আমার ছেলে স্কুল বাস্কেটবল টিমে এক পয়েন্টের জন্য সুযোগ পেলো না। ভালো করে কথা ফোটবার আগেই সে ঘোষণা দিয়েছিল, বড় হয়ে সে NBA বাস্কেটবল প্লেয়ার হবে। দুই-তিন বছর বয়সে যখন সে প্রবল দোটানায় ভুগছে ডায়নোসরাস না পাওয়ার রেঞ্জার
কোনটা হবে, তখনো বলতো “ABA ডায়নোসরাস” বা কখনো “ABA পাওয়ার রেঞ্জার" হবে।
বাপের কোলে বসে বাস্কেটবল খেলা দেখতে দেখতে সে বড় হয়েছে। বাবার বাস্কেটবলের প্রতি অনুরাগ ওর মাঝেও সমানভাবে সংক্রমিত হয়েছিলো। পাঁচ বছর বয়স থেকেই ASA তে (allen sports association)সকার আর বাস্কেটবল খেলে সে। বাবা তাকে কাকুর গল্প বলতো, কাকু ছোটবেলায় অনেক দুধ খেতো, তাই সে এত লম্বা। “বেশী করে দুধ খেতে হবে, না হলে কেমন করে কাকুর মতো লম্বা হবি? তুই না বাস্কেটবল প্লেয়ার হবি, লম্বা না হলে কেমন করে বাস্কেটবল খেলবি?” এই কথা বলে বলে ওকে দুধের নেশা ধরানো হয়েছিলো। এখন তার দুইদিনে প্রায় এক গ্যালন দুধ লাগে।
সব ছক কাটা ছিল তার, কলেজ টিমে চান্স পেয়ে নর্থ ক্যারোলিনাতে পড়তে যাবে। ওদের কলেজ টিম নাকি সব থেকে ভালো। ওখান থেকে সবচেয়ে বেশী নাকি সুযোগ পাওয়া যায় NBAতে খেলবার, ইত্যাদি ইত্যাদি। এখানে সেভেন গ্রেডে এসে স্কুল বাস্কেটবল টিমের জন্য সিলেকশন হয়। সেখান থেকে কলেজ টিম তারপর ভাগ্যে থাকলে NBA, গত একমাস সে নিয়মকানুন পালন করা সহ পরিশ্রমও করেছে যথেষ্ট। এমাসের ৪ ৫ ও ৬ তারিখে পর পর তিন দিন ওদের ট্রাই আউট ছিলও। প্রথম দুদিন সে ভালোই করেছে, কিন্তু শেষদিন খারাপ খেলেছে। ৬৭ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৩০ জন সিলেক্ট হয়েছে। অর্ণবের পজিশন ছিলও ৩১, ও বাদ পড়ে গেছে। ও যখন বাদ পড়ে যায় তখন প্রথম ও ঠিক বুঝতেই পারেনি, অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলও কোচের দিকে। তারপর মাথা নিচু করে বেরিয়ে গেছে। এটা ওর কাছে মনে হয়েছে চরম নিষ্ঠুরতা। ছোট্টরা কি ঠিক বুঝতে পারে আমাদের বড়দের জগতের এই নিষ্ঠুরতা?
পরাজয় স্বীকার করে নেওয়াটা সবার জন্যই কঠিন। আর সেটা যদি ছোটদের সহ্য করতে হয় তাহলে সেটার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়াটা ভীষণ হৃদয়বিদারক! ছেলেটার জন্য খুব খারাপ লাগছে।
জীবনের প্রথম ব্যর্থতা এটা ওর। রাগ,অভিমান ও কষ্টটা তার বাড়াবাড়ি রকমের হয়েছে, বুঝতে পারছি। সত্যি কথা বলতে গেলে, সব দোষ আমার ওপর চাপিয়ে রাগ অভিমানের প্রথম ঝালটা আমার ওপরই ঝাড়েছে সে। সামার টিমের ১৫ জনেই সুযোগ পেয়েছে, সামার টিমে খেললে ওর ভালো প্র্যাকটিস থাকতো। ও সামার টিমে খেলতে পারেনি কারণ সামার টিম সিলেকশনের ট্রাই আউটের দিন ও স্কুলে যায়নি আমার স্টুপিড ঈদের জন্য। “আই উইশ বাবা ওয়াজ হেয়ার, বাবা কোনোদিন এটা করতো না” (ওইদিন যে ওর ট্রাই আউট ছিল সেটা আমি যেমন জানতাম না, তেমনি সেও ভুলে গিয়েছিলো)।
আজ স্কুল থেকে এসেছে সাড়ে তিনটায়, এখনো কিছু খায়নি। ছেলেটা আমার খুব খাদ্য রসিক,আমার ভোজনবিলাসী শ্বশুরমশায়ের মতো। প্রতি বেলায় তার মনের মতো খাবার না হলে সে মুখে তুলে না। আজ তার অতি প্রিয় খাবার তৈরি করে ওর সামনে ধরার পরও খিদে নেই খাবে না বলে খাবার সরিয়ে দিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো। আহারে বেচারি!ওর কষ্টটা বুঝতে পারছি। কিন্তু কি বলে সান্ত্বনা দিবো তাও বুঝতে পারছিনা। আবার ভাবছি সান্ত্বনা দেবার কি আসলেই দরকার আছে কিছু? মেয়েকে ফোন করে জানালাম,মেয়ের উত্তর,ওকে এখন কিছু বলো না। লেট হিম ফেস ইট, দিস ইজ লাইফ!
ঘরে এসে দেখি না খেয়ে ছেলেটা ঘুমিয়ে গেছে। চশমা খুলে নিয়ে মাথায় চুমু খেলাম, পারলে ওর সমস্ত কষ্টটুকু এক চুমুতে ব্লটিং পেপারের মতো শুষে নিতাম। কিন্তু তা তো সম্ভব নয়, জীবনের এই সব অমোঘ মনুষ্যজন্মঘটিত হৃদয় যাতনা নামের নিষ্ঠুরতা থেকে কে কবে মুক্তি পেয়েছে? এই তো শুরু হলো মন ভাঙার পালা। অভিলাষ ও প্রাপ্তির যে বিস্তর দূরত্ব তা শিখে যাবে অচিরেই। হতাশা-অবহেলা-উপেক্ষা-অপমানে হৃদয় দীর্ণ হবে...এর সবই জীবনে যথেষ্ট পরিমাণে পেতে হবে। তবু তা সহ্য করতে শিখতে হবে। শিখতে হবে নতুন আশায় বাঁচতে।
ওয়েলকাম টু এডাল্টহুড, মাই সান!
মন্তব্য
ওয়েলকাম টু এডাল্টহুড, বাডি।
শুভাশীষ ধন্যবাদ লেখাটা পড়বার জন্য। এডাল্টহুডের বেদনা আপনার জীবনে কম হয়ে বাজুক এই কামনা থাকলো।
--------------------------------------------------------------------------------
অভিলাষ ও প্রাপ্তির যে বিস্তর দূরত্ব তা শিখে যাবে অচিরেই। হতাশা-অবহেলা-উপেক্ষা-অপমানে হৃদয় দীর্ণ হবে...
জীবন কেন আজীবন শিশুর মতোই হয় না! ও এডাল্টহুড, ও দীর্ণতা!
'আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম'------
--------------------------------------------------------------------------------
ঠিকই বলেছেন। এই নিয়ে একখানা পদ্য আছে আমার। নতুন লিখেছি। বলতে পারেন এই সব ভাবতে ভাবতেই লেখা। পোস্ট করলাম। দেইখেন।
ছেলেটার জন্য মায়া লাগছে। আমারো মনে হয়, এখন কিছু বলার দরকার নেই। নিজেকেই উপলব্ধি করতে দিন। তবে কথা অবশ্যই বলবেন, এবং সেই সাথে স্যরি। সামার ট্রাই আউটের পয়েন্ট কি যুক্ত হয়েছে এখানে? যদি সেটা হয়ে থাকে তবে তো বেচারার কষ্টটা বেশি হওয়ারই কথা।
না ভাই স্বাধীন পয়েন্ট যোগ হয়না। ১৫জন করে খেলোয়ার নিয়ে সামারে একটা করে দল তৈরি করে ISD গুলোর ভেতর খেলা হয়। এটা শুধুই নিজেদের ISD এর ভেতর সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন আমাদেরটা ছিলও Allen ISD ভেতর। রেগুলার সিজনের সাথে এটার কোন সম্পর্ক নেই। শুধু মাত্র অনুশীলনটুকু ছাড়া।
--------------------------------------------------------------------------------
খুব ভালো লাগলো পড়তে। এভাবেই মানুষ ধীরে ধীরে বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করতে শিখে।
শাহেদ সেলিম
মন্তব্যের জন্য
--------------------------------------------------------------------------------
ভাবী - পরের বছর আবার সুযোগ আসবে না? এটাই কি লাস্ট চান্স ছিলো?
তুমি তো সবই জানো "তেনাদের" চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। সবকিছুতেই পারফেক্ট হতে হবে, না হলে যুদ্ধেই যাবেনা। আমার সব চেয়ে ভয় কি জানো বাপ/চাচাদের স্বভাবের এক কণাও যদি পেয়ে থাকে, তাহলে হয়ত আর কখনোই সে বাস্কেটবল খেলবে না। আজ সে স্কুলে যায়নি গলা ব্যথা বলে, একটু কথা বলতে গিয়েছিলাম, তো উত্তর," আমি এই নিয়ে কথা বলতে চাইনা," একবার দরজা বন্দ করলে কার সাধ্য সে দরজা খোলে?
--------------------------------------------------------------------------------
আমার ভার্সিটি (UNC-CH) এ দেখি সবার বাস্কেটবল নিয়ে বেশ মাতামাতি, ওইটাতেই আসতে চাচ্ছে মনে হয়। এবার পারেনি তো কী হয়েছে, সামনের কোন ট্রায়ালে নিশ্চয় সুযোগ পেয়ে যাবে। বাস্তবতায় তো ফাইটব্যাক ও থাকে, সেটাও শিখুক, শুভকামনা রইল।
সজল
শুনেছি ওরা নাকি সবচেয়ে বেশী স্কলারশিপ দেয় বাস্কেটবল টিমের জন্য, তাই ওদের ওখানে ভিড় ভাট্টাও বেশী।
সজল দোয়া করো ভাই তাই জেনো হয় ।
--------------------------------------------------------------------------------
অর্ণবের জন্য দুঃখ লাগলো। কিন্তু বাস্তবতা যে এই রকমই।
আপনারা অস্টিনে আসছেন কবে? যাবো যাবো করে ডালাসে যাওয়া হয়ে উঠে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ দিবসটা ওখানেই পালন করবো আশা করছি। সম্ভবত ২৪সে নভেম্বর অস্টিনে আসছি। ডোরা আসতে পারবে না পরদিন ব্লাক ফ্রাইডে সেলের জন্য। ও ছুটি পাবেনা।
ভাবছি তোমার জন্য আমি প্রানহারা বনিয়ে নিয়ে আসবো । তোমার কি প্লান?
--------------------------------------------------------------------------------
আসলেই, এটাই জীবন। তবে মজার ব্যাপার কি জানেন, আপনার কাছে ও বোধহয় ছোট্টটিই থাকবে,এই ধাড়ি বয়েসেও মায়ের কাছে আমি যেরকম
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
মায়ের কাছে কি সন্তান কখনো বড় হয় অদ্রোহ?
তবে একটা কথা আছে না--স্বাধীনতা পেলে আমি পরাধীন হতে ভালোবাসি--- তাই এই ধাড়ি বয়েসেও মায়ের কাছে তুমি সেরকম থাকতে চাও। কিন্তু আমার ছেলে যে আর ছোট্টটি থাকতে চাইছে না। কদিন আগে আমার টেবিলে একটা কাগজ শেটে দিয়ে গেছে। তাতে প্রথম প্যড়াতে লেখা--(যদি মডুদাদারা ছাড়পত্র দেয়)
People at age 12 to 13 need self confidence and pride. this is the time of beginning independence and separation from parents. They may be unwilling to participate in family activities. Challenges to parentl authority will increase markedly. They need enjoyable relationship with peers.----------
--------------------------------------------------------------------------------
বাচ্চাদের কষ্ট দেখার মত কষ্ট আর কিছুই হয় না! এই শিশুটার সামনে আমরা এত জন পূর্ণবয়স্ক পোড়-খাওয়া মানুষ, জীবন যুদ্ধের ভেটেরান সৈনিক, তারপরও আমরা এই ছোট্ট শিশুটার কোমল মনটা রক্ষা করতে পারি না--যেমন পারেন নি আমাদের পিতামাতারাও। জীবনের নিয়তি এইটাই যে চারদিকে ভালবাসার মানুষ ঘিরে থাকলেও---শেষ পর্যন্ত দুঃখের ভার বইতে হয় নিজেকেই।
ছোট্ট অর্ণবের শুধু এইটুকু জানা জরুরি---কষ্টের দিন আসবে, কিন্তু সেটা যেন তাকে থামিয়ে না রাখে---
মঙ্গল হোক
ধন্যবাদ অনিকেত।
ছোট্ট অর্ণবের শুধু এইটুকু জানা জরুরি---কষ্টের দিন আসবে, কিন্তু সেটা যেন তাকে থামিয়ে না রাখে---[/i] ঠিক এটাই তাকে বোঝাতে চাইছি। ওর অনান্য সফলতা গুলোকে ইাই লাইট করে দেখাতে চাইছি। কিন্তু ও যে সুযোগই দেয় না !
--------------------------------------------------------------------------------
দুঃখজনক, দুর্ভাগ্যজনক। পাশে থাকেন, কষ্টটা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে আশা করি।
কৌস্তুভ ধন্যবাদ লেখাটি পড়বার জন্য। একটু সময় নেবে, তবে কষ্টটা অবশ্যই ওকে কাটিয়ে উঠতে হবে।
--------------------------------------------------------------------------------
ওয়েলকাম টু এডাল্টহুড, ভাতিজা!
যুদ্ধের ভুবনে স্বাগতম।
কাকস্য পরিবেদনা
মেম্বার সাহেব, যুদ্ধের ময়দানে তোমার ভাতিজার পরামর্শদাতার পদে তোমাকে পাওয়া যাবে তো?
--------------------------------------------------------------------------------
যাবে না মানে! আলবৎ যাবে! না গেলে খালি আমারে কবেন ভাবী! মেম্বরের পরের ইবনে মেম্বরও হাজির থাকবে! দরকার হলে কড়ি চালান দিবো, বাটি চালান দিবো, যুদ্ধের ময়দানে না থেকে যাবে কোয়ানে মেম্বর!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাদ পড়ার ব্যাপারগুলো খুব কষ্টের, আর লক্ষ্যের এত কাছ থেকে হলে সেটা মেনে নেয়াটা আরো কঠিন।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
ঠিক, সেই সংগে এতদিনের একটু একটু করে গড়ে ওঠা স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে---
--------------------------------------------------------------------------------
জীবন আসলেই বড় নিষ্ঠুর। সমবেদনা রইল।
সমবেদনা জন্য ধন্যবাদ কামরুল হাসান।
--------------------------------------------------------------------------------
সারল্য থেকে অভিজ্ঞতার ভুবনে তার এই যাত্রা শুভ হোক।
ভালো বলেছেন মনামী।
--------------------------------------------------------------------------------
আমার ছোট ভাইটার কথা মনে পড়লো আপনার এই লেখাটা পড়ে। এরকমই করে ও, বড়দের দুনিয়ায় স্বপ্ন নিয়ে কত যে টানাটানি, কবে বুঝবে কে জানে!
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
তোমার আর কতটুকু বয়স! তুমিই বা কতটুকু বোঝ বড়দের ভুবনের। আমার তো প্রায় চলে যাবার সময় হয়ে এলো, এখান থেকে পেছনে ফিরে তাকালে কি দেখি জানো? জীবনে পাওয়ার চেয়ে না পাওয়ার পাল্লাটা অনেক অনেক অনেক ভারি।
--------------------------------------------------------------------------------
খারাপ লাগে, চোখের সামনে নিজের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবার দৃশ্য ভেসে ওঠে।
এরপর আবার স্বপ্ন দেখি, নতুন স্বপ্ন।
অর্ণবও দেখবে। অর্ণবের জন্য শুভ কামনা রইল।
আমি মেঘের দলে আছি, আমি ঘাসের দলে আছি
অলস সময়
এরপর আবার স্বপ্ন দেখি, নতুন স্বপ্ন।
হ্যাঁ অর্ণবও দেখবে। আমি প্রার্থনা করবো এবার থেকে যেন ওর সব স্বপ্ন গুলি সত্যি হয়।
--------------------------------------------------------------------------------
" বয়েসের সাথে সাথে কমে যায় চোখের জল..."
ওয়েলকাম টু এডাল্টহুড, অর্ণব।
_________________________________________
সেরিওজা
--------------------------------------------------------------------------------
এইটাই জীবন। খুব খারাপ লাগছে অর্ণবের জন্য। তীব্র আশা পূরণ না হওয়া ভীষণ কষ্টের। তবে কখনো না কখনো কোনো না কোনো ব্যাপারে এইরকম কষ্ট হয়তো ওকে পেতেই হতো। বড় হতে থাকার এই যন্ত্রণা। আশা করছি ও ধীরে ধীরে নিজেকে সামলে নেবে। শুভ কামনা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে বইখাতা।
--------------------------------------------------------------------------------
জীবন-সংসার-স্বপ্ন-প্রত্যাশা-প্রাপ্তি-বেদনা সবই যে ঠুনকো, তাসের ঘরের মতো, ঠেকেঠুকে সবাই শিখে যায় একদিন। অর্ণবও শিখবে। মাঝখানের এই পথটুকু যেন বেশি কষ্টের না হয়, সেই শুভকামনা জানাই শুধু।
লেখাটা অদ্ভুতরকম কষ্ট, মায়া আর ভালোবাসায় জড়ানো। স্পর্শ করলো খুব।
তোমার মন্তব্যেও অদ্ভুতরকমের ভালো লাগলো আমার। আমাকেও স্পর্শ করলো খুব।
ভালো থেকো।
--------------------------------------------------------------------------------
পড়ে মন খারাপ হলো। হয়তো আরো বড় কিছু ওর জন্য অপেক্ষা করছে, তাই এবারে হয় নি।
এই বয়সে সত্যিই পরাজয়টা একদম মানতে ইচ্ছে করে না। আসলেই, উই আর বিইং ওয়েলকামড টু এডাল্টহুড...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মেহবুবা আপা (ভাবী ডাকের চেয়ে আপা ডাকটা আমার বেশী পছন্দ), আপনি যখনই লিখেন, পড়ার চেষ্টা করি । প্রতিবার, আপনার লেখা পড়তে পড়তে নীরবে আপনার হাত ধরি… ভাল থাকুন সব সময় করুনাময়ের কাছে প্রার্থনা করি ।
জগতের সব মাইতো সন্তানের সব কষ্ট শুষে নিতে চায় । তবে কষ্ট পাওয়াও দরকার, কষ্ট বেড়ে ওঠার অংশ । দৃঢ়চিত্ত মানুষ হয়ে বেড়ে উঠুক অর্নব ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আস্তে আস্তে স্বপ্নের জগত ছেড়ে কঠিন বাস্তবে চলে আসবে... আসতে তো হবেই... আসতে দেন... শুভকামনা রইলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সবে তো শুরু। এখনো অনেক পথ বাকি। অর্ণবের যাত্রা শুভ হোক।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
পারলে ওর সমস্ত কষ্টটুকু এক চুমুতে ব্লটিং পেপারের মতো শুষে নিতাম। কিন্তু তা তো সম্ভব নয়, জীবনের এই সব অমোঘ মনুষ্যজন্মঘটিত হৃদয় যাতনা নামের নিষ্ঠুরতা থেকে কে কবে মুক্তি পেয়েছে? এই তো শুরু হলো মন ভাঙার পালা। অভিলাষ ও প্রাপ্তির যে বিস্তর দূরত্ব তা শিখে যাবে অচিরেই। হতাশা-অবহেলা-উপেক্ষা-অপমানে হৃদয় দীর্ণ হবে...এর সবই জীবনে যথেষ্ট পরিমাণে পেতে হবে। তবু তা সহ্য করতে শিখতে হবে। শিখতে হবে নতুন আশায় বাঁচতে।
ওয়েলকাম টু এডাল্টহুড, মাই সান!
ইস! এমন করে যদি আগে বুঝতে পারতাম!!এমন করে কেউ বলেনি আগে।
কারো সাথে কিছুই শেয়ার করিনি শুধু একজন ছাড়া।আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুকে বলেছিলাম।বলেছিলাম তোকে অনেক ভালবাসিরে।তখন হঠাৎ করেই বদলে গেলো সে।আমি তার চোখে দেখেছিলাম ভালোবাসা ,শুধু আমার জন্য।কিন্তু সে অস্বীকার করলো।তীব্র বেদনায় নীল হতে হতে তখন ভাবতাম একেবারে শেষ করে দেই নিজেকে।পারিনি।আরও বেশী কষ্ট ছিল তাকে ছেড়ে থাকা।সেই প্রথম শুরু স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা।আজও ভুলতে পারিনা।
তারপরও বেঁচে আছি।সব কিছু মিলিয়ে ভালই আছি বলা যায়।
শুভ কামনা রইলো আমাদের ভাতিজার জন্যে।
লেখাটা বড় সুন্দর হয়েছে ভাবী!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এই দুঃখগুলো অর্নবকে অনেক কম পেতে হোক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
জীবন একটা কনটিনিউয়াস প্রোসেস, প্রত্যেকটা অর্জনই সময়ের সাথে সাথে গুরুত্ব পালটায়। এজন্যই মনটন খারাপ করে খুব একটা লাভ নেই। বরং 'আগামীকাল আরেকটু ভালো থাকা'র নীতি বেশি কাজ দেয়।
আরো ঝামেলার হলো কি ভালো আর কি খারাপ মানুষ এটা সবসময় সঠিকভাবে জাজ করতে পারে না। মানুষ সাধারণত কোনো একটা লক্ষ্য স্থির করে কাজ করা শুরু করে। লক্ষ্যে পৌঁছানোকে সাধারণত সাফল্য হিসেবে ধরা হলেও লক্ষ্যে না পৌঁছানোও সময়ের বিচারে সাফল্য হিসেবে গণ্য হতে পারে। অনেকটা 'শাপে বর'টাইপ ...
মানুষের পছন্দও ধ্রুবক না, সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। আজ যে NBA ফ্যান, আগামীকাল সে ক্রিকেটের ভক্তও হয়ে যেতে পারে।
মোদ্দাকথা হলো বিফলতা একটা ভ্রান্ত ধারমা। মানুষের সাফল্য তার চেষ্টায় এবং মানুষ শুধু চেষ্টাটাই করতে পারে। তার চেয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়। সুতরাং চেষ্টাটা করা হলেই সন্তুষ্ট হওয়া উচিত। নিজের পরিশ্রম ও চেষ্টাকে শ্রদ্ধা করলে তা ভবিষ্যতে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। মানুষের জীবন অন্তহীন সম্ভাবনার সমন্বয়, ভবিষ্যত কখনো শেষ হয় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
উদ্ধৃতি:
লেট হিম ফেস ইট, দিস ইজ লাইফ!
"আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে
তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে..."
ভাবী, আপনি এতে মোটেও কষ্ট পাইয়েন না। বরং আশ্বস্ত হোন, অর্ণব আজ থেকে বড় হলো বলে, আজ থেকে সে পৃথিবীকে নিজের পদতলে দলিত করার যোগ্যতা অর্জন করলো বলে!
'লেট দ্য ওয়ার্ল্ড ফেস অর্ণব'- আদারওয়ে রাউন্ড না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অর্ণবের জন্য শুভ কামনা রইল।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার লেখা পড়ে আরও একবার ভীষণরকম মুগ্ধ হলাম
নতুন মন্তব্য করুন