গোলকের অর্থনৈতিক মন্দার অশনি বাতাবরণ পশ্চিমাসমাজের স্ট্রবেরিজনতাকে হতচকিত করেছে।এর কিছু অভিঘাত আম এবং খেজুর জনতাকেও স্পর্শ করেছে।
বাণিজ্য শিক্ষার প্রতি গত প্রায় দুই দশকে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।কর্পোরেট ম্যানেজারের জীবন খুব অল্পবয়েসেই সচ্ছল জীবন।
আমার বন্ধুদের মধ্যে যার ভালো ফিল্ম বানানোর ইচ্ছা ছিল,বা ভালো গল্প লিখত,বা ভালো ছবি আঁকতো তারা সবাই কর্পোরেট কেরানী হয়েছে।
সাম্প্রতিক গোলক অর্থনীতির মন্দায় তাদের কেউ কেউ চাকরী হারিয়েছে। অনেককে চিনি তারা দুবাই বিমানবন্দরে ক্রেডিট কার্ডে সম্ভব শেষ ডলার তুলে কিস্তির লোন শোধ করতে না পারা গাড়ীটি এয়ারপোর্ট পার্কিং জোনে ফেলে রেখে নিরুদ্দেশ যাত্রা করেছে।
অথচ এই চাকরী হারানো মানুষদের সামনেই তাদের সিইও বা শীর্ষ ম্যানেজার বেতন বেড়েছে,রক্ষাকবচ পাকাপোক্ত করা হয়েছে।এই নিষ্ঠুরতা ঢাকার কর্পোরেট জগতেও ঘটেছে। ডিজুসের আকর্ষণীয় বা ধবংসাত্মক মার্কেটিং পরিকল্পনাকরা লোকগুলো কর্পোরেট প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার।চাকরীতে থাকা না থাকা দুই অবস্থাতেই তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে।
ফলে এই অর্থনৈতিক মন্দা একটি সৃষ্ট বাস্তবতা হিসেবে মনে হয়েছে আমার কাছে।বেশ কিছু স্ট্রবেরিজনতাকে চাকরী থেকে ছাঁটাই করার জন্য গোলক অর্থনীতির মন্দাপরিস্থিতি তৈরী করা হয়েছে।জার্মানীতে ডয়চে টেলেকম এই মন্দার গুজবটি মিডিয়াতে ছড়ানোর প্রথম প্রহরে কোম্পানীর লসের হুজুগ তুলে হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে।
ডয়চে টেলিকমের ছাঁটাই হওয়া স্ট্রবেরী জনতা,ঢাকার বন্ধ হয়ে যাওয়া টিভি চ্যানেল কর্মী বা আশুলিয়ার নিগৃহীত গার্মেন্টস কর্মীদের মতো বিক্ষোভ করেছে। জার্মানীর সোশাল ডেমোক্রাটদের তেমন কোন সাড়া পায়নি হতভাগ্য স্ট্রবেরী জনতা। যেমন বাংলাদেশের আমজনতা লিবেরেল আওয়ামিলীগের কাংখিত সাড়া এখনো পায়নি। জার্মানীতেও ওই লিঙ্কস পার্টি বা বামদল লাল ঝান্ডা নিয়ে স্ট্রবেরিজনতার সঙ্গে মাইনাস টেম্পারেচারে দাঁড়িয়েছিল। বাংলাদেশের বামেরাও এটুকু করে।
আজকের দুনিয়াই এটুকুই বা কে করে।
ডয়চে টেলেকমের আসল ব্যাপারটা বুঝতে একবার সাংবাদিক পরিচয় না দিয়ে প্রায় তিনঘন্টা কাটিয়ে যা বুঝলাম, ভুরুংগামারী রাইস মিল কাহিনী। ধরুন ভুরুঙ্গামারি রাইস্ মিলে একশোজন কাজ করতো যখন সেখানে সনাতন পদ্ধতিতে ধান থেকে চাল বের করে আনা হতো।
কিন্তু রাইসমিলটি বিদ্যুত ও গ্যাস চালিত হয়ে অনেকটা এনালগ থেকে ডিজিটাল হয়ে গেলে মাত্র পঞ্চাশ জন কর্মী দিয়েই আগের চেয়ে বেশী উতপাদন সম্ভব হয়ে গেলো।
তখন আর কি মালিক শুকুর চান একদিন শ্রমিকদের সামনে মাথা ঘুরে পড়ে গেলো। ডাক্তার সুস্থ করে তুলে জিজ্ঞেস করলেন কী ব্যাপার। শুকুর চান ঠোঁট নাড়ান কথা বের হয়না। ম্যানেজার জানায় রাইসমিল লসে চলছে,মালিক দেউলিয়া হবার জোগাড়,সুতরাং শ্রমিক ছাঁটাই। ওদিকে শুকুর চান বসুন্ধরা সিটিতে প্রাসাদ বানিয়েছে,তার মেয়েটি বার্গার খায়,ফার্মভিল খেলে আর স্কলাস্টিকায় পড়ে, শুকুরের বউ গানের সিডি বের করছে,প্রাকতরুণী সেজে মিউজিক ভিডিওতে নাচছে।
আর ভুরুঙ্গামারীর রাইসমিল শ্রমিকের মেয়েটির স্কুল বন্ধ,শ্রমিক বউ মেয়ের জন্য হাঁড়িতে পাথর চাপিয়ে সিদ্ধ করে। শ্রমিক রাইসমিলের সামনে বিক্ষোভে রক্তস্নাত হয়ে যখন ফিরে আসে তখন রেডিওতে গোলক অর্থনীতির মন্দার খবর শুনে সান্তনা খোঁজে।বউ কপালের রক্তঘাম মুছে দিতে দিতে বলে, আল্লাহ দুনিয়ার মানুষরে পরীক্ষা করতেছে।ডয়চেটেলিকম অটোমেশনে কর্মী ছাটাই করলে শুকনো কালো পাউরুটি মুখে দিয়ে স্ট্রবেরি বউরা চার্চে গিয়েছিল,যীশু কি পরীক্ষা করছেন।
আসলে পরীক্ষা করছে কতিপয় ছায়ানর্তক ফ্রিমেসেন-ইলিউমিনেত্তি-নিউওয়ার্ল্ড অর্ডার,যারা ব্যাংক অব ইংল্যান্ড থেকে তাদের মৃগয়া শুরু করেছিল,আজ পৃথিবীর বড় বড় ব্যাংকগুলোর মালিক তারা,গোলক অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক,দেশে দেশে সরকার নিয়ন্ত্রণ করে তারা,কারণ সরকারগুলোকে তাদের কাছ থেকে পয়সা ধার করে দেশ চালাতে হয়,যুদ্ধে যেতে অস্ত্র লাগে, ছায়া নাচিয়েরা উভয় পক্ষকে অস্ত্র কেনার পয়সা দেয়,বা সিস্টার কর্ণসার্ণ আর্মস ডিলারদের কাছ থেকে ক্রেডিটে অস্ত্র নিয়ে দেয়,যুদ্ধ করে ইরাক-আফঘানিস্তান-পাকিস্তান ধবংস হলে তাদের সিস্টার কর্ণসার্ণ ঠিকাদারদের রিকন্সটাকশনের কাজ পাইয়ে দেয় আর কাউচপটেটো বসে বসে সিএনএন এ গোলক রাজনীতির ফার্মভিল খেলে।
রয়টার্স পরিবার হিটলার এবং চার্চিল উভয়কে পয়সা দিয়েছিল যুদ্ধের পকেটমানি হিসেবে।ইলিউমিনেত্তি আম্মারা যেমন বিতর্ক আন্দোলনে ছোট বেলা থেকেই চাঁদা দিচ্ছেন আমাদের। বুঝতে পারছি একটা শকিং কমপ্যারিজন হয়ে গেল।বিতর্ক আন্দোলন থেকেও গত ২০ বছরে এরকম ছায়ানর্তক বেরিয়েছে,যারা শিশুদের মধ্যে বিভাজন তৈরী করে সং সেজে টিভিতে আসে বা হালে পানি না পেলে ঘরে বসে ফার্মভিল খেলে।
মাত্র একটি লেখায় ফ্রিমেসেন-ইলিউমিনেত্তি ছায়ানাচ স্পষ্ট করা কঠিন। অতীতে এনিয়ে কেউ কথা বললে সেইসব গীতিকার গায়ক পাখিদের বা পেঁচাদের গলা ডানা পালক ভেঙ্গে দিয়ে ভিক্ষুক-পাগল আর উন্মাদ বানান হতো।কোথাও কোথাও কুলটা করে হুরমতীর মতো কপালে ছ্যাকাও দেয়া হয়।
এখন সত্য অনুসন্ধানের আয়ুধ অনলাইন মিডিয়া এসে যাওয়াতে এই জাদুকরদের ছায়ানাচ ক্রমশ ধরা পড়ে যাচ্ছে,ফ্রিমেসেন-ইলিউমিনেত্তি-নিউওয়ার্ল্ড অর্ডার ক্যাচ ওয়ার্ড দিয়ে ইউটিউব সার্ফিং করলে একজন মেধাবী তরুণের মাত্র তিন ঘন্টা লাগবে গোলক রাজনীতি ও অর্থনীতির পুতুল নাচের ইতিকথার অধরা ছায়াটিকে কিছুটা খুঁজে পেতে। আর একটা ক্লু,ধরে নিলাম গোলকের ব্যাংকগুলোতে মন্দা আসার আগে ১০০টি গোল্ড কয়েন বা ১০০টি ডলার কয়েন ছিল। সেগুলো তো উড়ে মঙ্গল গ্রহে যায়নি,ব্যাংকের ভোল্টেই আছে। যে কারণে কর্তা ব্যক্তিদের বেতন বাড়াতে অসুবিধা হয়নি। প্রাণ গিয়েছে উলু খাগড়া আম-জাম-খেজুর-স্ট্রবেরীজনতার।ওই ১০০ টি কয়েন যদি কর্পুরের মতো উড়ে গিয়ে না থাকে তাহলে স্পষ্ট হয়ে যায়,এটি একটি সাজানো খেলা, জনগণকে উত্তেজিত করে সরকারগুলোকে অসহায় করে ফেলা।ওবামা-ক্যামেরণকে তখন ধর্ণা দিতে হয় সুইটজারল্যাণ্ড বা প্যারিসের ইলিউমিনেত্তি প্রাসাদে।
এই গল্প শুনে মোল্লারা লাফিয়ে ঊঠে বলবেন,ইলিউমিনেত্তিরা ইহুদী নাসারা। কিন্তু মনে রাখা দরকার ক্ষমতা ও ব্যবসালোভী মানুষের ধর্ম ক্ষমতা এবং ব্যবসা,তাদের বয়েই গেছে ধর্ম চর্চা করতে। এরা যখন যেখানে যার বিরুদ্ধে উস্কানি দিলে যুদ্ধ এবং ব্যবসা হয় তার পেছনেই ইনভেস্ট করে হোক সে চার্চিল,হিটলার,বুশ অথবা ওসামা বিন লাদেন।
ছবি কৃতজ্ঞতা,পলিটিক্যালম্যাভেনসডটকম।
মন্তব্য
আজকেই ভাবছিলাম অটোমেশনের পরিণাম নিয়ে। আপনি আমি বেঁচে থাকার টাকা পাই অনেক বড় কাজের কলকাঠিওয়ালাদের আমরা কাজে আসি বলে। প্লেইন এন্ড সিম্পল। আমরা কেউই সেই কলকাঠি নাড়নেওয়ালা নই। আমরা যদি ইউজফুল না হতাম, আমাদের কেউ পুষতো না।
আপনার আমার কাজ সম্পূর্ণটা যদি একটা মেশিনকে দিয়ে করানো যায়? তখন মানুষের অথনৈতিক অংশগ্রহণ সম্ভব হবে না তা বলছি না। তবে আপনাকে আপনার অর্জিত সকল দক্ষতা বিসর্জন দিয়ে নতুন বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। অনেকক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নাও হতে পারে। ব্যবসায়ীরা কি কেয়ার করে? না। তবে আমাদের একটা ব্যবহার তারা পাবেই পাবে। তাদের প্রডাক্ট কিনতে পারতে হলে আমার হাতে মিনিমাম টাকা তো থাকতেই হবে। এই গেম প্লে টা পর্যবেক্ষণের দাবী রাখে।
তবে আপনার লেখায় সরলীকরণ আছে। ইউটিউবের ভিডিওগুলো একজন মেধাবী তরুণকে অবশ্যই ফিল্টার দিয়ে দেখতে হবে। অর্থনৈতিক মন্দায় ব্যবসায়ীদের আখেরে লাভ হয়েছে কিনা সেটা হিসাবের দাবী রাখে। আমার ধারণা কলাপ্সের কারণটা হয়ত ঠিক পরিকল্পিত না। মানুষের কেনার ক্ষমতা কমে গেলে ব্যবসায়ীদের টাকা আগের হারে তো আর বাড়বে না। তারা সেটা চাইবে কেন?
দোতারা শিল্পীর আগমন ধন্য হোন।
আমি অর্থনীতির ছাত্র নই। আমার সরলীকরণ আমার অক্ষমতাবশত।এখন অর্থনীতির ছাত্র দরকার এই সরলীকৃত হাইপোথিসিসে প্রাণপ্রতিষ্ঠার জন্য। আর দোতারা আজকাল অক্সিডেন্টাল ফিউশনে সমাদৃত। নইলেও অসুবিধা নেই,ঈশরদী রেলস্টেশনের দোতারাবাদকি আমার নস্টালজিয়ার রবিশংকর।তার দিকে বাবুরা বিরক্তি নিয়ে তাকাতো,হয়তো নাগরিক অসুরতা আমাদের সুরবিরোধী করে।আমরা দোতারা শিল্পীকে ভিক্ষুক ভেবে সান্তনা খুঁজি। কারণ আমরা রকেট চালাতে পারি,ল্যাপিকীবোর্ডে আস্ফালন করতে পারি,কিন্তু দোতারা বাজাতে পারিনা। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনার আজকের লেখাটি গত কয়েকটি লেখার চাইতে ভাল হয়েছে। লেখাটির মূল বক্তব্য সহজবোধ্য।
তবে কর্মী ছাঁটাই করার জন্য বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা সৃষ্টি করার আইডিয়াটা মোটেও যৌক্তিক না।
যেখানে বড় বড় কোম্পানিগুলো একে অন্যের গবেষণালব্ধ ফলাফল চুরি করার জন্য মরিয়া সেখানে সিক্রেট সোসাইটিগুলো দুনিয়ার সব ব্যবসা বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে ধারণাটা বিশ্বাসযোগ্য না। অর্থনীতি এত সহজ সরল হবার কথা না। সচলের অর্থনীতিবিদেরা এ বিষয়ে অনেক বেশি বলতে পারবেন।
আর নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার একটা কনস্পিরেসি থিওরি। ওটা বিশ্বাস করা হাস্যকর ব্যাপার হবে।
ফ্রিম্যাসনরি, ইলুমিন্যাটি, নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার শব্দগুলো ড্যান ব্রাউনের বইতে যতটা মানায় অর্থনীতি বা বিজ্ঞানের দুনিয়ায় ততটা মানায় না।
আর ক্যাটাগরি হিসাবে "পন্ডিতরানাপড়াইভাল" শব্দের ব্যবহার উস্কানিমূলক। ক্যাটাগরি হিসাবে যেহেতু "বিতর্ক" শব্দটা ব্যবহার করেছেন তাই আপনার বিশ্বাসের পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য আসবে। অর্থনীতিবিদ সচল বেশ কয়েকজনই আছেন। তারা যদি না পড়েন তাহলে বিতর্ক হবে কীভাবে? দয়া করে পন্ডিতদের পড়ার অনুমতি দিয়ে দিন।
কি মাঝি, ডরাইলা?
দ্রোহী উদ্দিষ্ট দশজন পন্ডিতের আপনি একজন। মজাকে মজা হিসেবে নিতে হবে,আপনি আমার পোস্টে গান্ধীর মুখের গন্ধের কথা লিখে ছিলেন,আমি উস্কানিমূলক না ভেবে মজা করে উত্তর দিয়েছি।
আর ভুলে গেলে চলবে না দশজন পন্ডিত আমার সেরা বন্ধু। তারা যেভাবে আমার বইবিক্রি বাড়িয়েছেন,কোন পিয়ার ফার্ম পারতো না। বদনাম ভি এক নাম হ্যায়।তড়াক করে উইঠেন না হিন্দী বলতে দেখে। সমঝোতার সাদাপতাকা চিরজীবী হোক।
অবশ্যই বিতর্ক হোক,আমার হাইপোথিসিস ভুল প্রমাণ হলে এক বেলা না খেয়েও থাকতে হবেনা,চাকরি বাকরি যাবেনা।আমি শিখবো আবার লিখবো।নিউটন দা নুড়ি কুড়াতেন,আমি খিস্তি এবং প্রজ্ঞা ফিউশন কুড়াবো।
ব্লগ যেহেতু লাটাই ছাড়া ঘুড়ি,আর ব্লগাররা কাইট রানার,চলুক সচলের এই ঘুড়ি উতসব।
আমি নিশ্চিত সচলায়তনে এইসব হার্মলেস ক্যাচাল থেমে গেলে মনে হবে এটা একটা চার্চ আর আমরা সবাই যাজক মতান্তরে বিষণ্ণ নান।
ইউনিভার্সিটির মারমার কাট কাট মজাটা সচলায়তনেও থাকুক।ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ভুল বললেন, আমি অর্থনীতির তেমন কিছুই জানি না। তবে আমি আমার সাবজেক্টে ভাল। শুধু ভাল না, বেশ ভাল। এটুকু গর্ব করেই বলতে পারি।
মহাত্মা গান্ধীর মুখে দুর্গন্ধ হতো এটাতো সত্য ঘটনা। আমি যেহেতু কথাটি বানিয়ে বলিনি তাই উস্কানিমূলক হবার যুক্তিটা ধরতে পারলাম না। আপনার সেই পোস্টটিতে উত্তপ্ত কমেন্টগুলোর ভিড়ে বরং আমার অফটপিক মন্তব্যটি সামান্য হলেও উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করেছিল। তাছাড়া এ পোস্টে সেই মন্তব্য টেনে আনার যৌক্তিকতাও বুঝতে পারলাম না। একটু বলবেন "গান্ধীর মুখে দুর্গন্ধ হতো" বাক্যটি কোন যুক্তিতে উস্কানিমূলক?
আপনার বেশিরভাগ কথাই ঝগড়াটে সুলভ। আপনি চান সবাই আপনাকে হুজুর হুজুর করবে। আপনার কথার বিরুদ্ধে যুক্তি দিলেই আপনি তাকে বলবেন "কলতলার ঝগড়াবাজ"। আপনি যে আচরণ প্রত্যাশা করেন সেটা ব্লগে আশা করা অনুচিত। সংবাদপত্রের আচরণ ব্লগে প্রত্যাশা করতে পারেন না আপনি। সচলায়তন যেহেতু একটা রাইটার্স কমিউনিটি তাই আপনি ঠিক করতে পারেন না কে আপনার লেখা পড়বে আর কে পড়বে না। এখানে আপনার যেমন লেখার অধিকার আছে তেমনি আমারও অধিকার আছে আপনার লেখায় মন্তব্য করার। সে মন্তব্য আপনার মাপে হতে হবে এমন কোন কথা কোথাও লেখা নেই। এমনকী আপনার লিখিত বিষয়ে অগাধ পান্ডিত্য থাকলেও আপনি আমাকে আপনার লেখা পড়া থেকে বঞ্চিত করার অধিকার রাখেন না।
সচলায়তন লাটাই ছাড়া ঘুড়ি না। ক্যাচাল থামানোর জন্য সচলে নীতিমালা রয়েছে। আর সচলে ক্যাচাল হচ্ছে কথাটা ভুল। আপনার অন্তঃসারশূন্য পোস্টগুলো ছাড়া সচলে আপাতত আর কোন ক্যাচাল দেখতে পাচ্ছি না।
আপনি নিজেই লিখেছেন একটা সময় আপনি বাংলা টাইপ করতে পারতেন না। ধুসর গোধুলি আপনার লেখাগুলো টাইপ করে দিত। সে সময় বেশ খানিকটা বিরতি নিয়ে আপনার পোস্টগুলো আসতো। সে সময়ের লেখাগুলো পড়লে আপনাকে যথেষ্ট চিন্তাশীল ও প্রজ্ঞাবান মনে হয়। বাংলা টাইপ করতে শেখার পর আপনি যা লিখছেন এবং মন্তব্য করছেন সেগুলো পড়ে আপনার সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা জন্মায়।
তাই অনুরোধ করছি মাসকাওয়াথ আহসান নামটির প্রতি সুবিচার করুন। কী লিখছেন কেন লিখছেন তা লেখার আগে ভেবে দেখুন। হিটখোরদের মত প্রতিদিন একটা করে অন্তঃসারশুন্য পোস্ট না দিয়ে ভাল কিছু লেখা উপহার দিন।
মনে রাখবেন দৈনিক কবি/সাহিত্যিক/ব্লগারের চাইতে প্রাণঘাতী আর কিছু নাই।
কি মাঝি, ডরাইলা?
আমি আপনার মন্তব্যে যেটা বুঝি,আপনি আমাকে অর্ধেক পছন্দ আর অর্ধেক অপছন্দ করতেন। ফলে দশজন সচলবন্ধুর আমার প্রতি এই অর্ধেক নেতির কারণে, আমি সচল সভায় পাঁচ পেয়ে গেলাম। এইখানে আরো বিশজন আধেক সচলা কেটে নিল আর পাঁচ,রইলো শূণ্য বা তুরীয় অবস্থা।
আমাদের ব্লগ বিপ্লবের দশসূর্যসেন,সাধীন বাংলাবেতারের সেই দশজনের মতো যারা আমাদের চিন্তার সৈনিক বঙ্গবন্ধুর ডাকে কালুর ঘাটে রেডিও খুলেছিলেন। আওয়ামী নেতা হান্নান সাহেব বঙ্গবন্ধুর সাধীনতার ঘোষণা পড়ার পরপরি বারবার ঐ দশজন জাতির জনকের ঘোষণা পড়ে শুনিয়েছে।সচলায়তনের লিটল বুদ্ধের ঘোষণা যেমন দশজন ছড়ায়-কবিতায় তুলে আনে,সাধুবাদ।ওই বিশজন প্রীতিলতার সবাইকে অভিবাদন।
বেলাল মুহাম্মদ কালুর ঘাট রেডিও পাহারা দেয়ার জন্য জিয়াকে নিয়ে এলেন,আর সচলায়তনে বিষণ্ণতার সওদাগরী করতে ধুসর নিয়ে এলো পেঁচা। জিয়া মাইক্রোফোন দেখেই নার্সিসিস্ট হলেন,লোকজনকে ক্যামেরার সামনে আজকাল এরকম হতে দেখি। ২৬মার্চ পুরোটা দিন ফারুক ভাইয়েরা মুজিবের ঘোষণা পড়ে শোনালেন।
রেডিওর লোকরা একটা জিরাফ দেখলেও তাকে মাইক্রোফোনে ব্যবহার করতে চায়।বেলাল ভাই জিয়াকে মজা করে বললেন,আমরা মাইনর,আপনি মেজর,একটু বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটা পইড়া দ্যান।জিয়া দিলীপ কুমারের ছবি দেখে আয়নার সামনে বসে থাকা লোক।তড়াক করে আইয়ুব খান হয়ে ঊঠলেন,তবে ঘোষণাটা পড়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর নামে। নিজের উচ্চাভিলাষের ইউফোরিয়া আর শমসের মোবিন সাহেবের পাঁচতারার তেলানিতে নিজের নামেও একটা ড্রাফট করেছিলেন,সেটা হালে পানি পায়নি।ওই আইউবীয় ড্রাফটের ঘটনা জেনে বঙ্গবন্ধু জিয়াকে ডেপুটিসেনা করেছিলেন। আমি হলে তাকে ওএসডি করে সবসময় সাথে রাখতাম। জনক উদার মানুষ,ক্ষমা করে করে জীবন দিলেন।
পরে অবশ্য কইয়াদিমুর লোক হলুদ বিপ্লব করে তাকে ঘোষক বানাতে চেয়েছে,পারেনি। বামন দিয়ে পাহাড় আড়াল করা যায়না।সুতরাং পেঁচাকে ভয় পাওয়ার কিছু নাই।তাকে ব্লগের জিয়াউর রহমান বানাতে তুলসি দাস এনে তোলা দিলেও হবেনা,কারণ তিরিশজন সূর্যসেন প্রীতিলতার বাইরে অন্তত একত্রিশজন সিধু-কানু-বাসন্তী-শিমূল-মুর্শেদ-ধূগো তাকে পুরোটাই চেনে।ধূগো পেঁচাকে টিনড্রাম তাজউদ্দীন হিসেবে হাড়ে হাড়ে চেনে। পেঁচা কাউকে হুজুর হুজুর করেও না,কারো কাছে ওইটা চেয়ে হাইড্রোসিল বাধায় না। তাই আমার একটি খল চেহারা সারাজীবন পোট্রে করার চেষ্টা করে দেখবেন,পেঁচা প্যারোলে বেহেশতে গিয়ে তাজউদ্দীনের সঙ্গে গলফ খেলছে,অদূরে ক্যাটরিনা কাইফ।
সমঝোতার সাদা পতাকা উড্ডীন,অপেক্ষা ভুলবুঝাবুঝিতে এই চমতকার সময়গুলো নষ্ট না করে বোধের উড়াল। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
হা হা হা হা হা ....
জিজ্ঞেস করলাম কী আর উত্তর দিলেন কী!!
অর্থহীন প্রলাপ বকায় আপনি তুলনাহীন। আমি ক্লান্ত হয়ে ক্ষান্ত দিলাম। আপনার সাথে তর্ক/বিতর্ক/প্রলাপ/সংলাপ পুরোপুরি অর্থহীন ব্যাপার। ভাল থাকবেন।
আরেকটা ব্যাপার। কথায় কথায় হিমুকে লুঙ্গির চিপা থেকে টেনে বার করছেন কেন? হিমু তো দৌড়ে এসে আপনাকে কিছু বলছে না। মডারেটররা এই বিষয়টাকে কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন সেটাও বুঝতে পারছি না।
কি মাঝি, ডরাইলা?
আমি জানতাম হে অর্জুন আমি ঠিকই জানতাম
একদিন এইভাবে গীতিকার গায়ক পাখিদের গলা ডানা শব্দের সরলিপি পালকগুলো ভেঙ্গে দিয়ে তাদের ভিক্ষুক পাগল আর উন্মাদ বানানো হবে। আবুল হাসান
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনি কী প্রশ্ন বুঝতে পারেন না?
নাহ একদমি না,পরীক্ষার হলেও শুধু সর্ষে ফুল দেখতাম।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ওইটা মনে হয় সর্ষে ফুল ছিল না, জিলাপী ফুল ছিল। বুঝতে ভুল করেছেন।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার জিলাপী বলে ক্ষেপাতেন আমাদের বিতার্কিদের। পরে উনার সাহিত্য প্রডাক্টদের ঢাকাময় আঁতলামি দেখে আমাদের টিএসসির এক বিতর্ক মজমায় বললেন (১৯৯৫ ),সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিতর্ক কৌশল কাজে আসতে পারে। আমার ব্যাখ্যা, আতেল সাহিত্যের কুট কৌশলের বিপরীতে বিতর্কের কুট কৌশল ইকুয়ালটু ট্রুথ বা কবি আবুল হাসানের সত্য।ট্রুথ-বিউটি-গুডনেস।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
সচলে এই মুহূর্তে গোটা তিনেক ছড়ার লুঙ্গিতে মেটাব্লগিং এর নূড়ি রয়ে গ্যাছে।গুড উইল জেশ্চারটা দুই পক্ষ থেকেই দেখানো সুখকর। ওই কাল মেঘগুলো সরে গেলে মিনার্ভার অশনি পেঁচাটাও বন্ধুতার কইতর হয়ে যাবে। ট্রুস।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
সেক্ষেত্রে আপনার উচিত সে ছড়াগুলোকে আপত্তিকর হিসাবে অভিযুক্ত করা। যেভাবে আমি আপনার গতকালের পোস্টটিকে অভিযুক্ত করেছিলাম।
আইন সবার জন্যই সমান হওয়া উচিত।
কি মাঝি, ডরাইলা?
অভিযোগ জানিয়েছি বৃষ্টি এবং সাহসী পুরুষের কাছে।
দ্রোহী আমাকে মাফ করে দেন। দুকীবোর্ড লেখার আশায় দশ সূর্যসেনএবং বিশ প্রীতিলতার কাছে শর্তহীন ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক ল্যাপটপে পাক সামান্য ঠাঁই।
ইতি
সিধু পেঁচা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
হা হা হা...........
আবারো সেই অর্থহীন প্রলাপেই ফিরে গেলেন। আপনাকে ক্ষমা না করা অসম্ভব ব্যাপার। ) এভাবে উল্টোপাল্টা বকলে কতোক্ষণ বিরক্তি ধরে রাখা সম্ভব!
আচ্ছা দেন। আমাকে ছড়াগুলোর নাম বলে দেন। আমি পড়ে দেখি। মেটাব্লগিংয়ের কোন ছাপ থাকলে আমি নিজেই আপত্তিকর হিসাবে অভিযুক্ত করে দিচ্ছি।
কি মাঝি, ডরাইলা?
না থাক,ছড়া-কবিতাকে প্রশাসনের কাছে অভিযোগের পাত্রপাত্রী না করাই শুভ। আপনি রেস্ট নেন। প্রলাপে খুব কষ্ট পেয়েছেন এমনিতেই। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
এক্কেবারে ঠিক কথা বলেছেন। তবে,মডারেটর আমরা নাই ডাকি, স্বভাব যায় না মলে।আপনার প্রশংসা প্রাপ্য যে কারণে তা হলো---এত প্রলাপের মধ্যে আপনি ঠান্ডা মাথায় সমালোচনা করার ধৈর্য পুষে রেখেছেন বলে।খেয়াল করেছেন কিনা, মাঝে মধ্যেই উনি আপনাকে এবং হিমুকে ইনিয়ে বিনিয়ে তৈল মারার একটা চেষ্টা উনি করেন।যেমন এখানে বলেছেন, আপনারা তার বই বিক্রি বাড়িয়ে দিয়েছেন।ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচির মত যখন উনি উনার পোষ্ট পড়তে কাউকে নিষেধ করেন, তখন আমার ক্লাশের সেই আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আসা বন্ধু'র কথা মনে পড়ে যায়, যাকে আমরা মুলবি বলে ডাকলে ক্ষেপে যেত।শিক্ষকের কাছে আমাদের নামে অভিযোগ দিত।কাজেই পরদিন দেখতাম নতুন পাঁচজন যোগ দিয়েছে মুলবি ডাকার দলে।এখানেও দল ভারী হবে খুব শিগগির।
খুলে যাচ্ছে।ধীরে ধীরে ভন্ডামির মুখোশ খুলে যাচ্ছে।
আপনে কিডা?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
পরিচয় যাচাই করা হয়নি।
এই কথিত শ্রাবণীর দুটো পরিচয় থাকতে পারে।
১।সে আমার ইশরদীর বন্ধু বিনীতা যে চমতকার গান গাইতে পারে।বিএনপি জামাত জোটসময়ে তারেক ভাইয়ার হাওয়াদল তাকে কলেজ রোড থেকে অপহরণ করতে চেষ্টা করেছিল। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাবার পর ওরা সপরিবারে কলকাতা চলে যেতে বাধ্য হয়।সুতরাং আমার তারেকচরিত পড়ে বিণীতা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হবার অধিকার রাখে। তবে ডিসেম্বর অব্দি আমার ধারাবাহিক লেখাগুলো পড়লে আমার ধারণা বিণীতার মনের সংশয় কিংবা ক্রোধ দুটোই কমে যাবানে।
২।শিবিরের আব্দুস সাত্তারের দুই বোন উম্মে ফাহমিদা-মারিনা কুলছুম সামহোয়্যার ইনে ব্লগিং করে।ভগ্নীদয় ভ্রাতকে কমপ্লেইন করে সচলে এক ভারত তোষক জুটেছে। সাত্তার চমকে ওঠে তাই নাকি। ভগ্নীদয় আরো জুড়ে দেয় শুনছি এর সমস্যা আছে, হিন্দু এক মেয়ের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ ছিল।
সাত্তার ক্লু পেয়ে যায়। তাইলে হিন্দু মাইয়া সাইজা এমন কমেন্ট কর যাতে সে ছাগু হইয়া যায়।বুজলি না রগ কাইটা দেওনের মতো। ব্যস হয়ে গেল।
আমি নিশ্চিত এই শ্রাবণী নামধারী শিবির ভগ্নীদয়,১৪ডিসেম্বরের আগেই আমার সঙ্গে কফি খেতে চাইবে। ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনার এই চমৎকার হাইপোথিসিস পড়ে সচলায়তনের পাঠকরা বিশ্বাস করতেও পারেন,আমি কুলসুম বেওয়া শ্রাবন্তীর সিঁদুর চুরি করে বৌদি সেজে আপনাদের মাহফিলে মনোরঞ্জনে হাজির হয়েছি, যদি আদৌ কেউ এই অংশটুকু পড়ে থাকেন।তার সম্ভাবনা আমি কম দেখি। আচ্ছা মিঃ মাহসান,আপনার কি ধারণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মেয়ে আপনার চরণে হৃদয় তুলে দেয়ার জন্য ব্যগ্র হয়ে উঠেছিল? এদেশে ফাতরা ছেলে আর ফাতরা মেয়ের সংখ্যা প্রায় সমানুপাতিকই হবে।তাই তো বিশ্ববিদ্যালয়কে বেশ্যালয়ের সাথে তুলনা করে আক্ষেপ করেছিলেন প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ স্যার।তারপরও কিছু মেয়ে সত্যি সত্যি আপনার প্রেমে পড়ে থাকতে পারে, কিন্তু আপনি যেভাবে সেই ব্যাপারগুলি নিয়ে গর্ব করে জাহির করেন---তাতে কি আপনার মনে হয়না আপনি আপনার সেই বান্ধবীদের অপমান করেন।যৌবনের উদ্দামতায় কেউ কেউ ভুল করে বাঁদরের গলায় যৌবনের মালা পরিয়ে থাকতে পারেন, এটি নিশ্চয়ই উভয়পক্ষের ভালোলাগার একটি ব্যাপার হয়ে থাকবে, মিউচুয়ালি আনন্দ করার একটা উপলক্ষ হয়ে থাকবে---তা নিয়ে এমন সগর্ব উপহাস তো লম্পটের লাম্পট্যের শীৎকার ছাড়া আর কিছু নয়। আপনার জাত টা চেনাও খুব কষ্ট নয়।
শ্রাবন্তী নামটা মানেই সংখ্যালঘু হিঁদু ? মোহাম্মদ-আহাম্মদ-আহসান-তাহসান মানেই সৌদি আরবের খোর্মা খেজুর অথবা সৈয়দ বংশের উত্তরাধিকারী ?
বিনীতা ছিলাম এ দূর্ণাম আমার সবচাইতে কাছের মানুষটিও দিতে পারবেন না।দেশান্তরী হবার ব্যাপারটি নিয়ে আপনি যত হাল্কাভাবে কথা বলতে চেয়েছেন, ব্যাপারটি মোটেও তা নয়-এর সাথে গভীর দুঃখ আর অসহায়ত্ব মিশে আছে। আমাদেরকে নিশ্চিত ভোটের ব্যাঙ্ক ভেবে অত্যাচার অনাচার আপনারা সবাই করেছেন।খুব ছোটবেলায় দেখেছি আপনাদের কালো পিঁপড়া মুসল্মান পিঁপড়া, লাল পিঁপড়া মালাউন পিঁপড়া বানিয়ে খেলার প্রবণতা। অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত বাংলাদেশী বাঙ্গালী মুসলিমের ধর্মীয় ভন্ডামি দেখতে দেখতে চোখ পচে গেছে।তার চাইতে আরেক কাঠি সরেস ভন্ডামি দেখতে পাই আপনার মত লেখকদের লেখনীতে-যারা বলতে চান,তারেকরা তোমাদের ধর্ষণ করবে, জয়রা কোলে নিয়ে আদর করবে।আপনারা যখন এই ধরণের কথা বলেন, তখন আমার নিজেকে সবচাইতে বেশী অপমানিত মনে হয়- কারণ তখন আমার বুদ্ধিমত্তাকে নিয়ে উপহাস করা হয়। হিঁদু মেয়েদের ধর্ষণ আর জোর করে হিঁদুর জমি দখল করে কর্ষণ বাঙ্গালী মুসলমানরা শুরু করেছে সেই ৪৭ থেকেই।অবাক করা ব্যাপার হলো,সাম্প্রদায়িক এই আক্রমণ শানিয়ে নিরীহ সংখ্যালঘুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া দ্বিগুণ হলো ঠিক বাংলাদেশী বাঙ্গালী মুসল্মানের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর থেকেই।মুক্তিযোদ্ধাদের হাতেই, যে অস্ত্র কদিন আগেই গর্জে উঠেছে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে, সেই অস্ত্রই মাতব্বররা ব্যাবহার করল সংখ্যালঘু নির্যাতনে আর তাদের সম্পত্তি দখলে নেয়ায়,মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়টিতে চলল সংখ্যা লঘুর সম্পত্তির হরিলুট।রহিম করিমরাও তাতে অংশ নিয়েছে সদলবলে।আর তাই এদেশে সংখ্যালঘুর সংখ্যা দিন দিন আরও লঘু হয়েছে।ঠিক স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ইতিহাস তো আপনার অজানা থাকার কথা নয়।বরিশাল, যশোর, খুলনা এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে ঘেঁটে দেখতে পারেন।অন্য এলাকায় ও নজর দিতে পারেন।আমার এলাকা বলে এই অঞ্চলের কথা উল্লেখ করলাম।
ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান ?---হলি শিট !!! আপনি আমাকে ধরার জন্য যখন এতখানি ব্যগ্র হয়ে উঠেছেন,আমার নতুন করে চেষ্টা করার কোন দরকার আছে কি ?
দেখি,ডিসেম্বর পর্যন্ত আপনার ভন্ডামির ঝুলি থেকে আর কটা কালো বেড়াল বের হয়।আমাকে ইমপ্রেস করার কোন দরকার নেই---নিজেকে ইম্প্রেস করুন---ভন্ডামি ছেড়ে সংশোধিত হয়েছেন।
আমি যীশুর মতোই আরেক গাল বাড়িয়ে দিচ্ছি, আপনি যা লিখেছেন তা জোয়ান অব আর্কেরি ডাইরি। আই এম নট আ প্র্যকটিসিং মুসলিম,আপনিও শব্দচয়নবশত প্রকাশ করেছেন,আপনি মানুষ।
কিন্তু আপনি যখন ফাতরা ক্লিনটনের কথা তুললেন তখন আপনি মানুষ থেকে মানবী হয়ে উঠলেন। সেই অসহিষ্ণু থ্যাচার, ইন্দিরা গান্ধী। নিক্সন বলেছিলেন মেয়েরা ক্ষমতা পেলে পুরুষের চেয়ে টাফ হতে পারে। হুমায়ুন আজাদ আমাকে আর আমার বন্ধু-বান্ধবীদের ফাতরা বলে গেলেন, আজ জোয়ান অব আর্ক সেইডা কোট করচেসেন।
আর বাইবেলের চেয়ে মোটা নারীগ্রন্থ লিখে স্যার ক্লিয়ার করে যেতে পারলেন না কেন ইন্দিরা বা শ্রাবন্তী রেগে গেলে মুখে যা আসে তা বলে।সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটির দিকে আড়ং এর চটি ছুঁড়ে মারে। হায় পুরুষজনম আমার বৃষ্টিকন্যার জুতা খাবার।
আমার বন্ধুবান্ধবীদের মধ্যে লারা-এশা দুজন মারা গেছে। বাকী সবাই ফেসবুকে আছে। আপনি চাইলে এম আই ফাইভের কাছ থেকে তাদের স্কাইপ ঠিকানা নিয়ে মাহসানের কথা জিজ্ঞেস করতে পারবেন। আমি পাড়ার রোমিও নই যে হোমিওপ্যাথির দোকান খুলে জমিয়ে বসেছিলাম ইংজিরি বালিকাদের সাথে। কেউ অভির সঙ্গে তুলনা করলে তখন খুলে বলা দরকার।এশা মারা গেছে হার্ট স্ট্রোকে,লারা বিমান চালাতে। সব মৃত্যু থেমে থাকা নয়, যে কোন আড্ডায় আমরা ওদের স্মৃতির সঙ্গে গল্প করি।স্মৃতির মেঘে বৃষ্টি নামে।তাই আমাদের বাছুরবিপন্নতার সংস অব ইনোসেন্স শুনে ফাতরা ক্যাসানুভার ইভটিজিং মনে হলে আমার বন্ধু রেজার কথাটা আপনাকে বলি,কিছুটা পুড়ুকপোড়া ভালো তাতে কেটে যাবে খানিক অন্ধকার খানিক কালো।
আপনি শুধু ইবসেনের ডলসহাউজটাই পড়ে মাথা গরম করলেন,ভার্জিনিয়া উলফের মিসেস ড্যালওয়ে পড়েও পড়লেন না।
লস্ট ইয়েস,ডিফিটেড নো। জয়তু শ্রাবন্তী।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
একশ'টি কয়েন থাকা না থাকার সাথে মন্দার সংযোগ মেলাতে গেলে কয়েন-স্ফীতিকেও মেলাতে হবে, অস্থাবর সম্পত্তিও বুঝতে হবে। সবকিছুই কয়েনের হিসেবে ছিলো না।
অমুক ব্যাংকের সাব-প্রাইম মর্টগেজ যখন "বিনিয়োগ" হিসেবে জাবদা খাতায় স্থান পায়, তখন তাকে লাভজনক কয়েন মনে হলেও, ওটা ছিল ভ্রান্তিবিলাস- কয়েন না। আবার কলিমুদ্দি যখন তার সব সম্পদ বেচে অমুক ব্যাংকের শেয়ার কিনে রেখেছিলো, তখনও সে কয়েন পরিত্যাগ করেছিল। এখন কলিমুদ্দিনের বাড়ির দাম কম > কিন্তু তার মর্টগেজ ছিল আরে বেশি > তাই সে মর্টগেজ শোধ না করে ব্যাংককে দিল বাড়ি দিয়ে > ব্যাংক করতে গেল বাড়ি বিক্রি > বাজারে বাড়ি বেশি > তাই রহিমুদ্দিনের বাড়ির দামও গেল কমে > ... ...।. সাব-প্রাইম মর্টগেজের "বিনিয়োগ" হয়ে গেল ক্ষতি। ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমে গেলে কলিমুদ্দ ভাবলো, শেয়ার না কিনে কয়েনগুলো কলসে ভরে মাটি চাপা দিলে ভালো হতো! আফসুস। কয়েন নাই, খালি কলস আছে আর আছে মাটি চাপা।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
হা হা হা , মাসকাওয়াথ ভাই। একটা মজা হইসে। 'পন্ডিতরানাপড়াইভাল' রে আমি পড়সি 'পণ্ডিত রানা, পড়াই ভাল'। ভাবলাম 'পণ্ডিত রানা' নিক নিলেন নাকি? নামটা একটু অ্যাকাডেমিক হইল। আবার গোয়েন্দা টাইপও হইল। আর আপনি পড়ান ভাল। তাই বিজ্ঞাপনও হইল আজকাল জোক মারতে ভয় লাগে। তারপরও সাহস কইরা বললাম।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দেয়ার ইউ আর,একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন আমি গুয়ানতানামোতে নেবার মতো লাদেন নই। হার্মলেস ফচকে।তবে দুধভাত নই। আমার মনে হয় ভার্চুয়াল রিলেশনের ব্যর্থ তা এটা। আই কন্ট্যাক্ট ছাড়া বিতর্ক করা কঠিন।আমার সঙ্গে যেকোন মজা করতে পারেন,আমিও আপনাকে মাঝে মধ্যে খুঁচিয়ে দেব। তবে গুরুর কথা অনুযায়ী আজকাল পাছাটাকে বাঁচিয়ে রাখি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
সাঈদ,এটা আর কোন বিতর্ক নয়,জানতে চাওয়া,কেমেন আইল্যান্ডস একাউন্টসে চলে যায় কয়েন,ওই ১০০কয়েন আমজনতার ধরার বাইরে। এরাতো ঘোরে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে,মানি ইন হোপ নিয়ে।সম্পদের অসম বন্টনের সেই অষ্টম শ্রেণীর কথা। ডয়চে টেলেকমে কর্মী ছাঁটাই তখোনি হয়,যখন শ্রমিক কল্যাণের ফান্ড কেমেন ছায়া একাউন্ট ঘুরে লাদেনের হাতে চলে যায়,কিংবা রিপাবলিকান পাওয়ার রেসে। এলেগরিক্যাল অর্থে, আমার তো ড্যান ব্রাউনের প্রতীকই পুঁজি,অর্থনীতি বুঝিনা।ফলে ইচ্ছা না থাকা সত্তেও হয়তো সিইওকে শিয়েন্ডলারের মতো লিস্ট বানাতে হয়।কখনো সময় পেলে একটু লিখবেন আশা করছি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
জন এবং জনতা- তা আমজনতাই হোক আর ছালাজনতাই হোক-- সবারই আমগাছের শীর্ষে ওঠার শখ থাকে। তাই কলিমুদ্দি মতিঝিলের কার্ব মার্কেটে দাড়িয়ে নিজ হাতে ১০টা কয়েন তুলে দেয় বেপারীর হাতে... বেপারীর কাছ থেকে নেয় একটা ময়লা কাগজ। কাল এই ময়লা কাগজ বেচলে নাকি ৫০ কয়েন পাওয়া যাবে। এদিকে বেপারী কয়েন নিয়ে আইল্যান্ডে চম্পট। ময়লা কাগজ কেনার লোক পায়না কলিমুদ্দি।
বাংলাদেশের চাকুরে আর বিদেশের চাকুরের পার্থক্য কী? বাংলাদেশে আগে চাকুরি হয়, তারপর টাকা জমে... তার অনেক অনেক পর গাড়ি-বাড়ি হলে হয়, নাহলে না হয়। বিদেশে চাকুরি হলেই হলো-- ব্যাংক সালাম দিয়ে গাড়ি-বাড়ি দিয়ে যায়। যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ... পরের জায়গা পরের জমি ঘর বানাইয়া আমি রই। চাকরি গেলে মনে পড়ে, ওই ১০০ কয়েনের গাড়ি-বাড়ি আমার ছিলই না কোনকালে। খালি আছে ঋণ।
তাহলে কী যত দোষ আমজনতাঘোষ? সিইওরা ধোয়া তুলসী পাতা? না। দোষ সবারই, এবং সবাই আমজনতার অংশ। কলিমুদ্দি রিস্ক নিয়ে ধরা খেয়েছে, তাই কলিমুদ্দির বউ কলিমুদ্দিকে দুষে। তার জীবন একটাই।
কোম্পানীর সিইও রিস্ক নিয়ে ধরা খেয়েছে। কিন্তু কোম্পানীর অনেক জীবন, এক মাঘে তার শীত যায় না। সিইও-রে দুষলে "নো রিস্ক নো গেইন" আর কেউ মনে রাখবে না। তাই সিইও রিস্ক-এ্যালাওয়েন্স নিয়ে আইল্যান্ডে যায়। গিয়া ব্যাপারীর সাথে নর্তন-কুর্দন করে।
ষড়যন্ত্র? কী জানি! কবি বলেন "অর্থই অনর্থের মূল", কলিমুদ্দি বুঝে "meaning is the root of non-money"! তাই সে কিছুর অর্থ বুঝতে চায় না।
আমজনতা বুঝলে ভালো, না বুঝলেও সরকার মহোদয় বুঝতে পারলেই একমাত্র রক্ষা। সব কিছু নিয়ে রিস্ক নেয়া যায় না, এমুন আইন করলেই হয়। ওবামা নাকি চেষ্টা চালাচ্ছে। ব্যাটা সোশ্যালিস্ট! তাও ভালো। পুজিঁবাদের শর্ত হলো, বাজার ঠিক থাকতে হবে, তবেই কাজ হবে। বাজার কোনদিনই ভালো যায়গা না, তাই প্রকৃত পুজিঁবাদী দেখানোও সম্ভব না।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
অনেক ধন্যবাদ।খানিকটা জট খুলেছে। মাঝে মাঝে অনুগ্রহ করে একটু চিহ্ন দেবেন আশা রাখছি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
সচলায়তনে ছবি আপলোড করার আগে নিশ্চিত হোন যে ছবিটি বিতরণের অধিকার আপনার রয়েছে। যদি ছবিটি অন্য কোনো অনলাইন উৎস থেকে সংগৃহীত হয়, তাহলে ছবি বাটনে ক্লিক করে সেই ইউআরএলটি যোগ করুন।
এর আগে আপনি বিনা অনুমতিতে সচল মুস্তাফিজের একটি ছবি সচলে আপলোড করেছিলেন। এ ব্যাপারে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছিলো। এ ব্যাপারে আপনি সচেতন হয়েছেন, এমন দৃষ্টান্ত পরিলক্ষিত হয়নি।
ভবিষ্যতে সচলায়তনে অন্যের ছবি বিনা অনুমতিতে কিংবা সূত্র উল্লেখ না করে আপলোড করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। সেরকম ঘটলে ছবিসহ আপনার পোস্ট সরিয়ে দেয়া হবে। ধন্যবাদ।
তথাস্ত।এই কথাটা মেইলে জানানো যেতো কিনা মৃদু প্রার্থনা।
আমি একটি ক্ষুদ্র ইংরেজী ব্লগে মডু হিসেবে কপিরাইট জটিলতার বিষয়টি ব্লগারদের মেইল করে জানাই। অবশ্য ছোটব্লগে সেটা হয়তো সহজ।সচলায়তন অনেক বড় প্রতিষ্ঠান, এখানে সেটা খুব কষ্টসাধ্য।ধন্যবাদ হুঁশিয়ার করে দেবার জন্য।
পুনশ্চ, যেখানেই যাই,আমার কেবল রাত হয়ে যায়, আবুল হাসান।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনার লেখা পড়ে বোঝার মত আইকিউ আল্লাহ আমাকে দেন নাই। তারপরও বুঝবার বৃথা চেষ্টা করি। আর ব্যর্থ হই যথারীতি। তবে একটি কথা দ্রোহী ভালই বলেছেন, প্রতিদিন একটি করে লেখা দেবার লোভটা আপনার সামলানো উচিত। জানি লেখক হিসাবে প্রতিক্রিয়া পাবার লোভ সামলানো কঠিন, তবে দুয়েকজন যখন বলা শুরু করেছেন আপনি বিষয়টা ভেবে দেখতে পারেন। আর হ্যাঁ, দ্রোহীর মত আমি আপনাকে ঝগড়াটে ভাবছি না, একজন বলেছিলেন ব্লগ মাধ্যমটা কম বিনয়ী, তাই নিজের/নিজেদের বিপক্ষে কথা গেলে বক্তাকে ঝগড়াটে ভাবার চিন্তা বোধ হয় পরিহার করা যায়।
সামহ্য়্যার ইন এর রাগ ইমনের মত হবার একটা সম্ভাবনা আছে আপনার, যিনি অতিরিক্ত লেখার বা ব্লগে আলোচিত প্রতিটি বিষয়ে মন্তব্য করার লোভ সামলাতে পারতেন না। (আমি শুধু বেশি লেখার মিল প্রসঙ্গে বলছি, আদর্শের প্রসঙ্গে নয়)।
ভালো থাকবেন।
আইকিউ প্রবলেমটা আমার,আপনার অবশ্যই নয়।ধন্যবাদ ঝগড়ারসের সমঝদার হবার জন্য। রাগইমন সম্ভবত নৌকাডুবিতে হারিয়ে যাওয়া আমার জড়ুয়া বা জমজ ভাই। এতো কমেডি অব এররস। ধন্যবাদ হারিয়ে যাওয়া জমজ ভাইয়ের ঠিকানা দেবার জন্য। অনলাইন আসলে হারিয়ে যাওয়া সম্পর্ক ফিরে পাবার জায়গা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনারা কপচাচ্ছেন আর ওদিকে যে সব রসাতলে গেল!
এই দেখুন: http://ittefaq.com.bd/content/2010/08/29/news0773.htm
বলেন কী,ওখানকার সাংসদ সাহেব কী দেখেননা এসব,নাকি ঢাকাতেই থাকেন,আবার ভোটের আগে গ্রামে যাবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
উদ্দিষ্ট দশজন পন্ডিতের বাকী নয় জন কারা গো মাসকাওয়াথ ভাই?
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
আপনি আছেন গো বাট দশম অবস্থান। মন্তব্য খুবি মজার আপনার।কিন্তু পোস্ট কম লিখছেন,হয়তো ব্যস্ত বলে। একটু সময় পেলে লিখুন।এইটা ক্রিকেটের মতো হয়ত আরো আগে চলে আসবেন। তবে শীর্ষ দশে থাকার শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন। আপনার সাথে ঝগড়ায় খুব মজা পাওয়া গিয়েছিল। ভবিষ্যতে একটু বিরতি দিয়ে আবার একদিন বসা যাবে কেমন।
পুনশ্চ,আর কোন পন্ডিতের নাম আপনাকে বলা যাবেনা। এটি পন্ডিত সম্মাননা পর্ষদের একটি ছোট্ট আদর্শ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ইলিউমিনেত্তি আম্মারা যেমন বিতর্ক আন্দোলনে ছোট বেলা থেকেই চাঁদা দিচ্ছেন আমাদের। বুঝতে পারছি একটা শকিং কমপ্যারিজন হয়ে গেল।বিতর্ক আন্দোলন থেকেও গত ২০ বছরে এরকম ছায়ানর্তক বেরিয়েছে,যারা শিশুদের মধ্যে বিভাজন তৈরী করে সং সেজে টিভিতে আসে বা হালে পানি না পেলে ঘরে বসে ফার্মভিল খেলে।
গোটা পোস্টের সাথে এই তিনটি বাক্য সম্পর্কবিহীন এবং আমার দৃষ্টিতে অপ্রয়োজনীয়। বিতর্ক আন্দোলন নিয়ে বলতে চাইলে শুধু সেটা নিয়েই বলুন। অর্থনীতির একটা জরুরী ও জটিল বিষয়ের মাঝে হঠাৎ করে এই প্রসঙ্গটা আনার উদ্দেশ্য কী?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনেক ধন্যবাদ। এইজন্য শকিং কমপ্যারিজন কথাটা লিখেছিলাম। সত্যিই পাঠকদের জন্য এটা অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু পাঠকদের মধ্যে যারা বিতার্কিক তাদের জন্য এই ইলিউমিনেত্তিচরিতের মাঝে অপ্রাসঙ্গিক বিতর্ক প্রসংগটি অনায়াসে প্রাসঙ্গিক। এই লেখাটি বাহাত্তর ঘন্টা পর একটি বিতর্ক উতসবের স্যুভেনিরে প্রকাশিত হবে। সরি হঠাত একটি অপ্রাসঙ্গিক প্যারা এই লেখায় রাখার জন্য। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্টের কথা বলেছেন। ব্যাক্তিগত ভাবে শিক্ষার এই ট্রেন্ডটা নিয়ে খুবই আস্বস্তি আছে আমার । যদিও জানি খুব সহজ সমাধান এই মুহূর্তে নেই, শিক্ষাকে যখন ‘বাজারীকরণ’ করা হয় বা পণ্য হিসাবে ধরা হয়, এটা হবেই।
নিয়ে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার অনেক কারণের মধ্যে বাণিজ্য শিক্ষার ব্যাপারটাও এসেছিল এবং বেশ তোপের মুখেই পরেছিল (‘বি-স্কুল’ বিতর্ক)। যুক্তরাষ্ট্রের (বি-স্কুল ধরণার জনক) ভাল দিকটা হচ্ছে বিতর্কের মাধ্যমে শুধরে নেয়ার একটা চেষ্টা আছে। মজার ব্যাপার Daniel H. Pink সম্ভবত ২০০৪ এ ‘The MFA Is the New MBA’ নামের একটা আর্টিক্যালে লিখেছিলেন, While Harvard’s MBA program admitted about 10% of its applicants, UCLA’s fine arts graduate school admitted only 3%. Why? An arts degree is now perhaps the hottest credential in the world of business’.
অবশ্য এখানে এসব নিয়ে ভাবার কথা না। শিক্ষা-ব্যবস্থা নিয়ে বেশ বিনোদনই দেয় সরকার আমাদের। রমজান মাসে ঢাকার যানজট কন্ট্রোল করার ক্ষমতা নেই, এক ঘন্টার নোটিশে স্কুল সব বন্ধ করে দাও। কুইক-ফিক্সের জন্য শিক্ষা-ব্যবস্থাকে বন্ধ করে দেয়া সবচেয়ে সহজ এই দেশে।
নৈষাদ একটু আগে পরীক্ষার হলে তিন ঘণ্টা এই ট্রাজেডী দেখলাম। আমার মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ল এন্ড এথিকস কোর্সের একটি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ফাইনান্স কোর্সের পরীক্ষায় টানা তিন ঘন্টা পেন ডাউন স্ট্রাইক করে বসেছিল।আমি জিজ্ঞেস করলাম কী ব্যাপার পকেট মানি পাওনাই নাকি।
সে বললো,স্যার আই নিড দিস স্পেস। ছোড়া মার্কিন মুল্লুকে বড় হয়েছে তাই কাউকে ভাগাইতে সি আই এ এজেন্টের মত করে কথা বলে আরকি। কিন্তু আমি যেহেতু টিকলাইতে পছন্দ করি,পরীক্ষা শেষ হবার পর আবার ধরলাম।
ও এবার মুখ খুললো,আই হেট এমবিএ এন্ড দ্যাট উইদ ফাইনান্স। মিডিয়া ল ওর ভাল লাগে। কাজেই বাপের ডলার যখন নষ্ট হইলই,আমি প্রস্তাব দিলাম ফাইনান্স ছেড়ে আমার মিডিয়া রিসার্চ কোর্স নিতে।আমি যা বুঝি ওই ছেলের অঙ্ক দেখলে মাথা ঘোরে। মনে হয় এই ছেলে এইবার একটু আনন্দ পাবে পড়ালেখায়।বাপ জোর করে ফাইনান্স ধরিয়ে দিয়েছিল। এটা আমার ধারণা বর্তমানের ও ভবিষ্যতের তরুণদের জীবনে একটা বড় ট্র্যাজেডী।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আর কি কি খুলচে দিদি!?
খোলা খুলি দেখতে দেখতে যে হয়রান হয়ে গেলুম মাইরি! সবাই সবার পোল খুলচে, বুইলেন!? মদ্যে থেকে পোয়া বারো ওই বেটা রাজাকার আর নব্য রাজাকার (ন্যাতা নেত্যি) দের।
আপনারা এমন খোলাখুলিই চালিয়ে যান, বুইজবেনও না কখন তেনারা এসে আপনাদের পেচন খুলে পেদিয়ে চলে যাবে- বুইলেন!?
খোলামন ল্যাংগুয়েজ প্লিজ। তবে একটা এওকেনিং তৈরী হয়েছে আপনার খিস্তিতে।
৭২-৭৫ সময়ে বুদ্ধিপ্রবণ অতিশিক্ষিত দার্শনিক আওয়ামী-জাসদ-বামগালফুলানোদের কচলা কচলির মাঝখান থেকে ৭১এর পরাজিত শক্তি জাতির জনককে হত্যা করে বাংলাদেশকে নিয়ে গেল পাকিস্তানের পথে।
আমজনতা চোখ বুঁজে মহাজোটকে ভোট দিয়ে বাংলাদেশকে যখন বাংলাদেশের পথে নিয়ে এলো,যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে আমজনতা এক্কাট্টা,আমরা তখন সেই ৭২-৭৫ অতি আঁতেল দুই প্রেতাত্মা জোয়ান অব আর্ক বনাম বিল ক্লিনটন খুনসূটিতে সময় নষ্ট করছি।
ধন্যবাদ খোলামনে বিরক্তি জানিয়ে যাবার জন্য। এখন খোলা চোখে দেখতে পারছি, এডু হিসেবে ইবাংলাদেশের কাজটা আরেকটু মন দিয়ে করা বেশী জরুরী। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আর আপনাকেও বলচি দাদা, 'ল্যাঙ্গুয়েজ পিলিজ'। এমন সব কতা লিকচেন, যে পড়তে ডিস্কনারী লাগে মাইরি! খিস্তি না করে করব কি!? ওদিকে বিষ্টি দিদি'র সঙ্গে- বাঘ দাদা'র সঙ্গে আপনার আতেলিয় কতা বিনিময় চলচে, এদিকে দেশের পোঁদ মারা হয়ে যাচ্চে। ১৯৭১ সালে যদি বলগে বসে আ্যলারাম দিতেন তবে কি পাকি'গুলো মসজিদে গিয়ে বসে পড়ে আল্লা-খোদা'র কাচে মাপ চেত মনে কচ্চেন?
অ টি হচ্চেনা বুইলেন? একন কতা বুইলচেন তো শক্ত করে সোজা করে বলেন আপনি কে, কি চান। আর ওই দিদি'র সঙ্গে মাতারীকূল ঝগড়া বন্ধ করেন!
আপনি কে, কি চান।
মেলেনি উত্তর। রবিগুরু,জা পল সার্ত কেউ যে উত্তর দিতে পারেন নি, সে উত্তর দেব আমি। এই সেরেছে।
আমি,কলতলার ক্যাচাল চাইনা।শান্তি চাই।
তবে সবার আগে চাই যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
নতুন মন্তব্য করুন