আপনি কে, কী এবং কেমন তাতে আমার বিন্দু মাত্র আগ্রহ নেই। তবুও আপনাকে লিখছি কারণ, সাম্প্রতি সচলায়তনের একজন লেখিকার করা মন্তব্য থেকে জানতে পারলাম আপনি আমার স্বামী মুহম্মদ জুবায়েরের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেটা কী জানবার জন্য আমার আগ্রহ জন্মে। তারপর গত দু’দিনের চেষ্টায় বেশ কটা ব্লগ ঘেটে অবশেষে আপনার অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় বহনকারী সেই আপত্তিকর লেখাটা খুঁজে পেলাম। লেখাটা আপনি কেন লিখেছেন সুমন? আপনি গল্প লেখেন, সেটা আপনার নেশা বা পেশা যাই হোক তাতে আমার কিছু আসে যায় না। কিন্তু আমার মৃত স্বামী ব্যক্তি জুবায়ের সম্বন্ধে এতসব বানোয়াট তথ্যে ভরা গল্প আপনি কার অনুমতি নিয়ে লিখেছেন? এটা তো সম্পূর্ণ মানহানির ব্যাপার। আমার বুদ্ধিমত্তাকে ছোট করে দেখবেন না। এটা লিখবার আগে কী একবারো ভাবেন নি যে আপনি মানহানির মামলায় পড়ে যাবেন।
আপনার ব্যাখ্যা মৃত্যুশোকের রাজনীতি নিয়ে লেখাই ছিল আমার অন্বিষ্ট। আমার স্বামী প্রচার বিমুখ খুব সাধারণ একজন, অসাধারণ সৎ ও ভালো মানুষ ছিলেন। কার এমন দায় পরেছে ওকে নিয়ে রাজনীত করার? সচলায়তনের যারা ওকে ভালোবেসেছিলো, ওর মৃত্যুতে শোকতপ্ত হয়ে কিছু কথা লিখেছিলো, সেটাকে কত কদর্য মন হলে শোকের রাজনীতিতে পরিণত করা যায় তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ আপনার এই লিখাটা। জুবায়ের আপনার সম্বন্ধে বলেছিলো, “আপনি পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করেন”। এই মন্তব্যটি জুবায়ের বেঁচে থাকতেই করেছিলো। আপনি তখনই তো তাকে ভালো করে ছ্যাঁচা দিতে পারতেন? নাকি জুবায়েরকে ফেস করার সৎসাহস আপনার ছিলোনা? তাই জুবায়েরের মারা যাবার খবর পাওয়ার পর, আপনি ভাবলেন, এই তো সুযোগ, যাই শালাকে একটা আছিলা বাঁশ দিয়ে আসি! সুতরাং আপনি ছাড়া তার মৃত্যুশোক নিয়ে আর কে রাজনীতি করবে বলেন?
যদিও আপনার লেখার সমালোচনা করতে আমার ঘৃণায় গা গুলিয়ে আসছে, তবুও এটা আমাকে করতে হচ্ছে কারণ, জুবায়ের নেই। আমার স্বামীর সম্বন্ধে আপনি একটা মিথ্যে গুজব ছড়াবেন আমি বেঁচে থাকতে তা হতে দিতে পারিনা। এবার আসি আপনার পেট বানানো মিথ্যে গল্পের ব্যাখ্যায়----
১) মুহম্মদ জুবায়ের মারা গেছেন। ইনি প্রথম যৌবনে লেখক হওয়ার জন্য ঘর ছেড়েছিলেন এবং শেষ জীবনে লেখালেখি করবার জন্য বেছে নিয়েছিলেন ব্লগকে।
ঢাকায় এসেছিলেন তিনি পড়াশোনার করবার জন্য। অ্যামেরিকায় এসেছিলেন বউ ছেড়ে থাকতে পারবেন না বলে। ও যে একমাত্র ব্লগেই লেখালেখি করতো, এই খররটা আপনার কানে কানে কে বলে গ্যালো বলুনতো? আর ব্লগে লিখলেই বা আপনার সমস্যা কোথায়?
২) এমনকি সচলায়তন বিষয়ে প্রথম আলো-তে লেখা আমার নিবন্ধের গীবতেও সামিল হয়েছিলেন তিনি।
গীবত কাকে বলে জানেন? কারো আড়ালে তার নামে বলা। জুবাযের যা বলেছিলো তা সচলায়তনের খোলা পরিবেশে। এবং আপনার অগচরে নয়, সেটা আপনি জানেন। তাহলে কৌন যুক্তিতে এটা গীবত হয়? আর আপনি আপনার ব্যক্তিগত ব্লগে জুবাযের মারা যাবার পরে ওর সম্বন্ধে যা লিখেছেন তাকে কী বলে?
৩) মুহম্মদ জুবায়ের বিষয়ে এইটুকু লেখার পর আমি নিজে পরিষ্কার যে সচলায়তনের ব্যাপারে তাঁর শর্তহীন পক্ষপাত ছিল। খুবই ভালোবাসতেন এই ফোরামটিকে। কিছু খিটিমিটি হলেও সেখানেই লিখে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। এতই টান ছিল এই ফোরামের প্রতি যে, এই ফোরাম ত্যাগ করবার পর অন্য অনেকের মত তিনিও আমার সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ রদ করে দিয়েছিলেন।
সচলায়তনকে জুবায়ের খুবই ভালোবাসতো, সত্যি। শর্তহীন পক্ষপাত ছিলো, মিথ্যা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ও আপনাদের “সামু”তেও লিখতো। পাশাপাশি লিখলে খিটিমিটি লাগেই। আর খিটিমিটি লাগলেই আপনার মতো কাঁদা ছিটিয়ে সবাইকে শত্রুপক্ষ ভবে গনেশ উল্টিযে দিয়ে চলে যাবে, সেটা আপনি আশা করেন কী করে? ভারী আবদার তো। আপনি নিজেকে কী ভাবেন বলেন তো? আপনি কী ছেড়ে গেলেন আর কী ধরে রাখলেন, জুবাযের ডিডি নট গিভ এ্যা শিট ওন দ্যাট। আর জুবাযের কখনো কারো ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাতো না। এমন কী আমারো না। নিজেকে এত মূল্যবান ভাববেন না।
৪) মুহম্মদ জুবায়ের-এর সাথে আমার প্রথম দেখা কবিসভায়।
জুবায়েরকে দেখার সৌভাগ্য আপনার কখনোই হয়নি। এই মিথ্যে কথা কেন লিখেছেন?
৫) সচলায়তনে ব্লগ লিখতেন তিনি, সত্তর দশকের জীবনযাপন ও স্বপ্ন নিয়ে তাঁর চিন্তাজাগানিয়া পর্যবেক্ষণ ছিল। একটা ধারাবাহিক উপন্যাসও লিখেছিলেন। বন্ধু ও প্রবাসী লেখক লুৎফর রহমান রিটনকে সচলায়তনে নিয়ে এসেছিলেন। এই ব্লগের মডারেটরদের সাথে তাঁর দহরম মহরমও ছিল। ব্লগাতিরিক্ত যোগাযোগ ছিল। ব্লগারদের কারো কারো সাথেও। একবার তাঁর অসুস্থতা এবং ধূমপান করা নিয়ে তাঁর কন্যাটি একটি মর্মভেদী চিঠি লিখেছিলেন তাঁকে, সেই চিঠি সচলায়তনে অনেক প্রশংসাও পেয়েছিল।
আপনার সমস্যাটা কোথায়? মানুষতো চোখ দিয়ে দেখে তারপর পড়ে তাইনা? আপনি কী চোখে দ্যাখেন না ঠিক মতো? এত ভুল ভাল কেমন করে পড়েন? ও কয়টা উপন্যাস লিখেছিলো আর আমার মেয়ে কী চিঠি লিখেছিলো সেটা নিয়ে কেন মিথ্যে গল্প বলেছেন?
৬)আগে মানুষের শেষ তিনি এক স্বাপ্নিক মানুষ ছিলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের মন্ত্রে দীক্ষিত ছিলেন, সেই ধারাবাহিকতায় সমাজতন্ত্রের স্বপ্নও দেখেছিলেন। তাঁর লেখক হয়ে-উঠার স্বপ্নের সাথে সেইসব স্বপ্নকে তিনি মিলিয়ে নিতে চেষ্টা করেছিলেন। এভাবে অনেক খুইয়ে, একসময় জীবনকে গুছিয়ে নেয়ার তাড়না অনুভব করেছিলেন, বেছে নিয়েছিলেন প্রবাস জীবন। কিন্তু স্বপ্ন আর স্বপ্নকে বাস্তবে দেখতে না-পাবার বেদনা তাঁর পিছু নিয়েছিল। নিপুণ আততায়ীর মত। প্রথম প্রজন্মের প্রবাসীর মত তিনিও তাঁর স্বদেশকে বুকের ভেতর লুকিয়ে রেখেছিলেন। এর জন্য বেদনা পাবার দায় থেকে কখনো ছুটি নেন নি। ফলে, কর্মস্থলে, ভিন্ন সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা স্বজনবেষ্টনীর মাঝেও তিনি ছিলেন একা। একেলা। কিন্তু এ তো মুখস্ত গল্প। এই গল্পের উপসংহার আমরা জানি। কিন্তু আশ্চর্য হই ভেবে যে মুহম্মদ জুবায়ের সেই উপসংহারটি বেছে নেন নি। প্রৌঢ়ত্বকে জয় করে নেমে এসেছিলেন তরুণদের ব্লগে। তরুণদের চোখভরা স্বপ্নের জগতে হয়ে জুবায়ের যেন বুড়ো বাতিওলা! এ এক জয়ের নেশাই বটে! মনে পড়ে, এমনিতর নেশার টানেই সরকারি চাকুরি থেকে অবসর নেয়া কবি মুস্তাফা আনোয়ার আমাদের উদ্দাম জীবনের সাথে সমানে সমানে পাল্লা দিতেন। গ্রেস নিতেন না একদমই। মুহম্মদ জুবায়েরও তাই। জরাগ্রস্ততার অমোঘ খপ্পরে পড়বার রোমান্টিক দ্রোহ![/b]
কতোটা কুটিল মনের অধিকারী হলে একজন লেখক আর একজন প্রয়াত লেখককে এইভাবে সূক্ষ্ম কথার মারপ্যাঁচে পেছনে থেকে ছুরি মারে। ও লেখক হবার স্বপ্ন দেখতো না। জুবায়ের ছিলো জাত লেখক। লেখক হবার স্বপ্ন দেখেন, আপনি! আমি আপনার এই লেখাটি পড়েই বুঝতে পারছি কারো নিতম্বে চুম্বন না করলে আপনার পক্ষে সেটা হওয়া কখনোই সম্ভব নয়।
আর [b]আমাদের উদ্দাম জীবনের ৪০ বছরের খোকা সুমন রহমান, এই সব তরুণদের ব্লগের তরুণদের সাথে আপনার বয়সের যতটুকু পার্থক্য, আপনার সাথে বুড়ো বাতিওয়ালা জুবায়েরেরের কিন্তু ততখানিই পার্থক্য। তবে জুবায়ের নিজেকে তরুণ প্রমাণ করবার বা আপনার মতো খোকা সাজবার জন্য তরুণদের ব্লগে লিখতো কী না সেটা তরুণদের ব্লগের কাউকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন। আচ্ছা একটা কথা কী ভেবে দেখেছেন? জরাগ্রস্ততার অমোঘ খপ্পরে পড়লে আপনার কী হবে? তরুণদের ব্লগে তো আর জায়গা পাবেন না। তাহলে শেষ রোমান্টিক দ্রোহ! কোথায় করবেন? তাড়াতাড়ি ভাবুন। কেউ না জানলেও আপনি তো জানেন সময় বেশী নেই।
৭)এই নামটিকে ঘিরে আমাদের অন্তহীন ভার্চুয়াল জগতে আর কোনো গালগল্প তৈরি হবে না। মুহম্মদ জুবায়ের এর নামে আর কোনো ব্লগ বা উপন্যাস আপলোড হবে না, শোকের অক্ষর উপচে পড়ছে সচলায়তনে, অন্যান্য ব্লগেও। ভাবি, এই শোকটি কেমন?
জুবায়েরকে নিয়ে কখনোই কোথাও কোন গালগল্প তৈরি হয়নি। যদি ভার্চুয়াল জগতে ওকে নিয়ে কিছু তৈরি হয়ে থাকে তা্হলে সেটা গালগল্প নয়, সত্যি। শুধু আপানার এই লেখাটা ছাড়া। ভাবি, এই শোকটি কেমন? শোক নিয়েও যে কেউ কখনো গবেষণা করে তা জীবনে এই প্রথম জানলাম।
৮) রলা বার্থ যেমন বলেন, লেখকের অস্তিত্ব বা বিদ্যমানতা তাঁর লেখার স্বাতন্ত্র্যকে বাধাগ্রস্ত করে। সেই অর্থে, ব্লগার মুহম্মদ জুবায়ের-এর মৃত্যু যেন প্রতীকী! যেন তিনি তাঁর মরণ দিয়ে মুক্ত করে গেলেন তাঁর রচনারাশিকে
আপনি যা বোঝাতে চাইছেন রলা বার্থ তা বলেননি। রলা যা বলেছেন তা হলো আপনার লেখাতে যেমন আপনার অস্তিত্ব প্রকাশ পাচ্ছে যে লেখালেখির জগতে আপনি একজন স্বঘোষিত কেউকেটা, যেটার জন্য আপনার লেখার স্বতন্ত্র্যা বাথাগ্রস্ত হচ্ছে সেই কথাটা। আর আপনি যেটা বুঝেছেন সেটা হলে, আপনি কেন মরণ দিয়ে মুক্ত করে যাচ্ছেন না আপনার রচনারাশিকে?
৯) টেক্সটের বাইরে সত্যিকারের যিনি জুবায়ের, যার একটা ফুসফুস অকেজো ছিল অনেকদিন, যিনি অনেকের বন্ধু, ভাই বা পিতা, তার শরীরী মৃত্যুতে আমাদের ভার্চুয়াল-পেরোনো ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীজীবন কতখানি শোকতপ্ত হবে? সেই অর্থে এটি অথরের মৃত্যু, একটি টেক্সচুয়াল মরণ। এই টেক্সচুয়াল মরণের স্মরণে আমরা যে শোকগ্রস্ত হচ্ছি সেটিও টেক্সচুয়াল, এবং টেক্সটের বাইরেও যদি এর সন্তাপ আমরা অনুভব করি, তবে সেও টেক্সটেরই সামর্থে।
জুবায়ের মারা গেছে Pulmonary Fibrosis এ, রোগটা কী! এবং কী তার উপসর্গ লেখাটা লিখবার আগে এ বিযয়ে একটু পড়াশোনা করে নেওয়া উচিত ছিলো। তা্হলে ভুল তথ্য পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকতে পারতেন। আপনাকে শোকতপ্ত হতে হবে না, আপনি আপনার লেখার ওজন বুঝাতে গিয়ে যে টেক্স, টেক্সচুয়াল টেক্সটে দিয়ে কষে প্যাচ দিয়েছেন সেখান থেকে বেরুতে পারলেই হবে।
১০) আরেকটা বিষয়: মার্কেজ একটি উপন্যাসে যেমন লিখেছেন, কেবলমাত্র মৃত্যুই মাটির সঙ্গে মানুষের নাড়ির যোগ ঘটাতে সক্ষম। অর্থাৎ যে মাটিতে আমার অধিষ্ঠান সেখানে আমার পূর্বপুরুষের কবর থাকলেই সেটা অনেক দৃঢ় হয়ে ওঠে। মুহম্মদ জুবায়ের-এর মৃত্যুশোক তাঁর ব্লগিং ফোরাম সচলায়তনে সেইরকম ইতিবাচক একটি প্রভাব ফেলবে মনে হয়।
এর উত্তর আমি আর কী দেব? আশা করবো সচলায়তনের কেউ এর উত্তর দিয়ে যেন আপনার মনে প্রভাব ফেলতে পারে!!
১১) আমার কাছে এইটা সচলায়তন নয়, বরং এর মালিকপক্ষ ব্যক্তি হিমুর বিদ্বেষপ্রসূত মন্তব্য বলেই মনে হচ্ছে। ইনিআর অরূপ সচলায়তনে একটা কম্যুনিটি ফ্যাসিজম চালু করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এখানটায় এসে আপনার এই লেখার রাজনীতি (ঘৃর্ণ্য কুটনীতি) পরিষ্কার হলো আমার কাছে। আপানার রাগ, হতাশা হিমু আর অরূপের জন্য। ওদের পাণ্ডিত্যের কাছে সুবিধা করতে না পেরে, ওদের . তীক্ষ্দৃষ্টির আড়ালে সচলায়তনে অশুভ প্রভাব ছড়াতে না পেরে, মাথা নিচু করে বের হয়ে গিয়েছিলেন। সেই অপমান আপনি ভুলতে পারেননি। অপমানের জ্বালায় এতো অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন যে আমার স্বামীর লাশের উপর দাড়িয়ে হিমু/অরূপকে শায়েস্তা করবার জন্য এই লেখা লেখা নামের হুলাহুপ নৃত্য শুরু করে দিয়েছিলেন।
শুনুন সুমন রহমান, হিমু ও অরূপকে প্রতিপক্ষ্ বানিয়ে আপনি কোন সুবিধা করতে পারবেন না। এই যদি আপনার লেখার নমুনা হয় তাহলে, হিমু ওর বাঁ পায়ের কড়ে আঙুল দিয়ে যে লেখা লিখতে পারে আপনি সারা জীবন চেষ্টা করেও তার ধারে কাছে লিখতে পারবেন না।
আর অরূপ! ওর বুদ্ধিমত্তার কোটী ভাগের একভাগ যদি আপনার থাকতো, তাহলে এই লেখা নামের গর্ভস্রাবটা প্রসব করতেন না।
সচালায়তন ছিলো জুবায়েরের ভালোবাসা। জুবায়ের আমার ভালোবাসা। অতএব সচলায়তন এখন আমার ভালোবাসা নাম। একে সচলরা বলে “ একটি সচল পরিবার”। সচলায়তন হিমু/অরূপকে বাদ দিয়ে নয়। ওদেরকে কিছু বল্লে সেটা সচলায়তনের গায়ে এসেই লাগে। আমাদের পরিবারে কে কী করবে, কে কী অবস্হান নেবে সেটা সম্পূর্ণ আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনি এখানকার কেউ নন। সুতরাং আমাদের ব্যাপারে আপনার নোংড়া নাকটা না গলালেই আমরা খুশী হবো।
সব শেষে, যে কাগজে আপনার লেখা ছাপা হয় বলে নিজেকে উচু জাত মনে করেন, সেই কাগজের সম্পাদক মতিভাইকে জুবায়েরের বউ এর কথা জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।
মন্তব্য
প্রথমেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি সবার কাছে অগুনিত বানান ভুল সহ আর সব ভুলের জন্য।
গত ২৪ ঘন্টা আমি খাইনি, ঘুমাইনি। বিপি উঠেছে ১০৮/১৭৫। হসপিটালে যাচছি এখন। আমি জানি ও মানি সচল কারো ব্যক্তিগত আক্রমনের জায়গা নয়। কিন্তু একজন মৃত সহ ব্লাগারের অপমান আপনাদের ও অপমান।
--------------------------------------------------------------------------------
ভাবী, আপনি প্লিজ একটু রেস্ট নিন।
প্লিজ ভাবী... মাথা ঠাণ্ডা করেন... অনুরোধ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাবী - আমি বাইরে ছিলাম, ফোন ধরতে পারি নাই। আপনার ফোনে মেসেজ রাখসি। এই কমেন্ট চোখে পড়লেও একটা ফোন করবেন, প্লিজ!
ভাবী, সালাম নেবেন। আমি শরতশিশির বলছি। এমিল ভাইয়ের কাছ থেকে আপনার নাম্বার নিয়ে আমি কিছুক্ষণ আগে ফোন দিয়েছিলাম, ভয়েসমেইল রেখে দিয়েছি। আমি আবার কাল রাতে ফোন করবো। আশা করি আপনি রেস্ট নিচ্ছেন, এবং এখন একটু লেখে হাল্কা হয়ে ঘুমোতে পারবেন।
আমার আফসোস যে, যেখানে ডালাসে অনেকবার গেছি, অস্টিনে আপনার মেয়ের ইউনিতে পড়িয়েছি, জুবায়ের ভাই আমার ডিপার্টমেন্টের, সেখানে আমি জানতামও না ওঁনাকে, আর কোনোদিন দেখা হওয়ারও সুযোগ হলো না। কিন্তু যেমন সচলের মাঝে তিনি বেঁচে আছেন, তেমনি ঢাকায় তাঁর চেনা গণ্ডি আর ভালবাসার মানুষদের মাঝে তিনি বেঁচে থাকবেন চিরদিন। আপনি খালি নিজেকে ধরে রাখুন আপনার নিজের আর ডোরা-অর্ণবদের জন্যে কারণ জুবায়ের ভাইয়ের প্রতীক এখন আপনারাই।
কথা হবে তাইলে। অবশ্য, অবশ্যই ভাল থাকবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
কী আর বলি। বললে অনেক কিছু বলা লাগে। থাক, আশা করি গুরু ভাইয়ের চোখ কান এতদিনে খুলেছে। না খুললে সেটা তার জন্যই দু:খজনক।
কিছু মানুষ এত বিষাক্ত হয় ধারণাতেও ছিলনা...ধিক্কার জানাতেও ঘৃণা হচ্ছে
- ভাবী, আমি সবকিছু হাসিমুখে সহ্য করতে পারি, কিন্তু এই সুমন রহমানকে একেবারেই সহ্য করতে পারি না। কেনো পারি না, সেটা আপনি কারো কারো বন্ধ চোখে আঙুলের খোঁচা দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।
গত দুদিনের ঘটনায় অনেকেই বেশ নাখোশ হয়ে আছেন আমার উপর, আমাদের উপর। কারণ, সুমন রহমানকে নিজেরা তো পীর মানিই না, উল্টে যারা মানতে চান, তাদেরও কটু কথা ফেলি! বিরাট দোষ আমাদের। আরেকটু হলে গর্দানই যাচ্ছিলো চলে, যাইহোক। এখানে একটা জিনিষ খোলাসা করে রাখি ভবিষ্যতের জন্য।
আমি, ধুসর গোধূলি, সুমন রহমান এবং যেকোনো অজুহাতে তার পক্ষ অবলম্বন করা কাউকে বলা যেকোনো ধরণের কথার জন্য বিন্দুমাত্র লজ্জিত নই। এবং আমি এটা করবোই। এই ব্যাপার ক্লোজড!
আর হ্যাঁ, আমরা এখনও মরে যাইনি ভাবী। যতোদিন আমরা আছি সচলায়তনে, সুমন রহমান কখনোই অন্তত এখানে ওয়েলকাম হবে না। এটা আমার প্রমিজ থাকলো আপনার প্রতি। আপনি নিশ্চিন্ত থাকেন, একদম নিশ্চিন্ত।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাবীকে ফোন করেছি এইমাত্র, উনি হাসপাতালে যাচ্ছেন এক বন্ধুর সাথে।
উনার শরীরের অবস্থা ভালো না। আমি রাতে আবার খোঁজ নেব।
আমি কথাও বলেছি উনার সাথে, উনার অবিলম্বে বিশ্রাম দরকার।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাবীর কাছাকাছি যারা আছেন, তাদের কাছে অনুরোধ খোঁজ রাখেন... বোঝান... মাথা ঠাণ্ডা করান... আর এখানে পারলে একটু জানায়ে যান।
ধুর... মেজাজটা গরম হয়া যাইতেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এখন কি অবস্থা?
আপনি মাথা ঠান্ডা করুন, অন্তত অনর্ব আর ডোরার কথা চিন্তা করে হলেও।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
আপু
সবাই আপনার পাশেই আছে, সবসময় থাকবে!
দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এই প্রার্থনা রইলো...
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি জুবায়ের ভাইয়ের খুব বেশি লেখা পড়িনি...
সংসারে এক সন্ন্যাসী এবং সচল অমিতের পোস্ট পড়ে বোঝার চেষ্টা করেছি, কি অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন তিনি!!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটা সব মাধ্যমে ছড়িয়ে দিন, আমি দিয়েছি এবং দিয়ে যেতে থাকব যতদিন না সুমন রহমানের ছাল-চামড়া তুলে মরিচ দিতে পারব
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
প্রতিটি অক্ষর যেন হৃদয় দিয়ে অনুভব করলাম। সুমন সাহেবের কোন লেখা আমি পড়িনি, পড়ার কোন উৎসাহও পাইনি। আজ আপনার লেখার সুবাদে কিছু লাইন পড়ার দুর্ভাগ্য হলো, আর সেই সাথে মুখ থুথুতে ভরে উঠল।
ভাবী, আপনি জানেন, সচলের প্রতিটি মানুষ জুবায়ের ভাই ও তার পরিবারকে কতটা ভালোবাসে। এর সত্যায়িত সার্টিফিকেট কারো কাছ থেকে নিতে হবে না।
তবে আপনার অসুস্থতার কথা শুনে খুবই অস্থির লাগছে। সুস্থ হোন খুব তাড়াতাড়ি, সেই কামনা থাকলো।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মেহবুবাদি আপনি রেস্ট নিন, সুস্থ থাকুন প্লীজ। আমি জুবায়েরদার লেখার খুব ভক্ত, যদি জানতাম এই অসভ্য সুমন রহমান কোথায় থাকে তাহলে দুই থাপ্পড় মেরে আসতাম।
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
সুমন রহমান, আপনি কোনো প্রত্যুত্তর লিখে বইসেন না। আপনার বিষদাঁত আপনি চোখা করছেন তো কোথাও বসে বসে? আমাদের গায়েই বসান। ভাবীকে কোনো উত্তর দিতে যাবেন না, এই প্রসঙ্গে একটা টুঁ শব্দও আর কোথাও করবেন না। আপনার কলম গড়িয়ে মুহম্মদ জুবায়ের নামটাই যেন আর বের না হয়। আপনার নোংরা বিষাক্ত লেখার শক্তি আছে মানুষকে অসুস্থ করে দেবার। আপনি মিমি ভাবীকে নিস্তার দেন।
ঠিকাছে?
মনটাই খারাপ হয়ে গেল। আশা করি আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন শীঘ্রই।
অনুগ্রহপূর্বক কেউ ওই অসুস্থ লেখাটার লিংক এখানে দিয়ে দুষিত করবেন না।
লেখাটির খুবই প্রয়োজন ছিল। সুমন রহমানের চরিত্র প্রকাশের জন্য দরকার ছিল।
তারপরেও ভাবী আপনি শান্ত হোন। নিজের যত্ন নিন। অন্তত বাচ্চাদের কথা চিন্তা করুন। এই পাপিষ্ঠের জন্য আপনার বাচ্চাদের কোন বিপদ ডেকে আনবেন না প্লিজ।
ভাবী,
এই সুমন রহমান ব্যক্তিটি কে আমার তেমন ভাল করে চেনা ছিল না।
গতকাল আমার একটি পোষ্টে সচলায়তনের সাম্প্রতিক কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রচুর বাক-বিতন্ডার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।
আমার অনেক কিছুই অজানা ছিল। তর্ক-বিতর্কের মধ্যে দিয়ে অনেক পুরোনো কথা উঠে এসেছে। হাসান মোরশেদ ভাই সেখানে তাঁর একটি মন্তব্যে পেছনের অনেক কিছু তুলে এনেছেন। আজকে সুমন'দা-ও দেখেছি এই নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছেন। মূলত এই ক'টি লেখার মধ্যে দিয়েই সুমন রহমানের সাথে আমার 'প্রকৃত' পরিচয় হয়।
তার সম্বন্ধে আমি যতটুকু জেনেছি তাতে মনে হয়েছে এমন একটা লোক আপনার এতটা মনোযোগ দাবী করতে পারে না।আজকে আপনার এই পোষ্ট পড়ে লোকটা সম্পর্কে আর যাওবা জানার বাকী ছিল সেটাও শেষ হয়েছে।
এমন একজন লোকের কথা ভেবে আপনি কেন নিজের শরীর খারাপ করবেন? এই লোক এতসবের যোগ্য নয়!
আপনি দয়া করে এই বিষয় নিয়ে আর আপসেট হবেন না। সচলায়তন জুবায়ের ভাইয়ের প্রাণের জায়গা ছিল, আছে, থাকবে। আমরা সবাই ঘিরে আছি আপনাদের।
আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, ভাবী!
ভাবি, না পারার জন্যই সুমন সাহেব মৃত্যুর পরে এরকম উচ্চারণ করেন।
জনাব সুমন ভিন্ন মতাদর্শীর মানুষ প্রচারমুখী (যেমন না দেখেই লিখে ফেলেন একটি সমকালীন আলোচিত ছবির রিভিউ)........তাই তার বিরুদ্ধ উচ্চারণকারীকে পছন্দ হয়নি। যেমন মুক্তিযোদ্ধা এবং সমমনাদের পছন্দ করেন না গোআযম গোষ্ঠি। (যেহেতু পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করেন- তাই বলে রাখি প্রকৃত উদাহরণ টানতে গোআযমের কথা বলা হলো। নয় তো তিনি আবার লিখে দিবেন যারা সচলায়তনে লিখে তারাই মুক্তিযুদ্ধ আর যুদ্ধাপরাধী বিচার প্রার্থী, সেই রকম ভ্রান্ত মত প্রকাশ করে দ্বি-বিভক্তি চাই না)
পথ চলতে কিছু কিট মারিয়ে যেতে হয় আর কিছু কিট এড়িয়ে। আবার কিছু কিটকে জীবিত কবর দিও আমাদের বিষ জ্বালাকে সরাতে পারিনা মন থেকে সেই রকম একজনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠল চোখের সামনে। ভাগ্য ভালো আমি তার কোন লেখা আগে পড়ার সুযোগ হয়নি। হলেও মনে দাগ কাটেনি সেই নাম নিয়ে প্রতিভাষ হওয়ার।
আপনার রেখে যাওয়া প্রথম মন্তব্যের শেষ কয়েকটি কথা আবার অন্য ভাবে ভাবিত করে। তাই অনেকের মত জানতে চাই আপনি এখন কেমন আছেন? ভালো থাকুন।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
ভাবী,
যা ভয় পাচ্ছিলাম তা-ই হলো। সুমন রহমানের এই লেখাটা বহুকাল আগেই চোখে পড়েছিলো। পুরনো রাগ আবার জেগে উঠলো আপনার লেখা পড়ে। লেখাটা কোনোদিন আপনার চোখে পড়লে কষ্ট পাবেন, এই ভয়ে ছিলাম আপনি সচলে লেখার সময় থেকেই। গতকালও সুমন রহমানের "শোকের রাজনীতি"র কথাটা আসার সময় এই ভয়ই পাচ্ছিলাম। এরা জীবদ্দশায় মুহম্মদ জুবায়েরের নখের কাছেও যেতে না পেরে মরণের পর চুপিসারে চিপ-শট নিয়েছে। ভালোবাসার বন্ধনকে রাজনীতি ও ক্ষমতার খুঁটি ভেবে কটূক্তি করেছে।
এইসব ফাউল লোকজনের কারণে পেরেশান হয়েন না আপনি। জুবায়ের ভাই আমাদের অনেক শ্রদ্ধার "হেডমাস্টার", অনেক ভালোবাসার "বড় ভাই"। আমাদের মধ্যে থেকেই কারও উচিত ছিলো এই লেখাটা লেখা। আরও অনেকের মতো আমিও সেই পাপের পাপী। ভুলটা দ্বিতীয় বার হবে না। শান্ত থাকুন, ডোরা ও অর্ণবকে দেখে রাখুন।
ঘটে বুদ্ধি এবং পিঠে ছাল থেকে থাকলে সুমন রহমান এই লেখার প্রতিক্রিয়া দেখানোর দুঃসাহস করবেন না, আশা করি।
ভাবী আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটার জন্য। এই পোস্টের উপর দাঁড়িয়ে যারা হিমু আর ধুসর গোধুলীর ক্ষমা চেয়েছিল, কিংবা সুমন রহমানের সাফাই গেয়েছিল তাদের প্রশ্ন করি - আপনাদের চোখ খুলবে কবে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুর্শেদ ভাই,
আপনার রিভিউ পোস্টে আমার করা কমেন্টটার জন্য এখন রীতিমত আফসোস হচ্ছে এবং ওই পোস্টটাকে এখন মোটেই অশ্লীল মনে হচ্ছে না। আমি আমার অজ্ঞতাপ্রসূত ওই মন্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি। পুরনো এসব ঘটনা না জানার কারণেই আমার তখন ওমনটা মনে হয়েছিল-- আমি আন্তরিকভাবে দু:খিত।
আর একটা কথা একটু পরিষ্কার হওয়ার জন্য বলি-- আমি কিন্তু সুমন রহমানের সাফাই গাই নি ---- সুমন রহমান কে বা কী এ সম্পর্কেও তেমন কোন স্পষ্ট ধারণা ছিল না--- তাই তখন যা মনে হয়েছিল সেটা জানানো দরকার মনে হওয়ায় ওই মন্তব্যটা করেছিলাম এবং অন্যদের মন্তব্যে অনেক কিছু জানছিলাম বলে আপনার সা্থে আর তর্কে অংশ নেই নাই। ভালো থাকবেন।
আমি এটুকু পার্ট ইংরেজীতে লেখবো, আর মডুরা দয়া করে মুছবেন নাঃ
Take this, Sumon Rahman! I show my ''beautiful behind'' to you!
You'll take ages to become what Zubaer bhai was as a writer and as a human being.
So, leave this space and us, alone! It is best that you live where you belong i.e, in the midst of superficial artifice, bigotry and ''blasphemous rumours''!
Pity, for you and your blind followers. May heaven grant you some senses at one point in life. Amen.
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আরেকটা অংশ তুলে ধরি।
ভাবখানা এমন যে জুবায়ের ভাই ছুডো খাডো লেখক। সুমন রহমানের মত বিরাট লেখক সচলায়তনে লিখতে আসছেন! জুবায়ের ভাইয়ের জীবনে এতো আনন্দের আর সৌভাগ্যের কিছু ঘটে নাই। বাচ্চাদের মতো হাত তালি দিয়ে নেচেছেন বলে সুমন আন্দাজ করেন। সচলায়তনে সুমনের জন্য এত জোর দাবী করেন যে, সচলায়তনের পাতা ফুডা হইয়া যাইত আরকটু হইলে।
এই রকম অহংকার আর নীচুতা দেখলেও বিবমিষা জাগে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমি অতীত মডারেটর জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কথা বলছি।
সুমন রহমান সচলে এসেছিলো জামাল ভাস্করের আমন্ত্রণে। সচলে তখন ইনভাইটি প্রথা ছিলো। এখন যেমন অতিথি হয়ে অনেক কিছু করতে হয়, সে পদ্ধতি ছিলো না। সুমন রহমানকে প্রায় সাথে সাথেই সচলের সদস্যপদ দেয়া হয়েছিলো। এ জন্যে কেউ কোনো আবেদন নিবেদন করেননি।
সুমন রহমানকে সচলায়তন থেকে বহিষ্কার করা হয় তার ব্ল্যাকমেইলিং এর প্রচেষ্টার জন্যে। তিনি একটি মেইল করেছিলেন মডুদের কাছে, সেটার বক্তব্য ছিলো, হয় তাকে মডারেটর করা হোক, না হলে বের হয়ে যাবেন। মডারেটররা তাকে এরপর ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিলো।
জুবায়ের ভাই সুমন রহমান প্রসঙ্গে একবারই মুখ খুলেছিলেন, এই ঘটনার পর। তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন, কারণ শালিস ডেকে সুমন রহমান সচলের কয়েকজনকে মেইলবাণে জর্জরিত করছিলো। জুবায়ের ভাই আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনারা কেন এর মেইলের জবাব দিচ্ছেন না? আপনারা চুপ করে থাকলেই কী লাভ, সে কি চুপ করে থাকবে?
এই মুষলধারা মেইল আমাদের নজরে আসে, আমরা একটি প্রত্যুত্তর দিয়ে জানাই, সচল মডারেশন কোনো শালিসির পরোয়া করে না। সুমন রহমান তারপর ক্ষান্ত হয়।
জুবায়ের ভাই সুমন রহমান প্রসঙ্গ আমাদের কাছে দ্বিতীয়বার উত্থাপন করেননি।
তবে সচলায়তনের কিছু চর্চা সম্পর্কে জুবায়ের ভাইয়ের আপত্তি ছিলো, তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন, আমরা সেগুলি কাজে লাগিয়েছিলাম। তবে তা সুমন রহমান প্রসঙ্গে নয়।
সুমন রহমান একজন অসৎ লেখক। যারা তার নান্দনিক দার্শনিক হাবিজাবি প্রসঙ্গ তুলে তাকে আড়াল করতে চায়, তারা তার চামচা। অন্যত্র সুমন রহমানের চামচামি করলেই আমরা সুখী হবো, সচলে নয়।
শুধু তাইনা আমি সরল মনে সুমন রহমানের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাট করতাম। ইমেইলে যেটা তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন সেটা আমাকে চ্যাটে সরাসরি বলেছেন। যে তাকে যেন সচলায়তনের মডারেটর করা হয়। আমি মানে মানে সরে যাই তার কাছ থেকে। আফসোস সেই কম্পিউটারটা নেই আর চ্যাটলগ গুলো কাজে লাগতে পারে ভেবে সংরক্ষণ করা হয়নি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই ভুলটা আমিও করেছিলাম প্রথম দিকে। মিঠে কথায় ভুলে আমিও ফেসবুক মেসেঞ্জারে সরল মনেই কথাবার্তা বলতাম। হিমু ভাইয়ের সাবধানবাণি শুনেই টনক নড়ে, এবং খেয়াল করি যে তিনি কৌশলে ভেতরের খবর বের করতেই আগ্রহী বেশি। যেমন, বলাইদা একবার ওনার লুঙ্গি ধরে টান দিলে তিনি বেশ ইনিয়ে-বিনিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁর প্রকৃত পরিচয় কী, নিবাস কোথায়, ইত্যাদি।
"সুশীল" এবং "আঁতেল" শব্দগুলো গালিতে পরিণত হয় এরকম কীটের কারণেই। আর সব কীটের চেয়ে তিনি বেশি ক্ষতিকর কারণ তার হয়ে অনেকেই সহিংস কাজটা করে দেয় (যেমন তার এক অনুরাগী পাঠক আমাকে আক্রমণ করেছিলেন সচল ব্যানের পর), এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় তার আনাগোনা প্রচুর।
সুমন রহমানের জন্য ঘৃনা ছাড়া আর কিছু বোধ করছি না ।
ভাবী আপনি এই ব্যাপার নিয়ে প্লিজ আর মাথা গরম করেন না। আপনার ব্লাড প্রেশারের লেভেল দেখে আমারই মাথা ঘুরতেছে। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করি।
--------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
শান্ত হোন আর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন
ভাবী বিশ্রাম নিচ্ছেন, ডাক্তার ঘুমের ওষুধ দিয়েছে।
আবারও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, ভাবী। এই লেখাটা আপনার লিখতে হওয়া উচিত ছিলো না। আমরা জুবায়ের ভাইয়ের কথা বলি, তাঁর নাম স্মরণ করি, কিন্তু আমরা কেউ এই লেখাটা লিখবার মতো মেরুদণ্ড দেখাতে পারিনি।
এই আলস্য আর কাপুরুষতার দায় আমি শতভাগ বহন করতে রাজি আছি। তখন জুবায়ের ভাই মাত্র চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে, আমার সাহস হয়নি তাঁকে নিয়ে সুমন রহমানের তৈরি করা ময়লা ঘাঁটতে। আমি ব্যথিত হয়ে দেখেছি, সচল মুজিব মেহদীও কী গদোগদো সহমত জানিয়ে এসছেন সুমন রহমানের সাথে, কিছু বলতে পারিনি।
তখন যদি মুখ খুলতাম, আজ সচলে সুমন রহমানের নাম উচ্চারিত হলে এক ধরনের চামচা নান্দনিক আর দার্শনিক আলাপের ধোঁয়ায় তার আকাম ঢাকতে পারতো না, আরেক ধরনের চামচা কলারে ধরে মাফ চাইতে বলার স্পর্ধাও দেখাতো না।
আমরা বেশি নরম হয়ে গেছি।
ভাবী কেঁদে কেঁদে এই একটাই প্রশ্ন করেছিলেন শুধু। "কারও সাতে-পাঁচে নেই এমন একটা মানুষকে নিয়ে এতগুলো বাজে কথা বললো। আমার এতগুলা ভাই, এতগুলা দেবর, তোমরা কেউ কিছু বললে না?"
এই হীনতা, এই লজ্জা, এই অক্ষমতার জন্য ক্ষমা চাইবার ভাষা নেই আমার। নিজের মতো শোক করেছি, কিন্তু এই ঘৃণ্য আক্রমণের জবাব দেইনি। কোনো ছুতায় এই অপরাধ মার্জনীয় না। নিজেকে খুব বড় ভণ্ড মনে হচ্ছে। দিন ধরে স্মরণ করেই কী লাভ, আর নীড়পাতায় জুবায়ের ভাইয়ের নাম রেখেই কী লাভ? এই মানুষটার অভিভাবকত্বে এতদূর এসেছি, কিন্তু মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে দুর্নামের জবাব দেইনি।
আমিও, একমত। সুমন রহমান নামক নষ্ট পরিতোষকটির লেখা আমরা অনেকেই তখন পড়েছিলাম। মনে পড়ছে - সচলেই কয়েকটি পোস্টের কমেন্টে রেফারেন্স এসেছিল, এমন ইংগিত রহমানের পোস্টের নিচে কমেন্টেও দেখা যাচ্ছে। তবে স্বীকার করি - সে শোকার্ত সময়ে শৃগালের ডাক নিয়ে আমরা মাথা ঘামাইনি। এর অন্যতম একটি কারণ হতে পারে - সেপ্টে-২০০৮ এর ঠিক ২ মাস আগে জুলাই-২০০৮ এ নানা ঘটনা প্রবাহে এই ধুর্ত লোকটির চেহারা আমরা চিনে গিয়েছিলাম।
সুমন রহমান যে কত্তো ফালতু সেটা আরো আগেই চেনা হয়ে গেছে।
থু দেই তার মুখে।
*************************************************************************
ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে বর্তমানকে উপেক্ষা করবো কেনো?
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
সচলায়তনে এক বছরের কিছু বেশি সময় ধরে নিয়মিত আছি সুতরাং আমাদের যখন সচলে আগমন জুবায়ের ভাই তখন ইতিহাস। ইতিহাসকে দেখার ইচ্ছে থেকে ভাইয়ার লেখাগুলি পড়া সেই সাথে পিডিএফ এ তাঁর উপন্যাস পৌরুষ। তাঁর 'হুমায়ুন আজাদ যেখানে জিতে গেছেন' , 'মেয়েটা চলে যাবে' কিংবা আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে নিয়ে 'এই মনোরম মনোটোনাস শহরে…' লেখাগুলি পড়লে ইতিহাসের জুবায়ের ভাইকে সামনে দেখার খুব ইচ্ছে জাগে। সচলায়তনের সেই সময়ের লেখাগুলিতে জুবায়ের ভাইয়ের সচল পদচারণা দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় অফিস, বাসা সামলে কিভাবে একজন মানুষ ব্লগে এতটা সময় দিতে পারে। সেই মানুষটিকে, যাকে না দেখে কিংবা না জেনে শুধু লেখা পড়ে ভাল লেগে যেতে পারে, তাঁকে নিয়ে যে এই ধরনের একটি লেখা লিখতে পারে সেই 'সুমন রহমানকে' মানুষ বলতে আমার ঘৃনা হয়।
সুমন রহমানের ক্রোধ কিন্তু সেইখানে যেখানে তাকে সচল থেকে চলে যেতে হয় আর মৃত্যুর পরও আজ পর্যন্ত জুবায়ের ভাইকে স্মরণ করে আলোচনা হয়। সচলায়তনের বা দিকের কোনাতে যতবার চোখ পড়ে ততবার মনে হয় জুবায়ের ভাই আছেন আমাদের সাথে। এই অনুভূতি আমাদের প্রেরণা দেয় আর সুমন রহমানকে দেয় পীড়া। সুমন রহমানের এই লেখাটি সেই পীড়ারই বহিঃপ্রকাশ। এই পীড়া আজীবন থাকুক যেমন আজীবন জুবায়ের ভাই থাকবেন সচলের সাথে।
শ্রদ্ধেয় মেহবুবা ভাবী, আপনি সুস্থ থাকুন সেই সাথে ভাল থাকুক অর্নব ও ডোরা সেই কামনা করি।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সুমন রহমানকে ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই দেওয়ার নেই। এদের মত নোংরা নর্দমার কীটের জন্য নিজেকে কষ্ট দেবেন না ভাবী, অনুরোধ রইলো।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
সুমন রহমানকে চিনতাম না আমি। ব্যক্তি হিসেবেও নয়, লেখক হিসেবেও নয়।
গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সূত্রে যা জেনেছি তাতে মনে হয়েছে তিনি আত্মপ্রেমে মগ্ন, অপরিণামদর্শী ও স্বার্থান্বেষী একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি যিনি লেখক হিসেবে সুশীল সমাজের কৃপাদৃষ্টি পাবার জন্য যে কোন পথ অবলম্বন করতে প্রস্তুত।
আজ আমি জানলাম তিনি একজন ভয়ংকর অসৎ মানুষ যিনি তার ভাষিক মাধুর্যকে সুকৌশলে ব্যবহার করেন ব্যক্তিগত বিষোদ্গারের কাজে। "সুমন রহমান" নামটি আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলতে এর চেয়ে বড় কোন কারণের প্রয়োজন নেই আমার। যত প্রতিভাই ধারণ করুন তিনি, আমার কিছু এসে যায় না। আমার কাছে তিনি নেহাতই একজন বাজে লোক।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এই মানুষরূপী শৃগালকে নিয়ে কিছু বলার নেই। আপনি এই বিষয়ে আর কোন টেনশন নিয়েন না ভাবী। জুবায়ের ভাইয়ের মতন মানুষের স্মৃতি, তার সম্মান আর মর্যাদা কখনোই এইসব সুমন রহমানদের উপর নির্ভর করেনি, করতে পারে না।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
একটা বাজে মানসিকতার লোক যে কতভাবে মানুষকে বিরক্ত করতে পারে সুমন রহমান তারই প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে।
সুমন রহমানকে চেনা বাকি ছিল... আজকে থেকে চেনা হয়ে গেল!
অসুস্থ্য মানুষ, চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
যারা মৃত মানুষকে নিয়ে কুৎসা রটায়, গালগল্প করে, হেয় করার জন্য কীবোর্ডে হাত রাখে তাকে আর যাই বলা হউক মানুষ বলা যায় না। আমার যুবায়ের ভাইয়ের লেখা পড়ার সুভাগ্য হয়নি, তবে তার মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে লেখা সচলদের লেখা পড়ে তাকে জেনেছি, এবং বুঝার চেষ্টা করেছি।
ভাবী অমানুষের লেখা নিয়ে মন খারাপ করে অসুস্থ হওয়ার মানে হয় না। প্লিজ শান্ত হয়ে মন থেকে অমানুষটার কথা গুলো ঝেড়ে ফেলে দিন। ভালো মানুষের দল আপনার সাথে আছে এবং থাকবে।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।
http://www.sachalayatan.com/doll/18594
উপরের লেখাটা লিখেছিলাম জুবায়ের ভাইয়ের চুপকথা উপন্যাসের পাঠ প্রতিক্রিয়া হিসাবে।
ভাবী কুকুর হাটুর নীচেই কামড়ায়। আপনি মন খারাপ করবেন না। আমরা আছি। যতোদিন বেঁচে আছি থাকবো আপনাদের পাশে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
শ্রদ্ধেয় মেহবুবা ভাবী, কোনো মানুষ মারা গেলেও যে তাকে নিয়ে এতটা নীচতা করা যায়, সেটি কল্পনাতেও ছিলোনা। শান্ত হোন, সাহস রাখুন। আপনার পাশে আছি। এই মানুষকে এত গুরুত্ব দেবার মতো কিছু দেখিনা। চুলোয় যাক সে। আপনি, আপনার নিজের জীবন , নিজের স্বাস্থ্্য নিজের সন্তান নিয়ে ভাবুন। শান্ত হোন, স্থিত হোন, প্লিজ।
ভাবি বিশ্রাম নেন। আমার খুব খারাপ লাগছে সুমন রহমানের এরকম একটা জঘন্য লেখা আপনাকে পড়তে হয়েছে বলে।
আশাকরি সচলের বাইরে বা আণ্ডারগ্রাউন্ডে কারো কারো মধ্যে যে সুমন রহমান মিথ ক্রিয়াশীল ছিল তার অবসান ঘটেছে।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
গুগল করে পেলাম মূল লেখাটা। শুধুই ঘৃণা!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ঘেন্না জানাই আবার।
এইটা দেখেছি তখনই। কিছুই বলিনি, সেই অক্ষমতার জন্যে নিজেরেও ঘেন্না জানাই।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমি কখনও কোন ব্লগের সদস্য ছিলামনা, অরূপ যখন আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে লিখে তখনও দ্বিধায় ছিলাম দেখে সচলের লিংক পাঠিয়ে দেয়। সচলে প্রথম যে লেখাটা আমি পড়ি তা ছিলো জুবায়েরের ভাইয়ের শেষ দিকের লেখা, সেটা পড়তে পড়তেই অরূপকে আমার সম্মতির কথা জানিয়েছিলাম।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি চরমপন্থি মানসিকতার, যাকে পছন্দ করি তার সবটুকু নিয়েই করি আর যাকে অপছন্দ করি তার সবদিকই অপছন্দ করি।
অনেকের মতন সুমন রহমানও সেই অপছন্দের তালিকায়।
হীনমন্যতা বা নীচুতার আশ্রয় নিয়ে একজন সুমন রহমানের লেখায় জুবায়েরের ভাইয়ের বিশালত্বের কোন ক্ষতি হয়না, তাতে কেবল নিজের দৈনতাই বাড়ে।
জুবায়ের ভাই হারিয়ে যাননি, উনি আছেন। থাকবেন। ওরাই একদিন হারিয়ে যাবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
মানুষ হবার শিক্ষা যার নাই, সে আবার লেখক হতে চায়?
আর 'প্রতিভা', 'প্রতিভা' বলে যারা বগল বাজান- আসেন দেখে যান, আবার গান গেয়ে যান- আহা, ছেলেটা প্রতিভাবান!'
ভাবী,
কি বলবো। দুঃখিত এবং লজ্জিত এই বাজে বিষয়টি আপনাকে দেখতে হলো বলে। ক্ষমাপ্রার্থী।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধিক্কার
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
একজন তেলাপোকা পাঠক হিসেবে যা পাই সব খাই। জীবনের একচল্লিশ বছরের মধ্যে তিরিশ বছর ধরেই খেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমার তালিকায় সুমন রহমান নামে সুখ্যাত বা অখ্যাত খাদ্য পড়েনি। আমার তালিকায় না পড়লে তুমি বাংলা সাহিত্যের কোন .....ছাল সেটা গুনতেও রাজী না। তবু এই লেখাটা পড়ে সেই সুমন রহমান......ছালটাকে ভার্চুয়াল গদাম দিলাম। আমার মুখ সাধারনত খারাপ হয় না। কিন্তু আজকে মুখ দিয়ে অসম্ভব খারাপ গালি বেরুচ্ছে যেটা লেখা সম্ভব নয় এখানে.......।
ব্যক্তিগত সম্পর্ক যত খারাপই হোক একজন মৃত মানুষকে অসম্মান কোন কুত্তাও করে না। সুমন রহমান সেই নজীরই রেখে গেল।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পোস্ট নিয়ে কী বলব!
কয়েকজন সচলের মন্তব্য আশা করে বসে আছি।
ঘেন্না জানিয়ে গেলাম সুমন রহমানের বাক্য অপচয়ের
জানলাম, ঘৃণা রেখে গেলাম...
_________________________________________
সেরিওজা
শুধুই ঘেন্না!
ভাবী শান্ত হন। আমরা এখনও কেউ মরিনাই। জুবায়ের ভাইয়ের সাথে পরিচিত হতে পারিনাই বলে গত পরশু রাতেও সন্যাসীদার কাছে আক্ষেপ করছিলাম... এত মানুষের অন্তরের এত কাছাকাছি যিনি যেতে পারেন তাকে নিয়ে এক সামান্য আত্মগরবী নর্দমার কীট কী না কী বললো তা নিয়ে দয়া করে আর কষ্ট পাবেন না ভাবী, প্লিজ।
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এই কুৎসিত লেখাটা আপনাকে পড়তে হয়েছে, তারপরের চরম প্রতিক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে, এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে...।
আপনার অনুভূতিটুকু স্বাভাবিক, তবু বলি- একজন সুমন রহমানের মত লেখকের এই ধরনের একটা নোংরা লেখায় একজন মুহম্মদ জুবায়ের এবং তার ব্যক্তি বা লেখক জীবনের শুভ্রতায় এক বিন্দু কালিও লাগতে পারে নি, পারে না। কালি যা লাগার তার সবটুকু বুমেরাং হয়ে আছড়ে পড়েছে লেখকের ওপর।
আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন ভাবী। ভালো থাকুন, অনেক অনেক। জুবায়ের ভাই তো বেঁচে আছেন আমাদের মাঝে, আমাদের সচলায়তনে।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
সুমন রহমান কে, কী এবং কেমন তা জানি না, জানতে বিন্দু মাত্র আগ্রহ নেই।
যেটুকু জানলাম, তাতে এটাই কামনা, সুমন রহমান জাতীয় ধুরন্ধর লোকের পেছনে এমন অযথা শ্রম আর বাক্য ব্যয় যেন আর দেখতে না হয়। সেই সাথে, এরকম হীনমন্য কীটের জুজুর ভয় যেন সচলায়তনের সম্ভাবনাময়তাকে ছাপিয়ে না ওঠে, এই কামনা রইল।
ইদানীং ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় লেখালেখি ও ব্লগে আসা খুব কম হয় আমার। কিন্তু এই লেখাটি দেখে লগিন করতে বাধ্য হলাম, যাতে আমি আমার সহমর্মিতা জানাতে পারি।
সুমন রহমানের কোনো লেখা আমি পড়িনি, বা পড়ে থাকলেও মনে নেই। তবে তার বিকৃতি সম্পর্কে যা জানলাম, তারপর তার কোনো লেখা পড়ার আগ্রহও আমার আর থাকবে না।
তার এই কর্মের জন্য কঠোরভাবে নিন্দা জানাই তাকে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ঘৃণা জানাই।
আপনি সুস্থ হয়ে উঠুক এই প্রার্থনা করি ভাবী।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
কাক কাকের মাংস খায় না। কিন্তু অনেক লেখক কিংবা কবি এমন ধরনের হীন কাজটি অনায়াসে করতে পারে। কীসে নিজের নামটিকে আলোকিত করবে সে চেষ্টায় অন্যের নাম উচ্চারণেও কারো কারো দ্বিধা থাকে। কেউ কেউ হামলে পড়তে দেখলেই বুঝতে হবে সে নামটির সঙ্গে নিজের নামটি কোনোভাবে জড়িয়ে গেলেই উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়। লোকে দিক না গালি চৌদ্দগোষ্ঠিকে নিয়ে, তবুও নামটা তো উচ্চারিত হলো। সেই আত্মপ্রসাদ লাভের সুযোগ করে দিতেই ফের উচ্চারিত হয় তার নাম।
যে উদ্দেশ্যে নিষিক্ত সেই শব্দাবলী - তার উদ্দেশ্য বোধকরি আজ সার্থক।
মুহম্মদ জুবায়ের এখন তাঁর ব্যক্তিগত আর জাগতিক অনুভূতির ঊর্ধ্বে। তিনি বেঁচে থাকুন আমাদের অনুভবে, মননে আর ভালোবাসায়। তাঁর যাবতীয় সৃষ্টিকর্মে।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আপনার সুস্থ থাকাটাই এখন বেশি প্রয়োজন। সুস্থ হয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি।
শান্ত হোন ভাবী। অনুগ্রহ করে শরীরের খেয়াল রাখুন।
বুঝি কি পরিমাণ কষ্টের সাথে এই লেখাটি লিখতে হয়েছে। মৃতকেও যে সম্মান করে না সে নর্দমার কীটের জন্যে রইল ঘৃণা।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
আমার ধারণা ছিল মানুষের নীচতা, খেলোমি দেখে আমি আর অবাক হই না, ঘেন্নাও ততটা পাই না৷ সয়ে গেছে মোটামুটি৷ কিন্তু না: আমার ধারণা ভুল ছিল দেখছি৷ এইটা পড়ে 'সুমন রহমান' নামক জীবটির প্রতি যেরকম থিকথিকে, ভ্যাড়ভ্যাড়ে ঘেন্না হল ----- সেটা খুব কম লোকের প্রতিই হয় আমার৷ বলতেই হবে 'রেয়ারেস্ট অব দ্য রেয়ার ঘৃণ্য প্রাণী'৷
আপনার আরোগ্য কামনা করি মেহবুবা৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
লেখাটা সকালে একবার পড়ে মন্তব্য করব কি করব না এ নিয়ে ভাবতে ভাবতেই না করেই চলে গিয়েছিলাম। কারণ সুমন রহমানের কীর্তিকলাপ পড়ে রাগের চেয়ে বিরক্তির পরিমাণটা ছিল খানিকটা বেশী। মানুষ হিসাবে আমি মধযম প্রজাতির, দোষেগুণে সমানে সমান কমন পিপলদের মাঝে একজন। আমার ভয়ংকর রকমের একটা দোষ হল, কাউকে একবার পছন্দ হলে ভয়াবহ রকম পছন্দ হয়ে যায়, আবার কাউকে অপছন্দ হলে সে যত বড় হেডমই হউক কোনভাবে তার কোন কিছু আর ভাল লাগে না। সুমন রহমান তেমনই একজন স্বঘোষিত হেডম। যখন থেকে এ জায়গায় বিচরণ তখন থেকেই এ মানুষটা কে খানিকটা বিরক্তির চোখে দেখি, বিরক্তি চলে আসার পর কখন ইচ্ছা হয় নাই তার লেখাটেখা কোথাও গিয়ে পড়ার। তাই এ বিষয় নিয়া কোন কথা নাই। এই বিরক্তি বা অপছন্দের বিষয়টা এতোদিন নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কখন প্রকাশ করার দরকারও পরে নাই, করাটাও শোভন হবে বলে মনে হত না।
আপনার লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে এই বিকৃত লেখকের আর কোন লেখা কখন পড়ার চেষ্টা না করে 'বাঁইচ্চা গেছি'। কে জানি আগেই এখানে লিখে গিয়েছেন যে এই লোকের চিকিৎসা প্রয়োজন। আসলেই প্রয়োজন। কোন সুস্থ স্বাভাবিক নূণ্যতম বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষের পক্ষে আসলে একজন বযক্তির মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে এমন কথাবার্তা বলা সম্ভব না( তিনি আমাদের জুবায়ের ভাই হউন অথবা অনয কেউ)। যেই ব্যক্তি এই কাজ একবার করতে পারে তিনি যে ভবিষ্যতেও এমন কিছুই আবারো অন্য কারো সাথে করবেন এতে সন্দেহ নাই। তাই তার অতি অবশযই চিকিৎসা প্রয়োজন। একজন অসুস্থ ব্যক্তির জন্য আমাদের মধ্যে যে সমস্ত অনুভূতি কাজ করে তার মধ্যে একটা স্থুল অনুভূতি হল করুনা(ন নাকি ণ হবে গিট্টু লাইগা গেছে)। এই লোকের প্রতি এবং তার ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রতি সেই অনুভূতিটি কাজ করছে(কারন মানুষ যা দেখে তাই শেখে)। খাস দিলে দোয়া করি যেন সুমন রহমানের ভবিষ্যত প্রজন্ম সুমন রহমানের পথ অনুসরণ না করে ১০০% 'আমি কি হনুরে' সিনড্রোম বিবর্জিত বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষরুপে গড়ে উঠে।
সুমন রহমান লোকটা কারোই এতোখানি মনযোগ আসলে ডিজার্ভ করেন না। তা সেটা ধনাত্মক ভাবেই হউক কিংবা ঋণাত্মক ভাবে। তাও দিলাম কারণ তিনি তো মানবিক দিক থেকে অসুস্থ, রোগীর উপর তা তিনি যে রোগেরই হউক করুনা করা যায়, তার মত অমানবিক কীর্তিকলাপ তো আর করা যায় না!
দৃশা
সুমনের লেখাটি পড়ে জুবায়ের ভাই কি করতেন? তাঁর মত অতিশয় ভাল মানুষটি হয়তো বলতেন, সুমন ওর মত বলে যাক, এতে তাঁর (জুবায়ের ভাইয়ের) কিছু আসে যায় না।
ভাবী যদি পারেন, সুমন, ওর লেখা, ওর কথাকে অগ্রাহ্য করুন। আপনার মনযোগ পাবার কানাকড়ি উপযুক্ততা এগুলোর নেই।
আপনি বিশ্রাম নিন। সেরে উঠুন।
সুমন রহমানকে তীব্র ঘৃণা জানাই।
মানুষ এত নীচ হয়! সুমন রহমানের জন্য শুধুই ঘৃণা।
আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, সেই কামনা রইলো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভাবী, আপনি যা কিছু বিশ্বাস করেন এবং যা কিছু ভালোবাসেন তার সবকিছুর দোহাই লাগে আপনি শান্ত হোন, সুস্থ্য থাকার চেষ্টা করুন।
যা কিছু ময়লা আবর্জনা তা আর আপনার ঘাঁটার দরকার নেই, ভাবারও দরকার নেই। জুবায়ের ভাই কেমন মানুষ বা কেমন মানের লেখক তা আজ প্রমাণিত সত্য। তার জন্য কোন স্বঘোষিত পণ্ডিতের সার্টিফিকেটের দরকার নেই।
জুবায়ের ভাইয়ের বিরূদ্ধে এই নোংরা বিষোদগারের যথাযথ প্রতিবাদ না করার দায় আমাদের। এটা আমাদের অপরাধ, আমাদের সীমাবদ্ধতা। আমাদের ক্ষমা করার দরকার নেই। আমাদের মধ্যে যাদের নূন্যতম আত্মমর্যাদা বোধ আছে তারা এই নোংরামীর উপযুক্ত জবাব দেবেন বা প্রতিবাদের সাথে সহমত জানিয়ে যাবেন।
দুর্বৃত্ত দুর্বৃত্তই। কখনো কোন যুক্তিতে তাকে হালাল করা মানে তার অপকর্মকে নিরব সমর্থণ করা। আমাদের মধ্যে এমন দুর্বুদ্ধি যেন কারো না হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মেহবুবা জুবায়ের, নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশ করছি, আমার এই লেখা আপনাকে আহত করেছে বলে। আমি খুব ভালো লেখক না, যা ভাবি তা হয়ত ঠিকঠাক বুঝাতে পারি না। কিন্তু এই প্রকাশ্য সভায় আপনাকে আরো একবার স্পষ্টভাষায় বলি যে, প্রয়াত মুহম্মদ জুবায়েরের প্রতি আমার কোনো ধরনের অশ্রদ্ধা ছিল না। আপনার লেখা পাঠ করার পর আমার সেই লেখা আজকে অনেকদিন পর আবার পড়লাম। আমারই ব্যর্থতা, এখনো আমি কোনো অশ্রদ্ধা খুঁজে পেলাম না। হতে পারে যে, আমি লিখি যেমন খারাপ, বুঝিও তেমনি কম।
আর মানুষ হিসাবে আমি যে "নর্দমার কীট" তাতে আমার কোনো সন্দেহ নাই। ফলে সচলায়তনবাসী, আপনাদের ঘৃণা প্রকাশ/থুতু নিক্ষেপ/গালাগাল অব্যাহত রাখুন। তবে দয়া করে এই ইস্যুতে নয়। আমি মুহম্মদ জুবায়েরকে অশ্রদ্ধা করি নি, করতে চাইও না। অশ্রদ্ধা থাকলে সেটা তিনি মৃত হলেও আমি জানাতে কার্পণ্য করতাম না।
আপনার লেখায় প্রকাশিত ক্রোধ/ব্যক্তি আক্রমণ ইত্যাদি বিষয়েও আমার কোনো বক্তব্য নাই। আপনি আহত হয়েছেন, ফলে এটা আমি ডিজার্ভ করি বৈকি।
এই প্রসঙ্গে এটাই আমার শেষ বক্তব্য। ভালো থাকুন।
-- সুমন রহমান
সুমন রহমান,
আপনি নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছেন বলে বলছেন, যদিও আপনার দোষটা আপনি ঠিক বুঝতে পারছেন না। কিন্তু, এতোগুলো মানুষ আপনার লেখা পড়ে অশ্রদ্ধা খুঁজে পেলেন, আপনি এইটুকু তো বুঝতে পারছেন? তাহলে সচলায়তনবাসীরা যদি আপনাকে ঘৃণা, ইত্যাদি ছুড়ে মারে, সেটা 'এই ইস্যুতে'ই নয় কেন?? সচলায়তনবাসীদের তো আপনাকে ঘৃণা করাটাই এজেন্ডা নয়! বা, তাদের আনন্দদায়ক অবসরযাপন নয়! অন্যান্য কারণ যদি বা বাদও দেই, ঠিক এই 'ইস্যু'টাই তো যথেষ্ট এবং এই মুহূর্তে প্রাসঙ্গিক!
আপনি কম বোঝেন নাকি খারাপ লেখেন আমি ঠিক জানি না, কিন্তু আপনি যদি সত্যিই অশ্রদ্ধা করার উদ্দেশ্যে ওই লেখাটার কিছু কথা না বলে থাকেন, তাহলে আমাকে বলতেই হচ্ছে - লেখক হিসেবে আপনি আপনার কথা পাঠকের কাছে পৌঁছুনোর কৌশল জানেন না। কী ভয়ানক ব্যাপার, বিশেষ করে একজন পরিচিত, প্রতিষ্ঠিত লেখকের জন্য!!
নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশটা আপনি আরেকটু গ্রেসফুলি করতে পারতেন, যদি আবার ব্যক্তি আক্রমণ বা ক্রোধ ইত্যাদির কথা না বলতেন। আপনার আহত অহং কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না দেখি! নইলে হয়তো বুঝতে পারতেন - ভাবী জুবায়ের ভাই মারা যাওয়ার দেড় বছর পরেও কেন এতোটাই আলোড়িত।
অশ্রদ্ধা খুঁজে নাপেয়েও দুঃখপ্রকাশ করে কী দয়া দেখাতে আসছেন? নাকি নিজের ইমেজ পুনরুদ্ধারের রাজনীতি এটা?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
একেই বলে পেতিভা! হক মাওলা!! থুক্কু, আউফ দ্দীণু!!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অশ্রদ্ধা না থাকার পরও ঐরকম একটা কদর্য লেখা যে লিখে ফেলে, অশ্রদ্ধা থাকলে সে কী লিখতো, ঠিক মাথায় আসছে না।
"তবে কোনো কিছু ছাড়াই বলা যাইতে পারে সচলায়তন নিপাত যাক। গণতন্ত্র মুক্তি পাক। সচলায়তন একটা ফাউল ব্লগ। এইটা হবু সদস্যদের উপর মনস্তাত্ত্বিক অবৈধ চাপ তৈরী করে। আপনে আপনের অংশগ্রহণের বাসনা জানাইলেন ব্লগে, ওনারা বিবেচনা কইরা, ঝুলাইয়া রাইখা, পরীক্ষা নিয়া আপনেরে নিবে। এইটা অবৈধ প্রক্রিয়া। অগণতান্ত্রিক। হুজুরদের উচ্চরুচিরে ওনারা না-সচলায়তনিকদের দ্বারা ফুলিফলড রাখতে চান।"
- সুমন রহমানের ব্লগে এক উত্তরাধুনিক ভাঁড়ের মন্তব্য । 'গণতন্ত্র মুক্তি পাওয়া' মন্তব্যকারীর কাছে 'কোনো কিছু ছাড়াই' বলে যাওয়া। 'কোনো কিছু'টা যে কী সেটাও ডিফাইন করার প্রয়োজন বোধ করে নাই। শেষ লাইনটাও গোলমাল লাগতেসে। মনস্তাত্ত্বিক চাপও বোধ করতেসি হালকা। এই ভাঁড়ের বক্তব্য আবার গণমাধ্যমের প্রচারিত হয়। সেখানে সে বলে 'লেখকদের কোনো দায়িত্বশীলতা নাই'। সেটা যে আসলেই নাই, সেটা কিন্তু পরিস্কার বোঝা যায় ....
সকল মনস্তাত্ত্বিক অবৈধ চাপাচাপি বন্ধ হউক। ভাঁড়ামি চলুক।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ক্ষমা চাইতে আসার আগে কি চিন্তা করেছেন তা আপনার প্রাপ্য কিনা? তা করবেন কেন? আপনার বিদ্যা বুদ্ধিতো এলহাম যোগে আসে, পীরবাবাদের মত, একজন মানুষের নামে বানায় বানায় কথা বলে তার মাঝে অশ্রদ্ধা পাইলেন না, কারন পড়েন এক জিনিষ আর আপনার প্রতিভপূর্ণ ঘিলু বুঝে আরেক জিনিষ। আমার মনে হয়, লিখালিখি ছাড়ান দেন, যথেষ্ট করে ফেলেছেন, এখন একটু পিছে ফিরে দেখেন, আসলে কি করেছেন, নাহলে কুত্তার মত একদিন নিজের লেজ কামড়ায় ধরবেন মাংসের লোভে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনাকে একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলি, কিছু মনে করবেন না। একটা বিশেষ প্রাণীর পুচ্ছ কখনোই সোজা হয় না সুমন রহমান। আপনি এই মন্তব্যে যতোই অশ্রদ্ধা খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করুন না কেনো, আপনার স্বরূপ তাতে ঢাকা পড়ে না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সুমন ভাই, আপনার কবিতা থেকেই দুটো লাইন কোট করছি...
"যারা কেটলিতে ফুটছিল- তাদের সে কী তেজ!
তারা প্রকাশ্য হবার আগেই যে আমার গজিয়ে গেল লেজ!"
অথবা
"মুখ দেব যত্রতত্র, রেখে যাব মলমূত্র, আর তোমার বিরহ!"
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সুমন রহমান
আপনার চিকিৎসা প্রয়োজন। ডাক্তার দেখান। মনোবিকারের ডাক্তার।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
@ সুমন রহমান,
আপনার উদ্ধৃত এ দুটো বাক্য পড়ে শ্রদ্ধা ও অশ্রদ্ধা শব্দ দুটোর পার্থক্যই গুলিয়ে ফেললাম ! অবশ্য এটা আমারই সীমাবদ্ধতা হবে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নিজের লেখার মর্মার্থ নিজেই বুঝতারেন না, কিমুন আবাগা লেখক আপনি??? এতো বড় জুতা খায়াও নিজের পিন মারার অভ্যাস যায় না, না কি???
আপনে লেখেন ৬৪ বিট-এ কিন্তু আপনার বেরেন ৩২ বিট-এর, তাই এরুম ঘটনা। ভাই, পাবনা যান, হসপিটালে ভর্তি হন, আখেরে কামে দিবো। যত্তোসব মেরুদন্ডহীন বলদ !!!
===============================================
রাজাকার ইস্যুতে
'মানবতা' মুছে ফেলো
টয়লেট টিস্যুতে
(আকতার আহমেদ)
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
জীবনভর bully-দের বলে এসেছি, "Pick someone your own size." আজকে বলতে বাধ্য হচ্ছি, "Pick someone alive!"
A good apology has 3 parts:
-I am sorry
-What I did was wrong
- How do I make it right?
তিনটার কোনটাই দেখলাম না। তারপরও দুঃখ প্রকাশ করতে আসলেন, সচলায়তন ধন্য হয়ে গেল।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
পুরা চশমে বদদুর!
আউফ দ্দীণূ!
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
কয়েকবার এই পোস্টে ঢুকেও কোন মন্তব্য করতে পারি নাই- কিন্তু আপনার এই 'অশ্রদ্ধা খুজে না পাওয়া লেখার জন্য দুঃখপ্রকাশ' এর ধরন দেখে কথা না বলে আর পারলাম না। আপনার উদ্দেশ্য তো ছিলো "মৃত্যুশোক থেকে বরং মৃত্যুশোকের রাজনীতি নিয়ে লেখা"। আপনার তো 'অশ্রদ্ধা খুঁজে' না পাওয়ারই কথা।
আপনি অনেক জ্ঞানী, অনেক পড়াশোনা করা- হয়তো ভালো লেখেনও। আমি একজন নিতান্তই সাধারণ, তুচ্ছ, অপোগন্ড একটা মানুষ। আমার মনে হয়না মানুষজনের ঘৃণা পাবার যোগ্যতাও আপনার আছে। আমি আপনাকে শুধু করুণাই করতে পারি। শুধুই করুণা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
দুইবার - তাই ঘ্যাচাং!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আপনার তো নিজের লেখা নিজে বারবার পড়ার দরকার নাই, লেখার কোন জায়গায় কি কি বানোয়াট কথা লিখেছেন সেটা তো এই লেখাটায় তুলে ধরাই হয়েছে। চোখ বন্ধ করে মাফ চেয়ে কি নিজেকে খুব মহান প্রমাণ করে ফেলছেন ভাবছেন?
সচলায়তনের মোটামুটি পুরাতন ব্লগার হলেও, আমিও সুমন রহমান সম্পর্কে কিছু জানতাম না। এখন জানা হলো। একটা মানুষ এমন কেনো হবে! ধিক্কার জানাই এমন 'প্রতিভাবান' লেখকদের! হাজার বছর চেষ্টা করলেও উনি জুবায়ের ভাইয়ের ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারবেন না। এমন মানুষের কথা একদমই পাত্তা দেয়া উচিত না!
আপনি নিজের প্রতি খেয়াল রাখেন, ভাবী। নিজের যত্ন নিন। ভালো থাকবেন।
মুরশেদ ভাইকে ধন্যবাদ....যার জন্য লেখাটা পড়া সম্ভব হলো।
এটা সচলে আমার প্রথম মন্তব্য।
...মানুষের প্রতি প্রকূত ভালবাসা কারো থাকলে সে এমনকি তার মূত্যুর পরেও কিভাবে তা ফিরে পেতে থাকে , এই লেখা এবং মন্তব্যগৃলো যেন তাই দেখিয়ে দিচ্ছে...ভালবাসা কতো সৃন্দর !
লিখাটার খুব প্রয়োজন ছিল ।
আপনি ভাল থাকুন ভাবী ।
ইংরেজিতে ক্ষমা চাওয়ার একটা ডিপ্লোম্যাটিক উপায় আছে। বলতে হবেঃ
" I am sorry, not for what I said but for hurting you. I really didn't mean to hurt you. "
দারুণ না?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সচলায়তনের পরিবেশের সাথে বেমানান মনে হয়েছিল মুর্শেদ ভাইয়ের ওই পোস্ট,আর তাই ব্যক্তি আক্রমণের কথাও বলেছিলাম মন্তব্যে। কিন্তু এই পোস্ট পড়ে সুমন রহমানের প্রতি আমার নিজেরই যে রাগ লাগছে,তাতে মুর্শেদ ভাই কিংবা অন্যদের রাগ কিছুটা বুঝতে পারছি।
আপনি সুস্থ হয়ে উঠুন দ্রুত। শুভ কামনা রইল।
-স্নিগ্ধা করবী
ভাবী
যে লেখাটা আমাদের লেখার কথা ছিল, দায়িত্ব ছিল
নিজেকে অসূস্থ্য করে দিয়ে সেটা আপনাকে লিখতে হলো।
পারলে ক্ষমা করবেন।
সুমন রহমান
লাশে রাজনীতি কাকে বলে, দেখিয়ে দিলেন, না?
খুব ভালো।
আপনাকে বুঝতে আর অন্যকে বোঝাতে আর কোন উদাহরণের দরকার পড়বেনা।
আপনার মৃত্যু কামনা করছিনা।
শুধু প্রার্থনা করি
আপনার মৃত্যুর পর এরকম লেখা যেন কেউ না লেখে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আপনাদের রাগ, ক্ষোভ প্রকাশ করা ঠিকাছে। কিন্তু এরই মধ্যে অনিকেতদার পোস্টের কথা ভুলে গেলেন? সেখানে অনেকে স্বীকার করছেন সচলায়তনে অসহিষ্ণু আচরণ হচ্ছে অথচ আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি এই পোস্টে অনেকে আবার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। আমি আঙ্গুল তুলে দেখাতে চাই না। কিন্তু সমালোচনা, রাগ এবং ক্ষোভের মাত্রা খিয়াল কইরা। অতিথিদের এধরনের মন্তব্য প্রকাশে মডুদের যত্নশীল হতে বিনীত অনুরোধ করি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভাবী ভালো আছেন। বললেন এখন মনও ভালো লাগছে। কিন্তু, এই পোস্টে আসার মতো মানসিক অবস্থা নাই এখনও - তাই সব্বাইকে ওনার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাতে বললেন।
আমরা যে জুবায়ের ভাইএর অশ্রদ্ধা বা অপমান মেনে নেই নাই, নিবো না এটা জানতে পেরে উনি অনেকটাই নিশ্চিন্ত।
ভাবী,
এই লেখাটি আপনার পড়তে হলো – এর পেছনে যে ঘটনা পরম্পরা কাজ করছে, তা’তে আমার ভূমিকা মনে হয় সবচেয়ে বেশি। এই লেখাখানি পড়েই আমি ব্যক্তি সুমন রহমান সম্পর্কে, তার এই ধরণের বেশ কিছু রচনা, সেসবের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নেতিবাচকতা পোষণ করা শুরু করেছিলাম। এই লেখাতে জুবায়ের ভাই সম্পর্কে অনেক ভাল কথা লিখা আছে, কিন্তু, সেগুলোর মধ্যেও যে তির্যকতা আছে, যে বক্রতা, সেটা অসহনীয়। জুবায়ের ভাইকে নিয়ে লিখতে গেলে ভাল কিছু ছাড়া অন্য কিছু লিখাই অসম্ভব। কিন্তু, এ লেখাটির বেশ কিছু জায়গায় এই অসম্ভবকে সম্ভব করবার একটা কদর্য চেষ্টা ছিলো।
আমার সমূহ ঘৃণা জুবায়ের ভাইকে ‘টুল’ হিসেবে ব্যবহার করে একটা ‘ক্রোধ/ক্ষোভ’কে তুলে ধরার এই রচনাতে।
তথাপি, অসম্ভব মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে এই ভেবে যে মুর্শেদ ভাই এর পোস্টে আমি ঐ পোস্ট আমার ভালো না লাগার সাথে আরো কিছু বিষয়ে কথা না বললে, আরো অনেক অনেক কথা উঠতো না, এই অনেক কথার মধ্যে আপনার চোখ আটকে যেত না কিছু শব্দবন্ধে। আর, আপনি পড়তেন না এই লেখা।
আমার এই ভূমিকার জন্যে আমাকে মাফ করা সম্ভব হলে মাফ করবেন। আমি লজ্জিত আপনার এগুলোর মুখোমুখি হতে হলো বলে।
আমি তো জানতাম না এরকম ঘটবে!
মাফ করে দিয়েন আমাকে।
খুব দুঃখিত জিফরান। পছন্দ হলো না আপনার মন্তব্য। যদি বলেন আপনার প্রতি বাজে ব্যবহার করা হয়ে গেছে। বলবো, সেটা আপনার প্রাপ্য। আপনি যদি সুমন রহমানকে নিয়ে আর একটিও "প্রতিভাময়" কথা বলতে আসেন সচলায়তনে, আপনাকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দুর্জন বিদ্যান হইলেও পরিত্যাজ্য
কিন্তু,
সুমন রহমান বরাহ হইলেও কোলে তুলিতব্য
(এই কমেন্টটা এখানে করলাম বলে খারাপ লাগছে। আর কেউ আমার পথে পা বাড়াবেন না প্লিজ।)
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
জিফরান
আপনার কথা শুনে মনে একটু শান্তি পাচ্ছি।
সবাইকে অনুরোধ করবো
অন্তত এই লেখায় জিফরানকে নেতিবাচক কিছু না বলার
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধুসর গোধুলী
প্লিজ। না।
অন্তত এই লেখায় না। প্লিজ। অনুরোধ করছি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
পড়লাম।
সবাই ভাল থাকুন।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
মানুষ এমন হতে পারে!!! (সবার আগে আমায় মাথায় যা এসেছে লেখাটা পড়ে)
আমি সচলায়তনে নতুন বিধায় জুবায়ের ভাই বা সুমন রহমান কাউকেই চিনি না। কিন্তু তাতে আমার নর্দমার কীট সুমন রহমানকে ভাষার অতীত ধিক্কার জানাতে কোন অসুবিধাই হয় না।
ভাবী, জানি এমন আঘাত সহ্য করা সহজ নয়। কিন্তু এতজন মানুষ পাশে আছি আপনার, তবু কি শান্ত হবেন না? আপনি ভাল থাকুন, এই আন্তরিক কামনা রইল।
ফারাবী
এই লেখাটা আর মন্তব্যগুলি কয়েকবার পড়েও চুপচাপ বসে ছিলাম, অসম্ভব খারাপ লাগছে, সুমন রহমানের বিবেক-বুদ্ধির নীচতা দেখে। যে ক'জন সচলের ব্লগ বুকমার্ক করে রেখেছি অবসর পেলেই পড়বো/পড়ি বলে, শ্রদ্ধেয় জুবায়ের ভাই তাঁদের মধ্যে একজন। ভাবী, এই লোকটা, যে জুবায়ের ভাইকে নিয়ে এমন কুরুচিপূর্ণ লেখা লিখেছে, তাকে আর পাত্তা দিয়েন না। এতে এদেরকে অনর্থক গুরুত্ব দেয়া হয়। এদের লেখা/কথায় একমত হবে শুধু তারাই, যারা একইরকম নীচ বিবেকের মানুষ। আপনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠুন, ভালো থাকুন - এই প্রার্থনা করছি।
আর সুমন রহমান, আপনি নাকি অনেক ভালো লিখেন, আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রসরতা নাকি অনেক বেশি, নিজেই একটু চিন্তা করে বলুন তো, একজন প্রয়াত মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা বা তাঁকে ব্যবহার করে অন্যের ওপর শোধ তোলার চেষ্টা করাটা কতটা মানবিকতার পরিচয় দেয়? এমনকি এখানে আপনার একটা মন্তব্যেও একইরকম রাজনীতি করার প্রবণতা দেখলাম। আপনি একটুও দুঃখিত নন। সত্যিকারের দুঃখ/অনুশোচনা হলে এমন মন্তব্য আসার কথা না । আপনার জন্য শুধুই ঘৃণা।
দ্দীণূ প্রতিভাবান কবি, গদ্যকার, ও কলাম লেখক। প্রতিভাবানদের আলুতে দোষ থাকাটা গ্রহণযোগ্য।
ভাগ্যিস গল্পদাদুর প্রতি দ্দীণূর অশ্রদ্ধা ছিলো না। অশ্রদ্ধা থাকলে জানি কী লিখতো!
গত রাতে আমি এটার কথা শুনলাম। তারপর পড়লাম। দুটোই।
আমার মনে হয়, সুমন রহমানকে (কে এই লোকটা?) বেশি পাত্তা দেয়া হয়ে যাচ্ছে। তার লেখায় সবচেয়ে বেশি মূর্ত হয়ে উঠেছে তার ভণ্ডামি। ভাইয়ের কোনো ক্ষতি হয়নি তাতে। কীভাবে হবে? পুরো লেখাটা জুড়েই তো রয়েছে তথাকথিত উত্তরাধুনিকতার পূতিগন্ধময় অহম আর বিষাক্ত নিঃশ্বাস। আর রয়েছে মুহম্মদ জুবায়েরকে আঁকড়ে ধরে নজরে আসার প্রয়াস।
উপেক্ষাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্য এগুলোর। খামোখা উত্তেজিত হয়ে অসুস্থ হলে সুমনের আনন্দ হবে। কী দরকার?
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
মানুষের নোংরামী যখন সীমা ছাড়িয়ে যায়, আমি শুধু অবাক হয়ে ভাবতে থাকি, মানুষ তার চিন্তায় এতোটা দীন হয় কী করে? কোনো কথা বেরোয় না কেন জানি। নিজের এই অক্ষমতা ঢাকতেই বোধহয় নিজেকে শান্তনা দিই আনিস ভাইয়ের কথাটা বলে... 'উপেক্ষাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি এগুলোর'।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কুকুরেরা ঘেউ ঘেউ করবেই, একদম কান দেবেন না, বিন্দুমাত্র পাত্তা দেবেন না। এসব ভেবে নিজের মন আর শরীর খারাপ করে ফেলার মানেই হয় না।
যারা ভালো মানুষের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আড়ালে চুকলি করে তারা আসলে নিজেদেরই ছোটো করে, হীন করে, নিজেরই অবমাননা করে। দেখুন লোকটা এই মিথ্যা নোংরামির লেখা লিখে কোথায় নেমে এসেছে!
ভালো থাকুন, শক্ত থাকুন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মানুষ কত বিদঘুটে হয়! দুনিয়াটা যেন কেমন!
ভাবীর জন্য দোয়া রইল অনেক। ইনশাল্লাহ সুস্থ হয়ে যান তাড়াতাড়ি
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
এত নোংরামি কিভাবে যে করে মানুষ। ব্যাক্তিপর্যায়ে খুব অসৎ হয় এই মানুষগুলো।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন