(১)
অনন্য জাদিপাই
বগালেক যখন পৌছালাম তখন সূর্যটা পূর্ব থেকে পশ্চিমের পথে পাড়ি দিয়ে ফেলেছে অনেকটা পথ। অথচ এই পাহাড় আর ঝর্ণার টানে পথ চলা শুরু হয়েছিলো প্রথম ভোরের নরম আলো হয়ে আসা সূর্যদয়ের সাথে সাথেই। চট্রগ্রাম থেকে বান্দরবানের বাসে ছড়েছিলাম সকাল সাড়ে ছয়টায়। বান্দরবান যখন নামলাম তখন সকাল নয়টা। নাস্তাটুকু সেরে ওঠে পড়লাম রুমা যাওয়ার গাড়িতে। বান্দরবানের গহীনে হারিয়ে যাওয়ার জন্যে সব প্রস্তুতি নিয়েই এবারের আগমন, প্রথমবারও গিয়েছিলাম এই পথে কেওক্রাডং পর্যন্ত, এবারের লক্ষ্য আরো বিস্তৃত। কেওক্রাডং পেরিয়ে অনন্য জাদিপাই ঝর্ণায়। সময় হাতে কম এবার তাই মূল লক্ষ্য প্রথম দিনেই কেওক্রাডং চলে যাওয়া। কিন্তু লক্ষ্য নির্ধারণ করা যত সহজ লক্ষ্যে পৌছানো কিন্তু ততটা সহজ নয়। কারণ বগালেক পৌছাতে পৌছাতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায় সবার। তাই সাধারণত কেউই একদিনে কেওকারাডং যেতে চায় না। কারণ বগালেক থেকে কেওক্রাডং যেতে সময় লাগে তিন ঘন্টা থেকে সাড়ে তিনঘন্টা। অর্থাৎ দিনের আলো বিদায়! আর অন্ধকারে কে চায় সারি সারি দুর্গম পাহাড় পাড়ি দিতে?
বান্দরবান থেকে রুমা বাজার যাওয়ার জন্যে সরাসরি কোন বাস নেই, প্রথমে বান্দরবান থেকে বাসে যেতে হবে সাঙ্গু নদীর ঘাট। সাঙ্গু নদীর অপর নাম শঙ্খ, স্থানীয়রা একে শঙ্খ নামে ডাকে। সেই নৌ-ঘাট থেকে নৌকা করে রুমা বাজার। বান্দরবান থেকে ঘন্টা দুয়েক লাগে নৌ-ঘাট পৌছাতে। প্রথমবার গাড়ির ছাদে করে যাওয়ার অভিজ্ঞার কারণে দ্বিতীয়বারও বাসের ছাদে উঠে বসলাম।
(২) বাসের ছাদে করে রুমা বাজার যাওয়ার পথে
বান্দরবান শহর থেকে শঙ্খ নদীর ঘাট কাগজে কলমে ৩৪ কিলোমিটিার হলেও পাহাড়ি পথে এই হিসেব যে বড্ড অচল। পাহাড়ে যারা ঘুরতে আসে তারা জেনে যায় এই হিসেব নিকেষের গোপন রহস্য। তাই কিলোমিটার কে সময় দিয়ে ভাগ করতে বসার হিসেব এখানে কেউ করে না। উঁচু-নিচু সর্পিল পথে গাড়ি চলতে পারে না তার স্বাভাবিক গতিতে। গাড়ির ছাদে উঠা অনেক বিপদজনক হলেও এর ভালোলাগা অতুলনীয়। মাথার উপর সীমাহীন একটা আকাশ, দৃষ্টি সীমানার সবটুকু জুড়ে থাকে সবুজের সীমাহীন আবেশ আর দূর পাহাড়ে গায়ে লেপ্টে থাকা মেঘমালা সবকিছুই উপভোগ করে যায় নিজের মতো উজাড় করে।
(৩) সবুজের চাদরে ঢেকে যাওয়া পাহাড়েরা
(৪) মেঘমালা জড়ো হয়ে বৃৃষ্টি হয়ে নেমেছে দূরের নাম না জানা কোন পাহাড়ের গায়ে
এমন স্বর্গীয় দৃশ্যের সবটুকু গাড়ির ভেতরে বসে উপভোগ করা যায় না বলেই গাড়ির ছাদে উঠা। ঘন্টা খানিক যেতেই দেখা মিলে সবুজ পাহাড়ের তলদেশ স্পর্শ করে বয়ে চলা সাঙ্গু নদী। ছেলেবেলা কেটেছে পদ্মা আর মেঘনার ভাঙ্গন পাড়ে তাই নদীর প্রতি ভালোবাসা আর অব্যক্ত দুর্বলতা ছিলো চিরকালের। যদিও শঙ্খ নদী পদ্মা-মেঘনার মতো এতো খরস্রোতা নয় বরং শান্ত শীতল নীরবে বয়ে চলা এক নদী। তবু নদী দেখলে ছুটে তার কাছে যাওয়ার বাসনা এখনো দুর্বার। যেখানে পাহাড় থাকে সেখানেই নদী থাকে, কারণ পাহাড় থেকেই নদীর জন্ম হয়। তাই অঞ্জন দত্তের গানের কথার মতোই বলা যায় পাহাড়ের গন্ধ আমার নাকে চোখে!
(৫) দূর হতে দেখা শঙ্খ নদী
সারি সারি সবুজ পাহাড়কে পেছনে ফেলে সাঙ্গু ব্রীজ ঘাটে যখন আসি তখন দুপুর প্রায় বারটা, এই নদী দিয়ে নৌকা করে রুমা বাজার যেতে ঘন্টা দুয়েক সময় লাগে। ইঞ্জিন চালিত এই নৌকাগুলো রিজার্ভ যায় আবার লোকালও যায় রুমা বাজার। প্রচুর পর্যটক তাই মিনিট দশ-পনের মাঝেই নৌকা ভর্তি হয়ে গেল!
(৬) নৌকা ছাড়ার পূর্ব মহুর্তে ফটোসেশান
এই নৌকাগুলোর গঠন এমন যে ভিতরে বসে থাকলে চারপাশের কিছুই দেখা হয় না, ভেতরে অসংখ্য মানুষের ভিড় এবং ইঞ্জিনের ভটভট শব্দ থেকে বাঁচার জন্যে ছাদ আদর্শ স্থান। তাই ছাদ-ই হলো আমাদের ঠিকানা।
(৭) নৌকার ভেতরের যাত্রী
কিন্তু ভর দুপুরে নৌকার ছাদে বসা যায়না রোদের সীমাহীন তেজের জন্যে। তারপরও সচেতন বন্ধুর সানস্ক্রিন মেখে নতুন বধূর মতো মাথায় গামছার ঘোমটা দিয়ে জীবনে আর আছে কি বলে বসে পড়লাম নৌকার ছাদে।
(৮) নৌকার ছাদে বসা সহ-যাত্রীগণ
শঙ্খ নদীতে এই সময়টাতে তেমন স্রোত থাকে না, পাহাড় আর সবুজের মাঝে এঁকেবেঁকে বয়ে চলা নদীটি এই সময়টাতে থাকে বেশ শান্ত। সেই শান্ত নদীর পথ ধরে নৌকা ভ্রমণ যে-বিশেষ কিছু সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সূর্য আর মেঘের লুকোচুরিতে আলো-ছায়ার এক কাঁনামাছি খেলা জমে শঙ্খ নদীতে। মাঝে মাঝে শীতল বাতাস এসে জুড়িয়ে যায় শরীর আবার পর-মহুর্তেই সূর্য যেন উত্তপ্ত লাভা ছেড়ে দিচ্ছে পৃথিবীতে।
(৯) যাই পেরিয়ে নাম ছাড়া ওই গ্রাম
শঙ্খ নদীর পথ ধরে পেরিয়ে যাই কত নাম না জানা সবুজে ঘেরা ছোট ছোট লোকালয়, নদী-ঘাট আর অচেনা-অজানা নদীর বাঁক। নাম না জানা এতসব বাঁক আর পাহাড় পেরিয়ে বিস্ময় আর ভালোলাগার অসংখ্য অনুভূতিতে হারিয়ে যেতে যেতে এক সময় নৌকা চলে আসে রুমা বাজারের ঘাটে। শুকনো মৌসুম বলে নদীতে তেমন পানি নেই, অবশ্য ভরা মৌসুমে কখনো আসা হয়নি তাই কেমন পানি হয় সেটা চোখে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তবে ঘাটগুলো দেখে বুঝা যায় বর্ষার পূর্ণ যৌবনে নদীর জল ঠিকি পৌছে যায় তার সর্বোচ্চ সীমায়।
(১০) রুমা বাজার নৌঘাট
রুমা বাজার নেমে প্রথমেই পেটের জ্বালা মেটাতে ঢুকে পড়লাম হোটেলে। গরম গরম ভাত আর মাছ দিয়ে গপাস গপাস পেটপুরে নিলাম। খাদ্যের মান নিয়ে কথা না বলি, পাহাড়ে কোথাও খাদ্যের মান(স্বাদ) না থাকলেও সেগুলোই অমৃত হয়ে ওঠে! খাওয়ার পর প্রথম কাজ হলো প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ক্রয় করে নেওয়া। এর মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জুতো, জোঁকের পাউডার, শুকনো খাবার এবং ওষুধ। প্রথমবারের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা অনেক কিছু শিখিয়েছে। ২০১০ এ কেওক্রাডং থেকে নামার পথে শুরু হয়েছিলো বৃষ্টি, ফলাফল লালমাটিতে পা দিলেই সেটি পিচ্ছলে যাচ্ছিলো বার বার এবং সেই প্রথম বোধহয় আমি ভয়ংকর মৃত্যু ভয় পেয়েছিলাম। কারণ নামার পথে একপাশে ছিলো সম্পূর্ণ খালি অর্থাৎ হাজার ফুট নিচু, পড়লেই চিরবিদায়! ভয় পেলে যা হয় সেটাই হলো। পা আর চলে না, পা বার বার সরে যাওয়ার কারণ ছিলো জুতো, আমরা নিজেদের স্বাভাবিক ক্যাডস পরেই উঠে গিয়েছিলাম কেওক্রাডং। উঠতে সমস্যা না হলেও নামতে সেই ভুলের শিক্ষা নিচ্ছিলাম প্রতি পদক্ষেপে। আমাদের সেই গাইড আমাদেরকে বলেনি বিশেষ এক ধরণের জুতো আছে পাহাড়ে চড়ার। বৃষ্টি নামার কারণে নিদিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও আমরা অর্ধেক গন্তব্য তখনো পাড়ি দিতে পারিনি, ফলে নেমে গেলো সন্ধ্যার সবটুকু অন্ধকার। ফলে সেই অন্ধকারে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিলো। নিরুপায় হয়ে গাইডকে বললাম আমার পক্ষে আর নামা সম্ভব না, আমার প্রতিটি পদক্ষেপ সঠিক লক্ষ্যে থাকছে না, আত্নবিশ্বাস চলে গেছে শূন্যের কোটায়। তখন গাইড় বললো আপনি আমার হাত ধরে নামুন, ফলে সে পাশটা উন্মুক্ত ছিলো সেইপাশটাতে গাইড আর পাহাড়ি লতাপাতার পাশটাতে আমি, এমন করে মিনিট বিশেক চলার পর আবার আত্নবিশ্বাস ফিরে এলো। তারও ঘন্টাখানিক পরে আমরা কেওক্রাডং থেকে বগালেক নেমেছিলাম। আর নেমেই দেখি একেকে জনের শরীরে আট-দশটা করে ইয়া মোটা জোঁক বাসা বেঁধে ফেলেছে।
এবার তাই বেশ সাবধান আমরা। স্পেশাল জুতো কিনে নিলাম যার মূল্য ১২০ টাকা। বাজার-সদাই করে গাইড ঠিক করে নিলাম। কিন্তু বিপত্তি বাধলো রুমা বাজার থেকে বগালেক যাওয়ার গাড়ির স্ট্যান্ডে গিয়ে। গাড়ি লোকাল যাবে না, তাছাড়া আমাদের গ্রুপটা ছোট, মাত্র ছয় জনের। তাই শেষ পর্যন্ত রিজার্ভ গাড়ি নিতে হলো। রুমা বাজার থেকে বগালেক যাওয়ার গাড়িগুলোকে চাঁদের গাড়ি বলে। বর্ষা মৌসুমে সরাসরি বগালেক পর্যন্ত চাঁদের গাড়ি যায় না। এগার কিলো নামক স্থানে নেমে যেতে হয়। এগার কিলো থেকে পাঁয়ে হেঁটে বগালেক যেতে হয়, সময় লাগে প্রায় তিন-চার ঘন্টা। তবে শুষ্ক মৌসুমে একেবারে বগালেকের নিচের পাহাড় পর্যন্ত গাড়ি যায়। সেই এগার কিলো যাওয়ার আগেই যে পথ ধরে চাঁদের গাড়ি চলে সেই পথে যে কোন হার্টের রোগীকে ড্রাইভারের সাথে বসিয়ে দিলে ওখানেই উনার জীবনাবসান হয়ে যেতে পারে! ছবি দিয়ে আসলে সেই পথের ভয়ংকর রূপ তুলে ধরা সম্ভব না। ভয়ংকর সেই সৌন্দর্যকে নিজের চোখে দেখতে নিজেই চলে যেতে হবে বগালেক।
(১১) বগালেক যাওয়ার ভয়ংকর সে পথ
প্রথমবার বেশ ভয়-ই পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার আর সেই ভয় কাজ না করলেও মুগ্ধতা ছিলো ঠিক আগের মতোই। আকাশকে ছোঁয়ার ইচ্ছে নিয়ে জন্ম নেওয়া পাহাড়গুলোর বুকের পাঁজর কেটে তৈরি করা রাস্তাগুলো যখন উপরের দিকে উঠতে থাকে তখন নিচের জনপদকে ক্ষুদ থেকে ক্ষুদ্রতর মনে হতে থাকে। দু-পাশে ঘন শনপাতার আর পাহাড়ি ছোট ছোট উদ্ভিদে ঢাকা ভূমির মাঝ দিয়ে ইট বিছানো নি:স্তব্ধ সড়ক ধরে চলতে চলতে একসময় চলে আসলাম বগালেকের নিচে। এখান থেকে পাঁয়ে হেঁটে চল্লিশ মিনিট সময় লাগলো বগালেক উঠতে।
(১২) গাড়ি থেকে নেমে প্রথম পাহাড় পাড়ি দেওয়ার পথে
(১৩) বগালেক পাহাড়ের চূড়া
(১৪) চূড়া থেকে বগালেক-১
(১৫) সমতল থেকে দৃশ্যমান বগালেক-২
(১৬) সমতল থেকে দৃশ্যমান বগালেক-৩
(১৭) পেছন থেকে দৃশ্যমান বগালেক-৪
বগালেক সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ২৭০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত কতগুলো পাহাড়ের মাঝে হঠাৎ আটকে পড়া স্থির স্বচ্ছ জলরাশির লেক। এত উঁচুতে সবুজ পাহাড়ের মাঝে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই অনিন্দ্য সুন্দর লেকের জন্ম প্রায় দুই-হাজার বছর আগে। স্থানীয় আধিবাসীদের বিশ্বাস এ লেকের মাঝে ড্রাগন দেবতা বাস করে। আবার গঠনশৈলী দেখে বিশেজ্ঞগণ একে মৃত অাগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ বলে ধারণা করেন। বছরে একবার এ লেকের স্বচ্ছ জল ঘোলাটে হয়ে যায়! এপ্রিল-মে মাসে প্রাকৃতিক ভাবে এ লেকের পানি ঘোলাটে হয়। কিন্তু আধিবাসীদের মাঝে এ নিয়ে নানান কুসংস্কার রয়েছে। তাদের বিশ্বাস নিষ্ঠুর এপ্রিলের উত্তাপে তাদের ড্রাগন দেবতার ঘুম ভেঙ্গে যায় তার অনুসারীদের জন্যে, আর তাই ঘুম থেকে উঠে দেবতা উঞ্চ হয়ে ওঠা পরিবেশকে শীতল করতে কাজে নেমে পড়ে এবং প্রথম কাজ জলের শীতলতা সৃষ্টি করা। তাই জলের ভিতর একটা আন্দোলন সৃৃষ্টি করে। আর ঠিক সেই কারণেই জল এমন ঘোলা হয়। (স্থানীয় আদিবাসী থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে)
(১৮)বগালেকের তথ্য
পশ্চিম দিকে হেলে পড়া সূর্যকে সাথী করে বগালেকে পৌছে স্থির করলাম যেহেতু সন্ধ্যে হতে আরে ঘন্টা খানিক বাকী আছে, তাই আজ-ই চলে যাবো কেওক্রাডং। অর্থাৎ আবারো রাতের আঁধারে কেওক্রাডং উঠতে যাচ্ছি! তবে এবার কেওক্রাডং থেকে রাতে ফিরতে হবে না আমাদেরকে। কারণ কেওক্রাডং এর চূড়ায়ও থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে! রাঁতে ট্রেকিং করা তুলনামূলক ভাবে আরামদায়ক ভেবেই বগালেকে সময় বেশি ব্যয় না করে হাঁটা দিলাম কেওক্রাডং এর পথে। পাহাড়ে চলতে চলতে জেনেছি মরুভূমির মতো পাহাড়েও মরিচীকার অভিজ্ঞতা হয়। চলতে চলতে মনে হবে এইতো বুঝি খুব নিকটেই কোথাও বইছে ঝর্ণাধারা। কিন্তু নীরবতার দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে কর্ণকুটিরে আগত ঝর্ণার ধ্বনি মিললেও ঝর্ণার দেখা মেলে না সহসা। তবু সেই মধুর ধ্বনি ছুঁয়ে যায় সমস্ত সত্তাকে। বগালেক থেকে মিনিট চল্লিশের পথ পাড়ি দিলে আসে চিংড়ি ঝর্ণা। আমরাও পেয়ে গেলাম সেই ঝর্ণাকে।
(১৯) চিংড়ি ঝর্ণা (ফিরতি পথের ছবি)
চিংড়ি ঝর্ণায় পৌছাতে পৌছাতেই অন্ধকার জমাট হয়ে নেমেছে পাহাড়ের কোলে। সেই জামাট অন্ধকার ভেদ করে আসা ঝর্ণার ধ্বনি ছিলো ভালোলাগার সবটুকু জুড়ে। শুধু নামে নয় সত্যিকার অর্থেই এ ঝর্ণার পানিতে চিংড়ি পাওয়া যায়। কেওক্রাডং যাওয়ার পথে একটু বাম দিকে এই ঝর্ণার অবস্থান। অনেকগুলো ছোট বড় পাথর পেরিয়ে ঝর্ণার তলদেশে যেতে হয়। সেই পাথর গুলো বেশ পিচ্ছল থাকে, রাতের আধাঁরে সেই পথে আর গেলাম না এবার। প্রথমবারে চিংড়ি ঝর্ণার জলে স্লান করেছিলাম কিন্তু এবার সময় কম বলে সেই লোভ সামলে সামনে চলতে থাকলাম। খাড়া পাহাড়ি পথ যেন শেষ হয়ে চাইছিলো না, এদিকে সারাদিনের ক্লান্তি তখন ভর করেছে পুরো শরীরে।তারপরও সব ক্লান্তিকে পেছনে ফেলে ছুটতে হচ্ছে গন্তব্যের লক্ষ্যে।
(২০) দিনের আলোয় কেওক্রাডং উঠার পথে
চিংড়ি ঝর্ণা পেরিয়ে দেখি দূরের আকাশে আজ জেগেছে চিতোই পিঠার মতো ধবধবে আস্ত একখানা চাঁদ। তার আলোয় ভেসে যাচ্ছে উপরের পাহাড়গুলোর চূড়া। গাছের ফাঁক দিয়ে আসা চাঁদের স্বর্গীয় জোছনা তখন শরীরকে ছুঁয়ে মিশে যাচ্ছে চেতনার অদেখা স্রোতে। সেই চাঁদের আলোয় পাহাড়ে ট্রেকিং করা এই ছোট্র জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনার একটি।
(২১) রাতের আঁধারে কেওক্রাডং এর পথে-১
(২২) রাতের আঁধারে চিংড়ি ঝর্ণার তলদেশে
গল্প-উপন্যাসের নায়কদের চাঁদের আলোয় পাহাড় পর পাহাড় পাড়ি দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমরা বাস্তবেই অর্জন করলাম এবার। সেই অদ্ভুত অপরূপ চাঁদের আলোয় হাঁটতে হাঁটতে দেখা হয়ে গেল নাম না জানা এক সাপের সাথে। শুকনো ছনের মাঝে হঠাৎ শব্দ হতেই দেখি সবুজ সাপখানি। পাহাড়ের সবটুকু সবুজ যে তার শরীরে মেখে নিয়েছে। দেখে মনে হলো পাহাড়ের সবুজের সাথে বুঝি এক অলেখিত সন্ধি করেছে সে। সন্ধি হোক আর অভিযোজন হোক বৈরী পরিবেশে নিজেকে মানিতে নিতে পাহাড়ের সবুজকে নিজের শরীরের বর্ণ করে নিয়েছে সাপটি। অন্য যে কোন সময়ে সাপ দেখে লাফিয়ে সরে গেলেও এই পাহাড়ি পরিবেশে ভয় না পেয়ে সবাই উৎসাহী হয়ে তাকে দেখতে আর ছবি তুলতে আগ্রহী হলাম বেশি। ছবি তোলার কিছুক্ষণের মাঝেই যে অজানা অন্ধকার থেকে সে এসেছিলো সেই অচেনা এক অন্ধকারেই হারিয়ে গেলো।
(২৩) সেই সবুজ বর্ণের সাপটি
তারপর শুরু হলো আবার পথ চলা, মাঝে মাঝে দূরে কোথাও অন্ধকারের কোন এক নিশ্চুপ প্রান্ত থেকে ভেসে আসছিলো পাখিদের উড়ে যাওয়া ডানার শব্দ, নি:স্তব্ধতার মাঝে পাখির ডানার শব্দ মনে করিয়ে দেয় রফিক আজাদের সেই প্রিয় কবিতা ‘পাখি উড়ে গেলে পাখির পলক পড়ে থাকে কঠিন মাটিতে৷এই ভেবে কষ্ট পেয়েছিলে’। চলার পথের চাঁদের আলোর সবটুকু সৌন্দর্যকে পুরো শরীরে মেখে এক সময় পৌছে গেলাম কেওক্রাডংর চূড়ায়। প্রথমবার কেওক্রাডং আর এবার কেওক্রাডং উঠা দুবার দু-মেরুর অনুভূতির জন্ম দিলো। প্রথমবার অবাক বিস্ময়ে ভরা মুগ্ধ নয়নে দেখেছিলাম সবুজ আর মেঘের অলস সন্ধি, প্রকৃতির নি:স্তব্দতা আর নীরবতায় সেবার ভরে উঠেছিলো পুরো সত্তা। আর এবার দেখলাম প্রকৃৃতির নীরবতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে লাল মিয়া নামের এক জাঁদরেল ব্যবসায়ী কেওক্রাডং এর চূড়ায় থাকার হোটেল খুলে বসেছে। হয়তো পর্যটকদের জন্যে সুবিধা হয়েছে রাত্রি যাপনের এই ব্যবস্থা কিন্তু বিষয়টি আমাকে দারুণ ভাবে মর্মাহত করেছে। অসেচতনায় অ-প্রতিদ্বন্ধি আমরা পাহাড়ের চূড়ায় ফেলবো এবার খাওয়ার উচ্ছিষ্ট, পলিব্যাগ, পানির বোতল সহ নানান আবর্জনা। আমাদের ভাবখানা এমন কি আর হবে দু-একটা পাহাড় ময়লার ডাষ্টবিন হলে? সমস্যাতো নেই, দেশেতো পাহাড়ের কোন অভাব নেই!
রাতের আঁধারে যখন কেওক্রাডং পৌছালাম ঘড়িতে তখন রাত আটটা পেরিয়ে গেছে। পাহাড়ের চূড়ার হিম শীতল বাতাস ছুঁয়ে যাচ্ছিলো শরীরের সব লোমকূপ। এখন আপনি চাইলেইও কেওক্রাডং এ তাবু করে থাকতে পারবেন না, লাল মিয়ার ভদ্র বাহিনী আপনাকে সে কাজে বাধাঁ দিবে, আর পাহাড়ে এসে আপনিও নিশ্চয় চাইবেন না পাহাড়ী আদিবাসীদের সাথে কোন বিবাদে জড়াতে। ফলাল লাল মিয়ার কর্টেজে রাত্রি যাপন অবধারিত। আর আপনি যদি বুদ্ধিমান হন তাহলে কেওক্রাডং পেরিয়ে পাসিং পাড়ায় রাত্রি যাপন করতে পারেন। খরচ অনেকটা কম সেখানে। তবে সেখানে রাত হওয়ার আগে যাওয়াই ভালো, কারণ নিজের রান্না নিজেই রান্না করে খেতে হবে। রাত বেশি হয়ে যাওয়াতে সেই ঝামেলায় আর যাইনি, ফলে লাল মিয়ার ঘরে ভাত খেয়ে সেই কর্টেজে রাত্রি যাপন করার সব আয়োজন করা হয়ে গেল। সময়টা যদিও শীতের শেষে তারপরও পাহাড়ের চূড়ায় ঠান্ডা ভালোই ঝেঁকে বসেছে। সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে বিছানায় যাওয়ার সাথে সাথেই ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলাম নিজের অজান্তে। (চলবে)
(ছবির জন্যে কৃতজ্ঞতা সহযাত্রী সাব্বির-শুভ্র-বাবলু-শিপলু-নয়ন)
মন্তব্য
লাল মিয়ার কটেজের ছবিও দিতেন দুয়েকটা!
কেওক্রাডং এর চূড়ায় কোন ঘর থাকবে সেটা আমার পছন্দ হয়নি তাই ছবি তুলিনি। দেহি অন্য সহযাত্রীরা তুলে থাকলে আগামী পর্বে দিবো নে লাল মিয়ার আবাসিক-অনাবাসিক হোটেলের ছবি। ধন্যবাদ
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
এ-হেন বর্ণনা পড়িয়া চাঁদখানা দেখার তুমুল বাসনা জাগিয় উঠিয়াছিল অন্তরকোণে, কিন্তু তন্ন তন্ন করিয়াও যখন খুঁজিয়াও পাইলাম না তাহাকে, তখন খালি মনে হইতে লাগিল, কি যেন নাই! নাই!
ফটোসেশানে মানুষ এত গোমড়া থাকে বুঝি? ১৪, ১৬, ১৭ মন কেড়ে নিয়েছে!
চলুক, মাসুদ সজীব ভাই!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
ধন্যবাদ
পাহাড়ি চাঁদ যে ইট-সিমেন্ট আর কংক্রিটের শহর থেকে ভিন্নরূপে হাজির হয় রাতের আকাশে সেটি পাহাড়ে রাত না কাটালে বুঝা সম্ভব নহে। তাই পাহাড়েই তাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ুন, পেয়ে যাবেন
রোদের প্রখরতায় চোখে মুখে গোমড়া ভাব এসে গেছে, ছবিটির আসল উদ্দেশ্য ছিলো নৌকাকে উপস্থাপন করা। ভালোথাকুন
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
২১ নম্বর ছবিতে মাঝেরজন কি আপনে? বডি দেখে আমার অনন্ত জলিলের সিক্স প্যাকের কথা মনে পড়ে গেলো ।
ভালো লাগতেছে। চালিয়ে যান।
--------------------
আশফাক(অধম)
আপনার চোখে ভাইটামিন অনেক বেশি মনে হচ্ছে। টি-শার্টের উপর দিয়ে সিক্স প্যাক দেখে ফেলছেন, না জানি কোথায় কার কি দেখে ফেলেন । চোখে আমার মতো চশমা লাগান
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
কইলাম না অনন্ত জলিলের সিক্স প্যাক। আসলে নাই এমন সিক্স প্যাক দেখানোই অনন্তর কাজ।
আমাগো বংশে বাপ-মা ছাড়া এখনও কারো চশমা লাগে নাই। আমারো লাগতোনা
--------------------
আশফাক(অধম)
বগা লেকের ছবিগুলা ভীষণ সুন্দর।আচ্ছা এত সুন্দর একটা ঝর্নার নাম চিংড়ী কেন,?
ধন্যবাদ
এই ঝর্ণার পানিতে চিংড়ি মাছ পাওয়া যায় বলেই একে চিংড়ি ঝর্ণা বলে (গাইডের দেওয়া তথ্য মতে)। এই ঝর্ণার পানিতে ছোট আর মাঝারি মানের চিংড়ি দেখেছি আমরাও।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
বগালেক তো অসাধারণ , সঙ্গে মানুসগুলো বোনাস
রাজর্ষি
এখন আর ততটা অসাধারণ নেই, বগালেকে পাহাড় আর প্রকৃতির সেই নি:স্তব্ধতা নেই। অতিরিক্ত মানুষ আর তাদের অসেচতনতার জন্যে বগালেক তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য হারিয়েছে, এমনকি কেওক্রাডং ও তার সৌন্দর্য্য হারানোর পথে :(।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
ছবি এবং বর্ণনা খুবি ভাল লাগল। ৪ নম্বর ছবিটা অসাধারণ। আপনাদের সাথে যেতে পারলে দারুন হত। যতবার দেশে যাই প্ল্যান করে যাই কোথাও যাব, কিন্তু শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়না।
এই রকম ভ্রমণ কাহিনী আরো আসুক
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
প্ল্যান করে আসলে ঘুরাঘুরি হয় না । দেশে আসলে আওয়াজ দিয়েন দেখি কোথাও আপনি সহ যেতে পারি কিনা। শুভেচ্ছা
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
একই পথের আরও কিছু ছবি, মাসুদ ভাই আপনার পোষ্টে ছবি দিলাম গোস্বা কইরেননা। ,,,,,,,,,
ছবি’র ব্যপারে কিছু লিখলামনা যা বলার মাসুদ ভাই ই বলবে।
অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
ছবি তো দেহি না !
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
জীবনে ১মবার সচলে ছবি দিলাম মনেহয় কোন একটা ঘিচাং হইসে , দেখি ঠিক করতে পারি কিনা নাহলে আপনার দ্বারস্থ হব।
অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
আলাদা ট্যাবে খুইল্যা দেহেন , দ্যাখতে পারবেন।
অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
দারুণ!! পরের পর্বের জন্য অধীর প্রতীক্ষায় থাকলাম।
ইয়ে - দুয়েকটা টাইপো ছিল - ঠিক করে নিয়েন। সূর্যদয় - সূর্যোদয়, বাসে ছড়েছিলাম ->বাসে চড়েছিলাম
____________________________
খেতে থাকেন অপেক্ষা মধুর হবে
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
প্রথমেই হাচলত্বের অভিনন্দন!
ছবি আর লেখা ভাল লেগেছে, শঙ্খনদীর ছবিটা চমৎকার।
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
ধন্যবাদ হে গল্পকার
ভালোথাকুন, শুভেচ্ছা
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভাগ্যিস ইটা রেখা যান নাই । একলা একলা পপকর্ণ না খাইয়া আসেন একসাথে খাই একা একা খেতে চাও দরজা বন্ধ করে খাও-আসুন এই অশ্লীলতা থেকে বেরিয়ে আসি
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
আপনার ভ্রমণভাগ্য -কে ঈর্ষা
কেনুরে ভাই? হিংসা করলে একমাত্র অণু-পরমাণুদের করবেন, আমি হলাম অতি ক্ষুদ্র আধান বিহীন প্রোটন
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
আধান বিহীন প্রোটন? নিউট্রন হবার কথা না ?
(দেখছেন, খালি ভুল ধরি
মাষ্টার একটা , চেপে যেতে পারেন না সুশীলদের মতো ? (আর চুপি চুপি বলেন এত বড় ভুলের জন্যে সাক্ষী দার না আবার গুতা খাই। )
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
চলুক
facebook
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
চলুক চলুক, সাথে সাথে আমরাও চলছি!
১, ৪, ১০, ১৫, ১৬, ১৯ বেশী ভাল লেগেছে।
সবুজ সাপটাও সুন্দর এসেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
অসাধারণ! এখনও ওদিকে যাওয়া হয়নি। সময় বের করার তালে আছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
কি বলেন বাংলাদেশের স্বর্গস্থানেই যান নি আপনি? বেরিয়ে পড়ুন, আর আপনার মতোই করে অজনা বৃক্ষরাজির সাথে পরিচয় করিয়ে দিন। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
লেখাটা খুব ভালো হয়েছে। সত্যিই কিছুক্ষণের জন্য আমি সেই পাহাড়ে হেলান দেয়া ঝর্ণা হয়ে গিয়েছিলাম।
আমি যেখানেই থাকে ওগো স্বদেশ আমার
আমার আত্নার গভীর থেকে আমি সবসময় তোমাকে অনুভব করি
ফাহিমা দিলশাদ
ভালোলাগাতে কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
আমি যেখানেই থাকি ওগো স্বদেশ আমার
আমার আত্নার গভীর থেকে আমি সবসময় তোমাকে অনুভব করি
প্রথ্ম ছবিটা দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম।।
জাদিপাই ঝর্ণার এই ছবি শুকনো মৌসুমের, বর্ষাকালে এটি নাকি সত্যিকারের অপরূপা হয়ে ওঠে। আমার দেখা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা সুন্দর ঝর্ণা এটি। শুভেচ্ছা
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, কাপ্টাই গিয়েছি বটে কিন্তু স্বাস্থ্যগত কারণে বেশকিছু যায়গা যাওয়া হয়নি। আর আমাদের যৌবনে এ সকল যায়গার নাম এভাবে উঠে আসেনি তাই তখন যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা।
আপনার দেওয়া ছবি ও লেখা পড়ে অনেকটাই দেখা ও জানা হলো।
দেখার আর জানার তো শেষ নেই দাদা।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
বেশ কিছু ফটুক চ্রম সুন্দর তুলেছেন।
ধন্যবাদ পরের পর্বে আরো সুন্দর ছবি থাকছে
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
সুন্দর
নতুন মন্তব্য করুন