এক.
কেমন যাচ্ছে বৎস? – অশীতিপর প্রশ্ন তুললেন?
অবিমিশ্র দুঃখ হে বয়োবৃদ্ধ যোদ্ধা – ঝট্তি উত্তর।
আমি শুনতে পেয়েছি, কানটা এখনও যায়নি।
দুই.
ঘুমের মধ্যে আমরা পৃথিবীর নিকটবর্তী হলাম, আকাশের পতন হলে তা পৃথিবীতেই হবে, জানি। তবে পাহাড়টা পড়ে গিয়ে উপত্যকা হলো কেন? রাত কাছাকাছি এলে আমি এবং তুমি, একত্রিত হবো।আমরা পেছনে যে বনোভূমি ফেলে এসেছি তার কথা আর কখনোই তুলবো না। শপথ আমাদের বুদ্ধিদীপ্ত সন্তানদের, আমাদের স্ত্রীদের তলপেটের এবং তারা ঘুমের মধ্যে যে শব্দ করে, তারও।
তিন.
ওইতো দ্যাখা যাচ্ছে, এখান থেকে স্পষ্ট, শতবর্ষী সেই ভাঙা সাঁকোটি, বালকেরা যেখানে খেলছে এখন, ঠিক সেইখানে; তাদের পায়ের তলার মাটি কি তবে মানুষের হাঁড়গোড়? গোটা পৃথিবীটাইতো এক বিশাল গোরস্থান, শেষ থেকে আবার শুরু, শিশুকালে দ্যাখা বিশাল নদীকেও কেমন খালের মতো দ্যাখায় এখন।
চার.
সবজায়গাতেই মেয়েটি লিখে রাখলো – সবকিছু খুলে পড়ছে, যেমন হঠাৎ তার হাত থেকে চাবির গোছাটা পড়লো, মেয়েটির টু-ডু লিস্টে আরও লেখা, সোনার বালিশে ভরতে হবে হাঁসের পালক, কিন্তু মোজাটা কেন হারালো? ছিঁড়ে গেল কেন সুন্দর হাত-ঘড়িটার ফিতে? মেয়েটি তার রোজকার কাজের তালিকার কয়েকটিতে লাল কালিতে বৃত্ত আঁকলো, কিন্তু বৃত্তগুলোকে দেখতে মনে হলো কসাইখানায় নিয়ে যাওয়ার আগের ভেড়াগুলোর মতো। মেয়েটি তারপর বেরুলো বাড়ি থেকে, সামনের দোকানে ঝুলানো চার্টটা খুটিয়েঁ পড়লো, তারপর বললো, ক্যাকটাসের ফুলটা কি সত্যি? নাকি মেকি? দোকানি সে প্রশ্নের কোনও উত্তর দেয়নি।
পাঁচ.
থামো
নাচো
না হলো না, আবার
হাসো, দাঁত দ্যাখা গ্যালো ক্যানো?
কাঁদো, না পানি আনা যাবে না
শ্বাস নাও, স্টপ, নেবে না, স্টপ নাও
দৌঁড়াও, থামো, ওই থাম্
বসো, দাঁড়াও
শুয়ে পড়ো, শুয়ে পড়ো
শুবি না? তোর বাপ শোবে শুয়োরের বাচ্চা
তোর মাকেও শালা শুইয়ে গাভীন করে দোবো
পেছন ফিরে দাঁড়া এবার
কাপড় খোল
এই নে, গণতন্ত্র!
মন্তব্য
খাইছে ! গণতন্ত্র কোন্ দিকে যায় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নতুন মন্তব্য করুন