বাংলাদেশের সেনা বাহিনী সম্পর্কিত নতুন একটি তথ্য হাতে এলো, সবার আলোচনার জন্য উন্মুক্ত করা হলো:
এতোদিন প্রচলিত ধারণা ছিল, সেনা বাহিনী যদি সামরিক আইন জারি করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে তাহলে জাতিসংঘ মিশন থেকে তাদের আয় বন্ধ হবে এবং সেনা বাহিনীর একটি বড় অংশের মধ্যে বিরোধ-বিতণ্ডা শুরু হবে - তাই সেনা বাহিনী বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে পেছন থেকে সমর্থন করবে এবং কার্যত তারাই রাষ্ট্র চালাবে এবং বিশ্ব-মোড়লদের খুশী রাখবে গণতন্ত্রের ধূয়া তুলে।
কিন্তু গত কয়েক দিনের ঘটনাবলী এবং সামনে যে অর্থনৈতিক ও খাদ্য সংকট আসছে তা হিসেবে এনে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী রাষ্ট্র ক্ষমতা পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিতে চাইছে। সেক্ষেত্রে ইউএন মিশনের আয়-এর কী হবে? বিষয়টি জাতিসংঘ ও তার পিতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীর ভাবে পর্যবেক্ষনান্তে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে, যদি বাংলাদেশে সামরিক শাসন জারি করা হয় তাহলে জাতিসংঘের সতীত্ব রক্ষায় বাংলাদেশের সেনা সদস্যদের মিশনে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, কিন্তু তাতে কি? মার্কিন দাদুর হাতে ইরাক-অস্ত্র তো রয়েইছে। বর্তমানে যে সংখ্যক বাংলাদেশী সৈন্য ইউএন মিশনে নেওয়া হচ্ছে তার চেয়ে দ্বিগুন সংখ্যক এবং আরও উচ্চ ভাতায় যদি ইরাকে বাংলাদেশী সৈন্য নেওয়া হয় হয় তাহলে তো আর বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে ডলার উপার্জন নিয়ে কোনও বিরোধ-বিতণ্ডার প্রশ্ন আসে না, তাই না?
বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে নীরিক্ষণ চলছে, আগামি কিছুদিনের মধ্যেই নিষ্পত্তি হবে তবে তার আগে বাংলাদেশে এই কার্ফিউ জাতীয় নিরীক্ষা শেষ করে ফলাফল দেখে তারপর চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা। সেক্ষেত্রে ইউএন মিশনে ভারতীয় সেনাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত হবে, এখন সেখানে ভারতীয় সেনারা নেই - সাপ মারা এবং লাঠি না ভাঙার খেলাটা কি বুঝতে পারছেন তো?
তবে হ্যাঁ, একটি সমস্যা থাকবে তাহলো, ইরাকিরা মুসলমান, বাঙালি মুসলমান হয়ে ইরাকি মুসলমান হত্যার মিশনে নামলে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতিবাদ ঠেকানো যাবে কি? তা নিয়ে খানিকটা চিন্তিত বলে গোলাম আজম-পুত্ররা বিষয়টি নিয়ে জামায়াতী ভাবনা ভাবছে। তবে বুঝতেই পারছেন, জামায়াত মডারেট মুসলিম গণতান্ত্রিক দল, সিদ্ধান্তটি কি হতে পারে।
মন্তব্য
ভালো দৃষ্টিকোন! পেলেন কোথায় এই তথ্য? নাকি মনগড়া?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আন্তর্জাতিক ইসলামী রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ইরাক বিরোধী অবস্থানে আছে। একটু কষ্টকর হাইপোথিসিস হইয়া গেলো...তয় ব্ল্যাকমেইল করতেই পারে বাংলাদেশের সেনাশাসকেরা।
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
দিদি আপনে কমেন্ট করেন না কেন? এইখানে ctl+alt+b চাপলেই তো বিজয় আসে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
জামাত মার্কিন বিরোধীতার মুখোশ লাগাইয়া সুবিধা করতারবো না। কারণ বিলাই থলি থিকা বাইর হইয়া অলরেডি গোঁফে শ্যাম্পু দিতাছে...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
সব গুজব। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুজবে কান দিবেন না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এস এম মাহবুব মুর্শেদ
তথ্য কোথায় পেলাম সূত্র জিজ্ঞেস করলেতো মুচকি হাসি ছাড়া গতি নেই। আপনি দ্বিমত পোষণ করলে সেটি লিখুন। আমিতো বলেইছি, নতুন পাওয়া তথ্য। এ বিষয়ে আপনাদের কাছ থেকে শুনতে চাইছি।
ভাস্কর,
জামায়াতের ইরাক-বিরোধী অবস্থানের কোনও প্রমাণ এখনও দেখা যায়নি। একটি মিছিলও তারা করেছে কিনা জানি না, আপনার জানা আছে কি? কিছুদিন আগেও প্যাট্রিসিয়ার সঙ্গে দেখা করে নিজামী-মুজাহিদরা মডারেট সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছে। আর জামায়াতের ইসলাম-প্রীতি,শেয়ালের কাছে কুমির ছানার মতোই নিরাপদ! কী বলেন?
বাংলাদেশের ইতিহাস বলে এখানে "হাইপোথিসিস" সত্যি হতে সময় লাগে না। একটু অপেক্ষা করেই দেখা যাক।
জামায়াত ইরাকের অবস্থান বিরোধ কইরা কোন মিছিল করে নাই তা ঠিক, কিন্তু ইরাক আক্রান্ত হইলে তারা কোন মিছিল করে নাই মার্কিন সন্ত্রাসের প্রতিবাদ কইরা। আন্তর্জাতিক ইসলামি শিবিরে বাংলাদেশি জামায়াত সৌদী আরব ব্লকের এইটা চিরন্তন সত্যি। যেই কারনে তারা এর আগেও ইরাকের ভূমিকারে সমর্থন করা হইবো আশংকায় সরাসরি মার্কিন ভূমিকার বিরোধীতা করে নাই। গাল্ফ ওয়ারের টাইমে তারা সৌদী আরবে সৈন্য পাঠানের পক্ষে ছিলো।
আর তাই আমি কইছি কইছি জামায়াত অতীতে যেহেতু এই ভূমিকায় ছিলো এইবারো তা করতে কোন সমস্যা তাগো হইবো না।
বাংলাদেশি মিলিটারিগো জামাতী মিলিটারী হিসাবে দেখতেই হইবো এইরম একটা চেষ্টা মনে হইছে লেখাটা পইড়া। এই মিলিটারি চিরকাল ধান্দাবাজ, তারা এমনেই অনেক সিদ্ধান্তের দিকে যাইতে পারে। গোলাম আজমের পোলা এমন কিছু নীতি নির্ধারক হয় নাই আর্মিতে যে সে নারাজ হইলে বহুত কিছু হইবো।
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
সেনাবাহিনিতে ৮০ র দশকের শুরু থিকা ব্যপকভাবে জামাতি নিয়োগ শুরু হইছিল এইটা ভুইলা গেলে অনেক খেলাই কিলিয়ার হইবো না। জিয়ার আমলটা গেছে মুক্তিযোদ্ধা খতমে আর চাচ্চুর আমল গেছে জামাত নিয়োগে। সুতরাং গো আ'র পোলা একটা ফ্যাক্টর হওয়া বিচিত্র কিছু না।
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
মিলিটারীতে প্রো-বিএনপি বহুত পোলাপাইন আছে এইটা নিশ্চিত...কারন বিএনপি আইসা তাগো লেইগা বহুত কিছু করছে...আর প্রথম সেনাশাসক হিসাবে জিয়ারে সবাই অন্য চোখে দেখে। কিন্তু মিলিটারীতে গো.আ.'র পোলারে নীতিনির্ধারক হিসাবে দেখনটা আসলেই অনেক সুদূরবর্তী চিন্তা...চিন্তাটা আসে এইরম যে গো.আ.'র পোলা না থাকলে য্যান সব ঠিক থাকতো।
তয় আর্মিতে মুক্তিযোদ্ধা আর প্রত্যাগত যেই দুইটা গ্রুপ ছিলো ঐ দুইটার মধ্যে প্রত্যাগত গ্রুপ এরশাদ আমলে শক্তিশালী হইছিলো এইটা সত্য...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
সাধক শংকুর মন্তব্য আর আমার স্কুল বেলায় শিবিরের অভিজ্ঞতা থেকে দুইটা কথা কওয়া জরুরি।
গোলাম আজমপুত্র সাধারণভাবেই আর্মিতে ঢুকছেন। ঐ পর্যায় পর্যন্ত না পৌঁছানো পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারের যাতে ক্ষতি না হয় সে চিন্তা শুরুতেই তাদের মাথায় ছিল। এমনকি সে তার পিতার রাজনৈতিক ধারণার সাথে একমত না সে কথাও প্রচার করা হয়েছে।
কিন্তু শিবিরের ছাত্রদেরকে ৮০-৮১ তে এই পুত্রের উদাহরণ দিয়াই আর্মিতে যোগ দেয়ার উতসাহ দেয়া হয়েছে। তিনি নাকি সোর্ড অব অনারও পেয়েছিলেন। সুতরাং আদর্শ উদাহরণ।
ছাত্রশিবির থেকে ৮০-৮৫ পর্যন্ত কত কর্মী আর্মিতে ঢুকতে পারে বলে আপনাদের ধারণা? ৮০-৮১তে ঢুকছে এরকম ২০ থেকে ২৫ জনের কথা আমরাই জানতাম। তারা এখন লে: কর্ণেল/ব্রিগেডিয়ার পদে আছেন।
(জামাত-শিবিরের এসব ষড়যন্ত্র সাধারণ চোখে বুঝা যাবে না।)
কেয়ারটেকার সরকার সংবিধানে আসার পর বিচারপতি পদের দিকে চোখ গেছে জামাতের। ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য শিবির অন্তত: ১৫০-২০০ কর্মী পাঠিয়েছে লন্ডনে।
ভাস্কর, যদিও জামাত তার দল গড়েছে বামদলের কাঠামো দেখে। তবে শ্রমিক-কৃষকের বিপ্লব ঘটায়ে তারা ক্ষমতায় যেতে ইচ্ছুক না। তাদের টার্গেট ক্ষমতার কেন্দ্রে গিয়া চেয়ার দখল করা। তারপর মাবিয়া স্টাইলে কোরান বাইর কইরা হাঁক দেয়া এই আমাদের সংবিধান।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
মুয়াবিয়া অনেক ভালো লোকছিল। জামাত চেয়ার দখল করতে করতে যেইটা করবো সেইটা হইলো লার্জ স্কেলে হত্যা-নির্যাতন। টার্গেট কারা সেতো বুঝাই যাইতেছে...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
এই ধরনের সংবাদ যখন পোস্ট করবেন দয়া করে উত্তস সম্পর্কে অবঘত করবেন। না হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অথবা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই ধরনের হলুদ সংবাদ ছাপিয়ে জনগন কে আর বিভ্রান্ত করবেননা।
"সেক্ষেত্রে ইউএন মিশনে ভারতীয় সেনাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত হবে, এখন সেখানে ভারতীয় সেনারা নেই - সাপ মারা এবং লাঠি না ভাঙার খেলাটা কি বুঝতে পারছেন তো? "
ভারতী্য় সেনারা জাতিসংঘে বর্তমানে নাই এর পরিপ্রক্ষিতে এবং
সকলের অবগতির জন্য বলছি বর্তমানে জাতিসংঘে সবচেয়ে বেশীসৈন্য(১০,৭২৩) প্রেরন করে পাকিস্হান জাতিসংঘে ১ম স্হান অধিকার করে আছে যেখানে বাংলাদেশের(৯৬৯৬)প্রেরন করে ২য় এবং ভারত (৯৩৪৮)জন সৈন্য প্রেরন করে ৩য় স্হানে এবং এই পরিসংখান ২০০৭ এর জুলাই মাসের থেকে প্রাপ্ত।যে কেউ জাতিসংঘে নিজস্ব ওয়েব সাইটে যেয়ে যাচাই করতে পারেন তথ্যটি,
http://www.un.org/Depts/dpko/dpko/contributors/2007/jul07_2.pdf
অতএব এই ধরনের মিথ্যা আর উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার করে এই দুঃসময়ে মানুষকে আর প্রতারিত না করার অনুরোধ করছি।কারন ইতিমধ্য সাধারন ছাত্ররা রাজনৈতিক প্রতারনার কবলে পড়েছে সেই সাথে সমগ্র দেশ আজ বিপন্ন ।তাই এই সময় যখন কোন সংবাদ পোস্টের আগে তার উত্তস সম্পর্কে নিজে অবগত হবেন এবং অন্যকেও জানাবেন ধন্যবাদ।
অতিথি
এই সংবাদ কেমনে জনতারে বিভ্রান্ত করবো কনতো? বা ছাত্ররা রাজনৈতিক প্রতারণার সম্মুখীনই বা কেমনে হইছে? সারাদেশ বিপন্ন হইছে আর্মির নিজস্ব চরিত্রের কারনেই। মিলিটারী কোনকালেই এই দেশে ভাল উদ্দেশ্য নিয়া ক্ষমতার ধারে কাছে আসে নাই। মিলিটারীতে যারা যায় তারা তো আর কলব পরিষ্কার কইরা নতুন জীবন শুরু করে না। তারাও এই সমাজের মানুষ, যাগো মধ্যে ক্ষমতার ধারেকাছে গেলেই তারে অপব্যবহার করনের বাসনা তৈরী হয়।
তয় আমার কাছেও এই পোস্টরে একটা দূর্বল হাইপোথিসিসই মনে হইছে, সেইটা ভিন্ন কথা...আমার মনে হয় আপনের মিলিটারী প্রীতিটাও খুব সন্দেহজনক...নিজেরে মিলিটারী সম্মিলনে দেখতে খুব আরাম পাইনা। যুগে যুগে কালে কালে বহুত অভিজ্ঞতা হইছে...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
অতিথির মন্তব্য সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ,
কিসে সাংবাদিকতা হলুদ হয় সেটা নির্ণায়কের দায়ভার যদি এই মন্তব্যকারীর হয় তাহলে সেটা কষ্টকর হবে। যাহোক, মন্তব্যটি মুছতে চেয়েও মোছা হলো না, ব্লগ কর্তৃপক্ষের উপর শতভাগ দায়িত্ব ছেড়ে নিশ্চিত থাকছি।
ছাত্ররা রাজনৈতিক প্রতারণার শিকার হয়েছে - কথাটির সঙ্গে মঈনুল হোসেনের অনেক টাকা ছড়িয়ে ছাত্রদের হায়ার করা হয়েছে ধরনের লাগছে। কিন্তু প্রশ্নটা স্বাভাবিক যে, তাহলে ছাত্ররা কি ঘিলুহীন? আমরা কিন্তু সেই কলোনিয়াল আমল থেকে এ পর্যন্ত সকল আন্দোলনে ছাত্রদের গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা পেয়েছি। অতীতেও এসব আন্দোলনে ছাত্রদের উপস্থিতিকে বলা হয়েছে যে, তাদের নাকি ব্যবহার করা হয়েছে। এটা ছাত্রদের প্রতিরোধ আন্দোলনকে খাটো করার এক ধরনের অপচেষ্টা। এটা সব সময় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
খুব ঠিক । অনেক কিছুই ঘটতে পারে,তাই হাইপোথিসিস এর সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু ঘটবেই কিংবা ঘটবেইনা এমন কোনো নিশ্চয়তা দেয়া যায়না ।
প্রশাসন,ব্যাবসা,সেনাবাহিনীতে জামাতের রিক্রুটমেন্ট তো নতুন কিছু নয় । গত দুইদশকে কি পরিমান রিক্রুট হয়েছে সেটা বাইরে থেকে আমরা কেবল আলোচনাই করতে পারি, প্রকৃত তথ্যটা তারাই জানে ।
যেহেতু জামাত মানেই সুবিধাবাদ ও সুযোগসন্ধান সেহেতু সুবিধাজনক মনে হলে,সুযোগ তারা নেবেই-এখন কিংবা তখন । আর ইরাকে বাংলাদেশি সেনা মোতায়েন হলে তার ও একটা ইসলামী ব্যখ্যা সাইদীহুজুর দান করতেই পারেন,যেমন দান করেছিলেন নারী নের্তত্বের বেলা । এটা জামাতের জন্য বড় কোনো ইস্যু না ।
সম্মানিত অতিথি কে সম্মানপুর্বক ই বলিঃ
গুজব কিংবা ভুল তথ্য যদি ছড়ায় ও, এ পরিস্থিতিতে তার দায় দায়িত্ব কোন ব্লগারের নয় । পরিস্থিতি যারা তৈরী করেছেন,তাদের । শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরী হবে, সংবাদ মাধ্যমগুলোর কন্ঠ চেপে ধরা হবে, সাংবাদিকদের পিটিয়ে লাশ বানানো- এই অবস্থায় সঠিক ও দায়িত্বশীল তথ্যপ্রদানের নিশ্চয়তা তো বাতুলতা মাত্র ।
আশংকা ও ভয় থেকেই গুজব ছড়ায়,মানুষ পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিচারবিশ্লেষন করে ।
-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
"মিলিটারীতে যারা যায় তারা তো আর কলব পরিষ্কার কইরা নতুন জীবন শুরু করে না। তারাও এই সমাজের মানুষ, যাগো মধ্যে ক্ষমতার ধারেকাছে গেলেই তারে অপব্যবহার করনের বাসনা তৈরী হয়।"
আপনার সাথে সহমত তাই শুধু মিলিটারী কেন নিজের দোষের বিচারটা আগে করি। আমাদের ছাত্ররা কি পারেনা তাদের ভেতরের আগাছা দুর করতে ,তখন তারা কেন অসহায় হয়ে পড়ে।যেভাবে আর্মী ক্যাম্প প্রত্যাহারে সবাই একসাথে রুখে দাঁড়িয়েছিল তাহলে কি সেই শক্তির পেছনে অন্য কারও হাত ছিল।আমরা জনগণ ভোট দিয়ে যাদেরকে ক্ষমতায় আনি তাদের কারনে আজ আর্মীর সুযোগ হয় তাদের যা না করার(দেশ পরিচালনা)তাই করার।আর ফলস্বরুপ বিভিন্ন বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছে নানা ক্ষেত্রে , জর্জরিত হচ্ছে সাধারন আমজনতা । আর এই ব্লাডি সিভিলি্যান মনমানসিকতা যেমন দেশের জন্য ক্ষতিকর ,ঠিক তেমনি সেনাবাহিনীর প্রতি বিরুপ মনোভাব পোষন করাও সমান ক্ষতিকারক।আর পরষ্পরের প্রতি এই বিদ্বেষ যত বাড়বে তত লাভবান হবে স্বাধীনতা বিরোধীরা । আর তারা সবখানেই আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।তাই কটাক্ষ বিদ্রুপ আর আঘাত দিয়ে মানসিক তৃপ্তি হয়তো পেতে পারেন তবে তাতে ক্ষতি দেশের হবে ,আমার আপনার সকলের হবে।তাই আসুন কাঁদা ছোড়াঁছুড়ি না করে বরং খিভাবে আমাদের সকল পক্ষের মধ্য মনমানসিকতার পরিবর্তন করা যায় ,তাই ভাবা উচিত।আমার যেমন মনে রাখা উচিত ব্লাডিসিভিলিয়ান এর দলে আমার বাবা মা আছে ,তাই থুথু উপড়ে মারলে তা আমার গাঁয়ে এসে পড়বে।ঠিক একইভাবে আমাদের বোঝা উচিত সেনাবাহিনী আমার আপনার এই দেশের সবার।তারা আমাদেরি ভাই কারো পিতা,কারোবা স্বামী।এই বোধশক্তি যত দ্রত জাগ্রত হবে সবার মাঝে ততই দেশের মংগল।ধন্যবাদ কষ্টকরে পড়ার জন্য মনটা খুব খারাপ তাই কারও ভাল না লাগলে সেজন্য দুঃখিত।
পোশাক পরলে চেহারা পালটে যায়, পোশাক খুলে ফেলার পর ভাই, বাপ, খালু। পোশাকবিহীন একজনকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো যায়, পোশাক পরলেই তাকে আর বিচার করার এক্তিয়ার জনগণের থাকে না।
না ভাই, পার্থক্য আছেই। ব্লাডি সিভিলিয়ান্স আর প্রাউড আর্মি একজিনিস না। পোশাক একটা পার্থক্যের দেয়াল তুলে দেয়ই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
..... সাথে হাতে একটা মারনাস্ত্র
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ভাস্করদার সাথে একমত,হাইপোথিসিসটারে আমার ঠিম শক্ত মনে হচ্ছে না। এটা ঠিক যে জনমানুষের মাঝে একটা কথা প্রচলিত আছে সেইটা হইলো সামরিক শাষন আসলে জাতিসংঘে সৈন্য নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। অতিথির সব কথার সাথে একমত না হলেও তার দেয়া তথ্য যাচাই করে দেখেছি। পাকিস্টানের সামরিক শাষন থাকলেও জাতিসংঘে শান্তিসেনা নিয়োগ বন্ধ হয় নি , সেটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও হবে না যদি যুক্তরাস্ট্র ঠিক থাকে। জাতিসংঘ যতৈ চিল্লাবাল্লি করুক ,সব সময় আংকেল স্যামের কথা শুনে।
আর জামাতে আর্মি !! এইটা প্রেডিক্ট করন ভুল হবে। ঐটা আছে, তবে ভালো ভাবেই। আগে ছিলো নিম্ন বা মাঝারি রেংকে এখন সেইটা উচ্চ পর্যায়ে। তবে জামাতিগো যেমন হয় , হেরা গভীর পানিতে ডুইবা কাদার তলে থাইকা কাম করে। আর্মিতেও সেইটা। তবে সেইটা এবার অনেকটা প্রকাশ হবে। আর্মির মধ্যে প্রো-বিএনপি আছে এটা সত্য।
মেঘ
সব পড়তেই জামাত দেশের বাইরে স্টুডেন্ট পাঠাচ্ছে।
নাগবি চৌধুরী পিয়ালকে মনে পড়ে? মালয়েশিয়ায় থাকে, পেট্রোনাসে জব করে। এত ভালো মানুষ আমি খুব কম দেখেছি। ও ইদানীং ভীষণভাবে শিবিরের প্রমংসা করে। জামাতের ছেলেরা পড়ালেখায় ভালো, হাভার্ড, অক্সফোর্ড এ স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যায়।
ডাক্তারই পেশায় তো রেটিনা আর শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টার দিয়ে বহু আগেই পোলাপান ঢুকায়ে ফেলছে। বুয়েটও ক্যাপচারড - মা আয়শো নিয়ে একটা কাজিনী আছে বুয়েটের জামাতীকরণের প্রামাণ্য ইতিহাস। কেউ জেনে থাকলে জানিয়ে দেবেন। আমি লিখতে পারি না হাতের সমস্যার কারণে । জামাত তো আর পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা করে না, ওরা করে ৩৫বছরের প্ল্যান। তাই আমরা ধরা খেয়ে বসে থাকি। আমার পরিচিত এক ছেলে শুধু শিবির করার কল্যাণে জাপান গেল সপটওয়ার ইঞ্জিনীয়ারিং পড়তে।
মেঘ
নতুন মন্তব্য করুন