আজকে সকালে এক ইতালিয়ান ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা হচ্ছিলো, তার মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির এই ক্রমশঃ নিম্নগতি আরও নীচে নামবে এবং ইউরোর এই শনৈ শনৈ বাড়তে বাড়তে তা খুব দ্রুতই পাউন্ডকেও অতিক্রম করবে এবং শেষ পর্যন্ত হয়তো ব্রিটেনকে বাধ্য হয়েই ইউরো-জোন –এ যোগ দিতে হবে। তখন পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থা কী হবে? হয়তো এর ফলেই ইউনিপোলার বিশ্ব ব্যবস্থায় খানিকটা হলেও ভারসাম্য আসবে এবং ইউরোপ এই ভারসাম্যের এক পাল্লায় সম কিংবা একটু বেশ ওজন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ হবে। এই সব নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কপচাকপচি হলো। কিন্তু ভদ্রলোক যখন এসব কথা বলছিলেন, আমি তখন ভাবছিলাম আমার বাংলাদেশের কথা। এর প্রভাব বাংলাদেশে কতোটা পড়বে? বা পড়তে পারে?
ভদ্রলোক চলে যাওয়ার পর চিন্তাটা এখানেই স্থির হলো যে, আসলে বাংলাদেশে এর কোনওই প্রভাব হয়তো পড়বে না। এখন চুলোয় পুড়ছে, ইউরোপ সুপার পাওয়ারের বৃহদাংশের ভূমিকা গ্রহণ করলে বড় জোর তাওয়ায় ভাজি হবে, এর বেশি কিছু হবে কি? মনে হয় না।
একটি মজার গল্প মনে পড়লো, তথ্যটি কেবলমাত্র সেদিন জেনেছি, যাহোক ব্লগারদের সঙ্গে ভাগ-যোগ করে নিচ্ছি বিষয়টি। ২০০৫ সালের ২১ আগস্ট বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পল উলফোভিজ বাংলাদেশ সফর করেন। মাত্র একদিনের সফর, এবং এই সফরে তিনি দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা এবং অবশ্যই গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাকের কয়েকটি প্রকল্প। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এইসব প্রকল্প পরিদর্শনকালে বিশেষ করে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনও প্রকল্প পরিদর্শণকালে ড. ইউনুস তার সঙ্গী হননি। যদিও ব্র্যাক প্রকল্প পরিদর্শনকালে ব্র্যাক-কর্তা আবেদ সাহেব সঙ্গে ছিলেন।
সময় তখন দুপুর দু’টো। ঢাকার মিরপুর এলাকার অস্ট্রেলিয় অর্থায়নে পরিচালিত একটি স্কুল এবং সেবা সংস্থার কার্যালয়। বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট-এর সফরসূচীতে এই স্কুলটি পরিদর্শনের কথা ছিল। কথা ছিল তিনি আসবেন, স্কুলের কার্যক্রম ঘুরে দেখবেন এবং এক কাপ চা পান করে তিনি সরাসরি বিমানবন্দরে চলে যাবেন। যাহোক, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সামর্থ অনুযায়ী মি. প্রেসিডেন্টের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছেন এবং অধীর অপেক্ষায় আছেন কখন আসবেন। কিন্তু দেখা গেলো সেখানে উপস্থিত হয়েছেন, ড. ইউনুস এবং তার কিছুক্ষণ পর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম।
স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং সংস্থাটির সম্মানিক প্রেসিডেন্ট তাদেরকে দেখে একটু বিরক্তই হলেন, মনের ভেতর প্রশ্ন এলেও চেপে গেলেন। ড. ইউনুস স্বপ্রণোদিত হয়েই বললেন যে, মি. প্রেসিডেন্ট তাকে এখানেই দ্যাখা করার জন্য সময় দিয়েছেন। তাহলে মি. এডিটরদ্বয় ওখানে কেন গিয়েছেন? সে প্রশ্ন জানা যায়নি।
যাহোক যথাসময়ের কিঞ্চিত পরে মি. প্রেসিডেন্ট এলেন। তাকে বরণ করে নিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ভেতরে নিয়ে বসালেন যেখানে অপেক্ষা করছিলেন ড. ইউনুস এবং সম্পাদকদ্বয়।
হ্যালো ইউনুস।
হ্যালো পল।
হাই জেন্টলম্যান।গিভ মি. সাম মিনিটস, আই উইল জয়েন ইউ সুন।
মাত্র মিনিট দশেক স্কুল পরিদর্শন হলো। তারপর আবার ফিরে আসা হলো সেইখানে যেখানে ড. ইউনুস এবং সম্পাদকদ্বয় অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে মি. প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আগত সেক্রেটারি ভদ্রমহিলা (সম্ভবতঃ তিনি তৎকালে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধিও ছিলেন) বললেন, “ভদ্রমহোদয়গণ, আমরা কি চারজন ভদ্রলোককে একান্তে আলোচনা করার সুযোগ দিতে পারি?” বলা বাহুল্য সেখানে সবাই ভদ্রজন, তাই ঈশারা বুঝতে কারোই অসুবিধে হয়নি। দরোজা বন্ধ হলো, চার জন ভদ্রলোক, মি. প্রেসিডেন্ট, ড. ইউনুস ও সম্পাদকদ্বয় বৈঠকে বসলেন। কোনও মিডিয়ার চোখ সেখানে নেই, নেই কোনও ঝামেলা, যদিও এই অফিসটি থেকে ড. ইউনুসের গ্রামীণ কার্যালয় মাত্র পাঁচ-সাত মিনিটের হাঁটা পথ। এটা অবশ্য স্পষ্ট তখনই হয়েছিল যে, মিডিয়ার দৃষ্টি এড়াতে এই স্কুলটিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল একান্ত এই বৈঠকের জন্য।
প্রশ্ন হলো, কী কথা হয়েছিল এই বৈঠকে? কেনই বা এতো গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছিল বৈঠক সম্পর্কে? ড. ইউনুসের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বৈঠক হতেই পারে, ব্যাংকারে ব্যাংকারে বাঙ্কা-বাঙ্কি; কিন্তু ওই দুই সম্পাদক ওখানে কী করছিলেন?
ওপরের প্রশ্নের উত্তরের জন্য একটি ছোট্ট সূত্রঃ দ্য ইকনোমিস্ট পত্রিকা বলতে চাইছে যে, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার পরিকল্পনা ২০০৫ সালেই সম্পন্ন হয়েছিল। শেখ হাসিনার জন্য আসা মার্কিন আইনজীবীও দুই সম্পাদকের (এরাই যে ওপরে বর্ণিত সম্পাদক, তা নাও হতে পারে) বরাত দিয়ে বলেছেন যে, ২০০৫ সালে তাকে জানানো হয়েছিল যে, বাংলাদেশে এরকম ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।
শনিবার দুপুরে, কোনও কাজ নেই, শরীরটাও ভালো নয়, তাই এইসব আব-জাব কথা ভাবছি এবং লিখছি, মনে হচ্ছে, সকালে ইতালীয় ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং মাঝের এই গল্পের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র স্থাপন করতে পারিনি; স্বীকার করছি ব্যর্থতা।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
মন্তব্য
এসব রাতারাতি হয়নি। কত রাত আগে হয়েছে, তা আর হিসেব করে লাভ নেই, শুধু অল্প কিছু রাতের মধ্যে ভোর হলেই হয়।
এই দুই সম্পাদক আমাদের দেশটি সম্পাদনার দায়িত্ব নিয়েছেন/পেয়েছেন নাকি?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
দ্যা পাপেট শো ।
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
উলফোউইৎস ইহুদী । পৃথিবীর তাবৎ অর্থনীতিই তো নিয়ন্ত্রন করছে তার কাবুলিওয়ালা গোত্র। বিশ্ব ব্যাংকের গঠন তন্ত্রে আছে এর প্রেসিডেন্ট হবে এক জন আমেরিকান, অর্থাৎ ইহুদী বা তার অনুচর। ইউনুসের মত কিছু পদলেহী ভৃত্যকে দুএকটা পুরস্কার দিয়ে খুশী রাখছে এবং জাতে উঠিয়ে তাদের মাধ্যমে নিজেদের প্রভাব বাড়িয়েই চলেছে। ক্ষুদ্র পুঁজীবাদ প্রচার করতে ইউনুসকে তারাই এদেশে পাঠিয়ে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে, যেমন বিদেশে মিডিয়া প্রচার দিয়ে, যাতে পশ্চিম বাংলার মত এখানে কমিউনিজম ছড়াতে না পারে। নোবেল দিয়ে একেবারে দেবতা বানিয়ে ফেলেছে। তিনি এখন দু হাত সদা প্রসারিত করে আকাশে উড়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত। কিন্তু রাজনৈতিক উথথান এত সহজ না।
ইউনুসের প্রথম পুরস্কার ছিল ম্যাগসেসে (সাই সাই বলে অনেকে), মতি মিয়ারও তাই। সবাই জানে এটা দেয়া হয় ফিলিপিন্স নয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
কাজী জেসিনের "তিনি" অনুষ্ঠানে দেখেছিলাম মাহফুজ আনামকে নাস্তা নাবুদ হতে, যখন তার এককালের বন্ধু সাংবাদিক মাহফুজুল্লা বন্ধুর প্রথম জীবনের বামপন্থী পথ ত্যাগ করে পুঁজীবাদীদের ধর্ণা ধরা নিয়ে বেশ ব্যাংগ করলেন, এবং মাহফজ আনামের মত বাকপটু লোক আমতা আমতা করতে লাগলেন।
কিন্তু বাংলাদেশে কোন ফর্মুলাই খাটে না, সেটা তো এই সরকার এখন বুঝতে পারছেন ক্রমে কমে। দুএকজন মেরে ফেলা যায় বড় জোর।
বর্তমান বিষয় বা ব্যক্তিবর্গ বহির্ভূত একটি প্রতিমন্তব্য করতে চাই।
আপনার এক ধরনের অন্ধ ইহুদি-বিদ্বেষ আছে, যা আপনার আগের অনেক মন্তব্যেও লক্ষ্যণীয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আমিও এই আলোচনাকে অন্যদিকে নিতে চাই না। কিন্তু যেহেতু আমার মন্তব্যকে আপনি অন্ধবিদ্বেষ প্রসূত বলেছেন, তাই একটু ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন। সব সাধারনীকরনেরই ব্যতিক্রম আছে। আমি প্রচুর ইহুদীর অনুরাগী - যীশূ, কার্ল মার্ক্স, চমস্কি, ববি ফিশারের নাম আগেও উল্লেখ করেছি। এঁরা ব্যতিক্রম।
কর্মজীবনে অনেক ইহুদীর সংস্পর্শে এসে সাধারণভাবে এদের আপন গোষ্ঠীপ্রিয়তা,যেনোফবিয়া, অসততা, ষড়যন্ত্রপ্রিয়তা, অর্থলিপ্সা আমাকে বারে বারে স্তম্ভিত করেছে। আমার ব্যক্তিগত জীবনে এদের সমন্বিত কর্মকান্ড দ্বারা অন্যায়ভাবে নিদারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
Once is happenstance, twice is coincidence, thrice is enemy action. বারংবার বেনেফিট অব ডাউট দেয়া নির্বুদ্ধিতা।
আপনি হয়তো ভাগ্যবান। জানি না মার্চেন্ট অব ভেনিস লেখার সময় শেকস্পিয়ারের মনে কি ছিল।
আমার বিভিন্ন সময়ের মন্তব্যগুলিকে এতো মনোযোগ দিয়ে পাঠ করে কোরিলেশন বার করার জন্য ধন্যবাদ।
তার মানে, আপনি আপনার ইহুদি-বিদ্বেষের কথা স্বীকার করছেন। শেকস্পিয়ার মার্চেন্ট অব ভেনিস-এ একজন ইহুদিকে মন্দ দেখালেই পুরো ইহুদি জাতি মন্দ হয়ে যায় না। এমন সরলীকরণ সব সময়ই অন্ধ এবং বালখিল্যতার পরিচায়ক।
আপনার যুক্তি অনুযায়ী, আপাদমস্তক বাঙালি-বিদ্বেষী হবার যাবতীয় ভিত্তি ও কার্যকারণ আমার কিন্তু আছে। জীবনে আমি অজস্রবার নানাবিধভাবে বাঙালিদের দ্বারা প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
না, আমি বাঙালি-বিদ্বেষী তো নইই এবং নই ইহুদি-প্রেমীও। শুধু কোনও জাতিকে ঢালাওভাবে ভালো বা খারাপ বলার বিপক্ষে আমি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
'বিদ্বেষ' শব্দটা হয়তো ঠিক নয়, কিন্তু আমি সেমান্টিক বিতর্কে যাব না। একজন ইহুদী ডান হাত বাড়িয়ে দিলে আমি অবশ্যই সাগ্রহে করমর্দন করব, কিন্তু তীর্যকভাবে বাম হাতের দিকে নজর রাখব। একজন নোয়াখাইল্যার ক্ষেত্রেও তাই (আমার পিতামহ সেই জেলাতে থাকতেন, পারিবারিক অভিজ্ঞতা), পশ্চিম বাংলার (যেখানে জন্ম) বা ইংল্যান্ডের (যেখানে উচ্চতর পাঠ) মানুষের, ইটালীয়ানদের (যাদের দেশে কয়েক বছর কেটেছে) ভালো-মন্দ আমার কিছূটা জানা, এবং তাদের সাথে ডীলিংস-এ তা প্রতক্ষ বা পরোক্ষভাবে চলে আসে ।
মাসুদা ভাট্টির এ ব্লগের মূল সুরের সাথে তাল মিলিয়ে আমিও সাধারণভাবে সতর্ক থাকতেই বেশী উৎসাহী, এবং অনেককে তাই পরামর্শ দেব। মানুষের সব জ্ঞান, বুদ্ধি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সীমিত স্যাম্পলিং-এ অর্জিত। এটা জেনেও অনেক ক্ষেত্রে কিছুটা সাধারণীকরন না করে থাকা যায় না, ব্যতিক্রমের সম্ভাবনাটা মনে রেখেই । এটা বালখিল্যতা নয়। নিউরাল নেটওয়ার্ক থিওরীর অবতারণা এখানে আর করব না।
সতর্ক থাকার ব্যাপারটি অবশ্যই সমর্থনযোগ্য। তবে "অনেক ক্ষেত্রে কিছুটা সাধারণীকরন না করে থাকা যায় না" বলেই সেই সাধারণীকরণটির প্রচার ও প্রসারে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হবে?
যে-কোনও মওকায় আপনার ইহুদি-ঘৃণা ('বিদ্বেষ' শব্দটির সঙ্গে আপনি একমত নন বলে সেটি ব্যবহার করলাম না) প্রকাশের প্রবণতা লক্ষ্য করেছি বলেই কথাটি বললাম।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এই ত্রয়ীদের কথা আগে জেনেছিলাম সম্ভবত সর্বজনাব আবদুল গাফফার চৌধুরী সাহেবের বরাতে ।
আবার মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ মাসুদা ভাট্টি কে।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
তাদের উদ্দেশ্যে শুধু একটা কথাই বলা যায় - "আপনারা পারেনও !! "
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে আমার প্রশ্ন অন্যখানে, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট কিংবা দাতা গোষ্ঠী বা আমেরিকার স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা থাকবেই, নিজের দেশের জনগণকে সুখী রাখতে হলে, দুধে-মদে রাখতে হলে তাদেরকে কোথাও না কোথাও থেকে সম্পদ আহরণ করতে হবে, নানা স্ট্রাটেজির আবরণ ঠিক করে তার তলায় পলিটিক্যাল বিলিয়ার্ড খেলতেই হবে কিন্তু আমার আশ্চর্য লাগে এসব দেশ ও তাদের প্রতিনিধিকার কী করে আমাদের মতো দেশে তাদের যোগ্য প্রতিনিধি পেয়ে যান, সেটা ভেবে।
আজকে দেশে ভাতের অভাব, অভাব পানির, অভাব শান্তির, কিন্তু আমাদের কোনও ড. (না ড. কামাল হোসেন, না ড. ইউনুস) -এর মুখে রা নেই, তারা আছেন কী করে নতুনতর ক্ষমতার বলয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা যায় তা নিয়ে। ড. কামাল হোসেন, যিনি বিদেশি-স্বার্থ রক্ষায় যতোটা না আগ্রহী তার এক কণাও যদি আগ্রহী হতেন দেশের স্বার্থ রক্ষায়, তাহলে হয়তো আমাদের দেশের চিত্রটা অন্যরকম হতো।
তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে, এই দুর্ভাগা দেশ ও জাতির এই সংকটে আসলেই ত্রাতা কে বা কারা? নাকি ভাগ্যের ওপর নিজেদের সঁপে আমরা অপেক্ষা করবো, যা কিছু ঘটার তা ঘটে যাওয়ার জন্য?
একটা বিষয় খেয়াল করেন, অপশক্তি কিন্তু কিছুটা হইলেও সৃজনশীল কায়দার দিকে গেছে। সামলাইতে সমস্যা করতেছে প্রান্তিক ক্রয় ক্ষমতার লোকজন। গরীব লোকের কথা বাদ দিলে বাকিরা কিন্তু খুশীই আছে ড. কিংবা জেনারেলদের উপর। সৃজনশীল মানে হইলো মাঠে সবাইরে কিছু কিছু কইরা নামাইয়া রাখছে। আগের মতো দৃশ্যত: একসাইড হয় নাই। তাতে লাভ হইলে যে সব পক্ষেই কিছু কিছু লোক পাওয়া যায়। এই কায়দা শুরুতে আইয়ুব খানেরও ছিল। কিছুটা এরশাদেরও ছিল। কিন্তু তারা দ্রুত একটা বিশেষ কোণায় সইরা গেছিলেন। এদের প্রাথমিক সাফল্য সেদিক থিকা বেশী।
এই হইল ঘটনা।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
এই ঘটনাই তো আরো অধিকতর ভয়ের কারন ।
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মারহাবা ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আমি ছোট একটি ঘটনা শেয়ার করতে চাইছি, ডঃ ইউনুস যেদিন নোবেল পেল তখন আমি রাস্তায় রিক্সায় যাচ্ছি। আমার এক বন্ধু মোবাইলে খবরটি জানাল। ভাল লাগবে না মন্দ লাগবে দো'টানায় ভুগছি খবরটা পেয়ে। তবু খুশি গলায় বললাম, নোবেল তো পেল বাংলাদেশ ---- সেই খুশিতেই না হয় খবরটা উপভোগ করি। আমি রিক্সাচালক ঘাড় ঘুরিয়ে ছোট্ট একটি বাক্য ঝাড়ল------ ঐ হালায় পাইছে নোবল--- চোট্টা হালায় ---- ঘরের বেবাগ চালা খুইলা নিয়া যায়-------
যে তিনজনের কথা উপরে উল্লেখ আছে তাদের প্রত্যেকের মুখগুলো আর মুখোশ গুলো এখন আর অচেনা নয় -------- আর মার্কিন সাম্রাজ্য তো সারাজীবন দেশে দেশে এইসব ছুঁচো ধরার কাজে পারদর্শী---- বাংলাদেশের মতন দেশে এদের পাওয়া তো সমস্যাই নয় যেখানে স্বাধীনতার তিন বছরের মাথায়ই জনককে হত্যার মত নারকীয় কাজ আমাদের দিয়ে করানো সম্ভব সেখানে এটুকু তো সামান্যই --------
কিন্তু আমরা জেনেও কেন চুপ?-------- শক্তিহীনতা না অনিচ্ছা?
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
এই নিয়ে তৃতীয়বার কমেন্ট লেখা শুরু করলাম এই লেখাতে। এবারও যদি ইলেক্ট্রিসিটি চলে যায়, আর লেখবো না।
ইউনুস সাহেব নোবেল পাওয়ার পর দুর্জনেরা বলত, নোবেল শান্তি আসলে ছেলে ভুলানো পুরস্কার, যাতে সোনা জাদু মনিরা অবাধ্য না হয়। যদিও ইউনুস সাহেবকে আমি অনেক আগের থেকেই তার তৈলাক্ত কথা এবং তার ততোধিক তৈলাক্ত স্বভাব এর জন্য পছন্দ করতাম না, তারপরও ভেবেছিলাম দুর্জনের কথায় কান দেবো না। একজন নোবেল বিজয়ীর নামে যা তা আর ভাববো না। কিন্তু ভদ্রলোক যা শুরু করলেন।
মনে হচ্ছিল উনাকে যেয়ে, হিমু ভাই এর ডাইলক ধার করে বলি, আঙ্কল, রয়ে সয়ে !
উনার নোবেল পাওয়াতে কার কি হল জানি না, কিন্তু সবচেয়ে বড় সর্বনাশ হল নোবেল শান্তি পুরস্কারের ভাবমূর্তির, বাংলাদেশের আমজনতার কাছে !!
-------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এই তাইেল ঘটনা?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্রিয় মাসুদা ভাট্টি আপনার লেখার উল্লোখিত জায়গাটা পরিস্কার নয়, আপনার কি মনে পড়েছে না কারো মাধ্যমে জেনেছেন? মনে পড়লে ধরে নিতে পারি আপনি শরীরে ছিলেন ঐ জায়গায় আর কারো মাধ্যমে জানলে দয়া করে কি আপনার তথ্যসূত্রটির কোন লিঙ্ক দিতে পারেন বা নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স?
আপনার ভাষ্যমতে এই তথ্যটির স্বপক্ষে ইকনোমিস্ট পত্রিকা ছাপা হওয়া লেখাটার লিংক বা তারিখটা কি দয়া করে উল্লেখ করবেন?
যে স্কুলে বৈঠকটি হয়েছিলো সে বৈঠকের সূত্রও দয়া করে দেবেন বলে আশা করি।
যারা মন্তব্য করেছেন এবং পড়েছেন বা পড়েননি, সবাইকে ধন্যবাদ।
যিনি আলোচ্য তথ্যটি আমাকে জানিয়েছেন তাকে আমি আসলে এই মুহূর্তে বিপদগ্রস্ত করতে চাইনি। যাহোক, সূত্রের একটি অংশ উল্লেখ করছি, স্থানটি হচ্ছে, ইউসেপ-এর স্কুল কার্যালয়, যেখানে সফরের উদ্দেশ্য আলোচ্য বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বাকিটুকু বলতে পারছি না, হাতপা বাঁধা। দুঃখিত।
আশ্চর্য লাগে খুব, এতো ঘটনা, এতো দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও মানুষের দৃষ্টিশক্তি কাল-কাপড়ে বাঁধা থাকে, দিনের আলোর মতো সত্য-কেও প্রমাণের জন্য তথ্যসূত্র হাজির করতে হয়!!!
ভালো থাকুন সবাই।
আপনার আংশিক ও অসম্পূর্ন তথ্যসূত্রের জন্য ধন্যবাদ। তথ্য জানাতে গিয়ে কারো জীবন বিপন্ন হোক তা আমিও চাই না। তবে যে আলোচনা রাজনৈতিক ও ধোয়াঁশা তৈরীতে ইন্ধন যোগায় তার তথ্যসূত্র জানানোটাও আলোচনার একটা প্রাসঙ্গিক অংশের মধ্যে পড়ে। দিন তারিখ ও একটা ফটুক তুলে দিতে নিঃশ্চয় জীবন বিপন্ন হয় না। তাছাড়া যিনি আপনাকে বলেছেন তিনি সাহসী মানুষ না হলে বা নিজের জীবন নিয়ে তটস্থ থাকলে আপনার কাছেও বিষয় প্রকাশ করতেন বলে মনে হয় না। তাই আপনার তথ্য প্রকাশের সীমাবদ্ধতা মেনে নিলেও মনে নিতে পারলাম না (রবি ঠাকুরের ডায়ালগ দিলাম)।
দিনের আলোর মতো সত্য বলতে আপনি কি বলতে চাইছেন? কোন ব্যক্তির কাপড় টানাটানি না করে একটু পরিস্কার করে বলুন। বর্তমান সরকার যা করছে তা অন্যায় হলেই কি যাবতীয় গসিপ হালাল হয়ে যায়? ধরে নিচ্ছি উল্লেখিত বোল্ড অংশের কথাগুলো আমাকে বলা হয়েছে, কারন অন্য কেউ আপনার লেখা রাজনৈতিক গল্প নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেনি। তাই এই প্রসঙ্গে ছোট্ট একটা কথা বলতে চাই। ধরুন আমি একজন প্রখ্যাত ব্যক্তি (সক্কলে আপোষহীন বলে জানে), কোন এক জনসমাবেশে বা জনসম্মুখে একটা ঐতিহাসিক ঘটনার আমার মতো একটা গল্প ফাদঁলাম। এখন আপনার কাছেই আমার প্রশ্ন কারো মুখের কথা কি অকাট্য প্রমান হতে পারে? কেউ অনেক সৎ, মহত, আপোষহীন হলেই কি তার সমস্ত কথা প্রমান ছাড়া বিশ্বাস করতে হবে? মেজরিটি হয়তো করবে কিন্তু অনুসন্ধিতসু মানুষ মাত্রই প্রশ্ন করে যাবে এবং বক্তা তার স্বপক্ষে যুক্তি দেবেন......এই তো স্বাভাবিক, না কি?
পরিশেষে আবারো আপনাকে স্বরন করিয়ে দিতে চাই আপনি কিন্তু ‘দ্য ইকনোমিস্ট পত্রিকা’-রও কোন সূত্র বা লিংক দিলেন না (আশা করি এতে কারো প্রাণনাশ হওয়ার সম্ভাবনা নাই)!
মাসুদা ভাট্টির কাছে আদিত্য যে তথ্য প্রমান চাচ্ছেন,মাসুদা নিজে নিশ্চয়ই তার জবাব দেবেন ।
কিন্তু আমার জানতে আগ্রহ হচ্ছে, মাসুদা যদি দ্যা ইকোনমিষ্ট এর সুত্র বা লিংক না দেন বা দিতে না পারেন তাতে কি গনেশ খুব উলটে যায়?
ইউনুস,আবেদ কিংবা সুশীল সম্পাদকদ্বয় বস্তুতঃ কাদের কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগী সেটা বুঝে নিতে অন্ততঃ আজ আর কোন তথ্য প্রমানের দরকার আছে বলে তো মনে হয়না ।
আজকের বাংলাদেশই তো জ্বলন্ত প্রমান ।
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দুঃখিত, আমি এখানে কোনও গবেষণালব্ধ সন্দর্ভ লিখতে বসিনি, যে পাদটীকা, এবং সেই সঙ্গে বিবলিওগ্রাফি নিয়ে আমাকে মূল আলোচনার চেয়ে তার লেজটাকে দীর্ঘ করতে হবে।
ওয়াটার গেট কেলেংকারীরও তথ্যসূত্য মাত্র একটি "ডিপ থ্রোট" তাতে এই কেলেংকারীর ক্লেদ কিছুমাত্র কমেনি।
কারো আলোচনায় তথ্যের উল্লেখ করা বা না করা সেটা তার সম্পূর্ণ নিজস্ব, কেউ মনে নিক বা মেনে নিক তাকে মূল আলোচনা খুব কমই ব্যহত হয়। কেউ মনে নিতে চাইলে, এটা নিয়ে আরও গবেষণা চালিয়ে বাকি সত্যটুকু উদ্ঘাটন করতে পারেন। মূল সত্যকে সন্দেহে ঢেকে সত্যের ডালপালা নিয়ে যখন কপ্চা-কপ্চি হয় তখন মূল বক্তব্যের সঙ্গেই অবিচার করা হয়, যদিও তাতে সত্যের হেরফের কিছুই হয় না।
আমি জানি না, প্রশ্ন এখানে কী নিয়ে? ড. ইউনুস, সম্পাদকদ্বয় এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের এই গোপন বৈঠক নিয়ে? নাকি ঘটনা কে বললো সেটা নিয়ে? নাকি বাংলাদেশে আজকের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা নিয়ে?
যাদের কথা বলেছি, এখনও তাদের গা থেকে টানাটানি করার মতো কাপড়টুকু অবশিষ্ট আছে নাকি? হঁ্যা, পোশাক তারা পরেন সত্য কিন্তু নৈতিকতার আভরন এরা বহুদিন আগেই হারিয়েছেন। বাঙালি-মানস, আর যাই-ই মেনে নিক, নিজের দেশ ও জাতিকে নিয়ে বেশাতি মেনে নেয় না। এখনও এটা কেউ না বুঝলে, তার জ্য একটি "আহা" ধ্বনি ছাড়া আর কিছুই দেওয়ার নেই।
ইকনোমিস্টের গত এক বছরের প্রায় প্রতিটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক লেখাতেই বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ কিংবা তাদের পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য আছে এবং তাতে ২০০৫ কিংবা তারও আগে থেকে আজকের পরিকল্পনা সম্পর্কে বার বারই উল্লেখ আছে। আগেই বলেছি, মেনে নেওয়া কিংবা মনে নেওয়া কিংবা জেগে ঘুমানো বা বেঁচে মড়া হয়ে থাকাটা যার যার দৃষ্টিভঙ্গী এবং অবস্থানের ওপর নির্ভরশীল।
কিছু মনে করবেননা, তবে আদিত্যের সন্দেহের পক্ষে যথেষ্ট কারণ আছে। সেরকম মিটিং হতে পারে সন্দেহ নেই, তবে তার উদ্দেশ্য দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কিনা, সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ বেশ গাঢ়।
কারণ,
প্রথমতঃ ইউসেপের স্কুলে বিশ্বব্যাংকের প্রধানের সাথে ড. ইউনুসরা দেখা করতে গেলে সেটা চাপা থাকার কথা না যে এটা সবাই বুঝবে,,, একটা স্কুল একটা বেশ ওপেন স্পেস ,,, সেখানে শিক্ষকরা আছেন একদল ,,, তাছাড়া আরো নানান রকম লোকজন থাকেন ,,,অনেকেরই নজরে আসবে ,,,,ষড়যন্ত্রের ইচ্ছা থাকলে তারা আরো সাবধানী হতেন
দ্বিতীয়তঃ, বদ্ধঘর মিটিং করে তারপর প্রেস ব্রিফিং করাটা একটা সুগৃহীত রীতি। গ্রামীনের হেড অফিসে ড. ইউনুসের সাথে দুই সম্পাদকসহ বসে মিটিং করে, তারপর সাংবাদিকদের আবজাব কিছু ব্রিফিং করাটাই বরং এক্ষেত্রে সহজ হতো ,,, কোন এক স্কুলে গিয়ে লোককে অর্ধেকটা দেখিয়ে গোপন বৈঠক করার মতো বোকামী এদের কেউই করবেনা
বটমলাইন হলো, পল উলফোভিৎসের মতো এরকম সুপারহাই প্রোফাইলের কোনব্যক্তির সাথে গোপন বৈঠক এত সহজে ফাঁস হয়ে যাওয়ার মতো পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে সেটাই বিশ্বাসযোগ্য না .... এইসব ক্ষেত্রে সিআইএ অনেক বেশী সাবধান
তারা যদি আসলেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেন, তাহলে তারা আরো অনেক বেশী আঁটঘাঁট নিয়ে নামতেন ,,,, ড ইউনূস সম্পর্কে কিছুটা জানি বলেই বলছি, ভালো কাজ হোক খারাপ কাজ হোক, উনি এত কাঁচা কাজ করতেননা (যদিও উনাকে আমার কখনই সেরকম ষড়যন্ত্রী মনে হয়নি)
আমার ধারনা, উলফভিৎসের স্ক্যাজুলে তাড়াহুড়োর কারণে ইউনুস/মতিউর/আনামরা আলাদাভাবে উলফভিৎসের সাথে দেখা করতে পারেননি, তাদেরকে পলের ইউসেপের স্কুল ভিজিটের সময়েরমধ্য থেকে কিছুটা সময় এ্যালট করা হয়েছে ,,, তারা তাই সেখানে দেখা করতে গেছেন ,,,, আর এরকম হাই প্রোফাইল লোকদের মিটিংয়ে স্কুল শিক্ষকদের একটু রুম ছেড়ে দিতে বলাটা বাংলাদেশে খুবই স্বাভাবিক ,,,,
আমার মনে হয় যিনি ব্যাপারটাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে ভাবছেন, তিনি একটু বেশীই ভেবে ফেলেছেন
২০০৮ এর ডিসেম্বরের পরও যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে আপনি মতিউর রহমান/ মাহফুজ আনামদের এই সরকারের পক্ষে কথা বলতে দেখবেননা, এটুকু বলতে পারি। আর, ড.ইউনুস রাজনীতিতে নামতে এসে ব্যর্থ হয়ে অনেক আগেই এপথ মাড়ানো থামিয়ে দিয়েছেন।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
পাঠ করা যেতে পারে শামসুদ্দোহা শোয়েবের-ইসলাম পশ্চিম সংঘাত ও বাইবেল।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ধরি , ইউনুস=মি X
মাহফুজ আনাম = মি Y
মতিউর রহমান= মি Z
মাসুদা'র মুল ব্লগে এসেছে X,Y & Z এর বৈঠকের কথা। জনাব আদিত্য এতে সায় দেন না। জ্বিনের বাদশার সায় আদিত্যের সাথে।
ব্লগটিতে যে সব জবাব -মন্তব্য এসেছে তা ' ঐ X,Y আর Z নিয়ে । কিন্তু মাসুদা'র মুল ব্লগ আর মন্তব্য পরে আমি যা বুঝেছি , তার উপজীব্য এই ত্রয়ী নয়। তাদের কথা এসেছে উদাহরন হিসেবে । এখানে A,B,C............W যে কেউ যোগ বিয়োগ হতে পারেন।
যদি X,Y ,Z এর কথিত বৈঠকের কথা ভুল হয় তবু মাসুদা'র মুল ব্লগের আবেদন কমে না। কারন তার সাফ কথা হল ঃ
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
@মাসুদা আপাঃ যদি কিছু মনে না করেন; আপনার লেখার মধ্যে একটা গভীর ইমোশন কাজ করে। পড়তে ভালোই লাগে। কিন্তু লোকে চ্যালেঞ্জ করলে বিপদে পড়ে যান। আমি ইকোনমিস্ট ঘেঁটে (যতটুকু ফ্রী পড়া যায়) অমন ভবিষ্যদবানী খুঁজে পাই নি, যদিও আপনার কথার মূল বক্তব্য সম্ভত সঠিক।
@বজলুর রহমান ঃ খামকা ইহুদী প্যাচালে জড়াইলেন। উলফোউইয আবার ইহুদী, আরশোলাও পাখী। মুসলমান মাইয়ারে খাতির কইরতে গিয়া এমন জব্বর চাকরী খোয়াইল। ত্যারা আপনার ক্ষতি কইরলে, কাম কইরা তাগো উপরে উইঠা যান।
@সংসারে এক সন্ন্যাসী ঃ আফনারেও একই কথা। আপনে ইহুদী ইস্যুতে এত চেতেন ক্যান।ঘর-পোড়া গরু সিন্দুইরা মেঘ দেখলে তো ডরাইবই। মহাথীরও তো একই কথা কইসে। পাগলা আহমেদিনেজাদরে বাদই দিলাম। এমন কি মুহাম্মদ জাফর ইকবালও ইহুদীগো লইয়া বাজে জোক ছাড়ে মিটিঙ্গে। ইহুদীরা নিজেরাও নিজেগো লইয়া তামাশা করে। হ্যারা বেশীর ভাগ আসলে সেকিউলার না, তবে ক্ষ্যামতা আছে বটে, মাদাম হিলারী যেই কইলেন, ইরানরে উড়াইয়া দিবেন, বারাক ওবামা আউট হইয়া গেল।
কম সাপেরই বিষ আছে, আফনে সন্ন্যাসী মানুষ গায়ে সাপ জড়াইয়া কইল্কায় টান দিতে পারেন, হগলের সেই সাহস নাই।
প্রিয় সুধীর, আমার মন্তব্যগুলো ভালো করে পড়লে দেখবেন, আমি মূলত বলতে চেয়েছি, সচলায়তনে বা অন্য কোথাও জাতিবিদ্বেষের (শুধু ইহুদি-বিদ্বেষ নয়) প্রচার ও প্রসার কাম্য নয়।
আর মহাথীর বা জাফর ইকবাল (আমার অতি প্রিয় এক ব্যক্তিত্ব) বললেই তা জায়েজ, শোভন বা সমর্থন- ও অনুসরণযোগ্য আমি মনে করি না। কাউকে শ্রদ্ধা করি বলি তাঁর যাবতীয় কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে সায়ই যদি দেবো, তাহলে চিন্তা করার জন্য নিজের মগজের কোনও প্রয়োজনীয়তা তো দেখি না।
সত্য কথা। রুশ ভাষায় ইহুদিদের নিয়ে যতো কৌতুক আছে, তার সিংহভাগের রচয়িতা তারা নিজেরাই। নিজেকে নিয়ে সবাই হাসতে পারে না। স্বীকার করতেই হবে, এটা একটা বিরল গুণ।
কিন্তু কৌতুকের সঙ্গে বজলুর রহমান-এর বক্তব্য তুলনীয় নয়। তাঁর মন্তব্যের পরিবর্তে তিনি যদি কৌতুক লিখতেন, তাহলে আমি "চেততাম" না অবশ্যই।
আরেকটি কথা। সন্ন্যাসী মানেই ফতুয়া গায়ে কল্কি টানে বলে যে-ধারণাটি প্রচলিত আছে, তা আমার জন্যে প্রযোজ্য নয় । আমার সন্ন্যাস হচ্ছে সংসার-বৈরাগ্য। এর বেশি কিছু নয়
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নতুন মন্তব্য করুন