সচলে মাঝে মধ্যে পাঠক শুধায় ভাই আপনের নাম সত্যপীর ক্যান? সত্যপীর মানে কি?
সেটাও একটা কথা। সত্যপীর মানে কি? পরে খুঁজে মানে বের করেছিলাম ঠিকই, সেই সত্যনারায়ণ আর সত্যপীরের গল্প ইত্যাদি। কিন্তু সেজন্যে তো আমি সত্যপীর না। আমি নিবন্ধন করেছি সত্যপীর নামে কারণ এইটে সৈয়দ মুজতবা আলীর ব্যবহৃত ছদ্মনামের একটি। এই তো। ব্লগে এই থেকে হলাম পীর বাবা। অথবা পীর সাহেব। কিম্বা পীর বাহাদুর। আমিও চান্সে ফতোয়াবাজি শুরু করে দিলাম, এরে তারে ফুঁও দেই মাঝে মধ্যে। মাঝে আবার এক সহব্লগার আমাকে ধর্মান্ধ পীরফকির বলে ভারি বকাঝকাও দিয়েছিলেন। ব্লগ এক মজার জায়গা।
সে যাই হোক, আমি কি সত্যপীর? পূর্বপরিচিত কেউ হঠাত যখন আটকে ধরে জিজ্ঞেস করে ও তুমি...তুমিই লেখো সচলে? আমি ব্যাপক শরমিন্দা হবার ভান করে মাথা ঝাঁকাই হুঁ আমিই। কিন্তু একই প্রশ্ন যদি ঘুরিয়ে আসে ও তুমিই সত্যপীর, তখন আমি প্রকৃতই শরমিন্দা হই। আমি তো সত্যপীর না, ঐটা আমার নিক মাত্র। সত্যপীর হলেন আলী সায়েব, আমি সেই সিংহের চামড়া গায়ে দেয়া গর্দভ মাত্র। ডাক ডাকিলেই ধরা পড়িব।
মুজতবা আলীর বই আমি প্রথম পড়ি সেভেন এইটে থাকতে। আমার পুরান অভ্যাস এক একটা লেখকের বই ধরে ধরে পড়া। শীর্ষেন্দু পড়ছি তো দিনের পর দিন শীর্ষেন্দুই পড়ছি, ভালো হোক আর মন্দ। বনি বা মানবজমিন পড়ি স্কুলের পড়া বাদ দিয়ে, আর রাতে ঘুমানোর আগে শব্দ করে হেসে দেই যখন পিচ্চি ইন্দুরের বাচ্চা সাইজ কোন এক কিশোর সিরিজের গল্পে তিনি চোরভর্তি গ্রামের বর্ণনা দেন যেখানে এত বেশী চোর যে রাতে চুরি করতে বেরিয়ে চোরে চোরে ধাক্কা লাগে! অথবা হাসতে হাসতে বিষম খাই দুপুরে ভাত খাবার সময় বইমেলা থেকে সদ্য কেনা জাফর ইকবালের বই স্কুলের নাম পথচারী পড়ে যেখানে তিনি বলছেন দারোয়ান সব্জীর ঝাঁকা মাথায় নিয়ে হাঁটতে গিয়ে পড়ে গিয়েছে আর তাকে দেখাচ্ছে বিশাল এক আধা খাওয়া সিঙ্গাড়ার মতন! তারপর নীলক্ষেতে হয়তো চিপায় অবহেলায় পড়ে থাকা নিবেদিতা রিসার্চ ল্যাবরেটরি পনেরো টাকা দিয়ে কিনে পড়ে হঠাৎ মাথায় কিরকির করে উঠে শঙ্করের পোকা, উপবাসীর মতন পড়তে থাকি চৌরঙ্গী অথবা স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল। বেশীরভাগ বইয়ের সাথেই আমার পয়লা মোলাকাৎ নীলক্ষেতে হলেও মুজতবা আলীকে আমি পাই আমার খালার বাসায়।
আমার খালার বিয়েতে আব্বা উপহার দিয়েছিলেন এগারো খন্ডের সবুজ মলাটের সৈয়দ মুজতবা আলী সমগ্র। প্রতিটি খন্ডেই আব্বা সই করে দিয়েছিলেন। আমি সেই সোনার খনির সন্ধান পাওয়ার পর প্রকৃত পাইরেটের মতই প্রথমে বুঝিনি কি অমূল্য সম্পদ আমার দুই চোখের সামনে সাদায় কালোয়। প্রথমে পড়তে গিয়ে আটকে গিয়েছিলাম খুব, এ আবার কেমন ভাষা। “বললাম” নয়, “কইলাম”? রাশভারি নয়, গেরেমভারি? পড়ি কয়টা লাইন একসাথে আসুনঃ
“সরকারি না-হক্ক ট্যাকশো যে রকম বাড়তে বাড়তে পর্বতপ্রমাণ হয়ে যায় এ শব্দটিও আড়াই হাজার বছর ধরে বাড়তে বাড়তে তার ‘তনুটি’কে অদ্যকার ‘বপু’ করে তুলেছে।...একটা পুরো পাক্কা আস্ত ডিপারটমেন্ট।”
“শ’র ‘কৃষ্ণাও’ একদিন হৃদয়ঙ্গম করলো, ‘এলোপাতাড়ি লাঠির বাড়ি ধাপুস-ধুপুস মারাতে’ কোনো তত্ত্ব নেই। নিছক ‘বর্বরস্য শক্তিক্ষয়’।”
“...কাইজারের জন্মদিনের কামানদাগার মত আওয়াজ ছেড়ে বলল, ‘ঐ রেঃ। ঐ ব্যাটা কালা ইন্ডার, মিশ শয়তানও এসে জুটেছে। যেখানেই যাও, শয়তানের মত সব জায়গায় উপস্থিত।’ ...তার আস্তিন টানা মারমুখো তসবির দেখে আমাকে শুধালো, ‘ইনি কিনি বটেন?’”
বানানের কথা বাদই দিলাম, এ কিরকম ভাষা বলেন দেখি? এইভাবে তো মানুষ কথা বলে, এভাবে লেখাও যায় বুঝি? ইনি কিনি বটেন শুনে হাসতে হাসতে মারা যাচ্ছি ঠিকই কিন্তু আসল বিস্ময়টা অন্যখানে, এটা কেমন লেখা? মুজতবা আলী কেমন লেখক? তিনি লিখছেন না গল্প পড়ে শোনাচ্ছেন?
আমি সত্যিই ঐ জায়গায় আটকে গিয়েছিলাম, অনেকদিন মুজতবা আলী ছাড়া অন্য কিছু পড়তে ভালোই লাগত না। তার লেখা ঠিক কি ট্যাগে ফেলা যায় ওইটাই এক নিখাদ বিস্ময়। কিছু লেখা ভ্রমণকাহিনী, কিন্তু তার মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ এক ঝলক দুর্দান্ত ইতিহাস। অথবা রাজনীতি। সারাজীবন দেখে এসেছি প্রবন্ধ মানেই অখাদ্য গান্ধা মাল, বাটে না পড়লে ও কেউ ধরেও দেখে না। এই লোকের প্রবন্ধ পড়ে আমার মাথা হইল নষ্ট। এ তো প্রবন্ধ নয়, খাঁটি সোনা। কখনো ইতিহাস কখনো রাজনীতি কখনো লোককথা কখনো লেটুসের স্যালাডের রেসিপি, এ কেমন প্রবন্ধ। মিষ্টির ভিতর ওষুধ ঢুকিয়ে খাওয়ানোর কায়দা শুনেছি এই লোকের ওষুধই দেখি মিষ্টির চাইতে মজা, এইভাবে ইতিহাস বলা যায় বুঝি? লেখার মাঝে অবহেলায় ঢুকে পড়ছে ফার্সি বয়েৎ কি হাইনরিখ হাইনের কবিতা, অথবা সংস্কৃত উদ্ধৃতি। আশকথা পাশকথা, ফুটনোট আর ফুটনোট। মাঝে মাঝে পাতার আদ্ধেকের বেশী জুড়ে ফুটনোট, তাতে হয়তো গল্প কি দুইটা গানের লাইন।
আর রবীন্দ্রনাথ। মুজতবা আলী জুড়ে চতুর্দিকে রবীন্দ্রনাথ আর রবীন্দ্রনাথ। শান্তিনিকেতনের সুযোগ্য ছাত্রটি সুযোগ পেলেই উদ্ধৃত করতেন রবীন্দ্রনাথ, হোক সে কবিতা অথবা গান। কবিগুরুকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখা মুজতবা আলী তাকে নিয়ে লিখেও গেছেন পাতার পর পাতা, রবীন্দ্রনাথের সদা কর্মক্ষম দিকটির ওপারের ক্রমাগত স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে জানতে হলে যেতে হবে আলী সায়েবের কাছেই। কান পেতে শুনি মুজতবা আলীর রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বলা গল্প। একটি প্রথম শ্রেনীর কথন নিঃসন্দেহে, কন্টেন্ট প্রেজেন্টেশন দুই দিক থেকেই। কিন্তু এ ছাড়াও দুই মিনিট বিশ সেকেন্ডের মাথায় বলা ইংরেজী martyr, passed away, prison, tiny আর নয় মিনিট ত্রিশ সেকেন্ডের দিকে ফরাসী raconteur উচ্চারণ শুনে বিস্ময় প্রকাশ না করলে আপনি প্রকৃত ইংরেজ ফরাসীর উচ্চারণ শোনেননি।
ফিরে যাই বইয়ে। তিনি ভ্যাগাবন্ডের মতন ঘুরছেন “জর্মনি”র গ্রামে, পথে পড়ল এক হাত কাটা ব্যক্তি। সে খ্যাক খ্যাক করে হেসে বলল আরে এই এক হাত নিয়েই আমি দিব্যি সব কাজ করতে পারি, কিন্তু বউ আমাকে কুটোটিও নাড়তে দেয় না। ভালোই আছি। আরেক পথে গ্রামের কিছু ছেলে মেয়ে তাকে খেলায় নেয়, সেই খেলা খেলতে খেলতে দুটো বাজার ঘন্টা শুনেই সবার মুখ আমসি হয়ে ওঠে। দুটো বাজলেই সবাইকে ঘরে ফিরে যেতে হয় কিনা। ছোট দুরন্ত মেয়েটি ওমনি ধরে ফেলে আলী সায়েবের হাত, চল আমার বাসায় স্যুপ খাবে। ঘরে তাকে খেতে দেয়া হয় স্যুপ, সেই স্যুপের আছে তনু আছে বপু, কতরকম সসেজ আর সব্জী দেয়া ঘন তরল। ঐ খেতে খেতে তিনি মায়ের গল্প পাড়লেন, দেয়ালে ঢাকনিহীন ঘড়ি দেখে তার মনে হল দেশে ওইরকম ঘড়ি বাজারই পাবেনা কারণ দেশের ধুলো পড়ে কলকব্জা দুদিনেই হয়ে যাবে নষ্ট।
কিম্বা ঝড়ের রাতে কোন গ্রামের ভেতর তিনি আশ্রয় নেন এক পাবে, সেই পাবের জর্মন নাম বাংলা করলে নাকি নাম দাঁড়ায় “তিন সিঙ্গি”। সেইখানে পাবওয়ালি মেয়েটি কুকুর নিয়ে এসে তাকে ভেতরে নিয়ে যায়, বীয়ার আর গরম খাবার দেয়। আর উপরে ঘর খুলে তাকে ঘুমিয়ে পড়তে বলার আগে বলে তার দয়িতের কথা। সেই নীল চোখের ছেলেটি যার সাথে তার কচিকালে দেখা হয়েছিল, একসাথেই বড় হয়েছিল তারা কিন্তু হঠাৎ একদিন সে তার সাথে দেখা করতে যায় “সানডে বেস্ট” পরে। আস্তে আস্তে তারা ঘনিষ্ঠ হয়, স্বপ্নের মতন দিন। কিন্তু হঠাৎ একদিন ছেলেটি কড়া ধার্মিক হয়ে ওঠে, আর বলে মদ খাওয়া ঠিক নয়। মেয়েটি খলখল করে হেসে ওঠে, তাদের কয়েক পুরুষের মদের ব্যবসা দুই দিনের ধার্মিক হয়ে এখন ব্যবসার পাটই উঠিয়ে দিতে হবে বুঝি। ঐ থেকে শুরু। ঝপ করে গল্প শেষ হয়ে যায়, আর মুজতবা আলীর মনে হয় মেয়েটি উঠে যাবার আগে চোখে পানি দেখলেন বুঝি।
একজন বুদ্ধিমান আত্মমর্যাদাসম্পন্ন পরাধীন নাগরিক কিভাবে শাসককে দেখত তা বুঝতে হয় মুজতবা আলী পড়ে। ইংরেজকে তিনি ধুয়ে সাফা করে দিয়েছেন একের পর এক লেখায়, তাদের প্রতি অবজ্ঞা তার ছত্রে ছত্রে। তার লেখায় আমার দেখা হয় প্রাশান কর্নেলের, রাশান বগদানফের, হিন্দুস্তান হৌসের চাচার আর চ্যাংড়া গোলাম মৌলার, ফ্রলাইন ক্লারা ফন ব্রাখেলের। তার লেখাতেই শুনি কিভাবে জর্মনির বেতারে দুইটি বোমা ফাটানো হয়েছিল, দ্বিতীয়টি প্রথমটির চাইতেও সুবিশাল। প্রথমটি ফ্যুরারের আত্মহত্যার খবর, আর দ্বিতীয় খবরে বলা হয় কিভাবে সাথে আত্মহত্যা করেছেন তার স্ত্রী এফা ব্রাউন। হাঁহ? স্ত্রী কোত্থেকে এলো, তিনি না জর্মনিকেই বঁধুরূপে নিয়েছিলেন বলে গ্যোয়েবলস নানান তম্বি করতেন?
অথবা সেই হতভাগা সিলটি খালাসীর গল্প, যে না খেয়ে দেশে পয়সা পাঠাত আর তার ভাই চিঠিতে বলত জমি হয়েছে পাকা মসজিদ হয়েছে সেই টাকায় কিন্তু আসলে ভাই মদ খেয়ে উড়িয়ে দিত। বহুবছর পরে দেশে এসে সেই খালাসীর বুক ভেঙে যায় ঐ দেখে, আর সে ফেরার পথ ধরে। পথেই মারা যায় সে, আর ওয়ারিশান না থাকায় তার যাবতীয় সম্পত্তি সেই মাতাল ভাইয়ের ভোগেই যায়। সেই গল্পের শেষ হয় সম্ভবত দুই শব্দে, ইনসাফ কোথায়?
আমি পটল তুললে ঐপারে যখন আলী সায়েবের সাথে দেখা হবে তখন তিনি কবজি ডুবিয়ে ইলিশমাছ খেতে খেতে সম্ভবত ঐ কথাই বলবেন আমাকে, ব্যাটা তুই সত্যপীর তো আমি কে? ইনসাফ কোথায়?
তাই আমি সত্যপীর নই, এক ব্লগার মাত্র। তুচ্ছ, কিন্তু অহংকারী। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গুণী মানুষদের একজন আমার মায়ের ভাষায় বই লিখে গেছেন সেই অহংকার করা কয়জনের ভাগ্যে থাকে?
মন্তব্য
অসাধারণ একটা লেখা পীর।
তুমি তো লেখক হিসেবে মহীরুহ হয়ে উঠতেছ।
আরো অনেক অনেক দিন এরকম মন ছোঁয়া লেখা দিয়ে যাও।
এই ফাঁকে একটা কথা স্বীকার করি। আমি সচলায়তনে দুইজন লেখকের সব লেখা আগে পরে খুঁজে বের করে পড়েছি। এক হলে তুমি আরেকজন বন্ধু অরফিয়াস।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল পীরের জন্য।
ইয়ালী ফুঁ!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অরফিয়াসের লেখা আসলেই দারুন. তয় তুমি মিয়া বিরাট ফাঁকিবাজ হৈস, ইতিহাস নিয়ে লিখনা ম্যালাদিন হৈল.
..................................................................
#Banshibir.
দুইটা টপিক নিয়ে লিখতেছি একটু একটু করে।
এক) পার্বত্য চট্টগ্রামের সংঘাত, আর দুই) মহীশুরের বাঘ।
মহীশুরের বাঘের আটটা পর্ব লিখেছিলাম। আরো চার পর্বের মত লিখছি। মোট এগারো পর্বে শেষ হবে মহীশুরের বাঘ সিরিজ।
আর সাতটা বড় বড় পর্ব নিয়ে লিখছি পার্বত্য চট্টগ্রামের সংঘাত নিয়ে।
নভেম্বরের দিকে দেখি ছাড়ব লেখাগুলো।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
চার পর্বের মত লিখছ অলরেডি তৈলে নভেম্বর মাসে ছাড়ার হেতু কি? এখন কি দোষ করল?
..................................................................
#Banshibir.
লিখতেছি, লেখা শেষ হয় নাই তো!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
যে লেখক বেলতলাতে দু'দু বার কিংবা বেঁচে থাকো সর্দি কাশি লিখতে পারেন, সেই একই কলমে কী করে পাদটীকা আর মা-জননী আসে ভেবে পাইনে ...
আসলেই. ভদ্রলোক এক মাথা নষ্ট করে দেওয়া জিনিয়াস. মাইন্ড ব্লোয়িং.
..................................................................
#Banshibir.
দারুণ উপাদেয় লেখা
-এক জোনাকি
ধৈন্যবাদ.
..................................................................
#Banshibir.
সৌরভ কবীর
..................................................................
#Banshibir.
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
খালি গুড়? মুড়ি দিবেন্না?
..................................................................
#Banshibir.
আপনার ভক্ত আগেই হইছি। এখন খালি ভক্তির পরিমাণ দিনে দিনে বাড়তেছে। পাঁচতারা দিলাম পীর সাহেব।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আসেন ক্যামুন? ভ্যাঙ্কুভারে ভ্যাম্পায়ার পাইসেননি কোন?
পয়সা জমলে ভ্যাঙ্কুভার যাওয়ার শখ আসে.
..................................................................
#Banshibir.
আইসা পরেন বস। টেকা পয়সা তো হাতের ময়লা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই মুহুর্তে হাত অশ্লীলরকম পরিষ্কার। কবে যে কিছু ময়লা জমব...(গভীর দীর্ঘশ্বাস)।
..................................................................
#Banshibir.
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আমি কিন্তু আপনার প্রথম লেখাতেই বুঝে ফেলেছিলাম আপনার নামকরণের শানে নুযূল!
আমার প্রিয় লেখক আলী সাহেব, উনাকে নিয়ে লেখার বড় ইচ্ছে, কিন্তু ভাষাগত অজ্ঞতার কারণে কলম ধরতে সাহস করি না।
লেখা উমদা হয়েছে-
facebook
কবি কয়েছেন ডরাইলেই ডর, হান্দায় দিলে ইত্যাদি. কলম ধরেন জলদি. আলী সায়েবরে নিয়া পোস্ট চাই সুকুমার নিয়া পোস্ট চাই শিবরাম নিয়া পোস্ট চাই.
দেতে হবে.
..................................................................
#Banshibir.
নামকরণের সার্থকতা খুঁজিয়া এবং বুঝিয়া পাইলাম।তবে আমি নিশ্চিত ঐপারে আলী সাহেবের সাথে দেখা হলে তিনি বলবেন- ব্যাটা চ্যালা,তুই আমার নামের অপব্যবহার করিস নাই,নে ইলিশ ভাজা খা।
মুজতবা আলীর কুট্টির ভাষায় বলতে হয়, "আস্তে কন কত্তা ঘোড়ায় হাসব" হা হা হা!
..................................................................
#Banshibir.
পাদটীকা বা বেচে থাকো সর্দি-কাশির লেখকের হাত দিয়ে শবনম এর মতো প্রেমের উপন্যাসই বা বের হয় কেম্নে? আপনে তো নিক নিজে পছন্ন্দ করে নিয়েছেন আমি জন্মাবধি সৈয়দ সাহেবের দেয়া একটা নাম মাথায় নিয়ে ঘুরছি, "হিমিকা", কিছুদিন থেকে ভাবছি মডুদের আবদার করে এখনকার নিক ছাড়িয়ে বাপের দেয়া নামেই ট্রান্সফার করব কিনা।
এই সৈয়দ সাহেবের ভূত আমার পিছ ছাড়লো না।।। পি, এইচ,ডি করতে এসে জানতে পেলাম, আমার এডভাইসর সাহেব নাকি তার ভাগনে
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
অথবা সিপাহী বিদ্রোহের উপর লেখা সেই বড় গল্পটি যেখানে পশ্চিম ভারত থেকে পালিয়ে আসা বিদ্রোহী নেতা বাংলার গ্রামে লুকাতে আসে. সেইখানে হাঁটুর উপর চাপাতির মত গোল আঙ্গুল ঘুরানোর গোপন সংকেত দেখে তাকে চিনে ফেলে বাংলার এক বিদ্রোহী. কি অসাধারণ একেকটা প্লট!
শবনম - হিমিকা - শিশিরকণা. চমত্কার
..................................................................
#Banshibir.
নামকরণ সার্থক হয়েছে
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মিছা কথা শুনতে বড়ই মিঠা
..................................................................
#Banshibir.
দারুণ লাগলো পীর ভাই।
অমি_বন্যা
..................................................................
#Banshibir.
লেখা বিয়াফক হইছে মিয়া। যাকে বলে লেখা উমদা হৈছে রে বা ...
০২
সচলে কিছু লেখকের লেখা দেখা মাত্রই পড়া হয়। এর মধ্যে আমি একজন। আপনি মিয়া একটা মাল
০৩
আলী সাহেব সেই স্কুল জীবনে আমারও ঢুকে পড়েছিল। এখনো ব্যাটা সময়ে অসময়ে লাঠি লইয়া পিছে তাড়া করে
০৪
আপাতত দক্ষিণা হিসেবে পাঁচতারা দাগাইলাম। তয় পীর বাবা এক্ষান ফুঁ দিয়া দ্যান। বড় হইয়া আমি আফনের মত লেখতাম চাই
ডাকঘর | ছবিঘর
এই দিলাম ফুউউউ!
আগে আরো ঘনঘন লেখা দিতেন কিন্তু, ব্যস্ত দিন যাচ্ছে নাকি?
..................................................................
#Banshibir.
পীর সাব জীবনের অনেক সময় আসে যখন নিজের ছায়াকেও খুঁজে পাওয়া যায়না। মনে করেন এমন একটা যায়গা দিয়া যাইতেছি
ডাকঘর | ছবিঘর
...বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে!
..................................................................
#Banshibir.
আপনের নামের শেষ অংশটা তো বলা হয়নি! থাবা। পীর বাহাদুর থাবা। এইবার এই নাম করনের সার্থকতা ঢুন্ডে বের করেন...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ ওই নামে সার্থকতা লিখলে পরে কইবেন আমার পুরা নাম পীর বাহাদুর থাবা বিন আব্দুল ওদুদ ইবনে সুলায়মান কাশিম. বড় হইতেই থাকব, আপনেরে চিনা আসে
..................................................................
#Banshibir.
বেশ লাগলো
---------------------
আমার ফ্লিকার
..................................................................
#Banshibir.
..................................................................
#Banshibir.
খুব বেশি কিছুনা, এক লিটারের একটা পানির বোতলে একটু পানিপড়া পাঠিয়ে দিলেই চলবে, পীরসাব। ঐটার কারণে যদি একটু আপনার মতো লিখতে/পড়তে পারি আরকি।
লেখা তো পড়া হয় কিন্তু মন্তব্য করা হয়না অনেকগুলোতেই, আপনি লেখেন দারুন। শেষের দিকে যে একটা টান থাকে সেটা বহুক্ষণ ধরে রাখে। এখন আপনার সচল হওয়ার সময়।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ডাকে নিলে এক লিটার নেওয়াই সহী তরিকা, বাল্ক ডিসকাউন্ট পাইবেন।
বাড্ডে বয়ের দিন কেমন গেল?
..................................................................
#Banshibir.
ডিসকাউন্ট দিবেন!! চমৎকার। দিন আর কেমন যাবে, এখন আর বাড্ডে-ফাদ্দে কিছুই হয়না।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
২০০ এম এল কৈরা বেচি এক লিটারে বাল্ক ডিসকাউন্ট তো দিতেই হবে!
..................................................................
#Banshibir.
আপনার এই ধরনের লেখাগুলো কি যে অদ্ভুত হয়! শেষ লাইনটা দারুণ লাগলো
অনেক ধন্যবাদ তানিম ভাই, আছেন কেমন?
..................................................................
#Banshibir.
মডুদের ফাঁসি চাই। আগেকার দিনে লেখা 'প্রিয় পোস্টে' নেয়ার একটা অপশন ছিলো। এইটা ফেরত চাই।
আপনার লেখা বরাবরই ভাল লাগে, তবে এইটা বেশি করে ভাল লাগার কারন মনে হয় আলিসায়েব। যেই অল্পকয়জন মানুষের লেখা সবসময় মুগ্ধ হয়ে পড়ি, ইনি তাদের মধ্যে একজন। বাকিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন দাদাছেলেনাতিত্রয়- উপেন্দ্রসুকুমারসত্যজিত।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আপনের ফাঁসিও জায়েজ আসে, "আলিসায়েব" কেডা?
আপনের লিস্ট এক্কেবারে ঠিকাসে, তয় শিবরাম বাদ পড়সে।
..................................................................
#Banshibir.
উপস! সিলিপ অফ দ্য কিবোর্ড
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
দিলেনতো নেশা ধরিয়ে-
'পান্তা ভাতে কাঁচালঙ্কা চটকে এক সানকি গিলে এলুম', যেমন জর্মনে বলা যায়না, তেমনি মদ্য সংক্রান্ত 'ব্লাও'(নীল), 'বেসফেন'(টৈ-টম্বুর), 'ফল্'(সম্পূর্ণ), 'বেটুঙ্কেন'(ডুবেমরা) কথার বাংলা করলেও বাংলা হয়না।'(চাচা কাহিনী)
'বিলেত তার নৌকা-বাচ নিয়ে যতই বড়ফট্টাই করুকনা কেন পুব-বাঙলার নৌকা-বাচের তুলনায় সে লাফালাফি বাচ্চাদের কাগজের নৌকা ভাসানোর মত।' (অবিশ্বাস্য)
'আস্তে আস্তে দরজা খুলে ঘরে ঢুকলেন এক সুন্দরী - হাঁ, সুন্দরী বটে।
এক লহমায় আমি নর্থ সী'র ঘন নীল জল' দক্ষিণ ইটালির সোনালি রোদে রূপালি প্রজাপতি, ডানয়ুবের শান্ত-প্রশান্ত ছবি, সেই ডানয়ুবেরই লজ্জাশীল দেহছন্দ, রাইনল্যান্ডের শ্যামলিয়া মোহনীয়া ইন্দ্রজাল সব কিছুই দেখতে পেলুম।'(বেঁচে থাক সর্দিকাশি)
'শবি আগর, আজ লবে ইয়ার বোসয়ে তলবম,
জোয়ান শওম -
জসেরো জিন্দেগী দোবারা কুনম।'
'আজি এ নিশীথে প্রিয়া অধরেতে চুম্বন যদি পাই,
জোয়ান হইব -
গোড়া হতে তবে এ জীবন দোহরাই।' (দেশে বিদেশে)
লেখাটা মনের গভীরে গেঁথে গেছে।
"বিলেত তার নৌকা-বাচ নিয়ে যতই বড়ফট্টাই করুকনা কেন পুব-বাঙলার নৌকা-বাচের তুলনায় সে লাফালাফি বাচ্চাদের কাগজের নৌকা ভাসানোর মত।"
নেশা ধরানোর মতই লেখনী আলী সায়েবের।
..................................................................
#Banshibir.
আলী সাব- পীর সাব...
- শালি ধানের চিড়া লগে...
পিঁড়ি পাইতা বসেন খাই দুইজনে মিল্যা
..................................................................
#Banshibir.
বিশ্ববাসীর কাছে ওনাকে পরিচিত করিয়ে দেবার কাজে কতটুকু সফল আমরা ভাবছি!
আপনি অত্যন্ত সুলেখক। আপনাকে সচলরূপে শীঘ্র দেখতে চাই
_____________________
Give Her Freedom!
মুজতবা আলী অনুবাদ করা অসম্ভবের দাদাঠাকুর। তিনি আমাদের অহংকার হয়েই থাকুন বরং।
..................................................................
#Banshibir.
বেকুবের মতন সে প্রজেক্ট একবার হাতে নিয়েছিলুম। ৩ বছরে এক পাতা ৬ বার ঘষা মাজা করার পর ক্ষান্ত দিয়েছি। ঐ রস ট্রান্সফারযোগ্য নয়।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
..................................................................
#Banshibir.
তাই হবার কথা আসলে
_____________________
Give Her Freedom!
ঘটনা সৈত্য!!
_____________________
Give Her Freedom!
"বিশ্বের সর্ব শ্রেষ্ঠ গুণী মানুষদের একজন আমার মায়ের ভাষায় বই লিখে গেছেন সেই অহংকার করা কয়জনের ভাগ্যে থাকে ?" - মন ছুঁয়ে গেল, আপনার এই কথাটা, লিখাটা, পুরো বিষয়বস্তু, শেষটুকু এবং আপনার আবেগটুকু!! এক কথায় খুব খুব ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ সাফিনাজ।
..................................................................
#Banshibir.
বলার মতো কিছু পাচ্ছি না। এই লেখাকে যাই বলি না কেন কম হয়ে যাবে। খুব ভালো লাগলো।
এইতো বেশ বলে দিলেন!
..................................................................
#Banshibir.
আমি আগে সৈয়দ মুজতবা আলীর কন্ঠস্বর শুনিনি! শুধু এর হদিশ দেবার জন্যই আপনাকে ধন্যবাদে ভাসিয়ে ফেলা যায়।
মুজতবা আলীর প্রতি আপনার ভালবাসাটা ছুঁয়ে গেল, অনেক ধন্যবাদ প্রিয় লেখককে নিয়ে লেখাটার জন্য।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লোকটি যেভাবে লেখেন সেভাবেই কথা বলেন ঠিক না? ডাক্তারের হাওয়া বদল করার জায়গাটায় হাসির চোটে আমার সব দাঁত বেরিয়ে গিয়েছিল।
..................................................................
#Banshibir.
দুর্দান্ত লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই
..................................................................
#Banshibir.
এরকম লেখার জন্য পাঁচ তারা কম হয়ে যায়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি যে আপনার মন্তব্যে একটা তারাও দিতে পারলাম না
..................................................................
#Banshibir.
মন্তব্য করতেই হল। দুর্দান্ত।
ধন্যবাদ নৈষাদদা
..................................................................
#Banshibir.
সৈয়দ সাহেব বাংলা গদ্যের এক নতুন ধারার প্রবর্তক। এই স্বীকৃতিটা দিতে অনেকেরই দ্বিধা আছে, কারণ তারা কেউ এই ফরম্যাটে লিখতে পারেন না, এই ভাষায় বাক্য সাজাতে পারেন না, এই ভাবে রস পরিবেশন করতে পারেন না। সঞ্জীব, তারাপদ, শিব্রাম, খোন্দকার আলী আশরাফ, ফয়েজ আহমদ সরাসরি আর অনেক কথাসাহিত্যিক একটু ঘুরিয়ে কত চেষ্টাটাই না করলেন। কিন্তু সৈয়দ সাহেবের মতো হলো কই! নকল করার বা পল্লবগ্রাহীতার দরকার নেই। স্বকীয়তা বজায় রেখে অমন ফান, পান, স্যাটায়ার, মেটাফোর, বাগধারা আর কে-ই বা সাজাতে পারলেন!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শিবরাম বা সঞ্জীব কি আলীসাহেবকে অনুসরণ করার চেষ্টা করেছিলেন? আমার অবশ্য তেমন মনে হয়নি। মুজতবা আলী "শিব্রামীয় পান" এর বেশ সমঝদার ছিলেন। মুজতবা আলী হবার চেষ্টা করার কোন মানেই হয়না, ও জিনিস ওয়ান পিস মেড।
..................................................................
#Banshibir.
সঞ্জীব-শিব্রামরা সৈয়দ সাহেবকে অনুসরণ করেছেন - আমি অমনটা বোঝাতে চাইনি। আমি আসলে বলতে চেয়েছি, তারা তাদের মতো করে চেষ্টা করেছেন কিন্তু তাদের কেউ সৈয়দ সাহেবের মতো নিজের ক্ষেত্রে সর্বাংশে সফল হতে পারেননি। আমরাও তাই নতুন আরেক জন 'রসরাজ' পাইনি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বুকে আঘাত দিলেন , শিবরামকে আমি রসরাজের গদীতে বসাইসি ম্যালাদিন হৈল। আমাকে আনন্দ প্রদানে তিনি চরম সফল
..................................................................
#Banshibir.
ভাই, আপনিও তো আলী সাহেবের মত শেষ লাইনেই মেরে দিলেন -
পোষ্টে ***** (পাঁচ তারা)
-অয়ন
..................................................................
#Banshibir.
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
..................................................................
#Banshibir.
কী চমৎকার! কী চমৎকার!
যুগ বদলে গেছে। এই যুগে যেহেতু সত্য কথার ভাত নাই তাই নাম পাল্টে বাটপার পীর নাম নিয়া নেন। মুর্শেদকে মেইল করে অনুরোধ করেন নাম বদলায়ে দিতে।
আলী সায়েবকে পেলে আমার পক্ষ থেকে দুইটা ঠুয়া দিয়ে দিয়েন। বই কিনে কেউ নাকি দেউলিয়া হয় না!
বাটপার পীর
দুই শব্দের বদলে একশব্দ করে দিব ভাবতেসি, বাটপীর! অবশ্য ফাত্রা লোকে (যেমন চউদা) ঐটারে Butt-পীর বানায় ফেলবে
আপনে বই কিনে দেউলে হইসেন নিকি? বই দান করে সোয়াব কামাইতে চাইলে ঠিকানা পাঠায় দিতে পারি।
..................................................................
#Banshibir.
আমি প্রথমে বাটপার থেকে বাট-পীরই বলতে চাইছিলাম কিন্তু ইদানীং ভাল হওয়ার রাহে আছি দেখে আর বলি নাই।
নিজে বই কিনে দেউলিয়া হইলে তো কোন কথা ছিল না। বই কিনছে আমার বউ আর দেউলিয়া হইছি আমি! পেপ্যাল দিয়া বই কিনছে। এদিকে চেকিং অ্যাকাউন্ট যে গড়ের মাঠ সেই খবর নাই। তাই ওভারড্রাফটের অভিযোগ তুলে ব্যাংকওয়ালারা আমারে ৩৮ ডলার জরিমানা করছে।
যেমন বানচুদ দুনিয়া, তেমন বানচুদ তার নিয়মকানুন! ব্যাংকে যথেষ্ট পরিমান টাকা না থাকার অপরাধে বাড়তি টাকা জরিমানা করে। আরে ব্যাটা, টাকা নাই তো কিছু টাকা ভরে দে।
জালিম দুনিয়া। আমিও এটাই কই।
তবে বাট-পীর শুনে প্রথমেই Butt-পীর মনে হয়েছে। এরকম পীরের খবর এসেছিল পত্রিকায়, সে মহিলা Butt-পীর, মানুষের Butt দেখে ভাগ্য বলে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কারো হিপ ট্রান্সপ্ল্যান্ট হৈলে মহিলা কি ঐ ক্লায়েন্ট নেয়না?
..................................................................
#Banshibir.
তো আলীসায়েব ভুলডা কৈল কি? বই কিঞ্ছে আপনের বউ আর দেউলে হৈছেন আপনে। আলীসায়েবের সূত্র অনুযায়ী বইক্রেতা (বউ) ≠ দেউলিয়া ব্যক্তি (আপনে)। অর্থাৎ বউ ≠ আপনে। ঠিকই তো আসে
..................................................................
#Banshibir.
পীরসাহেব, আপনার সব লেখাই পড়ি তবে মন্তব্য বোধহয় তেমন একটা করা হয়নি। এই লেখা পড়ে মন্তব্য না করাটা অন্যায় হবে
আমি ক্লাস নাইন-টেনে ফজলার রহমান স্যারের কাছে বাংলা আর ইংরেজি ব্যাকরণ পড়তাম। তিনি ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলীর সরাসরি ছাত্র। রংপুর জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকা অবস্থায় আশি'র দশকে স্যার রিটায়ার করেন। ফজলার স্যারের ছাত্র হতে পেরেই গর্বে আমার মাটিতে পা পরতো না!! আফসোস, স্যার আর বেঁচে নেই।
ধন্যবাদ রিসালাত। আপনি খুবই সৌভাগ্যবান বলতে হবে।
..................................................................
#Banshibir.
পীরবাবা নামটা কি আমার দেয়া ছিল না?
চালিয়ে যান বস।
হৈতেও পারে।
আসেন কিরাম?
..................................................................
#Banshibir.
"জল বিনে পানি নাই, শুকনোর গ্রাম
মাঠ বিনে কর্ম নাই, নামে রূপরাম
স্বয়ং লক্ষ্মীদেবী, তুমি ঘড়ার নাড়া
সার্থক নাম আমার 'ট্যানট্যানে ঘোড়া' "
ক্লাস এইটে আমাদের বাংলা পড়াতেন স্নিগ্ধা আপা, (তখন আপাই বলা হত, এখন দেখি সবাই বলে 'মিস' ) তিনি এই ছড়াটি শিখিয়েছিলেন নামকরনের সার্থকতা বর্ননা কর টাইপের প্রশ্নের উত্তর লিখতে। আপনার লেখাটি পড়ে এই ছড়াটি আবার আবৃত্তি করলাম মনে মনে।
আপনি তো সচলায়তনের সত্যপীর।
হেহ হেহ হেহ। সার্থক নাম আমার ট্যান্ট্যানে ঘোড়া
..................................................................
#Banshibir.
"ইনসাফ কোথায়?"
ইন্সাফ নিয়া বেশি ভাইবেন্না। ঠিক লাইনেই চলতেছে আপ্নের গাড়ি। নিজের ফুঁ তো নিজের গায়ে লাগে না, যান আমিই ফুঁ দিয়া দিলাম। হক মওলা
হক মওলা!
..................................................................
#Banshibir.
পীরবাবা...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
খি খি খি।
..................................................................
#Banshibir.
অসাধারণ। আপনি সচল হয়ে গেলে তো বিপদ। তারপর লম্বা ডুব দিবেন সবার মত। এই লেখাগুলো মিস করব তখন।
সচল হাচলে কি আসে যায়। আমরা আমরাই তো!
গাড়ি আশি একশো মাইল থেকে দুম করে থামিয়ে দেয়া যায় না চাইলেও, আস্তে আস্তে গতি কমাতে হয়। মাসে চার/পাঁচটা লেখা থেকে একবারে শীতনিদ্রায় যায় কেমনে? যতদিন ভালো লাগে লিখব। ড্যানিশ কোম্পানী মোগল পাইকপিয়াদার র্যাঙ্কিং সিস্টেম জাহানারার ডাইরি সিরাজ কত লেখা বাকি, একটা অডিও ব্লগের স্ক্রিপ্ট লিখছি আবার রাগিব ভাইয়ের শিক্ষক ডট কমে একটা কোর্স দেবো বলেছিলাম ওইটার বই দাগাচ্ছি...কত কাজ পড়ে আছে। অদূর ভবিষ্যতে ডুব দেবার চান্স নাই বললেই হয়।
দূর ভবিষ্যতের কথা কেইবা বলতে পারে।
..................................................................
#Banshibir.
আহা, আলীসাহেবরে নিয়ে দুর্দান্ত আলাপ। এইতো অণুদা'দের সাথে লন্ডনের পথে পথে কথা হচ্ছিল এইসব নিয়েই। আমি কিন্তু ওনার বিচরণক্ষেত্র দেখে এসেছি বনে গিয়ে, হুঁ হুঁ। <গোরিলা ইমো>
(হৃদয় বিদীর্ণ হয়ে যাবার ইমো)
..................................................................
#Banshibir.
মুজতবা ফুবারে চিনিনা, আপনেই একমাত্র সহী সত্যপীর।
ব্লাসফেমি! আপনাকে গোলাপশাহ মাজার চত্বরে জুম্মাবারে দাঁড় করিয়ে পাথর মারা হৌক।
..................................................................
#Banshibir.
ফাটাফাটি লিখেছেন, পীরছাহেব!
****************************************
এই আর কি।
..................................................................
#Banshibir.
সচলত্বের অভিনন্দন পীরবাবা
কৈছিলাম না, একদিন আমরাউ...
..................................................................
#Banshibir.
সিরাম লেখা ভাইডি!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আপনি কুথায়? অনেকদিন তো আপনাকে দেখাই যায়নাই, আসেন ভালো?
..................................................................
#Banshibir.
সত্যই তো দেখি সত্যপীর সচল হয়ে গেছে। অভিনন্দন মিয়া সাহেব
তাই দেখা যায়!
..................................................................
#Banshibir.
সচলাভিনন্দন পীরসা'ব!!! আম্রে এট্টু পানিপড়া দিয়েন তো !!
আর উদাসদার মতো লেখালেখি এক্কেরে ছাইড়া দিয়েন না এহন................
আপনের ধমক খায়া নগদে উদাসদাদা লেখা ছাড়সে দ্যাখসেন্নি?
..................................................................
#Banshibir.
তাও আবার সেইরাম লেখা, পুরা মার মার কাট কাট!! তয় ধম্ক দেই নাই কৈলাম!! উস্তাদ মানুষ!!!
_____________________
Give Her Freedom!
সচলাভিনন্দন পীরভাই...
ঐ আর কি। কেউ আগে কেউ পরে।
..................................................................
#Banshibir.
সচলাভিনন্দন পীর সাব!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
..................................................................
#Banshibir.
যা হওয়ার কথা ছিল তাই হয়েছে। আলী সাহেবের শিষ্য হাচল হয়ে থাকলে মানায়? অভিনন্দন
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
..................................................................
#Banshibir.
মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এতো চমৎকার লেখা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। অনেকদিন পর সচলে এসে এতো লেখা দেখে পুরোই বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম। কোন লেখা রেখে যে কোনটা পড়ি
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
হুঁ সচলে গ্যাপ দিয়া পড়তে আসা বুদ্ধিমানের কাজ নাহ
..................................................................
#Banshibir.
মোক্ষম একটা নাম গ্রহন করলেই যদি মনের মত করে লেখা যায়, তাহলে তো দেখছি আপনার পদাঙ্কই অনুসরন করা উচিৎ। হ্যাঁ, আলী সায়েবের যথাযোগ্য মান বজায় রেখেছেন এ যুগের সত্যপীর। অসাধারন!
ধন্যবাদ আব্দুল্লাহ
..................................................................
#Banshibir.
আপনার নিক নিয়ে আমার ধারণাটা মিলে গেল দেখে খুব ভাল লাগল।
সৈয়দ মুজতবা আলী-র লেখা প্রথম বই আমি পড়ি - শবনম। মুগ্ধতার সেই শুরু। কাঁচা বয়সের মুগ্ধতা আরো ঘন হয়েছে বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাঁর নানা লেখাগুলি পড়তে পড়তে। যতদিন মগজ সচল থাকবে এই মুগ্ধতা বাড়তেই থাকবে।
প্রিয় সত্যপীর-এর মতন আপনিও একজন নজর-কাড়া প্রিয় লেখক/ব্লগার। এইভাবেই আরো লিখে চলুন এই আকাঙ্খা জানাই। শুভেচ্ছা নেবেন।
- একলহমা
নতুন মন্তব্য করুন