প্রথম পর্ব > দ্বিতীয় পর্ব > তৃতীয় পর্ব > চতুর্থ পর্ব > পঞ্চম পর্ব
ডেমরায় আমাদের একটা টেক্সটাইল মিল ছিলো, সেখানকার কেয়ার টেকার আয়েস আলী ২৮ মার্চ খুব ভোরে চলে এলো আমাদের ডেমরায় নিয়ে যেতে। আব্বাকে মাঝে মাঝে ওখানে গিয়ে থাকতে হতো, তাই মোটামুটি থাকার একটা ব্যবস্থা ছিলো। তবে এতজন লোকের থাকার ব্যবস্থা নিশ্চয়ই ছিলো না।
আম্মা তার পাড়াতো আপা-ভাবীদের ছেড়ে একা কোথাও যাবেন না, মরতে হয় সবাই একসাথেই মরবেন। এই ঘোষণা দেওয়ার পর সবাই একসাথেই ডেমরা যাওয়া হবে, ঠিক হলো। পরদিন সকালে আরো তিনটা পরিবার এসে হাজির। এদের মধ্যে আমাদের এক পাড়াতো মামীর ভাগনা বউ আর তার তিন ছেলে। পাঁচ থেকে দশের মধ্যে বয়স। সদ্য করাচী থেকে এসেছে। ছেলেগুলি একবর্ণও বাংলা বলতো না। সারাক্ষণ আম্মি-আম্মি করতো। পরে ওদের নামই হয়ে গিয়েছিলো ‘আম্মি কি আওলাদ’। আমরা যখন হেঁটে হেঁটে ডেমরা যাচ্ছিলাম, তখন এই আম্মি কি আওলাদরা বিহারীদের সাথে কথা বলতো। দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে আসতো। ওরা আমাদের খুব সাহায্য করেছিলো। এবং খুব দ্রুত বাংলা শিখে গিয়েছিলো।
আব্বা আর ওয়াপদা চাচা (তিনি ওয়াপদার ইন্জিনিয়ার ছিলেন) দুই মাইক্রোবাস ভরে আমাদের যতদূর গাড়ী যায় তত দুর এগিয়ে দিলেন। তাঁরা সব গুছিয়ে পরে আসবেন। এরপর শুরু হলো আমাদের এই বিরাট কাফেলার পায়ে হেঁটে এগিয়ে যাওয়া।
সবার আগে আয়েস আলী আমার চার নাম্বার বোন বাবলীকে কাঁধে নিয়ে পথ দেখিয়ে চলছিলো। পেছনে আমরা। চলার কোন রাস্তা নেই, খেতের আইলের উপর দিয়ে একে একে পথ চলা। প্রথম প্রথম খুব ফুর্তি সবার। তখনকার যত জনপ্রিয় দেশত্বোবোধক গান ছিলো সেগুলি গাইতে শুরু করলো সবাই।
প্রথম গানটা ছিলো "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি”। শুধু প্রথম দশ লাইন নয়, সেদিনই আমি পুরো গানটা শিখেছিলাম। আমাদের সাথে মেজবা ভাইদের (ডাক্তার মামার ভাতিজা, তার বাবা মুসলিম লিগের এম পি ছিলেন) ৮/১০ জনের একটা গ্রুপ ছিলো, তাঁরা ইন্ডিয়া যাবেন যুদ্ধের ট্রেনিং নিতে। মেজবা ভাই তাঁর ভরাট গলায় উঁচু স্বরে প্রথম লাইনটা গাইছিলেন। আমরা পরে তাঁকে অনুসরণ করছিলাম।
তারপর একটা সময়ে সবার উৎসাহে ভাটা পড়লো। ঝিমিয়ে পড়লো সবাই। কী ক্লান্তিকর একঘেয়েমী এই পথচলা। আমি আয়েস আলীর হাত ধরে হাঁটছিলাম, হয়ত ভেবেছিলাম যে, ওর সাথে সাথে চললেই সবার আগে পৌঁছাতে পারবো, এই রকম আর কী! একটু পর পর জিজ্ঞেস করছিলাম ‘আর কতদূর? আর কতদূর?’ ওর উত্তর ছিলো ‘ওই যে গাছটা দেখা যায় ওইটা পার হইলেই’।
ওই গাছটা পার হয়ে আর একটা গাছ আসতো, সেটা পার হয়ে আর একটা। কিন্তু আমদের আর কোথাও পৌঁছানো হচ্ছিলো না।
আমাদের সময় পরিবারগুলোতে চার থেকে ছয়টা বাচ্চা ছিলো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। এবং বেশির ভাগ বাচ্চাগুলি বাসাতেই হতো। আমাদের পাড়ায় কালার মা বলে একজন ধাত্রী থাকতো। তার হাতেই সব বাচ্চা হতো। তখন পর্যন্ত আমার জানা ও দেখা মাফিক বাচ্চাদের পৃথিবীতে আগমনের পদ্ধতি ছিলো এই রকম: যে বাড়ীতে বাচ্চা হবে সে বাড়ীতে একটা হাঁড়িতে এক হাঁড়ি পানি গরম বসিয়ে তারপর মশারী খাটানো হতো। যার বাচ্চা হবে তাকে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো মশারীর ভেতর । কালার মা এসে গরম পানি দিয়ে হাত ধুয়ে মশারীর ভেতর ঢুকতো। কিছুক্ষণ পর কালার মা হাতে করে একটা বাচ্চা নিয়ে বের হয়ে আসতো। আমাদের পুতুলদের যখন বাচ্চা হতো তখনও আমরা এই পদ্ধতিই অনুসরণ করতাম।
ওপরে একটা খড়ের চাল, নিচে একটা সবুজ-সাদা চেক চাদরের ওপর নতুন চাচী শুয়ে আছেন। আর একটু পর পর আল্লাহ রে-রে-রে, মা-রে-রে-রে বলে চিৎকার করছেন। নতুন চাচীর শরীর খারাপ হওয়াতে আমরা ক্ষেতের পাশে এই চালাঘরের কাছে বসে ছিলাম। স্বপন মামারা (পাড়াত মামা, তাঁরাও ইন্ডিয়া যাবেন ট্রেনিং নিতে) মিলে কাছের গ্রাম থেকে একটা ঠেলাগাড়ীর মতো জিনিস নিয়ে আসলেন। ঠিক ঠেলাগাড়ী নয়। চারকোনা একটা কাঠের সাথে সাইকেলের দু’টো চাকা লাগানো। নতুন চাচীকে ওখানে ধরে ধরে শোয়ানো হলো। আমরা যখন গ্রামটাতে পৌঁছালাম, তখন একজন হুজুর টাইপের লোক বাইরে দাঁড়িয়ে আজান দিচ্ছিলেন। সেটা আছর না মাগরিব তা মনে নেই।
এর পর যা মনে করতে পারি সেটা সকাল বেলা, একজন বয়স্ক মহিলা আমার হাতে এক টুকরা কাঠকয়লা দিয়ে বললো, “মুখ ধুইয়া আসো।” আমি কয়লাটা নিয়ে আমিন আলীকে খুঁজতে শুরু করলাম, আমিন আলীকে খুঁজতে গিয়েই নতুন চাচীর চিৎকার শুনলাম আবার। এগিয়ে গিয়ে দেখলাম, একটা ছনের ঘরের মতো জায়গায় হোগলার চাটাইয়ের ওপর নতুন চাচী শুয়ে আছেন আর থেকে থেকে চিৎকার করছেন। তবে তেমন জোর নেই গলায়, কেমন ভাঙা ভাঙা স্বর। তাঁকে ঘিরে অনেকেই বসে আছেন, তার মধ্যে আমাদের বুয়া ও আম্মাও আছেন। আম্মা আমাকে দেখে চোখের ইশারায় চলে যেতে বললেন।
আমি আবার আমিন আলীকে খুঁজতে শুরু করলাম। ওকে খুঁজতে গিয়েই পুরো জায়গাটা আমার দেখা হয়ে গেলো। কেমন বস্তির মতো খুবই হতদরিদ্র অবস্হা গ্রামটার। গনি মিয়ার বস্তি এর তুলনায় অনেক ভালো। একটাও ভালো ঘর নেই। সব বেড়া ও খড়ের ঘর। উঠানের মাঝখানে একপাল উলঙ্গ ছেলে-মেয়ে মাটিতে হুটোপুটি করে একটা কুলোর ওপর থেকে মুড়ি খাচ্ছে। আর আমিন আলী আমার ছোটবোন শিমুলকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাই দেখছে। আমি আমিন আলীকে বললাম, “চল, একটা মশারী খুঁজে বের করি।”
“মশারী দিয়া কি ইইবো?"
“দ্যাখ না, নতুন চাচী কষ্ট পাচ্ছে, মশারী ছাড়া নতুন চাচীর বাচ্চা কেমন করে হবে?”
“এগো মশারী নাই, এরা নালার পানি খায়। এরার খাওনের পানিই নাই তর আবার মশারী!”
“তাহলে?”
“চিন্তা কইরো না, ডাকতর আনতে গেছে।”
কিন্তু আমার চিন্তা গেলো না, ডাক্তার এসে কি করবে? মশারীই তো নেই। ডাক্তার এসেছিলেন অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে অনেক পরে, এবং রক্তে ভেসে যাওয়া নতুন চাচিকে ঢাকায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। নীচতলার চাচার পরিবারও তার সাথে ঢাকায় ফিরে গিয়েছিলেন।
নতুন চাচির বর ছিলেন আমাদের নিচতলার চাচার ছোটবেলার বন্ধু। নিজের, কাছের কেউ ছিলো না, তাই নিচতলার চাচারাই ছিলেন তাঁর পরিবার। ৪৪/৪৫ বছরের মতো বয়স ছিলো। দেখতেও ভালো ছিলেন না। ঠাকুরগাঁয়ে পোস্টিং ছিলো। সেখান কোথায় যেন চিফ ইণ্জিনিয়র ছিলেন। অনেক টাকা ছিলো তাঁর। তিনি ৭০ সালের জানুয়ারিতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও ঢাকা ক্লাবে বিরাট পার্টি দিয়ে বয়সে অনেক ছোট আর অসম্ভব সুন্দরী (২৩/২৪) নতুন চাচিকে বিয়ে করেছিলেন।
বিয়েতে আমাকে একটা ক্যানক্যান দেওয়া লেসের হলুদ রঙের জামা দিয়েছিলেন। চাচির কী যেন সমস্যা ছিলো প্রেগনেন্সি নিয়ে,তাই ঢাকায় চলে এসে ডক্টর টি এ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তাঁর শরীর খারাপ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে অবস্থার পরিপেক্ষিতে আমাদের সবার সাথে ঢাকা ছাড়তে হয়েছিলো। অনেকক্ষণ ধরে পায়ে হাটার জন্য তার হ্যামারেজ শুরু হয়। সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়াতে তাঁর মিসক্যারেজ ও সেই সঙ্গে স্থায়ী কিছু সমস্যা হয়ে যায়। যার দরুন পরবর্তীতে তাঁর আর মা হয়ে ওঠা হয়নি। তার স্বামী বাচ্চার জন্য আবার বিয়ে করেছিলেন। নতুন চাচি কোথায় আছেন, কেমন আছেন, জানি না। তাঁর নামটাও আমার মনে নেই। গত ৩৫ বছর তাঁর কোনো খোঁজ জানি না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর অনাগত প্রথম এবং একমাত্র সন্তানকে। সেই সঙ্গে চিরদিনের মতো বিসর্জন দিয়েছিলেন মা হবার স্বপ্ন। তাঁর ও তাঁর মতো আরো অনেকের অগণ্য উৎসর্গের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই স্বাধীনতা! এই বাংলাদেশ!
হয়তো তোমরা বলবে, তিনি তো আর যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেননি। হ্যাঁ, তা করেননি, সত্যি। কিন্তু সে সময় জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অনেক মানুষ অনেক অমূল্য কিছু হারিয়েছে, যা কোথাও লেখা নেই। আমাদের এই স্বাধীনতা আমাদের জনগণের সম্মিলিত অর্জন। যুদ্ধে জীবন দেয়ার তুলনায় তাদের আত্মত্যাগের মহিমা খুব ছোট করে দেখার উপায় নেই। এটা মনে রাখা প্রয়োজন।
মন্তব্য
শুধু পড়ে যাচ্ছি আপাতত।
আপনার এই সিরিজটার অপেক্ষায় থাকি। দয়া করে লেখা থামাবেন না। নিয়মিত না পারলে আপনার সময়-সুযোগ মতোই লিখুন।
প্রচন্ড ব্যস্ততায় দিন-রাত কাটে। তার মাঝেই একটু অবসর পেলে লিখতে চেষ্টা করি। অন্তত এই লেখাটা শেষ করতে চাই। পারবো কিনা জানি না। ধন্যবাদ রিসালাত।
--------------------------------------------------------------------------------
আয়েস আলী হঠাৎ করেই আমিন আলী হয়ে গেছে!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই, আয়েস আলী আর আমিন আলী দু'জন আলাদা মানুষ। আগের পর্বগুলিতে আমিন আলীর কথা উল্লেখ আছে। লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------------------------------
শেষের আগের প্যারা পড়ে গায়ে কাঁটা দিয়ে চোখ ছলছল করে উঠলো । সত্যি, যারা হারিয়েছে শুধু তারাই বোঝে কতটুকু হারাল । আমার জন্ম যুদ্ধের অনেক পরে হলেও আমার পরিবারকে যুদ্ধ যতটুকু ছুঁয়েছিল সেটা সামলাতেই আমাদের অনেক বছর লেগেছে এটা জেনেছি ভালো ভাবেই ।
সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো কম-বেশী প্রায় সব পরিবারই। অথচ আজ শুনতে হয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নাকি 'গন্ডোগোল' ৭১ নাকি 'গন্ডোগোলের সময়'!
--------------------------------------------------------------------------------
যুদ্ধজয়ের গল্পে যে কত অশ্রুর লেখা মিশে থাকে আবার নতুন করে উপলব্ধি করছি।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমাদের যুদ্ধ কী ছিল শুধুই 'যুদ্ধজয়ের' জন্য? আমরা কী এই যুদ্ধ চেয়েছিলাম? আমার লেখা পড়ে আপনার যদি মনে হয় আমি যুদ্ধজয়ের কথা লিখছি তাহলে আমার খুব খারাপ লাগবে রোমেল।
--------------------------------------------------------------------------------
আমরা তো প্রতিনিয়তই যুঝে যাচ্ছি। সেই যুদ্ধে হয়ত শত কামানের খই ফোটানো গর্জন নেই, নেই শত হরিদাসীর সিঁথির সিঁদুর মুছে যাবার করুণ কাহিনী। কিন্তু ক্রমে ক্রমে বিবর্ণ হয়ে যাওয়া একটি সমাজের নিস্ফল আর্তি তো আছে।
রণ কিম্বা মনযুদ্ধ, যেকোন যুদ্ধই হোক না কেন যুদ্ধে লিপ্ত কিম্বা নিবেদিত সব পক্ষের লক্ষ্য একটিই, তাহলো যুদ্ধজয়। পরমার্থে তা হতে পারে অর্জন কিম্বা আগ্রাসন। 'যুদ্ধজয়' একটি অর্থবহ শব্দ, রণক্ষেত্রকে ছাপিয়ে তা বিজয়ের নান্দীমুখ দিয়ে পরমার্থ অর্জনের অন্তঃপুরে প্রবেশ করে।
একাত্তরে আমার ও আমার মায়ের চোখের সামনে পাকিস্তানী জন্তুরা আমার নির্দোষ-নিরীহ নানাভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমার প্রকৃত বয়স নিবন্ধিত বয়সের চাইতে বেশী হওয়ায় তখন সে দৃশ্যে স্তম্ভিত হবার মতো বোধ ছিল আমার। আমি আজও সেই দৃশ্য দেখে রাতে-দিনে চমকে চমকে উঠি। মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না তিনি, মানুষ ছিলেন তো!
আমরা কি জন্য যুদ্ধ করেছি তা এই কৃপণ মনকে যতটুকু না ভাবিত করে, তারচেয়ে বেশী দগ্ধ করে আমার মায়ের চোখের শুকিয়ে যাওয়া নদী আর হাহাকারে দীর্ণ বুক। ঐসব মহান প্রাপ্তির কথা সহস্র মহৎ হৃদয়কে আলোড়িত করবে হয়ত, আমার মতো স্বার্থপর স্বজনহারাকে নয়।
আপনাকে কেন, কাউকেই কষ্ট দিতে আমার মন টানে না। তবে বিজয়ের গাথা যে জন্য লিখছেন সেটিও আমাকে আর সর্বত্যাগে ব্রতী করে না। ভালো থাকুন, অনেক সোনার মানুষের ভিড়ে একজন সাধারণ রোমেলের কথায় মনে ব্যথা পাওয়া নিরর্থক। অশ্রুত্যাগের চাইতে বড় ত্যাগ আপাততঃ আমার চৈতন্যের এস্রাজে করুণ সুর তোলে না।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
পড়ছি...
চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ্যাঁ, কচ্ছপের মতো!
--------------------------------------------------------------------------------
পড়ছি...
ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------------------------------
লেখাটা পড়ে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ রু।
--------------------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশে এমন পরিবার খুব কমই আছে যেখানে '৭১ আঁড়চ ফেলেনি। তারপরও আশ্চর্য লাগে সেই অবিস্মরণীয় সময়টার কথা অনেকেই দিব্ব্যি ভুলে থাকেন কিভাবে যেন! নতুন চাচীর মত আরো হাজারও মানুষের আত্নত্যাগ ভুলে যেতে পারি বলেই হয়ত এত সম্ভাবনাময় দেশটার উন্নতি হচ্ছে না কিছুতেই! এমনটাই আমার দাদীমা বলতেন প্রায়। হয়ত সত্যি কথা। হয়ত এটা নিছকই এক গ্রাম্য বুড়ির ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে অসহ্য লাগলো সবকিছু এমনকি নিজেকেও..................
কাকীমণি,
তুমি আমাকে চিনবা না। তোমার লেখার লিঙ্ক পেলাম চতুর্মাত্রিকের এক ব্লগারের থেকে। তাঁর সাথে জুবায়ের কাকা কথা প্রসঙ্গে এসেছিল তোমার লেখার কথা। অসাধারণ হচ্ছে। সব শেষে এটাকে বই হিসাবে দেখতে চাই। ডোরা-অর্ণবকে ভালবাসা দিও। তোমাকে নিরন্তর শুভকামনা।
সাধারণ মানুষের document অনেক জরুরী। ইউরোপে দেখেছি ২য় আর ১ম বিশ্বযুদ্ধের উপর সাধারণ মানুষের লেখা আর ছবি। বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ লেখেন না, লেখেন নেতারা!
কাকীমণি. চলুক!!!
যতবার নতুন পর্বের আশায় আসি, প্রথম থেকে আবার পড়া শুরু করে দেই। সপ্তম পর্বের অপেক্ষা কবে শেষ হবে? দারুন হচ্ছে লেখা এককথায়। আপনার জন্যে অনেক শুভকামনা আর ভালবাসা।
রুদ্ধশ্বাসে পড়ে শেষ করলাম সবগুলো পর্ব। রুদ্ধশ্বাস কথাটার মানে খুব তীব্রভাবেই উপলব্ধি করলাম আজ।
দিদি, আমি আপনের পুরা পাগলা ভক্ত হয়ে গেলাম...... । নিজেদের ইতিহাস এক সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে.........অসাধারণ
আপা, আপনি প্রতিটি লিখার শেষে যে ম্যাসেজটা দেন আমি তার জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই সবচাইতে বেশী, একজন বয়স্য মানুষ তার দায়ীত্ববোধ থেকে এই কাজটা একটা প্রেক্ষাপট তৈরী করে করে করে যাচ্ছেন আমাদের জন্য, এর তুলনা হয়না। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম আমি, আমাদের সময়টা কেটেছে দেখে দেখে, ঠেকে ঠেকে তারপর শিখে শিখে। একজন আপনার লেখায়, কঠোর উপদেশে আমি প্রণতি জানালাম। জয়তু!!
নতুন মন্তব্য করুন