নতুন ভাবে ফিরে আসার গল্প

মেঘা এর ছবি
লিখেছেন মেঘা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১২ - ৬:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটবেলায় আম্মু বাসায় ধরে রাখার জন্য গল্পের বই পড়ানোর অভ্যাস করিয়েছিল আমার বোনকে। আমাদের গল্প খুব পছন্দ ছিল। আম্মু বই থেকে গল্প পড়ে আমাদের শোনাত বিকালের দিকে। গল্পের মধ্যে যখন মন ঢুকে যেতো তখন হঠাৎ করে পড়া বাদ দিয়ে বলতো “বাকিটা পরে শোনাবো এখন চা বানাতে হবে” এই কথা শোনা মাত্র আমরা যে কী ভীষণ পরিমাণ বিরক্ত হতাম আম্মুর উপর! আপু তখন স্কুলে পড়ে। মাত্রই বানান করে রিডিং পড়তে শিখেছে আর আমি তো গন্ড মূর্খ! আপু খুব কৌতূহলী ছিল সব কিছু নিয়েই। আম্মুর জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতো না। কষ্ট করে বানান করে গল্প পড়ে ফেলত আর আমাকেও শোনাত। এতে আমাদের দুটো উপকার হয়েছিলো। এক, রিডিং পড়তে শিখে যাওয়া আর দুই, গল্পের বই পড়ার অভ্যাস। অন্যভাবে বলতে গেলে গভীর মনোযোগে কোন কিছু পড়ার অভ্যাস। আমাদের বইয়ের উপর আগ্রহ দেখে আব্বু আমাদের জন্য চিনা রূপকথার বই, গ্রীক রূপকথার বই এনে দিতো। এখনো মনে আছে কিছু গল্পের ঘটনা। একটা গল্প আমার খুব প্রিয় ছিল। গল্পটা এমন ছিলোঃ

“এক গ্রামে একটা খুব বোকা মেয়ে ছিল। সেই মেয়ের আবার একটা খুব সুন্দর ছোট্ট একটা বাবু ছিল। এক রাতে বোকা মেয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে যে অন্য গ্রামে থাকা তার মা খুব অসুস্থ! এই স্বপ্ন দেখে ঘুম থেকে জেগে কোন ভাবনা চিন্তা না করেই বোকা মেয়ে তার বাবু কোলে নিয়ে দৌড়ে মাকে দেখার জন্য রওনা হয়। রাস্তা দিয়ে গেলে অনেক সময় লাগবে তাই তরমুজ ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। যেতে যেতেই তরমুজের লতায় পা জড়িয়ে পরে যায় আর কোল থেকে বাবু দূরে ছিটকে পরে যায়। মাকে নিয়ে এতো চিন্তাতে ছিল মেয়ে যে কোনো দিকে না তাকিয়ে কোন রকমে বাবুকে আবার কোলে নিয়ে মার বাসায় হাজির হয়! এতো রাতে মেয়েকে এভাবে আসতে দেখে খুব অবাক হয় মা। কিন্তু তবুও খুব খুশি হয় মেয়ে এসেছে দেখে। আর মেয়েও নিশ্চিন্ত-বোধ করে মা সুস্থ আছে দেখে। তখন মেয়েটার মা বলে ‘এতো কষ্ট করে এসেছ যখন দাও আমার নাতিকে আমার কোলে দাও ওকে একটু দেখি’। এই কথা শুনে মার কোলে বাবু দেবার পর মা আঁতকে উঠে বলে ‘একি! তোমার বাচ্চা কোথায়? এতো দেখি একটা তরমুজ!’ এই কথা শুনে মেয়েটা বাচ্চাকে তরমুজ ক্ষেতে ফেলে এসেছে মনে করে আবার ছুট লাগায় বাচ্চা উদ্ধারের জন্য। ক্ষেতে যেয়ে দেখে বাচ্চা পুঁটুলির মতো পরে আছে। আবার কোলে তুলে নিয়ে সারা রাত দৌড়াদৌড়ি করে বাসায় ফিরে আসে। বিছানায় যেয়ে দেখে বাবু বিছানায় শুয়ে ঘুমাচ্ছে আর বোকা মেয়ের কোলে একটা কোলবালিশ! সারারাত কোলবালিশ নিয়ে ছুটাছুটি করেছে। এতোই বেখেয়াল যে বাচ্চা নিয়েছে কিনা সে খেয়ালই করে নি!”

এই গল্পটা আমাদের খুব প্রিয় ছিল। আমি ছবি দেখতাম বসে বসে পড়তে না পারলেও। পড়তে শেখার পরও আমার কেন যেন নিজে পড়তে ভালো লাগত না। আপুকে জ্বালাতাম গল্প শোনানোর জন্য। ততদিনে আপুর অনেক বেশি বই পড়ার নেশা। আমাকে গল্প শুনিয়ে আবার সেটা বুঝিয়ে দেয়া এতো যন্ত্রণা ওর ভালো লাগতো না তাই মনে মনে নিজে নিজে পড়তো আমাকে আর বলতো না। আমি ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়েছি টুকটাক রূপকথার গল্প। কিন্তু তেমন বলার মতো বই পড়া হয় নি। আমি যখন সিক্সে উঠে গেলাম আব্বু তখন ঢাকার বাহিরে থাকে আর আম্মু আমাদের নিয়ে একা ঢাকাতে থাকে। ক্লাস সিক্সে উঠেই আমি মনে হয় সবার কাছে হঠাৎ করে খুব বড় হয়ে গেলাম। বাসা থেকে বের হতে দিতো না আম্মু। আর তখন এইটুকু বুঝতে শিখে গিয়েছি যে আমি মেয়ে আর চারপাশের ছেলেগুলো বড়ই ভয়ংকর। ডে শিফটের স্কুলে পড়তাম। সকালে কোচিং করে তারপর স্কুল যেতাম। স্কুল থেকে বাসায় আসতাম সাড়ে চারটায়। সন্ধ্যা হয় আরো বেশ দেরিতে। এই সময়টাতে কিছু করার থাকতো না আমার। মনে আছে আপু প্রত্যেকদিন স্কুল থেকে এসেই কোন রকমে একটু খেয়েই গল্পের বই নিয়ে বসে যেতো। একদিন কোন কাজ না পেয়ে আপুর পড়ার টেবিলে দেখলাম টম সয়্যার নামে একটা বই পড়ে আছে। আপুকে জিজ্ঞেস করলাম বইটা নেবো কিনা পড়তে। অবাক হয়েছিলো আমি ওকে না জ্বালিয়ে নিজে পড়তে চাচ্ছি দেখে! ওশান মামাদের কাছ থেকে আনা খুব পুরনো হয়ে যাওয়া বইটাতে কী ছিল জানি না শুধু মনে আছে আমি এক বসায় বইটা পড়ে শেষ করেছিলাম। শুধু বেকি কে নিয়ে টমের গুহার মধ্যে আটকা পরে যাবার ঐ নয় পৃষ্ঠা আমি পড়তে পারি নি! বইটাতে এই নয় পৃষ্ঠা ছিল না। কী ভীষণ এক অতৃপ্তি বোধ হয়েছিলো আমার মধ্যে সে আর বলার না। মনে আছে কলেজে উঠে এই বইটা সেবা প্রকাশনীর কার্যালয়ে চলা সেল থেকে কিনেছিলাম ১০ টাকা দিয়ে। সেবা প্রকাশনীতে বসেই আগে ঐ নয় পৃষ্ঠা পড়েছিলাম। বেকির জন্য বাটন-হোলে লুকিয়ে রাখা গোলাপ আর এক বুক ভালোবাসা নিয়ে টমের অপেক্ষা এতোই অসাধারণ লেগেছিল আমার কাছে যে আমি সেদিন থেকে পুরাদস্তুর পড়ুয়া হয়ে গেলাম। আমাদের কোন বই আছে কিনা খোঁজ নিতে যেয়ে দেখি ‘ওমা! আমাদের তো অনেক অনেক বই আছে!’ বইয়ের উপরে লেখা “তিন গোয়েন্দা”। আমার আপু তখন এইসব বই পড়ে। আমার রূপকথা ভালো লাগলেও পড়তে যেয়ে দেখালাম তিন গোয়েন্দা আরো বেশি মজার। আমি, আপু আর আম্মু পাল্লা দিয়ে বই পড়তাম সেই সময়। এমন অনেক সময় হয়েছে যে কারো কাছ থেকে ধার করে আনা হয়েছে খুব ভালো কোন বই কিন্তু একদিনের মধ্যে বই ফেরত দিতে হবে এই শর্তে। পড়তে ইচ্ছা করছে আমাদের তিনজনরই। তখন জোরে রিডিং পড়া হতো বই। কিছুক্ষণ আপু, কিছুক্ষণ আমি আর কিছুক্ষণ আম্মু রিডিং পড়ে বই শেষ করতাম। সেইদিন গুলো চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও অনেক ভালো ছিল।

এই পর্যন্ত কত বই পড়েছি তার কোন হিসাব নেই। আমার কাছে কত বই আছে সেটার হিসাব আছে অবশ্য। একবার কার কাছ থেকে বই নিতে যেয়ে যেন শুনেছিলাম “কিনে পড়ার সামর্থ্য নাই এসেছে বই পড়তে!” তখন ক্লাস এইটে পড়ি। আমার মান-সম্মানবোধ ভয়াবহ মাত্রায় বেশি হবার কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম নিজে বই কিনে পড়তে পারলে পড়বো না হলে থাক আমার পড়া লাগবে না। আমি টিফিনে কিছু না খেয়ে টাকা জমিয়ে বই কিনতাম। কারো কাছে ভালো কোন বই দেখলে লেখকের নাম আর বইয়ের নাম টুকে রেখে দিতাম আমার ডায়েরীতে কিন্তু নিতে চাইতাম না। এখন নিজের লাইব্রেরির দিকে তাকালে মনে হয় এই জিদটা ভালো ছিল। এই জিদটার কারণে আমি আমার বয়সী অন্য সব মেয়ের তুলনায় আলাদা।

শুধু পড়েই গেছি ভার্সিটি পর্যন্ত। মনে হয় নি কোনদিন কিছু লিখতে হবে। আর লেখালেখি করা আমার পক্ষে সম্ভব এটা আমার চিন্তাতেও ছিলো না। আমার লেখালেখির দৌড় আমার বান্ধবীদের চিঠি দেয়া পর্যন্তই ছিলো। খুব প্রিয় মানুষদের চিঠি দিতে হয় এটা আমার আপুকে দেখে আমার মধ্যে চলে এসেছিলো। মনে আছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে একবার ঝগড়া হয়েছিলো। একেবারে মুখ দেখা দেখি বন্ধ টাইপের ঝগড়া। কিন্তু আমি ওর সাথে কথা না বলে থাকতে পারি না। ও ইচ্ছা করে আমার সাথে ঝগড়া করেছে আমি নিজে থেকে যেয়ে কথাও বলতে পারছি না তাই চিঠি লিখেছিলাম একটা। আমার বান্ধবীকে না ওর বাবা কে! এটা নালিশ দিয়ে যে রেশমা আমার সাথে ঝগড়া করেছে (নালিশ দেয়া আমার অভ্যাস ছিলো! আমি কী করবো!) ওর বাবা সেই চিঠি পড়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি! পরে রেশমাকে আমাদের বাসায় নিয়ে এসে আমাদের মিল করিয়ে দিয়েছিলো। এখনো এই মেয়েটা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। প্লে গ্রুপ থেকে এক সাথে পড়া বান্ধবীগুলোর সাথে ৩ বছর দেখা না হলে কেমন লাগে সেটা রেশমা বোঝে কিনা কে জানে! যা বলছিলাম, আমাদের মধ্যে তারপর থেকে চিঠি লেখার একটা চল চলে এলো। আমার বান্ধবীরা বেশ ভালোই লিখতে পারতো। স্কুলের পর থেকে আর কাউকে চিঠি লেখা হয় না। সবার হাতে হাতে মোবাইল তখন। ডায়েরীতে কিছু মনে হলে লিখে রাখতাম। একটা সময় বুঝতে শিখেছি সব নালিশ আব্বু, আম্মু কিংবা আপুকেও দেয়া যায় না। সেই নালিশের কথাগুলো আমার মন খারাপের কথাগুলো লাল ভেলভেটের ডায়েরীতে যত্ন করে লিখে রাখতাম।

তখনো আমার অনেক কিছুই দেখা বাকি ছিলো জীবনের। এখনো হয়ত অনেক কিছু বাকি রয়ে গেছে। তবে ভার্সিটির শুরুর দিকে যেই মানসিক কষ্টের মধ্যে আমি পরে ছিলাম সেটা থেকে বের হয়ে আসার কোন পথ আমার জানা ছিলো না। আমার বোন আমাকে অসম্ভব বেশি ভালোবাসে। ওর জন্য আমাকে এমন দেখা খুব কষ্টের ছিলো আমি জানি। কত কিছু করতো আমাকে একটু ভালো রাখার জন্য। তখন আমি ডায়েরী লিখি না আমার এতো প্রিয় যে বই আমি সেই বই ছুঁয়ে দেখি না। যেই গান নিয়ে সবচেয়ে বেশি পরিচয় আমার এক কথায় গান ছেড়ে দেয়া অথবা আমার শখের মডেলিং! আমি আর কিছুই করতাম না! কথা বলতাম না! মনে আছে গত বছরের শুরুর দিকে আপু আমাকে বলেছিল যা মনে আসে তাই যেন লিখে রাখি ব্লগে। আর চাইলে অন্যদের লেখাও পড়তে পারি। আর কিছু করতে ইচ্ছা না করলে আপুর ব্লগে আসা কমেন্টের রিপ্লাইগুলো যেন দিয়ে দেই। আমার জীবনের প্রত্যেকটা সাফল্যের জন্য আমার বোনের কাছে আমি আমৃত্যু কৃতজ্ঞ থাকবো। সেখান থেকে লেখা শুরু। লিখতে লিখতে অনেকের সাথে পরিচয়। কারো কারো সাথে খুব ভালো সম্পর্ক! অনেক খারাপ মানুষের সাথে আমি কিছু অসাধারণ ভালো মানুষের দেখা পেয়েছি ব্লগে এসে। এখন আমার খুব ভালো ফ্রেন্ড বুয়েটের এক ভাইয়া সচলের লিংক দিয়ে বলেছিল “মেঘা তুমি লেখা দিলে মনে হয় সচলে ছাপা হবে। একটা দিয়ে দেখো”। সচলে এতো কঠিন নিয়ম কানুন দেখে লেখা দিতে সাহস পাচ্ছিলাম না। প্রত্যাখ্যান আমি নিতে পারি না। আমি ভেঙে পরি। অনেকদিন ধরে সচলের পোষ্ট অনুসরণ করে ধারণা হয়েছিলো সচল মুক্তমনাদের জন্য। অন্যরকম একটা লেখা খুব ভয়ে ভয়ে সচলে দিয়েছিলাম গত রোজার ঈদের পরের দিন। এতো বেশি ভয় লাগছিলো যে আমি লেখা এলো কিনা দেখতেও ঢুকি নি। চল্লিশ মিনিটের মাথায় দেখি ভাইয়ার কাছ থেকে একটা ছোট্ট টেক্সট “কগ্রাচুলেশন। সচলে লেখা এসেছে”।

প্রায় এক বছর হতে যাচ্ছে সেইদিন থেকে। অনেক ধৈর্য্য ধরতে হয়েছে অতিথি লেখকের ব্লগ থেকে নিজের ব্লগে এসে লেখার জন্য। আমি এখনো অতিথি যদিও তবু খুব ভালো লাগে সচলের পাতায় নিজের নামটা দেখতে। বেশ কিছুদিন হলো আমি হাচল হয়েছি কিন্তু কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না প্রথম লেখাটা কেমন হওয়া উচিৎ। আজকে অপরিসীম মন খারাপ ভালো করার জন্য সব প্রিয় মুহূর্তগুলো মনে করলাম। সেই সাথে সবাইকে জানাতে ইচ্ছা করছে মেঘা নামটা ছোট হলেও সচলায়তন পরিবারের একজন সদস্যের নাম।


মন্তব্য

কান্তা মোরশেদ   এর ছবি

খুবই ভাল লাগলো জানেন...লেখা আর লেখার বিষয়বস্তু ।
আরও লিখুন মেঘা,আপনার হবে।

মেঘা এর ছবি

কান্তা আপু ধন্যবাদ হাসি আমার হবে কিনা জানি না তবে আমার লিখতে ভালো লাগে।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

কানিজ ফাতেমা এর ছবি

অভিনন্দন আপনাকে হাচল হয়েছেন। আমি আপনার লেখার একজন নিয়মিত পাঠক বলতে পারেন। কেমন যেন মায়া জরানো লেখা আপনার। পড়তে অসম্ভব ভালো লাগে। আমি জানিনা আমার প্রিয় লেখিকার মন এত খারাপ কেন? একটা ক্ষুদ্র কথা বলি- মন খারাপ কে বেশি প্রশ্রয় দিবেন না এতে খারাপ লাগা আপনাকে আরও বেশি আঁকরে ধরবে। তাড়াতাড়ি মন ভালো করার উপায় খুঁজে বের করুন। ভালো থাকবেন সবসময়।

মেঘা এর ছবি

কানিজ আপু আমার লেখার নিয়মিত পাঠক আপনি আর আমি আপনার প্রিয় লেখিকা শুনেই তো আমার মন ভালো হয়ে গেলো। এর চেয়ে বেশি আর কি চাই? অসংখ্য ধন্যবাদ এই নতুন চলা পথে কিছু করতে অনুপ্রাণিত করার জন্য।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

কৌস্তুভ এর ছবি

লেখা (গুড়)

আর অভিনন্দন হাসি

মেঘা এর ছবি

ইস আপনাদের মতো ব্লগাররা কমেন্ট করছে আমার লেখাতে এটা দেখতে যে কী ভালো লাগছে কৌস্তুভদা। অনেক কৃতজ্ঞতা হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

নীলকান্ত এর ছবি

একবার কার কাছ থেকে বই নিতে যেয়ে যেন শুনেছিলাম “কিনে পড়ার সামর্থ্য নাই এসেছে বই পড়তে!” তখন ক্লাস এইটে পড়ি। আমার মান-সম্মানবোধ ভয়াবহ মাত্রায় বেশি হবার কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম নিজে বই কিনে পড়তে পারলে পড়বো না হলে থাক আমার পড়া লাগবে না।

আমি এক পাড়ার ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়ে পড়তাম, তার আবার অন্য রকম শর্ত ছিল। অনেক কথাও শোনাতো, কিন্তু কেন জানি বই পড়তে পড়তে সব কষ্ট ভুলে যেতাম। বই পড়ে ফেরত দেওয়ার সময় তাই নতুন একটা চাইতে খারাপ লাগতো না।

মেঘা নামটা অন্য রকম, অন্য রকম সব স্মৃতি। অসম্ভব সুন্দর নাম।

ভালো থাকবেন। হাসি


অলস সময়

কৌস্তুভ এর ছবি

মেঘা নামটা অন্য রকম, অন্য রকম সব স্মৃতি। অসম্ভব সুন্দর নাম।

লুল অ্যালার্ট শয়তানী হাসি

তাপস শর্মা এর ছবি

পুলাডা গবেষক হৈয়া গ্যালোরে...... মুমিন সাবধান। ম্যাঁও

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সারাক্ষণ হিংসায় জ্বলেপুড়ে যাওয়াকে কৌস্তুভ ছেলেটার গাত্রবর্ণের কারণ হিসেবে সঙ্গে বেশ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়! চোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মৃত্যুময় ঈষৎ-অফ্লাইন এর ছবি

হো হো হো

কৌস্তুভ এর ছবি

ঘেঁয়াও...

মেঘা এর ছবি

হো হো হো

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

শাব্দিক এর ছবি

হো হো হো

তিথীডোর এর ছবি

হো হো হো

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মেঘা এর ছবি

হো হো হো

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

পলাশকে ঘাঁটাস না রে কৌদা, ছোঁড়া সুশীল পুঁছে না দেঁতো হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দেঁতো হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মেঘা এর ছবি

আমার কিশোরীবেলাটা খুব ভয়াবহ হয়ে যেতো যদি বই না থাকতো। লিখবো হয়ত সেটা নিয়েও কিছু। পলাশদা অসংখ্য ধন্যবাদ হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

(গুড়) চলুক

খুবই আপন আপন ভঙ্গীতে লেখা, চমৎকার হচ্ছে, কত কথা মনে পড়ে গেল। গতমাসে এক বন্ধুর বাড়ি চুনকাম করতে যেয়ে কেবল টমের কথা মনে হচ্ছিল।

মেঘা এর ছবি

টম তো আমার ছোটবেলায় সবচেয়ে প্রিয় ক্যারেক্টার ছিলো। হাকলবেরী ফিন আরেক অসাধারণ চরিত্র বোধ হয় সব ছেলের জন্য। সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এইসব কিশোর ক্লাসিকালগুলো যে কী অসাধারণ ছিলো!

ধন্যবাদ অণু ভাইয়া হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
ভালো লাগলো। লিখে লিখে ফাডাই ফেলান এখন।

মেঘা এর ছবি

সবচেয়ে বেশিবার আমি আপনাকেই মনে হয় জিজ্ঞেস করেছিলাম ভাইয়া নিক করে দিবে আমাকে খাইছে । লিখবো ভাইয়া। ধন্যবাদ

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ইমা এর ছবি

অনেক মায়া জরানো লেখা আপনার। চালিয়ে যান। জানি না আপনার হয় কিনা আমার যেটা হয় অসম্ভব মন খারাপ নিয়েও লেখা-লেখি (হাবিজাবি হলেও) করলে মন ভাল হয়ে যায়। আবার মন ভাল নিয়ে লিখলে আরো ভাল লাগে। আশা করি এত মায়াবী একটা লেখা লিখে আপনার মন ভাল হয়ে গেছে।

মেঘা এর ছবি

ইমাপু প্রথমেই ধন্যবাদ। আমার এই নামকরণ লেখাতে যে যাই লিখবে আমি তাকে প্রাণ ভরে ধন্যবাদ দিতে চাই দেঁতো হাসি । আমার লিখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। এই লেখাটা লিখতে যেয়ে মন ভালো হয়েছে সত্যি। তবে সব লেখা লিখতে যেয়ে হয় না। এমনও হয়েছে আমি গল্প লিখতে যেয়ে কেঁদে বুক ভাসিয়েছি খাইছে

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অমি_বন্যা এর ছবি

যতদূর মনে পড়ে এক টুকরো শৈশব -৩ এর পর আপনি হাচল হয়েছিলেন। কিন্তু আপনার প্রোফাইলে এখনও অন্য লেখাগুলো যুক্ত হয়নি বোধ হয়।
মেঘা আপু আপনার উপর হিংসা হয় যে আপনি এমন একটি সঙ্গ পেয়েছিলেন, এমন একজন বড় বোন পেয়েছিলেন। সত্যি খুব ভালো লাগলো । সচলে আপনার লেখার শুরু, আপনার ছেলেবেলার বইপড়ার বর্ণনা এসব কিছু খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুললেন । আপনার নাম ছোট হলেও এই ব্লগের অনেক বাঘা হাচলদের পাশে আপনিও কিন্তু একজন । আরও লিখুন , আরও মন্তব্যের সুযোগ করে দিন সেই কামনাই করছি।
লেখার জন্য হাততালি

মেঘা এর ছবি

অমি ভাইয়া (বন্যা আপু খাইছে ) আমার সব লেখা যত্ন করে পড়েন এবং সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করেন তার জন্য বিশাল বড় একটা ধন্যবাদ। হ্যাঁ এখনো লেখাগুলো আমার ব্লগে যুক্ত হয় নি। আমি ইমেইল করে জানিয়েছি দেখি কবে নাগাদ সব লেখাগুলো এসে জমা হয়। আমার মাঝে মাঝে আসলেই নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয় আমার এমন একটা বোন আছে ভেবে। সব কিছুর জন্য আমাকে পথ দেখিয়েছে। আমি কোন কিছু না পারলেও আমাকে কোনদিন তিরষ্কার করে নি।

আমার বন্ধুটা আমার অনেক লেখা পড়েই আমাকে বলতো সচলে দিতে আর আমি সব সময় বলতাম দিবো আগে নিক পেয়ে নি তারপর দেঁতো হাসি । অনেক লেখা জমে আছে। দিবো ভাইয়া আস্তে আস্তে। তখন কিন্তু বলা যাবে না যে মেঘার জ্বালায় ব্লগে ঢোকাই যায় না দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তাপস শর্মা এর ছবি

নূতন করে অভিনন্দন আবারও দিয়ে গেলাম। লেখালেখি জোরেসোরে চলুক। এই লেখাটাও ভালো লাগছে। এবং এইবার চোখ বন্ধ করে ছেলেবেলার ( নারিবাদী হলে মেয়েবেলা খাইছে ) দস্যিপনার পোস্ট লিখতে থাকুন তাছাড়া আরও অন্যলেখাও আসুক নিয়মিত। হাসি

মেঘা এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ তাপসদা। প্রথমে ভেবেছিলাম শৈশবের ৪ নাম্বার পর্ব দিয়েই শুরু করবো। লিখেও রেখেছি পুরোটা তার মধ্যে কেন যেন এই লেখাটা লিখে ফেললাম! দুইদিনের মধ্যে ফিরে আসছি আমার ছেলেবেলার দস্যিপনা নিয়ে দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

নাশতারান এর ছবি

অভিনন্দন!

খুব ছোটবেলা থেকেই বইপোকা ছিলাম। যখের ধনের মতো করে আঁকড়ে রাখতাম বইগুলো। বড় হতে হতে সেই আঁকড়ে রাখার প্রবণতা কমে কমে নাই হয়ে গেছে। কোনোকিছুই একবারের বেশি পড়ি না। একটা বই পড়ার পর অন্য কেউ নিয়ে গেলে খুশি হই। মনে হয় বইটার সদ্ব্যবহার হলো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মেঘা এর ছবি

বুনো আপু ধন্যবাদ হাসি আমার বইগুলো আমি কাউকে দিতে পারি না। আমরা ইচ্ছা করে না। আমার মতো এতো যত্ন করে বইগুলোকে কেউ রাখতে পারবে না আমার এমন লাগে। আর পুরনো বইয়ের খুব সুন্দর মায়া মায়া ঘ্রাণ আছে। ভালো খুব।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখায় (গুড়)
tusqit

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি এইটা মুকিত নাকি?

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম, শয়তানী হাসি
tusqit

তিথীডোর এর ছবি

আমি নিজের একটা বই কাউকে ধার দেয়া/ দিয়ে দেওয়ার চাইতে বরং জান দিতে রাজি আছি! ইয়ে, মানে...

ভাল্লাগলো পড়তে। লিখুন আরো.. হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মেঘা এর ছবি

আমিও তিথী আপু। আমার কাউকে বই দিতে পারি না। দিয়ে দেখেছি! নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেয় না মন খারাপ । আমার বেশির ভাগ বই কেনার জন্য আমাকে কত কাহিনী করে যে টাকা জমাতে হতো! এতো মায়া আমার বইগুলোর প্রতি!

বিশাল বড় ধন্যবাদ দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

মুস্তাফিজ এর ছবি

স্কুলে পড়ার সময় এক লাইব্রেরির সেলস্‌ম্যানের সাথে খাতির ছিলো, সেই সুবাদে প্রতিদিন লাইব্রেরিতে বসে বসে বই পড়তাম। দুনিয়ার সব বই, নানান মত, আদর্শ আর বিষয়ের ভিন্নতা নিয়ে ছিলো সেই লাইব্রেরি। ঐ লাইব্রেরির পাশেই আরেকটা দোকান ছিলো বই ভাড়া দেবার। ৫০ পয়সা ভাড়া (৭৪/৭৫ সালের কথা), একটা ভাড়া নিতাম আর দুইটা দোকানে বসেই পড়ে ফেলতাম।

...........................
Every Picture Tells a Story

মেঘা এর ছবি

আমার এইভাবে বই পড়া হয়নি বলে আমার বিশাল আফসোস। অনেক অনেক বই আমি এখনো পড়ি নি। মাঝে মাঝেই মনে হয় এতো বিশাল জ্ঞান ভান্ডার আমি কী করে শেষ করবো! কত কিছু যে পড়া হয় নি কত কিছু জানা হলো না এখনো!

ইশ ৫০ পয়সাতে বই পাওয়া গেলে খুব মজা হতো দেঁতো হাসি

ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাইয়া।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চলুক

আর অভিনন্দন হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া। (নামটার মধ্যে কেমন যেন একটা ভাব লিখতেই পারলাম না মন খারাপ )

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

দেঁতো হাসি ঘটনা সত্য। 'ঈষৎ' বৈলেন।


_____________________
Give Her Freedom!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

নতুন করে ফিরে যখন এসেছেন তখন নিয়মিত লিখে যাবেন--এই প্রত্যাশা থাকলো।

মেঘা এর ছবি

আশা করি আরো লিখবো। ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক ভাইয়া।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ক্রেসিডা এর ছবি

ভালো লাগলো লেখাটা। আর অভিনন্দন আপনাকে হাচাল হবার জন্যে। হাসি

নিজের একান্ত গল্পগুলো যখন বলা হয় কারো কাছে, সেটা তখনে তারো গল্প হয়ে যায়। তেমনি এইসব অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই, ভালো লাগাটাও সবার সমান।

ভালো থাকা হোক।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ ক্রেসিডা ভাইয়া। হুম আসলেই তাই সবার জীবনের ঘটনাগুলো খুব কাছাকাছি হয়। ভালো লাগা আর কষ্টের অনুভূতি সবার এক ভাবেই চেনা।

আপনিও ভালো থাকবেন ভাইয়া।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখায় চলুক

হাচল হওয়ার জন্য অভিনন্দন।

হিল্লোল

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ হিল্লোল ভাইয়া।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

আলোকিত_মন এর ছবি

আপনার সাথে আমার কিছুটা মিল আছে। আপনার মত আমারও বই পড়া শুরু রূপকথা দিয়ে। তারপর সেবার তিন গোয়েন্দা। আপনার মত আমার বড় কেউ ছিলো না। আব্বু এনে দিতেন অনেক অনেক বই। টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে, রিকশায় না উঠে পায়ে হেটে স্কুল করে নীলক্ষেতের অনেক পুরানো বই এর দোকান থেকে ১০ টাকা দিয়ে এক একেকটা বই কিনে পড়ার সেই স্মৃতি আবার ফিরে আসলো।

প্রথম লেখা হিসাবে খুবই ভালো হয়েছে। আশা করি আরো ভালো লিখবেন।

মেঘা এর ছবি

আমাদেরও আব্বুই এনে দিতো বই। আব্বু আম্মু দুইজনই বই পড়তে খুব পছন্দ করে। আম্মু শরৎচন্দ্রের ভক্ত ছিলো আর আব্বু ওয়েস্টার্নের। আর আমরা ছবি আঁকা বইগুলোর।

আরো বেশ কিছু লেখা আছে আমার ভাইয়া। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অভিনন্দন।
লিখতে থাকুন। ব্লগরব্লগরের বাইরে লেখা আসুক অন্য প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়েও।

আপনার পুরোনো লেখাগুলোর লিঙ্কের একটা তালিকা মডুদের মেইল করে দিতে পারেন। একটু সময় নিয়ে তারা সেগুলো আপনার একাউন্টে যোগ করে দেবেন। তখন আপনি আগে কী লিখেছেন সেটা সবাই দেখতে পাবে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ অনার্য ভাইয়া। আমি লিখি মূলত গল্প। প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়েও লিখতে চেষ্টা করবো হাসি জানি না পারবো কতটা তবে চেষ্টা করবো।

আমি লিঙ্ক ইমেইল করেছি। এখনো কোন উত্তর পাই নি। আবার ইমেইল করা ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছি না!

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

নিটোল এর ছবি

অভিনন্দন। হাসি

_________________
[খোমাখাতা]

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ নিটোল ভাইয়া হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

কড়িকাঠুরে এর ছবি

অভিনন্দন...
ধার দেয়ার ফলে পিতা-মাতার পৈত্রিক-মাতৃক সম্পদ খোয়া গেছে- আমি ও পথে পা বাড়াতে নারাজ... যদিও আমার সম্পদ বলতে কয়েকটা আধুলি-, দেখি- কতদূর যাওয়া যায়...

লিখুন- পড়তেই ভাল লাগে...

মেঘা এর ছবি

বই ধার দিয়ে আমিও দেখেছি তো তাই জানি বই কেউ নিলে সেটা যত্ন করেও পড়ে না আর ফেরতও দেয় না। তার চেয়ে এতো পছন্দের বই আমার নিজের কাছেই থাক!

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

অনেক অনেক লিখুন। মনে যা আসে তাই অবলিলায় লিখে ফেলুন। আপনার লেখার হাত ভাল। ভাল লাগবে। এটাও ভাল লেগেছে।

মেঘা এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আঙ্কেল।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অতিথি লেখক এর ছবি

স্মৃতিচারন খুব ভালো লাগছে। চমৎকার লেখার হাত আপনার।

মেঘা এর ছবি

খুব বেশি স্মৃতিচারণ ধরণের লেখা দিয়ে ফেলছি বেশ কিছুদিন যাবত। অন্য কিছু লিখবো এবার ভাবছি। সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ক্রেসিডা এর ছবি

আপনার সবচেয়ে বেশি পাইপ করা শব্দ বোধহয় "ভাইয়া" দেঁতো হাসি

কিডিং চোখ টিপি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

মেঘা এর ছবি

আমার ধারণা আমি এখানে অনেকের থেকেই বোধ হয় অনেক ছোট তাই ভাইয়া বলি। আমি কাউকে নাম ধরে বলতে পারি না। আর আপনি তো আমার বড় হবেন সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না তাই না ক্রেসিডা ভাইয়া? হাসি নামতাই বলে দেয় যে আপনি আমার চেয়ে বেশ বড় খাইছে

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ক্রেসিডা এর ছবি

হিহি.. না হুদাই খোঁচা দিলাম। এনিওয়ে হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

নিরবতা এর ছবি

খুব খুব খুব ভাল লাগলো। দারুন লেখা। চলুক

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আহা, প্রতিটা নতুন হাচলের মনোভাবই মনে হয় একই রকম হাসি

হাচলাভিনন্দন। হাত খুলে লিখে যান।

মেঘা এর ছবি

সেতো হবেই সুহান। অনেক ইচ্ছা ছিলো সচলে লেখার। তাই উচ্ছ্বাসটাও একটু বেশি হাসি অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অভিনন্দন
লিখতে থাকুন

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

শাব্দিক এর ছবি

তরমুজের সেই গল্পএর বই টা আমারো প্রথম জীবনের বইগুলো মধ্যে একটা।
খুব মজা লাগল সেটা মনে করে। আরো মনে করিয়ে দিলেন টম সয়্যার আর হাক ফিনকে, ধন্যবাদ তার জন্য।
লেখা ভাল লাগল।

মেঘা এর ছবি

এই বইগুলো না হাতে পেলে হয়ত আমার বইয়ের প্রেমে পরা হতো না হাসি । তাই বাচ্চাদের মন বুঝে লেখা ঐসব ক্লাসিক্যাল বইয়ের লেখকদের কাছে আমার অপরিসীম কৃতজ্ঞতা।

মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

স্যাম এর ছবি

চলুক

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অতিথি লেখক এর ছবি

জমিয়ে লিখতে থাকুন পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

ইয়াসির

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

আশালতা এর ছবি

গুড। এইবার গল্প বলে বলে সব্বার কানের পোকা নড়িয়ে দিন। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মেঘা এর ছবি

আরে নাহ আপু! অতো জ্বালাবো না। একটু একটু লিখবো! হাসি ধন্যবাদ

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

সজল এর ছবি

হাচল হওয়ার জন্য অনেক অভিনন্দন! লেখাটা ভালো লাগলো।

আহ! বই পড়া নিয়ে কত স্মৃতি। জন্মের জন্য গ্রাম ছেড়ে আসা পরিবারের সাথে নিয়ে আসা যাত্রাপালার বই আর চয়নিকার গল্প দিয়ে বই পড়ার শুরু। তারপর "এগুলো বড়দের বই" বলে নিয়মিত শাসানো লাইব্রেরিয়ানের চোখ এড়িয়ে অল্প বয়সেই অনেক বড়দের বই পড়ে ফেলা। বই কেনা বিলাসিতা ছিলো, কিন্তু মফস্বলের দুইটা পাবলিক লাইব্রেরী বাঁচিয়ে দিয়েছিলো। বই পড়া নিয়ে লিখতে হবে এক দিন।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মেঘা এর ছবি

বড়দের বই নিয়ে যত বাড়াবাড়ি আমার আম্মুর ছিলো। যখন আমি তিন গোয়েন্দা পড়ি তখন মাসুদ রানা বড়দের বই। হাত দিয়ে ছোঁয়াই যাবে না আমার। এইজন্যই লুকয়ে লুকিয়ে পড়েছি দুই-একটা কিন্তু মজা পাই নি তখন। মনে হয়েছিলো রানা এতো লুল কেন? কাজ বাদ দিয়ে খালি অকাজ করে ইয়ে, মানে...

মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাইয়া।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

জুন এর ছবি

অভিনন্দন। আপনার লেখা বরাবরি ভাল, তা সে যে ধরনেরই হোক। আরেকটা ব্যাপার জানতে ইচ্ছে করে - আপনার এবং বড় আপুর বজ্জাতি (দুষ্টামি বললাম না কারন সেটাতে আপনারা যা ছিলেন তা বোঝায় না। শয়তানী হাসি ) কি এখনো আগের মতোই আছে? ভাল থাকুন।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ জুন আপু/ভাইয়া (নাম দেখে বুঝি না আপু নাকি ভাইয়া খাইছে ) আমি আর আপু আছি এখনো আগের মতোই কিছুটা! তবে এখন আর একসাথে থাকা হয় না তো তাই আর জমে ওঠে না তেমন। আপু সিলেটে চাকরী করে। আর আমাদের বাসা ঢাকাতে। তবে যখন আসে তখন অনেক মজা হয়! দেঁতো হাসি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

অভিনন্দন, মেঘা!
ভীষণ ভালো লাগলো।
দারুণ লেখার হাত আপনার। হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ শিমুল আপু। আপনি কমেন্ট করেছেন দেখেই আমার খুব ভালো লাগছে হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অতিথি লেখক এর ছবি

মেঘা'পু
পুরনো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। একসময় (ছাত্রত্বকালে) কত কষ্ট করে টাকা জমাতাম বই কেনার জন্য, আর এখন বই-ই পড়া হয়না, কেনা তো পরের কথা। আসলেই বড্ড যান্ত্রিক হয়ে গেছি।

লেখা চলুক

নির্ঝরা শ্রাবণ

মেঘা এর ছবি

যান্ত্রিক করতে চাইলেই যান্ত্রিক হয়ে যায় জীবন। একটু চেষ্টা করলেই হয়ত আপনার যেমন থাকতে ইচ্ছা করে তেমনভাবে থাকতে পারবেন। অল্প সময়ের জন্য হলেও হয়ত সময়টা ভালো কাটবে।

শুভ কামনা এবং ধন্যবাদ।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

বন্দনা এর ছবি

অভিনন্দন আপনাকে।

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ধুসর জলছবি এর ছবি

আপনাদের দুই বোনের গল্প শুনতে খুব ভাল লাগে আমার। আমার কোন বোন নেই, কিছুটা ঈর্ষাও যে লাগে না তা না। হাচলত্তের অভিনন্দন রইল। লিখতে থাকুন হাত খুলে । হাসি

মেঘা এর ছবি

আহা! একটা ভাই-বোন না থাকাটা যে কী ভীষণ কষ্টের। খুব একা একা কাটে সময়।

অনেক ধন্যবাদ জলপু।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

MONI  এর ছবি

আপু অনেক ভাল লাগল।।।।।।।

................................................. MONI

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ মনি হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

রঙ্গিন ফেরেশতা এর ছবি

অনেক সুন্দর হয়েছে।আপু "আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি" এটা কার লেখা?লেখাটা পড়ে মাথায় শর্ট সার্কিট হয়ে গেছে।অনেক সুন্দর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।