মুজিব-তাজের নেমেসিস দেয়ালে শ্রাবন্তীর ছায়ানৃত্য

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: সোম, ০৬/০৯/২০১০ - ২:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঈদানীং একছায়ানর্তকী ব্লগে খুব জালাচ্ছে। শ্রাবন্তী এই ছায়ানর্তকীর নাম।উনি ব্লগপোস্টে তার মন্তব্যে এসে নানা রকম ভ্রান্তিবিলাস তৈরি করেন ব্যক্তিগত আগ্রহে।আমার ধারণা উনার মতো আরো অনেক সংশয়াপন্ন মানুষ বাংলাব্লগে আছেন। এই পোস্টে তাদের সোচ্চার মন্তব্য প্রত্যাশা করছি।সংলাপের মাঝ দিয়ে সহমত না হলেও সমানুভূতির ক্ষেত্র তৈরী হতে পারে সেই আশাতেই এই লেখার আয়োজন।

 

 ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে পারিনি। আওয়ামীলীগের লোকজনকে বিপন্ন দেখেছি,বিএনপি নামে একটি দল তৈরী হতে দেখেছি। পরে একই কায়দায় জাতীয় পার্টি হয়েছে।বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে দিতে মিডিয়া ক্যু করেছে। নব্বুইএর আগে পত্রিকা পরে প্রাইভেট চ্যানেল এসে কিছু সত্য জানাতে চেষ্টা করেছে আমজনতা। বিবিসি-ভোয়া-ডয়চেভেলে শুনে গ্রামের মানুষ কিছু সত্য পেয়েছে। কিন্তু সেসবি ছিল অন্ধের হাতি দর্শনের মতো।

 

প্রাইভেট টিভি আর ইন্টারনেট প্রযুক্তি এসে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসের অনুরাগী পর্যবেক্ষকদের বয়ানে,এবং প্রামাণিক দলিল ও ড্যানব্রাউন পদ্ধতিতে প্রতীক অনুসরণ করে এদেশের জনসংখ্যার সংখ্যাগুরু তরুণ খুঁজে পেল তাকে> বাঙ্গালীর হাজার বছরের শেকলচারী জীবনের অবসানে একটি ৭মার্চ কবিতার জনক টুঙ্গিপাড়ার জেদী ছেলে মুজিব, রেসকোর্সে আমজনতার উদ্দাম আকাংক্ষার হাওয়ায় মুক্তির সহিস হয়ে যিনি চেপে বসলেন মুক্তিযুদ্ধের অগ্নি চন্দ্রযানে।ছয় দফা থেকে মুক্তিযুদ্ধ,৩০লাখ জীবন,লাখ লাখ নারীপুরুষের ত্যাগ,মুক্তিযোদ্ধাদের ঘুরে দাঁড়ানো,মুজিবের অনুসারী তাজউদ্দীন তার নেতার বাংলাদেশ মহাকাব্যের প্রকাশনায়, থুসিডাইসিসের মতো রণাঙ্গণে গেলেন,ফিরে এসে মিলিয়ে নিলেন রেসকোর্সের আগুণ কতোটা পৌঁছেছে যুদ্ধক্ষেত্রে ,মুজিব ভাই কোন হঠাত উঠে দাঁড়ানো আকাশ মানুষ নন, গত ষাট দশক ধরে ক্রমশ উঁচু হতে থাকা উচ্চতা।

 

তাজউদ্দীন সে যুদ্ধের কমান্ডার আবার নিজেদের তৈরী করা বিজয় ইতিহাসের লেখক।এই মানুষটি যুদ্ধপরবর্তী রাজনীতিতে কতিপয় দুর্নীতির প্লেগে আক্রান্ত আওয়াম তরুণ নেতার ঔদ্ধত্যে-ঈর্ষায় ক্ষমতাবলয় থেকে দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মুজিব হচ্ছেন সেই ট্যাজেডীর নায়ক যাকে তার অনুজপ্রতিম তাজ থেকে দূরে রাখা হয়েছে।মুজিব এবং তাজের মাঝে বেড়ে ওঠা দুর্নীতির প্রাচীরটিই বাংলাদেশ ট্র্যাজেডীর বার্লিন ওয়াল।মুজিব-তাজ দূরে সরে যাওয়ার মাঝ দিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গী প্রাসাদটি মাথা চাড়া দেয় বাংলাদেশে।খন্দকার মুশতাক সেই সি আই এ-আই এস আই ঢাকা অপারেটিভ যার কাজ ছিল,সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়া মুজিব কে মেরে দেয়া।মুজিব-তাজ ব্যাটিং জুটি ভেঙ্গে দেবার পর একাকী মুজিব চোরসংকুল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অণুসারীদের মাতস্যন্যায়ে বিপন্ন হয়ে ক্লান্ত বোধ করেছেন।বেনেভোলেন্ট সোশাল ডিকটেটর হয়ে কিউবার কাস্ত্রোর মতো যদি বাংলাদেশে সামাজিক সাম্য ফিরিয়ে আনা যায়,সেই চেষ্টাই করলেন তিনি বাকশালে।কিন্তু চারপাশের দুর্নীতি বাজ বসন্তের কোকিলেরা সেটাকে বাকশিয়ালে রূপান্তর করল।

 

অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমান এই মুজিব-তাজ সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি অর্থনীতিবিদ হিসেবে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের গতিপ্রকৃতির দিকেও চোখ রাখেন। ফলে উনি একজন অভাজন হিসেবে এই দুই নেতার বিচ্ছেদকেই বাংলাদেশের স্প্যানীশ ট্যাজেডীর সুচনা বিন্দু বলে মনে করেন।

 

ঢাকার সিভিল প্রশাসনে তাজউদ্দীন থাকলে সি আই এ বা আই এস আই হ্যান্ডলিং সহজ হত, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাজ,  সি আই এ-আই এস আইজনিত মুশতাক ষড়যন্ত্র অঙ্কুরেই বিনাশ করেছিলেন।মুশতাকের ফন্দী ছিল পাকিস্তানরাজটা ধরে রাখা।সেটা মার্কিন প্রশাসন মুশতাককে দিয়ে বাস্তবায়নের আশা পোষণ করেছিল।আর এক গ্রাম্য রাজনীতিবিদ ছিলেন,যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় হঠাত উত্তেজিত হলেন,মুজিব তো হিরো হয়্যা গ্যালো।তার মুস্লিম রেনেসার বন্ধুরা বললেন মুজিব হিন্দু হয়ে গেলেন। ইন্দিরা গান্ধী ঈর্ষানিত বিভ্রান্ত ভাসানীকে তাপানুকূল গৃহে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। ভাসানীর আর পিকিং যাওয়া হল না, তাই জাতির জনক হবার ক্ষমতা জায়নামাজে আটকে গেল।যুদ্ধের পর মুজিব ফিরে নানাভাবে ভাসানীর গালফোলানো কমাতে চেষ্টা করেছেন। কাজ হয়নি,গ্রামের মাতবরের গোসসা বাবা, এতো সহজ না।হাঁটুর বয়েসী,একঘরমে দো-পীর যাও বাছা শো রাহো।পরিণতি ১৫ আগস্ট,১৯৭৫।

 

৭২-৭৫ সময়ে বাংলাদেশের কিছু ব্যর্থ বাম তখন আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের সুফল কুড়াচ্ছে,আমরা ভাগ পাচ্ছিনা এই যাতনায়,বা সত্যিই দেশপ্রেমিক কিছু লোক বিভ্রান্ত হয়ে যত দোষ শেখ মুজিব সিনড্রোমে আক্রান্ত হল। পুঁথি পড়ো বুদ্ধিজীবীরা শেখ মুজিবের প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে ভ্রু কুঁচকাতে শুরু করলো।এই বুদ্ধিজীবীরা একগ্লাস পানি ঢেলে খায়না,শুধু কে কী করতে পারলো না,কী করলে পারা যায় এইসব চর্বন করা অকর্মণ্য লোক।

 

 ওইদিকে সেনা কর্মকর্তারা তাদের পাকিস্তানী ব্যাচমেটদের জেল্লা দেখে ভাবলো গণতন্ত্রের নিকুচি করি,আমার দরকার জেল্লা। মোটামুটিভাবে মুজিব একা একা লড়াই করতে করতে যখন ক্লান্ত, তাজ ওএসডি,মুশতাক বার্ডে বসে পনেরো/আটের নক্সা চূড়ান্ত করছেন। জুনিয়র সেনারা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে।জিয়া হতাশ। তিনি সিনিয়র হওয়া সত্তেও উনাকে ডেপুটি করা হয়েছিল। কারণ কালুর ঘাট বেতারে মুজিবের পক্ষে ঘোষণা পাঠের পর হঠাত উচ্চাভিলাসী হয়ে ভুল করে হলেও নিজেকে সরকার প্রধান দাবী করেছিলেন। সেনাবাহিনীর চাকরীর মানসিক যোগ্যতা তিনি ওইদিনি হারিয়েছেন। মুজিব উদারতা বশত সেনাপ্রধানের সুবিধাদী দিয়েই তাকে ডেপুটি করে রেখেছিলেন। কালুরঘাট স্ক্যান্ডালের পরে কথা বার্তায় জিয়া সংযত ছিলেন, কিন্তু জুনিয়র কর্মকর্তাদের ইনিয়ে বিনিয়ে মুজিব হত্যায় গোএহেড দিয়েছিলেন,খুনীদের বয়ানে তার প্রামাণিক ফুটেজ ইউটিউবে আছে।অবশ্য মুজিব বেচে থাকলেও জিয়া তার প্ল্যান বি হিসেবে বিচিত্রায় বাকশালের সুকৃতি নিয়ে স্তুতি লিখেছিলেন জাতির জনকের মানভঞ্জন করতে।

 

মুশতাক জুনিয়র পাকিস্তান পন্থী সেনা কর্মকর্তা আর জয়ান দিয়ে মুজিবকে মেরে কায়েদে আজমের পোষাক পরে বাংলাস্তান রচনা করার আয়োজনের মসনদে বসে সেই  বঙ্গবন্ধুর পছন্দের চার তাজউদ্দীন-নজরুল-মনসুর-কামরুজ্জামানকে ঢাকা জেলখানায় ঘাতক পাঠিয়ে আওয়ামীলীগের শেষ ঠিকানা মুছে দিলেন।মার্কিনীরা মুজিব খুনীদের কাদাটা গায়ে রাখতে চায়নি। অবশেষে মুশতাকের পাকিস্তান পিতা ভুট্টো চার্টার বিমানে করে মুজিব ঘাতকদের ব্যাংকক থেকে গাদ্দাফীর অভয়ারণ্য তিপোলিতে পৌঁছে দিলেন।বলা বাহুল্য গোলাম আজম সে সময় আবার বঙ্গভবনে জিয়াফতের দাওয়াত পেয়ে গেছেন।

 

 সি আই এ-আই এস আই সমর্থিত মুশতাক সরকারকে উতখাত করতে র একটা শেষ চেষ্টা করে।কারণ বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানের পথে গেছে সুতরাং ভারতের যেই লাউ সেই কদু হজবরল অবস্থা,৭১এর ইনভেস্টমেন্ট সাঙ্ককস্ট।কাশ্মীরেও পাকিস্তান,বাংলাদেশ সীমান্তেও পাকিস্তান।তাই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে খালেদ মুশাররফএর একটি মৃদু কু।মুশ্তাকের তাসের ঘরের পতন।

 

বাংলাদেশ পন্থী সমাজতান্ত্রিক নেতা কর্ণেল তাহের ৭নভেম্বর বিপ্লব করে খালেদ মুশাররফ কে সরিয়ে দেন। ভাসানীর পছন্দের, ৬৫র পাক-ভারত যুদ্ধের পদক জেতা জিয়া বর পেয়ে বর হয়ে টোপর পরে বসলেন।মুশতাক ওএসডি হয়ে গেল। সেনানায়ক জিয়া অবৈধ কৌর্ট মার্শালের প্রহসন করে ৭নভেম্বর বাংলাদেশ বিপ্লবের নায়ক তাহেরকে সরিয়ে দিলেন।বাংলাদেশের স্প্যানীশ ট্র্যাজেডীর নায়ক জিয়া বললেন, আই উইল মেক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট। বহুদলীয় গণতন্ত্রের সার্কাসে যুদ্ধাপরাধীসহ চিড়িয়াখানায় আটকে থাকা সব হিংস্র জন্তু ছেড়ে দিলেন লোকালয়ে,পাহাড়ে,সংসদ্ভবনে।

ভাসানী খুশীমনে মরে গেলেন তার উত্তরসূরী জিয়াকে রেখে যেতে পেরে, যে বাংলাদেশকে ইসলামীসমাজতন্ত্রের পথে চালাবে। জিয়া দেশ ব্যাপী অনেক খাল কাটলেন,সেখানে কিলবিল করে ঘুরতে থাকল যুদ্ধাপরাধী কুমিরেরা।জিয়া ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীপরিবারে বেড়ে ওঠা।তার ভারত বিদেষ সহজাত।আর একটা পাকিস্তান পাকিস্তান ভাব চলায় বলায় এবং কলায়। তবে সার্ক ফোরাম তৈরীতে জিয়ার উদ্যোগ সম্ভবত তার একমাত্র সংবেদনশীল কাজ।তিনি আর্থিক সততার রোগী ছিলেন,অল্পাহারী ছিলেন খেতেন শুধু মিডিয়া এন্ড পাওয়ার ফুটেজ।জিয়া ভারতের সঙ্গে একটা গোলশূণ্য ড্র রেখে আরব জাহানের দিকে হাত বাড়িয়েছিলেন।কিন্তু ইঙ্গ-মার্কিন লবি ইরানের শাহর মতো করে জিয়াকে চেয়েছিল,সে আবার মুসলিম দুনিয়ার আরেক গাদ্দাফী বা না হয়ে পড়ে সেই জন্য চট্টগ্রামে তাকে বার্ণ করে দেয়া হয়। শর্টকার্ট সাফল্যে রিস্ক ফ্যাক্টর তো থাকবেই।

 

টোপর পরে চলে এলেন আসল বর সেনানায়ক এরশাদ গণতন্ত্রের কবিপুত্র বিএনপির অন্তর্জলী যাত্রার আব্দুস সাত্তারকে সরিয়ে দিয়ে।জিয়া সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা তুলে দিয়েছিলেন,তার জলপাইতো ভাই এরশাদ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম করে ফেললেন।বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে জিয়ার মতোই স্পিকটি নট। পাহাড় আড়াল করা বামনের লাইট এন্ড সাউন্ড জিয়া-এরশাদ-যুদ্ধাপরাধী ছায়া নৃত্য তাই আজো দৃশ্যমান ছায়া ব্লগে,বাঙ্গালী মানসে।এরশাদ মুজিব ঘাতক আর যুদ্ধাপরাধীদের জিয়ার মতোই জামাই আদরে রেখেছিলেন। জিয়া অবশ্য তারা গাদ্দাফীর কাছে একসঙ্গে বসে আবার কী শেখে এই আশংকায় তাদের রাজদূতের সেরা চাকরী দিয়েছিলেন। খুনের বদলে পুরস্কার জিয়া-এরশাদ-খালেদা-জিয়া তারেক, বাংলাদেশের জনমনে এই প্রতীক পুঁতে দিয়েছেন।

 

জিয়ার উত্তরসূরী তারেক আবার সেই মুসলিম উম্মাহর পথে হেঁটেছেন।বাংলাদেশকে তালিবান জিহাদের গরম বিছানা আয়োজনে বাংলাভাইকে উকিলমামা ডেকেছেন। তারেক জেহাদের পক্ষে নিজামীর মতো করেই সাফাই গেয়েছেন হাওয়াভবনে বসে এক প্রকাশ্য ছায়া সরকার হিসেবে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের পাকিস্তানের বর্বর দখলদার বাহিনীর মতো নির্মমতায় হাওয়াবাদীরা হিন্দু পরিবারকে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মেরেছে।

 

এখন যদি আরেকবার ঘটনাচক্রের দিকে ফিরে তাকান তাহলে আওয়ামীলীগকেই একমাত্র সেক্যুলার সরকার হিসেবে টেনে কষে পাশ মার্ক দেয়া যায়। অন্তত বাংলা হবে তালিবান এই ঝুঁকিটা নেই আওয়ামীলীগে।

 

এখন আওয়ামী লীগ এই টেনে কষে পাশ মার্ক নিয়ে যদি খুশী থাকে তাহলে আমরা জানি আবার যেই লাউ সেই কদু। হারেরেরেরে করে বিএনপিজামাতঘাম্পন্থীর দল বাংলাদেশ টেলিভিশনে সাঈদির খোতবা শোনাবে,ওসামা বিন লাদেন দুদিনের গুপ্ত সফরে এসে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কেক কেটে যাবেন। তাতে এমেরিকা খুশী হবে ভূরাজনৈতিক দিক থেকে চীন-ভারতকে চোখে রাখতে বাংলাদেশ হটস্পট।যেভাবে আফঘানিস্তান-পাকিস্তানে প্রথমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তালিবান পুষে পরে নিজেদের হাতে তৈরী ফ্রাঙ্কেস্টাইন তালিবান বা লাদেনের কায়দাকানুনের বিরুদ্ধে ওয়ার এগেন্সট টেরর খেলছেন।তাই আওয়ামী লীগের সামনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত নিরাপদ ভাবে শেষ করার পেছনে যে জঙ্গীবাদী ঝুঁকি রয়ে গেছে সেদিকে মনোযোগ না দিলে আবার ঐযযা হতে পারে।

 

আমাদের প্রতি প্রতিক্রিয়াশীলতা শাসিত তুলনা-প্রতিতুলনার বিনোদনের অজুহাতে আমরা ফ্রিডম অব নন্সেন্স উপভোগ করি এমনকি জাতির জনককেও কিছুটা খাটো করে ক্ষার আনন্দের নেশা অকর্মন্য কথা সমাজের।মুজিব বড়ো না তাজ এই আলোচনায় সময় নষ্ট করে কি লাভ? বরং মুজিব আর তাজউদ্দীনের মাঝে ক্ষমতা দূর্নীতির নোনা ধরা দেয়ালটাকে কীভাবে গুঁড়িয়ে দেয়া যায় সে আলোচনা আরো বেশী বেশী করে তোলা দরকার।

 

ছবি,এম আই টি নাট্য

 


মন্তব্য

কালো-মডু এর ছবি

মাসকাওয়াথ আহসান,

আপনার এই পোস্টের শিরোনাম ও উপক্রমণিকা বিবেচনা করে পোস্টটিকে মেটাব্লগিঙের অভিযোগে প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। অনুগ্রহ করে সচলায়তনের নীতিমালা পুনর্বার পড়ে দেখুন।

আবারও মেটাব্লগিঙের অভিযোগে আপনার কোনো পোস্ট প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিলে আপনাকে এক সপ্তাহের জন্যে মডারেশনের আওতায় নেয়া হতে পারে।

ধন্যবাদ।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এটি মেটাব্লগিং নয়।বাংলাদেশে ইতিহাস বিকৃতির কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের অবসানের পর তরুণ প্রজন্মের মাঝে যে কনফিউশন গুলো রয়ে গেছে সেগুলোকে যুক্তি দিয়ে প্রতিস্থাপনের চেষ্টায় এটি একটি লেখক-পাঠক-লেখক সংলাপ বা ব্লগ বিতর্ক।এখানে ব্যক্তি লেখক ও ব্যক্তিপাঠকের ব্লগ তর্কের মাঝ দিয়ে ইতিহাসের ভ্রান্ত অধ্যাস অপনোদনের চেষ্টা করা হয়েছে। মাইওপিক ভিউ থেকে বা এই লেখকের বিষয়ে পূর্বসংস্কারজনিত দৃষ্টভঙ্গী থেকে একে রমনা থানার দারোগার চোখে ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক মেটা ব্লগিং মনে হতে পারে। কিন্তু পাঠক শ্রাবন্তী বা জেবতিক এই পোস্টে যে দুটো মন্তব্য করেছেন তাতে অনুমান করা যায়,এই পোস্টটিকে ব্রাশফায়ার করে পাতকূয়ায় ফেলে না দিলে বাংলাদেশের ইতিহাসের ভ্রান্তি দূর করতে অনেক মন্তব্য বা পর্যবেক্ষণ,নতুন তথ্য আসতে পারতো এই পোস্টে। কিন্তু যাই হোক আশা করছি নীতিমালার নিশ্চল শব্দবন্ধগুলোকে আমলাতন্ত্রের লালফাঁস পরিয়ে মাদ্রাসার মতো কড়াকড়ি আমরা নিয়ে আসবোনা আমাদের ব্লগ চর্চায়। এই ইতিহাস আশ্রয়ী ব্লগবিতর্ককে নীড়পাতা থেকে সরিয়ে কালোমডু যে হৃদয়হীনতার পরিচয় দিয়েছেন তাতে মননের আকাল এবং নিরংকুশ ক্ষমতা ব্যবহারের নিষ্ঠুর প্রবণতা চোখে পড়েছে। আমি এর সবিনয় প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জয়তু সচলায়তন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

বেগুনী-মডু এর ছবি

লেখাটির শিরোনাম ও প্রারম্ভিক অনুচ্ছেদে আপনি নির্দিষ্ট একজন পাঠকের নাম উল্লেখ করেছেন এবং উক্ত পাঠক সম্পর্কে আগ্রাসী মতামত রেখে তর্কে লিপ্ত হওয়ার আহ্বান করেছেন। এতে পূর্বের কোনো পোস্ট বা আলোচনার রোষ নতুন পোস্টেও উপচে পড়ে, যা সচলায়তনে নিরুৎসাহিত। এই পর্যবেক্ষণ থেকেই আপনার পোস্টটি মেটা-ব্লগিং হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

এটি আশাপ্রদ যে পাঠকও আপনার পোস্টকে মূল সুরের সাথে প্রাসঙ্গিক ভাবে বিবেচনা করেছেন ও বক্তব্য রেখেছেন। তবে, পূর্বঅনুসৃত নিয়মের সমপ্রয়োগ নিশ্চিত করার তাগিদে মডারেশনকে প্রায়ই "মাইওপিক" হতে হয়। ব্লগার-কেন্দ্রিক পোস্টকে সচলায়তনে 'প্যান্ডোরার বাক্স' বিবেচনা করা হয়। সেই কারণেই জন্মদিন ব্যতিরেকে সচলায়তনে কোনো ব্লগারের নাম উল্লেখ করে পোস্ট প্রকাশ করা হয় না।

লেখার শিরোনাম ও প্রারম্ভিক অনুচ্ছেদ থেকে নির্দিষ্ট ব্লগারের নাম বর্জিত হলে এটি নীড়পাতায় প্রকাশযোগ্য লেখা। লেখাটির তাৎপর্য বিবেচনা করে আপনি উক্ত অংশ পরিমার্জনের কথা ভেবে দেখতে পারেন। বর্তমান রূপে এটি সচলায়তনে অনুসৃত একটি নীতির সাথে সাংঘর্ষিক, দুঃখিত।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলেছেন। বেগুণী মডুকে ভালোবাসা।
তবে এই প্যান্ডোরার বাক্স ব্যাপারটা বুঝলাম না স্যার। আমি ব্লগার হিসেবে মন্তব্যকারী সহ ব্লগারদের সমালোচনা থেকে পরবর্তী লেখার দিকনির্দেশনা বা প্রয়োজন খুঁজে দেখি। লেখক-পাঠকের মিথষ্ক্রিয়া বা টু ওয়ে কম্যনিকেশনভিত্তিক ব্লগ মিডিয়ায় এই বচসার প্যান্ডোরার বাক্সটি যখন গবেষণায় উস্কে দেয়,সত্য অনুসন্ধানে বাধ্য করে,তখন তাকে ব্লগের ট্রেশার ভল্ট মনে হয়।

পরিশ্রমের লেখাটি আপনার পরামর্শ অনুযায়ী পরিমার্জন করে আবার উড়িয়ে দিচ্ছি। ভালো থাকবন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

বেগুনী-মডু এর ছবি

অবশ্যই এক লেখায় পাঠকদের মিথষ্ক্রিয়া থেকে পরবর্তী লেখার প্রণোদনা নেবেন। এই প্রক্রিয়াতেই ব্লগের বহতা রূপ পূর্ণতা পায়। তবে, এক্ষেত্রে "ব্যাক্তি"-র পরিবর্তে "বিষয়বস্তু"-কে গুরুত্ব দেওয়া হয় সচলায়তনে।

আপনার লেখায় উদ্ধৃত পাঠক সম্পর্কে কিছু আগ্রাসী কথা আছে। পাঠক সেই বক্তব্যে প্রভাবিত না হয়ে আপনার মূল লেখা নিয়েই মন্তব্য করেছেন। এই সু-মিথষ্ক্রিয়া সাধুবাদযোগ্য কাকতাল মাত্র। অন্য কোনো ব্লগার হয়তো একই বাক্যবন্ধকে ভিন্ন ভাবে অনুবাদ করতেন, আহত হতেন। মডারেশন সেই পরিস্থিতি বিরত রাখতেই নামোল্লেখ নিরুৎসাহিত করে।

আপাতদৃষ্টিতে রক্ষণশীল এই নীতিটি অন্য ব্লগারকে যেমন সুরক্ষা দেয়, তেমনি আপনাকেও সুরক্ষা দেয় অন্য কেউ আপনার নাম উল্লেখ করে আগ্রাসী কোনো বক্তব্য দেওয়া থেকে।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হাঁটুর বয়েসী,একঘরমে দো-পীর যাও বাছা শো রাহো।পরিণতি ১৫ আগস্ট,১৯৭৫।

এই বাক্যগুলোর পারস্পরিক সম্পর্কটা বুঝতে পারিনি। মানে মুজিবের প্রতি ভাসানীর ঈর্ষার ফলেই কি ১৫ আগস্ট?

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

অবশ্যই সেই গোএহেড। যা ভালো বোঝো তোমরা করো ধরনের উস্কানি। খুব অপরিণত আচরণ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শ্রাবন্তি এর ছবি

মাওলানা ভাসানী মুজিব হত্যায় গো এহেড দিয়েছিলেন ?
অন্য কারো কথা জানিনা, আমি এই ব্যাপারটা প্রথম শুনলাম।
আপনি কি এটি সেই সময়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন নাকি কোন প্রমাণের ভিত্তিতে ?
দেখুন অই সময় মুজিব হত্যার পরও গোটা দেশ ও জাতি একরকম হতভম্ব,হতচকিত,দিশাহারা মৌনব্রত পালন করেছিল---প্লিজ, বলে বসবেন না, গোটা জাতি মুজিব হত্যায় গো এহেড দিয়েছিল।
স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে 'এক ঘরমে দো পীর' ছিলেন তাজুদ্দিন আর মুজিব, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের রাইট ব্রাদার্স, ভাসানী মুজিব নয় কোনভাবেই।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভাসানী একজন কিংবদন্তীর কৃষক নেতা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় তার রিএকশনারী ভূমিকা,মুজিব হত্যার পর ভাসানীর স্নেহধন্যরা জিয়ার কেবিনেটে মন্ত্রী হয়ে বসা,জিয়ার প্রতি ভাসানীর অপত্য স্নেহ,এই প্রমাণগুলো আমাদের চোখের সামনে,মুজিবের পতন চেয়েছেন এই সন্তোষের অসন্তুষ্ট চাচাজী।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আপনার এই ধারণা অত্যন্ত সরলীকরণকৃত।
ভাসানী মুজিব হত্যার ব্যাপারে ভাসানীর সম্মতি ছিল কিংবা জানা ছিল এটি অত্যন্ত বড় একটি অভিযোগ। এ ব্যাপারে নূন্যতম প্রমান ছাড়া কথা বলাটা যৌক্তিক মনে হয় না।

ভাসানীর চ্যালাচামুন্ডারা কোন দলে যোগ দিয়েছেন, এই হাইপোথিসিসে মুজিব হত্যায় ভাসানীর সম্পৃক্ততা প্রমান হয় না।
মতিয়া-মেনন দুইজনই মুজিব সরকার বিরোধী ছিলেন, এখন দুইজনই নৌকার মাঝি। এর মানে কী দাড়ায় তাহলে ?

রাজনৈতিক তৎপরতা আর ষড়যন্ত্রকে একসঙ্গে গুলিয়ে ফেলা সহজীকরণকে নিতে পারলাম না। পতন চাওয়া আর হত্যায় ইন্ধন দেয়া এক কথা নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভাসানী আমজনতা ছিলেন না,তিনি ছিলেন রাজনীতির মুরুব্বী,তাই তার নীরবতা তার নন-ভারবাল কিউজও আজকের গবেষণার বিষয়। শুরুতে এই হাইপোথিসিস সরলীকরণ মনে হবে,কিন্তু আরো পর্যবেক্ষণ শেষে আশা করছি আপনাকে আস্থা দিতে পারবো।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তন ছিল একটা বড় শক, পুরো জাতির জন্যই। আমরা ভেবেছিলাম ৭১ এই বোধহয় সেনাশাসনের কুঅভ্যাস আমরা পাকিদের হাতে দিয়ে গনতন্ত্র নিয়ে জিতে এসেছি। সাড়ে ৩ বছরের মাথায় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, আমরা পাকি ছেড়েছি, কিন্তু পাকি চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি।

এখানে ভাসানী কোন বড় ফ্যাক্টর না। মাথাগরম তরুন মেজররা যখন পিস্তল নিয়ে বঙ্গভবনে বসে থাকে, তখন এসব মুরুব্বির বাণী শুনে তারা পিস্তল জমা দিবে, এমন চিন্তা তখনকার পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে কোনো স্বার্থক চিন্তা মনে হয় না।

মনে রাখতে হবে, সেনা অভ্যুত্থান তখনই ঘটে, যখন সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে জমা হয়। আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা তখন খুব একটা ছিল না, বিশেষ করে একশ্রেনীর সুবিধাবাদী লীগ নেতারা তৃণমুলে যে তাণ্ডব তৈরী করেছিল এবং ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ, জাসদ-সর্বহারাদের রাহাজানি, এই সময়ে এসে সেনা পদক্ষেপ এবং মুজিব হত্যা একদিকে শক, এবং অন্যদিকে বিকল্প নেতৃত্বের শূন্যতা একটি বড় রাজনৈতিক গ্যাপ তৈরী করে।

এখানে ভাসানী আসলে তালপাতার সেপাই।
সত্যি বলতে কি ৯১৭১ সালের পরে, আগের সব নেতাই আদতে দৃশ্যপটের বাইরে।

কিন্তু তাই বলে ভাসানীর নামে মুজিব হত্যার সঙ্গে জড়িয়ে দেয়া যেকোনো ইঙিতকে প্রত্যাখ্যান করি।
আরো পর্যবেক্ষনের অপেক্ষায় থাকলাম, সেগুলো পাওয়ার পর পুনরায় এ বিষয়ে আলাপ হতে পারে।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

বাংলাদেশের সেনা শাসক দের সঙ্গে আন্ধাপীরদের মতো কথিত মিস্টিক রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতাদের যে সম্পর্ক ভাসানীর সঙ্গে একই, দোওয়ার সঙ্গে একটু বেতের-টুপিমেছওয়াক প্লাস পিকিংপন্থী সমাজতন্ত্রের দাওয়া।তাকে তালপাতার সেপাই না বলে হ্যামিলনের পড়ুন সন্তোষের তালপাতার বাঁশীওয়ালা হিসেবেই দেখি আমি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

মুজিব হত্যায় ভাসানী গো এহেড না দিলেও এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের সমর্থনে বিষ্মিত হবার মতো বিবৃতি একখান দিয়েছিলেন বটে।

প্রবাসে কূয়োর ব্যাঙ হয়ে যাচ্ছি ক্রমশঃ। চাইলেই হাতের কাছে প্রয়োজনীয় বইটি বা রেফারেন্সটি উদ্ধার করা যাচ্ছে না।

মাসকাওয়াথ বা আরিফ জেবতিক বা শ্রাবন্তি বা উৎসাহী যে কেউ
আবু আল সাঈদ- এর বঙ্গভবনে খন্দকার মুশতাকের ৮৯ দিন (নাকি ৭৯ দিন?) বইটি দেখে নিতে পারেন।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রিটন ভাই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।