১৯৮২ সাল। রাজশাহীর কাছে খুব প্রাচীন গ্রাম আড়ানির শতাব্দীপুরনো মনমোহিনী হাইস্কুলের হিরণ্ময় বর্ষ পূর্তি। আয়োজকের নাম মুকুট।রাজশাহী ইউনিভার্সিটির ইংরেজির এই ভাবালুতাগ্রস্ত তরুণ আড়ানী কলেজে ঢুকে সমাজসেবায় মন দিয়েছে।তারসঙ্গে এক উন্মূল উদবাস্তু কবি বুলবুল।সেও কলেজে পড়ায় ছাত্রাবস্তায়,তার মুদ্রা দোষ অস্থিধারণ শব্দবন্ধটি।
আয়োজনে কমতি নেই।প্রায় শান্তি নিকেতনের আমেজ।বেশ কয়েকজন শুভ্র দাড়ির রবীন্দ্রনাথ-লালন ঘোরাঘুরি করছেন। এরা খুব সম্ভব প্রথম দিকের ছাত্র। কে জানে হয়তো বেহেশত থেকে প্যারোলে এসেছেন। কিংবা আড়ানীর ডেভিড কপারফিল্ড বুলবুল প্লানচেট করে তাদের সবুজ মাঠের ওপর রেশমী চাঁদোয়ার নীচে আটকে রেখেছেন। লোকজন লন্ডন-ওয়াশিংটন থেকেও এই মনমোহিনী মেলায় এসেছে।
এই স্কুলের নানাবয়েসের ডাকসাইটে সুন্দরীরাও উপস্থিত।গার্লস স্কুল তৈরীর আগে বড়াল নদীঘন উতসবের গ্রামটির মোহিনীরা এই কোএডুকেশনে পড়তো। ৭৫এর পরে বাংলাদেশ পাকিস্তানের পথে গেলে গ্রামে গ্রামে গার্লস স্কুল তৈরী করে নানের মতো মাথায় ওড়না পেচিয়ে পানখেকো হুজুর হেডমাস্টারদের জেলখানায় ভরে ফেলা হয়।
যে গ্রামের মেয়েরা অর্ধশতক আগে কো এডুকেশনে পড়তো এখন তারা একধরনের গার্লস মাদ্রাসায় পড়ছে।গত বিএনপি জামাত আমলে সেই মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরা মেয়ের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ। যাদের মা-খালারা হিজাব পরেনি তার এখন কিসের নেশায় হিজাব পরছে,কে বা কারা এইভাবে বেগম রোকেয়ার সুলতানার সপ্নটিকে আবার অবরোধবাসিনী করছে,সেসব খবর রাখার ফুসরত নেই তাদের যারা ক্ষমতা দখলের আর দেখানোর অসুস্থ বাঘ-ঘোড়া দৌড়ে মরিয়া।
রাষ্ট্রীয় দর্শনটা এরকম বাসররাতের আগে যেন নারীপুরুষ কেউ কারো মুখ না দেখে। এই ধরনের নিসর্গ বিরোধী বিকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা ইভটিজিং এবং আত্মহত্যার ধূসর ছবিগুলোর রেসিপি দিয়েছে। মনমোহিনী স্কুল থেকে মোহিনীরা চলে গেল মনেরা বিষণ্ণ মনে অংক করে,বিজ্ঞান পড়ে,কবিতা পড়ার ইচ্ছেটায় ঊড়ে যায়।ফলে ৮২র বাসন্তী গোধুলিতে যখন ষাটের সত্তুরের সুচিত্রা-কবরীরা রবি ঠাকুরের লাবণ্যের মত নন্দন রূপের ঝলকে ষাটের সত্তুরের মন উত্তম-রাজ্জাকদের জানান দেন আজ সন্ধ্যায় এই স্কুলটা আবার মনমোহিনী হয়ে উঠবে। পরিতাপের বিষয় মোহিনীদের মেয়েরা ওড়নাটোড়না টেনে এমনভাবে বসে আছে যেন এরা আরবের শেখেদের বৌমণি হবে।১৯৮২র কথা ভেবে অবাক হই।ওইদিন বিকেলে জিয়া-এরশাদের জামায়াত বান্ধব ষড়যন্ত্রে পেছন দিকে হাঁটতে শুরু করা দেশটাকে দেখলাম পাশাপাশি লিবেরেল হাসিখুশী মা আর রক্ষণশীল গোমড়া মুখো কিশোরীদের বসে থাকতে দেখে।
এই অপূর্ব আয়োজনে রবি-নজরুল-লালন-আব্বাসুদ্দীন চর্চা আর মজার মজার স্মৃতিচারণেররসে সারাক্ষণ হাসি আর সুখের হুল্লোড়ে আকাশের তারাগুলো টুপটাপ করে ঝরে পড়ছিল নকশী চাঁদোয়ার চারপাশে।শুধু গম্ভীর হয়ে বসেছিল কয়েকজন আরব শেখের হবু বৌমনি।তবে মসজিদের আজান বা মন্দিরের ঘন্টা শুনে একবারো থামেনি ওই মনমোহিনীউতসব।
দ্য মেকিং অব দ্য আউল
৮২ সালের একটি গ্রামের ইস্কুলের রিইউনিয়ন আর বদলে যাওয়া সমাজের প্রতিবেদন শেষে একটু হলুদ সাংবাদিকতা।
ক্যাডেট কলেজ থেকে পালিয়ে গ্রামের বাড়ির এই স্কুলটিতে কিছুদিন পড়েছিলাম। আড়ানীর দিনগুলোতে ঐ রিইউনিয়ন আয়োজক দুই মামা জোর করে তলস্তয় পড়াতেন,কুমার পাড়ায় নিয়ে যেতেন মৃতপাত্রের শিল্পীদের কাজ দেখতে।কিন্তু ভিসি আরে অমিতাভ বচ্চনের ছবি দেখতে খুব বাধা দিতেন,ভাবতেন আমাকে তারা যে শিল্পসম্মত বিনোদন দিচ্ছেন তাতেই খুশী থাকতে হবে।আর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ছিল এই দুই পাঁড় আতেলের হাই-থট গল্প শোনা। তাদের আলোচনা রোবনাথ থেকে দস্তয়ভোস্কি।তাদের সংগঠনের নাম ছিল উন্মেষ।সেখানে গান শিখতে তাদের স্নিগ্ধ প্লেটনিক বিপন্নতার মানসপ্রিয়ারা আসতো।তারা নীল রেশমি শাড়ীর সাথে ঘাসটিপ পড়তো,আর আমার সমান বয়েসী মেয়েরা ছিল গোমড়ামুখো হুজুরাইন।আমার সঙ্গে তাদের যেন শুধু ভূগোলের নোটের সম্পর্ক।হিজাব দিয়ে নান্দনিক মানবী ভূগোল যারা ঢেকে রাখে তাদের কেন ভূগোলের নোট দেব।দিয়েছিলাম দাঁতভাঙ্গা ইংরেজীর নোট যাতে আর কোনদিন ওই রক্ষণশীল নানেরা পেঁচার মুখদর্শন না করে।মুকুট-বুলবুল মামার নারী ভাগ্যে ঈর্ষা কাতর ছিলাম।
ওই অনূষ্ঠানের আগের দিন উনারা ব্যস্ত ছিলেন,ওই ফাঁকে জওয়ানি জানেমান দেখতে ঢুকে পড়েছিলাম হাটচালার ভিসি আর প্রেক্ষাগৃহে।হঠাত কানের কাছে ফিসফিস,বাইরে বুলবুল মামা অপেক্ষা করছেন। উনি বকাঝকা দেবার লোকনা। শুধু বললেন,আমরা কলকাতা থেকে সত্যজিত রায়ের ছবিগুলোর ক্যাসেট আনানোর চেষ্টা করছি। সেগুলো এইখানে না স্কুলে দেখা হবে। বুঝলাম এজায়গাটা ছাড়তে হবে।ওই দুই আতেলের পাল্লায় পড়ে জীবনটা শান্তি নিকেতন ক্যাডেট কলেজ হয়ে ঊঠছিল।
আয়োজক হিসেবে দুজন সবসময় একশোতে একশো,কিন্তু বিনোদক হিসেবে মাইনাস একশো। মুকুট মামার হাফ শার্টের পকেটে একটা গোল্ডলিফের প্যাকেট ছিল।রিইউনিয়ন চলাকালে সেটা আমি দেখতে পেলাম,আর কেউ দেখতে পায়নি,কারণ আড়ানী গ্রামের মানুষ ফালতু জিনিষ দেখতে যায়না। মুকুট-বুলবুলের ভালোকাজ গুলোতে তারা মুগ্ধ। কিন্তু আমি তখন এক হিংসুটে ছোট বাঘ,মনটা যথারীতি পেঁচা।
পেঁচার হলুদ ব্রেকিং নিউজ
মোহিনী মাখালাদের সারিতে গিয়ে পুট করে লাগিয়ে দিলাম,মুকুট মামা টিচার হয়েছেন,সিগেরেট খাচ্ছেন খান। কিন্তু সাদা সার্টের বুক পকেটে লাল গোল্ডলিফের প্যাকেট রেখে সেতা বৃদ্ধ আর কিশোরদের দেখানোটা আশা করা যায়না। মুহূর্তে মোহিনিখালাদের হাসি উবে গেল।মুকুট মামা ওইদিকে এসে কারো প্রশংসা তো দুরের কথা কোন রিফ্লেক্স পাচ্ছেন না। কেউ তাকে কিছু বললো না,শুধু গম্ভীর হয়ে গেলো।হাসতে শুরু করলো হিজাব কিশোরীরা। অবশ্য জায়গাটা এত ভদ্র কেউ আর কিছু কাউকে বলল না। কয়েকদিন পর পরিস্থিতি ঠিক হল। কিন্তু আমার বাতিঘর মুকুট মামার ডিফেমেশন করে পেঁচা রাজশাহি কলেজিয়েট স্কুলে গিয়ে ভর্তি হল। তখন আর স্কুল পালিয়ে অলকা সিনেমা হলে গিয়ে চায়নিজ কুম্ফুকারাত দেখতে বাধা দেবার কেউ নেই।বলা বাহুল্য ওইটিই ছিল পেঁচার সাংবাদিক জীবনের প্রথম হলুদ ছক্কা। অবশ্যই খানিকটা অনুতাপের বিষয়।
অবরোধবাসিনী্র ছবি,প্রোহিজাবডটনেট
মন্তব্য
আগষ্ট ১৫, ১৯৭৫ এর পর যে রাজনৈতিক ক্ষত তৈরী হয়েছে সেটা আলোচ্য, দৃশ্যতঃ কিন্তু যে সাংস্কৃতিক বিকৃতীকরন ঘটানো হয়েছে তা প্রায় অনুল্লেখ্য।
ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে যার সুচনা আর ষাটের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে যার প্রসার ঘটেছিলো তৃণমুলে সেই অসাম্প্রদায়িক, শুভবোধসম্পন্ন মানবিক সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন সুপরিকল্পিত বুদ্ধিবৃত্তিক সাংস্কৃতিক বিপ্লব। ঢাকায় বসে থিয়েটার মঞ্চ করে, আর প্রগতি প্রগতি বুলি আউড়িয়ে সেটি সম্ভব নয়।
প্রয়োজ়ন সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন যেটি সম্ভব হয়েছিল ষাটের দশকে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অনেক ধন্যবাদ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আড়ানি শব্দটা দেখে পড়া শুরু করে মুকুট মামাদের অনেক কাহিনি জানলাম। সাথে আপনার সাংবাদিকতার হাতেখড়ির একটু ধারনা পেলাম । একেবারে শুরুতেই হলুদ ছক্কা!
শুভেচ্ছা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
, বোস লিখেন কেমনে এমন পেঁচায়া? পড়ার পোরে মিনিট খানেক চিন্তা করতে হয় কি বললেন তা বোঝার জন্যে, নমস্য: আপনে! আরেকটা দারুণ লেখা পড়লাম!
পাঁচ খানা তারা দাগিয়ে বিদায় নেই আজকের মত, কাল আবার আসব আরেক খানা মজার লেখা পড়তে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এইগুলো অনেকটা মানসাংকের মতো। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে (৮৫ব্যাচ) কুইজে আমার অবস্থা ছিল খুবি বাজে।কিন্তু বোকার মতন পঁয়তাল্লিশ মিনিট ক্লাসে বসা কঠিন,তখন ফটোজেনিক মেমোরীর অংকবাজদের রাজী করানো হল যে যাদের অঙ্কের ব্রেণ খারাপ তারা প্যাঁচাইয়া প্রশ্ন করবে। ক্লাস টেনের শেষদিকে অংকবন্ধুদের সঙ্গে আমরা প্যাঁচ বান্ধবরা ড্র করলাম। ওই মজাটা করা,সাইফের সঙ্গে ড্র করার আনন্দে। ভালো থাকবেন, একদিন রাজশাহীতে নমস্য শব্দটির আদি ব্যবহার নিয়ে লিখবো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আচ্ছা মাসকাওয়াথ কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার মানসস্থিত বেগম রোকেয়া আর সুলতানার স্বপ্ন, বোরকা (প্রবন্ধ) ইত্যাদির লেখিকা আসলে একই ব্যক্তি কিনা? তাহলে বুঝতেন হিজাবের আড়ালে যাঁরা আছেন (স্বচ্ছায় বা বাধ্য হয়ে) তাঁরাই হয়তোবা বেগম রোকেয়ার প্রকৃত ভাবশিষ্যা!এঁরা আদর্শ শিক্ষিত মুসলিম নারী, স্ত্রী ও মা হওয়ার দীক্ষা নিচ্ছেন, ঠিক যেমনটি বেগম সাহেবা শিখিয়েছিলেন (৮ আনা কেতাবী মুসলিম শিক্ষা আর ৮ আনা ভিক্টোরীয় আদর্শ ব্লেন্ড করে)। বেগম রোকেয়াকে নিয়ে অনেক মিথ আছে, অনেকেই দেখি না পড়েটড়ে সেই মিথ পারপিচুয়েটও করেন নিরন্তর, আপনি অন্তত তাদের সংখ্যা বাড়াবেন না। এটা আমার অনুরোধ। এখানে কয়েকটা বাছা বাছা কোটেশান দিতে পারলে জবরদস্ত হত, কিন্তু হাতের সামনে বই-টই নেই, ভেরি সরি, আশাকরি আপনি পড়ে নেবেন।
---------------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
মুসাফির বলে কোন বছরি রোজা রাখার অনুমতি নেই ধর্মে।তাই সিয়ামের শেষ দিন গুলোতে একটু ঝগড়ার রোজা রাখবো,শুরু হয়েছে ঘন্টা খানেক আগে। ঈদের পরে এই উত্তরটা দেব।
সিয়াম কালীন উত্তর,আপনি ঠিকই বলিয়াছেন।জোয়ান অব আর্কটা আরেকবার দেখতে পারেন। ঈদের আগেই।
ঈদের আগাম শুভেচ্ছা, ঈদ হোক হিজাবহীন উড়ালে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ধন্যবাদ। আগাম শারদীয়া শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য আর হোমওয়ার্ক যখন দিলেন-ই তখন আমিও দি আপনাকে। ঈদের আগেই পড়বেন কিন্তু
http://mukto-mona.com/banga_blog/?awesm=fbshare.me_ARU4F&p=9973
----------------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
মিস হরফ,
আপনি যখন ২০১০ সালে অফ হোয়াইট একটা টেবিল ল্যাম্প জেলে বেগম রোকেয়ার ডিসেকশন করছেন,
বেগম রোকেয়া এই সময় ডানা মেলে উড়ার আশায় মোমবাতির কাঁপা আলোয় হরফ শিখতেন।হাজার বছরের অচলায়তনে বসে একজন বেঁচে থাকা জোয়ান অব আর্ক। কিন্তু তিনি জোয়ান অব আর্ক হতে চেয়েছেন মাদার তেরেসা বা ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেলের মতো করে।তার বিপ্লবের আলো মোমের আলোর মতো ছড়িয়ে গেল বেগম পত্রিকা হয়ে সূফিয়া কামাল-জাহানারা ঈমাম-কবরী-ফেরদৌসী মজুমদার-সুবর্ণামুস্তাফা-এবং প্রান্তিক নারীসমাজের কাছে। ধরুন তারামন বিবির কাছে। এটা একটা রিলেরেস। আপনি তো বেগম রোকেয়ার সঙ্গে হিলারী ক্লিনটন বা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্মার্টনেসের তুলনা করতে পারেন না।স্পেস এবং টাইম খুব জরুরী। বেগম রোকেয়াতো আপনার মতো থ্রীডি টেকস্যাভি জীবন পাননি।তার ছিল পায়ে হেঁটে আর পত্রিকায় লিখে বা স্কুল প্রতিষ্ঠা করে সমাজের কাছে যাওয়া।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
রবীন্দ্রনাথকে "রোবনাথ" ডাকলে শ্রুতিকটু লাগে শুনতে। আমি আবার ভাগনীর জামা বানানোর গজফিতায় মাপা সাহিত্য, ইতিহাস বা দর্শনের পাঠক তো। .
--------------------------------------------------------
শিশির ভেজা ঘাষ, ভোর বেলা যার ডগায় জমে থাকে একবিন্দু মুক্তো, হাসে মুক্তোটা, ঠিক শিশুর মত করে...
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
মি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিল্পকর্মের ওপর শান্তিনিকেতনের অধিকার তামাদি হবার পরে তা নানারকম ফিউশন পরীক্ষা করার সুযোগ প্রশস্ত করেছে। দেশ পত্রিকার মান পড়ে যাওয়ায় সচলায়তনই একমাত্র ট্র্যাডিশন এন্ড ইনডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট ফিঊশন গবেষণাগার।এখানে রোবনাথ আমার দেয়া প্রিয়নামে গুরুকে ডাকা।নিজের বাচ্চার একটা নিকনেম দেবার মত।
আপনি আপনার ভাগ্নীকে গজোফিতায়িনী ঢেকে আদর করতে পারেন। আমি আমার কবিগুরুকে রোবনাথ নামে আদর করার অনুমতি চাই। আপনি বন্যাদি বা পাপ্পুদিকে জিজ্ঞেস করতে পারেন উনারা কী রায় দেন।
কিছু জিনিষ স্মৃতির হার্ড ডিস্ক থেকে ডিলিট না করলে আমার প্রত্যেকটা পোস্টে ব্রাশফায়ার করতে গিয়ে আপনি ক্রোধের ভাইরাসে হ্যাং করে যাচ্ছেন। ঐদিনের ঝগড়ার জন্য সরি। এখন ডিবাগিং আর রিবুটিং করে আমার পোস্টে লগ ইন করে দেখতে পারেন। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
হা হা হা
আপনার কমেন্টে না হেসে পারলাম না। আমি আপনার পোস্ট নিরপেক্ষ ভাবেই পড়ি। পড়াতে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হল, কমেন্ট করায়। আমার সহজ সরল কমেন্ট আপনার কাছে গিয়ে আর সহজ থাকবে কিনা, সেই ভয়ে কমেন্টই করিনা।
বাই দ্য ওয়ে, আমার আর আপনার কমেন্ট চালাচালিতে বন্যাদিকে টানলেন কেন? আপনি আদর করে রোবনাথ ডাকলে তো আমার আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু যখন পড়েছি, তখন অন্য অনেক শব্দের মাঝে ঐটা যে আদরের ডাক ছিল, সেটা বোঝা যায় নি বলেই বলেছি শ্রুতিকটু লাগে। হয়ত কেবল আমারই লাগে, সবার না। আর রায়ের জন্য আমি সবচেয়ে আগে নিজের দ্বারে যাই, দ্বিধান্বিত হলে সুবিবেচকদের সাথে আলাপ করি বটে, রায় চাই না।
আপনার লেখা পড়ায় যে আমি হ্যাং হইনা, এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন, আমি এতো গরম মস্তিষ্কের মানুষ না। সুতরাং রিবুট না করলেও চলবে আমার। আমার যদি সত্যি মনে হয়, ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই আমার, তাহলে আমিও যে অহেতুক তা পাব না, সে আমি বলতে পারি। আপনি আমার অস্তিত্ববিহীন ভাইরাসে হ্যাং হওয়ার ভয়ে ভীত না হলেই হল। .
--------------------------------------------------------
শিশির ভেজা ঘাষ, ভোর বেলা যার ডগায় জমে থাকে একবিন্দু মুক্তো, হাসে মুক্তোটা, ঠিক শিশুর মত করে...
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
বন্যদি আমাদের যে কোন রোবনাথ বিষয়ক ক্যাচালের রোগ উপশমে, সংগীতের সুন্দরী মাদার তেরেসা। তাই বলছিলাম,আমার কথা পছন্দ না হলে উনি আছেন।
আর বিতর্কের লোক সচলায়তনে এসে হাতের কাকন আর্শীতে দেখে ভয়ভীতির মিথ তৈরী করলে আর কী করা।
রিবুটিং করলাম। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
অফ টপিক না গিয়ে হিজাব নিয়ে যে আলোচনা শুরু করেছিলাম সেই আলোচনা দিয়েই বরং শেষ করি মাসকাওয়াথ। আপনি লিখেছেন, "যাদের মা-খালারা হিজাব পরেনি তার এখন কিসের নেশায় হিজাব পরছে,কে বা কারা এইভাবে বেগম রোকেয়ার সুলতানার সপ্নটিকে আবার অবরোধবাসিনী করছে,সেসব খবর রাখার ফুসরত নেই তাদের যারা ক্ষমতা দখলের আর দেখানোর অসুস্থ বাঘ-ঘোড়া দৌড়ে মরিয়া।" আমি এ প্রসঙ্গে বেগম রোকেয়ার "স্বপ্নের" ব্যাপারটাই শুধু আলোচনা করতে ছেয়েছি, তার উত্তরে আপনি বলছেন তাঁর লেখা ব্যবচ্ছেদ করা যাবে না, পারসপেকটিভ দেখতে হবে। তথাস্তু, ব্যবচ্ছেদ করবো না, কারণ করতে বসলে
"আমরা অন্যায় পর্দা ছাড়িয়া আবশ্যকীয় পর্দা রাখিব। প্রয়োজন হইলে অবগুণ্ঠন (ওরফে বোরকা) সহ মাঠে বেড়াইতে আমাদের আপত্তি নাই। স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যে শৈলবিহারে বাহির হইলেও বোরকা সঙ্গে থাকিতে পারে। বোরকা পরিয়া চলাফেরায় কোন অসুবিধা হয় না।"
অথবা
"তাঁহারা প্রায়ই আমাকে বোরকা ছাড়িতে বলেন। বলি, উন্নতি জিনিসটা কি? তাহা কি কেবল বোরকার বাহিরেই থাকে? যদি তাই হয় তবে বুঝিবে যে জেলেনী, চামারনী, কি ডুমুনী প্রভৃতি স্ত্রীলোকেরা আমাদের অপেক্ষা উন্নতি লাভ করিয়াছে।"
অথবা
"সচরাচর বোরকার আকৃতি অত্যন্ত মোটা (Coarse) হইয়া থাকে। ইহাকে কিছু সুদর্শন (Fine) করিতে হইবে। জুতা কাপড় প্রভৃতি যেমন ক্রমশ উন্নতিপ্রাপ্ত হইয়াছে, সেইরূপ বোরকারও উন্নতি প্রার্থনীয়।"
এমন সব মণিমুক্ত বাছতে হবে, লাঠালাঠির সম্ভবনা প্রবল, রোজার মাসে ননভায়োলেন্স বাদ দিন।
আর আমি নাহয় তাঁর সাথে বর্তমান নারীবাদী বা রাজনৈতিকদের সাথেও তুলনা করবো না। পারসপেকটিভ।ওকে মেনে নিলাম, কিন্তু মাসকাওয়াথ তাঁর লেখা, ভাবনা সবই/বেশিরভাগই যদি ডেটেড হয় তবে বরং আমরা একথাও মেনে নিই যে তাঁর স্বপ্ন (একর্থে সফল হয়েছে) আর আমাদের স্বপ্ন (সফল হয়নি) তা এক নয়। দুটোর মধ্যে দুস্তর পারাবার। ঠিকাছে? এই মেনে নেওয়াটা একটা জরুরি প্রসেস, খাটনি আছে।
আর হ্যাঁ এটা না কোট করে পারছি না
"কিন্তু তিনি জোয়ান অব আর্ক হতে চেয়েছেন মাদার তেরেসা বা ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেলের মতো করে।"
হাসালেন মশাই বিটিফিকেশন!! এট টু? সফল মহিলাদের দেবীত্বের মহিমা দেওয়াটাও তো বেজায় ডেটেড মাসকাওয়াথ, ওটা বাদ দিন না এবার, ২০১০ তো পেরিয়ে গেল।
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
অনেক ধন্যবাদ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
নতুন মন্তব্য করুন