প্রতিদিন দুপুর বারোটায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সুরাট কুঠির ইংরেজ অফিসারেরা বিরাট হলরুমে খেতে বসতেন লাইন ধরে। এক চাকর বদনা হাতে ঘুরে ঘুরে সকলের হাত ধুইয়ে দিত। ১৬৮৯ সালে জন অভিংটন নামে এক পাদ্রী খেতে বসেছিলেন ঐ খানাঘরে বাকীদের সাথে। ঝরঝরে চাউলের পুলাউ পরিবেশিত হয়েছিল, দানাগুলো একে অপরের সাথে লেগে ধরেনি আর তাতে মেশানো ছিল চৌদ্দরকম মশলা। টেবিলে আরো ছিল “দমপোখত”, মুর্গীর ভিতর কিসমিস বাদাম ঠেসে ভরে কড়াইয়ে ঘিতে চুবিয়ে রান্না হত এই খাবার। আরো ছিল কাবাব, নুন গোলমরিচ রসুন মাখা গরু আর খাসির গোস্ত তেলে ভাজা, যার “প্রতিটি টুকরার ভিতর মেশানো থাকত নানান মশলা।”
১৬৮৯ এ অভিংটন সায়েব যখন এই এলাহি খানাদানার আয়োজনে বিহ্বল, সুরাট তখন আওরঙ্গজেব বাদশার শাসনাধীন মোগল সাম্রাজ্যের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। ইয়োরোপীয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিগুলোও ঘুরঘুর করত ঐখানেই। পর্তুগীজ মসলার রমরমা একচেটে বাণিজ্য ততদিনে ওলন্দাজ, ইংরেজ আর ফরাসী থাপড়ে বাগিয়ে নিয়েছে, তারা যে যার মত কুঠিও গড়ে নিয়েছে শহরে। কোম্পানির অফিসারদের থাকার জায়গা আর চালানের মাল রক্ষণাবেক্ষণের গুদামঘর মিলিয়ে পুরো জায়গাটিকে ডাকা হত ফ্যাক্টর বা ফ্যাক্টরি, অর্থাৎ কুঠি।
সুরাট কুঠির দিনপঞ্জি লিখে গেছেন জার্মান ড্যুক অফ হলস্টাইনের পত্রবাহক আলবার্ট ম্যানডেলসো। ১৬৩৮ সালে ড্যুকসায়েব পারস্যে ম্যানডেলসোকে পাঠান সিল্ক ব্যবসার ধান্দায়, সেইখানে দুই ইংরেজ সওদাগরের মুখে ভারতের লোভনীয় বাণিজ্যের গল্প শুনে ওদিকেই হাঁটা দেয়া মনস্থ করেন, সাথে ছিল তিন জার্মান ভৃত্য আর এক পারসীক গাইড কাম দোভাষী।
কুঠির মানুষ বোর্ডিং হাউসের মত বাঁধাধরা রুটিন মাফিক চলত। প্রত্যেক দিন দুইবার ঘড়ি ধরে গীর্জায় যেত সবাই, ভোর ছয়টায় আর রাত আটটায়। রোববারে আবার মাহফিল হত তিনটে। ভোরের ধর্মকর্মের পরে লোকে কাজে লেগে যেত, ম্যানডেলসো দেখেছেন যে “প্রত্যেকেই কিছু না কিছু করছে, সকলেরই কাজ বাঁধা।” যার যার কাজের জায়গাও নির্দিষ্ট। কুঠির সকলেই ঘড়ি ধরে একসাথে খেত, আর পঞ্চাশ বছর পরের অভিংটনের মত তিনিও দেখেছেন যে খাওয়া হয় “একটি রুমে বিরাট গ্র্যান্ড টেবিলে, তাতে মিষ্টান্ন ছাড়াও থাকে কমপক্ষে পনেরো ষোল পদের মাংস।” প্রতিদিন রাতের খাবারের পর কুঠির কর্তা, তার পরেরজন, প্রধান সওদাগর আর গণ্যমান্য কেষ্টবিষ্টুরা সাগরের ধারে হাওয়া খেতে যেতেন।
অবসর সময়ে সওদাগরেরা মোগলদের মতই সময় কাটাতেন বাগানে বেড়িয়ে কি হুক্কা টেনে। চতুর্দিকেই ছড়ানো ছিল লালপানি আরক। এই আরক পাঞ্চ খেয়েই সর্বদা টাল হয়ে থাকতেন মাতাল বাদশা জাহাঙ্গীর। ইয়রোপীয়রা এই আরক খেত জালা জালা, এক ভোজের দিন ম্যানডেলসো খেয়াল করে দেখেন কুঠির সবাই খাচ্ছে “পেইলপান্টজ” নামে এক ড্রিঙ্ক, যা প্রস্তুত হত আরক, গোলাপজল, লেবুর রস আর চিনি মিশিয়ে। ইংরেজ এই ককটেল ড্রিঙ্ককে ডাকত “পাঞ্চ”। ১৮২০ সালের ইন্ডিয়ান আর্মির ল্যুটেন্যান্ট ম্যাথিউ ক্যাম্পবেল লিখে গেছেন মিল্ক পাঞ্চের রেসিপিঃ
“তিরিশটি লেবুর খোসা দুই বোতল আরকে চুবিয়ে রাখ ১২ ঘন্টা। তারপর মদ ছেঁকে আলাদা কর আর তাতে দাও দশ বোতল আরক আর ছয় বোতল ব্র্যান্ডি কি রাম। তাতে ডুবাও আড়াই বোতল লেবুর রস, আটটা জায়ফল পেষা আর ১২ পাউন্ড চিনি। এছাড়া দাও আট কোয়ার্ট কাঁচা দুধ আর ১৪ কোয়ার্ট ফুটন্ত পানি, পুরোটা মেশাও বিরাট এক হাঁড়িতে। আধ ঘন্টা ধরে নাড় আর ঠান্ডা হয়ে এলে পরে ছেঁকে বোতলে ভর।”
ভারতীয়দের কাছ থেকে তাদের পান খাবার অভ্যাস হয়েছিল। ভারতে নয়া আগতরা মাঝে মাঝে ব্যাপক ভয় পেত দেখে যে লোকে কফের সাথে থু থু করে রক্তের মত লাল কি একটা ফেলছে। তা ছিল পানের পিক, এই পান ভারতীয়রা সারাদিন চিবাত। মোগলেরা তাদের হিন্দুস্তানি প্রজাদের কাছ থেকে পান খাওয়া শেখে, পান খেলে নাকি দাঁতের মাড়ি শক্ত থাকে হজমবৃদ্ধি হয় ইত্যাদি। ইশটিং পিশটিং করতেও পান সহায়ক ছিল বলে লোকে বিশ্বাস করত, এক পারসীক দূত বলে গেছেন যে বিজয়নগরের রাজার হেরেমের ৭০০ রাণী রাজকন্যে রক্ষিতার দৈনিক পান খাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।
রমরমিয়ে শাসন চালানোর পাশাপাশি খানাখাদ্যে মোগলেরা উত্তর ভারতে তাদের ছাপ যত সহজে রেখে গেছে দক্ষিণ ভারতে তা হয়নি। ষোড়শ আর সপ্তদশ শতাব্দীতে দক্ষিণ ভারত তাদের নিজেদের রান্নার কেতা চালু রাখে। বৈষ্ণব হিন্দু মন্দিরগুলোয় যেমন নিয়মিত রাঁধা হত তাদের নিজস্ব রেসিপির খাবার।
হিন্দু মন্দিরগুলো তাদের আশপাশের এলাকাগুলোর জন্য ছিল একাধারে জমির মালিক, কাজের মালিক, ব্যাঙ্ক, ইস্কুল, মিউজিয়াম, হাসপাতাল আর থিয়েটার। প্রায়শই এসব মন্দির গড়ে উঠত পাহাড়ের চূড়ায়, আর পাথরের সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে তাতে উঠত ভক্তের দল। পয়সাওলা ভক্তেরা দান করে আবার সিঁড়ির পাথরে খোদাই করে দিত তাদের উপহারের বর্ণনা।
মন্দিরের নিরামিষ আর মিষ্টান্ন রেঁধে প্রথমে দেওতার উদ্দেশ্যে রাখা হত, তারপর বিলিবন্টন হত এলাকার লোকদের মাঝে। দুধ আর তরল তরকারি যা বাঁটোয়ারা করা ব্যাপক ঝামেলার কাজ, তা যেত মন্দিরের পুরুতপান্ডার ভোগে। আজও মন্দিরে সেই পুরাতন রেসিপি ধরে রান্না করা হয়। দক্ষিণ ভারতের রেস্তোরাঁয় কার্যরত প্রচুর কুক রান্না শিখেছে মন্দিরের পাকশালা থেকেই। উদুপি মন্দিরে আজও ভক্তেরা ঘন ডাল খায় তেঁতুলটকে সিদ্ধ করা কুমড়া ফালি দিয়ে। সেই ডালে দেয়া হয় ঝাল মরিচ, মসুর ডাল, ধনেপাতা, মেথি, সর্ষেবিচি আর তেজপাতা ভাজা। বিশাল হাঁড়িতে রেঁধে কলাপাতায় পরিবেশিত হয় সেই খাবার, সবাই খেয়ে উঠে গেলে সেখানে গরু ছেড়ে দেয়া হয় সেই উচ্ছিষ্ট কলাপাতা খেয়ে সাফ করার জন্য।
মন্দিরের আরেক বৈশিষ্ট্য মিষ্টি। মোগল আমলে গেন্ডারি ছিল গুরুত্বপূর্ণ ফসল, মেলা পয়সা ছিল গেন্ডারি ব্যবসায়। ভক্তেরা নিজেদের উৎপন্ন গেন্ডারি দানও করত প্রচুর মন্দিরে মন্দিরে, তাই দিয়ে তৈরি হত অঢেল মিষ্টি। ডালের মত তরল পদার্থের বদলে মিষ্টি পরিবিহন আর বিতরন করা ছিল অনেক সহজ।
উত্তর ভারতও বিখ্যাত ছিল মন্দিরের প্রসাদের জন্য। ইংরেজ জাহাজের কাপ্তেন আলেক্সান্ডার হ্যামিলটন উড়িষ্যার জগন্নাথ মন্দিরে “দৈনিক শ পাঁচেক পান্ডাপুরুত ডাল আর ভাত রাঁধে ভগবানের জন্য। এছাড়া তৈরি হয় আটশ কেজি ওজনের পাঁচটি মিষ্টির চাঁই, তা দেবতার সামনে রেখে পুজোপাট সেরে পরে বড়লোক ভক্তদের কাছে বিক্রি হত কিছুটা, যা রয়ে যেত তা যেত গরীবের হাতে।”
ভক্তের কাছে মিষ্টি শুধুই খাবার ছিলনা, তা ছিল ঘরে বয়ে নিয়ে যাওয়া দেবতার আশির্বাদ। সেই মিষ্টিতে একগাদা চিনি আর তেঁতুল দেওয়াতে তা টিকেও থাকত অনেক দিন নষ্ট হবার বদলে।
ধীরে ধীরে দক্ষিণেও মোগলাই খানা ঢুকে পড়ে। ১৬৩০ সালে শাজাহান হায়দ্রাবাদ জয় করেন, তবে বেশীদিন তা ধরে রাখতে পারেননি। এক শতাব্দী পরে মোগল সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে থাকে আর গভর্নর নিজাম উল মুল্ক হায়দ্রাবাদের স্বাধীন নেতা হয়ে বসেন। ততদিনে মোগলাই খানা হায়দ্রাবাদে ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে।
লখনৌতে গল্প চালু আছে অযোধ্যার শেষ নবাব ওয়াজি আলি শা একবার দিল্লীর প্রিন্স মির্জা আসমান কাদেরকে দাওয়াত দেন। মির্জা সায়েব আবার ছিলেন ব্যাপক খাদ্যরসিক। তিনি খেতে বসে বেছে নিলেন মশলাদার মোরব্বা, কিন্তু কামড় দিয়ে তিনি বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেন আরে এতো মোরব্বা নয় মাংসের কাবাব! ওয়াজি আলি শা তো ভারি খুশি মীর্জাকে জব্দ করে। মির্জা দিল্লী ফিরে গেলেন মতলব আঁটতে আঁটতে যে কি করা যায়। পরে তিনি ওয়াজি আলিকে দাওয়াত দিলেন একদিন। ওয়াজি আলি মুখে দিয়ে অবাক হয়ে দেখেন সব খাবারঃ পুলাউ, বিরিয়ানি, মাংসের তরকারি, কাবাব চাটনি আচার সবই আসলে তৈরি করা হয়েছে চিনির ডেলা দিয়ে, দেখে বোঝার কোন উপায়ই নেই! অযোধ্যার নবাব হার মানলেন।
তবে মোগলের বিদায় ঘন্টি ততদিনে বাজা শুরু হয়ে গিয়েছে, নবাব লখনৌকে দিল্লীর সমান সমান করতে মন দিলেন। প্রথম প্রথম লোকের তা পছন্দ হয়নি, দিল্লীর কবি মীর তকী মীর লিখে গেছেনঃ
“দিল্লীর ধ্বংসাবশেষও যেন দশগুণ ভালো লখনৌ এর চেয়ে, লখনৌ আসার পূর্বে আমার কেন মরণ হল না?”
তবে লখনৌ এর ব্যাপক পয়সাকড়ির টানে ঠিকই একে একে হাজির হয় গাতক বাদক কবি জাদুকরের দল, যেন মোগল দিল্লীরই আরেক সংস্করণ। পাচকেরাও হাঁটা দিল লখনৌর দিকে, ম্যালা মাইনের চাকরি জুটল তাদের। এক কুতুব তো নাকি তার পাচককে মাসে বারোশ রুপি দিতেন বেতন, ভারতের ইতিহাসে রান্না করে কেউ অত টাকা চোখে দেখেনি। এমনকি কবি মীর তকী মীরও তার মত পাল্টে পরে লিখেছিলেনঃ
“লখনৌ দিল্লীর চেয়েও চমৎকার, তাই আমার মন চলে সেই পানে।”
লখনৌবাসী ক্রীম প্রচন্ড ভালবাসত, তারা মোগলাই কুরামা বা কোরমা ক্রীম দিয়ে রাঁধল। কোরমাতে ব্যবহৃত হত অত্যুৎকৃষ্ট খাসির চাক, অথবা মুর্গি। মোগল কেতায় কোরমা রাঁধা হত পারসীক টেকনিকে, দইয়ে মাংস জিরিয়ে আদা রসুন পেঁয়াজ দিয়ে কষা। এতে পেস্তার গুঁড়োও দেয়া হত। লখনৌতে তারা এর মধ্যে ঢালল হাতাখানেক ক্রীম, এমনকি সামান্য ডালের মধ্যেও তারা ক্রীম দিয়ে জাফরান ছিটিয়ে এলাহি কারবার করত।
এছাড়া অযোধ্যা বিখ্যাত ছিল উত্তম চালের ভাতের জন্যে। লখনৌবাসীর জানের খাবার ছিল পুলাউ। দিল্লিতে বিরিয়ানি ছিল পয়লা পছন্দ, যা কিনা আসলে অধিক মশলাযুক্ত পুলাউ। লখনৌতে বলা হত “ভালো বিরিয়ানি হল মোটামুটি পুলাউয়ের সমান”। বিরিয়ানির ঝাঁঝালো মশলা সুগন্ধী ভাতের বাস সরিয়ে দিত বলে তারা এটাকে মোটেই ভালো চোখে দেখত না, লখনৌবাসীর মতে বিরিয়ানি হল পুলাউয়ের তুলনায় অযথা জবরজং খাবার।
বিশপ রেজিনাল্ড হেবারকে যখন অযোধ্যায় পুলাউ দেয়া হয় তখন তিনি আনন্দের সাথে লক্ষ্য করেন যে ঢাকার নবাবের পরিবেশিত বিরিয়ানির তুলনায় এই পুলাউ “অসম্ভব চমৎকার, সুস্বাদু এবং মোটেই তেল ঘি দিয়ে পরিপূর্ণ নয়”। হেবার লক্ষ্য করেন যে “এই অংশের উচ্চবর্ণের মুসলমানেরা বাঙালি আর হিন্দুর তেল চপচপে খাবার মারাত্মক নিচু নজরে দেখে, আর তাদের বরং পছন্দ অল্প মশলাযুক্ত শুকনো সুবাসিত খাদ্য”।
খাবার সুবাসিত করার উদ্দেশ্যে লখনৌ এর বাবুর্চিরা মুর্গিকে রাঁধার আগে শুধু কস্তুরি আর জাফরান খাইয়ে রাখত। এই প্রচন্ড ব্যয়বহুল পন্থা টিকে ছিল কারণ লখনৌ এর কুতুবেরা টাকা উড়াতে খুবই পছন্দ করতেন, খানাদানার টেবিলে তাদের ফুটানি দেখাতে ভাল লাগত। তারা চমকে দেয়া খাবার ও ভারি পছন্দ করতেন, বাবুর্চিরা রাঁধত পুলাউ কিন্তু প্লেট দেখে মনে হত হীরেমোতি রাখা আছে সেখানে। এই টেকনিক সুদূর বোগদাদ নগরী থেকে এসেছে, রাঁধার আগে চাউল লবন পানিতে জিরিয়ে নিলে ভাত ক্রিস্টালের মত চকচক করে। অন্যান্য চাউল কড়া লাল বা সবুজ করে রাঁধা হত চুনি পান্না বানানোর জন্য। এমনকি তারা সাধারন খিচুড়িরও খোমা পাল্টে দিল, দুর্দান্ত রকম মেহনত করে পেস্তা মসুর ডালের সাইজে কাটা হত আর বাদাম কাটা হত ভাতের সাইজে, ঐ দিয়ে রাঁধা হত খিচুড়ি যা নাকি একবার খাইলে মরিয়া গেলেও সুখ।
লখনৌ এর একটি বিখ্যাত রান্নার কায়দা বেরিয়েছিল সময়ের প্রয়োজনে। ১৭৮৪ সালে অযোধ্যায় বিরাট দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, নবাব আসফউদ্দৌলা করেন কি হাজারে হাজারে লোক নিয়োগ করেন শিয়া ইমামবাড়া মসজিদ তৈরিতে। শহরের সৌন্দর্যবৃদ্ধিও হল আবার লোকের খাবারও মিলল। বাজারের বাবুর্চি, যাদের নানবাই ডাকা হত, তাদের হুকুম দেয়া হল দিনরাত কাজ চলবে অতএব ২৪ ঘন্টার যেকোন সময় চাহিবামাত্র মজুরদের খাবারের ব্যবস্থা করা চাই।
তারা মোগল দম-পোখতের ব্যবস্থা করল, যা কিনা মুর্গি দমে রাঁধতে হয়। আইন-ই-আকবরিতেও এর রেসিপি বর্ণিত আছে। সুরাটের ফ্যাক্টরিতেও জন অভিংটনকে দমপোখত দেয়া হয়েছিল। লখনৌতে নানবাইরা এইব্বড়া হাঁড়ির ভিতর মাংস সব্জী ঢুকিয়ে সিল করে দিল আর কয়লার আগুনে চড়িয়ে দিল। এইভাবে আস্তে আস্তে দমে খাবার রান্না হতেই থাকল আর মজুররা চাইলেই হাঁড়ি খুলে খাবার দিয়ে দেয়া সম্ভব হল। মাংস এতি ঝুরাঝুরা হত যে হাড্ডি থেকে মাংস খুলে ঝুলত। নবাব পরিদর্শনে গিয়ে সেই খাবারের গন্ধে এমনই উতলা হলেন যে নানবাইদের তলব করা হল তার প্রাসাদে সেই রান্না করার জন্য। কাশ্মিরি বাবুর্চিরা আবার দমপোখতের মধ্যে শালগম আর ভেড়ার মাংস ব্যবহার করতেন। দম পোখত রান্না হত সারারাত ধরে, আর সকালের নাস্তায় নবাব খেতেন সেই খাবার।
নবাব আসফউদ্দৌলা শামী কাবাবের জনক বলেও ধরা হয়, এইটি লখনৌ এর ট্র্যাডিশন। মোগল বাদশারা যেরকম অল্প অল্প করে খেতেন অযোধ্যার নবাবেরা তেমন নয়, এনারা ছিলেন বিরাট পেটুক। আসফউদ্দৌলা তো এমনই মোটারাম ছিলেন যে তার চড়বার মত ঘোড়াই পাওয়া যায়নি! তার দাঁতও পড়ে গিয়েছিল, চিবাতেও পারতেননা ঠিকমত। এই সমস্যা মোকাবিলার জন্যই শামী কাবাবের উদ্ভাবন। এই কাবাব তৈরি হত একবারে মিহি মাংসের কিমা থেকে। ইয়োরোপীয়রা যেমন বাজে গোস্ত কিমা করে ভারতীয়রা তেমন নয়, তারা সাধারণত উচ্চপদের মাংসের টুকরাই কিমা করত। আবুল ফযলের আইন-ই-আকবরিতে কিমার উল্লেখ আছে পুলাউ এর উপকরণ হিসেবে। মোগলেরা গরুর মাংসের কিমা পছন্দ করত কিন্তু লখনৌবাসীর পছন্দ ছিল ভেড়ার গোস্তের কিমা, যা আরো নরম হয়। সেই নরম মাংস পেস্ট বানিয়ে তাতে দেয়া হত আদা রসুন, ধনে আর নানান মশলা। তারপর সেই মাংসের বল বা রোল বানিয়ে কাঠিতে গেঁথে আগুনে ঝলসানো হত। সেই কাবাব এতই নরম হত যে মোটকু নবাবের দন্তহীন মাড়ি গলেও তা চলে যেত পটাপট।
রুটিতে মাহমুদ নামে এক নানবাইয়ের অবদান স্মরণ করার মত। এই বাবুর্চি শিরমল রুটির আবিষ্কারক। এই রুটি হল ভারতীয় আর পারসিক রুটির মিলনের ফসল। ভারতীয়রা সবকিছুর মধ্যে ঘি দেয়, আর পারসীক বাবুর্চিরা লক্ষ্য করে স্থানীয়রা চাপাতি রুটি ভেজে খায়, যা ভাজার পরে ফুলে পুরির মত হয়। মুসলিম বাবুর্চিরা রুটি তাওয়ায় দেবার আগে তাতে ঘি মিশিয়ে দিল। সেই কাই তাওয়ায় ভেজে তৈরি হল পরোটা, আর তন্দুরের ভিতর দিয়ে তৈরি হল বাকরখানি। মাহমুদ মিয়া করলেন কি, ঐ বাকরখানির ময়দার কাইয়ের ভিতর ঘিয়ের সাথে যোগ করলেন দুধ আর ডিম। তারপরে তা কাগজের মত পাতলা করে তন্দুরে চালান করে দিলেন। সেই ঘিয়ে ভাজা অতুলনীয় রুটির নাম হল শিরমল, লখনৌবাসী তা দিয়ে সব্জী মাংস মিষ্টি ফির্নি সবই খেতে লাগল।
উচ্চবংশের লোকে ঐ দিয়ে রাতে খেয়ে লখনৌ এর রাস্তায় হাঁটতে বেরুত আর রাস্তার পাশের দোকান থেকে কিনে খেত ডালিম কি গোলাপজলের সুবাসিত শরবৎ। নানবাইরা আজো সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, এখনো লখনৌ এর লোকে রাস্তায় বেরিয়ে ভাজা শিরমল দিয়ে শামী কাবাব খেতে খেতে হেঁটে চলে।
...........................................................................................................................
লিজি কলিংহ্যাম রচিত Curry: A Tale of Cooks and Conquerors এর কিছু অংশের ছায়ানুবাদ।
মন্তব্য
সচলাভিনন্দন! রাজা-উজিরদের অনেক পেন্টু থুড়ি আলখাল্লা খুলেছেন এলা ঘুম দেন।
আলখাল্লায় বাজে গন্ধ!
..................................................................
#Banshibir.
সচলাভিনন্দন!
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ধৈন্যবাদ টিউলিফাফা।
..................................................................
#Banshibir.
সচল হয়ে গেলেন তাইনা।
সেই ছোটবেলা থেকে দেখতেসি ( আপনার লেখক ক্যারিয়ার কে)
বড় হয়ে গেলেন এত তাড়াতাড়ি
সচলাভিনন্দন
আরও লেখা চাই, আমার সবচে ফেভারিট লেখকের নামে না কিন্তু, ডুবাইলেই ক্যানাডা চইলা আমু কইলাম !
নামে নাম**
কৌস্তুভদাদায় কি কৈল দেখলেন্না এরিক ভাই? এখন ঘুমানির টাইম। নতুন কম্বল কিঞ্ছি, ঘুম যাই গুডনাইট!
..................................................................
#Banshibir.
ঘুমায়েন না, সিরাজ আর আওরঙ্গজেব আইসা বলব লুঙ্গি দে !!!
তখন গায়ের কুর্তাও খুইলা রাইখা দিমু। আমার উপর বিশ্বাস রাখেন
..................................................................
#Banshibir.
অভিনন্দন।
এতদিন বহুত খাওয়া দাওয়ার নাম শুনাইলেন। এবার সচল হওয়া উপলক্ষে কিছু নমুনা দেখান, মোঘলাই লেখা লিখতে লিখতে কেমন
রেসিপি শিখলেন।
কলম ছাইড়া খুন্তি ধর্তে কৈতেসেন? সুমায় লাগব, ঐটা আলাদা আর্ট। আপাতত খুন্তি থাউক।
..................................................................
#Banshibir.
নিয়মিত এই মানের খানা পেটে ঢুকলে পায়খানা ফরমাইতে তো খবর হয়ে যাওয়ার কথা! তাছাড়া পেটে যে পরিমাণ মেদ জমার সম্ভাবনা তাতে করে বছর ঘুরলে মানুষে শুয়োরে ভেদাভেদ করা কঠিন হয়ে পড়ার কথা!
সচলাভিনন্দন! এবার নিশ্চিন্তে শীতনিদ্রায় যেতে পারেন। তবে যাওয়ার আগে ১০০ ইউরো এই দিকে ছুঁড়ে দিয়েন। আপনের হয়ে মডুদের তেল মালিশ করতে করতে হাত ব্যথা করে ফেলেছি।
আপনের কথা শুইনা সুকুমার রায় মনে পড়লঃ
"...কোত্থেকে একটা পুরানো দরজীর ফিতে এনে আমার মাপ নিতে শুরু করল, আর হাঁকতে লাগল, 'খাড়াই ছাব্বিশ ইঞ্চি, হাতা ছাব্বিশ ইঞ্চি, আস্তিন ছাব্বিশ ইঞ্চি, ছাতি ছাব্বিশ ইঞ্চি, গলা ছাব্বিশ ইঞ্চি ।'
আমি ভয়ানক আপত্তি করে বললাম, 'এ হতেই পারে না । বুকের মাপও ছাব্বিশ ইঞ্চি, গলাও ছাব্বিশ ইঞ্চি ? আমি কি শুওর ?'
বুড়ো বলল, 'বিশ্বাস না হয়, দেখ ।' দেখলাম ফিতের লেখা-টেখা সব উঠে গিয়েছে, খালি ২৬ লেখাটা একটু পড়া যাচ্ছে, তাই বুড়ো যা কিছু মাপে ছাব্বিশ ইঞ্চি হয়ে যায় ।"
হা হা হা হা হা।
আর এই লন আপ্নের একশো ইউরোঃ
..................................................................
#Banshibir.
ডাউনলোডেবল পদকের মতো ডাউনলোডেবল একশ ইউরো...। যাইহোক, কথা সেইটা না। কথা হইলো, আমি মেম্বরের কাছে ভ্যালু এডেড ট্যাক্স দাবী করছি। না দিলে দুদকে যামু কয়া দিলাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গিফটের উপর ট্যাকসো নাই। রেমিট্যান্স
..................................................................
#Banshibir.
এই শুক্কুরবারের দিনে ভাবলাম ঘরে বসে থেকে চাট্টি ডালভাত খাই। এইটা পৈড়া এখন সপসপে নোলা তুষ্টি করতে দৌড়াতে হবে বাইরে। পের্তিবাদ জানায়ে রওয়ানা দিলাম।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
খেক খেক। ভালৈছে।
..................................................................
#Banshibir.
সচলত্বে অভিনন্দন
---------------------
আমার ফ্লিকার
..................................................................
#Banshibir.
সচলাভিনন্দন!
অনুবাদ জম্পেশ হয়েছে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধইন্যা ধইন্যা।
..................................................................
#Banshibir.
অভিনন্দন পীরসাহেব। এইবার আমারে এট্টু পানি পড়া দেন দেখি। আমার তো হইতেছে না
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ক্রেডিট কার্ড নাম্বার ও এক্সপায়ারি নাম্বারসহ গুপন পত্র দেন। চর্ম, সেক্স ও যৌনসহ সকল রোগ নিরাময়ে একশত ভাগ গ্যারান্টি।
..................................................................
#Banshibir.
অভিনন্দন!
কত্ত খাবার দাবার !!!
হ
..................................................................
#Banshibir.
অভিনন্দন!
দিল্লী আগেই গিয়েছি। এবারে লখনৌ যাব আর, রাস্তায় বেরিয়ে ভাজা শিরমল দিয়ে শামী কাবাব খেতে খেতে হাঁটবো।
ভালো প্ল্যান। আমিও করব তাইলে।
..................................................................
#Banshibir.
অভিনন্দন হে সত্যপীর!
লেখা উমদা হয়েছে আবারও। আপনার সাথে দেখা হলে বুঝব এমন রান্নার শুধু গল্পই করেন, না খাওয়াতে সমান পারদর্শী।
ছোট বেলাতে রাজশাহীতে মাঝে মাঝে শিরমল চোখে পড়ত, মূলত মহররমের সময়।
facebook
দেখা হলেই বুঝবেন নবাব আসফুদ্দৌলার মতই অবস্থা আমার, সারাদিন খাইতে খাইতে দাঁতই পইড়া গেসে সবগুলি
শিরমল দেশে এখন কোথায় পাওয়া যায়?
..................................................................
#Banshibir.
শবে বরাতের দিন পুরনো ঢাকার আনন্দ কনফেকশনারীতে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অভিনন্দন অভিনন্দন!!
এবার মোগলরা কেন রোবট পুষতো আর বিলাই দেখতে পারতো না সেই গল্পটা নিয়ে একটা পোস্ট দিন, পড়ি।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
তাও জানেন না? বলছি শুনুন। শাজাহান বাদশার একটা বাঈজি রোবট ছিল, পর্তুগীজ কুঠি থেকে তিনি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। পর্তুগীজেরা চীন থেকে আগত কোন এক জাহাজ লুটে সেই বাঈজি রোবট পায়, তখনকার দিনে মেড ইন চায়না লেখা রোবটের ভারি কদর ছিল।
যাই হোক, সেই রোবট প্রোগ্রাম করা ছিল যে দুইবার একপায়ে ভর দিয়ে পাক দিবে। এক সন্ধ্যায় হল কি সেই মুদ্রা দেবার সময় মুমতাজ মহলের বিলাই "পিয়ারি" নাচের মাঝে পড়ে যায়, আর বাঈজি রোবট তার উপরে ভর দিয়ে পাক দিতে গিয়ে তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায় সাইডে রাখা মদের জালার উপর। সেই জালা উলটে মদ গড়িয়ে যেতে থাকে পাশের রুমে, যেখানে এক রাজকুমার হুক্কা টানছিল। সেই হুক্কার নিভু নিভু আগুনে মদ লেগে পুরো প্রাসাদে আগুন ধরে গেল।
সেই থেকে শাজাহান বাদশা বিলাই দেখতে পারেন না, ঐ পিয়ারির জন্যই তার বাঈজি রোবট আহত হয় আর তাকে নতুন প্রাসাদ বানিয়ে মুভ করতে হয়। মোগলাই মুভিং যে কি হ্যাপার কাজ জানেনই তো সুরঞ্জনাপু।
..................................................................
#Banshibir.
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এই মোঘলাই খানাই আমার সর্বনাশ কর্ছে। ছাত্রজীবনে এক সেমিষ্টার দুই বেলা খাইয়া পার কর্ছিলাম। কপালের ফেরে দুই বেলাতেই খাইতাম স্টার এর কাচ্চি বিরানি। সেই যে ভুঁড়ি গজাইলো, তারপর থেকে খালি বাড়েই। কমাইতে গেলে আরও তাড়াতাড়ি বাড়ে। মোঘলাই খানাখাদ্য কঈষা মাঈনাছ
..................................................................
#Banshibir.
এইটাকে বোধহয় 'সবডেগ' বলে। এই আইটেমটা আমাদের বাসায় প্রচলিত ছিল। দুর্দান্ত জিনিষ! আমার অভিজ্ঞতায় আজ পর্যন্ত সেরা মাংসের ডিশ। আমি নিজে একবার ট্রাই নিছিলাম এটা বানাইতে।
****************************************
ট্রাই নিছিলাম কয়া থাইমা গেলেন যে বড়? পরের গঠনা কি?
..................................................................
#Banshibir.
হা হা, পরের গঠনা আবার কি, খাবার বানানোর পরে যে গঠনাটা গঠে সেটাই -- বেমালুম উদরসাৎ!
কয়েকজন ইয়ারদোস্তরে দাওয়াত দিছিলাম, তাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা। এর পরের ঘটনাটাও জানতে চান?
****************************************
শব্দটা 'শবডেগ' হবে। শব মানে হচ্ছে রাত। সারা রাত ধরে রান্না করা হয় বলে এই নাম। শালগমের সাথে বড় আলু, গাজর আর ঢাকাই ফার্মের মুরগী দিয়ে ট্রাই করতে পারেন। সারা রাত লাগবে না। টেস্ট কেমন সেটা আর বলতে পারবো না। জালিম ডাক্তারের দল বলে আমার নাকি রক্তে চর্বির পরিমাণ বেশি। আমার ডিম খাওয়া পর্যন্ত ব্যাটারা বন্ধ করে দিয়েছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
'শবডেগ'-এর বানান ও অর্থ বিষয়ে আমারও এইরকম অনুমান ছিল, তবে নিশ্চিত ছিলাম না। নিশ্চিত করার জন্য ধন্যবাদ। তবে এতে মুরগীর ব্যবহার নিয়ে আমার দ্বিমত রয়েছে। বাংলাদেশে এটা যাদের রান্না করতে দেখেছি, তারা মনে হয় প্রায় সবাইই (আমার দেখা মতে) মুরগী ব্যবহার করেন। সিদ্দিকা কবিরের বইতেও বোধহয় সেটাই লেখা আছে। কিন্তু আমার ধারণা - প্রথমত এটা সঠিক বা অথেন্টিক না। এটা মুরগীর ডিশ হিসেবে কল্পিত বা সৃষ্ট না। এবং ২য়তঃ মুরগী এতে মানায় না - অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। পোস্ট-লেখক যেমন উল্লেখ করেছেন, এটা আসলে ভেড়ার মাংসের আইটেম। কাশ্মিরিরা ('শবডেগের' জন্মস্থল মনে হয়) এবং কাশ্মির থেকে আসা অযোধ্যার নবাবের বাবুর্চিরা মনে হয় ভেড়ার মাংসই ব্যবহার করতেন। আমরা হয়তো বিকল্পে খাসির মাংস ব্যবহার করতে পারি। এমনকি হয়তো গরু। কিন্তু মুরগী দিয়ে করলে বিশাল পার্থক্য হয়ে যায়। অন্য কিছু হয়ে যায়।
****************************************
পীরবাবা, আপনি দেখি এক্ষেত্রেও গুরু মুজতবা আলীর লাইন ধরছেন। শুনেছি উনিও নাকি দারুন ভোজনরসিক মানুষ ছিলেন এবং বিভিন্ন দেশে গিয়ে সেসব দেশের স্থানীয় খাবারগুলির রেসিপি শিখে এসে নিজে নিজে ট্রাই মারতেন। তার মনে হয়ে এ বিষয়ে কিছু লেখাপাতিও আছে। একটা লেখা পড়েছিলাম যেখানে উনি মোগলাই খাবারের বিপরীতে বিশুদ্ধ দেশি (বাঙাল) খাবার দিয়ে একটা মানসম্পন্ন রেস্তোরাঁ খোলার পিলানের বর্ণনা দিয়েছেন, যার মধ্যে ছিল অনেক অজানা দেশি আইটেমের বিবরণ। এই মুহূর্তে ঐ লেখা থেকে "কলার মোচার সিঙাড়া" ছাড়া আর কিছু মনে পড়ছে না অবশ্য।
দেশি খাবার নিয়েও একটা লেখা দেন না!
সচলাভিনন্দন!
****************************************
দেশী খাবার নিয়া লেখা হ্যাজাক বাত্তি জ্বালায় খুঁজতেসি, এরকম এক জায়গায় তেমন কিছু পাইনাই। খালি খাবলা খাবলা লেখা এখানে ওখানে। জোড়া দিতে হবে, সময়ের ব্যাপার। স্টে টিউনড, সুরের মধ্যে থাকেন। হবিনি।
..................................................................
#Banshibir.
মুনতাসির মামুনের কিছু গবেষণামূলক লেখা আছে মনে হয় ঢাকার নবাববাড়ি আর পুরনো ঢাকার খাবার নিয়ে। এক সময় বিচিত্রার ঈদ সংখ্যায় পড়েছিলাম, এখন বোধহয় বই আকারেও পাওয়া যাবে।
****************************************
সচলাভিনন্দন!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই আর কি।
..................................................................
#Banshibir.
ঘ্যাচাং..................................................................
#Banshibir.
বস, লেঞ্জা খৈসা গেলোগা ! সচলাভিনন্দন!
কুনু আওয়াজ নাইক্যা?
..................................................................
#Banshibir.
বস, একখান পাতলা পুস্তিকা লিখার অনেক কৌশিশ করছি ডিপ্লোমার খাতিরে, আপাতত চোর-পুলিশ খেলার মধ্যে আছি। আপ্নের বাড়ি গিয়া সচলফিষ্ট খাইবার মঞ্ছায়। চারশত এক পশ্চিমে বাস করে কানা বগির ছা।
চোরপুলিশ খুব ভালু খেলা, আপ্নে কুন সাইডে?
..................................................................
#Banshibir.
সচল হবার জন্যে অভিনন্দন পীর ভাই।
লেখায়
অমি_বন্যা
..................................................................
#Banshibir.
সচলাভিনন্দন!
ধৈন্যবাদ
..................................................................
#Banshibir.
বুচ্ছি, নেক্সট টাইম ওইদিকে গেলে লখনোই যামুই যামু
বাইদ্যওয়ে- অভিনন্দন পীরসাব
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
একলগেই যামুনি।
..................................................................
#Banshibir.
কাল পড়ে পাঁচতারা দাগিয়ে গেছি, আজ ঢুকে কমেন্ট করে গেলাম। আপনার লেখা এভাবেই আসতে থাকুক - সেটাই চাই।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
নিশ্চয় দিগন্তদা, লেখার নেশা হয়ে গেছে।
..................................................................
#Banshibir.
কয়েকটি রান্না চেষ্টা করবো তোমার লেখার রেসিপি থেকে।
এত দেরীতে সচল হলে যে?
অভিনন্দন।
মিল্ক পাঞ্চটা ট্রাই করেন
..................................................................
#Banshibir.
অভিনন্দন পীরসাব।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
ধৈন্যবাদ রহমান ভাই!
..................................................................
#Banshibir.
আবারও অভিনন্দন...
আগেই পড়ছিলাম- এখন কইয়া যাই যে লেখা গন্ধযুক্ত হইছে...
..................................................................
#Banshibir.
হ...
দুর্গন্ধ কইছি???-
সচলত্বের অভিনন্দন এটা অবশ্য মোটামুটি জানাই ছিল যে আপনি দ্রুত সচল হবেন।
আপনার লেখার আমি ভক্ত - আপনার নিজস্ব স্টাইল এবং ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের লুঙ্গি ধরে টান মারা এই দুইটা বিষয় চমৎকার মিলে গিয়েছে। সচলে আপনার লেখাগুলো বেশ অন্যরকম একটা আমেজ দেয়।
আর এই যে এতগুলো মানুষ আপনার লেখা এত আগ্রহ করে পড়ে, চট করে শীতনিদ্রায় গিয়ে এদের হতাশ করেন না যেন - হুঁ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
<গভীর নিদ্রার ইমো>
হাহা ফান করলাম। নিশ্চয়ই লিখব ফাহিম
..................................................................
#Banshibir.
অভিনন্দন পীরসাহেব। আর ফাহিম ভাই এর সাথে শতভাগ সহমত।
<আবারও গভীর নিদ্রার ইমো>
..................................................................
#Banshibir.
অভিনন্দন পীর ভাইয়ু। বার বার ঢুকছি পড়ার জন্য কিন্তু পড়া হয়েই উঠছে না। ঘুম থেকে উঠে পড়বো এইবেলা শুধু সচল হবার অভিনন্দন রাখেন
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
থ্যাঙ্কু
..................................................................
#Banshibir.
রাণী রাজকন্যা রক্ষিতারা মনে হয় হ্যালিটোসিস কাটাতে পান খেতো। পানে বিজয় টেবলেটের গুণ থাকলে সেইটা তো বাদশা নিজেই খেয়ে অনলাইনে থাকতো সারাদিন।
হৈতেও পারে বদবু তাড়াতে খেত, তবে ওইটা মূল কারণ ছিলনা মনে হয়। আবার কিলিংহ্যাম যেমন দাবী করছেন যে মোগলেরা মনে করত এতে বিজয় টেবলেটের কাজ হত সেইটাও আমি আগে দেখিনাই, বরং অন্য জায়গায় (৭৫ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য) যে কথা লিখেছে যে পান খেয়ে ঠোঁট লাল করা হত বিউটফিকেশনের জন্য ঐটা আমার কাছে বেশী গ্রহনযোগ্য মনে হয়।
অবশ্য মোগলরা সারাদিন যেমন অনলাইনের স্বপ্নে বিভোর থাকত, বিজয় টেবলেট মনে করে ঝুড়ি ঝুড়ি পান মেয়েদের গিলানো তাদের জন্য অসম্ভব নয়।
..................................................................
#Banshibir.
সচলাভিনন্দন!
আমার এক আইনী বোন থাকেন আপনার দেশের "জলে গাছের গুড়ি" শহরে। তিনি বহুত উমদা এক বিরিয়ানী রান্না করতে পারেন লেবুর খোসা আর মুরগী দিয়ে। ঐ শহরে গেলে তার বাসায় গিয়ে আমার নাম করে খেয়ে আসবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
উত্তম প্রস্তাব
..................................................................
#Banshibir.
সচলাভিনন্দন হে পীর। ইতিহাস এর বদলুকদের পেন্ট আপনি এভাবেই খুলতে থাকেন দীর্ঘকাল ধরে। প্রত্যাশা রইলো
ডাকঘর | ছবিঘর
আমি নিজে খ্রাপ লুক কিনা
..................................................................
#Banshibir.
অভিনন্দন পীরবাবা
---- ঠুটা বাইগা
..................................................................
#Banshibir.
অফিসের ক্যান্টিনের ওপর বিরক্ত হয়ে আমার কয়েকজন কলিগ এক সম্মিলিত সমবায় সমিতি খুলতে চেয়েছিলেন। তাঁদের ইচ্ছে ছিল মাসে দশ-বারো দিন দুপুরে এক বিরাট মোগলাই খানার আয়োজন করা। আমার অসম্মতি আর প্রতিবাদের মুখে তাঁদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। দুই মাস পরে মোগলাই ভুঁড়ি সামাল দিবে কে?
আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে বড় ভুল করে ফেলেছি।
অভিনন্দন পীরবাবা।
বিরাট ভুল! ধুর্মিয়া।
..................................................................
#Banshibir.
এই খাবারগুলো কখনো বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে জানেন? আমি কিছু কিছু বানিয়ে দেখব বলে ভাবছি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লিজিম্যাডামের বইটা আসলে রেসিপিরই, প্রথমে খাবারের ইতিহাস নিয়া ক্যাচাল তারপর রেসিপি। আমি রেসিপিগুলা এড়ায় যাই সাধারণত, পরে শুধু রেসিপিগুলা নিয়ে পোস্ট করা যায় অবশ্য
..................................................................
#Banshibir.
সচলত্বের অভিনন্দন !! এইবেলা নাকে সর্ষের তেল দিয়া ঘুম দেন !!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মুড়ি মাইখা সব সর্ষের তেল শেষ!
..................................................................
#Banshibir.
অভিনন্দন!!
..................................................................
#Banshibir.
এইবার এইরকম রান্না করে একটা পার্টি দেন।
নেকস্ট ইয়ার সামারে নিউইয়র্কে পার্টি তো হৈবই, চিন্তানাই। এমনকি বিস্ময়কর জ্বীন তারেকাণুও আসব শুনছি।
..................................................................
#Banshibir.
এই ভোর রাইতে তাহাজ্জুদ পড়ে জায়নামাজে বসে একটু কান্নাকাটি করে পেটে ক্ষুধা ফরমাইয়া গেলো। ভাবলাম, বেহেশতে গিয়া তো খামুই, আগে দেইখা লই! কিন্তু ফটুকের অভাবে কিছুই মালুম করতে পাল্লাম না পীর বাহাদুর।
আপনের উপ্রে হাজার-সহস্র-লক্ষ-কুটিকুটি জ্বিনের লা'নত বর্ষিত হোক।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিস্ময়কর জ্বীন পায়খানা মোবারক ফরমাইয়া অলরেডি মাথার চুল পাতলা কৈরা দিতেছে ধুগোদা
..................................................................
#Banshibir.
অভিনন্দন!!
..........
রংতুলি
নতুন মন্তব্য করুন