ছোটবেলা থেকে ভারতজুজু দেখতে দেখতে বুড়ো হলাম, আমার নানীকে ভারতবিরোধী ফিমেল বিচিং করতে দেখে নানা আর সহ্য করতে না পেরে বলেছিলেন এতো বিশাল একটা দেশ, চাইলে যা খুশী করতে পারে, কিন্তু পারলে সাহায্যই করে, যুদ্ধের বছর বছরখানেক গুষ্টি সুদ্ধো খেয়ে এলে, এখন নুন খেয়ে উলটা গুণ গাইছো।ঐদিন খান আতার খাঁচাটা ভেঙ্গে ফেললেন নানা।
ফারাক্কা ইস্যুতে ভাসানী পদযাত্রা করেছেন।ফারাক্কা বাঁধ ইস্যুতে ভারতের নিষ্ঠুরতা পাওনাদারের নিষ্ঠুরতা। ৭১ সালে ভারতের যে খরচ হয়েছে আমাদের খাওয়াতে তা বহনের ক্ষমতা তাদের ছিলো না, নিম্নমধ্যবিত্ত মামাবাড়িতে দশমাস থেকে তারপর আমার এক ছাত্র আমাকে তার মামার সঙ্গে বর্তমান
সম্পর্কের নিম্নচাপের অভিজ্ঞতা জানালো।বঙ্গবন্ধু পশ্চিমা কোন খাদ্যসাহায্য না পেয়ে দিশেহারা।ভুট্টো মার্কিন মামাকে ফোন করে বারণ করতেন।বঙ্গবন্ধু ইন্দিরার সঙ্গে ফোনে কথা বলতেও কুন্ঠা বোধ করতেন।এতো বড় গলা করে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করতে বললেন। অথচ পুরোটাই মুফতে চালিয়ে দেয়া যায়, বাঙ্গালী তা পারেনা।এটা আমাদের জীন মানচিত্রে নেই। আমরা খাওয়াইন্যা জাত।
বাংলাদেশের কাছে ভারত কী চায়। চায় পাকিস্তান যাতে দশট্রাক আমপাঠিয়ে বাংলাদেশের ক্রসবর্ডারগুলো দিয়ে সাতবোনের দুষ্টুছেলেগুলোর কাছে পৌঁছাতে না পারে।ভারতকে অশান্ত করে তোলে পাকিস্তানের আমগুলো।
দেশ বিক্রী হয়ে গেলো এই মাতম তোলা দেশপ্রেমিকেরা কী জানেন ভারতের বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান।পাড়ার ভালো ছাত্র (মুখস্থ নির্ভর নয়) সিরাতকে নিয়ে আপনি যত খিস্তি করবেন, আপনি ততই হাস্যকর হতে থাকবেন।
ভারতের গণতন্ত্রে ফাঁক ফোকর আছে, জেলখানা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন কয়েকজন মর্কট, গত ৫বছরে বিপুল সম্পদ লুন্ঠন করেছেন কয়েকজন।পাকিস্তানের গণতন্ত্র এখনো সামন্ত মাশাআল্লাহ ভবনগুলোতের আমখাচ্ছে,কালো ছাগল ছদকা দিচ্ছে, কাল সকালের সকালটা দেখবো কী-এই শঙ্কায়।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সরল বা বোকামানুষগুলো আফঘানিস্তানের পাকিস্তান সীমান্ত জুড়ে কন্স্যুলেট খুলে (১৬-১৭টা হবে)ঐদিক থেকে পাকি গোয়েন্দাদের কাতুকুতু দিচ্ছে। র আই এস আই সম্পর্কটা একদম টম এন্ড জেরী সম্পর্কের মতো লাভ হেট রিলেশনশীপ।কাশ্মীরের দুষ্টুমি বোরিং তাই আফঘানিস্তানে গিয়ে র বাংলাদেশ হয়ে আইএস আই আম পৌঁছে দিতে যায়।মনমোহন কাকা গিলানী চাচ্চুকে আম পাঠিয়েছেন। গিলানী দারাশিকো বংশলতিকার নাতি বলে ভারত তাকে পছন্দ করে, আর জারদারীর দিকে তাকানো যায়না, হাসি দেখলে মনে হয় যেন ইভটিজার।সামনে ১৪-১৫ অগাস্ট কাশ্মীর সীমান্ত জুড়ে টম এন্ড জেরী মিলন মেলা করবে,সিদ্ধি খাবে,রং খেলবে,একে ওকে জড়িয়ে ধরে নেশার ঘোরে কাঁদবে। তারপর আবার আমষড়যন্ত্রে ফিরে যাবে,চুলকানোর বা সুড়সুড়ি দেবার চাকরী যখন।
বাংলাদেশকে এইটুকু করতে হবে,এই আম যাতে সেভেন সিস্টারে যেতে না পারে, তাতে ভারত পাকিস্তান সিভিল সোসাইটি শান্তি প্রক্রিয়াটি দ্রুতি পাবে।কারণ ওদের এই নির্বোধ ইগোর লড়াই আমাদেরো অতীতে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।পাকিস্তান ভাবতেই পারেনা, এতো আগে চলে গেছে ভারত,তবে বুঝতে পেরেছে অনেকেই, রাষ্ট্র মানে ক্রিকেট খেলা নয়।ক্রিকেটে একই সার্কাস দেখে বোঝা যায় পাকিস্তান বাজী হেরেছে। ভারত জিতে গেছে সবদিক থেকে।
তবে ভারতের যেসব গ্রামে শিশুরা মাটি খাচ্ছে সেখানে মতিয়া আপা দয়া করে তার বাম্পার ফলনের কিছু ভাত পৌঁছে দেন, বঙ্গবন্ধুকে ৭১র শরণার্থী সেবার ইন্দিরা ঋণ কিছুটা দায়মুক্তি হয়।আন্ত রাষ্ট্রিক সম্পর্কে এটা মমতাদির জন্য বেইলী রোড থেকে শাড়ী কিনে নেবার মতোই সুন্দর দেখাবে।
যারা টান্স-এশিয়ান রেলপথ বা হাইওয়ে টু ইউরোপ টাকে ভয় পেয়ে, দেশ গেল বলে আত্মাহুতি দিচ্ছেন তাদের হজ্জে যাবার বা কার্লমার্ক্সের ট্রিয়ার দর্শন কতো সহজ হয়ে যাবে হয়ত বুঝতেই পারছেন না।কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে যাওয়াটা যেমন সহজ হয়ে গেছে।আম্মা বলছিলেন, কলকাতার ডাক্তারেরা বয়সোচিত সম্মান দেয়, কথা বলে, আমাদের ডাক্তার সাহেবেরা গম্ভীর।
ভারত-নেপাল যেই বন্দর ব্যবহার করুক, ভাড়া দিয়েই করবে,রাস্তা বা রেলপথ করলে আমাদেরি লাভ,বৃটিশের রেলপথ আমাদের কাজে লেগেছে।সব কিছুর মাঝে ষড়যন্ত্র খুঁজে আর লাভ নেই।বরং ৪৭ সালে যাদের ধর্মের নামে ঘাড় ধরে বের করে দিয়েছিলাম, তাদের নাতি নাতকুরেরা পূর্ব পুরুষের ভিটে দেখতে এসে যে আত্মীয়তা পর্যটন করবে তাতে ক্ষতির কোন কারণ নেই একবিংশের পর্যটন সংস্কৃতিতে।
আওয়ামী লীগ সরকার তার পারফরমেন্সে আমজনতাকে খুশী না রাখতে পারলে তারা ব্যালট পেপারে রায় দেবে।কিন্তু এই ভারত জুজু দেখিয়ে কতিপয় বুদ্ধিজীবী বার বার জাতিকে পিছিয়ে দিয়েছে।এখন ভারতকে দেখে শেখার অনেক কিছুই আছে।অনাবাসের দাওয়াত খেয়ে এসে কলকাতার বৌদির বিচিং করে আর এগোনো যাবে না।কটাক্ষ করে ভালো ঘুম হয়ত হয়, আর নিজের কূপমন্ডুকতার দেয়ালটা উঁচু হতে থাকে।
ভারতের কাছ থেকে সম্ভ্রম আশা করতে গেলে এখন এম আইটিতে হার্ভার্ডে কিছু করে দেখাতে হবে,জনহপকিনসে দেখাতে হবে, ফিল্মে-টিভিতে কিছু দেখাতে হবে, দেখাতে হবে জার্নালে, তথ্যপ্রযুক্তিতে,ক্রিকেটে, এটা কোন রেস নয়, কিন্তু সমান গুণ বা অনুভূতির বা সংস্কৃতির না হলে মানুষের বন্ধুতাই টেকে না আর রাষ্ট্রিক সম্পর্ক।
তবুও একগুয়ে ভারত বিরোধী যারা তারা কাসুন্দি ঘেঁটে ভারতের শঠতার উদাহরণ আনবেন,পাকিস্তানের লোকেরা এইসব উদাহরণ দিতে আরো ওস্তাদ, কেউ নিজের শঠতার দিকে না তাকিয়ে অন্যের শঠতার কথা তোলে কোন ব্যবসা থাকলে ,নির্বোধ ইগো-প্যারানয়া বা আলসাইমার বশত।তালগাছটা আমাদের, আমগাছটা পাকিস্তানের কিন্ত বোধিবৃক্ষটা ভারত অর্জন করেছে।একদম ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ,ভিন্নমত পোষণে সহমত সহ।
মন্তব্য
কঠিন জিনিষ সহজ প্রকাশ
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
মাসকাওয়াথ ভাই আপনে তো আমারে বিপদে ফালায় দিবেন দেহন যায়।
কিসের বিপদ। বি আ ম্যান।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
গুড ওয়ান, থ্যাংকস।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
রাসেল পিটারের আরও কয়েকটা আছে। পারলে দেইখেন, মজা পাইবেন
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
হঠাৎ কেন এই ভারত তোষণ?
"ভারত বিরোধিতা"র রাজনীতির বিপদজনক দিক হচ্ছে, বিপরীতে ভারতের সাথে দর কষাকষির ভিত্তিকে দুর্বল করা। ভারত প্রতিবেশী দেশ, কাজেই সম্পর্ক মধুর থেকে অম্লীয় পর্যায়ে যাবে মাঝেমাঝে, তিক্ত যাতে না হয় সে ব্যাপারে আমাদের চোখ রাখতে হবে। কিন্তু মেকি "ভারত বিরোধিতা"র রাজনীতির [মেকি বলছি কারণ বাংলাদেশে যারা ভারত বিরোধিতা করে, তারাই বাংলাদেশের বাজারকে ভারতের কাছে উদাম করে খুলেছে, তারাই টাটার কাছে জলের দরে গ্যাস বিক্রি করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলো, তারাই ইন্টারনেট ব্যাকবোনে বাংলাদেশকে যুক্ত হতে বাধা দিয়েছিলো] বিপরীতে গিয়ে ভারতের কাছে গলবস্ত্র হয়ে দাঁড়ানোর যে ন্যুব্জ সংস্কৃতি রাজনীতিতে দেখি, সেটা অপমানকর। উদাহরণ দেখি টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আমাদের ক্ষমতাসীনদের মুখে "রাজায় কইছে শালার ভাই আনন্দের আর সীমা নাই" গোছের কথা শুনে। ট্র্যানজিটের জন্যে ভারতের খাতিরে আমাদের দেশে অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্যে ভারত আমাদের অনুদান না দিয়ে ঋণ দেয়, আমরা নাচতে থাকি। সীমান্তে নিয়মিত বিরতিতে ভারতের সীমান্ত রক্ষীর হাতে আমাদের মানুষ মরে, আমরা কোনো শক্ত বার্তা পৌঁছাতে পারি না ভারতের কাছে।
পাছার কাপড় যদি উত্তোলিত থাকে, আশপাশের লোকজন দুষ্কর্ম করতেই উৎসাহিত হবে। তাই পাছার কাপড়টা যাতে পাছা ঢেকে রাখতে পারে, এ ব্যাপারে সচেতন হওয়াই শোভন। ভারত বিরোধিতার বিরোধিতা করে পাছা উদাম করে ঘোরাও শিক্ষিত জাতির লক্ষণ নয়। যে আচরণ আমরা ভারতের কাছ থেকে পাই না, সে আচরণ আমরা ভারতের সাথেও করবো না, এটাই সবচে গ্রহণযোগ্য বলে আমার কাছে মনে হয়।
সহমত।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতাম বাংলাদেশ বেতারের আলফাজ তরফদারকে, কারণ আমার এসি আর লিখতে চেয়েছিলেন।অবশ্য সে সুযোগ তিনি কখনোই পাননি ----। কিন্তু ব্লগে এসে এইরকম প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে চুড়ি পরতে হবে আগে। আপনাকে ধন্যবাদ আপনার অভিধান থেকে একটা প্রশ্ন রিপোস্ট করার জন্য। অনলাইন কোন সুযোগ নয়, আমার অধিকার। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশী তাকে দেবো।চলুন এরপর আর না এগিয়ে আপনার অম্ল ভিন্নমতের প্রতি সহমত জানাই।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
২. স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি কী সেটা আহমদ ছফা তাঁর অনেক লেখায় বর্ণনা করেছেন-যার কিছু কিছু সত্যের কাছাকাছি।
৩. বাংলাদেশে দুই শ্রেণীর লোক আছে। একদল অকারণে ভারত তোষণ করে। অন্যদল না বুঝেই ভারত বিরোধী। এক্ষেত্রে আরো একটা মজার ব্যাপার- হিন্দুদের স্বতঃসিদ্ধভাবে ভারত তোষকের তকমা দেয়া হয়।
৪. বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক থাকা জরুরী দুই রাষ্ট্রের খাতিরেই। ভারত আমাদের ওপর ঠিক নীতিতে না চললে সেটা বিরোধিতা সঠিক উচ্চারণে করতে হবে।
৫.
এটা সরলীকরণ লেগেছে।
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
হিমু আর শুভাশীষ এর বক্তব্যে প্রতিবেশীর সঙ্গে দরকষাকষিতে যে পশ্চাদদেশ বা রাষ্ট্রিক সম্ভ্রম বাঁচানোর কথা হয়েছে তা খুবই জরুরী বিষয়। আমি কেবল চিলের পিছে দৌড়ে ছেঁড়া কান না খুঁজে, দুই পক্ষের বৈঠকে কান খোঁজার পক্ষপাতি।
শুভাশীষ সম্পর্কের ব্যাপারে এটা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ, আপনার সংগা নিশ্চই আরো আধুনিক। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
১
ভারত মানে কী?
২
বাঁচতে হলে জানতে হবে ... এই শ্লোগানে এইডস বিষয়ক সচেতনা প্রচারাভিযান চালু আছে। এতে বলা হয়, কীসে কীসে এই্ডস ছড়ায় না। প্রথমে মনে হয়েছিল, মূল বিষয় বাদ দিয়ে এই প্রচার কেন? পরে দেখলাম, এইডসরোগীদের নিয়ে যে সোশাল স্টিগমা এবং এইডস ছড়ানোর বিষয়ে অজ্ঞতা - নানাধরণের সমস্যা সৃষ্টি করছে। যেকারণে কেউ যদি জানেন তার এইডস হয়েছে, তিনি তা গোপন করার চেষ্টা করবেন। এই করতে গিয়ে, তার থেকে আরো কয়েকজনের এইডস ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই, সামাজিকভাবে তাই অ্যাওয়ারনেস বিল্ডাপটা জরুরী। অযথা ভয় নয়।
কিন্তু, এও বোধয় জানা কম জরুরী নয়, যে কীসে কীসে এইডস হয়।
বাঁচতে হলে জানতে কিন্তু হবেই ...
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বি.এস.এফের বর্ডারে প্রতি বছর মানুষ খুনের কথা বললেন না? পাঁচ বছরে সাড়ে চারশ! একপেশে হয়ে গেলো তো লেখাটা। ভারতের সাথে সুসম্পর্ক দরকার, কিন্তু ভারতের আচরণে তো মনে হয় না তারা জোর খাটানো ছাড়া আর কোন সম্পর্কে আগ্রহী।
শেষ হাইকমিশনার পিণাক রঞ্জন চক্রবর্তীর কথাবার্তা শুনে খুব স্পষ্ট ভাবেই ভারতীয় মনোভাব টের পাওয়া গিয়েছিল।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
বিএসএফ এর নিধনযজ্ঞের বিপক্ষে মন্ত্রী-কূটনীতিকদের শক্তভাবে কথা বলতে হবে। তবে বর্ডার পাহারা বিএসএফ দেবেই, পাখি ছাড়া যে কাউকে গুলি করবে, কারণ কে যাত্রা দেখতে যাচ্ছে আর কে সাতবোনের সংসারে আগুণ ধরাতে যাচ্ছে, জওয়ান কিভাবে বুঝবে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডদের ক্ষেত্রেও একি ব্যাপার। ব্যাপারটা দুই পেশে, তাই কথা বলতে হবে দ্রুত সময় নষ্ট না করে।বেশীকথা বলার বড়াপ্পান পিনাক কিংবা মরিয়ার্টির ওভার স্মার্টনেস বশত।এরকম হলেই ধুয়ে দিতে হবে আর কি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
খুব অবাক হলাম। বিডিআর কবে কোন ভারতীয়কে গুলি করে মেরেছে? একটা উদাহরণ দিন।
আমি বলছি সীমান্ত পাহারা দেবার কড়াকড়ির প্রয়োজনের কথা,দুই পক্ষেরি কড়া হওয়া দরকার। অন্যায় হত্যাকান্ডের বিচার হওয়া জরুরী। আবার এমনদিন আসতে পারে ইইউএর মত সভ্য একটা ব্যবস্থা দক্ষিণ এশিয়ায় আসতে পারে, তখন সীমান্তে আর বুল ডগ বসানো নাও লাগতে পারে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ভারত মানে প্রত্যেক বছর বুকার,তথ্যপ্রযুক্তির গ্রাম, আবার দলিতের মাটি খেয়ে বাঁচা, দক্ষিণ এশিয়ার দাদা যাকে কেউ মানে না। পশ্চিম পাত্তা দেয় কারণ ভারত পড়ুয়া মানুষের দেশ, নাসাতেও লাগে,জনহপকিনসেও লাগে। একবার দিল্লীর জওহরলাল নেহেরু ইউনি বাসে মলিন পোশাক পরা লোককে দেখে ভাবলাম হয়ত বাস ছাড়ার পর মাজন বেচবে, পরে বুঝলাম সাংবাদিকতা বিভাগের হেড। বুঝলাম বাঁচতে হলে পড়তে হবে, ময়ূর পুচ্ছ পরে আর কত আমার কাক চেহারা ঢাকবো বা দম্ভের এইডস নিয়ে বাঁচবো আর ছড়াবো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
উত্তর পেলাম। ধন্যবাদ।
জাতীয়তাবাদের বাইরে গেলেই কিন্তু ভারত-এর মানে পাল্টে যায়। আমি শুধু সেই ঈঙ্গিতই করেছি। আর জাতীয় দম্ভ - জিঙ্গোইজম - এইসবের চর্চা যথার্থ প্রগতির চিরকালীন অন্তরায়।
ভারতের সুবিধাভোগী শ্রেণীও গণমানুষকে জাতীয়তাবাদী বটিকা খাইয়ে বুঁদ করে রেখেছি। এই বছরে পাঞ্জাবের ওয়াগা বর্ডারে যাবার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে দেখেছি সাধারণ মানুষকে কতটা জাতীয়তাবাদনেশাগ্রস্ত।
আপনার ভাবনায় সহমত।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ক্যামনে ক্যামনে যেন ভারত শিক্ষার মূল্য বুঝে ফেলসে। এইটা একটা রহস্য। এই রহস্য উদঘাটন করা উচিত।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নেহেরু তারপর এপিজে কালাম অথবা মনমোহন, এদিকে জ্যোতিবাবু,বুদ্ধবাবু, দক্ষিণে চন্দ্রনাথ নাইডু, আর পুজোর বাজার ফর্দে বই কেনার সমাজদর্শন। সিম্পল লিভিং হাই থিংকিং, মারুতি, নট আ প্রাডো টু ডিসপ্লে সাকসেস অর প্রাইড।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আচ্ছা আপনিও কি সামগ্রীক প্রগতিতে বিশেষ ব্যক্তির অবদানকে অপরিহার্য নিয়ামক মনে করেন? মন্তব্য দেখে এমন মনে হলো। আমি কিছুটা এরকম ভাবি। অনেকে আবার মনে করে সোশাল একটা ট্রেন্ড থাকলে এমনিতেই হয়। অগ্রপথিক টাইপ কিছু দরকার নেই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নেহেরু যখন ভারতের ইঞ্জিনিয়ারদের জার্মানি পাঠালেন, আইয়ুব খান বললেন পাকিস্তানের প্রকৌশলীরা যাবে কিন্তু উপার্জন সরকারি কোষে জমা দিতে হবে, এর চেয়ে বড় কৌতুক শুনিনি কখনো,শুধু ব্যক্তি নেহেরু ভারত এক্সপ্রেসটিকে পৌঁছে দিলেন পশ্চিমে। আর শিক্ষার ক্ষেত্রে ওদের সামাজিক উতসাহ বরাবরি।ফলে ওদের ব্যাটে বলে হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
মাসকাওয়াথ ভাই নিশ্চয়ই জ়ে.এন . দীক্ষিত এর 'Liberation and Beyound: Indo-Bangladesh Relations' পড়েছেন।
মাত্র সেদিন পড়লাম আমি। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বেশ নির্মোহ উন্মোচন। ভালো লেগেছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধন্যবাদ, বইটা পড়ে ফেলবো শীঘ্রই।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আর বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরই শালুক ফুল তুলতে গিয়ে গুলিতে নিহত কিশোরী? সে কিন্তু একা নয়। আরো আছে। অনেক।
আলাপ অবশ্যই করতে হবে। আলাপ যে হচ্ছে না তা নয়, কিন্তু যখন বিডিয়ার-বিএসএফ ফ্ল্যাগ মিটিং এর সময়ই বিএসএফের সুরক্ষায় ভারতীয় খাসিয়ারা এসে জমি চাষ করে যায়? সেটা? আপনি আলাপ করতে চান, উত্তম প্রস্তাব। ভারত কি সেটা চায়? গায়ের জোর খাটলে কে কবে আলাপ করেছে? ভারত নিজে যেই বৃক্ষই লাভ করুক, আমার বেলায় যদি সে হাতের কাছে কেবল বাঁশ ঝাড় খুঁজতে থাকে তাই তার নির্বাণ লাভের খবরে আমার কি সুফল?
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
আমি জানি ভারতের অযাচিত দাদাগিরির অনেক নমুনা আছে, কিন্তু আলোচনার টেবিলে এই দাদাগিরিকে চ্যালেঞ্জ না করলে অবস্থা বদলাবে না।ভারত যখন যে অন্যায় করে তার জবাব দেয়া হয় মিডিয়ায়, ব্লগে। এই কাউন্টার হেজিমনির শক্তি বাড়ছে, দেশে দেশে বাংলাদেশের ছাত্রদের মেধা দেখে বিস্মিত হয় ভারতীয় ছাত্ররা। লড়াইটা শেষ পর্যন্ত মেধার।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনি সম্ভবত খবর ফলো করেন না। বিএসএফ লাশ ফেলার পর পতাকা বৈঠকের আহ্ববানে খুব কমই সাড়া দেয়। দু'দিন দেরী করে লাশ ফেরত দেয় কেবল।
খবর ফলো করেই দুবেলা দ্যুজ্ঞা ভাত জোটে। তবে শিক্ষক বললে ছাত্রকে সজাগ হতে হবে। বিএসএফ এর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আপনিওতো দুচারটে মেইল করতে পারেন এই হাফরেড ছাত্রকে। আমি স্যার বলতে চাচ্ছি ভারতজুজু কাটিয়ে সাহস আর মেধা দিয়ে ভারতকে তার ভুলের জন্য চ্যালেঞ্জ করার কথা।
অযথা ভারত জুজু রাজনীতি না করে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনি ঠাট্টা করে বললে ঠিক আছে। টিপ্পনী কেটে বললে আপত্তি আছে। সচলে আমার পেশার পরিচয় নিজে থেকে কখনো দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। পেশার প্রিভিলেজ কামনা করেও কিছু বলিনি কখনও। কারো লেখায় মন্তব্য করতে গেলেও লেখাটার বিচারই করি। ভাল থাকুন।
সচলায়তন নিরন্তর আড্ডাক্যাফে বা স্টুডিও,ব্লগবন্ধুতার প্রিভিলেজ নেবার জায়গা,আর টিপ্পনী শব্দটা আমার অভিধানে নেই, আপনার এর নীচের মন্তব্যটাকে মজা হিসেবে নিলাম সঙ্গত কারণেই, আমাদের প্রজন্মে ইগো কম, নাই বললেই চলে,সেই ভরসাতেই আড্ডা দিতে আসা। ভালো থাকবেন। বাই দ্য ওয়ে আমি আমার সব শিক্ষক বন্ধুকেই স্যার বলে ডাকি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনার কাছে পরবর্তীতে আরেকটা লেখা চাই: 'কেন এই ভারত তোষণ' শিরোনামে।
আপনি হয় খুব রেগে গ্যাছেন কিংবা নেহাত আড্ডার মজা করছেন।
ভারতের কথা আর কী বলিবো,প্রভাতে লুচি-রসগোল্লা, দুপুরে অষ্টব্যাঞ্জন,সাঁঝে কিং ফিশার,রাতে বিপাশা বসুর সহিত হ্যাং আউট।তাই অমন গদগদ হইয়া তোষণ। কী করিব, রাজশাহীর সাঁওতাল, রংরূপরস মৃগয়া মজ্জাগত। চলবে---
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
রাগ করিনি। ঠাট্টাও করিনি। আপনার লেখাটার উপসংহার যতটা দৃঢ়, শুরুটা তত দুর্বল। কেন একটু বলার চেষ্টা করি। (সাংবাদিক নই তাই সন তারিখ এদিক সেদিক হলে মাফ করবেন)।
০. আমি ভারতের অন্যায় আচরণে ক্ষুব্ধ হই, প্রকাশের সুযোগ থাকলে তা প্রকাশ করি। আমি ভারত রাষ্ট্রের বিরোধিতা করি না, কেবল তার প্রতিবেশীর প্রতি অন্যায়ের বিরোধিতা করি, এতে যদি আমাকে ভারতবিরোধী মনে হয় হোক।
১. ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছে, ইচ্ছে করলে পুরো দেশ দখল করে নিতে পারত- এটা অনেক পুরনো যুক্তি, এবং অনেকটা ব্ল্যাকমেইলিং যুক্তি। বাংলাদেশের যেকোন সুবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ভারতের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। জামাতিরা করে না। স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা ভারতের অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ছিল, এখন সেটা শোধ করতে হবে তা আমি বিশ্বাস করি না। কেন করি না?
দশ-মাস দুবেলা খাবার খেয়ে, অকৃতজ্ঞ না হয়েও কুণ্ঠ কণ্ঠে বলি যে, শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, মানবিক কারণেই। বাংলাদেশ ৩+ লাখ রোহিঙ্গাকে এখনও আশ্রয় দিচ্ছে।
ভারতের উপকারের প্রতিদান আমরা দিতে পারিনি। সেটা অক্ষমতা হতে পারে, কিন্তু ভারতের অন্যায় আচরণ সহ্য করার কারণ হতে পারে না। ৮৮এর বন্যায়, এবং ৯০/৯১ ঘূর্ণীঝড়ে দুর্গতদের মাঝে খাবার পাঠানোর জন্য হেলিকপ্টার দিয়েছিল ইরাক। ওই হেলিকপ্টার না পেলে বহু মানুষ মারা পড়ত। আর বিনিময়ে, ইরাক অবরোধের সময় আমরা আমেরিকার পক্ষ নিয়েছি। এটা যতটা অকৃতজ্ঞতা তার চেয়ে বেশী অভাবী আচরণ।
২. জুজুবাজী করে না এমন কোন গোষ্ঠী/দল দেশে নেই। ছোটবেলার একটা শ্লোগান মনে পড়ে। জিয়া যদি বাঁচতে চাও / তালপট্টি ছেড়ে দাও। ফারাক্কা বাধ পরীক্ষা করার সম্মতি দিয়ে বঙ্গবন্ধু ভুল করেছিলেন, এটা আমি এখনও বিশ্বাস করি। নিজ দেশের সর্বনাশ করে ভারতের সুবিধা হতে পারে না। আর ভাসানীকে ডিসক্রেডিট করার জন্য সম্প্রতি একটা প্রজেক্টই মনে হয় শুরু হয়ে গেছে। তালপট্টি এখন নেই, জিয়া কি সেটার মালিকানা দাবী করে ভুল করেছিলেন?
এরশাদের সময় যে কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হাসিনা/খালেদার দল একটা কথা খুব চালাত: এরশাদ আটখোরা, এ জন্যই এ বিপদ।
খালেদার ভারত জুজুর উত্তর হাসিনা দিয়েছিলেন আরেকটা জুজুর মাধ্যমে; মিগ-২৯ কিনে।
৩. ভারত কি বাংলাদেশের বন্ধু? একথাটার উত্তর মিলবে স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের আচরণে, বাংলাদেশের সাথে নেয়া পলিসিতে। আদমজী বন্ধ হয়েছিল বিশ্বব্যাংকের সাজেশনে, প্রফুল্ল প্যাটেল ছিলেন তখন কান্ট্রি ডিরেক্টর। আদমজী বন্ধ হওয়ার ক'বছরে ভারতীয় সীমান্ত ঘেষে ডজন খানেক পাটকল বসেছে- প্রথম আলোই মনে হয় এমন খবর দিলো সেদিন। বাংলাদেশের সাথে ভারতের বাণিজ্য বৈষম্যের কথা হিসেব করলে মাথা ঘুরে যাবে। সাইফুর রহমান সেটা পাহাড় পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। এরকম অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে।
৪. আমাদের কেউ কেউ যেমন ভারতের আচরণে অন্যায় খুঁজে পায়, অনেকে আবার শত যুক্তি, কথার প্যাঁচ দিয়ে সেটার ভাল দিক খোঁজে। টিপাইবাঁধ নিয়েই দেখবেন। আমি টিপাইবাঁধের বিরোধী- তার মানে ভারত বিরোধী। এখন যারা ছলে-বলে বলছে, বাধ হয়নি এখনো, খুব একটা ক্ষতি হবে না, ক্ষতি হয় এমন কিছু ভারত করবে না- এদের কি ভারতের তোষামদকারী বলা যায় না?
৫. ভারতের সাত রাজ্যের স্বাধীনতা আন্দোলনে আমাদের দুটি দলের ভূমিকা স্পষ্ট। ঠিক ততটাই অস্পষ্ট ভারতের অবস্থান যখন বাংলাদেশ থেকে পালানো হাজার অপরাধীকে তারা আশ্রয় দেয়।
৬. ট্রান্সশিপমেন্টের কথা বলেছেন। ভারত খুব অল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়নের। সেই ঋণের চুক্তিতে যে ভারত পেনাল্টি ক্লজ জুড়ে দিয়েছি সেটা বোধ হয় অবগত নন। ভারত বিদ্যুৎ দিচ্ছে। শর্ত দিচ্ছে, কী রেটে বিদ্যুৎ দেয়া হবে সেটা ভারত একতরফাভাবে নির্ধারণ করবে।
৭. ভারতের বিরোধিতা করার শক্তি বাংলাদেশের নেই। খালেদা জিয়া চীন/বার্মা সফর করে একটা চেষ্টা দিয়েছিলেন, ঠিক তখনই সীমান্তে ডজনে ডজনে লাশ পড়েছে। খালেদা পারেনি। হাসিনাও পারবে না। এখানে আপনার কথা সত্য: যদ্দিন না আমাদের লবিং পাওয়ার হবে তদ্দিন সেটা হতে থাকবে। তার আগ পর্যন্ত আমার মতো অক্ষম মানুষ সুযোগ পেলে ভারতের অন্যায় আচরণের বিরোধিতা করবে।
ধন্যবাদ আপনার এই ঋজু বিশ্লেষণের জন্য, একনজরে এই তথ্যগুলো এনে দেবার জন্য। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ভারতের সাথে সম্মানজনক সম্পর্ক কোন প্রতিবেশির আছে বলে মনে হয় না।
এটা পুরোটা মানতে পারলাম না। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অনেক ব্যাপারে ভারত দুর্দান্ত সাফল্য দেখিয়েছে নিঃসন্দেহে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে ভারত এখন তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশ, যেটার অনুন্নত অংশের পরিমাণ বিশাল। আমরা ব্যাপকহারে এমআইটি গ্র্যাজুয়েট তৈরি করলে বা তথ্য প্রযুক্তিবিদ তৈরি করে সাফল্য দেখালেই যে আমাদের ভারত সমীহ করবে সেটা আমার মনে হয় না।
বাংলাদেশ বিষয়ের ভারতীয়দের (সবাই নয় অবশ্যই) রয়েছে বিশাল অজ্ঞতা এবং অনেকাংশে সেই অজ্ঞতাই তাদের "দাদাসুলভ" মনোভাবটা তৈরি করেছে। আমি যখন প্রথম আসি আমেরিকাতে, তখনও তসলিমা নাসরিনের খবর তাওয়া গরম রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় ছাত্রদের ধারণা ছিল, বাংলাদেশ পুরো মৌলবাদী একটা দেশ এবং তসলিমার বিরুদ্ধে আদালতের মৃত্যুদন্ডের রায় আছে, এবং ভারত এখানে মহান ত্রাতা এক দেশ, যারা রুখে দাঁড়িয়েছে তসলিমার পক্ষে।
গতকাল বিএসএফের গুলি নিয়ে করা একজনের মন্তব্য পড়ে মনে হল, বিএসএফ সম্বন্ধে তাঁদের ধারণা ইউএস মেরিনের কাছাকাছি এবং ঈর্ষান্বিত হয়ে আমরা এসব কথা বলছি কেননা ভারত প্রায় আমেরিকার সমপর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
আমি প্রতিদিন ভারতীয়দের সাথে কাজ করি, ভারতে আমাদের ব্যাঙ্গালোর অফিসের সাথেও আমার যোগাযোগ প্রচুর, ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভারতীয় বন্ধু আছে আমার, এতকিছু পরেও আমার মনে হয়েছে, ওদের আমজনতার অজ্ঞানতা আছে প্রতিবেশির ব্যাপারে, যদিও ওরা প্রচুর বই পড়ে, ফরাসী বিপ্লব সম্বন্ধে অনেক কিছুই জানে, কিন্তু দেশের পাশেই কী হচ্ছে এটা জানার প্রয়োজন পর্যন্ত বোধ করে না।
একটা ব্যাপার বলতেই হয়, ভারতে ডিপ্লোম্যাটিক মেশিনটা খুবই স্ট্রং। দেশের একটা দারুণ ভাবমূর্তি তৈরি করেছে তারা, নইলে গুজরাটের মত নৃশংস ঘটনার পরে পার পাওয়া কঠিন ছিল।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইউরোপ-আমেরিকার বাইরে প্রতিবেশীর সাথে সম্মানজনক সম্পর্ক একেবারে সোনার পাথরবাটির মত। এশিয়া তাও আফ্রিকার থেকে এ বিষয়ে কিঞ্চিৎ এগিয়ে আছে। কাকে ছেড়ে কাকে বলবেন? তুলনামূলকভাবে ভাল সম্পর্ক এশিয়াতে আসিয়ান দেশগুলোতে, তাদের মধ্যে যুদ্ধের ইতিহাস অবশ্য কম লম্বা নয়। থাইল্যান্ড মালয়েশিয়ার বিবাদ দক্ষিণের থাই প্রদেশগুলোর সমস্যা নিয়ে, মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া সমস্যা একাধিক দ্বীপ নিয়ে। আর ভিয়েতনাম-চিন ১৯৭৯ সালের যুদ্ধের পর থেকে আদায়-কাঁচকলায়, সাথে আছে ফিলিপাইন্সের সাথে ঝামেলা স্পার্টি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে। ফিলিপাইন্সের সাথে ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্ক খারাপ কারণ দক্ষিণ ফিলিপিনো বিচ্ছিন্নতাবাদ। পূর্ব এশিয়ায় জাপানকে ঘৃণা করা বেড়ে চলেছে, আমি সাংহাই থাকা কালে ৬ ও ৯ই অগস্ট (পরমাণু বোমা ফেলার দিনদুটো) চিনাদের বলতে শুনেছি যে বোমা না পড়লে তাদের অনেকদিন হয়ত জাপানের দখলে থেকে যেতে হত। এখনও দুদিন পরপর তুচ্ছ ঘটনায় চিন/কোরিয়া-জাপান সম্পর্কের ফাটল বোঝা যায়। তাইওয়ানের সাথে চিনের সম্পর্ক নিয়ে কোনো মন্তব্য করলে আমার কমেন্ট তো আবার চিনদেশে পড়াই যাবে না। যাই মধ্য এশিয়ায়, দুদিন আগে কিরঘিজরা উজবেকদের ওপর সরকারী মদতে যে জেনোসাইড চালাল এর পরে কি কিরঘিজ-উজবেক সম্পর্ক ভাল থাকবে? আসুন পশ্চিম এশিয়ায়। সেখানে তো এক ইজরায়েল একাই জগত আলো করে বসে আছে। তার ওপর আছে ইরাক-ইরান, সৌদি-ইরান দ্বন্দ্ব। ইরাক-ইরানের আট-বছরব্যাপী যুদ্ধ ভোলার নয়, ইরানের সাড়ে চারশো হজযাত্রীদের জালিয়ানওয়ালাবাগের মত ঘিরে ধরে সৌদি পুলিশ গুলি চালিয়ে মেরে ফেলার পরে সৌদির সাথে ইরানের সম্পর্ক ভাল নয়। ঘরে ফিরে বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের সম্পর্ক কেমন? কদিন আগেই তো মুখোমুখি যুদ্ধজাহাজ দাঁড়িয়ে ছিল। আর কে বাকি রইল?
আরো মজাদার হল মানুষ এই বিবাদের জন্য পশ্চিমা ষড়যন্ত্রকে দায়ী করে। মার্কিন মুলুকে এই দেশগুলোর নাম ও অবস্থান ৯৯% লোকে জানেই না। সি-আই-এ ও তার কয়েক হাজার চ্যালাচামুন্ডা যদি হাজার হাজার বছর পাশাপাশি দেশগুলোর মধ্যে ঝামেলা লাগিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট হয়, তাহলে বৃথাই আমরা আমাদের মেধা আর মননের বড়াই করি।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সত্যিইতো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
১) উদ্ধৃতি- "ভারতের কাছ থেকে সম্ভ্রম আশা করতে গেলে এখন এমআইটিতে হার্ভার্ডে কিছু করে দেখাতে হবে ... ..."
- সেটা করতে পারলে শুধু ভারতের নয়, সবার-ই সম্ভ্রম পাওয়া যাবে। আর আমরা যদি top uni. গুলো-তে presence তৈরি করতে পারি, সেটা সবার জন্য-ই ভালো।
২)উদ্ধৃতি- "বাংলাদেশ বিষয়ের ভারতীয়দের ... অজ্ঞতা" ; আমিও দেখেছি এমনকি কোলকাতার অনেকে বাংলাদেশ এবং আমাদের কালচার সম্পরকে আজব আজব ধারনা পোষন করে। এটা কেন হয় আমি বুঝতে পারিনি। মনে হয় যোগাযোগ-এর অভাব ।
তাসনীম ভাই ভারত আমাদের জ্ঞানী শত্রু, মুর্খ বন্ধুদের চেয়ে ভালো। বলতে পারেন দুর্জন জ্ঞানী হলেও পরিত্যাজ্য। কিন্তু নদীর পানি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ,দাদাগিরি বন্ধ এসব প্রয়োজনে ওদের অজানা বাংলাদেশের শক্তিটাকেই সামনে আনতে হবে, আপনি ভারতীয়দের সঙ্গে কাজ করেন, আমারো এই অভিজ্ঞতা আছে,ওরা খুব প্রতিযোগিতা প্রবণ, তাই ওদের সামনে নিজের কাজ আর বাংলাদেশের শক্তির পরিচয় না দেয়া পর্যন্ত ওরা বন্ধু হয়না। এই মেধার প্রতিযোগিতায় ঘোষণা দিয়ে নামা ছাড়া আমি কোন বিকল্প দেখিনা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
মেধা ও মননের উন্নতি করার চেষ্টাটা আমাদের সবারই করা উচিত, ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় দুই পর্যায়ে। সেটার পেছনের কারণ ভারতের সমীহ আদায় করা নয়, বরং কারণটা হওয়া উচিত নিজের উন্নয়ন।
নিজেরা উৎকৃষ্ট হলে অনেক সমস্যার সমাধানই হয়ে যাবে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
- যেখানে মেধার ব্যাপার সেখানে আপনার আগের একটা লেখাতেই সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে কারা বেশি মেধাবী!
বিএসএফ বর্ডার গার্ড দিবে, তাতে তো আমাদের আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু যখন এখজন বিএসএফ সদস্য গভীর রাতে মাতাল অবস্থায় বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়ে কৃষকের বাড়িতে গুলি চালায় বৃষ্টির মতো, তখন তো আপত্তির ব্যাপারটা এসেই যায়।
কবে কোন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি বর্ডার গার্ডের জোয়ানেরা সশস্ত্রাবস্থায় ভারতের সীমানায় ঢুকেছে বাংলাদেশীদের নিয়ে তাদের পুকুরে মাছ ধরতে! কবে নো-ম্যানস ল্যান্ডে ভারতীয়কে গুলি করে ফেলে রেখেছে! কবে কোন বিএসএফ জোয়ানকে তুলে নিয়ে এসেছে এ পাড়! কবে ভারতের খাসিয়া পল্লীর বিয়ে বাড়িতে ঢুকে গিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে! কবে বে-আইনীভাবে ভারতের সীমানায় খাল কেটেছে! কবে বিনা উষ্কানীতে সীমান্তে ভারী অস্ত্র জমা করেছে! আমরা যেভাবে আমাদের বাহিনীর সমালোচনা করি, ভারতের কোন মিডিয়ায়, কবে সেরকম সমালোচনা এসেছে তাদের বিএসএফ'এর নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে!
[প্রসঙ্গতঃ এই লিংকটা রেখে দিলাম]
এতো কিছুর পরেও বিডিআর-বিএসএফ "দুই-পেশে" পরিস্থিতি কী করে হয়!
ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে, এটা কোনোদিন বিস্মৃত হবো না। সেই উত্তাল দিনগুলোতে আমাদের পূর্ব প্রজন্মকে খাইয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে- সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো সেজন্য। কিন্তু
এগুলো ভারত বিরোধিতা না, ভারতের সমালোচনা, তাদের সো-কল্ড সচেতন জনগোষ্ঠীর সমালোচনা। বাংলাদেশকে গোটা ভারতই এতিম ভাবে। এই ভাবটানাও জাস্টিফাইড। আমরাই সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
আর ভারত জুজুর ভয় দেখানোর কথা যদি আসে তো বলবো, এই জুজু তারাই দেখায় যাদের ঘরে গোটা বিশেক ভারতীয় টিভি চ্যানেল চলে। যারা বাংলার মাঝে হিন্দি না ঢুকিয়ে বললে ঠিক তৃপ্তি পায় না। যারা একজন ভারতীয় দেখলেই আবেগে গদগদ হয়ে হিন্দিতে কথা শুরু করে দেয়! এদের মুখেই ভারত বিরোধী কথা শুনে শুনে আমরা অভ্যস্ত। তাই কোনটা সমালোচনা, আর কোনটা বিরোধী জুজুর ভয়, সেই পার্থক্য নিরূপণে আমরা প্রায়ই ভুল করি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার পুরোনো একটা পোষ্ট এ কিছু কথা বলতে চাইছিলাম গত পরশু দিন, কিন্তু কোনো কারনবশত আমার কম্পিউটার এ ওই পাতাটি আর খুলতে পারছিলাম না। আজ আপনার দেওয়া লিঙ্কটা দেখে আবার কিছু বলতে ইচ্ছা হল।
আপনার দেওয়া লিঙ্ক এ গিয়ে প্রথম পাতায় যে পোষ্টগুলি পেলাম তার কিছু অংশ এরকম-
১) "... দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ভাইগড় সীমান্তে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ‘গুলিতে’ এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত অকিম উদ্দিন (২০) একজন গরু ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।.........শুক্রবার রাত তিনটার দিকে সীমান্তের ২৯১ নম্বর মেইন পিলারের ১৩ নম্বর সাব-পিলার এলাকার ৩০০ গজ ভারতীয় সীমানায় এ ঘটনা ঘটে..."
২) "...দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা সীমান্তে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে অকিমউদ্দিন (২০) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি জোতবানী ইউনিয়নের চকশুলবন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।..."
৩) "...জানা গেছে, ভোরে ফারুক (২৫) সীমান্তের মেইন পিলার ৬৫-র ১১-এফ পিলার অতিক্রম করে নো-ম্যানস ল্যান্ডে পৌঁছালে ভারতের কাহারপাড়া ফাঁড়ির বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন..."
আচ্ছা খবরগুলির মাঝে কিছু কমন শব্দগুলো কখনো লক্ষ করেছেন? এই যেমন কিছু বিশেষ ধরনের "ব্যাবসায়ী" অথবা কিছু বিশেষ সময় এর কথা।
আবার পাতাটির একেবারে শেষ প্রান্তে একটি বোল্ড করা লাইন দেখতে পেলাম এরকম...
"অকারণে বাংলাদেশিদের ওপর গুলি বর্ষণ না করার বিষয়ে উভয় পক্ষ মতৈক্যে পৌঁছেছে"
চশমা কিন্তু আসলে একটা ভার্চুয়াল ইমেজ এর সৃষ্টি করে, দর্শক এর চাহিদা বা সুবিধা অনুযায়ী, তাই না?
'বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে বি ডি আর এর গুলিবর্ষন' এ জাতীয় খবর কখনো প্রথম আলোতে দেখেছেন? আনন্দবাজার খুললে কিন্তু দেখতে পেতেন!
পোষ্টদাতার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী অফটপিক মন্তব্য করার জন্য।
প্রসূন, আপনি আনন্দবাজারে প্রকাশিত বিডিআরের হাতে ভারতীয় নাগরিকের নিহত বা আহত হবার খবরগুলো যোগাড় করে একটা ব্লগে তুলে দিন না কেন? তাহলেই তো হিসাবটা স্পষ্ট আর দৃশ্যমান হয়।
এটা বোধ হয় আমার পক্ষে অসম্ভব একটা কাজ। (অন্তত আমার যা টেকনিকাল নলেজ) পারলেও আপনার ফিগার 'এক্স' এর বিপরীতে আমার ফিগার 'ওয়াই' এক্ষেত্রে আদৌ কোনো তাৎপর্য বহন করে কি? আর কথাও সেটা নয় আমার প্রশ্ন ছিল ঘটনা প্রবাহ নিয়ে আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গী সম্পর্কে। আমার বক্তব্য ছিল জাতীয়তাবাদের চশমা ভালো জিনিস কিন্তু চোখের সামনে একটা নির্জলা সত্য দেখার পরেও সেটা অস্বীকার করাটা ঠিক কিনা?
আপনি নিজে কি জাতীয়তাবাদের চশমাখানা খুলে প্রশ্নটা করতে পারছেন? আপনার মন্তব্যগুলো আবার পড়ে দেখুন।
আপনার পক্ষে অসম্ভব হলে আপনার কোনো বন্ধুকে অনুরোধ করে দেখুন। এক্স-ওয়াই যদি তাৎপর্য বহন না-ই করে, ওয়াইয়ের প্রসঙ্গ উঠলো কেন?
আপনি প্রথমে বলতে চাইলেন, "আরে আপনাদের বিডিয়ারও কি কম গুলিবাজি করে নাকি?" সাবস্ট্যানশিয়েট করার অনুরোধ করলাম, খাটনির কাজ দেখে সটকে পড়ে জাতীয়তাবাদের চশমা পরিয়ে দিচ্ছেন।
নির্জলা সত্যটা কী প্রসূন? নির্জলা সত্যটা কি এ-ই নয়, যে চাইলেই বিএসএফ জানে মারার বদলে আহত করতে পারে? দাঙ্গা লাগলে তো পুলিশ রাবার বুলেট ছোঁড়ে। আর নির্জলা সত্য আরো বোঝা যাবে বিডিআরের আচরণ দেখেও। যান, একটু গুণে এসে আমাদের জানান, সীমান্তে ভারতের মাটিতে কয়জন ভারতীয় বিডিআরের গুলিতে মারা গেছে গত মাসে, গত বছরে। অঙ্কটা শুনি, শুনে নির্জলা সত্যের নানা চেহারা দেখি।
কাসাবের যুক্তি দিচ্ছেন, কাসাবের মতো লোকজনের বেলায় আপনাদের বিএসএফ তো কচুটাও করতে পারে না। যত বাহাদুরি সব এই সীমান্তে।
আপনাদের জওয়ান আরপি সিং মদ খেয়ে বাংলাদেশে হাতিয়ার নিয়ে ঢুকে একটা বাচ্চা ছেলেকে গুলি করে মেরেছে, তার মাকে রেপ করতে না পেরে গুলি করে মেরেছে, মহিলার স্বামীর নাভিতে গুলি করেছে। তারপরও লোকজন তাকে জানে মারেনি, পিটিয়ে বিডিআরের হাতেই তুলে দিয়েছে, বিডিআর তাকে বিএসএফের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। আর আপনি আসেন নিরাপত্তার গল্প শোনাতে।
নির্জলা সত্যটা হচ্ছে প্রসূন, হাতিয়ার হাতে নিয়ে আপনি কাউকে প্রাণে মারতে চান কি চান না, সেটাই ম্যাটার করে। ইচ্ছাটা যেখানে বড়, অজুহাতের সেখানে অভাব নেই।
একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেল বোধ হয় হিমু।
এই কথার পরিপেক্ষিতে আমি জানতে চেয়েছিলাম আনন্দবাজারে বিডিয়ার এর যেরকম সমালোচনা বের হয় তা প্রথম আলোতে হয় কিনা? একটা দেশ এর কোনো ইস্যুতে সমালোচনা সেই দেশের মিডিয়া আর অন্য দেশ এর মিডিয়াতে একইভাবে হয় কিনা?
আর শেষ কথার পরিপেক্ষিতে বলি- ইচ্ছেটাই যদি বড় হবে তাহলে সেটা এত সিলেক্টিভ কেনো? কেনো গরু পাচারকারীরাই বেশী মারা যায়?
মনে করুন, প্রথম আলো বিডিআরের সব দোষত্রুটি কার্পেটের নিচে চাপা দিয়ে দেয়। আবার আনন্দবাজারও বিএসএফের সব দোষত্রুটি চেপেচুপে রাখে। কোনো সমস্যা তো নেই। আসুন দু'টো এক করে বিগার পিকচারটা দেখি।
আরেকটা ব্যাপার দেখুন, "গরু পাচারকারীরাই বেশি মরে", এটা কিন্তু আপনিই এসে বলছেন। আপনি একটা কাজ করুন না, যে লিঙ্কটা ধরে আপনি বলছেন এ কথা, সেখানে একটু গুণে দেখুন, সবাই গরু পাচারকারী কি না, আর সবাই ভারতের মাটিতে মরেছে কি না। আর গরু পাচারকারীরা যে কোনো আকাম করে না, সেটাও আমি বা আমাদের কেউ বলছে না। কিন্তু যে কাসাবের উদাহরণ আপনি টানছেন, সেই কাসাবকেও আপনাদের ন্যাশনাল গার্ড কিন্তু গুলি করে মারেনি। চিকিৎসা করে আদালতে তুলে বিচার করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আর বিএসএফের অটোমেটিক রাইফেলের মুখোমুখি কোমরে পাইপগান গোঁজা কিশোরের গুলি খেয়ে মরাকে আপনি নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে হালাল করে দিলেন।
একটা প্রশ্ন। গরু-চোরাচালানে কি ভারতের আপত্তি আছে? হরিয়ানার যে দরিদ্র কৃষকটি নিজের দেশে গরুটাকে বেচতে না পেরে সেটাকে হাজার হাজার কিলোমিটার পার করতে পাঠিয়ে দেয়, সেও কি তাহলে এই "অন্যায়ের" ভাগিদার? এই হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে গরুগুলো নিশ্চয়ই বিএসএফ কমাণ্ডারের বাংলোর গুলঞ্চ গাছের গোড়ায় গোবর ছাড়তে আসে না, তাই না? আপনি যদি গরুচালানকে অপরাধ আর গরুচালানিকে মারাত্মক অপরাধী হিসেবেই দেখাতে চান, তাহলে আমাকে বলুন, কাসাবের ছোটভাইকে যারা গরুর সাথে বয়ে আনে, তাদের ক'জনকে বিএসএফ গুলি করে মেরেছে এ পর্যন্ত? নাকি যে লোকটা বাংলাদেশ থেকে গরুগুলো আনতে যায়, দোষটা কেবল তারই?
গরু "পাচার" ব্যাপারটা ঘোলাটে করে দিয়েছে ভারতের সংবিধান। আটচল্লিশ নম্বর ধারা অনুসারে --
"The State shall endeavour to organise agriculture and animal husbandry on modern and scientific lines and shall, in particular, take steps for preserving and improving the breeds, and prohibiting the slaughter, of cows and calves and other milch and draught cattle."
সুতরাং সংবিধান পরিবর্তন না হওয়া অবধি গরু "পাচার" হতে থাকবে, গরু নিয়ে ব্যবসা হবে না। মজার কথা বিফ এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বে তৃতীয়। গরু থেকে একবার বিফ বানিয়ে ফেলতে পারলে এক্সপোর্টে মনে হয় কোনো সমস্যা নেই।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সেটাই তো চাইছি। কিন্তু আপনারা তো স্বীকারই করতে চান না বাংলাদেশ এর কোনো এলিমেন্ট ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। অথচ প্রকাশ্যেই ভারতে ট্রাকভর্তি অস্ত্র পাঠাবার যৌক্তিকতা সহ সমর্থন যোগাচ্ছেন।
সেটা তো ধরা পরলে। আর পালানোর চেস্টা করলে অথবা ধরতে পারার পরিস্থিতি না থাকলে? কাসাব এর বাকী সাথীরা সব কিন্তু গুলি খেয়েই মরেছে। আবার ধূসর গোধূলির ওই পোষ্টেই দেখেছিলাম ভারতীয় কতৃপক্ষের হাতে ৩১(সঠিক সংখ্যাটা মনে পড়ছে না) জন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে কেউ মন্তব্য দিয়েছেন।
এবার তো আমার সন্দেহ হচ্ছে আপনি আদৌ "চোরাচালান" জিনিসটা যে কি সেটা বোঝেন কিনা?
কথাটা কি টুপির নিচ থেকেই বের করলেন না? তাকান আমাদের মিডিয়ার দিকে, আমরাই এই ট্রাকভর্তি অস্ত্র আটকেছি, কারা পাচার করলো তদন্ত করছি, যারা দায়ী তাদের শাস্তির উদ্যোগ নিচ্ছি। আপনি তো ট্রাকের পর ট্রাক অস্ত্র পাঠিয়ে ভারতের বারোটা বাজানোর অভিযোগের নাকাড়া বাজাচ্ছেন, একটু বলবেন কি, কয়জন বিএসএফ সদস্যকে বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার দায়ে আপনারা বিচারের মুখোমুখি করেছেন? আপনার মতো লোক দিয়েই যদি ভারত বোঝাই থাকে, তাহলে বিচার নয়, মেডেলই জুটবে আরপি সিংদের কপালে।
আপনার মতো চোরাচালান এক্সপার্ট তো আমি নই। কিন্তু এই গরু-পাচার তো বিএসএফের চোখের সামনে দিয়েই হয়। যদি য়্যাতোই বিরাট অপরাধ এটা হয়ে থাকে, হাজারে হাজারে গরু হরিয়ানা থেকে বাংলাদেশে আসার নেটওয়ার্ক তৈরি হয় কীভাবে? যদি গরু-চোরাচালানি মাত্রেই গুলি-করে-নিধনযোগ্য ব্যক্তি হয়ে থাকে, সীমান্তে তো একটা গরুও টপকে আসার কথা নয়। হরিয়ানার দরিদ্র চাষীরও বুড়ো গরুকে ওল্ড হোমে পাঠিয়ে বসে থাকার কথা। বাস্তবে কি তা-ই ঘটে?
ধরা পড়লে বিচার করেন, তা ধরে বিচারই করুন নাহয়। অস্ত্র হাতে ধরা পড়লে বা কনফ্রন্টেশন করলে ধরে বিচার করে ফাঁসি দিন। কিংবা যেমনটা আমাদের মানুষ করেছে আরপি সিঙের বেলায়, বিডিআরের হাতে তুলে দিন অভিযোগসহ।
সেটা আপনি বা আপনারা হয়তো চাইলে পারবেন, প্রসূন, কিন্তু ঐ যে বললাম, ইচ্ছা থাকলে অজুহাত কোনো ব্যাপারই না।
পাইপগানবাহী বাংলাদেশী কিশোরেরা [প্রত্যক্ষদর্শী প্রসূন] যে ভারত রাষ্ট্রকে এত বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে, ভাবতে পারিনি। যে দশ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে আপনি কাঁদতে কাঁদতে পাৎলুন সিক্ত করে ফেলছেন, সেগুলো নিয়ে কেউ ঢুকলে কী যে হতো! একটু কষ্ট করে ধন্যবাদ দিয়ে যাবেন সার্জেন্ট হেলালকে, যিনি ঐ অস্ত্রের চালান আটক করে হাজার হাজার বিএসএফের খাকি প্যান্টের ধোলাই খরচা বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
বেশ, তাহলে শেষ পর্যন্ত এটাই কনক্লুসন দাঁড়াল-
১) আমি একজন চোরাচালান এক্সপার্ট।
২) পাখির মত করে বাংলাদেশী শিকার করার ব্যাপারে আমার কিছু ‘সিলেক্টিভ’ ইচ্ছা আছে।
৩) পাইপগানধারী কিশোর এর ভয়ে (যেহেতু দশ ট্রাক অস্ত্র শেষ পর্যন্ত ঢুকতে পারেনি) পাতলুন ভিজিয়ে ফেলে আমি এখন প্রলাপ বকছি।
ধন্যবাদ, এরকম একজন ব্যাক্তিকে আপনার এতটা সময় দেবার জন্য। ভালো থাকবেন।
- প্রসূন, আপনি এক কাজ করুন, সীমান্তে আরো বেশি বেশি করে সময় কাটান। বিশেষ করে রাত্রি বেলা, "একটা বিশেষ সময়ে"। ভালো করে চোখ রাখুন বাংলাদেশীদের ওপর। ওরা ভারতের সীমান্তে হাগতে যাবার সময় দেখেন লুঙ্গির তলে লুকিয়ে কিংবা লোটার ভেতরে করে "দশ ট্রাক অস্ত্র" নিয়ে গিয়ে আপনার ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে কি না!
এই দৃশ্য অবলোকন করে তারপর আবার আইসেন তর্ক করতে, ত্যানা প্যাচাইতে। পারলে হাতের তালুতে করে হাগতে যাওয়া বাংলাদেশির একটু গু'ও নিয়ে আইসেন, প্রমাণ স্বরূপ!
তার আগে ঠিক জমছে না আপনার ত্যানা প্যাচানি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আনন্দবাজার? ওয়েল, এই পর্যন্ত "বিডিআর-এর বিনা উষ্কানীতে হামলায়" কতোজন ভারতীয় নিরীহ নাগরিক মারা গেছে, আনন্দ বাজারের সেই লিংকটা/লিংকগুলো একটু দেখিয়েন তো। তারপর গোনাগুনতি করে দেখবো নি "বিনা উষ্কানী" বা "গুলি করে মারা"র পাল্লাটা কার দিকে ভারী!
চশমার উদাহরণটা পার্ফেক্ট দিয়েছেন। কিন্তু সেটা আনন্দবাজারীদের জন্য প্রযোজ্য হলে আরও 'পার্ফেক্ট' হতো। বাই দ্য ওয়ে, আনন্দবাজার আর বুদ্ধদেব বাবুর মধ্যে কোথাও কি কোনো সামঞ্জস্য আছে! [এইটা অফ-টপিক]
যদি কখনো সুযোগ হয়, আমন্ত্রণ থাকলো বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো ভ্রমন করার। সেই গ্রামের মানুষগুলি সরকারী আমলা নাকি আসলেই গরু ব্যবসায়ী, এটা সরেজমিনে দেখে আসার অনুরোধ থাকলো। বাই দ্য ওয়ে, আপনার তোলা প্রশ্নটা কি আনন্দবাজারের না? [এইটাও অফ-টপিক]
উল্লিখিত লিংকে একটু কষ্ট করে পরের পাতাগুলোতেও যাবেন আশা রাখি। ট্যাগে বাংলাদেশের জেলা গুলোর দিকে একটু নজর বুলালেই টের পাবেন কোন সীমান্তে কী হচ্ছে! এক জায়গায় ফ্ল্যাগ মিটিং তো আরেক জায়গায় খাল খনন।
লিংকটিতে বাংলার পাশাপাশি আংরেজী দৈনিকেরও খবর রাখা হচ্ছে দেখলাম। সেগুলোতে খেয়াল করে দেখা গেছে আরেকটু বিশদভাবে এসেছে বিএসএফ এর কর্মকাণ্ডের খবর। আর হ্যাঁ, একটা ব্যাপারে আপনাকে আশ্বস্ত করি, প্রথম আলোকে আমরা আলু পেপার ডাকলেও এটা কিন্তু আমাদের দেশের আনন্দবাজার না। আর ডেইলি স্টার? সে আনন্দবাজার থেকে অনেক দূরের।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"গুলি করে মারা"র পাল্লাটা কার দিকে ভারী কেবল সেটা হিসাব করতে গেলে তো সেটা অসম্পুর্ন থেকে যাবে। কারণ একটা প্যারামিটার তো বাদ চলে যায় তাতে।
আপনি বরং তার আগে আমাকে আরেকটা তথ্য দিয়ে বাধিত করুন (এক্যুরেট না হলেও চলবে, যাস্ট আপনার অনুমান টা জানালেই হবে)। বিভিন্ন উদ্দেশ্যে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরোনোর চেস্টা করার ব্যাপারে পাল্লাটা কোনদিকে ভারী। তারপরে না হয় শতকরা হিসাব করা যাবে খন।
জ্বী আমি সীমান্তবর্তী গ্রামেই বড় হয়েছি। ঝুলিতে কিছু অভিজ্ঞতা আছে। তবুও আপনার আমন্ত্রনের যন্য ধন্যবাদ।
- আপনাকে তথ্য সহ সব কিছুই দেয়া হবে, তাও সূত্র সহ। কিন্তু তার আগে আপনি আমাকে একটা ব্যাপারে নিশ্চিত করেন, "বিএসএফ'এর গুলি করে বাংলাদেশী মারা"র ব্যাপারটাকে আপনি কি সমর্থন করছেন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তারমানে আপনি বলতে চাইছেন "ব্যাবসায়ী" হলে কিংবা "কিছু বিশেষ সময়" এ বর্ডারের আশেপাশে কাউকে ঘুরতে দেখলে বিনা প্রশ্নে বিনা প্ররোচনায় গুলি করে মেরে ফেলা ঠিকাছে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অথবা আপনি বলতে চাইছেন "কিছু বিশেষ ব্যাবসায়ী" হলে কাকতালীয় ভাবে প্রায় সবাইকেই "কিছু বিশেষ সময়" এ বর্ডারের আশেপাশে ঘুরতে হবে তাইতো?
বাকীটা তো তাহলে উভয়পক্ষের স্বার্থগত অবস্থানের ব্যাপার, ঠিক-ভুলটাও সেই স্বার্থই তাহলে নির্ধারন করবে।
কি আজব! কখন এই কথা বললাম!!
তারমানে বিনা বিচারে দুটো কালো টাকার আশায় ব্যবসা করতে আসা নিরস্ত্র নিরীহ বাংলাদেশীকে মেরে ফেলা আপনার "স্বার্থগত অবস্থানের" কারণে ঠিক বা গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এইরে! প্রসুন, আনন্দবাজারে বিশেষ পাবেন না৷ কিছু পাবেন 'বর্তমান'এ৷
তারপরেও কথা হল, 'নিহত' তো অনেক বড়, বি এস এফ আদৌ গুলি চালাতে পারে কি না৷ কোন দেশ যদি নিজেকে 'সভ্য দেশ' বলে মনে করে, তাহলে কখনওই এরকম অবাধে গুলি চালানোকে সমর্থন করতে পারে না৷ দেশকাল নির্বিশেষে নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালানো অন্যায়৷ নিহত কেন, আহত করাও অন্যায়৷
আপনি জানেন কি না জানি না প্রসুন, বি এস এফ কিন্তু সীমান্তব্র্তী এলাকার গ্রামগুলোতে ভারতীয় নাগরিকদের (হ্যাঁ রেশনকার্ডধারী বৈধ নাগরিক) ওপরেও যথেচ্ছ লুটপাট অত্যাচার চালায়৷ এই নিয়ে কিছু মানবাধিকার কর্মী সচেতনতা সৃষ্টির ও প্রতিবাদের চেষ্টা করছেন৷ বি এস এফ ঠিক সরাসরি ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর আওতায় আসে না বলে ওদের শাস্তি দেবার প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল আর সেই ফাঁকে এই স্বেচ্ছাচারী দানবগুলো নিজেদের কাজকর্ম চালিয়ে যায়৷
এই নিয়ে আরো বড় পর্যায়ে সচেতনতা তৈরীর ও প্রতিবাদের জরুরী প্রয়োজন৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
- বিএসএফ'এর কার্যকলাপ সম্পর্কে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে অবহিত করা যায় না দন্তময়ী'দি! আপনার মন্তব্যে তো মনে হচ্ছে বিএসএফ এর এই ব্যাপারটা বেশ খোলামেলাই, অনেকেই জানেন। কেন্দ্র সরকারের মনোযোগ এদিকে টানার কোনো ব্যবস্থা কি নেয়া যায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাহ্ বর্তমান এর পাঠক কোনোকালেই ছিলাম না। (এমনকি বরুনবাবু বেঁচে থাকতেও না) তবে আপনি বোধ হয় কোলকাতার বাসিন্দা, উত্তরবঙ্গের খবর ঠিক ঠাক পরেন না। মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে কোচবিহার এর দিকে আগালে একটু একটু খবর পেতেন।
আর আপনার দ্বিতীয় প্যারার ব্যাপারে আমার প্রতক্ষ্য অভিজ্ঞতাই আছে, ওটা আমি অস্বীকার করিনি। আমার বক্তব্যের লাইনটা ছিল একটু আলাদা, ওটা রাগিব সাহেব এর 'তিনটি প্রশ্নে'র জবাবে কিছুটা বলার চেস্টা করেছি। জানিনা বোঝাতে পেরেছি কিনা।
প্রসূন, আজকের এই খবরটা দেখুন।
"পাঁচ শিশুকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল বিএসএফ"। সময়টা বিকেল, রাত তিনটা নয়, শিশুগুলোও নয় "গরুব্যবসায়ী"। এর বিপরীতে আপনি খালি একটা তুলনীয় দেখান। আর একটা উদাহরণ দেখান যেখানে বি ডি আর ভারতে ঢুকে কোন মহিলাকে রেপ করতে না পেরে মেরে ফেলেছে শিশুপুত্রসহ। তারপরে যত ইচ্ছা তেনা পেঁচান।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
রাগিব কে দেওয়া মন্তব্যেই আমি এ ব্যাপারটা ক্লিয়ার করেছি..."আমি এখানে বিএসএফ এর ‘সমস্ত’ কাজকর্মকেই জাস্টিফাই করতে আসিনি। ‘কুকীর্তি’ জিনিসটা্র রেকর্ড সমস্ত সশস্ত্র বাহিনীরই আছে। বিএসএফ এর থাকবে না সেটা হতে পারে না। (এপারেও এমন উদাহারন আছে নীচে দময়ন্তী সেটা উল্লেখ করেছেন) তাই আপনার তৃতীয় প্রশ্নে আমাকে মাথানত করতেই হচ্ছে।"
আমি জানতে চেয়েছিলাম এই অবিশ্বাস এর উৎসটা কোথায়? এ ব্যাপারগুলো কি ঠিকঠাক হাইলাইট করা হচ্ছে?
এই লিঙ্কটাও একটু দেখুন- http://www.bangladesh2day.com/newsfinance/2009/April/25/Children-used-for-smuggling-as-BDR-BSF-watchful-about-adults.php
একটু খবর নিন বাচ্চাদেরকে কিভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
এনিওয়ে, নতুন পোষ্ট দিয়েছি, মডারেটর ছাড়লে সেখানে কথা হবে।
মডারেটর ছাড়বে বলে মনে হয় না। নীচে মডারেটের মন্তব্য দেখুন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সহমত। ব্রাভো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আমি খুবই আগ্রহ নিয়ে আপনার লেখাগুলো পড়ি। একজন পাঠক হিসাবে মনে করি আপনার লেখাগুলো পাঠকদের মনোযোগের দাবীদার। ব্যতিক্রম নয় এই পোস্টটিও। সুন্দর একটি আলোচনার ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে এখানে।
যাই হোক মূল প্রসঙ্গে আসি। আপনি আপনার লেখায় আপনার নানার জবানীতে বললেন,"এতো বিশাল একটা দেশ, চাইলে যা খুশী করতে পারে, কিন্তু পারলে সাহায্যই করে"। এই ব্যাপারটি আমরা বাংলাদেশিরা কেউ অস্বীকার করছি না। আমরা ভুলতেও চাচ্ছি না। খুব সম্ভবত ভারত ভুলতেও দিবে না। কিন্তু কিছু ব্যাপার কিন্তু বরাবরই এই ক্ষেত্রে উপেক্ষিত থকে যাচ্ছে। একাত্তরে আমাদের যুদ্ধটা ছিল পাকিস্তানের সাথে। আর ভারত পাকিস্তানের বৈরীতাটুকু কিন্তু আজকের না। বরং তাদের স্বাধিনতালগ্ন থেকেই। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকি সরকার কিন্তু সেই শুরু থেকেই কাশ্মীরের বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে আসছিল। আর ভারত পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতের কথাতো সবাই জানে। বিভিন্ন যুদ্ধে ভারত পাকিদের ঠিকমত 'সাইজ' করতে পারছিল না। আর কাশ্মীরেও ষাটের দশকে কিছুটা ভারত বিরোধী এবং পাকিপন্থী জনমত গড়ে উঠে। আর এই অবস্থায় যখন আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হল তখন ভারতীয়রা আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলবেন- 'তোমার শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু' এই নীতিতে ভারত এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু একজন কৃতজ্ঞ বাংলাদেশি হিসাবে আমি বলব ভারত আমাদের সাহায্য করেছিল।
তারপরের ঘটনাগুলো দেখুন। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে ভারত বাংলাদেশের সাথে যে আচরণগুলো করেছে তার বেশীরভাগই বন্ধুসুলভ না, সেগুলো প্রভুসুলভ। যেমন, আমাদের অনেক পণ্যই কিন্তু ভারতের বাজারে যথেষ্ঠ চাহিদা তৈরী করতে সমর্থ হলেও শুধুমাত্র নিজেদের পণ্যকে বাজার পাইয়ে দেওয়ার জন্য ভারত অনৈতিকভাবে আমাদের পণ্যগুলোর উপর করের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। আর সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মত গুলি করে মারার ঘটনাতো সবাই জানেন।
এইসব ঘটনার পরে কিভাবে ভারত বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে? আমি এটা বলছি না যে আমাদের ভারতের বিরুদ্ধে এখনই অস্ত্র ধরতে হবে। তবে বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি ভারতকে আরো বেপরোয়া কর তুলছে বলেই আমার মনে হয়।
ধন্যবাদ
সহমত,সমস্যা নিয়ে গাল না ফুলিয়ে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে আমাদের।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
লেখাটা ঠিক নির্মোহ হয় নি। যেখানে ভারত-বিরোধিতা কন্সপিরেসী থিয়োরীর পর্যায়ে চলে যায় সেখানে অবশ্যই নিন্দনীয়। আর সেটা শুধু ভারত-বিরোধিতা বলে নয়, পশ্চিমা যেকোনো দেশের বিরোধিতার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
কিন্তু উল্টোদিকে যেখানে সমস্যার তথ্যপ্রমাণ সরাসরি বিদ্যমান, সেখানে বিরোধিতা না করার কোনো কারণ নেই - ফারাক্কা বা বি-এস-এফ এর ক্ষেত্রে সেটাই সত্যি।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সহমত, লেখাটার ওপর দিয়ে রীতিমত একটা ঝড় বয়ে গেল।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
মেধার প্রশ্ন নিয়ে আমি লেখকের সাথে একমত। বিদেশে ভাবমূর্তি উন্নত করতে গেলে অভিবাসীদের সেই দেশে ভাল ফল করে দেখাতে হবে। এর ফলে দেশ নিয়ে আগ্রহ বাড়বে ও তা রূপান্তরিত হবে বিদেশী বিনিয়োগে। এই ধারা আগে চিনা ও কোরিয়ানরা করে দেখিয়েছে, এখন ভারতীয়রাও যোগ দিয়েছে। সফটওয়ার/আইটিতে আসা পুঁজি কিন্তু অধিকাংশই প্রবাসী ভারতীয়দের দেখে আসা। সংখ্যার সাথে সাথে গড়ও এখানে তুল্য। এতে রাতারাতি কিছু পরিবর্তন হয়না বটে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে অবশ্যই হয়।
দুটো উদাহরণ দিচ্ছি, তথ্য যা পেলাম ইন্টারনেটে তার ভিত্তিতে।
প্রথম উদাহরণ ব্রিটেন। ভারতীয়রা গড় আয়ে স্থানীয়দের থেকে প্রায় ১০% এগিয়ে (টেবিল ৫.৬), অর্থাৎ বর্তমান প্রজন্ম ভালই খেয়েপড়ে আছে। পরবর্তী প্রজন্মও পড়াশোনায় ভালই করছে (টেবিল ৬.৯) - দেশীয় গড়ের তুলনায় ৭% ভাল ফলাফল করে। (দুটো টেবিলে বাংলাদেশের ডেটাও আছে)
পরের উদাহরণ আমেরিকা। এখানে ভারতীয়দের পরিবারের মিডিয়ান আয় আমেরিকানদের তুলনায় ৪০% বেশী। শতকরা ২৫ ভাগ মার্কিনি যেখানে গ্রাজুয়েট, সেখানে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৬৪%।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
কি জানি। তবে, দাদা, ইলিশ মাছের দু' পিস কিনে বাজার কিন্তু আমার দেশের কোন ভদ্রলোক করেন না।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
ওরা খুব প্রতিযোগিতা প্রবণ আপনার এই কথাটা খুব সত্যি। সেই সংগে আমি যেটা লক্ষ্য করেছি, ওরা খুব একটা সহযোগিতা প্রবণ নয়। নিজের কাজের সিক্রেট ওপরকে শেখায় না। সবচেয়ে বেশি যেটাতে আমি ইমপ্রেস- ওরা খুব ভালো কাজ করে, নিয়ম কানুন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। ইংরেজি ও অংকে দুর্দান্ত ভালো।
--------------------------------------------------------------------------------
http://www.bbc.co.uk/news/10609407
উপরের লিংকটা একটু দেখে নিবেন।
আমার ধারণা গত পঞ্চাশ (আরো বেশী হতে পারে) বছর ধরেই ভারতে আফ্রিকার থেকে দরিদ্রের সংখ্যা বেশী, আফ্রিকার জনসংখ্যাও ভারতের থেকে কম। মিডিয়া এটা নিয়ে অনেক লিখছে বটে কিন্তু এতে কিছু প্রমাণিত হচ্ছে না। চিন অর্থনৈতিক সংষ্কার শুরু করার প্রায় ২০ বছর পর থেকে দরিদ্রের সংখ্যা কমতে শুরু করে। ভারতেও এখন কমছে। আফ্রিকার সমস্যাটা হল সেখানে দরিদ্রের সংখ্যা কমছে না, বেড়েই চলেছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
প্রথমে ডিপ্রেস্ড হচ্ছিলাম, এখন অলমোস্ট মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি সচলবৃন্দের "আমরা-ওরা" পড়তে পড়তে। মাসকাওয়াথ আপনার কি এখন আয়রনিক লাগছে না?
-------------------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
এলাকাটা ছিল বৌদ্ধ রাজাদের শাসনে, তারপর তাদের উতখাত করে হিন্দু রাজারা এলেন, তারপর তাদের সরিয়ে মুসলমান বাদশাহরা ঢুকে পড়লেন। তারপর বৃটিশ, অতঃপর পাকু। ফলে কেউই সাধু ছিলেন না মানুষ খুনের এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে। হাজার বছরের বিভাজন-হিংস্রতা এখন ধমণীতে প্রবহমান। মি প্রসূণ এই আলোচনায় এসে সীমান্তে বাংলাদেশের আমজনতা হত্যার জাস্টিফিকেশন দিলেন। শুরু হয়ে গেলো আমরা-ওরা।ভারতের শিক্ষার এতো সুনাম করি, অথচ ঔদার্যের অভাব দেখলে মনে হয় নেহাত কারিগরী জ্ঞান হয়ত সেটা দুটো উপার্জনের লক্ষে।তা নাহলে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুতার প্রত্যয়ে লেখা এই পোস্টটি গোরুর রচনায় পরিণত হবে কেন গরুর রাখাল ও পাইপগান জাতীয় মানুষ হত্যার খোঁড়া যুক্তিতে।ভারতের বয়স ষাটের ওপরে, বাংলাদেশের বয়স চল্লিশ হয়নি। সেই ম্যাচিওরিটি ভারতের বাংলাদেশ নীতিতে থাকা প্রয়োজন। আজ প্রসূণ যে যুক্তিগুলো শুনলেন সে গুলো তার তরুণ কানে ঢুকলো কিনা জানিনা, দিল্লীর বৃদ্ধ কানে ঢোকার আশা করবো কী।তবে এইভাবে চলতে থাকলে রাডক্লিফের আত্মা শান্তি পাবে। বৃটিশের বিভাজনসূত্র মতবাদ হবে যদি বোধিবৃক্ষ ফেলে ভারত তালগাছটা চায়। দ্য সাগা অব সাউদ এশিয়া লিখতে হবে যদি আমরা প্রিমিটিভ দাদাগিরি,ইগো আর প্রতিহিংসার কারণগুলো চিহ্নিত না করি। সবাইকে ধন্যবাদ সংলাপে অংশ নেবার জন্য।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আমরা কেন বৃটিশদের বিভাজন সূত্র বলি ? আমরা কি শিশু ছিলাম যে বৃটিশরা যাওয়ার আগে বলল যে "এই তোদের একদল হল হিন্দু, আর একদল হল মুসলমান-তোরা একসংগে থাকিস না কেমন"-আর সংগে সংগে সেটা আমরা মাথা পেতে নিলাম !ধর্মের ভিত্তিতে দুইটা রাষ্ট্র হোক সেটাতো আমরাই চেয়েছিলাম
কারণ বিটিশ খুব দক্ষতাসহকারে এই আকাম করে গেসিলো তাই।
এই বিভাজন আমাদের মধ্যে হাজার বছর ধরেই ছিল, বৃটিশরা সেটার অপটিমাম ব্যবহার করেছে মাত্র। বৃটিশদের নির্দোষ বলার কোনও কারণ নেই, কিন্তু এই ডিভাইড অ্যান্ড রুল নীতির প্রয়োগে আমাদের মানসিকতা কতখানি সহায়ক মাধ্যম হিসাবে কাজ করেছে সেটাও ভেবে দেখার দরকার আছে মনে হয়।
অমিত সোরোয়ার্দীর অবিভক্ত বাংলার রোডম্যাপটি বৃটিশদের বিশেষ অনাগ্রহের কারণ হয়েছিলো। পরে নেহেরু এবং জিন্নাহ কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন এই ইঁদুর দৌড়ে ধর্মভিত্তিক অবাস্তব বিভাজনের অপশনটি এলো। বৃটিশরা বিভাজনের সময় কাশ্মীরকে রেখে দিয়েছিলো বিষফোঁড়া হিসেবে। তার আগে হিন্দু এলাকায় মুসলমান নেটিভ প্রশাসক আর মুসলমান এলাকায় হিন্দু প্রশাসক দিয়ে, প্রথমে হিন্দুদের চাকরী ব্যবসার সুযোগ দিয়ে পরে কট্টর মুসলমানদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তারা। বৃটিশ আমলে প্রথম ঘুষ-ঠিকাদারি দুর্নীতির সংস্কৃতি চালু হয়, উপনিবেশগুলোতে যে আইন-কানুন রেখে গেছে তা ডমিনো এফেক্টের রেসিপি। তবে হ্যাঁ আমরা হয়ত অতিউতসাহী ছিলাম,তখনকার স্পেস এন্ড টাইমকে এখন বই পড়ে বোঝা কতটুকু সম্ভব আমি জানিনা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ব্রিটিশ লর্ডেরা এখন জামাত বাঁচানোর জন্যে মানবাধিকারের প্যানপ্যান শুরু করেছে। চ্যাটহ্যাম হাউসে নাকি কয়েক বছর আগে নিজামিকে ডেকে নিয়ে বক্তিমা শুনে হাততালিও দিয়েছিলো তারা।
এরা চিরকালই ডাকাতের পাছা রক্ষায় ওস্তাদ।
আমরা অতিথি লেখকের একাউন্ট থেকে "চাঁদের আলোয় দেখা ভারত সীমান্তঃ দাদা, চশমাটা একবার খুলেই দেখুন না !" শিরোনামে একটি লেখা পেয়েছি। যদিও সেখানে নাম উল্লেখ করা হয়নি আন্দাজ করছি লেখাটা প্রসূনের কাছ থেকে (কিংবা তার সমর্থক কেউ) এসেছে।
পরিষ্কারভাবে লেখাটা একটি মেটাব্লগিং। সচলায়তনে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে মেটা ব্লগিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অতিথি লেখকের কোন যুক্তি উপস্থাপনের থাকলে আরো যুক্তি পূর্ণ এবং বড় পার্সপেক্টিভে লেখার অনুরোধ রইল। কারো মন্তব্যের উত্তর দিতে এই পোস্টেই মন্তব্য করতে পারেন। অহেতুক কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
হ্যাঁ, পোষ্টটি আমারই লেখা ছিল, এখানে অতিথিদের লগ-ইন প্রসেসটার ভিন্নতার ব্যাপারটা শেষ মুহুর্তে আর খেয়াল ছিল না, বিধায় নাম দেওয়া হয়নি।
পোষ্টটির বিষয়বস্ত এই পোষ্ট এর চেয়ে ভিন্ন বলেই আমার মনে হয়েছে বিধায় এখানে আর কমেন্ট করতে চাইনি। তাছাড়া ওটি মুল পোষ্ট এর ও কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না। তবুও এই পোষ্ট এর লেখক চাইলে এখানেই কন্টিনিউ করব।
ভূমিকার প্যারাগ্রাফটির কারনে যদি এটাকে
1. মেটাব্লগিংয়ের ফলে একটি বিষয়ের দীর্ঘস্থায়ী এবং তিক্ত আলোচনা
2. পারস্পরিক সম্মানের অভাব থেকে উদ্ভুত অশোভন পোস্ট বা মন্তব্য
3. অন্তরালের রাজনীতির ফলে দলবদ্ধ আক্রমণ
এই তিনটি ক্যাটাগরীর একটিতেও ফেলা হয় তবে আমি সবিনয়ে জানাতে চাই এই পোষ্ট এই আমাকে ২ নং কাট্যাগরীর মন্তব্য হজম করতে হয়েছে। (১৯.১.১.১.১.১.১.২.১.১.১ অথবা ৫৪ নং ) তারপরেও ওই অংশটি আমি এডিট করতে রাজী আছি সেক্ষেত্রে লেখাটি পুনর্বিবেচনার যোগ্য হবে কিনা আমি জানতে আগ্রহী।
একটি স্পেসিফিক বিষয় এর উপর কিছু তথ্য সন্নিবেশমূলক লেখা "আরো যুক্তি পূর্ণ এবং বড় পার্সপেক্টিভে" কিভাবে লিখতে হবে, মানে মডারেটর ঠিক কোন বিষয়টাতে পরিবর্তন চাইছেন সেটা একটু স্পেসিফিকালি জানালে আরেকবার চেস্টা করে দেখতে ইচ্ছুক, সচলায়তনের মানোত্তীর্ন হতে পারি কিনা।
ধন্যবাদ।
একটু নাক গলাই অযাচিতভাবে।
আপনি এই পোস্টেই মন্তব্যাকারে দিন। তাতে করে কোনো একটা নির্দিষ্ট কথার জবাব হিসেবে ধারাবাহিকতা থাকে। নতুন পোস্ট আকারে দিলে একাধিক পোস্ট মিলিয়ে তর্ক অনুসরণ করা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
- বস, আপনি তো দেখি গাইড়া তর্ক চালানোর মতো যেমন পারদর্শী তেমন মন্তব্য টুইস্টিং-এও চরমভাবে অভিজ্ঞ। তবে, একটু সমস্যা হয়ে গেলো বস, এইখানে সবার চোখ কান খোলা, মন্তব্যের টুইস্ট সচলায়তনে পরের বার করার সময় একটু সাবধানে করবেন।
উদাহরণ দিচ্ছি।
আপনি এই মন্তব্যে বললেন,
আর একই পোস্টে আপনার এই মন্তব্যটার (১৯.১.৩.১ অথবা ৫৯) টাইমিং দেখি। তো এটার টাইমিং আমার এখানে দেখাচ্ছে বুধ, ২০১০-০৭-২১ ১৯:২৯
এবার একটু খেয়াল করে দেখুন তো কোন মন্তব্যটা আগে এসেছে!
জ্বী হ্যাঁ প্রসূন, আপনার কমেন্টটাই। তো কী আছে সেই কমেন্টে? আসুন দেখি-
যদি তাই হতো, তাহলে বাংলাদেশীদের নিয়ে অমন ফালতু এবং আপত্তিজনক কথা বলার পরেও আপনার সাথে ভদ্রভাবে কথা চালিয়ে যাওয়া সম্ভবপর হতো না।
অন্যায়কে সমর্থন করুন ভালো কথা, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে অন্যায়ভাবে মরতে থাকা কিছু মানুষের গোটা কম্যুনিটিকে নিয়ে ফালতু মন্তব্য করার আগে একটু ভেবে নিবেন দয়া করে।
আশাকরি, বুঝতে পেরেছেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একদল লোক এর রাতদুপুরে সীমান্তের ধারে যাওয়াটাকে ব্যাঙ্গ করা লাইনটা শেষ পর্যন্ত আপমর "বাংলাদেশীদের উদ্দেশে" হয়ে গেল? বাহ্। আরেকবার পরে দেখুন তো কাদের কথা বলা হয়েছে?
"আপনার কি ধারনা রাত হলেই গরু ব্যাবসায়ীরা সবাই নো ম্যান্স ল্যান্ড এর ধারে হাগতে যায় অথবা অথবা চাঁদের আলোয় ভারত সীমান্তের সৌন্দর্য দেখতে বেরিয়ে পড়ে?
যাক এটা নিয়ে আমার বাহাস করার কোনো ইচ্ছা নেই, থাকলে আপনার কমেন্ট এর জবাবেই সেটা বলতাম। "পারস্পরিক সম্মানের অভাব থেকে উদ্ভুত অশোভন পোস্ট বা মন্তব্য" যে অলরেডী হয়েছে সেটাই জানানো আমার উদ্দেশ্য ছিল।এটা নিয়ে আপনি আরো আগে বাড়তে চাইলে চালিয়ে জান , তবে আমি ক্ষান্ত দিলাম, একইসাথে "বাংলাদেশী জনগনের" একজন হিসাবে আপনি আঘাত পেয়ে থাকলে তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি, ধন্যবাদ।
- ভাই, একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে জানেন বোধ'য়, "কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা, ঠাকুরে করলে মোহাব্বত আর আমরা করলে হয় নষ্টামী!"
সীমান্তে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীদের আপনি হাগতে পাঠিয়ে দিলেন, অথচ আমি যখন বললাম সেই হাগুর প্রমাণ নিয়ে আসতে, আপনি আমার নামে অভিযোগ করে বসলেন!
আর যাদের কথা বললেন, তারা বাংলাদেশি না তো কী? রাশিয়ান? আপনাকে না অনুরোধ করেছি, লাইন লেন্থ বজায় রেখে কথা বলতে!
ওয়াইড আর নো মার্কা কথাবার্তা বলে পরে এমন কিছু শুনে বসবেন তাতে আবার নেঙটির খুট দিয়ে চোখ মুছে নালিশ করতে আসবেন, "ধুগো আমারে মাইচ্চে!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভেন ডায়াগ্রাম টা আরেকবার ভালো করে আঁকুন। কোথাও মনে হয় ভুল হচ্ছে।
আমাকে একটু কচলাতে গিয়ে তো সমস্ত বাংলাদেশীকেই চোরাকারবারী / গরু পাচারকারী বানিয়ে ফেললেন। বাকীরা এতে আপত্তি করতে পারে।
টুইস্টিং-এর চেষ্টা এইখানে ছাড়ান দেন মিয়া ভাই। অন্যদিকে দেইখেন।
আর আপনার চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে গিয়ে গুঁতিয়ে চোখ বসিয়ে ফেললেও কোনো লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না।
আপনিই বরং ভেন ডায়াগ্রাম আর সেট থিওরী নিয়ে আরেকটু জানার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি একটু লতাপাতার রসও খান, এতে স্মৃতিশক্তি বাড়বে। কোথাও তর্ক করতে গেলে মায় ত্যানা প্যাচাতে গেলেও এই জিনিস মহা দরকারী।
গুড লাক।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পোস্টটির গঠন ছিল এরকম:
১। কিছু উষ্মা প্রকাশ
২। কিছু বাইরের ইংরেজী খবরের/রেফারেন্সের কপি পেস্ট
৩। আবার কিছু উষ্মা।
৪। এখানকার কয়েকটি মন্তব্যের জের ধরে তার উত্তর প্রদান।
এই পোস্টকে কোন ভাবেই একটি পূর্ণাঙ্গ সমালোচনা বলা যায় না। সমালোচনা হতে হলে পোস্টটিকে এখানকার মন্তব্যের রেফারেন্স ছাড়াই আপনার নিজের আলোচনা এবং রেফারেন্স উল্লেখ (কপি পেস্ট নয়) সহ একটি পূর্ণাঙ্গ লেখা হয়ে উঠতে হবে।
নচেৎ এখানেই আপনার আলোচনা চলতে পারে। এটা আপনার প্রতি কিংবা আপনার যৌক্তিক/নৈতিক অবস্থানের ভিত্তিতে নেয়া কোন সিদ্ধান্ত নয়। আপনার পোস্টের কনসিকিউয়েন্স চিন্তা করে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে।
ধন্যবাদ।
- আজকেও বিএসএফ ঘটনা ঘটিয়েছে ঠাঁকুরগাও জেলার সীমান্তে। পাঁচ শিশুকে নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেছে বিএসএফ।
তাদের বয়স রেঞ্জঃ পানিয়া (১৫), শাহাবুদ্দীন (১৩), মন্টু (৭), রায়হান (৮) ও সেতাবুল ইসলাম (১০)।
হুঁহুঁ বাবা, কী ভয়ানক আতঙ্কবাদী একেকজন! আল্লায়ই জানে, কয় ট্রাক অস্ত্র নিয়ে জানি তারা ভারত আক্রমন করতে গিয়েছিলো।
তো তারা কোথায় কীভাবে ভারত আক্রমনের চেষ্টা করেছিলো, সেটাও একটু দেখি নাহয়ঃ
কিন্তু তারপর?
ওসব হবে না, এগুলো সব জায়েজ আছে। বিএসএফ এর দেশের মানুষ মনে করে বিএসএফ ঠিক কাজটাই করছে। জালের তলে করে যে বিধ্বংসী সব অস্ত্র নিয়ে যায় নি সাত বছর বয়সী সেই ছোকড়া, তার প্রমাণ কী?
প্রমাণ আসলেই নাই। কিন্তু নো-ম্যান্স ল্যান্ড কি আসলে বিএসএফ এর বাপের জায়গা নাকি বিএসএফকে যারা সমর্থন দেয়, তাদের বাপের? কোন অধিকারে/সাহসে নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে তারা বাংলাদেশি নাগরিক তুলে নিয়ে যায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি কি বলতে চেয়েছিলাম সেটা আপনি আদৌ কি বুঝেছেন, নাকি হুদাই ফাল পাড়াটা আপনার অভ্যেস? এই কমেন্টের জবাব উপরেও একবার দিয়েছি। নজরে যখন পরল না আরেকবার কপি করে দেওয়া যাক।
রাগিব কে দেওয়া মন্তব্যেই আমি এ ব্যাপারটা ক্লিয়ার করেছি..."আমি এখানে বিএসএফ এর ‘সমস্ত’ কাজকর্মকেই জাস্টিফাই করতে আসিনি। ‘কুকীর্তি’ জিনিসটা্র রেকর্ড সমস্ত সশস্ত্র বাহিনীরই আছে। বিএসএফ এর থাকবে না সেটা হতে পারে না। (এপারেও এমন উদাহারন আছে নীচে দময়ন্তী সেটা উল্লেখ করেছেন) তাই আপনার তৃতীয় প্রশ্নে আমাকে মাথানত করতেই হচ্ছে।"
আমি জানতে চেয়েছিলাম এই অবিশ্বাস এর উৎসটা কোথায়? এ ব্যাপারগুলো কি ঠিকঠাক হাইলাইট করা হচ্ছে?
এই লিঙ্কটাও একটু দেখুন- http://www.bangladesh2day.com/newsfinance/2009/April/25/Children-used-for-smuggling-as-BDR-BSF-watchful-about-adults.php
একটু খবর নিন বাচ্চাদেরকে কিভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
- এখানে হুদাই ফালের কী দেখলেন বস? আপনি-ই না বলেছেন যে আপনি দেখেছেন কোনো এক বালককে কোমরে পাইপগান গুঁজে গরু পাচার করতে!
তো সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আপনার সাথে সম্মতি রেখেই তো বললাম নিশ্চই এই সাত বছর বয়সী ছোকড়াও তহবনের তলে গোটা চারেক কাটা রাইফেল নিয়ে গিয়েছিলো ভারত ধ্বংসের লক্ষ্যে। আপনার কথার সাথে মিলিয়ে বললেই যদি "হুদাই ফাল পারা" হয় তাহলে তো অতীব দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আপনি সেই ফাল দিয়ে আসছেন এখানে শুরু থেকেই, একেবারে পয়লা পর্থম মন্তব্য থেকেই।
তবে আপনার ফাল পাড়া একটু দিক বদলেছে বটে। প্রথম বলছিলেন বিএসএফ গঙ্গাস্নান করা পূতপবিত্র, এরা যা করে তাই বেদবাক্য। এখন দেখছি সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। এখন বলছেন,
আর নিচে হিমু তো বললোই, শয়তানের নাটাই বিডিআর কবে, কোথায়, কখন ভারতীয় মূল ভূখণ্ডে ঢুকে গিয়ে গ্রামবাসীদের অত্যাচার করে, শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে ধরা খেয়েছে। কবে ভারতীয় গ্রামবাসীরা মদ্যপ বিডিআরের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে, কতোজন প্রাণ হারিয়েছে, তার ধারাবাহিক প্রমাণ দিয়েন পারলে। আর নয়তো দয়াকরে, এখানে সেখানে খাবলা দিয়ে বিচ্ছিন্ন কিছু লিংক তুলে আইনেন না। ব্যাপারটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো দেখায়।
আমরা যেভাবে বিএসএফ এর মাত্রা ছাড়ানো কুকর্মের বিবরণ দিন-তারিখ সহ তুলে দিচ্ছি, আপনিও পারলে সেরকম দিন। কথা দিচ্ছি, বিডিআর-এর হয়ে আপনার মতো নির্লজ্জ পক্ষ নিয়ে কথা বলবো না কেউ-ই।
আর যতোদিন সেটা না করতে পারছেন অন্তত বেহায়ার মতো ফাল পাড়তে আসবেন না, দোহাই আপনার। খুব বাজে ধারনা হয় এতে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মন্তব্যের সময়গুলো তো আপনি ভালোই খেয়াল রাখেন। আমি কখন বক্তব্য থেকে সরে এলাম সেটা একটু টাইম টা তুলে দিয়ে দেখান না-
আমি তো দেখতে পেলাম সময়কাল টা এরকম-
১৯.১.৩.১ | প্রসূন (যাচাই করা হয়নি) | বিষ্যুদ, ২০১০-০৭-২২ ০০:২৯
আমার হিসাব বলছে ওটা আমার দ্বিতীয় মন্তব্য ছিল। কাইন্ডলী একটু দেখবেন ভুলটা কোথায় হচ্ছে?
- বস, আমার এখন খুব জানতে ইচ্ছে করছে, আপনি কোন দোকানের চাল খান!
যাক গে, জেনে রাখুন ভবিষ্যতে কাজে দিবে। সচলে যে টাইমিং দেখায় সেটা দেখায় বাংলাদেশের স্থানীয় সময়ানূযায়ী (লগ ইন না করলে)। তবে লগ ইন করলে টাইমটা হয়ে যায় আপনার স্থানীয়, অর্থাৎ আপনি আপনার প্রোফাইলে যে টাইম জোন সেট করবেন, লগ ইন করলে আপনার সবকিছু সেই মোতাবেক সময় দেখাবে।
আপনার মন্তব্য দ্বিতীয় নাকি সপ্তম, সেইটা নিয়া ত্যানা প্যাচানি বাদ দিয়া চোখে আতশী কাচ লাগায়া নিজেরে দেখেন। তারপর নালিশ দিতে আইসেন আরেকজনের নামে।
এর বেশি আর কী বলবো বস আপনাকে? এক কাজ করুন, বানান করে মন্তব্যগুলো আবার পড়ুন কষ্ট করে। বোধশক্তি থাকলে নিজেই বুঝতে পারবেন আর সেটা না থাকলে বারবার একই ত্যানা প্যাচাতে থাকবেন। কার সাধ্য আপনার মধ্যে ন্যুনতম বোধশক্তিও উৎপন্ন করে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওই যে বলেছিলাম না হুদাই ফাল পারাটা আপনার অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।আমি কখন আমার বক্তব্য থেকে সরে এলাম সেটা দেখিয়ে দিতে বললাম আর আপনি মন্তব্য 'দ্বিতীয় নাকি সপ্তম', সেইটা নিয়া ত্যানা প্যাচানির কথা তুললেন। আমি আমার দ্বিতীয় মন্তব্যেই যদি অবস্থান পরিস্কার করে থাকি তাহলে আপনার পুরো আর্গুমেন্টটাই তো ইনভ্যালিড হয়ে যায় তাই না?
এই যেমন টাইমিং এর এই সহজ জিনিসটা না বুঝেই আপনি ফাল পারা শুরু করলেন, যে সচলের টাইমিং পলিসি যাই হোক না কেন আমার জন্য তো তা ইউনিফর্মই থাকবে (যেহেতু আমার ক্যাটাগরী এখনো চেঞ্জ হয়নি।) নাকি?
এবার আপনিই একটা কাজ করুন, আমার সমস্ত মন্তব্যগুলো সময়ানুসারে সাজান। তারপরে বানান করে পড়তে থাকুন। চেস্টা করে দেখুন পড়তে পারেন কিনা দ্বিতীয় মন্তব্যে আমি কি বলেছিলাম। না পারলে উপরে কিসব লতাপাতার কথা বলছিলেন সেসব খেতে খেতে আরেকবার চেস্টা করুন।
তাতেও না হলে আবারো একটা নতুন ফাল পারার চেস্টা করুন, এবং অনন্তকাল এভাবেই চালাতে থাকুন।
ধন্যবাদ।
- হে হে হে
আপনি এইটা পড়ুন। একবার, তারপর বারবার। চাইলে তাবিজ বানিয়ে কোমরে ঝুলিয়েও রাখতে পারেন।
আর নেক্সট টাইম এই থ্রেডে কোনো প্রতিমন্তব্য করার আগে হাতে এ সংক্রান্ত পর্যাপ্ত প্রমাণ নিয়েই কইরেন। এমনিতে ম্যা ম্যা শুনতে বিরক্ত লাগছে।
ধন্যবাদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিমু, আপনার পরামর্শই মেনে নিয়ে এখানেই মন্তব্য আকারে দিলাম, আগে পোষ্ট এর লেখক একটু উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন যে উনার পোষ্টটাকে শেষ পর্যন্ত আমি গরুর রচনাতে পরিনত করে ফেলেছি। উনার এই প্রতিক্রিয়া খুব স্বাভাবিক বলে ধরে নিয়ে আসুন সেখান থেকেই শুরু করা যাক।
রিপোর্ট বলছে এই গরু পাচার এর ব্যাবসার অঙ্ক নাকি প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা। (http://www.dailypioneer.com/269577/Cattle-smuggling-yields-Rs-10000-cr.html) তো এহেন লাভজনক ব্যাবসার আঁতে ঘা লাগলে তারা যে মারমুখি হয়ে উঠবে তা তো স্বাভাবিক। তো আসুন এহেন জটিল কর্মযজ্ঞটা কিভাবে পরিচালিত হয় তা শুনে নেওয়া যাক একজন ফিল্ড লেভেলের কর্মীর কাছ থেকেই-
I get about 5000 rupees each trip and in the winter months when the trade is at its peak I make 4 or 5 journeys a month.” “Good income!” I comment. “Yeah! But the work is physically very demanding and there are a few risks also,” Salimbhai’s voice trails off. “Risks?” “Yes, sir! Not from the cops though. Did you notice the markings on the cattle? They indicate to which gang they belong. The cops in the 3 police stations that fall on our way keep a count on the numbers each gang is smuggling. They are paid hafta per head of cattle. Then there are dacoits on the way who snatch the cattle but now these incidents are on the decline.” “Why is that?” I ask. “Our bosses have come to an understanding with the dacoit gangs. They now provide us and our cattle food and shelter at night and get paid for it. Some of the more enterprising ones arrange women for us and get extra money,… You know, I can hold my breath for more than 7 minutes at a time!” Mukul tells me with a proud smile as he dabs Vaseline over his rippling muscles. “Occasionally the BSF jawans fire at us. Then we let go of the cows and swim underwater. Luckily they fire very rarely but when they do the BDR (Bangladesh Rifles) also open up a barrage. It’s pretty dangerous and a few paraniyas like us get killed. But the ‘business’ goes on.
(http://www.upperstall.com/blogs/boorback/of-borders-and-holy-cows/ )
আর এ ব্যাপারে আপনাদের সরকারী স্তরের বক্তব্য-
Major General Md Mainul Islam met for five days here in March. … At the end of the five-day talks on March 11, Islam had said, “We have a history of movement of people and cattle trafficking during darkness. We will ensure to limit such activities along border. Both the BSF and BDR have agreed to take action against those crossing the border.” ( http://www.dailypioneer.com/269577/Cattle-smuggling-yields-Rs-10000-cr.html )
আর বি ডি আর এই কাজে কিভাবে ভুমিকা রাখছে তাও একটু দেখে নেওয়া যাক-
The incident occurred when a BSF jawan Ram Kishan Pandey of the108 Battalion who was patrolling in a speed boat spotted rustlers herding 300 heads of cattle along the Ganga towards Bangladesh. He gave chase but was spotted by BDR personnel also on boats. The BDR was said to have resorted to indiscriminate firing injuring the jawan who swam ashore under covering fire from his colleagues from the bank of the river. The BSF jawans fired 19 rounds in half an hour in self-defence, whereas the BDR fired about 100 rounds. Even after the BSF jawans stopped firing, having rescued Pandey, the BDR kept up the firing. The BSF jawans managed to retrieve 250 heads of cattle valued at Rs. 70 lakh while the smugglers managed to take away 50.
(http://www.merinews.com/article/bsf-jawan-killed-by-bdr/138099.shtml )
তার মানে আপনাদের ফেরেস্তা সমান বি ডি আর একটা অবৈধ কাজে সাহায্য করছে। শুধু তাই নয় প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে তাদের ব্যাকাপ দিচ্ছে, গুলি চালাচ্ছে। এটা তো গেল ‘নিরীহ’ ‘ব্যাবসায়ী’দের কথা।
বি ডি আর ঠিক আর কি কি কাজ করে; মানে বি এস এফ এর মত কি ওরাও গুলি চালায়? গরু পাচারকারীদের বাঁচাতে তো গুলি চালায় তা তো দেখাই গেল। রিপোর্ট বলছে বিনা কারনে সীমান্তপারের গ্রামবাসীদের উপরেও গুলি চালায়।
Several schools along the India-Bangladesh border have been closed and around 500 people fled their villages in Meghalaya due to 'intermittent and unprovoked firing' by Bangladesh border guards, officials said here Thursday (http://www.nerve.in/news:253500293001)
http://www.indianexpress.com/news/bdr-bsf-trade-fire-along-indobangla-border/579590/
http://www.rediff.com/news/2008/jul/23bangla.htm
http://www.siliconindia.com/shownews/31440
সীমান্তে অপরাধমুলক কাজকর্মের ব্যাপারে আপনাদের সরকারী স্তরের বক্তব্য কি আসুন সেটাও একনজর দেখে নেওয়া যাক-
When questioned about the reports of terrorist camps operating in Bangladesh, Maj.Gen Mainul Islam said: ?My government has a big responsibility to ensure the security and development of the people. We have no time and space to harbor terrorists on our land. We have already learnt lessons from others mistakes.? ...There are certain grey areas where the presence of the BDR is very low. We are in the process of modernizing the force and will increase our presence in the grey areas to ensure no terror group can operate from our land,? he added.
The four-day-long BSF-BDR conference agreed to prevent criminal elements from misusing dark patches of borders.
অর্থাৎ আপনি স্বীকার না করলেও আপনার সরকার স্বীকার করে নিচ্ছে আন্ততপক্ষে আতীতকালে তারা ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক এলিমেন্টদের সাহায্য করেছে। learnt lessons from others mistakes বোধ হয় সে কথাই ইঙ্গিত করে তাই না? উলফা সহ নর্থ-ইস্ট এর বিভিন্ন বিচ্ছন্নতাবাদী সংগঠঙ্গুলোকে সায্য করার কথা না হয় এই পোষ্ট এ বাদই থাক। http://www.india-defence.com/reports/3635
আর দশ ট্রাক অস্ত্রের ভয়ে পাতলুন ভিজিয়ে ফেলার কথা বলছিলেন না; পাতলুন ভিজিয়ে ফেলেছিলাম কিনা সেটা মনে না থাকলেও মালদহের কালিয়াচকে যখন আই ই ডি উদ্ধার হয়েছিল সেই সময় আমি শিয়ালদা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি নিয়মিত যাতায়াত করতাম। তো ওটিকে যে শিয়ালদা তে ফাটানোর জন্য আনা হচ্ছিল না সেটি কি আপনি নিশ্চিত? (http://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata-/Bangla-arms-dealer-arrested-in-Malda/articleshow/4844050.cms ) আমি অত্যন্ত ভীতু, বোমা বিস্ফোরনে অন্তত মরতে চাই না। ইনভেস্টগেটিভ জার্নালিজম বলছে ওখানে নাকি একটু খোঁজ করলে আর ডি এক্স ও পাওয়া যায়। ( http://www.outlookindia.com/article.aspx?232677 )
সীমান্তে উদ্ধারকৃত অস্ত্র-শস্ত্রের একটা ধারনা পেতে পারেন এখানে। (http://bsf.nic.in/prconf.htm )
In 2007, Hajong, along with some accomplices, ferried 16 AK rifles, 15 grenades and 2000 rounds of ammunition and delivered them Trained in guerrilla warfare, Hajong revealed two men from a minority community had approached him in 2008 and had asked him to take pictures of all major bridges in Siliguri (North Bengal) in order to blow them up with IEDs. But, he could not get the opportunity to do the job, (http://www.thehindu.com/news/states/other-states/article398856.ece )
এর বাইরে আছে গাঁজা, হেরোইন, চরস, ফেন্সিডিল আরো কত কি। এক বছরেই বি এস এফ উদ্ধার করেছে ৩৫৩৬ কেজি বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়মিত রুটের আলু পেঁয়াজ না হয় বাদই দিলাম। কারন সাধারনত যারা বৈধ পথে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানী করে তাদেরই একটা অংশ একটু কায়দা করে এক ট্রাক বৈধ আলুর সাথে তিন ট্রাক অবৈধ আলু পাচার করেন। ওনারা বুদ্ধিমান(!) ব্যাবসায়ী, চোরাকারবারী নন!
তো এহেন সিন্ডিকেট এর সাথে শুধু যে বাংলাদেশীরাই জড়িয়ে থাকবে তা তো হতে পারে না, তাহলে ভারতীয়দের বেলা বি এস এফ কি করছে? রাগিব সাহেব দেখলাম ‘ধর্মীয় ফ্লেভার’ আর ‘বাংলাদেশীদের প্রতি ঘৃনা’ই শুধু দেখতে পেলেন। আমি দেখতে পেলাম ২০০৮ সালে ৩৪ জন বাংলাদেশীর বিপরীতে ২১ জন ভারতীয়ও বি এস এফ এর গুলি খেয়ে মরেছে। (http://www.india-defence.com/reports-3990 )
“In 70 per cent cases, cattle smuggling is the reason for firing by security forces. This leads to death of smugglers. Ninety-eight per cent of the killings in firings take place during nights and 60 per cent of those killed are Indians,” they said, quantifying the figures. (http://www.dailypioneer.com/269577/Cattle-smuggling-yields-Rs-10000-cr.html )
এখন কথা হচ্ছে এদের কি গুলি খেয়ে মরা উচিৎ ছিল? উত্তর অবশই না। বি এস এফ কি চেস্টা করেছিল জানে না মেরে ওদের কে জীবিত অবস্থায় ধরতে? তথ্য বলছে ১২৭ জনের মৃত্যুর বিপরীতে ৮৩৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। (http://bsf.nic.in/prconf.htm ) কিন্তু ওই কজন মারা পরল কেনো, ওরা কি পালাবার চেস্টা করেছিল বা বি এস এফ এর সাথে অসম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল? কোনো তথ্যই হয়ত বা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। আর সেরকম না হলেও এপারে ‘এনকাউন্টার’ ওপারে ‘ক্রসফায়ার’ যেহেতু এখনো চালু আছে সেহেতু কিছু ট্রিগার হ্যাপী অফিসার যে বিচারব্যাবস্থাকে বাইপাস করতে চাইবে, সেটাকে নিয়তি হিসাবে মেনে নেওয়া ছাড়া আর উপায় কি। তারপরেও যেটুকু শাস্তির ব্যাবস্থা হয় সেটাই আপাতত মেনে নেওয়া ছাড়া তো গতি দেখছি না।
In the two cases, 22 personnel were convicted which included some senior officials, and punishment was awarded to them from forfeiture of services to rigorous imprisonment in the force's custody. (http://www.rtiindia.org/forum/20496-bsf-has-highest-number-human-right-violation-cases.html )
আর ওই হুজি-জে এম বি র কথা বেশী না বলি কারন ওটা নিয়ে আবার বেশী ঘাঁটাঘাটি করলে রাগিব সাহেব তখন আবার ‘ধর্মীয় ফ্লেভার’ এর সাথে সাথে ‘সাম্প্রদায়িক ফ্লেভারও’ হয়ত খুঁজে পাবেন। আল ইহসান, নয়া দিগন্ত, ডেইলী সংগ্রাম এমনকি সামহোয়ার ইন ব্লগ পরলেও তো এই ভারতে বসেও রীতিমত চিন্তায় পরতে হয়। সেক্ষেত্রে আসলেই বাংলাদেশ এ কি হচ্ছে তা আর ভাবতেও ইচ্ছা করে না।
The BSF official said the paramilitary force had recently apprehended 11 militants while they were crossing over the India-Bangladesh border in West Bengal.'During investigations it was found that these 11 militants were a part of LeT, JeM and JMB. This suggests that they were on some joint mission.' (http://www.india-defence.com/reports/3635 )
আসুন এবার একটা গল্প বলি ১৯৮৭ সালের কথা, তিন বছর বয়সে সেদিনই আমার ধরাধাম ত্যাগ করার কথা ছিল কারন বাংলাদেশী ডাকাতদলের বন্দুকটা আমার দিকেই তাক করা ছিল যাতে গুলি খেয়ে পড়ে থাকা আমার দাদুকে (মায়ের বাবা) দেখেও কেউ চেচাঁতে সাহস না করে। আমার বাবারও দেহ থকে মুন্ডুটা আলাদা হয়ে যাবার কথা ছিল হাঁসুয়ার এক কোপে, যদি না আমার মামার ডান হাতটা হাঁসুয়া আর বাবার ঘাড় এর মাঝখানে সময় মত এসে পড়ত। হ্যাঁ সেজো মামা আজও বাম হাতে ভাত খায়। আরও কি কি হতে পারত জানি না তবে সেদিন বি এস এফ এর ‘প্যাট্রল-পার্টী’ অসময়ে গ্রাম এ ঢুকে পড়ায় সে যাত্রায় আমরা সবাই সীমান্তের ধারে আমার মামাবাড়ি থেকে জান নিয়ে নিজের বাড়ি ফিরতে পেরেছিলাম। সে যাত্রায় তিনজন ডাকাত বি এস এফ এর গুলি খেলেও বাকীরা কিন্তু সীমান্ত টপকে নিজের দেশে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছিল বি ডি আর এর সৌজন্যে। সুতরাং জার্মানীতে বসে আপনাকে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ভ্রমনের আমন্ত্রন জানাতে হবে না; এখনো এমনিতেই আমাকে সীমান্তবর্তী নিজের বাড়ি বা মামার বাড়িতে দুই-এক মাস পরপরই যেতে হয়।
উপরের ঘটনা্টা একদম বিশ্বাস করবেন না যেন, ওটা পুরোই বানোয়াট। ওসব ঘটনা সীমান্তে একেবারেই ঘটে না, একটা দুটো ঘটলেও সেগুলো নিতান্তই ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’। অবশ্য কিডন্যাপ করে মুক্তিপন দাবী করার মত বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটে। আর নিন্দুকেরা এই সব ঘটনার পিছনে বাংলাদেশী জনগন এর প্রতক্ষ্য সাহায্য থাকে বলেই দাবী করে, এমনকি আনসার (http://www.bengaliwiki.com/page/Bangladesh+Ansar ) বাহিনী বিরুদ্ধেও সাহায্যের অভিযোগ ওঠে। আর এই সময়গুলোতে আশ্চর্যজনকভাবে বি ডি আর ও নীরব দর্শক এমনকি সহযোগীর ভূমিকা পালন করে।
http://news.webindia123.com/news/articles/India/20100620/1530968.html
http://www.zeenews.com/news601273.html
http://timesofindia.indiatimes.com/cms.dll/articleshow?artid=24090268
যাক হিমু, অনেক হল এসব লিঙ্ক এর প্যাচাল। বি এস এফ এর কাজকর্ম জাস্টিফাই করার উদ্দেশ্য আমার কখনই ছিল না, আমি কি জানতে চেয়েছিলাম সেটা আমার প্রথম কমেন্ট টা আরেকবার ঠান্ডা মাথায় পড়লেই বুঝতে পারবেন। যে কোনো কারণেই গুলিচালনাটা যে অমানবিক সেটা আমিও জানি, মানি, স্বীকার করি। বি এস এফ এর বহু কুকীর্তি আমি নিজে চোখে দেখতে দেখতেই বড় হয়েছি। আমার জানার ইচ্ছা ছিল বি এস এফ কে এইসব অমানবিক কাজকর্ম করতে যারা ইন্ধন যোগাচ্ছে এমনকি বহুক্ষেত্র বাধ্য করছে তাদের কথা কতটা নিরপেক্ষভাবে তুলে ধরা হচ্ছে আপনাদের মিডিয়াগুলোতে। নাকি কেউ মারা গেলেই তাকে ফেরেস্তা সাজিয়ে তুলে ধরা হচ্ছে? একবারও কি কখনো বলা হয়েছে যে ওই লোকটা সীমান্ত পারে ডাকাতি করতে যাচ্ছিল বা অস্ত্র চোরাচালান করছিল বা নিদেনপক্ষে সীমান্ত পেরিয়ে গরু নিয়ে আসছিল।
এ ব্যাপারে আমার অবস্থান তো রাগিব এর ‘তিনটি প্রশ্নের’ জবাবেই ব্যাখ্যা করেছি। রাত তিনটের সময় কেউ যদি আমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকতে চেস্টা করে আর আমার কাছে যদি একটা বন্দুক থাকে সেক্ষত্রে আমার কি করা উচিত? জামাই আদর করে ভেতরে ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করব ‘ভাই আপনি কি একজন ছিঁচকে চোর? শুধুই পেটের দায়ে চুরি করতে এসেছেন? নাকি আমাকে খুন করতে এসেছেন?” আপনি কি করবেন জানি না কিন্তু আমি এলোপাথারি গুলি চালানো শুরু করব বিশেষ করে যখন আমাকে অলরেডি খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাতে করে সেই কাজটা যদি অমানবিক হয় তবে তাই সই।
এমনিতেই আমাদের দৈনন্দিন অমানবিক কাজ এর তো লিস্টি করে শেষ করা যাবে না। আমাদের দেশ এ কাশ্মীর-মনিপুর এ সেনাবাহিনীর কাজকর্ম মানবিকতার সীমা লঙ্ঘন করে, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান অমানবিক, বি এস এফ এর গুলিচালনা অমানবিক, ‘এনকাউন্টার’ অমানবিক; আপনাদের দেশ এ ‘ক্রসফায়ার’ অমানবিক, চট্টগ্রামে আপনাদের কাজকর্ম অমানবিক, আপামর পাকিস্তানী জনগনের ‘মা-বোন সহ চোদ্দগুষ্ঠীকে চুদতে চাওয়া’ অমানবিকতা, এরশাদের মত প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যু কামনা করা অমানবিকতা, নিজামীকে ডিম থেরাপি দেওয়া অমানবিকতা... ইত্যাদী ইত্যাদী। আমাদের সবারই এসবের পরিপ্রেক্ষিতে একটা মানবিক অবস্থান নিতে হয় কারন আমরা যে ‘ফাকিং হিউম্যান বিয়িং’। তারপরেও প্রতিদিন কাউকে না কাউকে এইসব অমানবিক সিদ্ধান্তগুলো নিতে হচ্ছে। সবাই যে খুশী হয়ে নিচ্ছে তাও না, কিন্তু নিতে হচ্ছে, তাই না?
কোলকাতার সচলদের সাথে নিয়ে মানবিক আন্দলোন গড়ে তুলতে চাইছেন ভালো কথা, খুবই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু ব্যাপার কি জানেন তো কোলকাতার এইসব মানবিক যোদ্ধাদের বেশীরভাগই যেটা করেন সেটা হল- কোলকাতা থেকে এনারা সকালবেলা বেরোন; বনগাঁ সীমান্তের কাছে ধুলো ভরা রাস্তায় নাকে রুমাল চাপা দিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করেন আর আহা উহু করেন। আহারে গ্রামটায় এখনো বিদ্যুত আসেনি, পানীয় জল আনতে দু কিলোমিটার যেতে হয়! চ্যাংরাবান্ধা-টা ঠিক কোথায় জিজ্ঞাসা করলে উনারা ঠিকই লজ্জা পাবেন। এদিকে বিকাল হবার আগেই কলকাতা ফিরে গিয়ে স্ট্যাটিস্টিকস নিয়ে বসেন বি এস এফ কজনকে মারল। অন্যদিকে সন্ধ্যা হবার সাথে সাথেই বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপগুলিতে মানবিকতার কলম সব ভোঁতা হয়ে আসে, তখন বাংলাদেশী ডাকাত আর চোরাকারবারীদের ঠেকাতে গ্রামরক্ষীবাহিনীর লাঠি-হাঁসুয়া আর বি এস এফ এর ‘ইনসাস’টাই একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে। তাই এই পরিস্থিতি যতদিন না পাল্টাচ্ছে ততদিন ওই মানবিক পিটিশন গুলো ফাইলবন্দী হয়েই পড়ে থাকবে। কারন মানবিক কলমযোদ্ধাদের জবা্বদিহি না করতে হলেও বি এস এফ এর দায়িত্বরত অফিসারকে ঠিকই জবাবদিহি করতে হয় সীমান্তপারের ডাকাতি/ চোরাচালান ঠেকানো গেল না কেন?
যাক অনেক হল। তাহলে হিমু, ‘বিগার পিকচার’টা কি দাঁড়াচ্ছে? ঘটনাপ্রবাহের পিছনে বাংলাদেশীদের একেবারেই প্ররোচনা নেই! তাই না? চশমাটা খুলুন হিমু, ছবিটা আরেকটু জুম করুন; কিছু দোষ ত্রুটি ধরা পড়লে সেটাকে আগে রেক্টিফাই করুন তারপরেও একই ঘটনা ঘটতে থাকলে তখন না হয় একসঙ্গে বি এস এফ এর ‘গুষ্ঠীশুদ্ধু চুদে দেবার’ প্ল্যান করা যাবে, কি বলেন?
পুনশ্চঃ ইউনিকোড এ না থাকলে বাংলা লেখা কিভাবে সার্চ করে পাওয়া যায় দয়া করে কেউ কি একটু জানাবেন। তাহলে পরবর্তীতে কিছু বাংলা ফ্লেভার এড করে দেওয়া যেত আর কি। ইংরেজী পত্রিকাগুলোতে এক বিলিয়ন এর এই দেশের এক ট্রিলিয়ন খবরের মাঝে সমস্ত ফ্লেভার ঠিকঠাক ঠাঁই পায় না কিনা।
প্রসূন, যদি অতীতের খিটিমিটির কথাই বলেন, তাহলে ঠিক কোন জায়গায় গিয়ে থামবেন বলুন তো? ভারত কি দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শান্তিবাহিনীকে গিয়ার আপ করেনি? আপনি ঘ্যানা প্যাঁচাল পেড়ে যাচ্ছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য নিয়ে, ওখানে খোঁচাখুঁচি করার শিক্ষা যদি বাংলাদেশ ভারত থেকেই পেয়ে থাকে?
গরু ব্যবসা লক্ষ কোটি ডলারের হোক না কেন, একজন গরুচালানি তার কয় লক্ষ কোটি ভাগের এক ভাগ পায়? আপনার কথা শুনে মনে হলো পুরো ব্যবসার পয়সা ঐ গরুর দড়ি হাতে একজনের ট্যাঁকেই থাকে, যে সেটা সামলানোর জন্যে মরিয়া হয়ে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে সজ্জিত বিএসএফের মুখোমুখি হয় পাইপগান নিয়ে? আর বিএসএফের চোখের সামনে দিয়ে গরু পার হয় কীভাবে, যদি ফেরেস্তার মতো বিডিআরের মতো বিএসএফও সাহায্য না করে? একটা গরুও তো টপকানোর কথা না। বরং বলুন, পয়সা নিয়ে গড়বড় হলে গুলি করে মেরে ফেলে দিয়ে শিক্ষা দেয়া হয়, যাতে পরের চালানে কেউ বেআদবি না করে। দশ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা, আর সৎ পাত্রে ভরপুর বিএসএফ তার ভাগ পায় না, এটা একটা বিশ্বাসযোগ্য কথা?
প্রথম তিনটি সংবাদপত্র বাংলাদেশের মার্কামারা মৌলবাদী ও সুবিধাবাদী ঘাতকদালালদের পত্রিকা। আমি নিশ্চিত, ভারতেও উগ্র হিন্দুত্ববাদী পত্রিকা প্রকাশিত হয়, এবং সেখানেও নানা বালছাল ছাপা হয়। সেগুলো পড়ে ভারত সম্পর্কে যদি কেউ ধারণা করতে যায়, কী ধারণা পাবে? আপনি বেছে বেছে এগুলো পড়েন, কারণ এগুলো বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার যে ধারণা, সেটাকে জোরদার করে। বাংলাদেশে এই পত্রিকাগুলোর সার্কুলেশন দশ হাজার ছাড়ায় কি না সন্দেহ আছে। সামুর কথা বরং না বলি, অযথা মুখ খারাপ হয়।
সীমান্তে বাংলাদেশী ডাকাতের হাতে আপনার আত্মীয়দের আহত হওয়ার তথ্যটি পীড়াদায়ক, আমার সহানুভূতি রইলো, যদিও এই কথাটা আপনার কাছে কতটা অর্থবহ হবে, আমি জানি না। এবার উত্তর দিন আমার বার বার করা একটা প্রশ্নের, সীমান্তের এপারে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশী নাগরিক কেন বিএসএফের গুলি খায়? তারা সবাই ডাকাত? তারা সবাই প্রসূনের দাদুকে গুলি করে, মামাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ছুটে আসছিলো? শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, সকলেই?
এরশাদ রাষ্ট্রনায়ক ছিলো না, এরশাদ ছিলো রাষ্ট্রভিলেন। আপনি তাকে রাষ্ট্রনায়ক বানাচ্ছেন, যাতে করে তর্কে একটু জমি পান। নিজামীর মতো লোকজনকে ডিম কেন, গোটা মুরগিই দেয়া উচিত, কিন্তু আপনি গদোগদো হয়ে মানবিকতা কপচাবেন, তর্কে যাতে জমি পান। পাকিস্তানীদের মা-বোন তুলে গালি দেয়াও খারাপ, কিন্তু গালি দিয়েই আমরা খাল্লাস, পয়সা দিলেও বাস্তবে চুদতে যাবো না। কিন্তু আপনি প্রসূন, গালি দিচ্ছেন না, গুলি করে মেরে ফেলার সাফাই গাচ্ছেন। এত যে ধিকৃত এরশাদ, এত যে ঘৃণিত নিজামী, এদেরও তো গুলি করে মারি না আমরা, বিচারের কাঠগড়ায় তুলি।
আপনি যেমন আরডিএক্সের ভয়ে কাতর, আমরাও তাই। আমাদের দেশে প্রচলিত ধারণা, ওগুলো ভারত থেকে আসে। বিস্ফোরকসহ কয়জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ গুলি করে মেরেছে, একটু পরিসংখ্যান দেবেন। কয়জনকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র বা মুঙ্গেরি বন্দুকসহ পেয়ে কনফ্রন্টেশনের ভয়ে মেরেছে, একটু পরিসংখ্যান দেবেন। আর একটু খোঁজ নেবেন, ক'জনকে মেরেছে ভারতের সীমান্তের এপাশে। সীমান্তের ওপাশে পেলে আপনার বিএসএফই ঈশ্বর, কিন্তু বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করার অধিকার বিএসএফের নাই, সেই মানুষ চোর হোক, ডাকাত হোক আর যা-ই হোক।
আপনি নিজেই তো বলছেন, বিএসএফের বহু আকামের সাক্ষী আপনি নিজেই। ওগুলো সব চাপা পড়ে যায় বাংলাদেশীদের বাংলাদেশের মাটিতে খুন করার সাফল্যে, নাকি?
বিএসএফকে গুষ্টিশুদ্ধু চোদার জন্যে আমাদের সাত বছর বয়সী পাইপগান হাতে বালকরাই তো আছে দেখতে পাচ্ছি। আপনি আমি নাহয় প্যান্ট না-ই খুললাম। হয়তো সেই ভয়েই বিএসএফ গুলি করে এদের মেরে ফ্যালে, কে জানে!
খিটিমিটি করতে চাইনি। আপনারা বি ডি আর তথা বাঙ্গলাদেশী চোরাকারবারীদের এর অপকর্মের কি খবর ভারতে প্রকাশিত হয় তা দেখতে চাইছিলেন; বিচ্ছিন্ন কিছু লিঙ্ক তুলে দিয়েছি।
এটা তো বহু আগে আমি রাগিবকে বলেছি। এখানে আমি দেখাতে চেয়েছি বি ডি আর ও কিভাবে তাদের সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এটাও জানতে চেয়েছি এটা বন্ধে কোনো ব্যাবস্থা নেবার কথা আপনার বলছেন না কেন? গরু পাচার বন্ধ হলেই বি এস এফ এর গোলাগুলি চালনা রাতারাতি এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসবে, এটা হলফ করেই আমি বলতে পারি। বাকী সীমান্তের খিটিমিটি গুলোও একইভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব অথচ সেইসব ব্যাপারে আপনারা কোনো কথা বলতে নারাজ। চোরাকারবার বন্ধ হলে পন্যের দাম একটু বেড়ে যাবে এই আশঙ্কাতেই কি চুপ থাকেন, এতগুলো লোককে ঝুঁকির মুখে পাঠান?
গুলি করে মেরে ফেলে যে শিক্ষা দেওয়া হয় তা তো ভারতীয়দের ক্ষেত্রেও করা হয় সেটা আমি দেখিয়েছি। রাগিব সাহেবের ওই যে 'ধর্মীয় ফ্লেভার' কিম্বা আপনার ওই 'সি্লেকটিভ ইচ্ছা' গুলো যে কোনো ফ্যাক্টর নয় সেটাই তো দেখাতে চাইলাম।
বাংলাদেশ এর প্রধান বিরোধী দুটি দলের মুখপত্র এর সার্কুলেশন দশ হাজার ছাড়ায় না শুনে আশ্চর্য হলেও মেনে নিলাম, আশ্বস্ত হলাম। আর সামহোয়ার তো বোধ আপনাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগ তাই না?
এরশাদ, নিজামীদের কথা বলেছিলাম এটা দেখাতে যে এগুলো নিয়েও কেউ কেউ মানবাধিকার এর কথা তুলতে পারে। আপনাদের সহযোদ্ধারাই কেউ কেউ সেই কথা তুলছেও। মোট কথা মানবিকতার সীমারেখা আর বাস্তব অবস্থান এর পার্থক্য বোঝাতেই ওই কথা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন বাস্তবতার বাধ্যবাধকতায় অনেক সময়তেই মানবিকতা ভুলুন্ঠিত হয় যেটাকে আমি দোষ এর মনে করি না।
না নেই। সেকথা আমি অস্বীকার করিনি। তবে এটা বলতে চেয়েছি আপনাদেরও প্রচেস্টা থাকা উচিৎ যাতে করে ওই চোর-ডাকাত ভারতে এসে কুকর্ম করে যেতে না পারে, সেই প্রচেস্টার অভাব এমনকি অনেকের ক্ষেত্রে সদিচ্ছারও অভাব আমি লক্ষ করেছি। যেনতেন প্রকারেন এদেরকে নিরীহ প্রমান করা বা এদের কাজকর্মকে জাস্টিফাই করার চেস্টাটাই আমার চোখে লেগেছে। সেটাই হাইলাইট করতে চেয়েছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
যে তিনটি পত্রিকার নাম বললেন, এই তিনটিই জামাতে ইসলামীর পত্রিকা। বাংলাদেশের প্রধান দু'টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ আর বিএনপি, তৃতীয় যে কোনো রাজনৈতিক দল সংখ্যার বিচারে এদের চেয়ে অনেক ছোটো। আর রাজনৈতিক দলের মুখপত্র পড়লে আপনি একটা ঘটনাকে সেই রাজনৈতিক দল কীভাবে দেখে বা দেখাতে চায়, সেটাই জানবেন শুধু। বেছে বেছে কেন জামাতি প্রোপাগাণ্ডা পড়েন, সেটার একটা ব্যাখ্যা আমি দিয়েছি। দেখুন মেলে কি না।
গরু পাচার বন্ধের উদ্যোগ আপনারা নেন না কেন? সেই হরিয়ানা থেকে গরু আনা শুরু করতে দেন কেন? বিফ বানিয়ে এক্সপোর্ট করুন না, তাতে ঢাকার বাজারে দাম আরো কম পড়বে মাংসের। আমরা তো চুরি করে ইলিশ পাঠাই না। গোটা বর্ডার জুড়ে ফেনসিডিলের কারখানা গড়ে উঠেছে, বারবার বলা সত্ত্বেও এগুলো বন্ধ হয়নি, অথচ খুব ভালো করেই জানে বিএসএফ, এই ফেনসিডিল দুই পারের যুবকদের ধ্বংস করছে। ফেনসিডিল আনতে গিয়ে তো কেউ গুলি খেয়ে মরে না, মরে গরু আনতে গিয়ে! হাস্যকর না?
আর বার বার একটা প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশের নাগরিককে বিএসএফ হত্যা করে কেন? এই সংখ্যা তো বছরে শতাধিক। আপনি এর বিপরীতে পরিসংখ্যান দেখান, কতজন ভারতীয় নাগরিক ভারতের মাটিতে [অথবা বাংলাদেশের মাটিতে] গুলি খেয়ে মরেছে। প্রত্যুত্তর শুরু করলে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শুরু করবেন।
প্রসূন আপনার পরিবারে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা দুঃখজনক। আপনার অন্তর্নিহিত ক্রোধের কারণটা বুঝতে পারলাম এবং আমি অত্যন্ত দুঃখিত এই ঘটনায়।
বর্ডারের দুইপাশের মানুষ বা তাদের প্রহরীদের স্বর্গদূত ভাবার কোন কারণ নেই। দুঃখজনক ঘটনা দুই দিকেই ঘটছে। সেটা আপনাদের দিকে যেমন হচ্ছে, এই দিকেও হচ্ছে। বিএসএফের কুর্কীতি আপনি দেখেছেন, তেমনি আমরাও বিডিআরের কেচ্ছা কম শুনিনি। আমরা বিডিআরকে ডিফেন্ড করছি না, কিন্তু বাংলাদেশি যে শিশুটা গুলি খেয়ে মরছে, সেটাকে শৈশবের সেই বন্দুকের মুখে দাঁড়ানো আপনার নিজের সাথে তুলনা করুন, দেখবেন ক্রোধ নয় আপনি নিজেও মনে হয় এপারের মানুষের দুঃখটা বুঝতে পারবেন। সেই গল্পটা আপনার নিজের গল্পের চেয়ে ভিন্ন নয়। দুই পারের সাধারণ মানুষরা কিন্তু মুখোমুখি নেই বরং তাঁরা একই নৌকার যাত্রী।
বর্ডার মানেই গন্ডগোলের জায়গা। আমেরিকা আর মেক্সিকোর বর্ডারের চুরি-চামারি কম হয় না, এমনকি হিউস্টনের পাশের শহর গ্যাল্ভাস্টোন থেকে গাড়ি চুরি করে নিয়ে ২০০ মাইল দূরে মেক্সিকোতে বেচে দেওয়ার ঘটনা হয়। আর ড্রাগ নিয়ে ঝামেলা তো আছেই।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। ঠিক এই কথাগুলোই আমি শুনতে চেয়েছিলাম, নেপথ্যের ঘটনাগুলো নিয়ে আপনাদের আদৌ কোনো মা্থাব্যাথা আছে কিনা সেটাই জানতে চেয়েছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশীরাও ঠিক এইভাবে ভাবছে কিনা। আমার উত্তর পেয়ে গেছি।
উত্তরটা ইতিমধ্যেই অনেকবার বলেছি আবার তুলে দিলাম
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে, কিছু ব্যাপার পরিস্কার করায়।
প্রসূনবাবু, আপনি হুট করে আমার পোস্টে ঢুকে ধূগোর আগের একটা পোস্টের উত্তর দিলেন। আমাকে আপনার চোখেই পড়ল না কারণ ক্রোধ এবং প্রতিহিংসা আমাদের সৌজন্য জ্ঞান অন্তর্হিত করে। সীমান্তে আপনার ব্যক্তিগত দুর্ঘটনার স্মৃতি হয়ত আপনাকে সবসময় আলোড়িত করে। আপনি কলকাতার সচলদের নিয়ে মানবিক আন্দোলন তৈরীর ইস্যুতে মেট্রোপলিসের ওপর আপনার স্টেরিওটাইপ জাজমেন্ট দিলেন। আপনি সীমান্তবর্তী ভারতীয়দের নিরাপত্তাহীনতার যে ছবি আঁকলেন, আর বিএসএফ তাদের বাঁচাতে যেভাবে প্রাণপাত করছে বললেন তাতে ওরা বাংলাদেশের কথিত ডাকাত সামলাতে যেখানে হিমসিম খাচ্ছে সেখানে পাকিস্তান বা চীন সীমান্তে কী করবে কে জানে।
আমার ভারতের মেট্রোপলিস ও স্যাটেলাইটে বেশ কিছু বন্ধু আছে। তাদের কারণেই ভারতজুজু নিয়ে এই লেখাটা লিখেছিলাম, যে সমালোচনা আসছিলো তা নিয়ে সংলাপের মাঝ দিয়ে ব্লগার পর্যায়ে একটা সুশীল সং হতির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারতো, সেই খানে হুড়মুড় করে ঢুকে ভারত জুজুকে সত্যি প্রমাণের দশচক্রে ভগবান ভূত করে ছাড়লেন।
সত্যিই এই গোরু বিষয়ক লিঙ্কখচিত অভিসন্দর্ভে কোন লাভ হবেনা। বাংলাদেশ কতৃপক্ষের উদ্ধৃতিগুলোতে বাংলাদেশ সৎ প্রতিবেশীসুলভ মনোভাব প্রকাশ করেছে।
অতীত ঘাটলে উভয়পক্ষের অনেক ভুল বেরিয়ে আসবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম,ফারাক্কা সমস্যা, মরুকরণ, আর্সেনিক সমস্যা,মঙ্গা এবং হালের তারুণ্যবিনাশী ফেনসিডিল আগ্রাসনের অভিযোগ চলে আসবে, আর সেটা হবে অন্তহীন কলতলার ঝগড়া।
অনলাইনে রাডক্লিফ লাইন নেই, কিন্তু হয়তো আমাদের অবচেতনে এই বিভাজন আরো প্রকট। এইখানে তর্ক করে কেউ পদ্মশ্রী পাবেনা বা বীরপ্রতীক হবেনা।
তাই ঢাকা-কলকাতার ব্লগারদের মাঝে যদি কোন মেলবন্ধন তৈরী না হয়, প্রসূন বাবু আপনাকে মনে রাখবো। সেটা একটা তিক্ত স্মৃতি হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনার উষ্মার কারণ আমি বুঝতে পারছি। সেজন্য আবারো আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ধুগোর আগের পোষ্ট এ মন্তব্য করতে পারলে এখানে ব্যাপারটা এতদুর গড়াতো না।
আপনাকে নজরে পড়েনি এটা ঠিক নয়, কিন্তু আপনার পোষ্ট ছিল একজন বাংলাদেশীর পক্ষে ভারতকে কি নজরে দেখা উচিত তা নিয়ে, সুতরাং সেটা নিয়ে আমার আলাদা কোনো বক্তব্য না রাখাই উচিত বলে আমার মনে হয়েছে। সেটা আপনাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাপার।
একটা ঘটনার পিছনের কারনগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করতে চেয়ে যদি আমি কারো 'ভারত জুজু' বদ্ধমুল করে থাকি তো তার জন্য আমি দুঃখিত।
আর আমার জন্য "ঢাকা-কলকাতার ব্লগারদের মাঝে কোন মেলবন্ধন তৈরী" হবে না সেটা ভাবা বোধ হয় আমাকে ওভার এস্টিমেট করা।
যাই হোক ইস্যুটার মনে হয় খুব শীগগীরিই সমাপ্তি ঘটবে।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
প্রসূন অনলাইনে রাডক্লিফ লাইনের নিকুচি করি, বরং আত্মসমালোচনা করে অন্তর্গত বিভাজনগুলো মুছে ফেলতে ইচ্ছা করে। আমি আধুনিক শিক্ষার মোড়কে আমার সাঁওতালী রাগ লুকিয়ে রেখে ঝুমুর তালে নাচি, তবুও আমার জীনগত ক্রোধের বেড়াল বেরিয়ে যায়। আমি আপনার সামনে লুকাতে পারিনি এই রাগ।সরি।শুধু আশা করেছিলাম আমি যেমন ভারতের প্রাপ্য প্রশংসা করেছি,আপনিও তেমন বাংলাদেশের প্রাপ্য প্রশংসা করবেন। হয়তো করবেন একদিন কারণ শীঘ্রি সেটা অর্জন করবো আমরা। কাউকে কোন এস্টিমেট করাটা আদিমতা। আপনার ক্রোধ বাদ দিলে, শব্দ বাক্যে একজন ভালো লেখককে খুঁজে পাওয়া যায়।ক্রোধ হয়ত বয়সোচিত। জাজমেন্টাল হচ্ছিনা। ভালো থাকুন আমাদের ওপার বাংলার বন্ধুরা।অনলাইনের বাংলাভাষী অখন্ড গোলকে হাত বাড়ালেই বন্ধু।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
সীমান্তের এই পাহারাদারদের কোনো পক্ষকেই সাধু মনে করার কারণ নেই। বছরের পর বছর এই দীর্ঘ সীমান্ত তারা দেশপ্রেমের বশে পাহারা দিয়ে বসে থাকে না। ব্যবসা তাদের সবচেয়ে বড় চালিকা শক্তি। দোনো পক্ষের। সরেজমিনে তদন্ত করলে এই সত্যটাই বের হয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
সেখানে দেশপ্রেমের ঘটনা ভেবে যে অন্য দেশের মানুষকে তার দেশের মাটিতে নির্বিচারে গুলি করে মারাটাকে বাহবা দিচ্ছে, জাস্টিফিকেশন খুঁজছে, সে বিশাল ধোঁকার মধ্যে আছে। অস্ত্রধারীরা অমানুষ ব্যবসায়ী বলেই তারা নিজ পারের মানুষগুলোকেও অত্যাচার করতে পারে। বিশাল আকারের বোকামানুষদের বাহবা পাবার জন্য ওরা অন্য পারের মানুষগুলোকেও গুলি করে।
নিজের ঘরে বন্দুকধারী ভাই থাকলেই পিঠ চাপড়িয়ে দিয়ে ভুল করবেন না। বন্দুকধারী খুনির জাত নেই। আজ এই অত্যাচারের বিরোধিতা না করে যারা বাহবা দিচ্ছেন, কাল তাদেরকেও যেদিন অত্যাচার করা হবে, কেবল বাহবা দেবার জন্য ছাড়া আর কোনো মানুষ সাথে পাওয়া যাবে না।
এখানে মাসকাওয়াথ ভাইয়ের সাথে সুর মিলিয়ে আরো বলতে চাই, ভারত আমাদের শত্রু না। অযাচিত ভারত বিরোধিতা অর্থহীন। শত্রু আমাদের মাঝেই তারা, যারা ক্ষমতা, শক্তি, অস্ত্র, অর্থের এক চেটিয়া অধিকার নিয়ে বসে থাকে। তাদের কথা না বলে যারা শত্রু হিসেবে ভারতের কথা বলে, তারাও ওই শত্রু গোষ্ঠীর অংশ। একইভাবে যারা পাকিস্তান বিরোধিতা বা বাংলাদেশ বিরোধিতার কথা বলে। আমরা যারা ওদের কথায় মাতি, তারা আজন্ম বেকুব। এই কথাটা বাংলাদেশবাসী, ভারতবাসী, পাকিস্তানবাসী, সবার মনে রাখা উচিত। আমরা শত্রু চিনতে ভুল করছি, এবং বন্ধু চিনতেও। মাসকাওয়াথ ভাইয়ের এই মেলবন্ধনের আহ্বানের স্বরূপটা বুঝুন।
তাসনীমকে দেওয়া উত্তর আপনার জন্যেও-
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। ঠিক এই কথাগুলোই আমি শুনতে চেয়েছিলাম, নেপথ্যের ঘটনাগুলো নিয়ে আপনাদের আদৌ কোনো মা্থাব্যাথা আছে কিনা সেটাই জানতে চেয়েছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশীরাও ঠিক এইভাবে ভাবছে কিনা। আমার উত্তর পেয়ে গেছি।
না সেটা আমি করতে চাইও না। আমার যেমন দায়িত্ব আমার বন্দুকধারী ভাইকে সামলানো তেমনি অন্যেও তার ভাইকে সামলাবে সে যাতে আমার ভাই এর পায়ে পা না বাধায়, সেটাই প্রথম থেকে আমি বলতে চাইছি।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
...কেন এই ভারত বিরোধিতা...?...কেন...?
...ভারত বিরোধিতার যথেষ্ট কারণ দৃশ্যমান তাই----সহজ এই উত্তরই আমার মাথায় আসে।কারণগুলো চোখের সামনে ভাসে।
...মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের তীব্র বিরোধিতা হয় যে দেশে, সেই দেশে একশ্রেনীর মানুষ যে কোন ধরনের ভারত বিরোধিতা করলেই, বলা শুরু করেন...ভারত জুজুর ভয় দেখানো হচ্ছে...আমি তো ভারত এর চরিত্রের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদের ড্রাগন দেখতে পাই...
আমেরিকা তার সাম্রাজ্যবাদের প্রসারে পৃথিবীব্যাপী যেমন যুদ্ধে লিপ্ত, ভারত কেন যেন সবসময়ই তার প্রতিবশীদের সাথে একটা যুদ্ধ ঘোষণা করে বসে আছে...খুব ভদ্র ভাষায় যখন তখন হুমকি দেয়ার একটা বদভ্যাস গড়ে তুলেছে...জাতীয়তাবাদী ভারত শধু জাতীয়তাবাদ নয়, বর্ণবাদ দোষে দুষ্ট...
আর ভারতের সাথে সম্পর্ক থাকলে দ্বন্দও থাকতে পারে আর তা থেকে সমালোচনা, কড়া সমালোচনাও হতে পারে...তাই বলে কি ধরে নিতে হবে আমরা ভারতের বিরুদ্ধে জ়েহাদ ঘোষণা করে ফেলেছি...?...এমন ভাবার কোন কারণ আছে কি...?...কেন যেন এদানিং ভারত বিরোধী কোন কথা উঠলেই বলা হয় ভারত জুজুর ভয় দেখানো হচ্ছে।কেন বাবা, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বলে কি তার অপকীর্তির,বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী প্রকল্পের, বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার সমালোচনা করা যাবেনা...?...আর তাছাড়া আমরা যতটা না ভারত বিরোধী কথা বলি, তার চাইতেও অনেক বেশী আমরা আমাদের সরকারের নতজানু নীতির সমালোচনা করি।ভারত জুজুর ভয় দেখানো হচ্ছে বলে ভারতের যে কোন সমালোচনাকে নিস্ক্রিয় করার একটা প্রয়াস চালান এ দেশের বুদ্ধিজীবি এবং রাজনীতিজীবি মানুষ এবং যারা এই ভারত বিরোধীতা করেন তারা যেন হাস্যস্পদ একটা প্রাণী এবং অনেকটা অশিক্ষিত অনগ্রসর প্রতিক্রয়াশীল গোবর গণেশ সম্প্রদায়-নিজ দেশের মানুষ সম্পর্কে এমন ধারণা নিঃসন্দেহে অপমানজনক।আর ভারত নিয়ে গদ গদ ব্যক্তিরা সব যেন প্রগতির আধার...ভুল করে কাদামাটির এই দেশে জন্ম নিয়ে ফেলেছেন...মুখে যতই দেশপ্রেমের কথা বলুন, ভারতীয়দের কাছে প্রমাণ করার জন্য ব্যগ্র থাকেন যে তিনি ওই গর্দভদের দেশের হলেও একটু প্রগতিশীল গোছের, কাজেই বন্ধু ভাবলে দিল টা ঠান্ডা হ্ স্বস্তি হয়...
হ্যাঁ...আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছে...আশ্রয় দিয়েছে...খাদ্য দিয়েছে...অস্ত্র দিয়েছে...স্বীকৃতি দিয়েছে...সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে...ভারতীয় সৈনিক অফিসার প্রাণ দিয়েছে...কারন...আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ যেমন ছিল আমাদের এক মরণপন সংগ্রাম ঠিক তেমনিই দ্বিখন্ডিত একটা পাকিস্তান ভারতের ভৌগলিক আধিপত্যের জন্য অনেক বেশী দরকারী। রাহুল গান্ধি তার সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে কিন্ত এই বিষয়টিকে গান্ধি পরিবারের একটা অর্জন বলেই উল্লেখ করেছেন "GandhI family has never compromised with the interest of India, be it division of another strategically enemy country or supporting the cause of liberation seeking people of a country"-সত্যিই গর্ব করে বলবার মতই একটা বিষয়।অথচ আমরা মরে যাব তবু এই সত্যটা বলে ভারতকে বিব্রত করার কাজটা কখনই করিনা।
যেমন করিনা...সদ্য স্বাধিন একটা দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার কোন সমালোচনা।ইন্দিরা গান্ধী বাঙ্গালীদের ৭১ এ যা যা দিয়েছিলেন, শান্তিবাহিনীর হাতে তার চাইতেও আধুনিক অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন, যা রাজীব গান্ধীর শাসনামলে এসে ব্যাপকতা লাভ করে।আশির দশকের শেষ দিকে রাজীব গান্ধি হঠাৎ করেই শান্তিবাহিনীকে সাহায্য করা বাড়িয়ে দিলেন।যার মাশুল গুনতে হয়েছিল এদেশবাসীকে।
সেনাবাহিনীর মনোবল এর কথা ভেবেই হোক, অথবা যুদ্ধের ব্যাপ্তি সীমিত রাখার কৌশল হিসেবেই হোক...বাংলাদেশের মানুষ কোনদিন পার্বত্য চট্রগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ত্যাগ এর কথা জানতে পারিনি...প্যাশিফিকেশন প্রোগ্রামে যাওয়া সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপর ফাঁদ পেতে মেরে ফেলে শান্তিবাহিনীর সদস্যরা গ্রামে বনভোজন সেরে আবার ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে...লেঃ আরিফ বিকেল থেকে হেলিপ্যাডে এসে বসেছিল ১০৪ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে...ম্যালেরিয়া...হেলি পৌছতে পৌছতে সন্ধ্যা হবো হবো...গরীব দেশের পাইলট জীবনের চাইতে হেলিকপ্টার বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেরত চলে গেছে...বাঁচার আশা শেষ হয়ে যাওয়া লেঃ আরিফ স্ট্রেচারে ক্যাম্পের ছোট কুঁড়েঘরে ফেরত যাওয়ার সময় তার কোন চিন্তা করার ক্ষমতা ছিল কিনা জানিনা...গভীর রাতে দূর ক্যাম্পে কোন এক সৈনিকের কোলে মাথা রেখেই হয়তো শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে থাকবে...এরকম আরো অনেক উদাহরণ হারিয়ে গেছে, যা এই জাতির সেনাবাহিনীর গৌরব গাঁথা...
ভারত কি কোনদিন র'এর গোয়েন্দা যারা এই অস্ত্র সরবরাহের দ্বায়িত্বে ছিল তাদের প্রকাশ্যে বিচার করবে...?...না পৃথিবীর কোন দেশ বাংলাদেশের মত এমন জ্বলন্ত উদাহরণ সৃষ্টি করবে...?
২০০৫ এর আগষ্ট এ সারাদেশব্যাপী বিচারকদের বিরুদ্ধে জ়ে এমবি'র আত্মঘাতী বোমা হামলার বিস্ফোরক এসেছিল ভারতের বিভিন্ন কয়লাখনি আর পাহাড়ভাঙ্গা কোম্পানীর ভান্ডার থেকে...আমরা কিন্তু কখনোই ধোয়া তুলিনি ভারত আমাদের জঙ্গিদের মদদ দিয়েছে...পিলফারেজ হতে পারে...উন্নত বিশ্বে অহরহই হচ্ছে...
...ট্রানজিট ট্রান্সশিপমেন্ট গভীর সমুদ্র বন্দর, যাই বলুন...আমাদের তাড়াহুড়া করার কিছু নাই...রাস্তা কিংবা বন্দর একবার হয়ে গেলে আগামি হাজার বছর তা শুধু প্রসারিতই হবে আশা করা যায়...তা হলে একটু রয়ে সয়ে আগামী হাজার বছর না হোক দুশো বছরের লাভক্ষতির হিসেব নিকেশ করলে আর পরিকল্পনা করে রাস্তাঘাটের কাজে হাত দিলে কি এমন ক্ষতি...ভারত কিন্তু হিসেব নিকেশ অনেক আগেই সেরেছে...আমরা কি প্রস্তুত...?..
....আর এই তিনটে জিনিষ ছাড়া বাংলাদেশের ভারতের সাথে দর কষাকষির আর খুব বেশি কিছু আমাদের নেই, ভুললে মোটেই চলবেনা...যেমন ভুলে যাওয়া মোটেই উচিত হবেনা...বাহাত্তর এ তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া বেরুবাড়ি আঙ্গরপোতা দহগ্রাম সমস্যার কিন্তু এখনো কোন সমাধান হয়নি...একতরফাভাবে ছেড়ে দেওয়া ভূখন্ডের বদলে আমরা এখনো বুলেট হজম করে যাচ্ছি আর ভারত স্তূতি করে যাচ্ছি...প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবি সমাজ, হায়রে...
কেউ কেউ বলেন ভারত বিরোধিতা করলে নাকি প্রতিবেশী দুই দেশের দর কষাকষিতে অসুবিধা হয়...এদেশের দালাল সম্প্রদায় এতটাই বেশি শক্তিশালী যে ভারত এদেশের ন্যায্য কোন দাবীকেই কখনো আমলে নেয়ার যুক্তি খুঁজে পায়নি...ইন্দিরা মুজিব গভীর সম্পর্কের গভীরতা কিংবা যে কোন সরকারের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ ও তোষণমূলক পররাষ্ট্রনীতি আমাদের কোন সমস্যার সমাধান আনেনি...
ভারত জুজু নয়...ভারত আগামী পৃথিবীর আরেকটি সাম্রাজ্যবাদি ড্রাগনেরই উত্থান...ভয় পাওয়ার কিছু নেই...সতর্ক পদক্ষেপ এ সমস্যা কি...?...আর আমরা ভারতের চাইতে বেশ কিছু মানব সম্পদ উন্নয়নের দাগে কিন্তু বেশ এগিয়েই আছি...আর এই মানব সম্পদ এদেশের সবচাইতে বেশী মূল্যবান সম্পদ।
মনোবলটা উঁচু রাখুন।তাজউদ্দিনের মত বলার সাহস রাখুন...আমরা অবশ্যই বন্ধু, তবে সমান।
(৭১ এ ভারত থেকে ফিরে আসার সময় বিমান বন্দরে তৎকালীন বিএসএফ প্রধান কে বলা উক্তি...সিমিন হোসেন রিমির ডকুমেন্টারী...সিঁড়ির গোড়ায় বিএসএফ প্রধান এর বলা, 'তাজউদ্দিন, তোমরা ত এখন স্বাধীন দেশ, ভারত এবং বাংলাদেশ এখন বন্ধুরাষ্ট্র' কথার জবাবে)।
তাজউদ্দিনের মত বলার সাহস রাখুন...আমরা অবশ্যই বন্ধু, তবে সমান।
অনেক ধন্যবাদ, ডয়চেভেলেতে ৫ বছর ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার বন্ধুতার ভিত্তি ছিলো তাজউদ্দিনের এই মন্ত্র।
অসাধারণ ঋজু মন্তব্য আপনার। আমার ললিতলোভনকান্তি ভারত তোষণের পরে আপনার এই মনোবলের উদ্গীরণ স্যালুটের যোগ্য।
ভারতের দাদাগিরির ইতিহাস আমার জানা। আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রেস এটাশে হিসেবে কাজ করেছি, ফলে আপনার বন্ধুদের মতই বিপদে পড়েছি, মন্ত্রীসহ দৌড়ে স্পীডবোটে উঠে কোন মতে জীবন বেঁচেছে।আবার ওখানকার পাহাড়ি মানুষের বেদনাগাথা না লিখে মরলে, আল্লাহ বলবেন, তোরে একটু লেখার হাত দিছিলাম সেইটাও তোষণে কাজে লাগালি, যাহ হাবিয়াহতে। এনিওয়ে আপনি যেটা 6 দেখেন আমি দেখি 9, দুজনেই ঠিক আছি। ভারতপন্থী বা পাকিস্তানপন্থী পৈতে লাগিয়ে লেখককে খোঁজা বানানোর দিন শেষ, আমি দক্ষিণ এশিয়ার এই বর্বর ষড়যন্ত্রসূত্র নিয়ে লিখতেই থাকবো। তাতে আপনি কোন সহজ সমীকরণ বের করে দেশপ্রেমের মনোপলির মনোবল সূত্র নিয়ে আসতে পারেন। আমি পররাষ্ট্র নীতি সবার সঙ্গে বন্ধুতা কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় এটা মেনেই লিখবো, অনলাইন সেই লিবারেল আর্টের জায়গা। মার্কিন-ভারত-পাকিস্তান জুজুটা যুদ্ধবাজ বুশের ইরাক জুজু বা কোরিয়া বা ইরান জুজুর মতো প্যারানয়া বা যুদ্ধের নেশা।অথচ আপনি নিশ্চয় জানেন, এযুগে সবচেয়ে ভালো সৈনিক তিনিই যিনি শেষ পর্যন্ত শান্তির চেষ্টা করবেন। আপনার কথা মত আমি মনোবল চাঙ্গা করবো, আপনি একটু ক্রোধ প্রশমন করে জন লেনন বা ববমার্লি শোনেন যদি। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
...ধন্যবাদ আপনাকে...
আমি যেটা 6 দেখি, আপনি সেটা 9 দেখেন...তাই কি...?
মহাত্মা গান্ধীর অধিকার আদায়ের অহিংস আন্দোলন এর সমর্থক আমি...শান্তির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে আমি বিশ্বাসী...তাই বলে কোমরের তরবারিতে গ্রীজ মাখিয়ে আলমারীতে তুলে রাখার সাহস নেই আমার...
...অসাধারণ ঋজু মন্তব্য আপনার। আমার ললিতলোভনকান্তি ভারত তোষণের পরে আপনার এই মনোবলের উদ্গীরণ স্যালুটের যোগ্য...হো হো হো...একটু ভুল বুঝলেন আমাকে...
...আপনার লেখায় আস্কারা প্রদায়ক 'ললিতলোভনকান্তি' কোন ভারত তোষণ আমার চোখে পড়েনি...ভারত তোষণ নিয়ে আমার ক্রোধ আপনার লেখা থেকে নয়...ভারতের জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে যাওয়ার যে প্রশংসা আপনি করেছেন তার সাথে সারা পৃথিবীর মত আমিও একমত, ক্রোধ ভারতের অন্যায় দাদাগিরি আর আমাদের কিছু সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গের ভারত নিয়ে ফালপাড়া থেকে...আর আমি শুধু 'আপনার প্রশ্ন, কেন এই ভারত বিরোধিতা...?'র জবাবে আমার উত্তর দিয়েছি...এবং উত্তর দিতে গিয়ে বুঝেছি, বোকামি করে ফেলেছি...সবই আপনার জানা...
...পাহাড়ি জনগণের সমস্যার প্রতি আপনার মত আমারও সহানুভূতি আছে...পেশাগত কারণে এবং দেশ ও জাতির প্রতি দ্বায়িত্ব পালনের অঙ্গিকার থেকেই এ দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যগণ শান্তিবাহিনীর সদস্যদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে...কিন্তু ভাইয়ের বিরদ্ধে অস্ত্র ধরার যন্ত্রণা এদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের সবসময়েই ছিল,এ থেকে কোন মুক্তি নেই...পার্বত্য চট্রগ্রামে অপারেশন এর দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ২৪ পদাতিক ডিভিশন এর এসওপি'র পাতা উল্টালে আপনার চোখে পড়বে...শান্তিবাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত না হলে ফায়ার ওপেন করার অনুমতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের ছিলনা...যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে একজন সৈনিক এর জন্য এর চাইতে কঠিন কোন কোড অফ কন্ডাক্ট থাকতে পারে বলে আমার জানা নেই...তবে সদ্য স্বাধীন একটা দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে আপনার ভারতীয় সাংবাদিক বন্ধুদের মতামত যদি কিছুটা আমাদের বলতেন...খুব ভালো লাগত...
ভারত তোষণ প্রসঙ্গে একটা উদাহরণ দেয়ার লোভ সামলাতে পারছিনা, কিছুদিন আগে শাহরিয়ার কবীর ভারতে গিয়ে উপস্থাপন করেছেন তার অনবদ্য সৃষ্টি 'ওরা মানুষ না মালাউন'...এটি এই দেশেই উপস্থাপিত হতে পারত কিংবা কোন আন্তর্জাতিক ফোরামে...আর এমন একটি দেশে এটি উপসস্থাপিত হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় এবং বহাল তবিয়তে দাঙ্গায় উস্কানিদাতারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকেন, কেন্দ্রীয় সরকার শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেন...পৃথিবীতে ভারত ছাড়া কেউ আর একটিও দেশ দেখাতে পারবেনা, যেখানে বেবীট্যাক্সীর ড্রাইভার মুসলিম জানলে আরোহী নেমে যায়...মুসলিম নামে রেশন কার্ড পাওয়া যায়না বিধায় অন্য নামে পরিচয় পত্র বানাতে হয়...
ভারতীয় এই বর্ণবাদের শিকার শুধু গরীব মুসলিম সম্প্রদায় নয়, নিম্নবর্ণ হিন্দু এবং ক্রিশ্চিয়ান রাও...এইরকম একটি দেশে শাহরিয়ার কবীর এর এই উপস্থাপনা নিশ্চিতভাবেই ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীকে কিছুটা হলেও মনোকষ্ট আর হীনমন্যতা থেকে রেহাই দিয়ে থাকবে...পাশাপাশি ভারতীয় উগ্রবাদী দাঙ্গাবাজদের উৎসাহিতও করে থাকবে, নিশ্চিত...
...ক্রোধ নয়...জুজুর ভয় নয়...অবশ্যম্ভবী ভারতীয় আগ্রাসন এর আশংকায় আছি...১০০ কোটি মানুষের ক্ষুধার্ত ভারতের জন্য বাংলাদেশকে সব উপায়ে ব্যবহার করার চাইতে ভাল কোন অপশন কিন্তু নেই... আর তাই প্রয়োজনে ভারত আমদের ভাতে মারবে,পানিতে মারবে,মারছে...দেবেনা কিছুই, নেবে আন্ডারওয়্যার টাও...
...লিবারেল আর্টের প্রতি আপনার ভক্তিকে সশ্রদ্ধ স্যালুট জানিয়ে বলতে চাই,হাতে গোণা কিছু মানুষের সৌভাগ্য হয় বিশ্ব নাগরিক হওয়ার, এটি তারা অর্জন করেন তাদের বিদ্যাবুদ্ধি প্রজ্ঞা দিয়ে...তারা তাদের মন্তব্যগুলো করেন বৈশ্বিক চিন্তা ভাবনা থেকে...লিবারেল দৃষ্টিভঙ্গি থেকে...কিন্তু এটি তার দেশের, বিশেষত সেই দেশটি যদি গরীব হয়ে থাকে, সেই দেশের কিংবা সেই দেশের গরীব মানুষের কোন কাজ়ে আসেনা...লন্ডনের রাস্তায় কিংবা খোদ যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার মানুষের মিছিল এবং শান্তিকামী নাগরিকদের প্রতিবাদ ইরাক আগ্রাসন থামাতে পারেনি...ঠিক তেমনিই আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবি এবং সাধারণ মানুষ যদি একযোগে দেশের স্বার্থ নিয়ে সোচ্চার হতে না পারি, আগ বাড়িয়ে ভারতের সবকিছুতেই হাঁ বলা শুরু করি...মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের সেমিনার পরবর্তী সন্ধ্যাটা হয়তো সূরা সাকীর সান্নিধ্যে স্বর্গ হয়ে ধরা দিবে অথবা দিচ্ছে...কিন্তু দেশের স্বার্থ রক্ষায় তা কোন কাজে আসছেনা... গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলিতে জাতি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাচ্ছে...আমার ভয়টা এখানেই...
...আজ যদি আমরা ষোল কোটি বাংলাদেশী ভারতের সীমানা জুড়ে ফারাক্কা অথবা টিপাইমুখ ইস্যুতে রজনীগন্ধা হাতে নিয়ে মানব বন্ধন করি...ভারত তাতে কোন আমল দিবেনা...তবে এই ষোল কোটি বাংলাদেশী যদি তীরধনুক নিয়েও দাঁড়িয়ে যাই...কিছুটা হলেও তাতে কাজ হতে পারে...পাকিস্তান মুখী কোন আন্তর্জাতিক নদীর মুখে ভারত এখনও কোন বাঁধের কাজে হাত দিয়েছে বলে আমার জানা নাই...লেখকের জানা থাকলে অবশ্যই জানাবেন কিন্তু...
...আপনার এই 'কেন এই ভারত বিরোধিতা' র প্রসংগ ধরেই আবারও বলি, ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট-গভীর সমুদ্রবন্দর...এই বিষয়গুলো নিয়ে তাড়াহুড়ার কিছুনেই...ভারতকে ট্রানজিট আমরা অবশ্যই দেব...এশিয়ান হাইওয়েতেও যোগ হবে বাংলাদেশ...তার আগে আমাদের প্রস্তুত হওয়ার সময়টা তো নিশ্চয়ই নেবেন, তাই না...?...
বব মার্লে জন লেনন কোনটাই শোনা হলনা...তবে মার্লের get up, stand up:stand up for your rights গানটির কলিগুলো ঘুর ঘুর করছে...ভালো থাকবেন।
আমাকে আধঘুম আধ জাগরণ থেকে তুলেই ছাড়লেন, এই পিটি প্যারেডের ভয়ে ক্যাডেট কলেজ ছেড়েছিলাম।
আমার মাথায় বুদ্ধি থাকলে ভারতপ্রিয়ার লাস্যের ঘোরে এলোমেলো লিখতাম না। প্রত্যেক মানুষের জীবনে হামারশিয়া বা হুব্রিস থাকে (বুদ্ধিজীবী হতে গেলে এরকম গোটা পঞ্চাশেক শব্দ মুখস্ত রাখলেই চলে)। সেটাই কাল হয়।
যাইহোক আমার মাথায় সামান্য বুদ্ধি থাকলে আমি আপনার এই সক্রোধ ভারতসচেতন যৌক্তিক অবস্থানটি উপভোগ করতাম।দুই দেশের আমার দুই ব্যাচমেট যুদ্ধ যুদ্ধ খেলবে, আর আমি মজা দেখবো। বুদ্ধি কম বলেই একটা বুদ্ধি দেই। স্যারদের অনুরোধ করেন, সার্ক দেশ গুলোর সেনা কর্মকর্তাদের ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম করতে, এই জেনারেশনে গোলি ফিট করার বা খাওয়ানোর বা ব্রেনওয়াশের গ্রাম্য ষড়যন্ত্রসূত্র আর চলেনা। সার্ক সৈনিকদের একাডেমিক মিথষ্ক্রিয়া দরকার। সরাসরি কথা হওয়া দরকার। তাহলে বনের বাঘের প্রস্তুতি থাকবে, মনের বাঘ কোন প্যারানয়া তৈরী করেনা।
খুব ভালো লিখেছেন। আপনাদের ব্লগ আছে কী? না থাকলে স্যারকে বলবেন অনলাইন সত্যানুসন্ধানের মানব মিছিলে যোগ না দিলে পেছন দিকে হাঁটা হবে, ক্যাডেট কলেজে তো ওটা পানিশমেন্ট ছিলো, পেছন দিকে হাঁটা। আপনি বলতে পারবেন। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
...স্যরি, মাসকাওয়াথ ভাই...জ্বর টা মাঝে মাঝে ঘাম দিয়ে ছাড়লেও আবার এসে হানা দিচ্ছে...রাত দুপুরে একটু সুস্থ বোধ করছিলাম আর ভেবেছিলাম আপনি ঘুমের দেশে আছেন, এই ফাঁকে দুষ্ট বালকের মতো আপনার দরজায় কয়লা দিয়ে কিছু লিখে পালিয়ে যাবো...হলনা... অতন্দ্রপ্রহরী বুদ্ধিজ়ীবি এক বঙ্গ শার্দূল আপনি...ধরা খেয়ে গেলাম...আপনার ঘুম ভাঙ্গার কষ্টে আমি আবার একটু হেসেওছি...বদমাইশ পোলাপানের দূর থেকে মজা দেখার মত...
মাফ করে দিয়েন...ভালো থাকেন।
সীমান্ত থেকে পাঁচ শিশুকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
উপরের খবরটা পড়ে প্রসুন'দা নিশ্চয়ই বলবেন ওরা বিয়েসেফের পোঁদে কাটা রাইফেল ঠেকিয়ে গুলি করতে গিয়েছিল কিংবা লুঙ্গির নিচে কুঁচকির চিপায় ভরে গরু পাচার করছিল।
কি মাঝি, ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন