মাত্র দু’বার ঢাকায় এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রথমবার ১৮৯৮ সালে, বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনে। দ্বিতীয়বার ১৯২৬ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে। আরো একবার ১৯৩৬-এ তাঁর আসার কথা ছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ডি লিট সম্মাননা গ্রহণের জন্য। রবীন্দ্রনাথ তখন আসতে পারেননি অসুস্থ থাকায়।
দ্বিতীয়বার রবীন্দ্রনাথ যখন ঢাকায় আসেন তখন তিনি বিশ্ব কবি। নোবেল জয়ী। ১৯২৬ সালের সাত ফেব্র“য়ারি নৌপথে নারায়ণগঞ্জ হয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। আরসি মজুমদারের আতিথেয়তায় তাঁর বাসায় থেকেছেন। গিয়েছেন নানা জায়গায়। তাঁরই একটি ব্রাক্ষ্মসমাজ। এখানকার আচার্য অশিতীপর প্রাণেশ সমাদ্দার এমন অনেক তথ্যই জানেন।
এখানে প্রার্থনায় রবীন্দ্রনাথ গেয়েছিলেন ‘আমাকে অনেক দিয়েছো হে নাথ’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে তিনি ভাষণ দেন নয় ফেব্র“য়ারি। শিরোনাম ‘রুল অব জায়ান্ট’। মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা রবীন্দ্রনাথ বলেছেন বারবার। এ ভাষণে সে দর্শনটাই উঠে এসেছে।
আর দশ ফেব্র“য়ারি ভাষণ দেন সেসময়কার ঢাকা হলে, যেটি বর্তমানের ফজলুল হক হল। ১৩ ফেব্র“য়ারি তাঁর যাবার কথা জগন্নাথ হলে। অসুস্থ হয়ে পড়ায় যাওয়া হয়নি কবির জগন্নাথ হলে। ‘এই কথাটি মনে রেখ’ গানখানি তখন তিনি লিখে দেন হলটির বার্ষিকী ‘বাসন্তী’র জন্য। অজানা কারণে সেটি প্রকাশ করেননি সেসময়কার হল প্রভোস্ট আরসি মজুমদার। পরে ১৯৮১ সালে ৫৬ বছর পর এটি প্রকাশিত হয় রঙ্গলাল সেনের সম্পাদনায় ‘বাসন্তী’ পত্রিকায়।
১৮৯৮ সালের ৩০ মে তারিখে প্রথমবারের মতো তিনদিনের জন্য ঢাকায় আসেন রবীন্দ্রনাথ। তখন তিনি মাতৃভাষায় বক্তৃতা দেন বঙ্গীয় প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে ঢাকার ক্রাউন থিয়েটারে। নর্থ ব্র“ক হল রোডের যে হলটির এখন আর অস্তিত্ব নেই।
( টিভি রিপোর্টের জন্য তৈরী স্ক্রীপ্ট থেকে সংিেপত)
মন্তব্য
"এই কথাটি মনে রেখো" আমার প্রিয় গান, এর এই ইতিহাস অজানা ছিলো। ভাগ্যিস!
বেশ ...
কতো কিছু যে অজানা...
ধন্যবাদ রূপকতা!
দারুন।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
বাহ! বেশ ভালো লাগলো পড়ে। গানের এই ইতিহাসটা জানতাম না।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
আরসি মজুমদারের কইলজা তো ব্যাপক ছিলো। নোবেল পাওয়া লেখকের লেখা ছাপায় নাই...
গানটির ইতিহাস জেনে ভালো লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জানা ছিল না। বেশ ভালো লাগল।
নতুন মন্তব্য করুন