থার্ড ইয়ারে পড়ার সময় বান্দরবান গিয়েছিলাম। ট্রেকিং। রুমা বাজার থেকে কেওকারাডং তাজিনডং হয়ে থানচি। এরপরে থানচি থেকে চান্দের গাড়িতে বান্দরবান শহর। রুমা বাজারে আর্মি কমান্ডার ছিলেন সেকেন্ড লেফটেনান্ট ইফতিখার। আমাদের এক ব্যাচ সিনিয়ার, ফৌজদারহাট ক্যাডেটের। চিনতামনা কিন্তু গিয়ে কথা বলার পরে মেলা পরিচিত লোক পাওয়া গেল। তার সাথে ঝিরি দেখতে গেলাম, সে এক কান্ড। ওখানে আর্মি সোলজারের নিরস্ত্র ঘুরাফিরা নিষেধ, তাই তিনি আর এক সৈন্য নৌকায় উঠলেন একে ফর্টি সেভেন বা ওইরকম কিছু সহ। নৌকায় উঠেই কমান্ডার ঠ্যাং ছড়িয়ে ঘুম, পাশে আমি যেমন বই নিয়ে ঘুমাই সেইরকম তার পাশে অটোমেটিক অস্ত্র।
পরেরদিন হেঁটে পৌঁছালাম বগা লেকে। সাথের গাইডের ভাষায় বগার লিক। সেই বগার লিকের কমান্ডার দেখা গেল আমাদেরই ব্যাচমেট, সেও আমাদের পেয়ে তুমুল আনন্দিত। বেচারারা বনজঙ্গলে পড়ে থাকে দিনের পর দিন কথা বলার লোক পায়না, আমাদের পেয়ে তারা ছাড়তেই চাইছিলনা। পাহাড়ের উপর শঙ্খ নদীর তীরে স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনে তৈরী চেকপোস্টে সারারাত গল্প করেছিলাম। ওইটার পাশেই হেলিপ্যাড, কমান্ডার বলছিল ভোরবেলা বোরড হয়ে সে হেলিপ্যাডে একলা দাঁড়িয়ে শিশ করছিল আর এমন সময় সিও হেলিকপ্টার উড়িয়ে হাজির। কাজ শেষে ফিরে যাবার পথে তিনি অধীনস্ত অফিসারকে গম্ভীর গলায় আড়ালে কার্য সারার বুদ্ধি দিয়েছিলেন আর ঐ গল্প শুনে আমরা হাসতে হাসতে শেষ।
পুরো পথ আমাদের কেটেছিল নতুন নতুন জায়গা দেখে, নতুন মানুষ দেখে। এক জায়গায় দেখেছিলাম একদল মুরুং মুখে রঙ মেখে মাথায় পালক গুঁজে ফুটবল খেলছিল। অভিনব দৃশ্য। অথবা বগার লিকে রাত কাটিয়েছিলাম সিয়াম বম দিদির বাড়িতে, তিনি ওইখানে থেকে সপ্তায় দুইদিন সুদূর কাপ্তাই যেতেন ডিগ্রী কলেজে ক্লাস করতে। আমি ঘুম থেকে উঠে পাঁচ মিনিট হাঁটার দূরত্বে স্কুলেই যেতে চাইতামনা আর কাপ্তাই। সিয়াম দিদিকে সেলাম।
তুমুল আনন্দে কাটা ঐ পাঁচটি দিন আমাকে অনেক মূল্য দিয়ে কিনতে হয়েছিল। আমি বান্দরবানে থাকার দ্বিতীয় দিনে আমার আব্বা মারা যান। তখন বান্দরবানে সেলফোন নেটওয়ার্ক ছিলনা, আমাদের খবর পাঠাতে ঘাম ছুটে গিয়েছিল আম্মার। যোগাযোগের একমাত্র উপায় সেনাবাহিনীর রেডিও, আর্মির পরিচিত লোক ধরা হয়। তল্লাসে নামে আর্মি বিডিআর। তারাই আমাকে ধরে নিয়ে ঢাকা ফিরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে। আব্বা কোমায় চলে গিয়েছিলেন প্রায়। কথা বলেননি বেশি। গুলশান সিকদার মেডিকেলের রুমে যখন কেউ একজন ফিসফিসিয়ে আমার কথা আম্মাকে জিজ্ঞেস করেছিল তখন আব্বা মৃদুস্বরে বলেছিলেন ও বান্দরবানে, বুধবারে আসবে। তিনি ছিলেন কড়া পিতা, কৈশোর তারুণ্য আমার কেটেছিল তাকে ব্যতিব্যস্ত রেখে। আমার সাথে নিয়মিত কথা না বললেও মৃত্যুবরণের পুর্বমূহুর্ত পর্যন্ত তিনি আমার গতিবিধি নজরে রেখেছিলেন। দুর্বিনীত, উড়নচন্ডী, অবাধ্য ও বেয়াদব মেজো ছেলেটি তাকে কখনো সরি বলার সুযোগ পায়নি।
আব্বার কবর দেয়া হয় মিরপুর বুদ্ধিজীবি কবরস্থানের সাধারন অংশে। ঐ প্রথম আমি ওইখানে যাই। এর আগে নিয়মিত যেতাম বনানী গোরস্তানে। আমার দাদুর কবর। ছোট লাল ইটের বাঁধাই করা। ওইখানে কিছু ইন্টারেস্টিং কবর আছে। একটা আছে ছাদওয়ালা, আরেকটার পাশে সাদা মিনার আর গম্বুজ। নানান দোয়া লিখা ফলক। আব্বা মারা যাবার সময় বনানী গোরস্তান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বনানীর তুলনায় মিরপুর গোরস্তান সাইজে ছোট। ছাদমিনারও তেমন নেই। অন্যদিকে বুদ্ধিজীবি অংশ লাল ইটে বাঁধানো, কিন্তু সুন্দর ডিজাইন করা এলাকাটি মাঠে মারা গেছে ভিক্ষুকের উৎপাতে। তবু কনসেপ্টটি চমৎকার।
আমি ইন্টার দেবার তিনদিন পর আমার স্কুলের বন্ধু রায়হান মারা যায়। তার বাবা বিমানের পাইলট, ছোটবেলা থেকে ওদের বাসায় যাতায়াত আমাদের। ওরা ছিল বিশ্রী রকম বড়লোক, কিন্তু আচারব্যবহারে সেটা বোঝার উপায় ছিলনা। অর বাবাকে আমরা দেখেছিলাম অল্পই, বেশিরভাগ সময় তিনি বিদেশ থাকতেন। ওদের বাসায় ঈদেচান্দে বিরাট খানাপিনার আয়োজন হত, কিন্তু দুঃখের বিষয় ঐ বাড়ির কুকুরটি আমাকে দেখতে পারতো না। তার নাম ছিল টমি, আমরা সাত আটজন ওর বাসায় গেলে কোন অজানা কারণে টমি আমাকে অ্যাটাক করতো। টমি আর আমার গাড়ি গ্যারেজে হুটোপুটি দেখে আমার নাম দেয়া হয়েছিল পামেলা অ্যান্ডারসন। মাঝে মাঝে রায়হান গেটের পাশে লুকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো আমি ঢুকলেই পামেলার কোলে টমি লি জোনসকে ছেড়ে দেবার জন্যে।
যে সকালে পত্রিকায় রায়হানের মৃত্যুসংবাদ ছাপা হয় ওইদিন আমাদের ক্রিকেট খেলবার কথা। ব্যাটবল প্রস্তুত, উইকেটের ছয় লাঠিও। কিন্তু দলের সবচাইতে বুদ্ধিমান খেলোয়াড়টি বারো ঘন্টা আগেই চলে গেছে। আরিচা রোডে অ্যাকসিডেন্ট। ড্রাইভার, রায়হান, রায়হানের বাবা, রায়হানের বোন রুনা (অথবা রুমা, ভুলে গেছি) আপু মারা যায়। বেঁচে রইলেন রায়হানের মা। চোখের সামনে পুরো পরিবার হারিয়ে জীবন কাটানোর তীব্র নৃশংস শাস্তি আন্টির মতো ভালোমানুষকে কেন দেয়া হল এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানার খুব ইচ্ছা। আমরা নিয়মিত উনার বাসায় যেতাম পরে, উনি লাফ দিয়ে নামাজের পাটি সরিয়ে আমাদের খাওয়ানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত হতেন। দেশে ফিরে বিয়ের সময় উনাকে ফোন করে বলেছিলাম আপনি কোন দাওয়াতে জাননা জানি এইটে মিস করতে পারবেননা কিন্তু। উনি ঠিক বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন। আল্লাহ এই মানুষটাকে ভাল রাখুক।
ক্যানাডায় আসার মাসতিনেক পরের কথা। চাচা ফ্লোরিডা থেকে টিকেট পাঠিয়ে দিলেন। আব্বা তার একমাত্র ভাই, মারা যাবার পর আমি নাহয় বান্দরবান থেকে দুদিন পরে আসতে পেরেছিলাম তিনি তার ভাইকে দেখতে আসতে পারেননি। দশ বছরের বড় পিতৃতুল্য ভাইটিকে চিরতরে হারানোর বেদনার কথা আমি পরে চাচির কাছে শুনেছিলাম। তিনি আমার আব্বার মত কড়া ছিলেননা, বরং তাকে আমাদের মতই ভয় পেতেন মনে হয়। আমার চাচাতো ভাইবোনদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন, আর বার বার বলতেন যোগাযোগ রাখবা তোমাদের রক্তের সম্পর্ক। বড় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা মানুষটি তার দেশে বিদেশে ছিটিয়ে থাকা পুত্র কন্যা ভাতিজাদের ভবিষ্যত অপরিচয়ের সম্ভাবনায় কাতর ছিলেন। তার বাসায় অনেক ফল থাকতো, ওইটে দিয়ে নাস্তা দিলে আমি ফল ছাড়া ডিমভাজি পিনাট বাটার জ্যাম দিয়ে নাস্তা সেরে উঠে পড়তাম। ফল আমার দুই চোখের বিষ। তিনি বিরক্ত হতেন। তার কথা ছিল যে দেশে যাবা ঐ দেশের ফল খাবা, বিদেশে এসে আম খাওয়ার মানে নাই। আল্লাপাক যে দেশে যে ভিটামিন দরকার ঐ দেশের ফলে তা ভরে দিয়েছেন।
উনার যখন ক্যান্সার ধরা পড়ে তখন লাস্ট স্টেজ। ডাক্তার বলেছিল তিনমাস। আমি তখন মাত্র পাস করে চাকরিতে ঢুকেছি, হুট করে ছুটি পাওয়া যেত না। আমি এক মাস পরের টিকেট কাটলাম। এক মাস বাঁচেননি তিনি, তিন সপ্তা পরেই তিনি চলে যান। অসম্ভব কষ্টের ছিল তার শেষ দিনগুলি, তীব্র ব্যথায় ঘুম হতনা তার রাতে।
তার কবর দেওয়া হয় শহরের সেমিটারির পাশে মুসলিম কবরস্তানে। সেমিটারি যেমন হয়, সার সার ক্রুশ আর সামনে প্লাস্টিকের ফুল। একটা কর্নার মুসলিমদের জন্য নির্দিষ্ট। গোসল দেওয়া হয় লোকাল মসজিদে, সোমালি ইমাম গা ধুইয়ে দিচ্ছিল যখন আমি আর আমার চাচাত ভাই চুপ করে লাশের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। জেগে থাকলে নিশ্চিত তিনি তাকিয়ে বলতেন কি ইচিটাকনি রিভার যাবা কালকে বোটিং করতে? দাঁড়াও তমাকে খবর দেই। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি ঢাকায় থাকলে মারা যাবার আগমূহুর্তে আব্বা আমার দিকে তাকিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করতেন কি? রায়হান আজ বেঁচে থাকলে আমার ফেসবুকে আরেকটি বজ্জাতের নাম যুক্ত হত আর কয়দিন পর পর মেসেজ করতাম, কিরে শালা বাঁইচা আসোস?
এই পোস্টটি আমার ও আপনার সকল হারিয়ে যাওয়া মানুষকে উৎসর্গ করা হল। আসলেও অনেক সহজে চলে যাওয়া শিখেছে মানুষ।
মন্তব্য
এরকম লেখা আর লিখেন না। আপনার ওই ফাজলামি টাইপ পেন্টুলুন খোলা লেখা গুলাই ভাল। এরকম লেখা বড্ড মন খ্রাপ করায়।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আচ্ছা।
..................................................................
#Banshibir.
বেশি মন খারাপ করে দিলা ভাই।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
কি আর করা।
..................................................................
#Banshibir.
মন খারাপ হয়ে গেল।
পোস্টে পঞ্চতারা।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হুমম।
..................................................................
#Banshibir.
মন খারাপের দিনে এমন একটা মন খারাপ করা পোষ্ট!!
আপনার নিকটা চমৎকার।
..................................................................
#Banshibir.
অনেক সহজে চলে যাওয়া শিখেছে মানুষ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ঠিক। বড্ড সহজে।
..................................................................
#Banshibir.
হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলা যদি জানতো হারিয়ে না যাওয়া মানুষেরা তাদের কি ভয়ঙ্করভাবে মিস করে, তাহলে হয়তো হারিয়ে গিয়ে ও তারা আবার ঠিক ফিরে আসতো।
কি জানি। হয়তো।
..................................................................
#Banshibir.
এই লেখাটা লেখা ঠিক হয় নি আপনার, একদম-ই নয়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আচ্ছা ঠিক আছে।
..................................................................
#Banshibir.
এমন লেখা লেইখেন না, লেখার মতো অন্য অনেক কিছু আছে সেগুল নিয়ে লিখুন
আচ্ছা।
..................................................................
#Banshibir.
পীর সাহেব, মনটা খারাপ করে দিলেন তো !
দুঃখিত।
..................................................................
#Banshibir.
দুঃখ জাগানিয়া লেখা। পড়তে পড়তে অনেক কিছু মনে পড়ল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বড় হতে ভালো লাগে না।
..................................................................
#Banshibir.
মন খারাপ হয়ে গেল খুব।
পোঙটা অনুবাদই ভাল।
মাঝে মধ্যে মন খারাপ করতেও ভালো লাগে। প্রিয় মানুষের কথা ভেবে মন খারাপ করা খুব দোষের কি?
অনুবাদ আসবে। অবশ্যই আসবে।
..................................................................
#Banshibir.
একটা লেখা দিয়ে এত সফলভাবে এত্তগুলো মানুষের মন স্পর্শ করে মন খারাপ করিয়ে দেয়া সহজ কথা নয়।
লেখা খুব মায়াভরা হয়েছে।
(মন আমারও খারাপ হল, বলাই বাহুল্য। )
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
কারো মন খারাপ করাতে চাই নাই। নিজের মন খারাপ ছিল তাই বললাম। আপনাদের কত বড় মন থাকলে আমার কষ্টগুলোকে এভাবে আপন করে নেন! সচলের সকল পাঠকের প্রতি শ্রদ্ধা।
..................................................................
#Banshibir.
---------------------
আমার ফ্লিকার
..................................................................
#Banshibir.
এই ২৫শে ডিসেম্বর দাদু চলে গেলেন, উনার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল কিছুটা স্নেহ-রাগ মেশানো, শেষ দেখা হয়নি, যখনি বাড়ি যাই, দুতালার ঘরটা কিরকম অদ্ভুত ফাঁকা ফাঁকা লাগে, আপনজন হারানোর অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায়না
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ঠিক। ফাঁকা ফাঁকা অনুভূতি খুব ভয়ঙ্কর।
..................................................................
#Banshibir.
এমন মেঘলা লেখা চোখের জমিনে বৃষ্টি ঝরানোর জন্য যথেষ্ট। খুব মন খারাপ হলো। লেখা অসাধারণ হয়েছে।
..................................................................
#Banshibir.
শেষে এসে একেবারেই নাড়িয়ে দিয়েছেন............
এভাবেই সব হারিয়ে যায় একদিন। তাই ভাবি কত তুচ্ছ বিষয় নিয়েই মেতে থাকি কতকাল...
ডাকঘর | ছবিঘর
এই আর কি। কোথা হতে আসে নাও কোথা চলে যায়।
..................................................................
#Banshibir.
মনে লাগল লেখাটা। আত্মীয়, বন্ধু, পরিচিত, প্রতিবেশী, ছোটবেলা থেকে নাম শোনা নামকরা লোকজন – চলে গেছে এবং যাচ্ছে। আমার বয়স ৩৮। থাকি দেশের বাইরে। বাবা-মা দেশে। দেশ থেকে ফোন আসলে ভয় লাগে। প্রায়ই চিন্তা করি কি করব যখন তাদের কারো যাবার খবর পাব। I am never ready for it.
আহমেদ হক
সেটাই।
..................................................................
#Banshibir.
অনেক মন খারাপ করা ভাল একটা লেখা। সেকেন্ড ল্যুটেন্যান্ট ইফতেখার মানে কি ফিরোজ ইফতেখার? গান শুনিয়েছিল?
জ্বী ভাই, গীটার বাজায়। ফিরোজ ইফতেখার। চিনেন নাকি? তাকে কখনো বিদায় দেয়া হয় নাই, আমার খোঁজে যখন আর্মি নামে তখন তিনি অনেক করেছেন। পরে শুনেছি কুমিল্লা পোস্টিং হয়ে গিয়েছিলেন। যোগাযোগ আছে?
..................................................................
#Banshibir.
হ্যা মাঝেমধ্যে যোগাযোগ হয়। ও চাকরী ছেড়ে দিসে ক্যাপ্টেন হওয়ার পরে। আপনার শুভকামনা জানিয়ে দিব।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
..................................................................
#Banshibir.
এমন মন ছোঁয়া, মন খারাপ করা, আবেগের বন্যায় ভাসানো লেখার উপর সেন্সর আরোপ হোক।
facebook
..................................................................
#Banshibir.
আহা !!! সিয়াম দি এর কথা মনে করায়ে দিলেন। খুব ই ভাল একটা মানুষ। আমরা ১০/১২ বন্ধু গেছিলাম বগা লেক ২০০৯, দিদি এর বাসায় থাকা আর খাওয়া। জীবনের সবচেয়ে ভাল সৃতি গুলার মধ্যে একটা।
ভাল কথা পীর ভায়া আপনি কিন্তু আপনার লগে যোগাযোগ কারার রাস্তা কন নাই, আমিও ississ শহরে আসি।
জ্বী দিদি খুবই ভাল লোক। বাসাটাও চমৎকার খোলামেলা।
আমার ইমেইল অ্যাড্রেস প্রোফাইলেই আছে কিন্তু।
..................................................................
#Banshibir.
গত ২৩ বছরে কতবার যে বনানী কবরস্থানে যাওয়া হয়েছে তার লেখাজোখা নেই। আরও মজার বিষয় আছে, দু-একজন প্রভাবশালী মানুষ অনেকটা জায়গা আগাম নিয়ে রেখেছেন, অনেকটা রিয়েল এষ্টেট কায়দায়, সম্ভবত পারিবারিক গোরস্থান বানাবেন। সে বড়ই দৃষ্টিকটু ব্যাপার। মৃত লোকের কবর দেবার জায়গা নেই আর উনারা 'সংরক্ষিত' বোর্ড ঝুলিয়ে বিরাট এক-একটা অংশ অধিকারে রেখেছেন, মূল্য অবশ্যই পরিশোধ করেছেন বটে। ভেবেছিলাম, ছবি তুলে সচলায়তনে একটা পোস্ট দিয়ে দিব।
আবেগাপ্লুত হলাম। ভাল থাকবেন।
ঠিক কথা। কিছু কিছু আছে স্বামীর পাশে স্ত্রী কিনে রেখেছেন, সেইটা হয়তো মানা যায়। কিন্তু কিছু সাইনবোর্ড আছে অমুক এমপি হাবিজাবিউদ্দিন ও তার পরিবারের জন্য সংরক্ষিত, কিনে রেখেছে হয়তো দশটা কবর। মাঝে মাঝে মানুষ বড় নির্লজ্জ।
অনেক ভাল থাকেন।
..................................................................
#Banshibir.
উফ।। আমি ভাবতেই পারি না। ভাই এই রকম পোস্ট আর দিয়েন না ।
ঠিক আছে।
..................................................................
#Banshibir.
মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল।
সিয়াম দিদি এখনো আগের মতই আছেন। আমিও যেয়ে তার ঘরের মাচায় ছিলাম ২ বছর আগে। পিঠে একটা বাচ্চা বেঁধে আমার সাথে অনেক কথা বলেছিলেন। যদ্দুর মনে পড়ে উনি বগালেকের স্কুলে বাচ্চাদের পড়ান এখন। অনেক ভাল একজন মানুষ।
অসম্ভব ভালো একজন মানুষ সিয়াম দিদি।
..................................................................
#Banshibir.
এভাবে সবার মন খারাপ করলেন ক্যান? আপনার লেখা পড়ে আমার নানীর কথা মনে পড়ে গেল ভীষন...
কি সহজে চলে যায় তারা! তখন আত্মায় বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে খুব, ভাবতে ইচ্ছে করে আবার দেখা হবে। এটাই হোক সান্ত্বনা!
মনটা এখন ততটাই খারাপ হয়ে গেলো, ঠিক যতটা হয়েছিল সে সময়। সবসময় আতংকে থাকি, কখন কোন খারাপ খবর আসে প্রিয়জনের। আর সেসময় সরি বলার সময়টুকু পাবো কি না।
বেশি রাত করে দেশ থেকে কোন ফোন এলেই বুক কেঁপে উঠে অজানা আশংকায়।
ভালো থাকো সবসময়।
সোনিয়া
নতুন মন্তব্য করুন