ধান ভানতে জিয়ার গীত

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৮/২০১০ - ৪:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৯ বছর বয়সে বঙ্গভবনে প্রথমবারের মতো ঘন্টা তিনেক সময় কাটানোর সুযোগ পাই। শিশু একাডেমী জাতীয় পুরস্কার পাওয়া বাচ্চাদের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সময় কাটানোর ব্যবস্থা করে।

 

১৯৭৯ সালের শীতের ঐ সন্ধ্যাটা রোমাঞ্চকর মনে হয়েছিল।আমার সঙ্গে আরো যারা ছিল তাদের অবস্থাও একই।৭৯,৮০,৮১সালে তিনবার জিয়ার কাছ থেকে পুরস্কার নিয়েছি,কিছুটা সময় কাটিয়েছি।প্রত্যেকবার কোচে চেপে ঈশরদী ফেরার সময় আব্বা আমার মুগ্ধতার রেশ কাটাতে মুজিব আর নেহেরুর গল্প করতেন।তবু জিয়াকেই মনে হতো হিরো।

 

আমার এক আত্মীয় ভাসানী ন্যাপের বুড়ো জিয়ার মন্ত্রী ছিলেন। ফলে ঢাকায় মিন্টুরোডে প্রত্যেক বছর বেশকিছুদিন কাটিয়েছি।পুরস্কার বিতরণীতে মন্ত্রীনানাও থাকতেন।স্টেডিয়া্মে একবার পদক পরিয়ে দিতে দিতে পাশে দাঁড়ানো নানাকে জিয়া বলেছিলেন,আপনার নাতি প্রত্যেকবার বক্তৃতা বিতর্কের পুরস্কারগুলো নি্যে যায়।এরপর আর জিয়াভক্ত না হয়ে উপায় কী গোলাম হোসেন।

 

এর ফলে জিয়ার মৃত্যুতে খুব মনখারাপ হয়েছিল।তার জানাযায় অযুত মানুষ দেখে নিশ্চিত হয়েছিলাম এই মনখারাপ শুধু আমার একার নয়।

 

কিন্তু যত বড় হতে থাকি জিয়ার ব্যাপারে আমার জানাশোনা বাড়তে থাকে।বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের পুনর্বাসন আর যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে নিয়ে আসার ব্যাপারটা স্পষ্ট হতে থাকে। তারপর জাসদ করা এক বিপ্লবী নানা, কর্ণেল তাহের হত্যার বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার করে দেন।

 

জিয়ার মৃত্যুর পরে এরশাদের সময় প্রায় প্রতি বিকেলে একদল টুপি পরা লোক ধর্ম আলোচনার জন্য আমার আব্বাকে দাওয়াত দিতে পিঁপড়ের সারির মতো লাইন করে আমাদের বাসায় আসতো,তাদের সঙ্গে কিছু আফগান মৌলবীও থাকতো,মানুষকে আকৃষ্ট করতে কালো মোল্লারা কিছু বিদেশী সাদা মোল্লাও রাখতো, আব্বা তাদের মুসলিম দর্শনের বই বের করে এমন কিছু বলতেন যে মোল্লারা ভেগে যেত। আব্বা প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে আমাকে বলেছিলেন,তোমার ওই প্রেসিডেন্ট সাহেব এদের এত সাহস তৈরী করে দিয়ে গেছেন।কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তারা আর আসেনি দাওয়াত দিতে।

 

এইসময় ঈশরদীতে রিক্সাচালকেরা জামাতে ঢুকে একের পর এক ধান খোলার মালিক হতে থাকে। আর এখন তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। লোড শেডিং এর সময় দোতলার বারান্দায় বসে বসে আব্বা জামায়াতে ইসলামীর নেতার বাসা থেকে আসা জেনারেটরের শব্দ শোনেন আর দীপাবলী দেখেন।কখনো কখনো জামায়াত নেতার বাসায় ইলেকট্রিসিটি থাকে।আব্বা বসে থাকেন অন্ধকারে।

 

এর কারণ পরিষ্কার,জিয়া-এরশাদের সময় যেসব বাচ্চাদের শিবির বৃত্তি দিয়ে প্রকৌশলী করেছিল তারা এখন দেশের কী পয়েন্টগুলোতে বসে টম এন্ড জেরী খেলে। যাতে জনগণকে বোঝানো যায় সরকার বিদ্যুত দিতে পারেনা আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মত আজে বাজে কাজ নিয়ে আছে। বলাবাহুল্য দুটোর মধ্যে কোন যৌক্তিক সংযোগ নেই। কুপি বাতি জেলে হলেও এই বিচার হতে হবে,দরকার হয় মশাল দিয়ে ফাঁসির মঞ্চ আলোকিত করা যাবে।

 

তবে ঐ শিবিরের বিজ্ঞানীদের রিপ্লেস করার লোক আওয়ামী লীগে নেই,তারা জয় বাংলার গগণবিদারী মিছিলে ছাত্রজীবন পার করেছে,পড়াশোনার ধারে কাছে যায়নি।আর বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীনের নৃশংস হত্যা দেখে তারা সবাই আব্দুল জলিল বা জয়নাল হাজারী হতে চেয়েছে।

 

২০০১ সালে বিএনপির শপথ গ্রহণ কাভার করতে গিয়ে সেই বঙ্গভবনেই তারেক জিয়াকে প্রথম দেখলাম। উনি বিএনপির কোন বড় পদে নেই বলে মিডিয়াতে কথা বলতে রাজি হচ্ছিলেন না।ভাবলাম ভালই তো তারেক প্রচার বিমুখ লোক।তারপর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় তারেক জিয়ার মিডিয়াজেনিক হয়ে ওঠাটা চোখে দেখতে পারিনি।মিডিয়া সূত্রে অবশ্য তা জানা গেছে।

 

তারেক ভাই বাংলাভাই নামের একজন ইসলামী রবিনহুডকে রাজশাহির বাগমারায় লালসালুর সশস্ত্র মজিদ হিসেবে সমাজ সংস্কারে নামতে বাধা দেননি। কারণ রাজশাহীর কিছু মন্ত্রি-এমপি দারিদ্র্য বিশীর্ণ উত্তরবঙ্গকে কান্দাহার বানাতে চেয়েছিলেন সেটা আমরা সবাই পরে জেনেছি।

 

বাংলাভাইয়ের খোঁজ-খবর রাখতে কয়েকজন সেক্যুলার এবং পেশাদারী সাংবাদিককে সংযুক্ত করেছিলাম ডয়চেভেলে থেকে ধারাবাহিকভাবে জঙ্গীবিপ্লবের পেছনের খবরগুলো প্রচার করার চেষ্টায়।

 

সেই সময় নিজামী সাহেব সংসদে বলেছিলেন বাংলাভাই মিডিয়ার সৃষ্টি,বাবর ভাই বলেছিলেন বাংলাভাই ইংরেজী ভাই চিনিনা কিন্তু ছানবি্ন করছি। ছানবিন মানে খোঁজা,বিহারীরা এই শব্দ ব্যবহার করে।

 

আমার এক পরিচিত ভদ্রলোক হাওয়াভবনে জলসায় যেতেন। দুধভাত প্রকৃতির লোক বলে একএগারোতে জলপাইভাইয়েরা তাকে আর কিছু বলেনি। হাওয়া ভবন সম্পর্কে উনার সঙ্গে অনুপান আড্ডায় মোটামুটি তারেক ভাইয়ের উত্থানগাথার একটা ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্য পেয়েছি। কখনো  আমাকে কেউ শায়েস্তা করার চেষ্টা করলে ফিল্মটা বানাবো। ঢাকায় বানানো না গেলে মুম্বাই-করাচীতে বানানো যাবে। কাজেই সেক্যুলার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা না থাকার সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই।এটা একটা কার্ড,নেহাত জরুরী হলে ব্যবহার করবো।

 

ডয়চেভেলে থেকে বাংলাভাই সংক্রান্ত রিপোর্টিং এর কারণে আমার রাজশাহী বিএনপি মামারা খুব বিরক্ত আমার ওপর।তারপর উনাদের নাকের ডগায় ইলেকশন করতে গেলে মামাদের সঙ্গে দেখা হয়।জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আমার বক্তৃতা শুনে তারা সামনেবার বিএনপির টিকেট দেবেন বললেন।এর কারণ আমার চেহারাটা বোকা প্রকৃতির।

 

রাজশাহীতে বানের জলে ভেসে গিয়েছি ভেবে কেউ কেউ জ্যাকেট ওঁচানো অস্ত্রের আলেয়া দেখালো,কি করে বোঝাই,জহুরুল হক হলে দুষ্টু ছেলেরা বিকেল বেলা ওগুলো নিয়ে শরীরচর্চা করতো।

 

আর আমার পাশে দাঁড়ানো বন্ধুদের কাছে লাইসেনসড খেলনা ছিল। আমরা ফুল খেলতে যাইনি।

 

নির্বাচনের সময় প্রত্যন্তের গ্রামগুলোতে চাদর পরা বাংলা ভাইয়ের প্রেতাত্মারা আমার প্রত্যেকটা জনসভায় থেকেছেন। আমি জনসংযোগের সময় তাদের চোখে চোখ রেখে মুসাফাহা (নূরানী করমর্দন) করেছি।টের পেয়েছি বিএনপি মামাদের চেয়ে বুদ্ধিসুদ্ধি বাংলাভাইমামাদের বেশী।

 

সীমান্তবর্তি গ্রামগুলোতে ভারত বিরোধিদের বসবাস হয়ত সঙ্গত কারণেই। এদের অনেকেই ভারতের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বল্লমের চিহ্ন নিয়ে পালিয়ে আসা। সেই আবেগ কাজে লাগিয়ে সেগুলো বিএনপির ঘাঁটি এবং জঙ্গীদের অভয়ারণ্য।ফলে রাজশাহীতে সেক্যুলার রাজনীতি চর্চায় হাসিনা আন্টি যে বণিকের মানদন্ডকে মহাজোটের রাজদন্ডে রূপ দিয়েছেন,তারা শিল্প কারখানা চালাতে পারে ঠিকই, কিন্তু রাজনীতির সুদূর প্রসারী আশংকাগুলো মোকাবেলা করার মতো ক্ষমতা তাদের নেই সেটা ঐসব এলাকার বাচাল পান দোকানীরাও জানেন। আর এই শিল্পপতিরা এখন তারুণ্যের প্রতীক হয়ে জয়ের সামনে ল্যাপটপ নিয়ে ঘুরছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের দুরন্ত সহিস হবার প্রত্যয়ে।

 

রাজশাহীর বণিক সাংসদ এলাকাগুলোতে দশকের পর দশক আওয়ামীলীগের জন্য জীবন দিয়ে দেয়া নেতাদের মূল্যায়ন হয়নি, কারণ তারা দরিদ্র সিধু-কানু।তাই সামনে নির্বাচনে আর টাকার কথা না ভেবে রাজনীতির কথা ভাবা দরকার,প্রত্যন্তের আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিয়ে এটাই মনে হয়েছে।আর বণিক সাংসদদেরা ঢাকা-ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর করে বেড়ান। ফলে এই প্রজন্মের মোবাইল-অনলাইনবাজ তরুণেরা এগুলোকে রাজনৈতিক প্রহসন হিসেবে দেখছে। এখনো বছর তিনেক আছে, তাই ভাবতে হবে,একটু ঠান্ডা মাথায়,ক্ষমতার শৃঙ্গার অথবা ইউফোরিয়া খানিকটা সময় দূরে সরিয়ে রেখে।

 

কারণ রাজশাহী এখনো বিএনপির ঘাঁটি।এখনো সীমান্তবর্তী এলাকার হিরো জিয়াউর রহমান।

 

ভারতবর্ষে জঙ্গী ইসলামের প্রেতায়িত আত্মায় আওরংজেব যেমন এখনো প্রাসঙ্গিক,বাংলাদেশে তেমনি জিয়া,সেই কারণেই আজ ধান ভানতে জিয়ার গীত গাইতে হল। সৃষ্টিকর্তা আওরংজেব এবং জিয়ার আত্মার শান্তি বিধান করুন। আমিন।

 

 


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার মতো যদি একবার লিখতে পারতাম। জিয়ার ছবি দেখে ভাবছিলাম কর্নেল তাহের হত্যা নিয়ে হয়ত কিছু লিখেছেন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ। কর্ণেল তাহেরকে নিয়ে লেখার প্রস্তুতি শেষ হয়নি। শাহাদুজ্জামানের লেখা ক্রাচের কর্ণেল পড়েছেন নিশ্চয়। ভালো প্রামাণিক বয়ান।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

খালেদ হেমায়েত এর ছবি

পাটের পাতার স্পাইক ভাই আর বারেক ভাই এক জোয়াল বেধে যেভাবে ২১ আগস্টে সেই ১৫ আগস্ট ঘটাতে চেয়েছিল তাথেকে বোঝা যায় উনারা ৭৫এর এই নেপথ্য নায়কের যোগ্য উত্তরসূরী।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

স্পাইকদার চুলের টেরি ভোলা কঠিন। কোথায় সেই জামবাটিতে ফুঁ দিয়ে দুধ খাওয়া,অহন আর জামবাটিও নাই, দুধও নাই,আছে শুধু ফুঁ--টা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

খালেদ হেমায়েত এর ছবি

পাটের পাতার স্পাইক ভাই আর বারেক ভাই এক জোয়াল বেধে যেভাবে ২১ আগস্টে সেই ১৫ আগস্ট ঘটাতে চেয়েছিল তাথেকে বোঝা যায় উনারা ৭৫এর এই নেপথ্য নায়কের যোগ্য উত্তরসূরী।

গৌতম এর ছবি

ঢাবির শামসুন্নাহার হলে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ হল থেকে মিছিল বের করার ও পরবর্তী সময়ে আন্দোলন কোঅর্ডিনেট করার 'অপরাধে' জিয়ার সৈনিকেরা হল থেকে বের করে দিয়েছিল। সেই থেকে জিয়া ও তাঁর উত্তরসূরীদের ভুলে থাকা আমার জন্য কঠিনই হয়ে পড়েছে।

××
আপনার লেখার এই স্টাইলটি জব্বর লেগেছে। হাসি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

উত্তরসূরীদের চেহারাগুলো মনে আছে নিশ্চয়,হয়ত কোনদিন দেখা হবে, বায়তুল মোকাররমের সামনে ভিক্ষা দিতে গিয়ে, আচমকা মনে পড়বে আরে এতো সেই বুকের বল,এখন ভিক্ষুকদলে।

ধন্যবাদ স্টাইলের অভিজ্ঞানের জন্য।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

mef এর ছবি

বুকের বল তো শুকিয়ে গেছে
এরা তো কি করে জানি খাস ব্যক্তিগত চাকরের দল এ রূপান্তরিত
মেটামরফোসিস পর্ব শেষ

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মেটামরফসিস শেষ পর্বটা লিখতে পারেন, স্পাইকদা জিজ্ঞাসাবাদের সময় হঠাত এক মস্ত তেলাপোকা হয়ে যায়...

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নৈষাদ এর ছবি

ছোট ছোট ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি এবং আপনার সাবলিল সারকাজম নিয়ে সুন্দর লেখা।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সারকাজম আড্ডার অনুপান,ধন্যবাদ নৈষাদ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

আপনার লেখা বরাবরই ভালু পাই মাগার মন্তব্য করার সাহসটা পাইনা ... আইজ মনে একটু জুর পাইলাম ... লেখার এই ইশটাইলটা মজার, অনেক সহজ মনে হইলো ...

তারেক ভাই বাংলাভাই নামের একজন ইসলামী রবিনহুডকে রাজশাহির বাগমারায় লালসালুর সশস্ত্র মজিদ হিসেবে সমাজ সংস্কারে নামতে বাধা দেননি। কারণ রাজশাহীর কিছু মন্ত্রি-এমপি দারিদ্র্য বিশীর্ণ উত্তরবঙ্গকে কান্দাহার বানাতে চেয়েছিলেন সেটা আমরা সবাই পরে জেনেছি। - এবং ঠিক এইখান থিকাই কিন্তুক আমাগো দ্যাশে জংলীবাদ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় ... ...

===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ অনুপম।

বাংলা-শায়খ ছিল তালিবানীকরণের রেসিপি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অনিকেত এর ছবি

দারুণ লাগল মাসকাওয়াথ ভাই। চলুক

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ অনিকেত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সমস্যা হলো, বয়সের সাথে কেউ বড়ো হয়, কেউ হয় না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মওদুদ,সালাউদ্দীন কা এদের শরীরের বয়স বেড়েছে, মনের বয়স ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিকেলের সেই চনমনে তরুণ...

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম আপনার কোন লেখা এন্টেনায় ধরা পড়লো।
অসাধারণ। আপনার মত যদি লিখতে পারতাম(sigh)

অতিথি লেখক এর ছবি

জিয়ার গীত তো শুনলাম, ঐ তারেক গীতিটাও যদি একটু গাইতেন...

--- থাবা বাবা!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

গো+এষণা চলছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আমি যে ব্যাপারটা মজা করেই করি সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন,ক্রমশ, অনেক সময় ট্রামে বসে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে একটু কঠিন করে বললে অন্যরা বোঝেনা। এই একধরনের খেলা,আমার ধারণা সবাই এই মজাগুলো কলেজ ইউনিভার্সিটিতে করে। ব্লগটাকে একটা মজার স্কুল মনে হয় আমার কাছে। মাস্তির পাঠশালা, আর লেখাটা ক্রিকেটের মত, প্র্যাকটিস করলে সাকিব, না করলে তারেক (উনিও ক্রিকেট খেলতেন)।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

সম্ভাব্য কারেকশনঃ

মাসকাওয়াথ আহসান লিখেছেন:
আর লেখাটা ক্রিকেটের মত, প্র্যাকটিস করলে সাকিব, না করলে তারেক (উনিও ক্রিকেট খেলতেন)।

তারেক না, মনে হয় আরাফাত হবে। সেকেন্ড বা থার্ড ডিভিশন লিগে নিয়মিত দ্বাদশ ব্যাক্তি হিসেবে খেলতেন। তবে আরাফাতও মাল জটিল। আমার ফ্রেন্ডের বউরে ভাগায়ে নিয়ে বিয়ে করেছে।

রাতঃস্মরণীয়

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

খুব ব্যক্তিগত আক্রমণে না গিয়েও তীব্র সমালোচনা করা যায়। কার বউ কোথায় গিয়েছে সেগুলো দেখবে স্টারপ্লাস সোপদর্শক মেয়েরা। পুরুষ মানুষ ওসবে না গিয়েও কড়া কথা বলতে পারে।

আপনি ভুলে গেলেন, হাওয়াভবন ঘেরাও কর্মসূচীর দিন, দুই ভাই শিশু হয়ে গেলেন, যেন চার্লসের দুই ছেলের বেসবল খেলতে নামা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

জাহামজেদ এর ছবি

একেবারে খাঁটি কথা, আব্দুল জলিলের ঘোষিত এপ্রিল দিবসে এই যুগের কালো চশমাওয়ালারে আমি বনানীর মাঠে ক্রিকেট খেলতে দেখছি...সাথে হাওয়া ভবনের হাওয়াখোররা ছিলেন।

_______________________________
বৃষ্টির মধ্যে রোদ হয়ে তুই
পাতার গায়ে নাচ
কষ্টের রঙে সুখ হয়ে তুই
আমার মাঝে বাঁচ...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ জাহামজেদ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

রায়হান আবীর এর ছবি

মজার ব্যাপার হলো জিয়াকে আমিও 'বস' ভাবতাম। খুব সম্ভবত হ্যান্ডসামনেসের কারণে কিংবা জামাত- বিএনপি ঘেষা পরিবারে বড় হবার কারণে (আমার আপন নানা যুদ্ধাপরাধী, শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান, খুনী)। বড় হতে হতে জিয়াকে আমিও চিনতে শিখেছি, লজ্জিত হয়েছি বাংলাদেশের অনেক অনেক মানুষ সেই বড়োটা হতে পারেনি। তারা জিয়াকে পুজা করে। জিয়ার দলকে ভোট দেয়।

আপনার লেখাটা চমৎকার। আওয়ামী দৃষ্টিভঙ্গী থেকে সবকিছুই। ধন্যবাদ। আমারও অনেকের মতো অবস্থা, আপনার লেখা ফলো করি, মন্তব্য হয়তো করিনা।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ। আমি অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে সুস্থতা বোধ করি। আপনিও তাই। একবিংশের মানুষ সাম্প্রদায়িক রাজনীতির গ্রহণ থেকে বেরুতে চায়। কারণ সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতো মাংসের কারবার।অন্ধ দৈত্যের উন্মত্ততা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।