“সিরাজ উদ্দৌলা, সিংহাসনে অধিরুঢ় হইয়া, মাতা মহের পুরাণ কর্ম্মকারক ও সেনাপতিদিগকে পদচ্যুত করিলেন। কুপ্রবৃত্তির উত্তেজক কতিপয় অল্পবয়স্ক দুষ্ক্রিয়াসক্ত ব্যক্তি তাঁহার প্রিয়পাত্র ও বিশ্বাসভাজন হইয়া উঠিল। তাহারা প্রতিদিন তাঁহাকে কেবল অন্যায্য ও নিষ্ঠুর ব্যাপারের অনুষ্ঠানে পরামর্শ দিতে লাগিল। সেই সকল পরামর্শের এই ফল দর্শিয়াছিল, যে তৎকালে প্রায় কোন ব্যক্তির সম্পত্তি বা কোন স্ত্রীলোকের সতীত্ব রক্ষা পায় নাই।”
শ্রীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বাঙ্গালার ইতিহাস।
….....................
নবাব আলিবর্দি মারা যাবার পর তাকে গোর দেবার আগেই সিরাজউদ্দৌলা তখতে লাফ দিয়ে বসেন। বসেই তিনি প্রথম কলকাঠি নাড়া আরম্ভ করেন খালা ঘষেটি বেগমের ঘষটামি বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। ঘষেটি তার অঢেল পয়সাকড়ি নিয়ে মতিঝিল প্রাসাদে থাকতেন। প্রাসাদের চতুর্দিকে পানি, শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ভিতরে ঘষেটি বেগম তার লাভার নাজির আলি আর কয়টা সিপাই। কিন্তু ফাইট হলনা, আলিবর্দির বিধবা স্ত্রীর অনুরোধে ঘষেটি আত্মসমর্পণ করেন। নাজির আলিকে কানে ধরে দরবার থেকে বের করে দেয়া হয়, ঘষেটিকে চালান করা হয় হেরেমে আর তার পয়সাকড়ি চালান করা হয় কোষাগারে। এ সবই হয় আলিবর্দি দেহরক্ষার দশ দিনের মধ্যে। নবাব কিছুটা চিন্তামুক্ত এখন। তবে পুর্ণিয়ার নবাব, শওকত জং আর ইংরেজের সাথে বোঝাপড়া বাকি।
কনফিডেন্ট সিরাজ ভাবলেন এইবার দরবারের বুড়াধাড়ি ধুয়ে সাফা করা যাক। আলিবর্দির সকল সিনিয়র অফিসারকে পদচ্যুত করা হল, নিজ দেওয়ান মোহনলালকে তিন ডবল প্রমোশন দিয়ে আস্ত রাজ্যের দেওয়ান অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী বানানো হল। মীর মদনকে করা হল স্থানীয় সৈন্যদলের সেনাপতি। স্টুয়ার্ট সাহেবের মতে মীর মদন লোকটি অতি নিচু জাতের। হতে পারে। তবে লোকটি বাস্তবিকই বীর যোদ্ধা। মীর জাফর, যার সহায়তা তাকে গদিলাভে সাহায্য করেছিল, তিনি বক্সী অর্থাৎ সেনাবাহিনী সর্বাধিনায়ক পদে বহাল রইলেন। রায় দুর্লভের পদও পোক্ত রইল। কাজিন শওকত জং সিরাজের গদিলাভ মেনে নেয়নি, তাই পূর্ণিয়ায় সৈন্য পাঠানো হল। মে মাসের ১৬ তারিখ নবাব মুর্শিদাবাদ ছেড়ে যাত্রা করেন। একই সময় ফরাসী ইংরেজ কুঠিতে খবর পাঠানো হয় তারা যেন আলিবর্দির আমলে গড়া নিজ এলাকার নানাবিধ দূর্গ ভেঙে সাফ করে রাখে।
পরিষ্কারভাবে এই বার্তা পাঠানোর কারন সিরাজের শ্বেতাঙ্গবিদ্বেষ। এছাড়াও তিনি কুপিত ছিলেন কারন কেউ তাকে কোন উপহার টুপহার দেয়নি গদিলাভের পর। পরে ইংরেজ তাকে একটা ছোট উপহার পাঠায়, নবাব তা গ্রহন করেননি। ওলন্দাজ ফরাসী তাকে দুই পয়সাও ছোঁয়ায়নি। পরে আমরা দেখব নবাব কোলকাতা দখল করার পরে দূর্গ গড়ার অজুহাতে কত লক্ষ টাকাই নজরানা হিসেবে আদায় করেন। যা ই হোক, কাশিমবাজারের ফরাসী অধ্যক্ষ জঁ ল সাহেব নবাবের দূতকে বিস্তর আদর সোহাগ করে কুঠিতে আপ্যায়ন করল আর কথা দিল নবাবের কথা তার অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবে। সেই খবর রাজমহলে সিরাজের কাছে পৌঁছে ২০ মে এর দিকে, চিঠি পড়ে তিনি ফরাসীদের উপর খুশিতে ডগমগ হয়ে ওঠেন।
ইংরেজদের ক্ষেত্রে তা হয়নি। দূর্গ ভেঙে তক্তা করার প্রস্তাব তারা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়। নবাবের চিঠিবাহক নারায়ণ দাসকে নিয়ে উমিচাঁদ যখন মেসার্স, ড্রেক, ম্যানিংহ্যাম আর হলওয়েলের সাথে দেখা করতে কুঠিতে যান তখন দোর থেকেই হাঁকিয়ে বিদেয় করা হয় তাদের ড্রেক সাহেবের আদেশে। শহর থেকেই তাদের বের করে দেয়া হয়। ড্রেক সাহেব চিঠি লিখেন নবাবকে যে বিগত একশ বছর ধরে ইংরেজরা বাংলায় ব্যবসা করে আসছে আর নবাবের কথামতই চলছে। নতুন নবাব যেন তাদের সেই সুসম্পর্কের কথা স্মরণ রাখেন। তিনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন ব্রিটেন ফ্রান্সের যুদ্ধ আগত প্রায়, তাই দূর্গ মেরামত অত্যাধিক জরুরী নদীর পাড়ের ফরাসীদের কথা মাথায় রেখে।
এই চিঠি নবাবের হাতে যায় একই দিনে যখন তিনি ফরাসী চিঠি পান। চিঠি পেয়ে তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। এগপ্ল্যান্ট ইন হট অয়েল। ছ্যাঁত ছ্যাঁত ছিsssss। বেগুনপোড়া শব্দে দরবার ভরে গেল। নবাব চিৎকার করে বলেন, “আমারই দেশে থেকে তারা যুদ্ধ লাগানোর ধান্দা করে, আমি কি মরে গেছি? আমি তাদের ফরাসী থেকে রক্ষা করতে অক্ষম?”
ইংরেজদের প্রতি রাগ করার কারন হিসেবে সিরাজের নিম্নোক্ত কারণ গুলি ধারণা করা হয়ঃ
১) দেশের আইন অমান্য করে ইংরেজের দূর্গ সম্প্রসারণ
২) বাদশাহী ফরমানের অপব্যবহার
৩) তার সরাসরি আদেশ সত্ত্বেও কিছু বন্দী হস্তান্তর না করা।
পিগু সায়েবকে লিখা চিঠিতে সিরাজ বলেন, “বাংলা সুবা থেকে ইংরেজের খেদানোর কথা আমি বলিনি, তাদের ব্যবসা বন্ধ হউক তা আমার অভিপ্রায় নয়। কিন্তু তাদের গোমস্তা ড্রেক একটি বদমাস ও হারামী। সে কুঠিতে নানান লোকের সাথে শলা করে। তার এই বদমাইসি বন্ধ হওয়া অতি জরুরী।”
একই সময় তিনি বলেন, “ইংরেজ যদি তাদের পরিখা না বোঁজায়, দূর্গ মেরামতি বন্ধ না করে আর মহান নবাব জাফির খাঁ (মুর্শিদ কুলি খাঁ) এর আমলের আইন না মানে, তবে আমি তাদের কোন কথা শুনব না আর তাদের অতি অবশ্যই কানে ধরে বের করে দেব।”
লক্ষ্যণীয় বিষয় তিনি সরাসরি টাকা আদায়ের কথা মোটেই তুলছেন না বরং চাইছেন ১৭১৭ সালে প্রাপ্ত মোগল বাদশাহী ফরমান ত্যাগ করে আর্মেনীয় বা পর্তুগীজদের মত হয়ে যেতে, যাদের নবাবী পরোয়ানা ছাড়া বাণিজ্য অসম্ভব।
সিরাজ লোকটি মাথা গরম ছিলেন কিন্তু তার সন্দেহগুলি ভুয়া ছিলনা। দূর্গ ইংরেজ আসলেও পোক্ত করেছিল। কোলকাতার উত্তরে একটি ছোট দুর্গ গড়ার প্ল্যান ছিল কর্নেল স্কটের। মারাঠা পরিখা ঘষামাজা করা ছাড়াও উইলিয়াম দূর্গ তারা মেরামত করা শুরু করে ইঙ্গ ফ্রান্স যুদ্ধের খবরে। এই কাজে তারা কোনরকম অনুমতির তোয়াক্কা করেনি। ফরমানের অপব্যবহারের বিষয়টিও সর্বাংশে খাঁটি। দস্তক বা ছাড়পত্র তারা ফরমানের শর্ত অমান্য করেই ব্যবহার করতো আকছার। শুধুমাত্র কোম্পানীর মাল চালানেই ঐ দস্তক ব্যবহৃত হবার কথা, তার বদলে তারা বছরে শুল্ক দিল তিন হাজার রূপী। কিন্তু কোম্পানীর মাল তো বটেই তারা ঐ দস্তকে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবসার মালও আনা নেওয়া করতো, এমনকি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মালও।
বাংলা থেকে ইংরেজ পিটিয়ে তাড়াবার লক্ষ্যে নেমে সিরাজ কাশিমবাজার কুঠি ঘেরাও করতে নির্দেশ দিলেন আর কাশিম আলি খাঁ কে পাঠানো হল কোলকাতার দক্ষিণে মুকওয়া তান্না দূর্গ দখল করতে যাতে ইংরেজ রিইনফোর্সমেন্ট না পায়। কাশিমবাজার থেকে রাজমহল তিনদিনের পথ, ২৪ মে যখন কাশিমবাজার কুঠির প্রধান ওয়াটস খবর পান ততক্ষণে রায় দুর্লভের নির্দেশে মির্জা উমর বেগ কুঠি ঘেরাও করতে হাজির। কিন্তু উমর বেগ কুঠি আক্রমন কেন ও কিভাবে তা কিছুই জানতোনা, সে মনে করেছিল নবাব মনে হয় সাদা লোকদের টাকা আদায় করার ধান্দা করছেন। অতএব খালি ইংরেজ নয় ওলন্দাজ ফরাসী কুঠিও ঘেরাও হল। পরদিন অবশ্য অন্যান্য কুঠি থেকে সিপাই সরিয়ে ইংরেজ কুঠির পাশে সৈন্যবৃদ্ধি হল। ওয়াটস সাহেব জলদি জলদি কোলকাতায় রিইনফোর্সমেন্ট চেয়ে পত্র দিলেন। তিনি লিখলেন এসবই সম্ভবত হাকিম বেগের কান্ড। হাকিম বেগ নবাবের খাজনা বিভাগের লোক, পয়সাকড়ি নিয়ে ইংরেজের সাথে তার কাইজা লেগেই থাকত। দূর্গ ঘেরাও এর বিপক্ষে কড়া চিঠি লিখা হয় নবাবকে, সাথে হাকিম বেগের উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবী। কিন্তু দূতেরা হয় ভয় পেয়েছিল অথবা দূর্গে ঢুকতে পারেনি, চিঠি নবাবের হাতে আর পড়েনি।
রিইনফোর্সমেন্টের অনুরোধ খতিয়ে দেখা হল। কাশিমবাজার থেকে সদ্য আগত ক্যাপ্টেন আলেকজান্ডার গ্র্যান্ট বললেন কাশিমবাজারের গোলা বারুদ মন্দ নয়, বাদলা আসা পর্যন্ত তারা নবাবকে ঠেকিয়ে রাখতে পারার কথা। বর্ষাকালে পানি উঠলে সিপাই পাঠানো বুদ্ধিমানের কাজ, এখন স্থলপথ বিপজ্জনক। এছাড়া কোলকাতাতেও আক্রমন হবে শোনা যাচ্ছে, সিপাই পাঠিয়ে নিজেদের গ্যারিসন দুর্বল করাও ঠিক হবে না। তাই ওয়াটস সাহেবকে চিঠি লিখা হল যেন তিনি আপাতত নবাবকে ঠেকিয়ে রাখেন।
ওয়াটস পড়লেন ব্যাপক বাটে। তার দূর্গের চতুর্দিকে ঘরবাড়ি, শত্রুপক্ষ কভার নিতে মোটেই সমস্যা হবেনা। পুরান অকেজো গাদাবন্দুক আর পঞ্চাশ পাইক তার ভরসা, তাদের মোটে অর্ধেক সাদা। বিরাট পদের সাদা লোক তাও না, বেশিরভাগই ওলন্দাজ ইতর আর আধা ফিরিঙ্গি। তাই দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ অসম্ভব। ওয়াটস তরুণ নন, তার বয়েস হয়েছিল আটত্রিশ। বিশ বছর তিনি ছিলেন ভারতে। যুদ্ধ হাঙ্গামা তিনি কম দেখেননি, তার ধারনা ছিল পয়সা দিয়ে যুদ্ধ ঠিকই ঠেকিয়ে রাখা যায়। নবাবের ইংরেজবিদ্বেষের মূল কারণ অথবা চরিত্র কোনটাই তার জানা ছিলনা, তাই তিনি ভাবলেন এইটাও কমপ্রোমাইজ করা যাবে। তিনি মাথা ঠান্ডা রেখে কূটনীতি তে মন দিলেন, এদিকে সিপাইদের কড়া হুকুম দিলেন নবাবের সৈন্য ঠেকিয়ে রাখার জন্যে।
(চলবে)
স্যামুয়েল চার্লস হিল লিখিত Bengal in 1756-1757; a selection of public and private papers dealing with the affairs of the British in Bengal during the reign of Siraj-uddaula অবলম্বনে। সকল মতামত লিখকের নিজস্ব।
মন্তব্য
অন্ধকূপ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত লিইখেন, দারুণ হচ্ছে--
facebook
অন্ধকূপ হত্যাকাণ্ড আমার কাছে কিন্তু একটা ঢাহা মিথ্যা কথা বলে মনে হয়েছে। অন্তত: যুক্তি তাই বলে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নিশ্চয়ই অণু ভাই। বিস্তারিত দিব। পাব্লিক অইদিন আমারে ব্যান খাওয়াইব মনে হয়
..................................................................
#Banshibir.
ঢর কি মিঞা।
আংরেজ গো লিখা লইয়া তোমারে পাবলিক ফিডাইবো ক্যানু?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আমি ছোট আমাকে মারবেন না।
..................................................................
#Banshibir.
অনুবাদ বেশ হয়েছে।
চলুক।
তুলে রাখলাম; পরে পড়ব।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ওকে
..................................................................
#Banshibir.
আসলেই দারুন হচ্ছে। অন্ধকূপ হত্যা নিয়ে কি আগামী পর্ব? তাইলে
অন্য প্রসঙ্গঃ মে মাস আমার খুব প্রিয়, আমার ছোট ভাই আর আমার স্বপ্ন দেখার জন্মদিন। ২৩ জুন অ আমার জীবনে একটি গুরুত্বপুর্ন দিন।
পরের পর্ব অন্ধকূপ কিনা নিশ্চিত না। দেখি। অনেক কথা কোনটা ছ্বেড়ে কোনটা দিব তাই নিয়ে অস্থিরতায় থাকি।
মে জুন মাসে বাংলার ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা চলছিল কিন্তু
..................................................................
#Banshibir.
ভাল হচ্ছে।
দইন্যবাদ
..................................................................
#Banshibir.
খাজা ওয়াজিদ রে নিয়া দুএকটা কথা বলা উচিত।
আর্মানী সওদাগর খাজা ওয়াজিদ? তেমন কিছু তো দেখলাম না হিল সায়েবের বইতে। আচ্ছা আবার দেই খোঁজ দ্য সার্চ।
..................................................................
#Banshibir.
ঊপরে উল্লেখিত বিদ্যাসাগর এর মন্তব্য কি মূল বই এর অংশ? যদি না হয় তাহলে এই সংযজন কেন? তার মানে কি লেখক এই মতামত এর সাথে একমত? যেহেতু সত্যপীর আগেই বলে রেখেছেন সব মন্তব্য হিল এর, বিদ্যাসাগর কে উল্লেখ করা দরকার মনে হয় না। দরকার যদি তিনি একাত্মতা প্রকাশ করেন হিল এর সাথে। সেক্ষেত্রে বলতে হবে হিল এর দোহাই দিয়ে লেখক তার নিজের মত প্রচার করসেন, অনুবাদ করসেন না। এইটা অনেকটা সিরাত এর মত হইল, বাপের দোহাই দিয়া নিজের মত প্রকাশ।
তবে এটা যদি মুল লেখকের জুড়ে দেয়া হয় তাহলে ঠিক আছে।
বিদ্যাসাগরের উক্তি মূল লিখার অংশ নয়। অনুবাদক সত্যপীর বিদ্যাসাগরের প্রতিটি অক্ষরের সাথে একমত। হিল সায়েবের প্রতি তার তেমন আস্থা নেই।
আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি, সিরাজ একটি মহামূর্খ। আপনি বিদ্যাসাগরের থেকে বেশি ইতিহাস জ্ঞান সম্পন্ন হলে রেফারেন্স সহ পোস্ট ঝাড়ুন।
আর নিজের নামটি বাংলায় লিখবেন দয়া করে।
..................................................................
#Banshibir.
যদি সমালোচনা না পজিটিভলি না নিতে পারেন তো কোনো কমিউনিটি প্লাটফর্মে দয়া করে আর লিখতে আসবেন না। এটা আপনার ব্যক্তিগত এলাকা না যে কেউ কিছু বললেই এভাবে আবোল তাবোল বলে হাঁকিয়ে দেবেন। লিখছেন অনুবাদ আবার মন্তব্য জুড়ে দিচ্ছেন বিদ্যাসাগরের (যার মতে সিরাজ নাকি সকল বংগীয় নারীকুলকেই রেপ করে বেড়াতেন!), তারপরেও স্রেফ পিঠ চাপড়ানো আশা করেন নাকি?
আর কিছু বললেই তাকে থামানোর জন্য 'পারলে নিজে করে দেখান' টাইপের ঝাড়ি দেওয়াও দয়া করে বাদ দিন। সহনশীল হতে না পারলে নিজের ব্যক্তিগত ব্লগে লিখবেন। এটা সবার মতামত প্রদানের জায়গা। মনে রাখবেন দয়া করে।
আমি কোথায় লিখতে আসব ভেবে আপনার চুল পাকানোর দরকার দেখছিনা। দূরে থাকুন।
আপনার মতন কড়া সিরাজভক্তদের বিদ্যাসাগরের মতামত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও বোঝেননা। সিনেমা নাটকে সিরাজের জন্যে চোখের পানি আর কত ফেলবেন? কিছু পড়াশুনা করেন।
নিজে কিছু করে দেখাতে বললে মনটা খারাপ হয় বুঝি? সারাজীবন তো নাটক সিনেমাই দেখলেন, কিছু লিখতে অসুবিধা কি?
..................................................................
#Banshibir.
"নিজে কিছু করে দেখাতে বললে মনটা খারাপ হয় বুঝি? সারাজীবন তো নাটক সিনেমাই দেখলেন, কিছু লিখতে অসুবিধা কি?"
এইরকম ঘাড়তেঁড়া এরোগেন্সি নিয়ে ইতিহাস লিখতে এসেছেন? তিতুমীর নিয়ে আপনার ব**মীর সময় একটা কমেন্ট করেছিলাম, কষ্ট করে একটু পড়ে নেবেন আবার। তখন তো মিন মিন করে, 'ভাই আমি কেবল অনুবাদক, ইতিহাস বুঝিনা' বলে সরে এসেছিলেন! এখানে আবার পাঠক কেই ইতিহাস জানেনা বলে ভাব নিচ্ছেন?
ফিরোজ মাহবুব কামালও একাত্তরে ভাতৃঘাতের ইতিহাস লেখে।(চেনেন তো তাকে? গুগল করে নেবেন না চিনলে। হোম টাস্ক থাকলো।) এখন সেটার অনুবাদ করে আমি যদি ইউরোপ আমেরিকার দ্বিতীয়/তৃতীয় প্রজন্মের বাঙালিদের মধ্যে বিলাই আর কেউ প্রতিবাদ করলে স্রেফ বলি যে, "ভাই আমি তো স্রেফ অনুবাদক, আপনি পারলে নিজে করে দেখান!(যা আরেকটা বল*মী লজিকাল ফ্যালাসী)" তো কেমন হবে ব্যাপারটা? কিংবা এইসব ইতিহাস বিমুখ পোলাপান আনন্দে গদগদ হয়ে পিঠ চাপড়ে দেয় যে, 'ভাই আপনার কল্যাণে কত অজানারে জানা হলো!' তখন যদি আর অনুবাদকের দায় নেই না বলে পালটা সমর্থন দিয়ে বেড়াই? কেমন মজা হবে?
ইতিহাস বিকৃতি কি স্রেফ ৭১ এ হলেই আমরা প্রতিবাদে লাফাবো??? নাকি বাঙালির ইতিহাস ৭১ থেকেই শুরু?
আপনি ধুমিয়ে ঔপনিবেশিক প্রভুসমাজের ভার্সন চালিয়ে যাবেন! তা নিয়ে প্রতিবাদ করলে অসভ্য ভঙ্গিতে এড়িয়ে যাবেন! নিজেই কেবল ইতিহাস পড়ে উদ্ধার করে ফেলেছেন এমন ভঙ্গী করবেন, সচলায়তনের মত উঁচুমানের প্লাটফর্মের কল্যাণে অসংখ্য ইতিহাস উৎসাহী পাঠকের ব্রেন ওয়াশ করবেন! আর সবাই সায় দিয়ে বেড়াবে??
"আমি কোথায় লিখতে আসব ভেবে আপনার চুল পাকানোর দরকার দেখছিনা। দূরে থাকুন।"
খুব ভদ্র ভাষায় শেষবারের মত জানাচ্ছি, বাজে ব্যবহারে মানসিক জীর্ণতাই কেবল ফুটে ওঠে, না জানার অক্ষমতাই কেবল ফুটে ওঠে, আর কিছুই তা থেকে প্রমাণিত হয়না।
ইংরেজি ধন্যবাদ।
আচ্ছা, আমি আপনার কনফিউশনের ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। এই লিখা অনুবাদ হলেও নায়কের মূর্খামী সম্বন্ধে আমি একমত যা অন্যান্য লিখায় থাকলে আমি ইন্ট্রো দিয়ে দেই। যেমন আওরঙ্গজেব। তিনিও নিশ্চয়ই আপনার ফেভারিট। তাকে নিয়ে লিখার সময় আমি বলে দিয়েছিলাম সে একটি ক্রিমিনাল মাস্টারমাইন্ড। সেরকম এই সিরিজেও লিখা উচিৎ ছিল যে অনুবাদকের ধারণা সিরাজ একটি আস্ত পাঁঠা।
আমার বেশিরভাগ লিখা শুধুই অনুবাদ, কেউ মূল বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে আমি ডিস্ক্লেইমার দেখিয়ে দেই সঙ্গত কারণেই। কি পড়লাম তাই লিখে দেই সাধারনত। কিন্তু সিরাজ বা আওরঙ্গজেব নিয়ে আমার অবস্থান স্পষ্ট। সিরাজলাভারেরা খান আতার সিনেমা দেখে তর্ক করতে আসবে দেখে বিদ্যাসাগর কি বলেছেন জানা জরুরী। সত্যপীর মানসিকভাবে জীর্ণ এবং না জেনে অক্ষম, ঠিক আছে। বিদ্যাসাগর তো আর তা নয়।
এমন ভঙ্গী করিনি। আবারও বলছি, আমার লিখা সাদা লোকের বর্ণনায় ভারত। তারা কি বলল তা তাদেরই নিজস্ব মতামত। কিন্তু তাই বলে এখন যদি আওরঙ্গজেব বা সিরাজ ব্যাপক ভালোমানুষ হয়ে যায় তাহলে তো বিপদ। কিছু কিছু লিখায় আমি পাঁঠাকে পাঁঠা বলা থাকলে তাতে সায় ই দিব। আপনার প্রতিবাদ আমি অসভ্য ভঙ্গীতে এড়াইনি, বলেছি সিরাজ ভালো লোক তা খান আতার সিনেমার বাইরে কোথায় পাওয়া যায় দেখান। আপনি ও বাকিরা সভ্য ভঙ্গীতে এড়িয়ে গেছেন।
সাদা লোকে ইতিহাসবিকৃতকারী তা ঠিক আছে। আমার অনেক লিখা পড়লেই তা বুঝা যায়, এইসব লিখকেরা উঁচুপদের ইংরেজ অফিসার। এদের সব কথা বিশ্বাস করার কিছু নাই। কিন্তু তাই বলে মোগল বাদশা আর সিরাজেরা ভালো হয়ে যায় না। তারা পাঁঠাই থাকে।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি আসলেই ইতিহাস বলতে ঠিক কি বোঝেন তা বুঝতে পারছি না।
ইতিহাসে কেউ নায়ক না, কেউ ভিলেনও না। ইতিহাস ঘরে বসে রচিতও হয়না,
ধর্মগ্রন্থের মতন অপরিবর্তনীয়ও না। ইতিহাসের মূল ঘটনা বিকৃত না করলেই হলো, তার
ইন্টারপ্রিটেশন হাজার রকম আসতে পারে। কেউ ধার্মিক দৃষ্টিতে, কেউ কড়া
জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিতে, কেউ ঔপনিবেশক প্রভুসুলভ রেসিস্ট দৃষ্টিতে, কেউ মার্ক্সিস্ট
দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিহাসকে বিশ্লেষণ করতেই পারে। কিন্তু কাউকেই ইতিহাস বিকৃত করার
অধিকার দেওয়া হয় নি, যেটা আপনি অনুবাদের সুযোগে করে যাচ্ছেন এবং পাঠককে
গুলে খাওয়াচ্ছেন। আপনি সিরাজকে মাস রেপিস্ট বানাচ্ছেন বিদ্যাসাগরের নেইম ড্রপিং
করে(আর্গুমেন্ট অফ অথোরিটির ফ্যালাসী, তিনি এমন পয়গম্বর হননি যে যা লিখবেন
তা অন্ধের মতন মানতে হবে, নীহাররঞ্জনের বইটা পড়তে পারেন।), আলিবর্দিকে
হেরেমে চুর বানাচ্ছেন, তিতুমীরকে স্রেফ জংগী বানাচ্ছেন,ঠিকমত মারাঠাদের নামটাও
দিতে পারছেন না এবং দাপটের সাথে সবাইকে গালাগালি করে যাচ্ছেন!
আর সবশেষে আরেকটা ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলে যাই, এটা হলো সাব-অল্টার্ণ
মত। একটু ঘাঁটাঘাটি করতে পারেন। আর আরেকটা মুফতে উপদেশ বিকোই- পাঠকদের
দয়া করে অজমুর্খ বা ফ্যানাটিক মোছলমান(বঙ্কিম দ্রঃ) ভাববেন না। আখেরে আপনারই
'উবগার' হবে।
এরপরেও যদি সত্যিকারের ইতিহাস রচনা, ইন্টারপ্রিটেশন বা তার অনুবাদের গুরুত্ব
বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে থাকি তবে নিচে আরেকটা গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দিলাম-
"(ইতিহাস রচনা) বহু উৎস এবং অনেক বিষয়ে জ্ঞান দাবী করে। তার জন্য কল্পনাপ্রবণ
মন এবং সর্বাত্মক চিন্তা থাকা চাই, যাতে ঐতিহাসিকভাবে সত্যের কাছে পৌঁছাতে
পারে, এবং তার ভুলচুক না হয়। যদি যে ভাবে ইতিহাস বাহিত হয়ে এসেছে তাকেই সে
বিশ্বাস করে, পরস্পরা থেকে যেসব নীতি তৈরি হয়েছে তার পরিষ্কার ধারণা যদি তার না
থাকে, রাজনীতির মৌলিক তথ্য, সভ্যতার প্রকৃতি, মানবসমাজ গঠনের শর্ত যদি সে
না জানে, অধিকন্তু, প্রাচীন বিষয়বস্তুর সংগে সমকালীন বিষয়ের তুলনামূলক মূল্যায়ন
যদি সে না করে, তবে সে হোঁচট খাবে, পিছলে যাবে, সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত
হবে। ঐতিহাসিকরা, কোরানের টীকাকাররা, জ্ঞানী মানুষেরা প্রায়ই তাঁদের কাহিনী এবং
ঘটনার বিবরণে ভুল করেছেন। তাঁরা যা শুনেছেন তাকেই গ্রহণ করেছেন, তার মূল্যায়ন
করেননি। তাঁরা ঐতিহাসিক ঘটনার অন্তর্নিহিত নীতিগুলোর সংগে ঘটনাগুলি মিলিয়ে
নেননি, একই ধরণের বিষয়ের সংগে তারা তুলনা করেননি। তাঁরা দর্শনের নিরিখেও
অনুসন্ধান করেননি, বস্তুর প্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞানের সাহায্য নিয়ে, কিংবা ইতিহাসের
অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখতে চাননি। সেই জন্য তারা সত্যের পথ থেকে সরে গিয়ে ভিত্তিহীন এবং
ভ্রান্ত ধারণার মরুভুমিতে পথ হারিয়েছেন।"(মুকাদ্দিমা- ইবনে খালদুন)
আপনার ক্ষেত্রে এই ভ্রান্ত ধারণাটা আসছে খ্যাতিমান মানুষের রচনায়(বিদ্যাসাগর)
অগাধ বিশ্বাস আর শাদা চামড়াদের রেসিস্ট বক্তব্যের উপরে কলোনিয়াল সমাজ থেকে
রক্তে বহন করা ভৃত্যসুলভ আস্থা থেকে। প্লিজ গেট ওয়েল সুন!
আরো যেকোনো বই এর রেফারেন্স বা সাহায্য লাগলে নির্দ্বিধায় জানাতে পারেন। ভালো
থাকুন।
ধন্যবাদ।
বই এর রেফারেন্সই তো চাইলাম, দিলেন ইতিহাসের সংজ্ঞা! তাও এক লাইন এক লাইন। তারপর রেসিস্ট ভৃত্য কি কি সব ডাকলেন আমাকে। যাই হোক, আমার বিভিন্ন লিখায় কোনটা লিখকের বক্তব্য কোনটা আমার বক্তব্য সেইটা আপনার কাছে ক্লিয়ার না। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকব। আপনি সিরাজের কিছু রেফারেন্স দিন। পড়ি।
..................................................................
#Banshibir.
রেফারেন্স-
Akhsaykumar Moitrayo, Sirajuddaula, Calcutta 1898
BK Gupta, Sirajuddaulah and the East India Company, 1756–57, Leiden, 1962
Kalikankar Datta, Sirajuddaulah, Calcutta 1971
ধন্যবাদ। একটিও কপিরাইট এক্সপায়ার্ড নয় মনে হচ্ছে, ওখান থেকে অনুবাদ দেওয়া শক্ত। কোটেশন দেওয়া যেতে পারে অবশ্য, কিন্তু হাতের কাছে ঐ বইগুলি নাই। আপনাকে একটা অনুরোধ করি। ইচ্ছে না হলে নাই। আমি আরো দুচারটে বই ঘেঁটে দেখি হাতের কাছে, আর আপনি যদি কিছু পান আলোচনা করুন মন্তব্য সেকশনে। বিশেষতঃ অন্ধকূপ আর সিরাজের চরিত্র নিয়ে বাকিদের কি মতামত জানতে চাচ্ছি।
আমি শুধুমাত্র অনুবাদকই রয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রেসিস্ট ভৃত্য ইত্যাদি ডাকলেন দেখে এই সিরিজে একজনের লিখা না অনুবাদ করে কয়েকজনের লিখা থেকে অনুবাদ করব । অন্যান্য সিরিজে ইন্ট্রো না দিলে আমি শুধুই অনুবাদক মনে রাখবেন।
..................................................................
#Banshibir.
"যদি যে ভাবে ইতিহাস বাহিত হয়ে এসেছে তাকেই সে বিশ্বাস করে, পরস্পরা থেকে যেসব নীতি তৈরি হয়েছে তার পরিষ্কার ধারণা যদি তার না থাকে, রাজনীতির মৌলিক তথ্য, সভ্যতার প্রকৃতি, মানবসমাজ গঠনের শর্ত যদি সে না জানে, অধিকন্তু, প্রাচীন বিষয়বস্তুর সংগে সমকালীন বিষয়ের তুলনামূলক মূল্যায়ন যদি সে না করে, তবে সে হোঁচট খাবে, পিছলে যাবে, সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হবে।"
চুম্বক। বেশ।
এই ব্যাপারে সন্দেহ করার সুযোগ নেই। আমি বরং আরো দুটো বিশেষণ লাগায়: মদ্যপ, মাস্তিবাজ, মাথামোটা।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আস্তে আস্তে। লোকে রাগ করছে যে
..................................................................
#Banshibir.
আমি ইতিহাসের ছাত্র নই, তাই বিদ্যাসাগর এর ইতিহাস নিয়া আমার চিন্তা নাই। আমার প্রশ্ন ছিল আপনি অনুবাদ এর মধ্যে বিদ্যাসাগর কে জুড়ে দিলেন, যে কারণে আমার মনে হয়েছিল এটা কি হিল এর বই এর অংশ কিনা কারণ আপনি আগেই বলেছেন আপনি হিল এর কথা বিশ্বাস করেন না। কিন্ত আমার ধারণা আপনি হিল এর মত অনেকাংশে বিশ্বাস করেন কিন্তু কন কারণে সেটা স্বীকার করতে চান না। কারণ হিল এর গ্রহণযোগ্যতা কম। এই সাথে আপনি বিদ্যাসাগর কে জুড়ে সিরাজ সম্পরকে আপনার মত জোরালো করলেন। ইতিহাসবিদ হিসাবে বিদ্যাসাগর এর নাম আগে শুনি নাই, বইটা জোগাড় করলে পড়তে পারতাম । আদৌ উনি এটা লিকেছেন কিনা বা উনার উৎস কি? উৎস যদি হিল এর মত ইংরেজ লেখক রাই হয়, তাহলে সন্দেহের কিছু অবকাশ থাকে। একজন লোক পুরা বাংলাদেশের প্রায় সব মহিলাদের সতীত্ব নষ্ট করল আর বিদ্যাসাগর এর মত লোক সেটা মেনে নিলেন, নিসছয় এর জোরালো কারন আছে।
আপনার উল্লেখ করা বিদ্যাসাগর এর উক্তিতে সিরাজ কে মূর্খের চেয়ে লম্পট হিসাবে বেশি চিহ্নিত করা হয়েছে।
লোকজন ধরমগ্রন্থ বা প্রেরিত পুরুষদের এর কথাই মানেনা, আর আপনি বিদ্যাসাগর এর প্রতি শব্দ বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নিলেন? তার আগে বিবেচনা করা দরকার ছিল না?
নাম বাংলায় লিখলাম, তবে এই ব্যাপারে আপনার বলার কিছু দরকার ছিল না।
হিল এর উপর আমার আস্থা কম। তার সব কথা আমি বিশ্বাস করিনা, কিন্তু তা সিরাজকে গালি দেবার জন্যে নয় ব্রং মীর জাফরকে পাম পট্টি দেবার জন্যে। আমার কথা পূর্ণ মানে বুঝতে হলে মূল বই পড়ে দেখুন, বুঝবেন। পড়াশুনার বিকল্প নাই। সিরাজকে মান্য করেন ভালো কথা কিন্তু সিনেমা দেখে তর্ক করতে আসলে চলবে?
বই এর নাম দেয়াই আছে, বাঙ্গালার ইতিহাস। সংস্কৃত প্রেস থেকে ছাপা ১৮১২ সালে। একটু খুঁজলেই পেয়ে যেতেন রেফারেন্স। আবারও বলি, একটু পড়ার অভ্যাস করুন।
আমি তো নাটক সিনেমায় বিদ্যাসাগরের কথা শুনিনি, তার লিখা পড়েই তার উপর আমার আস্থা। আপনিও পড়ুন। সুন্দর জীবন গড়ুন।
বলতে পারলামনা "নিসছয়" এর জোরালো কারন আছে কিনা। নিসছয় কথাটার মানে জানিনা। আমারই সীমাবদ্ধতা হবে।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি ত আসলেই ঘাড় তেড়া লোক । আপনি খালি যুক্তি বা মুল আলোচনা এড়িয়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়া খোঁচা দেন। বিদ্যাসাগর সমাজ সংস্কারক হিসাবে জত পরিচিত ইতিহাসবিদ হিসাবে তত নন। এটা আপনি মানেন না কেন?
আর বিদ্যাসাগর লিক্লেই সেতা ধ্রব হিসাবে মেনে নিতে হবে এটা কিরকম পড়াশুনার নমুনা বুজলাম না। ামি অন্য কোন বই থেকে সিরাজ এর চরিত্র সম্পরকে বিপরিত কিছু লিক্লেই আপনি মেনে নিবেন?
আপনি
আর আপনি পড়াশুনার খোঁচা দিসসেন কেন বারবার। আপনি তাহলে লিখে দিতেন ভিন্নমত দিতে হলে কি বই পরতে হবে, তালিকা দিলে আর ভাল হত।
আমি জানি না আপনি কত পড়াশুনা করসেন কিন্তু আপনার গরিমা দেখি বেশি। খালি পিট চাপড়ানই আশা করলে কি আর হয়?
জ্বী অন্য বই থেকে এরকম কিছু লিখুন। সেটাই পড়তে চাইছি।
..................................................................
#Banshibir.
আপনার এই জানার আকাঙ্ক্ষা ২৩ নম্বর কমেন্ট এ উল্লেখিত বই গুলা থেকে মিটবে আশা রাখি। আমি এই বইগুলা খুজছিলাম, গুগল এ পাইনি। অনেক আগে পড়া বিধায় ঠিক মনে নাই হুবহু কি পরসিলাম তবে সিরাজ কে দানব হিসাবে দেখান হয়নি এটা মনে আছে।
নাটক সিনেমা এর ব্যাপারে আপনি খোঁচা দিলেন, কিন্তু এই নাটক লিখার কারন ছিল বইকি।ইংরেজ রচিত বিভিন্ন ইতিহাস এবং তাদের ধামাধরা এই দেশী মোসাহেবরা তাদের গ্রন্থে বিভিন্ন লোকের চরিত্র হনন করেছিল বলেই অক্ষয়কুমার বা নিহাররঞ্জন রা ইতিহাসের নতুন পাঠ লিখিছিলেন, এই সমস্ত নাটক সেই ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে রচিত। আপনি এই ভিন্ন ইতিহাস না জানায় ধরে নিয়েছেন শুধু নাটক এই সিরাজকে সাধারণ মানুষ অথবা ভাল মানুষ হিসাবে দেখান হয়েছে। তবে নাটক আর ইতিহাস এক জিনিশ নয়। আর ইংরেজি বই এ কি সব সত্যি কথা থাকে?
আপনার এই সিরিজ পড়ে মনে হল আপনি বাহবা পাওয়ার জন্নে লিখেসেন আর আপনি মনে করছেন আপনি পাঠকদের খুব একটা নতুন জিনিশ শিখালেন, প্রচলিত মতের বিরোধিতা করে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন ইস্কুল কলেজের ছেলেদের মানায়। আপনি নিশ্চয় উপভোগ করেন যখন কেউ এর বিরোধিতা করে। আপনি ভাবেন শালারা কিছু জানে না। আমি নিশ্চিত এই ব্লগ লিখার সময় আপনি এই ভেবে উৎফুল্ল ছিলেন যে অনেক লোক এর বিরুধিতা করবে আর আপনি তাদের বলবেন কিছু পড়ালেখা করেন। কি মজা।
বেক্তিগতভাবে সিরাজ কে নিয়া আমার কোন ভাল ধারণা নেই। কিন্তু ইংরেজ করমচারি এবং দেশী মোসাহেবরা তাকে যেভাবে দানব হিসাবে চিহ্নিত করেছে সেটা ঠিক বিশ্বাসযোগ্য নয়। এইদলে বিদ্যাসাগর এর মত লোক ও আছে জেনে অবাক হয়েছিলাম বলেই আমি মন্তব্য করেছিলাম।অন্ধকুপ হত্যা এর গল্প যে মিথ্যা তা পরবর্তীতে অনেক ইংরেজ ইতিহাসবিদ স্বীকার করেছেন।
ভাল কথা, আপনি কি আমাকে বিদ্যাসাগর এর বইটা দিতে পারবেন?
টাইপও নিয়া আপনার উচ্চ মানের রসিকতা র আর দরকার নেই।মডারেশন প্রকাশ না করলেই পারে।
মনডা খারাপ ভাইডি।
ইতিহাসের কানা কঞ্চি চিইপ্যা আপ্নে যে মধু আনতাছেন তাঁর তুলনা নাই।
কত অজানারে জানতেছি দিন দিন। লেখায় (গুড়)
ধইন্যবাদ। আপনের লিখা বন ক্যান?
..................................................................
#Banshibir.
আরে দ্বিতীয় পর্ব চলে আসছে। পড়ি আগে।
জলদি পড়েন। মেলা লুক ক্ষেপাই দিসি অলরেডি
..................................................................
#Banshibir.
@পীরসাব-আমার মনে হয় না এখানে কেউ সিরাজ লাভার বা ঐজাতিয় কিছু বলেছে। উপরে হাসান বা আনন্দ যা বলেছে তাতে তো কাউকে সিরাজ লাভার মনে হয় নি। আপনি তো অনুবাদের মাঝে নিজের মতামত ঢুকিয়ে দিচ্ছেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হল।
আর সিরাজ সম্পর্কে সবার বা বেশিরভাগের ভাল ধারণা এটা আপনার হল কি করে??
আমি কিন্তু আপনার লিখার ভক্ত। কিন্তু আপনি যেভাবে উগ্রতার সাথে উত্তর দিচ্ছেন আর বার বার বলছেন একটু পড়াশোনা করুন। এইটা আসলে দৃষ্টিকটু।
ক্ষমা করবেন অনেকটা বলে ফেলেছি।
আমি চাই আপনার লেখনী জারি থাকুক। আমাদের চিন্তার দোর আরো খুলুক আপনার অনুবাদের মাধ্যমে।
ভাল থাকবেন
ধন্যবাদ
দুঃখিত। আপনার কথা সম্ভবতঃ ঠিক। এই সিরিজে আমি চেয়েছিলাম ইংরেজ সায়েবের দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি বিদ্যাসাগরের দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে কারন আমার নিজেরও মত সিরাজ একটা মহামূর্খ। কিন্তু সেটা খোলাসা করে বলা দরকার ছিল।
আমার প্রতি অযাচিত প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। আমি পুরান বই তর্জমা করে যেতে চেয়েছিলাম, তখন আমার প্রতি একপেশে হবার অভিযোগ ওঠে। এই সিরিজটি লিখার সময় নিশ্চিত জানতাম লোকে গালমন্দ করবে, তাই বিদ্যাসাগরের উক্তি দিয়ে বুঝাতে চেয়েছিলাম যে তার মত মণীষী কি লিখে গেছেন সিরাজ সম্বন্ধে। বিদ্যাসাগর ইংরেজভক্ত নয়, তাই লিখা ব্যাকআপ পাবে ভেবেছিলাম। কিন্তু ঠিকমত গুছিয়ে লিখতে পারিনি দেখে এই অবস্থা। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকব। লিখালিখি কমিয়ে আনব দেখি। অযথা অনুবাদ দিয়ে লাভ নাই, গবেষনা করে লিখা উচিৎ। নইলে লোকে ভাবে ব্রেইন ওয়াশ করছি হাহা।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি এই মন্তব্য আগে দিলে এত কথা বলা লাগত না। মনে হচ্ছে মাটির দুনিয়ায় নেমে এসেছেন আকাশ ছেড়ে ।
শুধু অনুবাদ দিয়া আসলেই কাম কি? লোকজন ইংরেজি পড়তে পারে, আপনার মত না পারলেও। সেক্ষেত্রে বই এর লিঙ্ক দেন, সে ভাল। আপনি গবেষণা করুন।
আর গবেষণা করলে দুই পক্ষের মন্তব্য দিতে হবে আর আপনি কেন আপনার পক্ষের যুক্তি মেনে নিছেন তার কারণ ও দেখাতে হবে। যদি অন্য পক্ষের কিছু লিখা না থাকে তাদের কি যুক্তি হতে পারে তা আপনাকেই বলতে হবে এবং তা খণ্ডন করতে হবে। অবশ্য আপনার মত পড়াশুনা ওয়ালা লোক এটা জানেন না বলে মনে হয় না।
আপনি আমার মনের কথা বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।
দুঃখিত ৪১ নম্বর কমেন্ট সাই দ এর জন্য।
পুরোটা পড়লাম। বই ঘেঁটে অতো ইতিহাস পড়ার ধৈর্য নেই, বরং আপনার লেখা পড়লে মনে হয়না ইতিহাস পড়ছি, বেশ গল্পের মতো পড়ে ফেলা যায়। সিরাজ আমাদের লোকাল হিরো, তাকে নিয়ে অন্তত তিনটা বিখ্যাত বাংলা নাটক লেখা হয়েছে। পাঠ্য হিসেবে সেগুলা আমরা পড়েছি। সিরাজ, মীরজাফর, ঘসেটি বেগমের চরিত্র বিশ্লেষণ করেছি। মীরজাফর আমাদের কাছে বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিশব্দ। সিরাজ আমাদের ট্র্যাজেডি নায়ক। তাই হুট করে সিরাজকে ফটকা, লুইস বললে অনেকের "সিরাজানুভূতি" তে আঘাত লাগতে পারে। আমি ইতিহাস বিশেষজ্ঞ না, আমার কাছে আপনার এই লেখার স্টাইলটা দারুণ লাগতো, লাগে এবং ভবিষ্যতেও লাগবে।
দুনিয়ার কোন কিছুই মনে হয়না পরিপূর্ণ ভাল বা পরিপূর্ণ খারাপ (পাকিস্তান ছাড়া)। ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করেছিলো বলে সিরাজকে আমাদের নায়ক বানানোর প্রয়োজন। যুদ্ধ যে কেবলই ভালোর সাথে মন্দের হয়না বরং দুনিয়ার বেশীরভাগ যুদ্ধই হয় মন্দের সাথে অতি মন্দের এটা আমার চেয়ে ইতিহাস বিশেষজ্ঞদের বেশী জানার কথা। ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন হিরোদের সম্পর্কে ভালো ভালো কথা শুনে শুনে বড় হয়েছি, আপনার কাছ থেকে না হয় মন্দ কথা গুলাই শুনলাম। আমার কমন সেন্স বলে, দুনিয়াতে আসলে তেমন কোন হিরো নেই। আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি পরের পর্বের জন্য।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
মানুষ বড্ড বিরক্ত করে উদাস ভাই। লিখার উৎসাহ হারিয়ে ফেলি মাঝে মাঝে। সিরাজটা ঠান্ডা মাথায় লিখব। এরপরে আবার উচ্ছলা আপুর ভাষায় পোংটা অনুবাদ ইশটাট।
..................................................................
#Banshibir.
কমন সেন্সের বাইরে দুইদুইখান হিরু আছে আমাদের। এক আমাদের শাহাদাত লাব্লি, আর দুই নাম্বার সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু ওরফে মজনীকান্ত।
সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু ওরফে মজনীকান্ত কিন্তু বিয়াফক বিনুদুন।
মেজাজ বিলা থাকলে যে কেউ উনার লেখা পড়তে পারেন; হাসতে হাসতে হার্টফেলের সম্ভাবনা আছে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আমি তো আগে পড়ি নাই। এইমাত্র কিছু লেখা পরলাম। এতো রত্ন ভান্ডারের সন্ধান দিলেন গো
উনার জীবন সে এক বিরাট ইতিহাস।
পারলে ঐরাম এক পিস জীবনী লেখান আপনার ম্যাটল্যাবরে দিয়ে। হুঁহুঁ!
সিরিজ চলুক। কারো সিরাজানুভূতিতে আঘাত লাগলে তিনিও সূত্রসমর্থিত পাল্টা ইতিহাস যোগ করতে পারেন। পোস্টলেখকের ওপর রাগারাগি করে তো লাভ নাই। সিরাজুদ্দৌলা এরশাদ বা তারেক জিয়ার চেয়ে ভালো কিছু ছিলো, এমন ভাবার কোনো কারণ তো নাই।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
সিরিজ চলবে হিমু ভাই। তবে বই চলবে না। হিল এর বই এর পাশাপাশি আরও দুচারটে বই নিয়ে আলোচনা চলবে। আমি সাধারনত গুগল বুকস আর আর্কাইভ ডট অর্গ এর বই নামিয়ে লিখি, এই সিরিজে সেটা তো থাকবেই সাথে দেব একই বিষয়ে অন্যান্য কপিরাইটেড বইয়ের সিলেক্টেড কি পয়েন্টস। স্পেশাল নবাবের স্পেশাল খাতির করা যাক।
..................................................................
#Banshibir.
আমার কথাও সেটা। যারা বলছেন, সিরাজের সমস্যা ছিলনা বা তার খারাপ দিকের চেয়ে ভালো দিকগুলা বেশী হাইলাইট করে দেখানো দরকার তারা প্লিজ সেটা নিয়ে লিখুন। পারলে আপনি লিখে দেখান টাইপের কথা বলছি না কিন্তু, আসলেই জানতে চাইছি। আওরঙ্গজেব, শাজাহান, সিরাজ এরা কেউই নিশ্চয়ই পরিপূর্ণ বদ লোক ছিলেন না। তবে আমার ব্যক্তিগত ধারণা এদের মন্দের দিকগুলা ভালোদিকের চেয়ে অনেক বেশী ছিল। ইতিহাস, আমাদের পাঠ্যবই জোর করে এদের হিরো বানিয়েছে। আমরা তাজমহল দেখে আহা উহু করি সেটার নেপথ্যের কান্না দেখেও দেখি না, মহম্মদি বেগ যখন নাটকে সিরাজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয় সেটা দেখে অশ্রু বর্ষণ করি, কিন্তু সিরাজ যে কত নিরীহ লোককে বিনাবিচারে হত্যা করেছে সেটা দেখতে চাই না। ব্যাক্তিগত ভাবে আমার কাছে কখনই মনে হয়নি, সত্যপীর ইংরেজদের লেখা অনুবাদ করে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বা বিদ্যাসাগরের কথা কোন ফাঁকে ঢুকিয়ে ইতিহাস নষ্ট করছে। যদি কারো মনে হয়, সেটা নিয়ে বিস্তারিত লিখুন। আগ্রহ নিয়ে সেটাও পড়বো।
আমার ধারণা অনেকেই আনোয়ার হোসেনের কথা কল্পনা করে চেতে যাচ্ছে । সত্যপীর একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে নিয়েন যে আনোয়ার হোসেন একজন অত্যন্ত ভালুলুক।
হ আনোয়ার হোসেন লুক খুবই ভালু। এই দিলাম ডিস্ক্লেইমার।
..................................................................
#Banshibir.
এহহে "বাংলা,বিহার,উড়িষ্যার মহানননন !!!! অধিপতিকে নিয়ে এহেন ছিনিমিনি !!!! এমন পচান দিলে, কে তাকে আশা দেবে!! কে তাকে ভরসা দিবে !!"
নিজস্ব মতামত দেয়ার সময় আলাদাভাবে কোট করে দিলে পারেন, তাহলে অযথা তর্ক এড়ানো সম্ভব হবে। আর একটা কাজও করতে পারেন, যেসব বিষয়ে আপনি মতামত দিতে চাচ্ছেন, অনুবাদের পড়ে সেগুলো আলাদাভাবে জুড়ে দিলে, অনুবাদকেরও একটা দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া গেলো, তাতে হয়তো মজাই হবে, খারাপ না, ভেবে দেখতে পারেন।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ঠিক সেটাই করব, আপ্নে মনের কথা ধরলেন ক্যামনে? তৃতীয় পর্ব থেকে আসছে অনুবাদকের টিপ্পনি। সময় নিয়ে লিখব। পোস্টের সাইজ স্বাভাবিকের স্বিগুণ হবে সম্ভবত।
সিরাজ সিরিজে পাব্লিক খাটাখাটনি করিয়েই ছাড়ল। সিরিজ শেষ হইলে বাঁচি।
..................................................................
#Banshibir.
সকল ফিচেল লোক একই চিন্তা করে !!! (আমি কিন্তু মহা বদ লোক)
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি কোন রাজা/নবাব/সম্রাটের ভক্ত নই। সে হোক দুনিয়া কাঁপানো আলেকজান্ডার আর হতভাগা বাহাদুর শাহ। মহান সম্রাট/ মহান জমিদার এইগুলো ভ্রান্ত ধারণা। মানুষের রক্তগঙ্গা না বইয়ে কেউ বিশ্ববিজয়ী বীর হয় না, আর গরীব প্রজাদের রক্ত না চুষে কেউ সমৃদ্ধশালী হয় না।
সিরাজের ব্যাপারেও তাই। উত্তরাধিকার সূত্রে গরীব মানুষকে নিপীড়ন করার ( অন্তত গরীব মানুষকে উচ্চহারে করের আওতায় ফেলাটা চিন্তা করলেও) ক্ষমতা গ্রহণ করা কারো জন্য অশ্রু ফেলার তো কোন কারণ নেই। তাদের ট্র্যাজেডিগুলো খুব বেশি হলে করুণ গল্প লেখার উপকরণ হতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
আপনার সিরিজগুলো নিয়ে একটা পর্যবেক্ষণ বলি, আপনি একমত নাও হতে পারেন। যদিও আপনি বলছেন, আপনি শুধুমাত্র অনুবাদই করছেন। কিন্তু আপনার লেখার চটুল ভাবের (মন্দ অর্থে বলছিনা, আমি নিজেও চটুল ধরনের লেখাই লিখি) জন্য ইতিহাসের বক্তব্যের সাথে আপনার একাত্মতা সহজে ধরা পড়ছে। আর এই জন্যই হয়ত প্রায় লেখায় আপনাকে আপনার অনুবাদকৃত বক্তব্যের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে। পাঠক হিসেবে একটা অযাচিত পরামর্শ দিতে চাই, আপনার লেখা এবং মন্তব্য পড়ে আমার মনে হচ্ছে, আপনি একই ইতিহাস সম্পর্কে বেশ কিছু উৎস থেকেই পড়াশোনা করেন। তাই একজনের অনুবাদ না দিয়ে সবার লেখা মিলিয়ে আপনার নিজস্ব মতামত দিলেই মনে হয় ভালো হয়। তবে লেখার ভঙ্গি পালটাবেন না কোন ভাবেই, বেশি সিরিয়াস ভাবে লিখলে ইতিহাস পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলব সহজেই।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
নাহ। সাগর সেঁচার কাম। সম্ভব না। সিরাজের পরের পর্বগুলাতে আরো কিছু লিখকের মতামত তুলে ধরব। দ্যাটস ইট।
এরপরের সিরিজগুলায় আবার এক লিখকের অনুবাদ। উদাস ভাইয়ের মতন গবেষণা পুষায় না।
..................................................................
#Banshibir.
বিদ্যাসাগর এর বইটি পড়লাম । সেখানে উনি উনার মতের কোন উৎস উল্লেখ করেন নি। তবে বিদ্যার সাগরদের উৎস দরকার পড়েনা বলে মনে হয় ।বিদ্যাসাগর লিখেছেন সেটাই যথেষ্ট ।
আর ভুল ভাল অনুবাদ করে সত্যপীর সাহেব বাহবা নিচ্ছেন আর লোকজন কে পড়াশুনার উপদেশ দিয়ে যাচ্ছেন ।
হিল লিখেচেন
“To this promise, Siraj-uddaula is said to have rigidly adhered, but it was too late-his mind was already affected.
It is curious to remember that the oath on the Koran, which seems to have been the sole bond Siraj- uddaulah respected............”
সত্যপীর এর অনুবাদ দেখুন ঃ
অনেক নতুন তথ্য জানলাম । ধন্যবাদ ।
নতুন মন্তব্য করুন