তার আধ্যাত্বিক শক্তির নয়। মুসলমানরা যে কোরানকে আল্লাহর বানী বলে বিশ্বাস করেন, সেখানেও মহানবীকে স্মরন করিয়ে দেয়া হয়েছে যে তিনি শেষপর্যন্ত মানুষ মাত্র। এই মানুষ হিসেবেই তার রাজনীতি ছিলো, কুটনীতি ছিলো,সমরনীতি ছিলো, সংগঠন ছিলো।
মাসকাওয়াথ আহসান তাঁর এই মানবিক শক্তি গুলোর কথাই বলেছেন।

তবে মাসকাওয়াথ ভাই আমি অন্য কারনে সবিনয়ে এই পোষ্টে আপত্তি জানালামঃ-

'কায়েদে আজম' বলতে কি আপনি পাকিস্তান রাষ্ট্রের স্রষ্টা, দ্বি-জাতি তত্বের সফল কারিগর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে বুঝিয়েছেন? জিন্নাহ তো দ্বিজাতি তত্বে বিশ্বাসী সাম্প্রদায়িক অপগন্ডদের 'কায়েদে আজম'। আপনার তো নয়?
আর একে কোন যুক্তিতে আপনি গান্ধী, বঙ্গবন্ধু সাথে এক কাতারে শামিল করেন?
খুব বেশী সরলীকরন হয়ে গেলোনা?

আর 'ধর্মানুভূতি'র মতো অস্বচ্ছ বিষয়কে এভাবে ব্যবহার করা শুভবুদ্ধির পরিচায়ক নয়-হোক সেটা জামাতের বিরুদ্ধেই ব্যবহার। সাময়িক ভাবে এতে হয়তো কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো একটা জৈবিক আনন্দ আমরা পেতে পারি কিন্তু শেষপর্যন্ত এটা একটা অশুভ অস্ত্র। এই ঘাতক-দালালদের বিচার তাদের কৃত অপরাধের জন্যই হতে হবে। যেদিন সরকার স্পষ্ট করে জানাবে '৭১ এর গনহত্যার অপরাধে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এই অপরাধের বিচার সরকার করছে শুধুমাত্র সেদিনই তাদের সাধুবাদ জানানো যাবে।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

সম্পূর্ণ একমত। আমরা যারা ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেবার অভিযোগে ফেইসবুককে ব্যান করার প্রতিবার জানাচ্ছি, তাদের জন্য এই ঘটনা একটি দ্বিধা। এখন আমাদের কি বলতে হবে? নিজামী বলেছে দেখে এখন কথা ঘুরিয়ে আমার ধর্মানুভূতিতে জোর করে আঘাত লাগাতে হবে?

যুদ্ধাপরাধের বিচার না করে এসব হাবিজাবি করে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার নামে ধর্মানুভূতিকে প্রশ্রয় দেবার এই কারবারের নিন্দা জানাই। চেয়ে চেয়ে দেখেন, এসব করে সরকার স্টান্টবাজি দেখাচ্ছে। মূল ইস্যু যুদ্ধাপরাধের বিচারের একটা প্রক্সি হিসেবে এটাকে কাজে লাগাচ্ছে। মানুষকে আরো জটিলরকম প্রতিক্রিয়াশীলতার দিকে ঝুকাচ্ছে। ফলাফল শূন্য নয়, নেগেটিভ। এই হারামিগুলো বীর দর্পে আবার বেরিয়ে যাবে। মানুষ যুদ্ধাপরাধের বিচারের একটা প্রক্সি আনন্দ নিবে। কাজের কাজ, যুদ্ধাপরাধের বিচারের কিছুই হবে না।

এসব রাজনীতির চোর পুলিশ খেলায় আমাদের হাত তালি দেবার কিছু নাই। যুদ্ধাপরাধের বিচারের ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছায় প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করলাম।

এদের ধরলে ধরা উচিত ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহারের কারণে। ধর্মকে স্টেট থেকে আলাদা করা হোক। তা না করে মানুষকে ধর্মানুভূতির সাথে আরো জড়ানোর এই সরকারী প্রচেষ্টা নিন্দনীয়। ওদের নোংরা পথকে বন্ধ না করে সরকার বরং যখন তখন ওদের নোংরা পথে নিজেই নেমে যাচ্ছে।

আর হাসান ভাই যে উক্তি উদ্ধৃত করেছেন, ওই লাইনে আমারও সবিনয় আপত্তি। কার কোন এক দশমাংশ পেলে বঙ্গবন্ধু বা গান্ধী হওয়া যায়, আপনার এই বিচার মানতে পারলাম না। কায়েদে আজমও কেনো এদের সাথে এক কাতারে চলে আসল বুঝলাম না।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

রাজশাহীর হত্যাকাণ্ডের বদলে ফালতু আলাপের জন্য গ্রেপ্তার করা সরকারের একটা গবেটগিরি।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে আলাদা রাখার আধুনিকতার সমর্থক আমি, তাই বলে নিজেকে আধুনিক প্রমাণ করতে সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনাস্থা আনতে পারিনা, মহানবী, যীশু, বুদ্ধ এরা এত মেধাবী মানব নেতা ছিলেন যে জিন্স পরে ল্যাপ্টপ নিয়ে বসে স্টারবাকসএ কফি খেতে বসে নিজের এলিট হবার আনন্দেও তাদের উচ্চতাকে কমাতে পারিনা। ধর্ম ব্যক্তিগত চর্চার বিষয়, কিন্তু যখন তাকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয় তখন জনারণ্যে তা নিয়ে দুকীবোর্ড লিখতে ইচ্ছা হয়। তাতে পাছে লোকে কী বলের ভয়ে পুঁ হয়ে যাবার সম্ভাবনা নেই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

অবশ্যই লিখবেন। পঁু হবেন কেন। আমাদের আলোচনায় কারো ব্যক্তিগত বিশ্বাসের পূজনীয়কে খাটো করার কথা বলা হচ্ছে বলে তো মনে হলো না।

তবে হঁ‍্যা। কায়েদে আজমের মত আপনার উল্লিখিত মহা-অস্তিত্বরাও কিন্তু একাডেমিক আলোচনার আওতায়, বিশ্লেষণে আসতে পারে। জিন্স পরে ল্যাপ্টপ নিয়ে স্টারবাকসএ কফি খেতে বসে আমি কিন্তু এলিট হবার স্বপ্ন না দেখে ন্যায় ও যুক্তিতে বিনত হবার স্বপ্নও দেখতে পারি। মানে আধুনিকতাকে বরং এভাবে সংজ্ঞায়িত করাটা শ্রেয় মনে হচ্ছে।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

পুঁ শব্দটা ঘরোয়া আড্ডার শব্দ, সচলায়তনে আড্ডায় মানান সই। কফির আড্ডায় আমি জিন্নাহর কিছু প্রশংসা কিছু নিন্দা করতেই পারি, আপনার বেঁধে দেয়া আধুনিকতার সংগা আমার অত ভাল নাও লাগতে পারে, আমারটাও আপনার, আড্ডায় আস্তিক নাস্তিক সব থাকতে পারে, কিন্তু জামাত, বিজেপি না থাকলে একটু আরামে সময় কাটে। আপনারা পড়ালেখায় আমার চেয়ে অনেক এগিয়ে, আপনার অনুজেরা হয়ত আরো বেশী, জ্ঞান এখন উর্ধগামী। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, আমার বাবা মা বা শিক্ষক বন্ধুদের কাছ থেকে অণুপ্রেরণা নিয়ে ভাবি এবং লিখি। আমার দুটো ডালভাত সাংবাদিকতা আর শিক্ষকতার ঘামে আসে। আওয়ামী বিএনপি বা আপনার বাসায় এক বেলা দাওয়াত খেতে যেতে পারি, আমিও ডাকবো। কাজেই কোন সুশীল সমাজীয় হেজিমনির মধ্যে আমি নেই। আমি বুঝি যুদ্ধাপরাধিদের বিচার হবে, আপনি বা আপনার চারপাশের মানুষেরাই এই বিচারের জন্য চাপ দেবে। ফোকাসটা ভাই ত্রিভুজে। কলম, ক্যামেরা, কীবোর্ড, মাইক্রোফোন বা জীবনের প্রথম শব্দ ফোকাস।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

জ্ঞানের কাতারে আমি লাস্ট-বেঞ্চি। ছোটবেলা থেকে ছিলাম। এখনো আছি। কোনো প্রকার হেজিমোনিতে বাঁধা পড়ার বাধ্যবাধকতা আমার কোনোকালে ছিল না। আমার যুক্তিশুদ্ধিতার চেষ্টা অপকট বলে জানবেন। সে অত্যাচার সহ্য করে করা উত্তরগুলো আপনার মহত্ত্বের পরিচয়। আমি প্রশ্নের তোড়জোড় করলেও, এই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, আড্ডা থেকে আমি লাস্ট-বেঞ্চি কায়দায় শিখে যাবারই চেষ্টা করছি। ত্রিভুজ নির্মূলে আপনার আর আমার তৃপ্তি সমান। কেবল, চলমান পদ্ধতি নিয়ে শংকায় আছি।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

চলমান পদ্ধতি আপনাকেই পরামর্শ দিয়ে পাল্টাতে হবে। আমাদের শ্রেণীকক্ষে কোন ক্লাস ক্যাপটেন নেই। যা করার একা একা করতে হবে। মডারেটরেরা, বন্ধুরা সে গুলোর প্রিন্ট আউট রাজনীতির দুধের বা কাঁঠালের মাছি ঘন গণভবনে বা আলোকিত হাওয়াভবনে দিয়ে আসবেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

'মহানবী, যীশু, বুদ্ধ'
এদের অস্তিত্ব কি প্রমানিত?

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এসব তর্কে জড়ানোর জ্ঞান বা ক্যালরী কোনটাই আমার নেই, আমার কাছে মহৎ মানুষেরা প্রতীকের মত। তাদেরকে ওমর খৈয়াম ভেবে খুঁজি আর নোয়াম চমস্কি ভেবে খুঁজি, তাতে কার কী এসে যায়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

মহৎ মানুষেরা প্রতীকের মত।

এটাই হল খাঁটি কথা। ধন্যবাদ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মাসকাওয়াথ ভাই কী বলেন, তার অপেক্ষায় রইলাম...

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

জিন্নাহ দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশের একটির জাতির জনক। যশবন্ত সিং এর জিন্নাহ বিষয়ক বইটি একটি একাডেমিক আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। সোরওয়ার্দীর অবিভক্ত বাংলা নিয়ে তৃতীয় অসাম্প্রদায়িক দেশের রোডম্যাপটি জিন্নাহ এবং নেহেরু নাকচ করে দেন। তবে যাবতীয় সমালোচনা থাকলেও জিন্নাহ পাকিস্তানের অবিসংবাদিত জাতির জনক।গান্ধী বা বঙ্গবন্ধুর মত মানবিক না হতে পারলেও ইতিহাস তাকে সুচিনহিত করে কিছু অর্জনের জন্য। তানিয়ে কলতলার ঝগড়ায় কারো উচ্চতা কমেওনা বাড়েও না।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

রাজনীতিতে ধর্মানুভূতির ব্যবহার, পাল্টা-ব্যবহার নিয়ে কি বলবেন? এটা নিয়ে আমাদের সাফাই গাওয়াটা কি ঠিক?

গ্রেপ্তার করলো ধর্মানুভূতি মামলায়। এখন আবার রাজশাহীর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে।

সরকারের মতি গতি দেখে মনে হচ্ছে, ওদের দাঁড়ি টুপিযুক্ত ঈমানী-ইমেজ আছে বলে সরাসরি হত্যা মামলা দেখিয়ে গ্রেপ্তার করতেও এখন ভয়। আগে তাদের ঈমানী-ইমেজটাকে কমিয়ে আনতে হবে, তারপর তারা ধরাছোঁয়ার মধ্যে আসবে। ঈমানী-ইমেজ যতক্ষণ অটুট, সাতখুন মাফ।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সরকার কী করছেন, কোন মন্ত্রী কী বলছেন! এর উত্তর আমাদের কার কাছে নেই। আমি আমজনতা। কাজ করি ভাত খাই, আমার বেশ কয়েকজন আত্মীয় ৭১এ সরদহ পদ্মার চরে পাকিস্তানী ঘাতকদের হাতে মারা গেছেন। বধ্যভুমির পথ চিনিয়ে দিয়েছিল কয়েকজন এদেশি খুনি,ধর্ষক, জাতিদ্রোহী। তারা দিব্যি পদ্মার হাওয়া খাচ্ছেন, অজানা উপার্জনে দালান তুলছেন। আর সরদহর আলম উকিলের বাড়িটা একতলায় রয়ে গেলো সেখানে বিধবারা থাকেন, যুদ্ধাপরাধিদের নিশান প্যাট্রল দেখেন জানালা দিয়ে।তাদের অবশ্য রাষ্ট্রীয় পদক বা জমির প্লট বা দয়া জোগাড়ের দরকার নেই, সততার শক্তিতে তারা এখনো দুবেলা পেট পুরে ভাত খায়, বই পড়ে, টিভি দেখে, ডালের বড়ি দেয়, খোকারা না ফিরলেও নাতিরা ফেরে। তখন সেখানে উতসব হয়। যুদ্ধাপরাধিদের বিচার হলে ওই উতসব দীর্ঘ হবে। বিচার পেলে বিধবা নানী একদিন হাসিমুখে বলতে পারবেন, এবার তবে আসিরে, এবার দেখা হবে তোর নানার সঙ্গে, কতদিন দেখিনি তোমায়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মাসকাওয়াথ ভাই,
আমি যশবন্ত সিংয়ের জিন্নাহ বিষয়ক বইটি পড়িনি। আমি জিন্নাহ(কিংবা অন্যদের) কে মুল্যায়ন করি আমার ও আমার জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দর্শনের জায়গা থেকে।
আপনার মুল্যায়নের ভিত্তি হয়তো ভিন্ন।

আপনি কি সময় করে আলাদা পোষ্ট দেবেন- কেনো পাকিস্তান জাতির জনক আপনার উল্লেখে ও 'কায়েদে আজম'?
আর একটা কৃত্রিম, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রগঠন,বাঙ্গালী জাতিগোষ্ঠীর উপর সরাসরি ভাষাভিত্তিক শোষন ছাড়া আর কোন কোন যোগ্যতায় তহাকথিত 'কায়েদে আজম' কে আপনি গান্ধী-মুজিবের কাতারে দাঁড় করান?

জিন্নাহ বিষয়ে আপনার মুল্যায়নটুকু আসলেই জানতে চাচ্ছি। নিজের জানাটুকু ও এ সুযোগে পুর্নমুল্যায়ন করা যাবে। তাই আলাদা পোষ্টের দাবী থাকলো।

শুভেচ্ছা।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

রাজনীতিতে নির্বাচন পর্যটন করতে গিয়ে গান্ধীর মত পথ হাঁটতে গিয়ে দেখেছি আমার সে শারীরিক সামর্থ নেই। বঙ্গবন্ধুর মত বক্তৃতা করতে গিয়ে দেখি বিতর্ক আর যোগাযোগ কৌশল এক নয়, কবি হতে হয়, সরল হতে হয়, মানুষের মনের ভাষাটা বোঝার ক্ষমতা তার ছিল।সুতরাং নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত, অগত্যা ইয়শকা ফিশারের বুদ্ধি ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি, এই সুযোগে অনেক জীবনী পড়লাম, জিন্নাহর টাইপরাইটার দিয়ে পাকিস্তান বানানোর সুকৃতি টানলো।(বিনা গায়ে খেটে) জিন্নাহ ম্যাকিয়াভেলির ছাত্র। গান্ধী-বঙ্গবন্ধু সক্রেটিসের স্কুলের। তবুও পাকিস্তানে ভুট্টোর উচ্চতায় তাকে কেউ নামায় না। হয়ত তার চেয়ে ভাল কোন নেতা ওদেশে আসেনি। আমরা সৌভাগ্যবান একজন সহজসরল বাংগালী জনক পেয়েছি। সিগার সাঁঝের সক্রেটিস।সুতরাং কীবোর্ডে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী সক্রেটিসের।টাইপ রাইটারের বুদ্ধিটার জন্য জিন্নাহকে ধন্যবাদ।বাংলায় যেহেতু লিখছি জিন্নাহর উর্দু ভাষা চাপানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।সফল হয়েছেন বরকত বা মেহদী। ভালো থাকবেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ঠিকাছে ভাই হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কী কমু [অতিথি] এর ছবি

ইনশাল্লাহ্, মৃত্যুর পর এঁদের তিনজনকেই যেন হাবিয়ায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে কয়েক বিঘে জমি লিখে দেওয়া হয়। আর হাবিয়ায় যাওয়ার আগে যাতে সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, সেজন্য এই দুনিয়ায় আগে থেকেই অভ্যস্ত করে নেওয়ার জন্য যেন কোনও এক কোহিনুরকে দিয়ে যেন কিঞ্চিৎ বোতল থেরাপি দেওয়া হয় ভাল করে। পুলিশ বিভাগে আছেন নাকি কোনও ঈমানদার কোহিনুর ভাই? হাতে ১৬ দিন সময় আছে, একাত্তরের এই আলবদরী শূকরগুলোকে একটু ভালমত ডলা দিয়ে নিন, দেখে আমরা যারা একাত্তরে স্বজন হারিয়েছি, তারা একটু মনে শান্তি পাই।

সত্যান্বেষী এর ছবি

ত্রিভুজ শব্দটা শুনে আমিও প্রথমে কিছুটা টাসকি খেয়ে গিয়েছিলাম হাসি

অতিথি [অতিথি] এর ছবি

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এটিএম শামসুল হুদা গত ১৬ এপ্রিল একটি বিদেশী সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে সিইসি বলেছেন, ''সেনাবাহিনী ফেরেশতা নয় যে তারা এলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেনাবাহিনী কেন খোদ আল্লাহতায়ালা নেমে আসলেও কিছু করতে পারবে না।''

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটিও খারিজ করে দেয় আদালত। এইচ টি ইমাম এক সেমিনারে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ইসলাম টিকিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ আর এই ইসলামের প্রবর্তক হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এইচ টি ইমামের এই বক্তব্যে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তাঁর উম্মতদেরও অসম্মান করা হয়েছে এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানা হয়েছে।

এছাড়া আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামও নিজেদেরকে আল্লাহর সাথে তুলনা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, আল্লাহ যদি লাখ লাখ কোটি কোটি বছর পর বিচার করতে পারেন তাহলে আমরা কেন ৪০ বছর পর বিচার করতে পারব না ?

-----

আল্লাহ মুহাম্মদের চেয়ে বড় এবং তাঁর কোন মানবীয় গুণাবলী নেই, তা স্বীকার করে নিলে উপরের উদ্ধৃতিগুলো নিয়ে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া চাই। সে ব্যাপারে আপনার মত বুদ্ধিজীবিদের শক্তিশালী লেখনই ভরসা। নইলে আপনার ছেলেও আমাদের আইনজীবিদের মত আল্লাহকে মহানবীর চেয়েও ছোট ও দুর্বল ভাববে।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আল্লাহর বা প্রকৃতির শক্তির অংশ যদি মানুষ হয়, গড ইজ অল, অল ইজ গড, তাহলে মানুষ আল্লাহর প্রতিতুলনা আনতে পারে রূপক অর্থে, কিন্ত মহানবীকে রাজনৈতিক সংকটে ব্যবহার আত্মকেন্দ্রিকতা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথী এর ছবি

জিন্নাহ্‌র প্রসংগ উঠলেই নাক সিটকানো আমাদের বদভ্যাস। সময়াভাবে বিস্তারিত বলতে পারছিনা এই মুহুর্তে তবে জিন্নাহ্‌ অবশ্যই অবশ্যই নেহেরু, বল্লবভাই প্যাটেলদের থেকে অনেক বেশী অসাম্প্রদায়িক [যদি তারা আসলেই অসাম্প্রদায়িক হয়ে থাকে]। তাকে শেষ মুহুর্তে উপরোক্ত ব্যাক্তিগনের কারনে শুধুমাত্র ধর্মের আশ্রয় নিয়ে পাকিস্তান রাজ্যের রাজা হতে হয়েছে। ভারত বিভক্তির পিছনে নেহেরুর চেয়ে বড় কালপ্রিট আর কেউ নেই, তার সাম্প্রদায়িক চিন্তা ভাবনা ভারত বিভক্তিকে অনিবার্য করে তুলেছিল।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

নেহেরু-প্যাটেল বাদ দেন, বাঙ্গালী জাতিগোষ্ঠীর অভিজ্ঞতায় জিন্নাহ প্রসংগে নাক সিঁটকানো কেনো 'বদভ্যাস' সেটা সময় করে বিস্তারিত একবার বলে যাবেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

গান্ধী অবিভক্ত ভারত চেয়েছিলেন, সক্রেটিসের চাওয়া।আজকের সংশয়ব্যাকুল সমাজে যেটা ইউটোপিয়া। জিন্নাহ নেহেরু ম্যাকিয়াভেলির শিষ্য তাদের কাছে মানুষের চেয়ে রাজনীতি বড়।গান্ধী মারা গেলেন হিন্দু উগ্রবাদী নাথুরামের গুলিতে, বঙ্গবন্ধু মরলেন মুসলমান উগ্রবাদী সেনাদের হাতে। উগ্রবাদীরাই জিতে গেলো, আমরা সুশীল সমাজ এখন তাপানুকূল স্টাডিরুমে বসে কী বোর্ড চাপড়াচ্ছি, আলোচনাকে রেফারেন্সের ল্যাবিরিন্থে ফেলে দিয়ে, ক্রেডিট কার্ড নিয়ে চলে যাচ্ছি ভোগ বাজারে। কয়েকজন বামন মানুষ পাহাড়ের উচ্চতা মাপছি দেয়ালের সঙ্গে মাথা চেপে ধরে বাচ্চার হাইট যেমন মাপতে হয় আজকাল।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

অবশ্যই ঘৃণা করা যাবে। তবে নাক টিস্যুতে সিটকানোই ভালো। ইতিহাসের ভুল থেকে শিখতে পারি সাদাকে সাদা কালকে কাল বলতে পারি, কিন্তু যুদ্ধাপরাধিদের বিচারটা চাই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

মহানবী যে কোন বিভাজনকে ঘৃণা করতেন।

এর পক্ষের প্রমানগুলো বলে দেবার লোকের অভাব নেই আশা করি। তবে এর বিপরীত ধারার যথেষ্ট আলামত কোরান হাদিসে আছে।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মহানবীতো রক্তমাটির মানুষি ছিলেন। তার ভুল থাকতেই পারে। কিন্তু আমাদের চেয়ে নিশ্চয় মহোত্তম ছিলেন নইলে আজো তাকে নিয়ে কথা হচ্ছে কেন! আপনাকে আমাকে নিয়ে তো কেউ বলবে না। বুদ্ধের বা যীশুর কথাই বলবে। তাদের কিংবা প্রকৃতির দেয়া সত্য সুন্দর মংগলের হীরক খন্ডগুলো হাতে নিয়ে বসে, নিজে কতটুকু মহৎ তা না খুঁজে মহামানবদের ছিদ্র খুঁজছি, ঝাঁজর যেমন ছিদ্র খুঁজে সূঁচের গোড়ায় নিজের ছিদ্রগুলোর কথা বেমালুম চেপে রেখে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

আলমগীর এর ছবি

তার ভুল থাকতেই পারে।

কোন মুসলমান এটা বিশ্বাস করতে পারে না।

ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা খারাপ, সেটা জামাত আলীগ যেই করুক।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

যজ্ঞ শুরু হইলো তবে

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-07-26/news/81858

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

জগতের আনন্দযজ্ঞে চতুর্ভুজের নিমন্ত্রণ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।