অক্টোবরের ২৪ তারিখে আমার বাবা মারা গেলেন, সেদিনই স্বপ্নে আব্বাকে দেখলাম। সেই একাত্তরের সব ঘটনায়। সেগুলি এত স্পষ্ট, এত জীবন্ত যে, চোখ খুলে অনেকটা সময় লেগেছে বাস্তবে ফিরে আসতে। সে রাতে নির্ঘুম চোখে ফিরে গিয়েছিলাম সেই দিনগুলিতে। আমি নিজেও জানতাম না আমার এতো কথা মনে আছে। আমি কখনো সেইভাবে মনে করে দেখিনি একাত্তরের সেই সময়টাকে।
আমি সেই সব ভাগ্যবানদের (নাকি ভাগ্যবতীদের) একজন যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী। আমরা সেই প্রজন্ম, সেই সব ভাগ্যবান যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, নয় মাসের অবরোধের মাঝে দিন যাপন করেছি। আমরাই প্রথম এদেশে স্বাধীন পতাকা উত্তোলন করেছি এবং স্বাধীনতার স্বাদ নিয়েছি। যে কোন মানুষের জন্য এটা অনেক বড় সৌভাগ্য। তাই আমিও নিজেকে সেইসব সৌভাগ্যবানদের একজন মনে করি। এ লেখাটার উদ্দেশ্য - আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কোনও নতুন তথ্য যোগ-বিয়োগ করা নয়, কোনও স্মৃতিচারণও নয়, একাত্তরে আমি ছিলাম নিতান্তই বালিকা। বেশী স্মৃতিও নেই। সব কথা মনেও নেই। কিন্তু কিছু কিছু টুকরো টুকরো ঘটনা আমার স্মৃতিতে এত স্পষ্ট যে, আজও মাঝে মাঝেই সে সব আমার স্বপ্নে এসে হানা দেয়। চোখ বন্ধ করলেই সেই সব দিন গুলি রং-রূপ-গন্ধ-বর্ণসহ এখনো পরিষ্কার দেখতে পাই। এটা শুধুই আমার কথা, যতটুকু দেখেছি, যতটুকু বুঝেছি, এবং যতটুকু মনে আছে, এখানে সে সবই মনে করার চেষ্টা শুধু!
৭৪-৭৫ এর পরবর্তী জীবনে আব্বা এমন সব কথা বলতেন, বা কাজ করতেন যে তাকে অনায়াসেই ব্লগের ভাষায় ধর্মান্ধ ছাগু নামকরণ করা যায় ।
তবু এটাও তো সত্যি যে, মেয়েরা জীবন চেনে, পুরুষ চেনে বাবাকে দিয়ে। আমার জীবন গড়িয়েছে মাত্র দুজন পুরুষের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে। তারা আজ কেউ আর পৃথিবীতে নেই। একজনকে হারিয়ে প্রথম কলম ধরেছিলাম, দ্বিতীয়জনকে হারিয়ে শৈশবের সেই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে মনে করার চেষ্টা করছি।
এ প্রজন্মের তোমাদের অনেকে স্বাধীনতার ইতিহাস পড়ে, ছবি দেখে, মুভি দেখে, মুক্তিযুদ্ধের উপর যে সব সহস্র লেখাও প্রকাশিত হয়েছে , সেগুলি পড়ে, মুক্তিযুদ্ধ না দেখেও আমাদের চাইতে অনেক বেশী জানো মুক্তিযুদ্ধের কথা। আর তাই ৩৯ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু লেখা আমার জন্য খুবই বিব্রতকর একটা ব্যাপার। তবুও আমার অভিঞ্জতা তোমাদের সাথে ভাগ করে নেবার জন্য এই লেখার অবতরণা।
০১
ওই সময়ের প্রথম যে ঘটনা মনে করতে পারি সেটা টেলিভিশন দেখার কথা। সে সময় টিভি চলতো সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত দশটা-এগারোটা পর্যন্ত। কিন্তু নির্বাচন উপলক্ষে প্রথমবারের মতো টিভি খোলা ছিল রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা। তখন পাড়ার খুব অল্প বাসাতেই টিভি ছিল। আমাদের বসার ঘরের মাঝখানে বিছানা পেতে পাড়ার অনেকের সাথে আমরা টিভি দেখতাম। সেটাই বোধহয় প্রথম একটানা এত লম্বা সময় টিভি দেখা। ভাষ্যকার ছিলেন ফজলে লোহানী, শফিক রেহমান আর একজন নাম মনে নেই। একটু পর পর “আপনাদের স্টুডিওতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি ” বলে অনুষ্ঠানের মাঝখানে ওরা বকবক করতো।
খুব রাগ লাগতো। কিন্তু এই সময়টায় আমাদের কথা বলা ছিল একদম নিষেধ তাই আমরা সাপ-লুডু খেলতাম। আব্বা কাগজে ফলাফল টুকে রাখতেন। আমাদের পাড়ার কয়েকজন চাচা মুসলিম লীগ করতেন। আব্বা করতেন ন্যাপ। আব্বাই মনে হয় একমাত্র বাঙালি যিনি মুসলিম লীগ না হয়েও আওয়ামী লীগকে ভোট দেননি। সেটা অবশ্য আম্মা পুষিয়ে দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগকে দুইবার ভোট দিয়ে। আম্মার দুই বুড়ো আঙ্গুলে দুটো কালির দাগ ছিলো। বড়রা দুই দলে ভাগ হয়ে তুমুল তর্ক করতেন। সেটা কখনো কখনো ঝগড়ার পর্যায়ে চলে যেত। পরদিন তারা আর টিভি দেখতে আসতেন না। আম্মা ফোন করে সাধাসাধি করে তাদের আবার নিয়ে আসতেন। এই রকমই চলছিলো।
কিন্তু যখন আওয়ামী লীগ জিতে গেলো তখন পুরো পাড়ার চেহারা বদলে গেলো। আমরা সবাই মিলে একটা বিরাট পরিবার হয়ে গেলাম। ঈদের দিনে যেমন সবাই সবার বাসায় যায়, সবার দরজা যেমন সবার জন্য খোলা থাকে এই সময়টাও ছিল ঠিক তেমনি। যেন প্রতিদিনই ঈদ।
৭ই মার্চের ভাষণের দিনের একটা কথা আমার খুব পরিষ্কার মনে আছে। আমি ছাদে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম আব্বা কমলা, বেগুনি আর হলুদ রংগের একটা চেক শার্ট পরে দুপুর বেলা কাধে একটা লাঠি নিয়ে পাড়ার সবার সাথে মিটিং শুনতে যাচ্ছেন।
এখানে একটা কথা বলা দরকার যে, একটা খুব সামান্য ব্যক্তিগত কারণে আমার বাবা বঙ্গবন্ধুকে পছন্দ করতেন না। এমন কি তাঁকে বঙ্গবন্ধু দুরে থাক কখনো নাম ধরেও ডাকতেন না। সব সময় বলতেন, “শ্যাখের ব্যাটা,” বলতেন “শ্যাখের ব্যাটার মাথায় কোনও বুদ্ধি আছে নাকি? ওকে তো চালায় চার খলিফা”। চার খলিফা মানে চার ছাত্রনেতা: আ.স.ম আবদুর রব, নুরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ ও আবদুল কুদ্দুস মাখন। তখন এই চার জন ছাত্রনেতা সবসময় বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে থাকতো।
৭ই মার্চ ভাষণের পর পরিস্হিতি আরো বদলে গেলো। প্রতিদিন রেডিওতে তাঁর ভাষণ বাজানো হতো। অসহযোগ আন্দলোন শুরু হলো।
আমাদের নিচতলার বুলু খালা (নজরুল একাডেমীর টিচার ছিলেন) আর নতুন চাচী মিলে পাড়ার সবার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা বানাতেন। গাড় সবুজের মাঝে লাল সূর্য, লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র। মানচিত্রটা হাতে সেলাই করতে হতো বোতাম স্টিচ দিয়ে। আমার বড়বোন ও ওদের বয়সী মেয়েরা সেগুলি সেলাই করতো। সে সময় সব বাসায়ই পতাকা লাগানোর জন্য একটা করে বিরাট বাঁশ বা পোল থাকতো। ১৪ই আগস্টে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর চল ছিল। পাকিস্তানের পতাকার জায়গায় পাড়ার প্রতিটা বাসায় সেই সব পোলে শোভা পেলো বাংলাদেশের পতাকা । কী যে গর্ব লাগতো ওই পতাকার দিকে তাকিয়ে দেখতে! স্বাধীনতা কী আমি জানতাম না, শুধু জানতাম এটা আমাদের পতাকা, এটা আমাদের দেশ, আমাদের যা খুশী তাই করবো, আর কেউ বাধা দিবে না। আমাদের স্কুল ছিল না, মা’র বকা শুনেও আমরা পড়তে বসতাম না। ঘুরে বেড়াতাম সারা পাড়া জুড়ে। সারাদিন-রাত খেলতাম। আমাদের পাড়ায় ১৫ থেকে ২৫ এর মধ্যে অনেক ভাই ও মামা-চাচা ছিলেন, ওনারা লাঠি ও কাঠের বন্দুক নিয়ে পাড়ার শেষ মাথার মাঠে যুদ্ধের মহড়া দিতেন। পালা করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে পুলিশরা এসে তাঁদের বন্দুক চালানো শেখাতেন। একাধারে রেডিও -টিভিতে দেশাত্ববোধক গান বাজানো হতো। পুরুষদের মধ্যে পাঞ্জাবী ও মুজিবকোট খুব জনপ্রিয় পোশাক ছিল তখন। এই পোশাকে অনেকে অফিসও করতেন। সরকার ফিরোজ উদ্দিন টিভিতে অনুষ্ঠান ঘোষণা করতেন মুজিবকোট পরে। সালাম দেবার পরিবর্তে সবাই সবাইকে জয় বাংলা বলে সম্বোধন করতো। খোদা হাফেজের বদলে জয় বাংলা বলা হতো।
জিন্নাহ এভিনিউ-এ(বঙ্গবন্ধু এভিনিউ)একটা নতুন দোকান খোলা হয়েছিলো “পিঠাঘর” নামে। বড় সাইনবোর্ডের নিচে লেখা ছিলো “বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি।” এই ধরনের দোকান এটাই প্রথম ছিলো বাংলাদেশে। তখন পিঠাঘরে যাওয়া একটা ক্রেজের মতো ছিলো। ওখানে শুধুমাত্র বাঙালিরা যেত। আমরা দল বেধে যেতাম ওখানে। সন্ধার পর কিছু করার নেই, চলো পিঠাঘরে যাই, ব্যপারটা এমন ছিলো। কী যে ভালো লাগতো! যুদ্ধের মাঝে “বাংলার” বদলিয়ে “দেশের মুখ আমি দেখিয়াছি” করা হয়েছিলো।(স্বাধীনতার পরে ওখানে চ্যানেল আই-এর সাগর ভাই খাবার-দাবার নামে একটা রেস্টুরেন্ট খুলেছিলেন)
তখন সব বড় বড় দোকানপাটই পাকিস্তানিদের ছিলো। বাঙালিরা পারতপক্ষে পাকিস্তানিদের দোকানে যেতো না। পাকিস্তানি জিনিস কিনতো না। তাই ওরা জিনিস পত্রের দাম খুব সস্তা করে দিয়েছিলো। বিশেষ করে পাকিস্তানি জিনিস। তবুও কেউ খুব একটা ওদের দোকানে যেত না।
আমার একটা কথা খুব পরিষ্কার মনে আছে। আল-আমিন বলে বায়তুল মুকাররমে একটা কাপড়ের দোকান ছিলো। ওখানে গেলে সবাইকে উর্দুতে কথা বলতে হতো। ওরা একদম বাংলা কথা বুজতো না। আমার মা উর্দু বলতে পারতেন না, উনি বলতেন, “ওই যে য্যারা পিলা কাপড়টা দেখাইয়ে তো ভাইয়া”। ওরা আমার মাকে খুব লজ্জা দিতো, কানের কাছে হাত নিয়ে “ক্যেয়া? ক্যেয়া?” বলতো। তাই আম্মাও উর্দু জানা কাউকে নিয়ে ওখানে যেতেন। ওরা খুব সস্তায় কাপড় দিচ্ছে জেনে আম্মা আর নিচ তলার চাচী গিয়েছিলেন ওদের দোকানে, আমিও সঙ্গে ছিলাম। আমরা দোকানে ঢুকতেই আল-আমিনের মালিক উঠে দাঁড়িয়ে “অ্যাসেন ভাবীজি কী দেখাইবো বলেন”।
আম্মারা ২৫ পয়সা গজে অনেক নেটের মশারীর কাপড় কিনেছিলেন। পুরো সময়টা আম্মা ওদের সাথে বাংলাতে কথা বলেছিলেন, আর ওরাও বাংলাতে উত্তর দিয়েছিলো।
আমি অবাক বিস্ময়ে ওদের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এই লোকগুলি তো বাংলা জানে এবং বোঝে, তাহলে আগে কেন ভান করতো যে, বাংলা বোঝে না।
প্রথমবারের মতো বাঙালী জাতি বদলে গিয়েছিলো, তারা বদলে দিয়েছিলো সবকিছু। আমরা পেরেছিলাম। তোমরা কি পারবে?
(চলবে)
মন্তব্য
সরকার কবির উদ্দিনের নাম শুনেছিলাম, তাঁরা কি তাহলে দুই ভাই ছিলেন?
হ্যাঁ। সরকার ফিরোজ উদ্দীন "আবার তোরা মানুষ হ" সিনেমাতে ববিতার বিপরীতে অভিনয়ও করেছেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চমৎকার ভাবী! স্মৃতিচারণমূলক লেখায় বেশির ভাগ মানুষ সৎ থাকতে পারেন না। অনেকে বর্তমান দিয়ে অতীতকে বানানোর-সাজানোর চেষ্টা করেন। আপনার সৎ-সরল বয়ান হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আপনি ব্যস্ত জানি, তবু সিরিজটা নিয়মিত চালাবেন বলে আশা করি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
--------------------------------------------------------------------------------
হ
--------------------------------------------------------------------------------
পরের পর্ব অতি শীঘ্রই চাই।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
লিখছি!
--------------------------------------------------------------------------------
খুব ভালো লাগলো। আপনাদের বাসা কি রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কাছে ছিল? আল-আমিনের গল্পটা শুনে মজা পেলাম। আরো অভিজ্ঞতা শোনার অপেক্ষায় থাকলাম। -রু
পরের পর্বে জানতে পারবে।
--------------------------------------------------------------------------------
দুর্দান্ত লেখা। সাবলিল বর্ণনা। দারুণ একটা সিরিজ হবে এটা। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
--------------------------------------------------------------------------------
চমৎকার একটা সিরিজ হতে যাচ্ছে এটা। খুব ভাল লাগল পড়ে
--------------------------------------------------------------------------------
খুব ভালো লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------------------------------
সিরিজের বাকী পর্বের অপেক্ষায়।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
--------------------------------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------------------------------
দুর্দান্ত লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তুমিও
--------------------------------------------------------------------------------
পড়ছি। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
--------------------------------------------------------------------------------
লিখছি
--------------------------------------------------------------------------------
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
লেখা ভালো লেগেছে।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
--------------------------------------------------------------------------------
চমৎকার!
পরের পর্বের অপেক্ষায়...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
--------------------------------------------------------------------------------
আচ্ছা।
--------------------------------------------------------------------------------
স্মৃতিচারণ কি করে এত নির্ভার হয়?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
তাই?
--------------------------------------------------------------------------------
এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। আপনার স্মৃতিচারণমূলক লেখা হতে পারে বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাস। একপেশে, বানোয়াট, ফরমায়েশী নয়।
খন্দকার আলমগীর হোসেন
--------------------------------------------------------------------------------
- একদম ঠিক। একপেশে, বানোয়াট, ফরমায়েশী ইতিহাসে বইভর্তি, বাজারভর্তি, মিডিয়াভর্তি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এবার আমি সত্যি লজ্জা পেয়ে গেলাম।
--------------------------------------------------------------------------------
১৯৭১ নিয়ে আপনার অকপট স্মৃতিচারণ পড়তে খুব ভালো লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায়.......
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
--------------------------------------------------------------------------------
চমৎকার স্মৃতিচারণ। চলুক...।
--------------------------------------------------------------------------------
আমিও বলি চমৎকার স্মৃতিচারণ।
পিঠাঘর, খাবার দাবার তারপর সেখানে এক ভিডিয়োর দোকান হয়েছিলো, নামটা এ মুহুর্তে মনে আনতে পারছিনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
ইমপ্রেস?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ধন্যবাদ রিটন ভাই, আপনার মেসেজ পেয়েছি। কখন ফোন করলে আপনাকে পাবো?
--------------------------------------------------------------------------------
অসাধারণ লেখা।
কি চমৎকার সব দিন ছিলো....বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ সময়ের স্বাক্ষী আপনারা........
আমাদের প্রজন্মের ব্যর্থতা ওখানেই। দেয়ালে এখনো আমাদের পিঠ ঠেকেনি তো ,তাই বোধ হয়.......
দেয়ালে এখনো আমাদের পিঠ ঠেকেনি তো
এটা কোনও যুক্তি হলো?
--------------------------------------------------------------------------------
কিছুটা দেরীতে হলেও পড়লাম। বলা বাহুল্য, বেশ ভাল লেগেছে। পরের কিস্তির অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------------------------------
দারুণ! চলুক
--------------------------------------------------------------------------------
অনেক ভালো লেগেছে, ভাবি। সিরিজ যেন না থামে!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বানান নিয়ে কিছু বল্লে না যে বড়?
--------------------------------------------------------------------------------
আমাদের প্রজন্মের কাছে এইসব স্মৃতিকথা বলে যাওয়া খুবই জরুরী।
স্মৃতিচারণ এমনিতেই আমার বেশ লাগে আর এটাতো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে। খুবই ভালো লেগেছে, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
--------------------------------------------------------------------------------
অনেক ভাল লাগলো। মন খারাপ করা ভাললাগা।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
মন খারাপ করা ভাললাগা কেন?
--------------------------------------------------------------------------------
এভাবে আর কেউ লেখেনা বা বলেওনা ৭১ এর কথা।মনে হয় তাই।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
--------------------------------------------------------------------------------
চমৎকার। চলতে থাকুক।
--------------------------------------------------------------------------------
লেখাটা খুবই ভালো লাগলো। ওই সময়কার এরকম আরও অনেক ঘটনা জানতে চাই। সময় পেলেই লিখবেন, প্লিজ। আর আমার অনেক শ্রদ্ধা জানবেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমারো অনেক শুভকামনা রইলো, আপনার মা কেমন আছেন?
--------------------------------------------------------------------------------
এই গল্পটা লেখা আপনার দায় ভাবী। আপনাদের মত যাঁরা সেসময় ছিলেন তাঁদের কাছে সেইসব দিনের গল্প শোনার জন্য আমরা কান পেতে থাকি।
মুক্তিযুদ্ধের গল্প মত রুপকথার চাইতে চমকপ্রদ। আসর ছেড়ে উঠছি না...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার যতটুকু মনে আছে লিখবো কথা দিলাম। কিন্তু সময়ের খুব টানাটানি। ধৈর্য্য ধরতে হবে কিন্তু!
--------------------------------------------------------------------------------
আমরা আর বদলাবো কী ভাবী, নিজেরাই তো বদলে যাচ্ছি! আপনারা পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন, এখন সেটা হয় না। পাকিস্তানের পতাকা বেশ গর্বের সাথেই এখন ওড়ায় ছেলেপেলে। পাকিস্তানী কাউকে বাংলায় কথা বাধ্য করে না এখন বাঙালীরা। উল্টো নিজেরাই গদগদ হয়ে ঊর্দূতে বাতচিত শুরু করে দেয়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেক অভিমান করে কথা গুলি লিখেছো বুঝতে পারছি। কিন্তু অভিমান কার উপর? নিজের দ্যায় এড়াতে পারবে? এদেরকে নির্লজ্জের মতো গালে পতাকা আঁকতে সুযোগ করে দিয়েছো এ প্রজন্মের তোমরা।
--------------------------------------------------------------------------------
আমার যা বলার ছিল সবাই সব বলে ফেলেছে। আমি বরং আপনার লেখার চিহ্ণ ধরে ইতিহাসের সেই অবাক সময়ের সত্যিটুকু জেনে নেই মনভরে।
নতুন মন্তব্য করুন