৩০শে আগস্ট, ২০০৮
ভোর সাড়ে তিনটা। ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল।
“হ্যালো?”
“মিসেস জুবায়ের?”
“জ্বী।”
“ইয়োর হাজব্যান্ড ইজ নট ডুয়িং ওয়েল। তার অক্সিজেন লেভেল নেমে যাচ্ছে এবং উই হ্যাভ টু পুট হিম ইনটু আ মেশিন। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব, হাসপাতালে আসুন।”
ডোর ম্যাটের নীচে চাবি রেখে, ঘুমন্ত অর্ণবকে খালি বাসায় একা ফেলে চলে গেলাম। ICU-এ পৌঁছে দেখি, ওর রুমে ডাক্তার আর নার্সদের ভীড়। অ্যাটেন্ডিং ফিজিশিয়ান এক অল্প বয়স্ক পাকিস্তানি মহিলা। হেজাব পরে। আমাকে সে বাইরে নিয়ে এসে বলতে শুরু করলো, “আপনার স্বামী খুব জেদি। সে আমার কোনো কথাই শুনতে রাজি নয়। ওর অক্সিজেন লেভেল ৭০%-এ নেমে এসেছে এবং সে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। আপনার স্বামী কম অক্সিজেন তো নিচ্ছেই এবং তার ওপরে তার শরীর কার্বন ডাই-অক্সাইড একেবারেই ত্যাগ করতে পারছে না। এটা ওর জন্য খুবই খারাপ। ওর অনান্য অর্গান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। উই হ্যাভ টু ভেন্টিলেট হিম। তাহলে ও সহজেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবে, তার শরীর যথেষ্ট বিশ্রাম পাবে। আমরা এর মধ্যে খুঁজে বের করবো, কেন হঠাৎ করে তার এই সমস্যা হলো। কালকে রাত থেকে এখন পর্যন্ত আমরা শুধু ওর শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দিয়ে চলেছি। প্লিজ, আপনি তাকে বোঝান।”
“আচ্ছা, ওর সাথে কথা বলছি।”
আমাকে দেখে জুবায়ের একটু হাসতে চেষ্টা করলো। যেন ওর কিচ্ছু হয়নি।
“ওদের বলো, আই অ্যাম ফাইন। হঠাৎ করে সিগারেট ছেড়ে দিয়েছি তাই এরকম হচ্ছে। এগুলো খুলে দিতে বলো, আমি এখন বাসায় যাবো।”
আমি ওকে আস্তে আস্তে ডাক্তারের কথা বুঝিয়ে বললাম। শুনে ও রেগে গেল, “ওই পাক্কুটা কী জানে! অন্য ডাক্তার ডাকো, ফোনটা কই?”
আমার ব্যাগে ছিল, বের করে দিলাম। ও বললো, “মুকুল ভাইকে ফোন লাগাও।”
অনেকক্ষণ ফোন বাজলো, উনি ধরলেন না।
“পীযুষকে কর।”
“পীযুষদা’রা এখন নিউ ইয়র্কে। ওদের নাম্বার আমি জানি না।”
সেদিন ছিলো লেবার ডে উইকএন্ড। অন্য ডাক্তাররা সব ভ্যাকেশনে গেছে, আমি নার্সকে বললাম ওর প্রাইমারি ফিজিশিয়ান ডক্টর অ্যাডাম মাইনার-কে খবর দিতে। এই ইহুদী ডাক্তারটাকে জুবায়েরের খুব পছন্দ, গত ১৪ বছর ধরে ও এই ডাক্তারের কেয়ারে। জুবায়ের কিছুতেই পাকিস্তানি ডাক্তারের সাথে কো-অপারেট করবে না। একবার ডাক্তার, একবার জুবায়ের – এই করতে করতে সকাল আটটা বেজে গেল। ওর অস্পষ্ট কথাও আর বুঝতে পারছি না। এর মধ্যেই ওর অক্সিজেন লেভেল নামতে নামতে ৬০%-এ চলে এসেছে। খুব অবুঝের মতো আচরণ করছে ও। নাক থেকে অক্সিজেন মাস্ক টেনে খুলে ফেলে দিতে চেষ্টা করছে, বিছানা থেকে নামতে চেষ্টা করছে।
আমি প্রতিবেশিনী লাবণীকে ফোন করে জুবায়েরের খবর দিয়ে অর্ণবকে তাদের কাছে নিয়ে আসতে বললাম। নিউ ইয়কর্বাসিনী আমার ছোট বোন শিমুল ও মুন্নি ভাবীকে (উনি জুবায়েরের আফিসে কাজ করেন) খবর দিলাম। সকাল প্রায় ন’টার দিকে ডক্টর মাইনার এলেন। তিনি ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে জুবায়ের হাতের ইশারায় আমাকে বাইরে যেতে বললো। ওই অবস্থাতেও ওর আসল অবস্থা আমাকে জানাতে চায় না।
কিছুক্ষণ পরে ডাক্তার বাইরে এসে জানালেন, জুবায়ের আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়।
ভেতরে গেলাম। কাছে গিয়ে হাত ধরলাম। ওর হাতের নখগুলি সবুজ হয়ে টিয়া পাখির ঠোটের মত বেরিয়ে এসেছে। কপালের সমস্ত রগ প্রকটভাবে দেখা যাচ্ছে। কিছু একটা বলতে চেষ্টা করছিল, মুখের কাছে কান নিয়ে অনেক কষ্টে বুঝলাম, অর্ণবের কথা জিজ্ঞেস করছে।
“অর্ণব এক্ষুণি আসছে, ডোরাও আসবে একটু পরে।”
কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকলো। তারপর চোখ খুলে হাতের ইশারায় কাগজ কলম আনতে বললো। কাগজ কলম নিয়ে এলাম, ও বেশ সময় নিয়ে ধীরে ধীরে আঁকাবাঁকা অক্ষরে জীবনের শেষ লেখা লিখলো: এই প্রসিডিউরের ... আলাদা ভাবে করতে। তিন সপ্তাহ পরে করালে কী ক্ষতি? (মাঝখানের একটি শব্দের পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি)
আমি ডক্টর মাইনার-কে ডেকে ওর ইচ্ছার কথা জানালাম। তিনি এবার আমার সামনেই বেশ জোরে জোরে বললেন, “মিস্টার জুবায়ের, এই মুহূর্তে আপনার অবস্থা খুব ক্রিটিক্যাল। এভাবে চলতে থাকলে একটা দিনও নয়, মাত্র কয়েক ঘণ্টা টিকতে পারবেন।, উই হ্যাভ টু ইনটিউবেইট য়্যু। যে কোনও অবস্থাতেই আমাদের এটা করতেই হবে। অ্যান্ড দ্যাট ইজ গোয়িং টু বি ভেরি পেইনফুল ফর য়্যু। লেট আস ডু ইট নাউ, আমরা আপনাকে ঘুম পাড়াবো, আপনি কিচ্ছু টের পাবেন না। উড য়্যু লেট আস ডু ইট, মিস্টার জুবায়ের?” ও কতক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকলো। তারপর মাথা নেড়ে হ্যাঁ বল্লো।
তখন আমাদের দু’জনকে উদ্দেশ্য করে ডাক্তার আবার বললেন, “আমি আপনাদেরকে মিথ্যে আশ্বাস দেবো না। মিস্টার জুবায়ের, মে বি দিস ইজ ইয়োর লাস্ট ব্রেথ। মে বি ইউ আর নট কামিং ব্যাক। আপনিই বলুন, সে-ক্ষেত্রে আমরা কতোদিন লাইফ সাপোর্ট রাখবো?”
জুবায়ের আস্তে করে আঙুল তুলে দেখালো, সাত দিন।
“আপনার হার্ট ফেইল করলে আমরা ইলেকট্রিক শক দেবো? আপনি তা চান?”
জুবায়ের মাথা নেড়ে “না” বললো।
“হোয়াট ইজ ইয়োর উইশ ফর বেরিয়াল।”
অনেক সময় নিয়ে সে উত্তর দিলো, “ডোনেট মাই বডি।”
তারপর আমার দিকে হাত বাড়াতেই আমি মাথাটা কাছে এগিয়ে আনলাম, হাত দিয়ে আমার চোখের পানি মুছিয়ে দিতে চেষ্টা করলো। মাথা নেড়ে কাঁদতে বারণ করলো। আমি কানের মুখ নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “কিছু বলবে?”
আমার হাতটা চেপে ধরে ও বললো, “স্যরি।”
ডাক্তার আমাকে বাইরে বের করে দিলো। ICU-র পাশেই একটা চ্যাপেল আছে। আমি ওখানে বসে কাঁদতে কাঁদতে দোয়া ইউনুস পড়তে থাকলাম। কতোক্ষণ জানি না, হয়তো খুব বেশি হলে আধঘন্টা। নার্স এসে বললো, তুমি এখন আসতে পারো। ভেতরে গিয়ে দেখলাম, ওর মুখে একটা এক ইঞ্চি ডায়ামিটারের নল ঢোকানো। নলটা স্থির রাখার জন্য মুখের দুই পাশে টেপ দিয়ে আটকানো। এখন ও সম্পূর্ণ মেশিনের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। ভুরুটা একটু কোঁচকানো।
"ও কি কষ্ট পাচ্ছে?”
ডাক্তার বললেন, "আর দশটা মিনিট সময় দাও, ও গভীর ঘুমে তলিয়ে যাবে।"
কিছুক্ষণ পর আসাদ ও লাবণী এলো, অর্ণবকে লবিতে বসিয়ে রেখে। ওদেরকে সংক্ষেপে সব বললাম। অর্ণবকে এখানে আনা ঠিক হবে কি না, বুঝতে পারছিলাম না। আসাদ বললো, “নিয়ে আসুন এখানে, কিছু হবে না।"
ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে অর্ণবকে আনতে গেলাম। ঘুম ঘুম চোখে ও আমার দিকে তাকালো।
“আম্মু, বাবা কোথায়?”
কী বলবো ওকে আমি! কান্না গোপন করে বললাম "তুমি জানো, বাবার খুব কষ্ট হতো নিঃশ্বাস নিতে, তাই ডাক্তার বাবাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে।"
পর্দা সরিয়ে জুবায়েরের ঘরে ঢুকেই অর্ণব থমকে দাঁড়ালো। জুবায়েরের দিকে এক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আরো ভেতরে না ঢুকে দৌড়ে বাইরে চলে গেল। আমি ওর পেছন পেছন বাইরে এসে দেখলাম, ও ICU-এর বাইরের দেয়ালে পিঠ দিয়ে মুখ নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
"কী হয়েছে বাবা? এসো, আমার কাছে এসো।" কিন্তু আমি ওর কাছে যেতেই ও দৌড়ে ICU-এর বাইরে চলে গেলো।
আসাদ বললো, "আপনি জুবায়ের ভাইয়ের কাছে যান, আমি দেখছি।”
ধীরে ধীরে হাসপাতাল ভরে উঠলো পরিচিত-অপরিচিত বাঙালি দিয়ে। এতো লোক একসাথে শুধু মাত্র কোনো অনুষ্ঠানেই দেখা যায়। নার্স এসে আমাকে বললো, “তোমার লোকদের বাইরে নিয়ে যাও, কারণ অন্য রুগীদের অসুবিধে হচ্ছে।”
জুবায়েরের বন্ধু মুকুল ভাই অনেকটা জোর করেই সবাইকে ভিজিটিং এরিয়াতে নিয়ে গেলেন।
বেলা দুটোর দিকে ডোরা এলো। আমি তখন চ্যাপেলে বসে ছিলাম। ও এসে হাঁটু গেড়ে বসে আমাকে দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলো।
"আম্মু, বাবা কি মরে যাচ্ছে?"
আমি আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। এতোক্ষণ যে-কথাটা মনের মধ্যে গুমরিয়ে গুমরিয়ে উঠছিল, সে-কথাটাই ডোরার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো। হায় খোদা, জুবায়ের কি মারা যাবে? আমি এখন কী করবো? আমার মেয়েকে কী জবাব দেবো?
"আমি জানি না, সোনা, আমি জানি না।"
ডোরাকে নিয়ে জুবায়েরের কাছে এলাম। ওর সমস্ত শরীরে অসংখ্য তার আর সারা রুমে অজস্র মেশিন। এমনিতে ডোরা ভীষণ চাপা স্বভাবের, শান্ত। কিন্তু এখন ওর বাবাকে এই অবস্থায় দেখে (যে বাবাকে সর্দি-জ্বর ছাড়া কখনো অসুস্হ হতে দেখেনি) বাবার হাতটা তুলে নিয়ে নিজের মুখের ওপর চেপে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলো।
"বাবা, আই লাভ ইউ সো মাচ, আই ক্যান্ট লিভ উইদাউট য়্যু। প্লিজ, কাম ব্যাক।"
রাতে নিউ ইর্য়ক থেকে আমার ছোট বোন শিমুল ও তার স্বামী মাকসুদ এবং লস এঞ্জেলেস থেকে মেজমামা চলে এলেন। রাত সাড়ে নয়টায় ডাক্তার সবাইকে নিয়ে একসাথে বসলেন। জুবায়েরের অসুখ সম্বন্ধে আদ্যপান্ত বিস্তারিত জানালেন, সকলের সব প্রশ্নের জবাব দিলেন। এখানকার ডাক্তাররা খুব খোলামেলাভাবে সব কথা বলে দেয়। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, জুবায়েরের ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব কম। ওর অসুখ এক্কেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। যদি এবার সে সারভাইভ করেও, তবুও দুই মাসের বেশি তাকে বাঁচানো যাবে না। এবং এই দুইমাস তাকে অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্যারি করতে হবে ও হুইল চেয়ারে থাকতে হবে।
আমি আর সহ্য করতে পারলাম না। ডাক্তারকে বললাম "শোন, আর একটা কথাও বলবে না। তুমি ডাক্তার হতে পারো, কিন্তু তুমি সব কিছু জানো না। তুমি বলতে পারো না, কে কবে মারা যাবে। আমি যে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করি, একমাত্র তিনিই জানেন, কী হবে। উনি দয়ালু, উনি কখনই আমার স্বামীকে এইভাবে নিয়ে যাবেন না। ও ভালো হবেই। ওকে ভালো হতেই হবে। এই আমার বিশ্বাস।”
ডাক্তার আমার হাত ধরে বললেন, "মিসেস জুবায়ের, আমিও তা-ই বিশ্বাস করি।"
(চলবে)
* লেখায় রেটিং না দেয়ার অনুরোধ রইলো।
মন্তব্য
এই কষ্ট কী করে সহ্য করি!
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
কি আর বলবো। তবু পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
কী বলি...
তাই তো!
মনটা কেমন হয়ে গেলো ...
ধন্যবাদ।
আমি সহ্য করতে পারছিনা।অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে।অনেক বেশি
পরী, জীবনটা যে আসলে রুপকথা নয়, আমার মতো এতটা পথ পেরিয়ে আসলে তখন বুঝতে পারবেন। তখন অনেক কষ্ট সহ্য করবার ক্ষমতা আপনে থেকেই তৈরী হবে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
জুবায়ের ভাই, আপনি কেন এত জেদী ছিলেন? একটু কম জেদ করলে কী ক্ষতি হতো? এত কষ্ট দিয়ে কী লাভ হলো আপনার? লেখাটা কেন যে পড়লাম।
ও যদি এক বছর আগেও ওর অসুখটার কথা জানাত!
জানি প্রশ্নটা করে আপনাকে কষ্ট দেয়া হবে তবু জানতে ইচ্ছা করছে আমাদের হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষটার কি অসুখ হয়েছিল, ফুসফুসজনিত কোন দূরারোগ্য ব্যাধি ?
-----------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
Pulmonary Fibrosis। মনে হয় ২০০৩ শেষের দিকে ও জানতে পেরেছিলো।
আমি জেনেছি ২০০৮ এর এপ্রিলে।
Pulmonary Fibrosis রোগটা পড়ার বইয়ের পাতায় কত বার পেয়েছি , কিন্তু বুঝিনি এটা কতগুলো মানুষকে কাদিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে ।
--------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
আমার অনেক বেশি অস্থির লাগছে লেখাটা পড়ে। সহ্য করতে পারছি না। ......আল্লাহ উনাকে শান্তি তে রাখুন।
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
কেন যে এই মন খারাপ করা লেখাটা লিখতে শুরু করলাম!
আর সবার সাথে আমিও শুনছি, এটাই জানিয়ে গেলাম । আর কিছু বলতে পারছিনা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ধন্যবাদ।
বুঝতে পারছি।
হায় মানব ভাগ্য ! কেনো তুমি এতো নিষ্টুর ???????????????
সবার ক্ষেত্রে নয়।
...........
...........................
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নিরব কেন ?
সান্ত্বনার কোন ভাষা জানা নেই। মনে প্রাণে আপনাদের সাথে আছি, জুবায়ের ভাই আছেন আমাদের প্রতিটি প্রার্থনায়।
সান্ত্বনার কোন ভাষা জানা নেই। মনে প্রাণে আপনাদের সাথে আছি, জুবায়ের ভাই আছেন আমাদের প্রতিটি প্রার্থনায়।
ভালো লাগলো। ভীষন ভালো লাগলো ,আপনার মন ছুঁয়ে যাওয়া মন্তব্য পড়ে।
........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
চোখ ভেসে যায় জলে...
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
আমি পুরুষদের খুব একটা কাঁদতে দেখিনি। আমার ঘরের জনকে তো কখনোই নয়। ও কাঁদতে নয়, কাঁদাতে পটু ছিল।
খুবই খারাপ লাগছে লেখাটা পড়ে, এখনও লেবার ডে উইকএণ্ড চলছে, আর গত বছরের এসময়ের দিনলিপি পড়ছি।
----------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ডোরা বাসায় এসেছে লেবার ডে উইকএন্ড এ। ভাই বোন গেছে মুকুল ভায়ের বাসায় বারবিকিউ পার্টিতে। আমি যথারীতি কাজ কারছি।
আমি বারবার অশ্রু কাতর হচ্ছিলাম পড়ার ফাকে ফাকে। বেঁচে থাকার লড়াই এতো কষ্টের?
বেঁচে থাকার, না বাঁচিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা। আমি এখনো পুরোপুরি বুঝতে পারিনি।
...........................
...........................
Every Picture Tells a Story
"ক্লোজেটের ভিতর দরজা আটকিয়ে বসে থাকতো। বলতো অন্ধোকারের ভিতর বাবা কেমন আছে, সেটা অনুভব করতে চায়।" -
এই কথাগুলো প্রায়ই কেন যেন মনে পড়ে যায় সেদিন লেখাটা পড়ার পর থেকে। এই পর্ব পড়ে কেমন এক অনুভবে গলা বুজে আসছে।
আপনারা সবাই অনেক ভালো থাকুন...... অনেক ভালো.......
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বারবার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে.........
নৈশী।
আপনি অনেক শক্ত মানুষ, ভাবী। অনেক শক্তি সঞ্চয় করে লেখাটা পড়া শুরু করেছিলাম, তবু ভেতরটা কেঁপে উঠলো জুবায়ের ভাইয়ের শেষ মুহূর্তগুলোর বিবরণ পড়ে। আপনার শক্তি ও দৃঢ়তা অনুকরণীয়। জুবায়ের ভাইয়ের নামটা শুনলেই পুরনো কষ্টগুলো জেগে ওঠে। আপনার লেখাগুলো খুব দুর্বল করে দেয়।
আপনি অনেক শক্ত মানুষ, ভাবী।
শক্ত আমি! হায়রে!! গত এক বছরে কত সহস্রবার শুনতে হয়েছে, "কি হয়েছিলো জুবায়ের ভায়ের।" বলতে পারিনি। মুখ খুল্লেই গলা বুজে এসেছে কাঁন্নায়। বলতে তো পারতাম না। তাই ভেবেছিলাম লিখবো। কিন্তু সেই লেখা লিখতে গিয়ে যে এত কষ্ট হবে তা কি জানতাম? এক লাইন লিখতাম, চোখের পানিতে সব ঝাপসা দেখতাম। চোখ ধুয়ে মুখ মুছে আবার বসতাম। তারপর এক প্যারা শেষ করবার আগেই চিত্ কার করে কাঁদতে শুরু করতাম। সেদিন আর লেখা হতো না। এই ভাবে দীর্ঘ এক বছরে একটু একটু করে লিখে গিয়েছি।
এক মাস ধরে একটু একটু করে আমার চোখের সামনে ওকে মারা যেতে দেখেছি। তোমরা কেউ বুঝতে পারবেনা আমার উপড় দিয়ে কি গেছে! কি প্রচন্ড কষ্টের পাহাড় বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি।
........................
"আমি যে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করি, একমাত্র তিনিই জানেন, কী হবে।"
.
. অদ্ভুত !
শুধু এটুকু বলে যাই............
ছেদটা সাময়িক। কোন এক মহাক্ষণে আবার দেখা হবে সবার সাথে।
কোন এক রঙিন সকালে আবার নিজেকে খুঁজে পাবেন খুব কাছের মানুষগুলোর মাঝে। শুধু অপেক্ষায় থাকুন সেই সকালটার।
এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মান্ড যার সৃষ্টি,
ক্ষুদে পতঙ্গ থেকে শুরু করে মানুষ, --- প্রতিটা প্রাণ যিনি ধরে রেখেছেন অসীম ভালোবাসায়, তিনি নিশ্চয়ই আপনার প্রিয়জনের দেখভাল করছেন।
পবিত্র এই রামাদানে অনেক দোয়া থাকলো মরহুমের জন্য।
এই মাসে যখন পৃথিবী জুড়ে রাত্রি নামে, তখন শুনেছি সপ্তাকাশ থেকে তিনি কান পেতে থাকেন...... পৃথিবীর মানুষ গুলোর কান্না আর প্রার্থনা শোনার জন্য...
আমি কারো ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত দিতে চাই না। কিন্তু এ সব আমি আর বিশ্বাস করি না । জুবায়েরের সাথে সাথে আমার এতদিনের অন্ধ বিশ্বাস গুলিকে দফন করে দিয়ে এসেছি। আমাদের ধর্ম গ্রন্থ গুলিতে যত ফিরিস্তি দেওয়া আছে" কি করিলে কি হয়"। তার কোনটাই বাদ দেইনি। কিন্তু কিছুই হয়নি।" উনি যা করেন ভালোর জন্য করেন" উইত অল ডিউ রেসপেক্ট উনি আমার কোন ভালো করেন নি। জুবায়ের ছেলে/মেয়ে রেখে চলে গিয়ে ভালো নেই। আমার ছেলে/মেয়ে এতিম হয়ে ভালো নেই। আর আমি বিধবা হয়েও ভালো নেই। আমার কাছে এটাই সত্যি। আর সব মিথ্যে। আপনার মন্তবের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার লেখাগুলো ভীষনভাবে ষ্পর্শ করে আমাকে। বেদনাদায়ক ঘটনাপ্রবাহ তো মূল কারণ, আরেকটি হচ্ছে আমার নিজের বয়েসও জুবায়ের ভাইয়েরই কাছাকাছি বা সমানই প্রায়।
আমি আপনার ও আপনাদের স্বন্তানদের শুভকামনা করি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আরেকটি হচ্ছে আমার নিজের বয়েসও জুবায়ের ভাইয়েরই কাছাকাছি বা সমানই প্রায়।আমি আপনার মন্তব্যের অর্থ ধরতে পারলাম না। এক হতে পারে এই লেখাটা আপনাকে ষ্পর্শ করেছে। কারণ আপনার কাছাকাছি বয়সের একজন চলে গেছে। অথবা দ্বিতীয়টা যদি হয় তাহলে বলবো জুবায়ের তার সময়ের অনেক আগেই চলে গেছে।
ভালো থাকবেন।
"শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সহাবেন, তাহাই সয়॥
(তবে সময় মতো শোধ লয়॥)
আমি ডালাসেই থাকি।সম্ভবতঃ আপনাদের থেকে খুব দুরেও নই।সচলায়তন পড়ি এর শুরু থেকেই।বাংলা ভাল লিখতে পারি না বলে সক্রিয় সদস্য হয়ে উঠা হয়নি কখনো।প্রথম থেকেই জুবায়ের ভাই এর লেখা পড়তাম,ভাল লাগত।কোনরকম সু্যোগ না দিয়েই তিনি চলে গেলেন, সু্যোগ মানে দেখা করা,আড্ডা দেয়া।যে সংগ্রাম আপনি করছেন তাতে আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করুন। কখনো কোন প্রয়োজনে আসতে পারলে খুশি হব।আমার email:
আমার বাসার ঠিকানা ও ফোন নাম্বার ইমেল করে দিলাম। ঈদে নিমন্ত্রণ রইল। চলে আসবেন সবাইকে নিয়ে।
কিছু বলার ভাষা নেই.................
বুঝতে পারছি।
এই লেখা পড়তে গিয়ে কষ্ট হয়। আপনি কত সাহস আর শক্তি নিয়ে লিখছেন, ভেবে পাই না ...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
তোমার কথার কি জবাব দিবো?
শ্রদ্ধাস্পদেষু মেহবুবা জুবায়ের ভাবী
শোকের কথা এত অনায়াস দক্ষতায় বলতে দেখে নত হলাম শুধু। এত জীবন্ত তা আপনার স্মৃতিতে, শিউরে উঠি ভাবলে কী সময় পার করেছেন! কোনো সাহায্যের দরকার হলে, এমনকী শুধু কথা বলবার জন্য কাউকে দরকার হলেও জানাবেন। লেখাটা বড় স্পর্শ করলো।
বিনীত
ss
এত জীবন্ত তা আপনার স্মৃতিতে,
শয়নে, স্বপনে, জাগরনে ওঁর স্মৃতি নিয়েই তো বেঁচে আছি। বিশেষ করে শেষের দিন গুলির। কোথায় পালাবো? কি ভাবে পালাবো? কেমন করে ভুলবো? আমি ঘুমাতে পারিনা। ভাগ্য আমাকে যেখানে দাড় করিয়ে দিয়েছে। সেখান থেকে আমার মুক্তি নেই।
কাঁদলাম।
কী-ই বা আর হবে কেঁদে বা না কেঁদে!
স্যরি।
ধ্যৎবে্যটা ছেলের কাঁদতে নেই।
নিজেকে আমি খুব শক্ত-হৃদয়ের মানুষ বলে জানতাম। লেখাটা পড়ে কেন যে এতোটা কাতর হযে গেলাম !
স্যরি ভাবী, আমি বোঝাতে পারবো না ! তবে লিখতে থাকুন আপনি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনার ইয়োগা কি বলে? দেহ মজবুত করার ইয়োগা আছে, মন মজবুত করার ইয়োগা নেই।
আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, মানুষের মন নরোমই থাকা উচিৎ। নইলে সে যন্ত্র হয়ে যায়। জগতে যতো সব ঝামেলা এজন্যেই। তাই ইয়োগাতে মন মজবুত করার উপায় আছে কিনা তা নিয়ে ঘাটাঘাটি করি নি। তবে মন শান্ত রাখার চর্চা করা যেতে পারে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
................................
---------------------
আমার ফ্লিকার
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
................
তবুও লিখুন সবটুকু।
আবারো কাঁদি। কেঁদে হালকা করি বুক।
ধন্যবাদ।
জবাবটা ভুল জায়গায় পোস্ট করেছি। সরি,
ঠিক আছে, লিখছি। কাঁদো সচলবাসি আজকে কাঁদো॥
আপনার ইয়োগা কি বলে? দেহ মজবুত করার ইয়োগা আছে, মন মজবুত করার ইয়োগা নেই।
ভালো থাকুন, প্রার্থনা রইলো। জানি জুবায়ের ভাই ভালো আছেন যেখানেই আছেন, রইলো তাঁর জন্যেও অনেক অনেক প্রার্থনা।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ধন্যবাদ।
আপনিও ভালো থাকবেন।
আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা রইলো ভাবি, জুবায়ের ভাইকে জানার সুযোগ আমার হয়নি। তাকে জেনেছি অন্যদের কাছ থেকে, তাই উনাকে নিয়ে কিছু বলা সম্ভব না আমার পক্ষে। আপনি, আপনারা অনেক ভালো থাকুন, জুবায়ের ভাই যেখানে আছেন তা এই পৃথিবীর চেয়ে শান্তির জায়গা, এই কামনাটুকু করতে পারি। শোকটুকু শক্তি হোক ভাবি, ভালোবাসা রইলো,অনেক।
------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
পাশের স্টেটে থেকেও কখনও কথা হল না, দেখা হল না। অদেখা সেই মানুষের স্মৃতিচারণ কাঁদিয়ে গেল।
ভালো থাকুন।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
পাশের স্টেটে মানে কোথায়?
লুইজিয়ানা।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
সব অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
একদম ঠিক।
কাল রাতে ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল তাই আজ সকালে সচলে ঢুকলাম। জুবায়ের ভাইয়ের শেষ দিনগুলির বর্ননা এত জীবন্ত যেন মনে হচ্ছে আমার পাশেই ঘটছে, যেন আর সব মানুষগুলির মত আমিও জুবায়ের ভাইয়ের পাশে ঐ হসপিটালে ছিলাম। ভাল থাকবেন ভাবী। ডোরা আর অর্ণবকে আদর দিবেন।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ছেলের বয়স কত হলো? অর্নবের জন্মদিন আসছে। পড়তে ভালো লাগছে জেনে ভালো লাগলো।
আপনার আগের লেখাটা পড়েও কিছু লিখবার জন্যে ভাষা খুঁজে পাইনি এখনো তাই হচ্ছে। জীবন তো বহতা নদীর মতো বয়েই যায় কিন্তু তার ঢেউ কি হারানোর ক্ষত মুছে দিতে পারে? পারেনা। আপনার লেখা পড়ে আপনাকে দেখতে পারি। আপনার লেখা সবাইকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। সামান্য পরিমান হলেও -আপনার কষ্ট গুলো সচলের সবাই ভাগ করে নিচ্ছে ....... ভালো থাকুন!
-------------------------------------------------
আমার জীবন থেকে আধেক সময় যায় যে হয়ে চুরি
অবুঝ আমি তবু হাতের মুঠোয় কাব্য নিয়ে ঘুরি।
আমার জীবন থেকে আধেক সময় যায় যে হয়ে চুরি
অবুঝ আমি তবু হাতের মুঠোয় কব্য নিয়ে ঘুরি।
আপনার কষ্ট গুলো সচলের সবাই ভাগ করে নিচ্ছে ...
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
তবুও বলবো ভালো থাকুন আপনি।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ধন্যবাদ, চেষ্টা করবো।
ডোরা আর অর্নব ভালো থাকুক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
দোয়া করবেন।
অফটপিকে একটি কথা বলি। ভাবির একাউন্টটি পূর্ণ সচল করে দেওয়া যায় না। আমার মনে হয় তাতে ভাবি মন্তব্য করলে সেটা সাথে সাথে দেখতে পেতেন। আমি নিশ্চিত ভাবি সারাদিন কাজ করে এসে তারপর সচলে বসেন রাঁতে এবং মন্তব্যগুলো করে সাথে সাথে সেগুলো দেখতে পারেন না। এ রকম কিছু মানুষের জন্য নীতিমালা না হয় নাই থাকলো, সেটা থাকুক আমাদের জন্য।
না ভাই, আমি আপনার সাথে একমত নই। সচলের নিয়ম বদলাবে না। সচলে থাকতে চাইলে আমাদের বদলাতে হবে সচলের সাথে সাথে।
খুব সুন্দর কথা বললেন, জুবায়ের ভাই'র মতোই ! তবে আমি মনেপ্রাণে কামনা করবো আপনি তাড়াতাড়ি সচল হোন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি এই কথাটাই লিখতে গিয়েছিলাম। জুবায়ের ভাইয়ের ছায়া পেলাম এই মন্তব্যে।
ইশতিয়াক রউফ ও রণদীপম বসু এখন নিশ্চয় বুঝতে পারলেন জুবায়ের কার কথা টুকলী করতো!!
তাই তো দেখছি!
লেখাটা আসলেই বেশ 'গ্রাফিক'। আগের লেখাটাও। পরিস্থিতিটা খুব ভালভাবে বোঝা যায়।
দয়া করে আমার লেখার স্টাইল নিয়ে আলোচনা করবেন না। এটা আমার খুব দুর্বল দিক। মনে করুন আপনারা একজনকে চিনতেন, আমি তাকে নিয়ে একটা গল্প বলছি। লেখাটাকে এভাবে নিন।
তবে আপনার লেখা আমি নিয়মিত পড়ি। আপনি সব সময় আমার পছন্দের বিষয় গুলি নিয়ে লেখেন।
যুবায়ের ভাইয়ের সাথে ব্যক্তিগত কোন পরিচয় ছিল না। ব্লগে আমি ছিলাম পাঠকমাত্র। কিন্তু সেই সংবাদটা আমাকে এত আলোড়িত করেছিল যে জীবনের প্রথম ব্লগটা লিখেছিলাম বোধহয় জুবায়ের ভাইয়ের শেষ সংবাদ নিয়ে। মনটা ভীষন খারাপ হয়ে গেল এক বছর পর, আবারও। বন্ধুদের হারিয়ে যে মানুষটা একা হয়ে যাচ্ছিল, তার লেখায় সেই বিষন্নতাগুলো ফুটে উঠছিল, তখন কি জানতো তিনিও সেই ধারাবাহিকতায় সামিল হচ্ছেন শীঘ্রই। হায় জীবন! কেউ জানে?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
না কেউ জানেনা। আপনি আপনার প্রথম ব্লগটা লিখেছিলেন জুবায়েরের জন্য। এটা যে জুবায়েরের জন্য কত বড় সন্মান !
আপনাকে ধন্যবাদ।
পড়েছি অনেক আগে। কিন্তু কী মন্তব্য করব, বুঝতে পারছিলাম না। এত কষ্ট লাগল...
জানি লিখতে কষ্ট হচ্ছে আপনার, পড়তে কষ্ট হচ্ছে আমাদেরও, তারপরেও অনুরোধ করব, লিখে রাখুন এগুলো। এগুলোই একদিন জুবায়ের ভাইয়ের শেষ দিনগুলোর প্রামাণ্য দলিল হয়ে বেঁচে থাকবে। জুবায়ের ভাই যেমন বেঁচে আছেন তাঁর লেখায়, তেমনি তিনি বেঁচে থাকবেন আপনার লেখাতেও।
ভালো থাকবেন। অর্ণব-ডোরা ভালো থাকুক। শুভকামনা রইল।
শুভকামনা রইল আপনার জন্যেও।
কথা ছিলো বই মেলার কোন এক দুপুর থেকে আমরা আড্ডা দেয়া শুরু করবো।
কথা ছিলো আমাকে বাংলা বানান শিখিয়ে ছাড়বেন তিনি।
কথা ছিলো আমার সবকটা লেখা তিনি দেখে দেবেন।
কথা ছিলো নতুন সব লেখা তিনি এডিট করে দেবেন প্রথমে, তিনি হবেন প্রথম পাঠক...
কিছুই হয়নি। কিছুই হবে না। কিছুই হবার নয়।
মাঝে মাঝে রাগ লাগে। জুবায়ের ভাই এর লিঙক ধরে তার লেখা পড়তে থাকি, তার মেইল পড়ি, চ্যাট হিস্ট্রি পড়ি। আর বলি, আপনি লোকটা ভালো না জুবায়ের ভাই, আপনি লোকটা ভালো না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপনার মন্তব্যটা অনেক বার পরেছি। কিন্তু এর উত্তর আমার জানা নেই। কি বলবো?তাই জুবায়েরের শেষ দিকে লেখা, ওর কিছু এলো মেলো ভাবনা থেকে তুলে দিলাম --
তবু একসময় বলতে হবে। কীভাবে জানি না। কতো অসমাপ্ত কাজ আছে, থেকে যাবে। সেগুলি তেমন মনেও পড়ে না। কতো যে সাধ ছিলো, অপূর্ণ থেকে যাবে। থাক, কিছু এসে যায় না। শুধু ছেলেমেয়ে দুটির মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকি, আমার ভেতরটা ভেঙে পড়তে চায়।
যদি এ থেকে আপনার উত্তর খুঁজে নিতে পারেন!
খুব কষ্ট লেগেছে পড়তে তবুও পড়েছি। এই ঘটনাগুলি আমাদের জানা দরকার ছিল। ধন্যবাদ লেখার জন্য।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনাকে, আপনাদের কাউকে আমি চিনি না। তবুও অনেক কষ্ট হল পড়া শেষ করতে। আপনি কিভাবে লিখলেন?
নতুন মন্তব্য করুন