• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

চৈতালী-কথা (১)

মাসুদা ভাট্টি এর ছবি
লিখেছেন মাসুদা ভাট্টি (তারিখ: শনি, ০৬/০৬/২০০৯ - ৩:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভর চৈত্র মাস। সেই যে ফাল্‌গুনের পনের তারিখে সূর্যদেব মাথার ওপর উঠে বসে আছেন, আর নামার নাম নেই। ন্যাড়া চক-পাথার, ফসলহীন। চৈতালী উঠে গেছে। শুধু গম পড়ে আছে, পড়ে থেকে পেকে ঝনঝন করার পর তাদের কেটে আনা হবে। সকালে উঠে আমাদের বাড়ির সামনের বড় উঠোনে দাঁড়িয়ে সামনে তাকালে মাইল দেড়েক দূরের ত্রিভাগদি গ্রাম কেমন আবছা দেখা যায়, অথচ এই মাত্র কিছুদিন আগেই শীতের সকালে এই উঠোনে দাঁড়িয়ে চোখ মেললে একধামা জামরং চোখে হামলে পড়ে, শীতকালে আমার সূর্য ওঠে ত্রিভাগদি গ্রামের মাথা ছাড়িয়ে যে দেবদারু গাছ, ঠিক তার আগ-পাতাটা ছুঁয়ে ছুঁয়ে। যদিও পুরো গ্রামটি ঢাকা থাকে কুয়াশায়। কিন্তু চৈত্রে কুয়াশা নেই, তবুও ত্রিভাগদি দ্যাখা যায় না।

ফালগুনের মাঝামাঝিই জলদেবকে তুষ্টু করা হয়ে গিয়েছে। শনিবারের হাট থেকে দোকানি যে দাম চাইবে সেই দামে মাটির পাতিল কিনে এনে তাতে জলি-দুধের শিরনি রেঁধে পুকুরে ডুবিয়ে আসা হয়েছে। অবশ্য সকালে উঠে কোনও কিছু মুখে না দিয়ে, কারো সঙ্গে কথা না বলে পুকুরে ডুব দিয়ে এসে ভিজে কাপড়ে এই শিরনি রাঁধতে হয়। প্রায় বাড়িতেই হয়েছে এই ডুব-শিরনি, শুধু অমুদা’র মা “বড় ঠাইরেন”, যিনি এক সময় সমাদ্দার বাড়ির “বউ ঠাকুরুন” ছিলেন, তিনিই তখন বড় ঠাইরেন, সারাদিন আক্ষেপ করে মরেন, “আহারে আমার কেউ নেই বরুণদেবকে তুষ্টু করার, এই চৈতে আগুন ধরলে নিবানোর কেউ থাকপেনানে রে। ওহ্ ভগবান, এতো ভরা বাড়ি ছিল, কোহানে সব হারাইয়া গ্যালো রে”।সত্যিই, আমার জন্মের পর থেকেই দেখছি, সমাদ্দার বাড়ি থেকে একে একে সবাই চলে যাচ্ছে, শুধু সমাদ্দার বাড়ি কি, আমার জন্মের আগেই পাঠক, দত্ত আর বানারি(ব্যানার্জি) বাড়ি খালি হয়ে গিয়েছিল, আর আমার চোখের সামনে একে একে ভূঁইমালি বাড়ি, ঠাকুর বাড়ি খালি হতে লাগলো, সেই সব বাড়িতে মান্নান কাকা, খালেক কাকা, হারুন ফুপারা একে একে গিয়ে উঠলেন। সমাদ্দার বাড়িতে তখনও ফাল্‌গুনে দোল্ হতো, আমি রঙে নেয়ে ভূত হতাম। ঝুলনযাত্রা হতো ঠাকুর বাড়িতে, দূরদেশ থেকে কীর্ত্তনীয়ারা আসতেন, রাতভর কীর্তন হতো। সেইসব কীর্ত্তনীয়ারাও চলে যাওয়ার আগে গ্রামের জন্য আশীর্বাদ করে যেতেন, “এই চত্তিরি মা ওলা তুমি আইসো নাগো, চরণ ধরি তোমার তুমি আইসো না ইদিক পানে”। যাওয়ার আগে কীর্ত্তনীয়ারা চাউল তুলে নিয়ে যেতেন, আমরা মুঠো মুঠো চাল দিতাম, এক মুঠোর বেশি চাল দিলে ওরা নিতেন না, বলতেন, “বলতেন, প্যাডে যেটুকু আঁটে সেইটুকুনই খাইতে হয় দিদি, বেশি খাইতে নাই, চাইতে নাই, আমরা বাড়ি ঘুরি, তোমাগো বাড়ি থিকাই যদি সব নিয়া যাই তাইলে আমাগো নারায়ন দর্শণ হবেনিগো দিদি”।

এই কীর্ত্তনীয়াদের মধ্যে একজন ছিলেন বড়ু গোসাঁই। ছিপছিপে লম্বা, তখনও লম্বা পরিমাপের বোধ হয়নি, এখনকার হিসেবে ছয় ফুটের ওপরে হবেন। একখানি ধুতি দু’টুকরো করে একটুকরো লুঙ্গির মতো করে পরা, আরেকখানি শরীরে জড়ানো। গলায় কন্ঠী। ঠাকুর বাড়ির উঠোনের এক কোণায় স্বপাক খান কীর্ত্তনীয়ারা। আর অবধারিত ভাবেই আমি গিয়ে তাদের পাশে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকি, সন্ধ্যের পর কীর্ত্তন হবে, তাতে কী? আমি দুপুর থেকেই পারলে গিয়ে বসে থাকি। দিনভর যা যা উঠেছে, চাউলকলামুলোকুমড়াডালকলমিহেলেঞ্চা সবই একটি বিশাল মাটির হাঁড়িতে ফুটছে, একেবারে শেষে তিন চারটে দুর্বা ঘাসের ডগা এনে ছেড়ে দেয়া হতো সেই পাতিলে। সমাদ্দার বাড়ি থেকে বড় ঠাইরেন আমার হাত দিয়ে নারকেলের আচায় করে একদলা ঘি দিয়ে দিয়েছেন, আমি সেটি হাতে দাঁড়িয়ে আছি, কখন রান্না শেষ হবে আর কলাপাতায় সেই খিচুড়িমতো জিনিসটি ঢেলে তার ওপর খানিকটা ঘি ছিটিয়ে বড়ু গোসাঁই এক অদ্ভূত শব্দ করে খাবেন। আমার মায়ের হাতে আমি অনেকবার মার খেয়েছি এরকম মানুষের খাবার গ্রহণের পদ্ধতি নকল করে। আর বড়ু গোসাঁই আমাকে যেসব কীর্ত্তণ শিখিয়েছিলেন, গলায় সুর না থাকলেও আমি তার প্রতিটির কথা এখনও মনে করতে পারি।

তো সেবারও ফাল্‌গুনে কীর্ত্তনীয়ারা গেয়ে গেছেন, দোল হয়ে গেছে।আমাদের বাড়ি থেকে বেরোনো বারণ হয়েছে, কারণ সূয্যি-ঠাকুর আকাশে পা তুলে বসে আছেন।চারদিক পুড়ে যাচ্ছে, হাঁসমুরগিগরুবাছুরকুকুরবেড়াল সবাই কেমন জিভ বের করে হাঁপায় সারাদিন, দেখলে মায়া লাগে। আমাদের বড় উঠোনের পাশে একমাত্র চাপকলটি অনেকক্ষণ চাপতে হয় জল তুলতে, কারণ জল নেমে গেছে অনেক নীচে, সহজে উঠতে চায় না। বিরাট বড় বড় মাটির ভাসি ভর্তি করে জল রাখা হয়েছে আমাদের ঘরের কোণে, ঠান্ডা থাকবে বলে, আবার খুব প্রয়োজন পড়লে মানে চৈতে যার কথা মুখে আনতে নেই সেই আগুন লাগলে যাতে সহজেই সেখান থেকে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু যেবার আমাদের বাড়িতে আগুন লেগে আমাদের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল সেবার এই ভাসি ভর্তি জল আমাদের রক্ষা করতে পারেনি। আমার একেবারে এক কাপড়ে ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভয়ঙ্কর আগুনের হল্‌কা দেখছিলাম, কিছুই করার ছিল না। সেই আগুন দেখে ভয় পেয়ে আমার টাইফয়েড হয়েছিল, প্রায় ছ’মাস ভুগেছিলাম আমি সেই জ্বরে। জ্বরের ঘোরে ভুল বকতাম শুধু, আগুন আগুন করে চিৎকার করে উঠতাম – পরে শুনেছি এসব।

এমনিতে পুকুরগুলো শুকিয়ে যাওয়ার আগে তলা থেকে তাল তাল কাঁদা তুলে এনে টিনের চালের ওপর দিয়ে রাখতেন কেউ কেউ। যাতে কারো বাড়িতে আগুন লাগলে সেখান থেকে গোলা ছুটে এসে চালের ওপর পড়ে আগুন ছড়াতে না পারে। কিন্তু তাতেও কি কিছু হতো? হতো না। গ্রামের একদিকে আগুন লাগলে আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি পরবর্তী বর্ষা পর্যন্ত ক্যামন ন্যাড়া দ্যাখাতো, দূর থেকেই বোঝা যেতো এই গ্রামে আগুন লেগেছিল। কতোবার বৈশাখ মাস ধরে চলা নানা জায়গার মেলা দেখতে যেতে যেতে এরকম পোড়া গ্রামের দেখা পেয়েছি।সবচেয়ে খারাপ লাগতো সেই সব পোড়া বাড়ির ছেলেমেয়েদের দেখে, ওরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতো করুণ চোখে, তাদের মেলায় যাওয়া বারণ, বাড়ি পুড়ে গেছে, থাকা-খাওয়ারই কী ব্যবস্থা তার নেই ঠিক, তার আবার “আড়ঙ্গে” যাওয়া।

আমাদের ঘরের জানালা দিয়ে বড় উঠোন পেরিয়ে মাইল খানেক চক দেখা যেতো। আমরা ঘরে বসে বসে দেখতাম মাঠে “বিলাই দৌঁড়ায়”, পরে জেনেছি এর নাম মরীচিকা। সকাল থেকে সন্ধ্যে অবধি ফাঁকা মাঠে ক্লান্তিহীন এই বেড়াল দৌঁড়ানো দেখে দেখে আমার চোখে ধাঁধাঁ লাগতো। আমাদের খাবার-দাবারের ব্যাপারে মা খুব সতর্ক থাকতেন। হাত ধুয়ে এসে মুছে তারপর খেতে হবে। এই সব নিয়ম কানুন বছরের অন্য সময় শিথিল। ফ্রকে হাত মুছেই খেয়ে ফেলতে পারি, কেউ দেখলেও কিছু বলে না। শুধু অমুদা’র মা বড় ঠাইরেনের সামনে এমন কিছু করলে, “এ ম্যায়াডা, কতোবার না তোরে কইছি হাত ধুয়া ছাড়া কিছু মুখে দিবি না, আবার দেখলি তোর একদিন কি আমার একদিন”। উনি চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেই “তার একদিন কি আমার একদিন” আসেনি, উনি আমাকে শাঁসিয়েছেন, আদর করেছেন, আমার ভেতর ভরে দিয়েছেন সামান্য যেটুকু নম্রতা -যেটুকু আমার ভেতর এখনও আছে সেটুকু, অনেক খানি সৌন্দর্যবোধ, আর চলে যাওয়ার আগে দিয়ে গিয়েছেন উনাদের পারিবারিক লাইব্রেরীর সমস্ত বই। সেসব আরেকদিন, আজ চৈত্রের কথাই শুধু। এক চৈত্রকথায়, আরেক চৈত্রের চেয়ে খরতর কাহিনী বড় ঠাইরেনের চলে যাওয়ার গল্প বড্ড বেমানান।

চৈত্রের প্রথম কি দ্বিতীয় শনিবার, হাটের দিন, শনি-মঙ্গলবার হরির হাট বসে, সেরকমই এক সন্ধ্যায় আমাদের দক্ষিণ পাড়ায় কান্নার রোল ওঠে। ছহেরদ্দি শেখের ছেলে আব্দুল আলি শেখ-এর কলেরা হয়েছে। হাট থেকে আসার পথে জিলাপি কিনে খেতে খেতে আসছিলো কালি সাঁঝের কালে, হঠাৎ পেছনে এক বিরাটাকার কুকুর, কালি সাঁঝের মতোই রং। আব্দুল আলি তাগড়া যুবক, এইসব কুকুর-টুকুর ভয় পাওয়ার লোক নয়। সে কুকুরকে পাত্তা না দিয়ে হাট থেকে বাড়ির দিকে এগোয়, হাট আর আব্দুল আলির বাড়ি মাত্র আধ মাইল দূরত্ব, মাঝে শেলই-খাল। খটখটে শুকনো খাল পার হতে গিয়ে আব্দুল আলি আছাড় খায়। আর টের পায় তার হাত থেকে কলাপাতায় মোড়ানো জিলাপি টেনে নেয় কুকুর। যাওয়ার সময় বলে যায়, “জিলাপি দিলি না, কাইড়া নিলাম, এই বার পুরা গ্রাম খাবার আসফারলাগছি”। পরের দিন সকালে এই গল্প আমরা শুনি ময়না দাদি, মজিরোনের মা, রহিবোন ফুপু সহ নানাজনের মুখে। আমরা যেতে চাই দেখতে আব্দুল আলি ভাইকে, কিন্তু আমাদের যেতে দেওয়া হয় না। আমাদের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে সবাই আমাদের সঙ্গে গল্প করে যায়।

কিন্তু যেই মা বাড়ির পেছন দিকে কোনও কাজ নিয়ে ব্যস্ত ওমনি এক ছুটে আমি চলে যাই আব্দুল আলি ভাইদের বাড়ি। গিয়ে দেখি, বাড়িটা কেমন থমথমে। আব্দুল আলি ভাইকে একটা চৌকিতে আধশোয়া করে রাখা হয়েছে। তার পরনে লুঙ্গিটা শুধু লজ্জাস্থান ঢেকে রেখেছে। আগের রাত থেকেই বমি করতে করতে এখন আর বমি করার মতো শক্তিও নেই। নিম্নাংশ থেকে চৌকিতে বিছানো কলাপাতা বেয়ে যে জলের মতো জিনিস বেরুচ্ছে তার গন্ধে সেখানে দাঁড়ানো মুস্কিল। মাছি উড়ছে ভন ভন করে। আব্দুল আলি ভাইয়ের মা চাচি আম্মা তার বোন উজিরোন, লাইলি, লিলি আপারা চারপাশে ঘিরে বসে আছেন। আর ছহেরদ্দি কাকা বাইরে চৌকি পেতে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। তারও চারপাশে গ্রামের অনেক মুরুব্বি। ঝিনুক ভর্তি করে লবন পানি তুলে দেয়া হচ্ছে মুখে। বেতের নরোম আগা ছেঁচে তার রস খাওয়ানো হয়েছে কিন্তু “কিছুতেই কিছু হয়নি’।

গ্রামের একমাত্র ডাক্তার নগেন্দ্রনাথ এসেছিলেন, স্যালাইন দিয়েছেন একটা, কিন্তু আব্দুল আলি ভাই ক্রমশঃ শক্তিহীন হতে হতে নির্জীব হয়ে গিয়েছেন। চৌকির ওপর বিছানো কলাপাতায় শোয়া আব্দুল আলি ভাইয়ের চেহারাটা আমার চোখে এখনও আঘাত করে। মাত্র কিছুদিন আগেই তার বিয়ে খেয়েছি আমরা। কি সুন্দর বউটি, একটু মোটাসোঁটা, আব্দুল আলি ভাই নিরক্ষর কিন্তু তার বউ ক্লাশ ফাইভ অবদি পড়েছেন। বিয়ের পর দ্বিতীয়বার বাপের বাড়িতে গিয়েছেন। তাকে ফিরতে হলো সেদিন রাতেই, কিন্তু ততোক্ষণে বাড়িতে কারবালার মাতম। আব্দুল আলি ভাই মারা গেছেন। আমার জীবনে কলেরায় দেখা প্রথম মৃত্যু। আব্দুল আলী ভাইয়ের স্ত্রী তখন অন্তঃস্বত্তা, তাও জানা গেলো তার মৃত্যুর দিনই। সে কি করুণ দৃশ্য! অথচ কেউই সে বাড়িতে আসতে পারছে না। কলেরার মৃত্যু, বাড়ি ছেড়ে লাশ যায় তবু ওলা যায় না, ওলা পেছন পেছন হেঁটে আসে ওই মৃত্যু থেকে যে যেদিকে যায়, সেদিকে। তাও আব্দুল আলি ভাইকে পরদিন ভোর ভোরে কবর দেয়া হলো, আর কবর দিয়ে আসতে আসতেই শোনা গেলো মারলং কাকার ছেলে ছিরাকে ওলা ধরেছে। আমাদের উঠোনে তখন গনগনে চৈত্র মাস।


মন্তব্য

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

টান টান বর্ণনা।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সুন্দর
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কল্লোল লাহিড়ী এর ছবি

অসাধারণ আপনার লেখা। একটা বিষয় নিয়ে সার্চ দিয়েছিলাম গুগুলে। সেখানে আপনার লেখার একটা টুকরো দেখালো। নিঃশ্বাস বন্ধ করে সেইটুকু পড়ে আবার ফিরে এলাম আপনার মূল লেখা পড়তে...চোখের সামনে দেখতে পেলাম আমার মণি...ঠাম্মা...আমাদের সেই না দেখা বহুশ্রুত দেশকে। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।