যুদ্ধাপরাধী নয় বা বাংলাদেশ কালে গ্রেনেড হামলা,খুন-ধর্ষণ বা অন্য কোন মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি এমন রক্ষণশীল শরীয়া আইনের ধ্যানে বিভোর তরুণের সংখ্যা কিন্তু অনেক, জার্মানীর নব্যনাতসীদের তুলনায় তাদের মাথার ও হাতের সংখ্যা অনেক বেশী।
এদের মধ্যে যারা নেহাত ধর্মব্যবসায়ীদের ট্যাকার লোভে জিহাদ প্যাকেজে যুক্ত তাদের নিয়ে চিন্তা কম, ট্যাকার জন্য এরা টেন্ডারবাজির জন্য দলবদল করবে বা সহি কায়দায় ফেনসিডিল বিক্রী করবে।কিন্ত যাদের আসলেই ব্রেন ওয়াশড হয়েছে, তাদের প্রশিক্ষণ একটি জীবনদর্শন।
ওয়াজিরিস্তানের জঙ্গী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলো নিসর্গের বেহেশতের স্যুটিং স্পটের মত। সেইখানে গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক আধুনিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্রেণওয়াশ করার সময়, আফঘান বা পাকিস্তানী বহিষ্কৃত বা চাকরি ছেড়ে যাওয়া মার্সিনারী যুদ্ধ প্রশিক্ষকরা আলোচনার আবেগীমুহূর্তে চরস ধোয়ায় আচ্ছন্ন করেন চারপাশ, তরুণদের ঝরণার ধারে নিয়ে গিয়ে বলেন, এই নহরের চেয়েও সুন্দর নহর পাবে জান্নাতুল ফেরদাউসে।তারপর সিডি চালিয়ে এঞ্জেলিনা জোলি বা বিপাশা বসুদের মতো পার্থিব হুর দেখিয়ে বলে, আরও সুন্দর তারা জান্নাত হুরেরা।
যে ছেলেটি মাত্র হাজার দুই-তিনেক ডলারের বিনিময়ে তার ছোটভাইবোনের রুটির বন্দোবস্ত করেছে,যাকে তার মায়ের আঁচল থেকে ছিঁড়ে আনা হয়েছে,জীবনের নিষ্ঠুর এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে আবার এক নতুন জীবনের আলোছায়ায় বুকে বোমার সাস্পেন্ডার পরে হেঁটে যায় বেহেশতের দিকে, তাকে ডাকতে থাকে ওয়াজিরিস্তানের চেয়ে সুন্দর নহর আর সিডির হুরদের চেয়ে সুন্দর সানিয়া মির্জারা।
এইরকম সংকল্পবদ্ধ তরুণরা ইনটেরোগেশন সেলে যে ঋজুতার পরিচয় দেয় তাতে তাক লেগে যায় তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদ কর্মকর্তাদের।ওরা পার্থিব চাওয়ার উর্ধে তখন বেহেশতের অপেক্ষা করছে, কারাগার থেকে আত্মা আগেই চলে গেছে বেহেশতের ইমিগ্রেশন রুমে।
বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো গরীব বাচ্চাদের একমাত্র গন্তব্য, মাদ্রাসা একটা প্রায় নিরুপায় বিকল্প। সব মাদ্রাসাই জঙ্গীপ্রশিক্ষণ কেন্দ্র তা বলার অবকাশ নেই, কিন্তু যেহেতু মাদ্রাসাকে ঘিরে যে সন্দেহের কারণ তৈরী হয়েছে তা কাটাতে গেলে শান্তিপ্রিয় মাদ্রাসার আলেমদের সহযোগিতা লাগবে, অন্তত বিজ্ঞান,ইংরেজী আর কম্পিউটার প্রশিক্ষণ আর শান্তির ইসলামের দর্শন দিয়ে জেহাদী যুদ্ধ ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক জঙ্গী ভাবনা প্রতিস্থাপিত করে।
শিক্ষামন্ত্রী আশা করছি এদিকে নজর দেবেন। ধর্মমন্ত্রী মসজিদের ইমামদের একইভাবে কাজে লাগাতে পারেন মসজিদের খোতবার অন্তত দুইমিনিট ইসলামের শান্তির এবং জিহাদের সঠিক ব্যাখ্যাটা তুলে ধরার জন্য। আমার জানামতে সবচেয়ে কঠিন জিহাদ হচ্ছে নিজের মধ্যের খারাপের বিরুদ্ধে,অসত্যের বিরুদ্ধে নিজের প্রতিযুদ্ধ প্রতিনিয়ত। ইসলাম যদি ধর্ম হয়, তাহলে অতীতের মুসলমান খলিফা বাদশাহদের রাজনৈতিক জিহাদ অপব্যাখ্যার অনুসারী একবিংশের মুসলমানেরা হতে পারেনা।সেটা জিহাদ দেবতাদের পূজা, কাজেই শিরক।
বাংলাদেশের জিহাদ আঞ্চলিক বলে যারা উড়িয়ে দেন, তারা রমনার বটমূল,উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলা,একুশে অগাস্ট,সতের অগাস্ট ভুলে গেলেন সেই বুড়ির মত যার বৃষ্টিদিনেই কেবল ঘরের ছাদ সারানোর কথা মনে পড়ে।একি সঙ্গে তেষট্টি জেলায় বোমা হামলার সামরিক কৌশল হাফরেড বাংলাভাইয়ের মাথা থেকে এসেছে ভাবা আমার যুদ্ধকৌশলবিশেষজ্ঞ এক বন্ধুর ই-মেইল পড়ে অবাক হলাম।আমরা আসলে সরল নদী মানুষ।
তবে তার কাছ থেকে একটা ভালো পরামর্শ এসেছে।সরকার চাইলে আনসার বাহিনীকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আধুনিক ট্রেনিং দিয়ে প্রতিষেধক অপারেশনে নামাতে পারেন।এতে সামাজিক অপরাধও ভয় পাবে চুরি-ডাকাতি-খুনের আগে।জিহাদ মাথায় নিয়ে ঘুরছে যে অল্পবয়েসী তরুণেরা এদের রিকনসিলেয়েশন বা প্রশমন ক্যাম্প খুলে জীবনে ফেরাতে হবে।এত সংখ্যক তরুণকে অন্ধকারে রেখে আমরা সুশীলসমাজ আলো আমার আলো গাইলে তা ইউটোপিয়া শোনাবে।
দাড়িটুপির মেক আপ পরে যুদ্ধাপরাধী আর ধর্মব্যবসায়ী জিহাদ বিক্রেতারা যে ইসলামোফোবিয়া তৈরী করেছে তা ভয়ংকর।আমরা এখন দাড়িটুপি দেখলেই জিহাদী ভাবি, বোরখা দেখলেই ভয় পাই বোমা না ফেন্সিডিল বহন করছে তাই ভেবে।যাদের মাখালানানীরা বোরখা পরেনি তারাও বোরখা পরছে বেহেশত এ জন আব্রাহাম বা ব্র্যাড পিট হুরের অপশন না থাকার পরেও।কেন তা জানা দরকার,বোঝানো দরকার পর্দা বাইরে নেই মানুষের মনে এই পুরোনো কথাটি।
এরা আওয়ামীলীগে ঢুকছে যুদ্ধগোয়েন্দা মাতাহারির মত অথচ বাঙ্গালী মেয়েদের অন্তত সূফিয়া কামাল বা প্রীতিলতা হবার কথা ছিলো। তাই ম্যাডাম যদি বুঝে থাকেন যুদ্ধাপরাধী আর জিহাদব্যবসায়ীদের সিসিফাসের বোঝাটা নিয়ে আর ভোট পাওয়া যাবেনা তাহলে জার্মানীর খ্রিস্টিয় গণতন্ত্রী আঙ্গেলা ম্যারকেলের পার্টির মত ফাউন্ডেশন তৈরি করে এই অন্ধকারের তরুণদের জন্য দেশজুড়ে ফাউন্ডেশন বানিয়ে তাদের জীবনে ফেরাতে পারেন।ছাত্রদলের দুষ্টু ছেলেদের ওখানে সংশোধনের চেষ্টা করতে পারেন। মনে রাখা দরকার আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে যে আগে তরুণ কর্মীদের তথ্যপ্রযুক্তি,ইংরেজী আর পেশাগত বা ভকেশনাল ট্রেনিং দিতে পারবেন, তত এগিয়ে যাবেন ভবিষ্যতের রাজনীতিতে।যদি কিছু প্লাম্বার বানিয়েও পশ্চিমে পাঠাতে পারেন,ওদের যা উপার্জন হবে, পার্টি ওদের চাঁদায় সৎ উপার্জনে চলে যাবে।প্লাম্বার ফিরে মন্ত্রীও হতে পারেন,অতীতেও হয়েছে,আমরা শ্রমের মর্যাদার হরলাল পড়া জাতি।
আর সমাজেও এই নানারকম কৃত্রিম বিভাজন থেকে বেরিয়ে আসার মনোভঙ্গী দরকার,শীর্ণ শরীরের কোটরাগত চোখের,ফুরফুরে দাড়ির হাত টিপে টিপে জিহাদের দাওয়াত যেমন বিরক্তিকর টিশার্ট-জিন্স পরে দাড়িটুপি দেখলেই তাকে নিয়ে ক্যারিকেচার করাটাও গ্রাম্যতা কুচুটে অর্থে।মুক্তিযুদ্ধ-বঙ্গবন্ধু ও ধর্মনিরপেক্ষতা প্রশ্নে একমত হয়ে ৭২এর সংবিধানএ ফিরে ফ্রেস স্টার্ট দিতে না পারলে রুয়ান্ডার মতোই খুনোখুনির ব্যবসা করে যেতে হবে পরের শতাব্দীতেও।সিএনএন তখন এমবেডেড জার্নালিজম করবে আ ল্যান্ড অফ পলিটিক্যাল ক্যানিবালস বলে।
অনলাইন সুবিধার এই যুগে আমরা ২৪ঘন্টা দিবালোকের আলোয় সত্য দেখতে পাই। ফ্রিমেসেনদের ষড়যন্ত্র সূত্র বোঝা তরুণের সংখ্যা এখন অনেক। এখন ফ্রিমেসেন ভাবনা আঙ্গিক বদলে নতুন সিন্ডিকেট ভাবনা বিনির্মাণ করেছে।আমরা জানি কিভাবে কতিপয় ক্ষমতা ব্যবসায়ী ধর্মানুভূতির বিজ্ঞাপন চালাতে পশ্চিমা এবং আরব মিডিয়ায় খৃস্টীয় এবং মুসলিম জাতীয়তাবাদের বিষ জারিত করে চলেছে পয়সা খরচ করে, অস্ত্র বিক্রীর বাজার তৈরীর জন্য। বুশ এবং লাদেনের মত হট মডেল নাওমী ক্যাম্পবেলও হতে পারেনি।ম্যাকিয়াভেলীর চিত্রনাট্যের বাস্তবায়ন দেখে আমরা মিডিয়া আসক্ত হয়ে আমাদের মনোভূমিতে জায়গা করে দিই ষড়যন্ত্র সূত্রগুলোকে। এরা আমাদের গ্রামের কুচুটে মাতবরদের মত (অনেকে সংসদেও আছে) চোরকে চুরি করতে বলে গৃহস্তকে ধর ধর বলে শঠতার সঙ্গে।যুদ্ধের রেসিপি তৈরীর এই ছায়া নর্তকরা কেউ খৃষ্টান-মুসলমান-ইহুদী-হিন্দু বা নাস্তিক নন। এরা ব্যবসায়ী, ব্যবসা এদের ধর্ম,এরা যখন রেড ওয়াইনে সিপ করে তখন আফঘানিস্তানের রক্তের রঙের সঙ্গে মেলায়, যখন চুরুট ধরায় তখন টুইন টাওয়ার বা লকারবি বিমান পুড়তে থাকে,যখন সুইটজারল্যান্ডের বরফ বেহেশত বা হল্যান্ডের টিউলিপ বাগান বা ত্রিপোলি্র রাজকীয় তাঁবু বা শরম আল শেখের অবকাশ প্রাসাদে টপ মডেলদের সঙ্গে রিরংসায় মেতে ওঠে ইরাকের নারীরা তখন ধর্ষিত হয়।এদের ক্ষমতার ব্রাঞ্চে ন্যুইয়র্ক-বাগদাদ-কাবুল বার-বি-কিউ আয়োজনের স্যাডিজম পুরো গোলকের মানুষের জীবনচর্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় এক ক্যানিবাল প্রচেষ্টা।প্রোস্টেট জটিলতায় ক্ষুব্ধ কতিপয় বৃদ্ধ-জরদগব-জাঢ্য জুয়াড়ীর জুয়া বোর্ডে বুশ-ডিকচেনী-ব্লেয়ার-হাওয়ার্ড-লাদেন-সাদ্দাম-আহমেদিনেজাদ কার্ড।আর আমরা খুঁজে মরি চিল নিয়েছে আম-খেজুর বা স্ট্রবেরিজনতার কানগুলো।
মন্তব্য
'ম্যাকিয়াভেলীর" শব্দটা আপনার লেখায় ঘুরে ফিরে আসে। রিলেট করতে পারি না। উইকিপিডিয়াতে দেখেছি অবশ্য। আপনি তাকে নিয়ে একটা লেখা দিন। আমাদেরও বুঝতে সুবিধা। আপনারও প্রকাশে সুবিধা...
হবে নিশ্চই কেউ না কেউ। এভাবে আর কতদিন?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
উইকিপিডিয়াতে "ম্যাকিয়াভেলীর" বদলে তার সৃষ্টি "দ্যা প্রিন্স"-নিয়ে একটু ঘাটঁলে বুঝতে পারতেন।
A prince may be perceived to be merciful, faithful, humane, frank, and religious, but he must only seem to have these qualities. A prince cannot truly have these qualities because at times it is necessary to act against them.
ক্ষমতায় থাকার জন্য অনেক ভালো গুণ থাকার পরেও বাংলাদেশের দ্য প্রিন্স যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করলেন, কর্ণেল তাহেরসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সরিয়ে দিলেন। ম্যা্কিয়াভেলী রাষ্ট্র চালানোর সেই ঝুঁকিপূর্ণ দর্শন।
আশা করছি সিরাত একটু সহজ করে লিখবে ম্যাকিয়াভেলী নিয়ে। অথবা অন্যকেউ সচলায়তনে অনেক মেধাবী গবেষক লেখক আছে। পারলে আমিও লিখবো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
।
আমি উদ্ধৃতিটা মাইরা দিলাম ফেসবুক স্ট্যাটাসের জন্য।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
প্লিজ শুভাশীষ একটু করেন এই আলোচনাটা একদিন। আপনার ক্লাস আমি মিস করিনা কখনও।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ম্যাকিয়াভেলী নিয়ে হয়ে যাক সিরাত, একটু সহজ করে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আসলে বাইরের লেবাস দেখে কার মনের ভিতর কি আছে তা ঝাচাই করা দুষ্কর বিশেষ করে জামাতের নব্য রাজাকার প্রজন্মকে
এদের পোশাক নিয়ে ইগো নাই, সংশোধন প্রক্রিয়া সহজ হবার কথা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
অবস্থা আমরা যা দেখছি, অনুভব করছি তার চেয়ে অনেক ভয়াবহ। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। এম্নকি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরও এরা মোটিভেট করে ফেলছে। এবং এদের ট্রেইনিং পিরিয়ড মোটামুটি ৮-১০ বছরের। প্রথম শুধু কিশোর কন্ঠ পাঠায়। এরপর জাকির নায়েক। ধীরে ধীরে নামাযের পর মিটিং। প্রথম ৬-৭ বছর এরা ঘুনাক্ষরেও কচি ছেলেমেয়ে গুলোকে বলে না যে তারা শিবির। যখন বলে তখন ফেরার পথ থাকে না, ইচ্ছা থাকে না। আমি দেশে ঢাকার যেখানে থাকতাম সেখানকার ১০-২২ বছরের ছেলে মেয়েরা যারা পড়াশোনা করে এইরকম ৯০% ছেলেমেয়ে কোন না কোন ভাবে শিবিরের সাথে জড়িত এবং তারা সেটা জানে না। যারা জড়িত না তারা হয় নেশাখোর, মাস্তান অথবা গুটি কয়েক ছেলে মেয়ে।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
প্লিজ একটা লেখা লিখুন আপনার ওপরের লেখাটাই একটু বড় করে। তবে শেষের বাক্য পড়ে মনে হচ্ছে ধর্ম আফিম নেশার বাইরের নেশাগ্রস্ত মাস্তানদের নিয়েও আপনি চিন্তিত। তবে ধর্ম আফিম নেশার চেয়ে অন্য খারাপ জিনিসো ভালো, মন্দের ভালো।আশা করি রমনার বটমূলের ভয়াবহ ঘটনার ছবি ভোলেন নি এখনো। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
পরিচিত একজনকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছি এই চক্র থেকে। যদি পারি তো লিখবো কখনো। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যপার হল তারা বুঝতেও পারে না যে তারা এতোটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে। পরিবার যদি জামায়াত পন্থী না হয় তবে এই সব ব্রেন ওয়াশড কিশোর কিশোরীরা খুব সঙ্গোপনে পরিবারের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখে এই মানসিকতা। কে জানে হয়ত এটা ট্রেইনিং এর অংশ।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আমরা কেউ বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলিনা, রেসে ব্যস্ত,ঘর সাজাতে ব্যস্ত,মাঝখান থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে বাচ্চাগুলো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
লেখাটা চমৎকার। আমি মন্ত্র মুগ্ধের মত এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। নতুন প্রজন্মকে রাজাকাররা নব্য রাজাকার বানায় ধর্মের দোহাই দিয়ে, বেহেস্তের হুরদের লোভ দেখিয়ে কিন্তু একটা জিনিস আমার মনে বার বার প্রশ্ন হয়ে জেগেছে- ছাত্রদল বা ছাত্রলীগ যে মারামারি কাটাকাটি করে, বোমা ফাটায়, টেন্ডারবাজি করে, চাঁদাবাজি করে, হল থেকে ভিন্ন মতের ছাত্ড়দের ছাদ থেকে ফেলে দেয়, এটা কে শিখায়? কেন শিখায়, কিসের লোভ দেখিয়ে শিখায়? আশা করি সেটা নিয়েও মাসকাওয়াথ ভাই একটা সুন্দর লেখা দিবেন।
আমার মন্তব্য পড়ে আবার আমাকে ভিন্ন মতের কেউ মনে করবেন না প্লিজ। আমি নিজেও কুত্তার বাচ্চা রাজাকার গুলোর বিচারের জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। আমিও স্বপ্ন দেখি রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশের, জঙ্গীমুক্ত সুন্দর রাষ্ট্রের, সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।
কামরুজ্জামান স্বাধীন
ধন্যবাদ। আসিতেছে----
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
মাসকাওয়াথ ভাই, মূল বক্তব্যের সাথে আমি পূর্ণসহমত। কিন্তু অন্য একটা জায়গায় আমার আপত্তি আছে।
দেশের সমস্ত স্কুলে / মাদ্রাসায় কম্পিউটার দিতে পারবেন ? দশ মাইল যাওয়ার আগে নয় মাইল যাওয়া লাগে।
যেখানে সেখানে কম্পিউটার শব্দটি না ঢুকিয়ে দিয়ে বরং বলতে পারেন এমন শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা দরকার যেটা দিয়ে পরে সৎ ভাবে আয় করে চলতে পারবে।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কম্পিউটার সরকারী স্কুলগুলোতে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছেছে। শিক্ষকও আছে, কম্পিউটার শিক্ষার প্রয়োজন সম্পর্কে সচেতনতা যেভাবে বাড়ছে তাতে ডিজিটাল ডিভাইড কমানো সম্ভব, দেখবেন গ্রামে গ্রামে সাইবার ক্যাফের আদলে কিছু একটা সুযোগ তৈরীর চেষ্টা করছেন অনেকে, আগে যেমন ভিসি আর চলত। এযুগে কম্পিঊটার না শিখে শুধু অক্ষর জ্ঞানের আর মূল্য নেই। আর আপনি যেটা শেষ বাক্যে বলেছেন সেটাই আসল লক্ষ্য হওয়া উচিত। আজকাল পলিসি মেকাররা কেউ কেউ অনলাইনে চোখ রাখেন, কম্পিউটার শিক্ষার কথাটা বারবার লিখলে কামানের পরিবর্তে পিস্তল জুটলেও খানিকটা লাভ হতেও পারে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
মাসকাওয়াথ ভাই... এক নিঃশ্বাসে আপনার আরেকটা লেখা পড়ে ফেললাম... সাংবাদিক বলুন আর ব্লগার বলুন, তথ্যের উপর ভিত্তি করেই আপনাদের ক্ষুরধার বিশ্লেষণ, তাই নীচের অংশটুকু লেখা...
'একি সঙ্গে তেষট্টি জেলায় বোমা হামলার সামরিক কৌশল হাফরেড বাংলাভাইয়ের মাথা থেকে এসেছে ভাবা আমার যুদ্ধকৌশলবিশেষজ্ঞ এক বন্ধুর ই-মেইল পড়ে অবাক হলাম।আমরা আসলে সরল নদী মানুষ।' --- আপনি ঠিক ধরেছেন... এটি হাফরেড বাংলা ভাইয়ের মাথা থেকে আসা কোন পরিকল্পনা নয়।তবে এর পরিকল্পনাকারী ব্যক্তিটি লেখাপড়ার দৌড়ে বাংলা ভাইয়ের চাইতে 'কোথায় শেখ সাদি আর কোথায় বকরির নাদি' দূরত্বের কোন আঁতেল নন।ইনি শায়খ আব্দুর রহমান, জ়ে এম বি'র প্রতিষ্ঠাতা আমীর।পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।আফগান যোদ্ধাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাশান বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহের কাছে দেয়া তার জবানবন্দী থেকে তাই পাওয়া যায়।আর দশটা সন্ত্রাসীর মত নিজেদের ‘নট গিলটি’ দাবী করেননি।কোন উকিল নিয়োগ দেননি।রায় মেনে নেননি, রায়ের বিরুদ্ধে আপীলও করেননি।এরকম একটি পরিস্থিতে, তারা যা বলছেন সত্য বলছেন ধরে নেয়া যায়। সেইসময়ে সেইসময়ের দেশি বিদেশি পেপার পত্রিকা ঘেটে ১৭ আগষ্ট বোমা হামলা সম্পর্কে শায়খ আব্দুর রুহমানের যে বক্তব্যগুলো পাই তা থকে দেখা যায়, দেশবাসীর সামনে চমক জাগানো একটি আত্মপ্রকাশের জন্য, তাদের শক্তি সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়ার জন্য সারাদেশে একযোগে বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে লিফলেট ছড়ানোর আইডিয়াটি শায়খ আব্দুর রহমান সুরা কমিটির সামনে প্রস্তাব রাখেন।সুরা কমিটির সদস্যগণ(বাংলা ভাই ইনক্লুডেড) তাতে অনুমোদন দেন(গণতান্ত্রিক!!!)।পরবর্তীতে বিশদ পরিকল্পনামাফিক শুভকার্যটি সম্পাদন করা হয়।তাহলে আবার সন্দেহ জাগতে পারে, শায়খ সাহেবকে এই বুদ্ধিটা কে দিল ? শায়খ আব্দুর রহমান এই আইডিয়া টাকে তার নিজস্ব কৃতিত্ব বলেই দাবী করেছেন এবং একইসাথে তার এই আইডিয়াটি তার দলের জন্য একটি ‘স্ট্র্যাটেজিক মিসটেক’ ছিল বলেও মন্তব্য করেছিলেন।
আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, যারা গন্ডাখানেক গোয়েন্দা সংস্থা আর আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাকের ডগায় বসে সারা দেশব্যাপী এতগুলো বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, তাদের মাথায় এই বুদ্ধিটা আসা নবুয়্যত প্রপ্তির মত কোন দুর্লভ ব্যাপার নয়। তাছাড়া, সারা দেশব্যাপি,এত ব্যাপক আকারে না হোক, একসাথে টাইমিং করে না হোক,ককটেল ফাটিয়ে,জ্বালাও পোড়াও করে রাজনৈতিক আন্দোলন জমানোর কৌশল সফলতার সাথে এদেশে সাথে আগেও ব্যবহৃত হয়েছে, সেই অর্থে- এটি নতুন কিছু নয় মোটেও।
বাংলাদেশের জেহাদ আঞ্চলিক নয়।সত্য কথা।বাংলাদেশের মানুষের ধর্মবিশ্বাস-গণতান্ত্রিক-সমাজতান্ত্রিক- চেতনা, ধর্মনিরপেক্ষতা,মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা সবই আমদানী করা।এদেশে সুস্বাদু তেলাপিয়া যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে রাক্ষুসে মাগুর।দেখার বিষয় হছে এদেশে এদের ডালপালা কতটা বিস্তার লাভ করলো।আর সার পেয়ে পানি পেয়ে কতটা শক্ত হয়ে উঠল সেইদিকে নযর রাখা।নযরে আসলেই ছেঁটে ফেলা।
বাংলাদেশি জ়েহাদিদের উদ্ভাবনী চিন্তা ভাবনার উর্বরতা আর তাদের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে সন্দিহান হওয়ার কোন অবকাশ নেই। জন্মগত ভাবেই এরা যথেষ্ট বুদ্ধিমান।আর কাজ ভাল হোক খারাপ হোক চাইলে সুচারুরূপে তা সমাধা করার সামর্থ্য এদের আছে। এদের সংগঠিত হতে দিলে, সীমান্তের ওপার থেকে কয়লাখনির বিস্ফোরক আর ডেটনেটর আনতে দিলে, আরো অনেক ব্যাপক ধংসযজ্ঞের যজ্ঞ এরা সাজিয়ে বসবেন।
মাসকাওয়াথ ভাই, সামনেই আসছে ১৭ আগষ্ট আর ২১শে আগষ্ট। প্লিজ কিছু লিখুন, আগেভাগেই লিখুন, যেন আপনার ভক্তরা সেটিকে সময় নিয়ে একটু অগ্রিম কাঁটাছেড়া করতে পারি।
ধন্যবাদ।
জোহা ভাই, আপনি ভাবছেন শায়খ, ওটাতো ট্রেনিং এর অংশ, নিজেই দোষ মেনে, ঘটনার সূত্রে পৌঁছাতে না দেয়া, কাকে কী বলছি, আপনার সিলেবাসেই এসব ছিল। আর জিহাদীরা ধরা পড়ার পরে অন্য অপরাধীর চেয়ে বেশী ঋজু হয়,কারণ এটা ওর দর্শন।
আমার এক সাংবাদিক বন্ধুর বাবাকে তালিবানরা পেশওয়ার থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। সাংবাদিক মরিয়া হয়ে সব কানেকশন ব্যবহার করে তোরাবোরায় গিয়ে বাপকে উদ্ধার করে এনেছে, ফিল্মের মতো লাগছে তাইনা, ফিল্মে হয়ত আমরা এর এক দশমাংশ পাই। আসল ঘটনা ওটা নয়। সাংবাদিকটি দেখলো কতগুলো ইউরোপীয় আর মার্কিনী ট্যাটু-পিয়ারসিং-লম্বা চুল তরুণ ওদের কম্পিউটার আর হাইটেক হ্যাকিং বা ওয়ার প্রোগ্রামিং দেখছে, পাশাপাশি ওপিয়াম,ভিডিও গেমস , ইউনিভার্সিটির ছুটিতে একটা খ্যাপ খেলে নিসর্গের শ্রেষ্ঠতম সৌন্দর্যে সময় কাটিয়ে, টুরিস্ট হিসেবেই ফিরে যাচ্ছে। কাজেই আরেকটু সময় লাগবে পাজলগুলো মেলাতে। বাচ্চার হেলপ নিচ্ছি, কিছু রিটায়ার্ড বুড়োর সঙ্গে গল্প করছি, সন্দেহ বাতিক গ্রস্ত নেতিবাচক অতি পড়ুয়াদের এড়িয়ে চলছি, দেখি কিছু লেখা যায় কীনা। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
~~~অর্ধশিক্ষিত লোকের ধার্মিক হবার কোন অধিকার নেই-ডঃ লুৎফর রহমান~~~
-------------------------------------------------
উদ্ধৃতি~~~...আপনি ভাবছেন শায়খ, ওটাতো ট্রেনিং এর অংশ, নিজেই দোষ মেনে, ঘটনার সূত্রে পৌঁছাতে না দেয়া...~~~
...মানলাম...কিন্তু আমি যেটা জানতে চাচ্ছিলাম,যে জঙ্গি সংগঠনটি সম্পূর্ণ নিজস্ব কর্মী ব্যবহার করে, নিজেদের বানানো আই ই ডি ব্যবহার করে গন্ডাখানেক গোয়েন্দা সংস্থা আর আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাকের ডগায় বসে সারা দেশব্যাপী ৬৩ জ়েলায় ৪২০টি স্থানে একই দিনে প্রায় একই সময়ে এতগুলো বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে,সারাদেশব্যাপি বোমা হামলার মাধ্যমে লিফলেট ছড়ানোর আইডিয়া বা কৌশল বা যুদ্ধকৌশল তাদের আমীর শায়খ আব্দুর রহমানের মাথা থেকে আসা কি অসম্ভব কিছু...?...?...?
এটি তো...রুশ উপকথার ক্ষুদে ইভান বড় বুদ্ধিমান এর সিভকা বুর্কা ঘোড়ায় চেপে যাদুকরী এক লাফে চৌদ্দ কুঠুরীর উপরে বসে থাকা রাজকুমারীর গালে চুম দিয়ে হাতের রুমাল নিয়ে বিজয় নিশান বানিয়ে রাজকুমারী আর অর্ধেক রাজ্য জয় করার রুপকথা নয়...কাজটি তারা হাতে কলমে করে দেখিয়েছে...
একজন একটা কাজ আমাকে করে দেখাচ্ছে, আর পূর্বধারণার কারণে আমি তাকে অবিশ্বাস করে কিভাবে বলি,হমম্...কাজটা ভাল করেছ,কিন্তু আমি জানি এ তোমাকে কে শিখিয়েছে...এ জমিদার গিন্নীর কামলার ছেলের স্কুলে ভাল ফল করাকে অবিশ্বাস করার মত হয়ে গেল না...?
-------------------------------------------------
উদ্ধৃতি~~~...আর জিহাদীরা ধরা পড়ার পরে অন্য অপরাধীর চেয়ে বেশী ঋজু হয়,কারণ এটা ওর দর্শন...~~~
৯/১১ এর পাশাপাশি অন্য অনেক আত্মঘাতী বোমা হামলার দ্বায়িত্ব আল কায়েদা স্বীকার করেছে...কিন্তু ঐ ঘটনায় আটক কোন আল কায়েদার জেহাদি মার্কিন আদালতে জ়ে এম বি'র মাথামোটা সুরা সদস্যদের মত...'ইয়েস উই দিদ ইত' বলে 'নারায়ে তকবীর আল্লাহু আকবর' শ্লোগান দিয়ে ইলেক্ট্রিক চেয়ারে বসে পড়েছে বলে আমি শুনি নাই...যদি এমন কোন উদাহরণ জানা থাকে অবশ্যই জানাবেন...
...এরা বরং আমেরিকার বিচার ব্যবস্থাকে মেনে নিয়ে মার্কিন আইনজীবিদের সহায়তা নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে,মিথ্যাচার করছে...আত্মরক্ষা অবশ্য সবার স্বীকৃ্ত অধিকার...
-------------------------------------------------
জ়ে এম বি কে এখন যতই দুর্বল আর নড়বড়ে দেখাক না কেন...এই সংগঠনটি খুবই বিপদজনক,১৭ই আগষ্ট এ যে ভুলটি তারা করেছিল, ভবিষ্যতে তারা একই ভুল করবে বলে মনে হয়না...নিজেদের নৈতিক অবস্থানের দিক থেকে এই সংগঠনটির ধরণ অন্য অনেক ইসলামি জ়েহাদীদের চাইতে আলাদা...চরম চরমপন্থী...মানিনা তো মানিনা...তোমার আদালত মানিনা, মানিনা...তোমার বিচারের পদ্ধতিও মানিনা...তা মেনে গায়ের চামড়া পর্যন্ত বাঁচাতে চাইনা(রমনার বটমূলে হামলা, যশোর উদিচীর অনুষ্ঠানে হামলা, কোটালিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টার পরও হুজির মুফতি হান্নান কিন্তু এখনো বেঁচে আছে আর সবকিছু অস্বীকার করে আইনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে)...নেতৃত্বের প্রতি অন্ধ মোহ নয়, উদ্দেশ্যে সাধনে একাগ্রতা এদের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য...সিমপল লিভিং, হাই থিঙ্কিং(সুন্দর একটা বঙ্গানুবাদ দিবেন তো এই উক্তিটির)এদের ঐ সময়ের মূলমন্ত্র ছিল...১৭ই আগষ্ট এর এদের অপারেশন টি ছিল, অলমোস্ট ৯৯% নিখুঁত...হাইকমান্ডের প্রতিটি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করেছে প্রত্যেকটা কর্মী...হরকাতুল জিহাদ এর মতো এটি শুধু ইসলামি জঙ্গি বা সন্ত্রাসী সংগঠন নয় বা ছিলনা, এটি ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর খুব অন্তরংগ একটি কমিউনিটি হয়ে উঠেছিল,পুনর্ব্যক্ত করছি,কমিউনিটি,সমগ্র সংগঠনটির মধ্যে একটি পারিবারিক আবহাওয়া সৃষ্টি করতে সক্ষ্মম হয়েছিল এর নেতৃ্ত্ব...হুজির মত আন্তর্জাতিক এজেন্ডা নয়, নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নই ছিল এদের মূল লক্ষ্য...এই দেশের যুবকদের আত্মঘাতী বোমা হামলার মন্ত্রে এরাই প্রথম দীক্ষিত করেছে...দুর্ঘটনাবশঃত নিজেদের গ্রেনেডের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত আহত সন্তানের দিকে তাকিয়েও এরা তাদের চিকিৎসার জন্য কোন আবেদন না জানিয়ে আত্মসমর্পণ না করে লড়াই করে গেছে, মৃত সন্তানের পাশে বসে ফিদাইন জ্যাকেট পরিহিত মা পবিত্র কোরান শরীফ পড়তে পড়তে স্বামীর মৃত্যুর পর নিজেও আত্মঘাতী হয়েছে...হলিউডি সিনেমার কোন উপাদানটি এখানে অনুপস্থিত, বলুন...?
কেয়ামত নিকটবর্তী হলে নাকি পৃ্থিবীটা অবিশ্বাসীতে ভরে যাবে...সেরকম কোন কিছু না হয়ে যদি হঠাৎ কোন কারণে বাংলাদেশে ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়ে যায়, তা হলে এদেশের মৌলবাদি ইতিহাসবিদগণ এদের ক্ষুদিরাম, ভগৎ সিং, মাষ্টার দা সূর্যসেন বানিয়ে ছাড়বে, পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে পড়িয়ে ছাড়বে...চাই কি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় নেতাদের সমাধির পাশে আর মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের মাঝে সাত সুরা সদস্যের মাজার হবে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ার আগে বাঙ্গালীর নিকটতম গৌরবোজ্জ্বল অর্জন হিসেবে ইরানের মত ইসলামী বিপ্লবের ইতিহাস পড়তে হবে ...খেক...খেক...খেক...
ভালো থাকেন।আর এ পর্যন্ত যদি কষ্ট করে থকেন, ধন্যবাদ।
-------------------------------------------------
~~~...শ্ত্রুকে বোকা বা দুর্বল ভাবলে নির্বুদ্ধিতার খেসারত অনেক বড় হতে পারে...~~~
১৭ আগস্ট বোমা হামলার পেছনে মাস্টারমাইণ্ড কি আবদুর রহমান ছিলো? আসুন দেখি, দৈনিক কালের কণ্ঠের ১৬ জুলাই, ২০১০ তারিখে কী বেরিয়েছিলো দেখি।
হিমু ভাই
নিউজটা আমারো চোখে পড়েছে। আপনি বিশ্বাস করেছেন ? তার আগে জানি,আপনি কেমন আছেন ?
গল্পটা পড়ে আনন্দ ছলকে উঠার আগেই এর দুর্বলতাগুলো দৃষ্টিকটু লেগেছে।নিজামীর স্বাক্ষর করা চিঠি দিয়ে সাইদুর কে এঁদো গলি্র কুঠিতে ষড়যন্ত্রে আমন্ত্রণ-খাপছাড়া নির্বুদ্ধিতা।কোয়েশ্চেন সেট আপটা অনেক বেশী দুর্বল।আমরা যা শুনতে চাইছি,যা বের করতে চাইছি,তা টার্গেট এর উত্তরে নেই,প্রপাগেটর এর প্রশ্নে যোগ করে ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে অথবা তার মন্তব্যের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।মডারেটর অথবা মাষ্টার ইন্টারোগেটর অনেক বেশি তাড়াহুড়া করে ফেলেছেন।
সত্যি সত্যি ঘটনাটি ঘটে থাকলে,সাইদুরের দেয়া তথ্য গোপন রেখে, আগে অন্তত একজন দুজন জামায়াত অথবা শিবির নে্তা/কর্মীকে যে ১৭ই আগষ্টে বোমাহামলায় অংশ নিয়েছে,একটু সময় নিয়ে তাদের কাউকে গ্রেফতার করে সাপোর্টিভ রোলে রেখে,তারপর এই ক্রসএকজামিনেশনে বসে ভেঙ্গে ভেঙ্গে প্রশ্ন গুলো করা যেত অথবা আলোচনা জ়েনারেট করা যেত।এই ধরনের ক্রসএকজামিনেশন এ প্রস্তুতিটা জরুরী।নিজামী মুজাহিদ কে সাইদুর এর মুখোমুখি করা হয়েছে যুদ্ধাপরাধ নয় জঙ্গি কানেকশন এর তথ্য বের করার জন্য, কাজেই এই প্রস্তুতিটা অনিবার্য ছিল বলেই আমি মনে করি।এটি একটি প্রফেশনাল মিসটেক।
চাঞ্চল্যকর এই সফলতাটুকুর সুফলতা থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি,টীমের সদস্যদের কেউ একজন তথ্যটুকু অত্যুৎসাহী হয়ে দ্রুত পত্রিকায় সরবরাহের কারণে।গুরুত্বপূর্ণ ছিল,তদন্তের স্বার্থে এটি আরো কিছুদিন গোপন রাখা।এটিকেও আমি অপেশাদারিত্বের নমুনা বলে বিবেচনা করি।আশ্চর্যজনক হচ্ছে, তদন্তকারী টীমের কাউকে এ জন্য প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে শুনিনি।
আশা করেছিলাম এতবড় একটা ব্রেকথ্রু'র পর জামাত শিবিরের কর্মী যারা ওই অপারেশনে অংশ নিয়েছিল, তাদের ধরতে আবার একটা অভিযানের ঝড় উঠবে।তা অবশ্য হয়নি।নিজামী মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে, বেশকিছু প্রমাণ পাওয়া যাওয়ার খবর তদন্তকারীদের বরাতে পত্রিকায় এসেছে।কিন্তু এই ব্যাপারটি একেবারেই অনুপস্থিত।বোঝা যাচ্ছে এই মূহুর্তে ব্যাপারটি প্রায়োরিটিতে নেই। ভুল হবে ব্যাপারটি ভুলে গেলে।এমন সুযোগ আবার নাও আসতে পারে।
ওপরের কোনটি ভুল, কোনটি ইচ্ছাকৃ্ত ভুল আর কোনটি ভুল করে ভুল, তা নিয়ে আমি একটু কনফিউজড।
আপনি? ভালো থাকবেন
আরে সালাম সাহেব যে! কেমন আছেন? গরম পড়ে যাচ্ছে নাকি ওদিকটায়?
আপনি খুব চিন্তায় পড়ে গেছেন ব্যাপারটা নিয়ে, তাই না? বেশি করে ভিটামিন সি খাবেন। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। টেনশন রিলিভ করতে সাহায্য করে।
হিমু ভাই
বৃষ্টি হচ্ছে।তেমন গরম নেই।ঘুরে যান একবার।
উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। তবে, আপনি বুঝে গেছেন সময় বড় মূল্যবান।অপচয় করতে নাই।আপনি সত্যি সত্যিই জ্ঞানী ব্যক্তি।
ভাল থাকবেন।
নতুন মন্তব্য করুন