হেরেম আর হারাম একই জিনিষ, নিষিদ্ধ মাল। হেরেম একটি আন্তর্জাতিক শব্দ, যেমন পুলিশ...যে ভাষাতেই বলেন পাবলিক বুঝবে। মুচকি একটা হাসিও দিতে পারে। তুর্কী সাম্রাজ্যের আমলে শুরু হওয়া হেরেম প্রতিষ্ঠানটিকে আমাদের ভারতীয় মোগল সম্রাটেরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। শাজাহানের হেরেম জীবনের খানিকটা বর্ণনা পাওয়া যায় জেমস হুইলার লিখিত “The History of India from the Earliest Ages: pt. 1. Mussulman rule” বইতে।
…..........................................
শাজাহান যে জড়বুদ্ধি ছিলেন এটাই স্বাভাবিক, চরম কামুক স্বভাব চরিতার্থ করতে গিয়ে পুরুষত্ব বলে তার কিছু বাকি ছিল না। এক রাজপুত বাউলের ভাষায়, শাজাহান ছিলেন হেরেমের গোলাম। হেরেমের বর্ণনা দিলে কিছুটা ধরতে পারবেন তার রাজত্বের হালহকিকত।
প্রাসাদের হেরেম কোয়ার্টারকে ডাকা হত মহল। গোসলখানা আর জানালার মাঝে বিপুল জায়গা নিয়ে মহল এলাকা। বাগান আর ফোয়ারার দিকে মুখ করা অগুণতি রুমে হাজার দুয়েক নারীর বাস, খোজা বা অতিথি নারীরা যা বলতো তার বাইরে এরা কিছুই জানতো না। মহান বাদশা ছাড়া অন্য কোন পুরুষ হেরেমে নিষিদ্ধ। বাদশা হেরেমে থাকাকালীন তার পাহারায় থাকতো একশো তাতার নারী, তাদের কমান্ডারও ছিলো নারী। কমান্ডারের র্যাঙ্ক আর বেতন যেকোন আমীরের সমান।
হেরেমের নারীরা তিন কিসিমের লোক; রাণী, রাজকন্যা আর রক্ষিতা। প্রত্যেক নারীর নিজের কোয়ার্টার ছিল, আর ছিল র্যাঙ্ক অনুযায়ী মাসকাবারি বেতন। রাণী আর রাজকন্যাদের খাবার আসতো মোগলাই রান্নাঘর থেকে, তাই তাদের ডাকা হত “বেগম” অর্থাৎ বে-গম, দুঃখহীনা (হিন্দি “গম” মানে দুঃখ)। রক্ষিতারা নিজেদের বেতনের পয়সা দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করতো।
রাণী, রাজকন্যা আর রক্ষিতা সকলেই একভাবে সাজগোজ করতো। মাথার চুল থাকতো বেণী করা, একেকদিন একেক রঙের জামা পরতো তারা। সারা গায়ে ঝলমল করতো মণিমুক্তা। সকলের বুড়ো আঙুলে ছোট্ট আয়না বসানো আঙটি পরা, তাই দিয়ে দিনভর তারা নিজেদের দিকে চেয়ে থাকতো।
প্রত্যেকের সাথে থাকতো কিছু যুবতী। তারা নাচতো, গাইতো, বাদ্য বাজাতো, নাটক করতো। মাঝে মাঝে তারা সবাই বাদশার সামনে নাচগান করতো। কেউ বাদশাকে খুশি করতে পারলেই অটোমেটিক প্রমোশন, রাণী বা রক্ষিতা হয়ে নিজস্ব রুম আর মাসকাবারি বেতনের ব্যবস্থা হত। কোন নারীই কোন কাজ করতো না, সেজন্য থাকতো দাসেরা।
মহলে কিছু মহিলা ছিল দিদিমণি, তাদের কথাই আইন। বড় বড় মন্ত্রী মিনিস্টার কে কোন মেয়ে ভোগ করবে, কার বরাদ্দ কোন ধরনের মেয়ে এগুলি দেখা দিদিমণির কাজ। অঢেল তাদের স্বাধীনতা, যখন খুশি যার কাছে খুশি দূত পাঠিয়ে কাজ হাসিল করতে এরা ওস্তাদ। উজির নাজির, গভর্নর, বড়লাট সবাই এদের নানাবিধ উপহার দিত প্রায় প্রায়ই। সেইসব উপহার তারা বাদশার পছন্দের মেয়েকে পাঠিয়ে দিত। মহল ছিল এক জটিল রাজনৈতিক কেন্দ্র, প্রত্যেক আমীর তাদের একটা দুটো মেয়েকে মহলে ঢুকিয়ে দেবার জন্য অস্থির থাকতো। মেয়ে যদি দিদিমণি বা স্বয়ং বাদশার চোখে পড়ে যায় তাহলেই আমীরসাহেবের কেল্লা ফতে। তবে বিপদ আসতো অন্য দিক থেকে, দিদিমণির দল আমীরওমরাহের ফ্যামিলি সিক্রেট বের করে সেই তথ্য পাচার করে দিত মাঝে মাঝে।
শাজাহান তার আগের সকল মোগল শাসকের মধ্যে সবচাইতে বড় হারামজাদা ছিলেন। আমীরদের মেয়েদের সাথে ফুর্তি করে তার শখ মিটতো না, তাদের বউদের দিকেও তার নজর ছিল। তার প্রাসাদে নিয়ম করে মেলা বসানো হত, আমীরদের বউরা মেয়েদের নিয়ে আসতো শপিং করতে। ওইখানে শাজাহান দিদিমণিদের বলে দিতেন কোন বউ নিয়ে আসতে হবে। লজ্জা শরম বলে কিছু তার ছিলনা, আমীরদের তিনি দাস বলেই গণ্য করতেন। আমীরের দল অসহ্য বেদনায় ছটফট করতো, বৃথা আক্রোশে দাঁত কিড়মিড় করতো। শাজাহানের বিপদের সময় এদের লম্বা দিতে একদম দেরি হয়নি।
আগ্রার বিখ্যাত তাজমহল শাজাহানের তৈরী। ওইটা বানাতে যে কত মিলিয়ন স্টার্লিং খরচ হয়েছে খোদাই মালুম, শুনেছি বিশ হাজার লোক বিশ বছরে ওটা তৈরী করে। মেয়েমানুষের নামে এত পয়সা খরচ করা শাজাহানের পক্ষেই সম্ভব। তার প্রথম রাণীর নাম মুমতাজ মহল, আসফ খানের কন্যা। রূপের কারনে একে তার বিয়ে করা, মুমতাজ জীবিত থাকাকালীনই শাজাহান অন্য মেয়ে বিয়ে করেন। মুমতাজের কবরের উপর তাজমহল তৈরী, সাদা মার্বেলের গম্বুজে কবর ঢাকা। ভেতরে দেওয়াল সাদা মার্বেলের, নানান রত্নখচিত। কয়টা দরজাও সাদা মার্বেলের, নানান কারুকাজ করা।
পুরো বিল্ডিংটা মেয়েলি ধরনের। শক্তি বা বীর্যের কোন নামগন্ধ নেই, গ্রীস বা রোমের মতন নয় একদম। অসম্ভব সুন্দর দালান, মেয়েলি ধাঁচের সুন্দর। দেখলে বিগত স্ত্রীর কবর নয় বরং রক্ষিতার মাজার মনে হয়। তাজমহল শাজাহানের আইডিয়া, তিনি মেয়ে ভালবাসতেন বদ্ধ মাতাল যেমন ভালোবাসে তার বোতল। তারা যখন জীবিত ছিল তখন তিনি তাদের নিয়ে আদাড়ে বাগানে খেলা করতেন, মরে গেলে তাদের কবর ঝকঝকে মার্বেলে মুড়ে দিয়েছেন।
তাজমহলে জড়িয়ে আছে এক বিরাট কেলেংকারি কিচ্ছা, ভুলে যাওয়া কঠিন। মুমতাজ আর শাজাহানের এক কন্যা ছিল, তার নাম ছিল বেগম সাহিব। তিনি বেগম সাহিবকে তার রক্ষিতা বানিয়েছিলেন, বেগম যা চাইতো দুনিয়ার শেষ কোনা ঝেটিয়ে তা আনার ব্যবস্থা করা হত। বেগমের প্রতি তার আতিরিক্ত আদর ছিল চোখে পড়ার মত অস্বস্তিকর।
শীতকালে শাজাহান থাকতেন আগ্রা, গ্রীষ্মে কাশ্মির। দুই শহরেই তার কার্যক্রম ছিল খাঁটি বদমাইসের মত। এই লম্পটের সাহিত্য বা সঙ্গীতের প্রতি কোন দরদ ছিল না, জ্ঞানীলোকেরও দুই আনা দাম ছিল না তার কাছে। রক্তের হোলিখেলায় তার দাঁত বেরিয়ে যেত, অশ্লীল ভাঁড়ামো আর স্থূল পর্ণোগ্রাফিতে তিনি আমোদ পেতেন। চোখের তারা না কাঁপিয়ে তিনি বিষ খাইয়ে মারতেন মানুষ, তাই নিজে বিষ খেয়ে মরার ব্যাপারে তার ব্যাপক ভয় ছিল। বেগম সাহিবের তত্ত্বাবধানে রান্না খাবার ছাড়া তিনি কিছু খেতেননা।
জাহাঙ্গীরের মতন শাজাহান ছিলেন লোভী। অল্প বয়সে তিনি অনেক ধনরত্ন জড় করেন, তাই দিয়ে তৈরী হয় তাজমহল। দিল্লীর কাছে শাজাহানাবাদ বলে একটা শহর গড়ে তোলেন, ওইখানে প্রস্তুত হয় ময়ূর সিংহাসন। নানাবিধ মেলার আয়োজন করে টাকা উড়াতেও তার জুড়ি ছিলনা। কিন্তু শেষদিকে এসে তিনি একবারে কিপ্টা হয়ে ওঠেন, সব টাকা জমিয়ে রাখতে থাকেন বিপদের জন্য। বিপদ তার আসে অচিরেই, কিন্তু জমানো ধনরত্ন কোথায় উড়ে গেলো তখন...শাজাহান কিছুই করতে পারলেননা।
মন্তব্য
আমীর-ওমরাহদের বৌদের কোপানোর ব্যাপারে সম্রাট আকবরও নাকি সিদ্ধশিশ্ন ছিলেন। তিনি লোক পাঠিয়ে খোঁজ খবর নিতেন কার ঘরে সুন্দরী মেয়ে আছে, সে মেয়ে ঐ লোকের বৌ-বোন-মেয়ে যা-ই হোক না কেন, তিনি তাদের মাঠ থেকে খাট অব্দি তোলার বন্দোবস্ত করতেন। এ নিয়ে আমীর-ওমরাদের মুখ গোমড়া থাকতো প্রায়শই, কিন্তু আকবর নাকি তাদের এই বলে প্রবোধ দিতেন, হাতির মাহুতের সাথে খাতির করতে গেলে বাড়ির দরজার চৌকাঠ অনেক উঁচু করতে হয়। আব্রাহাম ইরেইলির এমপেররস অব দ্য পিকক থ্রোনে পড়েছিলাম এমনটাই, সম্ভবত।
আর লুকজন খালি জিনাত মোশাররফের কেসে এরশাদের বদনাম করে।
ধুর লুকজনের কথা ছাড়েন হিম্ভাই, এরশাদ চাচ্চু হইলো এরশাদ চাচ্চু। এখন নাকি স্কিন ট্রিটমেন্ট দিতেসে, পত্রপত্রিকায় লেটেস্ট ছবি বাইর হইলে দেখতে হইবো রিংকল ফ্রি চাচ্চুরে কেমন দেখায়।
অফ টপিকঃ আপনের দোয়া কাজে লাগসে, মডু ভাইয়া মাজার খুলতে দিসে। লাল শামিয়ানা টাঙায় বসলাম দেখি দানবাক্সে কেমন টাকা পড়ে। একদিন মাজারে দালান উঠামু ভাবতাসি।
..................................................................
#Banshibir.
অভিনন্দন
..................................................................
#Banshibir.
এই পোস্টে কমেন্ট করা এক শরমের ব্যাপার। কমেন্ট কলামে দেখাচ্ছে হেরেমের গোলাম > হিমু । কোনো মানে হয়? নিরীহ ভালু একজন লুলপ্রুশকে অকারণে হেরেমের গোলাম বলে চালায় দিচ্ছে সচলায়তন। ব্লগ আসলেই পর্নোগ্রাফি হয়ে যাচ্ছে। খালিদী আঙ্কেলের সাথে যোগ দিয়ে জেহাদ করবাম।
হ রে ভাই ভালুমানুষের ভাত নাই দুনিয়ায়। নো রাইস ফর গুড পিপল।
..................................................................
#Banshibir.
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নিজের মেয়ে রক্ষিতা ? ক্যাম্নে কী !
এই সেই শাহজাহান আর তার তাজমহল !!!
লিখায়
আগে হাচলাভিনন্দন, পরে কমেন্ট!
এই সিরিজ তো বটেই, অন্য বিষয়ে লেখা চালিয়ে যান নিয়মিত। এর সাথে অন্যদের লেখাগুলোতেও আপনার কমেন্ট চলতে থাকুক সমান তালে। আপনি যেমন আপনার পাঠকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক আশা করেন, অন্য লেখকেরাও তেমন তাদের লেখায় আপনার ফিডব্যাক আশা করেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কমিউনিটি ব্লগিং এর ক্ষেত্রে এটা মনে রাখা দরকার তো বটেই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সচলে লিখি কয়দিন হল, পড়ি প্রায় তিনবছর। পুরান অভ্যাস পড়ে উইন্ডো ক্লোজ করে দেওয়া...অত্যন্ত দুঃখিত। স্বার্থপরের মতন কাজটা কমিয়ে আনবো কথা দিলাম।
..................................................................
#Banshibir.
অন্দরমহল বোঝাই পত্নী-উপপত্নী-রক্ষিতা-বারাঙ্গণা-দাসী এই কালচার ভারতবর্ষে বহু বহু শতাব্দী ধরে প্রচলিত। মৌর্য বা গুপ্ত সম্রাটদের কথাই ধরুন না। বিবাহ, যুদ্ধজয়, ক্রয়, অপহরণ, কৌশলে অধিগ্রহন - হেন পদ্ধতি নেই যাতে তারা নিজেদের অন্দরমহল বোঝাই করেনি। ধর্ম্মের তথাকথিত প্রতিমূর্ত্তি সম্রাট অশোকের লোকদত্ত তিনটি উপাধির প্রথম দুইটি "ধর্ম্মাশোক" আর "চণ্ডাশোক"। তৃতীয় উপাধিটা "কামাশোক" - ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন। তার এমন নামকরণ কেন? এই ব্যাপারে আরো জানতে চাইলে ঐ আমল সংক্রান্ত রোমিলা থাপারের বইয়ের শরণাপন্ন হতে পারেন। আমাদের দেশের পাল রাজা-সেন রাজারা তো বটেই, স্থানীয় পর্যায়ের সামন্ত প্রভুদের হেরেমও বিস্ময়কর রকমের ছিল।
হেরেমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী, নৃশংস, নিষ্ঠুর অত্যাচার-অন্যায়-অবিচার চলত প্রতিদিন। আমরা নিজেরা দুধে ধোয়া তুলসী পাতা নই, তবু এই একটা দিক বিবেচনা করলে আমরা ঐ সমস্ত বেজন্মাদের তুলনায় সাধু-সন্তসম।
আরেকটা ব্যাপার। মুঘলদের ইতিহাস কোন বিবেচনায় ভারতীয়দের ইতিহাস? কোন বিবেচনায় ভারতবর্ষের মানুষ মুঘলদের কর্মকাণ্ড নিয়ে গর্বিত হবে বা লজ্জিত হবে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এটি একটি জটিল প্রশ্ন। বাবুর বাদশার বইতে আমরা দেখতে পাই তিনি ভারতবর্ষের কদর্যতা ও ভারতীয়দের হীনরূপে অত্যন্ত হতাশ, ভারত জয় করে উত্তর ফরগনার আঙুরের জন্য তার দীর্ঘশ্বাস পড়ে। হুমায়ুন বাদশা আরাম জিনিসটা কি তাই বুঝতে পারলোনা বেচারা। কিন্তু আকবর থেকে আওরঙ্গজেব পর্যন্ত সকলে ভারতে জন্মেছেন, ভারতীয় টাকা ভারতেই উড়িয়েছেন, ভারতীয় মানুষকে ভারতেই চোখা বাঁশের উপর রেখেছেন। অন্দরে তারা ফার্সী বলতেন ঠিকই কিন্তু ভারতীয় টাকা তারা তুর্কী পারসিক হেড কোয়ার্টারে পাঠাননি। তাই তাদের ঔপনিবেশিক বা বৈদেশিক শাসক বলা চলা কিনা নিশ্চিত নই।
আর মোগল কর্মকান্ড নিয়ে গর্বিত বা লজ্জিত কোনটাই হবার প্রয়োজন দেখিনা। এরা আমাদের ইতিহাসের অংশমাত্র। পাল সেন মোগল ইংরেজ পর্তুগীজ প্রত্যেক বজ্জাতের কথা জানার দরকার আছে।
..................................................................
#Banshibir.
কলোনী শোষন-লুট করে যে অর্থ উপার্জিত হয় সেটা হেড কোয়ার্টারে না পাঠালেই শোষকের ঔপনিবেশিক প্রভুর চরিত্র বদলে যায় না। তার মানসিকতা, স্থানীয়দের সাথে ব্যবহার এমন আরো যা কিছু আছে সেগুলো মিলিয়েই সে ঔপনিবেশিক প্রভু - বহিরাগত। ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসনামলে বহু ব্রিটিশ এদেশে জন্মেছে, বড় হয়েছে, মরেছে। "হোম"-এ তাদের কিছুই ছিলনা। তবু তাদের ব্যবহার আর মানসিকতার জন্য তারা দখলদার শ্রেণীরই অন্তর্ভূক্ত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অতএব পিতা অথবা মাতা অথবা উভয়ই ভারতীয় না হলে তাকে ভারতীয় বলা যাবেনা, সে যতদিনই ভারতে বাস করুক না কেন। অত্যন্ত কড়া ইমিগ্রেশন আইন হয়ে গেল পান্ডবদা। যে লোকটি তার বাপ দাদা পরদাদার মত ভারতে জন্মে ভারতেই সারাটি জীবন কাটিয়ে গেল তাকে বিদেশী হিসেবে চিহ্নিত করা অন্যায্য ব্যাপার।
এই তুলনাটাও ঠিক হলনা। ব্রিটিশ শাসন কোম্পানীর শাসন, বড়লাট ছোটলাট গভর্নর সবাই কর্পোরেশনের কর্মচারী। এরা কোথায় বড় হয়েছে তাতে কিছু যায় আসে না, তারা লন্ডনের রাণীর আজ্ঞাবাহক মাত্র। মোগল শাসন একটি ব্যক্তির শাসন, তিনি কোথায় কিভাবে কার কাছে কি খেয়ে বড় হয়েছেন সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
..................................................................
#Banshibir.
মুঘলদের সাথে ইংরেজদের একটা বড় পার্থক্য হলো: প্রথমজন ঘোড়া থেকে নেমেছে আর পরেরজন নামেনি।
তবে, মুঘলরা ভারতে স্খায়ী নিবাস গড়ে তুলে ভারতীয় হয়েছে; এটা অস্বীকার করা যায় না।
কারন, ভূমিপুত্র বলে কিছু নেই; সব জাতিই স্খান বদল করেছে। ভারতের আর্যরা ইন্দো-ইউরোপিয়ান আর অনার্যরাও সে হিসেবে বহিরাগত আর পরবর্তী আগমনকারী স্খায়ী নিবাসীদের কথা নাই বা, বললাম। এ হিসাব করলে ভারতীয় বলে কিছু নেই।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
শুধু কি এরাই ? বৈদিক যুগে রাজারা রাজসূয় যজ্ঞের সাথে একটি করে পরিষদ রচনা করতেন। সেখানে শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিতদের ডাকা হত। প্রশ্নোত্তর পর্বের বিজয়ীকে হীরে-মুক্তো, সোনা-দানা, গরু-ঘোড়া, দাস-দাসী পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হত। এইসব শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিতেরা রাজার হেরেমের দাসীদের, বিশেষভাবে অনার্য দাসীদের বেশী পছন্দ করতেন। তাঁরা গরু-ঘোড়া সব স্থানীয় ব্রাহ্মণদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন কিন্তু...।
ষষ্ঠ পাণ্ডব @ বাংলাদেশ তো সেই বখতিয়ার খিলজীর সময় থেকেই পরাধীনতার শিকলে বন্দী। ১৯৭১ এর আগের কয়েকশ বছর তো বাংলাদেশ তুর্কী, আফগান, ইংরেজ আর পাকিস্তানীদের হাতেই শাসিত হল। ভারতবর্ষের অবস্হাও তথৈবচ। মুঘলদের কর্মকান্ডে তাই ভারতবর্ষের মানুষদের গর্বিত বা লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নিয়েও গর্ব করাটাও যুক্তিযুক্ত মনে করি না। ভদ্রলোক পুরোপুরিই উর্দুভাষী ছিলেন।
ঠিক। যারা সিরাজকে নিয়ে গর্ব করেন তারা সিরাজের কোন কোন গুণ আর কোন কোন সৎ কর্মের জন্য গর্ব করেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শোনা যায় সিরাজ নাকি জিহ্বার নিচে পারদ নিয়ে লাগাতেন। এটা নাকি কামশক্তিবর্ধক। কি জানি বাপু, বুঝিনা!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সিরাজউদ্দৌলাকে নিয়ে গর্ববোধ না করারই কথা, স্বার্থপর স্বল্পবুদ্ধি এক ব্যর্থ রাজনীতিক তরুন সিরাজ। কিন্তু ভদ্রলোক উর্দূভাষী বলেই কি তাকে নিয়ে আপনি হতাশ? উর্দূ ভাষা ইংরেজ আমলে তৈরী, তাদের বিশাল নেটিভ সৈন্যবাহিনী যে খিচুড়ি ভাষায় কথা বলত সেই কথ্য ভাষা ফার্সী লিপিতে প্রকাশ করে উর্দূভাষার জন্ম। উর্দি আর উর্দূ একই ধাতু থেকে উৎপন্ন, সৈনিকের জামা উর্দি আর সৈনিকের ভাষা উর্দূ। সিরাজ সম্ভবত ফারসী বলতেন অন্দরে। কিন্তু মুখের ভাষা নয় বরং অদূরদর্শিতা আর বুদ্ধিহীনতার জন্যই তাকে নিয়ে গর্ব না করা উচিৎ।
..................................................................
#Banshibir.
"কিন্তু মুখের ভাষা নয় বরং অদূরদর্শিতা আর বুদ্ধিহীনতার জন্যই তাকে নিয়ে গর্ব না করা উচিৎ।"
..................................................................
#Banshibir.
আপনাকে একটা কুবুদ্ধি দিয়ে যাই। হান্টারের অ্যানালস অব রুরাল বেঙ্গল থেকে দেখুন আমাদের কিছু দিতে পারেন কি না। অনেক পুরনো বইতে এটার রেফারেন্স দেখেছি।
এক্ষন দিতেসি খোঁজ-দ্য সার্চ।
..................................................................
#Banshibir.
তাহলে আমিও একটা দুর্বুদ্ধি দেই?
Richard Eaton-এর "The Rise of Islam and the Bengal Frontier, 1204-1760" বইটার রেফারেন্স অনেক জায়গায় দেখেছি। বাংলার ইতিহাস গবেষক মহলে বিখ্যাত একটা বই মনে হয়। পড়ার খুব ইচ্ছা, নেটেও মনে হয় একটা পিডিয়েফ পেয়েছি - কিন্তু ধৈর্যে কুলাচ্ছে না পড়ার। এই বই থেকে কিছু দেয়া যায় কিনা দেখবেন ?
****************************************
আপনাদের জবাব নাই...সোর্স আপনি এসে হাজির। ধন্যবাদ, পড়ে দেখি।
..................................................................
#Banshibir.
মাঝি ভাই করছেন কি, ওইখানে তো বই এর ঢিবি...সুলুপ সুলুপ...
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হে হে... আপনি না বললে আমি টেরই পেতাম না কোথায় পাড়া দিছি!
আমি শুধু ঈটনের বইটা খুঁজতেছিলাম, গুগুল মেরে সেটুকুরই শুধু লিঙ্ক দিয়েছি। কিন্তু আপনার কথায় একটু গুঁতাইতেই একী দেখি - এ যে ঢিবি মানে ঢিবি, একদম সোনার খনি! অসংখ্য ধন্যবাদ ব্যাপারটা লক্ষ্য করে জানানোর জন্য।
আর হ্যাঁ, এদের সংগ্রহে আমার প্রথমেই চোখে পড়ল হেরোডোটাসের 'হিস্টরি'। ইতিহাসে যদি আগ্রহ থাকে তাহলে নেন সুলুপ সুলুপ করতে করতে একই সাথে Father of History এবং Father of Lies বা ইতিহাসের জনক বলে খ্যাত আলেক্সান্ডার দি গ্রেটের কাছাকাছি সময়ের গ্রীক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাসের বিখ্যাত "Histories"-টা দিয়ে বউনি করতে পারেন। দারুন জিনিষ! এটা না পড়লে ইতিহাস পড়াই মিছা। আমার অন্তত দারুন প্রিয় বই।
****************************************
হাচলাভিনন্দন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
..................................................................
#Banshibir.
ইতিহাস আমাদের সমৃদ্ধ করে সবসময়েই। তাই ইতিহাস তথা আপনার লেখা পড়তে ভালো লাগে। কিন্তু এই লেখাটার একটা জিনিষ একটু চোখে লেগেছে। গালাগালি না করে নির্মোহ ভাবে লিখলে পড়তে আরেকটু বেশি স্বস্তিকর লাগত। ইতিহাসের এইসব চরিত্রেরা সময়ের কাছে তাদের মূল্য পেয়েই গেছে, লেখক হিসেবে আপনিও তাদের জাজ করতে বসলে পাঠকের ভাববার স্পেসটা কমে যায় মনে হয়।
তবে সবচেয়ে বড় কথা, হাচলাভিনন্দন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখাটা নির্মোহ নয়, কথা ঠিক। মূল লেখক জেমস ট্যালবয়স হুইলার ছিলেন ব্রিটিশ বার্মার চীফ কমিশনারের সেক্রেটারি ও পরে ব্রিটিশ ভারতের পররাষ্ট্র বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। অত্যন্ত উন্নাসিক সাদা ভদ্রলোক, ভারতীয়দের প্রতি ঘৃণামিশ্রিত করুণা নিয়ে তার বইগুলো লিখা।
অনুবাদক হিসেবে মূল লিখার তাচ্ছিল্যভাব ধরে রাখতে সচেষ্ট ছিলাম, গালাগাল মনে হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। হুইলার সাহেব মোগলদের তথা ভারতীয়দের "হোয়াইট ম্যানস বার্ডেন" হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন, শাজাহান সম্পর্কে তার অশেষ ঘেন্না লিখায় ফুটিয়ে তোলা দরকার ছিলো।
আমার জাজমেন্টের প্রশ্ন আসছেনা আশালতা আপু, লিখাটায় আমার কমেন্ট নেই। বরং ইচ্ছে করে করে কড়া জায়গাগুলি অনুবাদ করি যেন পাঠককে ভাবায়...শখের ঐতিহাসিকদের বয়ানে বাংলাদেশ ও ভারতের বর্ণনা করা এই সিরিজের মূল উদ্দেশ্য, সত্যাসত্য যাচাই করার ভার পাঠকের।
হাচলাভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ, নিজ নামে লিখে নিজেকে মোগল সম্রাটের মত শক্তিশালী লাগছে।
..................................................................
#Banshibir.
আপনার মন্তব্যে সত্যি অবাক হলাম। তাচ্ছিল্য আর গালাগাল এক জিনিষ নয়। আমার ব্যক্তিগত মতামত হল, তাচ্ছিল্যের প্রকাশটা সহজ ভাষাতেও করা যায় ভালভাবেই। আপনার কাছে হয়ত ওরকম প্রকাশটাই যৌক্তিক মনে হতে পারে। কিন্তু পাঠক হিসেবে আমার নিজের অস্বস্তিটুকু প্রকাশ করাও আমার কাছে প্রয়োজন বলে বলে মনে হয়েছে। নিজেকে মোগল সম্রাটের মত শক্তিশালী ভাবতেই পারেন, কিন্তু তাতে পাঠকের সংশয়ের জায়গাটা উপেক্ষা করবেন না আশাকরি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপু উনিতো কেবল অনুবাদ করেছেন। মূল লেখায় যে ভাব ছিলো সেটাই অনুবাদে ধরে রেখেছেন। গালাগালিও সে কারণেই আছে লেখায়। লেখক হিসেবে উনি আসলে ইতিহাসের চরিত্রদের জাজ করছেন না, মূল লেখক যেভাবে জাজ করেছেন সেটা তুলে এনেছেন। (আমি এটাই বুঝলাম !)
পুরো লিখাটায় একমাত্র গালি "হারামজাদা" একটি অত্যন্ত সহজ শব্দ, বাংলাদেশে অতি সাবলীলভাবে এটি ব্যবহৃত হয়। অবশ্যই বলতে পারেন অস্বস্তিকর শব্দ, শুনেছি আমাদের আগের প্রজন্ম "শালা" শব্দটিতেও এরকম চাঞ্চল্য প্রকাশ করতো। ভাষা এক মজার জিনিষ।
যাইহোক ভবিষ্যতে অস্বস্তিকর শব্দ এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করবো, কিন্তু নো প্রমিস।
..................................................................
#Banshibir.
শাজাহানের প্রথম প্রেম ছিল, তাঁর দূরসম্পর্কের মামা আসফ আলীর কন্যার সাথে (নামটা মনে করতে পারছিনা)। নূরজাহান কৌশলে আসফ আলীকে অন্যত্র বদলী করে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন এবং মমতাজকে তাঁর হেরেমে নিয়ে আসেন। সেখানে অবাধে শাজাহানের সাথে মমতাজের মেলামেশার সুযোগ করে দেন।
তাজমহল, শাজাহানের জন্য মমতাজের প্রতি প্রেমের অর্ঘ্য নয় বরং তাঁর কীর্তি।
..................................................................
#Banshibir.
সচলাভিনন্দন
চরম হচ্চে আপনার সিরিজটা। ইতিহাস নিয়ে আমার পড়াশোনা বেশ কম। আপনার সিরিজটা তাই বেশ আগ্রহ নয়ে পড়ি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনাদের জন্যই তো লিখা ভাই।
..................................................................
#Banshibir.
ভালো লেগেছে লেখাটা।...
মমতাজ দুহিতা 'বেগম সাহিব' এর নাম কখনো শুনিনি। ইনি জাহানারার বোন ছিলেন কি ??
আর হাচলাভিনন্দন।
জাহানারাই বেগম সাহিব।
এটা তাকে নিয়ে প্রচলিত মিথ্যে দুর্নামও হতে পারে, এই তথ্য যাচাই করা এখন আর সম্ভব নয়।
..................................................................
#Banshibir.
আমি যদিও ইতিহাস খুব একটা ভালো জানিনা, তবে এই তথ্যটি আমিও শুনেছিলাম।।
আপনার লেখাগুলো পড়ছি। এটা তো সচলে আপনার ত্তীয় লেখা। তাহলে সবগুলোই পড়েছি
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
এটি আমার দ্বাদশ লিখা ভাইয়া, আগেরগুলি এইখানেঃ
বেনারস আফিম এজেন্সী
প্রিয় সম্পাদক মহাশয়ঃ ১৮৪১
পাইরেটস অফ চিটাগং
অস্টেন্ড ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী
সন্দ্বীপের রাজা সেবাস্টিয়ান
ফ্রেডরিকসনগর
কন্ডের সাহেবের ঢাকা - ১
কন্ডের সাহেবের ঢাকা - ২
চান্দেরনগর ও দাক্ষিণাত্য - ১
চান্দেরনগর ও দাক্ষিণাত্য - ২
ফ্রাসোঁয়া পিরার্দের ডাইরী
..................................................................
#Banshibir.
আপনি ইতমধ্যে অনুরোধ না জানিয়ে থাকলে
এ মেইল দিতে পারেন, তাহলে নিজের ব্লগে লেখাগুলো চলে আসবে।
জানা ছিলনা সাফি ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ। মেইল করবো দেখি দুতিনদিনের মধ্যে।
..................................................................
#Banshibir.
চরম লুল! সেই তূলনায় বেচারা আরজে নীরব তো কিসুই না:P
..................................................................
#Banshibir.
আপনি তো সচলে একেবারে জাঁকিয়ে বসলেন! অভিনন্দন! জমে থাকুন। দারুণ হচ্ছে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নয়া পীরের দরগা একটু ঘন ঘন ওয়াজ-মাহফিল করতে হয় আর কি। পাবলিসিটি।
জমে আছি ভয় নাই।
..................................................................
#Banshibir.
সিন্নি মজাদার হইলে ওয়াজে যোগ দিতে আপত্তি নাই
হক মওলা।
..................................................................
#Banshibir.
ব্যোম ভোলা...
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
অভিনন্দন!
লেখা দারুন লেগেছে। আমি মানে ইয়ে একটু রসিক পাবলিক তো, তাই!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি তো মশাই কাঁপিয়ে দিচ্ছেন একেবারে! প্রতিটা পোস্টই ছক্কা!
হাচলাভিনন্দন।
"সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা বাংলা" নামক মিথটা নিয়ে একটা লেখা নামিয়ে দিন না।
অনেক শরমিন্দা হইলাম
ওইরকম বাংলার কথা অনেক শোনা যায় বটে, ভালো কিছু পেলেই হাজির হয়ে যাবে চিন্তা নাই।
..................................................................
#Banshibir.
শালার, সাধে কি আর ছোট বেলায়, বড় হয়ে মুঘল সম্রাট হইতে চাইতাম!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জালিম দুনিয়া।
..................................................................
#Banshibir.
চমৎকার লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতিটি লিখা আমার একাধিকবার পড়া, আপনে আমার ফেভারিট সচল। আপনার মত লিখতে পারিনা দেখেই অন্য লিখা অনুবাদ করি।
ভালো থাকবেন তাসনীম ভাই।
..................................................................
#Banshibir.
১। দেখেন দেখি কান্ডটা। মোঘলাই হেরেম এর সাথে নাম যুক্ত হচ্ছে দেখে হিমু খালিদীর পানাহ যেতে চাচ্ছে। অথচ দেখুন হেজায এর আরেকটি বিখ্য়াত 'হেরেম' ভবন ঘুরে এসে সারা জাহানের কত সাচ্চা মুসলিম হাজি ও হাজা হতে পেরে ধন্য় হয়েছে। আসলেই ভগবানের লীলাখেলা বোঝা বড় দায়।
২। রাজপ্রাসাদের কিছু রমনী সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে, তারাই 'হেরেম/হারাম'। ঠিক যেমন মক্কার একটি এলাকায় কাইজাকাটি 'হারাম'। ভিক্টোরিয়ান ব্রিটিশ ওরিয়েন্টালিস্ট শালারা নিজের মত 'সরল' ইতিহাস লেখা শুরু আগে দালানকোঠাও যে 'হারম' হতে পারে, সেটা কে জানতো? বিবেচনা করুন, তাদের উত্তরপুরুষেরাও কম যায়না, এরা ওরা 'তান্দুরী' স্য়ুপ খায় আর তাবত উপমহাদেশীরা তাদের কাছে 'পাকি'।
৩। শেষ প্য়ারাটা ডিকেন্স নাকি মোঘল, সেটা আর আলাদা করার উপায় নেই।
"....ছিলেন লোভী। অল্প বয়সে তিনি অনেক ধনরত্ন জড় করেন, তাই দিয়ে তৈরী হয় ...ওইখানে প্রস্তুত হয় ময়ূর সিংহাসন...নানাবিধ মেলার আয়োজন করে টাকা উড়াতেও তার জুড়ি ছিলনা...কিন্তু শেষদিকে এসে তিনি একবারে কিপ্টা হয়ে ওঠেন, সব টাকা জমিয়ে রাখতে থাকেন বিপদের জন্য...."
অনেক ধন্যবাদ।
ডিকেন্সের ব্যাপারটা বুঝলামনা ভাইয়া, একটু বুঝায় দেবেন?
..................................................................
#Banshibir.
ডিকেন্সের গল্পগুলোতে একরকম খল চরিত্র থাকে না? যারা জোয়ান বয়েস এন্তার প্রাচুর্য কামিয়ে শেষ বয়েসে সেটা খুইয়ে কিপ্টে/ক্ষেপাটে ভিলেনে রুপান্তরিত হয়ছে। অনুদিত কথাগুলো পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে (বোধ করি হুইলার এভাবেই লিখেছিল) সেরকমই কিছু একটা পড়ছি, মনে হচ্ছিল দিল্লীশ্বর নয়, যেন কোন ভিক্টোরিয়ান গৃহস্থ বা বেনিয়াকে নিয়ে লেখা কিছু পড়ছি।
ওহ আচ্ছা, বুঝছি। একদম মনের কথাটা বলসেন ভাইয়া...কিপ্টে ক্ষ্যাপাটে বুড়ো ভামই বটে।
..................................................................
#Banshibir.
দারুণ, না মানে নিদারুন।ভাবছি ইস্তাম্বুলের হেরেম ( এখন জাদুঘর ! ) ভ্রমণ নিয়ে একটা লেখা ছাড়ব নাকি !
আচ্ছা, শাহজানের সেই কন্যার নাম কি জাহানারা না?
facebook
জ্বী ভাইয়া, জাহানারাই বেগম সাহিব।
..................................................................
#Banshibir.
লেখাটির সেরা কথা!
কতটুকু সত্য? ইতিহাসবেত্তারা একেবারে শংসয়হীন এ ব্যাপারে? আমি মুঘল সম্রাটদের ভক্ত নই; তাদের হাজারো স্খলন থাকার ব্যাপারটা অসত্য মনে হয় না আমার; তবু বিদেশীদের বর্ণিত ইতিহাস নিঃসঙ্কোচে মেনে নিতেও আমার আপত্তি আছে! কারণ এরাই তো ''অন্ধকূপ হত্যা''র মত কুখ্যাত বানানো ইতিহাসের জন্ম দিয়েছিল। বেগম সাহিবের ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি রকমের বাজে মনে হয়েছে আমার; তাই এর সত্যতা নিয়েও সন্দেহ জাগছে!
ইতিহাসবেত্তারা মোটেই সংশয়হীন নন, এটা কোন ইতিহাসবেত্তার লিখাও নয়। এক ইংরেজ অফিসার শোনা কথা বলছেন মাত্র। গুজবে কান দেবেননা
..................................................................
#Banshibir.
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপিসে থাকতেই পড়েছিলাম, সুন্দর লেখেন আপনি। শালারা তো সভ্যতা ডুবায়ই দিতো আরেক্টু হৈলে!!! ভাগ্যিস মুঘল সাম্রাজ্যের পতন ঘটছে!!!
হাচলাভিনন্দন জানবেন।
_____________________
Give Her Freedom!
ইংরেজ অফিসার হুইলার সাহেব ঠিক এইটাই চাইছেন, যেন তার বই পড়ে মোগল সাম্রাজ্যের পতনে লোকে খুশী হয়। এদের সব কথা আবার বিশ্বাস কইরেননা ভাইটি, মোগল লোকে খারাপ ছিল বটে কিন্তু ইংরেজও বড় কম শয়তান ছিলনা।
..................................................................
#Banshibir.
হাচলাভিনন্দন। খুব জমছে আপনার লেখাগুলো।
স্মৃতির ব্যর্থতার দায় মেনে নিয়ে বলছি, অনেক আগে সম্ভবত: একটা বই পড়েছিলাম 'মুঘল হেরেমের অন্তরালে'। জাহাংগীর আর শাজাহান এর কীর্তিকলাপ নিয়ে উপন্যাস। লেখক সম্ভবত: আনিস আহমেদ বা চৌধুরী। ঢাকা কলেজ বা গভ: ল্যাব এ পড়াতেন। তার বেশ অনেকগুলো উপন্যাস ছিলো ইতিহাসের ঘটনা নিয়ে। বইটি পড়ে মুঘল সম্রাটদের অন্যরুপ কিছুটা জেনেছিলাম। তবে সেটা অনেক 'সুগার কোটেড' ছিলো।
ধন্যবাদ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ। সুগার কোটিং বাদ দিলে কফি বড্ড তিতে লাগে কি বলেন?
..................................................................
#Banshibir.
মোঘল কালের মোগলাইটাতো ভালোই মজাদার বানাইছেন ভাই। এইবার মুগডাইলের সাথে গোসত মিশায়া কিছু ছাড়েন। মন ভইরা গিলি।....
উরি আল্লাহ...কী চরম লেখা রে বাবা
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
..................................................................
#Banshibir.
মুঘল হৈবার মুঞ্চায়...
ইন্টারেস্টিং লেখা!
বঙ্কিমচন্দ্রের 'রাজসিংহ' উপন্যাস পড়ে চমৎকৃত হয়েছিলাম মুঘল রাজদের পুরা দিল্লী উঠিয়ে নিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার রণকৌশল পড়ে। সেখানে অন্তর্মহল আর কূটনীতির বেশ ইন্টারেস্টিং খেলা ছিলো। কেউ কি জানাতে পারেন 'রাজসিংহ' ইতিহাসের কোন সত্যঘটনাবলম্বনে কিনা? বিস্তারিত জানার শখ কিন্তু তেমন কোন আলোচনা অন্তর্জালে খুঁজে পাইনি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
১।
আমার মনে হয় এধরণের অনুবাদগুলির ক্ষেত্রে আপনার শুরুতে বা শেষে একটা ওরিয়েন্টেশনমূলক 'অনুবাদকের নোট' দেয়া উচিৎ - যেখানে মূল লেখার প্রেক্ষিত, মূল লেখকের অবস্থান ও স্বার্থকোণ, আধুনিক তথ্য ও চিন্তার প্রেক্ষিতে মূল লেখার তথ্য/বক্তব্যের সম্ভাব্য ভিন্ন ব্যাখ্যা - ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার একটা সংখিপ্ত বক্তব্য বা মতামত থাকবে। তা নাহলে সরল মনে পড়ে অনেকের ভুল বোঝার অবকাশ থেকে যাবে। আপনি অবশ্য এই জিনিষগুলি প্রতিমন্তব্যের ঘরে ছাড়াছাড়া ভাবে করেছেন, কিন্তু তার সবগুলি সবার চোখে পড়বে না। তাই মনে হয় আপনার ঐ ব্যাখ্যাগুলি মূল পোস্টেই সাজিয়ে-গুছিয়ে নোট আকারে সংযুক্ত করা উচিৎ।
২।
এইটুকু পড়েই এই হুইলার গাধাটার আসল চেহারাটা আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এই ব্যাটাকে আমার কেন জানি অল্পবয়েসী প্রেমিকার সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের গোপনে তোলা ভিডিও পূর্বপরিকল্পনামাফিক সিডি আকারে বাজারে ছেড়ে দেয়া বাংলাদেশের ইদানীংকালের কিছু ভণ্ড "হারামজাদা" পর্নো-প্রেমিকের মতই মনে হচ্ছে। এর এর থেকে বেশি চিন্তা করার ক্ষমতাই নাই মনে হয়।
তবে আপনি ভাল জিনিষই অনুবাদ করেছেন। এইগুলাও জানা দরকার আছে।
****************************************
চরম ফিডব্যাক। পাঁচতারা।
অনুবাদকের নোট দেইতো, ছোট একটা ইনট্রো সবসময় পোস্টের ডগায় থাকে। কিন্তু লিখার বিস্তারিত উৎস, প্রসঙ্গ ও ব্যাখ্যা দেওয়া শ্রমসাধ্য এবং মেধাসাপেক্ষ। সময় এবং মেধা দুটাই আমার অল্প। হাবিজাবি বই পড়ি আর কোন জায়গা পছন্দ হলে দুম করে বাংলা করে দেই। এটুকুই। কোনদিন সচলে লিখা ছাপা হবে এটাই ভাবিনি, অন্যলোকের লিখার ঘাড়ে চড়ে আমার সচলগিরি। পরিপূর্ণ টীকাসমৃদ্ধ লিখা তাই অসম্ভব। তবু আপনার প্রস্তাবে সম্মানীত বোধ করছি
আর হুইলারের বয়ানে শাজাহান শুনতে আসলেও ভালো লাগলো, এক বদমাইস আরেক বদমাইসকে বদমাইস বলে গালি দিচ্ছে...
..................................................................
#Banshibir.
বেশি জোশ হইসে। বেগম শব্দের ব্যুৎপত্তি জেনে ভাল লাগল; এভাবে সন্ধি বিচ্ছেদ করে চিন্তা করিনি কখনো। তবে 'গম' শব্দটা মূলত: ফার্সি। হিন্দুস্তানি ভাষায় আমদানি হয়েছে ওখান থেকেই।
বাই দা ওয়ে, অভিনন্দন। কবে যে এই সৌভাগ্য হবে!!
দারুন হয়েছে পোস্ট।
হেরেম ব্যাপারটাই অমানবিক।
তবে, জেমস ব্যাটাকে আমার সহ্য হয় না। ইতিহাসের বারোটা বাজাতে তার জুড়ি নেই।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হ জেমস হুইলারের নাম শুনলেই লোকে ক্ষেপে যাচ্ছে দেখি। তার অনেকগুলি বই, খুব ডিটেল লিখা। আমার পড়তে চমৎকার লাগে। পুরা শুদ্ধ ইতিহাস হয়তো নয় কিন্তু ব্যাপক বিনোদন।
..................................................................
#Banshibir.
ধুসশালা, আমি ভেবেছিলাম গোআ বুঝি ওপারে গিয়ে হেরেমে স্থান পেয়েছেন,
আর দুষ্টু-দুষ্টু ফেরেশতারা উনার সঙ্গে জোরপূর্বক ভালোবাসা কচ্ছেন!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন