ভাস্কো দা গামা কালিকটে ভিড়ার প্রায় এক শতাব্দী পরে ওলন্দাজ ইয়ান হাউখেন ফন লিন্সখ্যোতেন ১৫৮৩ এর সেপ্টেম্বরে গোয়াতে আসেন। লাইন ধরে সকল পর্তুগীজ রমণী মহানন্দে ভারতীয় খাবার খাচ্ছে দেখে তিনি তো অবাক। মূল খাবার ছিল সিদ্ধ ভাতের উপর পানির মত পাতলা স্যুপ ঢেলে তার সাথে মাছ, টক আমের আচার আর মাছ বা মাংসের ঝোল। ষোড়শ শতাব্দীর ইয়োরোপীয় যার মূল খাবার ছিল রুটি আর ঝলসানো মাংস, তার এইসব অচিন খানা দেখে অবাক লাগারই কথা। ভারতের পর্তুগীজেরা আপাত অপরিচিত খাবার খেয়ে হজম করত শুধু তাই নয়, একবারে খাঁটি ভারতীয়ের মত হাত দিয়েই খেত। রমণীরা কারো হাতে চামচ দেখলে তাই নিয়ে ভারি হাসাহাসিও করত।
পর্তুগাল ছোট দেশ কিন্তু তাদের খাবারে নানান জায়গার প্রভাব ছিল। আইবেরিয়া উপদ্বীপে প্রচুর গম, শুকর, ভেড়া, অলিভ অয়েল আর নানাপদের আঙুর হত ওয়াইন আর ভিনেগার বানানোর জন্য। এছাড়াও পর্তুগীজ খাবারে অন্যান্য কালচারের প্রভাব ছিল। ইহুদী সেটলার আর মুর রাজারা আনে চাউল, বাদাম, বেদানা, লেবুজাতীয় ফল আর চিনি। ইয়োরোপীয় মশলা বাণিজ্যের বদৌলতে গোলমরিচ, লবঙ্গ আর দারচিনির অভাব ছিলনা। ১৪৯২ এ কলম্বাসের ভুলে আমেরিকা আবিষ্কারের ফলে ওদিক থেকে আসে অদ্ভুত কিছু নতুন জিনিস আসে যেমন টমেটো, আলু, ভুট্টা, কাজুবাদাম আর টার্কি। ষোড়শ শতাব্দীর টিপিক্যাল খাবার ছিল লবঙ্গ, দারচিনি, গোলমরিচ, জাফরান, বাদামের গুঁড়া(তরকারি ঘন করার জন্য) আর অল্প ভিনেগার দিয়ে রাঁধা মুর্গীর স্ট্যু।
দক্ষিণ ভারতে লোকে খেত ভাত। কাছেই জঙ্গলে গিজগিজ করত এলাচ দারচিনি লবঙ্গের ঝাড়। সব সসে এইসব দিয়ে ঘন করা হত, এছাড়া টকটক ভাবও আসত তেঁতুল ব্যবহারের জন্য। ভারতে তেঁতুল প্রথম আফ্রিকা থেকে আনে আরব সওদাগরের দল। উপকূলে লাইন ধরে ছিল নারকেলগাছ, নারকেলের দুধ প্রায় সব কারিতেই দেয়া হত। এছাড়া ছিল নারকেল কোরা।
ভারতের পর্তুগীজদের ভয়ানক পেট পুড়ত গমের রুটির জন্য। দক্ষিণ ভারতীয়রা মাঝে মাঝে গম দিয়ে চাপাতি তৈয়ার করত ঠিকই, কিন্তু গমের বদলে চালের গুঁড়াই তাদের পছন্দ ছিল বেশী। এই চালের গুঁড়া দিয়ে বানানো হত নরম ইডলি, চাটনি দিয়ে খাওয়ার জন্য। আরও হত উপ্পাম যার ভেতরটা স্পঞ্জি, নারকেলের দুধে ডুবিয়ে এলাচ সহকারে এই দিয়ে সকালে নাস্তা হত। আর ছিল দোসা।
গমের রুটির জন্য পর্তুগীজদের মন কাঁদার ধর্মঘটিত কারণও ছিল। ষোড়শ শতাব্দীর ক্যথলিকদের কাছে রুটির মর্যাদা মারাত্মক। তাই মিশনারিরা নানাদিকে গুঁতাগুঁতি শুরু করল রুটি বানানোর জন্য। সমস্যা ছিল ঈস্ট, রুটির জন্যে আবশ্যক ঈস্ট ভারতে ছিলনা। গোয়ান বাবুর্চির দল করল কি, তাড়ি ব্যবহার শুরু করল ঈস্টের বদলে। কাজ ভালই হল, তাদের বদৌলতে ভারতে ইয়োরোপীয় রুটি জাঁকিয়ে বসে। তৈরি হল ক্রোয়াসাঁর মত নরম রুটি আর দুধ সহকারে প্রস্তুত মিষ্টি রুটি পাউ-দ্য-লো। এমনকি পরে ভারতে যখন ইংরেজ শাসনামল তখনো পশ্চিম ভারতে সর্বোৎকৃষ্ট রুটি বানাত পর্তুগীজরাই।
১৬৩৮ সালে অ্যালবার্ট ম্যানডেলস্লো নামের তরুণ জার্মান যখন ভারত সফরে ছিলেন, তখন গোয়ার সেন্ট পল কলেজে তিনি পর্তুগীজ কনফেকশনারি খান তিনি। টেবিলে ছিল ফল, রুটি আর মিহি পোর্সেলিনের প্লেটে নানাবিধ মাছমাংসের পদ। খাবারের শেষে ডেজার্ট হিসেবে আসে টার্ট, ফ্লোরেন্টিন, ডিমের কাস্টার্ড, মিষ্টিপান আর মোরব্বা।
বাংলায় পর্তুগীজেরা মগদের এইসব রান্নায় উস্তাদ করে তোলে। বৌদ্ধ মগদের আরব সওদাগরের দল জাহাজে খালাসি আর বাবুর্চিপদে চাকরি দিত অনেক আগে থেকে। হুগলীতে পর্তুগীজ গেড়ে বসার পর তারা আরবদের লাথ মেরে তাড়িয়ে দেয় ঠিকই কিন্তু আরবদের মতই খালাসি বাবুর্চি হিসেবে মগদের রেখে দেয়। দেখতে দেখতে মগেরা বেকিং এ চোস্ত হয়ে ওঠে। ইয়োরোপীয় স্টাইলে পেস্ট্রি আর কেকবিস্কিট বাংলায় সরবরাহ হতে থাকে।
এদিকে গোয়ার বাবুর্চিরা আস্তে আস্তে পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো শুরু করল। গরুর খাঁটি দুধ বা বাদামের দুধের বদলে নারকেল দুধ দেয়া হল, চিনির বদলে চালানো হল গুড়ের ডেলা। মাখমের বদলে ঘি। আটার বদলে চালের গুঁড়া।
পর্তুগীজ খাবার ছিল মাংসভিত্তিক। ভেড়া, শুকর, গরুর মাংস। মুসলিমেরা শুকর ছুঁত না, হিন্দুরা শিউরে উঠত গরুর মাংসের নামে। এছাড়া প্রচুর ভারতীয় ছিল নিরামিষভোজী। এইসবের তোয়াক্কা না করে পর্তুগীজেরা গণহারে মাংস সাঁটাত। এতে তেমন অবাক হবার কিছু না থাকলেও মূল বিস্ময়ের ব্যাপার হল তারা স্থানীয় জনগণের খাবারের অভ্যাস পাল্টে দিতে পেরেছিল অনেকখানি। ১৬৫০ সালে জঁ ব্যাপ্তিস্ত তাভের্নিয়ে দেখে গেছেন সেখানে সাধারণ জনগণ গরু আর শুকরের মাংস খায়। গোয়ার খ্রিস্টান ক্যুইজিনে আজও প্রচুর মাংসের ছড়াছড়ি। ভারতে অন্য কোন ইয়োরোপীয় জাত স্থানীয় লোকের খাবারে এতটা হস্তক্ষেপ করতে পারেনি। পর্তুগীজেরা পেরেছিল দেশের লোককে পাইকারি খ্রিস্টানধর্মে দীক্ষিত করে। উনবিংশ শতাব্দীতে গোয়ার অধিকাংশ লোকে লাইন ধরে রোববারে গীর্জায় যেত, ইয়োরোপীয় জামাজুতা পরত, দাড়ি কামাত আর পর্তুগীজ স্টাইল বাংলোয় থাকত। আর সবচেয়ে বড় কথা, নির্বিচারে গরু শুয়োর খেত।
পর্তুগীজরা গোয়ার লোকদের খালি গরু শুয়োর খেতেই শেখায়নি তা রাঁধতেও শিখিয়েছিল। গোয়ার নামকরা খাবারটির নাম ভিন্দালু, যা কিনা এখন পশ্চিমে অধিকাংশ ভারতীয় রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায়। ইংরেজ ১৭৯৭ সালে পয়লা ভিন্দালু চেখে দেখে, গোয়া দখলের পরে। ইয়োরোপীয় রান্নায় দক্ষ জাতপাতহীন বাবুর্চি ভারতে পেয়ে ইংরেজ হয় আনন্দে আটখানা, পত্রপাঠ এদের কিচেনে লাগানো হয় আর পরে তাদের সাথে নিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এভাবেই লন্ডনে ভিন্দালুর ব্যবসা জমে ওঠে।
ভিন্দালুকে সাধারণত মনে করা হয় ভারতীয় খাবার, কিন্তু আদতে এটা পর্তুগীজ খাবার কার্নে দি ভিনো ই আলুস এর গোয়ান সংস্করণ। কার্নে দি ভিনো ই আলুস মানে হল ওয়াইন ভিনেগার আর রসুন দিয়ে রান্না মাংস। “ভিন্দালু” শব্দটা “ভিনো ই আলুস” এর অপভ্রংশ। অল্প টক মাংসের এই তরকারি ছিল পর্তুগীজদের ব্যাপক পছন্দ। তবে ভারতে এসে পর্তুগীজেরা দেখল সেখানে ভিনেগার তৈরি হয়না, তবে বুদ্ধিমান বাবুর্চিরা তেঁতুল গোলমরিচ মিশিয়ে সেরকম টক সস তৈরি করে ফেলল ঠিকই। কোন কোন ফ্রান্সিস্কান পাদ্রী নাকি এই সমস্যার সমাধান করেছিলেন তাড়ি থেকে ভিনেগার বানিয়ে। তার সাথে তেঁতুল আর ছিল অনেক রসুন। এই সসে তারা আরো দিত গোলমরিচ, দারচিনি আর লবঙ্গ। আর ভিন্দালুর আরেক সুপারস্টার মরিচ। কোন কোন রেসিপিতে ২০টা মরিচ ব্যবহারের কথাও আছে।
গোয়ান ক্যুইজনের মূল উপাদান হিসেবে মাথা চাড়া দেয় মরিচ। সকল মাছ আর নিরামিষের তরকারিতে, সসেজে আর শুয়োরের মাংসে মরিচ দেয়া হত। এভাবে শুরু হয় এক নতুন ফিউশন, পর্তুগীজ উপাদান (শুয়োর) তার সাথে হাল্কা আরব প্রভাব (শুকনো ফল), পর্তুগীজ কায়দা (ভিনেগারে রান্না করা), সাথে দক্ষিণ ভারতীয় মশলা, তেঁতুল, নারকেল কোরা আর নারকেলের দুধ। সাথে মরিচের ঝাল।
ভারতে অনেক কিছুর মতই মরিচ আমদানি করে পর্তুগীজরা। তারা টার্কিও এনেছিল, এই আজব পক্ষীকে দেখে ভারতীয়রা তো অবাক। বাদশা জাহাঙ্গীরের হুকুমে গোয়া থেকে টার্কি নিয়ে যাওয়া হয় রাঁধার জন্য, দরবারে টার্কির ছবিও আঁকেন আঁকিয়ের দল। তবে ইংরেজ আসার আগে টার্কির মাংস জনপ্রিয় হয়নি।
এছাড়া ছিল অজানা ফলের আমদানি। পর্তুগীজরা আমেরিকা থেকে আনে পেঁপে, আতা আর পেয়ারা। আর ছিল প্রবল জনপ্রিয় ফল আনারস। কলম্বাস ১৪৯৩ সালে দ্বিতীয় যাত্রায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে আনারস বগলে নিয়ে আসেন, আর স্প্যানিশরা এর প্রেমে পড়ে যায়। ধারণা করা হয় ১৫৫০ সালের দিকে পর্তুগীজেরা ভারতে আনারস আনে। জাহাঙ্গীর ১৬০৫ এ গদীতে আরামে হেলান দিয়ে যখন বসেন ততদিনে ইয়োরোপীয় কুঠিগুলোয় আনারস ফলে একাকার। এই জাহাঙ্গীর বাদশা ছিলেন বিরাট ফলখোর, টেবিলে নিয়মিত আনারস সাপ্লাই নিশ্চিত করতে তিনি আগ্রায় আনারস আবাদের হুকুম দিলেন।
মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই ভারতে টমেটো আর আলু আনে পর্তুগীজরা, তবে ইংরেজ এগুলো রান্নার কায়দা দেখিয়ে দেওয়ার আগে ভারতে তা তেমন জনপ্রিয় ছিলনা। এর চেয়ে অনেক সফল ছিল কাজুবাদাম, আজও গোয়ায় আর কেরালা উপকূলে কাজুবাদাম হয়। দক্ষিণ ভারতীয়রা সিফুড পুলাউ এ চিংড়ির সাথে এই বাদাম দেয়, সসে বাদাম দেয়, বাদাম গুঁড়া করে পাউডার করে তাই দিয়ে কাজু-কাটলি নামের মিষ্টি বানায়। আর কাজুগাছের ডাঁটা ছেঁচে জুস বের করে তাই দিয়ে “ফেনি” নামক কড়া মদ বানায়। এখনো গোয়ার পাঞ্জিম শহরের ছোট তাড়িখানায় দেখা যায় রেডিওতে ক্রিকেটের ধারাবিবরণী শুনতে শুনতে ফেনি গলায় ঢালছে লোকে।
মরিচ নিঃসন্দেহে ভারতীয় খাবারে পর্তুগীজদের সবচাইতে বড় অবদান। তবু এমনকি সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত মরিচ দক্ষিণ ভারতেই আটকে ছিল। দুই শতাব্দী পার হয়ে গেছে ততদিনে পর্তুগীজদের মরিচ আমদানীর। উত্তর ভারতে মরিচ নিয়ে যায় মারাঠারা। মারাঠাদের নাম ছিল উদ্দাম আর বিপদজনক হিসাবে, মোগল পর্তুগীজ দুয়েরই ঘাম ছুটিয়ে ছেড়েছিল মারাঠা। শেষ মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের দুই চোখের বিষ ছিল মারাঠা, তাদের নেতা শিবাজীকে তিনি তাচ্ছিল্য করে ডাকতেন পাহাড়ের ইঁদুর। দুমদাম ঝটিকা আক্রমণ করে বড় মোগল বাহিনীকে ঠাশ ঠাশ চড় মেরে দ্রুত পাহাড়ে পালিয়ে যেত ছোট ছোট সঙ্ঘবদ্ধ মারাঠা বাহিনী।
এক উত্তর ভারতীয় পন্ডিত লিখে গেছেন যে তার মনে হয় মারাঠারা “শুষ্ক আর মাথাগরম” থাকত কারণ তারা “সবকিছুর মধ্যে মরিচ দিত”। সারাদিন যুদ্ধংদেহী মনোভাবের এই তার কারণ মনে হত। তিনি বলেন, মোগলেরা খেত চাউলের পুলাউ, বাদামের হালুয়া আর মধ্য এশিয়ার শুকনা ফল, তাই তারা নরমসরম। এই কথায় সত্যতা তেমন না থাকলেও একথা ঠিক যে ঘর থেকে দূরে দিনের পর দিন পড়ে থাকা মোগলেরা তাদের রাজসিক খাবার আর আফিম মেয়েমানুষ ইত্যাদি না পেয়ে ভারি মনমরা থাকত।
মারাঠারা পর্তুগীজদেরও ব্যাপক দৌড়ের উপর রেখেছিল। সপ্তদশ শতাব্দীতে মারাঠারা ব্যাপক তাণ্ডব চালায় পর্তুগীজ কুঠিগুলোয়, ১৭৪৯ সাল আসতে আসতে পর্তুগীজের হাতে দিউ, দামান, ভাসেই আর গোয়া এই চারটে কুঠি অবশিষ্ট ছিল। ওলন্দাজ থাপড়ে নিয়ে গেছে কোচিন আর ইংরেজ বাগিয়ে নিয়েছে মশলা বাণিজ্য। ম্যালেরিয়া কলেরায় গোয়ায় মানুষ মারা যাওয়া শুরু করল, আর উনবিংশ শতাব্দী আসতে আসতে শহর জনশূন্যই হয়ে গেল বলা যায়।
আর যে মারাঠার দল পর্তুগীজদের কান ধরে বের করে দেয়ায় বড় ভূমিকা রেখেছিল সেই তারাই উত্তর ভারতে নিয়ে গেল পর্তুগীজ মরিচ। উত্তর ভারতের সেই পন্ডিত লিখে গেছেন, “এই গত দশ বিশ বছর ধরে এইসব লোকেরা যে খালি ঝাড়ে বাড়ছে তাই নয়, এলাকার লোকেদেরও এরা মরিচ খাওয়া শিখিয়ে ছেড়েছে।”
............................................................................................................................
লিজি কলিংহ্যাম রচিত Curry: A Tale of Cooks and Conquerors এর কিছু অংশের ছায়ানুবাদ।
মন্তব্য
খুব ছোটবেলায় আমাদের একটা রান্নার বই ছিল "১০১ রান্না" নামে।
এই বইয়ের ৯৯% রান্নাই আমাদের নজরের বাইরে থেকে গেছে।
কয়েকটা পদের নাম পড়েই আমরা হেসে গড়াগড়ি খেতাম।
একটা নাম মনে আছে- "ভিন্দালু"
লেখায় দিলাম।
"এই বইয়ের ৯৯% রান্নাই আমাদের নজরের বাইরে থেকে গেছে।"
..................................................................
#Banshibir.
একটু দৌড়ের ওপর আছি তাই বেশি কিছু বলতে পারছি না।
১। 'ভাসেই' জায়গাটা কোথায়? ভারতে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা পর্তুগীজ কলোনীগুলো হচ্ছে - গোয়া (কোঙ্কান), দমন (দামিও), দিউ ('দুই' নয়) এবং দুই ছিটমহল দাদরা ও নগর হাভেলী।
২। তেঁতুল আদতে সুদানী মাল। ভারতে কী করে এলো বলা মুশকিল। আরবরা নিয়ে আসতে পারে বা চাঁদ সওদাগরদের পূর্ব পুরুষ কেউ নিয়ে আসতে পারে। এর ইংরেজী নাম ট্যামারিন্ড বা বৈজ্ঞানিক নাম ট্যামারিন্ডাস ইন্ডিকা'র উৎপত্তি আরবী 'তামার হিন্দ' থেকে। তামার মানে খেজুর আর হিন্দ মানে ভারত - ভারতীয় খেজুর। ব্যাটারা সব কিছুকেই খেজুর হিসাবে দেখে কিনা কে জানে! আরব বণিকেরা ভারত থেকে তেঁতুল ইউরোপে চালান দিত।
৩। ফ্লোরেন্টিনটা কী জিনিস? হুগলীতে পর্তুগীজরা কখন ছিল?
৪। পেঁপে (মেক্সিকো থেকে), কাস্টার্ড আপেল (আতা) (এর আমদানী নিয়ে সন্দেহ আছে), পেয়ারা (মেক্সিকো থেকে) ইউরোপে নিয়ে আসে স্পেনিশরা। কলম্বাস আনারস নিয়ে এসেছিলো এই বক্তব্যটা মানতে পারছিনা। আনারস উরুগুয়ে থেকে ইউরোপে গেছে - উত্তর/মধ্য আমেরিকা বা ক্যারিবিয় অঞ্চল থেকে না। উরুগুয়ের নেটিভ চারুয়া আর গুয়ারানি জাতির ভাষায় এই ফলটাকে বলা হতো 'আন্নানাস'। উরুগুয়েতে পর্তুগীজরা স্পেনিশদের আগে যায়নি। তবে ভারতে এটা পর্তুগীজদের আমদানী হতে পারে। অরিজিনাল নামটাও বেশি বিকৃত হয়নি - আন্নানাস > আনারস।
৫। মরিচ আমেরিকা থেকে স্পেনিশরা ফিলিপাইনে নিয়ে গিয়েছিল। ফিলিপাইন থেকে ভারতসহ এশিয়ার অন্যত্র নিয়ে যাবার কৃতিত্ব সম্ভবত চীনা অথবা আরব বণিকদের। বাণিজ্যিকভাবে পর্তুগীজরা ভারতে মাস লেভেলে মরিচ আমদানী ও জনপ্রিয় করে থাকতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দিউ আর আতা ঠিক করে দিলাম। ধন্যবাদ। ভাসেই বা ভাসাই হইল এইটা।
হুগলিতে পর্তুগীজ কুঠি ছিল তো মনে হয়, এইখানে পাইলাম কিছু।
ফ্লোরেন্টিন বিস্কিট টাইপ কিছু মনে হয়, ডেজার্ট এইটা বলা আসে বইয়ে।
"ব্যাটারা সব কিছুকেই খেজুর হিসাবে দেখে কিনা কে জানে!"
..................................................................
#Banshibir.
১। ভাসাই (থানে জেলা) বোঝা গেলো। কিন্তু এখানে পর্তুগীজ কলোনী তো টেকেনি।
২। হুগলীতে পর্তুগীজ কুঠি ছিল কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করিনি, সময়কালটা জানতে চেয়েছিলাম। নিজেই খোঁজ নিতে যা জানলাম সেটা হচ্ছে ১৫৭৯ সালে হুগলী/চুঁচূড়া/চিনসুরা নগরীটার পত্তন করেছিল পর্তুগীজরাই। তার পরের ষাট-সত্তর বছর তারা সেখানে ভালোই ছিল। এরপর পর্তুগীজরা তাদের স্বভাবসুলভ বদমাইয়েশী শুরু করলে বাংলার মুঘল সুবাদার অপদার্থ প্রিন্স শাহ্ সুজা তাদেরকে আচ্ছাসে ডলা দেয়। যারা ধরা পড়েছিল তাদেরকে হাতির নিচে পিষ্ট করেছিল। পর্তুগীজ পুরুতগুলো শাহ্ জাহানের দয়ায় বেঁচে যায় এবং নদীর পূর্ব পাড়ে গির্জা বানানোর অনুমতি পায়। ১৬৫৬ সালে ওলন্দাজরা হুগলী আসার আগে পর্যন্ত সেখানে তেমন কিছু আর ছিল না।
৩। একটা মজার ব্যাপার পেলাম। স্প্যানিশে piña/ ananá/ ananás, পর্তুগীজে abacaxi/ ananas, বৈজ্ঞানিক নাম ananas comosus - অর্থাৎ গণ নামও ananas।
৪। মারাঠীরা পর্তুগীজদের মার দিয়েছিল জলে-স্থলে উভয় জায়গায়ই। তাদেরকে আরো মার দিয়েছিল যামোরিনরা। যামোরিনদের অ্যাডমিরাল/জেনারেল মারাক্কারদের গল্প তো এখনো বাকি আছে। তবে পর্তুগীজদের মার দেয়া নিয়ে আব্বাক্কা রানি'র ওপর একটা পোস্ট দেবার কথা ভাবছি।
৫। 'ফেনি' একটা ওভাররেটেড ড্রিংক। সাধারণত ১৫%-এর বেশি অ্যালকোহল থাকে না। তবে সর্বোচ্চ ৪৫% পর্যন্ত যায় নাকি। বাজারচলতি ফেনি কড়া কিছু না। কাজু আপেল থেকে বানানো হয়, ডাঁটা থেকে না।
৬। ভারতে পর্তুগীজদের একটা গুরুত্বপূর্ণ দান হচ্ছে 'বালতি'। তবে 'বালতি ক্যুইজিন' পর্তুগীজদের আবিষ্কার নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ফিনিশে আনারসকে আনানাস বলে,
facebook
সুজার কাহিনীটা দারুণ। আব্বাক্কা রানি'র পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
মারাক্কার নামিয়ে দিচ্ছি অদূর ভবিষ্যতে
..................................................................
#Banshibir.
যদিও রান্না বান্না আমার পছন্দের বিষয় না। কিন্তু খানাখাদ্যের লেখা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি।
বলাই বাহুল্য, এটাও বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। হুম, কাজুকাটলি খুব মজার কিন্তু খেতে!
খাইনাই কাজুকাটলি, ট্রাই করতে হবে
..................................................................
#Banshibir.
উলস !
..................................................................
#Banshibir.
যথারীতি পাঁচতারা লেখা। গোয়াতে লোকে ক্রিকেট শোনে নাকি? আমার ধারণা গোয়াতে ফুটবল নিয়ে যা মাতামাতি দেশের অন্য কোথাও তার কাছাকাছি নেই।
তবে ভিন্দালু খেতে খুব একটা পছন্দ করি না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমি ভিন্দালু খাইই নাই মনে হয়, রেস্টুরেন্টে দেখসি হয়তো অর্ডার দেই নাই। কোন একদিন গোয়াতে গিয়ে ওদের রান্না ভিন্দালু খায়া দেখতে হবে কেমন।
..................................................................
#Banshibir.
অজ্ঞাতবাস
বুচ্ছি
..................................................................
#Banshibir.
আপামনি তো মেথি দিয়া ভাসায়া দিছেন দেখা যায়----এতো মেথি দিলে একটু তিতা হওয়ার কথা।
দেশী/দেসি রান্না ইউরোপ-আম্রিকার সাদা মামারা একটু "কেমন জানি" কইরা ফালায়, তাই এদের কাছ থেকে দেশী রান্না দেখার সময় একটু সাবধান থাকি। ভিন্দালুর রেসিপি দেখল ইউটিউবে ভাহশেফ-এর একটা আছে, ঐটা আরো ভালো হওয়ার কথা।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
..................................................................
#Banshibir.
ভিন্দালু খাইতে মঞ্চায় !!
লেখায় যাথারীতি পাঁচ তারা
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমারো খাইতে মঞ্চায়। ঝাল ভুনা তরকারির মত কিছু একটা হৈব মনে হৈতেসে।
..................................................................
#Banshibir.
ভাবতেছি একদিন কইষা ভিন্দালু রান্ধুম!!!
আমারে ফুন্দিয়েন।
..................................................................
#Banshibir.
একসময় বাংলাদেশের অনেক মানুষ পর্তুগীজ ভাষায় কথা বলতে পারতো, অনেক মানুষ পেশাগত কারনে পর্তুগীজ শিখতো। বাংলায় ছানাজাত মিষ্টান্ন তৈরীর প্রচলন ঘটিয়েছিল পর্তুগীজেরা, সে হিসেবে বাংলার বিখ্যাত সব ছানাজাত মিষ্টান্নের উদ্ভব ঘটেছে পর্তুগীজদের কল্যানে, পর্তুগীজরা বেশ ভালমানের ময়রা ছিল। মরিচ নিয়ে একটা বিস্ময় আছে, আসামের বিখ্যাত জলোকিয়া মরিচ, নাগাল্যান্ডের নাগা চিলি এবং পূর্ব-ভারতে অনেক জাতের বন্য মরিচের অস্তিত্ব দেখে মনে হয় পর্তুগীজরা নিয়ে আসার আগেও সম্ভবতঃ এদেশে মরিচের অস্তিত্ব ছিল, তবে ভয়াবহ রকমের ঝালের কারনে সভ্যসমাজে এর ব্যাবহার হয়তো ছিল না। তবে নাগাল্যান্ডের আদিবাসীরা এই প্রচন্ড ঝাল মরিচই খাদ্যে ব্যাবহার করেন, কতদিন আগে থেকে কে জানে। সাধারনভাবে আগে ভারতে গোলমরিচের ব্যাবহার প্রচলিত ছিল।
আব্দুল্লাহ এ.এম.
বাংলার অনেক লোক একসময় পর্তুগীজ জানত এইটা আমার কাছে ঠিকই লাগে, বঙ্গোপসাগরের তীরভর্তি গিজগিজ করত পর্তুগীজ। হেরা কিরকম বাংলা জানত সেইটাও মাঝে মাঝে ভাবি
..................................................................
#Banshibir.
খিদা লাইগা গেলো!
পুরানকালের বালিকাদের নিয়ে একটা লেখা দেন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
একবারে রাজবালিকাদের নিয়া পুস্টানোর শখ। জাহাঙ্গীরের হেরেমের তল্লাশে আসি কিছুদিন হৈল।
..................................................................
#Banshibir.
আগেও একবার কইছিলাম মনে হয়, ভিন্দালুর এর সাথে মরিচ আর আলুর সম্পর্ক আবিস্কার করেছেন লন্ডনে কোন এক এলেমদার সিলঠি পাকশি। আদতে এইটা হইল "Carne de Vinha d' Alhos" বা "ওয়াইন আর রসুনে কষানো গোস্ত"।
***
"Huyghen" আসলে Huijghen = হাউখেন।
***
"তৈরি হল ক্রোয়াসাঁর মত নরম রুটি"
দুইটা খটকা। ক্রোয়াসোঁর জন্মই হল উনিশ শতকে প্য়ারিসে। তাহলে হাউখেন ষোল শতকে এর সোয়াদ জানলো কিভাবে? দ্বিতীয়টা- ক্রোয়াসোঁকে ভাল হতে তো মুচমুচে হতে হয় - নেতিয়ে পড়া 'নরম' কিছুকে কি ক্রোয়াসো বলা যায়?
***
পান্ডব দার সাথে সুর মিলিয়ে - ওলন্দাজ আর ফরাসি ভাষায়ও আনারসের নাম আনানাস।
হাউখেন ঠিক করে দিসি, ধন্যবাদ।
ক্রোয়াসাঁর ব্যাপারটা হাউখেন সায়েব না মূল লেখক লিজিম্যাডামের দৃষ্টিভঙ্গি। নরম ক্রোয়াসাঁর বিষয়টা কইতে পারলাম না অবশ্য।
সংযুক্তিঃ
ভাইবা দেখলাম, Soft Croissant এর বাংলা "নরম ক্রোয়াসাঁ" না হয়ে "মোলায়েম ক্রোয়াসাঁ"ও হয়, মনে হয় লেখক ঐ অর্থে লিখসেন। মাখনের মত মোলায়েম টাইপ কিছু। চেঞ্জ করুম কিনা ভাবতেসি।
..................................................................
#Banshibir.
আরেকটা সুডু কারেকশান - van = ফন; ভন হইল গিয়া সুমন/হিমুগো দেশের তেনারা!
যাউগ্গা ফন লিন্সখোতেনরে নিয়া আরেকটু গুতাগুতি করেন। এর জীবনের চুম্বক অংশ কিন্তু গোয়ায় না, গোয়া থেইকা ফিরার পথে।
ও বুচ্ছি। ফন হইলেন আপ্নে আর ভন হইল হিম্ভাই ধুগোদা সুমন ভাই। সহজ সূত্র।
মামুরে নিয়ে গুঁতাই তাইলে।
..................................................................
#Banshibir.
জার্মানেও উচ্চারণ ফন
সবাই ফন হৈলে ভন কেডা? V অক্ষরের কি নিদারুন অপচয়।
..................................................................
#Banshibir.
****************************************
ক্যামনে যে করেন এগিলি!
..................................................................
#Banshibir.
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আপনি এরকম নিষ্ঠুর এর মতন খাওয়া-দাওয়ার পোষ্ট দেন কেন ভাই? কি খিদা লাগে !!!!!
লেখায়
হ ঘ্রানেং অর্ধভোজনং পড়িলে কোয়ার্টার।
..................................................................
#Banshibir.
এত খাবার দাবার , খাইতে মুঞ্ছাই !
লেখা হয়েছে।
..................................................................
#Banshibir.
-আমি এখন অফিসের সবাইরে নাগা মরিচ খাওয়ানো শিখাচ্ছি
আমি ভাবছিলাম ভিন্দালু মানে আলু দিয়া কিছু
লেখায়
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
খাইসে অফিসে নাগা মরিচ! মাইর খায়া হাসপাতাল দৌড়াইতে হইব পরে সাপধান মিয়া!
..................................................................
#Banshibir.
কারো কুনু সমস্যা হয় নাই। সবাই স্বাদ করে খাইছে, আবার কয় বেশি ঝাল না!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
..................................................................
#Banshibir.
লেখায় ।
অমি_বন্যা
অমা লেখায় এত গুলাগুলি কিল্লাই?
..................................................................
#Banshibir.
এইটা একটা বিচার হল? মাত্র অফিস থেকে এসে রান্না বসালাম। এইদিক দিয়ে আপনি দিন দুনিয়ার খানার কথা সব বলে দিলেন।
কেমন যেন ভাপা পিঠার গন্ধ পেলাম! পিঠাও কি তাহলে কেক বিস্কিট থেকে নেওয়া?
এইপর্বটা পড়ে অনেক মজা লাগল। এইসব ইতিহাস জানতে মন চায়। আকবর বাদশার খবর জেনে কি লাভ?
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
সবই জানতে হইব রিক্তা ম্যাডাম, আকবর বাদশা লুকটা ভালো এন্টারটেনার আছিলেন। আমার ফছন্দ। উনি ইস্পিশাল হাত্তির ট্রেনিং দিবার ব্যবস্থা করছিলেন যেগুলার একমাত্র কাম ছিল মানুষের মাথা গুঁড়া করা। আকবর দ্যা গ্রেট।
..................................................................
#Banshibir.
বিকালে মন্তব্য করলাম, এখনো দেখতে পাচ্ছিনা। সেজন্য আবার লিখছি।
ভিন্দালুর রেসিপি লিখে নিলাম, আগামী সচল আড্ডায় রান্না করব।
লেখা সুস্বাদু হয়েছে।
পোস্ট দিলেই পরের আড্ডায় রান্না করবেন এইটা আগে কইবেন তো! পরবর্তী পোস্টগুলার নাম দিতেসি:
"তেহারি"
"রোস্ট"
"জাফরান পুলাউ"
"মটন কোর্মা"
"বেগুনভাজি"
...
..................................................................
#Banshibir.
রান্নার ভয়ে কম্পিত নয় নীলকমলিনীর হৃদয়।
..................................................................
#Banshibir.
,"বেগুনভাজি"-এই রেসিপিটাই মনে হচ্ছে হাতের কাছের।
সেইরাম খানা বেগুনভাজি।
..................................................................
#Banshibir.
জাহঙ্গীর তো দুধ-আফিম আর মাল খাইয়া টং হইয়া থাকতো। ফলখোর ব্যাটা দুধের সাথে আনারসটা কেমনে ম্যানেজ করতো?
(স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)
এগুলি চালু মাল এরা ঠিকই জানে কুন্টা কখন খাইতে হয়।
..................................................................
#Banshibir.
রান্নাবান্না খুব পছন্দের কাজ। রান্নাবান্না বিষয়ক লেখা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি। আর পীর ভাইয়ের সব লেখা পড়তেই হবে তাই এটাও মিস নাই। পড়ে ফেললাম
ভিন্দালু খুব ভাল একটা রান্না। খেতেও অনেক মজা। নামটা খুব হাস্যকর এটা ঠিক। কিন্তু নাম দিয়ে কিছু না খেতে কেমন এটাই ব্যাপার। পর্তুগীজরা মরিচ খাওয়ানো শিখিয়ে খুব ভাল কাজ করেছে। আমি ঝাল খেতে খুব পছন্দ করি। অনেক ঝাল দিয়ে রান্নাও করি তবে মিষ্টি তেমন ভাল লাগে না।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
হ ভিন্দালুর ব্যাপক সুনাম দেখতেছি। গোয়াতে গিয়ে অরিজিনাল রেসিপি ট্রাই দিতে হৈব।
..................................................................
#Banshibir.
খুব ভালো লাগলো লেখাটি।
..................................................................
#Banshibir.
আফনে বড়ই ত্যাক্ত করেন...
হ।
..................................................................
#Banshibir.
ফ্রিজে এখনও কুরবানির মাংস আছে। দেখি ভিন্দালু রান্ধা যায় কি না ! ওয়াইনতো চলবেনা। তার বদলে ভিনেগারতো না কি ?
লেখা পুরটাই ভাল লেগেছে।
হ ভিনেগার দিলেই চলব। ছবি টবি তুইলা একখান রেসিপি ব্লগ দিবেন নাকি?
..................................................................
#Banshibir.
কোনো দেশে যদি মরিচ না পাওয়া যা্য, সেখানে থাকতে পারবো না। অন্য কিছু না হলে স্রেফ মরিচ দিয়ে তরকারি বানিয়ে ভাত বা রুটির সাথে খেয়ে আনন্দে থাকতে পারি।
চিন্তায় পড়ে গেলাম, বাঙালিঘরে জন্মালেও আসলে আমি কি বর্গী ?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমরা কে যে কি সেইটা এক আচ্চইজ্য গঠনা!
..................................................................
#Banshibir.
নতুন মন্তব্য করুন