কবি শামসুর রাহমানের দ্বিতীয় প্রয়াণবার্ষিকীতে ইথারে ভাসানো ফিচার স্টোরি থেকে রূপকথা'র দুইটি রিপোর্ট....
১. লিংক: কবি শামসুর রাহমানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৬ সালের এই দিন সন্ধ্যায়, স্মৃতির শহর ঢাকায় কবি ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। ৭৭ বছর বয়সেও কবিতায় সক্রিয় থাকা কবি’র প্রয়াণ, শোকাভি-ভূত করেছিল পুরো দেশকে। তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে রিপোর্ট।
ভয়েসওভার
কবিতায় যিনি স্বদেশ, সময় আর স্বপ্ন আঁকতেন; যার গভীর চোখ আর মুখের আদলে ধরা দিত বাংলাদেশ-সেই দু:খিনী বর্ণমালার কবি শামসুর রাহমানের প্রথম কবিতা ছাপা হয় নলিনী কিশোর গুহ সম্পাদিত ‘সোনার বাংলা’ পত্রিকায় মাত্র ১৯ বছর বয়সে। সেই থেকে অবিরাম লিখে গেছেন কবি।
দেশ, দেশের মানুষ, নিসর্গ, প্রেমিকের সলজ্জ আভা-বাকী ছিল না কিছুই। বারবার কবি শামিল হয়েছেন মানুষের মিছিলে।
সিংক: কবি আল মাহমুদ
নরসিংদীর রায়পুর থানার মেঘনা পাড়ের গ্রাম পাহাড়তলী-কবির গ্রামের বাড়ি হলেও জন্মেছিলেন ঢাকার মাহুতটুলীতে ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর।
পগোজ স্কুল, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী সাহিত্য নিয়ে পড়েছেন কবি। যদিও সম্পন্ন করেননি। পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে বেছে নিয়েছেন ১৯৫৭ সালে। পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে। প্রথম কবিতার বই বের হয় ১৯৬০ সালে।
জীবনকে খুব গভীরভাবে ভালোবাসতেন বলেই বোধহয় মৃত্যুকে ভয় পেতেন কবি শামসুর রহমান।
ফাইল সিংক: মৃত্যুর কিছুদিন আগে ধারণকৃত
আজ তাঁর না থাকার দুই বছর পূর্ণ হলো। দুই বছর আগের এই দিনে কবি চলে গেছেন অনন্ত নির্জনতায়। সেদিন বর্ষায় ভেজা ছিল না ঢাকা শহর!
পে অফ।
২. লিংক: দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে কবি শামসুর রাহমানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন আমাদের রিপোর্টার। ............ এর ক্যামেরায় দেখুন রিপোর্টটি।
ভয়েসওভার
আর সবকিছু একইরকম আছে। থরে থরে সাজানো বই, বিছানা, চেয়ার কিংবা লেখার টেবিল! চশমাটি পড়ে আছে সেই টেবিলে। থেমে থাকা হাতঘড়ির কাটা বলছে এই ঘরে যেন সময় থেমে আছে। দুই বছর আগে কবি শামসুর রাহমান না ফেরার দেশে চলে গেলেও এ ঘরটিতে তাঁর ব্যবহৃত প্রতিটি বস্তু একইভাবে সাজানো আছে। শুধু দু:খ কাটছে না স্ত্রী জোহরা রাহমানের।
সিংক: জোহরা রাহমান, কবির স্ত্রী
দুইটি বছর পার হলেও কবির স্মৃতিকে ধরে রাখার কোন উদ্যোগ নেই। কবি পতœী’র গলায় ক্ষোভ।
সিংক:
কবির আদরের নাতনী দিপীতা। দাদাভাই বেঁচে আছে দীপিতার স্মৃতি আর নিজের লেখা কবিতায়।
সিংক: দিপীতা, কবির নাতনি
পে অফ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বেশ কিছু টেকিনক্যাল শব্দ আছে। হয়তো পাঠক বিভ্রান্ত হেবন। তবু শব্দগুলো এভাবেই বোধহয় মানায়। ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
রূপকথা।
মন্তব্য
একটু খারাপ কথা বলি। ১৮৮৭ সালে বিজ্ঞানি মাইকেলসন ও মোরলি পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসের সবচাইতে যুগান্তকারি পরীক্ষণগুলোর একটির মাধ্যমে প্রমাণ করেছিলেন "ইথার" বলতে কিছু নেই।
আজ ২০০৮ সালে এসে যদি কোন ফিচার স্টোরিকে ইথারে ভাসাতে চান তাহলে বলার কিছুই থাকে না।
ধরে নিচ্ছিঃ- আপনি নিশ্চয়ই 'ইথাইল ইথারের' কথা বলেননি!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন