• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

আমি আমার ভালোবাসার কথা বলতে এসেছিলাম

মাসুদ সজীব এর ছবি
লিখেছেন মাসুদ সজীব (তারিখ: শুক্র, ১৩/০২/২০১৫ - ৩:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্কুল পাশ দেওয়ার আগেই ভাগ্যক্রমে আমার হাতে এসেছিলো বাংলাদেশের অন্যতম আলোকিত মানুষ আরজ আলী মাতুব্বরের বই। উনিই প্রথম শিখিয়েছেন কোন বিশ্বাসকে বিনা প্রশ্নে মেনে না নিতে। তারও কিছুদিন পর পরিচয় হলো হুমায়ুন আজাদ নামের এক ভাষার যাদুকরের সাথে। প্রথা আর মুখোশে ঢেকে থাকা সমাজের সব প্রাচীরকে যিনি ভেঙে দিয়েছিলেন তার লেখা অদ্ভুত সুন্দর সব শব্দমালায়, জাগিয়ে দিয়েছিলেন মনের মাঝে সততা আর সাহসের বিস্তীর্ণ এক পাহাড়। কিন্তু যে বোধ নিয়ে আমি বড় হয়েছি সেই বোধ আর বিশ্বাসের সমাজ তখনও তৈরি হয়নি আমার চারপাশে। তাই সবখানে আমি আমার চিন্তার কথা, ভাবনার কথা বলতে পারতাম না, সব কিছু নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার তখনও আমার ছিলো না। সব জায়গাতেই ছিলো প্রথাগতদের আজন্ম স্রোত ধারা, সবখানেই ছিলো এক আর অভিন্ন ধারায় চলার চিরন্তন প্রতিযোগিতা। সেই প্রথাগত সীমাবদ্ধতার ধারায় বাহিত হয়ে হয়ে শিল্প-সাহিত্যের নানান রঙ-রস আর ধারার সাথে আমার তখনো পরিচয় ঘটেনি, সবকিছুর প্রতি অগাধ ভালোলাগা আর ভালোবাসা তখনো জন্মায় নি।

তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অলস দিনগুলোতে ফাঁকিবাজি করতে করতে একসময় বই থেকে অনেকটা দূরে সরে গেলাম। পাশটাশ দিয়ে দেখি একদিন চাকরিও হয়ে গেলো একটা। কর্মক্ষেত্র পড়লো কোন এক মফস্বলে। কর্মব্যস্ত দিনশেষে বন্ধুহীন অফুরন্ত অলস সময় জমতে থাকে চার দেয়ালের মাঝে। সেই অলস সময়ের কোন এক ক্ষনে ফেসবুকে এক ছোট ভাই বললো একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কথা। ঘুরাঘুরির অভ্যেস ছিলো ছুডুবেলা থেকেই তাই উক্ত লোকের সন্ধান পেয়ে ভালোই লাগলো। সেই লুক আর কেউ নয়, বাঙালিদের অভিশাপ তারেক অণু। উনার হাত ধরেই একদিন পরিচয় হলো সচলায়তনের সাথে। যদিও তারও বছর খানিক আগ থেকে নানান ব্লগে কিছুটা ঘুরে বেড়িয়েছি। কিন্তু খুব বেশি ভালোলাগা সৃষ্টি করতে পারেনি কোন ব্লগ-ই। সেদিক থেকে সচলকে অন্যরকম মনে হলো প্রথম দিন থেকে। এবং প্রথম দিন থেকেই তার প্রেমে পড়লাম। আজ স্বীকার করতে কোন দ্বিধা নেই ত্রিশ বছরের জীবনে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে যতটুক বিকাশিত করেছে তারচেয়ে অনেক বেশি বিকাশিত করেছে সচল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের শিক্ষায়, বইয়ের বাইরে কিছু শিখেছি বলে মনে পড়ে না অথচ সচল আমাকে বিশ্ব দেখিয়েছে, ভালোবাসার-ভালোলাগার অসংখ্য চারগাছ বুকের মাঝে রোপন করে দিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রতি। আমি বাংলাদেশকে যতটুকু জেনেছি কিংবা এখনো জানছি তার পুরোটাই প্রায় সচলের হাত ধরে। মুক্তিযুদ্ধ-ভাষা আন্দোলন সহ বাঙালির সকল সংগ্রাম কে জানার প্রতি যে অসীম আগ্রহ তৈরি হয়েছে তা সৃষ্টি করেছে সচল। সচল আমায় জনপ্রিয় লেখকদের বাইরে অন্য ধারার অসংখ্য লেখকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, এখানে আমি জেনেছি শহীদুল জহিরের নাম, জেনেছি মাহমুদুল হকদের নাম।

শুধ কবিতা আর উপন্যাসপ্রেমী ছিলাম এককালে, তাও গুটিকয়েক লেখকের লেখার মাঝে সীমাবদ্ধ চিলো আমার সেই বিচরণ। কিন্তু সচল আমাকে শুধু কবিতা-উপন্যাস পড়ার গন্ডি থেকে বাহিরে নিয়ে এসেছে, ভ্রমণ-ফটোগ্রাফি-মুক্তিযুদ্ধ-প্রবন্ধ-বিজ্ঞান-গবেষনা-প্রযুক্তি-অনুবাদ-রম্যরচনা সবকিছুর প্রতি মুগ্ধ হতে আর ভালোবাসতে শিখিয়েছে। এমনকি যাপিত জীবনের ছোটখাট চিন্তা নিয়ে লেখা ব্লগরব্লগরও যে অনন্য হয়ে উঠতে পারে, হয়ে উঠতে পারে চিন্তার খোরাক তা জেনেছি সচলে এসে। জীবনকে শত আঙ্গিকে দেখা যায়, অসংখ্য দিক থেকে তাকে ব্যাখা করা যায় ব্লগরব্লগরগুলো তার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট প্রমাণ। শিল্প-সাহিত্যের এত ধারা একজায়গা থেকে প্রকাশ হতে আমি আর কোথাও দেখিনি, দেখিনি এত বৈচিত্র্যর ধারার অসংখ্য গুণী লেখক ও।

রাজনৈতিক ইতিহাস সহ যে কোন আলোচনায় কিভাবে প্রমাণ সহ যুক্তিতর্কে নামতে হয় সেটি সচলেই দেখেছি সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য উপায়ে। জিয়া/মুজিব একজন রাজাকার মুখে বলে দিলে সচলে সেটি গ্রহনযোগ্য পায়না, প্রমাণ আর নিদিষ্ট তথ্য ছাড়া সচলে আলোচনায় অংশগ্রহনের সুযোগ নেই। অন্য ব্লগ গুলোতে অন্ধভক্তি চলে, পূজো দিয়ে প্রার্থনা করে, কোন রূপ তথ্য প্রমাণ ছাড়া কারো প্রতি বিদ্বেষ আর বিষেদাগারও করা হয় দিনে রাতে। কিন্তু সচলে রেফারেন্স ছাড়া এমন অভিযোগের ঠাঁই হয়নি কোনকালে। সচলের সবচেয়ে মুগ্ধকর দিকটি হলো মুক্তিযুদ্ধ আর জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে এখানে ত্যানাপ্যাঁচানোর সুযোগ নেই। কৌশলে রাজাকারদের পক্ষে সাফাই গাওয়া পাবলিকদের এখানে কোন জায়গা নেই। শুধু রাজনীতি নয় বিজ্ঞান-ধর্ম-সাহিত্য সব আলোচনায় তথ্য প্রমাণ মূল বিষয় এখানে। অবাক বিস্ময়ে দেখেছি এখানকার প্রত্যেক সদস্যের জানার পরিমান কত বিস্তৃত! ষষ্ঠ পান্ডব-হিমু-নজরুল-মাহবুব মোর্শেদ-অনার্য-সজীব ওসমান-শেহাব-সুহান রিজওয়ান-তিথীডোর-আয়নামতি-সাক্ষী সত্যানন্দ-চরম উদাস-তারেক অণু-রাগিব হাসান-দিগন্ত-শিক্ষানবিশ-অভিজিৎ-ফাহিম হাসান-অনুপম ত্রিবেদী-স্বপ্নহারা-সবজান্তা-হাসান মোর্শেদ-ইশতিয়াক রউফ-ত্রিমাত্রিক কবি-গাফফার রনি-মাহবুব লীলেন-রনদীপ বসু-একলহমা প্রতিটি নাম এক একটি বিস্ময়।

অনার্যদা-সাক্ষী আর ওসমান ভাইদের বাংলা ভাষার লেখা সবচেয়ে সহজ ভাষায় বিজ্ঞান চমকে দেয়, পান্ডব দা-নজরুল ভাইরা অদেখা-অজানা ইতিহাস তুলে এনে জানার আগ্রহকে বাড়িয়ে দেন শতগুন, তারেক অণু ভ্রমন সঙ্গী করে নিয়ে যায় সাত সমুদ্র আর তের নদীতে কখনো আবার কখনো নিয়ে যান নানান রঙের পাখির জগতে। চরম উদাস নামের এক রস ব্যবসায়ী গল্পের মাঝে ফরমালিন না মিশিয়ে হিউমার মিশান আর সেটি দিয়ে হাসাতে হাসাতে পাঠককে বেহাল করেন, কখনো কখনো অনুভূতির খুনসুটি দেন, আবার সেই হাসির গল্পের মাঝেই বলে যান মুক্তিযুদ্ধকে, সাথে সাথে তুলে ধরেন ভন্ডদের নানান রকম মুখোশ কে। ত্রিমাত্রিক কবি, রোমেল, মনিকা রশিদ, মৃদুল ভাইদের কবিতায় জেগে ওঠে স্বদেশ, জাগরণ, আর প্রেম। একলহমা-তিথীডোর-আয়নামতিরা আবার স্মৃতিচারণ করে বিষন্নতার সাগরে ডুবিয়ে দেন, হাসিব ভাই রাজনৈতিক ইতিহাস আর নানান তথ্য রেখে যান সচলের পাতায় পাতায়। ফাহিম ভাই-শেহাব ভাই-রাগিব ভাইরা গবেষনাধর্মী বিশ্লেষনে তুলে আনেন বিজ্ঞান, সম্ভবনা আর ইতিহাস। ইশতিয়াক রউফ ভাইর নির্মোহ রাজনৈতিক বিশ্লেষন নতুন চিন্তার শিখা জেলে দেন। দিগন্ত দা আর শিক্ষানবিশ বিবর্তন-মহাবিশ্বের অপার দুয়ার খুলে দেন। হিমু দা কখনো সমসায়য়িক ঘটনাবলী সুক্ষ বিশ্লেষনে, কখনো বা গল্প দিয়ে সমকালের চিত্র আঁকেন ভালোলাগার অদ্ভুত এক তুলিতে। গোয়েন্দা ঝাকানাকা দিয়ে সব সুশীলের সুশীলতার প্রমাণ রেখে যান হাস্যরসে। গল্পে গল্পে সত্যপীর নিয়ে যান ইতিহাসের নানান পটভূমিতে। তাহসিন রেজা-সুলতানা সাদিয়া-গান্ধবী-সোহেল লেহস-মরুদ্যান-সুবোধ অবোধ-মুখফোড়া-খেকশিয়াল-নাজমুল আলবাব-নীড় দা রা মুগ্ধ করে যান হরেক রকম গল্প বলাতে। অনুপম ত্রিবেদী ফটোগ্রাফিতে বিস্ময়ে ঘেরা অনুভূতিতে নিয়ে যান অন্যলোকে, অরফিয়াস সেচ্চার থাকেন নির্যাতনের বিপক্ষে, জয়গান গান মানবতার পক্ষে। তুচ্ছ ঘাস-লতা আর ভুলতে বসা শৈশবের ফুল-পাখির কথা ঘুরে ঘুরে বলে যান রনি ভাই পরম মমতাতে। সিমন ভাই সাহসের প্রতীক হয়ে দেখিয়ে যান দেহে প্রাণ থাকিতে থেমে যাওয়ার সুযোগ নেই, সুজন দা আবার রেখাচিত্র দিয়ে যেমন ধুয়ে দেন ভন্ডদের তেমনি শ্রদ্ধা জানান শ্রেষ্ঠ মানুষদের আর স্যাম দা যিনি ব্যানার কে করেছেন ক্যানভাস, সৃষ্টি করেছেন অপার্থিব এক শিল্প। বাংলা ব্লগ জগতে সচলের মত এমন প্রাসঙ্গিক আর ঝকঝকে শৈল্পিক ব্যানার কে সৃষ্টি করতে পেরেছে? সবকিছু মিলিয়ে জীবনের ঘরে খুঁটিনাটি সবকিছুই আলোচিত-সমালোচিত হয় সচলে। আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে পড়ি আর ভাবি এ জীবনে কত কি জানার আছে। এক জীবনে ভালোলাগার বৈচিত্র‌্যতার কি আর শেষ আছে?

শুধু তথ্য-প্রমাণ আর যুক্তি নয় সচলের সাহিত্য মান বাংলাদেশের যে কোন ব্লগ থেকে অনেক বেশি। আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি গত এক দশকে যারা ছাইপাশ লিখে অসংখ্য পুরষ্কার পেয়েছে, বছর বছর বইমেলায় আবর্জনা প্রসব করে চলেছে তার চেয়ে সচলে একজন অতিথির লেখা অনেক বেশি মান সম্পন্ন। সেই সব লেখা যদি কোন অতিথির একাউন্ট থেকে প্রকাশের জন্যে দেওয়া হয় তার বেশিভাগ বাতিল হয়ে যাবে।

সচলের আয়নায় নিজেকে যদি দেখি সেটা কেমন প্রতিফলন দিবে? সচলে আসার আগে দেখেছি আমার রাজনৈতিক ভাবনা, ধর্ম ভাবনা, সাহিত্য ভাবনা আমার চারপাশের মানুষগুলোর সাথে মিলে না। নিজেকে বড় এক মনে হত, রাজনীতি-ধর্ম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেক বন্ধুর সাথে সম্পর্ক ঝুলে গেছে। সচলে এসে দেখলাম আমি যেভাবে ভাবি, যেভাবে বলার চেষ্টা করি এখানেও সবাই প্রায় সেভাবে দেখে সবকিছুকে। রাজাকারের বিচারে এখানে যদি-কিন্তু যোগ করা হয় না, সাহিত্যে কাউকে পূজা করা হয় না। সমাজের অসামন্য হয়ে উঠা মানুষদেরও সঠিক গঠনমূলক সমালোচনা করতে এখানে কেউ পিছু পা হয় না। অনেকদিন আগে একবার ড. জাফর ইকবাল স্যারের একটা মতের বিপক্ষে একটা লেখা লিখেছিলাম। উনি বলেছিলেন এই প্রজন্ম শুধু মাত্র ফেসবুক-ব্লগ নিয়ে থাকে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে না। আমি সেটার প্রতিবাদ করে উনাকে একটা মেইল করেছিলাম। উনি জবাব দেন নি। আমার এক বন্ধু সেটি পড়ে আমাকে আঁতেল সহ নানান ট্যাগ দিয়েছে। জাফর ইকবাল ভুল বলতে পারেন না, আমি উনার সমালোচনা করার যোগ্যতার রাখি না এইসব নিয়ে অনেক জ্ঞান দিয়েছিলো। তার বছর খানিকের মাঝেই যখন শাহবাগে নতুন করে আবার বাংলাদেশের জন্ম হলো তখন জাফর ইকবাল জাগরণের মঞ্চে উঠে প্রথমেই উনার সেই ভুল বিশ্বাসের কথা স্বীকার করেছেন, তারিখটা সম্ভবত ৭ই ফেব্রুয়ারী ২০১৩ ছিলো।

সচলে আসার আগে লেখালেখির অভ্যেস ছিলো না তেমন (কিছু প্রেমপত্র আর টুকটাক ডায়েরী লেখা ছাড়া)। কিন্তু সচলের সুবাধে টুকটাক লেখালেখি এখন করি যদিও সেগুলো অন্য যে কোন সচলের তুলনায় শিশুসুলভ তারপর একটা তৃপ্তি পাই সচলে সেগুলোর কিছু প্রকাশিত হয়েছে বলে। প্রতিটি নতুন লেখা জমা দেওয়ার পর এখনো প্রথম লেখার মতোই উত্তেজনা কাজ করে আর প্রকাশিত হলে সেটি অন্যরকম এক ভালোলাগার জন্ম দেয় এবং নি:সঙ্কোচে বলতে পারি সেটি একজন শিক্ষানবিশ লেখক হিসেবে আত্নবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেয়। আমি জানি লেখতে হলে আগে পাঠ করতে হয়, পাঠক হয়ে উঠতে হয়। সচল আমাকে লেখক হিসেবে দাঁড় করাবে কিনা জানা নেই কিন্তু একজন পাঠক হিসেবে পুর্নজন্ম দিয়েছে নিশ্চিত করেই বলা যায়। আমি এখন কখনো নিজেকে একা অনুভব করি না, মোটামুটি বন্ধুহীন এই জীবনে সচল আমার সবচেয়ে বড় বন্ধু হয়েছে, ভালোবাসার সবচেয়ে নিরাপদ আবাস স্থল হয়েছে। সচলের সাথে পরিচয়ের পরে একটি দিন কিংবা একটি সাপ্তাহ কাটেনি সচলবিহীন। আশা করি আগামিতেও এই বন্ধন থাকবে। আমি পাঠক হতে চাই, ভাবতে চাই আর সচল আমাকে প্রতিনিয়ত সেই ভাবনার রসদ জুগিয়ে যায়। সচলের মাঝেই আমি বেঁচে থাকতে চাই।

(সচলের যে ভালোবাসায় প্রতিনিয়ত সিক্ত হয়েছি তার কিছুটা প্রকাশ করতে এই লেখা। কারো কাছে এই লেখা বিরক্তি জন্ম দিলে দু:খ প্রকাশ করে নিচ্ছি, মহাদেব সাহার মতো শুধু বলতে পারি আমি আমার ভালোবাসার কথা বলতে এসেছিলাম। )


মন্তব্য

স্বপ্নহারা এর ছবি

সময় পেলে সচলের প্রথম দিককার লেখাগুলো পড়লে দেখবেন আরো অনেক ভাল লাগবে! কী অসাধারণ সব লেখনী ছিল তাদের!!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

সাফওয়াত এর ছবি

আমার মনে হয় সচলের ওয়েবসাইটে পুরোনো লেখাগুলো যাতে নতুন পাঠকরা সহজেই খুজে পায় সেই ব্যবস্থা থাকা উচিত। পুরোনো অসাধারণ সব লেখা আছে যেগুলোর সাথে হয়ত তুলনামূলকভাবে নতুন পাঠকরা পরিচিত না। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে আলাদা একটা সেকশন থাকতে পারে, যেখানে লেখাগুলো আর্কাইভ এর মত বছর-মাস হিসেবে সাজানো থাকবে। যাতে পাঠক সহজে খুজে নিতে পারে।
অথবা সচলের পুরোনো লেখাগুলোর সংকলন পিডিএফ আকারেও প্রকাশিত হতে পারে।
এডমিনদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি :)

মাসুদ সজীব এর ছবি

সহমত। এটি ছাড়াও সচলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো মনের মুকুরে। সেখানে পুরানো বিখ্যাত সব লেখার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় পাঠকদের। আমার মতে সেখানে তিনটি লেখার বদলে পাঁচটি লেখাকে স্থান দেওয়া যেতে পারে। ফলে পাঠক আরো বেশি সংখ্যক লেখার সন্ধান পেতে পারে।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

স্বপ্নহারা এর ছবি

http://www.sachalayatan.com/?page=2308

এখান থেকে শুরু করতে পারেন উল্টোদিকে :D

সচলের সব লেখাই সহজে এক্সেস করা যায় নীড়পাতার নিচে গেলেই :)

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মাসুদ সজীব এর ছবি

আমি প্রায়শ-ই পুরানো লেখাগুলো পড়ি, আর লেখকের নামগুলোর দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকি। এমন লেখক-রা কি করে লেখালেখি থেকে দূরে থাকতে পারেন আর নতুনদের বঞ্চিত করতে পারেন :(

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

স্বপ্নহারা এর ছবি

ব্যস্ততা

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মাসুদ সজীব এর ছবি

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবনের ঘরে ব্যস্ততা বা :) ড়ে জানি তারপরও কিছু প্রিয় লেখকের লেখা পড়তে মন ব্যস্ততাকে মানতে চায় না, যেমন মুখফোড়ের মতো এতো অসাধারণ গল্পকার এখন একেবারেই লেখে না। ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে লেখুক আবার নিজের ছায়া হয়ে যাওয়া সচলরা।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

এক লহমা এর ছবি

(Y)

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মুক্তমন এর ছবি

আমার সচলের সাথে পরিচয় একদম অল্প দিন হল | এর মধ্যেই আপনি যে কথাগুলো বললেন প্রায় সবই আমার ও মনে হয়েছে | সকালবেলা মনের কথার প্রতিফলন দেখতে পেয়ে ভালই লাগল|

মাসুদ সজীব এর ছবি

:) (ধইন্যা)

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

:)

দেবদ্যুতি

মাসুদ সজীব এর ছবি

(ধইন্যা) :)

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

আয়নামতি এর ছবি

সচল একটা অভিশাপের নাম :D
--------
এতসব অসাধারণ লেখকের সমাবেশ এই সচলে, তাতে মাথার ঘিলুমিলু উলট-পালট হবারই কথা!
আর সেকারণেই দিশামিশা হারাইয়া ঐসব ঢাশু নামের সারিতে আয়নাবিবির নামটাও লিখে ফেলছেন!!!
ইহা দর্শন করিয়া সে বিব্রত এবং লজ্জিতবোধ করিতেছে। :S

মাসুদ সজীব এর ছবি

নিজের নাম দেখে আপনার বিব্রত হওয়া কে অতিশয় বিনয় বলিয়া ধরিয়া নিলাম। আমি আমার ভালোলাগার লেখকগুলোর নাম বলতে চেয়েছি, যাদের কোন না কোন লেখা আমার কোন একাকী প্রহর কে ভালোলাগার অনুভূতিতে ভরিয়ে তুলেছে, সাহসী করে তুলেছে কিংবা স্মৃতিকাতর করেছে। :D

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আমার অবস্থা আয়নামতির মতোই! আপনার এই অনুভূতি পড়ে খুব ভাল লাগছে। সচলের সঙ্গী হতে পেরে ভাললাগার সীমা নেই। শুদ্ধ সাহিত্য চর্চা আর মূল্যবোধ জারি থাকুক।
(একবার মন্তব্য লিখে হারিয়ে ফেলেছি!)

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মাসুদ সজীব এর ছবি

ধন্যবাদ, সচল থাকুন, সচল রাখুন :)

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সচল যেন সচল থাকে দু:সময়ের চক্রে। সচলের প্রতি আপনার প্রেমের স্রোতধারা বইতে থাকুক আমৃত্যু ।

---------------
রাধাকান্ত

অতিথি লেখক এর ছবি

মাসুদ তোমার কাছে অনেক দিক দিয়ে আমি দেনাদার , ঠিক তুমি যেমন অনুদার কাছে দেনাদার ।হায়! সচলের সাথে এই পরিচয় যদি আরো আগে হতো ।

------------
রাধাকান্ত

মাসুদ সজীব এর ছবি

সময় ফুরিয়ে যায়নি। সচলে থাকো, সচল রাখো :)

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি যে বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছি সেটির প্রধান শিক্ষক ছিলেন একজন বিদেশী। তিনি অনেকদিন বাংলাদেশে থাকলেও এবং ভাষা শেখার ব্যাপারে নিজের চেষ্টার কোন কমতি না থকলেও তিনি কখনও ভাল বাংলা বলা রপ্ত করতে পারেননি। এক দিন বিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে পদাধিকার বলে বক্তৃতা করতে গিয়ে ভাষা জনীত দুর্বলতার কারণে তেমন কিছু বলতে পারিছিলেন না। দু‘এক বাক্য বলে তার পূর্ববর্তী বক্তার নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘উনার কথা আর আমার কথা একই’। বুঝাতে চেয়েছিলেন যে উনি পূর্ববর্তী বক্তার কথার সাথে এক মত পোষণ করছেন এবং সবাইকে সেগুলো মেনে চলতে অনুরোধ করেন। সচলায়তনের বিষয়ে আপনার অনুভূতির সাথেও আমি ১০০% একমত। কিন্তু আপনার মত অত সুন্দর করে লেখার যোগ্যতা আমার নেই। তাই বলছি, সচলাতনের ব্যাপারে ‘মাসুদ সজীবের কথা আর আমার কথা একই।‘ অনেক ধন্যবাদ।

- পামাআলে

মাসুদ সজীব এর ছবি

পড়তে পড়তেই লেখার ক্ষমতা চলে আসে। পড়তে থাকুন সচলে, দেখবেন আপনি হয়ে উঠবেন একদিন পূর্ণ সচল, যার লেখার জন্যে সকল সদস্যই আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করবে। (ধইন্যা)

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

এক লহমা এর ছবি

মাসুদ সজীব, এত ভালোবাসার লেখায় যথাযথ ভালোবাসা জানানোর সাধ থাকলেও সাধ্য কি আর আছে এই বুড়ো লোকটার! ভরসা এই, ভালোবাসা কোন যথার্থতার থোড়াই পরোয়া করে!

সচলে এসে পৌঁছাতে আমারও অনেক দেরী হয়ে গেল। এখানে হাজির প্রায় সকলের থেকেই অনেক অনেক বেশী দেরী হয়ে গেছে। কি আর করা যাবে। ভাল এটাই যে দেরীতে হলেও খোঁজ পেয়ে গেছি, এসে গেছি।

আপনে যে লিস্টিটা বানিয়েছেন, আমার লিস্টিতে তার একটা নাম নেই, এবং অবশ্যই এই পোস্টের লেখকের নামটা আছে। :)

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মাসুদ সজীব এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা। ক্যালিডোস্কোপ থেমে গেলো কেন? আরো লিখুন, স্মৃতি বিষন্ন হই :)

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

ময়ুখ কিরীটি এর ছবি

সচল পড়ে সচল থাকি.........আপনার অন্ত:স্থলের বিশ্লেষণ দারুণ লেগেছে :)

মাসুদ সজীব এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালোথাকুন-নিরাপদে থাকুন। :)

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সচল একটি অভিশাপ, ভালুবাসাও তাই। দুয়ে মিলে মাইনাসে মাইনাসে প্লাস। 8)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাসুদ সজীব এর ছবি

হাছা কইছেন সাক্ষী ;) । মেলায় তো দেখা পাইলাম না :-?

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

:( এই দিন দিন না, আরো দিন আছে! :S দেখা হইবোই। :D এএএনশাল্লাহ! 8)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ভাল লাগলো, আপনার ভালবাসা জানানোর ভাষা। আমিও খুব বেশীদিন সচলে আসিনি, তবে আমাদের সময়টাতেও সচল ছিলো যথেষ্ট জমজমাট। তখন এক-একটা লেখায় মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে শতক পেরিয়ে যেতো। আর এখনতো...! :)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ক'দিন আগে তিথীদি'র একটা পোস্টে হল না? চলেন আবার শুরু করি! ):)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।