রাত্রি দ্বিপ্রহর। সুবাদার শাহবাজ খাঁর খাস তাঁবুর বাইরে দাঁড়ানো ছয়ফুটি তাগড়া পেয়াদাকে ফৌজদার আলী নকভী বললেন, সরে দাঁড়াও। হুজুরের সাথে আমার বিশেষ প্রয়োজন। মাথা নেড়ে পেয়াদা বলল, হুজুর ব্যস্ত। সকালে আসুন।
স্থির চোখে পেয়াদার দিকে তাকিয়ে ফৌজদার বললেন, আমার এখনই প্রয়োজন। চিটঠি এসেছে। হুজুরকে বল গিয়ে যাও।
তাঁবুর ভেতরে যাবার হুকুম মিলল। ভেতরে ঢিলে জামা পরা শাহবাজ ফৌজদারকে বললেন, রাতে আমার মাথা ভাল কাজ করেনা তুমি ভাল করেই জানো। হয়েছে কি?
বিক্রম বাজিতপুরে আমাদের হয়ে বিষ মেশানোর সাথে অন্য ধান্দা করছে হুজুর। সে তার গাঁ থেকে ধরে আনা আরো কয়টা দাসের সাথে পালানোর মতলব করছে।
শাহবাজের মুখ হাসি হাসিই থাকল, কেবল চোখ দুটি কঠিন হয়ে গেল।
আলী নকভী বলে চললেন, খবর পাকা। কোতয়াল হামজার গোলাঘরের পিছনে কিছুক্ষণ আগে জনা সাতেক দাস জমায়েৎ হয়েছিল, তারা প্রত্যেকেই বিক্রমের মত বাদা থেকে ধরে আনা দাস। শহরের দরজা খুলে দেওয়ার পরে যখন আমাদের সিপাইসান্ত্রী শহর লুটে ব্যস্ত থাকবে সেই ফাঁকে তারা পেছনের নদী দিয়ে সাঁতরে যাবে বহরমপুর। সেইখানে তাদের নৌকার ব্যবস্থা আছে, ঐ দিয়ে তারা বাদার পথ ধরবে।
বহোৎখুব, হেসে বললেন শাহবাজ, চমৎকার ব্যবস্থা। ঠিক আছে দেখা যাক। বিক্রম বিষ না মিশিয়ে পালাচ্ছে না তো?
মাথা নেড়ে ফৌজদার বললেন, না। সে বিষ মেশাবে এবং দরোজাও খুলে দেবে, তারপরে বাদবাকি কারবার। একটা মেয়েছেলে আছে এদের মধ্যে, সে নাকি বিক্রমের বহুৎ পিয়ারা মেয়েছেলে।
চকচকে চোখে শাহবাজ বললেন, ছোকরা এলেমদার বটে। কোথা থেকে হারানো মহব্বত খুঁজে পেয়েছে আবার তাকে নিয়ে বাদায় সাতমহলা প্রাসাদের স্বপ্নও দেখছে। উত্তম। এদের ব্যবস্থা কর গোপনে, বিক্রমকে ব্যস্ত রাখো যেন বাজিতপুরে বিষ মেশানোর আগে তাকে আর যেতে না হয়। আর ইয়ে, ঐ মেয়েছেলেকে খতম করার আগে আমার কাছে নিয়ে এসো একবার।
……………………………………………………………………………
ঠিক সাতদিন পরের কথা। ভোররাত। বিক্রম আর সিপাই মহিউদ্দিন চাদরমুড়ি দিয়ে বাজিতপুরের সদরফটকের একটু সামনে বসে আছে। এই সময়টা পাহারায় থাকে জনা ছয়েক পাহারাদার। ফটকের ঠিক উপরে এদের অবস্থান, এদের কল্লা নামাতে হলে সাবধানে উপরে উঠতে হবে। উপরে উঠার সিঁড়ির দরজায় থাকে একজন, তাকে খতম করতে হবে সবার আগে। সিঁড়ির ঠিক উপরে আরেকজন, তবে সে মাঝে মাঝে ঘুমায়। তার কল্লা নামানোর পরে তারপরে বাকি চারজন। এরা পাকা তীরন্দাজ, তলোয়ার চালাতেও উস্তাদ। তবে এদের নজর থাকে সামনের দিকে, তাই পিছন থেকে আচমকা আক্রমণ চালিয়ে বেকায়দায় ফেলা কঠিন হবার কথা নয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব করতে হবে এইই আসল কথা।
বিক্রমের সাথে থাকা সিপাই মহিউদ্দিন দুর্দান্ত ছুরির উস্তাদ, শব্দ শুনে সে অন্ধকারেও লক্ষ্যভেদ করতে পারে। তার পিঠে ঘাড়ের নিচে চামড়ার থলিতে উল্টো করে রাখা আছে ছুরি, ফলার দিকটা দুই আঙুলে ধরে মহিউদ্দিন চোখের পলকে শিকারের দিকে ছুরি ছুঁড়ে মারে। সে বলেছে পরে তাকে এই কায়দা শিখিয়ে দেবে, অনেক নাকি সহজ।
ফটক বিশাল, এতো উঁচু যে বিক্রমের ঘাড় ব্যথা করে উপরে তাকিয়ে। হাতি ঢোকার জন্য এই ব্যবস্থা। দরজার ঠিক বাইরে শয়ে শয়ে লোহার চোখা পেরেক বসানো, যেন আক্রমণকারীরা গণধাক্কা না দিতে পারে দরজায়। দরজার ভেতর ছোট আরেকটা দরজা আছে, আধা মানুষ সমান। মাথা নিচু করে ঢুকতে/বেরুতে হয়। যাওয়া আসা যেন করা যায় কিন্তু শত্রুপক্ষের সিপাই যেন পিলপিল করে ঢুকতে না পারে তাই এরকম। বিক্রমকে বলা আছে সে আর মহিউদ্দিন মূল ফটক খুলতে যাবেনা, তাতে অনেক শব্দ হয়। ফটক খোলার কায়দাও তারা জানেনা। তারা ছয় পাহারাদার খতম করে ছোট দরজা খুলে দেবে, তখন একে একে ঢুকবে জনা পাঁচেক বাছাই করা সিপাই। এরা ফটকে কাজ করে অভ্যস্ত, জানে ঠিক কিভাবে শব্দ কম করে দ্রুত ফটক খোলা যায়। এরপর দরজা খুলে গেলে ফৌজের লোক গনহারে ঢুকে পড়বে আর শহরে একটা তুলকালাম লাগিয়ে দেবে। মূল পানির উৎস বিষাক্ত করে অধিকাংশ লোক এমনিতেই পেটের পীড়ায় ভুগছে, দূর্গ জয় করতে তেমন বেগ পাওয়ার কথা নয়।
দূর্গের ঠিক বাইরে ঝাঁকড়া গাছের পেছনে শুয়ে থাকা সিপাই নিজাম বেগ তীক্ষ্ণ চোখে খেয়াল করছিল চৌকিখানার দিকে। এখনই যেকোন সময় পাহারাদারদের উপর আক্রমণ হবার কথা, তারপর দরজা খুলে দিলে সে ভিতরে ঢুকে মুল ফটক খুলতে যাবে। সে দেখল দুইজন রক্ষী পরপর ধপ করে পড়ে গেল, আর তৃতীয়জন ভয়ে উপর থেকে দিল লাফ। নিঃশব্দে উঠে গিয়ে নিজাম বেগ সেই রক্ষীর গলায় ছুরির পোঁচ বসিয়ে দিল, তারপর বিড়ালের মত নিঃশব্দে দরজার বাইরে গিয়ে দাঁড়াল। তার পেছনে হাজির হল আর জনা চারেক ফৌজের সিপাই। বেশীক্ষণ অপেক্ষা করতে হলনা, অল্প আওয়াজ করে ছোট দরজা খুলে দিল বিক্রম আর তারা পাঁচ জন দ্রুত ভেতরে গিয়ে ফটকের পাশে কলঘরে গিয়ে ফটক খুলে দিতে লাগল দ্রুত। ঘড়ঘড় শব্দে খুলে যেতে লাগল বাজিতপুর দূর্গের প্রধান ফটক। ভোরের আলো তখন ফুটছে মাত্র।
ফৌজদার আলী নকভী আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন কোন দয়ামায়ার দরকার নেই। সামনে যাকেই পাওয়া যাবে তারই কল্লা নামানো হউক। বীরবিক্রমে ফৌজি সিপাইরা ঘরে ঘরে আগুন দিতে লাগল আর লুটপাট আরম্ভ হয়ে গেল। হইচই এর মধ্যে বিক্রম কিছুক্ষণ মহিউদ্দিনের সাথে লুটপাট আর কল্লাবাজিতে অংশ নিল, তারপর চিন্তা করল এখন দূর্গের পশ্চিম পাশে নদীর ধারে যাবার প্রকৃষ্ট সময়। তার গাঁয়ের লোকেরা অপেক্ষা করে আছে তার জন্য। পারুবালাকে নিয়ে তার চিন্তা হচ্ছিল, সে কি ঠিকমত পালাতে পেরেছিল মনিবের ঘর থেকে? জানা নেই। সেই ভাবনার সময় ও নেই। নদীর দিকে এগুনো যাক।
পথে কিছু সিপাই সান্ত্রী একে তাকে খুন করছিল আর লুটপাট চালাচ্ছিল, সেগুলো সাবধানে পেরিয়ে নদীর দিকে এগুলো বিক্রম। জায়গাটা খাড়াই, নদী অনেক নিচে। পাহাড় বেয়ে নামা খুব শক্ত, সবচাইতে ভালো হয় যদি লাফ দিয়ে নদীতে পড়া যায়। সেরকমই বলা আছে সকলকে, তারা একজোট হবে একটা পুরানো ভাঙ্গা ঘরের পেছনে, তারপর বিক্রম এলে একসাথে পালাবে। গন্তব্য বহরমপুর, সাঁতরে বেশীক্ষণ লাগার কথা নয়। সেখানে নৌকার ব্যবস্থা আছে। সকলে একত্রে বাদায় যাওয়া যাবে।
নির্দিষ্ট স্থানে এসে একটু চমকে গেল বিক্রম। ঘোড়ায় বসে আছেন সুবাদার শাহবাজ খাঁ, সাথে তার পাত্রমিত্র। ঘটনা কি, এদিকে তো তাদের আসার কথা না! কোতয়ালের ঘর তো আরেকদিক। এত কেষ্টবিষ্টু এই নদীর ধারে করে কি?
আরে এই যে বিক্রম, শাহবাজ বলে ওঠেন, তুমি কোত্থেকে? লুটপাট করে মাল কিছু পেলে?
আমতা আমতা করে জবাব দেয় বিক্রম, আজ্ঞে কত্তা পেয়েছিলাম তো। পুঁটলিতে বেঁধে রেখেছি ঐ হোথা। সোনাদানা মোতিমুক্তা।
বাহ বেশ বেশ, মাথা দুলিয়ে খুব খুশি হন সুবাদার, সোনাদানা জহরত খুব ভালো জিনিস। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। আমি এদিকে হাওয়া খেতে এসেছিলাম আর কি, দেখি বহুৎ বড়িয়া মাল একটা ঘুরাফিরা করছে। কি নরম সেই মেয়ের দুধ তুই চিন্তাই করতে পারবিনা বিক্রম, যেন মাখম।
শুকনো গলায় বিক্রম বলল, আচ্ছা।
হ্যাঁ। তাকে বেশ করে মুহব্বত করে তারপর কল্লাটা নামিয়ে দিলাম। দেখতে কেমন বদমাশের মত তাই। দেখবি?
এই বলে সুবাদার হাতে ইশারা দিলেন। দ্রুত দুই সিপাই এসে বিক্রমকে পেছন থেকে শক্ত করে ধরল আর আরেকদিক থেকে এগিয়ে এল সাত সিপাই। তাদের হাতে বর্শা, সেই বর্শায় বিঁধে আছে সাতটা মাথা। মাঝের মাথাটায় সবার আগে চোখ গেল বিক্রমের। পারুবালার মাথা।
বন্যজন্তুর মত গোঁ গোঁ করতে থাকা বিক্রমকে শক্ত হাতে হাঁটুর উপর বসাল তাকে ধরে থাকা দুই সিপাই, ঘোড়া থেকে নেমে এলেন সুবাদার শাহবাজ আর ফৌজদার আলী নকভী। বিক্রমের কাছে এসে নিচু স্বরে সুবাদার বললেন, বিক্রম, তুই একটা দাসের বাচ্চা দাস। তোকে আমি আমার ফৌজে নিলাম, তোর বিচি রেখে দিলাম, তোর খেদমতে দিলাম আমার পোষা মাগী। আমার আশা ছিল তুই ঘোড়া চালানো শিখবি তীর ছোঁড়া শিখবি। তোর বুকে বাঘের তাগৎ আর জবরদস্ত প্রশিক্ষণ মিলিয়ে আমি ভেবেছিলাম তুই হবি কত বড় বাহাদুর।
একটু থামলেন সুবাদার। তারপরে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বললেন, কিন্তু আমারই বোঝা উচিৎ ছিল তুই একটা বাঘ। বাদার বাঘ। বাঘে কি আর পোষ মানে বিক্রম? বাদার বাঘে পোষ মানেনা।
এই বলে ফৌজদারের দিকে তাকিয়ে চোখে ইশারা দিলেন সুবাদার। চোখের পলকে ফৌজদার তলোয়ারের কোপ বসিয়ে দিল বিক্রমের ঘাড়ে, ঝুপ করে তার মাথা গড়িয়ে এল ফৌজদারের পায়ের কাছে। লাথি দিয়ে সেই মাথা দূরে সরিয়ে দিয়ে ঘোড়ার দিকে এগিয়ে যেতে থাকলেন ফৌজদার আলী নকভী।
গড়াতে গড়াতে মাথা খাদের কিনারা দিয়ে পড়ে গেল নিচের নদীতে।
মন্তব্য
ধুর মিয়া!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অমা ক্ষ্যাপেন ক্যা?
..................................................................
#Banshibir.
গল্প সুন্দর, কাহিনী ভয়ংকর।
আরও গল্প চাই।
লিচ্চয় লিচ্চয়।
..................................................................
#Banshibir.
মাথার ভেতর বরফ ভরে শেষটুকু লিখলেন নাকি
আরো গপ্পো হুনমু
"মাথার ভেতর বরফ" ?!
..................................................................
#Banshibir.
হ। যেমনে খুল কাস্টুমারের মত কল্লা নামাইয়া দিলেন।
অভিনন্দন ভাইয়া
বিচ্ছুটার নাম কী রাখছেন?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
..................................................................
#Banshibir.
দূর, মনটা বিষণ্ণ হয়ে গেল। বাদার বিক্রম আর একটি বার বুদ্ধির খেলা দেখালে কি আর এমন ক্ষতি হত? গল্পে তো কত কিছুই হয়! বিশেষ করে দোয়া ও তাবিজ যখন আপনার হাতে পীরবাবা।
হ তার বুদ্ধি ফেল মারছে। ভালুবাসায় তারে অন্ধ করেছে...
..................................................................
#Banshibir.
নাহ, এইরকম ট্রাজেডি আশা করি নাই। আগে জানলে পড়তামই না, দিলেন তো মিয়া মনটা খারাপ করে।
পর পর দুই মেঘলা কমেন্ট, একজন আকাশ একজন মানুষ। আমি তো কনফিউজড!
..................................................................
#Banshibir.
চিন্তার বিষয়
"মেঘলা আকাশ" ও কিন্তু আমার মতই ক্ষেপছেন আপনার উপর।
আপনি লোক সুবিধার না, আগের গল্পে ফাঁসুরে রে মারলেন, এইবার বিক্রমরে মারলেন।
আপনি কি জর্জ আর আর মার্টিন হইছেন নাকি? সবসময় এমন করে প্রোটাগনিস্টরে মারলে তো আর ভালো লাগতেছে না। বাংলা সিনেমার শেষ দৃশ্যের মত, একফ্রেমে সবাইকে নিয়ে একটা মিলনাত্মক ফিনিশিং দেন, পিলিজ।
শুভেচ্ছা
হ একটা লাবেষ্টোরি লিখার শখ আছে। মনে করেন হেরেমের প্রেমপিরিতি নিয়া কিচ্ছা। নাম দিব "প্রেমের মরা হাম্মামখানায় ডুবে না"
..................................................................
#Banshibir.
"প্রেমের মরা হাম্মামখানায় ডুবে না"
তবে, দেখেন এখানেও আপনে 'মরা' নিয়া আসছেন (অবচেতন মন খালি ঐদিকে যায় কেন আপনার?)। গল্পের প্লট কি হবে জানি না, তবে শেষ দৃশ্যে দেখা যাবে কেউ মইরা ভাসতেসে।
আরে এগিলি মেটাফর। কেউ মরবে না। সবাই খালি জাবড়ায় ধরে ভালুবাসবে
..................................................................
#Banshibir.
এটা কোন কথা হইল ?
অবশ্য ইতিহাস যেখানে শাসকদের নৃশংসতার কথা বলে, সেখানে গল্পকারেরই বা কি করার আছে।
পরের গল্পের জন্য
-ছায়াবৃত্ত
হ আমি ছুটো মানুষ কি ই বা ক্ষমতা বলেন।
..................................................................
#Banshibir.
ভাবসিলাম ঠিক শেষটায় বিক্রম কোনো বিক্রম দেখাইব!
জীবন দুঃখময়
..................................................................
#Banshibir.
নিষ্ঠুরতার একটা সীমা থাকা উচিৎ, আপনি সেই সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। আপনার কল্লা নামায়া দেওয়া দরকার ।
ডরাইলাম বস!
..................................................................
#Banshibir.
আপনে মিয়া এইসব ট্রাজেডি লিখেন ক্যা? ধুর
একটা লাবেষ্টোরি লিখুম খাড়ান।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি ব্যক্তিগতভাবে যে অবস্থায় থেকে এই গল্প শেষ করলেন তার জন্য স্যালুট! আমি হলে আগামী তিন বছরেও নতুন লেখায় হাত দিতাম না।
প্রধান ফটকটা মনে হলো গিয়ার, রোলার, রেইল সমৃদ্ধ যেটার আবার অপারেশন/কন্ট্রোল রুম আছে। তার মানে চেইন-স্প্রোকেটের ব্যবহারও আছে। একটু খুঁতখুঁত লাগছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হ লাইফ গৌজ অন অর্থাৎ কিনা জীবন চলমান। পিচকিরে ঘুম পাড়ানোর ফাঁকে ফোকরে লিখলাম। মাঝে মধ্যে কোলে নিয়াও লিখি। একটু বড় হইলে ওরে দিয়া গল্প টাইপ করামু ভাবতেছি হাহাহাহাহাহাহা।
ফটকে কারিকুরি থাকার কথা না?
..................................................................
#Banshibir.
প্রায় সাতদিন পর সচল খুলে প্রথমেই আপনার লেখা দেখে খুশিতে দাঁত বের হয়ে গিয়েছিল কিন্তু গল্প পড়ে অনেক্ষন তব্দা মেরে বসেছিলাম, কি ভয়ঙ্কর ।
ষষ্ঠ পাণ্ডবদার
এই কথার পিছনের কাহিনী কি ?
ইসরাত
একটা পিচকি মেয়ে হইছে মাসখানেক হইল
..................................................................
#Banshibir.
খনগ্রাচুলেশন(অভিনন্দন) হে পিচকির পিতা...
অনেক অনেক অনেক অভিনন্দন। নাম কি রেখেছেন মেয়ের?
পীরবাবা আপনি সত্যিকারের বাবা হয়েছেন!! আলহামদুলিল্লাহ।
অভিনন্দন আপনাদের তিনজনকে.....................
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই জাতীয় ভাব বাচ্যের ধুনফুন ছাড়েন।
হয় কন গল্প খুব সোন্দর হইছে, মারহাবা! মারহাবা!!
আর না হয় কন গল্পে ঠাডা পড়ছে, মানি না মানবো না, ফাঁসী চাই, দিতে হবে।
হ শাহবাজের ফাঁসি চাই। ব্যাটা লুক খারাপ। আমরার হিরু হিরুইনরে মাইরালাইছে।
..................................................................
#Banshibir.
মোটে তিনটা ইমো?
..................................................................
#Banshibir.
আরে পীরবাবা যে পীরালী ছাইড়া আক্ষরিক অর্থেই বাবা হেইডা জানলে কি আর এই ভুল করি?
পিচ্চির লাইগা
(গুড়)
সবডি দিলাম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আরে, পীরবাবা যে পীরালী ছাইড়া আক্ষরিক অর্থেই বাবা হইয়া বেবিসিটিং করতাছে হেইডা বুঝি নাইক্কা
লন, পিচ্চুর লাইগা সবডি দিলাম
(গুড়)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
..................................................................
#Banshibir.
এত কুপাকুপি করলে কেমনে কি??? ভাবছিলাম কি আর হইল কি?
আফনে ভালু না!! কইলেন জিহবার কথা কাইট্যালাইলেন কল্লা!!!
কল্লার লগে জিহবাও গেছেগা
..................................................................
#Banshibir.
ব্যাপক সমাপ্তি! দুর্দান্ত!
চরিত্রের বিস্তার, ঘটনার ব্যাপ্তি খুব ভাল ছিল, সেইকারণেই মনে হচ্ছে, গল্পটা কি আরও একটু বড় হতে পারতো? লেখকের স্বাধীনতা। তবে এই আরও কিছু হতে পারতো বিষয়টাই মনে হয় পাঠককে গল্প’টা মনে রাখতে সাহায্য করবে সবচাইতে বেশি।
ধন্যবাদ বস। বেশি লিখলে গল্প ছড়ায় যাবে তখন কন্ট্রোল করা একটু মুস্কিল। এই মুহুর্তে বড় গল্প উপন্যাসে হাত দেওয়া সম্ভব না, হাতও পাকেনাই। তাই ঝটাপট ফিনিশ।
..................................................................
#Banshibir.
মেয়ে হওয়ার জন্য বিশাল একটা অভিনন্দন। :)
গল্প পড়ে রাগ হল, কি আশা করেছিলাম আর কি হল
ধন্যবাদ
..................................................................
#Banshibir.
বিক্রম মারা যাওয়ার আগে একটু ফাইটিং করে নিত! আপনি পাষাণ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
জীবন কুসুমাস্তীর্ণ নয় অর্থাৎ কিনা লাইফ ইজ নো বেড অফ রোজেস। জায়গামতন ফাইট আর কয়জন করতে পারে কন?
..................................................................
#Banshibir.
বিক্রমের পারা উচিত ছিল, অন্তত একটা পেয়াদাকে ঘায়েল কয়ারার সুযোগ দিতে পারতেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
শেষ দৃশ্যে (এবং যুদ্ধের লুটপাটেরও) মারামারির ব্যাপারটা এড়াতে চেয়েছি যথা সম্ভব। ব্যক্তিগত প্রেফারেন্স বলতে পারেন।
গল্পে বিক্রমের নিঃশব্দ সমর্পনের একটা সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে বর্শার আগায় পারুবালার কাটা মাথা। সে এইটার জন্যে মোটেই প্রস্তুত ছিলনা, তাকে অফ গার্ড ধরা হয়েছে। অন্যদিকে অপর পক্ষ সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল বিক্রমকে মুকাবিলার।
..................................................................
#Banshibir.
আমার তো মনে হয় এই ব্যপারটাই বেশি বাস্তব সম্মত হইছে। একেবারে ট্রেইন্ড সেপাই টেপাইএর সামনে বমাল ধরা পড়ার পর খুব বেশি ফাইটিং হইলে সেইটাই অতি সিনেমাটিক হইত সম্ভবত। পীরসাহেব অতি সিনেমাটিক করার লোভ সাম্লাইছেন, এইখানে বরং আমি পীরসাহেবকে ধইন্যবাদ দিব।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই যে পাইছি, ওই মিয়াঁ ফেরা কো? কাজ কামে মন নাই, গায়ে ফু দিয়া বেড়াইতাছেন আর এদিকে কামালি ব্যাটা মরে আরকি।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ফিনিশিংটা জমল না হে পীরসাব, আরেকটু ক্লাইম্যাক্স আশা করছিলাম, সেই সাথে আকারেও এট্টু বড়
facebook
পরেরবার জমায় ফাটায় ফেলব বড় ভাই, চিন্তা নাই।
..................................................................
#Banshibir.
কন্যাসন্তান উপলক্ষে সুবিশাল অভিনন্দন!
লেখাটা পড়েও অবশ্য বুঝা যাচ্ছিল এই লেখার চেয়ে হাজারগুন গুরুত্বপূর্ণ কিছু আপনার মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে, তাই কোনমতে এটা শেষ করে মাথা থেকে তাড়াতাড়ি বোঝা নামিয়ে নিষ্কৃতি পেতে চাচ্ছেন। বলাই বাহুল্য পাঠক হিসেবে একটু হতাশ হয়েছি একটা দারুন প্রমিসিং গল্পের এমন 'ড্যাম্প স্কুইব' পরিণতিতে। তবে এই স্কুইবে যে পানি ঢেলে দিয়েছে, তার কথা ভেবে দুঃখিত হতে গিয়েও আবার খুশি হয়ে উঠলাম।
****************************************
বেশি ফাঁকিবাজি হয়ে গেছে? এন্ডিং কিন্তু এটাই হইত।
লুটপাট যুদ্ধ আরেকটু বড় করতে চেয়েছিলাম অবশ্য, মূল খসড়ায় নিজাম বেগের পার্টও একটু বিস্তৃত ছিল। কি আর করা। পরেরবার জমায় ফাটানোর চেষ্টা দিব
..................................................................
#Banshibir.
আপনে খ্রাপ।
মিয়া দিলেন মাঝপথে শেষ কইরা।
আপ্নের গল্পের শেষটা আমি লিখতাম চাই, দেইখেন কি সুন্দর মিল মুহব্বত করাইয়া দেই।
আরেকটা লেকেন এই রকম, (বাংলা সিনেমার মত মিল দেখাইয়া)
..................................................................
#Banshibir.
বিক্রম - পারুর দেখা হওয়ার দুই লাইন মিস করলাম !
হ্যাঁ এই জায়গাটা স্কিপ করে যাওয়া মনে হয় ঠিক হয় নাই।
..................................................................
#Banshibir.
ওয়াও, পীরবাবার জয় হোক। এইটার একটা ভৌতিক সিকুয়েল করে ফেলন দেখি এবার, বিক্রমের কাটামুণ্ড কথা বলে উঠুক, ঘুম হারাম করে দিক সবার।
একটা প্রশ্ন ছিলঃ ফৌজদাররা কি সবাই এই রকম হারামী ছিল ?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
মিয়াভাই ক্ষেপলেন্নি? পরের ফৌজদারকে দুধে ধোয়া তুলশি পাতা বানায় দিমু দেইখেন।
..................................................................
#Banshibir.
আরে নাহহহ, সেরেফ কৌতূহল।
দুধে ধোয়া??
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
গরুর দুধের কথা হইতেছে হে দুষ্ট ফৌজদার।
..................................................................
#Banshibir.
গরুটার চরিত্র কেমন
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ব্রেকিং নিউজ!!! ব্রেকিং নিউজ!!! ব্রেকিং নিউজ!!!
বিক্রম আসলে মরে নাই! 'বাদার বিক্রম'-এর সিকুয়েলে দেখা যাবে কল্লাকাটা যাওয়া বিক্রম আসলে আসল বিক্রম ছিল না। সুবাদারের ষড়যন্ত্র আগেই বুঝতে পেরে সে ঐ নদীর দিকে যাওয়া খাড়াই পথে নিজের একটা লুক-এলাইককে পাঠিয়েছিল। ঐ বেচারাই মরেছে, আর আমাদের মহান সত্যপীরের দোয়ায় বাদার আসল বিক্রম পীরবিক্রমে সবাইকে ধোঁকা দিয়ে ভিন্ পথে সটকে পড়েছে।
****************************************
সিক্যুয়েল না তয় প্যারালাল গল্প একটা লিখতেছি। বিক্রম সেইখানে থাকতেও পারে ছুটোমুটো ক্যারেক্টার হিসাবে। বিস্তারিত আসিতেছে ঝাঁ চকচকে নূতন গল্প "থিবো সায়েবের দৌলত" এ।
..................................................................
#Banshibir.
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ভালো লাগলো। ধন্যবাদ নেবেন।
আর বাবা হওয়ার জন্য অভিনন্দন।
ভালো থাকবেন সত্যপীর।
-----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
মেয়ে ও তার জনক-জননীকে অভিনন্দন।
একটা অন্যরকম আশা ছিল গল্পটা নিয়ে!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
পুরা নাইনসাফি
নতুন মন্তব্য করুন