ফুটবল মাঠ থেকে ম্যারাডোনার ডোপিং অপরাধে বেরিয়ে যাওয়া কিংবা জিদানের মাতারাতসিকে মেরে বেরিয়ে যাওয়া এই দুই পরাজিত মেঘের রাজসিক প্রস্থান খুব ভাবিয়েছে আমাকে। সবাই যখন রোলমডেল হিসেবে শৃংখলা অনুবর্তী মানুষদের বেছে নেয়,আমি তখন বেছে নিয়েছি ফুটবল আইনের চোখে উছৃংখল এই দুই সুপারম্যান কে।
ম্যারাডোনা যখন মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে একে একে বাধা ঠেলে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতেন,দারুণ এক শিহরণ অনুভব করতাম।ম্যারাডোনার চারপাশ থেকে ঘিরে ধরা আপাত দীর্ঘদেহী খেলোয়াড়দের লিলিপুটিয়ান্স মনে হতো,আর ম্যারাডোনা ছিল আমার চোখে গ্যালিভার যাকে বেধে রাখা বামন মানুষদের সাধ্য কী।ম্যারাডোনা তার খেলোয়াড়ি জীবনে প্রতি সেকেন্ডে অন্তত তিনজন খেলোয়াড়ের গার্ডে থাকতেন। গোলকের আর কোন খেলোয়াড়কে এত পাহারায় রাখেনি ফুটবলারকূল।
ম্যারাডোনার এলোমেলো অথচ লক্ষ্যভেদী মৃগয়া ভালো লাগেনি ফিফাকত্তাদের।ফিফা ম্যারাডোনাকে স্টিমুলাইজার বা এনার্জি এনহ্যান্সার ওষূধ সেবনের জন্য লাল কার্ড দেয়।ফিফা ম্যারাডোনার আচরণকে ফুটবলের সংস্কৃতির জন্য ক্ষতিকর মনে করে।যে ফিফা স্পন্সরদের কাছে ফুটবলের আত্মা বেচে দেয় সেই নৈতিকতার ডান্ডা দেখিয়ে ম্যারাডোনার জয়রথটাকে আইনের কালো শক্তি দিয়ে থামিয়ে দেয়।এই ডোপিং টেস্ট করলে চে গুয়েভারা ,জন লেনন বা ভ্যানগগের বিপ্লবী-গায়ক-চিত্রশিল্পীর মুকুটগুলোও কেড়ে নিতে পারেন একবিংশের সুশীল প্রতিষ্ঠান গুলো।
ফিফা ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে অন্যদলের খেলোয়াড়দের ক্যানিবাল ফাউল চোখে দেখলেন না,ম্যারাডোনাকে ফেয়ার প্লে গ্রাউন্ড নিশ্চিত করতে পারলেন না, অথচ বামনদের ট্রফি জেতা অনায়াস করতে সরিয়ে নিলেন আমাদের সুপারম্যান কে। ম্যারাডোনার মৃত্যু আমার চোখে ফুটবলের মৃত্যু। তাই ম্যারাডোনা মাঠ থেকে বেরিয়ে যাবার পর আমি ক্রিকেট অনুরাগী হয়ে পড়ি।
ম্যারাডোনার প্রস্থানের পর ফুটবল ব্যাপারটাকে এড়িয়ে চলেছি। কিন্তু জার্মানীতে ২০০৬এ অনুষ্ঠিত ফিফা শীর্ষ আসরটি কাভার করতে হয় ডয়চেভেলে,ভয়েস অব এমেরিকা আর সমকালের জন্য। ফলে আবার জিদান কে উপলক্ষ্য করে নিজের ভেতরে ফুটবল আগ্রহ জারিত করেছিলাম। ম্যারাডোনার ফুটবল ছিল যাদু বাস্তবতা। পাঁচটা ক্যামেরার একটাও নিশ্চিত করতে পারেনি ম্যারাডোনার সেই গোল্ডেন গোলটি ঈশর নাকি ডারউইন,নাকি ম্যারাডোনা নিজেই দিয়েছেন। জিদান সেখানে যেন ফরাসী রেনেসার এক স্মিত হাসিমুখ, মাতারাতসীকে মার দেবার আগে কখনো জিদানের ক্রোধ কেউ দেখেনি। মাতারাতসীর লিপসিং এনালাইজ করে দেখা গেছে, তিনি জিদানকে তার বোনের সম্ভ্রম নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। ফিফা ইতালীয় রেগুলার মাস্তানের চেয়ে ভাবুক জিদানকেই বেছে নিল শাস্তির জন্য।আবার একজন গ্যালিভার ট্রফি পিছে ফেলে লাল কার্ড নিয়ে হেঁটে গ্রীণরুমে। বামন সেপ ব্লাটার খুশীতে বাকবাকুম,ফুটবলের লিলিপুটিয়ান ধারার পৃষ্ঠপোষকতায় তার নাম তামার অক্ষরে লেখা থাকবে।জিদানের পা মাথা ঘাড় ঘুরে ফুটবল এক লাস্যময়ী প্রেমিকার মতো জড়িয়ে থাকতো তাকে। সেই জিদান যখন ম্যারাডোনার মতো প্রস্থানের নিয়তি বরণ করলেন,ফুটবল একা হয়ে গেলো।
ফিফার আইনে ফুটবলের ঐ দুই সুপারম্যান অপরাধী।ম্যারাডোনাকে ল্যাং মেরে ফেলে দেবার দল বা জিদানের বোন তুলে গালি দেয়া ফুটবল মাফিয়া মাতারাতসী ফিফার পদক গলায় নিয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে এসে বিজয়ের হাসি হেসেছে,অথচ ক্যামেরা খুঁজেছে ঐ দুই পরাজিত মেঘকে।
ফিফার এই আচরণ প্রতিষ্ঠানের অমোঘ নিয়তি। আমরা যেমন সিটিজেন বা নেটিজেন হিসেবে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে নাকে খত দিয়ে বসে আছি।স্কুল,হাসপাতাল,যানবাহন,নিরাপত্তা সব কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধক দেয়া। প্রতিষ্ঠানকে মিশেল ফুঁকো কারাগার বলতেই ম্যারাডোনার মুখ ভেসে ওঠে চোখের সামনে। আর প্রতিদিনের যাপিত জীবনে রাষ্ট্রের যে নিষ্ঠুর কারারক্ষকের ভূমিকা দেখি তাতে বুঝতে বাকি থাকেন,রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠানের দণ্ডমুন্ডের কর্তারা আমাদের আম বা স্ট্রবেরী জনতাকে নানারকম কারাগারে আটকে রেখে প্যানোপটিক ওয়াচ টাউয়ার থেকে দেখে। যারা কয়লাখনির ময়লা শ্রমিক বা হীরক খনির জেল্লা শ্রমিক, তাদের সবার কোমরে এক অদৃশ্য সূতা,মিডিয়া আজকাল ভক্সপপে তুলে আনা এইসব গুয়ানতানামো পুতুল নাচের ইতিকথা দেখিয়ে পয়সা কামায়। এই কয়েদীদের মাঝে হঠাত একজন অতিকায় ম্যারাডোনা-জিদান বা গ্যালিলিও,ভয় পেয়ে যায় কারা রক্ষীরা।
কারণ কয়েদীদের মধ্যে অনুগতদের পাহাড় আড়াল করা বামন নাচ স্পন্সর করে ক্ষমতা কাঠামো। সাফল্য ব্যর্থ তার জুরি হতে খুব পছন্দ করে অক্ষম এবং বামন ক্ষমতা কাঠামো।
রমনা থানার দারোগা,ভূমি অফিসের কেরানী,ঊঠতি লেখক সবাই রাষ্ট্রের বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতার পুতুল নাচে আমজনতার কোমরের দড়িগুলো টানার সোল এজেন্সী চায়। অথরিটি চায় পুলিশ কন্সটেবলের মতো। গুন্টার গ্রাসের টিনড্রামের মতো বারবার পেশী ফুলিয়ে পৌরুষ দেখাতে চায়,পরে ব্যর্থ হয়ে দেয়ালের কোণায় গিয়ে আক্ষেপ করে,এই আক্ষেপ সেপ ব্লাটাররা সবাই করেন,যখন দেখেন তিনি আর তার পারিষদেরা ছাড়া গ্যালারীর স্ট্রবেরীজনতা তাদের খলনায়ক ট্যাগিংকে নিকুচি করে ম্যারাডোনা আর জিদানকে ভালোবাসার নায়ক হিসেবে সুচিহ্নিত করছেন,সেপ ব্লাটারের ছাত্ররা টিনড্রামের মতো ব্যর্থ রিরংসার গ্লানি নিয়ে বসে থাকে।কারণ গ্যালিলিওকে আইন দেখিয়ে প্রাণ দন্ড দেয়া যায়,কিন্তু তার আত্মা আমন্ত্রণ পেতে থাকে ঘরে ঘরে, একটা ছোট্ট শিশু যখন আকাশের তারার দিকে তাকিয়ে নাম জিজ্ঞেস করে, গ্যালিলিও কানের কাছে ফিসফিস করে বলেন, ম্যারাডোনা –জিদান।
ছবি ,আইডিয়া ফরতে ডটকম
মন্তব্য
বুঝলাম না। এই দুই ঘটনা যদি আপনার অল্প বয়সের হয় তাইলে আপনি এখনও নাবালক।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ। ম্যারাডোনারটা অল্প বয়েসের অভিজ্ঞতা,জিদানেরটা জিদানের বয়েসে। তবে ঘটনাটা নাবালক রয়ে গেছে,কিংবা নেহাত ট্র্যাজেডীর পুনরাবৃত্তি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আমার ধারণা, ফ্রান্স জার্মানি বিশ্বকাপ জিতলে পেলে ম্যারাডোনা বিতর্কের অবসান হয়ে যেত।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
কাপ জেতাটাই কী সব,কখনো কখনো হেরে যাওয়াও কিংবদন্তী হয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
কিংবদন্তী হয় ঠিকাছে, কিন্তু কাপটা যদি জিদান হাতে নিতে পারতো তাহলে সব কিংবদন্তীর উপরে চলে যেত।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
এটাই নিয়তি এতো ক্যামেরা ট্রায়াল ম্যারাডোনার গোল্ডেন গোলের রহস্য ধরতে পারেনি। ফলে ম্যারাডোনা সোনার কাপটাতে চুমু খেতে পেরেছেন। জিদান পারেননি ট্রফির জন্য মাতারাতসীয় ফূটবলের রেসে মাথা ঠান্ডা রাখতে,আমার বোনকে নিয়ে মাতারাতসী কিছু বললেও আমিও নিশ্চিত মার দিতাম। বোনের সম্মান,তার প্রতি আমার ভালোবাসা হয়তো কারো কারো কাছে ট্রফির চেয়ে বড়ো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
মুস্তাফিজ ভাইয়ের মন্তব্যে লাইকাইলাম।
মুস্তাফিজ ভাইয়ের মন্তব্যে লাইকাইলাম।
এই পুরো পোস্ট পড়ে লগ ইন করে এই মন্তব্যটি শান্ত ভাই করেছেন।
শান্ত ভাইকে সাধুবাদ এই সিন্ধুকে বিন্দুতে দেখতে পাবার অভাবনীয় ক্ষমতার জন্য। আশা করছি দ্রুত সচল হয়ে ঊঠবেন। অগম শুভেচ্ছা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ভাই কি লিখলেন কিসু তো বুজলাম না, আমি মারাডোনার ফেন, তাই বইলা আমি এইটা মনে করিনা, যে ফিফা তারে বাইর কইরা দিয়া খারাপ করসে, কারন তার নেয়া ড্রাগস কিন্তু তারে বেশি দিসে, তাই অরে কইলে তো কালকে থেকে সবাই ড্রাগস নিয়া খেলা শুরু করবো, তাইলে আর fair play বইলা কি কিছহু থাকে?
আর জিদানের টাও same , কারন মাঠে slang খুব common, তাই বইলা আমি গিয়া তারে পিটামু, এইটা কেমুন কথা? তাইলে আর রেফারির দরকার কি? আর জিদান কিন্তু তার এর আগে মাথা দিয়া গুতা মারসে... অইটাই তার পরথম, এই কথাও ঠিক না...
অনেক ধন্যবাদ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
"এই ডোপিং টেস্ট করলে চে গুয়েভারা ,জন লেনন বা ভ্যানগগের বিপ্লবী-গায়ক-চিত্রশিল্পীর মুকুটগুলোও কেড়ে নিতে পারেন একবিংশের সুশীল প্রতিষ্ঠান গুলো"- হে হে মাসকাওয়াথ ডরায়েন্না, কোন প্রকৃত ডাচের পোর (বা ঝি-র) ডোপ/গাঁাজা খাওয়ার অধিকার কেড়ে নেবে এমন মাই কা লাল এখনো জন্মেনি এ গো-কূলে। আর জন বা চে-র ডোপিং হ্যাবিট নিয়েও চিন্তিত নন সু বা দুঃ সমাজ ( কেন যে এয়াঁরা মানে সুশীলগণ ইউনিভার্সাল বেঁড়ে তা বাপু আজও বুঝলাম না)। মারাদোনা-র ক্যাটেগোরি অন্য, তিনি খেলোয়াড়্, সব মাঠের-ই কিছু রীতি-নীতি আছে আর খেলতে নামলে কিছু ডেকোরাম তো আমাদের সবাইকেই মানতে হয় মাসকাওয়াথ, তাই না?
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
হরফ,রুসোর সামাজিক চুক্তিটা দুষ্টচক্রের ছড়ি ঘুরানোর ফাঁদ। ডাউন ঊইদ রুসো। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনার উক্ত বক্তব্যের সাথে একেবারেই সহমত নই, লেখককে অনুরোধ রইলো বিশ্বকাপের আগেও জিদাদের মাঠে মাথা গরম করার ইতিহাস জেনে নেওয়ার।
আর আমার মতে মারাদোনা আর জিদান তারা হয়েও খসে পড়ার মত কাজ করেছেন বলেই আজ উনারা তাদের জৌলুস হারিয়েছেন। উনাদের প্রতিভার একান্ত ভক্ত আমি কিন্তু তাই বলে তাদের অপরাধগুলোও খাটো করে দেখার মত কিছু নেই।
১। মারাদোনা ড্রাগ না নিলেই পারতেন।
২। জিদান নিজে না মেরে রেফারিকে জানালেই পারতেন।
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
আপনার সঙ্গে সহমত। ম্যারাডোনা-জিদান ছিলেন ফুটবলের বখে যাওয়া ছেলে। এই দুজন বখাটে মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারায় রাতের পর রাত নিশব্দে কেঁদেছেন, আর তাদের লাখ লাখ ভক্ত ফুটবলের এই অভিমানী হারিকিরি দেখে সশব্দে কেঁদেছে। ঐ দুইজন মিসফিট কী তাহলে শিল্পীর নিয়তি। আর প্রতিষ্ঠানো খোঁজ রাখেনা কেন খুব রাগ করে কবি আবুল হাসান বা রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ আত্মহননের পথ বেছে নেন। হিরণদাহ,বিজনব্যথা বা আগুণ হয়ে যান।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনি অসম্ভব বুদ্ধিমান মানুষ।
ধন্যবাদ দ্রোহী, সম্ভবত আপনার আর আমার বুদ্ধাংকের একটা সাযুজ্য আছে। তাই আপনার আমাকে বুদ্ধিমান মনে হয়েছে। সুখবর হচ্ছে আমরা এখন একজন আরেকজনের কথা বুঝতে পারি।সময়টা ভালো কাটে আড্ডায়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ম্যারাডোনার কোচ হওয়ার কারণেই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ থেকে বের হয়ে গেল, এমন অভিযোগ শোনা যায় নিন্দুকের মুখে। শারাব চিজ হি অ্যায়সি হ্যায় না ছোড়ি যায়ে ...........
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ফুটবল অনিশ্চয়তার খেলা, সুতরাং বলা যাচ্ছেনা।
মাতারাতসীকে মারার পর জিদান কয়েকটা দিন এক সাগর পাড়ের ঘুমঘরে দেবুদার মতো শুয়েছিলেন শুনেছি। ভালো আইডিয়া আমার চোখে। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
লেখার একটা ঝামেলা আমার চোখে পড়ল।
এখানে ম্যারাডোনা আর জিদানকে এক পাল্লায় মাপার একটা চেষ্টা আছে।
অথচ ম্যারাডোনারটা পরিস্কার ভাবেই গাঞ্জুটি কেস, এবং গাঞ্জু সেবন করে উনি উনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন বলে চিকিৎসা বিজ্ঞান ( অন্তত ফিফা যে চিকিৎসা বিজ্ঞান নীতিমালা সংরক্ষন করে) স্বীকার করে। সুতরাং উনার বহিস্কারাদেশ যৌক্তিক লাগে।
জিদান যদি উনার বোনের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য আক্রমন করে থাকেন, আইনের বিচারে তিনিও অপরাধী বটে,
কিন্তু এক গাঞ্জুটির সঙ্গে এক বোনের সম্মান রক্ষায় মাথা গরমকারী ভাইকে এক পাল্লায় মাপা অবিচার।
ড্রাগ-সেটি ম্যারাডোনাই নিন কিংবা মারজুক রাসেল.. এর পক্ষে কোনো কথা প্রচার করা নৈতিক ঠেকে না।
ধন্যবাদ জেবতিক। আমি হেভী ইনপুট নো আঊটপুট মাদকাসক্তদের ঘৃণা করি। নির্বাচনী প্রচারণায় এই কথাটাই বারবার বলেছি বাঘা-চারঘাটের তরুণদের। বলেছি,
তুমি যদি লালন বা লেনন হতে পারো তাহলে ইতিহাস তোমার গান গুলোর জন্য তোমার ভ্রান্তিগুলোকে হয়তো ক্ষমা করবে। আর যদি তুমি মাদকাসক্ত ঈভ টিজার হ ও সমাজ তোমাকে মৃত্যুর পরেও ঘৃণার সঙ্গে স্মরণ করবে।
মাদককে না বলুন, ম্যারাডোনা বা লালনকে হ্যাঁ বলুন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আমি হলে বলতাম- তুমি যদি ম্যারাডোনাও হও, তবু তোমার ড্রাগসেবনের কোনো মাপ নেই।
তুমি ছিলেনা যে বক্তৃতাগুলো দেখে দেবার। সহমত তাই বলা উচিত।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ম্যারাডোনা ড্রাগ সেবন করেছে বলে ম্যারাডোনা হয়েছে তা বলবনা, কিন্তু ম্যারাডোনা ম্যারাডোনা হয়েছেন বলেই ম্যারাডোনা হয়েছেন। ড্রাগ সেবনের প্রতিভা না থাকলে হয়ত তিনি হয়ত ম্যাথাউস (ভাল অমহান খেলোয়াড়) হতেন। একেক মানুষের ট্রিটমেন্ট একেক রকম।
মারজুকরে এবার ফুটবলেও নামাইয়া দিলেন আরিফ ভাই !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
না, এখানে লেলন-লালনরাও তো লেখায় আছেন। তাই ম্যারাডোনারে সর্বোচ্চ ধরে স্কেল করলাম, আর স্থানীয় সেলিব্রিটি মারজুকে শেষ করলাম। দুটাই 'ম' কিনা, তাই অনুপ্রাস না কী যেন বলে....
বাংলা ভাষা নিয়ে ফুটবলই তো খেলছেন ভাই বেরাদার ডেডপোয়েটস সোসাইটি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
এতো শকিং কম্প্যারিজন বা মারজুকের মেটাফিজিক্যাল কনসেইট। ফুটবলের সঙ্গে চিংড়ি বা হৃদয়ের সঙ্গে কম্পাসের তুলনা। দুষ্টু এলিটেরেশন । ভালো থেকো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আপনার লেখাটা ভালো লাগলো। সেই সাথে উঠে আসা চরম সত্যগুলো হৃদয়ে আলোড়ন তুললো। পাশাপাশি স্পর্শ করলো আপনার ম্যারাডোনা আর জিদান প্রীতিটা।
আজকের দিনে প্রশংসার ঔদার্য বিরল। অনেক ধন্যবাদ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ম্যারাডোনার সময় আনেক ফুটবালারই ড্রাগ নিত কিন্তু ঐ সময় ম্যারাডোনাই শুধু ধরা পরেছিল।ম্যারাডোনার মদক বা স্টিমুলাইজার বা এনার্জি এনহ্যান্সার ওষূধ সেবনের ইতিহাস টাও কিছুটা হলেওআমাদের যানা দরকার। ১৯৮৬ বা ১৯৯০ এর world cup football এর যে কোন match (বিশ্বাস না হলে youtube দেখে নিন) ম্যাচ দেখলে দেখবেন ম্যারাডোনা কি পরিমান ফাউল play এর স্বীকার। ফিফা তার জন্য সত্যিই level playing field তৈরি করতে পারেনি। আর্জেন্টিনার যখন ১৯৯৪ এর world cup খেলার কোন আশা ছিল না তখন ম্যারাডোনা তার অবসর ভেঙ্গে দলে ফিরে আসেন।এর অনেক আগেই ম্যারাডোনা অবসর নিয়ে ফেলছেন। তখন তার ওজন অনেক বেশী, ম্যাচ ফিটনেস নেই। ওজন কমানো ও ম্যাচ ফিটনেস পাবার জন্য সে কিছু ড্রাগ গ্রহন করে(ফিজিওর মত অনুসারে)। ১৯৯৪ এর world cup football আর্জেন্টিনা বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচ জিতে qualify করতে হয়েছিল। এছারাও ম্যারাডোনা সর্বদাই ছিল ফিফার সমলোচক। So বলির পাঠা ত তাকে হতে হবেই।আর ব্যক্তিগত জীবনে সে যাই করুক না কেন player হিসাবে সে অবশ্যই বিশ্বের সেরা ফুটবলার। তাই যদি তার সমলোচনা করতে হয় পুরো মানুশ হিসাবে তার সমলোচনা করুন শুধু গাঞ্জুটে হিসাবে নয়। ও আরেকটা তথ্য ১৯৯৪ এর world cup খেলা হয়েছিলো usa তে আর ম্যারাডোনা সব সময় usa এর বিরূদ্ধে so CIA.........
দরিদ্রদেশগুলোর ম্যারাডোনাদের নিয়তি একি সুতোয় বাঁধা। অনেক ধন্যবাদ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
"তুমি যদি লালন বা লেনন হতে পারো তাহলে ইতিহাস তোমার গান গুলোর জন্য তোমার ভ্রান্তিগুলোকে হয়তো ক্ষমা করবে। আর যদি তুমি মাদকাসক্ত ঈভ টিজার হ ও সমাজ তোমাকে মৃত্যুর পরেও ঘৃণার সঙ্গে স্মরণ করবে।"
মাদককে না বলি,আর ম্যারাডোনার জন্য সবচে বড় হ্যাঁ। ধন্যবাদ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
অনেকেই দেখছি ম্যারাডোনার ১৯৯৪ এর বিশ্বকাপ থেকে বহিস্কৃত হওয়াকে তার পরবর্তী কর্মকান্ডের সাথে এক করে ফেলছেন!
১৯৯৪ এর বিশ্বকাপে ম্যারাডোনাকে বহিস্কার করা হয়েছিলো এফিড্রিন পজিটিভ হওয়ার কারণে। কফের ওষুধেও এফিড্রিন থাকতো তখন, আর্জেন্টিনা শিবির যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলো কিন্তু ফিফা গোঁয়াড়ের মতো "কনভিন্সড হবোনা" ভাব নিয়ে বসে ছিলো। বোঝাই যাচ্ছিলো, তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো ম্যারাডোনাকে একটা শিক্ষা দেয়া।
হেরোইন, গাঁজা, কোকেইন জাতীয় "জেনুইন" মাদকের সাথে ম্যারাডোনাকে আমরা দেখতে পেয়েছি এর পরে। প্রাতিষ্ঠানিকতার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নির্মমভাবে হেরে আসা স্পার্টাকাসদের করুণ পরিণতি এভাবেই হয়।
৯০ এর বিশ্বকাপে হারার পর মাথাগরম ম্যারাডোনা যদি পরের কয়েক বছর একটানা ফিফার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে না বেড়াত, তাহলে হয়তো ঘটনাপ্রবাহ অন্যরকম হতো।
অবসর পরবর্তী ম্যারাডোনার মাদকসেবনের ইতিহাসের পেছনে ফিফার সার্বক্ষণিক বিমাতাসুলভ আচরনের যে যথেষ্ট ভূমিকা আছে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও এটা সত্য হয়েই থাকবে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ঘটনার পেছনের ঘটনা উতঘাটনের দক্ষতা খুব কম মানুষের থাকে। আমরা অধিকাংশই হুজুগে পাগলপারা হয়ে গম্ভীর মুখে জাজ মেন্টাল হই। আপনাকে অভিনন্দন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আসলেই তো... দেখেন না রাজনীতিবিদরা যেমনে যাদুবলে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়.... ১৬ কোটি মানুষ দেখেও বুঝে না টাকাগুলি কার হাত দিয়ে কার জালে ঢুকলো। চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা... যদি না পড়ো ধরা।
আর জিদান.. আহ.. গালি দিলো আর মাইর দিলাম.. ঠিকই তো আছে.... কার্টুন আঁকলো, আর মেরেই ফেললাম.. হাজার হইলেও ইজ্জতের প্রশ্ন ..
চলেন আমরা গ্যালিলিওর যুগে ফিরে যাই...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ম্যারাডোনার যাদুকরী গোলের সঙ্গে রবি ঠাকুরের গানে আইরিশ সুর কিংবা জীবনানন্দ দাশের কবিতায় টমাস হার্ডির ছায়া, এরকম মিস্টিক ফ্যানটম আছে। তাই ম্যারাডোনার ম্যাজিক ফ্যানটামের সাথে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের চুরির প্রতিতুলনায় ভিন্নমত।
গ্যালিলিও ঢাকায় নেমে গবেষণার লোক পাবেন না, কারণ বিজ্ঞানীরা এখন কবি গল্পকার এবং ফেলু গোয়েন্দা। আর গ্যালিলিওর এলোমেলো কথা শুনে ফ্রাঙ্কেস্টাইন আধুনিকেরা বলবে গ্যালিলিও আপনার মেলামেশায় সমস্যা আছে,আপনি হঠাত করে সভ্যতায় এসে পড়েছেন। তখন গ্যালিলিও বোঝাতে ব্যর্থ হবেন, সমস্যা গ্যালিলিওর কথাতে নেই সমস্যা ব্যর্থ বিজ্ঞানীদের অগ্রসর কথা বোঝার আইকিউ এবং ইগোতে।
গ্যালিলিও তাই এসব মূর্খ নব্য সেলিব্রেটি নির্বোধ ক্লাউন দের গুডবাই বলে আরজ আলী মাতুবরের গ্রামে গিয়ে বিজ্ঞানের নবম শ্রেণীর ছাত্রদের নিয়ে গবেষণাকাজ শুরু করবেন। কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে বাচ্চাদের তারা দেখাতে দেখাতে বলবেন শুধু তারার মতো জুল জুল করতে শিখোনা,আকাশের মতো উদার হতে শিখো। আর নিজের অক্ষমতার বা খ্যাত না হতে পারার গ্লানিতে অন্যকে অপমান বা হিংসা করলে ইতিহাস তোমাদের মহৎ বলতে পারবেনা।তোমরা নিক্ষিপ্ত হবে মীরজাফর এবং মুশতাকের ক্যাটেগরিতে। নবম শ্রেণীর ছাত্ররা বলবে, স্যার আমরা জাফর ইকবাল বা গ্যালিলিও হতে চাই।
গ্যালিলিও ফিরে ফিরে আসুন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
লেখাটা গতকাল পড়েছি দু'বার। পাঠানুভূতি সাথে সাথে প্রকাশ না করে ভাবলাম পরে করি। এ বেলা বলে যাই:
১. একটা মানুষ জন্মের পর বেঁচে থাকার অধিকার প্রাপ্ত হয়। ঘুরিয়ে বললে, সমাজ/রাষ্ট্র মৌলিকভাবে মেনে নেয় যে মানুষটা কোন দুর্বিপাকে পড়ে গেলে তাকে সাহায্য করা হবে। অনেক রাষ্ট্র এ প্রতিশ্রুতিটা মনে রাখে, অনেক রাষ্ট্র পারে না। আবার দেখুন, কোন মানুষের মরে যাওয়ার কোন অধিকার নেই। খুব অল্প সংখ্যক রাষ্ট্র্ই তার নাগরিকের স্বেচ্ছামৃত্যুর দাবী মানে (তাও আইন/আদালত ঘুরে)।
২. বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য-বস্ত্রের পাশাপাশি বিনোদনও দরকার হয়। স্পোর্টস বলুন, শিল্প-সাহিত্য-গান বলুন সবই আমাদের বিনোদনের জন্য। স্পোর্টস অনেক আগে থেকেই প্রতিযোগিতার খপ্পরে পড়ে গেছে। কবিতা-গান-গল্পের প্রতিযোগিতা ইদানিং শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতায় পুরো মাঠটা নিরপেক্ষ রাখার জন্য কিছু নিয়ম বানাতেই হয়। ড্রাগ নিয়ে যদি কেউ দৌড়ে প্রথম হয় তা হলে বিষয়টা অন্য প্রতিযোগীর জন্য আনফেয়ার হয়ে যায়। কিন্তু ভ্যানগগ ড্রাগ নিয়ে ছবি আঁকলে বা রবি বাবু গাঞ্জা খেয়ে কবিতা লিখলে তা হয় না। এখানে পার্থক্য।
৩. আইডিয়ালি একজনের লাইফস্টাইল যদি অন্য কাউকে আনডিউলি এফেক্ট না করে তা হলে কোন সমস্যা হবার কথা না। সে জন্য আমার গাঞ্জারু বন্ধু আমার জন্য কোন সমস্য না, তার বৌর জন্য হয়তো সমস্যা। মাদক নিয়ে কেউ যদি সরকারি স্বাস্থ্যসেবার দ্বারস্থ না হয়, তবে তা রাষ্ট্রের মাথাব্যথা হবার কথা না। কিন্তু 'সমাজ/সামাজিতা' বলে নাকি একটা কথা আছে। এটা আমি এখনও বুঝে উঠতে পারিনি।
৪. মোটা দাগে আপনার কিছু ভাবনার সাথে একমত। কিন্তু খাটো বামনদের আরো খাটো করার দরকার কী?
খাটো বামনদের আরো খাটো করার দরকার কী?
১।এই খাটো বামনেরা সেলিম আল দীন বা ফেরদৌসি মজুমদারদের বাঙ্গালী সংস্কৃতির আলো আড়াল করতে ফারুকী বা তিশার তারাপাহাড় তৈরি করে।
২।রবীন্দ্রনাথ, আবুল হাসান বা রুদ্রকে অপমান করে ব্রাত্যগদ্যপদ্য স্ল্যাং এর পাহাড় তৈরী করে।
৩।পলান সরকারের সেচ্ছাশ্রমের আলো আড়াল করে আবুল খায়ের লিটুর বৈভবের পাহাড়ে।
৪। সেক্যুলার ইয়াসমিন হকের শাবির সুকৃতিকে আড়াল করতে জিহাদ ব্যবসায়ীদের থিংকট্যাংক পশ্চাদপদ অশিক্ষকেরা অভিযোগের পাগাড় তোলে।
৫।জাহানারা ইমামের নাম মুছে দিতে জামায়াত বামন বলয় ধর্ম ব্যবসা করে।
৬।ভদ্র নির্বিরোধ মানুষ দেখলেই বামন রকবাজটা টিটকারী দেয়,টিটকারীতে কাজ না হলে ভয়ভীতি দেখায়,তাতেও কাজ না হলে খিস্তি করে ।প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা কাঠামোর শ্যালক হিসেবে ভদ্র লোকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার ভয়ভীতি প্রদর্শন, তারপর কিছুই না করতে পেরে ঘরে গিয়ে টিন্ড্রামের মতো কাঁদবে। টিনড্রামের কষ্টে কষ্ট পাবার আগে ওপরের কুতসাপ্রবণ টিনড্রাম অপরাধ প্রবণতাগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন আশা করছি। ভালো থাকবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যাক, আমি ধরে নিয়েছিলাম বিশেষণ, এখন উদাহরণ দেখে মনে হচ্ছে
আপনি ব্যবহার করেছেন উপমা হিসাবে।
ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
এরকম ব্যাক্তি আক্রমণ দেখে অত্যন্ত বিরক্ত হলাম, এবং সচলায়তনের পাতায় এরকম মন্তব্য দেখে শঙ্কিতও হলাম। আপনার ভাষাজ্ঞান অতি উচ্চ সন্দেহ নেই, কিন্তু গত কিছুদিন ধরে সেটার যে ব্যবহার চলছে, সেটা দেখে অবাক হচ্ছি।
আমি এই মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে গেলাম। সচলের মডুদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে গেলাম এরকম অসুস্থ মন্তব্যের চর্চা বন্ধের জন্যে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে। আপনার প্রতিটি পোস্ট ও মন্তব্য মডারেশান পার হয়ে আসলে সচলায়তনের পরিবেশের জন্যে মঙ্গলজনক বলে মনে হচ্ছে।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ব্লগে দুইধরনের মন্তব্যকারীর দেখা পাই, ত্রিকালদর্শী টিরেসিয়াস অথবা ট্রেশার আইল্যান্ডএর একচক্ষু ক্যাপ্টেন ফ্লিন্ট।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
নিশ্চয়ই আপনি সহ? আপনি নিজেকে এই দুই ধরনের থেকে কোন ধরনের মনে করেন?
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আপনার মত।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
তাই? বেশ
তাই যদি হয় তাহলে আমি এই দুই ধরনের মধ্যে কোনটা?
আপনি তো আর সোজা কইরা বলবেন না আপনি কোনটা, আমারে দিয়াই বাইর করি তাইলে আপনে কোনটা
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
উনাদের দুইজনকে দেখার সৌভাগ্য হয়নাই।
কিন্তু আপনার প্রশ্ন দেখেই মনে হলো আপনাকে দেখা মানে যেন আয়নায় নিজেকে দেখা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
হইলো না তো! ধরনের কথা ভুইলা যাইতাসেন তো! এখন একচোখেই ত্রিকাল দেখলে কেমনে কী?
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মনের কথাটা এক্ষণে বলে ফেলার পর আপনাকে বেশ খুশী মনে হচ্ছে। সত্যি এতো অল্পতে খুশী হতে পারাটা খুব ভাল।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
হাহাহাহহাহাহাহাহাহা
ভাইরে .. কি বলসি তা ভালমতই বুঝসেন
এখন উত্তর না দিয়া কথা ঘুরাইতাসেন
আপনে ভাই পারেনো! আসলেই আপ্নের লগে রাগ করা যায় না!
যাই হোক, ভাল থাইকেন, আপনে রাজ্জাক আর আমি জাম্বু এই মাইনা নিয়া ফুটলাম, বিদায়
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
জনাব মাসকাওয়াথ আহসান,
ব্লগে লেখার জন্যে আমি যে নিকটি ব্যবহার করি (কনফুসিয়াস) সেটির গুরুত্ব ও সম্মান আপনার ব্যবহৃত নিকটির (মাসকাওয়াথ আহসান) চেয়ে, আমার কাছে অন্তত, কোন অংশে কম নয়।
আপনি অবলীলায় আমার নিকটিকে তামাশা করেছেন। আমি নিজেও এই তামাশায় অপটু নই, আপনার নিকটিকে নিয়ে এরকম তিনখানা তামাশা আমি এখুনি কী-বোর্ডে টাইপ করে ফেলতে পারি।
কিন্তু আমার ব্যাক্তিগত মূল্যবোধ ও সচলায়তনের নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজটি আমি করবো না।
এবং সম্ভবত এখানেই ব্লগার কনফুসিয়াসের সাথে লেখক মাসকাওয়াথ আহসানের পার্থক্য।
আপনার পরের মন্তব্যটিও মডুদের নজরে আনলাম।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
এক থেকে পাঁচ বুঝলাম। কিন্তু
এখানে কার কথা বললেন? আশা করি আলবেয়ার কাম্যু'র এবসার্ডিজম নাই এতে।
যদি কোন সহ-ব্লগারের উদ্দেশ্যে হয় আপত্তি জানালাম। এভাবেই কেউ না কেউ শুরু করে, আপনি অথবা অন্য কেউ। তারপর চলতে থাকে একের পর এক, পুনরাবৃত্তি। অসুস্থতার প্রতিযোগীতা।
যারা এই প্রতিযোগীতার সহযোগী তাদের বুঝা উচিত, মানুষ সময় বিনিয়োগ করে এক একটা লেখা পড়ে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কখনো সময় পেলে আমার পোস্টগুলোর মন্তব্যের জেনেসিস লক্ষ্য করতে পারেন। নিউটনের তৃতীয় সূত্রটা আমার ধারণা বিজ্ঞানের ছাত্রদের কাছে পরিষ্কার একটি বিষয়। মন্তব্যকারী যদি ব্লগ মুক্তির স্পিরিটকে এবিউজ করে পলিটিক্যালী ইনকারেক্ট খিস্তি ব্যবহার করে,তখন ব্লগার যীশু খ্রীস্টের মত ব্যবহার করবেন কিনা তা নির্ধারণ করতে টস করুন। আমি জানি টস করার আগে আপনি মুদ্রার দুইপাশের প্রতীক গুলো একটু দেখে নেবেন। আমার পোস্ট আর নিউটন'র তৃতীয় সূত্র আত্মস্থ না করা মন্তব্যগুলো।
সচলায়তন'র নন্দনভাবনার পক্ষে আমার অঙ্গীকার নবায়ন করছি আপনার সামনে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
দুঃখিত আমি ভুলেই গিয়েছিলাম এটা বিজ্ঞানের যুগ, নিউটনই আইকন। ঠিক প্রমানিত হতে হবে, হতেই হবে।
আপনিই ঠিক। আমিই ভুল করে পরাজিত মেঘদলের স্রষ্টাকে যীশুর মতো স্বেচ্ছায় পরাজয় বরন করে নেয়া বোকাদের একজন ভেবে বসেছিলাম।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
@লেখক,
কৃত্রিম ঈশ্বর বা ডারউইনের নিয়মের উন্মাদনা আর বড় বা ভিন্ন কিছু কে দাবিয়ে রাখার প্রবণতাকে ঘৃণা করি। সেটা ফিফা বা অন্য যে কোন ঈশ্বরই হোক।
কৃত্রিম ঈশ্বর স্বর্গ থেকে বহিস্কার করলে ম্যারাডোনা বা জিদানের কি যায় আসে?
তারতো নিজেরাই অসংখ্য মানুষের মনে ফুটবল ঈশ্বর হয়ে বেঁচে থাকবে। ওসব নিষিদ্ধ গন্ধমের অজুহাতের কি কোন মূল্য আছে?
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
===============
খুলে ফেলতে চাই চোখের রঙিন ঠুলি,
সবকিছু দেখতে চাই সাদাচোখে।
সহমত। অনেক ধন্যবাদ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
প্রিয় মাসকাওয়াথ আহসান,
ইতিপূর্বে আপনাকে চারবার সতর্ক করা হয়েছে। আপনি সচলায়তনে অপর লেখক ও পাঠকের সাথে স্বাভাবিক সৌজন্য নিয়ে মিথষ্ক্রিয়ায় অপারগ/অনিচ্ছুক/অক্ষম, তা এখন স্পষ্ট।
আমরা আপনাকে আর সুযোগ দিতে পারছি না।
আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে মডারেশনের আওতায় নেয়া হলো। সময়সীমা ভবিষ্যতে মডারেটররা আলোচনা করে আপনাকে অবগত করবেন।
নতুন মন্তব্য করুন