আকবর বাদশার বিয়ের বাতিক ছিল, তার বউয়ের সংখ্যা কোন বইয়ে ৩৬ কোন বইয়ে ৩০০ দেখতে পাই। বউ ছাড়াও হেরেমে ঢলাঢলি করার জন্য দুনিয়া চষে হাজার পাঁচেক মেয়ে মজুত ছিল তার। বীর্য বিলিয়ে বেড়াতে আকবর তুলনাহীন ছিলেন, সব জাতের সব ধর্মের মেয়ে চেখে দেখার স্বভাব ছিল তার। মিরিয়াম ছিল আকবরের খ্রিস্টান বউ। গোয়ার পর্তুগীজ যাজক সম্প্রদায়ের লোকের চোখ চকচক করে ওঠে আকবর মিরিয়ামের বিবাহে, মোগল বাদশাকে খ্রিস্টান করে হোলি পোপের অধীনে ক্যাথলিক ভারত গড়ার স্বপ্নে তারা বিভোর ছিল। আজকের লিখাটি জেমস হুইলার লিখিত “Tales from Indian history” হতে নেয়া।
…................................................
আইন ই আকবরীর রচয়িতা মোগলাই চাটুকার আবুল ফযল বাদশা আকবরকে ইসলামের উপর বীতশ্রদ্ধ করে তোলেন। অষ্টম হেনরীর মত তিনিও স্থানীয় ধর্মীয় আলেমউলামাদের ক্ষমতায় রুষ্ট হন, আর আবুল ফযলের সাথে শলা করতে থাকেন ইসলাম ধর্মের পোপ জাতীয় কিছু হওয়া যায় কিনা।
এই সময় তিনি খ্রিস্টধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন, মিরিয়াম বা মেরী নামে এক খ্রিস্টান মেয়ে বিয়ে করেন তিনি। মিরিয়ামের জন্য প্রাসাদ গড়া হয় ফতেপুরে, ঐ প্রাসাদ আজও আছে। গোয়ার পর্তুগীজ যাজকদের তিনি আমন্ত্রন দিয়ে আনেন, ফতেপুর প্রাসাদের ভেতরে একটি ক্যাথলিক গীর্জা গঠনের অনুমতিও দেয়া হয়। রাস্তাঘাটে ক্রুশ ঝুলিয়ে ঘোরার স্বাধীনতা পায় তারা, ইচ্ছেমত ধর্মপ্রচারেও নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়।
ঠিক কোন কারনে আকবর মিরিয়ামের বিবাহ ঘটে তা ঠিক করে জানা যায়না। মিরিয়াম সম্ভবত গোয়ায় শিক্ষিত পর্তুগীজ রমণী, তার মনে হয়তো আশা ছিল মহান মোগল বাদশাকে ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করবেন। গোয়ার ধর্মযাজকের দল মিরিয়ামকে ব্যবহার করে আকবরকে কনভার্ট করতে চেয়েছিল সেটাও হতে পারে, মিরিয়াম হয়তো দাবার বড়ে ছাড়া কিছুই ছিলনা।
ছোট্ট দ্বীপ গোয়া ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত, ঐসময় মোগল ভারতের নাগালের বাইরে। দ্বীপটি মাত্র বারো বাই ছয় মাইল বড়, মূল ভারত হতে একফালি সাগর দ্বারা বিচ্ছিন্ন। পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত গোয়া ছিল পাইরেটদের আখড়া, পরে এক মুসলমান সুলতান জলদস্যুদের পিটিয়ে তক্তা করে দ্বীপে মুসলমান সওদাগর বসিয়ে দেন। ষোড়শ শতাব্দীতে আল্বুকার্কের নেতৃত্বে পর্তুগীজেরা গোয়া দখল করে দূর্গ গড়ে শহর পত্তন করে। এরপর থেকে পর্তুগীজ ভারতের রাজধানী হিসেবে গোয়া মাথা তুলে দাঁড়ায়।
গোয়ার পর্তুগীজরা ছিল চরম নাক উঁচু। ধর্মযাজক ছাড়া সব পুরুষ লোকে তলোয়ার পরে ঘুরত, আর দাবী করতো তারা বিরাট বংশের মানুষ। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় তারা মাথার টুপি উঁচিয়ে ধরতো, কেউ এর উত্তরে টুপি না তুললে তাদের একদম ইজ্জত যেত আর তলোয়ার উঁচিয়ে মারতে যেত তাকে। প্রত্যেকে দাস নিয়ে ঘুরতো, এমনকি নগণ্য সৈনিকের পেছনেও ছাতি মাথায় ঘুরঘুর করতো দাস। ছেলেবুড়ো সবাই ছিল ব্যবসাদার, রোববার বাদে প্রতিদিন এরা হাটে গিয়ে কেনাবেচা করতো।
গোয়ার বড়বড় জাহাজ, কামান, প্রাচীর, দূর্গ এইসবের কথা আকবরের কানে গিয়েছিল। কিছু ইয়োরোপীয়দের তিনি নিযুক্ত করেছিলেন বন্দুক তৈরির কাজে। এদের শারিরীক গঠন, কর্মচাঞ্চল্য, সততা আর সাহসের বেজায় ভক্ত ছিলেন বাদশা। এদের মদ খাওয়ার বহর দেখে তার বিস্ময়ের অবধি ছিলনা, ভারতীয়দের মত মদ খেয়ে টাল হওয়ার বদলে মদ খেয়ে আরও এনার্জি পাওয়ার ব্যাপারটি তিনি ধরতে পারেননি। সাদা মানুষের উপর চরম ইমপ্রেসড আকবর ঠিক করলেন এদের লাগিয়ে দেখতে হবে, কোথা থেকে মিরিয়াম বলে একটি মেয়েকে তিনি ধরে আনলেন। কে যে এই মিরিয়াম ঠিক বলা যায়না, হয়তো তার অধীনে কাজ করা কোন ইয়োরোপীয়দের মেয়েই হবে।
আকবরের ঘরভর্তি তখন মুসলমান আর রাজপুত বউ, খ্রিস্টান সাদা মেয়ের ওইখানে ঢোকার যন্ত্রনা কম নয়। তবু মিরিয়াম জানত কোনভাবে যদি হিদেন আকবরকে খ্রিস্টান করে দেশটাকে পোপের অধীনে আনা যায় তাহলে তাকে চার্চ সেইন্ট ফেইন্ট ঘোষনা করে দেবে। তাছাড়া আকবর বাদশা দেখতেও লাল পেয়ারার মত টুকটুকে ছিলেন, হয়তো মিরিয়াম সত্যসত্যই তার প্রেমে পড়েছিল। বিয়ে ঠিক হবার পরে গোয়ার ভাইসরয়কে আকবর পাদ্রী পাঠানোর অনুরোধ করে চিঠি পাঠান। এই চিঠির পেছনে মিরিয়ামের হাত আছে বলে শোনা যায়। চিঠি পেয়ে গোয়ার পাদ্রীসমাজে রসগোল্লা বিলানো শুরু হয়ে যায়, দ্বীপের প্রত্যেক পাদ্রী হাঁটুগেড়ে পাইকারী প্রার্থনা শুরু করে দেয় যেন ঈশ্বরের কৃপায় আকবরকে ধর্মান্তরিত করতে তাকে পাঠানো হয়।
তিনটে পাদ্রী অবশেষে যাত্রা করে হিন্দুস্তানের উদ্দেশ্যে, যাবার পর আকবর তাদের কোলে তুলে নেন। গোয়ার ভাইসরয়ের দেয়া উপহার মহান বাইবেল আকবরের হাতে তুলে দেয়ার সময় তাদের হাত কাঁপতে থাকে, মুসলমান বাদশা রেগে তাদের মুন্ডু কেটে না সেই বাইবেলের সাথে সিলাই করে দেয় সেই ভয়ে তারা অস্থির ছিল। তারা অবাক হয়ে দেখল বাদশা শ্রদ্ধাভরে বই মাথায় ঠেকালেন। এরপরে পাদ্রীদের ঝোলা থেকে বেরুলো মহান যীশু আর মাতা মেরীর ছবি, যা মুসলমানেরা প্রতিমাজ্ঞানে ঘৃণা করতো। আকবর কিন্তু ছবিগুলোয় চুমো খেলেন। মিরিয়াম আগে থেকে শিখিয়ে পড়িয়ে রেখেছিলেন নিশ্চই আকবরকে, নইলে এরকম শ্রদ্ধা দেখানোর নিয়ম তিনি জানার কথা না।
পাদ্রীদের অনেকদিন ধারনা ছিল আকবরকে খ্রিস্টান বানানোর কাজ কমপ্লিট। একবার সারারাত বাদশা তাদের সাথে খ্রিস্টধর্ম নিয়ে ব্যাপক বকবক করেছিলেন, যীশুর জীবন ও মথি লিখিত সুসমাচার নিয়ে বিরাট ক্যাচাল চলে ঐ রাত। প্রাসাদের সেরা কক্ষে তাদের ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। প্রাসাদের অভ্যন্তরে যে গীর্জা গড়ার অনুমতি দেন তিনি শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও মাঝে মাঝে গীর্জার ভেতরে যীশুর মূর্তির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে ঢং করতেন। প্রিয় জ্ঞানী চাটুকার আবুল ফযলকে তিনি হুকুম দেন বাইবেল ফার্সীতে অনুবাদ করার।
দুইচারদিনের জন্য আকবর হয়তো খ্রিস্টান হয়েছিলেন মনে মনে, কিন্তু তাকে ব্যাপ্টাইজ করা হয়নি। নারীঘটিত সমস্যা ছিল। তার মা বাদশা হুমায়ূনের বউ চরম ধর্মভীরু মুসলমান ছিলেন, এছাড়া মিরিয়াম ছাড়া তার অন্যান্য বউগুলিও বেঁকে বসে। তখনকার দিনে খ্রিস্টধর্ম পালন করা ছিল ফ্যাশনেবল ব্যাপার, আকবরের অগুণতি ছেলের একটিকে খ্রিস্টান শিক্ষায় পাঠানো হয়। এমনকি মন্ত্রী ফযল সাহেব খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন। অবশ্য ফযল সাহেবের মন্দির মসজিদ দেখলেই ঢুকে পড়ার প্রাচীন স্বভাব ছিল, যেকোন ধর্মের ঈশ্বরের কাছে তিনি প্রার্থনা করতেন। মনে হয় শিওর ছিলেননা কোনটা কাজের ভগবান, তাই সবাইকেই খুশী রাখতেন। যদি লাইগা যায় টাইপ ব্যাপার।
তবে দিন গড়ানোর সাথে সাথে আকবরের খ্রিস্টধর্ম হতে মন উঠে যায়, মিরিয়ামকেও ততদিনে ছিবড়ে ফেলা কমপ্লিট। তিনি আর চাটুকার ফযল ভাই মিলে নতুন শলা করতে থাকেন, প্রচলিত ধর্মের নবীরাসূল না হয়ে নতুন ধর্ম বানিয়ে তার অবতার হলে কেমন হয় সেই শলা। মুসলমানরা মুহম্মদ বা খ্রিস্টানরা যীশুকে যে সম্মান দেয় সেই সম্মান পাওয়ার ধান্দা করতে থাকেন তিনি। হিন্দু রাজপুত বউসমূহ আর চাটুকার ফযল তাকে বোঝায় তিনি সূর্যের অবতার বিষ্ণু। হিন্দুস্তানের সম্রাট তখন দৈনিক কাকভোরে উঠে প্রকাশ্যে জানালা খুলে সূর্যের পূজা করা শুরু করেন, আর নিচে পাবলিক চেঁচাতে থাকে যে তিনি সূর্যের রশ্মির মতই বলবান। ঠিক রোমান সীজারের মত তিনি আকাশের দেবতা হতে চেয়েছিলেন।
১৬০৫ সালে তেষট্টি বছর বয়সে আকবর পটল তোলেন। আগ্রা থেকে মাইল চারেক দূরে সেকান্দ্রার বাগানে তাকে কবর দেয়া হয়। কবরের চারপাশে ক্রুশ বসানো হয়, কিন্তু তা কি মিরিয়ামের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নাকি তার খ্রিস্টান বিশ্বাসের সম্মানে সেই রহস্য কখনো ভেদ করা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য
আপনি তো সেইরকম প্রডাক্টিভ মোডে আছেন। চালায়ে যান।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনাদের মত মৌলিক লিখিনাতো ভাইয়া, তেমন প্রডাক্টিভিটির দরকার হয়না।
..................................................................
#Banshibir.
এরকম চমৎকার সিরিজ লিখছেন, চলুক কিছুদিন। মৌলিক লেখা তো আসবেই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
একেবারের আকবরের গোয়া ধরে টানাটানি শুরু করে দিলেন
এক্কেবারে খাঁটি স্টিউয়ি র মত কমেন্ট
..................................................................
#Banshibir.
লেখা অনবদ্য। মন্তব্য দুটো আরও মচৎকার।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি যা শুরু করেছেন! মোঘল বাদশারা মাটির তলা থেকে উঠে এসে মার লাগালো বলে!
হাহাহাহা। উঠে আসলে ভালোই হয়, তাদের সাথে ভানুর মত আমারো "দুইখান কথা আসে"।
..................................................................
#Banshibir.
ইন্টারেস্টিং সিরিজ হচ্ছে। (আগেরটাতে মন্তব্য করা হয়নি, ভাল লেগেছ।)
অনেক ধন্যবাদ।
..................................................................
#Banshibir.
চমৎকার লাগছে আপনার লেখাগুলো, চলুক।
ধন্যবাদ।
আকবর সেই কালে হিন্দু বিয়ে করেছিলেন। আজকের অনেক নারী লোলুপও এতটা সাহস করবেননা। আর ধর্ম নিরপেক্ষতা কি সেটা এদেশের অনেক সুশীল ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যাক্তিই বোঝেন কিনা সন্দেহ।
লেখা গড়গড়িয়ে চলছে। কিন্তু সত্যি আজকের লেখার ধাঁচটা ভালো লাগেনি।
কারনটা বললেন না? পরেরবার ধাঁচ ঠিক করবো কেমন করে তাহলে?
..................................................................
#Banshibir.
আপনি গল্পচ্ছলে ইতিহাস বর্ণনা করেন। আকর্ষক।
কিন্তু এই পর্বে, ইতিহাস বর্ণনে ব্যাঙ্গাত্মক সুর'টা ভালো লাগেনি।
তবু লেখক হিসেবে আপনার স্বাধীনতা আছে নিজস্ব ভঙ্গিমায় লেখার।
ধন্যবাদ।
আচ্ছা, বুঝতে পেরেছি। আরো দুতিনজনের দেখলাম "ব্যাঙ্গাত্মক" সুরটি ভালো লাগেনি, কিন্তু তাদেরগুলো কোন ভালো ফিডব্যাক নয় বরং না বুঝে লাফানোর মত প্রতিবাদ হয়েছে। একমাত্র আপনার আপত্তিটাই বুদ্ধিমানের মতন।
আমি নতুন লিখক পদ্মজা, এক্সপেরিমেন্ট চলছে। এই লিখাটি লিখে আমি সবচাইতে মজা পেয়েছি, তাই ভবিষ্যতেও এরকম লিখা মাঝে মধ্যে দিব। পড়ে বলবেন কেমন লাগলো, একদিন হয়তো সবাইকে খুশী করার মত মজার ইতিহাস লিখতে পারবো।
..................................................................
#Banshibir.
ওরে ভাই সত্যপীর, সারা জীবন লিখলেও সবাইকে তৃপ্ত করতে পারবেন না। কাজেই আপনার মত করে লিখতে থাকেন।
আপনি নতুন লেখক আর আমি শুধুই পাঠক ( পাঁড় পাঠক)। আপনার এই লেখার গতি আন্দাজে বুঝেছি যে এই লেখাটা লিখে আপনি মজা পেয়েছেন।
ধন্যবাদ।
নেটে আকবরের কবরের প্রচুর ছবি আছে। তাতে তো কোথাও কবরের চারপাশে ক্রুশ দেখলাম না! একটা ক্রুশওয়ালা ছবি পেলে এখানে পোস্ট দিয়েন।
গুড পয়েন্ট। মূল ইংরেজী, "...in spite of the religious vagaries of his latter years, crosses were set up around the spot"।
নেটে আমিও কোন ক্রুশ দেখলামনা
..................................................................
#Banshibir.
আওরঙ্গজেব আকবর আর জাহাঙ্গীর, দুইজনকেই কাফের জ্ঞানে ঘৃণা করতেন। আকবরের মৃত্যুর একানব্বই (বা তিরানব্বই, মনে নাই ঠিক) বছর পর তার কবর রেইড করে মুসলমানরা। আকবরের হাড্ডি কবর থেকে তুলে হিন্দুদের মতো পুড়িয়ে ফেলা হয়। ক্রুশ যদি থেকেও থাকে, সেই রেইডের হাত থেকে সেগুলো রক্ষা পাওয়ার কথা না।
আওরঙ্গজেব এই কাজ করসিল নাকি? একেকটা বদ্ধ পাগল এই মোগল সম্রাটগুলা। মোগল শাসন না বলে পাগল শাসন বলা উচিৎ।
..................................................................
#Banshibir.
পুরো লেখাটা পড়তে পড়তে হাসছিলাম। ঐ দুইটা লাইনে এসে সশব্দে হেসে ফেললাম।
আপনি চমৎকার লেখেন। আর...বর্ণনায় রসবোধ অসাধারন।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হাসতে নাকি জানেনা কেউ কে বলেছে ভাই, এইযে দেখ কত হাসির খবর দিয়ে যাই!
সশব্দে হাসা অনেক বড় গুণ, ধরে রাখবেন উচ্ছলা আপু।
..................................................................
#Banshibir.
চমৎকার সিরিজ।
love the life you live. live the life you love.
এইটা কিন্তু ইচ্ছা করে লিখিনাই, আপনিই হয়ে গেসে। এক ভাষার বুলি আরেক ভাষার গালিই বটে
..................................................................
#Banshibir.
মারাত্মক। আকবরের এই গুনের কথা জানতাম, কিন্তু মিরিয়ামের কথা জানা ছিল না। আকবর জীবনের সব পর্যায়েই দ্বীন-ই-ইলাহী স্থাপন করেছিলেন দেখা যায়।
মোঘল আমল বিরাজমান থাকলে এখন হাইকোর্ট থেকে ডাক পেতেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হ আমার নামে কেস হইতো নিশ্চিত, পাইক বরকন্দাজ এসে আমারে নিয়া হাতীর পায়ের তলে ফেলতো মনে হয়। ডরাইসি
..................................................................
#Banshibir.
আপনাকে হারেমে নিত, পাহারা দিতে
ইয়াল্লা। শীশ করার সময় ব্যথা লাগতো অনেক
..................................................................
#Banshibir.
ভাল্লেগেছে! একেবারে আকবরের পুটু ধরে টান দিলেন!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হুঁ দিলাম তো, বেশ ভালো লাগসে দিতে
..................................................................
#Banshibir.
যথারীতি মজা নিচ্ছি
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
নিতে থাকেন
..................................................................
#Banshibir.
দারুন! দারুন! মোঘল সম্রাট বেঁচে থাকলে হয়ত আর একটা ব্লগ বানিয়ে ফেলত আপনার বিরুদ্ধে লেখার জন্য (শাহ আলমের মত পত্রিকা প্রকাশ না করলেও ব্লগ শিওর)
আগামীতে কার ইজ্জতের হালুয়া বানাবেন হে সত্যপীর? নিয়ে বসলাম আগামী পর্বগুলোর জন্য।
মিছা কথাটা কি কইলাম কন দেখি? যা পড়ি তাই লিখি, আমি লুক ভালো।
..................................................................
#Banshibir.
দিলাম মুখ ব্যাদান করা অট্টহাসি। কিন্তু ইমোটিকন মিটিমিটি হাসছে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
..................................................................
#Banshibir.
মোগলদের ব্যাপারস্যাপারই আল্যাদা
কথা সত্য। মোগলাই বদমাইস একেকটা।
..................................................................
#Banshibir.
আকবর লুক্টা বিয়াফক লুল ছিলো। ওস্তাদ মানলাম।
লেখায়
..................................................................
#Banshibir.
যদিও ইতিহাস ট্যাগ দেওয়া, তারপরেও লেখার টোনটা পড়ে মনে হল স্যাটায়ার পড়ছি। হুইলারের বইয়ের টোনটা ঠিক এরকম ছিল বলে মনে হয় না। তারপরেও শিওর হওয়ার জন্য লিংক দিলাম - http://books.google.ca/books?id=PJIBAAAAQAAJ&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q=akbar&f=false
সত্যি কথা বলতে গেলে অনুবাদও খুব বেশিভাল লাগে নাই। একে অনুবাদ না বলে ব্যক্তিগত সার-সংক্ষেপ বলাই উত্তম।
এই লেখায় আমি ষষ্ঠ পাণ্ডবদা, বা নৈষাদদার মন্তব্য পড়তে আগ্রহী।
এধরনের চটুল বক্তব্য পোস্টটাকে অনেক খানি লঘু করে দেয়।
এমন না যে আমি আকবরের বি-রা-ট ভক্ত, কিন্তু ইতিহাস সংক্রান্ত পোস্টে কেন জানি আগে থাকতেই মনটা এধরনের কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকে না। এর দায়ভার আপনার না, বরং আমারই। যাই হোক, লেখা চালু থাকুক।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এটি একটি অত্যন্ত চটুল সিরিজ, ইতিহাস শিক্ষাগ্রহনের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা থাকলে হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক।
খাঁটি কথা।
অবশ্যই ছিলনা, আমার লিখার টোনটা এরকম। দুয়ের পার্থক্য বুঝতে হয় ভাইসাহেব।
মন্তব্যের জন্য
..................................................................
#Banshibir.
আপনার এই পোস্টটিতে অনেক কিছুই হয়ত, মনে হয়, হতে পারে ধরে এগিয়েছে।
লেখার চতুর্থ প্যারাতেই ৩ লাইনে আপনি দুইবার হয়তো ব্যবহার করেছেন। আমার কাছে পুরো পোস্টটিই কষ্টকল্পনা মনে হয়েছে। আকবরের পাদ্রীদের প্রতি সম্মান দেখানোটা আপনি ধর্মান্তরিত হওয়ার স্টেপ হিসেবে দেখিয়েছেন; এটা রাজকীয় শিষ্টাচার। কোন পাদ্রী দরবারে বাইবেল নিয়ে আসল, আর আকবর তাকে প্রাণদন্ড দিয়ে দেবেন, এটা আরো হাস্যকর। পাদ্রী তো বাইবেল ই নিয়ে আসবে, কুরান নয়; তাইনা? তাছাড়া যতদূর জানা যায় আকবর সেক্যুলার ছিলেন।
আপনি ৪১ নম্বর কমেন্টে লিখেছেন এটা
এটি একটি অত্যন্ত চটুল সিরিজ, ইতিহাস শিক্ষাগ্রহনের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা থাকলে হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক।
শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে কেন, নইলে কি আমি ইতিহাস নিয়ে যা ইচ্ছা লিখতে পারি? চটুল বলে আপনি অনুমান ভিত্তিক ইতিহাস লিখতে পারেন না।
পরের পর্বে আপনাকে আরো গ্রহণযোগ্য, যৌক্তিক ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দিয়ে লিখতে অনুরোধ করছি।
মূল ইংরেজী, "They delivered their presents from the Viceroy of Goa with fear and trembling."। হাস্যকর মনে হলে হাসুন প্রান খুলে, মুসলমান বাদশার হাতে বাইবেল দিতে পাদ্রীদের জানের ডর লাগা স্বাভাবিক।
হতাশ হবেন।
..................................................................
#Banshibir.
সত্যপীর যে অনুবাদ করছেন এই বিষয়টা দেখলাম কিছু পাঠক বুঝে উঠতে পারেন না। মূল লেখার অযৌক্তিক/অসত্য অংশের 'যৌক্তিক/সত্য' অনুবাদ করা তো তাঁর দ্বায়িত্ব না। তাইলে তো ভাই ঐডা আর অনুবাদ থাকে না। মূল লেখায় জেমস্ হুইলার যদি দাবি করেন আকবর কর্ম সেরে শৌচকার্য করতেন কিনা এ ব্যাপারে তিনি সন্দিহান, অনুবাদক তাঁর অনুবাদে সেটাই লিখবেন। এই কথায় দুঃখ পাইলে তো চলবে না, জ্ঞানী পাঠক।
..................................................................
#Banshibir.
আকবর শৈশবে হয়তো মুসলিম ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে সে একটি ধর্মই পালন করে গেছে - সেটা ক্ষমতা। আকবরের বহু জাতি-ধর্মের নারী বিবাহ ও ভোগ করার পেছনে রিরংসা প্রথম কারণ হলেও দ্বিতীয় কারণটি রাজনীতি। এভাবে নানা গোত্র-জাতি-ধর্মের শক্তিদেরকে সে নিজের পক্ষে টানার চেষ্টা করেছে বা নিজের বিপক্ষে যাওয়া ঠেকিয়েছে। এই পদ্ধতি সব সময় কাজে দিয়েছে এমনটা নয়; তবু আকবর এমনটা করে গেছে। মিশরের ফেরাউনের (দ্বিতীয় রামেসিস) প্রধান মন্ত্রণাদাতার নাম ছিল হামান; আর আকবরের প্রধান মন্ত্রনাদাতার নাম হচ্ছে আবুল ফজল। হামানের কার্যকলাপের সাথে তার মিল ব্যাপক। আকবরকে ঈশ্বর বানানোর পরিকল্পনাও তারই। দ্বীন-ই-ইলাহী পোস্টের প্রসঙ্গ নয় বলে সে আলোচনায় গেলাম না।
পর্তুগীজদেরও আগে আকবরের খ্রীস্টান বিশ্বে পরিচয়, সুসম্পর্ক আর্মেনিয়ানদের সাথে। তখন আর্মেনিয়ানদের একটা বড় অংশ ছিল চরমপন্থী খ্রীস্টান। সারা এশিয়ায় তারা ছড়িয়ে পড়েছিল ধর্ম প্রচার ও ধর্মান্তরিত করার কাজে। কাজেই ধর্মান্তরিত করার কোন পরিকল্পনা থেকে পর্তুগীজরা আকবরের কাছে ঘেঁষার চেষ্টা করে থাকলেও আকবরের কাছাকাছি যাবার ক্ষেত্রে আর্মেনিয়ানরা এগিয়ে ছিল। ১৫৭২ সালে আকবর সুরাট দখল করার পর ভারতের পর্তুগীজ গভর্ণর প্রথম বারের মত একজন দূত পাঠিয়ে আকবরের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। সেখানে ১৫৬২ সালেই আকবর আগ্রাতে আর্মেনিয়ান চার্চ স্থাপনের অনুমতি দেয়। আকবরের রাজসভাতে কিছু আর্মেনিয়ানকে ভালো প্রশাসনিক পদও দেয়া হয়। আকবরের বিচারসভায় আবদুল হাই নামের একজন উচ্চ পদস্থ বিচারপতি ছিল, যে আসলে একজন আর্মেনিয়ান। দোমিঙ্গো পেরেজ নামের আকবরের পর্তুগীজ ভাষার দোভাষী আসলে একজন পর্তুগীজ নাম নেয়া আর্মেনিয়ান। পেরেজ ভারতীয় রমণী বিয়ে করেছিলেন।
আকবরের হেরেমের নারী চিকিৎসকের নাম জুলিয়ানা, ইনিও একজন আর্মেনিয়ান। জুলিয়ানা ছিলেন ফরাসী রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স জাঁ ফিলিপ দো বুর্বো অভ নাভারের স্ত্রী। তাদের দু’জনের সমাধিই আগ্রার আর্মেনিয়ান চার্চ প্রাঙ্গনে আছে। ধারণা করা হয় জুলিয়ানার বোনকে আকবর বিয়ে করেছিলেন। সেক্ষেত্রে আকবরের খ্রীস্টান স্ত্রী একজন আর্মেনিয়ান - পর্তুগীজ নন্। ঐতিহাসিক হেনরী জর্জ কেইন এবং আইন-ই-আকবরী’র একজন অনুবাদক হেনরী ব্লোখমানও এমনটা সমর্থন করেন। আকবরের সময়ে আর্মেনিয়দের প্রভাব সম্পর্কে আরো জানতে আগ্রহীরা A. Abrahamyan-এর “Short Sketches of the History of the Armenian Colonies” এবং M. J. Seth-এর “Armenians in India” পড়তে পারেন।
কেউ কেউ বলেন আকবরের খ্রীস্টান স্ত্রীর নাম “মরিয়ম জামানী” বা “মরিয়ম” - এটা ভুল। মরিয়ম জামানী হচ্ছে আকবরের রাজপুত স্ত্রীর ইসলামী নাম। তার আসল নাম রাজকুমারী হীরা কুনওয়ারী। এর কাহিনীই চরমভাবে বিকৃত করে ২০০৮ সালে আশুতোষ গোয়াড়িকর “যোধা-আকবর” নামের এক আষাঢ়ে গল্পের মুভি বানায়। সুতরাং আকবরের খ্রীস্টান স্ত্রীর সঠিক নাম জানার উপায় নেই।
ভারত থেকে পশ্চিমগামী জাহাজদের পর্তুগীজ গভর্ণরের ছাড়পত্র ছাড়া চলাচল সম্ভব ছিল না। কারণ, পারস্যোপসাগর তাদের দখলে ছিল। খোদ আকবরের পরিবারের সদস্যদের হজ্বে নিয়ে যাওয়া জাহাজকেও এই ছাড়পত্র নিতে হয়েছিল। আকবরের পর্তুগীজদের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টার প্রথম কারণটা হচ্ছে ভারত মহাসাগরে মুঘল যুদ্ধ জাহাজ, বাণিজ্যিক জাহাজ ও যাত্রীবাহী জাহাজের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করা। সারা দুনিয়ার সাগর জুড়ে পর্তুগীজদের দাপটের কারণ ছিল তাদের জাহাজের গঠন, দ্রুত গতি, টেকসই গুণ সর্বোপরি ছোট জায়গায় রেখে কার্যকর ভাবে চালানো যায় এমন কামানের ব্যবহার। আকবর চাইছিলেন পর্তুগীজদের এই প্রযুক্তিগুলো হস্তগত করে মুঘল নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করে তোলা। পর্তুগীজদের সাথে আকবরের সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টার দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে এ’টি। দুর্ভাগ্যক্রমে আকবরের দু’টি চেষ্টার কোনটিই কার্যত ফলপ্রসূ হয়নি।
লুটপাট আর দখলদারীতে এগিয়ে থাকলেও রাজনীতিতে পর্তুগীজরা যে পিছিয়ে ছিল সেটা তাদের ঔপনিবেশিকতার ইতিহাস দেখলে বোঝা যায়। পর্তুগীজদের প্রতি আকবরের সফ্ট কর্ণার দেখে এবং আকবরের খ্রীস্টান নারীকে বিয়ে করা দেখে পর্তুগীজ জেস্যুইট পাদ্রীরা ভুল মেসেজ পেয়ে থাকতে পারে। তাই ১৫৭৯ সালে আকবরের দরবার পরিদর্শন কালে তারা নিজস্ব ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি ইসলামের ও ইসলামের রাসুলের চরম বিষোদগার করে। এই ঘটনার পরিণতি ভালো হয়নি। মুসলিম ওলামারা এর তীব্র প্রতিবাদ করে। দেশজুড়ে মুসলিম ধর্মীয় নেতারাও এতে আকবরের উপর রুষ্ট হয়। আকবর জেস্যুইট পাদ্রীদেরকে কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক হবার আদেশ দেয়। পর্তুগীজদের সাথে আকবরের আলগা মাখামাখির ব্যাপারটা এখানেই শেষ। কিন্তু জেস্যুইট পাদ্রীদের এই বাড়াবাড়ির পরিণতি আরো অনেক দূর গড়িয়েছিল। ১৫৮১ সালে কাবুলের গভর্ণর আকবরের ভাই মির্জা মুহাম্মদ হাকিম যখন আকবরকে উৎখাত করে নিজে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে তখন জেস্যুইট পাদ্রীদের শাস্তি না দেবার ইস্যুটাকেও সামনে এনে ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন পাবার চেষ্টা করে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পুরা পোস্টটাই আপসাইড ডাউন হয়ে গেল আপনার কমেন্টে। আকবরের এত আর্মানী কানেকশন ছিল জানতামনা। এইবার নয়া টপিক পাইলাম, আর্মানী ভারত। আপাতত পড়ছি প্রাশান আর সুয়েড কোম্পানীর ইতিহাস, বিস্তারিত কিছু নাই কোথাও খালি কবে কোম্পানী খুলে কয়টা জাহাজ পাঠাইসে সেইসব বিতং বর্ণনা। মহা বোরিং।
মোগলাই হজ্জ্বের ব্যাপারটাও ইন্টারেস্টিং, মোগল সম্রাটের হজ্জ্বের বর্ণনা পড়তে মন চায়। খুঁজে দেখতে হবে। সময় এত কম।
ধন্যবাদ পান্ডবদা।
..................................................................
#Banshibir.
পাণ্ডবদাকে
_____________________
Give Her Freedom!
facebook
চলুক।
_____________________
Give Her Freedom!
ভাবানুবাদে
জেমস সাহেবকে নিয়ে আর পারা গেল না।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন