মোগল সম্রাটদের মধ্যে তৃতীয় আকবরেরই প্রথম হিন্দুস্তান পছন্দ হয়। পিতামহ বাবুরের মত তিনি ভারতের আদব লেহাজ কায়দা কানুন দেখে নাক সিটকে ছ্যা ছ্যা করেননি, হারানো মধ্য এশিয়ার ফেলে আসা ঘরের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলার বদলে তিনি সুগঠিত মোগল হিন্দুস্তান গড়ার দিকে মন দেন। এই করতে গিয়ে তিনি বাপদাদার পলিসি বদলে দিতে থাকেন। প্রচুর হিন্দু মন্ত্রীমিনিস্টার দরবারে আনা হল, বাবুর হুমায়ুনের আমলে যত ছিল তার প্রায় কয়েকগুণ। ধর্মীয় বৈষম্যমূলক জিজিয়া কর বাতিল করা হল, রাজস্থান হাতড়ে যে সব হিন্দু বউ তিনি ধরে এনেছিলেন তাদের হারেমে নিজস্ব কোয়ার্টারে দেবদেবী পূজা করার অনুমতি মিলল। মাঝে মাঝে তিনি তাদের সাথে দিওয়ালিও উদযাপন করতেন।
পিতামহ বাবুরের মত তিনি কেবল পারসিক কালচার আমদানী করতেই ব্যস্ত ছিলেন না, তা যেন হিন্দুস্তানী কেতার সাথে মিশে যায় সেদিকেও তিনি নজর দিলেন। তার দরবারে রামায়ন মহাভারত ফার্সিতে অনূদিত হল, আকবরকে রাতের খাবারের পর গীত গেয়ে শুনাতেন রাজস্থানী সুরের জাদুকর মিয়া তানসেন। আবুস সামাদ নামে এক পারসিক ছবি আঁকিয়েকে হুমায়ুন ভারতে এনেছিলেন, আকবর হুকুম দিলেন তিনি যেন একশর উপর ভারতীয় চিত্রকরকে পারস্যের ক্ষুদ্রকায় চিত্রাঙ্কন (মিনিয়েচার পেইন্টিং) এর কায়দা শিখিয়ে দেন।
একই ব্যাপার মোগল পাকঘরেও চলল। এইখানে সূক্ষ্ম রুচির পারসিক পুলাউ এর সাথে দেখা হল ঝাঁঝালো মশলাদার ভারতীয় ভাতের রেসিপি। দুয়ে মিলে তৈরী হল এক অভূতপূর্ব মাস্টারপিস, বিরিয়ানি। পারস্যের একটি অনন্যসাধারন টেকনিক ছিল দইয়ে মাংস জিরানো, বিরিয়ানিতে ঐ দইয়ে মিশিয়ে দেয়া হল পেঁয়াজ রসুন বাদাম আর মশলা। দীর্ঘসময় জিরানো শেষ হলে মাংস তেলে ভাজা হত, তারপরে অন্য ডেগচিতে চালান হত। তারপর পুলাউ এর কায়দা অনুসরন করে আধাসিদ্ধ চাউল ঐ মাংসের উপর ঢালা হত। জাফরানসিক্ত দুধ ঢালা হত তার উপর রঙ আনার জন্য, তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দীর্ঘসময় ধরে দমে রান্না চলতো। ঢাকনির উপর এবং ডেগচির চতুর্দিকে থাকতো তপ্ত কয়লা, ডেগের ভিতরে পুলাউ এর ভিতরেও কিছু।
আকবরের পাকশালার বাবুর্চিরা এক ঘন্টার নোটিশে একশর উপর অভ্যাগতর খাবার প্রস্তুত করতে সক্ষম ছিল। আকবর তার বাবুর্চি ব্যাটালিয়নে সমগ্র মুসলিম বিশ্ব আর উত্তর ভারত থেকে রিক্রুট করতেন। যে যার মত দুর্দান্ত টেকনিক আমদানী করেছিল, তারা নিজেরাও একে অপরের কাছ থেকে শিখত। এভাবেই গড়ে উঠে কালজয়ী মোগলাই কুইজিন। আকবরের ঘনিষ্ঠ আবুল ফজল তার আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে অন্যান্য অনেক কিছুর পাশাপাশি তৎকালীন রান্নার রেসিপিও রেখে গেছেন। সেখানে দেখা যায় মোগল বাবুর্চিরা যেসব উপাদানের উপর জোর দিত তার মধ্যে চাউল, ডাল, আটা/ময়দা আর চিনি উল্লেখযোগ্য। কৃষিকাজের উন্নতির সাথে সাথে এসব উপাদান সহজলভ্য হয়ে আসে, আকবরের আমলে আবাদী জমির পরিমাণ বাড়ানো হয় আর সেচের পানির ব্যবস্থা উন্নত হয়। চিনির আবাদ বাড়ানো হয় আর কিছু কিছু স্থানে প্রথমবারের মতন বছরে দুইটি ফসল উৎপন্ন করা শুরু হয়। সপ্তদশ সতাব্দীর এক পর্যটক ভারতের বাজারে দোকানের পর দোকানে পটের উপর পট ডাঁই করা তেলের ভান্ড, চাল ডাল ময়দা আর অসংখ্য শস্যের ঝুড়ি দেখে তার বিস্ময়ের কথা লিখে গেছেন।
মোগলাই খাবারে আরেক গুরুত্বপূর্ণ পদ জাফরান আর হিং। এগুলি পারসিক উপাদান, মোগল আমলে ভারতে এর চাষ শুরু হল। হিন্দু নিরামিশাষী জনগণ লুফে নিল হিং, হাল্কা তেলে হিং ভাজলে রসুনের মত ফ্লেভার বেরোয় যা পেঁয়াজ রসুন এড়িয়ে চলা হিন্দুদের ভারি পছন্দ হল। এইরকম হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে হিং খাওয়া ধরল, কিছু পর্যটক লিখে গেছেন যে ভারতবাসী এতই হিং খায় যে তাদের মুখে ভারি বদ গন্ধ!
অনেক রেসিপিতে বিপুল পরিমাণ কিসমিস আর বাদাম দরকার ছিল, যেমন জর্দা বিরিঞ্জ রেসিপিতে। মাংস আর শুকানো ফল ছিল পারস্যের খাবারে বহুল প্রচলিত, তাই টনকে টন এপ্রিকট, ডুমুর আর কাজুবাদাম ভারতে আমদানী হতে থাকল। এছাড়া উত্তর ভারতের হাঁস আর নানাবিধ সবুজ সব্জী যুক্ত হতে থাকল মোগলাই কুইজিনে।
আইন-ই-আকবরি অনুযায়ী জর্দা বিরিঞ্জের রেসিপিঃ
"১০ সের চাউল, ৫ সের মিছরি, ৩.৫ সের ঘি; কিসমিস, কাজু আর পেস্তা বাদাম (আধ সের করে), একপো লবণ, আধপো আদা, জাফরান, দারচিনি। মোটামুটি চারজনের খাবার হবে এতে, কেউ কেউ এতে মাংসও দিয়ে থাকেন।"
মাংসের পদগুলিতে প্রচুর কিমা ব্যবহৃত হত, কিমা ছিল পারসিক বাবুর্চিদের ভারি পছন্দ। মাংস কিমা করে রাখা গরম দেশগুলির জন্য খুব কাজের জিনিস, কারণ পশু জবে করার কিছুক্ষনের মধ্যেই তা রান্না না করলে মাংসের চাকাগুলি খুব শক্ত হয়ে যায়। মুসলমানরা প্রচুর পেঁয়াজ রসুন খেয়ে থাকে। আবুল ফজল দোপেঁয়াজা বলে একটা খাবারের রেসিপি দিয়ে গেছেন, দুইটি পেঁয়াজ ব্যবহৃত হয় তাই নাম দোপেঁয়াজা। একটা পেঁয়াজ কেটে ভাজা হয়, অন্যটি পিষে পেস্টের মতন করা হয়। মোগলাই দোপেঁয়াজায় গোলমরিচ, হলুদ, ধনেপাতা, এলাচ আর রসুনের কোয়া দেয়া হত, আর প্রচুর লবণ।
বিপুল পরিমাণ খাবার প্রতিদিন প্রস্তুত হলেও আকবর খেতেন অল্প। যৌবনে তার মত খাদক কমই ছিল, কিন্তু দ্রুত তিনি খাওয়া কমিয়ে আনেন। আবুল ফজল বলে গেছেন যে আকবর দিনে একবেলা খেতেন, যত বয়েস হচ্ছিলো তার খাবারের পরিমাণ যাচ্ছিল কমে। মাংসের প্রতিও তার কেমন বিতৃষ্ণা জাগে পরেরদিকে, তিনি এক পর্যায়ে নিরামিশাষীই হয়ে গেছিলেন বলা চলে। যুদ্ধযাত্রার আগে বাবুর হুমায়ুন মাঝে মধ্যে মদমাংস খেয়ে তাজা হয়ে নিতেন, যদিও মদ ইসলামে নিষিদ্ধ। আকবরের এগুলোর বালাই ছিলনা, তিনি সন্ন্যাসব্রতই নিয়েছিলেন বলা চলে।
শুক্কুরবার শুক্কুরবার আকবর নানাবিধ মোল্লামৌলবির জমায়েত করতেন, আর ধর্মের বিবিধ দিক নিয়ে আলোচনা চলতো। প্রথমদিকে খালি মুসলিম পন্ডিত এলেও পরেরদিকে আকবর ওপেন ফর অল করে দেন, দাঁতে দাঁত চেপে অক্ষম আক্রোশে মোল্লারা দেখেন আকবরের দরবারে হিন্দু জৈন পার্সি এমনকি পর্তুগীজ পাদ্রীদের আগমন। নানারকম গুজব ছড়াতে থাকে, লোকে বলাবলি করে যে প্রতি রাতে আকবরের রুমের জানলা বেয়ে নাকি এক বামুনঠাকুর উঠে তাকে রামায়ন মহাভারতের গপ্পো শুনিয়ে ঘুম পাড়ায় আর তাকে বুঝায় হে সম্রাট গরু খাওয়া মহাপাপ কিন্তু! আকবর করলেন কি, বিশেষ ধর্মীয় দিনে সারাদেশে গরু জবে আর মাংস বিক্রয় নিষিদ্ধ করে দিলেন, আর দরবারের লোকেদের বললেন পেঁয়াজ রসুন বাদ দিয়ে খেতে।
আকবর কেমন দেখতেও হিন্দুদের মতন হয়ে গেলেন, মুসলমানদের ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট চুল রাখার বদলে হিন্দু মহারাজদের মত লম্বা চুল রাখলেন, তিনি হিন্দু বামুনদের অনুমতি দিলেন তার কোমরে মোতি বসানো বিছা লাগিয়ে দিতে, আর তার দেখাদেখি অনেক সভাসদ হাতে রাখি পরা শুরু করল। পুত্র জাহাঙ্গীর আর নাতি শাজাহানও আকবরের এই প্রথাগুলো টিকিয়ে রাখেন, বিশেষত গরু জবে নিষিদ্ধের ব্যাপারটা। এছাড়া সপ্তাহের বিশেষ দিনে তারা মাংস ছুঁতেন না, আর যে জিনিসটা পরবর্তী সকল মোগল সম্রাট মেনে চলতেন তা হল তারা কেউই গঙ্গার পবিত্র পানি ছাড়া পানি পান করতেন না।
মোগলেরাই পারস্য থেকে শরবৎ আমদানী করেছিল, ফলের রসের সাথে বরফ কুঁচি মিশিয়ে। কিন্তু তা খাওয়া হত খাবার ছাড়া অন্যান্য সময়, খাবারের সময় ছিল শুধু পানি। আকবর গঙ্গার পানিকে বলতেন অমৃত জল, আর তিনি গঙ্গা থেকে যত দূরেই থাকতেন তিনি ঐ পানিই খেতেন। জঁ ব্যাপ্তিস্ত তাভের্নিয়ে দেখেছিলেন উটের পর উটের সারি দরবারের জন্য গঙ্গার পানি নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আকবর যখন গঙ্গা নদী থেকে ২০০ মাইল দূরে পাঞ্জাবে ছিলেন, বড় পাত্রে পানি ভরে সেখানে চালান দিত রানারের দল। তাভের্নিয়ে অবশ্য তার গ্লাসের গঙ্গার পানি দেখে অমৃত জল বলেননি, বরং মদের সাথে মিশ্রিত ময়লা পানি দেখে তার মুখ বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চাকরনফরেরা যারা মদ ছাড়া খালি ঐ পানি খেত তাদের চেয়ে সভাসদদের অবস্থা ভালো ছিল।
মোগল আমলে সকল অভিজাত ব্যক্তিই ছিলেন ভোজনবিলাসী, তারা সম্রাটকে নিত্যনতুন খাবার খাইয়ে চমকে দিতে চাওয়ার অভিলাষে দেশ বিদেশ ঢুঁড়ে ধরে আনতেন নানাবিধ পাকা রাঁধুনি। আসফ খাঁ যখন শাজাহানকে দাওয়াত দিয়ে আনেন তখন তিনি ইয়োরোপীয় কুইজনের ব্যবস্থা করেন, কেকপেস্ট্রি তৈয়ার করে কিছু পর্তুগীজ দাস।
আসফ খাঁ সাহেবের মোগলাই ব্যাঙ্কুয়েটের বর্ণনা দিয়ে গেছেন ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমসের ভারতীয় দূত টমাস রো এর পাদ্রী এডওয়ার্ড টেরি। রো কে পাঠানো হয়েছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মোগলাই ফরমান বের করে আনার জন্য, ওলন্দাজ আর পর্তুগিজ কোম্পানীর ভারতে ব্যবসা করে লাল হয়ে যাবার ঘটনায় ইংরেজ তখন হিংসায় জ্বলেপুড়ে ছারখার।
খাবার পরিবেশিত হল দস্তরখান পেতে, তা ঘিরে তিনজন করে বসল। অতিথি হিসেবে রোকে দশটি অতিরিক্ত পদ দেয়া হল, আর সবচেয়ে কম মর্যাদার লোক টেরি পেলেন দশটা পদ কম। যাইহোক, পঞ্চাশটা বাটি পাতা হল, প্রতিটি বাটি থেকেই অল্প চাখলেন টেরি। নানান রঙের ভাত, বিশেষত গোলাপী আর সবুজ ভাত তার মন কেড়ে নিল। তিনি লিখে গেছেন যে ভাত রান্নায় ভারতীয় বাবুর্চিরা ইংরেজ পাচকের চেয়ে অনেক ভালো, তাদের ভাত ঠিক ঠিক সিদ্ধ হয়। বেশিও না কমও না। এছাড়া তারা অল্প আদা গোলমরিচ আর মাখন দেয় ভাতে।
মোগলদের মাংস রান্নার কেতা টেরির ভারি পছন্দ হল, তিনি লক্ষ্য করলেন যে আস্তা মাংসের চাক সিদ্ধ, বেক বা রোস্ট করার পরিবর্তে ছোট ছোট টুকরায় কেটে পেঁয়াজ আর অন্যান্য মশলায় ভেজে তারপর স্টু করা হচ্ছে, যা খাবারের স্বাদই বদলে দিচ্ছে। এইটেই প্রথম ইয়োরোপীয়দের কারির বর্ণনার অন্যতম, কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি বিভিন্ন কারির বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে যাননি। তিনি খাবারের বর্ণনা শেষ করলেন এই বলে যে খানাদানা চলছিল অতি দীর্ঘসময়, আর ততক্ষণ পা মুড়ে বসে থাকতে থাকতে উনার দফারফা।
আকবরের বংশধর জাহাঙ্গীর আর শাজাহানের আমলে মোগল সাম্রাজ্য তুঙ্গে ওঠে, শাজাহানের সম্পদ ছিল ১৬৪৭ সালের হিসেবে দুইশ বিশ মিলিয়ন রূপী। তার মধ্যে তিনি তিরিশ মিলিয়ন খরচ করতেন নিজের জন্য। চিত্রকলা, কাব্য, স্থাপত্য (বিশেষত বউয়ের কবরের উপর স্থাপিত তাজমহল) ইত্যাদিতে প্রচুর পয়সা ঢালা হল। মোগল পাকশালাতেও খরচ করা হয় অঢেল অর্থ। জাহাঙ্গীরের ইরানী বউ নূরজাহান দুর্দান্ত কিছু রেসিপি প্রস্তুত করেন, আর জাহাঙ্গীর নিজে গুজরাতি খিচুড়ি আমদানী করেন কিচেনে। গুজরাতের কোন এক এলাকা পাড়ি দেবার সময় তিনি যে খিচুড়ি খান ঐটা খেয়ে তিনি ঘোষণা দেন যে এই অতি চমৎকার টেকনিক তার পাকশালায় নিয়ে যাওয়া হোক আর সপ্তাহের নিরামিষ দিনগুলোয় তাকে খিচুড়ি খাওয়ানো হোক। নগদে পাকড়ে নিয়ে যাওয়া হল ঐ গুজরাতি কুককে। পরে আরো বিভিন্ন রেসিপির খিচুড়ির চল হয় মোগল প্রাসাদে, শাজাহানের আমলে সেবাস্টিয়ান মানরিককে প্রচন্ড জমকালো মশলাদার খিচুড়ি খেতে দেয়া হয়, ঐ খিচুড়ি নাকি পালাপার্বণে বাঙালিরা ভোজে খেত। ঐ খিচুড়িতে ছিল কাজুবাদাম, কিসমিস, রসুন, জয়ত্রী, জায়ফল, এলাচ, দারচিনি আর গোলমরিচ।
মোগলেরা যখন যুদ্ধে যেত তখন তাদের সাথে সাথেই ঘুরত পোর্টেবল কিচেন। বলা হয়ে থাকে যে, মোগল বাদশা পরদিন সকাল দশটায় যুদ্ধযাত্রা করবেন এরকম প্ল্যান হলে আগের দিন রাত দশটা থেকেই পাকশালা ব্যস্ত হয়ে যেত, যেন সময়মত পরদিন সকালের প্রাতরাশের ব্যবস্থা হয়। পঞ্চাশ উটের পিঠে চড়ে দুইশ কুলি সহযোগে খাবার চালান হত, কুলিদের মাথায় থাকত নানাবিধ থালা বাটি চামচ খুন্তির ঝাঁকা। পঞ্চাশটি উত্তম গরু দুইয়ে ফ্রেশ দুধের ব্যবস্থা করা হত যেন প্রয়োজনীয় দুধ ক্রীম দই মাখন পাওয়া যায়। মোগলদের একটি প্রিয় জায়গা ছিল কাশ্মীর, বিশেষত গরমের সময়ে। এই কাশ্মীরেই স্থানীয় কায়দার সাথে মিলে একটি খাবার নিখুঁত হয়ে উঠলো, খাবারটির নাম রোগান জোশ।
রোগান জোশের উৎপত্তি পারস্যে, ফার্সিতে রোগান মানে মাখন আর জোশ মানে তপ্ত। মাখনে মাংস রান্না হয় দেখে এরূপ নামকরণ। কাশ্মীরে স্থানীয় উপকরণ দিয়ে এই খাবার প্রস্তুত হল। কাশ্মিরী ব্রাহ্মণেরা মাংস রাঁধে ঠিকই কিন্তু পেঁয়াজ রসুন বাদে, তারা বরং তাদের ভার্সনে ব্যবহার করল মৌরি আর হিং। এছাড়া কাশ্মিরের মুসলমান পাচকেরা দিল পেঁয়াজ রসুন আর স্থানীয় মোরগচূড়া গাছের শুকিয়ে যাওয়া ফুল। এই ফুলের রঙ টকটকে লাল, তাই রোগান জোশের রঙ দাঁড়ালো লালচে। কেউ কেউ বলে থাকেন একারণেই খাবারটির নাম রোগান জোশ, কাশ্মিরি ভাষায় রোগান অর্থ লাল।
বাবুরের ভারত নিয়ে অন্যতম খেদ ছিল যে এইখানকার ফলগুলি একবারে বাজে। জীবনের শেষদিকে তিনি আঙুর আর তরমুজের চাষ করিয়েছিলেন, সেই মিষ্টি তরমুজ খেয়ে হোমসিক বাবুরের চোখে পানি চলে আসে। আকবর বিরাট ফলের বাগান করেন, তা ছিল পারস্য আর মধ্য এশিয়ার নানান ফলে পরিপূর্ণ। জাহাঙ্গীর সমরকন্দ আর কাবুলের আপেলের প্রশংসা নিয়ে দিস্তে দিস্তে পাতা লিখে গেছেন, আরো লিখেছেন এক বসায় সর্বোচ্চ কয়টা চেরি খাওয়া যায় অথবা তাদের পারসিক তরমুজ খেয়ে আহমেদাবাদের শেখেদের চোখ কেমন ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল। শেখেদের গুজরাতি তরমুজ ছিল সাইজে ছোট, মিষ্টিও কম।
ফলফ্রুট নিয়ে মোগলেরা ভারি অস্থির ছিল, টমাস রো অবাক হয়ে গিয়েছিলেন দেখে যে এরা ফলের পিছনে কত টাকা খরচ করে। এ ব্যাপারে তার বিরক্তিও ছিল, আসফ খাঁ যখন উপহার হিসেবে বিশটি তরমুজের ঝুড়ি পাঠান তখন রো বিরক্ত হয়ে লিখে যান, “এদের খালি খাই খাই। এখন পর্যন্ত আমি যা পেলাম তার সবই হয় খাওয়া যায় নাইলে পান করতে হয়।” ফল এতটাই উচ্চ মর্যাদার ছিল যে তা উপঢৌকন হিসেবে ব্যবহৃত হত। বলখের রাজা যখন শাজাহানের পুত্র আওরঙ্গজেবের কাছে বার্তা পাঠান তখন সাথে গিয়েছিল ১০০ উট বোঝাই ফল আর বাদাম। (সাথে আরো এসেছিল সপ্তদশ শতাব্দীর ভায়াগ্রা, বাক্সবন্দী একরকম বিস্বাদ দুর্গন্ধী মাছ যা নাকি কামোত্তেজনা বাড়িয়ে দিত)।
জাহাঙ্গীর শাজাহান জীবনেও মধ্য এশিয়া যাননি, তাই তাদের হৃদয় হিন্দুস্তানেই পড়ে ছিল, তাদের প্রিয় ফল ছিল আম। আম সম্পর্কে বাবুর বলে গেছে ঐটে হিন্দুস্তানের সেরা ফল বটে তবে তেমন আহামরি কিছু না। ৮০ বছর পরে জাহাঙ্গীর ঘোষণা করেন আমের কাছাকাছি একটা কাবুলি ফলও আসতে পারেনা। স্বাদ অথবা মিষ্টতা কোন দিক দিয়েই। একবার শাজাহান তার পুত্রকে কড়া চিঠি দেন কারণ ছেলে নাকি দাক্ষিণাত্যের অত্যুত্তম মিষ্টি আম তাকে না পাঠিয়ে নিজেই সব খেয়ে ফেলছে!
শাজাহানের চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য, ময়ূর সিংহাসন, আলো ঝলমলে পাকশালার দুর্দান্ত রান্নাবান্না সবই এসেছিল ভারতের গরীব চাষার পয়সায়, যারা যত দিন যাচ্ছিল ততই আরো গরীব হয়ে পড়ছিল। ১৬৩০ সালে ভারতজুড়ে নেমে আসে খরার করালগ্রাস, ইয়োরোপীয় পর্যটকেরা লিখে গেছেন কিভাবে ভারতীয়রা গোবরগাদায় খাদ্যকণা নিয়ে মারামারি করতো। গ্রামকে গ্রাম উজাড় হয়ে যায়, রাস্তার পাশে জমা হয় লাশের স্তুপ। পরে লঙ্গরখানা খোলা হয় আর চাষীদের কাছ থেকে খাজনা আদায় স্থগিত করা হয়।
শাজাহান ছিলেন একটি অপদার্থ শাসক। ভারতে শাসন পোক্ত করার বদলে তিনি অযথা মধ্য এশিয়ায় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। তার কাঠমোল্লা পুত্র আওরঙ্গজেব মোগল দরবারে ইসলামের আধিপত্য পুনর্বহাল করেন। দিল্লীতে মদ প্রস্তুত নিষিদ্ধ করা হয়, কাউকে মদ বিক্রি করতে দেখলে সে হিন্দুই হোক বা মুসলমান ঘ্যাচাং করে তার একটা হাত বা পা নামিয়ে দেয়া হত। সঙ্গীত নিষিদ্ধ করা হয় দরবার থেকে। এই এত কিছুর মধ্যেও যা টিকে ছিল তা হল পূর্বপুরুষের খাবারের প্রতি ভালোবাসা। তিনি দৈনিক হাজার রূপী খরচা করতেন খাবারের পিছনে, আর চলতো নূতন পাচকের খোঁজ। যখন তার পুত্র সুলেমান নামক বিরিয়ানি বাবুর্চিকে পাঠাতে অস্বীকার করে, তিনি অস্থির হয়ে তাগাদা দেন যেন সুলেমানের কায়দাকানুন জানা কোন শিষ্যকে অন্তত পাঠানো হয়।
১৭০৭ সালে আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরে মোগলদের ক্ষমতা কমে আসে, ভারতের বিভিন্ন স্থানে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে স্থানীয় রাজারা। মোগলদের খাবারের ঐতিহ্যটাও আস্তে আস্তে তাদের হাতেই চলে যায়।
(সমাপ্ত)
লিজি কলিংহ্যাম রচিত Curry: A Tale of Cooks and Conquerors এর কিছু অংশের ছায়ানুবাদ।
মন্তব্য
লেখায়
আচ্চা পীরছাহেব, মোগল আমলে এন্টাসিড পাওয়া যাইতো কিনা এমন তথ্য পেয়েছেন কোথাও?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হা হা হা হা! আপনার কমেন্টেই দিলাম
কথা সইত্য, যে পরিমাণ তেলঘিমশলা তাতে মানুষ বেঁচে থাকতো ক্যামনে ওইটাই চিন্তার বিষয়। খাবারে টক দই ব্যবহার হইত রেগুলার, আন্টাসিডের কাছাকাছি এটাই মাথায় আসতেসে। এছাড়া ফলফ্রুট। বাকী সব উপরওয়ালার মেহেরবানি
..................................................................
#Banshibir.
ছিল। ক্ষার হিসেবে খুব পাতলা করে চুণের পানি খাওয়া হতো। সাথে ঠাণ্ডা পানি খাওয়া আর পেটের ওপর ঠাণ্ডা জলপট্টি দেয়া হত। বেশি চর্বিদার খাবার খাওয়ার পর কেউ কেউ লেবু-জল (নিম্বুপানি) খেতেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মজা লাগল। 'এন্টাসিডের' বিকল্প হিসাবে এগুলির ব্যবহার আমি সরাসরি দেখেছি (মনে করেছিলাম একটা শুধু 'লোকালাইজড' ব্যাপার)। এই মুহূর্তে আরেকটা মনে পড়ছে - কাপড় ধোয়ার সাবান অনেকক্ষণ পানিতে চুবিয়ে রেখে যে ঘন তরল তৈরী হয়, তা দিয়ে গাড়ির 'ব্রেক-ওয়েলের' বিকল্প তৈরী করা।
"১০ সের চাল+৫ সের মিছরি+৩.৫ সের ঘি+...=৪জনের খাবার(তাও মোটামুটি)"...
তাই তো কয়
..................................................................
#Banshibir.
ঔরঙ্গজেব ছাগু ছিল
হ। ছাগুচিফ।
..................................................................
#Banshibir.
আমাদের স্কুলের ইতিহাস বইতে যদি এমন মজা করে লেখা থাকত! সন তারিখ মনে রাখার সেই ভীতি এখনো মনে পড়ে!
এন্টাসিড এর অভাবেই মোগল সম্রাট রা হারিয়ে গেল কিনা কে জানে
ওরে, আপনে হাচল হয়া গেসেন? সাব্বাস! আমি আপনের হয়া সুপারিশ করসিলাম কিন্তু
অভিনন্দন!
..................................................................
#Banshibir.
ওমা, আপনি সুপারিশ করবেন ক্যান? আপনি তো দিবেন ফু:
..................................................................
#Banshibir.
অনেক অনেক ধন্যবাদ পীর সাহেব এর সুপারিশ কে পারে ফেলতে!! হাহাহাহা - আমি অবশ্য অনেক আগে থেকেই আপনার মুরীদ
খাবারের বর্ণনা মধ্যরাতে পড়ছি। আর ফ্রিজে 'ফখরুদ্দিনের বিরিয়ানী' ছিল, এক থালা ওভেনে গরম করে সাথে এক গ্লাস বোরহানি নিয়ে বসেছি।
যাহোক, ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
পেট খারাপ হৈব কিন্তু
..................................................................
#Banshibir.
কী সুন্দর ঝরঝরে গদ্য । চোখ বন্ধ করে বলতে পারি এটা মহান সত্যপীরের পোংটা লেখা । পোংটা-স্টাইল লেখা ভাল লাগে ।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
..................................................................
#Banshibir.
লেখা ভাল্লাগছে
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ধইন্যবাদ
..................................................................
#Banshibir.
রোগান জোশ খাইছি। মোগলাই লেখা ভাল পাইলাম।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমিও রোগান জোশ খাইছি, তবে মোরগচূড়া ফুলের বদলে ফুড কালার দিয়া লাল রঙ করা
..................................................................
#Banshibir.
মোরগ ঝুটি নামে একটা ফুল চিনতাম, আমাদের বাসার সামনের উঠানে ছিল। নেট ঘেটে ছবিও পেয়ে গেলাম, আপনার মোরগচূড়া আর এই মোরগ ঝুটি কি একই ফুল?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
জ্বী সজল ভাই, এইটাই। Cockscomb flower। কাশ্মীরে নাকি এইটা অনেক হয়।
..................................................................
#Banshibir.
উরিব্বাস! দারুণ দিছেন দাদা।
সের আর কেজির সম্পর্ক কী?
সের আর কেজি কাছাকাছি, হাল্কা বেশকম। ঠিক হিসাবটা কইতে পারলাম না, ১ সের = ০.৯/০.৯৫ কেজি হইব।
..................................................................
#Banshibir.
কতটা নির্ভরযোগ্য জানি না, তবে এখানে পেলাম ১ সের = ০.৯৩ কেজি।
ছোটবেলায় একটা শিক্ষামূলক গান শুনতাম,
"আশি তোলায় সের হইলে চল্লিশ সেরে মণ
মনে-মনে এক মন না হইলে মিলবে না ওজন"
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এটাই ঠিক। ক্লাস ফাইভের বইতে এটাই দেয়া আছে। ১ সের= ০.৯৩ কেজি।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
১ সের = ৯৩৩ গ্রাম
১ কেজি = ১ সের ১ ছটাক ১ তোলা।
৪ ধান = ১ রতি;
৪ রতি = ১ আনা;
১৬ আনা = ১ ভরি = ১ তোলা;
৫ তোলা = ৪ কাচ্চা = ১ ছটাক;
৪ ছটাক = ১ পোয়া;
৪ পোয়া = ১ সের;
৪০ সের = ১ মণ
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
---------------------
আমার ফ্লিকার
পীর সাহেব, হিং-নামটা শুনেই দেখতে ইচ্ছে করছে।
সৌরভ কবীর
হিং এর প্রতি এহেন ভালোবাসার কারণ?
..................................................................
#Banshibir.
মুঘল সম্রাটরা গঙ্গার পানি খাবার পানি হিসেবে ব্যবহার করার কথা লিখেছেন। ঐ সময়ে কি রাজ দরবারে পানি বিশুদ্ধিকরণের কোন পন্থা ছিল? আর একটা মজার জিনিস আমি মোটামুটি ইউরোপে বা ভারতীয় উপমহাদেশের রাজপ্রাসাদগুলোতে লক্ষ্য করেছি, তা হল এত এত বিশাল কাজ কারবার হয়ে যাচ্ছে অথচ রাজপ্রাসাদে টয়লেট নেই কোন। অন্ততঃ আমার চোখে পড়েনি। ঐ সময় সম্রাট-সম্রাজ্ঞীদের হাগা-মোতা বন্ধ ছিল নাকি? আর একটা জিনিস, আমাদের ইফতারির নানাবিধ পদগুলো যেমন বেগুনি, পেঁয়াজু, চপ, ছোলা এগুলোর চলও কি মোঘলরাই শুরু করেছিল? খাবারগুলোকে বাঙালি খাবার বলে মনে হয়না ঠিক।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
পানি বিশুদ্ধিকরণের কিছু নাই, ঐ চামড়ার ব্যাগে ভইরা আনা ময়লা পানিই অমৃতজ্ঞানে খাওয়া হইত। গঙ্গাজল বইলা কথা।
কিছু মোগল প্রাসাদে টয়লেট ছিল হাম্মামখানার সাথে, এক কোণায়। ঐখানকার নালা দিয়া মোগলাই হাগুমুতু সরাসরি যমুনা নদীতে গিয়া পড়ত শুনছি। নদীর পাড়ে প্রাসাদ করার অনেক ফায়দা বুঝলেন সুমাদ্রী ভাই?
..................................................................
#Banshibir.
উহু যদি ভুল না হইয়া থাকে তাইলে পাতন পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ করা হইত। লাল কেল্লার ছবিটা পাইতেছি না, পাইলে আপলুড করব। তবে জয়পুরের এক রাজপুতের পানির কলসির ছবি পাইলাম স্টকে, এই রকমই কিছু একটা বা বেটার ভার্সন ছিল হয়ত আকবরের কলসের।
মোগলাই খাবারের উফরে কিছু নাই। কাচ্চি!!বিরানি!! আহা এইডি যদি ভাতের মত ডেইলি খাওন যাইত!!
পোস্টে ৫ টুদি পাওয়ার ইনফিনিটি তারা
ক্লোন৯৯
এই ওয়াটার ডিস্টিলারি হাম্মামখানার জন্য, বাদশা যে গঙ্গার পানি খেতেন ঐটা কোন ফিল্টারিং হইত না মনে হয়।
ছবিতে গার্ডের পাশের ভদ্রলুক বুর্কা ফটোশপ করা ক্যান?
..................................................................
#Banshibir.
গার্ড মচুয়া মামুর সূত্রমতে রাজা সাহেবের জন্য এইডা ভইরা খাবার পানি নাকি হাতির পিঠে নিয়া যাইত!!
ঐডা ফডুশপ না। মডুরা মুখে চুনকালি মাইখ্খ্যা দিছে। আপনের কথামত দুইলাইন দুইলাইন কইরা একখান পোষ্ট লিখছিলাম মাগার মডু মামুর চেকপোস্টা পার হইতে পারে নাইক্কা, উল্টা মুখে চুনকালি মাইরা দিছে!!
মডুগো দিলে রহম নাই। লিখা থামায়েন্না যেন!
..................................................................
#Banshibir.
দোয়া রাইখেন। চিন্তা করছি নেক্সট লেখার আগে মডুর বাড়ীতে কাচ্চি প্লাস বোরহানি পাঠাইয়া দিমু। খালি ঠিকানাটা পাইতেছি না
এইখানে ৮১৩ পাতায় আকবরের পানি সাপ্লাই নিয়া কিছু কথা আছে। দেখা যাইতাছে পানির সাথে সোরা মিশানো হইতো। এতে অবশ্য় ঘটনার বিশেষ তারতম্য় হইত না। কারন সেইকালে সোরা প্রস্তুত করা হইত মানুষ ও গবাদি পশুর মুত্র থেইকা।
পানির মধ্যে সোরা দিত নাকি? আমি অন্য এক জায়গায় পানি ঠান্ডা রাখার কায়দা হিসাবে সোরা ব্যবহারের কথা শুনছি, আমি ভাবসি সোরার মধ্যে পানির গামলা চুবায় রাখে বুঝি।
মহান মোগল সম্রাটের পানিতে মিশানোর জন্য প্রস্তুত সোরায় কার মূত্র আছিল? বেশ একটা পোয়েটিক জাস্টিস মনে হইতেছে
..................................................................
#Banshibir.
বারুদ (সোরা) নিয়া একটা লেখা বানাইবার লাগছি। সেখানে এইটা আইলেউয়াইতারে।
..................................................................
#Banshibir.
পানিতে সোরা বা পটাশিয়াম নাইট্রেট মেশানোর মূল কারণ হচ্ছে খোসপাঁচড়া থেকে বাঁচা। তবে পানিতে সোরা মেশানোর একটা vulnerability-ও আছে। সোরা মেশানো পানি দিয়ে স্নান করার পর যে তোয়ালে দিয়ে গা মোছা হবে সেটা দাহ্য পদার্থে পরিণত হবে। খাবার পানি পরিশোধনের জন্য পিরামিডাকৃতির একটা কাঠের ফ্রেমে, তলায় ছিদ্র করা বড় থেকে ছোট আকারের কলস বসানো থাকতো। সেই কলসের এক একটার মধ্যে মিহি বালি, মোটা বালি, পাথুরে কয়লা এই ধরনের ন্যাচারাল স্ট্রেইনার থাকতো। উপরের কলস নিচের কলসের সাথে সুতী বা মসলিন কাপড় দিয়ে যুক্ত থাকতো। গঙ্গাজলের ব্যাপারটা নিশ্চিত নই, তাই কিছু বলতে পারছি না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার মামা একবার এক বোতল গঙ্গাজল নিয়ে এসেছিল আমাদের বাসায়। খুব পবিত্র জল নাকি। গায়ে দিলে অসুখ-বিসুখ, খোস-পাঁচরা, দাউদ-একজিমা থেকে মায় জণ্ডিস-যৌনরোগও নাকি সেরে যায়। কিছুদিন পর পাশের বাসার চাচী মাকে এনে দিল এক শিশি জমজম কুয়ার পানি। উনার বৃত্তান্তও ঐ একই ছিল। একবার লুকিয়ে লুকিয়ে দুই বোতল থেকেই কয়েক চামচ পানি একটা কাপে ঢেলে মিশিয়ে খেয়ে ফেলেছিলাম যাতে সারাজীবন আর কোন বালাই-মুসিবত না হয়। তার পরদিন থেকে সপাহব্যাপী আমার টানা লুজ মোশন চলেছিল। বোধহয় ছদ্দা-ভক্তি কম করেই খেয়েছিলাম বলে অমনটা হয়েছিল।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
গঙ্গাজলও খাইসেন জমজমের পানিও খাইসেন? এক মেশিনে নর্টন ম্যাকাফি ইন্সটল করার মতন অবস্থা, এইজন্যই মনে হয় লুজ মোশন হইসে। দুই ধর্মের দুই পানিতে লাগসে কাইজা
আমার পানিপড়া ট্রাই করে দেখতে পারেন। ক্রেডিট কার্ড নাম্বারসহ গোপনে যোগাযোগ করেন
..................................................................
#Banshibir.
পানির পবিত্রতার ব্যাপারটা সব ধর্মেই বোধহয় কমবেশি আছে। ভারতে যেমন ঐশ্বরিক উৎসের গঙ্গা, প্রাচীণ মিশরেও তেমনি ছিল নীলনদ - স্বর্গ থেকে প্রবাহিত। কায়রোর কাছে এখনকার নীলের পানি আপনার খাওয়া লাগবে না, গায়ে ছোঁয়ালেই এগজিমা হয়ে যাবে। গঙ্গারও মনে হয় অনেক জায়গায় একই দশা এখন।
জমজমের ব্যাপারটাও অনেকটা একই রকম। মুসলমানরা অনেকে মনে করেন জমজমের বিষয়টা খুব ইউনিক। আসলে হাজার হাজার বছর ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে পৃথিবীর প্রাচীণতম সুমেরিয়ান (সম্ভবত 'এরিদু'-তে) মন্দির থেকেই মন্দিরের আঙিনায় একটা কুয়া থাকা ধর্মীয় রীতি। সুমেরিয়রা মনে করত সৃষ্টির আদিকাল থেকেই, মানুষ/পৃথিবী/স্বর্গ সৃষ্টিরও আগে থেকে, তাদের ভগবান এন্কি এক লবনপানির সাগরে বসবাস করতেন। কোন কোন মিথে একুফায়ার। এর কোনখান থেকেই তিনি উঠে এসেছিলেন। এই সূত্র ধরেই পরে মাটির তলার এ্যাকুফায়ারের পানিও তাদের কাছে পবিত্র হয়ে যায়। আর ঐ কুয়াগুলির পানি, তাদের ধারণায় এইসব এ্যাকুফায়ার থেকেই আসত। সে হিসেবে এগুলিও মহাপবিত্র। ইশ্বরের জন্মস্থল বা উৎস অলৌকিক মাজেজাযুক্ত পানি। সেই থেকে তাদের সর্বপ্রথম এনকির মন্দির থেকে শুরু করে পরবর্তীকালের মন্দিরগুলিতেও এই কুয়া থাকত, যা এব্রামাইক ধর্মগুলিতেও ধারাবাহিকতা সূত্রে চলে এসেছে। আমার ধারণা জমজমের ব্যাপারটাও অনেকটা তাই। ইসলামের অধিভূক্ত হওয়ার আগে এটা তো একটা প্যাগান মন্দিরই ছিল, তাই না? আরেকটা মজার ব্যাপার হল, সুমেরিয়ানরা তাদের ভগবানের আদি উৎস সাগর আর পরবর্তীকালে এইসব কুয়া বা তার পানিকে "আবজু" বলত। "আবেজমজম" নামটার সাথে এর কোথায় যেন একটা ধ্বণিগত মিল আছে মনে হয়।
যাইহোক, এত এত মাল্টিকালচারাল অলৌকিক-ঐশ্বরিক মহাপোটেন্ট পানিপড়া খেয়েছেন - এত আপনার পরম সৌভাগ্যের বিষয়। কজনের এমন ভাগ্য হয় বলেন?!! স্রেফ লুজ-মোশান হল? ছিঃ! আপনার তো স্বর্গপ্রাপ্তি ঘটার কথা ছিল! আমার মনে হয় ঐ পানিতে ওয়াসার পানির ভেজাল ছিল, তাই বেঁচে আছেন এখনো!
****************************************
জমজমের কাহিনীওলা (ইস্মাইল সাবের লাথি দিয়া পানি বাইর করার কাহিনী না) কিছু বইপত্র জানা আছে নি মাঝি ভাই? আবজু >>আবেজমজম এইটা নিয়াও কিছু থাকলে দিয়েন।
..................................................................
#Banshibir.
ছায়া অনুবাদ বরাবরের মতই সুখপাঠ্য।
একটা কথা তানসেন এর আসল নাম কি আতা আলী খান ??? এই ব্যাপারে কি কিছু জানেন
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন
রামতনু পাঁড়ে (পাণ্ডে) > আতা আলী খাঁ > মিঁঞা তানসেন। ব্যক্তি এক, কিন্তু নাম এক এক বয়সে ভিন্ন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
রাত সাড়ে চারটা বাজে, খিদা লেগে গেল রে ভাই! কি মুশকিল!
facebook
রাত সাড়ে চারটা বাজে তো সেহরী খান না ক্যান? রোজা রাখেন না রাখেন সেহরী আর ইফতার টা মিস দিয়েন না. এগুলির মেলা বরকত
..................................................................
#Banshibir.
হিং জিনিষ টা কি? নাম আগে শুনছি কিন্তু কখনো চক্ষে দেখি নাই।
মাত্রই ভূতের ভবিষ্যৎ -এর বাবুর্চি খাজা খাঁনের স্কিডটার কথা মনে পড়ছিলো - সাথে সাথেই আপ্নের পোস্ট
এই নিন এটা হচ্ছে হিং।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ পান্ডব'দা
হিং এর কচুরি বৈলা একটা জিনিস আসে, আমার খাওয়ার খুব শখ.
..................................................................
#Banshibir.
মিনিয়েচার পেইন্টিঙের একটা বাংলা করলাম, চিত্রাণু। কেমন শোনায়?
মোগল বাদশার শাহী মেথরদের জন্য এই পোস্টের পতাকা অর্ধনমিত করা উচিত। মোগলাই ইনপুটের বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে মোগলাই আউটপুটও উচ্চাঙ্গের (আয়রনিক্যালি) ছিলো। মোগলাই বাজারসদাইয়ের ফর্দে প্রচুর পরিমাণ পানের বোঁটাও ছিলো মনে হয়। আকবর নিশ্চয়ই সাধে খাওয়া কমায় দেয় নাই।
পোস্টটা পড়তে পড়তে বারবার লোল টানতে হচ্ছিলো। তাহাজ্জুদের নামাজটা আর পড়তেই পাল্লাম্না।
চিত্রাণু শুনতে ভালো শোনালেও অর্থটা বোধকরি ঠিক থাকে না। এরচেয়ে অণুচিত্র ঠিক অর্থের কাছাকাছি যায়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অণুচিত্র শুনলে মনে হয় অণুর চিত্র [যেমন এটা]। গ্রহাণু শুক্রাণু চিত্রাণু ...
'অণুচিত্র'কে 'অণু যে চিত্র' ও চিন্তা করা যেতে পারে। অণুচিত্র বা চিত্রাণু দুটোই মনে হয় গ্রহণযোগ্য।
_____________________
Give Her Freedom!
"অণু" নামটা শুনলেই রাগ উঠে, মনে হয় এক ভ্রমণ ক্রিমিনাল টৈ টৈ কৈরা ঘুরতেসে আর আমি বইসা আসি ঘরে
..................................................................
#Banshibir.
আসলেই......
_____________________
Give Her Freedom!
এই মোগলগুলি যেরম অপদার্থ হিম্ভাই, ফিতাবিহীন জুতা লাগাইতেও এদের দুইটা দাস লাগত. ভাবতেসি এরা হাগুর পরে পিছন ক্লিন করার জন্যও মনে হয় দশটা চাকর রাখত...কেউ গোলাপজল ঢালবে তো কেউ সিল্কি মসলিন দিয়ে পাছা মুছায় দিবে. কেউ হয়ত পাছায় ফু দিয়ে বাতাস করবে. খুবই শরমের ব্যাপার.
..................................................................
#Banshibir.
কেন যেন ঠিক এই জায়গায় এসে ঢাকা উত্তর উরফ দক্ষিণ বলিয়াদির মেয়রেচ্ছু চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিদ্দিকির কথা মনে পড়ে গেলো। উনার কোন এক পূর্বপুরুষ নাকি মোগল বাদশাদের সঙ্গে ওঠবোস করতেন।
..................................................................
#Banshibir.
মোগলদের ছিলো কিনা জানিনা, তবে ইংরেজ রাজাদের এমন একজন থাকতো। তাঁর উপাধি লর্ড গ্রুমস্টুল। এইটা রাজারা মাঝে মাঝে ত্যাঁদড় কোন লর্ডকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যও করতেন। বৌয়ের মাথা কাটা হেনরি ছিলেন এই ব্যাপারে সবার চেয়ে এগিয়ে। তিনি ব্যাপক মাংসাশী ছিলেন। তাঁর ইয়েও নাকি হইতো সেইরকম। চিন্তা করেন আমাদের মউদুদ আহমেদ এরশাদের পিছে খাড়াইয়া আছে, শুরু হইবো যত্ন কইরা এরশাদের আলীম দ্বার পরিষ্কার করন প্রক্রিয়া.....।
যাই হোক, সত্যপীর, কাচ্চির বিত্তান্ত পড়তে দিলেন, কিন্তু মন ভরলো না। শুধু কাচ্চি নিয়া একটা লেখা দেন। .
হিং খাইতে মুঞ্চায়।
কৈ পাই কন্দেহি?
..................................................................
#Banshibir.
- এই মাছটা হচ্ছে ট্রাউট। মধ্য এশিয়ার হ্রদগুলোতে এই মাছ প্রচুর পাওয়া যেতো। এখনো ট্রাউটের মাথার ঝোল aphrodisiac বলে সুনাম/বদনাম আছে। মাছগুলোকে বিস্বাদ-দুর্গন্ধী বলার কারণ সম্ভবত পরিবহনকালে যথাযথ রেফ্রিজারেশন সিস্টেম না থাকায় পচন ধরার জন্য।
১৬৪১ থেকে ১৬৪৭ বলখ (এখন আফগানিস্তানে পড়েছে, এর রাজধানী মাজার-ই-শরীফের নাম প্রায়ই খবরে শোনা যায়) মুঘলদের অধীনে ছিল। শাহ্জাহান তেইশ বছর বয়সী আওরঙ্গজেবকে বলখের গভর্নর করে পাঠান। মধ্য এশিয়াকে কেউই কোনদিন দীর্ঘ মেয়াদে নিজেদের অধীনে রাখতে পারেনি, মুঘলরাও পারেনি। বলখকাণ্ডের পর মুঘলরা সম্ভবত মধ্য এশিয়ার দিকে আর বিশেষ হাত বাড়ায়নি। খানাদানাতে বলখীরা মুঘলদের ঠাকুরদা' শ্রেণীর। বলখের সুলতান আমর্ বিন ইয়াকুব লাইস হরেক রকমের রান্নাবান্না করা আর সেগুলো ইয়ারদোস্ত মিলে খাওয়ার ব্যাপারে এতোই ব্যস্ত থাকতো যে সামানী সুলতান আহ্মাদ বিন ইসমাঈল যে আমু দরিয়া পার হয়ে তার রাজ্যে হাজির হয়ে গিয়েছিল সেটা সে গুরুত্বই দেয়নি। শেষে একবেলার যুদ্ধেই আহ্মাদের কাছে হেরে নিজের কল্লাটা হারাতে হয়।
১৭৩৯ সালে কার্নালের যুদ্ধে মুঘল সম্রাট মুহাম্মাদ শাহ্ রঙিলা ওরফে রওশন আখতারকে পরাজিত করে পারসিক নাদির শাহ্ যখন লাল কেল্লাতে হাজির হয় তখন তাকে প্রচুর ঘি, কিশ্মিশ্, বাদাম, মাংসওয়ালা বিরিয়ানী খেতে দেয়া হয়েছিল। নাদির শাহ্ তখন নাকি সেই খাবার ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন এই বলে যে, এমন সব খাবার খেয়ে আর এমন সব খাবারের যোগাড়যন্ত্র করতে গিয়েই মুঘলরা বুজদীল, অকর্মণ্য হয়ে গেছে। প্রসঙ্গত, নাদির শাহের প্রধান খাবার ছিল শুকনা রুটি আর কাবাব।
মুহাম্মদ শাহ্ রঙিলা'র একটা গল্প বলি। জনাব রঙিলা জীবনের শেষভাগে গুজরাতে গিয়েছিলেন দস্যু দমনে। দস্যুরা গুজরাতের অলিগলি চেনে, তাই তারা রঙিলার বাহিনীকে হয়রান করে তোলে। শেষে দস্যুদল জায়গা বদলাতে বদলাতে কচ্ছের রান নামের এক জলা এলাকায় পালায়। সদলবলে রঙিলা সেখানে হাজির হলে দস্যুদল পালাতে পারলেও বর্ষার কারণে মুঘলরা আটকা পড়ে। বর্ষাকালে সমূদ্র থেকে ডিমপাড়ার জন্য উজিয়ে আসা ইলিশের ঝাঁক রসদ নিয়ে টানাটানিতে পড়া মুঘলদের হাতে ধরা পড়ে। রঙিলা তো আর মছলিখোর বঙ্গাল নন্, তাই ইলিশ ভাজা খেয়ে তার পেট নেমে গেল। তাকে দ্রুত দিল্লীতে নিয়ে যাওয়া হল, কিন্তু লাভ হল না। মাসখানেক ভুগে তিনি ইন্তেকাল ফরমান। বাঙালীরা কোন মুঘল সম্রাটকে পরাজিত করতে না পারলেও বাঙালীর প্রিয় মাছ একজন মুঘল সম্রাটকে ভবনদী পার করে ছেড়েছিল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এখন তো বলখীদের খাবার দাবারের বই পড়তে হয় দেখি. মোগলদেরই এত কান্ড এদের ঠাকুরদাদা শ্রেনীর খান্দানিদের খাবার স্টাইল কেমন হবে কে জানে!
নাদির শা এর মত ঘটনা মনে হয় দেশে বিদেশেতে পড়সিলাম. বাচ্চা এ সকাও বাদশা আমানুল্লা কে হারানোর পর যখন তাকে আমানুল্লার খাবার দেয়া হয় তখন সে নাক সিটকে বলে হ এগুলি খাই আর আমিও আমানুল্লা হয়ে যাই আর কি! আমানুল্লার মোটর গাড়িও সে অগ্রাহ্য করে, আর বৌকে কাবুল নিয়ে আসে গাধার পিঠে করে
রঙ্গিলা গল্প ভালু পাইলাম. ইলিশ জিন্দাবাদ.
..................................................................
#Banshibir.
বলখী ক্যুইজিন খুঁজলে বিশেষ কিছু পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। খুঁজতে হবে খোরাসানী ক্যুইজিন। কারণ, ঐ আমলে বেশিরভাগ সময় বলখ খোরাসানের অধীন ছিল। আরো একটা বিষয় মনে রাখা দরকার। বলখের স্বর্ণযুগ মুঘলদের আবির্ভাবের কম করে হলেও পাঁচশ বছর আগে। সে আমলে রান্নার অনেক টেকনোলজি আবিষ্কৃত হয়নি, অনেক মশলার ব্যবহার শুরু হয়নি। তাছাড়া বলখ ল্যান্ডলকড্ দেশ। বন্দরের সুবিধা না থাকায় স্থলপথে যা আসতো তার ওপরই তাকে নির্ভর করতে হতো। ফলে দূরপ্রাচ্যের, আরবের, আফ্রিকার বা ইউরোপের অনেক কিছুই তার নাগালের বাইরে ছিল। পাহাড়ি ও চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার দেশ বলে স্থানীয় পর্যায়ে শস্য উৎপাদনও কম হতো। ফলে মুঘলদের বিশাল আর বিস্তৃত সাপ্লাইচেইনের সাথে তারা তুলনীয় নয়। তবে বলখীরা, বিশেষত বলখী আমীরেরা ব্যাপক সামাজিক মানুষ ছিল। ফলে তাদের খানাদানা'র আয়োজন হতো বিশাল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খোরাসানি খাবারের কিছু রেশ কি তাজিক খাবারে থাকতে পারে? তাজিকরা 'কুরুত' নামের একটা বেশ গন্ধদার পনির খায়, নিতান্তই অখাদ্য়। তবে তাদের পিতি বলে নেহারি টাইপের একটা খাবার আছে, বেশ উপাদেয়।
"বন্দরের সুবিধা না থাকায় স্থলপথে যা আসতো তার ওপরই তাকে নির্ভর করতে হতো। ফলে দূরপ্রাচ্যের, আরবের, আফ্রিকার বা ইউরোপের অনেক কিছুই তার নাগালের বাইরে ছিল।"
এই স্থলপথের নির্ভরতা তো দিল্লীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য় ছিল। সেসময়ে স্থলপথই এশিয়া-মধ্য়এশিয়া-ভারত-মধ্য়প্রাচ্য়-আফ্রিকা-ইউরোপের যোগাযোগের মূল পন্থা ছিলনা? রেলের আগমনের আগ পরযন্ত ইউরোপিয় উপনিবেশিকেরাও এই স্থলপথের উপরেই স্থানিয় কারবারের জন্য় বেশ নিরভরশিল ছিল। বালাখি 'যবন' দের সাথে কিন্তু চীনে-পারস্য়-ভারতীয় বেশ জম্পেশ যোগাযোগের খবর পাই মিডিয়ানদের সময়ে, ইন্দো-গ্রীকদের সময়, নববিহারের সময়ে।
বালখের দক্ষিন কিছুটা উষর, কিন্ত এর উত্তর পশ্চিম কিন্তু বেশ সুজলা সুফলা। প্রশস্ত আমু দরিয়ার তো একেবারে দোরগোড়ায়। কিছু উত্তরেই আছে ফারগানা উপত্য়কা। আর পূবে আছে কাশ্মির। মোঘলাই টাইপের খাবারদাবারের অভাব হবার কথা না। মোঘলদের দিল্লীতে যেটা গায়ের জোরে করতে হয়েছে, আমার তো মনে হয় বালাখিরা সেটা ঘরে বসেই পেয়েছে।
খোরাসানী খাবারের কিছু রেশ অবশ্যই তাজিক খাবারে থাকার কথা। তবে তারচে' বেশি থাকবে উযবেক, আফগান আর উত্তর পারস্যের খাবারে।
বল্খ তো স্থলবন্দরই ছিল। চীন বা ভারত থেকে পারস্য বা আরবে যাতায়তের জন্য বল্খ একটা পপুলার ট্রানজিট পয়েন্ট ছিল। সে হিসেবে বল্খীরা অনেক কিছু ঘরে বসে পেয়েছে - সে'কথা সত্য। তবে স্থলবন্দর যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমূদ্রবন্দর থেকে সবসময়ই পিছিয়ে থাকে। দিল্লী ল্যান্ডলকড হলেও গুজরাত, মহারাষ্ট্রের ডজনখানেক সমূদ্র বন্দর দিয়ে ভারত মহাসাগরে মুঘলদের অ্যাক্সেস অবারিত ছিল। তাই মুঘলরা দূরদেশের শস্য, ফল, মশলা'র যোগান পেয়েছে। তাছাড়া পাঁচশ বছরের টাইম গ্যাপটা তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
নববিহার আমলে বল্খের তো স্বর্ণযুগ। মিডিআন বা ইন্দো-গ্রীকদের আমলেও তার অবস্থা বেশ ভালো ছিল। বল্খ দখল করতে আরবদের চার-পাঁচ বারের চেষ্টা লেগেছে। সময়ও লেগেছে অনেক বছর। এর মাঝখানে মাঝখানে যে উগ্র বৌদ্ধ শাসকরা এসেছে তাদের নৃশংসতার ইতিহাস ইন্টারেস্টিং। বল্খের বৌদ্ধকীর্তি ও লাইব্রেরী ধ্বংসে আরবদের কুকীর্তিও স্মর্তব্য।
বল্খ মধ্য এশিয়ার প্রেক্ষিতে সুজলা-সুফলা, তবে ভারতের সাথে তা তুলনীয় নয়। ভারতের মুঘলরা (চাঘ্তাই মুঘল) ফরগানা এলাকা থেকে আগত। সুতরাং তাদের পক্ষে বল্খের সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বহন করা স্বাভাবিক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এই রঙিলা শাহের গল্পটা মুজতবা আলী সাহেব খুব রসিয়ে লিখেছিলেন 'কচ্ছের রান' প্রবন্ধে ।
এত খাবারের বর্ণনা পড়ে তো পেরেশান হয়ে গেলাম ! রানতে মন চাইতেছে !
রোজা রমজানের দিনে এমনিতেই খাওয়ার কষ্টে আছি, সব দুকানপাট বদ্ধ থাকে, তার মধ্যে এহেন খানাপিনার পুস্ট দেয়াটা অলেহ্য হইসে
রমজান মাস হৈল সাধনার মাস, আত্মশুদ্ধির মাস. এইসব শয়তান পীরের অলেহ্য পুস্ট এর আহ্বান সামলায়ে সামলায়ে আপনের রোজা আরো পোক্ত হৈতেসে!
..................................................................
#Banshibir.
খাইতে পারিনা মানে দিনের বেলা খাইতে পারিনা
আমি তো এসিডিটির লাইগা খাইতে পারিনা!
৪ সের চাল মাত্র চারজন মিলে খায় এরা কত বড় রাক্ষস ছিলো রে বাবা!
এই লেখা পড়ার শুরু করেছিলাম কাল রাত থেকে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় খাবার বিরতির জন্য দেরি হয়ে গেলো কমেন্ট দিতে রোজার মাস মানেই খালি খাওয়া দাওয়া আর খাওয়া দাওয়া। জর্দা রান্না করা যায় ইফতারে ভাবলাম। আমরা তিনজন মানুষ চাল কতটা লাগবে? ৩ সের? আধপোয়া চাল দিলে তিনদিন লাগবে শেষ করতে আমাদের
লেখা মজারু হয়েছি পীর ভাইয়ু।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
৪ সের চাল পাইলেন কো ১০ সের চাল খাইব ৪ জনে. সাথে ৫ সের মিছরি আর ৩ সের ঘি. রাক্ষসেও এত খায়না রে বৈনডি!
..................................................................
#Banshibir.
ওরে!!! আমি ৪ সের প্রতিজন ১ সের করে খাচ্ছে ভেবেই খাবি খাচ্ছিলাম। এরা তো বিরাট রাক্ষস!!!
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আমি তো ভাবসিলাম লবঙ্গই হিং!!! কত অজানা রে এ এ
হ ভাই বাঁচতে হলে জানতে হবে.
..................................................................
#Banshibir.
এহ, লেখা পড়ে খিদা লেগে গেল। আমাদের এখানে Mughlai নামে একটা রেস্টুরেন্ট আছে (যদিও অরিজিনাল মোগলাই খাবার না তবে ভালো)। মাত্র দুইটা দিন আর একটা পেট নিয়ে ডালাস আসছিলেন, নাইলে আপনাকে নিয়ে ঘুরে আসা যেত ওইখান থেকে।
কুনু ব্যাপার্না পরেরবার হৈবনি.
..................................................................
#Banshibir.
সুন্দর ও তখ্যবহুল একটা সিরিজের সমাপ্তি। ভালো লাগলো পুরো সিরিজটাই। সামনের অপেক্ষায় নতুন কোন সিরিজের ।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
..................................................................
#Banshibir.
লেখা পইড়া মজা লাগলো, মোঘলরা এই উপমহাদেশের খানা-খাদ্য ভান্ডাররে বিশাল বৈচিত্র দিয়া গেছে। মোগলদেরকে রান্নার আরেকটা টেকনিকের জন্যও ক্রেডিট দেওয়া হয়---দমপুক্ত বা দমপোখ্ত। হাঁড়ি পুরা সীল করে দিয়ে অল্প আঁচে অনেকক্ষণ রেখে দিলে যে একটা দারূণ ব্যাপার হয়, সেইটা, অনেকেই বলে, মোঘলদের হাতে শুরু হয় এখানে।
মোঘলদের শেষদিকের বংশধররা দিল্লীতে আসন গেড়েছিলেন, তাদের খানাখাদ্যও সেইসাথে দিল্লীতে অনেকখানিই রয়ে যায়। বর্তমানে, পুরানো দিল্লীর জামে মসজিদ এলাকাকে ভারতে 'অথেন্টিক' মোগলাই খানাদানার ঘাঁটি ধরা হয়।
---দিফিও
ঠিক, এই দমের টেকনিক তারা বিরিয়ানিতেও ব্যবহার করতো।
..................................................................
#Banshibir.
"মোগলাই খাবারে আরেক গুরুত্বপূর্ণ পদ জাফরান আর হিং। এগুলি পারসিক উপাদান, মোগল আমলে ভারতে এর চাষ শুরু হল।"
মোঘলদের আগেও কাশ্মিরি জাফরানের কদর পারস্য়ে ছিল। মোঘলদের পরেও কাশ্মিরের বাইরে ভারতের আর কোথাও জাফরানের উল্লেখযোগ্য় কোন খামার গড়ে ওঠেনি। আলেক্সান্দার ও তার পরের পারসিক-ভারতীয়দের মধ্য়ে জাফরানের ব্য়াবহার প্রচলিত ছিল। হিং এর ব্য়াপারটাও একই রকম - মোঘলদের আগে ও পরে সেটা আফগানিস্তান ও কাশ্মির কেন্দ্রিক ছিল ও আছে।
কিলিংহাম শালার ছেলে এগুলোকে মোঘলাই বানিয়ে ফেলল কেন বুঝলাম না।
কলিংহ্যাম সম্ভবত শ্যালকদুহিতা, ফার্স্ট নেম লিজি।
উইকিমামুও দেখলাম বলছে কাশ্মীরে জাফরান ছিল আগে থেকেই। হিং জিনিসটি ইম্পোর্টেড দাবি করে কলিংহ্যাম বলছেন, মোগলেরা হিং আমদানী করার পর ভারতবাসী হিন্দু মুসলমান তা লুফে নেয়। তাইলে কি মোগলেরা এসে বাকী ভারতে হিং জাফরান ছড়িয়ে দেয়? উত্তর ভারতে হিং জাফরান যখন হাজার বছর ধরে আসেই তখন বাকী ইন্ডিয়ায় ছড়াইলোনা ক্যান বুঝতার্লামনা।
..................................................................
#Banshibir.
লেখা সুস্বাদু হয়েছে। হিং ফোঁড়ন দিয়ে আলু ভাজি খেতে ভালো।
পরেরবার দেখা হইলে হিং ফোড়নকৃত আলুভাজি খাওয়ায় দিয়েন
..................................................................
#Banshibir.
সবার আগে পেটায় নম:
বাবা সত্যপীরের জয় হোক।
অনুবাদ জটিল লাগল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
সবার আগে পিটুনি খায়া ভয় পাইলাম।
হৈ মিয়া, কৈ ডুব দিয়া আছিলা?
..................................................................
#Banshibir.
পেটায় নম: মানে পিটুনি না কিন্তু, এর মানে পেট পূজা।
অফিস আর পরীক্ষা নিয়ে ভারী ব্যস্ত ছিলাম, তাই, আসা হয়নি।
তুমি ভাল আছ তো?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আমি ভালোই থাকি
পরীক্ষা কেমন হৈল?
..................................................................
#Banshibir.
রেজাল্ট দেয়ার আগে কিছুই বলা যায় না।
আমাদের পাস মার্কস অথরিটি নির্ধারণ করে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এই মোগলদের খাবারদাবার দেখেই তো চোখ উলটে মূর্ছা যাই। ওরে বাবা, এত খাওয়া সোজা এলেমের কাজ না!
আওরঙ্গবাবু মনে হয় এই কারণেই এসব খেতেন না। কিন্তু উনি খেতেন কী তাইলে? পাকশালা ভর্তি তো এইসব তেলেঘীয়ে মশলায় ভর্তি খাবার? ওনার জন্য কি চারটি হাতরুটী আর সবজি সেদ্ধ আর ফলফ্রুট দিতো?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হ আওরঙ্গজেব হিটলারের মতই নিরামিষ খাইতেন খালি, তেল ঘি এড়ায় চলতেন। তবে পুরা নিরামিষাশী না, উনার একটা প্রিয় ডিশ নাকি ছিল আপ্রিকট কাজুবাদাম দৈ ইত্যাদি সহকারে প্রস্তুত একধরনের বিরিয়ানি। ঐটায় হাল্কা মাংস থাকত মনে হয়। কিন্তু উনি না খেলেও উনার পাকশালায় কিন্তু ঠিকই এইসব রান্না হত ফ্যামিলি আর গেস্টদের জন্য। কত টাকা যে এরা খায়া উড়াইসে
..................................................................
#Banshibir.
ইয়ে মানে হিং কি জিনিস পীরসাহেব?? আর মোগলাই পরাটা কি মোগলদের কাছ থেকে আসেনাই, আপনার লিখাই উহাকে অনুপস্থিত পাইলাম!!
বহুব্রীহি নাটকে একবার আবুল হায়াত সাহেব মাছের লিস্টি করসিলেন। সব মাছের নাম পড়ে যখন তিনি তৃপ্তির হাসি দিয়া থামলেন তখন পিচ্চি মেয়েটা বলে উঠলো, ইলিশ বাদ পড়েছে!
আমারো দেখি ঐ অবস্থা, এত মোগলাই খাবারের মধ্যে মোগলাই পরাটাই নাই!
..................................................................
#Banshibir.
আপনার লেখা দেরি করে পড়লে স্বাদ বাড়ে, আগেই কইসিলাম বাসী বিরিয়ানীর মত। কারন মজার মজার মন্তব্য এড হইতে থাকে।
লেখা খুবই মজা, আজকে ইফতারে বিরিয়ানি লাগবই।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ইফতারিতে বিরিয়ানি খাওয়া হাদিসে নিষেধ আসে। খাইলে নাকি বাকি লোকের নজরে পেট খ্রাপ হয়।
..................................................................
#Banshibir.
বড়ই সুখপাঠ্য গো পীরসা'ব । এত পরিশ্রম করে লেখেন, কৃতজ্ঞতা অশেষ।
_____________________
Give Her Freedom!
কামকাজ নাই এগুলিই করি বইসা বইসা
আসেন ক্যামুন?
..................................................................
#Banshibir.
রোজা রমজানের মাস, ভালো থাকি ক্যাম্নে!!! খাওন দাওন করণ যায় না !! আর আপনি এর মধ্যে পুরা মোগলাই ডালা খুলে বসছেন..........
_____________________
Give Her Freedom!
খিদা লাইজ্ঞা গেলো!!
লেখায়
---------------------
আমার ফ্লিকার
আপ্নে চকের ইফতারি দিবেন আর আমরা কিসু দিতারুম্না ভাবসেন?
..................................................................
#Banshibir.
হিং জিনিসটাই তো, এই মহাভারতসম পোস্ট আর সাত খণ্ডের রামায়নসম মন্তব্যমালা পড়ার পরেও এখনতরি চিন্তার্লামনা!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই লন কাঁচা হিং
আর এই লন হিং এর কচুরি (প্লাস্টিকের মগে পানিসহ)
..................................................................
#Banshibir.
আপনার লেখাটা খুব সুখপাঠ্য হয়েছে। পরের পর্বের জন্য ওয়েট করছি।
দেখে যাই
পর্ব তো আর নাই ভাই, খতম!
..................................................................
#Banshibir.
কমেন্টগুলো পড়তে এই পোস্টে ফিরে ফিরে উঁকি দিচ্ছি
এই জিনিস ব্লগ ছাড়া কৈ পাইবেন কন্দেহি?
..................................................................
#Banshibir.
দারুণ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই
..................................................................
#Banshibir.
রোজা রেখে এ আমি কি পড়লাম! হায় আমার কি হবে!
ঘ্রানে অর্ধভোজনং পড়িলে কোয়ার্টার।
..................................................................
#Banshibir.
ভারত ভ্রমণে গিয়েছিলাম কয়েকদিন আগে ব্যাচের সাথে। মোঘলাই খাবার দাবার চেখে দেখার শখ ছিল। বাজেট কম, লম্বা ভ্রমণ। আফসুস। রাজস্থানে গিয়েও একটা বাঙালি রেস্তোরায় ভাত সবজি ডিম ডাল আর একটা পাপড় খেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল। রেস্তোরা ছাদের উপর। বাঙালি খাবার খাচ্ছি, আর ওখান থেকে সোনারকেলা দেখা যাচ্ছে। চিন্তা করেন।
-আমিনুল করিম মাসুম
..................................................................
#Banshibir.
নতুন মন্তব্য করুন