সেই লোকটার ষড়যন্ত্রসুত্র

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: শনি, ১৭/০৭/২০১০ - ৫:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই লোকটাকে পর্যবেক্ষণ করছি অনেকদিন ধরে।লোকটা মিস্টিক ঘরানার, একবার হোটেল শেরাটনের পুলসাইডে তাকে তরুণ-তরুণীদের রাষ্ট্রজ্ঞান দিতে দেখেছি।লোকটাকে নিয়ে একস্লিপ দেখি পত্রিকায় সুত্রে প্রকাশ ধরনের হলুদ রিপোর্টে।লোকটা কী ডার্ক কম্যুনিকেশনের সেই প্রায় নিষিদ্ধ চ্যাপ্টারটা কোন কারণে ঢাকা ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরী রেফারেন্স শাখায় ঢুকে পড়েছিলেন বাহাত্তরে, যে বছর নকল করে পাশের হিড়িক,তারা ঢুকে পড়ে শিক্ষকতায়,প্রশাসনে।

 

বেশকিছুদিন আগে নাসিরুদ্দীন শাহ অভিনীত ওয়েডনসডে ছবিটি দেখে ঐ লোকটাকে কিছু কথা এক্ষুণি জানানো জরুরী মনে করছি।জাতির জনক হত্যার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন দাবার সামান্য গুটির প্রতীকি দন্ডে আমাদের জাতি একটা ভবিষ্যতমুখী যাত্রা শুরু করেছে।কিন্তু দাবার গ্র্যান্ডমাস্টার অধরাই রয়ে গেলেন।ঐ লোকটাকে গ্র্যান্ড মাস্টার বলছিনা।কারণ মাস্টারেরা এখন অব্দি পশ্চিমে বসেন।

 

ভদ্র লোক দেখতে শুনতে ভালো,লম্বা দার্শনিক নেতাদের মতো সক্রেটীয় দাড়ি।দাড়ি বেচারার সুবচেয়ে বেশী অপব্যবহার হয়েছে ঢাকা, মুম্বাই, করাচী আর কাবুলে।

 

ভদ্রলোক দেশপ্রেমিক কিনা তা নিয়ে এখনি সিদ্ধান্ত নয়,উত্তেজনায় এখন আর কাজ হবে না। আমরা ধীরেসুস্থে এগুবো।কারণ উনার লেখালেখিতে তেমন কোন আশাজাগানিয়া দর্শনের দীপ্তি দেখিনি,হোটেল শেরাটনে দেখেছি তাই তার এলিটিজমে ঘাবড়ে গিয়ে পাঁচ তারা দিতে পারছিনা।উনার গুণমুগ্ধ মুরীদ অথবা ক্ষুব্ধ ষাটোর্ধ জনা দশেক প্রবীণ সচেতন মানুষকে ইন্টারভিউ করে যা বুঝেছি, আমাদের প্রজন্মে এরকম ম্যাকিয়াভেলীর শিষ্যকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি। উনি অপেক্ষাকৃত খালি মাঠে গোল দিয়েছেন। ঐসময়ের তরুণেরা অপেক্ষাকৃত সহজ সরল ছিলেন, তখন আবেদ খান ষড়যন্ত্র সূত্র নিয়ে ভাবার মত অনভিপ্রেত পাকা ছিলেন না,পরে মিডিয়ার প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে ওপেন হার্ট সার্জা্রীর পর শাহাদত চৌধুরীর ইঙ্গিতগুলো দ্য ভিঞ্চি কোডের মত প্রতীক দিয়ে খুঁজলেন।সেখানে আমি গ্র্যান্ডমাস্টারের উপস্থিতির লক্ষণ টের পেলাম।সেই সময় শিফট ইন চার্জেরা এত কড়া ছিলেন সঙ্গত কারণেই আবেদ ভাইয়েরা ফ্রিডম পাননি এই প্রজন্মের মত যে আরো অনুসন্ধান করে দেখবেন। তবে এখন কিছু লিখবেন আশা করছি।

 

ঐ রহস্যঘন ভদ্রলোকের এক আত্মীয়া রেডিওতে আসতেন।উনার প্রশংসা করতেন সরলভাবে।আমাকে দাওয়াত দিয়েছিলেন ম্যাকিয়াভেলীর দ্য প্রিন্সের মন্ত্র পাঠের বা লিভিং রুম গসিপের সূতিকাগারে।

ঊনার ওয়েবসাইট দেখে হতাশ হলাম।উনার যে ভক্তদের ছবি দেখলাম তাতে খুব সম্ভাবনাময় ছেলে বা প্রতিশ্রুতিশীল মেয়ে খুঁজে পেলাম না।কনটেন্ট তথৈবচ।

 

তার চেয়ে সেলিম আল দীনের জাহাঙ্গীরনগরের দাওয়াত বেশী সম্ভাবনা বা প্রতিশ্রুতির ঈশারা দিলো। ভুলে গেলাম ম্যাকিয়াভেলিকে।

 

বঙ্গবন্ধু কিউবা মডেলে যাচ্ছিলেন, উনি ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে লন্ডন বৈঠকে বলেছেন এটা একটা এক্সপেরিমেন্ট, সফল না হলে আবার গণতন্ত্র।এটা ঐ প্রিন্স নিজেও জানেন।কিন্তু ঐযে দম্ভ, উনি বঙ্গবন্ধুর সামনে একটা পরামর্শের চিঠি দিতে পারলেন না,তখন তো মুখে মুখেই সবাই দেশ পরিকল্পনা করছে।যুদ্ধভাঙ্গাদেশে যেখানে যা হবে যতদোষ বঙ্গবন্ধু।সুতরাং জ্ঞান জাহিরের ছলে উস্কানি।

 

কর্ণেল তাহেরও রক্ষীবাহিনীর দম্ভ অপছন্দ করেছেন, তাই বলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কথা ভাবতে পারেন নি।খুনীদের যুক্তিটা এমন, যুদ্ধাহত দেশে আমার আব্বা আমাকে ঈদে জামা দিতে পারেনি, বা খাবার জোগাড় করতে পারছে না। তাই ফুফাতো ভাইদের সাহায্য নিয়ে আব্বাকে মেরে ফেলি।

 

তার পরেও কোন অফিসার পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর গায়ে হাত দিতে পারেনি। কে তিনি এই সচেতনতার বাইরের জওয়ানরাই তার গায়ে হাত তুলেছে বা গুলি ছুঁড়েছে।গান্ধীর ক্ষেত্রেও নাথুরাম গডসে ধর্ম আফিম নেশায় বুঁদ ঐ মুসলিম জওয়ানদের মতো।

 

 ৭৫এর পরে সামরিক-বেসামরিক কেরানীরা সংবিধানটি নিয়ে যা খুশী করলেন। ওই পনেরই আগস্টের শিশু হত্যার মত।তাদের জানার কথা নয় ৭৫এর কিউবা মডেল একেবারেই সমাজতন্ত্রের পথে। কিন্তু গণতন্ত্রে থাকতে গেলে প্রথম সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই,ব্রুট মেজরিটির হাতে ঐ ক্ষমতা থাকলে এরিমাঝে অনেক দেশের সংসদ যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী অঙ্গরাজ্য বিলে হাঁ জয়যুক্ত করত।কোন সংবিধানের মূলনীতি পাড়ার ক্লাবের টেন্ডার নীতি নয় যে তা সরকার বদলের সাথে সাথে বদলে যাবে।অন্তত অনলাইন মিডিয়ায় ৭২র সংবিধান ফিরে আসতে পারে চর্চায় বা অনুশীলনে।

 

এইসব টুপি বা সাফারী বা প্রিন্সকোর্ট-শিফন-জামদানি অধ্যাদেশ ,নকল জমির দলিলের মত, মুহুরীর তৈরি করা, রেজিস্টারকে ঘুষ দিয়ে এসিল্যান্ডের বাড়িতে এসি কিনে দিয়ে আম্বা বা খাম্বা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সরকারী বা হিন্দু বা  মুসলমান দলিতদের জমি দখলের মতো,৩৯বছর ধরে এইরকমি চলছে।

 

বাংলাদেশের দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবার খবর পড়ে ২০০২ সালে লন্ডনের রয়্যাল ওভারসীজ লীগের এক মৃত্যু পথযাত্রী বৃটিশ সিভিল সার্ভেন্ট আক্ষেপ করে বলছিলেন, এটা ডমিনো এফেক্ট, ভুলটা আমাদের।কমনওয়েলথ ফোরামেও এই আলোচনা হয়েছে। যাইহোক পাকিস্তান-বৃটিশ কুকীর্তি আলোচনায় হারিয়ে যাচ্ছেন ঐ ভদ্র লোক, প্যারানয়াগ্রস্ত দেশ প্রেমিক।

 

তিনি নিশ্চয়ই জানেন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। এটা বিচার বিভাগ এখন করতে বাধ্য, নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তারা এতে সাচিবিক ও পুলিশী সহায়তা দিতে আজ্ঞাবহ, কারণ এটা বাংলাদেশের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ তরুণের একমাত্র দাবী,জাতির বিবেকের নবায়নে এই বিচার করতেই হবে, এখন, নইলে কোনদিন নয়।

 

এই বিচারে ম্যাকিয়াভেলীর যুক্তি হল, বিদ্যুত নেই, পানি নেই, যানজট , টেন্ডার সন্ত্রাস কমাতে পারে না, এই বাজে কাজে ব্যস্ত সরকার, যুক্তিটা এরকম তোমার ছোট ভাইয়ের পেটের অসুখ আর তুমি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছো।

 

সম্ভবত ৭২-৭৫ সালের সেনা কর্মকর্তাদের চেয়ে এখনকার সেনা কর্মকর্তাদের জানা-শোনা-যোগাযোগ আধুনিক, সরকারী কর্মকর্তারা অবশ্যই। তাই ম্যাকিয়াভেলীর ব্যর্থ যাদুকরের মন্ত্র শুনতে কেবল পুরাতন ভৃত্য।গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ফোন ধরেনা, কারণ তখন তারা বোমা হামলা তদন্তে নাস্তানাবুদ কাবুলে-পেশওয়ারে।তবে পিলখানা হামলার পরে ঐ ভদ্রলোকের কথা মনে পড়েছে। পরে মনে হল উনাকে বেশী বড়মাপের খলনায়ক ভাবা হচ্ছে।বিদ্রোহীদের সমর্থনে যুদ্ধাপরাধীদের পাঠানো ছেলেরাই সেই মেকাপের দাড়ি পরে শ্লোগান দিচ্ছে।লালমসজিদের সামনে নেকাবের মেকাপ পরা মেয়েদের যেমন জঙ্গী হয়ে উঠতে দেখা গিয়ে ছিল।তবে তার মত ম্যাকিয়াভেলীর শিষ্যদের প্রেডিক্ট করা কঠিন।

 

ঐ ভদ্রলোক এখন কি ভাবছেন কে জানে।তবে আর ভুল ভাবনার গোলক ধাঁধায় খন্দকার মুশতাকের পথে না গিয়ে উনার এখন একটা আত্মজীবনী লেখার সময় হয়েছে। সত্যিকথা লিখলে বেস্ট সেলার হবে, আর আলসাইমারগ্রস্ত বই হলে নীলক্ষেতে পাওয়া যাবে। জোগাড় করে পড়বো।

 

 

 

 

 

 

 

 


মন্তব্য

সিরাত এর ছবি

আচ্ছা এই লেখাটার ফন্ট এত ছোট কেন মাসকাওয়াথ ভাই? অন্য জায়গায় কপি পেস্ট করে ফন্ট বড় করে পড়তে হচ্ছে, নাহলে পড়তারিনা। মন খারাপ

একটু বড় করে দেন না!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ছোট মাছ, শাকসবজি খেতে হবে চোখ বাঁচাতে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সিরাত এর ছবি

ডাক্তারের মতে আমার চোখ বয়স এবং ব্যবহারের তুলনায় বেশ ভাল। হাসি

ব্যাপার না, অন্য জায়গায় নিয়ে বড় করে পড়লাম। ইন্টারেস্টিং। হাসি

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

উনি চোখের ডাক্তার তো, যাই হোক বড় করেছি। ভালো থাকবেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সিরাত এর ছবি

উনি চোখের ডাক্তার তো

হাহ হাহ হাহ, সেরকম একটা মন্তব্য! দেঁতো হাসি

স্পর্শ এর ছবি

এইটা কিডা?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

তাইতো

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

স্পর্শ এর ছবি

চরম!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কল্পনা আক্তার এর ছবি

পরিচয়টা বড় জানতে ইচ্ছে করছে যে.........
................................................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

কষ্ট করে লিখবো আবার খোলাসাও করে দিবো, তাই কী হয়,সময় আছে চিন্তা করেন,কাউকে জিজ্ঞেস করার দরকার নাই,তাইলেতো মজাটাই রইল না, আপনারি মনে পড়বে একটু পরে। হয়ত নামটা এখানে না উল্লেখ করেও আলোচনা সম্ভব।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নীল রোদ্দুর এর ছবি

আপনার লেখা ভালো লাগছে, রহস্য জিইয়ে রেখে লিখে যাচ্ছেন। লিখে যান ভাইয়া। আমরা, এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বেছে নিয়েছি, কোন পথে হাঁটবো। যার ষড়যন্ত্র করতে ইচ্ছা করে, সে তফাত যাক। তাতেই মঙ্গল। আমরা একজন অথবা দুইজন না। একাত্তরের মত অজস্র মুষ্ঠিবদ্ধ হাত। গোনা যায় না। কাউকে বলিনা, সাবধান, হুশিয়ার। কিন্তু অসাবধানে চলতে গেলে পা পিছলে কাদা মাখামাখি এমনিই হয়ে যাবে।

--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

তিরিশের নীচে সবাই বাংলাদেশপন্থী, চোখ বুঁজে আস্থা রাখা যায়। টাকা,ক্ষমতা,নারী বা পুরুষ, অপরাজনীতি আমাদের মত টানেনা তাদের। আর তথ্যের জন্য তারা ছায়ানর্তকদের কাছে যায়না। তথ্য তাদের ক্লিক দুরত্বে। ফলে রাজনীতি সচেতনতা, দেশ ভাবনা সহজাত তাদের মাঝে। বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনকের ভালোবাসায় লালন করে তিরিশের নীচেরা।বিনোদন মোবাইল ফোনে,মন ফুরফুরে। বৃটিশের শাসন,পাকিস্তানীদের শোষণ নিষ্ঠুরতার ছবি ইউটিউবে, বাংলাদেশের ভাষণ আর ইতিহাসকে তারা দেখতে পায় আন্তর্জালে, কে ভুল বোঝানোর সামর্থ্য রাখে তাদের। এরাই বদলে দেবে সময়, অথবা ফিরিয়ে আনবে অচল মতবাদ অথবা হিতোপদেশ, সদা সত্য কথা বলিবে, যা মুদির দোকানে ঝোলানো থাকে, এর জন্য পিএইচডি লাগেনা।তিরিশের নীচে যারা তারা আত্মকেন্দ্রিক নয় আমাদের মত, সো কল্ড এলিট জীবনের দিকে তারা আমাদের মতো লোলুপ চোখে তাকায় না। তারা আমাদের মতো জীবনটাকে একটা রেস ভাবে না। তারা শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেনা, চারপাশের মানুষের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের শহর-গ্রাম-ট্রেন-বাস-সিএনজি-রিক্সা ঘুরে এই রেশমি পরিবর্তনের ইঙ্গিত পেয়েছি। তাই খুব খুশীমনে লিখছি এই প্রজন্মের জন্য।তিরিশের নীচে মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধু কিংবা বাংলাদেশ নিয়ে কোন বিভাজন নেই, সমস্যা আমাদের নিয়ে। অল্প কিছু ধর্মসন্ত্রাসী বা টেন্ডার সন্ত্রাসী আছে। আশা করা যায় বন্ধুরা তাদের অন্ধকার থেকে ফিরিয়ে আনবে। রাষ্ট্র এটা পারবে না। পারবে ঐ তিরিশের দল।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সিরাত এর ছবি

ওয়াহ!

বইখাতা এর ছবি

ফন্টের দুরবস্থার জন্য এই লেখাটা পড়া কষ্টকর হয়ে গেল। পড়লাম, খুবই আগ্রহোদ্দীপক!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধীরে ধীরে ফন্টের ব্যাপারটাতে আমরা অভ্যস্ত হব, সমস্যাটা আমার, আমি যে কোন নতুন সিস্টেমে ঘাবড়ে যাই, পরে একদম ঠিক হয়ে যায় সবকিছু। দুখিত কষ্ট করে পড়তে হল।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

বইখাতা এর ছবি

না না, দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই তো। হাসি নতুন সিস্টেমে একটু আধটু সমস্যা বা অসুবিধা হতেই পারে। এটা কোনো ব্যাপারই না। ব্যাপার হলো লেখাটা। লেখাটা টানলো বলেই তো ফন্টের সমস্যা থাকাতেও পুরোটা পড়লাম।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একটা টিপস দেই, যেকোনো ওয়েব সাইটের ছোট বাংলা লেখা কী করে 'বড়' বানাবেন!

প্রথমেই সিয়াম রূপালী ফন্টটা নামিয়ে ফেলেন, তারপর সেটা কন্ট্রোল প্যানেলে ফন্ট ফোল্ডারে কপি-পেস্ট করে ফেলে রাখুন।

এবার নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন।

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করলে,টুলস>ইন্টারনেট অপশনস মেনুতে গিয়ে ফন্টস এ ক্লিক করুন। এবার ল্যাংগুয়েজ স্ক্রীপ্ট বেঙ্গলী এবং ওয়েবপেজ ফন্ট 'Siyam Rupali' সিলেক্ট করুন।

ফায়ারফক্স ব্যবহার করলে, টুলস > অপশনস মেনুতে গিয়ে কনটেন্টস ট্যাবে ক্লিক করুন। এবার ফন্টস অ্যান্ড কালারস সেকশনের অ্যাডভান্সড বাটনে ক্লিক করুন। এবার ফন্টস ফর = বেঙ্গলী, সেরিফ=Siyam Rupali, স্যান সেরিফ=Siyam Rupali এবং মনোস্পেস = Siyam Rupali সিলেক্ট করুন ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

বইখাতা এর ছবি

ধন্যবাদ।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এতো আইটিবুদ্ধি নিয়ে ঘুমাও ক্যামনে,

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নৈষাদ এর ছবি

এখনও ধরতে পারিনাই। উৎসুক, ধরতে চেষ্টা করছি...।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এইটা একটা কথা,অনলাইন ইজ সেফ ফর ইউ। মাথায় গাট্টা বা চাঁটি দেয়ার সুযোগ নেই। ব্লেম ইওর লাক।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মাসকাওয়াথ ভাই,
ওয়ার্ড থেকে সচলায়তনে পেস্ট করার পর পুরো লেখা সিলেক্ট করে 'BNG' ফন্টটা সিলেক্ট করে নিবেন। এখন মডারেটররা ঠিক করে দিয়েছেন দেখতে পাচ্ছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ। অনেক শুভেচ্ছা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

১) ৪০ বছর ধরে আছর করে আছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে।
২) তিনি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের আবিষ্কারক কিন্তু নোবেল পাননি ওই বিষয়ে নোবেল বরাদ্দ রাখা হয়নি বলে।
৩) তিনি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অধ্যাপনাও করেন যদিও নিজে পাশ করেছেন কিনা সন্দেহ করা হয়।
৪) তাকে ১/১১ এর স্বপ্নদ্রষ্টা বলেও মনে করা হয়।
৫) তিনি ড ইউনুসের নাগরিক শক্তির উপর আছর করেছিলেন বলে শোনা যায়। তবে তাকে ছাই দিয়েও ধরা যায় না তার বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মাহাত্ম্যে।
৬) শীঘ্রই যুদ্ধাপরাধী বিচার বিষয়ে তিনি এবার একটা বৈজ্ঞানিক ষড়যন্ত্রতত্ত্ব উপহার দেবেন জাতিকে

আর কোন টিপস দরকার? ইতিমধ্যে উত্তরটা জেনে গেছেন অনেকেই হাসি

দারুণ একটা লোককে সাবজেক্ট করেছেন মাসকাওয়াথ ভাই। তিনি কি এখনো শেরাটনে ক্লাস নেন?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

স্পর্শ এর ছবি

ইয়ে মানে, ভয়ে তার নাম মুখে আনা যাবে না, এরকম কোনো ব্যাপার আছে নাকি? ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌ভাসুরের নাম নিতে খানিক ভয়তো আছেই। হাজার হলেও বাংলাদেশের অন্দর রাজনীতির দীর্ঘকালের ভাসুর তিনি।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভয় নয়, ঘৃণা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

উনি গুজবের রাজা। ঝড়ে বক পড়ে ফকিরের কেরামতি বাড়ে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একবার মনে আছে, একটা উড়ো ফোন আসতো! ফোনে এক ভদ্রলোক কোবতে শোনাতেন, নজরুলের রক্ত গরম করা সব কোবতে! 'বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবেই'— বলে চিৎকার করে উঠতেন! কোবতে পাঠ করা সেই ভদ্রলোকও 'মিস্টিক ঘরানার লোকটার' শিষ্য দাবী করেছিলেন নিজেকে! মনে আছে না আপনার?

সময়টাই এমন ছিলো যে ঐ ঘটনাটার কথা এখনও মাথা থেকে সরে নি আমার। সরবে বলেও মনে হয় না। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মনে আছে। পাগলদের কথাও মনে রাখি। আসল চাবি তো বড়ো পাগলের হাতে তাই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সত্যান্বেষী এর ছবি

এই লোক বলতে গেলে আমি যে এলাকায় থাকি সে এলাকায় থাকে বিকাল বেলা মাঝে মাঝে তার সাথে মুখমুখি দেখা হয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

একে দেখে হাসি পাওয়া উচিত, একে করুণা করা উচিত ম্যাকিয়াভেলির বদহজমের কারণে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আসলে গ্রুপ থিয়েটারে যাওয়া উচিত ছিলো এই লোকের।এর বেশী মাল ছিলোনা এই অর্ধশিক্ষিতের।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সংসপ্তক এর ছবি

আমার বাবার এক সময়ের গুরু এবং অত্যন্ত কাছের মানুষ। ব্যর্থ বিপ্লবে অংশগ্রহণ এবং জিয়ার দমন-পীড়নে দেশত্যাগের পরেও অনেকদিন ভক্ত ছিলেন। চল্লিশ অতিক্রম করার পর ধীরে ধীরে স্বরূপ বুঝতে পেরে একসময় নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আসেন। এখন মোটামুটি একজন ভাঁড়-ভণ্ড নবীর মিশ্রণ হিসেবেই তাঁকে দ্যাখেন। যদিও বুঝতে পারি.....দুয়েকটা যায়গায় এখনো সফট কর্ণার রয়ে গেছে।

কিন্তু মুজিব হত্যার সাথে সম্পর্কের কথা তো কখনো শুনিনি বাপের কাছে...তাঁরা বরঞ্চ রীতিমত শক্‌ড হয়েছিলেন বলেই জানি।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এইসব বুদ্ধিবৃত্তিক নটীপনা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তাই আমরা সচেতন হতে চেষ্টা করছি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

'৭৫ এর রাষ্ট্রহত্যার পেছনের সামরিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগ অনেকটাই প্রকাশিত অথচ এর পেছনের বুদ্ধিবৃত্তিক ইন্ধন অধরাই থেকে গেলো। ১৫ আগষ্টের পর যেসব সাংবিধানিক পরিবর্তন আনা হয়েছে কেবল সেগুলোতেই চোখ রাখলে বুঝা যায়-এর পেছনে দীর্ঘমেয়াদী বুদ্ধিবৃত্তিক প্রস্তুতি ছিলো কেবল সামরিক-রাজনৈতিক জোগসাজসে এতোটা হয়না,হতে পারেনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ইয়েস।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নাশতারান এর ছবি

ভালো লাগলো এই ইতিহাসপরিক্রমা। বঙ্গবন্ধু হত্যা আর যুদ্ধাপরাধের বিচারের উপমাগুলো দুর্দান্ত।

দুটো বাক্য দুর্বোধ্য ঠেকলো:

১। লোকটা কী ডার্ক কম্যুনিকেশনের সেই প্রায় নিষিদ্ধ চ্যাপ্টারটা কোন কারণে ঢাকা ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরী রেফারেন্স শাখায় ঢুকে পড়েছিলেন বাহাত্তরে, ...

২। কে তিনি এই সচেতনতার বাইরের জওয়ানরাই তার গায়ে হাত তুলেছে বা গুলি ছুঁড়েছে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এগুলোর অর্থ যখন আপনি নিজেই বুঝবেন, সেদিন আর কেউ বাংলাদেশকে বিপদ্গ্রস্ত করতে পারবে না।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নাশতারান এর ছবি

বাক্যের গঠনের কথা বলেছিলাম, অর্থের কথা নয়। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গত নির্বাচনে তিনি নতুন দল গজিয়ে একটা মেনিফেস্টো ছাপিয়েছিলেন। সেটা পড়ে হাস্তে হাস্তে আমার পেট বেদনা হয়ে গেছিলো। সারমর্ম হইলো তিনি এই বাংলাদেশের একমেবিদ্বিতীয়ম স্বপ্নদ্রষ্টা। তাহার অঙ্গুলি নির্দেষ ছাড়া গাছের একটা পাতাও নাকি লড়ে নাই, মুক্তিযুদ্ধ তো দূরের কথা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

তার সাথে সাকুরাড্ডায় ছিলাম দুয়েকদিন, আমোদ লেগেছিলো বেশ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।