বিডি আর বিদ্রোহের টান টান উত্তেজনার মুহূর্তগুলোতে ধানমন্ডি আর রাইফেলস স্কোয়ার সংলগ্ন এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে এর কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। একটা নতুন সরকারের যাত্রানাস্তির এই রেসিপি কোত্থেকে এলো কিছুতেই মেলাতে পারছিলাম না।
বিদ্রোহীদের দাবীদাওয়ার ফর্দটি তারা ফ্যাক্স করেছিলেন, এতে ডাল-ভাত কর্মসূচীর ওভার টাইম ডিউটির ভাতা মনোপুত না হওয়া, ছুটি-ছাটার অসন্তোষ, অফিসারদের দুর্ব্যবহার এই সব মিলিয়ে জওয়ানদের জব স্যাটিসফেকসনের অভাব চোখে পড়ে।কিন্তু এই দাবীনামার মধ্যে এতজন সেনা কর্মকর্তা হত্যার কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি, যৌক্তিকতা শব্দটি অনুপস্থিত সেই কারণেই।
বিদ্রোহে সক্রিয়দের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৈরি করা হয়েছে, কয়েকবছরের রিক্রুটমেন্ট প্রবণতায় এর প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যাবে।
জিগাতলার দিকের বিডি আর গেট অভিমুখে দাড়িটুপি মেকাপ পরা ধর্মীয় রাজনীতির উলুখাগড়ার মিছিলটিতে এই বিদ্রোহের পক্ষে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
টিভি মিডিয়া দশ বারো বছরের শিশু বলে বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে জার্নালিজম থেকে একটিভিজমে জড়িয়ে পড়েছিলো। তবে পেশাদার সাংবাদিকেরা রিপোর্টিং করেছে, কোন পক্ষ নেয়নি সঙ্গত কারণেই।
বিডি আর পেছন দিকের গেটে শ্লোগানের নেতাটির আব্বাজান ধর্মীয় রাজনীতি ছেড়ে বছর খানেক আগে আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়েছে।আওয়ামী লীগ সেজে বিদ্রোহীদের লিফলেট ছাপার কাজ হয়েছে তাদের এক কোচিং সেন্টারে।বিডি আর বিদ্রোহের কোচিং সেন্টারটি ধর্মব্যবসায়ীদের সেবায় নিবেদিত।
কেন ধর্মব্যবসায়ীরা এত বড় কান্ড ঘটালো।তাদের কী এমন রাগ ঐ সেনা কর্মকর্তাদের ওপর।মি গুলজারের জঙ্গীবিরোধী অপারেশনের ভিডিও ফুটেজ দেখলে এই রাগের কারণ খুঁজে পাওয়া যায়।
মি শাকিলকে একটা বাজার পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে সাক্ষাতকার নিতে গিয়ে টের পেয়েছি উনি নিয়মিত অনলাইনে ক্লিক করে নিজেকে হালনাগাদ করতেন।আর আমাদের সমসাময়িক যারা মারা গেলেন তাদের বেশ কয়েকজনকে স্কুল-কলেজ জীবন থেকে মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত দেখেছি,অনেকের সাহিত্যে ঝোঁক ছিলো, গোয়েন্দা দপ্তরে কাজ করতেন এমন একজন ক্যাডেট কলেজের সিনিয়রকে বিষণ্ণতার শহর পড়ে ভাবালুতাগ্রস্ত হতে দেখেছি, আমার ধারণা প্রজন্মের পালাবদলে এখন সেনা বাহিনী-পুলিশ-আনসারে অনেক সৃজনশীল ভাবালুতাগ্রস্ত যুবক খুঁজে পাওয়া যাবে।ঐদিন উদ্ধার অপারেশনরত মনখারাপ মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একজন সেনাকর্মকর্তা একসময় রাজশাহী কলেজের হকিফিল্ডের কাঠের গ্যালারীতে বসে গিটার বাজিয়ে গাইতেন, ইমাজিন দেয়ার ইজ নো হেভেন।
চল্লিশের নীচের তরুণেরা অনলাইন আর তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সনাতন জ্ঞানীদের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কয়েকজন ছিলেন সেই পয়ত্রিশের বা চল্লিশের।কাজেই এরা জঙ্গিবিরোধী অপারেশনে ইঙ্গ-মার্কিন সেনাদের চেয়ে বেশী সফল হয়েছেন।
অনেকে নতুন পোস্টিং পেয়ে এসেছিলেন, গুজবপ্রিয়রা অতিরিক্ত রঙ চড়িয়ে সরকারের দিকে সন্দেহের আঙ্গুল তোলে, এদেরকে কি মেরে ফেলতেই এখানে আনা হয়েছে, এগুলো কলতলার ষড়যন্ত্র সূত্র।
এদের বিডি আরে এনে ক্রস বর্ডার জঙ্গি যাওয়া আসা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করার মাঝ দিয়ে জঙ্গি নির্মূলের মিশনটি শেষ করার সংকল্প ছিলো অনেকের।
মি গুলজার এই কাজটি শেষ করতে পারেন নি।তার আগেই তাকে মেরে দেয়া হয়েছে।
এই বিদ্রোহের পেছনের খেলাটি ছিলো, ডমিনো এফেক্টের প্রতীক্ষায়, সরকার-সেনাবাহিনী সম্পর্ক তিক্ত করে ফেলা, বিডি আর জওয়ানদের বিদ্রোহের আগুন, সেনাবাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
সরকারের দিকে সন্দেহের আঙ্গুল তোলা হয়েছিল বিরোধী বুদ্ধিজীবী শিবির থেকে, মি শাকিল, মি গুলজার এস ও এস কল দেবার পরেও র্যাব বা সেনা অপারেশন কেন চালানো হল না।
বিডি আর দপ্তরটির চারপাশে লোকালয়,ছাত্র-ছাত্রীদের হোস্টেল। অভিযান চালালে বেসামরিক প্রাণহানি ঘটতো, রামাল্লা হয়ে যেত ঢাকার ঐ অংশটি।সেনা কর্মকর্তারাই এটা আরো ভালো বুঝবেন আমাদের চেয়ে।
সেনা কর্মকর্তারা এনিয়ে ঐ ভয়াবহ শোকের হতাশায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রীতিমত ঝগড়া করেছে। ইউটিউবে সেটা শুনলে প্রধানমন্ত্রী আর সেনা বাহিনীকে কাছে নিয়ে এসেছে ঐ পারিবারিক শোকের মাতম এটা অনুভব করা যায়। দুই পক্ষের দেশপ্রেমের প্রমাণ পাওয়া যায় ঐ গুড উইল জেসচার ঝগড়ার মধ্যে।কিছটা পুড়ুক পোড়া ভালো, তাতে কেটে যাবে খানিক অন্ধকার খানিক কালো।
পিলখানার ঘটনায় ডাল-ভাত-ছুটি-ভালোব্যবহারের দাবীর নির্দোষ জওয়ানরা দুর্ভাগ্যবরণে বাধ্য হল।রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়ে উ্লুখাগড়ার প্রাণ যাওয়া নিয়তির কী কোন দিনই পরিবর্তন আসবেনা।
বিএমএর প্রথম ব্যাচের সমাবর্তনে বঙ্গবন্ধু নতুন সেনা কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, জওয়ানরা সারাজীবন তাদের কথায় প্রাণ দিতে প্রস্তত থাকবে, তাই তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। শাসন করা তারি সাজে সোহাগ করে যেগো।
গুরুজনদের কিছু উপদেশের একটা চিরন্তন আবেদন থাকে। যে কারণে বঙ্গবন্ধু এখনো প্রাসঙ্গিক।
এই ঘটনায় যুদ্ধাপরাধীরা সরকার পরিবর্তন ও সেনাঅভ্যুত্থানের আশা করেছিলেন। হয়নি, কারণ প্রজন্মের পালাবদল। ঐ এইচকিউ ঝগড়ার অডিও ফুটেজে একজন তরুণ সেনা কর্ম কর্তা বলছেন, সেনা বাহিনীতে রাজনীতি ঢুকিয়ে একে নষ্ট করা যাবেনা।এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী খুব সচেতন থাকবেন আশা করা যায়, ইউটিউবে গিয়ে এটা কয়েকবার শোনা উচিত উনার।উনার আশেপাশে চল্লিশের নীচের কেউ অবসর সময়ে ওটা বাজিয়ে শোনাবেন আশা করি। কারণ ভবিষ্যতে যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থনে ধর্ম ও অস্ত্রব্যবসায়ীরা এই ধরণের জেহাদের রেসিপি যেন তৈরি না করতে পারে সেইজন্য সরকার-সেনাবাহিনী পেশাদার আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকা জরুরী।
মন্তব্য
বিশ্লেষণ ইন্টারেস্টিং। যেহেতু গাধা সেহেতু আর কিছু বললাম না।
আপনে তো সেইরকম অ্যাক্টিভ এবং সেইরকম সব লেখা দিচ্ছেন। চালায় যান!!
গাধারা আজকাল কঠিন কঠিন বই পড়ে, সহজ করে লেখে, তাই নিয়মিত সচলায়তন পড়ছি, বইমেলা সামনে রেখে প্রতিদিন দুপদাপ লিখছি,ফিডব্যাক থেকে শিখছি। তবে সিরাত আপনার ডাক্তার ভদ্রলোক চোখের ছি্লেন তো, আর ইউ শিওর।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
তবে ফন্টটা বিএনজি করে দিলে সুপার হয়!
মডারেটর মহোদয়েরা তবু যদি একবার খুলিয়া দক্ষিণ দ্বার, একটু ফন্টটা পাঠবান্ধব করে দিতেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
এই লেখাটা ভালো হইসে। পার্ফেক্টো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনার বিশ্লেষণটা পছন্দ হয়েছে। তবে ঘটনার ইশারাওয়ালাদের ব্যাপারে আরেকটু স্পষ্ট ইঙ্গিত আশা করেছিলাম। এটা এখনো একটা রহস্য। কে হতে চেয়েছিল সম্ভাব্য বেনেফিশিয়ারী। নাকি নাটকের প্রথমাংশই অভিনীত হলো মাত্র?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মুজিব হত্যাকারী-যুদ্ধাপরাধী-জিহাদ ব্যবসায়ীদের লাভবান হবার সুযোগ ছিলো।ব্যাটেবলে হয়নি।বিদ্রোহীদের সমর্থনে জঙ্গীমিছিল তাইতো বলে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
দারুণ !
বহুদিন ধরে সচলায়তনে এতো চমৎকার রাজনৈতিক বিশ্লেষণের লেখা পড়া হয়নি। ( অনেক আগে শোহাইল মতাহির চৌধুরী এরকম চমৎকার কিছু বিশ্লেষণ করতেন)।
আপনার আরো রাজনৈতিক (কিংবা যে কোন লেখাই !) লেখার আশায় থাকলাম...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবজান্তা খুশী হলে আমার আর খুশী না হয়ে উপায় কী।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন বিডিআরের মহাপরিচালক ব্যক্তিগতভাবে চিনে এরকম একজন লোকের কাছ থেকে শুনেছি ঘটনার আগের দিনেও তিনি তার বাসভবনে গিয়েছেন কারণ বিকাল বেলায় মহাপরিচালক সাহেব বাসভবনে রবীন্দ্র সঙ্গীতের আয়োজন করেছেন দাওয়াত দিয়েছিলেন অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গকে অথচ দুঃখের কি বিষয় এখন তাদের মৃত্যুকে নিয়ে জামাত রাজনীতি ময়দানে ফায়দা লুঠতে তৎপরতা চালাচ্ছে।
সেক্যুলার লোকদের সরিয়ে দেয়া আর কী, ১৪ডিসেম্বরের বেসামরিক বুদ্ধিজীবী হত্যা আর পিলখানায় সামরিক বুদ্ধিজীবী হত্যার উদ্দেশ্য একই।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
শাকিল সাহেবের এবং সাহেবার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সেটা কি অপপ্রচার?
অভিযোগ মানেই তা প্রমাণের দাবী রাখে, তালিবান বা ক্যানিবাল স্টাইলে মেরে দিলে তারপর মৃতদেহের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে আনন্দ পাওয়া যাবে হয়ত, তাতে জঙ্গল সংস্কৃতিকে উতসাহিত করা হয়। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দুর্নীতিতে ক্ষমতাবানদের স্ত্রীদের প্রণোদনা ও প্রভাব গবেষণার অবকাশ রাখে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
অভিযোগ তখন থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম যখনও জানা যায়নি যে শাকিল সাহেব সপরিবারে নিহত হয়েছেন কিনা। কথা সেটা না। তালেবানি বা গণহত্যার কায়দায় সবাইকে মেরে ফেলার ফলে এক কাতারে উচ্চারিত হচ্ছে গুলজার সাহেবের সাথে শাকিল সাহেবের নাম। ব্যাকফুটে থাকা সরকার একতরফাভাবে বিচার শুরু করে বিডিআর জওয়ানদের। বিদ্রোহের কালে দুর্নীতির যে ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল/শোনা গিয়েছিল, সেই আগুন খোঁজার প্রয়োজন মনে করেনা। বিদ্রোহের বিচারের পাশাপাশি দুর্নীতির সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন কি?
দুর্নীতির তদন্ত ও বিচারের সক্ষমতা আমাদের কোন প্রতিষ্ঠানের থাকলে দুর্নীতির বর কিংবা বরপুত্রদের বিচার আমরা করতে পারতাম। এরশাদ সাহেব এতদিন বেঁচে রইলেন, উনার দুর্নীতির বিচার আমরা করতে পারলাম না। ধরুন আপনাকে বঞ্চিত করে আমি কিছু সম্পদ অর্জন করলাম, আপনি আমাকে মেরে দিলেন, তখন আমার দুর্নীতির চেয়ে আপনার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগের বিচার প্রায়োরিটি পাবে। তবে ভবিষ্যতে যাতে এধরনের পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। এটা আমাদের লিভিংরুম আলোচনার খোরাক, আর সংশ্লিষ্টদের জীবনমরণের প্রশ্ন। নিশ্চই আমাদের তুলনায় উনাদের জন্য বেশীজরুরী অভিযোগগুলো তদন্ত করে তা থেকে শিক্ষা নেয়া। তবে হত্যার তদন্ত আগে হয়, হচ্ছেও সেটা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
সহমত।
পুরো লেখায় কোথাও ওপাড়ার কালোদিকের কথা আলোচনা না হওয়ায় আর কিছু মন্তব্যে তার সেক্যুলারিজমকে তুলে ধরে মহৎ বানানোর চেষ্টায় জানতে চেয়েছিলাম যা শুনেছিলাম তার কতটুকু সত্য আর কতটুকু মিথ্যা।
আরেকটা প্রশ্ন -
এই অনেকটা কারা? আমার জানামতে (প্রাক্তন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছেই শোনা) তাঁরা বিডিআর / পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বদলিকে শাস্তিমূলক বদলি হিসেবেই দেখে
ওপাড়ার কালো গল্পো লিখতে গেলে আরব্য রজনীর পরিসর প্রয়োজন, ব্যাপারটা পিলখানায় ফোকাস করলে দেশের সেনামেধাহত্যাযজ্ঞ মনে হয়।
হ্যাঁ সমাজের চোখে বাংলাদেশের যে কোন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পোস্টিং শাস্তিমুলক।
কিন্তু উলফা যাতায়াত বন্ধের কী পোস্টে যখন সেনাপোস্টিং দেয়া হয় তা প্রেসকনফারেন্সে দেয়া হয়না। লো কী মেইনটেইন করে স্পেশাল অপারেশনে পাঠানোর এই কৌশলকে বাংলাদেশ নতুন মনে হলেও,নতুন নয়। কয়েকজন ছিলেন যাদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধ কৌশলের নতুন কারিকুলামে ট্রেনিং করানো হয়েছিল। যাই হোক এটা একটা ব্লগ পোস্ট আলোচনার জন্যই এটা আপনার সামনে, নো হার্ট ফিলিংস।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
মাসকাওয়াথ ভাই,
এডিটে গিয়ে পুরো লেখা সিলেক্ট করে 'BNG' ফন্টে বদলে নিতে পারেন সচলায়তনেই। তাহলে অনেকের পড়তে সুবিধে হত। ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
রবার্ট ব্রুস হয়ে গেলাম,দেখি চেষ্টা করে। ধন্যবাদ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
হা হা হা। আগের প্লেইন ইন্টারফেইসে ফিরে যাবেন?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
না না চেইঞ্জ ইজ লাইফ, ভয় পাইলেই ভয় --
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
অসাধারণ বিশ্লেষণ! এটাই বাস্তবতা। প্রতি বারেই প্রতিকী বিচারে কিছু কর্মচারি অভিনয় করে যায় কিন্তু আমরা কখনোই জানতে পারছিনা কে এই স্ক্রিপ্ট লিখেছে। অথচ দুর্ভাগ্য যে আমরা কিন্তু ঠিকই বুঝছি আর দেখছি তাদের আমাদের সামনে সর্বত্রই। এভাবে আর কত দিন শুধুই দেখে যাওয়া?
অনন্ত
আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেছি। লেখার গাঁথুনিটা কোথায় যেন আলাদা।
আর পিলখানা হত্যাকান্ডের কোন ব্যাখ্যাই কেন যেন ঠিক মনে হয় না। মনে হয়, কোথায় যেন একটা ব্ল্যাক বক্স রয়ে গেছে।
বাংগালি এত হিংস্র হতে পারে ছোট কারণে, মেনে নেওয়া কঠিন। আর যদি এটা মৌলবাদ ইস্যু হয়েও থাকে, তা তাড়াতাড়িই তো বের হওয়ার কথা।
দূরের তেপান্তর
ঘটনার বিবরণ হাজার মাইল দূর থেকে বসে বাংলাদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে যা দেখেছি তাতে আমিও কোন সঠিক মানে খুঁজে পাইনি। টেলিফোনে ঢাকার কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসারের সাথে কথা বলে মনে হলো তারা যেন মনে করছে ভারতের হাত আছে ঘটনার সাথে। কারণ হিসাবে বলল, না হলে ভারতীয় টিভি কি করে আগে খবর প্রকাশ করতে পারলো। তর্কের মধ্যে গেলাম না। বলতে পারতাম হাসিনার আমলে এই সরকারকে এই অসুবিধার মধ্যে ফেলতে যাবে ভারত কোন দুঃখে?
আই এস আই-এর ভুমিকা কি ছিল - কেউ কি জানে বা কোন অনুমান করতে পারে? ওই সময়ে বি এন পি-এর ভূমিকা কি যুক্তি যুক্ত হয়েছিল?
অনেক প্রশ্ন এখনো রয়ে গেছে মনে। স্বজনহারারা কি এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইবে না?
সাইফ শহিদ
http://www.saifshahid.com
সাইফ শহীদ
ভাইয়া,
আনেক আগে থেকেই আপনার লেখার ভক্ত আমি। এই লেখাটাও অসাধারন। কি করে এত সুন্দর লেখেন আপনি? ভাইয়া এখন কথায় আছেন জানিনা। আমাকে যদি একটা মেইল করেন তবে ভক্ত হিসেবে আপনার সাথে যোগাযোগ রাখবো। আমার মেইল এড হইল . ভাই প্লীজ যোগাযোগ কইরেন।
মানিক
নতুন মন্তব্য করুন