মোগল সাম্রাজ্যের সর্বশেষ প্রতাপশালী বাদশা আওরঙ্গজেব ছিলেন একটি এক্সপোর্ট কোয়ালিটি শয়তানের লাকড়ি। গদিতে বসার জন্য তিনি তার প্রতিটি ভাইকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হত্যা করেন, পিতা শাজাহানকে জেলের ভাত খাইয়ে মারেন। গদিতে বসে তিনি গণহারে হিন্দুদের খৎনা করে মুসলমান বানাতে থাকেন, ধর্মীয় বৈষম্যমূলক জিজিয়া কর পুনরায় চালু করেন, হাজার বছরের পুরোন মন্দির প্যাগোডা ধুলোয় মিশিয়ে দেয়া হয়। তিনি ভন্ডামীরও বাদশা ছিলেন, সকাল বিকাল কুরান শরীফ মাথায় ঠেকিয়ে জিহাদি জোশ দেখালেও রাতে নিজেরই বিয়ে করা হিন্দু বউয়ের কোমল বুকের খাঁজে নাক ডুবিয়ে ঘুমাতে তার আটকাতো না। প্রখর বুদ্ধিমান, প্রতারকশিরোমণি ও চরম ধুরন্ধর মহীউদ্দিন মুহম্মদ আওরঙ্গজেব ছিলেন একটি ক্রিমিনাল মাস্টারমাইন্ড।
শাজাহান বেঁচে থাকাকালিনই তার চার ছেলের মধ্যে সিংহাসন নিয়ে টেরম টেরম যুদ্ধ লেগে যায়, আমাদের গল্পের শুরু ওইখানে। আওরঙ্গজেব আরাম করে গদিতে বসার পরে গিয়ে আমরা থামবো। জেমস হুইলার লিখিত “Tales from Indian history” বই অবলম্বনে।
…............................................................
মরহুম তাজ মহলের গর্ভে শাজাহানের চারটে ছেলে। দারা, সুজা, আওরঙ্গজেব আর মুরাদ। বড় ছেলে দারা, অটোমেটিক সিংহাসনের দাবীদার। কিন্তু চার ভাইয়ের মধ্যে তার উপর আমজনতা সবচেয়ে ত্যাক্ত ছিল। কুরান নিয়ে উল্টাপুল্টা কথা বলে সে মুসলমানদের খেপিয়ে রেখেছিল, রাজাদের নিয়ে তাচ্ছিল্যসূচক কথা বলা নিয়ে হিন্দুরাও কম বিরক্ত ছিলনা। খ্রিস্টান পাদ্রীর সাথে তার ছিল চরম মাখামাখি, তার অধীনে প্রচুর ইয়োরোপীয় কামান বন্দুক তৈরির কাজে নিযুক্ত ছিল।
শাজাহান বুড়ো হবার পর সরকারী কাজ দারার ঘাড়ে চাপিয়ে হেরেমে মন দিলেন। দারার লোভ বাড়তে থাকলো, সে সম্পদ জমানো আরম্ভ করলো। বিভিন্ন প্রদেশের শাসকদের সে ইচ্ছেমত প্রজা নিপীড়নের সুযোগ দিলো, একটাই শর্ত তাকে ভাগ দিতে হবে। সুজাকে বাংলায়, আওরঙ্গজেবকে দাক্ষিণাত্যে আর মুরাদকে গুজরাট পাঠানো হল। এরকম দূরে দূরে থাকলে তারা এক হয়ে তার কল্লা কাটার ধান্দা করতে পারবে না এই আশায়।
দারা ক্ষমতার গন্ধে অস্থির হয়ে উঠছিলো, আশপাশের চাটুকারের দলও তাকে উৎসাহ দিচ্ছিল মুখে। মনে মনে তারাও কিন্তু দাম্ভিক দারাকে দেখতে পারত না। আওরঙ্গজেবের অনাড়ম্বর জীবনযাপনে দাক্ষিণাত্যে তার জনপ্রিয়তায় দারার মাথায় টংটং অ্যালার্ম বাজছিল, পিতা শাজাহানের কাছে সে আওরঙ্গজেবের নামে নালিশ করে দিল। শাজাহান কিন্তু আরেক খেলোয়াড়, তিনি দারার ধান্দাবাজীতে সন্দিহান হয়ে বরং আওরঙ্গজেবকেই দারার পিছনে লাগিয়ে দিলেন।
শাজাহানের চার ছেলের মধ্যে সবচাইতে বড় গুটিবাজ ছিল আওরঙ্গজেব। সে বিরাট ধার্মিক, সেই আকবরের আমলে বিতাড়িত মোল্লা আলেমউলামাদের সে কোথা থেকে আবার জোগাড় করলো। তার ছিমছাম গড়ন, স্বল্পাহারী, সাধারন সুতীর কাপড় পরনে। যেখানেই থাকুক না কেন নামাজ ওয়াক্তে সে ঠিক ঢিপঢিপ নামাজ পড়া শুরু করতো। সারাক্ষন বগলের তলায় একটি কুরানশরীফ থাকত তার, রাজধানী আওরঙ্গাবাদের রাস্তাঘাটে সুললিত কন্ঠে সে মুনাজাত পাঠ করতো।
ঐ সময় দাক্ষিণাত্যের উত্তরভাগ মোগল কব্জায় ছিল, কিন্তু দক্ষিণাংশে বিজাপুর আর গোলকোন্ডা নামে দুইটি স্বাধীন মুসলমান রাজত্ব ছিল। ঐ দুই মুসলমান রাজা ছিল শিয়া, আর আওরঙ্গজেব কড়া সুন্নী। রাজ্য আক্রমন করার চরম বাহানা।
গোলকোন্ডায় এক বালক সুলতান রাজত্ব করছিল, তার উজির ছিল এক পারসিক পর্যটক আমীর জুমলা। জুমলা সাহেব টাকা ও নারীর লোভে গোলকোন্ডায় পড়ে ছিল, বালক সুলতানের মাতার সাথে তার আশনাই। এই বিপজ্জনক লাভ এফেয়ারের কথা প্রকাশ হয়ে পড়ায় আমীর জুমলা জীবনের জন্য ভীত হয়ে গোপনে আওরঙ্গজেবের সাথে যোগাযোগ করে গোলকোন্ডা আক্রমনে প্রস্তাব পাঠায়। আনন্দের সাথে প্রস্তাব গৃহীত হয়। ঘটা করে প্রচার করা হয় আওরঙ্গজেব সুজার মেয়ের সাথে পুত্র মাহমুদের পানচিনি করতে বাংলা যাচ্ছে, কিন্তু তা না করে দুম করে তার বাহিনী নিয়ে গোলকোন্ডায় হাজির হয়। পালানোর পথ না দেখে বালক সুলতান ধরা দিতে যাচ্ছিল, এমন সময় দিল্লী থেকে আওরঙ্গজেবের কাছে হুকুম আসে গোলকোন্ডা ছেড়ে দিতে। দারার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে করতে আওরঙ্গজেব দিল্লীর পথ ধরে।
আওরঙ্গাবাদে ফিরে আওরঙ্গজেব কিছু দামী উপহার পাঠায় পিতার প্রতি, যেন বাদশা তাকে বিজাপুর আক্রমণের অনুমতি দেন। শাজাহান ঝপ করে রাজী হয়ে যান, তার আশা ছিল আওরঙ্গজেব আর আমীর জুমলার শক্তিশালী বাহিনী তাকে দারার হাত থেকে ভবিষ্যতে রক্ষা করবে। এই দেখে দারা নতুন হুকুম দিল, আমীর জুমলার আনুগত্যের মর্টগেজস্বরূপ তার বউ আর মেয়েদের তার দরবারে পাঠাতে বলা হল। আওরঙ্গজেবের প্রতি হুকুম হল বিজাপুর আক্রমনে সে যেন অংশ না নেয়। আমীর জুমলার পক্ষে আর দুই নম্বরী করার সুযোগ থাকলো না, আওরঙ্গজেবের সাথে মিলে বিদ্রোহ করে নিজের বউ মেয়ের ইজ্জত কি আর হানি করা যায়।
এই সময় হঠাৎ দুনিয়া কাঁপানো তিরিশ মিনিট মার্কা ব্যাপার শুরু হয়ে গেল। হাটবাজারে, মন্দির মসজিদে, বটগাছের তলে আর তেঁতুলগাছের ডালে, নদীর ধারে আর পুকুরের পাড়ে, আকাশে বাতাসে ফিসফিস আর ফিসফিস। বাদশা শাজাহান মৃত। অথবা অর্ধমৃত। অথবা অসুস্থ। অথবা কিছু একটা। হিন্দুস্তানের গদী নিয়ে চার ভাইয়ে টেরম টেরম যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগ্রায় সৈন্য নিয়ে আগানো শুরু করল বাংলার সুজা। হাতী ঘোড়া কামান বন্দুক নিয়ে সে যাত্রা শুরু করলো।
বিরাট বুক চিতিয়ে সুজা বাংলা ছেড়ে যাচ্ছিল, আর প্রচার করছিল যে দারা শাজাহানকে বিষ খাইয়ে মেরেছে তাই প্রতিশোধ সে তুলবেই তুলবে। যাকে বলে এবসোলিউট মাস্ট। আওরঙ্গজেব একটু সময় নিল, ছক কষছিল তখন। নিখুঁত ছক। সে তার সৈন্যদের বলল যে দারা কুরানশরীফকে অপমান করেছে, তাই তাকে এর চরম শাস্তি পেতেই হবে। যাকে বলে এবসোলিউট মাস্ট। গুজরাটে ছোটভাই মুরাদকে সে লিখল, “দারা একটি নাস্তিক। সুজা আরও খারাপ, সে হল শিয়া। আমি ফকীর সাধক, আমার ইচ্ছা তোমার মত ভাল সুন্দর ভাইটিকে গদীতে বসানো। এরপরে আমি মুক্ত, আল্লার সাধনায় আমি নিজেকে নিশ্চিন্তে সঁপে দিতে পারব। মুহম্মদের কবরের পাশে বসে ধ্যান করা ছাড়া আমার আর কোন কাজ রইবে না।”
শাজাহান বেঁচেই ছিলেন, কিন্তু ভয়ানক অসুস্থ। তাকে প্রাসাদে বন্দী করে রাখা হল। দারা তার ছেলে সুলেমানকে নিয়ে চিন্তায় ছিল, কোনদিন আবার দারার বদলে সুলেমানকেই বাদশা বানিয়ে দেয়া হয় ঐ চিন্তা। সুজার আগ্রা আক্রমনের খবরে দারা ঝামেলায় পড়েছিল, আর মন্ত্রীমিনিস্টারদের বারবার বলছিল বাদশা বেঁচে আছেন, তিনি খুন হননি বা সুইসাইডও খাননি। বাদশাকে এমনকি একদিন দরবারে ধরে ধরে হাঁটানোও হল, তবু লোকের সন্দেহ যায়না। যাহোক সুলেমানের নেতৃত্বে মোগল বাহিনী সুজাকে প্রতিরোধ করতে পাঠানো হল। সুজা সুলেমান যেটাই মরে দারার আপত্তি নেই, দরকারে দুটোই মরুক।
কয়দিন কোন আওয়াজ নেই, এরপর শোনা গেল আওরঙ্গজেব আর মুরাদের যৌথ বাহিনী রাজপুতানা দিয়ে রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসছে। দারা আগ্রাতেই রইল, আর হিন্দু মুসলমান মিশ্রিত একটি বাহিনী পাঠালো প্রতিরোধের জন্য। মুসলমান জেনারেলদের আবার তলে তলে আওরঙ্গজেবের সাথে কানেকশন ছিল, তাই যুদ্ধের ময়দানে তারা সাইডে দাঁড়িয়ে বিড়ি খাচ্ছিল যখন আওরঙ্গজেবের বাহিনী হিন্দু রাজপুতদের কচুকাটা করছিল।
খবর পেয়ে দারা ব্যাপক ক্ষিপ্ত হল, সে ঠিক করল সুলেমান বাংলা থেকে ফিরে আসলেই দুই ভাইকে সে দেখে নেবে। সুলেমানের খবর নাই। দারা একাই রাগের মাথায় যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে গেল। তার অধীনস্থ অফিসারেরা এইবার পোল্টি খেল, দারার উপর তাদের রাগ বহুদিনের। মাঝমাঠে হঠাত দারা দেখে তার পাশে হাতেগোনা কয়টা অনুচর ছাড়া কেউ নেই, বেবাক ফাঁকা। কোনমতে সে পালিয়ে পাঞ্জাব গিয়ে বাঁচল।
আওরঙ্গজেব আর মুরাদ আগ্রার প্রাসাদ ঘিরে ফেলল। শাজাহান তাদের ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্দরে আসতে বললেন। কিন্তু আওরঙ্গজেব ঠিকই জানত ভেতরে গেলে শাজাহান তার দুর্ধর্ষ তাতার প্রহরীদের দিয়ে তাকে খুন করাবেন। এইবার শাজাহান আওরঙ্গজেবের পুত্র মাহমুদের পিছনে লাগলেন, আর বললেন পিতাকে ছেড়ে তার সাইডে এলে গদী কনফার্ম। মাহমুদও পিতার মত ত্যাড়া ছিল, লাভ হলনা। শাজাহানকে বন্দী করা হল। সেখানেই একসময় তার মৃত্যু হয়।
গদীর টেরম টেরম যুদ্ধ এইভাবে থামে। পুরো ব্যাপারটা ঘটে আওরঙ্গজেবের ছক অনুযায়ী। ভাই মুরাদ গদীর জন্য লাফালাফি করছিল, তাকে একদিন কৌশলে মদ খাওয়ার সময় পাকড়ানো হয়, আর মহান কুরানশরীফের নিয়ম ভঙ্গের অপরাধে তাকে আটক করা হয়। রূপার শিকলে বেঁধে তাকে গোয়ালিয়রের দূর্গে সাপের দংশনে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। দারা ধরা পড়ে যায়। সারা দিল্লীর লোকের সামনে দারাকে ঘুরানো হয় ছিন্নবস্ত্রে, শহরের সবচাইতে উঁচু হাতীর পিঠে বাঁধা অবস্থায়। পরে একটি নির্জন কক্ষে তাকে হত্যা করা হয়, মারা যাবার পূর্বমুহুর্তে সে খ্রিস্টধর্ম গ্রহন করে। সুজা পরিবার নিয়ে আরাকান পালায়, কিন্তু তার পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলে শোনা যায়।
আওরঙ্গজেবের বড় ছেলে মাহমুদেরও কপাল মন্দ। সুজার মেয়ের সাথে তার পীরিত ছিল। সুজার সাথেই যুদ্ধ করতে মাহমুদকে পাঠানো হয়, ওইখানে মাহমুদের বহুদিন আগের পীরিত চাগাড় দিয়ে ওঠে। তাকে বিয়ে করে বসে মাহমুদ। পরে সে বুঝতে পারে কি বিরাট ভুল করেছে, তাই আবার পিতার কাছে ফিরে এসে ক্ষমা চায়। এই পিতা ক্ষমাশীল পিতা না। তাকে সোজা জেলে ঢুকানো হয়।
দারার বড় ছেলে সুলেমান অবস্থাও ছিল ব্যাপক করুণ। সে বাংলা থেকে পালিয়ে কাশ্মীর যায়, কিন্তু ওইখানের রাজা তাকে পাকড়ে আওরঙ্গজেবের কাছে ফেরত পাঠায়। সোনার শিকলে বেঁধে সুলেমানকে প্রাসাদে আনা হয়, আর তাই দেখে জেনানামহলের বেগমদের মাঝে চাপা কান্নার রোল ওঠে, বালক সুলেমান ঐ বেগমদেরই কোলেপিঠে মানুষ। বিষাক্ত পিস্তার শরবত, যা খেলে মগজ ফেটে মানুষ মারা যায়, তাই খেতে বাধ্য করা হল তাকে। অতবড় জোয়ান মানুষটা পিস্তার কথা শুনে ভয়ে গুটিয়ে বারবার চিৎকার করে বলতে থাকে যেন তাকে এক কোপে মেরে ফেলা হয় তবু পিস্তা নয়। দরবারভর্তি লোকের চোখে পানি এসে যায় ঐ গগনবিদারী চিৎকারে, আওরঙ্গজেব পিস্তা দিতে নিষেধ করে। তাকে গোয়ালিয়র দূর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সুলেমানের কথা আর কখনো শোনা যায়নি।
…............................................................
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ লিখকের মতামতের জন্য অনুবাদক দায়ী নহেন।
মন্তব্য
একাধিক ইতিহাস গ্রন্থকার দারা আর আওরঙ্গজেবের যুদ্ধকে ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটা বড় মোড় হিসেবে দেখেছেন। দারা নাকি ছিলো শিল্পরসিক, ধর্মউদাসীন আর উদারমনা, যেখানে আওরঙ্গজেব ছিলো মৌলবাদী, প্রতিশোধপরায়ণ ও সংকীর্ণচিত্তের লোক। দারা ঐ যুদ্ধে আওরঙ্গজেবকে পরাজিত করলে হয়তো ভারতবর্ষে মোগল শাসনের ইতিহাস অন্যরকম হতো। দারার এক রাজপুত জেনারেল রাজা রূপ সিং রাঠোর ঘোড়া থেকে লাফিয়ে নেমে আওরঙ্গজেবের হাতির হাওদার শেকল তলোয়ারের কোপে ছিন্ন করে ফেলেছিলো, আর দুইটা কোপ দিতে পারলেই নাকি আওরঙ্গজেবকে হাতি থেকে টেনে নামিয়ে কৎল করা যেতো। রাঠোরের কপাল খারাপ, আওরঙ্গজেবের দেহরক্ষীরা তাকে তার আগেই হত্যা করে।
দারা আওরঙ্গজেবের কনট্রাস্ট আসলেও চোখে পড়ার মত। অনেকে আকবরের সাথে দারার তুলনা করেন। ঠিক এইরকম শাজাহানের দুটি মেয়েও ছিল, জাহানারা আর রশোনারা। শোনা যায় জাহানারা ছিল, বিদ্বান, বুদ্ধিমতি, শিল্পরসিক আর উদারমনা, রশোনারা চতুর ও ধান্দাবাজ। অসাধারন একটি পরিবার, পাতার পর পাতা লিখা যায় এগুলি নিয়ে।
..................................................................
#Banshibir.
আওরঙ্গজেব ঐসময় ক্ষমতায় না আসলে উপমহাদেশে পরবর্তীতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এম্বেড করার অনেক উপাদানই থাকতো না। আওরঙ্গজেব ভক্তদের বেশীরভাগই ছাগু।
অজ্ঞাতবাস
..................................................................
#Banshibir.
ব্যাপক!
বলেন কি?
..................................................................
#Banshibir.
হ, আপনার আর আপনাদের ইতিহাসবিদদের চোখ দিয়ে যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে এ ভারতবর্ষে ভাল কিছু ছিল না। সব মন্দ, সবাই অমানুষ। খালি বদ জিনিস গুলাই আপনার চোখে পড়ে ভাইডি। মোঘলদের বদামো, তিতুমীরের বদামো এইসব। একটু পজেটিভ জিনিস পড়ে লিখুন না। খারাপ জিনিস না কচলিয়ে ভাল জিনিস কচলানো ভাল, দৃষ্টিভঙ্গি বড় হবে। [বানান ভুলের জন্য দু:খিত]
আপনাদের মতন লোকদের জন্যই ডিস্ক্লেইমার দিতে হয়। দুঃখজনক।
আওরঙ্গজেব আর তিতুমিরকে মৌলবাদী বলেছি দেখে মনটা ভারি খারাপ হল বুঝি? ইন্টারেস্টিং। যাই হোক, আমার কয়টা অনুবাদ পড়েছেন আপনি? চিনসুরা অথবা ফ্রাসোয়া পিরার্দের ডাইরী পড়েছেন? অথবা ফ্রেডরকিসনগর? দুইটা লিখা পড়েই লাফানো শুরু করলে তো হবেনা। আমার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবেনা, বাড়ি যান মুড়ি খান। গো হোম অ্যান্ড ইট পাফ রাইস।
..................................................................
#Banshibir.
এইটা কি ধরণের কথা হল ভাই। পাঠকের প্রতিক্রিয়া নিতে পারবেন বলেই তো লিখতে বসেছেন, নাকি? পাঠকরা সুন্দর-সুন্দর কথা বললে বগল বাঁজাবেন, আর একটু বিপরীতে গেলেই "মুড়ি খান"- এইটা তো কোন কাজের কথা না।
আমার লিখার প্রতিক্রিয়া দেখান, আমার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ছাগুদাদারা জ্ঞান কপচালে মুড়ি খাওয়ার কথাই বলব।
..................................................................
#Banshibir.
শব্দটা পজিটিভ। পজেটিভ বলে কোনো শব্দ নেই। দুয়েকটা "পজিটিভ" বইয়ের নাম দিন না ভাই।
এইতো পারেন, ঘটনাকের ভিন্নখাতে প্রবাহ করা। পজিটিভ বা পজিটিভ বলে কি বোঝানো হচ্ছে সেটা তো নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, খামাখা আসল প্রসঙ্গে কথা না বলে ত্যানা প্যাঁচান ক্যান?
আর, পজিটিভ অর পজেটিভ দুইটার একটাও বাংলা ভাষার শব্দ না যে হিসেব করে লিখতে হবে।
বইগুলির নাম পেলামনা কিন্তু। হিম্ভাই দুইটা বইয়ের নাম চাইসে। আপনার ভাষায় "পজেটিভ" বই।
..................................................................
#Banshibir.
"ঘটনা" কোনটা? "ভিন্নখাত" কোনটা? "আসল প্রসঙ্গ" কোনটা? বুঝায় বলেন ভাইডি।
একটা ইংরেজি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ উচ্চারণানুগ হয় না সবসময়। কিন্তু করতে পারলে দোষ তো নাই। POSITIVE ক্যাম্নে পজেটিভ হয়? বানানের বিদ্যায় না কুলাইলে ইতিবাচক লেখেন, ত্যানা প্যাঁচাবো না। হিসাব করে লিখতে না পারলে বালগুলি ঘরেই ফেলুন, সচলে ফেলবেন না প্লিজ। ধন্যবাদ।
হিমুর কিছু মন্তব্য আছে - ডেডলক - মাস্টারপিস--- হাহহাহাহহা - এরকম কিছু দাতভাঙ্গা শব্দের পর আওরঙ্গজেব ভক্তরা আর ফিরে আসে নাই।
সত্যপীর, বেস একটা মিল আছে আওরঙ্গজেবের একটা টাইটেলের সাথে আপনার নিকের, তাঁকে নিকি জিন্দা পীর বলা হয়, যাক, হিমু ভাই পজিটিভ কিছু বইয়ের নাম চাইলেন, এখন কোন মুসলিম বা এই ঘরানার কারো লেখা বইয়ের নাম দিলে, তা অতি অবশ্যই মুক্সুদাল্মুমিনের কপি বলে মনে হতে পারে আপনার, তাই হিমু ভাইয়ের চাওয়ার প্রেক্ষিতে আমি এক অমুসলিম লেখকের লেখার নাম দিচ্ছি, আশা রইল সেটাও অনুবাদ করে আপনি দিবেন সইত্য পিরসাব, বইটার নাম দিল্লী, লেখকের নাম খুসবন্ত সিং বইটা যথেষ্ট রগরগে উপাদানেও ভরপুর, আপনার মনে হয় না তাতে বদ হজম আছে, যদি থাকে, তবে ভাগ্মতির চেপ্টার গুলি বাদ দিয়ে পড়লে, শুধু দিল্লীর ইতিহাস পাবেন হয়তো, সেখানে আওরঙ্গজেবের উপরো একটা চেপ্টার আছে, শুধু সেটাও পড়তে পাড়েন।
সত্যপীর ড্ঃ সৈয়দ মুজতবা আলীর দুটি ছদ্মনামের একটি। আলী সাহেব আমার কাছে পৃথিবীর সেরা লিখক, কনটেন্ট প্রেজেন্টেশন যেকোন দিক থেকেই। এই নিকটির প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা, দয়া করে এটিকে বিকৃত করবেননা। সত্যকে সইত্য তো নয়ই, এমনকি পীরকেও পির লিখা থেকে দয়া করে বিরত থাকুন।
দিল্লী পড়েছি, খুশবন্ত সিংয়ের সেরা বই নয় ওটি। কপিরাইটেড বই অনুবাদ করতে লিখক প্রকাশকের অনুমতি প্রয়োজন, তাই দুঃখের ব্যাপার আপনার অনুরোধ রাখা গেলনা। বাজারে দিল্লীর বাংলা অনুবাদের বই পাওয়া যায়।
..................................................................
#Banshibir.
ঠিক আছে সত্য পীর, নু প্রবলেম।
আমি দুঃখিত, বুঝিনি কারো সেরা বইয়ের রেফারেন্স চেয়ে ছিল হিমু ভাই। একি সাথে এ জন্যো দুঃখিত খুসবন্ত সিং এর সেরা বই না বলে।http://www.sachalayatan.com/mir178/43204#
এইটা কি কইলেন, প্রশ্ন, উত্তর না কি এইডা??
নাকি এ বুঝাইলেন আপনি সেই বইয়ের কি অনুবাদ করবেন যার বাংলা অনুবাদ আছে!!!!
http://www.sachalayatan.com/mir178/43204#
খেক খেক। এইটা না বুঝলে আর বুইঝা আপনের কাজ নাই।
..................................................................
#Banshibir.
মুসলমান গবেষকের লেখা আওরঙ্গজেবের ওপর কোনো বই দেন না ভাইডি। পড়ে দেখি তারা আওরঙ্গজেবের মধ্যে ইতিবাচক কী কী খুঁজে পেলেন।
আপনে আপাতত দিল্লী নামক রসগোল্লা টা পড়তে থাকেন হিমভাই, আর মুসলিম লেখকের বই য়ে আগ্রহ থাকলে ভাল, আপনি তো থাকেন জার্মানি, দেশে থাকলে নীল খেতে যেয়ে খোঁজ করতে পেয়ে যেতেন।
দিল্লী পড়েছিলাম ভাইডি। ব্রিজ অন দ্য রিভার দৃনার আদলে লেখা। তবে মন দিয়ে পড়ি নাই দেখে ভুলেও গেছি।
নীলক্ষেতে গিয়ে "আওরঙ্গজেবের উপর মুসলিম লেখকের ইতিবাচক বই" চাইলেই বই আগায় দিবে দোকানীরা? আপনি একটু কষ্ট করে কালকে যান না ভাইডি। বই লাগবে না, নাম যোগাড় করে এনে দিলেই হবে।
কি যে কন না ভাইডি, আপনে খুঁজলে ঠিকি পাইতেন, কত কিছু খুইজা ফালান, আর আড়ঙ্গরে খোজতারবেন না, তা কি অয়, কন।
যাই হোক, আপনের কত কত বিনুদন দেন, আপনে বললে তো না করতে কষ্ট অয়, সইত্য বলেন, আসলে আপনে কি পড়তে চান, আমি অলস মানু, হুদা খাডাইয়েন না, আপনে কি মুক্সুদাল মুমিন পড়ে মজা পান নিকি??
গুগল তামি করে, আপনার জন্য একটা লিংক বের করলাম, পড়েন, এট্টু মনডা ঠান্ডা করেন।
আশা করি আমাকে আপাতত আর নীল খেতে যেতে হবে না।
আপনি সত্য করে বলেন তো ভাইডি, আসলেই বইটই পড়ার অভ্যাস আছে আপনার, নাকি হুদাই হাত চুল্কায় দেখে আইসা ভাবলেন আওরঙ্গজেবের হয়ে একটু ফাইট দিবেন? যদি প্রথমটা হয়, তাহলে আমাকে নীলক্ষেত থেকে একটা মুসলমান বিরচিত ইতিবাচক আওরঙ্গজেব ইতিহাস বইয়ের নাম যোগাড় করে দেন। একখানা হলেই চলবে। মোবাইল দিয়ে বইটার প্রচ্ছদের ছবি তুলে এনেও এইখানে দিতে পারেন। গুগল মেরে ছাগুব্লগের লিঙ্ক বিলিয়ে আর কতদিন কাটাবেন? বইটই পড়েন একটু। এতে করে তর্ক করতেও সুবিধা পাবেন।
আমি কিন্তু অপেক্ষায় আছি ভাইডি। মাত্র একটা বইয়ের নাম। পিছলায়েন না।
ভাইডি, বই আমি যত টুকু সময় পাই, পড়তেই থাকি, কিন্তু তর্ক করা বা ফাইট দেয়ার জন্য না, আমার নিজের আনন্দের জন্য, আমি আবার আপনার মত জ্ঞানী পাঠক না, কে কি ইস্টাইলে কার অনুকরণে বই লেখলো দেখা হয় না, তবে কথা খারাপ কন নাই, বই পড়া ভাল। আপনার মনে এখন প্রশ্ন আস্তারে কি বই পড়ি। আমি পড়ি, মাসুদ রানা পড়ি হুমায়ূন, পড়ি জাফর ইকবাল, পড়ি হ্যগারড, পড়ি ব্যোমকেশ, পড়ি সেল্ডন, পড়ি ড্যান ব্রাইন, পড়ি হ্যরি পটার। এরকম হাজার বই, পড়তে বা পড়তে থাকি, এতে তর্কর উপাদান থাকে না, অন্তত আপনাদের সাথে করার মত। আমি কোন তর্কও করতে চাই নাই। বইয়ের নাম চাইছেন দিছি, একন কেনু আপনি দিল্লী মন যোগ দিয়া পড়েন নাই, আর আপনার শখ মিটাতে আমাকে নীল চাষ ক্ষেত যাতি হোবে, বুজ-তার-তাছিনা।
হিমু আপনার মত ওপার সময়, জ্ঞান কুনটাই আমার নাই, আমি আপনার মত ফাইট ফাইট খেলতে ভালু পাই না। নিজের জীবনের হাজার ফাপরে টাইম দিতারি না, আর সত্যপীরের মূল্যায়ন দেখে আবার ফাইট।
আপনের লেখা পড়া হয়, তাই আপনে বইইয়ের নাম চাওয়ায়, আমি দিলাম, যা মনে আসছে।
আর ছাগু লিংক, হাগু লিংক কইয়া লাভ আছে?? দেখা গেল যে বই দিলাম, হেয় ও ছাগু, আমার পরিশ্রমটাই বৃথা। সে জন্য প্রথমেই দিলাম অমুসলিম খুসবন্তের নাম, আপনে বরং ঐটাই এবার আবার ভাল করে মনোযোগ দিয়ে পড়েন, সে একি সাথে আওরঙ্গজেবের নামে ভাল কথাও বলছে, এবং তার ছাগু হবার সম্ভাবনাও কম(আবার হতেও পারে, নাকি কন?)।
আর বার বার মডারেশন, আর ওয়ার্ড চেক পার করে মন্তব্যও বিরক্তি কর।
আপনার এখানে মডারেশন হবে, আর আপনারা যদি পিছলানির নাম করেন, দেখতে খারাপ লাগে না?? আমু তে এসেন, দাওয়াত রইল। নো মডারেশনে, গপ্প ভাল জমানো যাবে, যদি সত্যি গপ্প করার ইচ্ছা থাকে ভায়া। ওক্কে ভালো থাকেন।
ও, আগেই বলেছি, আপনার ব্যপারে আমি কিঞ্চিৎ বুব্বল, তাই নীল ক্ষেত গেলে পারি, আমি অবশ্যই চেষ্টা করব বই খুজতে, আর সেটা এখানে না আপনাকে মেইল করে নাম পাঠায়া দিবানি।
লাভ আছে। ছাগু লিঙ্ক যোগায় আরেক ছাগু। ছাগুদের সাথে তর্ক করার টাইম নাই। আপনি ছাগু হইলে সোনাব্লগে যান। যদি না হন, আসেন তর্ক করি।
খুশবন্ত সিং আওরঙ্গজেবের নামে "দিল্লি"তে ভালো কথা বলছে, অতি উত্তম। ইন্দিরা গান্ধী মারা যাওয়ার পর খুশবন্ত সিং অনেক ভালো কথা বলছিলো। হিলেয়ার বেলোকের কবিতা উদ্ধৃত করে বলছিলো, হার ফেইস ওয়াজ লাইক দ্য কিং'স কমাণ্ড, হোয়েন অল দ্য সোর্ডস আর ড্রন। তো কী হইছে? ইন্দিরা গান্ধীর নিষ্ঠুরতা কি ধুইয়া মুইছা সাফ হইয়া গ্যাছে নাকি? খুশবন্ত সিং কি কিরামান কাতেবিন নাকি?
আর মুসলমান লিখলেই আওরঙ্গজেবের নামে ইতিবাচক কথা বের হবে, এই কথা তো আমি কই নাই। আপনেই তুলছেন। নীলক্ষেতে গেলে বই পাইতাম, এই কথাও আপনেই তুলছেন। এখন নীলক্ষেত গিয়া বই বাইর কইরা দেখান। তারপর কথা হবে।
কিছু বলদের ধারণা, আওরঙ্গজেবরে লোকে ভালোবেসে আলমগীর নাম দিছে। এই বলদেরা জানে না, আকবরের পর মোগল বাদশারা নানা টাইটেল দিয়েই পরিচিত হইছিলো। জাহাঙ্গীরের আসল নাম সেলিম, শাজাহানের খুররম, আলমগীরের আওরঙ্গজেব। এইসব টাইটেল তাদের চামচারা দিছে, পাবলিকে দেয় নাই। তিনটারই অর্থ দুনিয়ার রাজা। আওরঙ্গজেবের আরেক নাম আলমগীর দেখে সে খুব ভালা লোক আছিল, এইটা যে চিন্তা করে, তার মতো কাঠবলদের কাছ থেকে সাবধানে থাইকেন।
নীলক্ষেতে সুলভ মুসলিম লেখকের লেখা ইতিবাচক আওরঙ্গজেবচরিতের মলাটের অপেক্ষায় আছি। পিছলাইতেছেন। পিছলায়েন না।
আহারে হিমু ভাই, আপনে কি বিশাল রকম লোনলি মানুষ, না হিম্ভাই, কিছু নাই, তাই ব্লগিং ই জীবন মরণ?
শুধু মিঠা কথায় তো সময় কাটে না, আপনার চারি ধারো নিসচুই আপনার বিশাল জ্ঞানের কাছে খাট হয়ে আর তর্ক করতে আসে না, কিন্তু তর্ক আপনার ব্যপুক প্রিয়, তাই লাইন ঘাট ফালাই টালাই, হুদা ঝগড়া করতেছেন, এরে তর্ক না বলে ঝগড়া বলায় আবার আঘাত নিয়েন না মনে।
দেখেন, উপরে আপনে বইয়ের নাম চাইছেন, পজিটিভ বই ( নিশ্চুই আওরংজেব নিয়া)।
আমি দিলাম, আপনের একন তা ভালু লাগল না, আপনের আবদার মুসলিম লেখকের বই দিন, আজব!! দিলে তাতে লাভ টা বলেন, হুদাই ডাক পারতাছেন, পিছলায়েন না, আরে ভাই মুসলিম রাই তো ওনারে মাথায় তুইলা রাখে, আপনার নাম শুধু দরকার থাকলে, ঐ পোস্টের লিংকেই বেশ কিছু নাম আছে, আপনে কাজে লাগাইতে পারতেন। তাতো আপনের দরকার না, আপনের দরকার হুদা তেনা পেচানি, আমি ঢাকাতেই থাকি, তাই বইলা নীল ক্ষেত গিয়া বইয়ের ছবি তোলার কি হইল?? আজব, আপনের কি সন্দেহ, কি লাভ খুজতাছেন? আপনের কি ধরানা মুসলিম লেখকের বই নাই? যদি তাই হয়, তাইলে পারে আপনে ধনি মানুষ বাজি ধরেন, আমি যদি বইইয়ের নাম দিতে পারি আমার ফয়দা কি জানান। হুদা তর্কের লিগা নীল ক্ষেত জামু, এত মুহাব্বত আপনের সাথে আমার না, ইনফেক্ট আমি যথেষ্ট অলস এ ব্যপারে, আমার বইয়ের স্টক শেষ না হতে ও মুখো হওয়ার চান্স কম। আপনে যদি বাজি তে আসেন, আমি খাটতে রাজি আছি।
আপনের পোলাপান গিরি রে ভাই
আমি কহন এই বেটা খুসবন্ত রে সাফাই গাইলাম, আর কিয়ের ভিত্তে কি হান্দান, আপনে বই চাইছেন, নাম দিছি, আপনে পজিটিভ কিছু পড়তে চাইছেন আমি সরবরাহের খোঁজ বলছি, হে বেটা খুসবন্ত কি করে, কি খায়, আমার দরকার না, আপনার হয়ত দরকার, তক্র কত্তে হপে যে তাই।
পুরাই পোলাপানি করলেন, মিয়া বাই।
আছে কি নাই আমি তো জানি না ভাইডি। কিন্তু আপনি য্যাম্নে বললেন আমি জার্মানি আছি দেখে বইয়ের নিশানা জানি না, দেশে থাকলে নীলক্ষেতে গিয়া নিশানা হাছিল করতে পারতাম, তো দ্যান না রে ভাই, নীলক্ষেতে গিয়া একখান পজিটিভ বই বাইর কইরা দ্যান! নিজেই কথা টাইনা নিজেই এখন পিছলাইতেছেন ক্য্যান? নীলক্ষেত যান, বই বাইর করেন, মোবাইল দিয়া মলাটের ছবি তোলেন, নেটে আপায় এইখানে লিঙ্ক দ্যান। বেশি কষ্ট?
তর্ক করতে আসছেন নীলক্ষেত নিয়ে, এখন নীলক্ষেত না যাওয়ার জন্য শয়ে শয়ে অজুহাত বাইর করতেছেন ক্যান? নীলক্ষেত তো দিল্লির মতো দূরে না।
আহারে তপু ভাই, খুব বিজি আপনে, তাই না? এখন ছাগুদের ব্যস্ত মৌসুম যাইতেছে শুঞ্ছিলাম।
পিছলায়েন না।
আর হ, ব্লগিংই আমার জীবনমরণ।
হারে ভাই রে, বাংলা দেশে শুধু ছাগু দের না, আমার মত অভাগাদেরো ব্যস্ত ও চরম সময় যাইতাছে, বাংলা দেশের লোকাল মানুষের খোঁজ তো রাখেনি আশা করি।
আর আপনে যখন বলছেন
আর কথা কি কমু, ব্লগিং তো আমার জীবন মরণ না, বাংলাদেশ, স্পেসিফিক্লি ঢাকার কি যে বাজে অবস্থা, যাক এ সব বাড়তি কথা,
ব্লগিং আপনার জন্য জীবনমরণ, সো কুন কথা নাই, নেন তাল গাছ নেন, খুশি থাকেন। আমি পিছলাই মাজা ভাঙ্গি লাইলাম।
নীল খেতে যেয়ে? অর্থাৎ while going to eat indigo? নীল খেতে যাবে কেন আর নীল বিক্রয়কারীরাই বা হিমু ভাইকে বই ধরিয়ে দেবে কেন? আপনি বলতে চাইছেন নীল খাওয়া যায়? এবং নীল খেতে গেলে বই ফ্রী? অথবা নীল বিক্রয়কারীরা সাইড বিজনেস হিসেবে মুসলিম বই বিক্রি করে?
বিশদ বুঝিয়ে বলুন। আপনিই কি নীল ও মুসলিম বই বিক্রয়কারী?
..................................................................
#Banshibir.
পশ্চিমা মিডিয়া কিভাবে ইতিহাসকে নিজেদের স্বার্থে বদলে দেয়, আপনার ধারাবাহিক অনুবাদ থেকে জানতে পারছি।
ধন্যবাদ
দেশী মিডিয়ার ইতিহাস বলে তেমন কিছু নেই, নইলে ওগুলোও দিতাম মাঝে মাঝে। কি আর করা।
..................................................................
#Banshibir.
অসাধারন।
..................................................................
#Banshibir.
আরও কতগুলা মোগলের পেন্টালুন খুল্লেন । মোগলরা আপনরে পাইলে
খুলতে মজা আসে উদাস ভাই।
..................................................................
#Banshibir.
সেরকম
যেভাবে দৌড়াচ্ছে দৌড়াক
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
..................................................................
#Banshibir.
লেখা চলুক সমানে!
থ্যাঙ্কু।
..................................................................
#Banshibir.
সেই। মোগলরা আপনারে পাইলে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
হ জানি, সাফি ভাই কইসে আমারে হেরেমের গার্ড বানাইতো। ব্যাপক ভয় পাইসি।
..................................................................
#Banshibir.
হেরেমের গার্ড বানানের আগে কিন্তু অরা একটা জিনিস কাইটা লইতো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হ সেজন্যেই ব্যাপক ভয় পাইসি
..................................................................
#Banshibir.
যেমনে মোগলাই পরোটা আর বিরিয়ানি বানাইতেছেন, আর কী কমু!
মোগলাই পরোটা দিয়া বিরাট ভোজ বসাইসি দেখসেননাকি? আওরঙ্গজেবের মেলা সাপুটার আইসা হাউকাউ লাগাইসে, একজনে আবার কয় সে নাকি জিন্দাপীর আসিলো। ব্যাপক বিনোদন। আওরঙ্গজেবের বজ্জাতি নিয়া আরেক কিস্তি লিখুম দেখি।
..................................................................
#Banshibir.
মোগলাই পরোটার কথা আর কইয়েন না ভাইয়েরা আমার। আমি এক বাবুর্চির কাছে শুনছি যে মোগলাইয়ের কিমার মইধ্যে গোস্তো ছাড়াও ডিংডং-এর কিমাও মিশায়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দারুণ দারুণ। অমানুষের কাহীনি পড়তে আরাম পাইনা! তবুও লেখেন! জানতে তো হবেই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অমানুষের কাহিনী হল স্পাইসি কাহিনী, ভালমানুষের গল্প তো সব এক। কোথাও পড়েছিলাম যে ভাল গাড়ী সারা দুনিয়াতেই এক, কিন্তু খারাপ গাড়ী একেকটা একেক রকম খারাপ। ওইরকম আর কি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
..................................................................
#Banshibir.
ক্ষমতার লোভ দেখি মানুষের অস্থির মধ্যে গাঁথা। অনার্য সঙ্গীতের হাথে সহমত।
থ্যাঙ্কু।
..................................................................
#Banshibir.
শাহজাদা দারাশুকো নামে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের যে চমৎকার উপন্যাসটি আছে তা পড়ে দেখতে পারেন। সেখানে কিন্তু দারা নিয়ে অন্য ধরনের অনেক তথ্য আছে।
সেই সাথে একটা অনুরোধ, একটা সাথে কয়েকটা বই রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে আপনি নিজেই গুছিয়ে লিখলে ভাল হয়, তাহলে কোন বিশেষ লেখকের মতের পক্ষে হয় না সেই সময়ের ইতিহাস।
facebook
যাযাবরের দৃষ্টিপাত বইটিতে ভালো বর্ননা আছে। আর শুধু পশ্চিমারা না- আমরাও আমাগোরে ইতিহাস কম বদলাই নাই!!
চালায়া যান হে মহান পীর।।দারুনসসসসস!!!!
শাহজাদা দারাশুকো পড়েছি অণু ভাই, ওটাও আমার কাছে বায়াসড লেগেছিল। অতটা মহান সম্ভবত তিনি ছিলেননা। অনেকটা জনকন্ঠ আমার দেশ দুটো পত্রিকায় একই খবর নিয়ে পাল্টাপাল্টি নিউজ পড়ে প্রকৃত খবর বুঝার চেষ্টার মতন অবস্থা।
ঠিক, খুবই ভাল হয়। কিন্তু যে শ্রম, মেধা ও সময় প্রয়োজন তার একটিও আমার নেই। আমি আগেও অনুবাদক ছিলাম পরেও তাই থাকবো।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
..................................................................
#Banshibir.
অণুভাই, লেখক আসলে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে কারো চরিত্র পুনঃনির্মাণ করছেন না তো, বরং ভূমিকা দিয়ে হুইলারের বর্ণনার চরিত্রকে আমাদের সামনে সামারাইজ করছেন। লাইন বাই লাইন অনুবাদের চেয়ে এই অনুবাদ অনেক সুখ্পাঠ্য আমার কাছে।
দারুণ! দারুণ!
..................................................................
#Banshibir.
চমৎকার !!
থ্যাঙ্কু।
..................................................................
#Banshibir.
দারুণ লাগলো। এরপরে নীরদ সি চৌধুরী, ফিরোজ মাহবুব কামাল, ওরিয়ানা ফাল্লাচী আর শর্মিলা বসুদের লেখা ইতিহাসও অনুবাদ করবেন প্লিজ! হাজার হোক অনুবাদের জন্য আর অনুবাদকের দ্যায় কিসের? আপনার তো ইমিউনিটি আছেই!
আপনার উল্লিখিত লিখকের বইগুলি পাবলিক ডোমেইনভুক্ত নয়, কপিরাইটেড। ঐ বই অনুবাদ করতে লিখক প্রকাশকের অনুমতি প্রয়োজন। সম্ভবত সচলায়তনের নীতিমালাও লঙ্ঘিত হবে এই কাজ করলে।
যাই হোক, ভাল লেগেছে জেনে সুখী হলাম। সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্ত, জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক টাইপ সুখী
..................................................................
#Banshibir.
চ্রম লেখা। সত্যি বলতে কি, এটা পড়ার আগে ভাবতাব শুধু আওরঙ্গজেব-ই হয়তো ছিলো বিশ্ব ধুরন্ধর, বাকি ভাই গুলো সোনায় গুলানো না হলেও মোটামুটি মানের ভালো ছিলো; কিন্তু এখন দেখছি প্রত্যেকটি ছিলো বদের বাসা! এর মধ্যে বদকূলের শিরোমনি ছিলো আওরঙ্গজেব। আচ্ছা, মোগল সম্রাজ্যের পতন কি আওরঙ্গজেবের হাত থেকে শুরু হয় নাকি তার ছেলের হাত ধরে। ঠিক কোন কোন কারনে মোগল সম্রাজ্যের পতন হয়েছিলো ব্রিটিশদের কাছে এটা নিয়ে একটু বিস্তারিত লেখা পাবার আশা রাখি পরবর্তীতে। ধন্যবাদ।
মোগল সাম্রাজ্যের পতনের পেছনে ইংরেজের হাত আছে বটে, কিন্তু ওইটেই শেষ কথা নয়। মোগল সম্রাটেরা ইংরেজদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষও মনে করতেননা অনেকদিন। মোগল সাম্রাজ্যের মূল শত্রু ছিল মারাঠা, হিন্দু রাজপুতের দল। মারাঠার বদলে ইংরেজ যে ভারত দখল করে বসে তাতে অনেক বইতেই বিস্ময় প্রকাশ করা আছে দেখেছি।
মারাঠা নিয়ে লিখা আসবে। ভালো কিছু এখনো পাইনি, পেয়ে যাবো।
..................................................................
#Banshibir.
মারাঠাদের ব্যাপারে জানতে আগ্রহী, অপেক্ষায় রইলাম। লিখা
এরকম ভাবে ভরা মজলিসে কেউ প্যান্ট খুলে দেয়?? ছি:ছি: মোঘল বাদশা বলে কথা, একটু মান ইজ্জত দিলে হয়না??
অনুবাদ চ্রম হয়েছে
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ছাতার বাদশা, দিমুনা মান ইজ্জত
..................................................................
#Banshibir.
প্রথম বাক্য পড়েই সেই যে হাসতে শুরু করেছি, শেষে এসেও হাসি থামেনি। এরকম দুষ্টু দুষ্টু অনুবাদ জীবনেও পড়িনি
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
এইরে দুষ্টু দুষ্টু
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হাহা ভালো আছেন আপু? হাসতে থাকেন পরেরটা আসা পর্যন্ত।
..................................................................
#Banshibir.
ভাল আছি, ভাইয়া। ধন্যবাদ।তুমিও ভাল থেক
আরও সব তুমুল মজার মজার লেখা লিখতে থাক সময় সুযোগ পেলে।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
বাদশা আওরঙ্গজেব ছিলেন একটি এক্সপোর্ট কোয়ালিটি শয়তানের লাকড়ি। :
এইরকম বাক্য দিয়ে কোন ইতিহাস কথন শুরু করা সম্ভব হয়েছে এই ব্লগের কারণে, ব্লগের মাহাত্ম্য মনে হয় এখানেই খুঁজে পাই - বস্তাপচা প্রথা সব ভেঙেচুড়ে একাকার! আরো ভাঙুন, সাথে আছি। দফারফা করে ছেড়ে দিন একেবারে
হ সচল জিন্দাবাদ।
..................................................................
#Banshibir.
সহমত।
ভালো লাগলো। কয়েকজন ঈমানদার ক্ষেপে উঠেছেন দেখতে পাচ্ছি।
তাই দেখছি, সোনাব্লগের কিছু লোক পথ ভুলে চলে আসে মনে হয়।
..................................................................
#Banshibir.
কিছু লোক বখতিয়ার খিলজিকে উদ্ধারকর্তা জ্ঞান করে। এরা আওরঙ্গজেবেরও ভক্ত। আ্ওরঙ্গজেব অ্যান্ড কোং যে সেই আমলে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে বাংলার জনগণের পাছা মেরে হিরোশিমা বানিয়ে দিয়ে গেছে, তাতে তাদের সমস্যা নাই। এদের বাপদাদারাই ঘরে আইয়ুবের ছবি টাঙাতো।
ইখতিয়ার বখতিয়ার নিয়ে আমারও কৌতূহল আছে,, সতেরোটা সৈন্য নিয়ে সে নাকি বাংলা দখল করেছিল। মাধ্যমিক বইয়ে সতেরো সৈন্যের কথা ফলাও করে লিখা। পড়ে দেখি কি ঘটনা।
আর এখন বুকে পাকিস্তানের পতাকা এঁকে খেলা দেখতে যায় অথবা সোনাব্লগে লিখে। লাদির গন্ধ পাই।
..................................................................
#Banshibir.
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি, নামটা কিন্তু সুন্দর এটা নিয়েও লিখা চাই
মারাঠাও চান ইখতিয়ারও চান? আইচ্ছা ঠিকাসে
..................................................................
#Banshibir.
পছ্ন্দ হয়েছে। বাংলাদেশে একটি আওরঙ্গজেব দরকার।
বলেন কি? এক জামাত শিবির নিয়েই বাঁচিনা আপনি আওরঙ্গজেব নিয়ে আসতেসেন দেশে? সোনার দেশটা তালিবান বানায় ফেলবে যে।
..................................................................
#Banshibir.
ধুর মিয়া, প্রেমের শীতল গান চালাইয়া লেখাটা পড়তে বসেছিলাম। দিলেন তো সব মাটি করে।
যাই হোক লেখা চরম হৈসে। আওরঙ্গজেব একটা মাল আছিল।
ডাকঘর | ছবিঘর
শীতকালে প্রেমের শীতল গান ছাড়ার কি দরকার পড়লো কন দেখি
..................................................................
#Banshibir.
কইতাম না, কইলে শিখে ফেলবেন
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনার লেখা পড়ছি আর মোগল বাদশাহদের ফ্যান হয়ে যাচ্ছি। আই লাইক জাউরা-চোদার্মাদ গাইস।
খাইসে
..................................................................
#Banshibir.
আওরঙ্গজেবের একটা বিশাল ঘটনা মিস করে গেলেন। শিখদের নবম গুরু তেজ বাহাদুরকে গ্রেফতার করা হয় ইসলাম গ্রহন করানোর জন্য। ধারনা করা হয় যে দারা শিকো পালাবার সময় শিখদের সপ্তম গুরু হর রায়ের আশীর্বাদ ও সাহায্য পেয়েছিলেন বলে আওরঙ্গজেব শিখদের ওপর যারপরনাই ক্ষিপ্ত ছিলেন। তেজ বাহাদুরের সংগে ভাই দয়াল দাস, ভাই মতি দাস ও ভাই সতি দাস নামে তিন অনুসারীকেও গ্রেফতার করা হয়। ইসলাম গ্রহন করলে ছেড়ে দেয়া হবে এই শর্ত না মানার কারনে এদের সবাইকে হত্যা করা হয়। মতি দাস কে হাত পা বেঁধে কপাল থেকে দেহের মাঝ বরাবর করাত দিয়ে দুটুকরো করা হয়। দয়াল দাসকে ফুটন্ত তেলের হাড়িতে ফ্রেন্চ ফ্রাই ও তারপর জ্বলন্ত কয়লায় বারবিকিউ করা হয় কারন সে মতি দাসের মৃত্যু দেখে খেপে গিয়ে বাদশাহ ও তার সহযোগীদের শাপশাপান্ত করেছিল। সতি দাসকে অবশ্য শুধু কুপিয়ে টুকরো টুকরো করা হয় আর তেজ বাহাদুরকে চাঁদনী চকে প্রকাশ্যে মাথা শিরোচ্ছেদ করা হয়।
মোগল বাদশাহরা মঙ্গোলদের বংশধর বলেই বোধহয় এদের নৃশংসতা বেশি ছিল। চেঙ্গিজ খানের রক্ত বলে কথা। আর যতদুর মনে পড়ে মোগলদের নিয়ম ছিলো যে ভাই বাকিদের হারাতে পারবে সেই সম্রাট হবে। সবচেয়ে শক্তিশালী/ধূর্ত ছেলেকে সম্রাট বানানোর জন্যই এই ব্যবস্হা যাতে মোগলদের সম্রাট শক্তিশালী শত্রু দমনে সিদ্ধহস্ত এবং পরিক্ষীত মানুষ(?) হন। কবি এবং নরম মনের মানুষ বলে খ্যাত হুমায়ুন ও কিন্তু ভাই কামরানের চোখ তুলে নিয়ে অক্ষিকোটরে লেবুর রস ঢেলে দিয়েছিলেন।
লেখায় উত্তম জাঝা। আমি নিজে মুসলমান কিন্তু এরা আগে বাদশাহ বা হত্যাকারী বা চরিত্রহীন মানুষ তাই এদের মুসলমানের লেবাস আমাকে এদের নৃশংসতার ব্যাপারে চোখ বুজে থাকতে শেখায় না। হেরেমখানা আর মদের/রক্তের নদী বইয়ে দেয়া এই মানুষগুলোর ধর্ম তাদের মুল পরিচয় না। বৃটিশ ইতিহাস অবশ্যই বায়াসড কিন্তু খটকা লাগলে গবেষনা করার দায় পাঠকের ওপরেও বর্তায় তাই আপনাকে সব পড়ে তারপর লিখতে হবে বলে মনে করি না। তবে বইয়ের নামটি দিলে পাঠকেরও গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে সুবিধা হয়। চলুক।
বইয়ের নাম দিয়েছি তো হাসান ভাই, লিখকের নামও দেয়া আছে। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ লক্ষ্য করুন।
ওই শিখদের কাটাকুটি কুপাকুপি ভাজাভুজির ঘটনা কি আওরঙ্গজেব গদী পাওয়ার আগে না পরে? এই লিখাটা লিখেছি গদী পাওয়া পর্যন্ত, শাসক আওরঙ্গজেবের বদমাইসির বর্ণনা ভবিষ্যতে দিবার আশা রাখি।
এইরকম আলোচনায় বারবার আসবেন ভাই আমার ভবিষ্যত হাবিজাবি পোস্টে।
..................................................................
#Banshibir.
স্যরি পীরব্রো(পীর ভাই বললে কেমন যেন একটা হুজুর সায়দাবাদী গন্ধ লাগে তাই পীরব্রো বলছি ), কাহিনীতে এত ডুবে গিয়েছিলাম যে বইয়ের নাম দেয়া হয়েছে সেটা ভুলেই গিয়েছিলাম। মনে পড়লো কমেন্টটা করার পর।
শিখদের কোপাকুপি ও ভাজাবাজিটা গদি পাবার পরেই তবে সেটার শুরু ঐ দারাশিকোকে সাহায্য করার কারনে তাই এখানেও রিলেভেন্ট হবে ভাবছিলাম। এই ঘটনার বিবরনী আপনার লেখনীতে পড়ার জন্য মুখিয়ে আছি তাই আসবো নিশ্চিতভাবেই।
আর আমার নামের আসিফ অংশটাই বেশি ব্যবহৃত।
আমি হুজুর সায়দাবাদী নই আপনাকে কে বললো আসিফ ভাই ?
..................................................................
#Banshibir.
হাহাহাহা! হুজুর সায়দাবাদী হলে টাকা ছাড়া এই অনুবাদ করতেন না আর টাকা খেয়ে করার সাথে সাথে আওরঙ্গজেবের সবকাজ যে ইসলাম মোতাবেক করা এবং আপনার কোন পূর্বপুরুষ আওরঙ্গজেবের ধর্মগুরু ছিলেন সেটা জোর গলায় বলতেন। তারপর সচলায়তনে ফুঁ দেয়া ডিম আর বালিশপড়া বিক্রীর সুব্যবস্হা চাইতেন। ঐ কুলাঙ্গারটা ফ্রি তে বোধহয় ঢেঁকুরও তোলেনা। (ঢেঁকুর বললাম কিন্তু একই কাজ আলাদা রুটে করার কথা ভাবুন)
আসিফ ভাই, পীরদের নিয়ে একটা লিখা দিননা? এদের কাজকর্ম নিয়ে জানতে ইচ্ছা হচ্ছে।
"(ঢেঁকুর বললাম কিন্তু একই কাজ আলাদা রুটে করার কথা ভাবুন)"
এই পীরদের কান্ডকীর্তি সম্পর্কে জানতে মঞ্চায়
এটা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের লেখা আছে, রবীন্দ্র-রচনাবলীর ওয়েবসাইটে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ভাল। চলুক।
বাবর আর হুমায়ুনের কু-গুলো নিয়েও দেখেন কিছু পান কিনা? লিখে ফেলেন।
বাঁশ দিলেন ভাই? অনেকেই নিগেটিভ কমেন্ট করেছে এতদিন খারাপ লাগেনি, আপনারটা লাগলো। দুঃখিত, ঠিক কু নিয়ে লিখার ইচ্ছা ছিলনা কিন্তু তাই হয়তো লিখে যাচ্ছি। আবারও দুঃখিত, নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন।
..................................................................
#Banshibir.
বৃটিশদের চোখে দেখা ভারত/বাংলার ইতিহাস ভাল লাগছে পড়তে। তবে মোগল বাদশাদের সম্পর্কে ভাল কথা কমই শুনেছি। আপনার অনুবাদ পড়ে তাই অবাক হওয়ার মত বা শুধু "কু"জিনিসগুলো খুঁজে বের করছেন এমন মনে হচ্ছেনা।
আরেকটু অল্প অল্প করে বিস্তারিত লেখা যায় ? লেখা ছোট না, কম সময়ের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা।
নিচ্চয় যায়। ঘটনা বলি আপনাকে, প্রথম যখন সচলে লিখছিলাম ভাবিনি এত লোকে পড়বে। ছাপা হয় কিনা ঐটেই সন্দেহ ছিল। এখন অনেক বেছে লিখতে হয়, বিরাট যন্ত্রনা। কবে কে মাইন্ড খেয়ে বসে ওই ভেবে সব লিখা অনুবাদ করিনা। একটি বইতে বাঙ্গালীদের চরিত্র নিয়ে একবারে গালাগালির একশেষ, পড়ে মজা পেয়েছিলাম। কিন্তু ছাপাতে গেলে মানুষ ভারি রাগ করবে দেখে লিখিনি।
ধারাবাহিক লিখার বদলে আপাতত ছোট ছোট খাবলা খাবলা ইতিহাসই লিখব। পরে হয়তো একদিন বড় অনুবাদে মন দেয়া যাবে।
ধন্যবাদ প্রিয় কালো কাক।
..................................................................
#Banshibir.
দিয়ে দেন, বাঙ্গালীর চরিত্র নিয়ে বাঙ্গালীই তো কম গালি দেয় না, বিদেশী দিলে আর লাগবে কেন? বরং বিদেশীদের কাছে "বাংলাদেশের মানুষ কেমন" প্রশ্নের উত্তরে তারা যে মধুমাখা কথাগুলো বলে সেগুলোর আড়ালে কী থাকে/থাকতে পারে একটু ধারণা পাওয়া যাবে
আওরঙ্গজেবকে পীর মান্য করে ধার্মিক মুসলমান।
একই আওরঙ্গজেবকে শয়তান মান্য করে ঐতিহাসিকগন।
আওরঙ্গজেব এক রহস্যময় পুরুষ। সুজাকে ভাগিয়ে দেশ ছাড়া করে আবার আরাকান রাজের হাতে সুজা নিহত হবার সংবাদে ভাতৃহত্যাপ্রতিশোধবোধ জেগে উঠে তার মনে। ফলতঃ চট্টগ্রাম আরাকানমুক্ত হয়ে মোগলাধিভুক্ত হয়।
আওরঙ্গজেবের সুকীর্তিগুলো এই যুগের এরশাদের সাথে তুলনীয়। হঠাৎ মনে হলো র্যাবের ক্রসফায়ার তত্ত্বের আদি উত্তরসুরী আওরঙ্গজেবই হবে।
আওরঙ্গজেবকে নিয়ে বেশীরভাগ লেখাই একপেশে। পজিটিভ নিগেটিভ দুটোই। মাঝামাঝি কিছু পাওয়া যেত যদি। ভারতবর্ষের ইতিহাসে খিচুড়ির পরিমানই বেশী।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ছোটবেলায় কতো যে স্বপ্ন দেখছি বড় হয়ে মোগল সম্রাট হবো! কেউ কারণ জিজ্ঞেস করলে, ঐ বয়সে তো আর 'আসল কারণ' বলতে পারতাম না, তাই বলতাম ইচ্ছামতো মোগলাই পরোটা খাওয়ার জন্য।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইতিহাস পড়তেও যে আনন্দ আছে আগে বুঝি নাই।।
আরোও আরোও অনুবাদ আশা করছি আপনার কাছ থেকে।।
বাংলার ইতিহাস নিয়ে কিছু পেলেও লিখবেন প্লিজ।।
বাংলার পরাধীনতা আসলে কত শত বছরের, কে জানে??
হঠাৎ মানুষ ক্ষেপে গেল কেন বুঝলাম না আপনার লেখা তো আমার কাছে চমৎকার লাগছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লাদির গন্ধ পাচ্ছেননা? আওরঙ্গজেব নাকি জিন্দা পীর ছিল হাহাহাহাহাহা।
..................................................................
#Banshibir.
চমৎকার সিরিজ চলছে। ব্রিটিশদের লেখা ভারতের ইতিহাস পড়া হয়নি তাই এখন আপনার লেখার মাধ্যমে জানছি। আমাদের মাধ্যমিক ইতিহাসে একটা প্রশ্ন আসত - "মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য আওরঙ্গজেব কতখানি দায়ী?"।
বিভিন্ন বইতে ভিন্ন-ভিন্ন উত্তর ছিল, কিন্তু ক্লাসে আমাদের স্যার বলে দিয়েছিলেন উত্তরটা। পতন হতই কিন্তু কয়েক দশক এদিক ওদিক হতে পারত। দারা হোক বা আওরঙ্গজেব, কেউই ইংরেজদের সাথে আমাদের মৌলিক পার্থক্য দূর করার কোনো প্রচেষ্টা করেননি। জাতীয়তাবাদ, শিল্প ও বিজ্ঞান - তিনেই ভারত তখন ইংরেজদের তুলনায় অনেক দুর্বল। মোঘলদের এই সব বিষয়ে দূরদর্শিতার কোনো লক্ষণ বাবর থেকে ফারুখশিয়ার - কারও মধ্যেই দেখা যায় নি। সুতরাং, পরবর্তী সাম্রাজ্যবাদীর হাতে তাদের পতন অনিবার্য ছিল। আওরঙ্গজেব মাঝখান থেকে ভিলেন হয়ে গেছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দিগন্তদা, আপনাদের ইতিহাস পাঠের স্কোপটা কী রকম? মানে কোথা থেকে শুরু হয়ে কোন পর্যন্ত?
আমি পড়েছি কমিউনিস্ট বাংলায়। সুতরাং পড়ায় কমিউনিস্ট ঘটনার প্রাধান্য থাকত - মার্ক্স, শিল্পবিপ্লব, লেনিন থেকে হো-চি-মিন বা মাও সে তুং। তার মধ্যে এভাবে ভাগ করতে পারি -
ষষ্ঠ শ্রেণী - পৃথিবীর ইতিহাস প্রাচীন যুগ - রোম সাম্রাজ্যের পতন অবধি (৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দ)
সপ্তম শ্রেণী - পৃথিবীর ইতিহাস মধ্যযুগ - বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের পতন অবধি (১৪৫৩ খ্রীষ্টাব্দ)
অষ্টম শ্রেণী - পৃথিবীর ইতিহাস আধুনিক যুগ - হো-চি-মিন অবধি (১৯৭৪ খ্রীষ্টাব্দ)
নবম শ্রেণী - ভারতের ইতিহাস - (প্রাচীন যুগ, মহেঞ্জোদাড়ো, আর্য, বৌদ্ধ, মহাজনপদ, আলেক্সান্ডার, গুপ্ত, বিজয়নগর,বাহমনী, রাষ্ট্রকূট, পাল, কনিষ্ক, সেন, গুর্জর-প্রতিহার, মহম্মদ ঘোরী, কুতুবুদ্দিন, আলাউদ্দিন থেকে ইব্রাহিম লোদী) সুলতানী আমল অবধি।
দশম শ্রেণী - ভারতের ইতিহাস (মুঘল, আলিবর্দী-সিরাজ, ইংরেজ, মন্বন্তর, নবজাগরণ, স্বাধীনতা আন্দোলন, ভারত ছাড়ো, লবণ সত্যাগ্রহ, আজাদ-হিন্দ, নৌ-বিদ্রোহ থেকে ১৯৪৭)।
নবম-দশম শ্রেণীর বই ছিল মোটা, যার কিয়দংশ আমি পড়েছি কি প্রশ্ন পরীক্ষায় আসবে তার ভিত্তিতে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ইয়া মালিক, এতকিসু পড়সি মাধ্যমিকে? ক্যামনে যে পাশ দিসি আল্লাহই জানে, সার্টিফিকেটটা ফিরত দেওয়া দরকার।
..................................................................
#Banshibir.
ভাবলে অবাক লাগে, সত্যি কথা।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ধন্যবাদ দিগন্তদা গুছিয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য। আমাদের বইয়ের ইতিহাস অংশের ব্যাপ্তি তুলনামূলকভাবে অনেক কম ছিল।
ইতিহাস পড়তে আগে এত মজা লাগে নাই আগে।
প্রথম লাইনটার পড়ে কবে থেকে ভাবছি বাকিটা পড়ব, দেরি হওয়াতে অবশ্য মন্তব্যগুলো উপভোগ করা গেল।
লেখা চলুক জোরেসোরে
আওরঙ্গজেব হচ্ছেন এই উপমহাদেশের আসল ছাগুচিফ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আবারো সেই হুইলার সাহেব।
তবে, আওরঙ্গজেব এক রহস্যময় পুরুষ।
অনুবাদে (গুড়)
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ঠিক কইরা কনতো-আফনে হিউয়েন সাং এর লতা সম্পর্কের আত্মীয় কিনা?
দারুন
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
নতুন মন্তব্য করুন