আলো আমার আলো সে যে আলোয় ভুবন ভরা

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: বুধ, ২২/০৯/২০১০ - ৫:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ গভীর ক্ষোভে সবিনয় প্রতি আক্রোশে এই কথাগুলো। নৌপরিবহণ মন্ত্রী এ টি এম শামসুজ্জামানকে দুটো কথা বলা দরকার,যিনি মতি সাংবাদিককে কাচারীবাড়ীর সালিশে একনায়কতন্ত্রের গামছা দিয়ে ধরে নিয়ে আসতে চান।

মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে একজন ব্যবসায়ী এবং আওয়ামীলীগের এটম শামসুজ্জামান গ্রুপ যারা ৭২-৭৫সালে ভিলেজ পলিটিক্স করে আমাদের জাতির জনকের হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে, তারাই সংঘবদ্ধ হয়ে শায়েস্তা করতে চাইছেন ঢাকা মিডিয়ার ভলতেয়ারকে। বঙ্গীয় সমাজে মতিভাইকে ভলতেয়ার বলায় ঢাকার অর্থ সংশয় সমাজ ভাববে আমার লণ্ড্রীর বিলটা হয়তো মতি ভাই দিয়ে দিচ্ছেন।
আর যারা আজকের কাগজ –ভোরের কাগজ হয়ে প্রথম আলো ঘুরে বিডিনিউজটোয়ন্টিফোর বা কালের কন্ঠে আছেন, তারা প্রত্যক্ষ করেছেন মতিউর রহমানের একগুয়ে দেশপ্রেম।

ঢাকা সাংবাদিকতার এই ক্ষত্রিয়কে বধের যে উদগ্র অভিলাশ নৌ শামসুজ্জামানের দেখছি তাতে সাদা কালো বাংলাছবির কথা মনে পড়ে।

মতির কন্যা প্রথম আলো ডাগুর ডুগুর হইছে,মিডিয়া পাড়াময় ফাল দিয়া দিয়া বেড়াইতছে। নৌমিয়া লতিফ মাতবর কে কনুই দিয়া গুতু দিয়ে বলে ,সম্মুখ দিয়া উইড়া যায় পক্ষীডা ক্যাডারে?
লতিফ মিয়া মতি মিয়ার ভিডায় ঘুঘু চরাইতে চায়। তাই তথ্যটা দিয়ে দেয়।
চিনলানা নৌমিয়া মতি মিয়ার মাইয়া প্রথম আলো।আহারে।
মতিরে আইতে কস। কতা আছে।

মতি মিয়ার ভাগ্য এই মাইয়াডা ডাগর হইয়া ঊডোনের লগে লগে মসজিদের হুজুর,স্মাগলার বসু মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সবার চোখ প্রথম আলোর দিকে।মতি মিয়ার টিনের চালে ঢিল পড়ে। মেম্বরের ট্যান্ডলরা মুখে টাঙ্গাইলের গামছা বেঁধে আসে।
মতি মিয়া বাড়ীর সামনে বৈঠক খানায় স্কুল খুলছে। সেইখানে বাচ্চারা অংক শেখে।
মেম্বররা ভয় পায়,বেবাগে অংক শিইখালাইলে প্যাচ দেওন যাইবো না।
মতি মিয়ারে থামান দরকার। সেতো চেরম্যানরেও পাত্তা দেয়না। হ্যারে একটা শিক্ষা দেয়া দরকার।

অগ্নিপথ নামের বলিউড ছবিতে একজন যৌনকর্মী পড়ার আগ্রহ দেখিয়ে গ্রামের এক শিক্ষককে ঘরে ডেকে মাতবরদের খবর দেয়। ব্যাস কলংক দিয়ে নিরাপরাধ মানুষটাকে গ্রামছাড়া করা।
মোটামুটি ভিলেজ কন্সপিরেসি থিওরী গোটা পাঁচ রকম হয়। মতি ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কেসস্টাডিতে উপরের দুটি উদাহরণ আপাতত যথেষ্ট।

আওয়ামী লীগের চাওয়াজীরা বঙ্গবন্ধুর কোন আগামীমনস্ক নির্দেশ বুঝতে না পেরে কম্বল চুরি করেছে। বঙ্গবন্ধু জিজ্ঞেস করেছেন ঐ চোর আমার কম্বল কই। তখন অদৃশ্য সাবানে হাত কচলাতে কচলাতে ৩২নম্বর থেকে বেরিয়ে গেছে। এখনো প্রধান মন্ত্রীর অধিকাংশ কথা এরা বোঝে না। গাইহারা বাছুরের মতো টিভি ইন্টারভিউতে ব্লান্ডার করে প্রতিদিন ভোট কমায়। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত আর জাসদের বাদল ভাইকে নিয়ে বসে আপনার কয়েকজন হাফরেড বাছুরের টিভি ইন্টারভিউয়ের ফুটএজ দেখলে বুঝবেন এরা কীভাবে আওয়ামীলীগকে ডুবাচ্ছে।তবে প্যারাসিটামল বা টাইলানল হাতের কাছে রাখবেন।

একটা পুচকে ছেলে টিভি ডান্ডা দেখালেই মন্ত্রীর স্কুলের হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকার কথা মনে পড়ে যায়। যদি একটার পর একটা টিভি ইন্টারভিউ দেখে জ্যোতস্না ফিরে আসে। আর এই দিকে ভোট কমে আওয়ামীলীগের। মন্ত্রী এমপি মুখ খুললেই ব্লান্ডার।

সাংবাদিক আওয়ামীলীগের নয়,বিএনপির নয়,মিডিয়া মালিক পক্ষের নয়,কারো নয় এমনকি নিজেরো নয়। সে আমজনতার। চতুর্থ রাষ্ট্রের ক্ষত্রিয়। বাংলাদেশে বিরোধীদল যখন ক্ষমতার ইঁদুর দৌড়ে ব্যস্ত।সংবাদপত্রই তখন বিরোধী দল। মতিউর রহমান সেই বিরোধী দল। আমরা মিডিয়া মুক্তিযুদ্ধের মৃত্যুঞ্জয়ী স্কোয়াড। আমরা রোমান্টিক অভিযাত্রী দল। আমরা মুক্তির পথ খুঁজছি যাতে ঢাকা ক্রমশ কুয়ালালামপুর বা বারবেডোস হয়ে ওঠে।

একটু লাতিন বামপন্থার ঢেউ থাকে,মানুষের মৌলিক অধিকার গুলোর কথা নৌমিয়ারা ভুলে না যান। লঞ্চডুবিতে নিয়মিত মানুষ মরছে,সে ব্যাপারে কিছুই করতে না পেরে মতিউর রহমানের ছিদ্র খুঁজে বেড়াতে হবে নৌমিয়াকে।

দুর্বল মন্ত্রীদের কর্মশালা করে সুরঞ্জিত-তোফায়েল-রাজ্জাক-মেনন-বাদল-মতিয়া প্রশিক্ষক দলকে দিয়ে বাছুরদের কমনসেন্স বাড়ানো জরুরী।আর নিয়মিত আয়োডিনযুক্ত লবণ পানি।তাহলে ২০২১ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় না থাকার কোন কারণ পাবেনা আমভোটার।

আর এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাহেন্দ্রকাল এখন ঐক্যের প্রয়োজন। ফালতু প্যাচাল বন্ধের অফিস অর্ডার জারী করা জরুরী। কারণ অর্থমন্ত্রী কথা-বার্তার ওপরে ভ্যাট নির্ধারণ না করায়,সর্বত্র কথার খই। কাজ কম-কথা বেশী।স্পীকার অবশ্য ভুল প্যাচালে একশো টাকা,খিস্তিতে পাঁচশো টাকা ধার্য করলে সংসদ ভবন শান্তিনিকেতন হয়ে যাবে। কারণ এটিএম শামসুজ্জামান তা পেঙ্গুইন হোক আর সানগ্লাস হোক কৃপণ অতিশয়।আমরা তাদের ফরেন টুরে পয়সা আর পেট বাঁচাতে চিঁড়ে খেতে দেখেছি।

আর মুজিব কোট পরে ঢোকার সময় দুইশো টাকা কস্টিউম ফি নেয়া দরকার।শিম্পাঞ্জী আমার জাতির পিতার কোট পরে বেড়াচ্ছে,খুব কষ্ট হয়।

মতিউর রহমানের প্রথম আলোর রেডকার্পেট প্রীতি সম্ভবত আজকে মতি ভাইয়ের জনপ্রিয়তা কিছুটা সংশয়াপন্ন হবার মূল কারণ। প্রথম আলো তো যাত্রার দল নয়। ভলতেয়ারের পাঠশালা। মেরিল মুলানরুশ যাত্রার নায়ক মতি ভাই হবেন এটা ভালো লাগেনা। কারণ সেলিব্রিটির সংগা বদলেছে। এখন মতি ভাই বা সাগর ভাই তারকা কারখানা বন্ধ করে তাদের সিরিয়াস কাজ করা আমজনতার জন্য প্রয়োজন। আর মতি ভাই কড়া বাম থেকে এখন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট উনি জানেন,রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়েছে,তাই বিলিগেটস তার মেয়েকে যেমন সামান্য টাকা দিয়ে সচ্ছল রেখেছেন কিন্তু রাজকন্যা হতে দেননি,সেটা আমরা ঢাকার লোক বুঝবো কবে।

প্রথম আলোর মাঝে কলকাতার আনন্দবাজারীয় দম্ভ চোখে পড়েছে। মতি ভাইকে কখনো কখনো অভীক সরকারের মতো ধমক দিতে দেখেছি আমার বন্ধু মুনির রানাকে। অকারণে। অবশ্য আমাদের বাপেরাও ঐ রকম অযৌক্তিক ধমক দিয়ে আমাদের বড় করেছেন। নইলে হয়তো আমরা অভি ভাই হতুম সবাই।

মতিউর রহমান আর তার প্রথম আলোর মিডিয়া হেজিমনির বিরুদ্ধে সতত লড়াই ব্লগে জারি থাকাটাই আলোকিত সমাজের সূচক। কিন্তু মন্ত্রীদের মতিউর রহমানকে দেশদ্রোহী প্রমাণের এই ষড়যন্ত্র অন্ধকার সমাজের প্রমাণ।আওয়ামীলীগের খলনায়কেরা কিছু সাংবাদিককে ফ্রিলোডার হতে দেখেই হয়তো ভেবেছেন মতিউর রহমানো সাংবাদিক,আমার পায়র কাছ হুইস্কির জন্য হুইস্কিং করা ম্যাডছাগু রোগগ্রস্ত লোকজনো সাংবাদিক,তাইলে একটা টোকা দিয়া দ্যাখন যায় বোধ হয়।
সাংবাদিকদের শান্তিপ্রিয় বুদ্ধিজীবী বা দুধভাত ভাবেন তারা দিন বদলের মুখস্ত কোরাস গেয়েছেন,এর মানে বোঝেননি। আমরা যেমন না বুঝেই গাই আলো আমার আলো সে যে আলোয় ভুবন ভরা।

ছবিঋণ,বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম।


মন্তব্য

Biplob Kumar Karmakar এর ছবি

নৌপরিবহণ মন্ত্রী এ টি এম শামসুজ্জামানকে দুটো কথা বলা দরকার,

Sorry for writting english.
Our Shipping minister is Shahjahan Khan not A T M Shamsuzzaman.

B-I-G Mistake.

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এইটা উনার ডাকনাম।এই নামে স্কুলের বন্ধুরা ক্ষেপাতো।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

বোহেমিয়ান এর ছবি

একটা ছোট্ট সমস্যা হয়ে গেছে! মন্ত্রীদের ডাক নাম আমাদের মত ২ পয়সার পাঠকরা কেম্নে জানবে? আমরা তো উনার সাথে স্কুলেও পড়ি নাই, স্কুলের বন্ধুদের সাথেও মেলামেশা করার সুযোগ পাই নাই।

প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত আর বাদল ভাইকে নিয়ে বসে আপনার কয়েকজন হাফরেড বাছুরের টিভি ইন্টারভিউয়ের ফুটএজ ...

এইখানে বাদলটাকে?

নতুন কিছু ইমো দরকার! কে কি কেন কেম্নে কী কিছুই না বুঝার ইমু!
ডেভুদের সাহায্য চাই!
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

জাসদের এমপি,উনি সংসদে ঐ ভিলেজ পলিটিক্সে দাঁড়িয়ে বলেছেন,মিডিয়া অতীতেও মুক্ত ছিল,ভবিষ্যতেও থাকবে। তার মানে লোকটা বাস্তববাদী।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

খুব খারাপ। পোস্ট না, ঘটনা। (পোস্ট ভালৈছে)
এটা নিশ্চিতভাবেই মিডিয়ার স্বাধীনতার ওপরে হস্তক্ষেপ। আচ্ছা, এই মতি কি সেই মতি?

auto

সেই মতি হলে মন্ত্রীর হাত-পা ধরে কিছু একটা ম্যানেজ করে ফেলতে বলেন, দেশপ্রেম চিরজীবি হোক।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

জাহামজেদ এর ছবি

আহারে কি একখান ছবি জলজ্যান্ত ইতিহাস, এটা কি রিফাত ফারজানার মেমোরী স্টিক থেকে পাইছেন নাকি ?

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভালো থাকবেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আমি জানি বলাইদা উনি খতিবের কাছে মাফ চেয়ে লিবেরেল সমাজকে কতটা হতাশ করেছেন। কিন্তু ঐ আট আনার হিসাব,প্রথম আলো পরিবারের মুখগুলো প্রেস ক্লাবের সামনে দেখতে চাননি।তাই সারেং বউয়ের মতো ব্লাসফেমাস আচরণ করলেন।মধ্যবিত্ত পরিবারের বাপের কতটুকু মুরোদ আপনি আমি জানি। ধন্যবাদ বলাইদা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দ্রোহী এর ছবি

কিন্তু ঐ আট আনার হিসাব,প্রথম আলো পরিবারের মুখগুলো প্রেস ক্লাবের সামনে দেখতে চাননি।তাই সারেং বউয়ের মতো ব্লাসফেমাস আচরণ করলেন।

auto









কাকস্য পরিবেদনা

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

অতীতের জজমিয়া নাটকের আওয়ামী ভিলেজ থিয়েটার চার্জ গঠনে রাজসাক্ষী বর্জ্য মিয়া।

সাজানো পথনাটকের পুনরাবৃত্তি। কাজ হবে না। সত্যর জয় হোক।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দ্রোহী এর ছবি

যাক, সাজানো পথনাটকের কথা শুনে আশ্বস্ত হলাম। ভেবেছিলাম ঘটনা সত্য বুঝি!

বাংলার ভলতেয়ারের জন্য শুভেচ্ছা। হো হো হো


কাকস্য পরিবেদনা

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মেম্বর, "আমায় একটি রশি কিনে দে মা ... " কি ভলতেয়ারের বাণী?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

না বস ক্ষুদিরামের।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মাসকাওয়াথ ভাই, এখানে হতাশার চেয়ে আসলে অর্জন বেশি। সেই অর্জনটা ভন্ড চিনতে পারার অর্জন। মতি নিশ্চিতভাবেই তার নিজস্ব পশ্চাদ্দেশ বাঁচাতে খতিবের হাতেপায়ে ধরেছিলেন, প্রথম আলো পরিবারের তাতে কোনো স্বার্থ থাকলে সেটা সেকেন্ডারি বিষয়। কারণ, আসল ভিক্টিম আরিফের এতে কোনো লাভ হয় নি, লস হয়েছে, মতির দৃঢ় অবস্থান আরিফকে প্রোটেকশন দিতে কাজে লাগতো। অথচ আরিফ এখনো মামলার ঝামেলা থেকে মুক্ত হয় নি।

এরকম ভন্ডকে দেশপ্রেমিক বানানো খুব কঠিন কাজ, খুবই কঠিন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

বলাইদা আমরা বড়লোক হয়ে ভুলে যাই একদিন আমিও একতা অফিসে বসা অসহায় আরিফ ছিলাম। মতি ভাই যথেষ্ট মানবিক নন। আশা করছি কাউকে এসাইন করবেন আরিফকে মিথ্যা হয়রানি মূলক শিল্পীর মানবতা বিরোধী এই অন্ধকার আইনের ফাঁদ থেকে বের করে আনতে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এখানে বিষয়টা মানবিকতার না, দায়িত্বের। আলুতে আঁকা কার্টুনের দায়িত্ব আরিফের একার না, দায়িত্বটা আলুর। সুতরাং মতির ভূমিকা এখানে মুস্তাহাব না-পালন না, ফরজ না-পালন। খতিবের কাছে কিসের জন্য গিয়েছিলো মতি? আলুর কার্টুন কি একটা অপরাধ ছিলো? ছিলো না। মতি খতিবের হাতে-পায়ে ধরে সেই নিরপরাধ কাজটাকে অপরাধ হিসেবেও সার্টিফাই করেছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সহমত। মতি ভাই ট্র্যাজিক হিরো। খতিব তার হামারশিয়া বা হুব্রিস বা নিয়তি।সাম্রাজ্যর পতন ঘটার জন্য ওই খতিব স্ক্যান্ডাল সেই নেমেসিস।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মতি কোনোভাবেই হিরো না। সে স্রেফ একটা যেকোনোমূল্যেনিজেরপশ্চাদ্দেশবাঁচানো লোক। এখানে কমেডির কিছু থাকলে থাকতে পারে; জিনিসটা হয়তো মতির জন্য একটু ট্রাজেডিই - তার চেহারা বেরিয়ে পড়ার ট্রাজেডি - কিন্তু পাবলিকের জন্য ট্রাজেডির কিছু নাই, স্রেফ আরেকটা মুখোশোৎপাটন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভিন্নমত পোষণে সহমত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভিন্নমতে সহমত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দ্রোহী এর ছবি

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল।

স্বাস্থ্যকর, প্রতিটি ফোঁটা।

auto










কাকস্য পরিবেদনা

জাহামজেদ এর ছবি

স্বাস্থ্যকর, প্রতিটি ফোঁটা

এই কথাটা এটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, রূপচাঁদা, স্বাস্থ্যকর, প্রতিটি ফোঁটা ।

auto

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মল্ট রুহ আফজার সঙ্গে গোয়ালন্দের ইলিশ ভাজার দাওয়াত রইলো।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ খুব খুশী হলাম। ভালো।খুব ভালো আপনি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মন্ত্রী যদি পত্রিকাকে দমিয়ে রাখতে চায় তার প্রতিবাদ অবশ্যই প্রয়োজন। এরাই আবার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে। মিডিয়াকে এখন কি বন্ধ রাখার উপায় আছে? আছে হয়তো; কিন্তু সেই পুরনো যুগে ফিরে যেতে হবে।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সাদাকালো ছবির ভিলেনদের দৌড়,ঘর হৈতে আঙ্গিনা বিদেশ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সাবিহ ওমর এর ছবি

I'm going back to the Matrix...মতি ভাই জিন্দাবাদ!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

শতবর্ষী হোউন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

তৌহিদুল ইসলাম [অতিথি] এর ছবি

মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে একজন ব্যবসায়ী এবং আওয়ামীলীগের এটম শামসুজ্জামান গ্রুপ যারা ৭২-৭৫সালে ভিলেজ পলিটিক্স করে আমাদের জাতির জনকের হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে, তারাই সংঘবদ্ধ হয়ে শায়েস্তা করতে চাইছেন ঢাকা মিডিয়ার ভলতেয়ারকে।

এটম শামসুজ্জামানের ৭২-৭৫ কালীন ভিলেজ পলিটিক্স নিয়ে একটু বিস্তারিত জানতে চাই । শুনেছি তিনি সে সময় জাসদ করতেন আর এতটাই মুজিব বিরধী ছিলেন যে ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ অফিসে গিয়ে জাতির জনকের ছবি ভাংচুর করেছিলেন । আসলেই কি ??

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ তথ্য দেবার জন্য। উনার ঠিকুজি যাচাই বাছাই করার পর পোস্ট দেব। ভালো থাকবেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

লায়ন কিং এর ছবি

এই পোস্টের বক্তব্যের সাথে সহমত।
কিছু মন্তব্যে পোস্টের মূল বিষয় (সংবাদপত্র বনাম সরকার) থেকে সরে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক এবং অন্যত্র আলোচনাযোগ্য (মতিউর রহমান-আরিফ-কার্টুন) আরেকটা ব্যাপার নিয়ে আসা এবং ব্যঙ্গাত্নক (তেলের ছবি) কথাবার্তার ব্যাপারটা ভালো লাগলো না মোটেই।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এটাইতো সমস্যারে ভাই। আমরা সবাই জানি, টিপাইমুখী বাঁধ হলে প্রবলেমটা কোথায়, কিন্তু সেটা নিয়ে যদি জামায়াত আন্দোলন শুরু করে, তাইলে সেই আন্দোলনে শরীক হওয়া যায় না। কারণ, উদ্দেশ্য। সরকার সংবাদপত্রের ওপরে নির্যাতন করলে সেই নির্যাতনের পক্ষে এখানে কেউ কথা বলছে না। কিন্তু পোস্টে যখন নির্যাতিত মতিকে ভলতেয়ার বানানো হয়, তখন আরিফ-কার্টুন এসে পড়ে। নির্যাতিত যে-ই হোক (যদি হয়ে থাকে), তার পক্ষে কথা বলার জন্য তাকে ভল্তেয়ার হতে হয় না, সে দুই সপ্তাহের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিক হলেও একই ট্রিটমেন্ট। সুতরাং যখন মতিকে ভল্তেয়ার বানানো হয়, তখন পোস্টের উদ্দেশ্য মতিতোষণ হয়, সরকারের কথিত সাংবাদিক-নির্যাতন হয় না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দ্রোহী এর ছবি

কিছু মন্তব্যে পোস্টের মূল বিষয় (সংবাদপত্র বনাম সরকার) থেকে সরে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক এবং অন্যত্র আলোচনাযোগ্য (মতিউর রহমান-আরিফ-কার্টুন) আরেকটা ব্যাপার নিয়ে আসা এবং ব্যঙ্গাত্নক (তেলের ছবি) কথাবার্তার ব্যাপারটা ভালো লাগলো না মোটেই।

লেখাটিতে বাংলার ভলতেয়ার কত বড় হরিদাস পাল তার বর্ণনা ছাড়া আর কিছুতো পেলাম না।

লেখাটি থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে যদি পোস্টের মূল বিষয়গুলো দেখিয়ে দিতেন বড় ভাল হত।


কাকস্য পরিবেদনা

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

জগতের সকল প্রাণ সুখী হোক।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

বলাইদা সহমত।আরিফের পক্ষে দাঁড়ানো উচিত। কিন্তু স্যার মতিতোষণ বললে কষ্ট পাই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বস, তাকে ভলতেয়ার বানাবেন আর সেটা মতিতোষণ না হয়ে যায় কোথায়? অবশ্য রিভার্স পোস্ট হলে হিসাব ভিন্ন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বলাই দা এক কালে ভালো ব্যাটসম্যান ছিলেন, বোঝা যায় দেঁতো হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এখন রাহুল দ্রাবিড়ের মতো ডিফেন্সিভ খেলি। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

স্বাধীন এর ছবি

কোন কালে শেবাগের মত হার্ড হিটার ছিলে হাসি ?

দ্রোহী এর ছবি

আরে কন কী? ২০০৬ এর দিকেও বলাইদা একাই জয়সুরিয়া-কালুভিথারানা জুটির চাইতে মারমুখি ছিলেন।

দুষ্টুলোকে বলতো দ্রোহী বলাইদার আরেকটা আইডি।


কাকস্য পরিবেদনা

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

কোথায় তাজমহল আর কোথায় তাজমহল রেস্টুরেন্ট।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

কোথায় তাজমহল আর কোথায় তাজমহল রেস্টুরেন্ট

কই মহারানী আর কই চুতমারানী
কই ভলতেয়ার আর কই মতি

দুঃখিত এর চাইতে ভালো কিছু পাইলামনা

...........................
Every Picture Tells a Story

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

বোঝা যায়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আরো অনেক কিছুই বুঝাইতে পারি, এরশাদের সেই সময়গুলাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে কানাচে আমারও যাতায়াত ছিল, কে কোথায় কী করেছে সেসব কিছু কিছু আমিও দেখেছি।

...........................
Every Picture Tells a Story

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

লিখুন স্যার আপনার হীরের নাকছাবি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

মাসকাওয়াথ আহসান সাহেব, চামড়া সামলে। অপেক্ষায় থাকুন।

...........................
Every Picture Tells a Story

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আচ্ছা জনাব।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সচল মুস্তাফিজ ভাই কতৃক আমার প্রাণ নাশ বা চামড়া তুলে নেবার ধমকটি এক্সপাঞ্জ করার অনুরোধ মডারেটর ও অহিংস সচলদের প্রতি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভয় পাবেন না, মারামারি করা ছেড়ে দিয়েছি। আপনি যেমন লেখায় কাউকে নেংটো করছেন আমারটা সেইরকমই একটা কথা মাত্র। আক্ষরিক অর্থে নেবার কোন কারণ নেই, আমার বয়স হয়েছে।
আমার বলার উদ্দেশ্য ছিলো সেইসময়ের কথা লেখার সময় আপনার প্রসঙ্গও আসবে যা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে।

...........................
Every Picture Tells a Story

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আপনি লিখবেন,আমরা পড়বো। শেষ পর্যন্ত সত্য জয়যুক্ত হবে।

রাজনীতিতে আসার প্রস্তুতি দীর্ঘদিনের কোনটাই কাকতাল নয়।যে কারণে বাম-আওয়ামীলীগ,সফট বিএনপি (অধুনা বিকল্পধারা) ছাড়া কোন বন্ধুর সঙ্গে মিশিনি। ট্র্যাক রেকর্ড আছে। ব্লগের আগে লিটিল ম্যাগ,নানারকম পেরিওডিক্যালস,রেডিও-টিভি এসব মাধ্যমের সব কাজে যুদ্ধাপরাধী-জামাত-শিবির,জঙ্গী বা হাওয়া দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষকে নিয়ে স্পেডকে স্পেড বলেছি। কাজেই ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার থাকলে সেখানে মাসকাওয়াথ আহসান ডাক পাবেই। আমি রাজনীতিতে শর্টকার্ট খুঁজতে আসিনি। মাসলোর হায়ারার্কি অব নিডস পূরণ করে রাজনীতিতে আমার সম্ভব ইনপুট দিচ্ছি। কারণ মাতৃভূমির প্রতি এই অঙ্গীকার প্রতিদিন স্কুল শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত শুনে আত্মস্থ করেছি। কাজেই মুক্তিযুদ্ধ,বঙ্গবন্ধু আর ধর্মনিরপেক্ষতার উপর আস্থা রেখে লেখক হিসেবে আমি যে কোন ভাবনার কথা লিখতে পারি।তাতে পাঠক প্রতিক্রিয়া চামড়া বাঁচানোর যুগে চলে গেলে ক্যালেন্ডার অচল হয়ে যাবে। এতো অসহিষ্ণু মধ্যযুগ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সিরাত এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই,

মাসকাওয়াথ আহসান ভাইয়ের লেখা এবং তথ্য নিয়ে আপত্তি থাকতেই পারছে, অনেকে করছেনও। কিন্তু এই নির্দিষ্ট মন্তব্যটি আমার কাছে ব্যক্তি আক্রমন মনে হয়েছে। আমি আপত্তি জানালাম।

অনুগ্রহ করে মনে করবেন না যে আমি কোন দল নিচ্ছি। সেটা আসলেই আমার উদ্দেশ্য নয়, ভাইয়া।

রাফি এর ছবি

সাধুবাদ।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

স্বাধীন এর ছবি

ব্যাটসম্যানেরা বলে ত্রিশের ঘরে ফর্মের পিকে থাকে, বলাইয়েরও সেরকম কাহিনী হয়তো। আমাদের আশরাফুল মনে হয় ত্রিশের ঘরে যাওয়ার জন্য আপাতত টীমের বাহিরে আছে (হাসি)।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার ২০০৪ থেকে শুরু, তুই দেখিস নাই। চোখ টিপি
২৫ বলে ফিফটি করে ম্যাচ জেতানো ইনিংস আছে। দেঁতো হাসি
তবে হার্ড হিটিংয়ের অপকারিতাও আছে। হিমুর এক ওভারে ৩৩ রান নেয়ার পরে হিমু ২ ঘন্টা লেটে খেলার মাঠে যেত, আমাদের প্লেয়ার শর্ট পড়তো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথী এর ছবি

আচ্ছা . . . ভলতেয়ার কি ক্রিকেট খেলত?!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

নদীর ধারে একটা পানশালায় বসে ভলতেয়ার ভাবনার টেস্টম্যাচ খেলেছেন। আর মার্কিন আর ফরাসী বিপ্লবের টোয়েন্টি টোয়েন্টি ভলতেয়ার ক্রিকেট দর্শন দারা প্রভাবিত। এমনকি আজকের ব্লগ ক্রিকেটেও তিনি প্রাসঙ্গিক।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

বলাইদা আমি ভলতেয়ার বললে তা উনি ম্যাকিয়াভেলী পড়বেন। আর আপনি তো ধরেই ফেলেছেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

স্বাধীন এর ছবি

আরিফের এখনো মামলাগুলো থেকে মুক্তি না পাওয়াটা খুব হতাশাজনক। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আইন শুধুই আরিফের মত মানুষদের জন্য। রাষ্ট্রপতি দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তদের কিংবা ফাঁসির আসামীদের ক্ষমা করে দিতে পারেন কিন্তু একজন কার্টুনিষ্টকে ক্ষমা করতে পারেন না। রাষ্ট্রপতি হয়তো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার মানুষদের রক্ষার্থে এটি করেছেন, কিন্তু তিনি সেটা করার মত সৎ সাহস রাখেননা আরিফের জন্য। আর প্রথম আলোর , বিশেষ করে মতিউর রহমানের , এই ক্ষেত্রে ভুমিকা আরো হতাশাজনক সেটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করতে চাই যে আমরা না জানলেও প্রথম আলো আরিফের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

যা হোক যে কারণে এই মন্তব্য আরিফের মা খুব অসুস্থ। সচলায়তনের পক্ষ থেকে আমরা এগিয়ে আসতে পারি আরিফের জন্য। দেশে ও দেশের বাহিরে যারা সাহয্য করতে আগ্রহী তারা উক্ত লিঙ্কে দেওয়া ব্যাঙ্ক ও পে-পাল একাউন্টে টাকা জমা দিতে পারেন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এক্ষুণি আরিফকে সাহায্য করা দরকার। যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দীন কাদর চৌ, মালিবাগ হত্যা অভিযোগে খাল্লাস ডা, ইকবাল,শাওনর জন্য আইন নাই।আইন শুধু আম কার্টুনিস্টের জন্য।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভলতেয়ার ও মতি ভাই!!!
সরি মাসকাওয়াথ ভাই, আপনার কাছ থেকে এই চানাচুর আশা করিনি। চানাচুরে বাদাম কিশমিশ পর্যন্ত খাওয়ানো যায়, কিন্তু দইবড়া দিলে পুরো চানাচুরের বিনাশ ঘটে। মতি ভাইয়ের প্রতি সহানুভুতিশীল থেকেও তুলনাটা হজম করতে পারলাম না।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভলতেয়ার প্রতিতুলনা সাংবাদিকতার সফল শিক্ষকের প্রতি তার ছাত্রের ভক্তির আদিখ্যেতাপ্রসূত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

ফারুক হাসান এর ছবি

কি করবেন বলেন, পাব্লিক খুব খ্রাপ। লিখলেন- এইখানে মতিবেন, না মতিলে পাঁচটাকা জরিমানা। পাব্লিকে এসে সেইটারে বানাইলো- এইখানে মতিবেন না, মতিলে পাঁচটাকা জরিমানা।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মাফ করবেন। বাপের বয়সী মানুষ নিয়ে লৈঙ্গিক বিতর্ক মডারেটেড ব্লগ সচলায়তনের নান্দনিক মিথষ্ক্রিয়া ভাবনার জন্য ক্ষতিকর।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

ফারুক হাসান এর ছবি

'বাপের বয়সী' এইটা তোফা বলেছেন। পুরো পোস্টের চেয়েও তেলতেলে হয়েছে। আর কোনটা ক্ষতিকর সেটা মডারেটরদের উপরই না হয় ছেড়ে দেন! বাপ-দাদাকে ডেকে কি লাভ বলেন! হাসি

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

জয়তু মডারেটর্স।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

নাহ, যত সুলিখিত শাকই হোক না কেন মতিউর রহমানের মতো মাছ ঢাকার জন্য অপর্যাপ্ত। প্রথম আলোর কীর্তিকলাপ চুনকাম করা এত সহজ না। পাবলিকেরও তো চোখ-কান আছে...

মন্তব্যের ঘরে দেখলাম মতিউর রহমানের সাফাই গাইলেন কার্টুনিস্ট আরিফকে স্কেপগোট করার ব্যাপারে। এটা সাংবাদিক হিসেবে আপনার এথিক্সকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। মতিউর রহমানকে হুদাই উপরে তুলতে গিয়ে নিজে এভাবে নেমে যাওয়া দৃষ্টিকটু লাগলো। সাংবাদিকতার কোনো সংজ্ঞা বা রীতি-নীতিতেই মতিউর রহমানের কার্যকলাপ গ্রহণযোগ্য না।

আপনি দেশ-বিদেশে সাংবাদিকতা করা মানুষ, গাঁও-গেরামের প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করা মানুষ না। এই রীতিগুলোয় স্রেফ মতিউর রহমানের মুখ রক্ষার জন্য আপোষ করাটা চোখে লাগলো। মতিউর রহমানকে ভলতেয়ার ডাকলেন এক মুখে, আরেক মুখে বললেন কার্টুনিস্ট আরিফের জন্য আমাদের আইনী ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া উচিত!

দুঃখজনক এই অন্ধ তৈলমর্দন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আমি ফ্রিউইল এজেন্ট। কোন তৈলাক্ত বাঁশে বসে নেই। উথথান পতনের আশংকা নেই। আমি লিখতে চাই,আমার ভাবনা গুলোকে মুক্তি দিতে চাই,রুটি-মাখনের মধ্যবিত্ত দৌড়ে সম্পাদকীয় কাজ ছাত্র পড়িয়ে যখন হাঁস ফাস লাগে তখন অন্ধকার আকাশে হাউই উড়াই যখন ইচ্ছে লেখার আমার ব্লগের খাতাজুড়ে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আচ্ছা, ভলতেয়ার কী ?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এন্টি-বামন, গালিভার, দা এনলাইটেনমেন্ট

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আপনার পদচিহ্নে কৃতার্থ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

জয়তু কৃতার্থতা। দেঁতো হাসি

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভলতেয়ার এক ভাবনার পোকা ফরাসী দেশে প্যারিসের পানশালায় বসে যে পোকাটি ফরাসী বিপ্লব আর মার্কিন্ বিল্পবের গান গেয়েছেন তরুণদের কানে কানে,সেই ভলতেয়ার পোকার ভুল প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দিয়ে মানুষের মুক্তির গান এখন কীবোর্ডের আসপাশজুড়ে। ভলতেয়ার পোকাটা যখন লিবেরালিজমের গান করে,ল্যাপটপের কীবোর্ড অকস্মাত পিয়ানোর রিড হয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আরিফ জেবতিক লিখেছেন:
আচ্ছা, ভলতেয়ার কী ?

প্রশ্নটা আমারো ছিল। একটু ঘাঁটাঘাটি করতেই উত্তর পেয়ে গেলাম।
ভলতেয়ার= ভালো তেল দেয়া তলোয়ার।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভালো আবিষ্কার।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মজা করেছি মাসকাওয়াথ ভাই। আপনার লেখাটা ভালোই ছিল কিন্তু বেশী গুরুভক্তি প্রকাশিত হওয়ায় মূল বক্তব্যটা ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

গুরুভক্তি মানুষের মৌলিক অধিকার।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

জাহামজেদ এর ছবি

আরিফ ভাই,

যায়যায়দিনে শফিক রেহমানের একটা প্রেস মেশিনের নাম ভলতেয়ার ছিলো ! সমকালে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে আমরা ওই মেশিনটা দেখতাম।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

জয়তু আবেদ খান জয়তু মতিউর রহমান ব্লগটা খুঁজে পাচ্ছি না। ঘ্যাচাং করলেন নাকী?

-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভুলবশত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

গোপাল ভাড় এর ছবি

এই লেখাটি পড়ার সময় সাবধান!
কাত করে পড়বেন না, তেল গড়িয়ে কাপড় নষ্ট হবে!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

রান্না চ্যানেলের রান্না দেখলে দর্শকের কাপড়ে তেল লাগে না,ব্লগে লাগবে কেন?
এতো সেই আসল গোপাল ভাঁড়ের গাছের আগায় ভাতের হাঁড়ি বেধে গোড়াতে আগুণ জেলে ভাত রাধার চেষ্টার কেচ্ছা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সাবিহ ওমর এর ছবি

এই পোস্ট স্টিকি করা হউক!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

জোক অব দ্য ব্লগ ইয়ার।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

আয়নামতি [অতিথি] এর ছবি

আহা আয়নামতি না হয়ে শুধুই যদি 'মতি' হতেম, এরাম ভলতেয়ার ট্রিটমেন্ট পেতেম! হা কপাল! পরজন্মে আমায় 'মতি' করেই পাঠিও। আপনি বড়ই কঠিন করে লেখেন, সব কিছু কঠিন করে ফেলেন, ওরকম ভীরুকেও ভলতেয়ার দেখলেন!!! আপনার বেশ কিছু লেখা পড়ে দাঁতের বেহাল অবস্হা করেছি। আমাদের মত মাধবীলতা বালিকাবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণী পাশ দেয়া লোকেদের জন্য কিছুটা সহজ পাচ্য লেখা দেয়া সম্ভব? ভালো থাকবেন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

লিখবোক্ষণ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ইন্টারনেটে সার্চ দিলেও ভলতেয়াঈরের কোট* পাওয়া যায়। আমি অল্পজ্ঞানী। গুগুলই সম্বল। নিচে ভলতেয়াঈরের কিছু কোট। যেহেতু এই পোস্ট তেনার নাম বারংবার আসতেসে।

ভলতেয়াঈর বলসেন মোতি সম্পর্কে
“Every man is guilty of all the good he didn't do”

ভলতেয়াঈর বলসেন বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সম্পর্কে
“It is dangerous to be right in matters on which the established authorities are wrong”

এ ছাড়াও ভলতেয়াঈর দুইটা দামী কথা বলসেন ...

(১)
“Prejudices are what fools use for reason.”

(২)
“Common sense is not so common.”

* ভলতেয়াঈরের কোট গায় দিলেই ভলতেয়াঈর হওয়া যায় না


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নুসদিন এর ছবি

ভলতেয়াঈর বলসেন মোতি সম্পর্কে
“Every man is guilty of all the good he didn't do”

ভলতেয়াঈর বলসেন বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সম্পর্কে
“It is dangerous to be right in matters on which the established authorities are wrong”

এ ছাড়াও ভলতেয়াঈর দুইটা দামী কথা বলসেন ...

(১)
“Prejudices are what fools use for reason.”

(২)
“Common sense is not so common.”

* ভলতেয়াঈরের কোট গায় দিলেই ভলতেয়াঈর হওয়া যায় না

চলুক চলুক

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

বাহ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আলোকিত হলাম।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সাবিহ ওমর এর ছবি

ভাইয়া এইবার কায়দে আজমরে নিয়া একটা পোস্ট দেন। জনগণের মধ্যে তাকে নিয়া অনেক কনফিউশন...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

দেঁতো হাসি

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

জিন্নাহ বোরিং। আই প্রেফার নেহরু।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

পোষ্টের বক্তব্য কোনটা? সংবাদপত্রের উপর রাঘব বোয়ালদের ক্ষোভ, নাকি মতি দ্য ভলতেয়ার? বুঝতে পারিনাই। এত তেল ছিল যে পিছলাইয়া অনেক দূর চলে গেছি।

অনন্ত

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সরি। আপনি ঠিকই ধরিয়াছেন। প্রথমোক্তটি। পরের প্রসঙ্গটিও জরুরী।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সাইদ এর ছবি

"জয়তু আবেদ খান জয়তু মতিউর রহমান" এই লেখাটায় আপনি বলেছিলেন আবেদ খান পারবেন, মতি হয়ত পারবে না এই জাতিয় কিছু। এখানে আবার মতিকে নায়ক বানিয়ে দিলেন।
আমি দ্বিধান্বিত চিন্তিত
আর ভাই ছোট মুখে একটা কথা বলি। এত কঠিন করে না লিখে কি পারা যায় না?
কিছু মনে করবেন না। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মাইকেল এঞ্জেলোর ডেভিড আর আমার মতি ভাই। যেভাবে ভাস্কর্য গড়বেন, শিল্পীর সাধীনতা।কনফিউশন কী।
আবেদ ভাই ফ্রেন্ডলি,মতি ভাই খিটমিটে। দুজনই ভালো সাংবাদিক।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সাইদ এর ছবি

আবার সেই কঠিন করে ঘুরিয়ে উত্তর দেয়া। ভাই আপনাকে তো কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বিপদে পড়ে যাবে। তবে আপনার যে সব কিছুতেই একটা সবজান্তা ভাব আছে এটা কেমন যেন। যাই হোক বড় মানুষ বড় কারবার।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মানুষ বড় ছোট হয় কী? মানুষের ভাবনা হয়ত হয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভলতেয়ার লোকটারে বেশ জ্ঞানী গুণী আর ভালো মানুষ বলেই জানতাম... এই অবস্থা নাকি তার? অ্যাঁ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসিব এর ছবি

ভলতেয়ার বহুত পল্টি খাওয়া লোক আছিলো। পরস্পর বিরোধী নানারকম কথাবার্তা খুঁজলে পাবেন। মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্রের রচনা থেকে শুরু করে কাগুজে পত্রিকা যার যেইটা যেইখানে দরকার সেইটার ব্যবহার সেইখানে হয়।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাইলে তো ঠিকই আছে...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভলতেয়ার কর্মীদের বেতন দিতেন না, মতি ভাইও বকেয়া রাখেন। অনেক মিল।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ঠিকই ধরেছেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অগ্নিবীণা এর ছবি

"মতি দ্য ভলতেয়ার" প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের একটা অমর বানী মনে পড়ে গেল, "অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে/ তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে"
দুঃখজনক এই অন্ধ স্তবস্তুতি!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আপনার কষ্টের কারণ হতে চাইনা।

তবে পাপ পূণ্যের বিচার এখন মানুষি করে। সৃষ্টিরাজ ডারুইনের আর কোন ক্ষমতা নাই দেখছি বিচার আচারের।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আরিফ জেবতিক লিখেছেন:
আচ্ছা, ভলতেয়ার কী ?

শুভাশীষ দাশ লিখেছেন:
এন্টি-বামন, গালিভার, দা এনলাইটেনমেন্ট

প্রকৃতিপ্রেমিক লিখেছেন:
প্রশ্নটা আমারো ছিল। একটু ঘাঁটাঘাটি করতেই উত্তর পেয়ে গেলাম। ভলতেয়ার= ভালো তেল দেয়া তলোয়ার।

ভলতেয়ারকে নিয়ে ঠাট্টা করা উচিৎ না। ভলতেয়ারের সাথে তেল, বামন, তলোয়ার - এসবের কোন সম্পর্ক নাই। ভলতেয়ার ফরাসী বিপ্লবের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং মহামানব গ্যালিলিওর সাক্ষাৎ শিক্ষক এবং গুরু। ইতিহাসের বইটা সোজা করে পড়তে শিখেন এখন থেকে।

তবে 'গ্যালিলিও কী' এমন প্রশ্ন যদি কেউ করে তাহলে বিপদে পড়ে যাব!

সাবিহ ওমর এর ছবি

মহামানব গ্যালিলিও ইস্রায়েলি ছিলেন না? তার গুরু ফরাসী বিপ্লব করে কেম্নে? ইস্রায়েলি বিপ্লব নাতো? একটু খতিয়ে দেখে বলেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

খতিয়ে দেখলাম। আপনি ঠিকই বলেছেন, উনি ইসরায়েলিই ছিলেন বটে। তবে ইস্রায়েলে বিগ-ইগো অথচ ওনার অগ্রসর কথা বোঝার মত আইকিউ-বিহীন স্রষ্টাদ্রোহী আধুনিক ফ্রাঙ্কেস্টাইন এবং নিজের অক্ষমতা বা খ্যাত না হতে পারার গ্লানিতে অন্যকে হিংসা করতে সিদ্ধহস্ত মূর্খ নব্য সেলিব্রেটি নির্বোধ ক্লাউনদের জ্বালাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ওদের গুডবাই বলে উনি ফ্রান্সে চলে গিয়েছিলেন। ওখানে উনি মহামতি ভলতেয়ারের কাছে আশ্রয় পান ও তার শিষ্যত্ব গ্রহন করেন। ইতিহাস সাক্ষী দেয়, মহাবিজ্ঞানী গ্যালিলিও একজন পার্সিকিউটেড প্রতিভা। উনার অগ্রসর কথাবার্তার জন্য আইকিউলেস ফ্রাঙ্কেস্টাইনরা ওনাকে অনেক ভুল বুঝেছে, যেমন কিনা ওনার গুরু ভলতেয়ারকেও ভুল বুঝেছে।

ভলতেয়ারের সেই বিখ্যাত উক্তিটার কথাই ধরুনঃ

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it."

মহামানব গ্যালিলিওর গুরু মহামতি ভলতেয়ার এত আইকিউলেস মূর্খ নব্য সেলিব্রেটি নির্বোধ ক্লাউন না যে একটা ততোধিক তুচ্ছ বোকা ব্যাকরনজ্ঞানহীন ছ্যামড়া লেখক বা বক্তার জন্য নিজের একরাতের ঘুমটাও হারাম করবেন।

উনি আসলে কি বলেছিলেন শুনুন :

"Think for yourselves and let others enjoy the privilege to do so too"

একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই এর আসল তাফসীরটা ধরতে পারবেন। সেটা হলোঃ বাবারা, নিজেদেরটা নিজেরাই বুঝো নিজের পশ্চাৎদেশ নিজেরাই সামলাও, আমারটা আমারেই বুঝতে দ্যাও। বিপদ হইলে আমার কাছে আইসো না। তুমি যতক্ষন নিরাপদ ততক্ষন আমার তোমাকে তালিয়া দিতে কোনই আপত্তি নাই - তোমার স্বাধীনতাতেও বাধা দিব না, কিন্তু তুমি বিপদে পড়লে বাবা আমার লেঞ্জা তুলিয়া পলায়নের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করিও না একইভাবে। স্বাধীনতা বলে কথা -- চিন্তার স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, কর্মের স্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা, পলায়নের স্বাধীনতা, বিশ্বাসঘাতকতার স্বাধীনতা। স্বাধীনতা মহামূল্যবান চীজ। ইহা হইতে কাহাকেও বঞ্চিত করিতে নাই।।

দেখতেই পাচ্ছেন, মহাজ্ঞানী মহামতি ভলতেয়ারদের জ্ঞানের সাগরের তীরে নুড়িটা কুড়ানোর যোগ্যতাও আধুনিক ফ্রাঙ্কেস্টাইন নির্বোধ ক্লাউনদের হয় নাই, হয় নাই এমন পঞ্চম সহস্রাব্দীয় অগ্রসর কথা বোঝার মত আইকিউ। তারা খালি খালি নিজের অক্ষমতার বা খ্যাত না হতে পারার গ্লানিতে অন্যকে অপমান বা হিংসা করার চেষ্টা করে। তাই সবার কাছে আমার অনুরোধ, আমরা যেন নির্বোধ ফ্রাঙ্কেস্টাইন না হই এবং হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে মনটাকে আকাশের মতো উদার করতে শিখি এবং বেশি বেশি করে মহামূল্যবান 'স্বাধীনতার' আরো বেশি মূল্য দিতে শিখি। বিশেষ করে মহামতিদের সময়মতো চোখ উলটে নেওয়ার স্বাধীনতার। তবেই আমরা গ্যালিলিও না হতে পারি, নিদেনপক্ষে তার শিষ্য হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবো।

সাবিহ ওমর এর ছবি

আজ আমি আলোকপ্রাপ্ত হইলাম। মূর্খ, নির্বোধ, আইকিউলেস ফ্রাঙ্কেস্টাইন, 'খ্যাত হতে না পারার' গ্লানিতে মূহ্যমান 'সেলিব্রেটি' ক্রাউনের দল আর তুচ্ছ বোকা ব্যাকরনজ্ঞানহীন ছ্যামড়া লেখক - দুই দলকেই নিন্দা আর অভিসম্পাত।

হে মহান শিক্ষক, হে পরম পিতা, আমায় আপনার পূণ্য পদপ্রান্তে ঠাঁই দিউন। ভলতেয়ারের আলোয় আলোকিত করুন। আমেন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মন্তব্যটি বুদ্ধিদীপ্ত, মনোমুগ্ধকর। আমরা সবাই এরকম আড্ডা দিতে শিখে যাবো।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

জী জনাব, ভলতেয়ারের সাথে মসকরা করা একদম উচিত হয় নাই। কিন্তু কথা হল গিয়ে মসকরাটা আসলে করেছে কে? চিন্তিত

অনন্ত

সাফি এর ছবি

পোস্ট পড়ে বোঝার চেয়ে মন্তব্য পড়েই বুঝি সহজে

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

বুঝলেই হোল কোনভাবে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

লেখক এর ছবি

এই পোস্ট দেখে হঠাৎ করে কা.জা.স্বাধীন ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেল। এটা স্বাধীন ভাইয়ের আরেকটা নিক নয় তো?

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

অনুমান ভ্যাটফ্রী।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দ্রোহী এর ছবি

মাসকাওয়াথ আহসান লিখেছেন:
কোথায় তাজমহল আর কোথায় তাজমহল রেস্টুরেন্ট।

সে কী! আপনি তারেক পাখি, ভলতেয়ারুর রহমান, আবেদ খান সবাইকেই তেল দেন কিন্তু আমার বেলায় এসে কৃপণতা কেন জনাব?

বলা তো যায় না ২০ বছর পরে যদি আমায় তেল দিতে হয়? তাই আগেভাগেই রাস্তা পরিষ্কার রাখার বুদ্ধিমানের কাজ না?

আমি বিখ্যাত হলে আপনাকে নিয়ে একটা সিনেমা বানাবো। সিনেমার নাম হবে "বাংলার তেলবাজ"। গড়াগড়ি দিয়া হাসি


কাকস্য পরিবেদনা

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মজাকে মজা হিসেবে নিতে শিখছি। ধন্যবাদ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

তাসনীম এর ছবি

আপনার পুরানো কিছু লেখা পড়ে দেখলাম। সচলের বাইরের আরো কিছু লেখাও পড়লাম। আমার মতে আপনি যেই সময় ও মেধা দিয়ে বিষণ্ণতার শহর লিখেছেন, সেই মেধা সচলে দিতে নারাজ। আমাদের প্রত্যশা পূরণ করা দূরে থাক, আপনি পাঠকের মতামতটুকুও গা করছেন না।

গতকাল মন্ত্রী সাহেবদের আস্ফালন দেখেছি টিভিতে। ওনারা মতি বধ করতে চান। ব্যাপারটা আমারো ভালো লাগে নি। কিন্তু এই লেখাটা তার যথার্থ জবাব হয় নি। আর মতিউর রহমানকে হিরোর ভূমিকায় বসাতে গেলে কার্টুনিস্ট আরিফের ব্যাপারটা আসবেই।

এক বালক প্রদায়ককে সিংহের খাঁচায় ঢুকিয়ে, খতিবের পদলেহন করে নিজের পিঠ বড়জোর বাঁচানো যায়, কিন্তু নায়ক হওয়া যায় না। বছরের পর বছর মৌলবাদীদের আস্কারা দিয়ে দিয়ে আমরা মাথায় তুলেছি, সম্পাদক সাহেব একটা ভালো আদর্শিক স্ট্যান্ড নিতে পারতেন, প্রথম আলোর মত পত্রিকা বন্ধের সাহস ১/১১ সরকার দেখাতে পারতো না।

মুক্তিযোদ্ধার এই দেশে নায়ক খুঁজে পেতে আপনার কষ্ট হবে না। আর ভাই, তৈলাক্ত জিনিস জিনিস কিন্তু দাহ্য হয়...

++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

কাকতালীয় ঘটনাই হয়ত বা -- এই মুহূর্তে ফেসবুকে আমার স্ট্যাটাস হচ্ছে নিচের প্রশ্নটি --
"প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান কি একজন হিরো নাকি ভিলেন ?"

আমার বন্ধুরা তাঁদের মত করে প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছে, আপনার কল্যাণে সচলায়তনের প্রিয় ব্লগাররা তাঁকে কী মনে করেন সেটাও জানা হল মাসকাওয়াথ ভাই ।

এখন পোস্টটা নিয়ে একটু আলাপ করা যাক--


আর যারা আজকের কাগজ –ভোরের কাগজ হয়ে প্রথম আলো ঘুরে বিডিনিউজটোয়ন্টিফোর বা কালের কন্ঠে আছেন, তারা প্রত্যক্ষ করেছেন মতিউর রহমানের একগুয়ে দেশপ্রেম

এমন কেউ যদি আসলেই থেকে থাকেন এবং আপনার এ লেখাটি যদি তাঁদের চোখে পড়ে থাকে-- তাহলে কিন্তু তাঁদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অন্তত এই ব্লগপোস্টে বলা উচিত । না হলে এই ব্লগপাঠক আমজনতা কিন্তু মনে করতে পারে ওইসব সংবাদমাধ্যমে কাজ করা এমন কেউ আসলে নাই যাঁরা মনে করেন মতিউর রহমান একজন একগুঁয়ে দেশপ্রেমিক। বাংলা ব্লগও যে এখন একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম এবং জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে --- এই সহজ সত্য বাস্তবতাটি বোধ হয় এখন সংবাদপত্রসহ অন্যান্য গণমাধ্যমের উপলব্ধি করার সময় চলে এসেছে ।


ঢাকা সাংবাদিকতার এই ক্ষত্রিয়কে বধের যে উদগ্র অভিলাশ নৌ শামসুজ্জামানের দেখছি তাতে সাদা কালো বাংলাছবির কথা মনে পড়ে

নৌ প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান খান চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিনা শুল্কে গাড়ি ছাড় করিয়ে দেয়ার ব্যবসা শুরু করেছেন এই টার্মে । এর বিরুদ্ধে প্রথম আলো নিয়মিত রিপোর্ট করলে তার তো মতিউর রহমানকে দেখে নেয়ার সুযোগের অপেক্ষাতেই থাকার কথা ।কিন্তু এই সব ভিলেজ পলিটিক্স যে বর্তমান বাংলাদেশে চলবে না -- আওয়ামী লীগের নেতৃ্ত্ব এই সহজ জিনিসটা যত আগে বুঝতে পারবে দেশ আর দলের জন্য তত আগে ভালো হবে । নাহলে আগামী নির্বাচনে যথাযথ মূল্য দিয়ে আশাকরি তাঁরা শিখতে পারবেন যদি তাঁদের বোধশক্তি থেকে থাকে ।


সাংবাদিক আওয়ামীলীগের নয়,বিএনপির নয়,মিডিয়া মালিক পক্ষের নয়,কারো নয় এমনকি নিজেরো নয়। সে আমজনতার। চতুর্থ রাষ্ট্রের ক্ষত্রিয়। বাংলাদেশে বিরোধীদল যখন ক্ষমতার ইঁদুর দৌড়ে ব্যস্ত।সংবাদপত্রই তখন বিরোধী দল।

আমি মনে করি বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি একটি বড় সত্য এবং কার্টুনিস্ট আরিফের সাথে চরম ন্যক্কারজনক ব্যবহার করার পরও যদি আমরা মতিউর রহমানকে এই জায়গায় প্রাপ্য ক্রেডিট না দেই তাহলে আমাদের জাজমেন্টটা ঠিক হবে না বলেই আমার মনে হয় । তবে এইবেলা বলে রাখি -- যেদিন আবিষ্কার করেছিলাম ট্রান্সকম গ্রুপের কোনো কু-কীর্তির খবর প্রথম আলোতে ছাপা হয় না আমি বোকা বলে সেদিন কষ্ট পেয়েছিলাম । তাই মিডিয়া মালিক পক্ষের নয়-- এই জিনিসটি মনে হয় সত্য নয় এখনো।


আর এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাহেন্দ্রকাল এখন ঐক্যের প্রয়োজন।

এখানে একটা কথা মনে পড়ল। ৯৯ সালে নামকরণবিরোধী আন্দোলনের কারণে যখন শাবি বন্ধ অনেকদিন ধরে, সে সময় দৈনিক কালের কন্ঠের বর্তমান সম্পাদক আবেদ খান মতিউর রহমান সম্পাদিত প্রথম আলোর উপসম্পাদকীয় পাতায় একটি কলাম লিখেছিলেন । অনেক বড় বড় অক্ষরে যার শিরোনাম ছিল-- "মুহম্মদ জাফর ইকবাল , আমরা আছি আপনার সাথে" ।

আর সেই আবেদ খান যখন আহমেদ আকবর সোবহান নামক ভূমিদস্যুটার অর্ডারে কালের কন্ঠে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার গল্প ফাঁদেন -- তখন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বুঝতে পারি কেন স্বাধীনতার ৩৯ বছর পরেও আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারি না, আর কেনই বা নিজামী আর মুজাহিদের মত জানোয়ারগুলা মন্ত্রীর গাড়িতে চড়ে এই বাংলাদেশে পতাকা উড়িয়ে ঘুরে বেড়ায় ।

আর আমার জানা মতে-- বাংলাদেশের সবচাইতে চৌকস আইনজীবীদের একটা দল সেই প্রতিকূল সময়ে কার্টুনিস্ট আরিফকে সহযোগিতা করেছিলেন । সেই ঘটনার পুরোটা আমরা জানতে পারলে হয়ত অনেক কিছুই বুঝতে অনেক সুবিধা হবে । আরিফই হয়ত সময় সুযোগ করে আমাদের জানাতে পারেন সেই সব কাহিনী বিস্তারিত --- হয়ত এই সচলায়তনের পাতাতেই তাঁর মা সুস্থ হয়ে ওঠার পর । দুর্ভাগা আরিফের মায়ের জন্য অনেক, অনেক, অনেক শুভকামনা ।

অতিথি লেখক এর ছবি

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

কুলদা রায় এর ছবি

*তি ভাইয়ের মতু এতু ভালু লুক আর হয় না গো। এই ভালু লুকটারে নিয়া আলুচুনা করাই দরকার। পরিড়লে ছুয়াব হইবে।
এখন কুশ্চেন হইলু কে কাহার শিষ্য? *তি ভাই শিষ্য--না ***** সাব শিষ্য। শিষ্য শব্দটা সঙসকৃত ঘেষা। উহা তালবেলেম হইলুই ভালু হইবে।
কারণ *তি সাব এখুনো ইলেকশনে খাড়াইতে পারেন নাই--***** সাব পাইরাছেন। আইচ্ছা, জানতে মুঞ্চায়--***** সাবের ইলেকশনের খরুচ যে পাকিস্তানী দিলুন তাইনু উনার কি লাগে?

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

**** সম্পাদিত মন্তব্য --- বেগুনী-মডু

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মডারেটর যখন প্রশ্নটিকে অফটপিক ভাবেন নি,তখন উত্তরটা দিই।

আমার নির্বাচনে প্রায় তিন হাজার ইউরো খরচ হয়েছে,এসেছে বিকল্প ধারার মাহী বি,ঢাকার উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মী শিবলীভাই, জার্মানীর ধূগো,দিল্লীর সাংবাদিক সুনন্দা রাও,কাবুলের সেক্যুলার রুহুল্লা ইয়াসির (বর্তমানে রেডিও জার্মানীতে,করাচীর টিভি সাংবাদিক মুন,সময়ের কাগজ ডট কম সম্পাদক বাকার আমার সাহিত্যের শিক্ষক আম্মার কাছ থেকে । কলকাতার সাংবাদিক চঞ্চল বুদ্ধিমোহর,ঢাকার টিভি সাংবাদিক কাওসার ভিজ্যুয়াল প্রমোশনাল উপহার দিয়েছেন,দি এডিটরের এমডি ডা। শামীম পোস্টার উপহার দিয়েছেন। বিডিনিউজের মুন্না চমতকার ডিজাইন করেছেন ভালোবশে।,ব্লগার রেজওয়ান ডিজিটাল কাভারেজ উপহার দিয়েছেন।। আর আমার অসংখ্য বন্ধু সেচ্ছাশ্রম দিয়েছে ছুটি নিয়ে। ঢাবির বিতার্কিকরা নিজখরচে প্রচারণায় অংশ নিয়েছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

বেগুনী-মডু এর ছবি

উপরের মন্তব্যটির আপত্তিকর অংশ মডারেশনের ফাঁক গলে প্রকাশ পেয়ে যাওয়ায় দুঃখিত। সাংবাদিকতা ও রাজনীতি নিয়ে লেখায় নির্বাচন-বিষয়ক প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক।

স্পর্শ এর ছবি

আইচ্ছা, জানতে মুঞ্চায়--***** সাবের ইলেকশনের খরুচ যে পাকিস্তানী দিলুন তাইনু উনার কি লাগে?

কুলদা রায়, আপনার মন্তব্যটি আপত্তিকর অভিযুক্ত করা হলো।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

***** সম্পাদিত মন্তব্য --- বেগুনী-মডু


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রাফি এর ছবি

গত কয়েকদিনে যা বুঝলাম এই পোস্ট লেখকের প্রতি ব্যক্তিআক্রমন করাকে 'হালাল' ঘোষণা করা হয়েছে।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

স্বাধীন এর ছবি

কুলদা'দা আপনার মন্তব্যটি ব্যক্তি আক্রমনের মাঝে পড়ে। এর মধ্যেই মন্তব্যটি আপত্তিকর হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছে, তারপরেও নিজের মতামতটি জানিয়ে গেলাম। লেখা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে, কিন্তু একজন সচলের নাম এভাবে বিকৃত করা মন্তব্য সচলায়তনে কাম্য হতে পারে না কোন ভাবেই।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শুধু আপত্তিকরই নয়, একজন সচলের নাম বিকৃতির অভিযোগও আনলাম।

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

পিপিদা,


ভলতেয়ার= ভালো তেল দেয়া তলোয়ার।

এই বাক্যটাতেও কি কারও নামবিকৃতির অভিযোগ আনা যায় ?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার মনে হয় নাম বিকৃতির সাথে ব্যঙ্গ করে নামের একটা অর্থ করা (যেটা আমি করেছি) এক জিনিস নয়। মাসকাওয়াথ ভাইয়ের সাথে আমার ফাইজলামির সম্পর্ক না থাকলেও ব্লগের সূত্রে এক ধরনের সম্পর্ক আছে। সেই সূত্র আমি তার লেখায় এই মন্তব্যটুকু করেছি। মন্তব্য করার পরে মাসকাওয়াথ ভাইয়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সেটা যে হালকা মজা করেছি সেটাও স্বীকার করেছি। (উপরের মন্তব্য টাইমস্ট্যাম্প সহ দেখুন।)

আপত্তিকর হতো যদি আমি ভলতেয়ার কে ভল্তু কিংবা আপনার নাম সেভাবে বিকৃতি করতাম। আর ঐতিহাসিক এরকম ব্যক্তিত্বকে নিয়ে নামবিকৃতি নতুন কিছু নয়।

আপনার যদি মনে হয় আপত্তিকর সেটা আপনি অভিযোগ হিসেবে সচলায়তনকে জানাতে পারেন।

পরস্পরিক সহযোগীতার মাধ্যমেই আমরা অনেককিছু শিখতে পারবো এবং এগিয়ে যাবো। আপনাকে ধন্যবাদ।

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

সময় নিয়ে ব্যাখ্যা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ বস । ভালো থাকবেন ।

বেগুনী-মডু এর ছবি

আপনার মন্তব্যটি স্পষ্টতই সচলায়তনের রীতি-বহির্ভূত। লেখকের আপত্তি না থাকলে তাঁকে ব্লগে ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করা যায়, তবে কোনো অবস্থায়ই সহ-সচলদের নাম বিকৃত করা যায় না।

আপনার মন্তব্যের আপত্তিকর অংশ সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে আপনার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার কথা বিবেচনা করা হবে। দ্বিমত ও দূরত্ব থাকতেই পারে, তবে সেটা শোভন ভাবে প্রকাশ করা বাঞ্ছনীয়।

প্রতিমন্তব্যে আপত্তিকর অংশ উদ্ধৃত হয়ে থাকলে সেটাও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপত্তিকর অভিযোগ করে বিষয়টি মডারেটরদের নজরে আনার জন্য ধন্যবাদ।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

এই পোস্ট নিয়ে কথা বলার অনেক ব্যাপার আছে। কিন্তু কুলদা ভাই কেন নির্বাচনের খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, বুঝলাম না! খুব দৃষ্টিকটু লাগলো ব্যাপারটা!

অনিকেত এর ছবি

আমার মনে হয় এই পোষ্ট নিয়ে সবার যা বলার তা এর মাঝেই বলা হয়ে গেছে। আলোচনা লেখার বিষয়বস্তু ছাপিয়ে,এড়িয়ে শেষাবধি নিষ্ঠুর ব্যক্তি আক্রমনে পর্যবসিত হয়েছে।

মাসকাওয়াথ ভাই এর অধিকাংশ লেখাই আমার জন্যে সহজপাচ্য হয়ত নয়। তার উপরে উনার আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে আমার দৃষ্টিভঙ্গীর তফাত রয়েছে অনেক। আমার মনে হয়েছে--- হয়ত তিনি খানিকটা বিতর্কিত হতেও পছন্দ করেন।

সেসব যাই হোক, তার দৃষ্টিভঙ্গী ও মতামত আমাদের পছন্দনীয় না হলেই এইরকম ব্যক্তি আক্রমণে নেমে পড়াটা অত্যন্ত বালখিল্য আচরণ। তার নাম বিকৃত করা, তার ব্যক্তিগত জীবনাচরণ নিয়ে কথা বলা এসব সর্বার্থেই দুঃখজনক আচরণ। সবচেয়ে দুঃখজনক মনে হল মডারেটরদের আচরণ। লেখক বেশ কয়েকবার মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করা চেষ্টা করেছেন বলে মনে হল।

আমার মনে হয়---যথেষ্ট বাদানুবাদ হয়েছে এই নিয়ে।
মডারেটররা দয়া করে এই পোষ্টে মন্তব্য গ্রহণ রহিত করুন এবং যেসব সচল অযথা ব্যক্তি আক্রমণে নেমে পড়েছেন তাদেরও সতর্ক করুণ।

বিরুদ্ধমতের প্রতি আমাদের সহনশীলতা আরেকটু বাড়ুক, ব্যক্তি আক্রমণ না করে অযথা শ্লেষ-ব্যঙ্গের আশ্রয় না নিয়ে যুক্তিবাদী আলোচনা হোক--এই কামনা।

কুলদা রায় এর ছবি

নির্বাচনের খরচের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করাটা অন্যায় কোথায়? বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে খরচের অংকটা তো কম নয়। লেখক তার নানা লেখায় নিজের সম্পর্কে বলছেন--তার পেশার কথা বলছেন, নানান লোকজনের বিষয়ে বলছেন, নানান লোকজন সম্পর্কে টিকা টিপ্পনী কাটছেন।
সর্বোপরি ওনার পার্মানেন্ট মন্তব্য আছে--'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়'।
এইসব দেখে শুনে যখন দেখতে পেলাম--ওনার নির্বাচনী খরচাখরচের একটা অংশ পাকিস্তানী (মহিলা বা পুরুষ বলে উল্লেখ করি নাই) মিলিটারি ঠিকানা থেকে আসছে, সুতরাং মনে প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক যে পাকিস্তানী মিলিটারীরা কেন টাকা দিচ্ছেন তার মত ব্যক্তিকে যিনি পাকিস্তানী মিলিটারি উৎস থেকে টাকা পয়সা পাচ্ছেন--তা দিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন--সুতরাং উৎসের সঙ্গে তার সম্পর্কটা জানা দরকার, তার লেখালেখির উদ্দেশ্যটা বোঝার চেষ্টা করা যেতে পারে। প্রশ্নটা আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্যও জরুরী (ফরহাদীয় স্টাইলে বললাম)।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে ভিনদেশী উৎস থেকে টাকা নেওয়াটা কি সন্দেহজনক নয়? সে সন্দেহ নিরসনের জন্য উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করাটাকে ব্যক্তি গীবত মনে করছেন কেন?

এবং পাকিস্তানী মিলিটারির সঙ্গে যার সম্পর্ক অতি ঘনিষ্ট---তিনি কী করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে এত ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন যে 'বিচারটা এখুনি--নইলে কোন দিন নয়' । এর ভেতরের ইঙ্গতটা বোঝার জন্যও ঐ পাকিস্তানী মিলিটারীর অর্থদাতা সম্পর্কে জানা দরকার।

আশা করি আমার মন্তব্যটা যে ব্যক্তি আক্রমণ নয়--সেটা পরিস্কার হয়েছে। আমি দেশের নিরাপত্তায় উদ্বিঘ্ণ হয়ে প্রশ্নটা করেছি।

এখন আমার সরিয়ে দেওয়া মন্তব্যটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী করছি।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

মুস্তাফিজ এর ছবি

লাইকাইলাম

...........................
Every Picture Tells a Story

বেগুনী-মডু এর ছবি

নির্বাচনী খরচ নিয়ে আপনার প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক, তাই তা প্রকাশযোগ্য। আপনার মন্তব্যের ঐ অংশ অপরিবর্তিত আছে। আপনি একজন সহসচলের নাম বিকৃত করেছিলেন আপনার মন্তব্যে। সেই অংশটি উল্লেখকৃত কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সহসচলদের নাম আপত্তিকর ভাবে বিকৃত করে মন্তব্য না করার অনুরোধ রইলো।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কুলদাদার তোলা প্রশ্নটা প্রাসঙ্গিক। প্রয়োজনীয়। এবং নামবিকৃতিটা এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ছিল বলে মনে হয়েছে।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

নির্বাচনীর হিসাব-নিকাশের প্রশ্ন নির্বাচন সংক্রান্ত পোস্টে আসা প্রাসঙ্গিক। এই পোস্টের আলোচনাটি কুলদা রায় প্রায় স্থবির করে মনোযোগ অনুমান ভিত্তিক ডিফেমশন এর দিকে নিয়ে গেলেন। মাত্র তিন হাজার ইউরোর অনুদান সবি বেসামরিক বন্ধুদের কাছ থেকে এসছে। মনোনয়ন পত্রে তা উল্লেখ করা আছে। বাংলাদেশ-ভারত-আফঘানিস্তান-পাকিস্তানের এই সাংবাদিকরা রেডিও জার্মানীর বা ডয়চেভেলের বছর পাঁচেকের কলিগ প্লাস বন্ধু। তারা বন শহরে বসে অঙ্গীকার করেছিলেন,আমি নির্বাচন করলে তারা কিছু ইউরো উপহার দেবে। এরা জার্মানী থেকে কলকাতা,দিল্লী,করাচীতে ফিরে রেডিও,সংবাদপত্র,টিভিতে সিনিয়র পদে কাজ করছে। এরা পরিচিত মানূষ,অখ্যাত অজ্ঞাত কেউ নয়।কোন মিলিটারীকে এই প্যারানয়ায় যুক্ত করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আপনি অনুসন্ধানের সময় হয়তো কারো বাসার ঠিকানা দেখে বিভ্রান্ত হয়েছেন। ঢাকা-দিল্লী-করাচীর ডিওএইচ এসে সিভিলিয়ানরাও থাকেন,সাংবাদিক,মুচি সবাই থাকতে পারে সামর্থ থাকলে। শুধু ঠিকানা দেখে বিভ্রান্ত না হয়ে নামটা গুগল করুন। খুব গুণী,সেক্যুলার সাংবাদিক এরা,মিলিটারীদের শাসনএর বিরুদ্ধে সোচ্চার সাংবাদিক,আমার বন্ধু হবার কারণে তারা সচলায়তনে ডিফেমেশনের শিকার হলেন। আশা করছি মডারেটররা,এই পোস্টের এই কুলদা রায়ের মন্তব্যটি, নির্বাচন সংক্রান্ত পেপে বাঙ্গীর পোস্টে সরিয়ে নিতে বলবেন বা ভিত্তিহীন ডিফেমেশন থেকে ঐ ব্যক্তিকে বিরত রাখবেন। অনেক ধন্যবাদ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

কুলদা রায় এর ছবি

এখন প্রশ্ন হল--নামের বিকৃতি সাধন কতটা হল।

সাধারণত দর্ঘি এবং জটিল নাম থাকলে সেটা সংক্ষিপ্ত করেই ডাকা হয়-- আমি যেখানে আছি সেখানে এই রীতিটাই দেখি। যেমন মাসকাওয়াথ আহসান নামটি একটি দীর্ঘই লাগে। আমি সংক্ষেপে লিখেছিলাম--মাস্ক। মাসক+আহসান ধরে নিয়েই নামের প্রথম অংশটা বলার সুবধার্থে লিখেছি মাস্ক। এটা টাইপজনিত কারণে মাসক না হয়ে মাস্ক হয়ে গেছে। এটাকে দোষ ধরলে বিশ্বগ্রাম ভাবনাটাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। ব্লগ তো আর ঘেরাটোপে নেই। বিশ্বগ্রামে আছে। বিশ্বসংস্কৃতির হাওয়া এসে দোলা দেবে এটা খুব স্বাভাবিক। সুতরাং নামের সংক্ষিপ্তকরণটাকে ব্যাঙ্গার্থে না ধরে ইতিবাচক ভাবেই ধরা যেতে পারে।

আর মাঝে মাঝে আমি আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে কাজ করি। দীর্ঘদিন ময়মনসিংহ ছিলাম। ওখানে ও-কারকে উ-কারের মত উচ্চারণ করা হয়। যেমন চোরকে চুর। আলোকে আলু। এখন মতিকে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক উচ্চারণে মুতি বললে তো সমস্যা দেখি না। সমস্যা দেখলে তো পুরা আঞ্চলিক ভাষাটাকেই অভিযুক্ত করতে হয়।

সবোর্পরি মতিউর রহমান সচল না বলেই জানি। সুতরাং সচলের নাম বিকৃত করার অভিযোগটি তার বেলায় প্রযুক্ত নয় বলেই আমার ধারণা।
আশা করি আমার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিস্কার করা গেল যে, আমি কাউকেই ব্যাঙ্গ করি নাই তাদের নাম নিয়ে।
সুতরাং আমাকে উক্ত অভিযোগ থেকে রেহাই দেহাই জন্য মডুদের সিদ্ধান্তটি পূনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করছি।

তারপরও যদি কেউ আমার মন্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকেন আমার স্টাইলটি অনুবাধন করতে না পারার জন্য --সেজন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

গোলকায়নের অভিঘাতে বাংলাভাষী,বাঙ্গালী সচলের নাম বিকৃতির ধারা যদি ব্লগে আসে,তাহলে এটুকু আধুনিক মননের উদ্ভাস জরুরী,যখন কাল্পনিক ডিফেমেশন নিয়ে কেউ এগিয়ে আসেন, অনুমান করে অন্যদেশের ইন্ট্যারন্যাশনাল ব্রডকাস্টারকে মিলিটারী হিসেবে অভিহিত করে পাঠকদের মাঝে একজন লেখক-ব্লগার,ই-বাংলাদেশডট অর্গ ও দ্য এডিটর ডটনেটের সম্পাদক সম্পর্কে ষড়যন্ত্রসূত্র প্রচার করেন,আর সচলায়তন সেই প্লাটফর্ম হয়,তখন আমার ধারণা কূলদা রায় একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষ হয়ে গোলকায়নের মূল সূত্রটি অগ্রাহ্য করছেন। আপনি যদি কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন,নানাদেশের নানা ধর্ম-বর্ণের বন্ধু হবে আপনার। আমার ইহুদী সাংবাদিক বন্ধুও আছে।সেটাই একবিংশের দাবী।কিন্তু আমাদের বন্ধুতার ভিত্তি সেক্যুলারিজম এবং যেকোন ধরণের উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সহ-অবস্থান। কাজেই এই প্রায় মধ্যযুগীয় কল্পনা প্রসূত ভয়ংকর ডিফেমেশন প্রবণতা অনলাইন সংস্কৃতির জন্য সুইসাইডাল বলে প্রতীয়মান হয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

কুলদা রায় এর ছবি

১) আওয়ামীলীগের এটম শামসুজ্জামান-- এই এটম শব্দটি কি নাম বিকৃত নয়? উনি তো আপনার লেখায় পড়েছি একজন বিখ্যাত লোক। তাইলে ওনাকে এটম বলছেন কেন? ওনার নাম যদি এটিএম হয় তাহলে এটম কি বিকৃত নয়?

২) মতিরহমান রহমান নামে একজন সাংবাদিক আছেন--প্রথম আলোর সম্পাদক। ওনার নাম মতিউর রহমান। আপনি তাকে কেন মতি বলছেন? এটা কি নাম বিকৃত করা নয়?

৩) গোলকায়নের মূল সূত্রটি--জানার ইচ্ছে করছে।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বস, আপনের মূল উদ্দেশ্যটা কী, বলেন তো! এরকম ত্যানা প্যাঁচাচ্ছেন ক্যান?

আপনি যে মাসকাওয়াথ আহসান-কে মাস্কো (এটাই আপনি লিখেছিলেন, কিন্তু মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন 'মাস্ক'। দোষ দিলেন টাইপিং এর কাঁধে। বুঝলাম আপনি অভ্র ফোনেটিক ব্যবহার করে টাইপান। কিন্তু এর পরে অভ্রতে একটা 'ও-কার' দিতে হলে শিফট O চাপতে হয়। এইটা ইচ্ছাকৃত না হলে টাইপিং মিসটেক-এ ক্যামনে হয়, বলেন তো!) বা মাস্ক লিখেছেন, সেটাই কি জায়েজ করতে চাইছেন?

আমি যদি আপনাকে কুলু, কালা, কুলা, কুরা এগুলো বলে সম্বোধন শুরু করি ভালো লাগবে আপনার?

সচলে নজু ভাইকে 'নজু' ডাকের প্রচলনটা আমিই করেছি। শুধু তিনিই নন, আরও অনেককেই অনেকভাবে ডাকা হয়। জেবতিক ভাইকে সামুর আমল থেকেই বেগতিক নামে ডেকে আসতেছি। কনফুসিয়াসকে 'কুংফু', মুস্তাফিজ ভাইকে 'বাউল', নজমুল আলবাবকে 'রং নাম্বার বাউল', সুমন চৌধুরীকে 'বদ্দা'- প্রভৃতি নামে ডেকে আসতেছি শুরু থেকেই। তাঁরা কখনো এগুলো নিয়ে বিরক্ত হয়েছেন বলে মনে পড়ে না। হোন নি কারণ এই নামগুলো ব্যবহারের পিছনে আপনার মতো আঞ্চলিক ভাষায় কাজ করার বিশেষজ্ঞতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নি কেউ। আপনি নিজের দাবীকে জাস্টিফাই করার জন্য 'নজু ভাইকে নজু ডাকা হয়' এটা টেনে আনার মানে কী?



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুকচলুকচলুক
(গুড়)
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

কুলদা রায় এর ছবি

মাসকাওয়াথ আহসানের নাম সংক্ষিপ্তকরণ বিষয়ে আমি দুটো ব্যাখ্যা দিয়েছি। বুঝতে পেরেছি--প্রথম ব্যখ্যায় আপনি সন্তুষ্ট নন। দ্বিতীয় ব্যাখ্যা বিষয়ে আপনি কিছু বলেন নি।

একই অপরাধে যখন মাসকাওয়াথ আহসান অপরাধী তখন তাকে অভিযুক্ত না করে কেবল আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এটা অসমদর্শী ব্যবহার। এটা আমার জন্য হয়রাণীমূলক। এজন্য আমি কথা বলছি। এটাকে ত্যানা প্যাচানো কেন বলছেন? বস, এই শব্দ কতটা সুশীল?

আর আপনার মন্তব্য থেকে দেখা যাচ্ছে নামের এই সংক্ষিপ্তকরণ সচলে অভূতপূর্ব নয়। তাহলে আমার করা সংক্ষিপ্তকরণকে অভিযুক্ত করা হল কেন? এই অভিযোগ থেকে অব্যহতি পাওয়ার জন্যই আমি নজু ভাইয়ের উদাহরণটি টেনেছি।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আবারো সেই একই প্যাচাল। কোট করলে পুরো মন্তব্যটাই করতে হয়, তাই করলাম না।
ভাই, আপনার কি আমার বাংলা বুঝতে অসুবিধা হয় কোনো? কোনো আঞ্চলিক ভাষায় না, একেবারে প্লেইন বাংলায় বলতেছি।

টাইমস্প্যানে তাকিয়ে দেখলে বুঝবেন আপনার দ্বিতীয় মন্তব্যটিতেই আমি মন্তব্য করেছি। আর আপনার মন্তব্য তো দুইটাতেই সেই একই কথা, "অমুকে তমুক জায়গায় সমুকটা কৈছে, তাই আমি যেটা কৈলাম সেইটাও ঠিক।" এইটাই যদি বলবেন তাইলে আবার টাইপিং মিস্টেক, আঞ্চলিক ভাষার গবেষণা- এগুলা টানেন ক্যান?



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

পোস্ট একটি ফিউশন-ফিকশন সীমানা। মন্তব্য তা নয়। স্যাটায়ার মন্তব্যে আসতে পারে,কিন্তু মন্তব্যে নাম বিকৃত করা সচল-সংস্কৃতির জন্য আশা জাগানিয়া নয়।

আর গোলক সূত্র,ঔদার্য,সংশয় জাগলে গুগল সার্চ করে বা যেহেতু সিনিয়র সাংবাদিক তার সম্পর্কে জানতে তার আর্টিক্যল পড়ে খোঁজ নেয়া যায়,দরকার হলে তার টিভি অফিসে ফোন করে তার সঙ্গেই কথা বলা যায় যে উনি চীফ রিপোর্টার না কর্ণেল। জলপাই কখনো চীফ রিপোর্টার হতে পারে কী,চীফ অফ আর্মি স্টাফ হয়।
আপনি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ। অনুমান নির্ভর কথা তিনবার লিখে আপনি নিজের প্রতিই অবিচার করলেন। ভালো থাকবেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আইচ্ছা, জানতে মুঞ্চায়--***** সাবের ইলেকশনের খরুচ যে পাকিস্তানী দিলুন তাইনু উনার কি লাগে?

আপনি বাঙালিকে বোঝাচ্ছেন আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার? উপরের যে লাইনটা আমি আপনার মন্তব্য থেকে কোট করলাম সেটার কী মানে হয় সেটা যদি ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হয় তাহলে তেমন মন্তব্য আপত্তিকর বলা কি অসঙ্গত?

কুলদা রায় এর ছবি

এই বিষয়ে আমি আমার বক্তব্য দিয়েছি। স্পষ্টভাবে বলেছি--যিনি ওনার খরচটা দিয়েছেন--তার সঙ্গে লেখকের সম্পর্কটা কি? আমি জানতে চেয়েছি--যিনি বাংলাদেশের নির্বাচনে পদপার্থী তাকে পাকিস্তানের মিলিটারি এলাকার যে একজন অর্থ সাহায্য করলেন--তার সঙ্গে ওনার ব্যক্তিগত সম্পকর্টা কি? আমি তো বলি নি যে--পুরুষ বা মহিলা। একজন ব্যক্তির সম্পর্ক বিষয়ে প্রশ্ন করেচি। কারণ পাকিস্তানী মিলিটারির লোকজন কেন বাংলাদেশের নির্বাচনে একজন প্রার্থীর পক্ষে টাকা পয়সা দেবেন যে পাকিস্তানী মিলিটারির একাত্তরের ভূমিকা দানবীয়।

সন্দেহজনক বিদেশী অর্থদাতা সম্পর্কে জানাটা আমাদের রাষ্ট্রের জন্য জরুরী। সেই হিসাবে আমার মন্তব্য মোটেই আপত্তিজনক হয় না বলেই আমার ধারণা। আপনার ধারণা অন্য রকম হতে পারে। সেটা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই।
এখন নাম নিয়ে যে আপত্তিটা করলেন মাসকাওয়াথ আহসান--তিনি তো দেখি আমরা নামটাই বিকৃত করে লিখলেন--কূলদা। আমার নামতো কূলদা নয়--কুলদা রায়, কুলদা বললেও হত। কিন্তু দীর্ঘ-উ কী করে উনি দিলেন। এটা নিয়ে তো আমি আপত্তি তুলি নি। এবং সচল নজরুল ইসলামকে তো দেখি এখানে হরহামেশা সংক্ষিপ্ত নজু ভাই নামে বলা হয়--তখন তো তিনি বা অন্য কেউ নাম বিকৃততকরণের অভিযোগ তোলেন নি।

আমার আগের ব্যাখ্যায় কি মডুবৃন্দ সন্তুষ্ট নন? সন্তুষ্ট হলে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করার অনুরোধ করছি। আর সন্তুষ্ট না হলে তার কারণ জানানোর জন্যও অনুরোধ করছি।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কুলদা রায় লিখেছেন:
আমার আগের ব্যাখ্যায় কি মডুবৃন্দ সন্তুষ্ট নন? সন্তুষ্ট হলে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করার অনুরোধ করছি। আর সন্তুষ্ট না হলে তার কারণ জানানোর জন্যও অনুরোধ করছি।

কুলদা ভাই, আপনি একই জিনিস বারবার বলছেন যেন আপনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়। প্রথমে বললে আপনার মোছা মন্তব্যটি যেন ফিরিয়ে আনা হয়, অথচ আপনার কোন মন্তব্য মোছা হয়েছে বলে অন্তত আমার নজরে আসেনি।

দ্বিতীয়ত জবাবে সন্তষ্ট না হলে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়ার যে দাবী আপনি করছেন সেটার যথাযথ উপায় হলো কনট্যাক্ট এট সচলায়তন.কম-এ মেইল করা।

অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি মডুদের কাজে অসন্তষ্ট হয়ে বা ব্যাখ্যা দাবী করে প্রকাশ্য মন্তব্যে দেয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয় (এর আগেও এরকম ঘটেছে, যদিও এই মুহূর্তে লিংক দিতে পারছি না)। এর অনেক কারণ আছে যার মধ্যে একটি কারণ সম্ভবত মডুরা যেহেতু অদৃশ্য তাই অদৃশ্য কারো সাথে প্রকাশ্য-মন্তব্যে বাদানুবাদ বা যুক্তি তর্ক পরিবেশের জন্য সুস্থ নয়। নিতান্তই অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া ধারণার আলোকে বলছি।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

কুলদা রায় তৃতীয়বারের মতো একি প্রশ্ন নিয়ে হাজির।

পাকিস্তানের মিলিটারি এলাকার যে একজন অর্থ সাহায্য করলেন--তার সঙ্গে ওনার ব্যক্তিগত সম্পকর্টা কি?

এর উত্তর দুইবার দেয়া হয়েছে। সাংবাদিক,কৃষক,মুচি,অনাবাসী যে কেউ ঢাকা-করাচী-দিল্লী-কাবুলের সামরিক আবাসন প্রকল্পএ জমি কিনে বাড়ি করতে পারেন। রাজউকের মতোই ব্যাপারটা। কাজেই সাংবাদিক সেখানে বাস করতে পারেন,সাংবাদিক বন্ধুর ছেলের বিয়ে বা ইলেকশনে অল্প কিছু টাকা পাঠাতে পারেন। এই ব্যাখ্যা পাবার পরেও মিথ্যাকে তিনবার উচ্চারণের মাধ্যমে আক্রান্ত লেখকের ক্যারেকটার এসাসিনের গোয়বলসীয় অপরাধ করে চলেছেন কুলদা বাবু। মডারেটররা গভীর নির্লিপ্ততায় দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ দেখছেন। এ আসলে জোয়ান অব আর্কের চিতা। তরুণরা ভবিষ্যতে এই পোস্টের ছাইগাদা থেকে ফিনিক্স খুঁজে পাবে। কুলদা রায় থাকবেন আমাদের স্মৃতিজুড়ে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

কুলদা রায় এর ছবি

আমার মন্তব্য সংশোধন করা হয়েছে। কিছু কিছু শব্দ বা অক্ষর মুছে দেওয়া হয়েছে। এই মুছে দেওয়াটাকেই আমার মন্তব্য মুছে দেওয়া মনে হয়েছে।
আমি কেন অই ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছি--তার ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে নাম বিকৃত করার অভিযোগ আনা হল এবং যে কারণে আমার মন্তব্যের অক্ষর বা শব্দ মুছে দেওয়া সেই একই কারণে অভিযুক্ত মাসকাওয়াথ আহসান (মতি, এটম)। আরও খুজলে আরও এধরনের ভয়াবহ বিকৃতি আবিষ্কার করা যাবে। সেটা আমার কাজ নয়।

১) দৃশ্য বা অদৃশ্য হন--তারা দেবতা নন। কোন অভিযোগ এলেই অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এবং অভিযোগটি নিশ্চিত না হয়ে কেন তারা কোন মন্তব্য মুছে দেবেন বা এডিট করবেন? আমি আমার ব্যখ্যা প্রদান করেছি--সুতরাং তাদের এই এডিট করার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখার কারণ জানতে চাওয়াই সঙ্গত। যদি তারা তা না করেন--তাহলে ধরে নিতে হবে তারা সমদর্শী নন। তাদের মতে কুলদা রায় শুদ্র এবং মাসকাওয়াথ ক্ষত্রিয়?

২) মডু সরাসরি নোটের মন্তব্য থেকে এডিট করেছেন। তারাতো আমার কাছে মেইল করে ব্যাখ্যা জানতে চান নি। তাহলে আমি কেন এই কনটাক্ট এট সচলায়তনে যাব? আমি এখানেই দাবী তুলব।

৩)
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

কুলদা রায় এর ছবি

এইসব নাম ধাম নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। আমার মাথা ব্যথা আছে মাসকাওয়াথ আহসানের নির্বাচনের টাকার উৎস সম্পর্কে সঙ্গত প্রশ্ন তোলা। সেটাই আমার অভীষ্ট ছিল।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সহব্লগার রেজোয়ান ভাইয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখেছিলাম- ' থামলে ভালো লাগে, কিন্তু আমরা জানিনা কোথায় থামতে হয়'

মাসকাওয়াথ আহসানের প্রায় পোষ্টে একই ঘটনা ঘটছে। উনি উনার মতো বিতর্কিত ভঙ্গীতে লিখছেন( অনেকগুলো পোষ্টে পাঠকের আপত্তি স্বত্বেও এই ভঙ্গী বদলানোর কোন লক্ষন উনার নেই, হয়তো ইচ্ছাই নেই)। সহজাত ভাবেই বেশীরভাগ সহ-সচল মন্তব্য, তর্ক-বিতর্ক করছেন, মাসকাওয়াথ আহসান তার মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে ও পোষ্টের সেই বিতর্কিত ভঙ্গীটি বজায় রাখছেন। ফলে তর্ক-বিতর্ক লম্বা হতে হতে কুতর্কে যাচ্ছে, প্রসঙ্গ পেরিয়ে অপ্রসঙ্গে, শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত আক্রমন।

কুলদা রায় নির্বাচনী ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, এই পোষ্টের সাথে সরাসরি প্রাসংগিক না হলে ও গোটা বিষয় বিবেচনায় অপ্রাসঙ্গিক নয়। মাসকাওয়াথ আহসান ও তার জবাব দিয়েছেন। ব্যাস- শেষ হয়ে যাওয়া উচিত।

কুলদা রায় সহ অন্য সকলকে বিনীত নিবেদন- তর্ক বিতর্কের কোন পর্যায়ে মেজাজ বেশী খিটমিট হলে পোষ্ট থেকে সরে যান। শেষপর্যন্ত এটা ব্লগ, হাডুডু খেলার মাঠ নয়।তর্ক-বিতর্ক যাই করেন, একটা সীমানার ভেতর থেকেই করতে হবে।

দয়া করে আমাকে আবার কেউ তেড়ে আসবেননা। বিবেকের ভূমিকায় খেলার কোন ইচ্ছে নেই। সহব্লগার হিসেবে একটা সুস্থ পরিবেশে তর্ক বিতর্ক আলোচনা চালানোর দাবী জানিয়ে গেলাম।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাবিহ ওমর এর ছবি

এই মড়ার পোস্টে মন্তব্য বন্ধ হয় না ক্যান?

বিদ্রঃ 'মড়া' শব্দটা কিন্তু মাসকাওয়াথ আহসান নামের বিকৃতি-টিকৃতি না, ফিগার অফ স্পিচ...

নীল-মডু এর ছবি

এই পোস্টে মন্তব্যের সুযোগ রহিত করা হলো।