পাথর মসজিদ লাগোয়া চত্বর, পাটনা। ১৬৪৪ এর গ্রীষ্মকাল।
সওদাগরের ছদ্মবেশে থাকা পেয়াদা জাফর নদীর দিকে মুখ করে উবু হয়ে বসে টুপি বাছতে বাছতে টুপিওলাকে বলল, বুড়ামিয়া মাথা ঠাণ্ডা রাখে এরকম একখান টুপি দেন। দুপুরের দিকে মাথা রুটির তাওয়ার মতন গরম লাগে।
লালচে দাঁত দেখিয়ে হাসল টুপিওলা, বিসমিল্লা বইলা ফুঁ দিয়া পরবেন। দেখবেন কেমন ঠাণ্ডা থাকে মাথা।
ছিটের কাজ করা একটা টুপি পরখ করার ভান করে ঘাড় ঘুরানোর সময় জাফর দেখল পশ্চিমদিকে বাজারের দিকে হনহন করে পোঁটলা হাতে হেঁটে যাচ্ছে ফিরিঙ্গি বুড়ার চাকর আব্দুল গফুর। দূরে আমগাছের তলে দাঁড়ানো আরেক ছদ্মবেশী পেয়াদার দিকে তাকাল জাফর, সেই পেয়াদা পাগড়ি খুলে মাথা চুলকাল একটু। এইটেই সঙ্কেত।
গফুরের পিছু নেওয়া যাক তবে।
টুপি নামিয়ে রেখে নিঃশব্দে হাঁটা ধরল জাফর। আরেক পেয়াদা মুর্শিদ আমগাছ থেকে একটু ডাইনে ঝাড়ে ভোজবাজির মত মিলিয়ে গেল। ঝিরির ওপাশে ধরা হবে গফুরকে। জায়গাটা নিরালা।
এদিকে যেতে যেতে গফুর ভাবছিল রাতে কি রাঁধবে। ফিরিঙ্গি সায়েবের সরু লম্বা চালের ভাত খুব পছন্দ, সব্জী আর আচার দিয়ে। অল্প ঝোলে করা মাখো মাখো তরকারি সায়েব তারিয়ে তারিয়ে খায় লক্ষ্য করেছে সে। আজকে ভালো তরিতরকারি বাজারে উঠেছে আশা করি, গেলবার কানা বেগুন কিনে বড়ই ঠকা ঠকেছিল গফুর। সব্জী তরকারির বিত্তান্ত ভাবতে ভাবতে আচমকা গফুর দেখল তার সামনে উঁচা গাছের ডাল থেকে ঝাঁপ দিয়ে নেমে এল এক মুশকো জোয়ান। পিছন থেকে হাত মুচড়ে আরেক তাগড়া লোক তার পেটের কাছে চাকু ধরে বলল, ইদিক আয় দিকি। কথা আছে।
ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে গফুর বলল, আমার কাছে কিছু নাই গো কত্তা কোন পয়সা নাই। সব নিয়ে নেন এই ধরেন কত্তা মাপ করেন আমি কিছু করি নাই।
তার ঘাড়ে ধরে পাশে জংলা ঝোপের কাছে নিয়ে পেয়াদা জাফর বলল, চুপ। আওয়াজ করলে ভুঁড়ি ফাসায়া কুত্তা দিয়া খাওয়াব। কথা শোন। জামিলা কেমন আছে?
ভয়ানক চমকে উঠল গফুর এই দস্যুর মুখে তার ছোটবোনের নাম শুনে। তার বিয়ে হয়েছে কয় বছর হয়, বাচ্চা হয়েছে যমজ গত বছর। তাকে দেখতে যাবার কথা গফুরের। এরা তার বোনের কথা বলে কেন?
ভয়ার্ত স্বরে গফুর বলল, জামিলা?
দাঁত বের করে হেসে বলল জাফর, হ জামিলা। তোর দুধওয়ালি বইন। দুধও মাশাল্লা। টিপসিলি কখনো?
অবিশ্বাস ভরা দৃষ্টি নিয়ে জাফরের দিকে তাকিয়ে থাকে গফুর। এ বলে কি?
জাফর বলে চলে, যাক বাদ দে। কাজের কথা শোন। তর বইন আমাদের কব্জায়। তারে আর তার মাসুম পোলা দুইটারে জিন্দা দেখতে চাইলে যা বলি মন দিয়া শোন। রাতে তোর সাহিব ঘুমায় কখন?
ঢোঁক গিলে কোঁ কোঁ করে গফুর বলে, বলতে পারিনা। দরজা লাগায় দেয় খাওনের পরে।
বেশ বেশ। সাহিব খাইতে বসলে পিছন দিয়া খিল খুইলে দিবি বুজছস?
কেঁপে উঠল গফুর অল্প। ঠাস করে তাকে অকারণে একটা চড় কষিয়ে যেরকম হুট করে এসেছিল সেরকমই দুম করে আবার কোথায় মিলিয়ে গেল দুই পেয়াদা।
……………………………………………………………………………
সেইদিন বিকেল। গঙ্গার বুকে ভাসমান শাহবাজ খাঁর বজরা। হাতেগোণা কয়জন পাত্রমিত্র নিয়ে সুবাদার ডেকে পাঠিয়েছেন এক বুড়া ফিরিঙ্গিকে, সে বলছে তার কাছে বিক্রয় করার জন্য একটা নীল হীরে আছে। সামনেই বাদশা নামদারের বড় মেয়ের বিয়ে, জমকালো উপহার প্রয়োজন। নীল হীরে শুনতে চমৎকার, দেখা যাক কিরকম মাল। সুরাট থেকে আর্মানি জহুরী খাজা আহমাদকে খবর দিয়ে আনা হয়েছে, সেও হাজির।
ভারি চমৎকার বাতাস দিচ্ছে। সুবাদার আরকের পাত্রে চুমুক দিয়ে মুখ বিকৃত করে পাশে বসা বক্সী হুকুম খাঁকে বললেন, জঘন্য মাল। বুড়ি নানবাঈয়ের পিশাবের মত খেতে।
নানবাঈ মহলে পান বিক্রি করে, আশীর উপরে বয়স। তার পিশাবের কথা মনে মনে কল্পনা করে হুকুম খাঁয়ের আরক খাওয়ার ইচ্ছেটাই উবে গেল। পাখি উড়িয়া যায় ইচ্ছা উবিয়া যায়। গলা খাঁকারি দিয়ে তিনি সুবাদারকে বললেন, ইয়ে হ্যাঁ খেতে জঘন্য তো বটেই। ভালো আরক পাওয়াই এক মুস্কিল। অন্য সুরা আছে কিনা দেখব?
হাত তুলে সুবাদার বললেন, না হে বক্সী। আসর ওয়াক্ত পর্যন্ত তো মেলা টানলাম। এই নানবাঈয়ের পিশাব আর সহ্য হচ্ছে নাহ। আমাদের সাথে আজকে ভিনদেশের জহরত ব্যাপারী হাজির, তার একটা সম্মান তো রাখতে হবে নাকি?
শুনে পাশে বসা ভিনদেশের জহরতওয়ালা থিবো সায়েব একটু হাসলেন। আরক তার মন্দ লাগছেনা, এর চেয়েও জঘন্য মাল তিনি টেনেছেন আগে। খোলা গঙ্গার হাওয়ায় পাত্রে মৃদু চুমুক তিনি উপভোগ করছেন বেশ।
হাত নেড়ে বক্সী হুকুম খাঁ কাছে দাঁড়ানো এক নফরকে ইশারা দিতেই সে একটু দূরে সরে গেল কি একটা আনতে। সুবাদার তখন ঝুঁকে বসে থিবো সায়েবকে বললেন, তা সায়েব এবার দেখাও দেখি কেমন তোমার বহোত বড়িয়া নীল জহরত। দেখে দিল ঠাণ্ডা করি। অনেকদিন দিল ঠাণ্ডা করা জহরত দেখি না।
অবশ্যই, বললেন থিবো, অবশ্যই দেখবেন। আপনার নজরে আনার জন্যই তো আনা। এই দেখুন।
ঢিলে জোব্বার ভেতরে হাত ঢুকিয়ে একটা টিনের কৌটা বের করে আনলেন থিবো সায়েব। কৌটা খোলার সাথে সাথে সকলে উৎসুক চোখে তাকাল আর মখমলের মসৃণ লাল কাপড় সরিয়ে নীল হীরে দুই আঙ্গুলে ধরে বের করতেই সকলে অস্ফুট শব্দ করল একটু। পড়ন্ত বিকেলের রোদ পড়ে ঝলমল করে হেসে উঠল যেন সেই পাথর। মুগ্ধ তারিফের দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা সুবাদার শাহবাজ খাঁ পাথর হাতে নিয়ে বললেন, ইয়া মালিক। ইয়া মালিক।
পাশে বসা পাত্রমিত্র সকলেই মাথা নেড়ে বলল ইয়া মালিক, ইয়া মালিক। থিবো সায়েব মুখ টিপে হাসলেন শুধু।
মোটা কাঁচ বের করে পাথর উলটে পালটে দেখল আর্মানি জহুরী খাজা আহমাদ। কাপড়ের গিঁট থেকে মোটা একখণ্ড কাপড় বের করে ঘষল কিছুক্ষণ, তারপরে আবার চোখের সামনে এনে কাঁচ দিয়ে দেখতে লাগল মন দিয়ে। তারপর পাথর মুছে আবার সুবাদারকে ফেরত দিয়ে সে বলল, পাথর পাকা। কোন খুঁত নাই।
বহোৎখুব, হাততালি দিয়ে উঠলেন সুবাদার শাহবাজ, বহোৎখুব। আলী, কবি মীর তকীউল্লাকে খবর দিয়ে নিয়ে এসো। এই হীরের একটা জেল্লাদার নাম চাই।
ফৌজদার আলী নকভী ঘাড় নেড়ে বললেন, জ্বী হুজুর। অবশ্যই হুজুর।
শাহবাজ এবার হীরে থিবো সায়েবকে ফেরত দিয়ে বললেন, সেই কথাই রইল তবে সায়েব। পাথর আমিই নিলাম। কাল হুকুম খাঁয়ের সাথে একটু খাজাঞ্চীখানায় যেয়ো, পয়সাকড়ি সেখানেই ব্যবস্থা হবে। তুমি অতি উত্তম জহরতওয়ালা সায়েব। পাথর তুমি চেনো বটে।
হেঁ হেঁ করে একটু হাসলেন থিবো সায়েব। সুবাদার ব্যাটা পয়সাকড়ি কেমন দেবে কিছু বললনা দেখি। হারামিটা মতলব ভাঁজছে নিশ্চিত। কাল খাজাঞ্চীখানায় মুলামুলির জন্য প্রস্তুত হয়েই যেতে হবে।
নফর এসে সকলের সামনে হাতির দাঁতের কাজ করা এক ঢাকনিওলা বাটি রেখে গেল। থিবো সায়েব এরকম বাটি আগেও দেখেছেন, এরা এগুলিতে সুপারি বলে একটা নাট রাখে। পানের সাথে খায়। পানের বাটি কোথায়, খালি সুপারির বাটি দিয়ে গেল কেন থিবো সায়েব ঠিক বুঝলেন না। পান আসছে নিশ্চয়ই, কে জানে হয়তো গোলাপজলে ধুয়ে আনা পান আনা হবে এখন।সবকিছুতেই অযথা জবরজং করা এদের স্বভাব, এই মাথামোটা ভারতীয় রাজাগুলো পয়সা উড়াতে উস্তাদ।
দুষ্টু হাসি হেসে সেই বাটি টেনে নিয়ে ঢাকনি খুলে সুবাদার থিবো সায়েবকে বললেন, ধরো সায়েব। মিষ্টি খাও।
মিষ্টি? থিবো সায়েব একটু অপ্রস্তুত হলেন। বাটিতে করে মিষ্টি বিলাতে দেখা তার এই প্রথম। হাত বাড়িয়ে গুলি নিলেন একটা এবং কামড় দিয়েই বুঝলেন কি মাল। আফিম। সুবাদার মিষ্টি হেসে বললেন, কাবুলে তৈয়ার মা’জুন। খেয়েছ কখনো?
মাথা নেড়ে উত্তর দিলেন থিবো সায়েব, খাইনি।
চমৎকার সোয়াদ। গাঁজা ভাং আফিম আরো কি কি সব দেয় এরা, কি এক অচিন জাতের গাছের কাঁটাও নাকি থাকে। বড়ই চমৎকার। বড় চমৎকার না?
থিবো সায়েবকে স্বীকার করতেই হল বড় চমৎকার। স্বীকার না করলে গর্দান যেতে পারে সেই ভয় রয়েছে বটে, তবে জিনিসটা চমৎকার এটা মিথ্যে নয়। সুবাদার তাকিয়ায় হেলান দিয়ে বসে চোখ মুদে বললেন সায়েব, একটা প্রশ্ন করি। বুড়া মানুষ তায় ফিরিঙ্গি, কত কত দেশে তোমার ঘোরার অভিজ্ঞতা। বলত সায়েব, কোন দেশের মেয়েলোক তোমায় সবচেয়ে আরাম দিয়েছে?
ঠা ঠা করে হেসে উঠল পাশে বসে থাকা সুবাদারের মাতাল ও নেশাখোর ইয়ারবখশেরা। মৃদু হেসে থিবো সায়েব বললেন, মেয়েলোকের আরামে আর ভালো লাগে না হুজুর। পেটে কেবল ভুটভাট হয় আজকাল, রাতে খাবারের পরে পাদ বেরিয়ে গেলে যে আরাম হয় সেই আরাম দুনিয়ার কোন মেয়েমানুষেই দিতে পারেনি আজতক।
হাসতে হাসতে সকলে গড়িয়ে পড়ল বুড়া ফিরিঙ্গি জহরতওয়ালা জঁ পিয়ের থিবোর গল্প শুনে। সুবাদার শাহবাজ খাঁ কেবল বলতে লাগলেন পাদ বেরিয়ে গেলে...হা হা হা হা...পাদ বেরিয়ে গেলে আরাম...হা হা হা হা।
গঙ্গার বুকে সন্ধ্যে নেমে আসতে থাকল ধীরে।
……………………………………………………………
দুই মুশকো জোয়ানের কাঁধে চড়ে থিবো সায়েব যখন ঘরে এলেন ততক্ষণে রাত গভীর। বাইরে ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে খামোশ খেয়ে বসে থাকা পেয়াদা জাফরের মুখে নিঃশব্দ হাসি ফুটল। সাব্বাস, ঝামেলা তো আদ্ধেক কমেই গেল। নেশাচুর ফিরিঙ্গির কল্লা নামাতে তার চার বছরের ছেলেও পারবে। মুশকো লোকদুটো বিদেয় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করল জাফর, তারপর বেড়ালের মত গুটি পায়ে পাছদুয়ারের দিকে এগুতে শুরু করল সে। দরজা খোলাই আছে। কোমরের ছুরি শক্ত করে ধরে থিবো সায়েবের কক্ষে উঁকি মেরে দেখল সায়েব ভয়ানক নাক ডাকছে। পরনের জোব্বাটা উঠে আছে হাঁটুর উপর।
ঠিক আছে।
পিছনে দাঁড়িয়ে ফিরিঙ্গির থুতনিটা হাল্কা উঁচু করে ধরে গলায় পোঁচ লাগাল জাফর, ধীরে এবং গভীরভাবে। দ্রুত কাজ শেষ হওয়া চাই। ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটল, আর ভয়ানক তড়পাতে থাকল থীবোর দেহ। কিছুক্ষণ তড়পাক, ভাবল জাফর, ততক্ষণ দেখে আসা যাক চাকরটা কোথায়। তার নলি কেটে দেওয়াও জরুরী। দ্রুত পাশের পাকঘরে গিয়ে দেখে ভয়ে সাদা মুখে বসে চাকরটা একটা হাঁড়ি ধরে কাপছে ঠকাঠক। গলার গামছাটা খুলে চাকর গফুর কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার গলায় সেটা পেঁচিয়ে ধরল জাফর আর দিল শক্ত টান। আঁক আঁক করতে করতে নেতিয়ে পড়ল গফুর।
অর্ধেক চাঁদ আকাশে। অল্প দূরে হালকা অন্ধকারে নদীর পাড়ে নৌকায় চাদরমুড়ি দিয়ে বসে অধীর অপেক্ষায় ছিল বাজিতপুর দূর্গের কোতয়াল হামজা। বুড়া ফিরিঙ্গি থিবো সায়েব তার কাছে মাস কয়েক আগে বড়াই করে বলেছিল তার কাছে এক দৌলত আছে, সেই পাথর নাকি সে রাজা বাদশা ছাড়া কারো কাছে বেচবেই না। কোতয়াল হামজা কিনতে চাইলেও না। ও কেবল রাজা বাদশার ভোগের জন্যই। ক্রুদ্ধ হামজা সেদিনই ঠিক করেছিল দুইটা কাজ করতে হবে, বুড়ার কল্লা নামাতে হবে আর পাথরটা হাত করতে হবে। সে শুনেছে আজ সুবাদার পাথর পছন্দ করে ফেলেছে, তাই আজ রাতেই ছিনিয়ে নিতে হবে পাথর নইলে চিরদিনের জন্য তা সুবাদারের হয়ে যাবে। তার খাস পেয়াদা জাফর অত্যন্ত উঁচুদরের সিপাই, তার উপর ভরসা রাখা চলে। হামজার বিশ্বাস জাফর ঠিকই কাজ আদায় করে আসবে।
একটু পরেই দৌড়াতে দৌড়াতে আসল জাফর, হাঁফাচ্ছে অল্প। উদ্বিগ্ন কোতয়াল হামজা চাপা উত্তেজনার গলায় বললেন, পেয়েছিস? পেয়েছিস?
নিঃশব্দে চাদরের তলা থেকে পাথরের কৌটা বের করে দিল জাফর। গাঢ় রক্ত লেগে চ্যাটচ্যাট করছে, সেইটা ধরে বিরক্ত গলায় হামজা বলল, ধুর এত আঠা আঠা কেন?
জোব্বার ভিতরে সিলাই করা খোপে ছিল হুজুর, বুকের কাছে। গলার নলি কাটার সময় রক্তে ভিজা গ্যাছে।
পানিতে ডুবিয়ে একটু ধুয়ে নিল হামজা টিনের কৌটা। তারপর খুলে মখমলের কাপড় সরিয়ে হীরে চোখের সামনে এনে ধরল। অল্প চাঁদের ঝাপসা সাদাটে আলোয় নীল হীরে ঝিকঝিক করে উঠল হামজার দুই আঙ্গুলের মাঝে। ফিসফিস করে সে বলল, আহা! আহা! এই তবে থিবো সায়েবের দৌলত।
(চলবে)
মন্তব্য
পপ্পন নয় চাই মা'জুন!
..................................................................
#Banshibir.
আপনি তো একের পর এক খুনাখুনি করেই চলেছেন,
এরপর তো যার নামই লিখছেন, সেটা দেখে মনে হচ্ছে, এই বুঝি পরের পর্বে মরবে।
কাহিনী জমজমাট, দেড়মাস পর পর্ব না দিয়ে তাড়াতাড়ি দিলে কাহিনীর বরফ গলার সময় পাবে না।
শুভেচ্ছা
বাঁচা মরা সবই উপরওয়ালার ইচ্ছা, আপনে আমি উসিলা মাত্র
..................................................................
#Banshibir.
গল্পের বুনোট জবরদস্ত টাইট!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হ
..................................................................
#Banshibir.
সোনা দানা টাকা কিছু রবে না। বাজে লিখা
সোনা দানা টাকা সবই রবে রায়হান জহির। মানুষই রবে না।
..................................................................
#Banshibir.
খুব জমজমাট কাহিনী। আর লেখার গতিশীলতায় আরও বেশী সুন্দর। বাহ!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ধইন্যবাদ
..................................................................
#Banshibir.
ঐতিহাসিক থ্রিলার ? বাহ !! বহৎ খুব !!!
লিচ্চয় কেন নয়?
..................................................................
#Banshibir.
পরের পর্ব দ্যান
কোন এক শুভ সকালে আয়া পড়ব ফটাফট!
..................................................................
#Banshibir.
এরাম হইলে তো ছইলত ন! দেড় মাস পরে ২ নম্বর পর্ব দিলেন, ১ নম্বর তো এতদিনে হজম হয়ে হারায় গেছে। আবারো পড়তে হইছে। এরাম অন্যায় মেনে নেয়া যায় না। পরের পর্ব এক সপ্তার মধ্যে চাই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এক থেকে ছয় সপ্তার মধ্যে দিতেসি
..................................................................
#Banshibir.
যাব্বাবা! এতো দেখি "অক্তাক্ত" কেচ্ছা। চলুক।
***
বস "খাজা আহমাদ" কি মুসলমান নাম বুঝাইছেন? নেশনস্টেট ধারণার আগে তো খৃ্ষ্টান ছাড়া আর্মানি নাই।
পচুর অক্ত। ভাসাভাসি কাণ্ড।
মুসলমান না কেরেস্তানই হওয়া উচিৎ। কেরেস্তান আর্মানি আহমাদ হওয়ার কথা না? নামটা কোন এক বইয়ে দেখসিলাম এখন খিয়াল নাই।
..................................................................
#Banshibir.
থিবো সায়েবের জন্য গত পর্বেই আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছিলাম, এখন কার জন্য দুঃখ প্রকাশ করবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। এই ক্লাইমেক্সের জন্য অভিনন্দন! লেখা বরাবরের মতই চমৎকার, শুধু পাদাপাদির মত রাবিশ ব্যাপারটা লেখার সামগ্রীক সৌন্দর্য্যের কিছুটা হানি ঘটিয়েছে বলে মনে হয়।
হাহাহা মাতাল নেশাখোরের কথা ধরতে নাই। ছাড়ান দ্যান।
..................................................................
#Banshibir.
এতোদিন পরে দিলে চলবে?
পরের পর্ব জলদি চাই।
দুর্ধর্ষ হইতেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ অচিরেই শুভমুক্তি!
..................................................................
#Banshibir.
আপাতত থুইয়া যাই, শেষপর্ব আইলে পড়ুমনে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আরো কয়টা ইটা দিলে একটা ঘর তুলতাম।
..................................................................
#Banshibir.
আগের পর্ব তো প্রায় ভুলে যাওয়ার অবস্থা... ধন্যবাদ খাসা গল্পের জন্য - চলতে থাকুক।
চলতেই থাকবে।
..................................................................
#Banshibir.
মারাত্মক গল্প! ইতিহাস কি আপানার লেখাপড়ার বিষয় নাকি আগ্রহের, নাকি দুটোই?
(আপনার পিচ্চি মেয়েটা কেমন আছে?)
আমি মূলতঃ মোগল ও ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষের ইতিহাসের মনোযোগী পাঠক, তার বাইরে আমার পড়াশোনা অল্প।
পিচ্চি আছে চমেৎকার!
..................................................................
#Banshibir.
আপনি তো দেখি ব্যাপক রংবাজ। রক্তের রঙয়ে ভরে ফেলছেন চারপাশ
..................................................................
#Banshibir.
আপনার বাড়ি বানানোর জন্য আরেকটা ইটা রাইখা গেলাম। পরে আইসা পড়মুনে। আর আমার মাথা কুটা দেইখা দয়াপরবশ হওয়ার জন্য আপনাকে ধইন্যবাদ! অক্তাঅক্তি থাইকা বাঁইচা গেলাম!
****************************************
ইটার জন্য ধন্যবাদ. দেখি কেউ জমি দেয় কিনা, রাস্তায় ঘর তুললে সমস্যা.
..................................................................
#Banshibir.
আগেরটাতো ভুইলা গেছিলাম। এখন দুইটা একসাথে ভুলতে দিয়েন না। এমনিতেই হার্ডডিস্ক ছুটো আছে- বেশি জিনিস থাকে না
লিখতে গিয়া নিজেই ভুইলা যাই মাঝে মাঝে
..................................................................
#Banshibir.
ইয়ের মতো টানটান গল্প! অছাম!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধনুকের ছিলার কথা কৈতেছেন? সবই বুঝছি.
..................................................................
#Banshibir.
দেখো দেখি কি রক্তাক্ত কাণ্ড!! তবে গল্প জমে কিন্তু পুরাই ক্ষীর, পুরোপুরি জমাট বরফ হওয়ার আগেই পরেরটা ছাড়ুন তো দেখি!!
-নিহাদ
ক্ষীর জইমা বরফ হইলে চমৎকার ক্ষীরের আইসক্রিম হওয়ার কথা!
..................................................................
#Banshibir.
পরের পর্ব জলদি দিয়েন।
একটু দিরং হইব।
..................................................................
#Banshibir.
আপ্নে তো মিয়া শান্তিতে থাকতে দিবেন না দেখি! জলদি পরের পর্ব ছাড়েন!
শান্তি আর কই।
..................................................................
#Banshibir.
৩য় পর্ব কবে---------?
****************************************
হাল্কা দিরং হইব বস। একটা জিনিস খুঁজতেছি।
খুঁজতে গিয়া অবশ্য আরেকটা বেশ ভালো জিনিস পাইছি, সেইটাও দিতেছি।
..................................................................
#Banshibir.
বই পাইছেন? পরের পর্ব কো????
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
পরের পর্ব কো ?????????????????????????
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ধইজ্জ ধরেন,
থিবো সায়েব এই চন্ডিশীরার লগে গলাগলি ধইরা চা-চু খাইতে গেছে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হ ন্যানোচুমুকে চা খাইতাছে। দলছুটের লাল(আ) চা হইলে অবশ্য সমিস্যা
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন