আমেরিকা উন্নত দেশ। ঠিক। আমেরিকা অনেক এগিয়ে গেছে। ঠিক। আগামি ৫০ বছরেও বাংলাদেশ আমেরিকার ধারে কাছে আসতে পারবে না। হয়ত সেটাও ঠিক। এতোদিন এই সব কথাই শুনে, বলে ও বিশ্বাস করে আসছিলাম, কিন্তু একযুগ পর এবার বাংলাদেশে গিয়ে সে ধারণা হলো সেটাই এখানে একটু বিস্তারিত বলার চেষ্টা করছি। তার আগে একটু গৌড়চন্দ্রিকা সেরে নেই।
আমরা এখানে (মার্কিন মুলুক) যারা ইন্ডো সাব-কন্টিনেন্টাল থেকে এসেছি, তাদের বাড়িতে দেশি বিদেশি হেন-তেন অনেক জিনিস থাকে। আমাদের বাড়িতে ঢুকলে কম-বেশি কার রুচি কেমন, টাকা-পয়সা কেমন এসব ঘরের ইতি-উতি ও জিনিসপত্র দেখেই বোঝা যায়। যদিও এসবের আশি ভাগ জিনিস-ই একজনেরটার সাথে অন্যজনেরটার মিল পাওয়া যায় না, শুধু একটা জিনিস ছাড়া। সেটা হলো বদনা। সবার বাড়িতে গেলে দেখা যাবে বদনা বা ওই জাতীয় একটা বস্তু তাদের বাথরুমে শোভা পাচ্ছে। মাঝে মাঝে কারো কারো বাসায় টয়লেট টিসুর অনুপস্হিতি থাকলেও বাদনা হিসেবে ব্যবহারিত জিনিসটির অনুপস্হিতি বড় একটা দেখা যায় না। কোকের খালি বোতল, ফুলের গাছে পানি দেবার ঝাঝরি, প্লাষ্টিকের বড় গেলাস বা ওই ধরণের কিছু, আর খুব ভাগ্যবান হলে তাবলীগ জামাতিদের সেই বিখ্যাত প্লাস্টিকের বদনারও দেখা পাওয়া যায়। দেখতে যেমনই হোক না কেন? ওগুলি আসলে বদনা ফর্মেই ব্যবহার হয়। শুধু এদের বাড়িতে কেন? এদের রেস্তোরা ও দোকান-পাটেও ওই জিনিস শোভা পেতে দেখা যায়। আমার বাড়িতেও আছে। গোটা দু’য়েক ফুলের গাছে পানি দেবার ঝাঝরি, যা আমি বা আমরা বদনা হিসেবে ব্যবহার করি। তো বিশেষ কর্মটি করার পর পানি খরচ করার কাজটা এই জাতীয় লোটা, গ্লাস, ঘটি, বাটি দিয়েই চালানো হয় বলেই এতোদিন আমি জেনে এসেছি। এর যে অনর্থ দেখিনি তা নয়, বাস্তবে একবার মাত্র, আর সবটাই টিভি, সিনেমা বা সাদ্দাম হোসেনের স্বর্ণ নির্মিত হাম্মামখানার ভিডিওতে।
বাংলাদেশ এখন অনেক পুরোনো রীতিনীতি থেকে বেড়িয়ে এসেছে। ছেলে-মেয়েরা বন্ধুর মতো আড্ডা দেয়, একসাথে হাত ধরে রাস্তা দিয়ে হেটে যায়। তাদের পোষাক পরিচ্ছদেও অনেক আধুনিকতার ছাপ, আধুনিকতার ছাপ তাদের চোখে-মুখে, চলনে-বলনে। সেই সংগে চোখ ধাঁধানো দোকান-পাট। উচু উচু বাড়িঘরের পাশাপাশি ঝকঝকে নামি দামি মডেলের পুরো লোডেড গাড়ি। খুব ভালো, তবে আগে থেকেই এ ধরণের জীবন দেখা বলে, অভস্ত্য চোখে ভালো লেগেছে, বাংলাদেশের উন্নতিতে খুশি হয়েছি কিন্তু অবাক হইনি। অবাক হলাম এবং এতোবছর পর আমেরিকা থেকে গিয়ে আমি পুরোপুরি ক্ষেতু বনে গেলাম, নাকাল হলাম, নাকানি চুবানি খেলাম যার জন্য তার কথায়ই বলতে এসেছি।
এবার আসি আসল কাহিনিতে...
ঢাকায় নেমে প্রথম অভিজ্ঞতা হলো, ধাক্কা খাওয়া, তাও আবার বাথরুমে গিয়ে, আরে বা! হেব্বি মানজ্জার বাথরুম! দেখে ভারি পুলোকিত হলাম, ...তবে সবই আছে, বাথরুমের সাথে রং মিলিয়ে টয়লেট টিসু, হাত মোছার তোয়ালে এমন কী এয়ার ফ্রেসনার পর্যন্ত! কিন্তু আসল জিনিসই নাই, বদনা কই? ভাবলাম V.I.P লাউজ্ঞের বাথরুম, সেখানে ছেদো বদনা কেমনে থাকে? দেশের একটা ইজ্জত আছে না?
বাসায় এসেও একই অবস্হা! টয়লেট টিসু আছে, কিন্তু বদনা নাই। আরে বদনা কই? বাড়ীর লোক এতো বিদেশী হলে কেমনে চলে? বের হয়ে এসে দিলাম ননদকে একটা ঝাড়ি! বিষয়টা কী ভাই? বদনা কই? ননদ চোখ কপালে তুলে “ওমা আমরা তো বদনা ব্যবহার করিনা, হান্ড শাওয়াল দেখোনি?” হান্ড শাওয়াল? সেইটা কী? খায় না মাথায় দেয়?
আমার আসা উপলক্ষে বাড়ি ভর্তি মানুষজন। সবার সব ধরণের কৌতুক, পচানী ও হাসাহাসির মাঝে ননদ হান্ড শাওয়ারের মুর্তি উন্মোচন করলো। গেলো আমার বেলুন ফুঁটে! দেশে গিয়ে যে একটু বিদেশি ফুটানি মারবো তার আর উপায় রইলো না। কিছু বলতে গেলেই এখনো বদনা ব্যবহারের খোঁটা শুনতে হতো। তবে যাই হোক না কেন, এই জিনিস দেখে আমি তো বেজায় মুগ্ধ, আরে বাপ! এতো দারুণ জিনিস। COOL! ভাবলাম বড়ো লোকদের কারবার। ভেতরে জিনিস থাকলে এমন আর্মৃত্তি তো বানানো যায়ই। কিন্তু না, তারপর যেখানে যাই সেখানেই এই জিনিস। এক সপ্তাহ পর গেলাম বগুড়া, তারপর জয়পুরহাট, অবশেষে অজো পাড়া গা দো-গাছিতে। সব জায়গায়তেই হান্ড সাওয়ার তার স্বকীয় মহিমায় বিদ্যমান।
বাংলাদেশ এখন বদনা কালচার থেকে পুরোপুরি(?) বেরিয়ে এসেছে। এখন বাংলাদেশে আর বদনা ব্যবহার হয় না। হয় আন্ড-শাওয়ার নামক এক অধুনিক ‘জিনিস’। বাংলাদেশ এই একটা জায়গায় আমেরিকা থেকে এগিয়ে গেছে।
এখানে ফিরে এসে প্রথম গেলাম হোম ডিপোতে। কিনলাম কিচেনের স্পেয়ার ফসেট।(Sprayer Kitchen Faucet)লোক ডেকে সেটাকে লাগালাম বাথরুমে। হয়ে গেলো হান্ড শাওয়ার। লোকে আসে, অবাক হয়! আমি মুচকি মুচকি হাসি আর মনে মনে বলি...
জয় মা হান্ড শাওয়ার! বেচে থাকো মা! দেশের ইজ্জত রেখো মা।
মন্তব্য
--------------------------------------------------------------------------------
হা হা হা হা
এইটা আমার পরিচিত দুটো পরিবারও আমেরিকা থেকে এসে দেখে খুব অবাক হয়েছিল| ভারতে এর ঠিক আগে মানে ধরেন বছর পাঁচেক আগে 'জেট স্প্রে' বলে আরেকটা জিনিষ খুব চলত| সেইটা প্যানের মধ্যে ফিট করা থাকে আর কল খুললে তীব্র জলের ধারা জায়গামত এসে ভাল করে ধুইয়ে দেয়| তো সেটা ফিক্সড জিনিষ, তার চেয়ে হ্যান্ড শাওয়ার (কোথাও কোথাও আবার টেলিফোন শাওয়ারও বলে) বেশী সুবিধাজনক|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আমরা আমেরিকায় থাকা পাবলিক যে খুব ক্ষেত এটা জেনে খুব মজা পেলে তাই না? রক্ষে করো ভাই, আর জেট স্প্রে দিয়ে কাজ নেই! আগে হ্যান্ড শাওয়ারের সাথে একটু ভাব করে নেই।
--------------------------------------------------------------------------------
আমেরিকানরা এদিক থেকে চিন্তা করলে গুহামানব পর্যায়ে আছে। প্রাকৃতিক কাজ সেরে ঘাসলতাপাতা-খড়কুটা (টিস্যু) দিয়ে ঘষে দে দৌড়। আধুনিকতা ওটুকুই- ঘাস-খড়ের পরিবর্তে নরম পেলব টিসু দিয়ে মোছে।
আপনার লেখা পড়ে মজা পেলাম।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
হা হা হা
--------------------------------------------------------------------------------
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
--------------------------------------------------------------------------------
কাট
--------------------------------------------------------------------------------
কাট
--------------------------------------------------------------------------------
আরে এতো লজ্জা দিতে হয় নাকি? তাই বলে এক্কেবারে গুহামানব! তবে আজ-কাল বাংলাদেশে ও সবাই কিন্তু টয়লেট টিসু ব্যবহার করে!
--------------------------------------------------------------------------------
দারুণ।
টয়েলেটে হ্যান্ড শাওয়ার (যেটার নাম দিয়েছি আমি বদ-শাওয়ার, এতে অন্তত বদনার আগাটা বেঁচে থাকবে) খুবই কাজের।
মার্কিন দেশেও ঠিক বাংলাদেশের মতো হ্যান্ড শাওয়ার পাওয়া যায়। কোনো একটা ওয়েবসাইটে বেচে এটা, সেই সাথে ওটা নিজে ইনস্টল করার ভিডিও নাকি আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পাওয়া গিয়ে লাভ কী? কেউ তা লাগায় না! তুমি লাগিয়েছো নাকি?
--------------------------------------------------------------------------------
ঠাণ্ডার দেশে যে বদনা আবিষ্কৃত হয়নি সেটা খুব যথার্থ মনে হয় আমার! ১০০ বছর আগে তো আর এদের এরকম সবসময় গরম পানির ব্যবস্থা থাকতো না! সেই যুগে বদনা ব্যবহারের বিড়ম্বনার কথা ভাবি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আচ্ছা ১০০ বছর আগে ওরা কী ব্যবহার করতো? টিসু পেপার? না শুধু পেপার? সে তুলনায় ঠান্ডা পানি মনে হয় খুব একটা খারাপ না।
--------------------------------------------------------------------------------
মজা প্লাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কেমন আছো তুমি?
--------------------------------------------------------------------------------
হা হা হা।
গত বছর দেশে গিয়ে বদনার পরিবর্তে হ্যান্ড শাওয়ারের ব্যবহার দেখে আমিও বিশাল টাশকি খেয়েছি।
বাঙালির 'বদনা কালচার' থেকে বের হয়ে আসা আমার কাছে একটা বিশাল এচিভমেন্ট বলে মনে হয়।
ইশ! এই টাশকির কথা একটু শেয়ার করলে আমি কি আর এমনি করে নাকাল হই!
আমার মতে খুব বেশি হলে আর দশ বছর, তারপর আর কেউ আমাদের দেশকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। এমন কী এই নোংড়া রাজনৈতিক নেতারাও না।
সর্বস্তরে মোবাইলের ব্যবহার দেখেও বিশাল একটা ধাক্কা খেয়েছি। এটাও একটা বিরাট অর্জন।
--------------------------------------------------------------------------------
দারুন মজা পেলাম । এই বস্তুটির ব্যবহার যে ওদিকে নেই তা তো জানতাম না
--------------------------------------------------------------------------------
হ্যান্ড শাওয়ার আমাদের দিয়েছে বেগ কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ। বদনার মধ্যে যেরকম রোমান্টিক একটা ব্যাপার আছে, হ্যান্ড শাওয়ারে সেটা কোথায়?
_________________
[খোমাখাতা]
বদনার রোমান্টিক ব্যবহারটা আপনি ও জানেন
আমি আরো ভাবসিলাম এটা আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের সিক্রেট
মানুষের জীবনের অনেক আবেগের কথা শুনেছি। বদনা নিয়ে যে আবেগ আর রোমান্টিকতা থাকে তা এই প্রথম জানলাম। ভালো, খুবই ভালো।
--------------------------------------------------------------------------------
আমরাই পারবো আগামীকে জয় করতে (**** ছাড়াই) কারন আমাদের আছে - - - - -
অবশ্যই!
--------------------------------------------------------------------------------
ক্যানাডা আইসেন না ঠান্ডা-গরম পানির মিক্সারের দাম ১২০০ ডলার। নাইলে গরমে অথবা ঠান্ডায় পশ্চাদ্দেশের খবর হয়ে যায়।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
দেশ থেকে যারা কানাডাতে আসতে চায় তাদের এইটা জানা থাকা অতি জরুরী!
--------------------------------------------------------------------------------
ইয়ে, কানাডা প্রবাসীরা কী করেন তাইলে?!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বাঘের উপর ঘোগ থাকে।
হ্য়ান্ড শাওয়ারের উপরে আছে বিডে'।
http://www.flickr.com/photos/69851574@N02/6684556017
তারও উপরে আছে জাপানি ঝরনা।
http://www.flickr.com/photos/sarahjoy37/140620345/
তুমি কি জাপান থাকো? জাপানে বেড়াতে গেলে ---- একটা শর্ট কোর্স করে যেতে হবে দেখছি!
--------------------------------------------------------------------------------
খাইসে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বিডে বেশিরভাগ জায়গায় থাকেন না। তবে ভাই বদনার উপর কিছু নাই । আমার ঘরে বিডে আছে কিন্তু মজা পাই না
--------------------------------------------------------------------------------
বেশ মজা পেলাম।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
--------------------------------------------------------------------------------
চেহারা যেমনই হোক বদনা যে কি উপকারী জন্তু সে দরকারের সময় হাতের কাছে যারা পায়নি তারাই বোঝে। দেশের বাইরে গিয়ে একবার মোক্ষম সময়ে হাত বাড়িয়ে দেখি, নাই ! সে যে কি বিপদ যে জানে সেইই জানে !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মনে করো পানি নাই। তখন ?
--------------------------------------------------------------------------------
আমেরিকায় হ্যান্ড শাওয়ার ব্যাপারটা নতুন জেনে অবাক লাগল। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে তো নতুন যেকোন বিল্ডিং এ অবধারিত ভাবে হ্যান্ডশাওয়ার থাকে।
আপনি মার্কিনমুলুকে ব্যাক করে প্রথমেই এইটা নিয়ে লিখলেন! বোঝাই যাচ্ছে বড়সর টাশকি খেয়েছেন।
হাই কমোডে বদনা বা ঝাঁঝড়ি কিছু ব্যবহারই সুবিধার না যাই বলেন। বাথটাবে নেমে...
তবে কথাটা ঠিক নেসেসিটি ইজ দ্য মাদার অফ ইনোভেশন, যেখাঙ্কার মানুষের যা দরকার।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যতো কিছুই হোক, বদনার উপরে কোনো জিনিস নাই। এইসব হ্যান্ডম্যান্ড শাওয়ারের অভিজ্ঞতা সুখকর না। একবার কম্ম সাবাড় করে জলস্রোতের গতিবেগ ঠিকঠাক করার আগেই আমার জামাকাপড় ভিজে শ্যাষ। আরেকবার, জলের উষ্ণতা পরিমাপে ব্যর্থ হয়ে কম্ম সাবাড়ের পর ফ্যানের ডাইরেক্ট বাতাস ছাড়তে হয়েছে জায়গামতো! তারপর ধরছি কানে। যে কোনো অবস্থাতেই হোক, বদনাহীন বদন নিয়ে আমি আর হাগনকুঠিতে ঢুকি না। নিরুপায়ে দেড় লিটারি কোক নাইলে মিনারেল ওয়াটারের বোতল।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভেতরে জিনিস থাকলে এমন আর্মৃত্তি তো বানানো যায়ই
facebook
আমেরিকায় অনেক বাঙ্গালী বাসায় বদনা বা পানি নেবার কিছু থাকে না। সেসব বাসায় বাথরুমে গিয়ে বেশ বিরক্ত লাগে। আমরা যারা পানি ব্যাবহার করি আমাদের ছেলে মেয়েরাও সেটাতে অভ্যস্ত হয়। এমনকি কলেজের
হস্টেলে পানি ব্যাবহারের জন্য বোতল বা প্লাস্টিক এর গ্লাস রাখে।
লেখাটি পড়ে বেশ মজা পেলাম।
বদনা নিয়ে হিমুর মন্তব্য আশা করছি।
কিছু রেডনেক আমেরিকান কোন দেশ থেকে আসছি জানলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে জিজ্ঞেস করে তোমাদের বাসা বাড়িতে কি রানিং ওয়াটার আছে? ও মাই গড! রানিং ওয়াটার ছাড়া তোমরা কেমন করে থাক?? , ইত্যাদি ইত্যাদি।।।। মনে মনে বলি, " ব্যাটা তোদের রানিং ওয়াটার থেকেই বা কি লাভ, হেগে পানি নেওয়া তো শিখিস নাই।।"
ভাড়া বাসা না হইলে হ্যান্ড শাওয়ার লাগায় ফেলতাম কবে।।।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
রানিং ওয়াটার কী?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কল ছাড়লে পানি আসে এইটাই রানিং ওয়াটার। তাই নিয়ে ভাব মারা দেখেন কত! গা জ্বলে যায়!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
। আমেরিকাতে আসার সময় খুব যত্ন করে বদনা আনছি । সব কিছু বাদ যাক এই জিনিসটা চাই ।
নাওয়ারিদ
হাই কমোডে বদনা ব্যবহার ঝামেলার। এর চেয়ে হ্যান্ড শাওয়ার ভালো। তবে পানির বেগ নিয়ন্ত্রণে শতভাগ সফলতার অভাবে ন্যাক্কারজনক ঘটনার ইতিহাস আছে
আমেরিকাতে প্রথম বদনা ব্যাবহার করতে গিয়ে দেখি বদনাটা ম্যানলি না মানে ফ্লো একেবারেই নাই। বেশ পরে নিজের বাসার জন্য কিনতে গিয়ে তো পুরা ওয়ালমার্ট খুজেও পাইনা। সোনার চাঁদ'কে সবশেষে পেলাম গার্ডেন সেকশনে। বাসায় এনে খাতনা করায়ে ফ্লো বাড়িয়ে নিয়েছি নিজের চেষ্টায়। পরে দেখেছি হালাল সাবানের মত দেশী বদনাও এখানে পাওয়া যায় দেশী দোকানে। কর্মক্ষেত্রে বদনা ছাড়া কাটিয়ে দিয়েছি দীর্ঘ ১১ টি বসর। গত মাসে অবশ্য একটা সংযোজন করে নিয়েছি।
তার পরও কোথাও গেলে সাধের বদনা না পেলে গাছের পাতা মানে টিসু ভিজিয়ে কাজটা বেশ ভালই চলে। বাসায় ফিরলে অবশ্য প্রথম কাজ, সোজা সউচাগার ,,,,,,,,,,,,,,,,
জানুয়ারি মাসের হিমহিমে সকালে দার্জিলিঙের এক হোটেলে হ্যান্ড শাওয়ার ব্যাবহার করার দুর্ভাগ্য হয়েছিলো।
নতুন মন্তব্য করুন