‘কবিতায় আর কী লিখব, যখন বুকের রক্তে লিখেছি একটি নাম’-কবিতার কবি মনিরুজ্জামান আর নেই। মৃত্যুর মিছিলকে আরো দীর্ঘ করে ১২ বছর রোগ ভোগ শেষে বিকেলে অনেকটা অগোচরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন, নিভৃতিচারী এই মেধাবী মানুষটি। ১৯৩৬-এর ১৫ আগষ্ট জন্ম তাঁর।
ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। পেয়েছেন বাংলা একাডেমী, একুশেসহ অনেক পুরস্কার।
বিচিত্র সাহিত্য জীবন ছিল তাঁর। মুক্তিযুদ্ধ, জীবন আর সময়-তাঁর সৃষ্টিশীলতায় পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে ১২ টায় নামাজে জানাযা শেষে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গ্রামের বাড়ি যশোরে। সেখানেই শায়িত হবেন নয় ভাইয়ের মধ্যে জ্যৈষ্ঠ্ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
মন্তব্য
সবাই একে একে চলে যাচ্ছেন।
এসব শূণ্যতা কি আদৌ পূরণ হবে?
উফ... ক্লান্ত হয়ে গেলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
...
ইনি সম্ভবতঃ '৬৯ এর শহীদ আসাদের ভাই ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কবি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের ছোট ভাই, মনিরামপুর কলেজের সাবেক ভিপি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান অবশ্যই একজন শহীদ। তবে সম্ভবতঃ ১৯৬৯ সালে নয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে। আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তবে ১৯৬৯ সালের শহীদ আসাদ একজন কিশোর, ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন। দয়া করে কেউ কি এব্যাপারে নিশ্চিত করবেন?
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানে নিহত নবকুমার ইন্সটিটিউটের দশম শ্রেনীর ছাত্রের নাম ছিল মতিউর রহমান।
ইনি শহীদ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদ শহীদ হওয়ার পরদিন।
মনিরুজ্জামান ১৯৬৯ সালে শহীদ আসাদুজ্জামানেরই ভাই।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আহা...।
---------------------------------------
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এতো মৃত্যু.. আর ভাল্লাগেনা
........................
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
প্রিয় গীতিকার ড. মোহামম্মদ মনিরুজ্জামানের মৃত্যু সংবাদ শুনে খুব খারাপ লেগেছে গতকাল। বিশেষ করে মৃত্যুর পর তাঁর বন্ধু আরেক প্রিয় গীতিকার মোঃ রফিকুজ্জামান যখন বলছিলেন- রোগশয্যায় দীর্ঘ পাঁচ বছর কেউই এই কবি ও গীতিকারের খোঁজ পর্যন্ত কেউই নেন নাই। অথচ কতো নামকরা আধুনিক গান,দেশের গান, চলচ্চিত্রের গান তিনি লিখে গেছেন। এখনও তাঁর লেখা সৈয়দ আব্দুল হাদীর কণ্ঠে 'আমারও দেশেরও মাটিরও গন্ধে ভরে আছে সারা মন..' দেশের গানটি কানে বাজে!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
স্যার অনেক জনপ্রিয় গান রচনা করেছেন তার মধ্যে আছে "আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে সারা মন" , আব্দুল জব্বারের কন্ঠে "তুমি কী দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়' , 'হলুদ বাটো মেন্দি বাটো, বাটো ফুলের মৌ' এবং অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান যেন ভূলে যেওনা, "প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্য রাগে" ।গীতিকার মোঃ রফিকুজ্জামান ড. মোহামম্মদ মনিরুজ্জামান স্যারের ছোট ভাই
তানিয়া
স্যার অনেক জনপ্রিয় গান রচনা করেছেন তার মধ্যে আছে "আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে সারা মন" , আব্দুল জব্বারের কন্ঠে "তুমি কী দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়' , 'হলুদ বাটো মেন্দি বাটো, বাটো ফুলের মৌ' এবং অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান যেন ভূলে যেওনা, "প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্য রাগে" ।গীতিকার মোঃ রফিকুজ্জামান ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান স্যারের ছোট ভাই
তানিয়া
নতুন মন্তব্য করুন