বাদার বিক্রম - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ১৮/০৮/২০১৩ - ১১:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চাঁদপুরের কাছে মেঘনা নদীর বুকে কোন এক স্থান। ভোররাত, ১৬৪৫ সাল।

নৌকার দুলুনি ছাপিয়েও পাটাতনের নিচে বসা বিক্রম টের পেল পাশের কিশোর ছেলেটি থরথর করে কাঁপছে। শিকলবাঁধা হাত নাড়ানো বেশ শক্ত তাই কনুই দিয়ে সে একটু ঠেলা দিয়ে বলল, এই কি হইসে?

হেঁচকি তুলে কাঁদতে কাঁদতে ছেলেটি বলল, কানাই বলছে বেচার আগে আমাগো সবাইর নাকি বিচি কাইটা দিব? সত্য দাদা?

সে উত্তর না দিয়ে চুপ করে আছে দেখে ছেলেটি আরো জোরে কেঁদে উঠে বলল ও মা গো আমি ব্যথা পামু আমারে ছাইড়া দেও আমারে মাপ কইরা দেও।

চিৎকারে বিরক্ত হয়ে বিক্রম বলল চুপ ছেমড়া। বাঁচোস কিনা আগে দেখ। নৌকা কিরম দুলতেছে দেখছস? ঝড় আইছে। নৌকা উল্টায় ডুইবা মরলে বিচি তর কোন কামে আইব?

নৌকার উপরে পর্তুগীজ কাপ্তেন পেদ্রো দূর থেকে এগিয়ে আসতে থাকা বিশাল ঢেউ দেখে ঢোঁক গিলল কয়বার। এইরকম দুর্দান্ত ঝড়ে এই নৌকা টিকবে বোধ হয় না। সুন্দরবনে দাসগুলিকে ধরে নিয়ে ফিরত আসার সময় রায়মঙ্গল নদীর চড়ায় লেগে নৌকার তলায় চোট লেগে আছে এমনিতেই, সন্দ্বীপে সারাই করে আসা উচিৎ ছিল। তবে এরকম মালভর্তি জাহাজ নিয়ে হুটহাট থামাও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

প্রচণ্ড বাতাস আর ঢেউয়ের ঠেলায় আচমকা নৌকা ফট করে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ঘুরতে আরম্ভ করল মাঝ দরিয়ায়। কোন এক দানবীয় হাত যেন এসে নৌকা নিয়ে খেলতে লাগল, উপরে আফোন্সো আর আর্থার টাল সামলাতে না পেরে ঝুপ করে পড়ে হারিয়ে গেল কোথায়! পাটাতনের নিচে জনা ত্রিশেক শেকলবাঁধা বন্দীর কান্না আর কাপ্তেন পেদ্রোর ভয়ার্ত চিৎকার গিলে খেয়ে নিতে থাকল মেঘনা নদীর প্রলয়ঙ্করী ঝড়।

তাণ্ডব যখন থেমে গেছে তখন সকাল। লালদিঘীর জমিদারের কাছে পাইক আব্দুল ছুটে এসে খবর দিল যে নদীর কিনারে আধাভাঙা জাহাজ পড়ে আছে আর ভেতরে শিকলবাঁধা একগুষ্টি দাস। জমিদার আদিত্যনারায়ণের চোখ চকচক করে উঠল সেই খবরে, এই বছর ফলন কম হওয়ায় খাজনা ঠিকমত দিতে পারেননি তিনি। শিকদার এসে দিন দুই আগে চোটপাট করে গেছে যে বাকি টাকা সপ্তাখানেকের মধ্যে না দিলে কন্যা বিন্দুকে তুলে নিয়ে যাবে সে। মহা যন্ত্রণা। বিন্দুর জায়গায় ইন্দু হলেও কথা ছিল, ইন্দুর মাথা নষ্ট তাই তার বিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মোগল তুলে নিলে একরকম বেঁচেই যান তিনি। কিন্তু বিন্দুকে বিলিয়ে দিতে তার ঘোর আপত্তি।

এই দাসগুলি তার খাজনা বিন্দু ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে সহজেই। তিরিশটা দাসের দাম কম নয়, শিকদার নিশ্চয়ই খুশি হবে। সে পাইক আব্দুলকে বলল সকলকে যেন নিয়ে ঠিকমত নিয়ে বেঁধে রাখা হয় আর দানাপানি দেওয়া হয় ঠিকমত। দাস মরলে চলবে না। দুইটা নাকি আবার ফিরিঙ্গি ধরা পড়েছে। খুশিতে জমিদারের দাঁত বেরিয়ে পড়ে, শিকদার মহা খুশি হবে। বিন্দুটা বেঁচেই গেল।

দুপুরের কড়া রোদ চোখে লেগে ঘুম ভেঙে উঠে পড়ে বন্দী দাস বিক্রম হাজরা। একটু সময় লাগে তার ঠাহর করে উঠতে, সে কোথায় এবং কেন। অথবা কিভাবে। মনে পড়ছে হার্মাদের দল তাদের আস্ত গ্রামের লোক বেঁধেধরে নিয়ে নৌকার পাটাতনে ঢোকায়, তারপর নৌকা ঝড়ের কবলে পড়ে আর মাথায় কিছু একটা ভারি জিনিসের বাড়ি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সে। আর কিছু মনে নেই। কিন্তু সেই ফিরিঙ্গি তাদের সাথেই বাঁধা কেন? নতুন কেউ ফিরিঙ্গিসুদ্ধা তাদের আবার আটক করেছে বলেই মালুম হচ্ছে। হে হে। ভালো হয়েছে। ফিরিঙ্গি হারামির বিচিও এইবার কাটা যাবে।

নে খেয়ে নে, পেয়াদা এসে বিক্রমের সামনে একথালা ভাত দিয়ে বলল। বিক্রম দেখল গরম সাদা ভাত, নুন আর পেঁয়াজ। ঝাঁপিয়ে পড়ে গপগপ করে খেতে আরম্ভ করল সে, নৌকায় দানাপানি জুটেছে অল্পই। আর পাটাতন জুড়ে পেশাবের এমন বদ গন্ধ ছিল যে কিছু খেতে গেলেই নাড়ি উল্টে বমি আসত। কত হাজার বছরের খিদে যেন জমে আছে পেটে, খেতে খেতে মনে হল।

পরদিন শিকদার এলে পরে তাদের সকলকে এক কাতারে দাঁড় করানো হল। শিকদার খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সকলের দাঁত হাতের পায়ের পেশি পরীক্ষা করলেন। তারপরে একটু পিছিয়ে পেশীবহুল তরুণ বিক্রম হাজরার দিকে তর্জনি তুলে জমিদার আদিত্যনারায়নের উদ্দেশ্যে বললেন, এই লম্বুকে আমার সাথে এখন নিয়ে যাব। একে আমার বিশেষ দরকার। বাকিগুলিকে নৌকায় ঢাকায় পাঠিয়ে দেও জলদি জলদি।

তাই করা হল। বিক্রমকে শিকদার মুহাইমেনের বহরের এক মালবাহী গরুর গাড়ির পেছনে বাঁধা হল, সে হেঁটে হেঁটে চলল বহরের সাথে।

….............................................................................................

মাসখানেক পরের কথা। বিক্রম সকাল সকাল নিজেকে আবিষ্কার করল একটি ছোট কুঠরিতে, উপরে একটা ফুটো। তাই দিয়ে অল্প আলো আসছে, আর শোনা যাচ্ছে অনেক লোকের গলা। কি ব্যাপার, হাট বসেছে নাকি?

ফট করে দরজা খুলে গেল। দুই পেয়াদা এসে কৌতুকের স্বরে শেকল খুলতে খুলতে বলল, চল আইজ তোর খেলা।

খেলা?

চাপা হাসি হাসতে হাসতে পেয়াদা বলল, অবশ্যই খেলা। তোর খেলা দেখতে কত লোকে ভিড় জমায় আইছে। স্বয়ং হুজুরে আলা সুবাদার আর নায়েবে নাজিম তোর খেলা দেখতে আইছেন।

হুজুরে আলা সুবাদার আর নায়েবে নাজিম কে?

দেখবি দেখবি। আয়।

বিক্রম দেখল তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এক বিশাল মাঠে, তার চারপাশে কত যে মানুষ। তাকে দেখে সকলে হইহই করে উঠল। একপাশে তাঁবু ফেলা, সেখানে বসে কিছু রইস আদমী। আরেকদিকে একটা বড় পাথরের ঘর, তার দরজা বন্ধ।

ভয়ে বিক্রমের বুক ধড়াক ধড়াক করতে থাকল, কি ব্যাপার। কি হচ্ছে? কিসের খেলা?

মাঠের কোণায় গিয়ে তার হাতের শিকল খুলে দেয়া হল। আর প্রায় সাথে সাথেই উল্টোদিকের পাথরের ঘরের দরজা খুলে গেল। বিক্রম আতঙ্কিত হয়ে দেখল সেদিক দিয়ে বেরিয়ে আসছে একটি শেকলবাঁধা বাঘ। শেকল পেছনে বেঁধে রাখা, সেই বাঘ বিক্রমের অত্যন্ত কাছে এসে বিকট গর্জন করে উঠল।

এক পেয়াদা বিক্রমের কাছে এসে দাঁড়াল আর উত্তেজিত জনতাকে হাত তুলে শান্ত হবার ইশারা করল। তারপরে সে চিৎকার করে বলল, সুবাদার শাহবাজ খাঁ ফতে ই জং দিলদার আদমি, তিনি চান তুই এই বাঘের সাথে যুদ্ধ করে দেখিয়ে দে তোর কেমন বুকের পাটা। এই নে তালওয়ার, বাঘের জান কবজ কর আজকে যা!

এই বলে তার দিকে একটা কাঠের তলোয়ার আর কাঠের ঢাল ছুঁড়ে দিয়ে পেয়াদা সরে পড়ল। সমবেত জনতা বিক্রমের বোকা বনে যাওয়া চেহারা দেখে সে কি হাসি, তারা সিটি বাজিয়ে হইহুল্লোড় করা আরম্ভ করে দিল। তাঁবুর ভেতর নাজিম শাহবাজ খাঁর মুখেও দেখা গেল স্মিত হাসি।

মাথা ঠাণ্ডা করে বিক্রম ভাবল এক মুহুর্ত। তারপর কুড়িয়ে নিল কাঠের ঢাল তলোয়ার, চোখের কানা দিয়ে সে দেখতে পেল বাঘটা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাঘ এগিয়ে আসছে তার দিকেই। দ্রুত। দুই হাঁটুর মাঝে ঢালটাকে লম্বা করে রেখে সে দুই হাতে তলোয়ার ধরে মাঝ বরাবর দিল বাড়ি। ভেঙে দুই টুকরা হয়ে গেল তলোয়ার।

জনতা এক মুহুর্ত থমকে গেল, তারপরে দ্বিগুণ জোরে হেসে লুটোপুটি খেতে থাকল বুদ্ধু বিক্রমের কাণ্ড দেখে। তলোয়ার একটা পেয়েছে তাও আবার কাঠের, গাধাটা সেইটাই ভেঙে টুকরা করল। পাগলের বাচ্চা। নিশ্চিত মরবে এখন, তারা ভাবল। তাই নিজের চোখকেও কেউ বিশ্বাস করতে পারলনা সাথে সাথেই যা ঘটল তা দেখে, হঠাৎই শিউরে উঠার আওয়াজ করল সকলে। আর বাঘের গগনবিদারী আর্তনাদ শোনা গেল।

শাহবাজ খাঁ তরমুজের টুকরা মুখে দিয়ে একটু অন্যদিকে তাকিয়েছিলেন, এত সোরগোলে ধড়মড় করে উঠে নায়েবে নাজিম জাহাঙ্গীর বখৎ কে জিজ্ঞেস করলেন, কি হল?

নিচু গলায় জাহাঙ্গীর বখৎ উত্তর দিল, কাঠের তক্তা ভেঙে বাঘের দুই চক্ষে ঢুকায় দিয়েছে হুজুর, বাঘ কানা করে দিয়েছে পুরা।

চোখ কপালে তুলে শাহবাজ বললেন, বল কি? এ তো মারাত্মক বাহাদুর, কে এইটা? একে কোত্থেকে ধরে আনা হয়েছে?

তারপর পাশে দাঁড়ানো শিকদার মুহাইমেন শাহকে বললেন, এই একে আসল তলোয়ার দাও। বাঘকে খতম করুক। তারপর শেরমারা বাহাদুরকে নিয়ে আসো এইখানে, তার সাথে কথা বলব আমি।

তাই করা হল। বিক্রম তার দিকে ছুঁড়ে মারা তলোয়ার হুমড়ি খেয়ে কুড়িয়ে তুলে সাবধানে অন্ধ এবং বিপদজনক বাঘটির কাছে গিয়ে গলা দিয়ে ঢুকিয়ে দিল সর্বশক্তি দিয়ে। বিক্রমের বাম হাতে বাঘটি ভয়ঙ্কর গভীর আঁচড় বসিয়ে দিল, আর তারপরে প্রচণ্ড রক্তপাতে নেতিয়ে পড়ল আস্তে আস্তে। জনতা প্রবল শব্দ আর হাততালি দিতে থাকল, আর নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে অসম্ভব হাঁপাতে লাগল বিক্রম। তার হাত পাকড়ে ধরে তাঁবুর কাছে নিয়ে গেল রাজপেয়াদা।

সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন শাহবাজ, তিনি বললেন সাবাস বাহাদুর। বেড়ে খেল দেখিয়েছিস। কি নাম তোর?

বিক্রম।

বিক্রম। অবশ্যই বিক্রম। শেরমারা বিক্রম। তা বিক্রম বাহাদুর, তুই এতো সাহস কোত্থেকে পেলি বল দেখি?

ফ্যাকাশে হেসে বিক্রম বলল, আমি বাদা এলাকার লোক হুজুর। খালি হাতে বাঘ মুকাবিলা করা আমার বাপ ঠাকুদ্দার কাছে নূতন নয়।

আস্তে আস্তে দুইবার হাততালি দিয়ে উঠলেন শাহবাজ, সাব্বাস বাদার বিক্রম। সাব্বাস। এই মুহাইমেন, বাদার বাহাদুরকে আমার খাস তাঁবুর পিছনে নিয়ে ভালোমন্দ খেতে দাও আর ওর ক্ষতে মলম লাগিয়ে দেবার ব্যবস্থা কর। এর সাথে আমার কথা বার্তা বাকি আছে। কিছুদিন এক নম্বুরি খানা আর পিনা দিয়ে একে তাজা করে তোল।

অবশ্যই হুজুর।

আর ইয়ে, একে খাসি করা হয়ে গেছে নাকি?

কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিকদার বাম হাত দিয়ে বিক্রমের অণ্ডকোষ চেপে ধরল। চমকে উঠল বিক্রম। ঝট করে অণ্ডকোষ আবার ছেড়ে দিয়ে শিকদার বলল, না হুজুর। সব ঠিক আছে।

বেশ বেশ, তৃপ্ত হাসি হেসে শাহবাজ বললেন, নওশাদ বানুকে খবর দিয়ে আনো। বিক্রমের খেদমত করুক। সে অতি চমৎকার খেদমতগার।

এই বলে ভারি দুষ্টু স্বরে চোখ টিপে ফিসফিসিয়ে শাহবাজ বিক্রমকে বললেন, নওশাদ বানুর জিহ্বার কাজ ভুবনবিখ্যাত!

চোখ নামিয়ে লুকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল বিক্রম।

(চলবে)

পাদটীকা

  • ১. শিকদারঃ খাজনা আদায়কারী মোগল অফিসার

মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

দ্বিতীয় পর্ব পড়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি.... নওশাদ বানু আর বিক্রম দাদার খেল জমবে বলে ধারণা করছি....

......জিপসি

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা অন্যরকম গল্প । ভাল লাগবে বাকিটা পরতে ।

সত্যপীর এর ছবি

ধন্যবাদ।

..................................................................
#Banshibir.

সত্যপীর এর ছবি

নওশাদ বানু আর বিক্রম দাদার খেল

দুষ্টলুক কুথাকার খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

রাত-প্রহরী এর ছবি

পীর ভাই, নতুন তাজা গল্প। খুব ভালো স্বাদ।
অনেক দূর যাবে নিশ্চয়ই এই সু-স্বাদের ব্যঞ্জন।
অপেক্ষায় রইলাম।
পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

--------------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

সত্যপীর এর ছবি

লিচ্চয় লিচ্চয়।

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

স্পার্টাকাসের আইডিয়া কি মেঘনাপাড় থিক্যা রপ্তানী হইল? চিন্তিত
পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

মেঘনাপাড় ফেলনা মনে করসেন?

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুউউরো!!!! এমন যায়গায় কেউ শেষ করে ?!!!! রেগে টং তাত্তারি নেক্সট ছাড়েন .... পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

--------------------
সুবোধ অবোধ

সত্যপীর এর ছবি

একটু চা খাইয়া আসি।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

জিহ্বার কাজ দেঁতো হাসি

বাহ বাহ, চলুক চলুক ( হাঙ্গেরি থেকে যে আপনি কুন দুঃখে কানাডা গেছেন সেই দুঃখে ২ গ্লাস সাস্থ্য পান করেছি আপনার জন্য হে মহান পীর )

নিরীহ মানুষ এর ছবি

২ গ্লাস সাস্থ্য চিন্তিত

সত্যপীর এর ছবি

আমার দুঃখে ২ গ্লাস টানছেন না এমনেই টানছেন হাছা কৈরা কন।

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আরে জব্বর। অপেক্ষায় আছি।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সত্যপীর এর ছবি

অপেক্ষায় নাজির?

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

পরেরটা আসবে কবে?

র.নাহিয়েন

সত্যপীর এর ছবি

একটু দেরি হবে। খসড়া শেষ হয়নি, আর সময়ের কিছু টানাটানি। দিয়ে দেব হয়ে গেলেই।

..................................................................
#Banshibir.

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বাহ এবার বিক্রম কাহিনী! প্রথম পর্বই জমে গেছে, এবার পরের পর্ব ছাড়েন জলদি।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সত্যপীর এর ছবি

হইব হইব।

..................................................................
#Banshibir.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দাস সংগ্রহ করা হতো প্রধানত বৃহত্তর সিলেট, কুমিল্লা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ও ময়মনসিংহ থেকে। সেক্ষেত্রে চাঁদপুরের কাছে দাসবাহী নৌকা থাকতে পারে। কিন্তু পর্তুগীজ দাস ব্যবসায়ীরা কী অত ভেতর পর্যন্ত ম্যানহান্টিং-এ যেতো? সন্দেহ হয়। ভেতর বাগে ম্যানহাণতিং করার জন্য দেশী দাস ব্যবসায়ীরাই তো ছিল!

ঐ সময়ে পদ্মা আর মেঘনার স্রোতধারা ভিন্ন ছিলো না? তাহলে বাদা এলাকার বিক্রমকে কোথা থেকে ধরে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এনেছিল?

রোমান কায়দায় গ্লাডিয়েটর-এর খেলা কি এদেশে প্রচলিত ছিল? বিশেষ করে বিক্রমকে যেখানে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। বাংলায় তখন শাহ্‌জাদা সুজা'র দেওয়ানী চলছে। ঢাকার শাসক তখন কে ছিল যে গ্লাডিয়েটরের খেলা চালাতো?

ধৃত দাসদের লিঙ্গচ্ছেদ করা হতো, অণ্ডকোষ নয়।

জানি গল্পে অনেক প্রশ্নই করা যায় না। তবু ঐতিহাসিক গল্পে এমন প্রশ্নগুলো না করে পারলাম না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

আইলসা  এর ছবি

গল্পটা চমৎকার লাগছে কিন্তু তার থিকা অধিক চমকৃ‌ত হইছি, আপনার জানার বহর দেইখ্যা...
দুইজনরেই ধইন্যা।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ধৃত দাসদের লিঙ্গচ্ছেদ করা হতো, অণ্ডকোষ নয়।

এইটা কী বলেন পাণ্ডব দা?
ইস্টাট দেয়া ইঞ্জিন থুইয়া চাক্কা খুললে মেশিনে তো পরেও গোঁ গোঁ করার কথা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গোঁ গোঁ তো করতোই। এই জন্য কতো কাণ্ড, কতো কেলেঙ্কারী যে হইসে তার ইয়ত্ত্বা নাই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

পাণ্ডবদা,
পর্তুগীজরা দাস ধরতো নৌপথ, প্রধানতঃ সমুদ্র সংলগ্ন নৌপথের আশেপাশের গ্রামগুলোতে। তবে তারা নদীর মোহনা উজিয়ে বহু ভেতরেও চলে আসতো কখনো কখনো, ঢাকা পাবনা অবধি। এখনকার সুন্দরবন অঞ্চলে তখন তাদের পদচারনা খুব ফ্রিকোয়েন্ট ছিল। উড়িষ্যার উপকূল থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সকল অঞ্চলেই তারা ম্যানহানটিং করতো, তবে এর তীব্রতা খুলনা থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে বেশী ছিল। সে হিসাবে বাদা বনের অঞ্চল থেকে ম্যানহানটিং মোটামুটি স্বভাবিকই বলা যায়।
আর খুলনা অঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম আসার জন্য নৌপথের বহুল ব্যবহার তখন ছিল, জেমস রেনেলের লেখায় সে নৌরুটের বিবরন আছে। তখন পদ্মা ও মেঘনা-ব্রহ্মপুত্র আলাদা ভাবে প্রবাহিত হলেও এ দুটি নদীর সংযোগকারী বেশ কয়েকটি শাখা নদী ছিল।

আব্দুল্লাহ এ এম

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আব্দুল্লাহ এ এম, আপনার তথ্য সঠিক। আমিও তাই জানতাম। পর্তুগীজরা পদ্মা থেকে শাখা নদী দিয়ে মেঘনায় যে যেতো না তা নয়। তবে খুব বেশি উত্তরে তারা যেতে পারতো না। ইন ফ্যাক্ট ভারতের কোথাও পর্তুগীজরা মেইনল্যান্ডের বেশি ভেতরে যেতে পারেনি। একই কথা আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকাতেও সত্য। আফ্রিকাতে মাঝখানে মরুভূমি আর দক্ষিণ আমেরিকাতে মাঝখানে আন্দিজ আর আমাজন না থাকলে উলটা দিক থেকে অন্য ইউরোপীয়রা এসে পর্তুগীজদের হঠিয়ে দিতো মনে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সত্যপীর এর ছবি

মূল খসড়ায় ছিল কাপ্তেন পেদ্রো বাদা থেকে শিকার ধরে যশোর বা হুগলীর দাসবাজারে যাবার বদলে রিডাইরেক্ট করে নারায়নগঞ্জের কাছে ফিরিঙ্গিবাজারের দিকে। শিকারে নয় অন্য কারণে। এই নিয়ে কাপ্তেনের সাথে বাকি হার্মাদের গেঞ্জাম নিয়েও একটা অংশ ছিল কেটে বাদ দিয়েছি পরে ঐটা মূল গল্পের সাথে পুরোপুরি না যাওয়াতে। বড়গল্প বা উপন্যাস হলে রেখে দিতাম, গল্পে এত ডালপালা ছড়ালে অস্থির লাগে ইয়ে, মানে...

মেঘনা চাঁদপুর রায়মঙ্গল নদী লালদিঘী ইত্যাদি নাম আমি চেক করে নিয়েছি মূলতঃ ১৭৭৬ এর রেনেলের ম্যাপ থেকে। বেশী এদিকসেদিক হবার কথা নয়, ঢাকা বা ফিরিঙ্গিবাজার যাবার পথ ওদিক দিয়েও হয়।

গ্ল্যাডিয়েটর এর খেলা হয়তো ছিল না, আমি পড়ি নাই। তবে বাঘে বাঘে লড়াই তো হতই নবাব সুলতান রাজা মহারাজাদের মনোরঞ্জনের জন্য। সেইখানে কোন এক অসুস্থ সুবাদার বাঘের সাথে কাঠের তলোয়ার হাতে মানুষ খাড়া করিয়ে দিবেন এইটা খুব বেশী কষ্টকল্পনা নয়।

সম্ভবত ফ্রাসোঁয়া পিরার্দের লেখায় আমি পড়েছি তিনি দেখে গেছেন বাংলার দাসেদের লিঙ্গ অণ্ডকোষ দুইই কেটে ফেলে দেয়া হত, খালি পেশাবের জন্য থাকত একটা ছোট ফুটো।

অবশ্যই প্রশ্ন করবেন। আপনাদের প্রশ্নের অপেক্ষাতেই বসে থাকি।

..................................................................
#Banshibir.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ঐ অংশটার একটা এডিটেড ভার্সান মনে হয় শুরুতে থাকা দরকার আছে। নয়তো বাদার বিক্রমের চাঁদপুর যাওয়াটা অথেনটিক হয় না।

লিঙ্গ ও অণ্ডকোষ উভয়ই ছেদ করার কথা সঠিক। ওটাই বেশি করা হতো। যেন কোন রিস্ক না থাকে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নিরীহ মানুষ এর ছবি

ডুইবা মরলে বিচি কোন কামে আসে না দেঁতো হাসি

সত্যপীর এর ছবি

জীবনের বহু সত্যের এক সত্য কথা।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন জমজমাট গল্প! চলুক
১। দুটি টেকনিক্যাল বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করছি- পর্তুগীজরা তো এ জাতীয় বন্দীদের লোহার শিকলে নয়, সাধারনতঃ হাতের তালু ফুটো করে লম্বা বেঁতের শলা দিয়ে এক সাথে কয়েকজনকে বাঁধতো। বর্ননাটা সেভাবে হলে আরো হৃদয়গ্রাহী হতে পারতো।
২। সহবন্দী কিশোর কানাই এর সাথে বিক্রমের কথপোকথনটা ঢাকাইয়া ভাষায় না হয়ে খুলনার ভাষায় হলে আরো ভাল হতো- যেমন "আমাগো সবাইর নাকি বিচি কাইটা দিব" এর বদলে "আমাদের সব্বার নাকি বিচি কেইটে দেবানে"। প্রসংগতঃ আবুল ফজলের আইন ই আকবরী অনুযায়ী আপনাদের সিলেট অঞ্চল কিন্তু খোজা বালক সরবরাহের জন্য বিখ্যাত ছিল।

নওশাদ বানুর খেদমতের প্রস্তাবে বিক্রমের দীর্ঘশ্বাসের ঘটনায় মনে হচ্ছে অন্য কারও কথা মনে পড়েছে বিক্রমের, কে সে? সে কি বিক্রমের বৌ কিংবা প্রেয়সী? সেও নিশ্চয়ই বন্দীনী হয়ে অন্য নৌকায় উল্টো দিকে পিপলী বন্দরের দিকে চালান হয়ে গেছে? জমজমাট কাহিনীর গন্ধ পাচ্ছি।

আব্দুল্লাহ এ এম

সত্যপীর এর ছবি

১। বিক্রমের অক্ষত হাতের তালু আমার প্রয়োজন। সে এই পর্বে খালি হাতে বাঘ কানা করে দিয়েছে, ভবিষ্যতেও কিসব করবে। হাতের তালু ফুটা থাকলে ব্যাপারটা রজনীকান্ত মার্কা সুপারহিরো ব্যাপার হয়ে যাবে খাইছে

তবে অত্যন্ত ভ্যালিড পয়েন্ট। তালু ফুটা করার উল্লেখ থাকলে বাস্তবসম্মত হত হয়ত। মনে করেন আমি কলমের এক খোঁচায় হাতের তালু আর অণ্ড দুইই বাঁচিয়ে দিলাম হাহাহাহা।

২। আমার গল্পের লোকজন সাধারণত বাংলাদেশ বা ভারতের বিভিন্ন জায়গার নেটিভ, তাদের সকলের ভাষা/ডাইলেক্ট আমার জানা নাই এবং তা গবেষণা করে ঢোকানোও সময়ে পোষাবে না। যথাসম্ভব চেষ্টা থাকে এগুলো বজায় রাখার, কিন্তু একটা পর্যায়ের পর কিছু কম্প্রোমাইজ তো করতেই হয় হাসি

সিলেট ও বৃহত্তর হাওর অঞ্চলের লোক অন্য গল্পে আসবে। খোজা বালক সেখানে থাকতেও পারে।

আপনার শেষ প্যারার প্রশ্নগুলোর উত্তর ক্লাসিফাইড চোখ টিপি

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

এক কাজ করা যাক। ধরা যাক ঢাকার কিশোর মাসীর বাড়ি খুলনার কোথাও বেড়াতে গিয়ে পেদ্রোদের হাতে ধরা পড়েছে। পীরবাবা অত খোলসা করে বলেননি। আমরা ধরে নিলাম।
- একলহমা

অতিথি লেখক এর ছবি

চিন্তিত ও!

আব্দুল্লাহ এ এম

কাজি মামুন এর ছবি

বর্ননাটা সেভাবে হলে আরো হৃদয়গ্রাহী হতে পারতো।

'হৃদয়গ্রাহী হতে পারতো' মানে? ঠিক বুঝলাম না! নীচে লেখক যেমনটা বলেছেন, 'বাস্তবসম্মত হত হয়ত', কিন্তু 'হৃদয়গ্রাহী' কিভাবে??

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আহা; চলুক বাদা বিক্রমের গপ্প

সত্যপীর এর ছবি

লিচ্চয় বস।

..................................................................
#Banshibir.

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সত্যপীর এর ছবি

চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

সাব্বির রহমান  এর ছবি

চলুক পীরবাবা ,তারাতারি পরের পর্ব ছাড়েন , পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

সত্যপীর এর ছবি

হইব হইব। ধীরেসুস্থে পপ্পন মারেন।

..................................................................
#Banshibir.

দুর্দান্ত এর ছবি

১৬৪৫ সালে অত্র অন্চলের ভুগোল কেমন ছিল, সেটা নিয়া কিন্তু মতভেদ আছে। মানে বাকলা-ভুলুয়া এইসব জমিদারিগুলি পাশাপাশি লাগানো ছিল, নাকি এগুলো এক একটা চর ছিল, সেটা নিয়া পরিস্কার কিছু আমি এখনো দেখি নাই। কিন্ত ঐ টাইমে বানানো উত্তর বঙ্গোপসাগরের চার্টগুলি সুন্দরবন এলাকাকে ঢাকার ডাইরেক পূবে দেখায়, ভুলুয়া/চন্দ্রপুরকে দেখায় সাতিগাও এর উত্তরে কিন্তু নদীতীরে না, ডাইরেক সাগরতীরে।

***

আমার মনে হয় হারমাদি কাজকাম আসলে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া ছিল। নিরীহ চাষীদের উঠাইয়া লইয়া যাওয়ার চাইতে বহিরাগত কলোনিস্টরাই ঐ প্রতিক্রিয়ার প্রধান টারগেট হইয়া থাকবে। মোঘল/আফগান মুসলমানেরা ঐসব নতুন নতুন এলাকায় জমি পত্তন নিয়া দশকের পর দশক আন্তর্জাতিক আবহে সুখে শান্তিতে থাকা স্থানীয় মালো ও কঐবর্ত সম্প্রদায় (আমরা আজকে যাকে আদর করে হিন্দু বা সনাতন ধর্মাবলম্বি বইলা অপমান করি, এঁরা তার থেইকা স্বতন্ত্র ও বড় আকারের সুগঠিত নৃ-সম্প্রদায় ছিল বইলা আমার সন্দেহ হয়) দেরকে আরো পূর্বে ঠেইলা দিতেছে। আমার মনে হয় পর্তুগীজ-ওলন্দাজ হারমাদির টারগেট এইসব কলোনিস্টেরা।

অতিথি লেখক এর ছবি

এ সময়ের একশ বছর পর জেমস রেনেল একটি পুর্নাঙ্গ ম্যাপ এঁকেছলেন, এখানে দেখতে পারেন।
এ অঞ্চলের পর্তুগীজ জলদস্যুরা পরিস্কার লুটেরাই ছিল। গোয়াভিত্তিক পর্তুগীজেরা যেমন রাজার অধীন ছিল এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল খৃষ্ট ধর্ম প্রতিষ্ঠা ও নৌ বানিজ্যের মূল নিয়ন্তা হয়ে ওঠা, চট্টগ্রাম ভিত্তিক পর্তুগীজেরা তেমন ছিল না। তারা ছিল স্বাধীন, ব্যবসার চেয়ে সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে জোরপূর্বক শুল্ক আদায়, জাহাজ লুট, জনপদ লুট এবং দাস সংগ্রহ ছিল তাদের প্রধান কাজ। আবার অনেকে ভাড়াটে সৈন্য হিসেবেও কাজ করতো। তবে তাদের সাথে আগত কিছু পাদ্রী খৃষ্টধর্মের প্রাচরেও চেষ্টা করেছিল।

আব্দুল্লাহ এ এম

সত্যপীর এর ছবি

ভূগোলের ব্যাপারে আমি ১৭৭৬ এর রেনেলের ম্যাপ এ যা আছে সেরকমই থাকতে চেষ্টা দিছি। পুরা ফিট না ও হইতে পারে তবে বেশী এদিকসেদিক হবার কথা না।

মোগল কলোনিস্ট প্রভৃতি আইসা লোকজনের শান্তি নষ্ট করসে ঠিক, তবে হার্মাদ আগে মোগল কলোনিস্টকে টার্গেট করল বলতেছেন? ঠিক বুঝি নাই। আমার মনে হইসে মোগলেই হার্মাদ আর আরাকান টার্গেট করসে যেন বাংলা এলাকায় তাদের খুঁটি শক্ত হয়, তারপরে লাগে আরাকান/হার্মাদ আর মোগলে ফাইট।

নাকি অন্য কোন টারগেট বুঝাইতেসেন বস?

..................................................................
#Banshibir.

দুর্দান্ত এর ছবি

আমি হারমাদি = দাস সংগ্রহ বুঝাইছি।

পর্তুগীজগো আন্তরজাতিক দাস বানিজ্য়ের অনেক আগে থেইকাই কিন্তু ভাটি অন্চলের দাস রপ্তানী হইতো দিল্লীতে। হুমায়ূনের আমলেও ভাটি অন্চল থেইকা দেনার দায়ে নিজেরে বন্দক রাখা দাস গেছে দিল্লীতে। বাকলা-ভোলা-বানিয়াচংগের ভিতরের জংগে পরাজিত দলের বন্দীরাও ঐ রপ্তানীর পণ্য় ছিল। তাদের একাংশ আবার ধর্মান্তরিত হইয়া চর দখলের পারমিটি নিয়া আবার ভাটিতে কলোনিস্টরূপে ফেরত আইসা থাকতে পারে।

নিরদিষ্ট কইরা ১৬১০-১৬৫০ এর মধ্য়ে কিন্তু দক্ষিন সাইডে মোঘলের চাইতে শক্তিশালী আগ্রাসন হইতেছে বারো-ভূইয়া আর পরতুগীজ সাপোরটেড আরাকান (নরপতি?) দিক থেইকা। ইসলাম চিশ্তি/ইসলাম মাসাদি, এরা টুক টাক ফিল্ড ট্রিপে গেছে তাদের পত্তনি কলোনিস্টগো প্রটেকশান দিতে, আবার ঢাকায় ফেরত গেছে। ফাক থেইকা নতুন কলোনিস্টগো হয় ধনবতিতে রাজার ধানক্ষেতে নেওয়া হইছে, নাইলে আচে/বাতাভিয়ায় বেচা হইছে।

সত্যপীর এর ছবি

বাদার বিক্রম ম্রাউক উ বা বাটাভিয়া আচে গেলে সমিস্যা আছে, তারে বাংলায় রাখলাম গল্পের প্রয়োজনে। বারো ভুঁইয়ার ব্যাপারটা অবশ্য ভাইবা দেখিনাই।

..................................................................
#Banshibir.

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সুন্দরবনকে ঢাকার ঠিক পূর্বে দেখানো অজ্ঞতাপ্রসূত। ঢাকার পূর্ব থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত (বরেন্দ্র) বিস্তৃত গঙ্গা-পদ্মার উত্তরের বনভূমি প্লেইস্টোসিন যুগের উঁচু ভূমিতে গঠিত পত্রপতনশীল বৃক্ষের অরণ্য। ঐ অরণ্য যখন তৈরি হচ্ছিল সেই সময় খুলনা-রায়মঙ্গল অঞ্চল সমূদ্রগর্ভে থাকার কথা। তাছাড়া সুন্দরবন চিরহরিৎ, শ্বাসমূলসম্বলিত বৃক্ষের অরণ্য। এই দুটোকে মিলিয়ে ফেলাটা ভুল। চন্দ্রপুর সাগর তীরে ছিল! হয়তো। কিন্তু সেটা ১৬৪৫ সালে নয়। আরও বহু আগে।

*****

মূল্যব্রহ্মণ আর কৈবর্তরা দৌড়ের ওপর আছে কমপক্ষে আরো সাতশ' বছর আগে থেকে। হয়তো আরো আগে থেকে। পালদের সাথে কৈবর্তদের লড়াইয়ের কথা মনে নেই! লেটার কলোনিস্টরা (ইউরোপীয়) আর্লি কলোনিস্টদের (মুঘল-পাঠান) টার্গেট করেছিল এমন ভাবনার ভিত্তি কী?

বারো ভূঁইয়াদের বড় অংশ আর্লি কলোনিস্টদের দলে পড়ে। তারা এবং আরাকানী বজ্জাতরা বহুকাল ধরে সুযোগ পেলেই সারা দেশ থেকে স্থানীয়দের (মূল্যব্রহ্মণ-কৈবর্ত হোক আর আর্লি কলোনিস্ট হোক) গয়রহভাবে ধরে দেশে বা দেশের বাইরে বেচে দিতো। ইউরোপীয়রা এসে দাস ব্যবসাটাকে আরেকটু বিস্তৃত করেছিল মাত্র।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

সুযোগ পেলেই সারা দেশ থেকে স্থানীয়দের (মূল্যব্রহ্মণ-কৈবর্ত হোক আর আর্লি কলোনিস্ট হোক) গয়রহভাবে ধরে দেশে বা দেশের বাইরে বেচে দিতো। ইউরোপীয়রা এসে দাস ব্যবসাটাকে আরেকটু বিস্তৃত করেছিল মাত্র।

আমার বাগানের মুরগী আমি কাটবো, ব্যাচবো, যা খুশী করবো। শালা ইউরোপীয়রা সেই মুরগী ধরতে আসে ক্যা? রেগে টং

আব্দুল্লাহ এ এম

সত্যপীর এর ছবি

জোর যার মুরগী তার।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

সুমন চ্যাটুজ্যেও কী জানি কয়... মুরগীর ছুটি

কড়িকাঠুরে

দুর্দান্ত এর ছবি

"বারো ভূঁইয়াদের বড় অংশ আর্লি কলোনিস্টদের দলে পড়ে। তারা এবং আরাকানী বজ্জাতরা"

আমরা পশ্চিম-দক্ষিন-উত্তর থেইকা বাংলায় আগ্রাসনের ইতিহাসে যতটা অভ্য়স্থ, পূর্বদিক থেইকাও যে বাংলায় পাকাপোক্ত কলোনিস্ট আসছিল, সেইটা অতটা সহজে নিতে পারিনা। যাদেরকে আমরা বারো ভুইয়া বলে জানি, এমন কি হইতে পারে, তারা আসলে আরাকান বা ত্রিপুরার রাজার সাত্রাপ ছিল? মোঘল আর ইংরেজগো লগে ফাইট দিয়া শতাব্দীর পর শতাব্দী টিকা থাকার মত একটা সম্রাজ্য় যদি মেঘনার পূব পাড়ে থাইকা থাকে, তাহইলে ব্রিটিশ ঐতিহাসিকের ইজ্জতে দাগ লাগতে পারে, কিন্তু আমাগোর কি ক্ষতি?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কামরূপী ভাইয়ারা আর মঙ্গোলয়েড দাদাদের একাংশ তো পূর্ব দিক থেকেই এসেছিল। সুতরাং পূর্ব দিক বাদ দেবার উপায় নাই।

বারো ভূঁইয়ারা আসলেই বারো জাতের। দক্ষিণ ভারত থেকে শুরু করে সুদূর রাশিয়া থেকেও নাকি তেনারা এসেছেন। তেনারা যে কার সাত্রাপ ছিলেন বলা মুশকিল। ডান-বাম কোন দিক থেকে বড় ভাইয়ারা হালুম করলে তাদের কেউ কেউ ভয়ে কিছু নজরানা দিয়ে বড় ভাইয়ার দেওয়ানীর ছাপ্পর নিয়ে নিতেন।

১৯৪৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত 'ভারত' কনসেপ্টটার সাথে আধুনিক ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বেশ মিল আছে। 'দ্বৈত শাসন', 'অধীনতামূলক মিত্রতা', 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' ইত্যাকার প্ল্যানগুলো সেই কনসেপ্টটাকে অনেকটাই খাটো করেছিল; কিন্তু বিলুপ্ত করেনি। ধুর্ত ব্রিটিশরা এই প্ল্যানগুলো দিয়ে বিশাল 'ভারত'কে তাদের ছাতার নিচে আনতে পেরেছিল। মেঘনার পূর্বের রাজ্যগুলোকে আরেকটু শিথিল ব্যবস্থা দিয়ে কার্যত ব্রিটিশ ছাতার নিচেই রাখা হয়েছিল। সুতরাং ব্রিটিশ শার্টে বিশেষ দাগ লাগেনি। পূর্বের কোন পরমেশ্বর পরমভট্টারককে যদি উৎখাতের কথা ভাবা হতো তাহলে ষড়যন্ত্রীরা প্রথমেই বিশেষ ব্রিটিশ অনুগ্রহ লাভের চেষ্টা করেছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

গল্প ভালো লাগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

সত্যপীর এর ছবি

ধন্যবাদ।

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

পীর ছাহেব, দারুন হইতেছে। পীরবিক্রমে এগিয়ে যান, আমরা আছি আপনার সাথে! চলুক

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

"পীরবিক্রম" খাইছে হো হো হো

..................................................................
#Banshibir.

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দারুণ লাগলো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সত্যপীর এর ছবি

চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

জম গেছে, যেমন জমার কথা। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। দেঁতো হাসি
- একলহমা

সত্যপীর এর ছবি

জমে একবারে বরফ?

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

বরফ না, বরফ না, একে বলে কুলফি! দেঁতো হাসি
- একলহমা

তাসনীম এর ছবি

অসাধারণ শুরু। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সত্যপীর এর ছবি

খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

কালকে আপনার নতুন গল্প দেখে ভাবলাম সবার শেষে পড়ব (ভাল জিনিস পড়ে খেতে হয়) কিন্তু বেশি যত্নে ভুলেই গিয়েছিলাম। দারুন, দারুন, দারুন দেঁতো হাসি , তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেন পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

নৌকা উল্টায় ডুইবা মরলে বিচি তর কোন কামে আইব?

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
ইসরাত

সত্যপীর এর ছবি

চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

ইসব ঠিক না, জিহ্বার কাজটা শুরু করাইয়া অফ করতি পারতেন আজকে। কিছু হইল এইডা??

গল্প বস!!! পপ্পন লইয়া ওয়েট খাইলাম

সত্যপীর এর ছবি

দুষ্টামি ভালু না।

..................................................................
#Banshibir.

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

লইজ্জা লাগে

মিলু এর ছবি

খুবই উপভোগ করলাম শুরুটা আর বিশ্লেষণী মন্তব্যগুলো। পরের পর্ব রেডি তো? এইটা নীড়পাতা ছাড়লেই যেন পাই!

সত্যপীর এর ছবি

পরের পর্ব রেডি না ভাই এখনো। দিবোনে তাড়া কি?

..................................................................
#Banshibir.

কড়িকাঠুরে  এর ছবি

বাহ্ বাহ্... পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

আর কয়টা ডায়লগ যে আছে... দেঁতো হাসি

সত্যপীর এর ছবি

খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

কঠিন বিড়াল এর ছবি

হায়রে, পুরাটা পড়ার পর খিয়াল করলাম গল্পটার নাম বাদাম বিক্রয় না! খাইছে
চমত্কার লাগল, তাত্তারি দেন পরেরটা। লেখা -গুড়- হয়েছে

সত্যপীর এর ছবি

"বাদাম বিক্রয় " হো হো হো

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

স্পর্শ এর ছবি

অনবদ্য!
আপনার গল্পগুলো দেখলে মনে হয় বাংলা গল্পের সুদিন সমাগত। এই গল্পটা যে ছন্দে এগোচ্ছে তাতে ৫০০ পাতার উপন্যাস হয়ে গেলেও পাঠক এক টানে পড়ে ফেলবে। উত্তম জাঝা!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সত্যপীর এর ছবি

৫০০ পাতার উপন্যাস উরে খাইছে! মাপও চাই দোয়াও চাই... আর দুই এক পর্বের মধ্যেই খতম করে দিব।

অসংখ্য ধন্যবাদ বস।

..................................................................
#Banshibir.

রিক্তা এর ছবি

ভাইয়া, আগেও বলেছি আবার বলছি, আপনার লেখা ক্রমাগত ভালো হচ্ছে। উন্নতির ধারা, গতি, আর লেখায় নিয়মিত থাকলে আপনি বাংলা গল্পের একটা নতুন ধারা তৈরী করবেন আশা করি। তখন এই অধমরে মনে রাইখেন ভবিষ্যতবানীর জন্য।

গল্পের নামটার মধ্যে কিজানি আছে। সারাদিন মাথার মধ্যে বাজছে বাদার বিক্রম, বাদার বিক্রম্‌, , , ,

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

সত্যপীর এর ছবি

নামের মধ্যে অবশ্যই কিছু একটা আছে। খালিহাতে বাঘের চোখ কানা করে দেওয়া লোকে আমাদের পূর্বপুরুষ ছিল হে রিক্তা চাল্লু

ভবিষ্যতবাণী ফইলা গেলে অবশ্যই ফুচকা খাওয়াব।

..................................................................
#Banshibir.

কৌস্তুভ এর ছবি

এইসব পোস্টে পরে ঢোকাই সমীচীন, যখন বিজ্ঞ লোকজন কমেন্টটমেন্ট বিশ্লেষণ সব যোগ করে ফেলেছেন...

('বাদার বিক্রম' ছিক্রেট কিন্তু ফাঁস করিনাই, দেখেন!)

সত্যপীর এর ছবি

ছিক্রেট বজায় রাখার জন্য আপনার আমার কাছে এক প্লেট ফুচকা পাওনা থাকল।

..................................................................
#Banshibir.

বন্দনা এর ছবি

বরাবরের মতই জমজমাট, তয় চাঁদপুর দেখে নড়েচড়ে বস্লাম, আমার গ্রামের বাড়ী কিনা।

সত্যপীর এর ছবি

আমার শহরের একটা বাড়ি আসে, গ্রামের কোনো বাড়ি নাই মন খারাপ

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

আছা আমাদের কি আসলেই কোন নেটিভ ডাইনেসটি ছিল না কোন কালেই ??

আমরা কি চিরকালই নিস্পেষিত হয়েছি ??
মুঘলরা আসলেই কলোনিস্ট ছিল, তারা আমাদের স্বাধীন সুলতান দের মত কখনই ছিল না, এটা আমিও জানি। কিন্ত বাংলাদেশে দাস ব্যবসা এত রমরমা ছিল এর কোন রকম এর প্রমাণ কিন্ত দলিলপত্রে খুব একটা পাওয়া যায় না।

চট্টগ্রামে একটা বাজার ছিল দাস দের আর আরেকটা ছিল নারায়ণগঞ্জে।

কিন্ত যেটা জানার সব থেকে বেশী ইচ্ছা সেটা হচ্ছে এটাই যে বাঙালি জাতি কি চিরকালই শোষিত ??

সত্যপীর এর ছবি

ইয়ে স্বাধীন সুলতানের বিষয়টা কি? ওনারা নিষ্পেষণ করেন নাই?

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

মানে মন্দের ভালো আর কি। তারা অনেক বেটার ছিলেন অন্তত পক্ষে গিয়াস-উদ-দিন আজম শাহ এর কথাটা তো বলাই যায় যে তিনি ভালো সুলতান ছিলেন। বাঙ্গাল সালতানাত এর ব্যাপারে তো ঐতিহাসিক ভাবে তেমন কিছুই জানা যায় না। তবে এটা বলা যায় তাদের সময়ে আর যাই হক না ক্যান শায়েস্তা খাঁ এর মত কোন চাঁড়াল ছিল না।

কাজি মামুন এর ছবি

হে হে। ভাল হয়েছে। ফিরিঙ্গি হারামির বিচিও এবার কাটা যাবে।

এই জায়গাটা দারুণ। সংলাপটা খুব জুতসই। মোটেও আরোপিত মনে হয়নি।
কিন্তু বাঘের সাথে লড়াইটাতে খুব বেশী তাড়াহুড়ো হয়েছে। পান্ডবদার উত্তরে লেখক বলেছেন, এমন লড়াই খুব কস্টকল্পিত নয়। কিন্তু বাঘের চোখ কানা করে দেয়ার ঘটনাটা আরও বিস্তৃত বর্ণনা দাবী করে, বিশ্বাসযোগ্যতার স্বার্থেই!
অণু ভাইয়ের লেখাগুলোতে আমরা বিশ্ব পরিভ্রমন করি, আর এধরণের লেখাগুলোতে মেলে ইতিহাস ভ্রমনের সুযোগ।
আমাদের ভ্রমন অব্যাহত থাকবে, এমনটাই আশা।

সত্যপীর এর ছবি

বাঘের চোখ কানা করে দেওয়ার ঘটনা মনে করেন মুভি মেটেরিয়াল। সিনেমা বানাইলে ঝাকানাকা সিন হইত। গল্পে আর টানিনাই।

ধন্যবাদ।

..................................................................
#Banshibir.

রাত-প্রহরী এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
গত ৯ (নয়) দিনে ৯X৯=৮১ ঝুড়ি পপ্পন খাইছি।
আপনার চা খাওয়া হয় নাই?
আর ক-ত দি-ন পীরসাহেব? মনে রাখবেন আমরা গরীব হতে পারি কিন্তু 'সত্যপীর' এর ভক্ত। আমরা বুলবোই। আমাদের দাবায়া রাখা যাবে না।
জলদি ছাড়েন।

-----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

------------------------------------

সত্যপীর এর ছবি

সময়ের কিঞ্চিত টানাটানি বস. দিচ্ছি.

..................................................................
#Banshibir.

কল্যাণ এর ছবি

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।