হুজুর, চায়ে?
চকচকে পাগড়িওলা চাকরের মৃদু ডাকে ধড়মড় করে উঠে বসল চার্লস। চোখ পিটপিট করে দেখল বাইরে কড়া রোদ উঠে গেছে, কত সকাল কে জানে। চাকরের দিকে তাকিয়ে লজ্জিত হাসি হেসে সে বলল, শুক্রিয়া, বহোট শুক্রিয়া।
চার্লস উঠে হাতমুখ ধুতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। সে আলিগড়ে এসেছে মাসখানেক হল, নবাবসায়েব খুবই মাইডিয়ার লোক। তার অনেক আগেই কেটে পড়ার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু নবাব কেবলই থেকে যেতে বলে। আর মনে মনে চার্লসেরও জায়গাটা বেশ পছন্দ হয়েছে, খানাদানা অতি উত্তম। গরম একটু বেশী এই যা, আর রান্নায় মারাত্মক মশলা। তবে স্বাদ মারাত্মক।
চাকর একটু পরে এসে খবর দিল নবাবসায়েব ডেকেছেন। পরিষ্কার জামাচোগা পরে চার্লস দরবারের দিকে রওনা দিল। তার থাকার অতিথিশালা মূল ভবন থেকে একটু দূরে, বাগানের একপাশে। বাগান অসম্ভব সুন্দর, ছবি আঁকার জন্য অত্যুত্তম সিনসিনারিতে ভরা। বাগানের ওইপাশে উঁচু পাঁচিল, তার এইপার ওইপার দুইদিকেই খাদ। পাঁচিলের ওপারে জেনানামহল, নিশ্চুপ ঘেরাটোপে বন্দী নবাব পরিবারের রমণীদের থাকার স্থান।
আহা এই যে এসো এসো। দরবারে ঢুকতেই নবাব তামুকের পাইপ সরিয়ে ডাক দিলেন, রাতে বৃষ্টি হয়েছিল দুফোঁটা দেখেছিলে?
পাশে দাঁড়ানো দোভাষী মুসলেহউদ্দিন ইংরেজীতে বুঝিয়ে বলল নবাবের কথা। চার্লস ভারী উচ্ছসিত হয়ে বলল, হ্যাঁ খুব আরামের বাতাস দিচ্ছিল, আমি বাইরে দাওয়ায় বসে হাওয়া খাচ্ছিলাম। একবারে গোয়ার মত ঝড়ো বাতাস।
দুত্তোর গোয়া, নাক সিঁটকালেন নবাব, সাগরের হাওয়া একবারে বিশ্রী। বাতাস খেতে হয় তো এখানে, এখানকার বাতাস একবারে উত্তর থেকে বয়, যাওনি তো সেথায় বাপু। আমার একটা প্রাসাদ আছে, গরমকালে মাঝে মাঝে গিয়ে থাকি। যাবে নাকি এবার?
নাহ, চার্লস উত্তর দিল, এইবার হবে না নবাবসায়েব। এবার আমাকে সুরাট যেতেই হবে কয়দিনের মধ্যে।
কেন বাপু, কি আছে সুরাটে? খানাখাদ্য মদ মেয়েমানুষ কোন দিকে আলিগড় কম পড়ল শুনি? বসে বসে খাবে আর যত খুশী ছবি আঁকবে, কেমন? একটা ডবকাদেখে মেয়ে বিয়ে করে থেকে যাও, সারাজীবন ব্যাপক আত্তি করে রাখবে। হুঁ হুঁ বাবা, আলিগড়ের মেয়ে তো চেননি।
হেসে চার্লস বলল, আরে না বিয়ে এখন করব না নবাবসায়েব। আরেকটু জীবন উপভোগ করে নেই তারপরে নাহয়...
তাকে মাঝপথে থামিয়ে নবাব উঁচু গলায় বললেন, আরে তুমি তো বেশ পাগলা আছো! মেয়েয়ানুষ ছাড়া আবার জীবন উপভোগ কি? জীবন উপভোগের কথাই তো হচ্ছে। এসব আমি খুব ভাল জানি, আমার উপর ছেড়ে দাও। দেখবে কি চমৎকার বউ ধরে আনি তোমার জন্য। তা তোমার কিরকম বুক পছন্দ বল দিকি? ছোট না বড় বড়?
অস্বস্তিতে চার্লস একটু নড়ে উঠে বলল, ইয়ে নবাবসায়েব বলেছিলেন না আজ কি একটা পরব আছে?
বিশাল শরীর দুলিয়ে হে হে করে হেসে নবাব বললেন, লজ্জা পেয়েছে দেখ। ঠিক আছে। হ্যাঁ পরব তো আছেই। চল আমার সাথে।
দরবারের বাইরে নবাব বেরুতেই বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকে মহা আড়ম্বরে নবাবের জয়ধ্বনি দিতে লাগল। মৃদু হেসে নবাব এগুতে থাকলেন আর তার পেছনের চাকরেরা রূপার টাকা ছড়াতে থাকল। সেই টাকা কুড়াতে কুড়াতে লোকে আরো জোরে হর্ষধ্বনি করতে থাকল। একটু এগিয়ে সামনেই বিরাট পুকুর, তার বাঁধানো ঘাটে নবাবের বসার তাকিয়া পাতা। পেছনে বড় বড় পাখা হাতে চাকর দাঁড়িয়ে, আর ফিনফিনে জামা পরা দুইটি দাসীর হাতে শরবত আর মদের জালা। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে নবাবের পারিষদের দল।নবাব বসে চার্লসকে বললেন তার পাশে বসতে। আরেক পাশে বসল নবাবের দেওয়ান গোলাম হায়দার।
নবাব হাত তুলে ইশারা দিতেই সকলে চুপ করে গেল। তারপর চার্লসের দিকে তাকিয়ে বললেন, বাজির খেলা হবে মেরে দোস্ত। মোরগের লড়াই। লাগবা বাজি?
সতর্ক গলায় চার্লস উত্তর দিল, ইয়ে বাজি তো আমি ধরি না, আর বাজি ধরার মত আমার আছেই বা কি? খালি কয়টা জামাকাপড় আর ছবি আঁকার সরঞ্জাম, এই তো। এমনেই খেলা দেখি।
উঁহু, নবাব মাথা নাড়লেন, মোরগ লড়াইয়ে বাজি না ধরলে আর কি লাভ হল? তোমার পয়সাকড়ি বাজি ধরা লাগবে না। ধর তুমি জিতলে তোমাকে সোনার ফ্রেম বানিয়ে দেব, যতটা খুশী ততটা। আর আমি জিতলে একটা আলিগড়ি টসটসে বউ বিয়ে করে তুমি থেকে যাবে। কি পাক্কা?
চার্লসের ফ্যাকাসে মুখ দেখে ঠা ঠা করে হেসে নবাব বললেন, আরে দেখ মজাক ধরতে পারেনা। মজাক করছি। মজাক। চলো চলো খেলা শুরু হোক।
নবাবের হুকুমে দুই তাগড়া মোরগ নিয়ে দুই পাশে দাঁড়িয়ে গেল দুইজন। একজন বলল হুজুর, আমার এই মোরগ গত ছয় বচ্ছর খেয়েছে বারুদ মিশ্রিত কাশ্মীরী খুদ। একবার ভোর সকালে এর ডাক শুনে এক গরু ভয়ে দড়ি ছিঁড়ে দৌড় দিয়েছিল হুজুর, এর এমনই হিম্মত!
এই শুনে হাসির রোল পড়ে গেল মানুষের মধ্যে, তারই মধ্যে চেঁচিয়ে উঠল অপর মোরগওলা।
হুজুর, আমার মোরগ এসেছে সেই কাবুল থেকে। ছোটবেলা থেকে এ পানির বদলে খেয়েছে আপেলের সুরা, আর তাগত ও হয়েছে সেইরকম। গত মাসে তার পথে পড়েছিল দেখে এক আস্ত হাতিকে খামচে দিতে গিয়েছিল হুজুর!
হা হা হা করে হেসে দিলেন নবাব গল্প শুনে, তাই দেখে পারিষদগণ আরো জোরে হো হো করে হাসতে লাগল। হাসি শেষ হলে তিনি বললেন, ঠিক আছে। শুরু কর লড়াই। দেখি কে জিতে মাতাল না বারুদখোর!
দুই মোরগকে লেলিয়ে দিয়ে মোরগওলারা চেঁচিয়ে উৎসাহ দিতে লাগল। মাতাল মোরগ খালি বাঁয়ে কাটতে চায়, এই দেখে হঠাৎ বারুদখোর মোরগ একবারে তার ঘাড়ে চড়ে ভয়ানক শব্দ করতে থাকল। মাতাল মোরগ ঝট করে তাকে ফেলে ঝুঁটি ফুলিয়ে তেড়ে করল আক্রমণ। লোকের উৎসাহ আর দেখে কে, চিৎকারে কান পাতা দায় হতে থাকল।
চার্লস এই পর্যায়ে চোখ সরিয়ে অন্যদিকে তাকাল। মোরগের মারামারি তার মোটেই পছন্দের নয়, তবে দৃশ্যটি আঁকার জন্য চমৎকার। একবার চিন্তা করে দেখল নবাবকে জিজ্ঞেস করে দেখবে নাকি রংতুলি ইজেল আনবে কিনা, পরক্ষণে মনে হল থাক পাগলা নবাবকে ঘাঁটিয়ে লাভ নাই। স্মৃতি থেকেই আঁকা যাবে নাহয় পরে। ঘাড় ঘুরিয়ে অন্যপাশে তাকাল চার্লস, সেইদিকেই হেরেমের পাঁচিল। পাঁচিলের পশ্চিম পাশে একটা ফাটল আছে, তার ওইপাশে মাঝে মাঝে আলো ঝিকমিক করে। আগেও খেয়াল করেছে সে, এরকম হয় হঠাৎ হঠাৎ। কোন মানুষ কি এসে দাঁড়ায় সেখানে? আলোর ঝিকমিক কি কোন মেয়ের ওড়নার জরি? গলার কন্ঠহার? মাথার টায়রা? কেমন দেখতে সেই মেয়ে?
হঠাৎ জোরে চিৎকারে মোরগের লড়াইয়ে চোখ ফেরাল চার্লস, আর তখনই নজরে আসল স্থির দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছেন নবাব। মুখে হাসি ফুটিয়ে তিনি বললেন, মোরগ লড়াই কেমন জমেছে দেখেছ?
হ্যাঁ হ্যাঁ, তড়িঘড়ি উত্তর দিল চার্লস, দারুণ।
মাতাল মোরগ তখন বারুদখোরকে একবারে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে, বারুদখোর মোরগ ভয়ে দিল দৌড়। লোকে হই হই করে উঠল, আর নবাব মাথা নেড়ে হাসলেন। জয়ী মোরগওলাকে সোনার মোহর দিয়ে বিদেয় করে দেয়া হল, আর মজা দেখতে আসা আম জনগণকেও সরিয়ে দিতে হুকুম করা হল। এখন নবাবের খাবারের সময়। চাকর নফরেরা হুড়োহুড়ি করে দফায় দফায় খাবার আনতে থাকল, আর দ্রুত সেগুলো পরিবেশন করা হল।
ঢেকে রাখা একটি বিশেষ প্লেট চার্লসের সামনে রাখা হল। তাই দেখে নবাব মিটমিট করে হাসতে হাসতে বললেন, তোমার জন্য বিশেষ খাদ্য প্রস্তুত হয়েছে হে। খুলে দেখো দিকি কি খাবার দিয়েছি।
চার্লস পাত্রের ঢাকনি খুলে দেখল পর্তুগীজ কায়দায় করা রুটির ওপর জেলি দেওয়া। সে একটু অবাক হল, জ্যামজেলি দিয়ে এরা আবার দুপুরের খানা কবে থেকে খায়! নবাব বললেন, কি খাবার হ্যাঁ? কি খাবার দিয়েছি?
চার্লস একটু অপ্রস্তুত গলায় বলল, রুটি আর জেলি।
রুটি আর জেলি, তৃপ্ত গলায় বললেন নবাব, ঠিক কথা। রুটি আর জেলি। খেয়ে দেখো দেখি তোমাদের ইংরেজি কেতায় বানানো হয়েছে কিনা?
হাত দিয়ে জেলি দেওয়া রুটিতে কামড় দিয়ে অবাক হয়ে গেল চার্লস, খাবার মুখে দিয়ে তার বড় বড় হয়ে যাওয়া চোখ দেখে ঠা ঠা করে হেসে নবাব বললেন, কি? কেমন রুটি আর জেলি?
কোঁৎ করে গিলে চার্লস অবিশ্বাসের গলায় বলল, এ তো কোর্মা! আর রুটিও তো নানের স্বাদ!
আবারও উচ্চ গলায় হাসতে হাসতে খুশীতে ডগমগ হয়ে নবাব বললেন, কেমন ঠকিয়েছি বল হ্যাঁ? মনে করেছে নবাবের ঘরে রুটি আর জেলি দিয়ে খেতে দিয়েছি হা হা হা হা! রুটি আর জেলি। হা হা হা হা। রুটি আর জেলি।
এরপরে একে একে বাকি খাবার এল, তৃপ্তি নিয়ে খেল সবাই। তারপর দাসীর আনা পাত্রে হাত ধুয়ে নবাব বাকীদের সরে যেতে ইশারা করলেন। রয়ে গেল কেবল দেওয়ান গোলাম হায়দার। নবাব চার্লসকে বললেন, তা তুমি সুরাট যাবেই?
জ্বী, চার্লস উত্তর দিল, সেথায় আমার ভাই রয়েছে। তার সাথে দেখা করে লন্ডন ফিরে যাব।
আচ্ছা আচ্ছা। তবে হয়েছে কি, পথ বেশী সুবিধার না। রাজা প্রচণ্ডকুমার একটা ঝামেলা বাধিয়ে আছে, ওদিক দিয়ে তোমার যাওয়া নিরাপদ না। তোমাকে একটু ঘুরপথে যেতে হবে। সময় একটু বেশী লাগবে, তবে জান বাঁচানো ফরজ কি বল?
আচ্ছা, চিন্তিত গলায় বলল চার্লস, ঠিক আছে।
আরো দুই কথার পরে নবাব বললেন তিনি একটু বিশ্রাম নেবেন, চার্লস সেলাম দিয়ে চলে গেল। তখন নবাবের নির্দেশে আড়াল থেকে বেরিয়ে এল ফাঁসুড়ে মতিলাল। নবাব তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, খেয়েছিস?
আজ্ঞে হুজুর।
কি খেয়েছিস?
পুলাউ, কুর্মা, খাসির কাবাব।
বাহ বেশ। আচ্ছা শোন, ওই যে ফিরিঙ্গি হেঁটে গেল এইমাত্র, দেখেছিস?
জ্বী হুজুর। দূর থেকে দেখছিলাম।
হুঁ, এই লোক সুরাট যাবে কাল পরশু। তুই সাথে যাবি।
আমি?
হ্যাঁ তুই, দাঁত বের করে হেসে উত্তর দিলেন নবাব, আর পথে একে ফাঁস দিয়ে গোর দিবি। কাকপক্ষীও যেন না জানে।
অবিশ্বাসে চোখ ঠিকরে বেরিয়ে এল মতিলালের, ফিরিঙ্গি? ও মা গো, ফিরিঙ্গি মারা কালীমায়ের নিষেধ আছে গো কত্তা। কালীমায়ের অভিশাপ লাগবে যে? ফিরিঙ্গি মারতে পারবো না হুজুর, সে যে বড় পাপ!
মুখ থেকে হাসি মুছে গেল নবাবের। চোয়াল শক্ত করে চিবিয়ে চিবিয়ে তিনি বললেন, তোকে বসায় বসায় কোর্মা খাওয়াচ্ছি হারামজাদা তোর কাছে ধর্ম শিখার জন্য? যেইটা বলব সেইটা করবি। এর সাথে যাবি, ফাঁস নিবি, গোর দিবি। কথা শেষ। একটুও এদিকসেদিক হলে তোর জিনিসটা কেটে ঐটা দিয়ে কোর্মা বানায় খাওয়াব তোর কালীমাকে। পরিষ্কার?
ভয় আর অবিশ্বাসভরা দৃষ্টিতে নবাবের দিকে তাকিয়ে রইল মতিলাল।
(চলবে)
মন্তব্য
পীর ফকির তাও আবার সত্যপীর হয়া যে আপনি গফ লিখেন এ ব্যাপারে হেফুদের বক্তব্য কী ভাই?
হেহেহেহে আমার কৌতুহল হলো। লেখা পরে এসে পড়ে যাবো
হেহেহেহে।
..................................................................
#Banshibir.
আরে এবারে দেখি ভালোরকম জমে উঠেছে ফাঁসুড়ে গল্প। পরের পর্বের জন্য দম ধরে অপেক্ষায় রইলাম।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
পরেরটায় শেষ কৈরা দিমু নো ছিন্তা।
..................................................................
#Banshibir.
মারাত্মক হইছেতে!
পরের পর্ব কাইলকা না দিলে আপনার ফাঁসির দাবি তুলুম
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সবাই খালি ফাঁস নিবার চায়
..................................................................
#Banshibir.
আরেকটু তাড়াতাড়ি র্পবগুলো দেয়া যায় না?
চমৎকার হয়েছে।
---------------
মিলন
ধইন্যবাদ
..................................................................
#Banshibir.
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
খালি পপ্পন!
..................................................................
#Banshibir.
বদলুক ...
কিডা আমি?
..................................................................
#Banshibir.
মারাত্নক! পরের পর্ব ছাড়েন
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বুধ, ০৩/০৭/২০১৩ - ৪:৪৯অপরাহ্ন)
অফিস জিনিসটা বোলগাররা মানেন না দেখি
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
অফিস আর বাথরুম হইল আবজাব চিন্তা করার জন্য ভালু স্থান হে রিক্তা।
..................................................................
#Banshibir.
দুই পর্ব একত্রে মিলায়ে পড়লাম। ব্যাডার মতলব তাইলে এই? টাইমমতন পালিশ করা? যাই হউক... ফাঁসমারা বিদ্যা আমারো শিখা আছে কইল...পরের এপিসোড জল্লি নামান...
মুরগার কাহিনি পইড়া একটা ঘটনা মনে পইরা গেলো। আমার এক বন্ধুর ছোট ভাই আসলি মোরগ ব্রীড করায়। মোটামুটি বিশাল বিজনেস। তার বাসায় একটা মুরগি আছে (জ্বী... মোরগ না, মুরগী!!) যার হবি হইলো বিলাই দেখলেই অ্যাটাক করা, তাও বিলাই ঘাড়ের উপর এক্কেরে আন্ডারটেকার স্টাইলে!!! এখন পর্যন্ত বড় সাইজের দুইটা বিলাই তার হাতে শহীদ হইসে। এই মহিলা মুরগীর ডরে বাসায় চোর পর্যন্ত ঢুকে না!
ভয়ানক মুরগির ছবি দ্যান। 'মুরগি কেন মিউট্যান্ট'-এর লগে মিলায়া দেখি!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
জ্বীনা! আমার এত্তো সাহস নাই। আপনে হাজারীবাগ গিয়া দেইখা আসেন।
একটু ধৈর্য ধরেন, নতুন একটা সিরিয়াল আসতাছেঃ X-HEN !
****************************************
এইটা শেষ করে এইবার একটা ঐতিহাসিক উপন্যাসে হাত দেন!
****************************************
উপন্যাস লেখার মত হাত এখনো পাকেনাই। আপাতত অণুগল্প থেকে গল্পে প্রমোশন পাইছি। পরে দেখা যাবে। এই মুহুর্তে আরো দুই তিনটা গল্পের প্লট আছে, একটু পড়াশোনা করে দেখতে হবে কোনটা গল্পে দাঁড় করার মত ভালো মালমশলা পাওয়া যায়। বহুত সুমায়ের ব্যাপার বুঝলেন মন মাঝি ভাই?
..................................................................
#Banshibir.
ঘ্যাঁচাঙ!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
..................................................................
#Banshibir.
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আগ্রহ নিয়ে পড়ছি, খুবই ভাল লাগছে
আচ্ছা আপনার গল্পটা কি পুরোটাই মৌলিক নাকি ইতিহাস থেকে অনুপ্রাণিত? (দু:খিত আমি তৎকালীন আমলের অনেক ইতিহাসই ঠিক মতন জানিনা)। এই যেমন 'চার্লস' চরিত্রটা কি কাল্পনিক?
৩য় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
চরিত্রগুলা সত্য নয়। চার্লস ডয়লি বলে ইংরেজ আমলা ভারতে ছিলেন বটে যিনি চমৎকার সব ছবি এঁকে গেছেন (ঢাকার ছবিও আছে), কিন্তু এই চার্লস সেই চার্লস নয়। এইটা একটা ভ্যাগাবন্ড।
..................................................................
#Banshibir.
এমন একটু একটু কইরা দিলে আমাগ চলে কেমনে?
- একলহমা
বেশী লিখলে ঘুম আসে
..................................................................
#Banshibir.
দুর্দান্ত হচ্ছে! জলদি পরেরটা ছাড়েন!
নিচ্চয় নিচ্চয়।
..................................................................
#Banshibir.
চার্লস ব্যাটাই কি হিরো নাকি?
কাহিনীর ভেতরে তো মারাত্মক প্যাঁচ আছে মনে হচ্ছে। জলদি পরের পর্ব ছাড়েন কইলাম, নাইলে মতিলালের প্রেতাত্মাকে ডেকে এনে আপনার পেছনে লাগিয়ে দেবো - হি হি
মতিলালের প্রেতাত্মা? ব্যাটা তো এখনো জীবিত
..................................................................
#Banshibir.
হ্যাঁহ!!! মতিলাল হতভাগা এখনো জীবিত থাকে ক্যাম্নে? আপনি কবেকার গল্প করেন গো মশাই?
একবার গল্পে ঢুকলে চারপাশের দুনিয়া ভুইলা যাইতে হয়। মতিলাল আপাতত নবাবের ভয়ে জামায় পিশু করে আকাশপাতাল চিন্তা করতেছে, মরা মাইনসে কি চিন্তা করে প্রোফেসর?
..................................................................
#Banshibir.
এই পর্ব নিজের ব্লগে নিয়ে ৩ নাম্বার পর্বটা আজই ছাড়ুনতো।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হইব হইব। একটা চা খেয়ে আসি
..................................................................
#Banshibir.
কাম সারছে, এই বান্দাও চা খাইতে গেছে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
তিন কো
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
খুঁজতে হইব খাড়ান।
..................................................................
#Banshibir.
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
সত্য নাকি গো কত্তা? ফিরিঙ্গি মারতে কালী মাতার নিষেধের কারন কি?
আব্দুল্লাহ এ এম
ঠগীদের নারী, শিশু, অসুস্থ, অন্ধ, শুদ্র, ব্রাহ্মণ এবং ফিরিঙ্গি মারা নিষেধ। প্রতিটি হত্যাই কালী কে উৎসর্গ করে করা, সেইজন্য এতো বাহাস। ব্রাহ্মণেরা বেশী "বিশুদ্ধ", শুদ্র বেশী "নিচুজাত" সুতরাং সময় নষ্ট, অন্ধ আর অসুস্থ দেবীকে উৎসর্গ করার অযোগ্য, নারী হইল কালীমায়ের আরেক রূপ ইত্যাদি ইত্যাদি।
তবে খেয়াল রাখতে হবে এগুলি রুল অফ থাম্ব। পরে ঠগীদলে প্রচুর মুসলমান ঢুকে পড়ে, আর নিয়মগুলাও কিছু পালন হত কিছু হতনা। তবে ফিরিঙ্গি কেউই মারতনা এইটা ঠিক। স্লিম্যান সাহেব ঠগী দমন করেছিলেন বলে ইংরেজ মহা বাহাদুরির ভাব নিত (আজও নেয়, সার্চ দিলেই দেখবেন সবজায়গায় স্লিম্যানের ঠগীমারা বাহাদুরির গল্প), আসল কথা ঠগীদের কিছু করার উপায় ছিলনা। তাদের ধারণা হত কালীর অভিশাপেই তারা ধরা খেয়েছে, তাই ভ্যাড়ভ্যাড় করে আদালতে সব স্বীকার যেত। ফিরিঙ্গিমারার ব্যারিয়ার না থাকলে স্লিম্যান আর তার চৌদ্দ গুষ্ঠি জঙ্গলে পুঁতে রাখত এই ভয়ংকর খুনে গ্যাং
..................................................................
#Banshibir.
জলদি জলদি দেন নাইলে পীডগিরি কে
বন্দুক নামায় রাখেন
..................................................................
#Banshibir.
এত তাড়াতাড়ি শেষ করে দিলেন কেন এই পর্ব
পরের পর্ব দুই দিনের মধ্যে দিতে হবে। ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলাম।
আমি অংকে কাঁচা ৪৮ পর্যন্ত গুণতে ফারিনা। দিমুনি।
..................................................................
#Banshibir.
ইসস! এতো তাড়াহুড়া বর্ণনা দ্যান ক্যান? এট্টু রসায়া রসায়া যান না!
সিরাম চলতাসে!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
কথা সত্য। আরেকটু ধীরে যাওয়া যেত। গুড ফীডব্যাক, মাথায় থাকল।
..................................................................
#Banshibir.
লাভ হলোনা। ভেবেছিলাম একসাথে দুই পর্ব মানে শেষ করবো একসাথেই। কিন্তু আবারো চলবে!!!
জলদি ছাড়ুন পীরসাহেব।
হ জীবন চলমান
..................................................................
#Banshibir.
নেক্সট?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হইব হইব। আপাতত খাসীর কাবাব খান।
..................................................................
#Banshibir.
সিরিজটা পড়ে আরাম পাচ্ছি। অন্য পাঠকের কথা জানি না, আমার মনোযোগ অন্তত ধরে রাখতে পারছেন। গল্প সবাই বলে, কিন্তু গাঁথুনিটা অনেকেরই পোক্ত হয় না। আপনি পারছেন, স্যালুট।
আর এজন্যই কইতেছি... ধুনফুন বাদ্দিয়া জলদি পরের পর্ব ছাড়েন। (হুমকী)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গত পর্বে কুর্মা আর এই পর্বে খাসীর কাবাব খাওয়াইলাম তারপরেও হুমকি?
এইটা লিখে আমি যত আনন্দ পাচ্ছি লিখা শেষ করে পড়ে তত জুইত পাইনা। আপনাদের ভাল লাগলেই হইল। উইকেন্ডে লিখব পরের পর্ব, একটু ঠান্ডা মাথায় সব জোড়া দিতে হবে। পরের পর্বেই সিরিজ খতম করে দেওয়ার তালে আছি...
..................................................................
#Banshibir.
কুর্মা আর খাসীর কাবাব, কোনোটাই কিন্তু এখনো পেট পর্যন্ত যায় নাই। হুমকীর কী দেখছেন... হরতাল দিমু কি না ভাবতেছি
সমস্যা নাই, আস্তে ধীরে লেখেন। কিন্তু এই ধারাবাহিকতাটা রাইখেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লিচ্চয় বস।
..................................................................
#Banshibir.
তারপর কি হল পীরবাবা?
তারপরে মনে করেন নবাব আসাফউদ্দৌলা হজ্বে গিয়া ভাল হইয়া গেল। দেশের নবাবী ছাইড়া মক্কার গুহায় খেজুর খায়া দিন গুজরান করতে লাগল আর সারা জীবনের পাপের জন্য কানতে কানতে চক্ষের পানি দিয়া মক্কার মাঝখানে বিরাট পুকুরের জন্ম দিল। লবনাক্ত সেই পুকুরের পানি খেয়ে মক্কার লোকে হিন্দুস্তানি নবাবের ভারী প্রশংসা করে ঘুরে ঘুরে গাইতে থাকল, "নুন খাই যার, গুণ গাই তার"...
..................................................................
#Banshibir.
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কল্যাণ মশাই হাজির!
বুখে আয় বাভুল
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হ! হজ্বে গিয়া আমাগো এলাকার সবচাইতে চ্রম খ্রাপ লুকটাও খ্রাপ কাজ ছাইরা ছিল কয়েক মাস (পরে কদু’র গাছে লাউ আবার ঠিকই ধরে!); দেশে ফিরা মসজিদে মসজিদে ফ্যান দিসে, ফ্যানের ভিত্রে লিখা, সৌজন্যে: আলহাজ্ব নিয়ামতউল্লা, গ্রাম: ...
তাড়াতাড়ি পরের পর্ব ছাড়েন; চার্লস’রে ঝুলাইয়া রাইখা মানবতাবাদী লুকের নরম মনে ব্রিটিশের জন্য মানবতা আনয়নের মাধ্যমে ইতিহাসের সাথে রাজনীতি মেশানোর অপচেষ্টা বাঙালী মেনে নিবে না।
ফ্যান ঘুরলে ফ্যানের ভিতরের লেখায় একটা ডিজাইন মত আসে, বেশ একটা আর্টিস্টিক ব্যাপার্স্যাপার
..................................................................
#Banshibir.
হ! বাঙালী চোরের সৌজন্যতাবোধ চুরির টাকায় হজ্বের পরে আসে।
facebook
কাটা হাত কই পাইসেন?
..................................................................
#Banshibir.
লাভিং ইট! নজু ভাইয়ের সাথে একমত।
একটা নবাবি ব্যানার বানায় দেন
..................................................................
#Banshibir.
হাহাহা - বস ভিডিও ব্লগিং শেখাবেন? আসবে নাকি পানিপথ এর মত কিছু ফাঁসুড়ের পর?
অবশ্যই শিখাব। এই কয়টা স্টেপ ফলো করেনঃ
১। রাইফেলস স্কয়ারে গিয়া ক্যামটেজিয়া স্টুডিও সফটওয়্যার কিনেন।
২। বাসায় ফিরত আসেন।
৩। চা খান।
৪। বিস্কুট খান।
৫। কম্পিউটারের সামনে জুইত কইরা বসেন।
৬। এইখানে গিয়া সব শিখ্যা ফেলেন।
৭। আমারে ফাইন্ডার্স ফি বাবদ বিশ টেকা দেন।
শেষ, সব শিখে ফেলসেন।
..................................................................
#Banshibir.
কি লিখলেন পীরসাব! এখন তো চেয়ারে বসেলেই ঘুরে ঘুরে পেছন ফিরে দেখি যে মতিলাল দাঁড়িয়ে আছে কিনা!
লেখা একদম 'কোর্মা' র মত হয়েছে।
পিছন থিকা না বইলা ফাঁস দিবে না, তাদের কিছু নিয়ম আছে। কোডেড ল্যাংগুয়েজে কথা বলে এরা, নিজস্ব ভাষাই আসে একটা। সব কিছুর ডাবল মিনিং। খবর্দার তামুক সাধলে হ্যাঁ কইবেন না, উল্টাদিকে পলাইবেন। তামুক সাধারণ ভাবে ফাঁস দিবার কোড। মনে করেন আপনাকে জিগাবে "তামুক খাবেন?", বা "তামুক এনে দিব?", বা দলের এক ঠগী অপর ঠগীকে বলবে "তামুক লে আও"। তামুক মানেই খতম
..................................................................
#Banshibir.
আজকে থেকে তামুক ছাড়লাম
সাব্বাস। বালের জিনিস তামুক, ছাড়াই উত্তম।
..................................................................
#Banshibir.
খালি খাইতেছেন পপ্পন শেষ হয়না ক্যা?
..................................................................
#Banshibir.
..................................................................
#Banshibir.
..................................................................
#Banshibir.
এর পরে বাসন মাজার একটা ডায়ালগ দিয়ে দিয়েন কোনোভাবে। কথাটা আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং লাগে।
..................................................................
#Banshibir.
পপ্পনে পেটখ্রাপ হয়
..................................................................
#Banshibir.
উফফফ...অসাধারণ !!!
- সিফাত উল কবির
..................................................................
#Banshibir.
পড়তে ভালু লাগছে
সাব্বাস
..................................................................
#Banshibir.
গত মাসে তার
পথে পড়েছিল দেখে এক আস্ত
হাতিকে খামচে দিতে গিয়েছিল হুজুর!!!
র.নাহিয়েন
নতুন মন্তব্য করুন