ছুটির দিন ঘুম ভেঙে মনে হয় ঢাকা শহরেই আছি। শুয়ে আছি আমার ছোট চিপা রুমে চিকন খাটে, জাহাজের দোকান থেকে কেনা বক্স খাট। ঐসব দোকানে নাকি জাহাজের ফার্নিচার থেকে চেয়ার টেবিল তৈরি হত, দাম ভারি সস্তা। আমাদের তিন ভাইয়ের জন্য তিনসেট করে খাট আর পড়ার চেয়ার টেবিল কেনা হয়েছিল পান্থপথের জাহাজের দোকান থেকে। সেই খাটে শুয়েই ঘুম ভাঙল এইমাত্র, উপরে ঘটঘট শব্দে ফ্যান ঘুরছে। চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল শুক্রবার সকাল। দশটা মত বাজে। উঠতে হচ্ছে, বাজারে যেতে হবে আব্বার সাথে।
বাজারের ব্যাগ জিনিসটা আমার খুবই অপছন্দ, এই প্লাস্টিকের ব্যাগ হাতে বের হলেই আমার মনে হত এই সবাই বুঝে ফেলল আমি বাজারে যাচ্ছি। শরমের ব্যাপার। তাই সেটা আঠারো ভাঁজ করে পকেটে ভরে নিতাম। পকেট ফুলে ঢোল হয়ে থাকত, তাতে কি। ইজ্জত তো রক্ষা হল। ইজ্জত দরকারি জিনিস। কাছেই পলাশী বাজার, দশ মিনিট হাঁটা পথ। উদয়ন স্কুলের পাশ দিয়ে এগিয়ে ডাইনে এস এম হল বাঁয়ে বুয়েট রেখে গাছে ছাওয়া পথ ধরে হেঁটে গেলেই হল। প্রথমেই কিনা হবে আলু পেঁয়াজ, বাজারের ভেতর দিকে। পিতার পিছন পিছন সব্জী বাজার পরবর্তী ডেস্টিনেশন, সর্বশেষে কসাইয়ের দোকান। সেইখানে মাংস কিনার পর একটু এগিয়ে গেলেই যে দাড়িওলা লোকটি লেবুর টুকরি নিয়ে বসে আছে তাকে লক্ষ্য করি আসুন।
কাছে যেতেই পোকায় খাওয়া লাল দাঁত দেখিয়ে হাসে লোকটি, চিরগম্ভীর আব্বার মুখেও হাল্কা হাসির আভাস। ফেরিওলাটি সিলেটিতে বলে আউকা বালা আসইন? আব্বাও উত্তর দেন অয় আসি বালা, লেবু খত খরি? লোকটি হেসে মাথা নেড়ে দাঁড়িপাল্লায় তার শ্রেষ্ঠ লেবুগুলি তুলতে তুলতে বলে, আরে লইন লইন, ইগু বালা লেম্বু। খড়া রস। পিতাও হেসে দরদাম না করে পকেট থেকে পয়সা বের করেন। আর আমি দাঁড়িয়ে দেখি সমাজের অসম অবস্থানে দাঁড়ানো দুইটি অপরিচিত মানুষ নিজের মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারার আনন্দে আত্মহারা। অনেক বছর পরে আমি টরন্টোর গ্রসারি স্টোরে লাইনে দাঁড়িয়ে বন্ধুর সাথে যখন জাম খেতে না পারার দুঃখ প্রকাশ করব তখন শুনে কাউন্টারের ক্যাশিয়ার ছুটে গিয়ে ফ্রিজের চিপা থেকে ফ্রোজেন জামের প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিতে দিতে বলবে “আরে জাম খাবেন ভাই জাম দেওয়ার লোক পাইনা, নেন নেন দুই প্যাকেট নেন”। ঠিক সেই সুনামগঞ্জের লেবু বিক্রেতাটির মতন, লইন লইন বালা লেম্বু আসে। খড়া রস।
দুপুরবেলা গোসল করে জুমায় যেতে হয় আব্বার পিছু পিছু। পাড়ার খাড়া বজ্জাতগুলি সেখানেও বিদ্যমান, কিন্তু সকলের সাথে নিজ নিজ পিতা। তাই সবাই অত্যন্ত ভালো ছেলের মতন বসে। মুনাজাত শেষে বের হবার পর অবশ্য অন্য ব্যাপার, পিতারা পিতারা জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল সাদা গোলাপী রাজনীতি নিয়ে রাজা উজীর মারতে মারতে পাড়ার পথ ধরেন, আর আমরা ইয়ারদোস্তরা দুই টাকার বাদাম খেতে খেতে একই পথ ধরি পিতাদের সাথে কিঞ্চিৎ দূরত্ব বজায় রেখে।
বাসায় এসে দুপুরের খাওয়া সারি। সাদা ভাত, ডাল, করলা ভাজি, মুরগীর মাংস। সাথে খড়া রসালো লেবু। এরপর একটা ভাতঘুম চলবে নাকি? তবে বিকেলের বেশি দেরি নেই, তাছাড়া অর্থহীনের নতুন অ্যালবাম বের হয়েছে সেটাও কিনতে হবে। আচ্ছা দুইটা বাজে, তিনটার দিকে বেরুলেই চলবে।
ক্যাসেট যেকোনখান থেকেই কেনা যায়, তবে নীলক্ষেতের কাছে জি সিরিজের নিজস্ব দোকান থেকে ওদের অ্যালবাম কিনলে সুবিধা হল চাইলে এরা পোস্টার দিয়ে দেয়। জি সিরিজের পোস্টার গুলি দারুন। আমার দরজার পিছনে, দেয়ালে এবং সিলিং এ পোস্টার সাঁটানো। আরেকটা যুক্ত করাই যায়। হেঁটে হেঁটে চলুন যাই নীলক্ষেত। কড়া রোদ কিন্তু, গেঞ্জী ভিজে যাচ্ছে। একটা কোক কিনলে হত। কিন্তু পকেটে আছেই চল্লিশ টাকা, তার মধ্যে পঁয়ত্রিশ টাকা যাবে ক্যাসেটে। নাহ কোক খাওয়া হবেনা এখন। জি সিরিজে ঢুকার আগে রাস্তার একটা স্টলে দাঁড়াই একটু। পুরানো আনন্দমেলা আর আনন্দলোক ছড়ানো, দেখা যাক কোনটা না পড়া কিনা। এই সময় দোকানী কিশোর ছেলেটি কাছে এসে খাটো গলায় বলে মামু, চটি লাগবো?
আমার চেহারায় সম্ভবত একটা চটিবান্ধব ভাব আছে, চটিবিক্রেতারা প্রায়শই আমার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতো। বিশেষ করে বলাকা সিনেমা হলের পাশের চটি বিক্রেতারা। ঐদিক দিয়ে হাঁটলেই তারা আমায় ডাকে, মামু। মামু। এই লাম্বা মামু। আমি এমন কিছু লম্বা নই, আমার চেয়েও লম্বা মানুষ হেঁটে যাচ্ছে আশপাশে। কিন্তু ঐ ডাক নিশ্চিতভাবেই আমার উদ্দেশ্যে। নবীন চটি বিক্রেতাদের সম্ভবত আমার ছবি দেখিয়ে বলা হয় এই যে এই ধাঁচের লোকগুলিই পোটেনশিয়াল কাস্টমার।
আচ্ছা পঁয়ত্রিশ টাকা তো গেল ক্যাসেটে, পকেটে পাঁচ টাকা আছে কিন্তু। ঐযে তেলেভাজার দোকান ফটোকপির দোকানের পাশে ঐখান থেকে কিছু কেনা যাক। ছোট ছোট ইন্দুরের বাচ্চা সাইজ সিঙ্গাড়া ভাজতে এদের জুড়ি নেই। সাথে পিঁয়াজু টাইপ কিছু। কিনে খেতে খেতে বাসার পথ ধরি। রিক্সাভাড়ার পয়সা বাঁচিয়ে খাবার কিনার অভ্যাস আমার পুরোন, পরে বাসা পাল্টে যখন উত্তরা যাই তখন বাজার করতে যেতাম টঙ্গীবাজার। ঐখানে ব্রীজের উপর গামলা নিয়ে কাটা গেন্ডারি বেচত, পিস দুই টাকা। তিনটা পাঁচ টাকা। এক পিস কিনে গেন্ডারি খেতে খেতে বাসায় যেতাম।
পাড়ায় ফিরতে ফিরতে বিকেল পাঁচটা, ততক্ষণে বল নিয়ে ছেলেপিলে মাঠে নেমে গেছে। দ্রুত ক্যাসেট বাসায় রেখে জুতা পরে আসি চলুন, দেরি করার উপায় নাই। পাড়ার দশ বারোজন জমে গেছে, পার্টি করা হবে এখন। এই এক মজার জিনিস, পার্টি করা। কখনও বলতে শুনিনি দল করি, বা দুই টিম করি। বলা হত পার্টি করি আয়। দুই হোমরা চোমরা খেলোয়াড় একজন একজন করে ডাকতে থাকে, তারাই টিম ক্যাপ্টেন। পার্টি হবার পরে খেলা শুরু হবে। আমি বরাবর ডিফেন্সে খেলি, আমার কাজ বল উড়ানো। কাছেপিঠে বল এলেই ধড়াম।
তবে এর চেয়ে অনেক কঠিন ফুটবল খেলা হত টিফিন পিরিয়ডে স্কুলে। বাস্কেট বল গ্রাউন্ড একটা ছিল, আমরা বলতাম পাকা মাঠ। সিমেন্টের ফ্লোর তো তাই। সেখানে বল নিয়ে ক্লাস ফাইভ থেকে কলেজের এক দঙ্গল ছেলে একই মাঠ শেয়ার করে খেলে, মাঠে দৌড়ে বেড়াচ্ছে কম করেও ছয় থেকে আটটি টেনিস বল। যে যার খেলার বল চেনে, তাই যে যার মতন খেলেও যায় একসাথে। ছোট মাঠ, চার/পাঁচ জন করে এক টিম। স্ট্রাইকার মিডফিল্ডার ডিফেন্ডার গোলকিপার টিপার নাই, তুমি যে পজিশনে দাঁড়িয়ে আছো ওইটাই সামলাও। পিছনে বল পেলে টেনে সামনে নিয়ে গোল দাও, পিছনে অ্যাটাক হলে নিচে নেমে গোল ঠেকাও। টোটাল ফুটবল।
যাক পাড়ার মাঠে ফিরত যাই চলুন। মাগরিবের আযান শুনা গেল কি? ঠিক আছে, খেলা খতম। বাইরে গিয়ে বসা যাক। ঘর্মাক্ত গেঞ্জী গায়ে সেঁটে আছে, প্যান্টে কাদা। অসুবিধা নাই, ও হয়েই থাকে। বসি আসুন ফুটপাথে, চটপটিওলাকে ডাক দেয়া যাক। আজকে কার ঘাড় ভেঙে খাওয়া যায় দেখি।
রাত নেমে এলে ঘরে চলে যাই, আম্মা তাড়া দেয় এই পড়তে বস। সারাদিন খেলা। বসলাম পড়ার টেবিলে। পরীক্ষা ঘনিয়ে আসছে, যন্ত্রনা। সিলেবাসটা জানি কোথায় লিখা ছিল হারিয়ে ফেলেছি। জানিও না কিসের উপর পরীক্ষা। আচ্ছা থাক, বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইটা টেনে নেই বরং, এটার রচনাগুলি পড়ি বসে বসে। গল্পের মতন কিছু রচনা আছে, আর হুট করে আব্বা আম্মা এলেও ভয় নাই মনে করবে পরীক্ষার পড়াই পড়ছি।
আচ্ছা আজকে রাতেই কি ইত্যাদি?
…..........................................................................................
নাহ এ ঢাকা শহর নয়। ঐযে কান ফাটানো ট্রেনের আওয়াজ ঐটা ট্রান্স ক্যানাডা রেলওয়ের, মালগাড়িগুলি বড্ড শব্দ করে। কি সুন্দর পনেরো বছর আগের একদিনে ফেরত গেছলাম, টেনে মাটিতে নিয়ে এল ট্রেন। আচ্ছা ঢাকায় ফোন করা যাক। বালিশের তলা হাতড়ে ফোন বের করি। জিটক পিনলেস। ল্যান্ডফোনে ফোন করি আগে, রিং বাজে একবার দুবার। কেউ ধরেনা। ড্রইংরুমে ভল্যুম বাড়িয়ে সবাই টিভি দেখছে মনে হয়। আচ্ছা আম্মার সেলফোনে করি। এইবার কাজ হয়, পৃথিবীর অপর প্রান্ত থেকে আম্মার গলা শুনা যায়ঃ
হ্যালো বেটা ক্যামন আসো...খাইসো কিসু? দেশে আসবা না বেটা? দেশে আসবা না?
মন্তব্য
ভাইডি, ব্যাগট্যাগ গুছাইয়া এলা দ্যাশে চইলা আসেন।
বৈদেশে আছে কী?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কিসু নাইরে বইনডি। সবই মায়া।
..................................................................
#Banshibir.
চমৎকার, খুবই চমৎকার লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই
..................................................................
#Banshibir.
আপনার কিছু কিছু লেখা পড়লে চোখের পানি ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এই লেখাটি সেগুলোর একটি।
বলেন কি? আমি তো আরো মজা করেই লিখতে চাইলাম। খালি শেষে একটু মন খারাপের গল্প।
..................................................................
#Banshibir.
..................................................................
#Banshibir.
শেষের লাইনগুলো পড়ে মনটা বিষণ্ণ হয়ে গেল। পৃথিবীর সব কিছুর বিনিময়ে ফেলে আসা দিনগুলো ফিরে পেতে ইচ্ছে করে। লেখায় ।
-এক জোনাকি
ধন্যবাদ জোনাকি।
..................................................................
#Banshibir.
ইচ্ছা থাকিলে উপায় হয়!
মন টা মার জন্য হু হু করে উঠল। খুব ভাল হয়েছে লেখাটি।
ধন্যবাদ
..................................................................
#Banshibir.
অসাধারণ, মনে হলো যেন, আমিই আপনার সাথে ঘুরে বেড়ালাম।।
এই আর কি।
..................................................................
#Banshibir.
আইজকু খুব বিয়ানে অফিস আইছি। জানালা দিয়া বিয়ানের রইদ দেখিয়া আমার গেরামের খতা মন ফড়ছে।
আমরাও ওয়ানওয়ে টিকেট কেটে ফেলেছি
--ফ্রুলিক্স
আমিও কাটবো একদিন
..................................................................
#Banshibir.
..................................................................
#Banshibir.
ভারি চমৎকার একটা লেখা, কেমন একটা স্নিগ্ধতা আছে যেন। দেশে ফিরে আসবেন নিশ্চয়ই
হিল্লোল
নিশ্চয়ই
..................................................................
#Banshibir.
(গুড়)
আপনে পীর হইতে পারবেন না, এত সত্যবাদী সংবেদনশীল মানুষেরা পীর হতে পারে না।
facebook
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পীর হয়া পানিপড়া তাবিজের অ্যামাজন ইস্টোর খুইলা ফেললাম অণু ভাই আপনে আসেন কই?
..................................................................
#Banshibir.
'সেইসব দিনগুলি সুদৃশ্য রাংতায় মোড়া...'
ভালো লাগা।
-টোকাই
ঠিক কথা।
..................................................................
#Banshibir.
এক ধাক্কায় আমার সমস্ত কৈশোর ঘুরে আসলাম। পীর সাহেব আমরা পাশাপাশি এলাকায় একই ধাঁচে বড় হয়েছি।
আসলেই রোদ উঠে গেছে।
ধুর! আমার কেন যে চোখ ভিজে গেল।
ফুলার রোডের পাপী নাকি?
..................................................................
#Banshibir.
বেশ একচক্কর ঘোরা হল আপনার সাথে।লেখায়
..................................................................
#Banshibir.
(গুড়)
শ্রী বেকুবেশ্বর
..................................................................
#Banshibir.
চলুন চলুন- রোদ মাখি...
..................................................................
#Banshibir.
এই বাক্যে এসে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো, কেমন গাঢ় বিষাদ!!!
পীরসা'ব দেশেত আসেন, দরগা শরীফ বানায় দিমু নে...........
_____________________
Give Her Freedom!
সবই উপরওয়ালার ইচ্ছা। আইসা পড়ুম দেইখেন একদিন ফট কৈরা
..................................................................
#Banshibir.
জানিনা এই সাদৃশ্যটা ঠিক কি না ?? তবে আপনার লেখার ভিতর তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়ের ছায়া দেখতে পাই, বিশেষত যখন খুব সামান্য জিনিসের বর্ণনা দেন আর সেটা কে অসামান্য করে তোলেন।
লেখা নিয়া তাই বিশেষ মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। (গুড়)
আর বহু দিন আগে আপনার মেইল অ্যাড্রেস চাইছিলাম, কারন আমিও আপনার শহরেই থাকি। আপনার প্রোফাইল থেকে মেইল অ্যাড্রেস দেখতে পাইনা।
একটা মেইল দিয়েন raj_bond50 at yahoo.com
সাদৃশ্যটি ঠিক না, আমি এমনকি মিলান ফারাবীর ছায়াও না হা হা হা হা হা।
..................................................................
#Banshibir.
মিলান ফারাবী কে জানি না, তাই humor টা মাথার উপর দিয়া গেছে । তয় দিলে চাইলে একটা মেইল দিয়েন, সময় সুযোগ মত কফি খাইতাম একলগে
ঐ বাজারের ব্যাগ আমিও পকেট ফুলিয়ে নিয়ে যেতাম। আরএমজি'র পাঠকমাত্রেরই চেহারা এক মনে হয়, বিক্রেতা দূর থেকে দেখেই চিনে নেয়
যাহোক, ভাল থাকুন।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
গুপ্তাজীর নোটের বিক্রেতারা বড়ই শরম দেয়।
..................................................................
#Banshibir.
পইড়া ফেরত দিলে ১০ টাকা রিটার্ন।
ছোটগল্পগুলি উপন্যাসের থিকা ভালো .....
অজ্ঞাতবাস
খি খি খি.
..................................................................
#Banshibir.
..................................................................
#Banshibir.
তোফা লেখা! আহা!
..................................................................
#Banshibir.
কেমন জানি মন-খারাপ করা লেখা। আগে BTV তে খুব ভালো মুভি দেখার পর মনটা জানি কেমন না-ভালো-না-খারাপ একটা ধূসরতায় ভরে থাকতো। আপনার লেখায় আবার সেই অনূভুতিটা হলো।
..................................................................
#Banshibir.
দেশ থেকে খুব বেশি দুরে ছিলামনা, তবুও হাজার কিলোমিটার এর বেশি দুরত্ব। প্রথম তিন বছরে মাত্র তিনবার বাড়ি যাওয়ার সুযোগ তাও গড়ে ২০ দিনের জন্য। হোস্টেলের ভেতর দিয়ে ট্রেনের লাইন। প্রচন্ড জোরে শব্দ করে ট্রেন যেতো সারাদিন। কখনো কখনো অসহ্য লাগতো। কিন্তু যতই কাঙ্খিত ছুটির দিন এগিয়ে আসতো, ততই এই শব্দটা মধুর হয়ে উঠতো। মনে হতো এমনি এক বিকেলে ট্রেন করে এই নরক ছেড়ে চলে যাবো কিছুদিনের জন্য আমার ঘরে। "ঘর" শব্দটা আমার খুব ভালো লাগে, আপন মনে হয়। তারপরে আবার সেই এক বছরের অপেক্ষা। ঘরে ফিরতে তো সবাই চায়, কিন্তু কারো কারো আর ফেরা হয়না। ফিরলেও থাকা হয়না।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হুম হুম হুম একদম ঠিক কথা।
হোম ইজ ওয়্যার ইয়োর হার্ট লাইজ। মন যেখানে পড়ে থাকে সেইই আপনার ঘর। ফেরা নিশ্চয়ই হবে অরফিয়াসদা।
..................................................................
#Banshibir.
দেশে চলে আসা এমন কোন কঠিন না ভাইয়ু। চলে আসেন এইবার। আম্মুটা বার বার কেমন করে ডাকে এটা শুনেও আসতে ইচ্ছা করে না?
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
হ রে বৈনডি। ইচ্ছা কি আর করে না।
..................................................................
#Banshibir.
বাসা থেকে দূরে থাকি। তাও খুব বেশি না। চাইলেই যাওয়া যায়। ছয় ঘন্টার পথ। তারপরেও যে খারাপ লাগে।।।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
..................................................................
#Banshibir.
যে শিরোনামহীন ব্যান্ড ক্রমাগত জামাতের দিগন্ত চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে করে নিজেদের পচিয়ে শরীর থেকে গন্ধ ছুটিয়ে ফেলছে, যেই শিরোনামহীনের গানের কলি দিয়ে আপনার লেখার শিরোনাম না করলেই খুশি হতাম।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
বিতর্ক করতেই হবে !!!!!!!!!
আপনার জন্য করুনা !!
এই লিখায় বলার মত আর কিছুই কি চোখে পড়ল না !!!!!!
ই কিতা কৈন? শিরোনামহীন জামাতি হৈল কবে থেকে?
..................................................................
#Banshibir.
শিরোনামহীন অনেকদিন আগেই জামাতি হয়ে গেছে, সত্যি কথা হল এটা জামাতি ইতরদেরই ব্যান্ড। আমিও এদের গান পছন্দ করতাম। কয়েকমাস আগে এরা দিগন্ত চ্যানেলে আনপ্লাগড প্রোগ্রাম করেছিল, তখন ভোকাল তুহিনের মোবাইলে টেক্সট করেছিলাম, কেন দিগন্তে প্রোগ্রাম করতে হবে, আপনাদের তো জনপ্রিয়তা আর টাকাপয়সার কমতি নেই - এইসব বলে, ঠিক এক ঘণ্টা পর তিনি উত্তর দিয়েছিলেন - শো মি হুইচ চ্যানেল ইজ নট হিপোক্রিট। আমি এরপর আবার লেখেছিলাম - অন্যেরা গু খাইলে আপনারাও গু খাবেন? আপনারা শিল্পী তাই আপনাদের কাছে বেশি দায়িত্বশীলতা আশা করি আমরা, অথচ আপনারা আপনাদের জনপ্রিয়তার মূল্য এভাবে দেন!
এর কয়েকমাস পর দিগন্তে আবারো প্রোগ্রাম করেছে শিরোনামহীন। সচল স্বপ্নহারার কাছে শুনেছি তুহিন এবং তার পুরো পরিবারই ছাগু ফ্যামিলি।
শিরোনামহীনের ফেসবুক পেইজে এই ইস্যু নিয়ে কিছু লেখলেই তাদের অন্যতম পাণ্ডা স্থপতি জিয়া তেড়ে আসেন নানান কুযুক্তির টুকরি মাথায় নিয়ে।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
হুমম বিষয়টা নিয়ে ভাবা দরকার।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
শিরোনামহীনের প্রতিটি গান আমার বুকের ভিতর পেরেক মারা, একটানে বলে দিতে পারবো প্রতিটা অ্যালবামের গানের নাম গেয়ে শুনাতে পারব মোটামুটি সবগুলাই। ই কি শুনাইলেন রে দাদা।
স্বপ্নহারা মানে শান্তনু? দেখি ওর সাথে কথা বলে। সকাল সকাল মেজাজটাই খিঁচড়ে গেল ধুর।
..................................................................
#Banshibir.
feeling same here!!!
আমারও
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
স্বপ্নহারার সাথে কথা হইল। শুনলাম ঘটনা।
াল ছাল আর ভালো লাগে না।
..................................................................
#Banshibir.
অভিযোগটা গুরুতর। কিন্তু যথাযথ কী না সন্দিগ্ধ। শিরোনামহীন নীতিগতভাবে কখনই জামাতী হতে পারে না। ভুল পর্যবেক্ষণ মনে হয়। জিয়া ভাইয়ের সাথে কথা বলে জেনে নেব উনাদের আসলেই দিগন্তে অপেক্ষাকৃত বেশী যাওয়া হয় কী না, হলেও সেটা কেন। কোন ব্যান্ডদল দিগন্তে গেলেই জামাতবান্ধব এমন সরলীকরণ করা মনে হয় অনুচিত। শিরোনামহীন মুক্তধারার ব্যান্ড।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার থেকে কি নিরপেক্ষ কোনো দৃষ্টিভঙ্গি আশা করা যায়? সে তো আত্মপক্ষ সমর্থন করবেই। বরং অন্য কোন মাধ্যম থেকে জানতে পারলে ভালো হয়।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এত জানাজানির কী আছে? আপ্নে মনে হয় দিগন্ত টিভি দেখেন নাই! দিগন্ত টিভিতে যারা প্রোগ্রাম করেন তারা জামাতবান্ধব না, ফুল জামাতি! পিরিয়ড।
অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী আছেন যারা বলে দেন এই নাটক দিগন্ত টিভিতে গেলে উনারা নাই। মুক্তধারার ব্যান্ড ওপেন জামাতি টিভিতে পারফর্ম করার পর আর কী প্রমাণ লাগে? দেখি চোরা কী করে?
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এম্নেই টিভি দেখার সময় পাই না, তার উপর দিগন্তকে বহুত আগেই চ্যানেল লিস্ট থেকে রিমুভ করে রাখতে হৈছে, সহ্য করা মুশকিল।
শিরোনামহীনের কোন গানে-লিরিকে-স্টেইজ পার্ফর্মেন্সে আমার মনে হয় নাই যে তারা জামাতসমর্থক, বরঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিতে বিশ্বাসী বলেই মনে হয়েছে। টাকার জন্য তারা দিগন্তে বা যত্রতত্র যায় এমনটা ভাবার সুযোগ আছে মনে হয়। তবে তারা যেভাবে দেখছে
এই পন্থার চেয়ে দিগন্ত বর্জন করাই ছিল উত্তম পন্থা নিঃসন্দেহে।
তাদের কীর্তি বা গান দাবী করে তারা মুক্তধারা। সুতরাং কামনা করি তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। নীতিগত ভাবেও মুক্তধারার হোক-জামাত-বান্ধবতামুক্ত হোক।
এইডা কী কথা? কী শুনাইলেন?? মনটাই খারাপ হয়ে গেল।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভালভাবে জানা দরকার বিষয়টি ! অকুতোভয় আর একটু চেষ্টা করবেন নাকি?
উপরে স্বপ্নহারার মন্তব্য দেখুন, আমাকে আর কিছুই চেষ্টা করতে হবে না।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
এইখানে দেখেন। যুক্তিগুলো চেনা লাগে?
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
@ অকুতোভয় - আমি আগেই লিখে ফেলেছিলাম
@ স্বপ্নহারা - তার যুক্তিগুলো দারুন পরিচিত - মেহেরজান এর সময় এরকম যুক্তির প্রাবল্য দেখা দিয়েছিল
শিরোনামহীন তো নতুন কোন ব্যান্ড না যে দিগন্ত টিভি তে তাদের বিরাট ক্যাম্পেইন হবে -
দিগন্ত টিভি তে শিরোনামহীন এর পারফরমেন্স দিগন্ত- এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়- শিরোনামহীন এর নয় - এইটা না বুঝলে কি আর করা!
এইগুলি শিরোনামহীনের জন্য কোন বুঝার বা না বুঝার বিষয় না, বিষয় হচ্ছে শিরোনামহীনের পোলাপানের মেন্টালিটি যদি ছাগু মেন্টালিটি না হয়, তাহলে তারা দিগন্তে প্রোগ্রাম করতে যাবে না এবং সেটা নিয়ে তাদের চার্জ করলে মেহেরযৌবন জাতীয় ডায়লগও শোনাবে না।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আপনি নিজেকে কি হিসেবে জাহির করতে চাচ্ছেন বুঝলাম না! এই ধরনের একটা লেখায় অযথা বিতর্ক না আনলেই কি হতো না! লেখকের অনূভুতির সঙ্গে যে শিরোনামটা মিলেছে সেটাই তিনি দিয়েছেন!
এখান দিগন্ত/জামাত এসব অপ্রাসঙ্গিক সম্পূর্ণ!
কেপি টেস্ট পজিটিভ ধরা পড়ছে, প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিক কি না সেটা টেস্টের রেজাল্টের সাথে মিলছে বেশ। ম্যাতকারের জন্য ধন্যবাদ।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
ঘাম পিচি পিচ দুপুরে ঢাকার রাস্তায় হাটার অবকাশ আর নেই।
ফুটপাথ বলে কিছু নেই।
শুক্নো সমতল পথ বলে কিছু নেই।
রেন্ডি কড়ই আর সেগুন গাছগুলো নেই।
***
আপনার নিজের কথাগুলোকে অনুবাদের চাইতে বেশী ভাল লাগে।
পলাশীর রাস্তার গাছগুলি কেটে ফেলসে?
নিজের মত করে লিখতে চাই কিন্তু লিখা আগায় না, তাই অনুবাদই ভরসা। আপনার প্রেরণা খুব ভালো লাগল দুর্দান্তদা।
..................................................................
#Banshibir.
..................................................................
#Banshibir.
দারুন মায়াময় শৈশব আপনার। পীরসাহেবের মত আমি ও বাজারে যেতাম বাবার সাথে, এরপর মায়ের সাথে। এখন ও গেলে মায়ের সাথে বাজারে চলে যাই সবজি কিনতে, বাজারের সুন্দর সুন্দর টাটকা সব সবজি দেখতে কি ভীষণ ভালো লাগে।
সকলের শৈশবের গল্পই মায়াময় বন্দনাপু
..................................................................
#Banshibir.
বহুতদিন পর সকালে উঠছি। এট্টু ব্যস্ত আছি। সচলে ঢুকি না বেশি। আপনার লেখা দেখে ঢুক্লাম। ভাব্লাম হাসি-তামসা কিছু থাকবে। মনটা এমন খারাপ কইরা দিলেন। ঘুমের মধ্যে আম্মা ফোন দিসিল, অল্প কথা কইয়া রাইখা দিছি। এমন মনটা খারাপ হইছে। আম্মারে ফোন দিতেছি এখন। ধুর্মিয়া।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমিও অল্প কথা কয়া রাইখা দেই। ক্যান যে করি।
..................................................................
#Banshibir.
কী লেখা রে ভাই
এই আর কি।
..................................................................
#Banshibir.
আবেগ পাত্তা না দেয়ার মত বড় হয়ে গেছি বহু আগেই! আপনার লেখা আচমকা টান দিয়ে সব হিসেব গোলমাল করে দিতে চায়! পাঠকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারেন আপনি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শুনে ভালো লাগল অনার্যদা। কর্পোরেট কামলা খাটি, আপাতঃ অর্থহীন জীবন। সচলে লিখি মানুষ পড়ে এইটাই আপাতত খোলা জানালা।
যতদিন চাইবেন ততদিন লিখব ঠিক।
..................................................................
#Banshibir.
চমৎকার!!!
..................................................................
#Banshibir.
সত্যপীর,
ভালো লেগেছে খুব।
সচলে কিছু স্মৃতিচারণ লেখেন অতিথিরা। সেগুলো নিজের জীবনের কিছু কথা ছাড়া কিছুই না। কোনোভাবে পাঠককে ছুঁয়ে যায় না। নতুন কিছু বলে না। এই লেখাটা থেকে তাদের শেখা উচিৎ।
ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই। অতিথিরা আমার মত সপ্তায় সপ্তায় লিখতে থাকলে তাদেরও লিখার উন্নতি ঘটবে বলে আমার মনে হয়। আমি একজন খাঁটি গাইতে গাইতে গায়েন, সচলের আগে কোথাও লিখিনি। এখন লেখার নেশা হয়ে গেছে। সুকুমার রায়ের ছড়ার মতন অবস্থা, ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে!
..................................................................
#Banshibir.
চমৎকার!! অসাধারাণ!!
ওরে-নারে দুনিয়াটা আসলেই ছোট!! ইউল্যাব কোন ব্যাচ? ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল নাকি ব্রিটিশ কাউন্সিল পাড়া?
৯৭ এ ম্যাট্রিক দিসি। ব্রিটিশ কাউন্সিল পাড়া। আপ্নে?
..................................................................
#Banshibir.
সারছে!! আপনেতো মিয়া আমার হাটুও না গোড়ালির বয়সী!! এইজন্য ছবি টবি দেইখাও চিনতে পারি নাই। যাইহোক মুরিদ যখন হইছি কি আর করা। চালাইয়া যান। আপনে খুব ভাল লেখেন।
আমি ৯০ ব্যাচ। ফুলার রোডে না থাকলে জীবনের অর্ধেকের বেশী সময় ঐ এলাকাতেই কাটাইছি।
..................................................................
#Banshibir.
সেই কখন একটা কমেন্ট দিলাম!!!!!!!!! এখনও সেই কমেন্ট আসে নাই। ঘটনা কি? আমার কি নিক বাতিল হয়ে গেলো নাকি?
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
উপরে আপ্নের কমেন্ট আসে তো। আমি রিপ্লাইও দিসি। স্ক্রল করে উপ্রে যান দিকি।
..................................................................
#Banshibir.
একটা মজার ব্যাপার হলো আমাদের পরিবারে সবাইকে ধরে ধরে হাতেকলমে কাজ করতে শেখানো হয়, এই যেমন মনে করেন সকালে মশারি কী করে ভাঁজ করে রাখতে হবে এইটার উপরে মেজ চাচা ধরে একবার ক্লাস ফাইভে পড়া আমি আর ক্লাস নাইনে পড়া আমার বড় ভাইকে একটা ক্র্যাশ কোর্স দিয়ে দিলো। আমি সফলতার সাথে পাশ, আর ভাইয়া ফেইল। একথা বলার কারণ হলো পরদিন ভাইয়ার বাজার করা ট্রেনিং হয়েছিল। এটাতে সে কেমন নম্বর পেয়েছিলো জানি না, তবে আমার নিজের বাজার করতে ভালো লাগে। কাঁচা বাজার অত বেশি পছন্দের নয় আর মাছ-মাংস কিনে আমি অত অভ্যস্থ নই, কিন্তু আমার বাজার দেখতে দারুণ লাগে। আমার ছোট ভাই আবার বেশ ভালো বাজার সদাই পারে, আপনার মতো সেও বাবার সাথে বাজার করতে যেত সেই পিচ্চিবেলা থেকেই।
আচ্ছা, বিদেশে থাকা মানুষেরা এরকম করে লেখে কেন বলেন তো? সবাই খালি দেশে আসতে চাইবার কথা লিখে শেষ করে... দেশে চলে আসলে কি আর এত সুন্দর করে লেখা যায় না...?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দেশে গিয়ে লেইখা দেখামু তখন বিচার কৈরেন
..................................................................
#Banshibir.
আসেন, চলে আসেন। আর ভালো করে লেখা রপ্ত করার জন্যে, আমি বিদেশে চলে যাবো, দেখি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনে একে যাযাবর তার উপর ব্যাকপ্যাকার, আপনের তো দেশবিদেশ ঘুরারই কথা
..................................................................
#Banshibir.
মাইনকা চিপায় আটকায়ে আছি রে ভাই! সত্যিকারের যাযাবর আর হওয়া হবে না মনে হয়! দোয়া রেখেন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লেখাটা পইড়া ভাল্লাগ্লো, মনে হইলো নিজের কাহিনী শুনতেছি, থাকতাম পলাশীর ঐদিকেই, তাই রুটিনটাও এইরকমই ছিল। শুক্রবার দিনটা আসলেই স্পেশাল, খাইতে বসার পর দেখাগেল ছোটোভাই এখনো আসে নাই, বাসার সামনে বন্ধু-বান্ধব নিয়া আড্ডা দিতাছে, ৫ বার ডাকার পর আসলো, ----কত যে স্মৃতি!
আপনের লেখার শেষ অংশ পইড়া এই বছর মে মাসের কাহানী মনে পড়ল, ভার্সিটির কম্পিউটার ল্যাবে গেছি কেন জানি, তখন "ডেড উইক" চলতেছে, সবাই পিসির সামনে বইসা সমানে কোডিং করতেছে একমনে, এসাইনমেন্ট/প্রজেক্টের ঠেলায় সবার চোখে ২ দিন না ঘুমানোর ছাপ, এইসময় পাশের মেয়ের ফোন বেজে উঠলো কর্কশভাবে।
"মা তুঝে কিতনিবার বোলু, মে খায়া, মে খায়া!" বিব্রত মেয়ের গলা ল্যাবের সবাই শুনতে পায় "কিয়া খায়া, ইয়ে জানকে তু কিয়া করেগা, বোলানা মে খায়া, মে খায়া!" ল্যাবের ভারতীয়বাংপাকি সব তখন হাসি চাপতে ব্যাস্ত
--দিফিও
কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
..................................................................
#Banshibir.
হৃদয়-ছোঁয়া লেখা।
লেখার বিষয়বস্তু যদি শৈশব হয়, সে লেখা একটু বেশি ভালো লাগে।
অন্যের শৈশবের মধ্যে সব-সময় নিজেকে খুঁজি; পেয়েও যাই অনেক সময়।
বড়বেলা যেমনই হোক, আমাদের আদুরে শৈশব অদ্ভুতরকম সোনালী; বড় মায়াময়।
বড্ড স্মৃতি-জাগানিয়া লেখা; শেষ লাইনটা পড়ে চোখে পানি আটকে রাখা কঠিন হয়ে গেল।
ধন্যবাদ বাণীব্রত।
..................................................................
#Banshibir.
ইদানীং ঢাকায় ফোন দিলে শোনা যায়-- ফায়ার ব্রিগেড সার্ভিসে আপনাকে স্বাগতম। পর পর কয়েকবার ট্রাই করার পরে লাইন যায়। কী যে অবস্থা।
কন কি?
..................................................................
#Banshibir.
চোখ ভিজে গেলো হঠাত
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
..................................................................
#Banshibir.
তুমি মিয়া বড় খারাপ কিছিমের লোক।
ফুটনোট: পোস্টখানা জব্বর হইয়াছে যদিও শেষের দিকে আসিয়া মন খারাপ হইয়া আসে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এই আর কি।
..................................................................
#Banshibir.
আপনার লেখা পড়ে লগ ইন করলাম
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আছেন কেমন কল্যাণদা?
..................................................................
#Banshibir.
ভালোইতো মুড আস্তেছিল আইরিশ ঘন্টা কাকার সাথে কিন্তু আপনার লেখা পড়ে খেলার মাঠ, আমার সাইকেল আর মা'র কথা মনে পড়ে গেলো যে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
তাসনীম ভাইয়ের পোস্ট থেকে কোট করিঃ
"গাঢ় স্বরে সে বলে চলে - “তোমার খেলনা বন্দুক, লাল রঙের বালতি, স্কুলের মাঠ, প্রথম ভালোবাসা, কলেজ পালিয়ে দেখা সিনেমা, বাকিতে কেনা সিগারেট, রেঁস্তোরার চপ, পুকুরের পানিতে বৃষ্টির ফোঁটা, রিকশায় শহর ভ্রমণ, ধূমায়িত আড্ডাঘর, অর্ধেক পড়া উপন্যাস, ছাদের চিলেকোঠা, পুরানো আকাশ, সবুজ সোয়েটার, ভাঙা রেডিও, ধ্রুবতারা - সবই জমিয়ে রেখেছি আমি। সবই রয়েছে আজও চমৎকার।”
সেই শহরের বিষণ্ণ চোখ ভেসে উঠে বারেবার।"
..................................................................
#Banshibir.
আবার দণ্ডবৎ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আমরার হাছাফীর বিলাত গিয়া হাছাউ বিরাট ফীর অই গেসইন দেখরাম! এব্লা দেশো ফিরিয়া তুমার ফীরাকির থুড়া মোজেজা আম্রারেও দেখাওরে বা!
****************************************
কোন অঞ্চলের ভাষা এটা?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
মনপুর
****************************************
ই কিতা খৈন! ব্যাফক শরমিন্দা অইলাম রে বা।
হাসাফীর হুনিয়া মজা ফাইলাম।
..................................................................
#Banshibir.
সপ্তাহে অন্তত দুইদিন বাজারের ব্যাগ হাতে বাপের পেছন পেছন ছোটা। আমার সেকি কাঁচুমাচু ভাব! বাজার করা কোন ভদ্রলোকের(মানি ছেলের!) কাজ! পুরা মানসম্মান যায় যায় অবস্থা। ছোটভাইটা একটু বড় হইলে পড়ে, মানে বাজারের ব্যাগ হাতে ঝুলাইলে মাটিতে না ঠেকা অবস্থায় পৌঁছাইলে এই মহান দায়িত্ব ওর হাতে গুঁজে দিয়ে কিছুটা মানসম্মান রক্ষা হইল।
আহা! কিসব দিন গেছে!
কৈসিলাম না? খুবই শরমের ব্যাপার।
..................................................................
#Banshibir.
আম্মায় মইরা গিয়া ভাল করসে। সারাজীবন আগলায়ে রাইখা এখন এইকালে প্রত্যেকদিন ফোনে কানতো নাইলে।
শুক্রবার বিকাল, উইকেন্ডের শুরুতেই মনডা খারাপ করায়ে দিলেন মিয়া।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
..................................................................
#Banshibir.
সে কতকাল আগের কথা। আব্বার পিছে পিছে বাজারের থলে হাতে আমাকেও যেতে হতো। আব্বার ঐ একটাই শখ ছিলো, বাজার করা। মাছ বাজারে দরদাম করে মাছ না কিনেই সরে পড়া। আরও কতো রকম খামখেয়ালী!
আমিও একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আমার ছেলেকে বলি, 'আব্বু, আজ কি খেলে! দেশে কবে নাগাদ আসবা, আব্বু।'
ভাল থাকুন।
..................................................................
#Banshibir.
ইশ্... আমার যদি এমন একটা সেলফোন থাকত যা দিয়ে আম্মার সাথে কথা বলা যায়! তবে ইদানিং মাঝে মাঝে ফোনটোন ছাড়াই যেন আম্মার গলায় শুনতে পাই - দেশে আসবা না বেটা? দেশে আসবা না?
****************************************
..................................................................
#Banshibir.
স্মৃতিকথা আর নস্টালজিয়া কি জিনিস আর এইগুলা ক্যামনে লিখতে হয় জানতে হলে আপনার আর তাসনীম ভাই এর কাছে তিন ক্রেডিট এর একটা কোর্স করা উচিৎ উৎসাহী লোকজনের।
উঁহু তাসনীম ভাইয়ের কোর্স নেওয়া উচিত, আমি টিএ হইতে রাজি আসি। মিডটার্মের খাতাপত্র দেখুম
..................................................................
#Banshibir.
চোখ ভেজানো, মন ভাসানো লেখা--
আপনার মুরীদ হলাম আজ থেকে---
কি যে বলেন অনিকেতদা।
..................................................................
#Banshibir.
আপনার লিখা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। আমি বাইরে আসার ১ মাস পরেই আমার আদরের মাহিন (বড় ভাইয়ের ছেলে) আমাকে একটা চিঠি লিখেছিলো।https://www.facebook.com/#!/photo.php?fbid=168504771819&set=a.21398426819.41593.602341819&type=3&theater
https://www.facebook.com/#!/photo.php?fbid=168504771819&set=a.21398426819.41593.602341819&type=3&theater
onupoma
চিঠি দেখা যায় না। কন্টেন্ট নট অ্যাভেইলেবল। কি লিখেছিল মাহিন আপনাকে চিঠিতে অনুপমা?
..................................................................
#Banshibir.
ছবি কিভাবে আপলোড করে? খালি দেখি লিংক দিতে বলে কিনতু কি জানি হয়
ওনুপমা
ওনুপমা
ছবি কিভাবে আপলোড করে খালি বলে লিংক দিতে কিনতু কি জে হয় কিছু বুঝি নাহ!!!!
ওনুপমা
ভাই অনুপমা এখানে ক্লিকিয়ে দেখতে পারেন ছবি যুক্ত করার নিয়ম।
..................................................................
#Banshibir.
ভাই সত্যপীর আপনাকে অনেক ধননোবাদ ।
অনুপমা
খুব কিউট।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
লাইফ, সামটাইমস- ইজ নট বিউটিফুল!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লাখ কথার এক কথা.
..................................................................
#Banshibir.
এই প্যারাটায় ব্যাপক মজা পাইলাম।
আর বাকি লেখা
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
..................................................................
#Banshibir.
অসাধারণ ! খুবই ভালো লাগলো , সকাল থেকে মন খারাপ ছিল ,"সচলায়তন" আমার কবিতা এখনো প্রকাশ না করায় | আপনার লেখা মন ভালো করে দিল | ভালো থাকবেন |
suvra_ete
লেখালেখি জারি থাকুক!
..................................................................
#Banshibir.
অনুবাদ করেন আর যাই করেন আমি কইলাম আপনেরে আগেই চিনছি----------
..................................................................
#Banshibir.
খুব সহজেই লেখার সাথে নিজেকে মিলিয়ে নেয়া যায়। সব সমবয়সীদের বা তার আশেপাশের বয়সীদের গল্প হয়তো কম-বেশী একি রকম। রঙটা হয়তো কথনো গাঢ় কথনো ফিকে হয়ে দেখা দেয় ভিন্ন বিত্তের কারনে।
দারুন লাগলো লেখা।৫ তারা দিয়ে গেলাম।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
..................................................................
#Banshibir.
মনে করিয়ে দেয় কিছু স্মৃতি।
-ঘুমের সাগর
হুমম.
..................................................................
#Banshibir.
মা নেই আজ ১৪টি বছর। ত্খন থেকেই নীড় হতে দূরে, প্রবাসে ২ বছর হতে চলল। দেশে ফোন দিলে সবাই বলে- দ্যাশে আবি না?? কিন্তু মায়ের মত কেউ বলে না, মায়ের মত কেউ বলতে পারে না।
লেখায় ৫ তারা।
- স্বপ্নচারীর স্বপ্ন
ধন্যবাদ স্বপ্নচারীর স্বপ্ন.
..................................................................
#Banshibir.
নতুন নতুন বিদেশে আসার পর অচেনা পথেঘাটে শিরোনামহীনের গানে পরিচিত ঢাকাকে খুঁজে বেড়াতাম। সময়ের সাথে সে হাহাকার অনেকটাই কেটে গেছে। আর তাই শিরোনামহীনও এখন দিগন্ত টিভিতে গান গায় পয়সার লোভে।
লেখাটা পড়ে এক টানে বিশ বছর পেছনে চলে গেছিলাম ক্ষনিকের জন্য। কত অসাধারণ সব স্মৃতি! কী চমৎকার একটা জীবন ছিল আমার!
কি চমত্কার একটা জীবন ছিল আমাদের.
..................................................................
#Banshibir.
আপনে এত্ত চমৎকার লিখেন কেমতে? দেশে বিদেশে, গানের কলি সিরিজ আরও আসুক।
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু. মেলা দিন নো টক, আসেন ক্যামুন?
..................................................................
#Banshibir.
দ্যাশে আইসা পড়েন পীরসাব। চকবাজারের নূরানিতে লেবুর সরবত খামু নে। তারপরে রূপলাল হাউজের ছাতে গিয়া সানসেট।
কি আছে দুনিয়ায়!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আইতেছি খাড়ান।
..................................................................
#Banshibir.
"হ্যালো বেটা ক্যামন আসো...খাইসো কিসু? দেশে আসবা না বেটা? দেশে আসবা না?"
ছুঁয়ে গেলো লেখাটা।
সৌরভ কবীর
..................................................................
#Banshibir.
বাংলার সব মায়েরাই কি এক মাটিতে গড়া?
ম্যালাদিন সাড়াশব্দ নাই, আছেন ভালো? লিখেন নাই কিছু?
..................................................................
#Banshibir.
লিখব ভাই। একটু অপরাধবোধেও ভুগি। আমার সামান্য কিছু লেখাকে কি অসামান্য ভালবাসায় গ্রহণ করলেন আপনারা। তার তেমন কোন মর্যাদা না দিয়েই দিলাম ডুব। মন-টন খারাপ থাকলে কি আর লেখা বেরোয়?
খুব শিঘ্রী ফিরে আসছি। এবার লাগাতার লিখে যাব, যা মন চায়।
মন খারাপ নাকি? এই দেখেন একটা বাংলা সিনেমার ক্লিপ, হাসতে হাসতে মারা গেলে আমি দায়ী না কিন্তু।
..................................................................
#Banshibir.
উই থিং বাংলা ছবির হিরু মানেই আনএডুকেটেড !!!
ইমানে বলেন তো ভাই, সারা জীবন চিন্তা করলেও আপনি বা আমি কি এমন আইডিয়া বের করতে পারতাম?
সো প্লিজ ইট ফুড ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ডোন্ট বি পম জ্ঞানা।
..................................................................
#Banshibir.
নতুন মন্তব্য করুন