আমি যে বহুতল ভবনে থাকি তার পাঁচটা লিফটের একটায় উঠতে গেলে বীজগণিত জানা লাগে। সূত্র y= (x+1)। Y হল যে তলায় পৌঁছাবেন, আর x হল যে তলার বাটনে চাপ দেবেন। আপনি ভাবছেন এ আবার কি হেঁয়ালি, যে তলা চাপব সেই তলাতেই তো লিফট থামবে। এতো সহজ নয়, এই লিফটের সূত্র আলাদা। দুই এ টিপলে তিনতলায় থামবে, বিশ এ টিপলে একুশ। সুতরাং মনে করি আপনি যাবেন ২৩ তলায়, অর্থাৎ y = 23। কিন্তু সূত্র অনুযায়ী আমরা জানি y = (x+1), সুতরাং (x+1) =23 বা x = 22। অর্থাৎ লিফটে চাপতে হবে বাইশ। হুঁ হুঁ, অংক জানতে হয়।
ঢাকায় আমি কখনো অ্যাপার্টমেন্টে থাকিনি। একবারে গ্যাদাবাচ্চা যখন ছিলাম তখন আমরা মগবাজারে থাকতাম। আমার মনে পড়েনা কিছুই, খালি ছবিতে দেখি তরুণ পিতা তার তিনটে ছেলেকে কোলে নিয়ে হাসিমুখে বসে আছেন বেতের চেয়ারে, অথবা নীল রঙের গাড়ির বনেটে বসে হাসছে আমার এক বছর বয়েসি ছোট ভাই। আমাদের কখনো গাড়ি ছিলনা, তাই গাড়িটা নিশ্চয়ই বাড়িওলার। ছোট উঠানমত দেখা যায়, পাঁচিলের এপাশে কিছু ছোটবড় গাছ। সুন্দর বাসা ছিল বোঝা যায়, আফসোস আমার কিছুই মনে নেই।
এরপর আমরা চলে যাই হাতিরপুলে ফ্রি স্কুল স্ট্রিট বলে একটা গলিতে। চারতলা বাসা, তার চারতলাতেই আমরা থাকতাম। ছোট দুই বেডরুমের বাসা, এক রুমে আব্বা আম্মা ছিল আরেকরুমে ঘুমাতাম আমরা তিন ভাই। সামনে ছিল লম্বা টানা বারান্দা, সেইখান দিয়ে দেখা যেত ক্লাবের মাঠে ছেলেদের বল খেলা। সেই মাঠেই পরে ইস্টার্ন প্লাজা গড়ে ওঠে, সে অনেক পরের কথা। বারান্দা ছিল অনেক লম্বা, তার অর্ধেক জুড়ে আব্বা টব বসিয়েছিলেন। ফুলের টব। লম্বা ফালি কাঠের টুকরো দিয়ে শেলফের মত তৈরি করা হয়েছিল, গ্রীল যেখান থেকে শুরু সেই উচ্চতায় থাক যেন গাছে আলোহাওয়া লাগে। গাছ যখন বড় হয়ে গিয়েছিল তখন ভেতর দিকে যেন ঝুঁকে না যায় সেজন্য গাছের ডাল গ্রীলের সাথে বেঁধে রাখা হত। তুমুল ঝড়ের দিনে সেই বাঁধন যেত খুলে, আর আমরা দুই ভাই পিতার তত্ত্বাবধানে বৃষ্টির মধ্যে সেই দড়ি আবার লাগাতে থাকতাম। ছোটভাই তখন অনেক ছোট। এখনো চোখ বুঁজলে দেখতে পাই বৃষ্টির পানি আর ঠাণ্ডা হাওয়ায় আমাদের হাত ভেজা, শার্ট ভেজা। আঙুলের ডগা সাদা হয়ে কুঁচকে গিয়েছে। আমরা নয়নতারা গাছের ডাল মেটে লাল রঙের গ্রীলের সাথে লাগাচ্ছি চটপট। বাইরে হয়তো বাতাসে ঘুরে ঘুরে উড়ছে কিছু কাগজ অথবা নীল পলিথিন। নিচে রাস্তায় পানি উঠেছে অল্প, বাঁকানো শক্ত ডাঁটের শরীফ ছাতা হাতে হেঁটে মসজিদের দিকে হাঁটছেন ইমামসাহেব। মাগরীবের ওয়াক্ত আসন্ন।
সেই বাসায় বাথরুম ছিল একটা। ঈদের দিন সকালে আমরা লাইন ধরে গোসলে ঢুকতাম একে একে, চারজনে ত্বরিত গোসল সেরে বেরিয়ে আম্মার রাঁধা সেমাই পরোটা-মাংস অল্প চেখে দিতাম মসজিদের দিকে হাঁটা। আটটায় ঈদের জামাত, পৌনে আটটার ভেতরেই সাধারণত জায়গা ভরে যেত।
চারতলায় ছিলাম বলে ছাদ জিনিসটা সহজলভ্য ছিল, প্রায়ই যেতাম। লাল রঙের ইটের কোমরসমান লম্বা রেলিং, তার উপর দিয়ে নিচে তাকালে আমার মাথা ঘুরত। উরে বাবা, কত উঁচা! মাঝে মাঝে কাগজের প্লেন বানিয়ে উড়াতাম, বেশিরভাগই গোঁত্তা খেয়ে পড়ে যেত অথবা ইলেক্ট্রিকের তারে বেজে থেমে যেত। কিন্তু একটা দুটা হঠাত আমাদের মুগ্ধ করে ভেসে ভেসে কোথায় কোথায় চলে যেত, সেই দেখে আমাদের খুশী দেখে কে! পরে অন্য একটা ট্রিক শিখেছিলাম, প্লেনের লেজের পেছনের অল্প অংশ ছিঁড়ে উল্টে দিলে বেশ একটা ভার্টিকাল স্ট্যাবিলাইজার তৈরি হত, আর প্লেন সোজা ওড়ার বদলে উল্টে উল্টে গোঁত্তা খেয়ে খেয়ে এগোত। দেখতে ভারি মজা। সেই ছাদের মাঝখানে সাইডে ছিল পানির ট্যাঙ্কি। সেই ট্যাঙ্কি শীত গ্রীষ্ম সবঋতুতেই ভারি ঠাণ্ডা হয়ে থাকত। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় পানি ছাড়া হত, ঘোঁ ঘোঁ শব্দ করে ট্যাঙ্কিতে পানি উঠত।
ফুলার রোডের বাসা ছিল সাইজে বড়। রুমগুলো সাইজে ছোট হলেও আমরা তিন ভাই নিজস্ব রুম পেলাম, এমনকি বাথরুমও তিনটে। একটায় আবার কমোড লাগানো। ব্যাপক বড়লোকি কারবার। সেইখান থেকে স্কুল হাঁটাপথে পনেরো মিনিট, সকাল সাতটার বদলে সাতটা চল্লিশে ঘুম থেকে উঠার পার্মিশন পেয়ে মনে হয়েছিল এই তো জীবন! সেই বাসায় আমি থেকেছি অল্পই, বেশীরভাগ সময় বাইরে বাইরেই কাটতো। কলেজে উঠার পরে মাঝে মধ্যে সাইকেল নিয়ে কলেজ যেতাম, কোনমতে নীলক্ষেত আর নিউমার্কেটের ঘিঞ্জি চৌরাস্তা পেরিয়ে বিডিআর তিন নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে পড়তে পারলেই হল। পিলখানার ভেতরে সাইকেল চালানোর মজাই আলাদা। সাইকেলের গল্প আরেকদিন।
উত্তরায় যখন আমরা মুভ করি তখনও বাসা কমপ্লিট হয়নি। কিন্তু পিতার কড়া হুকুম, নিজের ঘরে যেতে হবে যথাশীঘ্র। গেলাম। উত্তরা তখনো ব্যস্ত হয়ে ওঠেনি, বিশেষত নয় নম্বরে ঘরবাড়ি তেমন কিছুই নেই। সেই আধাখেঁচড়া বাড়িতে মহাসমারোহে থাকা শুরু করলাম। তখনো কোন ঘরেই ফ্যান লাগেনি, গরমে অস্থির হয়ে পড়লে বাইরে চেয়ার পেতে বসতাম। সামনে অল্প খালি জায়গা ছিল, মূল প্ল্যানে ছিল বাড়ি দুই তিনতলা হলে সেই অংশটা হবে গাড়ি বারান্দা। আপাতত দুই তলাও নাই গাড়িও নাই, শুধুই খোলা বারান্দা। সন্ধ্যার পরে চমৎকার বাতাস দিত। সেখানে গেটের সামনে আম আর সাইডে একটা পেয়ারা গাছ লাগানো হল। কাজী পেয়ারা, অল্প সময়ের মধ্যেই এরা ফল দেয়। ভারি চমৎকার ছিল সেই গাছের পেয়ারা। কখনো পানি দেয়া হতনা, অল্প যত্নেই এরা বেড়ে উঠত।
কোন এক অজানা কারণে আব্বা মারা যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে পেয়ারা গাছটিও মরে যায়।
কিছুদিন পরে ফ্যান লাগানো হল, তবে বাসা পূর্ণ হয়নি। চাচা বেড়াতে এলেন আমেরিকা থেকে, তাকে আমার রুম দেয়া হল। সেই রুমে কাপড় পাল্টানোর জন্য হাত বাড়িয়ে তিনি প্রথম আবিষ্কার করলেন দরজার নব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা কারণ কোন রুমে কোন দরজাই নাই। শুধুমাত্র যে দরজাগুলি না হলেই নয় অর্থাৎ মূল ফটক আর বাথরুমের দরজাগুলি লাগানো ছিল, বাকিগুলি খোলাই ছিল। দরজা লাগানো হয় অনেক পরে।
ক্যানাডায় আমি প্রথম এসে যে বাসাটায় উঠি সেইটা ছিল ডাফরিন ষ্টেশনের কাছে। কাছেই অজিংটন স্টেশনে কফিশপে আমি কামলা খাটতাম। আড়াইতলা বাসা, নিচতলায় থাকে বাড়িওলা। জ্যামাইকান পরিবার, ভারি আমুদে। দুই তলায় আমার রুম, আরেকটি রুমমেটের রুম আর কিচেন বাথরুম। আমার আধা উপরতলার অ্যাটিকে থাকে পর্তুগীজ এক মেয়ে লিজ। রুমের ভিতর টিভি, সাইডে বড় জানালা দিয়ে প্রাইমারি স্কুল দেখা যায়। সকালবেলা আমি দেখতাম দলে দলে শিশুরা হৈচৈ করতে করতে স্কুলের মাঠে দৌড়ঝাঁপ করছে। শিশুদের ডাক পৃথিবীর সবখানে একরকম, আমিও টিফিন পিরিয়ডে স্কুলে দাঁড়িয়ে সেই একই আওয়াজ শুনতে পেতাম বহু বছর আগে অনেক দূরের দেশে।
লিজ থাকতো আমার ঠিক উপরে, তার বয়ফ্রেন্ড আসতো উইকেন্ডে রাত কাটাতে প্রায়ই। দাড়িওলা সপ্রতিভ যুবক, আমাকে দেখলে দূর থেকেই হাসত। তারা উপরে বসে সিগারেট খেত, কিছু একটা রান্না করত আর গান ছেড়ে রাখত। আর রাতের বেলা আমার মনটা বেচাইন হয়ে উঠত ঠক ঠক ঠক ঠক খাটনড়ার অবিশ্রান্ত শব্দে।
এইস্থলে এসে আপনি ভাবছেন ওরে হর্নি সত্যপীর এইবারটি থাম। তোর কি লজ্জা নাই? খাড়ান পাঠক, তিষ্ঠান ক্ষণকাল। মন বেচাইন হওয়ার কারণ জানতে হলে তাকাতে হবে আমার রুমের সেটআপের দিকে। পুরান দিনের কাঠের বাড়ি, রুমের ঠিক মাঝে আমার খাট। উপরে জায়গামত ঝুলছে ঝাড়বাতি, মরচে ধরা শিকল দিয়ে আটকানো। শিকল আংটা সিলিং এর কাঠ সবই ঝুরঝুরে, উপরের ক্রীড়ামত্ত যুগলের আচরণে সেগুলো ভয়ানক আপত্তি তুলে মচমচ শব্দ করতো, আর ঝাড়বাতিটা দুলত অল্প অল্প। কোন কারণে বাতি ছুটে পড়লে তা এসে পড়বে আমার শরীরের মাঝামাঝি এলাকায়, সেথায় বিবিধ গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গের বাস। অজানা আশঙ্কায় মন অস্থির হওয়া অস্বাভাবিক কি?
সেইখানে বাসা থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটলে ওয়ালমার্ট। আমি নতুন মানুষ ভেবেছিলাম সবারই মনে হয় এরকম বাসার সাথে একটা ওয়ালমার্ট থাকে। বেড়ে ব্যবস্থা, আলপিন টু অ্যালিফেন্ট সবই স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায়। অটোয়ায় যেখানে বাসা নিলাম সেখানে ওয়ালমার্ট খুঁজে আমার চক্ষুস্থির, একঘণ্টা লাগে কাছের ওয়ালমার্টে যেতে। তবে অটোয়ার বাসাটা ভার্সিটির কাছে ছিল, দশ/পনেরো মিনিটেই ক্যাম্পাস পৌঁছে যাওয়া যেত। আধা বেসমেন্ট, পেছন দিয়ে আলাদা দরজা। ভারি খুশি হয়ে গিয়েছিলাম আলাদা প্রবেশপথ দেখে, পরে উইন্টারে হালুয়া হইল টাইটং। অটোয়ার স্নোফল মারাত্মক, নিয়মিত তুষার সাফ না করলে পরে সরানো খুবই কষ্ট। এমনকি কোন এক মধুর সকালে উঠে দেখতে হতে পারে যে তুষারে দরজা আটকে গেছে, বাইরে থেকে বরফের চাঁই সরিয়ে তবেই দরজা খুলতে হবে। আমি তখন ক্লাস করার পাশাপাশি ফুল টাইম কামলা খাটি সেভেন ইলেভেন বলে এক গ্রোসারি স্টোরে। সকালবেলা ক্লাসে যেতাম আটটা নটার দিকে, তারপর তিনটা থেকে এগারোটা দোকানে কাজ, তারপরে ঘরে ফিরে এসে যখন গা টনটন করছে তখন খাবার মাইক্রোওয়েভে দিয়ে টিভিতে ফ্যামিলি গাই ছাড়ার বদলে কাঁপতে কাঁপতে স্নো শোভেল করতে হত। এই মধুর অভিজ্ঞতার ফলে পরে টরন্টো এসে আমি সেই যে অ্যাপার্টমেন্টের ভক্ত হয়েছি আর ছাড়ান-কাটান নাই। খালি বীজগণিত জানতে হয় এই আর কি।
ইউনিভার্সিটির শেষদিকে ভার্চুয়াল ঘরবাড়ি গড়ে উঠতে থাকে। আকাশে বাতাসে সবাই তখন একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলছে। প্রথমদিকে পাত্তা দিতাম না, আরে যারা ফ্রেন্ডলিস্টে আছে তাদের সাথে তো ডেলি ডেলিই দেখা হয়, ওর স্ট্যাটাস ওরে জিগাইলেই হয় ফেসবুকে দেখার দরকার কি। কিন্তু মাস্টার্সের সময়ই আস্তে আস্তে দুনিয়া বদলে যেতে থাকে, দূরত্ব বাড়তে থাকে সবার। সবার সাথে আর দেখা হয়না, কিন্তু ফেসবুকের কল্যাণে ঠিকই খবর জানা হয়ে যায়। ঐ শালায় আমেরিকা চইলা গেছে? শালার ভাই খাওয়াইলও না। আরে অয় দেখি ব্যাঙ্কে চাকরি পাইসে, ফোন দেওয়া যাক আজকে রাজ্জাকে ছিল। আস্তে আস্তে এভাবে ফেসবুক নির্ভরই হয়ে ওঠে বন্ধুত্ব, দেখা আর হয় কই। কেউ কেউ দিনে দশটা স্ট্যাটাস আপডেট করে, কেউ আবার এমনই ঘুম যে কোন সাড়াশব্দই নাই। তবু এই ভার্চুয়াল ঘরে সবাই সবার খবর রাখে, নজর রাখে কে কেমন আছে। এই ফেসবুকেই রাজার অ্যাকাউন্টে গেলে দেখা যায় অনেকদিন তার কোন সাড়াশব্দ নাই, কয়েকবছর আগে সে চলে গিয়েছে গভীর ঘুমের রাজ্যে। মনে হয় সেখানে ইন্টার্নেট নাই, নইলে এতো লোক তার ওয়ালে লিখে সে কোন রিপ্লাই দেয় না ক্যান? তার প্রোফাইলের কোনায় বামদিকে লেখা “ইউ অ্যান্ড রাজা আর ফ্রেন্ডস”। খাঁটি কথা। রাজা অ্যান্ড আই আর ফ্রেন্ডস। প্রেজেন্ট টেন্স।
২০০৯ এর শেষদিকে পড়া শুরু করি সচলায়তন বলে আরেক ভার্চুয়াল ঘরের পাতা, তখনো এই ঘরের নিয়মিত সদস্য হইনি। গতবছরের শেষদিকে একটা অনুবাদ পোস্ট দিলাম। তারপর আরেকটা। তারপর আরেকটা। আস্তে আস্তে কিছু মানুষের সাথে নিয়মিত কথাবার্তা শুরু হয়ে গেল। ভারি মজার এই ঘর। মনে হয় এক বিরাট গল্পের আসর। কেউ কবিতা বলছে, কেউ গল্প। চলমান ঘটনাবলী নিয়ে কড়া ভাষায় কেউ লিখছে প্রবন্ধ, তার মাঝেই কেউ হয়তো বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা শুরু করল। এই সব লেখার মাঝে যে জিনিসটা প্রবলভাবে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে তা হল এই লোকগুলি লিখছে একদম সহজ ভাষায়, যেন আমার মতন গবেটও বুঝতে পারে। প্রচুর তথ্যপূর্ণ একটা লেখায় যখন আপনি বোকার মত প্রশ্ন করছেন তখন লেখক এমনকি বাকিরাও বুঝিয়ে দিচ্ছে জানিয়ে দিচ্ছে আরো অনেক কিছু। এরকম ঘরের সদস্য হওয়া দূরে থাক সন্ধান পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার।
একদিন নিশ্চিতভাবেই থেমে যাবে আমার লেখনী। আবজাব অনুবাদ আর কত। অতিথি অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হবে। মডুমামা চিঠি দিবে “দীর্ঘ নিষ্ক্রিয়তার কারণে আপনার অ্যাকাউন্টটি স্থগিত করা হল। আশা করি এতে করে আপনার সাথে আমাদের সম্পর্কে ছেদ পড়বে না”। আমি তখনো পড়ে যাবো ঠিক, পুরাতন সচলদের দুর্দান্ত সব লেখা পড়ার পাশাপাশি হঠাত একদিন চমকে দেয়া কোন এক অতিথি লেখকের কাঁপিয়ে দেয়া প্রথম লেখায় বুড়ো আঙুল উঁচিয়ে বলব, ওরে নারে...জব্বর হৈছে। কিপিটাপ!
মাঝে মাঝে মনেই থাকেনা কি চমৎকার একটা জীবন আমাদের।
মন্তব্য
শুরুতেই তো দিলেন প্যাঁচ লাগাইয়া।
আপনি ইকনোমিক্সের ছাত্র বইলা সবাইরে এমন ডর দেখান ক্যান?
ইয়ে...মানে মুর্শেদ ভাই এত ক্ষেপল ক্যান? নিষ্ক্রিয়তার কারণে অতিথি অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করলে আমি কোথায় লিখতাম?
লেখালেখি তো মন-মানসিকতার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
বাজে একটা লেখা সচলায়তনের পাতায় দেয়ার চেয়ে না দেয়াটাই কি বেশি যুক্তিযুক্ত নয়?
আরে মুর্শেদ ভাই ক্ষেপব ক্যান? অনেক আগে ২০০৯ এ আমি দুইটা এলেবেলে পোস্ট দিয়া ডুব দিসিলাম, তখন এইরকম একটা মেইল আসছিল মনে হয়। তাই লিখলাম। তবে টানা এক দুই বছর আওয়াজ না দিলে ব্যবস্থা গ্রহন মনে হয় ঠিকই আসে।
..................................................................
#Banshibir.
আঁই কিচ্চি!
ঈমানে কৈলাম আমি কিছু কই নাই
..................................................................
#Banshibir.
আরে, মুর্শেদ ভাই এরই মধ্যে সব ভুলে খেয়ে ফেললেন?
কলরবে এই কয়দিন আগেও আপনি এই নিয়ে হুমকি দিলেন না?
পীরসাব "ঠক ঠক ঠক ঠক খাটনড়ার অবিশ্রান্ত শব্দে" আপনার বোঝা উচিত ছিলো "কি চমৎকার একটা জীবন আমাদের"।
[যা লিখছেন আজকাল, ]
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
খি খি খি।
..................................................................
#Banshibir.
চলতে চলতে চলতে শেষ পর্যন্ত তো দেখি 'কী ঘর বানাইব হাছন শূন্যেরও মাঝার'-এ এসে ঠেকল
০২
দারুণ
হ ঠিক কথা। আগে যদি জানত হাসন বাঁচব কত দিন, বানাইত দালানকোঠা করিয়া রঙ্গিন।
লীলেনদা আছেন ভালো?
..................................................................
#Banshibir.
হাতিসাইজের লিখা, তবু পড়তে গিয়ে ক্লান্তি লাগেনাই। ছোটবেলা থেকে এই পর্যন্ত্য যতগুলা বাসায় ছিলাম, সবগুলার কথা হুট করে মাথার মধ্যে চলে আসলো। কত কত স্মৃতি।একটা সময় ছিল যখন ক নিজস্ব রুমের জন্য মেলা কান্নাকাটি করছি, তিনবোনে মিলে রুম শেয়ার করছি, আর এখন বিশাল বাসায় একলা থাকি। ঘুম থেকে উঠে সেটা মনে হলেই কান্না পায়।
ঠিক! এক খাটে চার ভাইবোন থেকে চার কামরার ফ্ল্যাটে একা অবস্থায় এসে পড়েছি। কি নিঃসীম-ভয়াবহ যে এই একাকীত্ব সেটা কে বুঝবে!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
..................................................................
#Banshibir.
পাণ্ডবদা, পাঁচ ভাইবোনের কিচিরমিচির করা বড় একটা সংসার থেকে বের হয়ে এক্কেবারে একা থাকা বড্ডো কষ্টের। আপনার কষ্টটা কিছুটা হলে ও টের পাচ্ছি দাদা।
লিখতে লিখতে টের পাচ্ছিলাম বড় হয়ে যাচ্ছে। কি আর করা
..................................................................
#Banshibir.
আরে পীরসাহেব, লিখা বড় হয়ছেতো কি হইছে, পুরাটাই পড়ছি, বেশ মন দিয়াই পড়ছি, আপনি মাইন্ড খাইয়েন না প্লিজ।
মাইন্ড খাইতে মজা না, এতো সহজে খাই না
..................................................................
#Banshibir.
ঠক ঠক ঠক অবিশ্রান্ত শব্দ , যা বললেন না পীরসাব।
আমি যে বাসায় থাকতাম ক্লাস ১০ পর্যন্ত সেটা মফস্বল শহরের কলেজে কোয়ার্টার।কাঠের ঘড়, মাটির মেঝে, টিনের চৌচালা, বর্ষায় ঝুম বৃষ্টিতে ফুটবল খেলে বাসার সামনের বিরাট পুকুরে কতক্ষন ডুবিয়ে আসার পর ঘুম একটা যা দিতাম না কাঁথামুড়ি দিয়ে। বাসার সামনে বিরাট মাঠ ছিল, খেলা শেষেই পুকুরে সাঁতার।
কলেজে উঠে নাগরিক জঞ্জালে চলে আসলাম, ঢাকা।।। ব্যাচেলর পর্যন্ত ছিলাম-খারাপ লাগত না, টাইম পাইলেই বের হয়ে যেতাম সিঙ্গাড়া-পুড়ি খেতে। এখন থাকি জার্মানীর এক ডর্মের ১৬মি স্কয়ার ছোট্ট রুমে, আর মিস করি দেশের ওই সেই চৌচালা টিনের ঘরটাকে, আর ঘরের দুই আপন মানুষকে।
ফেসবুকের সাথে যোগাযোগ সেই কবে, হুদাই সময় পার করতাম। ১১র শেষভাগে এই সচল। লেখা হয় না বেশি একটা, যাও হয় তাও সচলে পোষ্ট করার উপযুক্ত লাগে না। সবকিছুর পরও এই যায়গা্টাকে আপন মনে
হয় অনেক। ভালই লাগে এত আপন মানুষের সাথে প্রতিদিন দেখা করতে।
--বেচারাথেরিয়াম
ঠিক কথা
..................................................................
#Banshibir.
পড়তে পড়তে খালি থেমে যাচ্ছিলাম - মনে হচ্ছিল আমার শৈশব/তারুণ্যের অজানা কথাগুলো অবলীলায় লিখে যাচ্ছেন, কিন্তু কিভাবে? আপনি স্টকার নাকি?!
দাঁড়ান - আজকে থেকেই আপনার পিছনে ২৪/৭ চর লাগিয়ে নেক্সট বইমেলাই বের করছি: 'পীরসাবকে যেমন দেখেছিলুম'
জোকস অ্যাপার্ট, মন ছুঁয়ে গেল লিখাটা।
বইয়ের রয়্যালটির অংশ দিলে আমি নিজেই কিছু রগরগে কিচ্ছা ছাড়তে রাজি আসি
..................................................................
#Banshibir.
খুবই সত্যভাষণ । কেন যেন পড়তে শুরু করেই মনে হয়েছে আপনার ঘরবাড়ি তে সচলবাড়ির কথাও থাকবে। নিচে নেমে দেখি আমার ধারনা ঠিক আছে,
..................................................................
#Banshibir.
একটানে না মনে হয় এক নিশ্বাসে পড়লাম।
ধন্যবাদ যুমার।
..................................................................
#Banshibir.
বাহ! বাহ! এন্ডিংটা মারাত্মক
কৈতেছেন?
..................................................................
#Banshibir.
ফাস্ট বয়ের মন খারাপ নাকি
আপনি বিডিয়ার কোন কলেজটাতে ছিলেন ??
রাইফেলস পাবলিক। এখন তো নাম চেঞ্জ কইরা দিসে, বীরশ্রেষ্ঠদের নামে। এখন মনে হয় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ (ভুলও হইতে পারে বস)।
..................................................................
#Banshibir.
স্কুলে ছিলেন না কলেজে? স্কুলে হইলে দেখা যাবে হয়তো আমার প্রতিবেশী ছিলেন। আপনে নীল প্যান্ট, আমি ঘিয়া। কোন ব্যাচ?
কলেজে, স্কুলে না। আপনে বাংলাদেশ রাইফেলস এর?
..................................................................
#Banshibir.
হ। কিন্তু স্কুলে
আমার দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিলো
এখানে দেখছি পিলখানা'র অনেকে আছেন। ভালই লাগছে দেখতে।আমি বাংলাদেশ রাইফেলস্ এ ছিলাম। স্কুল-কলেজ দুটোই ওখানে। আপনি কোন ব্যাচে ছিলেন?
বাংলাদেশ রাইফেলস যখন বলছেন, মনে হচ্ছে আপনি পুরনো লোক
পীরবাবার হদিস পাইসি, এস এস সি ৯৭ (আগের স্মৃতিচারণ দ্রষ্টব্য)
এই বান্দা ৯৬।
সুখপাঠ্য। মরমে পশিল।
..................................................................
#Banshibir.
আহ্ ঘর! আকুতি ও হাতছানি অপার।
লেখা জব্বর হৈছে।
ধইন্যবাদ টোকাই ভাই।
..................................................................
#Banshibir.
(গুড়) পীরবাবা রক্স !
facebook
..................................................................
#Banshibir.
বীজগণিত টা ভালো লাগসে।
----কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ধন্যবাদ শাব্দিক।
..................................................................
#Banshibir.
কোন মন্তব্য করবো না। এই লেখাটি এতো বেশি ছুঁয়ে গেছে আমাকে, হয়ত "আমাদের ঘর" বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব ছিলোনা, যেখানে ফেরার টান থাকবে। পলাতকা আমি অনেক আগে থেকেই।
াপোনার লেখার মোঢয়ে ফেরার টান জড়িয়ে আছেই বলেই হয়ত এত মায়া লাগছে নিজের প্রতি।
আচ্ছা। লিখবেন নাকি কিছু এ নিয়ে?
..................................................................
#Banshibir.
স্মৃতি তুমি বদনা
দুনিয়াদারি কাজকর্ম আর ভাল্লাগে না।
কিরাম বদনা? পিতল না স্টেনলেস ইস্টিল?
..................................................................
#Banshibir.
খুব সুন্দর লিখেছেন। ঘুম থেকে উঠেই তো নস্টালজিক হয়ে পরলাম ভাই।
তাই?
..................................................................
#Banshibir.
লিফ্টের বিষয়টা কি ব্রিটিশ-আম্রিকান ফার্স্টফ্লোর/গ্রাউন্ডফ্লোর এর ঘাপলার সাথে জড়িত?
নাহ লিফটের মাথা এমনেই নষ্ট. পাঁচটা লিফট একই কোম্পানির, ঐটা হইলেই সবগুলাতেই এই রোগ দেখা দিত.
..................................................................
#Banshibir.
সবচেয়ে নীচের তলায় যেতে হলে কিসে চাপবেন? y = ((x + 1) mod n) যেখানে n হচ্ছে তলার সংখ্যা। খালি বীজগণিত জানলেই হচ্ছে না, রীতিমত মডুলার এরিথমেটিক জানা লাগছে!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আপাতত প্রাথমিক বীজগণিতেই চলে যাচ্ছে কারণ সমস্যাটা কেবল ওপরে ওঠার ক্ষেত্রে। নিচে নামার সময়ও যদি এই কারবার শুরু হয় তাহলে বুঝব বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট আমাদের উচ্চতর গণিত শিখিয়েই ছাড়বে
..................................................................
#Banshibir.
খাদে নামতে আজ ভয় করে, কেউ নেই যে হাতটা ধরার...
লেখায়
সচলে আজ বিষাদ দিবস নাকি?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মজার লেখা লিখতে গিয়া প্যাঁচ লাগায় দিসি
উপরের লাইনটা কবিতা? কার?
..................................................................
#Banshibir.
লাইনটা অঞ্জনের দার্জিলিং
ধন্যবাদ পথিক পরাণ।
..................................................................
#Banshibir.
লেখা অশ্লীল হইছে আপনেরতো খালি উপরের ঝাড়বাতি কাপত আর আমি এমন এক জায়গায় ছিলাম যেইখানে পুরা কমপ্লেক্স কাঁপত হাহ হাহ আপনের কল্যানে যেই স্মৃতি মনে পইরা গেল
ফুলার রোডের বাসাগুলার রুমের থেকে বারান্দার সাইজ বড় কেন সেইটা আমার এখনও প্রশ্ন। আপনে না ইউল্যাবের তাইলে আবার রাইফেলস পাবলিক হইলেন কেমনে?? পীরবাবার লীলা বুঝা বড় দায়!!
ইউল্যাব ইস্কুল রাইফেলস পাবলিক কলেজ। বুঝলেননি লীলা?
আমার বাসার বারিন্দা ছোটই ছিল। অন্যান্য বাসাগুলার টানা বারিন্দাগুলা বিশাল ঠিকই।
..................................................................
#Banshibir.
চমৎকার লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই
..................................................................
#Banshibir.
আমরা থাকতাম গেন্ডারিয়া (কিছুদিন আগে এক স্থানীয় ভাইয়ের কাছে শুনলাম নামটা এসেছে 'গ্র্যান্ড এরিয়া' থেকে), জন্ম ঐখানেই। একতলা বাসা, ৩ রুম; সাথে আছে দুই চাচা; আব্বু পেলে পুষে বড় করেছে। দারুণ সময় ছিল সেটা। চাচাদের আদরে বড় হয়েছি। অনেক অনেক কবুতর পালতাম, আকাশটা জুড়ে ঘুড়ি উড়াতাম! গবমেন্ট ল্যাবে চান্স পাবার পর সবকিছু ছেড়েছুড়ে ১৯৯৪তে ধানমণ্ডি চলে আসতে হলো, ছেড়ে আসলাম দুরন্ত-মুক্ত শৈশব।
১৯ নম্বর রোডে থাকতাম দুইরুমে কখনও ৩ রুম, ভাড়া অনেক। তখন বালকবেলা কেটেছে আবাহনী মাঠে। সকালে একবার যেতাম আরেকবার বিকালে। সারাদিন ক্রিকেট খেলতাম সারাদিন! দু তিনবার বাসা বদলের পর লোন টোন নিয়ে কোনমতে আব্বু একটা ফ্ল্যাট কিনলো ১৫ নম্বরে; চলে আসলাম ২০০৫ এ। সেইসাথে সব হারিয়ে গেল। ফার্মের মুরগিজীবন যাপন করতে লাগলাম। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরাঘুরি করে দুঃখ ভোলার চেষ্টা করতাম। আস্তে আস্তে সেটাও চলে গেল। এখন সবাই ব্যস্ত; জব নিয়ে- বিয়ে করেও ফেলছে কেউ কেউ; কারো সময় নেই। আমিও অফিসে যাই-আসি ঘুমাই-ক্লান্ত হৈ। আর কিছু নেই- একটা ফাউল জীবনযাপন.....
_____________________
Give Her Freedom!
"কিংবা এই জীবনেরে
একবার ভালোবেসে দেখি!
পৃথিবীর পথে নয় — এইখানে —
এইখানে বসে —
মানুষ চেয়েছে কিবা?
পেয়েছে কি? কিছু পেয়েছে কি!
হয়তো পায় নি কিছু —
যা পেয়েছে, তাও গেছে খসে
অবহেলা করে করে
কিংবা তার নক্ষত্রের দোষে —"
আচ্ছা ধানমন্ডি ১৯ নাম্বারটা কোন দিকে?
..................................................................
#Banshibir.
কাব্যখান বেদনা আরো বাড়ায় দিলো.........
পীরসাব, সাত মসজিদ রোডের একপাশে আবাহনী মাঠ আরেকপাশে ১৯ নাম্বার রোড। তবে এখন সেই রোড ৯/এ। সব পাল্টে গেছে। বড় বড় দালান কোঠা, ঘিঞ্জি ঘিঞ্জি মানুষ, আকাশ নাই। শঙ্কর আর ১৫ নাম্বারের মাঝামাঝি।
_____________________
Give Her Freedom!
চিনছি।
..................................................................
#Banshibir.
ঘর-সেতো আমার মন। মন যেখানে ঘর তো সেখানেই।
লেখা বরাবরের মতই ভাল, বেশ ভাল।
-স্বপ্নচারী
ঠিক কথা। হোম ইজ হোয়্যার ইওর হার্ট লাইজ।
..................................................................
#Banshibir.
বেশ লাগলো (গুড়)
---------------------
আমার ফ্লিকার
চাউল ও দ্যান পিঠা বানান শুরু করি
..................................................................
#Banshibir.
সুন্দর লেখা। একটানে পড়ে গেলাম।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধইন্যবাদ। খবর টবর কি? হোয়াট ইজ নিউজ টিউজ?
..................................................................
#Banshibir.
ভালো আছি। তোমরা টোনা-টুনি ভালো থেক, সুখে থেক। দেখা হবে। (একটা সে-ই রকম কোয়ালিটির হুক্কা কিনেছি)
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আহ চমেতকার। হুক্কা। ধোঁয়া টানতে টানতে একখান পোস্ট নামায় ফেলো দিকি। সচল ধূমায়া দেও একবারে
..................................................................
#Banshibir.
আমি ধূমপান করি নাহ। ঐ জিনিস কিনেছি আগামী বছরের উত্তর আমেরিকা সচলাড্ডার জন্য। বিস্তারিত জানানো হবে সময়মত।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
বেশ বেশ। পানের ব্যবস্থাও রাখতে হবে, দরদী হামদ ও না'ত শিল্পী চরম উদাসদাদা হুক্কায় টান দিয়ে পান চাবাতে চাবাতে যখন গান ধরবেন...জানলার কাঁচ একটাও আস্ত থাকলে হয়।
..................................................................
#Banshibir.
....ইয়ে...এহেম...আপনাদের কারো ওলন্দাজ 'কফি' অথবা 'মহাজাগতিক মিঠাই' লাগলে চিকনে আওয়াজ দিয়েন।
অ্যামস্টার্ডাম গেলে এইসব জায়গায় নিয়া যাইবেন? স্ট্যুয়ির মতন হাই হয়া বলতে বড়ই শখ, "...আই থিঙ্ক দি ওনলি রিজন দ্যাট উই ডাই ইজ বিকজ উই এক্সেপ্ট ইট!"
..................................................................
#Banshibir.
অনেক সুন্দর লেখা। আমারও বাবার চাকুরীসুত্রে বেশ কয়েক জায়গায় থাকতে হয়েছে।
মনে হল যেন আপনি আমারও ছেলেবেলা, অছেলেবেলা আঁকলেন কিছুটা।
---- ঠুটা বাইগ
ধন্যবাদ ঠুটা বাইগা।
..................................................................
#Banshibir.
পাঁচ তারা পোস্ট। স্মৃতিকথা আপনি লেখেন দারুণ।
হাচল হয়ে গেসেন? অভিনন্দন।
..................................................................
#Banshibir.
পড়তে পড়তে বিষন্ন হয়ে গেলাম!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
"অলস মাছির শব্দে ভরে থাকে সকালের বিষন্ন সময়/ পৃথিবীর মায়াবীর নদীর পারের দেশ বলে মনে হয়"।
আছেন ভালো অনার্যদা? সত্যি কথা বলতে কি দেশে-বিদেশে সিরিজ আমি মজা করেই লিখতে চাই সবসময়, কিন্তু কি জানি হয়েছে ইদানিং সব লেখায় বিষন্নতা চলে আসে। বুড়ো হয়ে গেছি বোধহয়
..................................................................
#Banshibir.
সেইরকম!!
এই এক লেখায় সব বলে দিলেন যে -
হুঁ সবই বলে দিলাম। আপনারা সবই জেনে গেলেন।
..................................................................
#Banshibir.
হ, তাইতো! ঘরের কথা-পরের কথা , দেশের কথা-বিদেশের কথা, রিয়েল লাইফ-ভার্চুয়াল লাইফ... সব!
আহ ... ফুলার রোড।
একবারই জন্মানো খুব খ্রাপ বিষয়।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
খুবই খ্রাপ বিষয়
..................................................................
#Banshibir.
আপনার লেখা পড়ে আমার দু'জন ছাত্রের কথা মনে গেল অপঘাতে যাদের মৃত্যু ঘটেছিল বছর দুয়েক আগে। সাহিম রশিদের গলায় খাবার আটকে গিয়ে আর অভ্র জ্যোতি মজুমদার বন্ধুদের সাথে কাপ্তাই লেকে সাঁতার কাটতে গিয়ে। ওদের ফেসবুকে এখনও ওদের বন্ধুরা মাঝে-সাঝে মেসেজ লিখে যায়, কিন্তু নতুন ছবি আপলোড দেয়না দুষ্টু ছেলেগুলি, দেয়না নতুন কোন স্ট্যাটাস। মনে পড়ে গেল আমাদের চট্টগ্রাম চলচ্চিত্র কেন্দ্রের অন্যতম কর্মী সাজ্জাদ হোসেন উপল ভাইয়ের কথা। উপল ভাইয়ের পেজেও মাঝে মাঝে ঘুরে আসি। ভুস করে মানুষগুলো উধাও হয়ে গেছে, বিশ্বাসই করতে পারিনা। কোনদিন নিজেই উধাও হয়ে যাব, এটা নিজেও বিশ্বাস করতে পারিনা। ভাল লেগেছে ইমতিয়াজ ভাই আপনার লেখাটা। যদিও হঠাৎ মন খারাপ হয়ে গেল।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ধন্যবাদ সুমাদ্রী। উধাও হবার ব্যাপারটা আসলেই অদ্ভুত। অনেক সহজে চলে যাওয়া শিখেছে মানুষ।
..................................................................
#Banshibir.
সাজ্জাদ হোসেন উপলের মেয়ে রাদোয়ার কথা চিন্তা করতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল
মা-বাবা ছাড়া এই ছোট মেয়েটিকে সান্তনা দেয়ার কোন ভাষায় জানা নেই আমার
আপনার লেখার ধরন অদ্ভুত সুন্দর। বিষয়বস্তু না, শুধু লেখার স্টাইলের জন্যই নিজেকে খুব সহজে রিলেট করতে পারি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম, অনেকদিন পর। ভালো আছেন?
..................................................................
#Banshibir.
হ্যাঁ ভালো আছি। নানা ব্যস্ততায় মন্তব্য করা হয়ে উঠে না, কিন্তু সচলে নিত্য ঢুঁ মারি
(জাহানারা কিম্বা খানা-খাদ্য নিয়ে পোস্ট তাড়াতাড়ি দিয়েন কিন্তু)
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
জাহানারার বইটা কাল ডাকে পেয়ে গেছি। উইকেন্ডে সময় হলে নামিয়ে দেব ভাবছি।
..................................................................
#Banshibir.
দ্যান নামায় দ্যান, কী আছে দুনিয়ায়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
যথারীতি দুর্দান্ত। লেখা পইড়া লোকজনের মন খারাপ হইয়া গেছে , তাই ঐসব নিয়া কিছু কমু না। খাটের শব্দের ব্যাপারে একটু আলোকপাত করি।
আপনি ভাই ভাইগ্যবান। খাটের খটাখটের উপ্রে পার পাইয়া গেছেন। আমি ওপর তলায় থাইকাও নিচের তলার হাউজম্যাটের যন্ত্রনায় বহু বিনিদ্র রজনী কাটাইছি। ঐ পাতকের গার্লফ্রেন্ড আছিলো ভয়াবহ 'চিল্লানীবাজ' মহিলা। কর্মযজ্ঞে শৈন শৈন আওয়াজে বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। মাস চারেক আগে ঐ মহাজন গার্লফ্র্যান্ড-সমেত বিদায় হইলো। ভাবছিলাম শান্তিতে ঘুমামু। কিয়ের কি! পাতকের জায়গায় আসলো মহাপাতক। মহাপাতকের গার্লফ্র্যান্ডরে দেখলে আমার ঈশ্বপের একখান ফ্যাবল মনে পইড়া যাইতো -- ব্যাঙ আর সিংহের গল্প, যার মরাল হইলো-- ব্যাঙ সাইজে ছোট হইলেও, এর চিক্কুরে আসমান ভাইঙ্গা পড়ে, বনের রাজা ডর খাইয়া যায়। ভোররাতে ঘুম ভাইঙ্গা গেলে আমার ঈশ্বপের সেই সিংহ হইতে ইচ্ছা হইতো যে কিনা ব্যাঙটারে থাবা মাইরা ভর্তা বানাইয়া দিছিলো।
ইদানীং ভালো ঘুম হইতেছে। মহাপাতক গন্।
..................................................................
#Banshibir.
চমত্কার লাগলো। -রু
ধন্যবাদ রু।
..................................................................
#Banshibir.
খেলার মাঠগুলা সবসময়ই বোধহয় ইস্টার্ন প্লাজা হইয়া যায়।ভাইবা কষ্ট লাগে।
সুন্দর লেখা পীর ভাই
ধন্যবাদ কাক্কেশ্বর।
..................................................................
#Banshibir.
ভার্চুয়াল জগতটাতে হারিয়ে যাওয়াটা সত্যিই সহজ!
কাছের অনেকেই দূরে গিয়েও চোখের আড়াল হয়নি ভার্চুয়াল জগতের কল্যাণে, অশেষ সৌভাগ্য আমার, কাছের কারো 'একেবারে নিজের' জগতটাতে গিয়ে হারিয়ে ফেলার ফাঁকা অনুভূতিটুকু পেতে হয়নি এখনো!
শুক্রবারের সকালটায় মন ভারী করে দিলেন, তাতে লেখার 'ভালোত্ব' এততুকু কমেনি!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধন্যবাদ মর্ম।
..................................................................
#Banshibir.
মন খারাপের অনেকগুলা মেঘ জমছিল। কিন্তু সব সরায়ে দিলাম। যান।
ইয়ে। মানে লিজ-- উপরে?
ঠিক উপরে। অন টপ
..................................................................
#Banshibir.
লেখাটি পড়ে নিজেও নষ্টালজিক হয়ে পড়েছি, যদিও আমার এসব স্মৃতি অনেক অনেক দূরে।
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ধন্যবাদ তীরন্দাজ
..................................................................
#Banshibir.
আমার পড়া আপনার সেরা লেখা ছিল আগে "চলতি পথে জাদুকর ভালোবাসা"। এখন তার সাথে এটাও যোগ করলাম।
শুনে খুব ভালো লাগল
..................................................................
#Banshibir.
(গুড়) - দারুণ- লাইনগুলোয় খুব সহজেই বিচরণ করা যায় ।
এখানটাতেই আটকে পড়া- এখানটাতেই ঘুরোঘুরি- এখানটাতেই আমার বাসা- আমার বাড়ি...
ঠিক কথা.
..................................................................
#Banshibir.
অসাধারণ লাগলো পড়ে।
একটা অনুরোধ থাকলো। লেখার সময় কখনো আকার নিয়ে ভাববেন না।
একটা ভালো লেখা অনেক অনেক বড় হলেও পড়া যায়।
ভালো থাকবেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অসংখ্য ধন্যবাদ রানা মেহের। আকার নিয়ে ভাবনাচিন্তা বন্ধ করে দিলাম
..................................................................
#Banshibir.
যেমন এটা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
..................................................................
#Banshibir.
অনেকদিন ফাঁকি দেবার পর ফিরে এসেই আপনার লেখা পড়লাম।
যথারীতি দারুণ পীরদাদা।
ভাল থাকবেন।
কথা হইল ফাঁকি দেওয়ার কারণটা কি? সেই যে ডুব দিসেন আর সাড়াশব্দ নাই. লিখেন কিছু পড়ি...
..................................................................
#Banshibir.
আসলে কথাখান হইল চাকরির সাথে আবার এম,বি,এ আইস্যা জুড়ছে।
অবস্থা বড়ই করুণ।
তার উপরে আবার ধরছি রিসার্চ।
..................................................................
#Banshibir.
নষ্টালজিক করে দিলেন পীরভাই। ফুলার রোড-নিলক্ষেত-নিউমার্কেট-পিলখানা! আমি আজিমপুরের।
আপনি পাবলিক রাইফেলস্ এর তাহলে। আমি বাংলাদেশ রাইফেলস্ এ ছিলাম। স্কুল-কলেজ সব। লেখার জন্য
ঘুরায় ফিরায় সবার একই গল্প...
..................................................................
#Banshibir.
লেখা জব্বর হৈছে। কিপিটাপ!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কৈতেছেন?
আশাদি আছেন ভালো?
..................................................................
#Banshibir.
আপনার মন্তব্যের দ্বিতীয় লাইনের শুরুতে একটা 'বি' লাগায়া দিলে শুনতে কিন্তু সেরকম শোনা যায়, খেয়াল করছেন পীর বাহাদুর?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদঃ "যার মনে যা ফাল দিয়া উঠে তা"
..................................................................
#Banshibir.
অন্যরকম লেখা।
চাচার বিষয়টি জেনে খারাপ লাগল।
ভালো থেকো।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
..................................................................
#Banshibir.
গত একমাস ধরে চরকির মতো ঘুরতেছি , এখন ডেনভার এয়ারপোর্টে বসে লেখাটা পড়ে মনডা চরম উদাস হয়ে গেল।
ধুর্মিয়া কবে থেইকা হলদেপাত্থর ভ্রমণ ঝুলায় রাখসেন
..................................................................
#Banshibir.
বাকাপ পীরবাহাদুর।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুতাব্বিররে লাল ছা দিতে কৈলাম ধুগোদা বসেন।
..................................................................
#Banshibir.
কি আশ্চর্য! এই ক'দিন আগেই ভাবছিলাম যেসব বাড়িতে শৈশব-কৈশোর কাটিয়েছি সেসব নিয়ে কিছু লেখা যায় কিনা। আর এরমধ্যেই এটা নিয়ে এতো সুন্দর একটা লেখা পড়ে ফেললাম ।
খুব ভালো লেগেছে
ধন্যবাদ নীলম। আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
..................................................................
#Banshibir.
পীর ভাই,
আগে জানতাম তাসনীম ভাই মন খারাপ করে দেয়ার মাষ্টর
এখন দেখি আপনিও এসে জুটছেন।
লেখা ভাল হয়ছে, তয় মন খারাপ
নির্ঝরা শ্রাবণ
দম ফাটানো হাসির গল্প লিখতে মঞ্চায়
..................................................................
#Banshibir.
এই ধরনের লেখা আপনি অসম্ভব ভালো লিখেন, পীর সাহেব।
দীর্ঘশ্বাস...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভালো লিখলে দীর্ঘশ্বাস ক্যান? ছুটো শ্বাস ফ্যালেন
..................................................................
#Banshibir.
লেখা সীরাম হইসে!! তয় আমি সামান্য ভাগ্যবান। বাড়ীতে আমাদের টিনশেড ঘর গত ৪৫বছর ধরে সগৌরবে দন্ডায়মান। বৃষ্টি হইলেই পানি পরে । অপেক্ষায় আসি কবে আমগোরে জাতিসংঘ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করে!
নতুন মন্তব্য করুন