গঙ্গার তীরে মুঙ্গেরের কোন এক জায়গা। সুবাদার শাহবাজ খাঁর কাফেলার তাঁবু।
সকাল।
তাঁবুর পাশে মাঠের চিপায় উবু হয়ে বসে মুর্গীর হাড্ডি কড়মড় করে চিবানোর পর থু থু করে করে ফেলে দিয়ে বিক্রম পাশে দাঁড়ানো পাইককে জিজ্ঞাসা করল, আর কতদিন এরম হাঁটাহাঁটি জানেন নাকি কত্তা?
পাইক বিরস মুখে জবাব না দিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকল। তারা নিজেরা খেতে পায় ছাতু রুটি আর এই দাসের বাচ্চা সকালের নাস্তায় পায় মুর্গীর ঝোল। সুবাদারের মাথা খারাপ। সে লোকও খারাপ। বেতন দেয়না চার মাস হতে চলল, তার নাকি টাকা নাই। এদিকে মদমাগী তো ঠিকই চলে, একেক রাতে একেক মাল। আবার দাস একটাকে দুইবেলা আণ্ডাগোস দেয়। শালার।
পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে বিক্রম ফিরে এসে দেখে রাজপেয়াদা দাঁড়িয়ে আছে তার জন্যে। হুজুর তার তাঁবুতে ডেকেছেন। জামায় হাত মুছতে মুছতে তাঁবুতে ঢোকে সে। শাহবাজ তখন পাত্রমিত্র নিয়ে একটা খোলা ম্যাপের সামনে বসে আছেন, তাকে দেখে হাত দিয়ে ইশারা করলেন বসতে। কোনায় বসল বিক্রম।পাশে তাকিয়ায় ঠেস দিয়ে বসা ফৌজদার আলী নকভী বললেন, “বিক্রম, জায়গাটা কেমন বুঝলি?”
বিক্রম প্রশ্নটাই বুঝতে পারল না। সে মাথা চুল্কে বলল, অ্যাঁ?
এই জায়গাটা কেমন?
কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলনা বিক্রম। জায়গার আবার রকমফের কি। সে বলল, আজ্ঞে ভালই তো। নদী আসে।
হুঁ নদী আছে। গঙ্গা নদী। এই গঙ্গা দিয়েই সোজা উজিয়ে তোর বাদাবন যাওয়া যায়।
এইটা বিক্রমের কাছে নতুন তথ্য। সে আস্তে করে বলল, আজ্ঞে।
হ্যাঁ। বড় নদী গঙ্গা। যাই হোক আমরা যাচ্ছি বাজিতপুর বলে এক জায়গায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছুব। মনে কর আজ দুপুরের দিকে।
আচ্ছা।
তারপর সেখানে তোর কাজ আছে।
আমার কাজ?
এইবার সুবাদার শাহবাজ মুখ খুললেন, বিক্রম বাহাদুর, খালি হাতে বাঘের চোখ কানা করে দেওয়া লোকের জন্য একদম পানির মতন কাজ। চিন্তার কিছু নাই। খুলে বলি শোন। আমাদের এখান থেকে কাছেই বড় একটা শহর পাটনা। সেইখানে বেচাবিক্রির বড় রমরমা। দূরদূর থেকে সওদা নিয়ে আসে লোকে। মাসকয়েক আগে এক বুড়া ফিরিঙ্গি জহরতওয়ালা এসে হাজির, তার কাছে এক নীল হীরা! সেই হীরা আমি কিনে নিব ঠিক করি, দামদস্তুর সব ঠিকঠাক। হাতবদলের দিন সকালবেলা গিয়ে দেখা যায় ঘরের ভেতর তার লাশ পড়ে আছে, গলা ফাঁক!
কন কি?
হ্যাঁ। গলা চিরে একবারে দুইভাগ। হীরাও গায়েব। তল্লাসে নামে ফৌজদার আলী নকভীর চরেরা, তারা খবর আনে এই কাজ করেছে বাজিতপুরের কোতয়াল হামজা এর লোক। আমি তাকে এত্তেলা পাঠালাম, সে দেখা করতে আসতেই চাইল না। একবার বলে হুজুর বুখার হয়েছে, একবার বলে বিবির বাপ মরেছে। নানান ভংচং। তারপর তাকে কড়া করে লিখে দিলাম যে সে যদি এসে আমার সাথে এদ্দন্ডেই দেখা না করে তাহলে বাজিতপুর দূর্গ গুঁড়িয়ে দিয়ে তার কল্লা নিয়ে আসব।
এই বলে শাহবাজ একটু থামলেন। তারপর বললেন, সে হারামজাদা চিঠির কোন উত্তরই দিলেনা আজতক। তাই আমরা ফৌজ নিয়ে এসেছি বাজিতপুর হামলা করব বলে।
হাঁ করে শুনছিল বিক্রম। ব্যাপক কারবার। কিন্তু সে এখানে কেন? তাকেও কি ফৌজে নেয়া হবে? সে তো তলোয়ার চালাতেই জানেনা।
সুবাদার শাহবাজ আবার কথা পাড়লেন, বাজিতপুর দূর্গ ছোট, গুঁড়িয়ে দেওয়া আমার ফৌজের জন্য কঠিন নয়। সমস্যা অন্যখানে। দূর্গটা একটা পাহাড়ের উপর। খাড়া পাহাড়। উঠার একটাই রাস্তা। সরু। প্যাঁচালো। সেইপথে উঠে হামলা করতে গেলে হামজার তীরন্দাজের দল আমার ফৌজের আদ্ধেক লোকের কলজে ফুটো করে দেবে। ফৌজ আমার দরকার। তাই তুই এক কাজ করবি, কোনভাবে শহরের ভিতর ঢুকে থাকবি, আর রাতে এসে দরজা খুলে দিবি। তারপরে আমার ফৌজ দেখবে।
বিক্রমকে ভারি বিভ্রান্ত দেখাল। সে মুখ খুলে বলল, জল খাব কত্তা।
দূর দূর। জল খাবি। জল একটা খাওয়ার জিনিস? শরাব খা। এই একে এক পাত্তর শরাব দে।
মদে এক চুমুক দিয়ে ঢোঁক গিলল বিক্রম। তারপর বলল, হুজুর, শহরের দরজা কিরকম?
শহরটা দেয়ালঘেরা, উত্তর দিলেন ফৌজদার আলী নকভী, শহরের সামনেই দূর্গ। সেইখানে দরজা। অন্যদিক দিয়ে দূর্গে ঢোকা যায়না। তাই দরজা খুলতে হবে তোকে। মনে কর ঢুকে যাবি ফিরিওয়ালা কি ফকিরভিখারির ছদ্মবেশে, শহরে ঢুকে দরজার পাহারা কিরকম দেখবি। তারপরে খুলে দিবি রাতে। পারবি না?
বিক্রম মুখ খুলে বলল, শরাব তিতা হুজুর। জল খাব।
হো হো করে হেসে উঠলেন শাহবাজ খাঁ। তারপর বললেন, দে দে একে পানি দে। শরাব তিতা। শালা গাঁইয়া ভূত কুথাকার।
ঢকঢক করে দুই পাত্র পানি খেল বিক্রম। গলা শুকিয়ে কাঠ। তারপর মাথা নিচু করে জলের পাত্রের দিকে অল্প কিছুক্ষণ তাকিয়ে এক আশ্চর্য প্রশ্ন করল সকলকে। বলল, দূর্গের লোকে জল পায় কুথায়?
থতমত খেয়ে গেল সকলে। তারপর সামলে ফৌজদার জিজ্ঞেস করলেন, তার মানে?
দূর্গ না পাহাড়ের উপর? পাহাড়ের উপর জল কুথায় পায়? খাবারের জল চানের জল কুথায় পায়?
ভুরু কুঁচকে ফৌজদার বললেন বিক্রম, ফালতু বাকোয়াসের সময় নয় এখন। তারা গুষ্টিসুদ্ধা বিষ্টির সময় হাঁ করে উপরে চেয়ে থাকে আর সেইখান থেকে জল খায়। খুশী? কাজের কথা শোন। আজ কিম্বা কাল রাতে দূর্গে ঢুকে দরজা ফাঁক করে দিবি। বুঝেছিস?
মাথা নিচু করে বিক্রম বলল, আজ্ঞে।
এই সময় শাহবাজ খাঁ বললেন, আচ্ছা সত্যই সেখানে পানির কি ব্যবস্থা?
একটু বিরক্ত হয়ে ফৌজদার বললেন, পাগল ছাগলের কথায় কান দিবার সময় কি আমাদের আছে হুজুর?
শাহবাজ হেসে বললেন, শোন। একটা প্রশ্ন করি তোমাকে। তুমি ফৌজদার, তোমার কথায় কত পাইকপেয়াদা তলোয়ার হাতে প্রস্তুত হয়ে যায় লড়াইয়ের জন্য। তোমার বুদ্ধি আর সাহসের তুলনা নাই। কিন্তু মনে কর, এখন যদি আমি তোমাকে খোলা মাঠে একটা কাঠের তলোয়ার হাতে বাঘের সামনে খাড়া করিয়ে দেই তুমি কি করবে জানো? তুমি উল্টোদিকে ছুট দেবে। দেবে কিনা?
দাঁতে দাঁত চেপে চুপ করে রইলেন ফৌজদার আলী নকভী।
এই ছোকরা কি করেছিল জানো? এ সেই তলোয়ার পলকের মধ্যে দুই টুকরা করে বাঘের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে তার দুই চোখে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বুকে বাঘের তাগত আর মাথায় দুর্দান্ত বুদ্ধি না থাকলে এই কাজ হয়না হে ফৌজদার। আমাদের বাদার বিক্রম বাঘের তাগত আর দুর্দান্ত বুদ্ধিওয়ালা লোক। তার কথা দুম করে উড়ায় না দেই আসো। এই বার কও, এরা পানি পায় কোথায়?
শুকনো গলায় ফৌজদার বলল, জানিনা হুজুর। পিছনেই তো নদী। সেখান থেকেই পায় নিশ্চয়।
বিক্রম বলল, তাইলে ফৌজ নদী দিয়ে গেলেই পারে, সরু রাস্তা বেয়ে উঠে দরজা দিয়া ঢুকব ক্যান?
আবারও দাঁতে দাঁত চেপে ফৌজদার বলল, শহর পাহাড়ের উপরে বিক্রম। খাড়া পাহাড়। সেইটা বেয়ে উঠা যায়না।
তাইলে পানি ক্যামনে পায় অত উপর থেকে?
এতক্ষণ কক্ষে চুপ করে সকলের কথা শুনছিলেন শাহবাজের বক্সী হুকুম খাঁ। তিনি গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, সেথায় পানির কল আছে।
শাহবাজ জিজ্ঞেস করলেন, পানির কল কিরকম?
বড় এক কাঠের চাকা লাগানো, তার সাথে জোড়া দেয়া দুইটা গরু। দুই গরু গোল হয়ে ঘোরে সারাদিন, তাতে সেই কাঠের চাকাও ঘোরে। চাকার বাইরে লাগানো গোটা পঞ্চাশ কাঠের পাত্র, রশি দিয়ে বাঁধা। নাকি শিকল দিয়ে বাঁধা, ঠিক মনে নেই। সেই পাত্র যখন নিচে পৌঁছে তখন পানি ভর্তি হয়ে যায়, চাকা ঘুরিয়ে সেই পাত্র উপরে এনে এমন কায়দা করে ঘুরায় যে পানি উলটে পড়ে এক নালার ভিতর। সেই নালার পানি তখন শহরের কোনায় কোনায় চলে যায়। এইভাবে পানি পায় এরা।
বিক্রম বলল, নদী থেকে জল তুলে?
হুকুম খাঁ বললেন, নাহ। দুর্গের ভিতরেই পানির কল। গর্ত খুদে নিয়েছে কুয়ার মত।
একটাই কল?
একটাই কল। অনেক বড় কল হে, সারাদিন ঘুরিয়ে মেলা পানি উঠে।
সবাইকে চমকে দিয়ে তখন বিক্রম বলে, সেই কুয়ার জলে বিষ মিশায় দিলেই হয়। সবাই মইরে যাবে আর মারামারি করার কেউ থাকবে না!
সকলে মুখ চাওয়াচাওয়ি করে কিছুক্ষণ। বুদ্ধিটা একবারেই অন্যরকম, কাজে লাগলে অনেক সময় আর পেয়াদা বাঁচবে। শাহবাজ বলে ওঠেন, কেউ একজন হেকিম আব্দুর রহীমকে খবর দিয়ে আনো। বিষ নিয়েই তার কারবার। দেখা যাক এই কাজ করা সম্ভব কিনা। বুদ্ধি চমৎকার। পানিতে বিষ মিশিয়ে শহরে একটা গ্যাঞ্জাম লাগায় দেওয়া যাবে ঠিকই।
তারপর দরজার পাশে দাঁড়ানো শিকদার মুহাইমেনের দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন, আজ রাতে বিক্রমের খিদমতে শুধু নওশাদ বানুই না তার বোন শামশাদ বানুকেও লাগাও। এক জিহ্বা হইতে দুইটি উত্তম।
………………………………………………………………………………
পরের দিন রাত। মাথায় পাগড়ি দিয়ে বিক্রম বাজিতপুরের পানির কল ঠাহর করতে লাগল। দূরে এক পাইক বসে গাছের তলায় ঢুলছে। দুইটা গরু ধীরলয়ে ঘুরে যাচ্ছে ঘুরেই যাচ্ছে। পানির আওয়াজ আসছে কলকল কলকল। হুকুম খাঁ যেরকম বলছিল সেরকমই। গর্ত গভীর কিন্তু তত বড় নয়। এইখানে বিষ মিশিয়ে দেওয়া বা গরুর গাড়োয়ান কি পাইকের কল্লা নামিয়ে দেওয়া তেমন কঠিন হবে না বলেই মনে হল বিক্রমের।
সে ফেরার পথ ধরল। তাঁবুতে গিয়ে কথা বলতে হবে হেকিমের সাথে বিষ বিষয়ে। নদীর ঘাট দিয়ে দ্রুত হেঁটে যাচ্ছিল, এমন সময় ঘাট থেকে একটি কিশোর ছেলে আতকা ডেকে উঠল, বিক্রম দাদা?
এতই চমকে গিয়েছিল বিক্রম যে হুট করে তার হাত চলে গেল কোমরের ছুরির কাছে। বাজিতপুরে কে তাকে ডাকে?
বিক্রম দাদা আমি কানাই। বাদাবনের কানাই। আমাগো একসাথে ধইরা আনল নৌকার তলে তারপর ঝড় আইল। মনে নাই বিক্রম দাদা? আপনেরেও কি এখানেই আনছে? দেখি নাই তো আগে?
বিক্রমের মনে পড়ল এই ছেলেটিও ছিল তার সাথে সেই হার্মাদের জাহাজে। বাচাল ধরনের ছোকরা। সকলকে বলে বেড়াবে এখন যে সে বিক্রমকে দেখেছে। চিন্তার বিষয়। বিক্রম তখন কানাইকে ডেকে নিয়ে বলল, আরে হ চিনছি তো। তুই তো মাধবের ব্যাটা। এইখানে কাম করস বুঝি?
হ, কানাই উত্তর দেয়, কোতোয়ালের গোলায় কাম করি। কাছেই গোলা।
বলিস কি, বিক্রম বলে, কোতোয়ালে থাকে কই?
জানি না। দেখি নাই আমি। গোলাঘর উইটা।
আচ্ছা, কিছুক্ষণ চুপ করে বিক্রম নিচু গলায় জিজ্ঞাসা করে, পারুর কোন খবর জানোস?
হ-অ-অ, ঘাড় হেলিয়ে উত্তর দেয় কানাই, পারু দিদি কোতোয়ালের পাকঘরে কাম করে তো। উইদিকে। হ্যার একটা আঙ্গুল কাইটালাইছে।
প্রচণ্ড উত্তেজনায় বিক্রমের মনে হল তার বুকে কেউ ধড়াক ধড়াক শব্দে হাতুড়ি পিটছে।
(চলবে)
মন্তব্য
অ-সা-ধা-র-ণ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
..................................................................
#Banshibir.
ভাষার উপর আপনার দখল দেখে ঈর্ষা হল, তাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দখল আসলে নাই. আমি লিখি এক প্যারা প্যারা করে, লিখে পরে পড়ি মনে মনে কয়েকবার. লাইন চেঞ্জ করি শব্দ উল্টাই পাল্টাই. মুছি আবার লিখি. বহুত যন্ত্রণা. ভাষার উপর দখল থাকলে এত খাটুনি লাগত নাহ.
..................................................................
#Banshibir.
গল্প জমে গেছে জোর। তবে পীরবাবা মনে হয় একটু ধীরেসুস্থে এগোতে চাইছেন। ঠিকাছে। চলবে।
- একলহমা
জোরকদমেই যাচ্ছি তো। হিসাব ঠিক থাকলে পরের পর্বে খতম হওয়া উচিৎ। চার পর্ব বড্ড বেশী লম্বা হয়ে যায়।
..................................................................
#Banshibir.
..................................................................
#Banshibir.
আপনে মিয়া আসলেই বদলুক!! ছোটবেলায় আলিফ লায়লা দেখতাম। এমন জায়গায় এপিসোড শ্যাষ করতো যে পরের সাত দিন দাঁত খিচ্চা থাকতে হইতো। আপনেও দিনকে দিন সেইরাম হইতাছেন। গরররর......
গপ্পো পুরাই .৫০ ক্যালিবার। ঠুসতে থাকেন......
এইযে...আপনেরে বদলুক কওনের আরো একটা কারন- দেখাইলেন মুরগী আর খিলাইলেন ডাইল।
ডবল জিব্বার কারুকাজ কই
দুষ্টামী ছাড়েন।
..................................................................
#Banshibir.
এরিও......দুষ্টামী কই করলাম? আপনে এইরাম শিক্ষামূলক বিষয় আমগো থিকা লুকায়া রাখবেন ক্যা?? এই জন্যি দেশের কিসসু হয় না!! দিমু নিকি ১ কেজি তেঁতুল?
facebook
নওশাদ-শামসাদ সীন কুতায়?? কিছু কথা গুপন রাখবেন ইটা ঠিক না।
হ বেইনসাফির দুনিয়া।
..................................................................
#Banshibir.
গল্পের গতি বাড়ান..সহ্য হচ্ছে না.. লাইনে আসেন তাড়াতাড়ি
ফুলিস্পিডে আছে তো
..................................................................
#Banshibir.
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
..................................................................
#Banshibir.
পারু আপা?
দিদি হবে না?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ঠিক করে দিলাম।
..................................................................
#Banshibir.
দারুণ, দারুণ।
গল্পের দুধ ঘন হয়ে আসছে। এখন চাল-চিনি ফেললেই খাসা পায়েস। কিন্তু কিসমিস, পেস্তা, বাদাম (নওশাদ, শামসাদ) এর আয়োজন দেখতে পাই না। আফসুস!!!
জিও পীরসাহেব, জিও।
***************
আবারো কি ১৩ দিন অপেক্ষা?
এতো পপ্পন এর পয়সা দিব কেঠায়?
জলদি ছাড়েন।
-----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
একটু চা-পান খেয়ে আসি। আইসে দিতেছি...
..................................................................
#Banshibir.
..................................................................
#Banshibir.
মেলা দিন পর দিলেন গো দাদা ।।।। গল্পের গতি বাড়ান..সহ্য হচ্ছে না.. লাইনে আসেন তাড়াতাড়ি
লাইনে আসা সহজ নয়।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি আপনার গতিতেই চলেন। এতদিন পর এটা পড়ে যে মজা পেলাম দু'দিন পর নতুনটা আসলে হজমে সমস্যা হবে।
রাসিক রেজা নাহিয়েন
হজমে সমিস্যা মোটেই ভাল কথা নয়। জাস্ট ইন কেস, এই রেখে দেন এক কৌটা হাজমলাঃ
..................................................................
#Banshibir.
খুব ধীরেই পড়ছিলাম যাতে শেষ না হয়। আমেজটা আসার আগেই ফুড়ুৎ ।
আর একটু ত্যানা প্যাঁচাতে পারতেন আমাদের জন্য।
সবাই আগ্রহ নিয়েই পড়ছে সম্ভবত।
সন্মান।
শাকিল অরিত
ত্যানা প্যাঁচাইতে হাত ব্যথা করে
..................................................................
#Banshibir.
তারপর?
তারপর শুধুই ভালুবাসা। লাবেষ্টোরি। বিক্রম পারু কি আমার প্রেম কাহানি।
..................................................................
#Banshibir.
পরের পর্ব ছাড়েন পীরসাহেব, ।
দুইটা পপ্পন?!
..................................................................
#Banshibir.
..................................................................
#Banshibir.
তিন পর্বে শেষ করলে চলবে না। অন্তত ৫ পর্ব চাই!
****************************************
পরের পর্ব সমান তিন ভাগে ভাগ কৈরা দিতেছি। হয়ে যাবে ৫ পর্ব
..................................................................
#Banshibir.
এতদিন অপেক্ষায় রেখে মোটে এইটুকু?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বেশী লিখলে ঘুম আসে
..................................................................
#Banshibir.
নেক্সট...
ভবিষ্যতের কথা কেইবা কইতে পারে...
..................................................................
#Banshibir.
যাইতাছে কোনদিক- বাঘ করে কানা
পারুর সামনে গিয়া বিড়ালের ছানা?
...কবি কড়িকাঠুরেকে ছিল নাকো চেনা!
..................................................................
#Banshibir.
জমছে জমছে। কিন্তুক এই উইকেন্ডেই প্রেক মাইরা দেন। খান, শক্তি বানান।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
শক্তি দৈ দেন।
..................................................................
#Banshibir.
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
দারুণ হচ্ছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু
..................................................................
#Banshibir.
পীরসাহেবের লেখা পরে পড়ার সুবিধা - গল্পটা/রহস্যটা একসাথে পাই, পীর সাহেব এর চা খেতে যাওয়ার নামে ফাঁকিবাজি সহ্য করতে হয়না
পীরসাহেবের লেখা পরে পড়ার অসুবিধা - ১ম পর্বের পর 'কি হবে' ভাবটা মিস করি, চা খেয়ে এসেই লিখবে এই প্রলোভন মিস করি
পড়সেন না পড়েন নাই এহনতরি সেইটা কন।
..................................................................
#Banshibir.
মাইরি বলচি! নওশাদ বানুর কসম - দুই পর্বই কাকতালীয়ভাবে 'প্রথম আলোর' সময়ে পড়া!
নওশাদ বানুর বিরাট ফ্যানক্লাব হৈছে দেখা যায়। দুনিয়ার দুষ্টলুকে সচল ভরা।
..................................................................
#Banshibir.
পীরসাব পরেরপর্ব এই সপ্তাহে ছাড়েন, এই পর্ব পড়ে খিদা আরো বেড়ে গেছে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
খাইখাই ভালু না।
..................................................................
#Banshibir.
এই জন্যই ধারাবাহিক সহ্য হয় না , এতদিন পর মোটে এইটুক লেখা দিলেন , তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেন
ইসরাত
অইব অইব বসেন।
..................................................................
#Banshibir.
দুর্ধর্ষ!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
..................................................................
#Banshibir.
কয়েকটা প্রশ্নঃ
১। বিক্রম মুরগীর মাংস বা ঝোল খাবার কথা কী? ডমিস্টিকেটেড বার্ড হিসাবে মুরগীর ব্যবহারের ইতিহাসএর ওপর প্রশ্নটা আপাতত তোলা থাক।
২। গঙ্গা দিয়ে উজিয়ে বাদাবনে যাওয়া সম্ভব কিনা সেটা নিয়ে গত পর্বেই বলেছিলাম।
৩। কোতওয়াল মানে হচ্ছে পুলিশ সুপার, বাজিতপুর দুর্গ তার অধীনে থাকার কথা না। দুর্গ থাকবে ফৌজদারের অধীনে। দুর্গসমূহ থাকবে দেওয়ানের অধীনে।
৪। বাজিতপুরে পাহাড় আসলো কোথা থেকে? বাজিতপুর সাউথ হিমালয়ান বা সাউথ মেঘালয়ান বা ওয়েস্ট লুসাই টিরেইনে পড়ে না।
৫। বাংলার কোথায় পানচাক্কির ব্যবহার ছিল?
৬। থ্রিসাম সংক্রান্ত কল্পনাটিও প্রশ্নের মুখে পড়ার কথা। এটা বরং থাক।
৭। পানিতে বিষ মিশিয়ে মাস কিলিং-এর কোন ইতিহাস কি বাংলায় আছে? ভারতে আছে? এক ঊড়িষ্যাতে কালাপাহাড়ের বাহিনীর বিরুদ্ধে সমলেশ্বরী মন্দিরের পূজারীদের কৌশল ছাড়া মাস লেভেলে বিষের ব্যবহার কোথায় হয়েছে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১। পড়েছে মোগলের হাতে।
৩। ছোট শহর ও দূর্গ কোতয়ালের হাতেও থাকত অনেক সময়। দেওয়ান রাজস্ব ও ট্যাক্স অফিসার তার আন্ডারে দূর্গ থাকবে কেন?
৪। কোন বাজিতপুরের কথা বলছেন পাণ্ডবদা? হয়তো অন্য নাম দেওয়া উচিৎ ছিল আমার। শহরটা পিনপয়েন্ট করতে চাইনি।
৫। ঠিক জানি না। পার্সিয়ান হুইলের টেকনিক মোগলদের রপ্ত ছিল তাই তারা তাদের অধীনে থাকা দূর্গে সেটা বসাবে তা অস্বাভাবিক নয়।
৬। দুষ্টু সুবাদার।
৭। বিষ এখনো মেশানো হয়নি। আইডিয়া মাত্র। আর ইতিহাসে না থাকলে গল্পেও থাকবেনা তাই বা কেন?
সংযোজনঃ ৪ নম্বর ঠিক আছে। মুঙ্গের থেকে পাটনার পথে বাজিতপুরে পাহাড় নাই। অন্য নাম দেওয়া উচিৎ ছিল।
..................................................................
#Banshibir.
৩। এই দেওয়ান সেই দেওয়ান নহে। দিল্লীর বাদ্শাহদেরকে বার্ষিক কর দেবার কড়ারে যারা বাংলা বা অন্য রাজ্যের শাসন ক্ষমতা পেতো তারাও দেওয়ান। এবং তাদের আন্ডারে অনেক দুর্গই থাকতো। ছোট দুর্গ শহর কখনও ফৌজদারের (জিওসি) হাতে থাকতো বটে, তবে কোতওয়ালের হাতে নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি এইখানে পেয়েছিলাম (আরো এক বইয়ে ছিল গ্লসারি সেকশনে এখন খুঁজে পাচ্ছিনা) যে কোতয়াল মাঝে মধ্যে ছোট দূর্গ তত্ত্বাবধান করত। পৃষ্ঠা ৬০, অনুচ্ছেদ ২ দ্রষ্টব্য। "...Sometimes the Kotwal also had the task of a military commander of a fort."
এই গল্পে দূর্গ কমান্ডার কোতয়ালের সম্ভাব্য দুইটি ব্যাখ্যা থাকতে পারে। এক, দূর্গ ছোট তাই সে তার পুলিস ডিউটির পাশাপাশি দূর্গও দেখভাল করছে। এটাই বাজিতপুর দূর্গের রীতি। অথবা দুই, দূর্গ ফৌজদার আলী নকভীর তত্ত্বাবধানেই থাকে কিন্তু এখন যেহেতু সে সুবাদারের সাথে ভ্রমণে আছে তাই দূর্গের অস্থায়ী চীফ কোতয়াল হামজা।
..................................................................
#Banshibir.
হ্যাঁ, এমনটা হতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার কয়েকটা প্রশ্নের উপর প্রশ্ন আছে। আগেই বলে নেই দ্বিমত না, জানা নেই বা নিশ্চিত নই - কিন্তু কৌতুহল আছে - এজন্যেই কয়েকটা জেনুইন প্রশ্ন।
১। মুরগী-ভক্ষণের ব্যাপারে সত্যি কৌতুহল বোধ করছি। আমার কাছে এমনিতে তো এটা খুব অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে না, কিন্তু আপনার প্রশ্ন আমার কৌতুহল জাগিয়ে দিয়েছে। আপনার কাছে এ ব্যাপারে কোন তথ্য আছে?
২ আর ৩-এর ব্যাপারে আমি কিছু জানি না, লেখক আর বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানার আশা রাখি। ৪-এর ব্যাপারে মনে হচ্ছে আপনি ঠিকই বলেছেন।
৫, ৬, আর ৭-এর ব্যাপারে আমার একটু খটকা আছে। এর কোনটাই কি অসম্ভব? ইতিহাসের কোথাও কি সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা আছে যে - এই এই এই জিনিষগুলি বাংলায় হত না? যদি ধরেও নেই বাংলায় পানচাক্কির ব্যবহার তেমন প্রচলিত ছিল না (কিন্তু ভারতবর্ষের অন্যত্র ছিল), অন্তত ইতিহাসে তেমন কিছু লিপিবদ্ধ নেই - তাহলেও কি বলা যায় এটা কারও না কারও পক্ষে কোথাও না কোথাও এডপ্ট করা একেবারেই অসম্ভব? বাংলার ইতিহাস কি এতই নিখুঁত, নির্ভুল, সমকালীণ বিস্তৃত সমীক্ষাজাত তথ্যে পরিপূর্ণ এবং ১০০% পূর্ণাঙ্গ ? আমার তো মনে হচ্ছে ভীষণ ভুল ধারণা ছিল। ৬ আর ৭-এর বেলাতেও একই কথা বলা যায়। আমার আসল খটকাটা হচ্ছে - এটা তো ইতিহাসগ্রন্থ না - এটা ইতিহাসের পটভূমিতে ফিকশন। কিন্তু ফিকশনই শেষ পর্যন্ত এবং সর্বতো ভাবে। তাই প্রশ্ন হচ্ছে, একজন ফিকশন লেখক বা সাহিত্যিকের জন্য কি ইতিহাসে প্রদত্ত তথ্যে নেই বা মৌলিক বা প্রচণ্ড ভাবে তার বিরোধিতা করে না - এমন কোন কিছু কল্পনা করা জায়েজ না? ইতিহাসে প্রদত্ত তথ্যের বিকৃতি অবশ্যই অন্যায়, কিন্তু যেখনে ইতিহাস নিরব সেখানে কি একজন লেখক তাঁর কল্পনার ডানা মেলার স্বাধীণতা সংরক্ষণ করেন না যদিও তার উল্লেখ ইতিহাসে নেই? আর সেটা জায়েজ যদি না-ই হয়, তাহলে ইতিহাসভিত্তিক সাহিত্য রচনা কিভাবে সম্ভব? তাহলেতো শুধু ইতিহাসের উপর বিশুদ্ধ একাডেমিক বইই পড়া উচিত তাই না - সাহিত্যের এই জান্রাটাকে বন্ধ করে দিয়ে? ও হ্যাঁ, থ্রিসামের ব্যাপারে একটা প্রশ্ন। মোঘল বা তাদের অবাঙালী প্রতিনিধিদের মধ্যে কি এর প্রচল ছিল না? লেখক কিন্তু এর চর্চাটা অবাঙালী শাসকের ক্ষেত্রেই দেখিয়েছেন।
****************************************
১। এই উপমহাদেশে ডমিস্টিকেটেড বার্ড হিসাবে মুরগী পালা শুরু করেছিল হরপ্পানরা। আর্য্যরা খাওয়ার জন্য মুরগী পালতো এমনটা জানতে পারিনি। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগোষ্ঠী মুরগী খাওয়া শুরু করেছে আরো পরে। বর্ণ হিন্দুদের বিরাট একটা অংশ তো আমিষ ছুঁয়েও দেখতো না। তাই দুধ পাবার উদ্দেশ্যে তারা গরু পালতো, দুধ না-দেয়া মুরগী পালতো না।
৫। পানচাক্কি মূলত পাহাড়ি বা উঁচু ভূমিতে ব্যবহৃত হতো। সমতল ভূমিতে ভাড়ি বা বাকি'রা জল পরিবহন করতো। এই গল্পের দুর্গ শহর বলতে যেমন দুর্গ বোঝানো হচ্ছে সেটা ইউরোপের দুর্গগুলোর সাথে মেলে বাংলার দুর্গের সাথে না। বাংলার দুর্গগুলোর গঠন একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে বোঝা যায় সেখানে পানচাক্কির মতো স্থায়ী স্থাপনা করার কথা না। তাছাড়া পানির উৎসের সহজ ব্যবস্থা (অবরুদ্ধ অবস্থায় ইঁদারা) থাকায় পানচাক্কি ব্যবহার করার কথা না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বিক্রমের গোত্র পরিচয় জানা যাচ্ছে না, কিন্তু যতদূর মনে হচ্ছে সে বর্ন হিন্দু নয়। যে সময়ের ঘটনা, তখন খাঁটি কিংবা দো-আঁশলা আর্য হিন্দু বাংলায় ছিল নগন্য সংখ্যক, সংখ্যাগরিষ্ঠই ছিল আদিবাসী সম্ভূত নিম্নবর্গের হিন্দু, তারা মুরগী খেতো।
ইবনে বতুতার বিবরন অনুযায়ী বাংলায় সেচকার্যে প্রচুর পানচাক্কি ব্যবহার হতো।
আব্দুল্লাহ এ এম
প্রথমত, কৃষিকার্যে ব্যবহৃত পানচাক্কি আর পাহাড়ের ওপরে দুর্গে পানি তোলার পানচাক্কি এক নয়। দ্বিতীয়ত, ইবনে বতুতা'র বিবরণে বিশেষ আস্থা আনতে পারলাম না। ছোট মাপের সেচকাজে এ'দেশে বেশি ব্যবহৃত হতো সেওতি ও দোন। আর বড় মাপের সেচ চলতো মাটি দিয়ে ভূমির ওপরে নালা বানিয়ে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
জ্বী, ইবনে বতুতার ভাষ্য আসলেই প্রশ্নসাপেক্ষ। ত্রয়োদশ শতকে তিনি বাংলায় অসংখ্য পানচাক্কি দেখলেন, অথচ সেই উন্নত ব্যবস্থা পরবর্তীকালের মানুষ বর্জন করলো, এটা ঠিক মেলে না।
আব্দুল্লাহ এ এম
যাক, পারুর সংবাদ তাহলে পাওয়া গেল, শান্তি! শান্তি!! কিন্তু বেকুব ফৌজদারে কথামত বিক্রম যদি পারুকে নিয়ে গঙ্গা উজিয়ে পালাতে চায়, তাহলে কিন্তু বাদাবনে না পৌঁছে কাশী কিংবা এলাহাবদের পান্ডাদের খপ্পরে পড়বে বলে দিলাম!
আব্দুল্লাহ এ এম
হ্যাঁ, এসে গেছে পারুবালা।
..................................................................
#Banshibir.
১। বিক্রম এখানে মুর্গী খাচ্ছে মোগল ক্যাম্পে, নিজের গ্রামে নয়।
..................................................................
#Banshibir.
৬ ও ৭ নিয়ে লেখক ও মনমাঝির মন্তব্যের জবাবেঃ
ইতিহাস নির্ভর ফিকশনে লেখকের কল্পনার সুবিধা সাধারণ ফিকশনের চেয়ে কম। তবে সেখানে ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত তথ্য ব্যবহার করতে পারলে গল্পের গ্রহনযোগ্যতা সাধারণ ফিকশনের চেয়ে ভালো হবার কথা। এখানে আমি যে প্রশ্নগুলো তুলছি সেগুলো ফিকশনটাকে আরো অথেনটিক করার জন্য, এর গতি ব্যাহত করার জন্য না।
গঙ্গা অববাহিকায় পাহাড়ী দুর্গ শহর থাকা, গঙ্গা বেয়ে বাদাবনে যাওয়া এগুলো একটু চেষ্টা করলে এদিক ওদিক করা যেতো। তাতে 'বাদার বিক্রম' অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়ে যেতো। একই কথা পানিতে বিষ মেশানোর ক্ষেত্রেও সত্য।
ধরুন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতি। এটা দুনিয়ার নানা জায়গায় নানা রকম ছিল। এক জায়গার পদ্ধতি আরেক জায়গায় দেখিয়ে গল্প বললে মহাভারত অশুদ্ধ হয় না, তবে গল্পটা দুর্বল হয়ে পড়ে।
মৌলিকভাবে ইতিহাসকে বিরোধীতা করে না এমন প্রসঙ্গ ঐতিহাসিক গল্পে তোলাই যায়। তাই থ্রি-সামের ব্যাপারে আমি জোর সওয়াল করিনি।
আধুনিক ভারতের ইতিহাসে তুর্কি আইবেক, উযবেক বাবুর, আরব মঈনুদ্দীন আর ফারসী মুর্শিদ কুলী'র সবাইকে এক কাতারে ফেলে দেখলে কিছু ভুল করার অবকাশ থেকে যায়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
****************************************
facebook
ঠিক আছে
..................................................................
#Banshibir.
ভাল এগুচ্ছে। চলুক।
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু।
..................................................................
#Banshibir.
বাঘরে দুই টুকরা তলোয়ার দিয়া!!
পরের পর্বে না তার পরে শেষ করবেন সেইটা বিষয় না। একটু মেলোড্রামা আনা যায় না? আমি মেলোড্রামা ভালু পাই।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
জীবনটাই মেলোড্রামা
..................................................................
#Banshibir.
আগের মতোই সুপাঠ্য তবে আরেকটু বড় হলেও পারতো। যাক গ্যালারিতে বসলাম
কই আপ্নেরে গ্যালারিতে দেখিনাতো?
..................................................................
#Banshibir.
ঘুরেফিরে আবার আসলাম। আমার নিজের একটা ছোট্ট অস্বস্তি/খটকা বলার জন্য। ষষ্ঠ পাণ্ডব যেগুলি বলেছেন সেগুলি জরুরি, কিন্তু কিছুটা টেকনিকাল বিষয়। এই লেখাগুলি এই জান্রায় আপনার একদম প্রাথমিক প্রয়াস। সুতরাং টেকনিকাল কিছু ভুলত্রুটি যদি থাকেও, আমার মতে অন্তত তা তেমন ধর্তব্যের বিষয় না। অন্তত এই পর্যায়ে না। আপনি যদি লেগে থাকেন এবং খাটাখাটনির আগ্রহ থাকে তাহলে এগুলি আপনি নিশ্চয়ই কাটিয়ে উঠবেন। তখন আমার মত ইতিহাস-মূর্খই শুধু না, পণ্ডিত ব্যক্তিরাও সাধুবাদ দিবেন।
তবে আপনার ব্যবহৃত ভাষা বা তার স্টাইলটা আমাকে একটুখানি খটকা দিচ্ছে, একথা অস্বীকার করার উপায় নেই। বলি বলি, বলব না বলব না - করতে করতে বলেই ফেললাম।
শত শত বছর আগেকার ঐতিহাসিক কালের চরিত্রের মুখে একুশ-শতকীয় ঢাকাইয়া শহুরে কথ্য ভঙ্গিটা আমাকে ঠিক যেন স্বস্তি দিচ্ছে না। ঠিক যেন ইতিহাসের আমেজটা পাচ্ছি না। এটা আমি সংলাপের ক্ষেত্রে বলছি। এই বিষয়টা কিন্তু যতটা না টেকনিকাল, তার চেয়েও বেশি করে সরাসরি মূল গল্প বলার সাথে জড়িত। এর একটা তাৎক্ষণিক ইম্প্যাক্ট আছে।
আপনার গল্পের চরিত্রগুলির ভাষা বা বাচনভঙ্গি একটু অন্যরকম হলেই বোধহয় স্বস্তি পেতাম। তবে এর আগে একজন পাঠক - চরিত্রের মুখে ঐ চরিত্রের আঞ্চলিক ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আঞ্চলিক ভাষা দেয়ার প্রসঙ্গে আপনি যা বলেছিলেন, আমি তার সাথে একমত। প্রতিটি চরিত্রের মুখে তার নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা দেয়া সম্ভব না বা প্র্যাক্টিকাল না, বিশেষ করে যেখানে ওভাবে ধরলে আপনার গল্পে আসলে বহুভাষাভাষী চরিত্র আছে বা থাকতে পারে ভবিষ্যতে। তবে আমার মনে হয়, যেহেতু আপনার এই লেখাগুলি ইতিহাসভিত্তিক-ফিকশনের জান্রায়, তাই সংলাপে সময় বা কালপার্থক্যের একটা ছাপ থাকা উচিৎ। এতে লেখাটা আরও অনেক উন্নত, ক্রেডিবল এবং উপভোগ্য হবে বলেই আমার ধারণা। যেসব আম-পাঠকের চোখে ইতিহাসের সুক্ষ তথ্যগত টেকনিকাল ডিটেইলে ভুলভ্রান্তি চোখে পড়বে না, তাদের চোখে এবং পঠনেও কিন্তু এই বিষয়টা ঠিকই ধরা পড়বে। এজন্যেই বলছিলাম এর ইম্প্যাক্ট তাৎক্ষণিক।
এখন এই কাল-পার্থক্য বা ব্যবধানের ছাপ আপনি কিভাবে ফেলবেন সংলাপের ভাষাতে - সেটা আমি বলতে পারব না। কারন আমি জানি না। কি হলে ভাল হয়, বা আরও ভাল লাগবে বলে আমার মনে হয়েছে - শুধু সেইটুকুই বললাম। তবে আমার ব্যক্তিগত ধারণা, লেখকরা এই ধরণের ক্ষেত্রে নিজস্ব একটা ঘরাণা-স্পেসিফিক বা জান্রা-স্পেসিফিক স্টাইল ডেভেলপ করে নেন। হয়তো বিশেষ ধরণের শব্দ-চয়ন আর বাক্যগঠনরীতির মাধ্যমে এটা করা যেতে পারে। ঠিক জানি না। তবে মোদ্দা কথা হচ্ছে, এই ভাষাকে যে সত্যি সত্যি একেবারে ১০০% ইতিহাসসঙত ভাবেই অথেন্টিক স্টাইলানুসারী হতে হবে - এমন কোন কথা নেই - তবে কিছুটা হলেও একটা সাময়িক 'ইলিউশন' তৈরি করতে পারলে ভাল হয়। ইলিউশনটা এই যে - আমরা বর্তমান বাস্তবে যে ভাষা ও ভাষাভঙ্গি দৈনন্দিন চর্চায় দেখি-শুনি-লিখি বা বলি - গল্পের ভাষা ও ভঙ্গিটা যেন তার থেকে খানিকটা অন্যরকম। যেন অন্য কোন জায়গার, অন্য কোন কালের - একটু অচেনা বা অপরিচিত। একটু এক্সটিক। কি যেন ছিল রবি ঠাকুরের সেই লাইনটা - 'হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোনখানে --' ? সামান্য একটু অপরিচয়ের ব্যবধান থাকা দরকার। তাহলেই গল্পের রসটা আরও পরিপূর্ণ ভাবে আস্বাদন করা যায়। এটা না হলে কোথায় যেন একটা অতৃপ্তি থেকে যায়।
২য় যে জিনিষটা মনে হল, তা হল - আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার না করলেও, বাঙালী ও অবাঙালী চরিত্রগুলির মধ্যে সংলাপের ভাষায় শব্দচয়ন ও বাচনভঙ্গিতে কিছুটা পার্থক্য আনতে পারেন মনে হয়। এর কিছুটা মনে হয় আপনি করেছেন, তবে তা আরও স্পষ্ট হওয়া দরকার বোধহয়।
আরেকটা বিষয় মনে হল। সেটা হচ্ছে, সামাজিক শ্রেণী বা পদমর্যাদার পার্থক্যের ভিত্তিতেও ভাষায় (সংলাপে) একটু পার্থক্য থাকা দরকার। আপনি যে এটা একেবারে করেননি তা নয়, তবে ব্যাপারটা আরেকটু স্পষ্ট করা উচিৎ ছিল মনে হয়। আমার মনে হয় না একটা পাইক বা বাদার বিক্রম ঠিক যে ভাষায় বা ভঙ্গিতে কথা বলবে, একজন সুবাদার বা তার উর্ধতন কেউ বা কোন রাজকর্মচারীর ভাষাভঙ্গি তার থেকে অনেক পৃথক হবে।
ব্যস্!
****************************************
তিনটে জিনিসঃ
১. গল্পের বিষয়বস্তু (প্লট)
২. টেকনিকাল ডিটেল (এক্ষেত্রে ঐতিহাসিক তথ্য)
৩. ডেলিভারি (ভাষা)
গল্প লেখার সময় আমি এই তিনটা জিনিস খেয়াল রাখি, গুরুত্ব অনুযায়ীই ক্রম সাজানো। সবার উপরে প্লট সত্য তাহার উপরে নাই। শক্ত গল্প না হলে অন্য দুইটা দিয়ে কোন ফায়দা নাই। এবং শক্ত গল্পের প্লট ট্রান্সফারেবল, একটু এদিক্সেদিক করে ঠগী মতিলালের গল্প আজকের মলম পার্টির গল্প বলেও চালিয়ে নেয়া যেত।
শক্ত প্লট খাড়া হয়ে গেলে (আমার দৃষ্টিতে ) টেকনিকাল ডিটেল নিয়ে মাথা ঘামাই। গল্প লেখা সহজ নয়, প্রতি পদে একটা মানুষকে দিয়ে যা করাচ্ছি তা সে বহু বছর আগে করত কিনা তা যাচাই করে নিতে সব সময় খেয়াল থাকেনা। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে ফাইন ডিটেল রাখার।
এই দুইটা জিনিস আমি রাখি আমার খসড়ায়। এই দুইটা দাঁড়িয়ে গেলে আমি গুগল ডক নিয়ে খটাখট টাইপে বসে যাই। ডেলিভারি টাইম। বাঙালি অবাঙালি যার যার ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী ভাষা সাজানো মানে হচ্ছে ঠিক টেকনিকাল ডিটেলের মত পড়াশোনা করে নেয়া, কিন্তু দুঃখের ব্যাপার কার ভাষা বা ডাইলেক্ট কিরকম সেইটা বইপত্র পড়ে জানা কঠিন। সমরেশ বসু উড়িয়াদের নিয়ে গল্প লিখার সময় তাদের গ্রামে গিয়ে থেকেছেন, দেখেছেন কিভাবে তারা কথা বলে খায় ঘুমায় রাগ করে ভালবাসে। তারপরে সেইটা গল্পে ফুটিয়েছেন। হিস্ট্রি চ্যানেলের হিস্টোরিকাল ফিকশনে ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড ডাইলেক্ট এক্সপার্টই একজন রাখা হয় বেতন দিয়ে। ডেলিভারি এতই কঠিন ব্যাপার এসব গল্পে। আমি সপ্তায় ষাট ঘন্টা কাজ করে বাসায় এসে মেয়ে কোলে নিয়ে ফ্রাইডে নাইটে কি উইকেন্ডে বসে বসে লিখি, ডেলিভারি নিয়ে আমার কাজ করার ক্ষমতা সীমিত। এইটা অভিযোগ নয়, কৈফিয়ত ও নয়। এইটা তথ্য। ডেলিভারির দিকে আমি খেয়াল রাখব ভবিষ্যতে, কেজানে হয়তো একদিন একবারে ধুন্দুমার তাক লাগিয়ে দেয়া খাঁটি ডাইলেক্ট (অন্তত ইল্যুশন) ব্যবহার করব কোন এক গল্পে। কে বলতে পারে।
ততদিন একটু কম্প্রোমাইজ চলুক দাদা। আমরা আমরাই তো।
..................................................................
#Banshibir.
ভুল ভাবে নিয়েন না পীরবাবা। আমি 'সমালোচনা' করি নাই - স্রেফ একজন ফ্যান হিসেবে গঠনমূলক মতামত দিয়েছি মাত্র। এটা রাখা, রাখতে পারা বা না পারা - সেসব অন্য বিষয়। আমি আগেও এবং পরেও আপনার লেখার একজন ভক্ত ছিলাম এবং থাকব। ""আমরা আমরা"ই আছি!
সুতরাং, আশা করি ফ্যান হিসেবে এইটুকু অধিকার দিতে আপনি আপত্তি করবেন না।
আমি কিন্তু যার যার 'ডাইলেক্ট' অনুযায়ী ভাষা সাজানোর কথা বলি নাই। এটা যে একটা প্রচুর সময় ও গবেষণা সাপেক্ষ ব্যাপার, তা আমি জানি। জানি খ্যাতিমান অনেক লেখক একেবারে অকুস্থলে গিয়ে অনেক সময় গবেষণা কর্ম চালিয়ে আসেন। তাছাড়া, সমরেশ বসুদের অনেকেরই লেখালেখি ও সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া বলতে গেলে অন্য কোন কাজই ছিল না যদ্দুর আনি। এ প্রসঙ্গে আপনার সীমাবদ্ধতাও জানি ও বুঝি। সচলায়তনের কেউই মনে হয় ফুলটাইম প্রোফেশনাল লেখক না যে এসব নিয়েই থাকবেন। সারা বাংলাদেশে এক হুমায়ুন আহমেদ ছাড়া এমন আর কয়জন আছেন বা ছিলেন, সে ব্যাপারেও আমি নিশ্চিত না। সুতরাং তেমন আব্দার করার মত বেবুঝ আমি বোধহয় নই।
এজন্যেই আমি ডায়ালেক্ট না, 'ইল্যুশনের' কথা বলেছি। সোজা বাংলাতেই বলি - ধোকা। হ্যাঁ, ইল্যুশন বলতে স্ট্রেট 'ধোকা দেওয়ার' কথাই বলছি! হলো এবার?
আপনার হাতে যেটুকু ভাষা আছে, সেটাকেই একটু এদিক্সেদিক মিক্সিং করে চরিত্রভেদে ভ্যারিয়েশন আনার কথা বলছি, যাতে করে (১) ভাষাটা যেন নিখাদ বর্তমান ঢাকাইয়া না মনে হয় এবং একটু যেন অ-দৈনন্দিন মনে হয়। ব্যস্! -- এবং (২) সবার ভাষা যেন একই রকম মনে না হয়। এখন এই ভ্যারিয়েশন কোন নির্দিষ্ট ডাইলেক্ট অনুযায়ী অথেন্টিক হতে হবে এমনও কোন কথা নেই - আপনার নিজস্ব ইনভেনশন হলেও চলবে। ইল্যুশন বা ধোকাটা এখানেই, কিন্তু এই ধোকায় যদি পড়তে মজা লাগে - তাহলে দোষ কিসের? এই যেমন ধরেন, আমার অতি-দুর্বল কল্পনাশক্তির উপর ভর দিয়েই উদাহরণ দেই - সুবাদার বা মোগল চরিত্রগুলির সংলাপ কথ্য ভাষায় না দিয়ে তথাকথিত শুদ্ধ ভাষায় রাখলেন আর তার মধ্যে মাঝেমধ্যে খানিকটা আর্বি-ফার্সি-উর্দি শব্দ বা বাগ্ভঙ্গি পাঞ্চ করে দিলেন। এটাও অবশ্য শেখার ব্যাপার এবং ইতিহাসের বইতে এটা সরাসরি না পেলেও, ফিকশনে/নাটকে/মুভিতে মনে হয় পাবেন। ঐসব জায়গা থেকে একটু অনুকরণ করলেও চলবে। এখন সেটা ১০০% ইতিহাস সঙ্গত বা ডাইলেক্ট সঙ্গত না হলেই বা কি এসে যায়! এটা হয়তো একটা অতি স্থুল ও সরল উদাহরণ হল, কিন্তু এর চেয়ে যুৎসই কিছু এখন আর মাথায় আসছে না।
আর হ্যাঁ, সবকিছু যে এখনই (বা পরেও) করতে হবে এমন আব্দারও করছি না। সময়-সুযোগে যতটুকু কুলায় আরকি। এইত্তো। ততদিন কম্প্রোমাইজ চলুক। কোন অসুবিধা নাই। আপনার গল্প পড়ছি, পড়ব। ডোন্ট ওরি!
****************************************
আরে ওয়াই সো সিরিয়াস? একশোবার মতামত দিবেন, চাইকি সমালোচনাও কর্তারেন। আমারই তো সুবিধা সব যাচাই করে নিতে পারি, আরেকজনের চোখে নিজের গল্প দেখার মজাই আলাদা। আপনার ইল্যুশনের ব্যাপারটা যে ধরতে পারসি এইটা আসলে ঠিকমত বুঝায় বলতে পারি নাই। কথা ঠিক আছে। পারব কতটুকু সেইটাই চিন্তার বিষয়। দেখি চেষ্টা করে।
অনেক জ্ঞানগম্ভীর আলুচনা হইল। আসেন চানাচুর খাইঃ
..................................................................
#Banshibir.
হ, লন - আপনিও একখান গান শুইনা হাল্কা হন -
****************************************
কিসু হুনিনা
..................................................................
#Banshibir.
লেকাযুকা ভালাই।
বাদার বিক্রম-১ দিয়ে শুরু কইরা মন চাইল আরেট্টু পড়ি। তাপ্পর পুরা ১খান সপ্তাহ অফিসের কাম আর বান্ধবীর লগে ফেচবুকের চ্যাট বাদ দিয়া আপ্নার এইসব অখাইদ্য (খানা বিষয়ক লেখা) আর কুখাইদ্য (কু-রাজনীতির ইতিহাস বিষয়ক লেখা) পইড়া লাইছি। ক্যামনে কী! সচলায়তনের অভিশাপ তারেকাণুর সবডি লেখাও পড়ি নাই আমি। আর আপ্নে সবমিলাইয়া ৮২ খান লিখা নামাইলাইছেন সবডি পড়া লাগছে। আপ্নে অণু ভাইডির চেয়ে বড় অভিশাপ। তাইনে ছোড অভিশাপ আর আপ্নে বড় অভিশাপ।
সবডি পইড়ালাইছেন? সাব্বাস। মুখস্ত বলেন পড়া ধরি।
বান্ধবী মাইন্ড খায়নাই?
..................................................................
#Banshibir.
‘মুখস্তকে না বলুন’ সৃজনশীল প্রশ্নত্তোর পদ্ধতি চালু হইছে দ্যাশে, হেইডা খেয়াল রাইখেন।
বান্ধবীরে কইছি লতুন পীর সাব সত্য সত্যই কামেল পীর। বাবার দোয়ায় এই ধরো ২/১ বছরের মইধ্যে টেকাটুকা গাড়ি বাড়ি কুন ঘটনা না দ্যাখপা। আর আমার ট্যাকা তো তোমার লাইগাই তাই না? তাই আর মাইন্ড খায় নাইক্কা।
এই যে পীরবাবা, পরের পর্বের খপর কি??? গবেষণা কইরা ফাডায়ালাইতেছেন্নি? এদিকে খিয়াল আছে সেই গত মাসের ৩১ তারিখ থিক্কা ১৭ দিন যাবৎ পীরবিক্রমে বিক্রমের "বুকে কেউ ধড়াক ধড়াক শব্দে হাতুড়ি পিটছে" আর পিটছে আর পিটছে ?? আপনি ৩য় পর্ব নামায়া অরে তারাতারি খালাস না দিলে তো ব্যাটা হার্ট এ্যাটাকেই মারা যাইবো !!
সো, আপনার নায়ুকবাবাজিরে হার্ট ফেইল থিকা বাঁচানোর লাইগ্গাই অন্তত ৩য় পর্বটা তরাত্তরি ছারেন!
****************************************
টাইমের অত্যাধিক সঙ্কট। আপনাদের দোয়ার উছিলায় একখান কন্যাসন্তান হইছে। তাকে নিয়া খেলাধুলা করতে করতে যায় বেলা।
পরের পর্ব মাথায় রেডি আছে। তয় লেখা আসতে কিছুদিন সুমায় লাগতে পারে
..................................................................
#Banshibir.
এক্কেরে আলদা টেস্টের গল্প।
চলুক
এই ব্যাটা হতচ্ছাড়া বিক্রমের জন্যে ফৌজদার গালি খাচ্ছে!
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন