দোর্দন্ড প্রতাপশালী ইংরেজের কামানের সামনে পলকা বাঁশের কেল্লা নিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন আমাদের বাংলার তিতুমীর। তিনি ছিলেন একটি আস্ত মৌলবাদী, শুধু ইংরেজ নয় সকল কাফিরের বিরুদ্ধেই তার গুষ্টি কিলাই মনোভাব ছিল। তবে ইংরেজদের সাথে ঘাড় ত্যাড়ামি করার জন্য তাকে হাই ফাইভ দেয়া যায়।
আজকের লিখা ১৮৭০ সালে প্রকাশিত “The Calcutta review, Volume 51” গ্রন্থের “The Wahhabis In India” পরিচ্ছেদ অবলম্বনে।
…..............................................................................
বারাসাতের সৈয়দ আহমেদের অনুসারীদের মধ্যে চাঁদপুরের১ এক লোক নিসার আলী ওরফে তিতুমীর এর নাম উল্লেখযোগ্য। তার ছিল বনেদী বংশ, বিবাহসূত্রে মুনশী আমীর বলে এক ধনকুবেরের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। সে ছিল খুবই একরোখা আর বদ স্বভাবের। ১৮১৫ সালে কোলকাতায় সে পেশাদার কুস্তিগীর ছিল। পরে সে নদেয়ার কিছু জমিদারের লেঠেল হিসেবে কাজ শুরু করে, ওখানে কিছু ঝামেলা পাকিয়ে সে কিছুদিন জেলের ভাতও খায়। ছাড়া পাবার পর কোনভাবে তার সাথে দিল্লীর রাজপরিবারের এক লোকের সাথে দেখা হয়, তারা দুজনেই মক্কায় যায় হজ্ব করতে। ওইখানে তার সৈয়দ আহমেদের সাথে দেখা হয়, আর তার অনুসারী হয় তিতুমীর। ভারতে ১৮২৭ সালে ফিরে সে হায়দারপুর গ্রামে ঘাঁটি গেড়ে ওয়াহাবী ধর্মমত প্রচার করতে থাকে। ঠিক আহমেদ সাহেবের মত সে পীরবাবাজীদের পিছনে লাগে, মাজারব্যবস্থার প্রতিবাদ করে আর মৃত ব্যক্তির নামে সদকা দেওয়া গর্হিত অপরাধ গণ্য করে। তার অনুসারীদের সে দাড়ি রাখতে আদেশ দেয়, আর যেন লোকাল কাফেরদের থেকে তাদের আলাদা করে চেনা যায় সেজন্যে অদ্ভুত কায়দায় জামা পরার নির্দেশ দেয়। কাফিরদের সাথে সামাজিক মিলামিশা একদম হারাম করা হয়। দেখতে দেখতে কয়বছরের মধ্যে সে তিনচারশ লোকের আধ্যাত্মিক গুরু হয়ে বসে, ইছামতির তীরে নারিকেলবাড়িয়ার আঠেরো বিশ মাইলব্যাপী তার প্রভাব দেখা যায়।
এই অগ্রগতি অতি সন্দেহের চোখে দেখে চাষার দল যারা হানাফী সম্প্রদায়ভুক্ত আর হিন্দু জমিদাররাও। চাষারা ক্ষিপ্ত ছিল তাদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ করার জন্য, তারা গিয়ে জমিদারদের কাছে নালিশ ঠুকে দিল। জমিদাররাও তাদের উপর বিরক্ত ছিলেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার জন্য, তাই তারা ব্যবস্থা নেওয়ার পাঁয়তারা করতে থাকলেন।
১৮৩১ সালে কিষেন রায় বলে এক জমিদার ঘোঁট পাকানো আরম্ভ করেন। তিনি তার লোকেদের মধ্যে ওয়াহাবীদের জন্য ২-৮ রুপী ট্যাক্স বসান, তার উপর দাড়িওলা লোক দেখলেই ধরে ধরে ফাইন করা হতে থাকে। সরফরাজপুরে এই ট্যাক্স আদায়ের সময় তিতুমীরের অনুসারীরা হাউকাউ লাগিয়ে দেয়। জমিদার এই খবর পেয়ে তার দুতিনশ লোক নিয়ে গ্রামে ঢোকেন আর শুরু হয় রায়ট। ব্যাপক লুটপাট চলে, একটি মসজিদ জ্বালিয়ে দেয়া হয়। বসিরহাটের দারোগা এসে কৈফিয়ত তলব করলে জমিদারের লোক আর তিতুমীরের লোক একে অপরকে রায়টের জন্য দোষারোপ করে। থানার মুহুরী তখন অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করলে জমিদার কিষেন গা ঢাকা দেয়, আর কয়দিন পরে বারাসাতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বেচ্ছায় ধরা দিয়ে বলে যে রায়টের সময় সে গ্রামেই ছিলনা, সে ছিল কোলকাতা। বসিরহাটের দারোগার সোর্স অবশ্য অন্যকথা বলছিল। যাইহোক, রায় বেরুলো যে তিতুমীরের অনুসারীরা (মামলার বাদীও বটে) নিজেরাই নিজেদের গ্রাম লুট করেছে আর নিজেদের মসজিদ জ্বালিয়েছে জমিদারকে ফাঁসানোর জন্য। এইবার তিতুমীরের লোকেদের পালানোর পালা। তারা দারোগাকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করলো, কিন্তু কেউ তাদের পাত্তা দেয়নি। দিনের পর দিন মামলা টেনে নেয়া হল তাদের ছাড়াই, শেষমেষ মামলাই তুলে নেয়া হয়। ততদিনে ওয়াহাবীরা দারোগার উপর চরম চটা, মাসকয় পরে যখন তাদের হাতে দারোগা পড়ে তখন তার কল্লা তারা আনন্দের সাথে নামিয়ে দেয়।
তিতুমীরের লোকেরা গাঁয়ে ফিরে এলে তাদের ফের উত্যক্ত করা শুরু করে কিষেন। পালিয়ে থাকার সময় খাজনা দেয়নি বলে বকেয়া টাকার জন্য সে অস্থির করে তোলে তাদের। তিতুমীর ঠিক করলো এইবার জিহাদ স্টার্ট করার সময় হয়েছে। মিসকিন শা বলে এক ফকিরবাবাজীর সাথে তার দোস্তি হয়, মিসকিনের কিছু ভক্ত ছিল। এদের সহ নিজের অনুসারীদের ২৩শে অক্টোবরের দিকে নারিকেলবাড়িয়ায় জমায়েত করেন তিতুমীর, সবাই ছিল পেটি অস্ত্রধারী।
গ্রামের চারপাশে পোক্ত বাঁশের খুঁটি বসানো হল। খবর পেয়ে পূর্ণিয়ার জমিদার ভাবনায় পড়লেন, জানতেন তাদের উপরেই প্রথম বাঁশ যাবে। হলও তাই। ৬ই নভেম্বরের দিকে শপাঁচেক ধর্মান্ধ লাঠিসোটা নিয়ে পূর্ণিয়া আক্রমনে চললো। একটি ব্রাহ্মনকে পিটিয়ে মারা হল, দুইটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে হিন্দুদের মন্দিরে জবাই করে গরুর রক্তে মন্দির ভাসিয়ে দেয়া হল। দেবতার মূর্তির গায়ে গরুর মাংস ঝুলিয়ে রাখা হল। দোকানপাটে পাইকারি লুটপাট চললো, স্মিথ নামে একটি নিরীহ খ্রিস্টানকে অকারনে চড়থাপ্পড় মারা হল, হানাফি মুসলমানদের অপমান করা হল, আর মহান কোম্পানীর শাসনকে খোলাখুলি হুমকি দেয়া হল। বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং পুরো জিনিসটা ঠান্ডা মাথায় প্ল্যান করা মনে হয়। তারা মিলিটারিদের মত সুশৃঙ্খল বজ্জাতি করছিল কোন এক গোলাম মাসুমের নেতৃত্বে।
পরেরদিন ভোরে তারা নদেয়ার লাউঘাট গ্রামে ঢোকে। প্রচুর ওয়াহাবীর বাস সেখানে। সেখানেও তারা মন্দির গরুর রক্তে ভাসিয়ে দেবার ধান্দা করার সময় স্থানীয় হিন্দুর দল বাধা দেয়। শুরু হয় রায়ট। গ্রামের মাতবর তার ভাইসহ খুন হয়, নিহত হয় আরো অনেক গ্রামবাসী। এরপরে তারা নারিকেলবাড়িয়ার হেডকোয়ার্টারে ফিরে যায়। পরের কয়দিন কাটে রামচাঁদপুর আর হুগলীর গ্রামে তান্ডব করে, হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তরিত করে। ১৪ তারিখে তারা শেরপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলমান রইস আদমীর ঘর লুট করে, আর তার সুন্দরী কন্যাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এতদিন পর্যন্ত সরকার মহাজন এদিকে বেশি নজর দেয়নি। নদেয়া আর বারাসাত ভর্তি ছিল নীলকুঠি, অদূরেই বাগুন্দীতে ছিল লবণ এজেন্সী। তিতুমীরের নেতৃত্বে লোক সংঘটিত হবার খবর ম্যাজিস্ট্রেট আগেই পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি দুইটা বরকন্দাজ পাঠিয়েই ভেবেছিলেন ব্যাপার মিটে যাবে। পরে লুটপাট খুনাখুনির খবর পেয়ে তিনটে জমাদারের সাথে তিরিশ বরকন্দাজ পাঠানো হল বসিরহাটের দারোগার সাহায্যের জন্য। নীলকর পিরনসাহেব কোলকাতায় কমপ্লেন করে চিঠি লেখেন নারিকেলবাড়িয়ার তৎপরতা নিয়ে বিতং লিখে, তখন উপরমহল আরো নড়েচড়ে বসলো। বাগুন্দীর যশোর লবণ এজেন্সীতে মিলিশিয়া পাঠানো হল, আলেক্সান্ডার সাহেবের নেতৃত্বে তারা বিদ্রোহী দমনে এগিয়ে গেল। দারোগা আর বরকন্দাজ নিয়ে তিনি রেডি। একটি হাবিলদার, একটি জমাদার আর বিশ সেপাই নিয়ে তিনি ১৪ তারিখে রওনা দিলেন। পথে যোগ দিল দারোগা। পাইক বরকন্দাজ জমাদার চোকিদার মিলিয়ে প্রায় ১২০ জন লোক। শত্রুপক্ষ ছিল প্রায় পাঁচছয়শ লোক, নানাবিধ অস্ত্রধারী। তারা নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের সামনে উন্মুক্ত প্রান্তরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল, সবার সামনে ঘোড়ার পিঠে গোলাম মাসুম। আলেক্সান্ডার ঠিক এইরকম আশা করেননি, তিনি ভেবেছিলেন মিলিশিয়া আসার খবরে ওয়াহাবীর দল সিল্কের লুঙ্গিতে পেশাব করে দেবে। ঐ ভেবে তিনি বুদ্ধিমানের মতন পাইকদের বন্দুকে গুলি পর্যন্ত ভরেননি, তিনি ভেবেছিলেন রক্তপাত ছাড়াই যন্ত্রনা শেষ হবে।
তিতুমীরের দল ঢিল ও অন্যান্য ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করলো। তারপর নাঙ্গা তলোয়ার হাতে গোলাম মাসুমের নেতৃত্বে এগিয়ে গেল ওয়াহাবীরা। কোলকাতা মিলিশিয়ার জমাদার ও দশ বরকন্দাজের মুন্ডু কাটা পড়লো। বসিরহাটের দারোগা, কালিঙ্গা থানার জমাদার আর কিছু পেয়াদাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বন্দী করা হল। দারোগার সাথে তাদের পুরান হিসেব বাকি ছিল, তাকে খুঁচিয়ে হত্যা করা হল। আলেক্সান্ডার পালিয়ে বাঁচলেন, একটি নৌকায় করে তিনি যশোর লবণ এজেন্সীতে ফিরে এলেন।
আলেক্সান্ডারের পরাজয়ের খবর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়েছিল কিন্তু ভাসা ভাসা। তিনি ঠিক ধরতে পারিছিলেননা বিদ্রোহের ব্যাপারটা কতটুকু সিরিয়াস। তাকে মিথ্যে সংবাদ দেয়া হল যে বিদ্রোহীরা সংখ্যায় বেশি না, তাদের অস্ত্রপাতিও কিছু নেই। ম্যাজিস্ট্রেট তার হাতিঘোড়া নিয়ে মাইল চারেক দূরে নারিকেলবাড়িয়ার পথ ধরলেন। গিয়ে দেখা গেল মাইলপোস্টের কিছু পাইক ছাড়া আস্ত গ্রাম বেবাক ফাঁকা, মাছিটিও নেই। ফিরে যাওয়ার পথ ধরতেই দেখেন এক হাজার সশস্ত্র অনুসারী পেছনে নিয়ে তেড়ে আসছে তিতুমীর। ফৌজদারি আদালতের নাজির আর দুই বরকন্দাজ পিছিয়ে পড়ে মারা পড়লো, বাকিরা পড়িমরি করে ইছামতীতে নৌকা যোগাড় করে পালাতে থাকল। নদীর পাড় ঘেঁষে তিতুমীরের দল তাদের ফলো করছিল, আলেক্সান্ডারকে হারিয়ে তাদের ধারনা হয়েছিল আল্লা স্বয়ং তাদের প্রতি চরম ইম্প্রেসড। অসীমসাহসী আল্লার বান্দারা ঝাঁপ দিয়ে শত্রুর নৌকায় উঠে যেতে থাকল। পাইক বরকন্দাজের দল লাফিয়ে পানিতে পড়ে নদীর অপর পাড়ে ছুট দিল। তিতুমীরের হাতে পড়লো একটি হাতি, একটি পানসি, কয়েকটা বজরা আর কিছু ছোট নৌকা।
এইবার তারা হামলা করলো হুগলী কুঠি। ম্যানেজার আর তার পরিবারকে বাঁশের কেল্লায় নেওয়া হল, ম্যানেজার কানে ধরে বললেন ইংরেজ নয় তিতুমীরই দেশের রাজা। তিতুমীরের হয়ে নীলচাষ করার দৃঢ় শপথ ব্যক্ত করেন তিনি। খুশি হয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়, আর ঘাটে ঘাটে খবর পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করা হয় যেন দেশের রাজা তিতুমীরকে সবাই মান্য করে চলে।
ইংরেজ ঘুমিয়ে ছিলনা। ১৬ই মার্চ আলেক্সান্ডার সাহেব কোলকাতা পৌঁছান, আর পরাজয়ের রিপোর্ট জমা দেন। কোম্পানী সর্বশক্তি নিয়ে প্রস্তুত হয়। ঘোড়াচালিত কামানবাহী দশম রেজিমেন্ট কিছু সৈন্যসহ বারাসাতে আলেক্সান্ডারের সাথে যোগ দেয়। গন্তব্য নারিকেলবাড়িয়া। ওখানে পৌঁছে দেখা যায় উন্মুক্ত মাঠে সাদা সৈন্যের লাশ সামনে ঝুলিয়ে ওয়াহাবীরা প্রস্তুত। তাদের দিক লক্ষ্য করে কামান দাগা হয়। তরবারি আর পাকা বাঁশের লাঠি সম্বল করে ওয়াহাবীরা ফাইট দিতে থাকে। তবে বেশিক্ষন নয়। ষাট সত্তুরজন মারা যায়, বাঁশের কেল্লার পতন ঘটে।
ভেতরে প্রচুর বন্দী উদ্ধার করা হয়, আর পাওয়া যায় প্রচুর লুটের মাল। তিতুমীরের সেনাপতি গোলাম মাসুমকে বন্দী করা হয় ও পরে আলীপুরে ফাঁসীতে ঝুলানো হয়। কেল্লার নবাব তিতুমীর ক্রসফায়ারে মারা যায়।
মন্তব্য
শাবাস! এইটা পছন্দ হয়েছে।
..................................................................
#Banshibir.
facebook
জটিল।
..................................................................
#Banshibir.
এটা তরতরিয়ে পড়ে ফেললাম। ভালো হয়েছে।
গাইতে গাইতে গায়েন।
..................................................................
#Banshibir.
তিতুমীরকে ভারতীয় ঐতিহাসিকরা কোন দ্ষ্টিতে দেখেন?
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ঠিক বলতে পারিনা, মহাশ্বেতা দেবীর একটা গল্প পড়েছিলাম অনেক আগে, ঐখানে তাকে বিরাট হিরো দেখানো হয়েছিল মনে হয়। আর কিছু মনে নাই।
..................................................................
#Banshibir.
চরম লাগছে আপনার এই সিরিজ
..................................................................
#Banshibir.
ইতিহাস এত মজার করে লিখতে পারেন। অসাধারণ।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
ইতিহাস খুবই মজার জিনিষ, আমার বুঝানো উছিলা মাত্র।
..................................................................
#Banshibir.
কড়া পীরের আরেকটা কড়া লেখা!!
আসলে আমাগোরে মধ্যযুগের ইতিহাস টা পরিস্কার না!!।ওয়াহেবীরা কিভাবে এইখানে নামে মুসলামানের দেশে ঘাটি গাড়ল...সেইটার হদিস খুইজা পাওয়া যায় না ইতিহাসে।তবে কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়!! এই ইঙ্গিত গুলাই ভরসা!!
এই নামে মুসলমানেরা ক্যাম্নে কামে মুসলমান হয়া উঠলো সেই নিয়া কিছু দেয়ার জন্য পীরের দরগায় ঠুকা দিতেছি!! একটু মুরাকাবা কইরা... যদি কিছু লিখতেন তবে অশেষ সোয়াব হাসিল হইত!!
মনে মনে আপ্নের বায়েনিয়াত নিছি কিন্তু!!!
সত্যপীরের চোখে কিছুই এড়ায়না হুহাহাহাহাহা।
..................................................................
#Banshibir.
আমাদের ইতিহাস বইতে তিতুমীরের সম্পর্কে ওয়াহাবিজমের কোনো কথাই লেখা ছিল না। গত বছর দুই হল আমি এ সম্পর্কে জেনেছি। এখন পুরোটা এক জায়গায় পড়ে ভাল লাগল। কিষেণ রায়কে আমাদের বইতে কৃষ্ণকান্ত রায় নামে বলা ছিল - আমার মনে হয় ওটাই সঠিক নাম। আরও মজার কথা হল বইতে পড়েছিলাম যে কৃষ্ণকান্ত রায় প্রজাদের দাড়ির ওপর কর বসিয়েছিলেন। কিন্তু আমার মাথায় কিছুতেই ঢোকেনি যে ওটা কিছু খারাপ কাজ, কারণ মুসলিম অনেকেই যে দাড়ি রাখে সে ধারণা ছিল না। কিন্তু পরীক্ষায় পাশ করার স্বার্থে কিছু একটা লিখেছিলাম।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হ ইতিহাস বই পড়ে ঘুম আসত, সন তারিখ মুখস্ত না করে উপায় ছিলনা দেখে বিরাট বিরক্ত লাগতো। পরীক্ষায় পাশ দেওয়ার জন্য আমিও কত ইতিহাস বানিয়ে লিখেছি
..................................................................
#Banshibir.
বরাবরের মতোই
ডাকঘর | ছবিঘর
বরাবরের মতই
..................................................................
#Banshibir.
তরতরিয়ে পড়ে ফেললাম।
****************************************
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু।
..................................................................
#Banshibir.
মিলিটারি স্কুলে আমাদের হাউজের নাম ছিল তিতুমীর হাউজ। আমার তিতুমীরের বীরত্বের নানা বন্দনা শুনে শুনে বড় হইছি। কোথাও বিস্তারিত কিছু ছিলোনা। আপনে যেইভাবে বেচারার প্যান্টালুন খুলে দিলেন এখন মনে হচ্ছে হাউজের নাম বদলে সত্যপীর হাউজ করে দেয়া দরকার। আমি দিব্য দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি সব ঐতিহাসিক চরিত্ররা নিজেদের মধ্যে হুড়াহুড়ি লাগিয়ে দিছে সত্যপীর আইলরে, কাছা সামলা বলে ।
একখানা ফাতরা গপ্প লিখতেছি, ঐতিহাসিক কিছু চরিত্রদের নিয়া। অনুমতি দিলে আপনের নামখানা একজায়গাতে ঢুকিয়ে দিবো। (অনুমতি না দিলেও দিবো, তখন হুদাই হয়তো একটু পচানি খাইবেন )
সত্যপীর লজ্জিত এবং আনন্দিত, যাকে বলে এবং
..................................................................
#Banshibir.
ভাই কি পিসিসির এক্স ক্যাডেট?
লেখা অনেকটাই ইংরেজ ঘেষা মনে হয়েছে, রেফারেন্স কতটা গ্রহনযোগ্য?
ইংরেজের লিখা ইংরেজঘেঁষা না হওয়াই অস্বাভাবিক। রেফারেন্স আদৌ গ্রহনযোগ্য নয়, কি লিখল পড়ে দেখলাম আরকি।
..................................................................
#Banshibir.
রম্য গল্প হিসেবে অবশ্যই সুখপাঠ্য, কিন্তু ইতিহাস হিসেবে খুব একটা গ্রহনযোগ্য মনে হচ্ছে না। ইংরেজের সরকারী ভাষ্যে লেখা ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ইতিহাস। ঈসরাইলের ভাষ্যে ফিলিস্তিনিদের "বর্বরতার" এরচেয়ে নৃশংস বিবরন ভালোই মেলার কথা।
এইটুকু একটা দেশ ইংল্যান্ড রাজত্ব করলো তার বহু গুনে বড়, সম্পদশালি ভারতবর্ষের উপর ডিভাইড এন্ড রুল পলিসিতে। যেকোন আন্দোলনকে ধর্মীয় ট্যাগিং দেয়া, ওয়াহাবি ট্যাগ করে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা খুবই স্বাভাবিক। মনে হচ্ছে এত বছর পরেও তারা সফল।
ইতিহাস হিসেবে গ্রহনযোগ্য না ভালো কথা, রম্যগল্প রম্যগল্প বলে খামোকা চেঁচাচ্ছেন কেন? এটা গল্প আপনাকে কে বললো? এইটা অনুবাদ প্রবন্ধ, লঘুচালে লিখা। আজকে বলবেন গল্প কালকে লিখা পড়ে বলবেন কবিতা এইটা কেমন বিচার?
আচ্ছা, তাহলে তিতুমীর ওয়াহাবী ছিলেন না বলতে চাইছেন?
..................................................................
#Banshibir.
বিচার-অবিচার যাই বলেন একটা লেখাকে গল্প, উপণ্যাস, কবিতা যা খুশী ভাববার অধিকার শেষ পর্যন্ত পাঠকেরই। আপনি রম্য গল্প লিখেছেন সেটা আমি বলিনি কিন্তু, বলেছি এটাকে রম্য গল্প হিসেবেই আমার ভালো লাগছে।
তিতুমীর ওয়াহাবি বা মৌলবাদী ছিলেন না - সেটা আমি বলছি না। শুধু বলছি ইংরেজের ভাষ্যে বলা ইতিহাস আমার জন্য যথেষ্ট নয়। আমি আরো রেফারেন্স চাই। আপনার কথার বৈপরিত্য খেয়াল করুন।
আপনি স্বীকার করছেন এটার রেফারেন্স অগ্রহনযোগ্য।
এর বিপরীতে ভারতীয় কোন ঐতিহাসিকের বক্তব্য আপনার জানা নাই।
সব মিলিয়ে আপনার জানা অসম্পূর্ণ আপনি স্বীকার করছেন।
তবে এজন্য ভালো-মন্দ বিচার করতে আপনার কোন সমস্যা হচ্ছে না।
এটা অতি দূর্বল রেফারেন্সে লেখা ইতিহাসের অনুবাদ। এটা দিয়েই পাঠকদের অনেকেই তিতুমীর এর ভালো-খারাপ বিচার করে নিচ্ছেন। আপনিও তাতে উৎসাহ দিচ্ছেন। আমার আপত্তি এখানেই।
ভাইয়া এক কাজ করুন, এইখানে প্রবন্ধ না লিখে আপনার জানা তিতুমীরকে নিয়ে রেফারেন্সযুক্ত একটা পোস্ট ঝাড়ুন। ঝামেলা মিটে যায়। হাপিত্যেশ করে থাকলাম।
..................................................................
#Banshibir.
এইটা একটা পুরাই "কসকি মমিন" লেখা হৈসে।
হ!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
কথা সত্য, পুরা ইতিহাসটাই আমার মনে হয় কস্কি মমিন টাইপ।
..................................................................
#Banshibir.
গুরুদেব এতদিন কোথায় ছিলেন?! হিস্টরি গুলোকে গল্পের মত পড়তে কী যে ভাল লাগে, এইটা পাঠ্যপুস্তক রচয়িতারা বোঝে না।
মারাত্মক একের পর এক লেখা-অনুবাদ নামাচ্ছেন। সবগুলোই পড়ি, সময়ের অভাবে কমেন্ট করা হয় না। কিন্তু এইটা পড়ে কিছুক্ষণ তব্দা খাইয়া বইসা থাকার পর মনে হইলো লগ ইন করি!
যাউজ্ঞা, তিতুমীরের প্রতি ব্যাপক রেস্পেক্ট ছিল...সেইটা শ্যাষ! ইতিহাস বড়ই বেদনাময়...কে যে কেন কিসের জন্য হিরো হয়!
অনুবাদ ব্যাপক রসালো হচ্ছে।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বিরাট শরমিন্দা করলেন ভাই। লিখা পড়েন এতেই আমি ব্যাপক খুশী, কমেন্ট মাঝে মধ্যে দিলেই চলবো।
হ রেস্পেক্টের বেইল নাই আসলে। শালারা ভালো আদমী ছিলনা। ইতিহাস বেদনাময়ই বটে।
..................................................................
#Banshibir.
ভুল না করে থাকলে আপনি আমার বউয়ের ছোটকালের সহপাঠী এবং আমাদের খুব প্রিয় বন্ধুর বর...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অর্থাৎ আপনার বউ আমার পূর্বপরিচিত এবং আমারটি আপনার। বউয়ের আমি, বউয়ের তুমি, বউ দিয়ে যায় চেনা।
..................................................................
#Banshibir.
সব শালার হিরোই ফাউল নাকি? আচ্ছা, একটা কাজ করা যায় না? একই ইতিহাস দুই ভিন্ন ঐতিহাসিকের লেখা থেকে অনুবাদ করতে পারেন? যেমন আমরা ছোটবেলা থেকেই তিতুমীর কে জানি হিরো হিসাবে, এখানে দেখা যাচ্ছে, পুরাই ফাউল। কিন্তু আসল ব্যাপারটা হয়ত দুটার মাঝামাঝি কিছু হবে। এই লেখাগুলোর কাউন্টার কিছু পেলে আমাদের জানাবেন? নিতান্তই ব্যক্তিগত আবদার আরকি। আর লেখা আর লেখার স্টাইল বরাবরের মতই (গুড়)
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সব শালার হিরোই ফাউল।
আমারো মনে হয় আসল জিনিষ যে কি তা জানা অসম্ভব, মাঝামাঝি কিছু। লিখার কাউন্টার কিছু পেলে অবশ্যই জানাবো, তবে তিতুমীরের উপর লিখা বেশি নাই। আর আমি খুঁজি গুগল বুকসে, ওইখানে এই লিখার কাউন্টার আশা করা দুরাশা। যেমন চিটাগং এর পাইরেট সেবাস্টিয়ানের উপর আমার আগ্রহ ছিল, কিন্তু খুব কম জায়গায় এর উল্লেখ আছে। বেশিরভাগ ইতিহাস বই খালি সন তারিখ আর নামের ফিরিস্তি।
লিখা ভালো লেগেছে শুনে হইলাম।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি অসাধারণ ভাবে ইতিহাস (অনুবাদ) বর্ণনা করেন ।
আচ্ছা তিতুমীর সম্পর্কে এই ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসবিদরা কিভাবে দেখে। কারণ যেহেতু এটা ইংরেজদের লিখিত ইতিহাস (যেটা আপনি আগেই বলেছেন) , যদি নিরপেক্ষ বা দুই তরফের ইতিহাসটা একটু যদি মাঝে মাঝে জানাতেন।
আমি আপনার মুরীদ হলাম...বাইয়্যেনিয়াত নিলাম
ইতিহাস জিনিষটাই অসাধারন, কত কি ঘটে গেছে দুনিয়ায়। দেশি পন্ডিতের দল ইতিহাসটাকে ব্যাকরন বানিয়ে রেখেছে, দেখলেই ভয় লাগে। বিরক্তও লাগে। বিদেশে ছোটদের জন্য এরকম ইতিহাস লিখা হয়, কনটেন্ট যেমন গুরুত্বপূর্ণ প্রেজেন্টেশন ও ঠিক সেরকম। নইলে মানুষ পড়বে না। ওইটাই মাথায় রাখি আরকি। ঠিকমত লিখলে ইতিহাস জমজমাটই হওয়ার কথা, আমার বর্ণনা উছিলা মাত্র।
নিরপেক্ষ ইতিহাস বলে দুনিয়ায় কিছু নেই। আর আমি ইতিহাসবেত্তাও নই, আবজাব অনুবাদ করি মাত্র। ঘটনার সত্যাসত্য যাচাই করা আমার জ্ঞানে সম্ভব নয়। সত্যাসত্য যাচাইয়ের তেমন দরকারও দেখছিনা, ইতিহাসকে বিনোদন হিসেবেও নেয়া যায় কি বলেন?
মুরীদ পায়া খুশি হইলাম, সত্যপীর খুশ হুয়া!
..................................................................
#Banshibir.
এই লেখাটা অনুবাদ করার ও পোস্ট করার কোন দরকার ছিল কিনা সেটা বোধহয় একটু ভাবা উচিত ছিল। সাধারণ পাঠকদের একটা অংশ এই পোস্টটা যে অন্য একজনের লেখার অনুবাদ এই সাধারণ ব্যাপারটাই ধরতে অক্ষম। একজন ব্রিটিশ বিরোধীকে একজন ব্রিটিশ কীভাবে চিত্রায়িত করতে পারে সেটাও অনেকে বুঝতে অসমর্থ হবেন। সচল থেকে অন্যত্র আপনার লেখা রেফারেন্স হিসেবে যখন ব্যবহৃত হবে তখন ট্যাগের কথা আর কারো মনে থাকবে বলে মনে হয় না।
তীতুমীরদের নিয়ে কাঠমোল্লাদের নর্তন-কুর্দন আর ব্রিটিশদের ছোট করে দেখানোর চেষ্টা সত্যিকারের তীতুমীরকে আর চিনতে দেয় না। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামীদের মধ্যে তীতুমীর হচ্ছেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি আন্দোলন করে দেখিয়ে গিয়েছিলেন যে - সামন্ততন্ত্র ও ঔপনিবেশিকতা দুটোই সাধারণ মানুষের দুশমন। তিনি দুটোর বিরুদ্ধেই লড়েছিলেন। এই কাজটা শিক্ষিত মানুষের দল কংগ্রেস বা মুসলিম লীগও করতে পারেনি।
তীতুমীরকে নিয়ে একটা পোস্ট দেবার কথা ভেবেছিলাম অনেক আগেই, পরিকল্পনাটা ত্যাগ করলাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সচলের পাঠক নিয়ে আমার অনেক উঁচু ধারণা। এইটা মানতে পারলামনা। তবে মনে হচ্ছে একটা ডিসক্লেইমার দেওয়া উচিৎ ভবিষ্যতে।
খুব দুঃখ পেলাম পান্ডবদা। তাহলে তিতুমীরকে নিয়ে জানব কিভাবে?
..................................................................
#Banshibir.
লেখাটির ১ম পরিচ্ছেদ যেহেতু আপনার নিজেরই ভাষ্য কাজেই পুরো অনুবাদের সাথে আপনার মতামতের পার্থক্য নেই বলেই মনে হচ্ছে। আমরা পাঠকেরা 'ইঞ্জিরি' মোটামুটি পড়তে পারি; কাজেই শুধু 'প্রভুসমাজের' ঐতিহাসিক ভাষ্য অনুবাদ না করে পাশাপাশি যদি ইকটু 'সাব-অল্টার্ন' মতগুলো নিয়েও আলোচনা করেন কিংবা আপনার নিজস্ব মতামত, পর্যালোচনা তাতে তুলে আনেন তবে বোধ করি মন্দ হয়না। ইতিহাস মানে নিশ্চয়ই স্রেফ কপিবুক অনুবাদ নয়! উপলদ্ধিটাও দরকার কি বলেন?? আদেশ বা উপদেশ দিচ্ছিনা স্রেফ একটু অনুরোধ হিসেবেই দেখবেন দয়া করে।
আর ট্যাগে অনুবাদটা কার লেখা থেকে সেটা আর অনুবাদটা ইতিহাসের কাদের তরফ থেকে লেখা সেটাও উল্লেখ করলে ভালো হয়। ইতিহাস লিখলেই যে তা 'রম্য গল্পের' ক্যাটাগরী থেকে বাদ পড়বেনা সেটা এরকম ইতিহাস পড়ে অনেকেরই নাও মনে হতে পারে কীনা! সেজন্যই বললাম আরকী!
ধন্যবাদ।
প্রথম পরিচ্ছেদে ইংরেজের সাথে ঘাড় ত্যাড়ামি করার জন্য তিতুমীরকে হাই ফাইভ দেয়া আছে, লিখায় কোন জায়গায় তিতুমীরকে নিয়ে একটা ভালো কথা বলা আছে বলেন তো? প্রথম পরিচ্ছেদে আরো বলা আছে তিতুমীরের ইংরেজসহ সকল কাফির বিদ্বেষের কথা, সেটা ভুল হলে রেফারেন্স দিয়ে দেখিয়ে দিন অবশ্যই মেনে নিব। আমার ব্যক্তিগত মতামত তিনি কট্টর মৌলবাদী ছিলেন। কিন্তু তাকে ইংরেজবিদ্বেষের ক্রেডিট অবশ্যই দেয়া যায়।
আমি সামান্য অনুবাদক মাত্র এই কথাটা বলে বলে মুখে ফেনা উঠে গেল। ইতিহাস নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট নয় এগুলি শুধুই অনুবাদ।
আমার সিরিজ শুধুই অনুবাদ, দয়া করে উপলব্ধি করতে এখানে আসবেননা। একটা পুরোন লিখার অনুবাদ পড়তে আসবেন।
কার কি মনে হতে পারে ভেবে ট্যাগানো শুরু করলে ট্যাগেই পোস্ট ভরে যাবে। শুধুমাত্র অনুবাদ এবং ইতিহাস এই দুইটি ট্যাগই যথেষ্ট বোধ করছি। ধন্যবাদ।
..................................................................
#Banshibir.
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ভক্ত বলছিলাম। দারুণ! অবিরাম চলুক পীর সাহেব। বেদম মজা পাচ্ছি। কারন বিশ্বাস করি নিরপেক্ষ ইতিহাস হয় না। আবার পুরা মিথ্যা দিয়েও ইতিহাস হয় না। এটাই আশার কথা। যে পক্ষের বক্তব্যই হোক কিছু সত্য সেখানে থাকবেই। সেটুকু চিনে নেবার দায় মনেকরি পাঠকের।
আপনার বেদম মজায় আমিও শামিল হইলাম
..................................................................
#Banshibir.
সেই কবে স্কুলে থাকতে পড়েছিলাম "তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা"। এখনও মনে আছে বিরাট দেশীয় মুসলিম হিরো হিসাবে তিতুমীরের চরিত্র বর্ণনা করা ছিল, তাঁর সম্মন্ধে আর কিছু জানা ছিল না। ইংরেজ বর্ণিত ইতিহাস হলেও লেখার মূলভাবের সাথে একমত। তারপরও বিদেশী শাসকদের বিরুধেব রুখে দাঁড়ানোর জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানাই।
চমৎকার আপনার লেখার হাত, অলরেডি আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেছি! চলুক
অনেক ধন্যবাদ!
পড়া শুরু করার পরে আর থামতে পারিনি। চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন।
গোরা সাহেবদের দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানানোর কায়দা খুব ভালো করে জানা ছিলো।
অনুবাদে
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
বরাবরের মতোই ভাল লাগল। উল্লেখিত 'নদেয়া' কি নদীয়া জেলা? নাকি নদেয়া বলে অন্যকোন জায়গা আছে?
নতুন মন্তব্য করুন