আগের লেখায় রুবি ফলসের কথা লিখেছিলাম। সেখান থেকেই ছুটলাম রক সিটি (Rock City) আর হেলানো রেললাইনের (Incline Railway) উদ্দেশ্যে।
প্রথমেই, কিছু বিজ্ঞাপন দিয়ে নিই, তা না হলে লেখা পড়বার উৎসাহ পাবেন কোথায়? এটা নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে খাড়া রেলপথ ১ যেটাতে এখনও যাত্রীবহন করা হয়। (রোলার কোস্টারগুলো বাদে) এটার একটা অংশে নাকি ৭২% ঢাল আছে! এর মানে হল, আপনি ১০০ ফুট সামনে এগুলে (আনুভূমিক), আপনাকে ৭২ ফুট উপরে (উল্লম্ব) উঠতে হবে। বলা বাহুল্য যে, এত খাড়া পথে কোন এঞ্জিন ব্যবহার করে চাকা ঘুরিয়ে টেনে নেয়া বেশ কঠিন বা অসম্ভব। ট্রেনের বগিটা কেবল লাইনের ওপর থাকে, আর সাথে দড়ি(কেবল) বাঁধা থাকে। সেটা দিয়েই বগিটাকে টেনে তোলা হয়, আর নামার সময় ধীরে ধীরে ছেড়ে দেয়া হয়। এর নির্মাণকাল লেখা দেখলাম ১৮৯৫।
এক টিকিটে দুবার ট্রেনে ওঠা যায়, কাজেই নিচের বা ওপরের যেকোন স্টেশন থেকে উঠেও, আবার সেটাতে ফেরত আসা যায়। আমরা ঠিক করলাম, নিচেরটা থেকেই উঠব। নিচের স্টেশন থেকে ওঠার মুখেই দেখা গেল একজন ফটোগ্রাফার ছবি তুলে রাখছেন, যাত্রীরা উপরের স্টেশনে পৌঁছেই তাদের ছবি প্রিন্ট করা অবস্থায় ঝুলতে দেখবেন, পছন্দ হলে সেই ছবি কেনা যাবে।
আজকাল অবশ্য মানুষ মোবাইলেই এত এত ছবি তুলে রাখে যে, এসব ছবি কিনে স্মৃতি যোগাড় করতে হয় না। ছবি খুব একটা কাউকে কিনতেও দেখলাম না; কে জানে, কতদিন চাকরি থাকে বেচারার!
ট্রেনে ওঠার পর গাইডের ধারা বর্ণনার সাথে সাথে ধীরে ধীরে ওপর থেকে টানা শুরু হল।
রোলার কোস্টারে উঠিনি কখনও কিন্তু সেখানে তো মানুষটাকে বেঁধেটেধে জায়গা মত রাখে, এখানে কিছুই যে নেই! ভাবছিলাম বেশি উঁচু করে ফেললে আবার সামনের সিটের লোকদের ওপর না হুমড়ি খেয়ে পড়ি!
অনেকখানি ওঠার পর দেখা গেল ওপর থেকে আরেকটা নেমে আসছে, অথচ লাইন তো একটা! মুখোমুখি সংঘর্ষ হবে না কি? কাছে আসতেই দেখা গেল ওপরের স্টেশনের কাছে শ'খানেক মিটার জায়গায় লাইন দুটো, সেগুলো মিলে গিয়ে পরে একটা হয়েছে।
উপরের স্টেশনে অপারেটরের দেখা পাওয়া গেল। লোকটা একটা কাঁচের ঘরে ভেতর বসে বসে ট্রেনের বগি ওঠা-নামা করায়।
পাহাড়ের উপরের রাস্তায় অবশ্য পর্যটক ধরবার জন্য কিছু টুকিটাকি স্যুভেনির বিক্রির দোকান আছে, সিভিল ওয়ারের সময়ে এই পাহাড়ের কাহিনী, এই এলাকার যুদ্ধের কাহিনী -এসব নিয়ে কিছু ডকুমন্টারি দেখানো হয় দর্শনীর বিনিময়ে। একই দিনে 'রক সিটি' যেতে হবে বলে তাড়াহুড়ো করে ফেরত আসলাম। নামার বেলায় একই পথে বগিতে করে নেমে আসলাম।
'রক সিটি' জিনিসটা কি সেটা আগে থেকে ভালোমত পড়াশোনা করে আসা হয়নি, ওখানে একটা সুন্দর জলপ্রপাতের ছবি দেখে ওটাকে 'সিলেবাসে' ভরে নেয়া হয়েছিল, আর ওখানে নাকি খুব উঁচু একটা পাহাড়ের কিনারা আছে। গিয়ে দেখা গেল রকসিটি জিনিসটার সামনে শ্যামলী শিশুমেলার মত একটা গেট আছে, ভেতরে ঢুকে আরও দেখা গেল অনেক টুকিটাকি আছে, তবে সবই মানুষের বানানো। যেদিন গেলাম সেদিন জার্মান থিমে অনুষ্ঠান, জার্মান খাবার বিয়ার এসব চলছিল -অক্টোবরফেস্ট (Oktoberfest) এর অনুকরণে এরা নামও দিয়েছে Rocktoberfest! একটা টিনের চালা দেয়া জায়গার নিচে দেখলাম মানুষ জার্মান বিয়ারে চুমুক দিচ্ছে, জার্মান গান বাজনা চলছে, ডার্ন্ডল ২ পরা মেয়েদের সাথে নাচানাচির, টুকটাক খাবার ইত্যাদির বন্দোবস্ত আছে।
তা যাই হোক, ঠিক সেই জায়গাটার সামনেই কিছু ভাস্কর্য দেখলাম, যেটা দেখানোর লোভ সামলাতে পারছি না। আপনারা কেউ এই জিনিসের মানে ৩ বুঝতে পারলে একটু মন্তব্যে বলে যাবেন।
রকসিটিতে আসার একটা বড় কারণ ছিল, এখানে নাকি একটা উঁচু জায়গা আছে যেখান থেকে নাকি ৭টা স্টেট দেখা যায়। যদিও এটা চটকদার বিজ্ঞাপন (Marketing Gimmick) ছাড়া আর কিছু না, বিশেষ করে একদিকে ১২০ মাইল দূরের রাজ্য দেখা যাবে এই উচ্চতা থেকে -এটা খুব একটা বিশ্বাস হয় নি আমার।
এর পাশে অবশ্য একটা সুন্দর জলপ্রপাত আছে ৪।
যেখানে দাঁড়িয়ে জলপ্রপাতটা দেখা যায়, সে জায়গাটার নাম "প্রেমিক/প্রেমিকাদের লাফিয়ে পড়ার জায়গা" (Lover's Leap) এর পেছনে অবশ্য একটা গল্পও আছে। সে অনেক দিন আগের কথা, 'সাউতি' নামের এক যুবক, 'নাকুচি' নামের এক চেরোকি৫ মেয়ের প্রেমে পড়ে। নাকুচিও ভালবেসে ফলে সাউতি-কে। কিন্তু, দু'জনের গোত্রের মাঝে ছিল ভীষণ শত্রুতা। প্রেমিক বেচারা নাকুচি ধরা পড়ে যায় সাউতির গোত্রের লোকদের হাতে। তাকে ছুঁড়ে ফেলা হয় এই পাহাড়ের কিনার থেকে। কিছুক্ষণের মধ্যে সাউতিও এই একই পাহাড়ের কিনার থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে
ইতিহাসে মগ্ন এক বালক -ওর কি এখনও এসব প্রেমের গল্প পড়ার বয়স হয়েছে?
বের হবার পথে কিছু রূপকথার গল্পের ছবি অনুসরণে বানানো কিছু পুতুল দেখা গেল। এগুলো দেখে মজা পাবার বয়স অনেক আগেই পার হয়ে গিয়েছে।
তেমন ভালোও লাগেনি এই সেকশনটা।
গেটের কাছে পাওয়া গেল মগের মুল্লুক, আপনার নামটা যদি বেশ বহুল ব্যবহৃত নাম হয়ে থাকে, তবে আপনার নাম ছাপানো মগ মিলেও যেতে পারে এখানে।
সবার শেষে, রং মেখে সং সাজা এই লোকের সাথে দেখা হল। বেচারাকে পেটের তাগিদে এসব করতে হচ্ছে।
দুই পর্বের একটা লেখা নামাতে আমার যে পরিমাণ আলসেমি দেখলাম, তাতে আমি নিজেই মুগ্ধ (!)।
ওখানে গিয়েছিলাম ২০১৩ এর অক্টোবরে, প্রথম পর্ব লিখেছিলাম মার্চ মাসে, তারপর পরেরটা লেখা শেষ করতে করতে জুলাই!
ইচ্ছে করে নিজের পিঠ চাপড়ে বলি, "শাবাস! হে অলসকূল শিরোমণি!"
সবাইকে শুভেচ্ছা
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: জলপ্রপাত
মন্তব্য
জলপ্রপাতটা কী সুন্দর!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুন্দর জায়গা। খাড়া রেলপথের ব্যাপারটা দেখে উৎসাহ পাইছি। আমি যে শহরে থাকি সেখানেও মোটামুটি বেশ খাড়া একটা রেলপথ আছে। খুঁজে দেখলাম তেমন খাড়া না, মোটে কুড়ি শতাংশ। (যদিও জার্মান ভাষায় উইকিতে ভুল করে এক জাগায় লেখা ২০০%। তবে, জার্মান ভাষায় অনেক বিশদ বর্ণনা আছে, যেটা আংরেজি উইকিতে দেখা যাচ্ছে না।) কিন্তু দেখলে বা উঠলে পরে বেশ খাড়াই লাগে যদিও।
খাড়াইয়ের দিক থেকে আপনেগোরে টেক্কা দিতে না পারলেও, নির্মানকালের দিক থেকে ঠিকই টেক্কা মেরে দেয়া যায়। ১২ ব-ছ-র কম কথা না কিন্তু!
এই পোশাকটার নাম হইলো বিখাউজ। মানে নামটা বিখাউজ না, উচ্চারণটা বিখাউজ। অবশ্য, বায়ার্নের সবকিছুই বিখাউজ। ঠোলাও। ঐদিকে গেলেই হালারা আটকায়। আর সাথে মনহুঁশ খোমার অধিকারী সচলরা থাকলে তো কথাই নাই। ফিফটি ফোরে গেরেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়ার জন্য টানাটানি করে।
যাউকগা, পোশাকটার নাম হইলো 'ডিয়ে(র)ন্ডে(ল)'। নামটা আসছে, যদ্দূর শুঞ্ছিলাম, কুমারী দেহপসারিনী থেকে। কিন্তু জিনিসটা চমৎকার, আকষর্ণীয়।
ভাষ্কর্য দেখে আমার যেটা মনে হইছে, সেইটা এই রোযা রামাদানের দিনে, ভদ্রসমাজে বললে লোকে আমারে দুষ্টু বলবে!
জলপ্রপাতের জায়গাটার নাম দেখে আমার কাছে মনে হইছে এমন যে, এইখানে আসলে এমনকি দা-কুমড়া সম্পর্কযুক্ত বালকবালিকাও প্রেমের গহীন কূয়ায় পা বাড়ায়ে ঝপাত করে পড়ে যায়। এমনই কেরামতি এই জাগার! পরেরবার গেলে দোয়া-দরূদ পড়ে যাইয়েন।
বার্লিনে টিভি টাওয়ারে উঠছিলাম একবার। এক বেডি কইলো, তুমি ইউরোপের সর্বোচ্চ চাঙ্গে উঠছো- মোবারক হো, বাধাই হো। আমি কতোক্ষণ মিস্টার বিনের মতো ডানেবামে চেগায়া হাটাহাটি কইরা, এক জায়গায় চায়া দেখি লেখা মস্কো- এদিকে। আমি নির্দেশক অনুসরণ করে দেখি বার্লিন শহরের দালানকোঠা! শালারা, গ্রামেত্তে আইছি দেইখা আমারে বেক্কল বানায়! আমিও বেক্কল বানায়া দিয়াইছি। বার থেকে একটা কলম ধার নিয়া, হিসাব-টিসাব কইরা এক জায়গায় তীর চিহ্ন আঁইকা দিয়া লেইখা দিছি, ঐ দেখা যায় তালগাছ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার Drachenfels উচ্চারণ করতে গিয়ে দুইটা দাঁত নড়ে গেল
আমাদের দাঁতের সাথে জার্মানদের এত শত্রুতে কেনু?
হিটলার নাই কিন্তু হিটলারের ভাষা মানুষের মনে আজও ভয় ধরিয়ে দেয়।
বায়ার্নের বিষয়টা জানা ছিল না, খালি ঐ নামে একটা ফুটবল ক্লাব আছে সেটুকুই কেবল জানি। আর, ওখানে 'মনহুঁশ খোমার' অধিকারী সচলদের জনপ্রিয়তা(!) শুনে আনন্দ পেলাম
ডিয়ে(র)ন্ডে(ল) জিনিসটা সুন্দর আসলে। বিখ্যাত অক্টোবরফেস্টের কারণেই হয়ত এখনও এই জিনিসটা দুনিয়াবাসী চেনে।
-ধুগোদা এখন 'ভদ্রসমাজ'রে ভয় পাওয়া শুরু করেছেন! আমরা কি এমন ধুগোদা চেয়েছিলাম?
আর, আপনার মত টিভি টাওয়ারে ওঠার পর কেউ আমাকে 'মস্কো' দেখালে আমি বলতা, "তাই তো, আমার দাদী মস্কো থাকেন, তার বাসার চিমনি থেকে ধোঁয়া উড়ছে! নিশ্চয়ই দাদী পিঠা বানাচ্ছেন। আমি গেলাম, আশা করি পিঠা ঠান্ডা হাবর আগেই পৌঁছে যাবো "
শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ আপনাকে ধুগোদা
৩ নং পাদটীকার সাথে একমত
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সত্যানন্দ এর সাক্ষ্য পেলে তাতে আর সন্দেহ রাখার উপায় কি?
শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ
লেখা পড়িয়া বড়ই প্রীত হইলাম। এই জায়গাটি ভ্রমণ করিতে গিয়া পাতালপুরে (রুবি ফলস) নামিবার প্রবেশমুখ হইতে ফিরিয়া আসি, মানসিক বৈকল্যের কারণে। ফলতঃ এই মগের মুলুকের প্রস্তর শহরটিও অবলোকন করা হয় নাই। আপনার ভ্রমন কাহিনী হইতে অনেক বিষয় জ্ঞাত হইলাম। আপনি এইরূপে দেশ-বিদেশ ভ্রমন করতঃ সত্বর অথবা আলস্যভরে অপূর্ব বিবরণাদি পোস্টাইতে থাকুন, আমরা পাঠান্তে বিপুল আনন্দ লাভ করিতে থাকি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আপনার কাহিনীটখানি স্মরণে আছে।
( মাঝে মাঝেই ভাবি, অর্থবানেরা কিরূপে তাহাদের অর্থের যথেচ্ছ ব্যবহার করিয়া থাকে, তাহারা পাতালের টিকিট খরিদ করে, কিন্তু
পরী দর্শনপরিদর্শন না করিয়াই ফিরিয়া আসে )আলস্যকে হাতের নাগালে পাইলে দিতাম দুই ঘা লাগাইয়া, ইহার যন্ত্রণায় কোন কর্মই যথাসময়ে সম্পাদিত হইতেছে না।
যেখানেই গিয়াছি, 'তাকচাদা' আর 'যেদাতেতো' টিপিয়া শত সহস্র আলোকচিত্র খিঁচিয়াছি সচলে একখানে লেখা দিব বলিয়া, মুখপোড়া আলস্য সকলই মাটি করিয়াছে। তথাপি, আপনাদের অকৃপণ আশীর্বাদ পাইলে প্রাণপণ চেষ্টা করিয়া যাইব। পাঠককে আনন্দদানেই তো এই অধম ব্লগ লেখকের আনন্দ।
শুভেচ্ছা
প্রথম পর্বটি আবার গিয়া পড়িয়া আসিলাম। আমার ফাটা-রেকর্ড বাজানোও মালুম হইল। ( অর্থবান, তা বটে। দাঁতের ব্যাথা টিপিলে আরাম। আর অর্থবানত্বের খোঁচা যত প্রাপ্ত হওয়া যায় তত আরাম, এমনকি অর্থপ্রাপ্তি না ঘটিলেও! )
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সামান্য কিছু কড়ির বিনিময়ে আমরা সকল সচল আপনাকে 'অর্থবান' এক লহমা বলিয়া সম্বোধন করিতে এক পায়ে রাজি আছি। খোঁচা খাইয়া আরাম পাইবার জন্য কিছু খরচ হইলেই তাহা সুপথে ব্যয় হইয়াছে বলিয়াই মনে করিতে পারিবেন
চমৎকার ছবিগুলো। জলপ্রপাত টা অপূর্ব!!
ধূসর গোধূলির মতই রোজা রমজানের দিনে ভাষ্কর্যগুলা লইয়া কিছু বলিলাম না
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
ধন্যবাদ
এখন মনে হচ্ছে, শুধু ভাস্কর্যগুলো নিয়ে রমজানে পরে একটা পোস্ট দিতে হত, জ্ঞানী জ্ঞানী লোকদের মন্তব্য থেকে বঞ্চিত হলাম
না আর পারা গেল না, সবখানে শুধু ভালোবাসা-বাসি!
মাসুদ সজীব
কেউ প্রেমে পড়ে, আর কেউ কেউ প্রেমের কারণে পাহাড় থেকে পড়ে
তোফা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ওই খাড়া ট্রেনে চড়ে ট্রেকিং করা যাবে মনে হচ্ছে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ট্রেকিংয়ের বুদ্ধিটা আগে আসে নি আমার মাথায়, কেন সব পাহাড়ে ট্রেন নাই, কেনু কেনু কেনু?
স্কাল্পচারের নাম "এলডার ফ্লেম", আর্টিস্ট জন ম্যাক্লিওর (Elder Flame, 2010 - Artist: John McLeod), এই লিঙ্কে এটা বানানো নিয়ে সুন্দর একটা টাইম ল্যাপস্ আছে।
https://www.facebook.com/video/video.php?v=1542874651038
...........................
Every Picture Tells a Story
দেখে আসলাম, অনেক ধন্যবাদ লিংকটার জন্য। আপনার দেয়া তথ্যটাও মূল লেখায় জুড়ে দিচ্ছি।
শুভেচ্ছা
জলপ্রপাতটা চমৎকার এসেছে
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
ধন্যবাদ, আপনাকে
সুন্দরতো! ২০১০ এ এর পাশ দিয়ে ড্রাইভ করে এসেছি, যাওয়া হয়নি। এখন আফসোস হচ্ছে। অবশ্য রুবি ফলস গিয়েছিলাম।
সোহেল লেহস
রুবিতে বেশি পর্যটক যায় এটার চেয়ে। আসলে রুবি ফলসই হল আসল আকর্ষণ, ওটা আছে বলেই এসবে লোকজন আসে।
শুভেচ্ছা
ভাল্লাগলো। সবখানে ব্যবসা!
সবখানেই
যেকোন জিনিসের বাণিজ্যিকিকরণের বিষয়টায় মার্কিনিরা বেশ ওস্তাদ।
ওইযে ১৯৩০ এর দিকে গুহা দেখিয়ে পয়সা কামাই করার বুদ্ধিও এদের ছিল (আগের পর্বটা পড়ে দেখতে পারেন।)
শুভেচ্ছা
কি যে লিখব বুঝতে পারছি না। সবাই সবকিছু লিখে ফেলেছে। আপনাকে দিতেও ভয় হচ্ছে। আজকাল আবার বিপদজনক কিনা!
http://www.priyo.com/2014/06/29/77927.html
যাই হোক আপনার অলসতা কাটানোর জন্য কিছু করতে পারলে জানাবেন
ফাহিমা দিলশাদ
সবাই তো একটা করে 'ধইন্যা' দেয়, আপনি দিয়ে আপনি তো মনে হয় ফ্রিজের সব ধনেপাতা খালি করে ফেললেন এই কমেন্টে।
সচলে জীব-বিদ্যায় বিশেষজ্ঞদের সাহায্য চাইছি, ধনেপাতা কি আসলেই খারাপ? খারাপ হলে সচলের 'ধইন্যা' সিম্বল তুলে দেয়া হোক ( আমি অবশ্য খেতেই থাকব )
শুভেচ্ছা আপনাকে
আহা, দারুণ সব ছবি আর দারুণ অ্যাডভেঞ্ছার!
অ্যাডভেঞ্চার আর কোথায় হল? দড়ি ছিঁড়ে পড়লে তবেই না সেটা রসিয়ে রসিয়ে বলা যেত
অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে
চমৎকার বর্ণনা।
আমি ব্রাউনওয়াল্ডে (Braunwald, সুইজারল্যান্ড) হেলানো রেলে চড়েছিলাম। সেটা কিন্তু পুরা পথ ইউনিফর্মলি প্রায় ৪৫ ডিগ্রীর মত বাঁকানো। স্টেশনগুলোতেও লাইন ওরকম হেলানো। একটা লম্বা লোকোমোটিভ কার, যেটার বিভিন্ন খোপে উঠতে বিভিন্ন সিড়িতে দাঁড়াতে হয়।
আপনার বর্ণনার মাঝখানে একটা লুপের মত দেখে মনে পড়লো, সেখানেও হুবহু এরকম সিস্টেম। একই সাথে দুইটা বগি চলে -- একটা উপরের দিকে একটা নিচের দিকে। বগি দুইটা একটা পুলির উপর দিয়ে যাওয়া দড়ির দুই দিকে লাগানো। ফলে একটা নামার সময়ের টানে অন্যটা ওঠার কিছুটা সাহায্য হয়। এছাড়া উপরের স্টেশন থেকে বিরাট একটা মটর দিয়ে পুলিটাকে ঘুরানো হয় (দড়ি টানার জন্য)।
স্টেশন:
বগির খোপগুলোও আসলে ঐ হেলানো কারের মধ্যে সিড়ির মত কয়েকটা আনুভুমিক ধাপে বানানো। প্রতি ধাপে আলাদা প্রবেশপথ।
২০০১ সালে গিয়েছিলাম, তখন সাকুল্যে একটা ফিল্ম ক্যামেরা ছিল, পকেটে টানাটানি ছিল। তেমন ছবি তোলা হয়নি। তাই নেট থেকে ছবি দিলাম।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বাহ্ , আপনারটাও অনেক সুন্দর!
বিশেষ করে প্রথম ছবির পাশের পাহাড়টা এককথায় শ্বাসরূদ্ধকর রকম সুন্দর!
ধন্যবাদ এত সুন্দর সচিত্র মন্তব্যের জন্য, ভালো থাকুন; শুভেচ্ছা
ইস, এইরাম রেলগাড়ি আমাদের দেশে কয়েক খান থাকলে এইচ এস সি লেভেলের পোলাপাইনডিরে "ঢাল" (Slope) বুঝানি কত্ত সোজা হয়ে যাইত
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সাথে কঠিন কঠিন অংকও থাকত।
একটা বানিয়ে ফেললাম:
"দু'টি রেলগাড়ি একটির সাথে আরেকটি পুলি দিয়ে বাঁধা, একটি উঠলে আরেকটি নামে। প্রথমটা ভর ২৫০০ কেজি, তার রেললাইনের ঢাল ভূমির সাথে ৩০ ডিগ্রি; দ্বিতীয়টির চর ৩২০০ কেজি, তার রেললাইনের ঢাল ভূমির সাথে ৪৫ ডিগ্রি। দ্বিতীয় রেলগাড়িটি উপরে উঠবে, প্রথমটি নামবে। এর জন্য দ্বিতীয়টিকে কত বলে ঠেলতে হবে?"
শুভেচ্ছা
নাহ, যাইতে হবে দেখতেছি
অলস সময়
যেতে পারেন, একেবারে খারাপ না। সাথে কোন শিশু থাকলে ওরা মজা বেশি পাবে। আর বিভিন্ন সময়ে টুকটাক অনুষ্ঠান হয়, ভালো অনুষ্ঠান হলে সেটা বাড়তি পাওনা।
শুভেচ্ছা
@Reza Rajkumar , ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এখানে, আপনি নাম আর ইমেইল লিখে মন্তব্য করতে পারবেন, সাথে কিছু আঁকাবাঁকা অক্ষর পড়ে টাইপ করতে হবে। খুব একটা কঠিন না, চেষ্টা করে দেখার আমন্ত্রণ রইল।
শুভেচ্ছা
নতুন মন্তব্য করুন