বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান:
বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া যতোই সুসংহত হচ্ছে, ততোই ভীত ও আতংকিত মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মানবতা বিরোধী বিবিধ অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত গোষ্ঠী নানা প্রকার কূটচাল আঁকড়ে ধরছে বিচার প্রক্রিয়া বানচাল করবার পন্থা হিসেবে।
বাংলাদেশের ভেতরে বসবাসকারী ও লোকাল নিউজ সেবনকারী আমরা, ওরফে জনগন, একাত্তরে সংঘটিত এসকল আন্তর্জাতিক অপরাধগুলি (যুদ্ধাপরাধ, গনহত্যা, শান্তির বিরূদ্ধে অপরাধ, মানবতার বিরূদ্ধে অপরাধ ইত্যাদি) যতোই বিচ্ছিন্ন ও স্বল্পগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখার বা বোঝানোর চেষ্টা করি না কেন, বিচারের এই চলমান এই প্রক্রিয়া ও বিশ্বজুড়ে ঘটতে থাকা সমসাময়িক বহু বিষয় কিন্তু একই সুত্রে গাঁথা।
বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান:
বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া যতোই সুসংহত হচ্ছে, ততোই ভীত ও আতংকিত মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মানবতা বিরোধী বিবিধ অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত গোষ্ঠী নানা প্রকার কূটচাল আঁকড়ে ধরছে বিচার প্রক্রিয়া বানচাল করবার পন্থা হিসেবে।
বাংলাদেশের ভেতরে বসবাসকারী ও লোকাল নিউজ সেবনকারী আমরা, ওরফে জনগন, একাত্তরে সংঘটিত এসকল আন্তর্জাতিক অপরাধগুলি (যুদ্ধাপরাধ, গনহত্যা, শান্তির বিরূদ্ধে অপরাধ, মানবতার বিরূদ্ধে অপরাধ ইত্যাদি) যতোই বিচ্ছিন্ন ও স্বল্পগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখার বা বোঝানোর চেষ্টা করি না কেন, বিচারের এই চলমান এই প্রক্রিয়া ও বিশ্বজুড়ে ঘটতে থাকা সমসাময়িক বহু বিষয় কিন্তু একই সুত্রে গাঁথা।
আসুন, আপাতঃ বিচ্ছিন্ন এই ঘটনা গুলি আগে দেখে নেই এক নজরে, তারপরে না হয় মালা গাঁথা যাবে। আগেই সতর্ক করে রাখি, লেখক অত্র বিষয়ে বাকি ৯৫ ভাগের মতোই আম-জনতা, বুদ্ধিজীবিত্বের দাবিদার নন। আমার সংশ্লেষনে খাদ থাকবে, ফাঁক দেখা যাবে, সর্বোপরি ষড়যন্ত্র তত্ত্বের চুড়ান্ত মনে হবে। তবুও পড়ুন।
সাম্প্রতিক:
২০০৯ সালটি পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য একটা কালো বছর হিসেবে চিহ্নত হয়ে থাকবে। পাকভূমি নিরাপদ ভেবে খেলতে আসা শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ওপর বন্দুকধারীদের আক্রমন, অর্ধশত পুলিশের মৃত্যু এবং এই্ কান্ডের শাস্তিস্বরূপ তিন বছর ধরে বিশ্ব থেকে একঘরে হয়ে থাকা পাকিস্তান ক্রিকেট আশার মুখ দেখেছিলো ‘৭১এ স্বহস্তে নির্যাতিত অথচ সম্প্রতি অতি-ভক্তি ও সাহস দেখানো ছোটভাইরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের আলাপে। বাংলাদেশী জামাতেস্লামী’র হেডকোয়ার্টার পাকিস্তানের ভেতরে আশার সে মেঘ জমেছিলো ক’দিন আগেই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাময় ফাইনালে দৃশ্যমান আশাব্যঞ্জক রসায়ন দেখে। কিন্তু পুরো পরিস্থিতি প্যাঁচ খেয়ে যায় যখন বাংলাদেশের তরুন প্রজন্ম বেঁকে বসে পাকিস্তানে জঙ্গী আক্রমনে কারাগার ভেঙ্গে কয়েদী পালিয়ে যাবার খবর শুনে। এমনিতেই তারা ক্রিকেটদলকে পাকিস্তান নামের ওই মৃত্যুকুপে দেখতে চায় না। দু’দিন ধরে নানা প্রতিবাদেও যখন সরকারের বোধশূণ্যতায় চিড় ধরেনি, তখন আদালত থেকে আদেশ আসে এই সফর স্থগিত করবার। বাংলাদেশী জনমানসে স্বস্তি নেমে আসে... অন্যদিকে পাকিস্তানে শুরু হয় মরাকান্নার কনসার্ট । তবে, এই কান্নাটা আসলে শুধু ক্রিকেট খেলার জন্য নয়। অন্যান্য কাহিনীও রয়েছে। আসুন নিকট অতীত আরো একটু খুঁড়ে দেখি।
আফগান/তালেবান/ ইঙ্গ-মার্কিন/পাকিস্তান:
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির বরাতে আমরা জানতে পাই আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে গেল দশবছর যাবৎ এক বিচ্ছিরি রোগ-সংক্রমনের কথা। মাদ্রাসার খোয়াড় থেকে ছুটে পালানো কচিকাঁচা ওরফে ‘তালেব’দের ইসলামী সঙ্ঘ তালেবান নাম নিয়ে আফগানিস্তান ও পরবর্তীতে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের ভেতরেও বাসা করেছে এবং পাক সীমান্তে বসে আফগানিস্তানে ঠুস্ ঠাস্ পাখি মারছে। আগে থেকেই ইসলামী নামের রিপাবলিক’খানা বেড়াতে আসা তালেবানদের জঙ্গী পরশে আরো বেশি বেশী করে জিহাদাতুর হয়ে ওঠেছিলো। কিন্তু সম্প্রতি পাক আর্মির নাকের ডগায় বসে থাকা লাদেনের ডেরা আবিষ্কার ও তার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ রাতের আঁধারে পাকি জেনারেলদের অজ্ঞাতে মার্কিনীদের হাতে লাদেন নিধনে গেলো এক দশক ধরে চলে আসা মার্কিন ও পাক আর্মীর প্রলম্বিত সঙ্গমের ক্লাইমেক্স ছুটে গিয়েছে । বিলিয়ন ডলারের মার্কিন সাহায্যের স্রোতস্বীণি হঠাৎ শুকিয়ে যেতে চায়, পুরো বিশ্ব আমোদ নিয়ে উপভোগ করতে থাকে মার্কিন হেরেমের কোমল বালক আবার হবার জন্য পাকি জেনারেলদের ফের নিরন্তর ও নিষ্ফল ধস্তাধস্তির মহাকাব্য।
কিন্তু আইএ্সআই’র রক্ষিতা হাক্কানী নেটোয়ার্কের বার বার ফাউল করার কারনে তাদের সে চেষ্টা বার বার মুখ থুবড়ে পড়ে । বেয়াড়া এই নেটোয়ার্ককে আইএসআই কোনোমতেই বাগে আনতে পারে না? নাকি চায় না? - এ নিয়ে বরাবরের মতোই পুরো দুনিয়া ধন্দে থাকে। পাকিস্তানের ছত্রছায়ায় বসে থেকে আফগানিস্তানে নিয়মিত বিরতিতে পাখি শিকার করতে থাকে হাক্কানী গোষ্ঠী, আশা করছি আকলমন্দ পাঠক ‘পাখি’র অর্থ এরই মাঝে ধরে ফেলেছেন।
এই পাকিস্তানী তালেবান এমনই এক পেছল সাপে পরিনত হয়েছে এখন, প্রায়শঃই সে ছোবল মারতে উদ্যত হয় দুধকলা দেয়া পোষক পাকি আর্মী অথবা পাকি সরকারকেই। ওদিকে ওয়াজিরিস্তান, বেলুচিস্তান এসব অঞ্চলেও বিদ্রোহের হাঁকডাক শুনতে পাওয়া যায় থেকে থেকে।
পুরো সময়টাতেই পাকিস্তানের এলিট অথবা প্রলেতরিয়েত জনমানসে আজকের বাংলাদেশ, অতীতের পূর্ব পাকিস্তান (উর্দুতে মশরেকী পাক্স্তান) নিয়ে জল্পনা কল্পনা থেমে থাকে না। ইন্ডিয়া সংক্রান্ত ভীতি ও ঘৃনায় আক্রান্ত পাকি ধর্মীয় গোষ্ঠী জনগনকে বুঁদ করে রাখে স্কুল পাঠ্যবইয়ের মিথ্যে ইতিহাসের আফিমে যে ‘মশরেকী পাকস্তান তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে ইন্ডিয়া’। ইন্ডিয়ার কাছে বাংলাদেশ হারানোর ছদ্মবেদনার হাত থেকে তারা মুক্ত হতে চায়না, পারেওনা।
এই বাংলাদেশ:
ওদিকে ভারত ভুখন্ডের আরেক প্রান্তে অবস্থিত সেই হারানো বাংলাদেশ একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে হোঁচট খেতে খেতে বেড়ে উঠেছে, জিডিপিও নেহায়েত মন্দ না। শুধু জামাত ইসলামী’র বেরাদারগনের কাছ থেকে পাকি’রা কিছু খবর টবর পায়, বাংলাদেশ আর্মির পাকিস্তান-পন্থী স্বাধীনতা বিরোধী অংশটিও নিরন্তর চেষ্টা করে যায় কিছু একটা ঘটানোর, ‘ইউনাইটেড পাকিস্তান’ আরেকবার ‘লড়কে লেঙ্গে’ কখনোই যুত পায় না দেশটির বিশাল অসাম্প্রদায়িক ‘বাংগাল লোগোঁ কে লিয়ে’।
এদিকে অযথা কালক্ষেপনে বিরক্ত নতুন প্রজন্মের পক্ষ থেকে বিচারের দাবির ঝড়ের মাঝে সদ্য ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের মধ্য দিয়ে পুরনো পাকিস্তানী ক্ষত শেষবারের মতো খুঁচিয়ে তোলে। পাকি বেরাদর গুলামে আজম সাহাব তার সাঙ্গপাঙ্গ সহকারে চৌদ্দশিকের পেছনে আচার সহযোগে পরোটা খেয়েও দুশ্চিন্তায় শুকিয়ে আমসি মেরে যেতে থাকেন। কোন আন্তর্জাতিক অথবা পাকিস্তানী ছলচাতুরীতেই আর কেন যেন কাজ হয় না। আল-জাজিরা, বিলাতী লর্ড, ফিরিঙ্গী উকিল কারো দাঁতই ঠিকমতো বসে না ঝক্কর ঝক্কর করে হলেও দুলকি চালে ছুটতে থাকা ট্রাইব্যুনাল বুড়ো ঘোড়াটার গায়ে।
বেয়াড়া তালেবান সংক্রমন, কচুপাতার লাহান টলটলে মার্কিন অসন্তুষ্টি, আর মঘরেবী পাক্স্তানে বেরাদারদের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো সবকিছুই পাকিদের সুদীর্ঘ ঔদ্ধত্যে ফাটল ধরায়। পুরো বিশ্ব পাকিস্তানকে প্রায় একঘরে করে রাখে ক্রিকেট ইস্যুতে, এমনকি বিদেশের মাটিতেও সাচ্চা পাকি মুমিন বান্দাগন ঘুষের কেলেংকারীতে জেরবার হয়ে পড়ে।
লোটা এবং কম্বল কেস্:
এর মাঝেই আশার আলো জ্বালিয়ে পাকিজাত লোটাকম্বল জাতীয় পদার্থ সাচ্চা ইমানদার বেরাদরের মতো পাকিস্তানের ইমেজ পুনরূদ্ধারে এগিয়ে আসে। ষোল কোটি বাঙালীর জানের সন্তান ক্রিকেট টীমের প্রাণ নিয়ে এক অদ্ভুত বাজিতে নামে লোটাকম্বল, কোন এক সভার সহ-সভাপতি হবার মুলো’র গন্ধে সে একাই সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ ও পুরো ক্রিকেট বোর্ড বনে যায়। পাকিস্তান গিয়ে প্রতিশ্রুতি পর্যন্ত দিয়ে আসে, তিরিশ লাখ বাঙালীর প্রাণ নিয়েছো, আরো এগারোজন না হয় দিলাম, তবুও পাকিরাই যে আমাদের ভাই, পিঠে ছুরি মারা হলেও ঈমানের ভাই, সেটা প্রমাণ করবার এক অব্যক্ত তাড়না বোধ করে লোটা লোকটা। আশার কথা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা এখনো কাজ করে, তাই তৃতীয় দিবসেই ফুটো হয়ে যায় লোটা, বাঙালী চার হফ্তার জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
দালাল নির্মূল এবং পাকিস্তান চ্যাপটার কেস্:
এরই মাঝে আরো একটা অদ্ভুতুড়ে ঘটনার খবর পাই আমরা। প্রায় সমান্তরাল সময়েই লোট পার্ট টু’র নাটক মঞ্চস্থ হয় অনেকটা আচম্বিতেই। করাচী’র এক সংবাদ সন্মেলনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পাকিস্তানী অধ্যায়ের সূচনা ঘটে।
বিভ্রান্ত বাঙালী বোঝার চেষ্টা করে, কেস্ টা কি! বাংলাদেশী ঘাতক দালাল নির্মূল করতে পাকিস্তানে দোকান খুলতে হবে কেন, এই প্রশ্নটা বিশাল প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে বোদ্ধাদের মানসে দুলতে থাকে। কিন্তু কারো মুখে রা সরে না..
এর ভেদ বের করতে হলে আমাদের পরিচয় থাকতে হবে পাকিস্তানের প্রায় অদৃশ্য একটা গোত্রের সাথে। অন্ততঃ আমাদের জানা থাকতে হবে আন-সিভিলাইজড পাকিস্তানে ‘সিভিল সোসাইটি’ নামের একটা বস্তু আছে যারা নাকি বাঙালীদের ওপর পাকিদের হাতে ঘটে যাওয়া অপরাধ সমূহের ব্যপারে লজ্জিত ও এর একটা হেস্তনেস্ত চায়। আমাদের জানা হয় না... এতোদিনের জমানো অপরাধবোধের হাত থেকে অতি সহজেই মুক্ত হবার নাটকে অংশ নিয়ে, নাকি চ্যাপটার খুলবার আনন্দে, পাকিস্তানের আকাশে বাতাসে মিষ্টি উড়তে থাকে। এতোদিনের বিচারহীনতার সংষ্কৃতির অবসান ঘটে গেছে, পাকিস্তানীদের বুকে তুলে নিতে আমাদের আর কোনো বাধা নেই মনে করে পাকিদের সাথে এক ধরনের মিটমাটে তাদের বিশেষ আগ্রহী মনে হয়।
কিন্তু তাতে কি?
এসব নাটকের মঞ্চায়নে অবশ্য আমার মতো ভুরু কোঁচকানো ভেজাইল্যা বাঙালী এতো সহজে পটে না। কয়েকটা নগন্য সুশীলের মিটিমিটে কথায় আমাদের চিড়ে কেন যেন ভিজতেই চায় না। আমরা ভুলি নাই, যে সেই ১৯৫ টা পাকি ব্রিগেডিয়ার, মেজর জেনারেল অথবা লেফটেনেন্ট জেনারেলের কোনোদিন বিচার হয় নাই। কই? আজকের এই ভুঁইফোড় পাকিস্তানী সিভিল সোসাইটি কি নিয়েছিলো এদের বিচারের কোনো উদ্যোগ ! এখন যখন বিশ্বজুড়ে মৌলবাদের বিপক্ষে প্রবল জনমত গড়ে উঠেছে, তখনই গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে চ্যাপ্টারে যোগ দিচ্ছে পাকিস্তানী গুলি।
মনে আরো প্রশ্ন জাগে, যখন পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বাঙালী জাতি বিশেষ উদ্বিগ্ন, তখন পাকিস্তানের বুকে কোন বিশেষ সাহস নিয়ে চ্যাপটার শুরু করেন আমাদের ঘাতক দালাল নির্মূল কারী গন? প্রশ্নটা কি খুব বেশি অসংগত হয়ে গেলো? যেখানে আমারা লোটাকম্বলের লোটা ধরে টান দিচ্ছি দেশের ভেতরে তখন কি প্রয়োজনে পাকিস্তানীদের বুখে আয় বাভুল বলে ছুটে যাওয়ার দরকার হয়ে পড়লো?
আজকের পাকিস্তানে তার জিডিপির ৩৫% এখনো পাকি মিলিটারী সাবাড় করে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্ট মতিউরের সমাধি তারা চতুর্থ শ্রেণীর মর্যাদায় রাখে। পিতার সমাধি পরিদর্শনে গেলে মতিউর কন্যাকে পাকি জনগনের গালমন্দ শুনতে হয়। তখন এসব সিভিল সোসাইটিকে গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে অপরাধ বোধে সিক্ত হতে দেখা যায় না।
আজকের পাকিস্তানেও আর্মী জেনারেলদের ৪১ বছর আগের একই ভুল দোহরাতে দেখা যায় বেলুচিস্তানে। বেলুচের গ্যাস পাঞ্জাবীরা লোটে, ওদিকে বেলুচে বিদ্যুত নাই। দুর্নীতিতে পারঙ্গম ইসলামিক রিপাবলিক্টি তাই ঝাঁঝরা থেকে ঝাঁঝরা-তর হয়ে যেতে থাকে, শিক্ষাব্যবস্থা রুগ্ন থেকে রুগ্নতর হয়ে একসময় মাদ্রাসায় পরিণত হয়। আইএসআই নামক দুষ্টক্ষতটি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে থাকে আর্মীর, আর আর্মী নিজেই দেশটাকে শুষে নিতে থাকে মার্শাল রেস্-ত্ব বজায় রাখতে।
এদিকে বাংলাদেশ জুড়ে পাকি বীর্যজাত জামাতের বংশধরগুলি ঘোঁৎ ঘোঁৎ করেই যায় প্রাগৈতিহাসিক ইসলামের নামে। পাকিস্তান বাংলাদেশ খেলার সময় এদের দেখা মেলে মুখমন্ডলে চাঁন-তারা আঁকা এবং গ্যালারিতে ভুল প্রান্তে দাড়িয়ে সাদা-সবুজের সমর্থনে হুক্কাহুয়া করতে।
মন্তব্য
খেলাধূলার সাথে রাজনীতি মেশানো ঠিক না।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
পাকিস্তানের আবার সুশীল সমাজ !
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
উর্দুতে 'পূর্ব' হচ্ছে 'মাশরিক'। উর্দু শব্দ 'মাগরিব'-এর বাংলা হচ্ছে 'পশ্চিম'। দয়া করে ঠিক করে দেবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তাই তো দেখছি, জিন্নাহ্ মশায় দেখলে দুঃখে আত্মহত্যা করতেন নির্ঘাত।
ধরিয়ে দেয়ায় ধন্যবাদ।
কাজী ফয়সাল বলেছেন,
নতুন মন্তব্য করুন