ঢাকা শহরে হোটেলগুলি একটি অলিখিত রুটিন মাফিক চলে। ভোরবেলা পাঁচটার দিকে সবাই হঠাত ঝাঁপ খুলে রুটি বেলতে বসে যায়। হালকা সবজি রান্না চলে পিছনে, সামনে বিশাল ব্যাসের ফ্ল্যাট কড়াইতে পাশাপাশি ভাজা হয় পরোটা আর ডিম। বেশুমার পরোটা ভাজি ডিম সবজি আগের রাতের মাংসের তরকারি উড়ে যায় মিনিটে মিনিটে। দশটা বাজে। এইবার সকলে শুরু করে গণ সিঙ্গাড়া ভাজা। আচমকা দোকানের সামনে ঝুড়ি উপচে সঙ্গাড়া সমুচা হাজির হয়। রামপুরার আবুল হোটেল অথবা নীলক্ষেতের চিপা দোকান, সায়েদাবাদ অথবা মীরপুর যেখানেই থাকুন দুপুর এগারোটায় হোটেলে গেলেই দেখবেন ঝুড়িভর্তি সিঙ্গাড়া ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। এই সিঙ্গাড়ারা সকাল দশটার আগে অনুপস্থিত। এদের জন্ম দশটায় মৃত্যু একটায়। স্বল্পস্থায়ী একটি অর্থপূর্ণ জীবন।
বারোটা একটার দিকে লাঞ্চ টাইম। ভাত মাছ মাংস তেহারি বিরানি মোরগ পুলাউ। অর্ডার করুন যা খুশি। একটি কুইজ। মনে করুন আপনি অর্ডার দিয়েছেন সাদা ভাত, ডাল, মাছ এবং বরবটি ভাজি। কইঞ্চাইন দেখি কোনটা সবার আগে আসবে? কোনটাই না, সবার আগে আসবে পানি। ঢাকা শহরে হোটেলবেয়ারাদের প্রথম কাজ দুই হাতে চার থেকে ছয়টি কাঁচের গ্লাসে কলের কাঁচা পানি নিয়ে টেবিলে রেখে আসা। নীলক্ষেত অথবা উত্তরা, ধোলাইপাড় অথবা ধানমন্ডি তেরো নাম্বার। হোটেলে বসেছেন কি আপনার পানি ঠ্যাক করে টেবিলে রেখে যাবেই বেয়ারা। সেই গ্লাসও ইন্টারন্যাশনাল। স্বাভাবিকের চেয়ে মোটা কাঁচের গ্লাস, সবুজাভ কালার। ভেতরে দুয়েকটি বুদবুদ বন্দী।
ঠিক আছে। লাঞ্চ শেষ। দুপুর তিনটার দিকে আরম্ভ হবে সম্মিলিত পুরিভাজা। পুরির ভেতর অনেক কিছুই থাকতে পারে, আলু অথবা ডাল। সাইজেও বেশকম হতে পারে, কেউ হয়তো এক ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পুরি এক টাকা পিসে বেচছে কেউ হয়তো দুই ইঞ্চি ব্যাসার্ধ দুই টাকা দামে। ব্যাসার্ধ আর দাম পুরোপুরি সমানুপাতিক না হলেও কিছুটা লজিক তারা মেনে চলে। আজিমপুরের বিলকিস হোটেলের পুরি দুইটাকা পিস আর ঝিকাতলার মায়ের দোয়া হোটেলের পুরি পাঁচ টাকা পিস এই ঘটনার সম্ভাব্য দুটি ব্যাখ্যা থাকতে পারে। ঝিকাতলার পুরি হয় সাইজে বড়, অথবা তার ভিতর শুধু আলু বা ডাল নেই মাংসও আছে। ঢাকার হোটেল মালিকেরা অতি সৎ অথবা কাস্টমারেরা অতি চালু বিলাই, যে কারনেই হোক পুরো শহরের হোটেলে একটি শৃঙ্খলা বিরাজমান। ছোট পুরি বড় দামে ঢাকায় চলবে না।
আচ্ছা সাড়ে চারটে বেজে গেছে হ্যাঁ? কাবাব টাইম। ভোরবেলার আড়াই গজি ব্যাসের ফ্ল্যাট কড়াইটার কথা স্মরণ আছে? ঐ যে পরোটা আর ডিমভাজি চলছিল? ঐখানে এবার ভাজা হবে ছোট ছোট কাবাব। সাথে মোগলাই। মানুষ কইয়ের তেলে কই ভাজে এরা ডিমের তেলে কাবাব সিঙ্গাড়া মোগলাই সবই ভাজে। ধোয়াধুয়ির সময় নাই মানেও নাই। ধুয়ে সেই তো তেলই ঢালব তাই না? তেল ধুয়ে শরবৎ ঢাললে অন্য কথা ছিল। ভাজা হয় নানাবিধ কাবাব। সুতরাং সকাল দশটায় হোটেলে গেলে যেরকম সিঙ্গাড়ার সমারোহে আপনার দিল বেচাইন হয়েছিল সেরকম বিকেলে আপনি অর্ডার দিবেন মোগলাই আর কাবাব। সাথে সালাদ। যদি তাড়াহুড়ো থাকে অথবা তেমন ক্ষিধে না থাকে তবে চলুক পুরি। তেলেভাজা টমেটো কেচাপ দিয়ে খেতে ভারি মজা ক্যামন? তার চেয়েও মজা যদি আপনি টেবিলে বসে (সবুজাভ গ্লাসে পানি এলে পরে) অর্ডার করেন পুরি আর বলেন “সাথে ঝুল দিও”। ঝুল অর্থাৎ ঝোল। দুপুরে যে গরুর মাংস পাক হয়েছে তার ট্যালট্যালে ঝোল চাইলেই পাওয়া যায় বিকেলে। সম্পূর্ণ ফ্রী। ওইতে ডুবিয়ে খান দুইটি পুরি। টেস্টের পরীক্ষায় হেরে কেচাপ লজ্জায় মারা যাবে। ইট উইল বি অ্যাশেমড অ্যান্ড ডাই।
আমি অল্পবুদ্ধির মানুষ, ছোটখাট বিষয় আমাকে আটকে রাখে। ঢাকা শহরের সমুদয় প্রাইভেট হোটেলের এই শৃঙ্খলা নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি। কেন দশটায় সিঙ্গাড়ার উৎসব? বিকেল মানেই কাবাব কেন? পুরি কেন বিকেলে শুরু সন্ধ্যায় নয়? কে জানে। আরো আছে, রহস্যের এই শেষ নয়। হালিম কেন রাতের খাবার? দিনে দুপুরে হালিম পাওয়া খুবই শক্ত ব্যাপার, হালিমের দোকান খুলে পাঁচটায় কি আরো পরে। ধানমন্ডিতে মামা হালিম নামটি তুমুল জনপ্রিয়, তাদের হালিম তৃতীয় শ্রেণীর হলেও নামটি ব্যাপক পাবলিসিটি পেয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তাই দেখা যায় নানা হালিম, স্পিশাল মামা হালিম, নিউ মামা হালিম। চাচা হালিম দেখিনাই। ভেবে দেখতে গেলে বাবার দিকের কাউকেই হালিমে দেখিনাই। বাবা হালিম চাচা হালিম বলে কিছু নাই। মামারাই হালিম বানিয়ে থাকেন। রামপুরায় রাস্তার পাশের একটি টং হালিমের দোকান ছিল, তার ঝাঁপ সবসময়ই বন্ধ। সেই দোকানের সাইনবোর্ডে লিখা ছিল, “এইখানে উরা দুরা হালিম পাওয়া যায়।” তার নিচেই ছোট করে লিখা “রাত বারোটার পরে”। এটিও আমার মাথায় ঘুরপাক খেত। কেমন সেই উরা দুরা হালিম? রাত বারোটার আগেই বা নয় কেন? রাত বারোটায় পাওয়া যায় দেখেই কি উরা দুরা নাকি স্বাদে উরা দুরা? বড় হয়ে ক্লাসে ব্যাপক জ্ঞানী প্রফেসর যখন নানাবিধ কর্পোরেশনের ব্র্যান্ডিং স্ট্র্যাটেজি ইত্যাদি নিয়ে বিতং পড়াচ্ছিলেন আমার মনে হয়েছিল ঐ উরা দুরা হালিম বিক্রেতাটি এইসব থানইট বইয়ের কিছুই না বুঝে কি অসম্ভব ধারালো একটি ব্র্যান্ডনেম তার ব্যবসায় ব্যবহার করেছিল। আমি মার্কেটিং এর বইয়ের লিখক হলে অবশ্যই এই উদাহরনটি দিতাম। শুধুমাত্র একটি বন্ধ দোকানের সাইনবোর্ড দেখিয়ে লোকের মনে পণ্যের আগ্রহ জাগানো সহজ কথা নয়।
যাক বাদ দেন। ঢাকার আরেক আকর্ষন ঝালমুড়ি। দোকানে ঝালমুড়ি বিক্রি হয়না, অইটে ফেরিওলা প্রডাক্ট। আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন ঝালমুড়িওলা আমার কাছে সায়েন্টিস্টের মর্যাদাই পেতেন। তার গায়ে লাল সালু দিয়ে প্যাঁচানো বেল্ট, তাতে কতরকম মশলা। আর থাকত দুটি প্লাস্টিকের বোতল, তেল এবং কাসুন্দি। বোতল কাস্টমাইজ করা, ক্যাপে ছোট্ট একটি ফুটো তা দিয়ে চুঁইয়ে তেল পড়ত। ঠিক যতটা দরকার ততটাই। তার হাতে দুইটা স্টিলের কৌটা, অইটে একটার মুখে আরেকটা লাগিয়ে ঝাঁকাঝাঁকি আমি মুগ্ধ বিষ্ময়ে দেখতাম। ভাবছেন সত্যপীর কতনা বলদ, এটুকুতেই তার হাত্তালি। ঠিক আছে বেট হয়ে যাক। আপনি ঐ একই মশলা তেল চানাচুর মুড়ি নিয়ে ঝালমুড়ি বানিয়ে দেখুন, ঝালমুড়িওলার মতন হবে না। ঐ টেস্টের জন্য ঠিক ওইরকম স্টিলের দুটি কৌটা চাই, ঠিক ওইরকম কাস্টমাইজ বোতলের পরিমানমত চুঁইয়ে পড়া তেল চাই। জিপলকের বাটিতে কাঁটাচামচ দিয়ে ঘুটা দিলে ঐ স্বাদ বেরুবে না।
আরো একটি অসম্ভব চমৎকার স্ট্রিটফুড চটপটি। এবং ফুচকা। ফুচকা জিনিষটি যে আবিষ্কার করেছে তার জীবন আল্লা সুখে ভরে দিক। তিনি মারা গিয়ে থাকলে চটপটির নদী এবং ফুচকার পর্বতের জান্নাতে তার ঠাঁই হোক। সাথে থাকুক তেঁতুলের টকের ঝর্ণা। ঢাকায় ফুচকার একটি ভালো লোকেশন ইস্টার্ন প্লাজার দুই তলা। নানাবিধ শাড়ি শায়া সেমিজের দোকান পার হয়ে শেষ মাথায় তিনটি দোকান। একই টেস্ট মোটামুটি তাই যেকোন একটিতে বসলেই হল। এছাড়া আমাদের ফুলার রোডের পাড়ার ঠিক বাইরে বিকেলে আসত চটপটিওলা। এইযে দেখেন আরেকটি সময়ানুবর্তী খাবার, চটপটি। সকাল দশটায় চটপটির ভেন্ডর খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। চটপটি বিকেলেই খেতে হবে। সন্ধ্যের পর চটপটির ভ্রাম্যমান দোকানগুলোয় হ্যাজাক বাতি জ্বলতো পাশের ফুটপাথে আমরা বসে পড়তাম। মাঠে ফুটবল অথবা ক্রিকেট খেলা হত সন্ধ্যেতক, মাগরিবের আযানে সেই খেলার ইন্নালিল্লা। তখন বাসায় যাবার আগে বসে আড্ডা মারতাম আর অর্ডার করা হত ফুচকা চটপটি।
উত্তর আমেরিকায় পাব এবং বারে নানান জাঙ্ক ফুড পাওয়া যায়। একটি তুমুল জনপ্রিয় খাবার চিকেন উইংস। বাফেলো, হানি গার্লিক, হট মাইল্ড এক্সট্রা হট সুইসাইড ইত্যাদি নানান সসে মাখানো মুর্গীর পাখনা। খাবার দাবার নিয়ে সাদাদের কান্ড দেখলে মেজাজ খারাপ হয়। মুর্গীর পাখনা সসে ডুবাই ভাজসস তো অইসে কি? সেই মুর্গী আমাদের বংশালের কাবাব হাউজের মাংসের মতন সিরকায় জিরায় রাখসস সারারাত? আর ভেজিটেবল নিয়া কতনা পাকনামি। একটা সিদ্ধ গাজর (পাতাসুদ্ধা), দুইটা ব্রকলি ইত্যাদি মাংস ভাজার গ্রিলে একটু গরম করে ওইটাই সাইড ডিশ। পট্যাটো ওয়েজেস অর্থাৎ আলুভাজা। বেবাক বিস্বাদ। পুরান ঢাকায় এই খাবার নিয়া দোকান দিলে এদের লুঙ্গী খুলে জমা রাখত এলাকার লোক।
তবে কোন কারনে সাদা পাব্লিক একটা খাবার ভারি চমৎকার রাঁধে। ফিশ অ্যান্ড চিপস। আমি যখন প্রথম প্রথম খেতাম ভাবতাম আমার চিপস কই ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ দিল ক্যা? আমি ঢাকায় বড় হওয়া মানুষ আমি চিপস শুনলে ভাবি প্যাকেটের চিপস। যাই হোক, খাবারটি সেরকম। ডিপ ফ্রাইড মাছ, সাথে ফ্রাইজ আর টক টার্টার সস। হ্যালিফ্যাক্সে আমাদের কিছু বন্ধুদের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে শহরের কিছুদূরে লুনেনবার্গ বলে একটি শহরে ফিশ অ্যান্ড চিপস খেয়েছিলাম, স্বাদ অতুলনীয়। পানির পাশেই শহর, মাছটি ছমাস আগে ধরা ফ্রোজেন মাছ নয় কয় ঘন্টা আগেও মাছের জান ছিল। অসাধারন ফ্রেশ খাবার।
বাহামাস যাবার পর মন কেড়ে নেয় কঙ্ক বলে একটি খাবার। ডিপ ফ্রাই করা শামুক গুগলি টাইপ জিনিষ, ভেজে সালাদ করে কতভাবে যে এরা খায়। প্রিয় পাঠক নাক সিঁটকালেন শামুক বললাম দেখে? একবার খেয়ে দেখেন বুঝবেন কি অসাধারন স্বাদ। রোজার সময় বেগুনী বড়া আলুর চপ খাবার ধুম পড়ে যায় ঢাকায়, ডিপ ফ্রাইড কঙ্ক কি ফিশ অ্যান্ড চিপস খেতে ঢাকার মানুষের সেই স্মৃতি মনে পড়বেই। বাহামাসে যে রেস্টুরেন্টে কঙ্ক খেয়েছিলাম তার নাম টুইন ব্রাদার্স রেস্টুরেন্ট। দোকানের সামনে বিরাট সাইনবোর্ডে দুই ভাই টুপি পরে দাঁত ভেটকিয়ে হাসছে। নামটি মনকাড়া, কিন্তু আমাদের উরা দুরা হালিমের মতন অসাধারন নয়। বিদেশে আসলে বুঝা যায় বাংলাদেশের সাধারন মানুষ কত অসাধারন রসবোধসম্পন্ন। মনে আছে একবার মীরপুর রোডে পাউরুটিভর্তি তিন চাকার ভ্যান টানছিল একটি ছোট কিশোর। তিনটে চাকার একটি একটু তোবড়ানো, মনে হয় ভ্যানটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। সেই ভ্যানের পিছনে বড় করে কাঁচা হাতে লিখা “ফোর হুইল ড্রাইভ”।
একেই বলে খাঁটি সেন্স অফ হিউমার।
মন্তব্য
তারেকাণুরে মেরে ফেললেই ভাবছিলাম শত্রু শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু না। তারেকাণুর রক্তের ফোঁটা থেকে নতুন নতুন শত্রু গজাইতেছে। একদম মাইরা গাইড়া হালামু মিয়া।
বালক বেলায় শুঞ্ছিলাম একটা কলাগাছ কর্তন করিলে ৩৩ টা বাচ্চা গলাগাছ গজায়!!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তেনারা কোন এ্যাঙ্গেল থেইকা হিম্ভাইয়ের শত্রু হইছে মালুম হওয়া দরকার।
পীরবাবা আর তারকানু ভাই কি উনার চাইতে বেশি খাইতে পারে?
_____________________
Give Her Freedom!
মাইরালান! পোস্ট লিখতে হয় আমি লিখমু!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তারেকাণু সকালবেলা উত্তর মেরুতে কফি খায় আর বিকালবেলা জার্মানীর দূর্গের দেওয়ালে ঠেস দিয়া হাওয়া খায়। আবার অইগুলার ছবিও পুস্ট করে। তারে মাইরা ফেলা অবশ্যই জায়েজ। কিন্তু আমি একখান সিঙ্গাড়া নিয়া পোস্ট দিসি দেইখা আমারেও সেই লেভেল এর ক্রিমিনাল ঠাওরাইলেন হিম্ভাই? জালিম দুনিয়া।
..................................................................
#Banshibir.
আমারে লগে নিয়েন। সাত সক্কাল বেলা এইসব খাবারের কথা মনে করায় দিলো! কতদিন পুরি, সিঙ্গারা চোখেও দেখিনা :(।
(গুড়)
কেউ কিছু বুলছে নাকি ~! লিয়ে লিব সব বুটাকে !
facebook
পুড়াইয়া ফেলান।
চমৎকার।
ভালো আছেন নৈষাদদা?
..................................................................
#Banshibir.
দারুন লিখেছেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খাবার ঝালমুড়ি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে 'ঝালমুড়ি নানা' ছিল আমি তার নিয়মিত খদ্দের ছিলাম। আর মিড-টার্ম টেস্ট বা কুইজ খারাপ হয়েছে, 'নানা, অনেক অনেক বেশি করে ঝাল দিয়ে মুড়ি দেন, মন খারাপ'
ঢাকায় আসার পরেই আমার টাইফয়েড হল, ডাক্তার বলল, বাইরের খাবার কী খেয়েছেন, আমি কাতর কন্ঠে বললাম, "ঝালমুড়ি" । এক মাস পরে রোগমুক্তি ঘটলে নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করেছি, হয়নি। ঝালমুড়ি ছাড়া জীবন কল্পনাও করতে পারিনা। তবে, আমি এখন ঢাকা শহরের ঝালমুড়ি মামাদের মত মজার ঝালমুড়ি বানাতে পারি। (পরীক্ষা প্রার্থনীয় ) নিজে নিজের গিনিপিগ হয়ে অবশেষে সফল হয়েছি। যাদের খাইয়েছি, তারাও সনদপত্র দিয়েছে। বেইলী রোডে একজন আছেন, মজার ঝালমুড়ি করে। তবে ঢাকা বিস্ববিদ্যালয়ের ঝালমুড়ি মামারা বস। পাটুরিয়া দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের ঝালমুড়িটা আগে অনেক মজার ছিল, এখন বেশি মজা লাগে না।
আর মোগলাই পরোটার মধ্যে যে সুজি দেয় এইটা ঢাকায় এসে দেখেছি। "ঝুল" দিয়ে পুরি খাওয়াটাও এই শহরে এসে শিখেছি। আসলেই, "কেচাপ মরে যাবে, মনের দুঃখে"।
মিরপুরে ইদানিং আর একটা মজার খাবার আছে "কালাই রুটি উইথ বেগুল পোড়া" চাপাই নবাবগঞ্জের এই খাবারটার সাথে প্রথম পরিচয়েই আমি মুগ্ধ। আমার একটা প্লান ও আছে, "চাপাই-কালাই" নামে একটা দোকান দিব, যেখানে শুধুই কালাইরুটি থাকবে। ঝাল ভর্তা আর বেগুন পোড়া দিয়ে খেতে হবে ঝালমুড়ি ও থাকবে।
অফিসে কাজের চাপে মাঝে মাঝে সেই দোকানের কথা ভাবি। মধ্যাহ্ন বিরতিতে আপনার লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগল।
আমার সব প্রিয় খাবারগুলোকে নিয়ে আপনি লিখেছেন। ধন্যবাদ।
চাপাই কালাই দোকানের গিফট ভাউচার দিতে হবে কয়া রাখলাম। ঝাল ভর্তা আর বেগুন পোড়া, অতি চমেতকার। বিদেশে এসে দেখলাম মধ্যপ্রাচ্যের লোক আমার মতই বিরাট বেগুনখোর, তাদের বেগুন নিয়ে একটা ডিশ থাকেই। বেগুনের সমাদর করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের বদগুলিরে প্রায় ক্ষেমা করে দিসি।
ঝালমুড়ি নিয়ে আপনার দাবি ঘোরতর সন্দেহজনক। মানলাম না
আমার হাবিজাবি প্রতিটি লিখায় আপনার উৎসাহ জাগানিয়া উপস্থিতির জন্য থ্যাঙ্কু। সেই ইস্কুলে বাংলা দ্বিতীয় পত্রে বানিয়ে বানিয়ে রচনা লিখা ছাড়া কিছুই লিখিনি এই দুই মাস আগ পর্যন্ত। ভারি ভালো লাগে যখন দেখি মানুষ এসে আমার লিখা পড়ে। আবারও থ্যাঙ্কু।
..................................................................
#Banshibir.
ইশ! না মানলেই হলো? আমি কমপক্ষে ১৫ জনকে হাজির করতে পারবো আমার দাবির সমর্থনে। কারন আমি নিজেই উৎপাদক, নিজেই বাজারজাতকারক এবং নিজেই সবচেয়ে বড় ভোক্তা।
আপনি (আমার বিবেচনায়) ভালো লেখেন,তাই পড়ি; মন্তব্য করি। যেদিন অনুভব করব, আর ভালো লিখছেন না (সেদিন যেন না আসে) সেদিন হয়ত পড়ব না। আপনাকে বরং ধন্যবাদ দেই, সুন্দর লেখার জন্য। এটা একটা গুন। আমি নিজেতো বেগুন টাইপের মানুষ তাই গুনির কদর করি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এর ঝালমুড়ি নানা আর বেইলী রোড এর সেই বিখ্যাত ঝালমুড়িওয়ালা।।।।কত স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন ভাই
এই সব কথা কেন মনে করাইয়া দিলেন? এখন তো লুল ঝড়তাছে ।কি করি?
হাজার হইলেও এই বিনদেশেতো ফুচকা পামু না।।।।।।
টিস্যু পেপার দিয়া লুল মুছেন আগে । দেশে যাওয়ার পয়সা জমান। আমিও জমাইতেসি। দৈনিক দুই প্লেট ফুচকা যদি না খাইসি
..................................................................
#Banshibir.
মাঝ-সকালের কফিটাকে আরো মিঠে করে দিলেন জনাব।
জিয়ার আমলে ঢাকায় সন্ধ্য়ার মুখে ঠিক এক ঘন্টার জন্য় কারেন্ট চলে যেত।
সেই সময়টা ছিল এর বা ওর উঠানে অন্ধকারে মোড়ায় বসে আডডা অথবা ঐ পাড়াতো চাচি বা এই আপুর গান, অথবা পাড়াতো মামা'র চুটকি।
কারেন্ট চলে গেলেই কোথা থেকে যেন ছিপছিপে একজন মানুষ কাঁচ-লাগানো-হাতে-ঝোলানো-বাতি-জ্বআলানো অভিনব এক কালো টিনের বাক্স সাইকেলের পেছনে বয়ে নিয়ে বিক্রী করত। সাইকেলের বেলের ফাঁকে ফাঁকে ডাক দিত নাকি গলায় 'হওট পিয়ঁটিইইইস' বলে। তাকেই ডেকে এনে পালা করে এক এক পরিবার প্য়াটিস কিনে খাওয়াতো অন্য়্ সবাইকে। খুব বেশী দাম ছিলনা নিশ্চই। তবে আমাদের মত পোলাপানকে ক্বচিত পুরোটা প্য়াটিস দেয়া হত। আমরা পেতাম ভাগের প্য়াটিস।
সেই পাভলভ-এফেক্ট আমার ভেতরে পাকাপোক্ত হেয়ে গেছে। সন্ধার মুখে মাঝে মাঝেই মনে হয়, তপনদের পুকুর পাড়ে হাস্নুহেনা গাছের পাশে মোড়ায় বসে ভাপ ওঠা আধখানা হট প্য়াটিস খাই। সাথে বাবার কাছে অনেক চেয়েচিন্তে পাওয়া পিরিচে-ফেলে-ফু-দিয়ে-ঠান্ডা-করা এক চুমুক দুধ-চা।
এই মন্তব্যটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। কেমন যেন বন্ধ জানালা খুলে হাওয়া আসার অনুভূতি।
অসম্ভব সুন্দর মন্তব্য দুর্দান্তদা। ফিরিওলার হট প্যাটিসের স্বাদ আসলেও অন্যরকম, আর আমার আশ্চর্য লাগত যে এরা প্যাটিস গরম রাখে কিভাবে?
..................................................................
#Banshibir.
(গুড়)
যে ক'টা খাওয়ার ইমো আছে সবগুলিই দিয়ে দিলাম যান! একেবারে তালগাছ সহ।
আস্তা তালগাছ দিয়া কি করুম ভাই? দুইটা তাল পাইড়া দিতে পারলেন না?
..................................................................
#Banshibir.
বাদাম কই???
অতীত
দ্যাখসেন কারবার, কত কিছু খিলাইলাম এখন বাদাম নাই দেইখা একজনের মনে দুঃখ। আবার তিনটা দুঃখের ইমো দিসে। আইচ্ছা বাদাম দিমুনি পরে
..................................................................
#Banshibir.
ঝালমুড়ি আমার বেশ প্রিয় জিনিস। কিন্তু কাহিনি হৈলো, দেশের নানা জায়গার ঝালমুড়ি আমি খাইছি। সবজায়গাতেই ঝালমুড়ির ঠোঙা আমার হাতে আসার পর মুড়ি পোতানো হয়ে যায় কোনো কারণে। খেয়ে টেশ পাই না। মন খালি উশখুশ করে আমার স্কুলের পাশের পোস্ট অফিসের পাশে বড় বেতের মোড়ার মতো স্ট্যান্ডে বিরাট এক গামলা নিয়ে দাঁড়ানো সেই মধ্যবয়ষ্ক ভদ্রলোকের ঝাঁপি থেকে ঝালমুড়ি খেতে। কড়কড়ে মুড়ি আর মশলার স্বাদ। এখনো নাকে এসে লাগে সেই ঘ্রাণ।
আমাদের দেশে রাস্তার কোনায় কোনায় খাবারের ইন্তেজাম। কত্তোসব মজাদার খাবার। এই মরার দেশে নিজের দেশের এই একটা জিনিসই প্রতিনিয়ত, হাড্ডিতে হাড্ডিতে মিস করি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
_____________________
Give Her Freedom!
হ ফাউল পাব্লিক খাইতে শিখেনাই। হোটেল রেস্টুরেন্টে গেলে রাগ হয়, একই খাবার একই বিস্বাদ টেস্ট।
..................................................................
#Banshibir.
একদমই খাঁটি ব্লগরব্লগর।
এক্কাপ চা খেতে খেতে এই লেখার স্বাদ পুরোপুরি পাওয়া যাবে। আমি কিন্তু মাঝদুপুরে পড়লাম, তারপরেও ভালো লাগলো
হেঃ হেঃ হেঃ। অনেক ধন্যবাদ সুহান ভাই।
..................................................................
#Banshibir.
ডাকসুর পাশে যে চট্পটি মামা বসতো সেইখানে তো দিনভর চট্পটি আর ফুচকা পাওয়া যেত। আর তোমার লেখা পড়ে সেই সী ফুডের দোকানটার কথাও মনে পড়ে গেল। চরম চরম চরম মধুর সেই দিনগুলি কোথায় যে হারিয়ে গেছে
ডাকসুর চটপটি দিনভর ছিল নাকি? তবে আর্লি আসত মনে হয়। ঠিক খেয়াল নাই
..................................................................
#Banshibir.
আপনাকে পুরাই সত্যপীর-২ বলা যায় ! বাইরের খাবার টানে না বলে খাবারের জন্য লোভ লাগলো না তবে লেখা অসাধারণ।
অসংখ্য ধন্যবাদ। লিখা ভালো লাগলেই হল।
..................................................................
#Banshibir.
লেখা ভালো লাগলো। াপনার পরযবেক্কন ভাল।
বড় তৃপ্তি নিয়ে পড়লাম দাদা। নিজের জীবনের প্রতিফলন দেখলাম, সারাদিনই এই পোড়া শহরটায় টো টো করি আর কত কত ভাজা পোড়া খাই। শহরটায় বড় মায়া। আহারে!!!
অসাধারণ লিখেছেন । আপনি একজন সুলেখক।
শুভেচ্ছা। ঝালমুড়ি খেতে হঠাৎ একদিন দেশে চলে আসেন............
_____________________
Give Her Freedom!
দেশে আসলে ফ্রি ঝালমুড়ি খাওয়াইবেন? আসতেসি খাড়ান
..................................................................
#Banshibir.
আসেন, আনলিমিটেড খাওয়ামু........রেডি থাকলাম.........
_____________________
Give Her Freedom!
শেষ বিকেলে পড়লাম। একদম খিদে পেয়ে গেল।
অফিস থেকে বেরিয়েই ছেলেবেলার কমপক্ষে তিনজন বন্ধুর খোজ করবো, তারপর ভাজাপোড়ার দোকানে ঢুকে পড়বো ভাবতেছি।
খানাপিনা নিয়ে রসালো লেখা আজকের দিনটাকে মুচমুচে করে দিল।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হ শুনান আমাগোরে হ্যাঁ? খাড়ান দেশে গিয়ে একটা তেলেভাজার দোকানের ঝাঁপ ফালায় দিয়া সব একাই খামু হুঁ, আপনাদের ঢুকতে দিমুনা।
..................................................................
#Banshibir.
ওহ, একদম ফুচকার মতো সুস্বাদু হইছে।
..................................................................
#Banshibir.
দিলেন তো! এমনিতেই আমি খাদ্য রসিক মানুষ।
হোস্টেলে না থাকলে জানাই হতোনা যে পুরি মাংসের ঝোলে ডুবিয়ে খাওয়া যায়। সেখানে মুরগির স্যুপ নামে এক ধরনের ঝোল পাওয়া যেতো, যার নাম শ্যোপ।
স্টার কাবাব খালি নামেই ধানমন্ডীতে, টেবিল কিন্তু সেই পুরানো ঢাকার মতোই।
আজিম্পুরের মাঠের কোনায় এক চটপটিওয়ালা বসে। েখোনও বসে।
চাঁদনি চকে একটা চিপা হালিমের দোকান আছে। অসাধারণ। বিকেল থেকে সন্ধ্যা। দেরি করলেই আর পাওয়া
যায়না।
চারুকলার গেটে বসে মুরগি ভাজা। মসলার অসাধারণ মিশ্রণ।
জিভে জল। চোখে নষ্টজল।
চারুকলার সামনের খাবার আসলেও অতি চমেতকার ছিল।
..................................................................
#Banshibir.
ঢাকার খাবারের সঙ্গে সঙ্গে দেখেছি মাথাও নিজেকে ওইভাবে মানিয়ে নেয়! সকাল ১১'টার দিকে ঘড়ি না দেখেই, কিছূ না ভেবেই খিদা লাগলে সিঙাড়া খুঁজতে থাকতাম! বেলা পাঁচটায় হলে খুঁজতাম পুরি অথবা মোগলাই পরোটা! ইত্তেফাকের মোড়ে দুটো দোকান সারারাত খোলা থাকতো। সেইখানে রাত ৩টা ৪টা বাছ বিছার না করে দলবেঁধে গিয়ে বসে পড়তাম। কিছু বলা লাগতো না, মামা সামনে দিয়ে যেত গরম পরোটা, আর সবজি। সেই সবজির উপরে ইশপিশাল খাতির হিসেবে মাংসের ঝোল!
ঢাকা শহরের সবচে ভালো চটপটি আর ফুচকা বানাতো রামপুরা মহানগর প্রজেক্টের একটা মামা। তার দোকানের নাম, মহানগর চটপটি হাউস। বনশ্রী প্রজেক্টের একটা মামাও বানাতো ভালো। কিন্তু পরে প্রজেক্টওয়ালারা রাস্তার দোকান সব তুলে দেয়!
আমার বোধ তৈরি হয়েছে রাস্তায়, টঙের দোকানে, আড্ডায়, বাস্তবে! আর খানিকটা বই পড়ে! আমার সবকিছুর জন্যে আমি ওই মৃতপ্রায় জঘণ্য শহরটার কাছে ঋণী!
এই লেখাটা ছুঁয়ে গেল!
আপনার নামের সঙ্গে 'অতিথি' অংশটা মানায় না! ওটা দ্রুত মুছে যাক সেই শুভেচ্ছা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনের প্রজেক্টের মামার থেকে ঢের ভালো চটপটি বানাতো আমাদের পাড়ার বাইরের ফুচকাওলা। ফোটেন
উৎসাহ দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। নিজ নামে লিখতে পারছি এই তো অনেক, অতিথি থাকলেই কি। ধরে নেন আমার ফার্স্ট নেম সত্যপীর লাস্ট নেম অতিথি
..................................................................
#Banshibir.
পৃথিবীতে দুই ধরণের মানুষ আছে-- "যারা গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন রোডের চটপটি খেয়েছে আর যারা খায়নি"
খাইনাই ভাগেন
..................................................................
#Banshibir.
খুব ভালো লাগলো লেখাটি।
ধন্যবাদ।
..................................................................
#Banshibir.
মজা লাগলো পড়ে । আমাদের এখানে চটপটি ফুসকা সব পাওয়া যায়। তবে স্বাদ কম।
কোন জায়গা?
..................................................................
#Banshibir.
- মজার খাবার নিয়ে মজার লেখা -
..................................................................
#Banshibir.
সচলে রেগুলার না হবার কারণেই বোধহয়, আপনার লেখা খুব বেশি পড়া হয়নি।
মুগ্ধতা জাগানোর মতো সাবলীল ভাষা।
পুরো লেখার পাশাপাশি ২য় প্যারাটা অসাধারণ লেগেছে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বাঘা বাঘা সচলেরা ভারি লজ্জা দিচ্ছে আজকে
..................................................................
#Banshibir.
লেখাটা অতি অতি চমৎকার!! কিন্তু বিষয়বস্তুতে মাইনাস। আঙুর ফল টক।
খেক খেক
..................................................................
#Banshibir.
"পুরান ঢাকায় এই খাবার নিয়া দোকান দিলে এদের লুঙ্গী খুলে জমা রাখত এলাকার লোক।"
একদম মনের কথাটা কইছেন ভাই। দুর্দান্ত লেখা।
হ খাবার একদম পাইনসা।
..................................................................
#Banshibir.
আরেকটা অসাধারণ স্ট্রিট ফুড হচ্ছে ভেলপুরী। ছোট ছোট গোল আলুপুরীর ভেতরে মসলা, সালাদ, টক দিয়ে বানানো অসাধারণ একটা খাবার। আমার খাওয়া শ্রেষ্ঠ ভেলপুরী বানাত ঢাকা ভার্সিটির নেসক্যাফের (এনেক্স ভবন আর মোকাররম ভবনের মাঝে) সামনের এক মামা। যখন সকাল ৮টায় মাইনর ক্লাস থাকত, বাসা থেকে নাস্তা না করেই চলে যেতাম। আর ক্লাসের পর মামার ভেলপুরী। একবার এক সাথে ১৭টা ভেলপুরী খেয়ে ফেলেছিলাম।
লেখা দারুণ লাগল।
হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক, ভেলপুরি জব্বর জিনিষ।
..................................................................
#Banshibir.
পুরাই উরা-দুরা (!) পোষ্ট
একটা জিনিস বাদ পইরা গ্যাছে বস, সেইটা হইলো জিলিপি!
জিলাপি নিয়ে বলতে চাই, ঢাকাতে যত জায়গায় জিলাপি খেয়েছি, স্বাদ যাই হোক কিন্তু জিলাপিতে প্যাঁচ নাই। কেমন যেন নরম্যাল জিলাপি
প্যাঁচ আসে আমিত্তিতে।
..................................................................
#Banshibir.
ঝাল খাবারে জিলাপি দিমু কোন বিবেচনায়? জাতির ফ্রশ্ন
..................................................................
#Banshibir.
লেখাটা পড়ে খুব আনন্দিত বোধ করিতেছি! সহজ কথাবার্তা, বাট, অনেক রসবোধ সম্পন্ন। বাংলাদেশের ছাত্রজীবনের সেই সব খাওয়া-দাওয়া সংক্রান্ত কাহিনী মনে পড়ে গেল। এই সব খাবার-দাবার খেয়েই তো বড় হয়েছি। তবে একটা অসুখী স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল- ঝালমুড়ি সংক্রান্ত! ঝালমুড়ি- আহ! টাইম ডাজেন্ট ম্যাটার, ইটিং ঝালমুড়ি! খুব পছন্দ ছিল বিশেষ করে ঢাবিতে থাকার সময়। ক্ষনিকাতে ( ঢাবির উত্তরা রুটের বাস) ঝোলার আগে এক প্যাকেট মাস্ট ছিল! এই ভালবাসা একদিন হঠাৎ থমকে যায় একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে।
স্থানঃ কার্জন হলের সামনে। কালঃ বিকাল আনুমানিক সাড়ে চারটা। পাত্রঃ ঝালমূড়ি মামা আর ঢাবির ছাত্রছাত্রী।
বিকেলে ক্লাস শেষে ক্ষনিকা ডাবল ডেকার বাসে ঝোলার জন্য উপরে উঠলাম। চারিদিকে মেধাবি ছাত্রছাত্রিদের কিচির মিচির। ঝালমুড়ি মামা যথারিতী উপস্থিত। বাসের দোতলায় উঠে ব্যাগটা রাখলাম। জানালা খুলে দেখি ঝালমুড়ি মামা তার জিনিসপত্র রাখল বাসের পাশে। এরপর কিছু দূরে গেল সে। কেন গেল, সেটা দেখতে গিয়ে তার পেছনে চোখ আটকাতে গিয়েই বিপদটা বাঁধালাম। মামা প্রাকৃতিকভাবে ছোট কাজটি সম্পন্ন করার জন্য বসে পড়েছে।। পরিসকার হওয়ার প্রয়োজনবোধ সে করল না। সেইভাবেই সে ফিরে এল তার জিনিসপত্রের কাছে। কয়েকজন ভাগ্নি ঝালমুড়ি ক্রেতা অলরেডি উপস্থিত। ঝালমুড়ি মামা তার প্রাকৃতিকভাবে দূষিত হাত দিয়ে মনের আনন্দে ঝালমুড়ি বানাতে লাগল--- এই ঘটনাটি চোখের সামনে দেখার পর আমি বাইরের ঝালমুড়ি খাওয়া একদম বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্ত আমি এখনও বিশ্বাস করি, টাইম ডাজেন্ট ম্যাটার, ইটিং ঝালমুড়ি! তাই, বাইরে না খেলেও বাড়িতে বানানো ঝালমুড়ি এখনও আমার ফেভারিট!
--- ড্রিমার, কলাম্বিয়া, উত্তর আমেরিকা।
এহ দিলেন বারোটা বাজাইয়া
..................................................................
#Banshibir.
এক্কেবারে উরা দুরা লেখা।
কেমন আছেন ভাইয়া?
..................................................................
#Banshibir.
মন চলে গেল দূর অতীতে। এই ভ্রমণবাজ এবং নস্টালজিয়াবাজগুলার জ্বালায় সচলে ঢুকাই দুষ্কর।
হ আসেন তারেকাণুরে পিটাই।
..................................................................
#Banshibir.
এই পোস্ট পড়ার পর কি আর বিলাতি ক্যাফের লাঞ্চ মেনু মুখে উঠবে? :(
মিরপুর রোডে ধানমন্ডি ৬ নম্বরের কোনায় চটপটি মামার ফুচকা চটপটি অসামান্য। প্রতিবার পেট খারাপের গ্যারান্টি সহকারে খেয়ে আসতাম কোন আফসুস ছাড়া। ছোটঘর তো যাইতেই হয়, নাহয় একটা মহান কারনে গেলাম।
স্টারের লাচ্ছি আর ফালুদা। কোন এক গ্রীষ্মের দুপুরে বুয়েট থীক হেটে গিয়ে ৪ গ্লাস এক বসায় খেয়ে বসেই ছিলাম।
ঢাকা কলেজের সামনে কুপি বাতির আলোয় সন্ধ্যার সময় উদয় হওয়া বিশাল চিংড়ির মাথা মুচমুচে করে ভাজা।
টনি বোর্ডেইন রে একবার দাওয়াত কইরা ঢাকার রাস্তায় খাওয়ানো উচিত।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
হুম্ম ঢাকার রাস্তার জবাব নাই।
..................................................................
#Banshibir.
খাওয়ার পোস্টে মাইনাচ। খিদাডা চাগায় দিলেন।
..................................................................
#Banshibir.
ঢাকায় থেকেছি মাত্র চার বছর; তাই এ শহরের খাবার দাবার নিয়ে উহু-আহা উচ্ছাস নেই। তবে তোমার অসাধারণ সাবলীল লেখাটি পড়ে আমার জানের টুকরা বগুড়া শহরকে মনে পড়ে গেল। সকালে কলেজে যাবার পথে আকবরিয়ার পরোটা আর সব্জি, দুপুরে শ্যামলির ঢাউস সাইজের প্যাকেট বিরিয়ানী, বিকেল বেলার মনেরা (মনোয়ারা) হোটেলের কাবাব আর যত্রতত্র চা... সে কী তার ফ্লেভার রে বাবা !
বদ পোলা! এরকম সুন্দর, চোখে-পানি-আনা লেখা আর একটা লিখলে ক্যানাডা গিয়ে পিট্টি দিয়ে আসব
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আরে স্ট্রেঞ্জার আসো কিরাম?
..................................................................
#Banshibir.
জলেশ্বরীতলার কালীবাড়ীর সামনে এক মামা কুশি-ওটা কাঁচা ছোলা বিক্রী করত, অমৃত জিনিস। কি তার মশলার কম্বিনেশন। তারপর কালীবাড়ীর পাশে টং চায়ের দোকানে মালাই চা। আহ! কি জীবন যে ফেলে দিয়ে আসছি।
ঢাকা শহরের অর্ধেক লোকের আজকে পেট খ্রাপ হবেই হবে
ভালো অইসে, আমারে না দিয়া খাইতে গেসে ক্যা?
..................................................................
#Banshibir.
চমৎকার লিখেছেন।
..................................................................
#Banshibir.
এহ-এইটা কি লিখলেন ভাই। এক্ষুনি-এই মুহূর্তে দেশে দৌড় দিতে ইচ্ছা করতাসে।
চলেন দৌড় দেই।
..................................................................
#Banshibir.
লেখাটি খাবার গুলোর মতই মজাদার হয়েছে । অবশ্য রাস্তার খাবারের প্রতি আমার এলার্জি আছে । তবে চটপটি আর ফোচকার লোভ সামলানো একটু কঠিনই
এলার্জি দূর করুন বেশি বেশি ফুচকা খান!
..................................................................
#Banshibir.
সেদিন রাত দুটায় তাসের আড্ডায় ঝালমুড়ি বানাতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম ভালো মুড়ি আর ভালো চানাচুরের চেয়ে ইউরিয়া দিয়ে ভাজা সাদা মুড়ি আর পোড়া মোবিলে ভাজা চানাচুর দিয়ে সবচেয়ে ভালো ঝালমুড়ি হয়। গবেষণা করে দেখলাম রাস্তায় যারা অসাম ঝালমুড়ি তৈরি করে তারা মোবিলে পোড়া চানাচুরই ব্যবহার করে।
চিন্তা করিয়ার, মার্কনীয়ে প্যাটেন্ট লইবার আগে আমি ওউ আবিষ্কারর প্যাটেন্ট লইতাম। কিতা খইন?
অয় অয় লই লাইন।
..................................................................
#Banshibir.
ভাইয়ের বাড়ি কি সিলেট? আমার প্রিয় পিয়াজু, খাইতে শুরু করলে থামতে পারি না।।
আহারে কি সব দিন যে ছিলো
এখন ছবি দেখে আশ মেটাই
...........................
Every Picture Tells a Story
..................................................................
#Banshibir.
হপ্পায় তো হুরু উস্তাদ! গিরায় গিরায় টের পাইবেন কী জিনিস হারাইয়াছেন! কোলন খিকখিক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হু, কিছুক্ষণ আগে ভাজাপোড়া করতে যেয়ে স্মোক এলার্ম চালু করে দিয়েছিলাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
বেশ কয়েকবছর আগে হলের ক্যান্টিনের সামনে এক ঝালমুড়িওয়ালা আসত, পরে অনেকদিন আসেনি। আমরা পোড়াতেলেভাজা সিঙ্গারা পুরি অথবা মোগলাই খেয়ে ঝালমুড়ি নিয়ে হলের মাঠে বসে দুনিয়ার সব গল্প জুড়ে দিয়ে সন্ধ্যা হলে মশার কামড় খেয়ে উঠতাম। মনে করিয়ে দিলেন।
ঝালমুড়ি খাইতে মঞ্চায়
..................................................................
#Banshibir.
পেন্সাল্ভেনিয়ার সেইন্ট ম্যারিস নামের এক পুচকা শহরে বসে ডিনার এর অর্ডার দিয়ে বসে বসে লেখাটা পড়লাম। এইখানে একটু বেশী ভাবের রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবারের অর্ডার ক্যামনে নে সেইটা তো জানেনই। বিশাল মেন্যু হাতে ধরায়া গেলো। প্রথমে জিগায় পানীয় কি খাইতে চাই? ঠাণ্ডায় সারাদিন জঙ্গলের চিপায় চিপায় ঘুরে অবস্থা কাহিল। বললাম, কফি। জিগায়, রেগুলার, বোল্ড নাকি ডিক্যাফ। বললাম, রেগুলার। তারপরে জিগায় দুধ, চিনি লাগবে কিনা। কইলাম, অন দ্যা সাইড এ দ্যাও। তারপরে জিগায় পানি লাগবে কিনা। বললাম, দ্যাও। জিগায়, উইথ আইস অর উইদআউট আইস। দাঁত কিড়মিড় করে বললাম, উইদআউট আইস। মনে মনে বললাম, ঠাণ্ডায় খকখক করে কাশতেছি এইটা চোখে দেখস না বলদ?
এর পর মেইন কোর্সের অর্ডার নিতে এসে আবার ত্যানা প্যাঁচানো শুরু করলো। স্যামন ক্যামনে রানবে এইটা আমারে জিগায়। আরে, ক্যামনে রানবি এইটা যদি আমিই বলে দেই তাইলে তো আমিই রানতে পারি। জীবনে দেশে রেস্টুরেন্ট এর মামুরা জিগাইসে ক্যামনে রানমু? কতটুকু কুক করমু?
মাছ এ হোক আর গোস্তই হোক এরা এইটা নিয়ে বহু নকশা করবে। রেয়ার, মিডিয়াম রেয়ার, মিডিয়াম, মিডিয়াম ওয়েল, ওয়েল কতটুকু কুক করবে। কি সস দিবে, গ্রিল করবে না বয়েল করবে নাকি সটে করবে। সাইডে কি ব্রকলি না ভেজি। সালাদ কি হাউজ সালাদ নাকি অন্য কিছু। সালাদের উপর ড্রেসিং কি? আলু কি ভর্তা না ভাজি, ১০১তা প্রশ্ন। মাঝে মধ্যে মনে হয় বলি, খিদা লাগছে বাপ, মনের কথা বুঝে ভালো কিছু খাইতে দে এতো কথা কওয়াইশ না। কিন্তু দেশের মামুদের মতো কি আর মনের কথা এরা বুঝতে পারে?
লেখা নিয়ে কিছু আর বললাম না, আপনে কেমন লেখেন আপনেও জানেন আমিও জানি।
আপনের অবস্থা শুনে আমার ভানুর কৌতুকের কথা মনে পড়ে গেলো! 'তাইলে হালায় খামুই না কিছু..."
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ফ্রিডম ওফ চয়েস তো দেখি মহা ঘাপলার বিষয়।
হ। দেশে থাকতে বন্ধু-বান্ধব মিলে খাইতে গেলে অর্ডার ছিলো একদম সহজ। বলতাম, মামা ভালো কি আছে নিয়া আসেন। তারপর মিলেমিশে খাওয়া হতো। এইখানে একবার ওয়েটারকে যা ভালো মনে হয় নিয়ে আসতে বলায় আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে ছিলো কোন জঙ্গল থেকে উঠে আসছি ভেবে। এইখানে এমন একটা রেস্টুরেন্ট থাকলে ভালো হতো যেখানে জলিল তথা অনন্ত ভাইয়ের স্টাইলে গিয়ে বলতে পারতাম, খুদা পেয়েচে, কিচু খেতে দাও!
খপর্দার এইসব রেস্টুরেন্টে গিয়ে যা ভালো মনে হয় আনতে বলবেন না, এরা ব্যাপক বদ। আনব "ক্যাচ অফ দ্য ডে", "শেফ স্পেশাল" ইত্যাদি হাবিজাবি। অতি অখাদ্য, আর কেউ খায়না যে আইটেম অইগুলা সাজায় গুছায় দিয়া দিব দাম রাখব গলাকাটা। সবচে রাগ উঠে যে ব্যাপারটায়, যে দামী রেস্টুরেন্টে একই খাবার বেচে যা অন্যখানেও বিক্রি হয়, খালি দামি প্লেট আর প্রেজেন্টেশান। গাজরকে গোলাপফুল বানায় দিব, কেকরে টাওয়ার বানায় দিব, ছাতারে মাথা বানায় দিব। তারপরে দাম দশগুন। আমি খায়া দেখসি গোলাপফুল শেপের গাজর খাইতে গাজরের টেস্টই পাওয়া যায়
..................................................................
#Banshibir.
নবাবি কীর্তিকলাপ পড়ছিলাম মন দিয়ে, এর ভিত্রে আবার এসব কি
আমি আজিমপুরের, নস্টালজিক হয়ে গেলাম খাবারের শোকে আমি পাথর!
চাঁনখারপুলের কথা কই বস? চাঁনখারপুলের দোকানগুলা কিন্তু চব্বিশ ঘন্টার, পুরা ঢাকায় দুর্লভ কেইস। আমগো হাজি বিরিয়ানির কথা ভুলে গেছেন, আমি
এবার যেয়েও খাইসি। চকবাজারের রাস্তার দোকানগুলো অতুলনীয়, নূরানী লাচ্ছির সেই পুরান দোকানটার কথা ভুলতে পারিনা। নবাবগন্জের (হাজারীবাগের দিকে যাওয়ার পথে) সেই বিখ্যাত মুড়ি ভর্তার দোকানটা এখনো আছে। পুরান ঢাকার (কোট-কাচারি, বাংলাবাজার) কাচ্চি বিরিয়ানি'র কথা মিস হইসে। এসব দোকানে আগে একগ্লাস বোরহানী ফ্রী দিত। ওই বোরহানি'র লোভে খেতাম বেশী। মোহাম্মদপুরের (কলেজগেট) মাংসের চাপ (ভাজি) অসাধারন। ভোলা যায়না। আর রোজার মাসে তো ঢাকা পুরাই চেন্জ হয়ে যায়, রুটিনও যায় বদলে। দোকানের সামনে লাল পর্দা টাঙ্গানো থাকলে ক্ষুধা লাগে বেশী। ইফতারি'র কি বিচিত্রতা।
ও আরেকখান কথা, এবার দেশে গিয়ে ক্যাম্পাসে গেছিলাম, ঢাকসুর সেই ফুচকার দোকানটা দেখি নাই, কেউ জানাতে পারবেন ওইটা আদৌ আসে কিনা আর!
লেখায় পাঁচ তারা।
ওই দোকানটা এখন বোধহয় "প্রপদ" এর পাশে জামরুল গাছের নিচেয়।
হ চানখারপুলের দোকান সারারাইত খোলা থাকত। একবার পাড়ায় মাঠে ওভারনাইট চুন দাগাচ্ছিলাম পরেরদিনের স্পোর্টস ডে এর জন্যে, ভোর চারটার দিকে ভাইয়ারা গিয়ে খাবার নিয়ে আসছিল ওই দোকান থেকে।
পাঁচতারার জন্য থ্যাঙ্কু।
..................................................................
#Banshibir.
মন্তব্য করা ঠিক হবে না মনে হচ্ছে। উল্লেখিত সব খাবারগুলোই আমি নিয়মিত হারে খেয়ে বেড়াই। এইটা শুনে আপনারা বরদোয়া দিয়ে দিতে পারেন ।
ফুচকার আবিষ্কারককে নোবেল প্রাইজ দেয়া উচিৎ ।
ফুচকার নামানুসারে খাদ্যজগতে ফুচকা প্রাইজ চালু করা উচিত।
..................................................................
#Banshibir.
সহমত
এ লেখাটা রীতিমত পি,এইচ,ডি-এর 'ডিজারটেশন পেপার' হতে পারে।
ইশ এ জীবনে কি আর এ সব খেতে পারবো?
সাইফ শহীদ
..................................................................
#Banshibir.
অর্থাৎ এটা পোস্টের শেষ লাইনের "ফোর হুইল ড্রাইভ"-এর মত, বুঝলেন। একেই বলে খাঁটি সেন্স অফ হিউমার!
****************************************
খাবারের টানে আবার এলাম ফিরে।
টি এস সির ক্য়াফেটারিয়া 'স্টক সীমিত' লান্চ এর কথা মনে আছে কারো? ঠিক ১২ টায় লাইন নিয়ে টোকেন না নিলে খাবার পাবার গ্য়ারান্টি ছিলনা। খুবই সাধারন পোলাউ এর সাথে পাতলা ঝোলে ডুবে থাকা এক ঢাউস টুকরা আলুর সাথে অপাপ্তবয়স্ক মুরগি অথবা খাসির কাঁধের টুকরা। অথচ সেটাই যেন বেহেশতের উত্তম জাঝা।
পুরাতন এলিফেন্ট রোড আর মিরপুর রোডের মিলনস্থলে হকারস মারকেটের কোনায় সকাল-বিকাল-সন্ধা একটা কড়আইতে নিরামিশ 'গুলগুল্লা' ভাজা চলতো। গুলগুল্লায় খাবার রং, তেল আর লবন-মরিচ কমন, কিন্তু তাতে কখন কি নিরামিশ যাচ্ছে সেটা বোধ করি নিরভর করত সেসময়ে নিউমারকেট কাচাবাজারের সবজিওয়ালারা কোন শাক-শবজি ফেলে দিচ্ছে তার ওপরে। তবে যদি সেই বস্তু গরম গরম মুখে দিতে পারতেন, তাহলে গুলগুল্লাওয়ালার সাত খুন মাফ।
ডিসেম্বরের এসাইন্মেন্ট জমার সিজিনে নীলক্ষেতের কম্পিউটার কম্পোজ এলাকায় রাতবিরেত কেটে যেত। সেসময়ের ঠান্ডার মধ্য়ে নীলক্ষেতের রাস্তার ডিমসিদ্ধ আবিস্কার করি। আহা কত বাহারি তাদের নাম। হারড বয়েল - হাফ বয়েল - ক্রিম বয়েল। ক্রিম বয়েল মানে হল, ডিমের সাদা অংশ জমে এসেছে তবে পুরোটানা, আর কুসুম উত্তপ্ত হয়েছে কিন্তু তখনো প্রায় তরল। খুব ডেলিকেট বিষয়। একবার এক মামু চা-চামুচ সাইজের ডিম ক্রিম বয়েল করে বিটলবন আর গোলমরিচ দিয়ে পরিবেশন করেছি্ল। কিসের ডিম সাহস করে জিগ্গেস করিনি, তবে প্রবাসের কোয়েলের ডিমের চাইতে সেগুলো একটু বড় ছিল, মুরগিরই হবে বলে সন্দেহ করি। একে ছোট জিনিস, তদুপরি কুসুমটা নেহায়েতই সুস্বাদু, আর সেই ঠান্ডার মধ্য়ে জমেছিল বেশ। ঝোঁকের মাথায় আমি আর আমার সহ-এসাইনমেন্টর মামার পুরো স্টক উড়িয়ে কাঁচা সুপারির পান খেয়ে গ্রান্ড ফিনালে টানলাম। তবে মাঝরাতে রিক্সায় করে বাসার ফেরার সময়ে আমি সে আর বেচারা রিক্সায়ালার নাসারন্ধ্রের কি কি ড্য়ামেজ হয়েছিল, সে গল্প আরেকদিন।
টিএসসির টোকেন সিস্টেমটা জটিল ছিল। ওখানে খেতাম অল্পই, ওই লাইনে দাঁড়ানোর নানাবিধ ঝামেলা ভাল লাগত না। আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক আকাশ স্যার তার ছাত্রদের গ্রুপ নিয়ে প্রতি বছর টিএসসিতে এক দুপুরে ইনফরমাল লাঞ্চ করেন। ঢাবির শিক্ষকের জন্য এর থেকে রেভল্যুশনারি কিছু কমই আছে।
সিদ্ধ ডিম আমার ভালো লাগত না। এখন লাগে। আমি বরং তখন খেতাম রাস্তার পাশের ঝাল পিঠা সর্ষে দিয়ে। অতুলনীয় স্বাদ।
..................................................................
#Banshibir.
দুর্দান্ত।
স্মৃতি ও খিদে জাগানিয়া লেখা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খিদে জাগানো ঠিক আছে স্মৃতি জাগানো ঠিক না। ঘুমিয়ে থাকাই ভালো।
..................................................................
#Banshibir.
এইটা একটা কাম কর্লেন ভাই?
রান্না কর্বো কর্বো ভাবতেসিলাম, এমন টাইমে এইটা পড়লাম।।।
কেউ আমারে চটপটি, শিক কাবাব ঝাল্মুড়ি, ঝাল আলু খাওয়া রে (
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
কি রান্না কর্লেন?
..................................................................
#Banshibir.
চ্মত্কার লেখা।দেশে ফেরার ইচ্ছাটা আরো বেড়ে গেলো।
..................................................................
#Banshibir.
-- ডুপ্লি হইলে ঘ্যাচাংযোগ্য --
আপনার চমৎকার চটপটিতে এক চামচ চিনি -
১। চাচা আর দাদা দুই হালিমই আমি দেখেছি ও খেয়েছি। এর একটা (চাচা না দাদা মনে নাই) মামা হালিমের রাস্তার উলটা পাশেই ছোট্ট একটা ঠেলাগাড়িতে ছিল অনেকদিন।
২। "পুরির ভেতর অনেক কিছুই থাকতে পারে, আলু অথবা ডাল।" - ইদানিং লাজলজ্জার মাথা খেয়ে স্রেফ বাতাসও থাকে। রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলা দু'কান কাটার মত আর কি! আর হ্যাঁ, 'কিমাপুরি' জিনিষটায় কবে থেকে সত্যি সত্যি 'কিমা' থাকা বন্ধ হল জানেন? একসময় ছিল যখন কিমা কোথায় জিজ্ঞেস করলে ইটালিয়ান হোটেলমালিকরা এই অস্তিত্বহীণ কিমা নিয়ে অন্তত নানারকম ভণিতা করত, নখরা করত, লজ্জা পেত। আর এখন উলটা চোখ গরম করে তাকায়, ভাবখানা যেন - এইডা পাগল না ছাগল, কিমাপুরিতে কিমা থাকে এমন তাজ্জিব কথা কে, কবে, কোন দুনিয়ায় হুনসে !!
৩। উরাদুরা হালিমের মত আরেকটা চমকপ্রদ হালিম-চটপটি-ফাস্টফুডের মোবাইল রেস্টুরেন্টের কথা আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে - চাইনিজ ক্যালিগ্রাফির স্টাইলে লেখা 'ইয়ানতুন খাই যান' (এখান থেকে খেয়ে যান) ? এক সময় আমি ভাবতাম এই ইয়ানতুন বোধহয় কোন চীনা-জাপানি শহর।
৪। চটপটি আর ফুচকার ব্যাপারে যা লিখেছেন তা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। এর কোন তুলনা নাই। আমার পাড়ার চটপটিওয়ালারা অবশ্য রাত ৯-সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখে। প্রায়ই খাওয়া হয়। একেবারে ঝাকানাকা চটপটি আর ঝাক্কাস ফুচকা! ইদানিং দহি-ফুচকাটাও আমার দারুন প্রিয় হয়ে উঠেছে - বনানীর 'ধাবা'-তে খাওয়ার পর। ফাটাফাটি জিনিষ।
আমার কিছু প্রবাস-ফেরৎ ফার্মের মুরগী বন্ধু আছে যারা দেশি খাবার নিয়ে প্রায়ই নাক সিঁটকায়। আমার অনেক দিনের ইচ্ছা একদিন কয়েক প্লেট চটপটি আর ফুচকা এদের মুখে ঝপাৎ করে ঠেসে ধরব - বলব - খা ব্যাটা, তারপর কথা কইস্!
যাইহোক, পোস্টটা ঝাকানাকা চটপটির মতই উম্দা হয়েছে। একেবারে জিভে জল আনা লিখা যাকে বলে!
****************************************
১। দাদা চাচারাও হালিম বানায় তাইলে? বেশ বেশ।
২। বাতাসপুরি নামটা খারাপ না।
৩। হ ইয়ানতুনের ভ্রাম্যমান রেস্টুরেন্টতির আইডিয়া অভিনব। নামটা লিখাও ছিল চৈনিক স্টাইলে, ফট করে ধরা যেতনা। খুবই বুদ্ধিমান ডিজাইন।
৪। কোন দরকার নাই। ফার্মের মুর্গী ভাইয়ারা থাকুক খুদকুঁড়া খেয়ে। ফুচকা চটপটিগুলা আসেন আপ্নে আমি সাঁটাই
..................................................................
#Banshibir.
এই ভাজা-পোড়াগুলা বেশি মিস করি বিদেশে থাকলে।
দেশে থাকলে হয়তো নিয়মিত খাওয়া হয়না। তবে অনেকদিন পর দেশে ফিরলে, গোগ্রাসে গিলতে থাকি। খাবারের মান যেমনই হোকনা কেন।
ইউএস প্রবাসী অনেকে দেখেছি বাসায় নিজেরা তৈরী করেন। কিন্তু স্বাদটা পালটে গিয়ে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের মেনুর মত হয়ে যায়। অনেকেতো, বিভিন্ন উতসব, পালা-পার্বনে ক্যাটারিংও করেন এই ভাজা-পোড়া আইটেমগুলো দিয়ে।
হুঁ বাসায় বানানো খাবার বিবিধ মেলায় বিক্রি হয়। খারাপ না, চলনসই। কিন্তু আসল জিনিষ পেতে হলে ঢাকাতেই ব্যাক করতে হবে।
..................................................................
#Banshibir.
আজকাল ঢাকায় নতুন আইটেম মাশরুম ফ্রাই। ভালোই লাগে।
তবে বড় আকারে মিস করি পিজির সামনের 'ডিম-পারাটা'র দোকান। শুকনো করে পরোটা ভেজে তার সঙ্গে ডিম আর কাঁচা পেয়াজ দিয়ে রোল করে খেতে দারুণ লাগতো ক্ষুধার্ত সন্ধ্যায়।
মাশরুম ফ্রাই কোন জায়গায় পাওয়া যায় আরিফ ভাই?
..................................................................
#Banshibir.
মাশরুম ফ্রাই মানে কি বেশনে ডুবিয়ে যেটা করে না মাসরুমই তেলে ভাজে? প্রথমটা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে; আর দ্বিতীয়টি হলে দুঃখিত, জানিনা , তবে জানতে চাই ।
এখন ঝালমুড়ি প্যাকেটজাত হয়েছে। প্রাণ না কে যেন বের করেছে। দেখলেই আমার চান্দি গরম হয়া যায়। চউক্ষের সামনে দুই কৌটার মইধ্যে মাল-মশলা সহযোগে যদি মুড়ি ঝাঁকানোই না দেখলাম তাইলে খায়া শান্তি কী? আর আমাগো বগুড়ার মালাই চা এর কথাও উঠছে দেখলাম। এশিয়ার মিষ্টিগুলারেও মিস করি। আর আমাগো নিউমার্কেটের পিছনের সেই কাবাব-রুটি। আহা। ঢাকাতেও অমনটা পাই নাই।
প্যাকেটজাত মুড়ির গুষ্টি কিলাই।
..................................................................
#Banshibir.
..................................................................
#Banshibir.
দেরী করে পড়লাম, সেজন্য মাফি চাই তোমার কাছে।
তুমি এত ভালো লেখ কিভাবে?
লেখা পড়ে পরবর্তী মানসিক অবস্থা:
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ছবি দেখি না ক্যা
লিখা পড়ার জন্যে থ্যাঙ্কু, তোমার লিখা কৈ ডুব মারসো ক্যান?
..................................................................
#Banshibir.
খালি একটা জিনিষ বাদ পড়ল। সেইডা হইতেসে পুরান ঢাকার 'বিউটির লেবুর শরবত'
লেখাডা পইড়া তো পীরের মুরিদ হইতে মঞ্চায়
বিউটিতে এক লোক ছিল তার কাজ ছিল সারাদিন খালি বরফ গুঁড়া করা। আর কিসুই সে করতো না। দারুন ব্যাপার।
..................................................................
#Banshibir.
কেউ কইলাম পুরান ঢাকার কালা ভুনার কথা কয় নাই। আহারে সেই কালা ভুনা দিয়ে কতো কতো সন্ধ্যা পরটার সাথে উইড়া গেসে জীবনানন্দের একলা কোকিল। মাটন ব্রেইন মসল্লা বলে ঢাকাইয়া মামারা বিলাতি ডিশ খাওয়ানোর একটা ভাব ধরতো।
সেই সাথে চিকেন লিভার। নান রুটি, তন্দুর রুটি, বুটের ডাইল গরুর গোস্ত মানেই এখনো খিল্গায়ের আবুল হোটেল বিখ্যাত।
লাল মাটিয়ে স্বাদ তেহারি যেই রেভ্যুলেশন এনেছিলো। ভোলার বিরানী মনে হয় এখনো খিলগাও বাসির মনে আছে।
বছর সাতেক আগেও চরম গরমে সাদা পোলাও এর সাথে খাশির গ্লাসি আর মাঝ পথে গ্লাস কে গ্লাস বোরহানী ছিলো চৈত্রের মধ্য দুপুরের ঘামে চুবে যাওয়া মধ্যাহ্নভোজের আজব প্রিয় আইটেম। স্টার সে দিন গুলা।
মুস্তাকিনের কাবাব। নান্নার বিরানী। মধুর ক্যান্টিনে কোয়েলের ডিম সাইজের মিষ্টি। কাকরাইল মসজিদের সামনে দুই পরোটা আর এক ডিম ভাজি ১০টাকায়। ২টাকার সেই হটপেটিস লাল কৌটার____
হুমমম কটকটি ওয়ালার স্মৃতি এক্কেবারে ডিম বয়সের কথা যদিও লিখতে লিখতে ঐটা মনে আসলো এখন আর কোথাও যাকে দেখিনা।
খিদা চাগায় দিলেন মিয়া ধুর
..................................................................
#Banshibir.
কিছু কইলাম না! পুরান ঢাকার পুলা তো!
তবে এই লেখাটা বান্ধায় রাখনের কাম- এইটা ঠিক।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
পুরান ঢাকার পুলা খাবার নিয়া কিছু না কৈলে ক্যাম্নে কি?
..................................................................
#Banshibir.
যারে কয় এক্কেরে 'অগ্নিগর্ভা পোস্ট'! তবে ঝালমুড়ি বিভাগে আমি ১টা লেজ যোগ করতে চাই। যাদুঘর এর সাম্নের রাস্তার ঝালমুড়ি খাইসেন কেউ? এই লেখার মতই উপাদেয়!!
ভোররাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর শুয়ে শুয়ে পুরোনো লেখা ঘাঁটছিলাম। এটাই ক্যান চোখে পড়ল রে ভাই!
কতদিন ঝালমুড়ি আর সিঙ্গারা খাই না!
কয়েকটা জিনিস খাবার জন্য কলজে পুড়ে যাচ্ছে.. (রুটি-আলুভাজি, খোলার পিঠা দিয়ে গরুর ভুনা মাংস, ফুচকা, চিংড়ি মাছের বড়া, সিমের বিচির তরকারি, ল্যাটল্যাটে খিচুড়ি)।
দেশে গিয়ে আগে দু-তিনদিন শুয়ে বসে শুধু খাব, তারপর টস করব।
শাপলা উঠলে ফিরব, মানুষ উঠলে আর ফিরব না।
আম্রিকার গুষ্টি কিলাই!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চিংড়ি মাছের বড়া জিনিসটা জব্বর মনে করাইছেন। খাড়ান উইকেন্ডে কড়া কইরা বড়া ভাজুম ঘি দিয়া
..................................................................
#Banshibir.
আহারে, কি সুগন্ধী-উপাদেয়-রসনাময় বর্ণনা
আগামী হপ্তায়ই ঢাকা যামু, তাপ্পর খামু আর খামু
পলাশী মোড়ে যে মাঝরাইতের পর থিক্যা পরাটা-ডিম ভাজা শুরু কইরা ভোরের দিকে গায়েব হইয়া যাইত, হেডি চাইপা গেলেন ক্যান? আপনে আবার "আর্লি টু বেড এন্ড আর্লি টু রাইজ" পাট্টি নাকি?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আমি ভালু ছেলে পলাশী শাহবাগ রাতে যাইনে। ওদিক খুব রেপ হয় শুঞ্ছি।
(রাইত দুইটা তিনটায় খাবার খাইতে গেলে পলাশী না নাজিমুদ্দিন রোড যাইতাম একটা দোকানে, নাম ভুইলা গেছি। ফার্স্ট ক্লাস পরোটা আর ল্যাটকা ভাজি দিত, সাথে মুরগির ঝুল। সেইরকম, লাইক দ্যাট!)
..................................................................
#Banshibir.
চিংড়ি মাছের বড়াটার কথা বলতে যাচ্ছিলাম, উপরে দেখি তিথী বলে ফেলেছে। এলিফ্যান্ট রোডে খুব দেখতাম, লাল লাল করে ভাঁজা আর চিংড়ির মতই আকার আকৃতি। অনেক দিন ঐটার পাশে দিয়ে আড়চোখে দেখতে দেখতে চলে গেছি, অনেক দাম হতে পারে ভেবে সাহস করে আর খাই নাই। শেষমেশ আর একটু বড় হবার পর পেটের জয় হয়েছে অবশ্য ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন